Search
Monday, October 29, 2018
দুর্নীতি অর্থনীতিতে নগদ অর্থের চাহিদা বাড়াচ্ছে?
মাহফুজ উল্লাহ বাবু|
ঘুষের ৪৪ লাখ টাকাসহ ২৬ অক্টোবর গ্রেফতার হন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস। এ টাকা তিনি নিয়েছেন বন্দিদের খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদারের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে। তার আগে গত ১১ জুন ঘুষের সাড়ে ১৪ লাখ টাকাসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিমের হাতে গ্রেফতার হন সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শামসুল শাহরিয়ার ভূঁইয়া। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে চোরাচালানের বস্তাভর্তি সাড়ে ৮ কোটি টাকাসহ গ্রেফতার হন মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যবসায়ী। আর ২০১২ সালে ঘুষের ৭০ লাখ টাকাসহ আটক করা হয় তত্কালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী একান্ত সচিবসহ (এপিএস) রেলের দুই কর্মকর্তা। বিগত কয়েক বছরে ও সাম্প্রতিক সময়ে টাকাসহ সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গ্রেফতার ও আটকের এ ঘটনা সমাজের দুর্নীতির ব্যাপকতার খণ্ডচিত্র মাত্র।
বেসিক ব্যাংকের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকাসহ গত কয়েক বছরে ঋণের নামে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকে। এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হিসেবে নাম এসেছে ব্যাংকের পরিচালক থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন ও অধস্তন কর্মকর্তাদের। এমনকি বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংকের দুর্নীতির সঙ্গেও জড়িত ব্যাংকটির পরিচালক থেকে শুরু করে শাখা পর্যায়ের কর্মকর্তারা। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুদক যাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার করেছে, তাদেরও বড় অংশ ব্যাংক কর্মকর্তা।
দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতার চিত্র উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষণেও। বাংলাদেশে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণা সূচকেও বাংলাদেশ এখনো নিচের সারিতে। এখানে ব্যবসা করতে গেলে যে ঘুষ দিতে হয়, সে তথ্য উঠে এসেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অ্যাকাউন্টিং ও পেশাগত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ংয়ের জরিপে। জরিপে অংশ নেয়া এ অঞ্চলের ১০০ জ্যেষ্ঠ নির্বাহীর ৫৮ শতাংশই বলেছেন, বাংলাদেশে ব্যবসা করতে গেলে ঘুষ দিতে হয়।
ঘুষ-দুর্নীতির এ ব্যাপকতা দেশে নগদ অর্থের চাহিদা বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়ছে অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এক দশক আগেও দেশে নগদ অর্থনীতির আকার ছিল জিডিপির ৮ শতাংশের মতো। এখন তা পৌঁছেছে ১২ শতাংশের কাছাকাছি। যদিও অর্থনীতি পরিণত হলে নগদ অর্থনীতির আকার ছোট হয়ে আসে।
বৈশ্বিক ট্রেন্ডের সঙ্গে বাংলাদেশেও জিডিপির বিপরীতে নগদ অর্থনীতির আকার ছোট হয়ে আসার কথা বলে জানান বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ব্যাংকিং ও প্রযুক্তির প্রসারের কারণে বাংলাদেশেও মানুষের আর্থিক লেনদেন আরো কাঠামোবদ্ধ হয়ে আসার কথা। কিন্তু সেটি হয়নি। অর্থনীতির আকারের সমান্তরালে আর্থিক অবকাঠামোয় উন্নতি না হওয়া এর কারণ হতে পারে। এর আরো একটা কারণ হতে পারে আন্ডারগ্রাউন্ড অর্থনীতিও। দুর্নীতির সূচকগুলোয় দেশের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এ যুগে নগদ অর্থনীতির অধিক বিস্তার পরিলক্ষিত হলে অন্যান্য সূচকের সঙ্গে এর সম্পর্ক অনুসন্ধান জরুরি। সমসাময়িক বিভিন্ন আর্থিক অপরাধের প্রবণতার সঙ্গেও বিষয়টিকে মিলিয়ে দেখার সুযোগ রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ উপাত্ত বলছে, গত এক যুগে দেশের আনুষ্ঠানিক অর্থনীতি তথা জিডিপির আকার ৪ দশমিক ১৮ গুণ হয়েছে। অন্যদিকে নগদ অর্থনীতি ৫ দশমিক ৯২ গুণে উন্নীত হয়েছে। ২০০৬-০৭ অর্থবছরে দেশের জিডিপি ছিল ৪ লাখ ৭২ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকার। এর মধ্যে নগদ অর্থনীতির আকার ছিল ৩৯ হাজার ৩৬১ কোটি টাকার। শতকরা হিসাবে জিডিপি ও নগদ অর্থনীতির অনুপাত ছিল ৮ দশমিক ৩৩। মধ্যবর্তী বিভিন্ন বছরে হ্রাস-বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গত অর্থবছরে তা ১১ দশমিক ৭৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের জিডিপি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর বিপরীতে নগদ অর্থনীতির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকায়, যা দেশের পুঁজিবাজারের মোট বাজার মূলধনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশের সমান।
নগদ অর্থনীতির এ ব্যাপ্তির সঙ্গে দুর্নীতির সরাসরি সম্পর্ক আছে বলে জানান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও আর্থিক কাঠামো শক্তিশালী হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নগদ লেনদেনের প্রবণতা কমে গেছে। বাংলাদেশে এর বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। দুর্নীতি ও ঘুষ এবং বিদেশে অর্থ পাচারের টাকাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নগদ লেনদেন হয়। কর ফাঁকি দিতে ধনীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে না গিয়ে নগদ লেনদেন করেন। সার্বিকভাবে দুর্নীতির ব্যাপকতা বাড়ার কারণেই অনানুষ্ঠানিক পথে লেনদেন বেড়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের পর্যবেক্ষণও বলছে, দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশ এখনো নিচের সারিতে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত বার্লিনভিত্তিক সংস্থাটির সর্বশেষ সূচকে ১৮৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থান ১৪৩তম। গত বছর প্রকাশিত সূচকে ১৭৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৫তম।
বাংলাদেশের মতোই জিডিপির অনুপাতে নগদ অর্থনীতির ব্যাপ্তি বেশি যেসব দেশে, দুর্নীতির ধারণা সূচকে তারাও রয়েছে নিচের দিকেই। বর্তমান বিশ্বে নগদ নির্ভরতায় শীর্ষ পাঁচ দেশের পঞ্চমটি বাংলাদেশ। এ তালিকায় এক নম্বরে থাকা ভারত ছায়া অর্থনীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে বিপুল অংকের অপ্রদর্শিত নগদ অর্থ বাতিল করে দিয়েছে। তালিকায় এরপর রয়েছে যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়া।
নগদ অর্থনীতির মতোই বাংলাদেশের ছায়া অর্থনীতির কলেবরও বেশ বড়। ২০১৬ সালে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ছায়া অর্থনীতি নিয়ে একাডেমিক গবেষণার ফল প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাতে দেখা যায়, ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের ছায়া অর্থনীতির আকার ছিল জিডিপির ২০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এরপর এক দশক অনুপাতটি ২৩-এর নিচে ছিল। ২০০৫ সালের পর তা অস্বাভাবিক গতিতে বাড়তে শুরু করে। ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ থেকে ২০০৬ সালে অনুপাতটি এক লাফে ২৭ পেরিয়ে যায়। এরপর প্রতি বছর ১০০ থেকে ৪০০ ভিত্তি পয়েন্ট করে বেড়ে ২০১৪ সালে অনুপাতটি ৪৩ দশমিক ৬৪-এ ঠেকেছে। ২০০৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ছায়া অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তানের উপরে।
লুক্কায়িত এ অর্থনীতির আকারের সঙ্গে মাথাপিছু আয়, আর্থিক স্বাধীনতা ও ব্যবসার স্বাধীনতা সূচকের সম্পর্ক ঋণাত্মক আর সরকারের কলেবরের সঙ্গে ধনাত্মক। অর্থাৎ অর্থনীতি উন্নত হতে থাকলে, মাথাপিছু আয় বাড়তে থাকলে, আর্থিক অবকাঠামো ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নত হতে থাকলে জিডিপি ও ছায়া অর্থনীতির অনুপাত কমতে থাকে। অন্যদিকে সরকারের বড় কলেবর ছায়া অর্থনীতি উৎসাহিত করে।
আর ছায়া অর্থনীতির প্রধান অনুষঙ্গ নগদ লেনদেন। ব্যাংকের সংখ্যা ও শাখা বৃদ্ধি, ডিজিটাল মানির প্রসার, প্রত্যন্ত মানুষের ব্যাংক হিসাব খোলা ইত্যাদি কারণে গত এক দশকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। তার পরও দেখা যাচ্ছে, জিডিপির চেয়ে অর্থনীতির নগদ ভিত্তি প্রবৃদ্ধি তুলনামূলক বেশি। জিডিপি টু শ্যাডো ইকোনমি অনুপাত যেমন বেড়েছে, তেমনি জিডিপি টু ক্যাশ বেজ অব ইকোনমিও বেড়েছে। অর্থাৎ জিডিপির বিপরীতে ছায়া অর্থনীতি আর নগদ ভিত্তি দুটোই বেশি বেড়েছে।
তবে নগদ অর্থনীতি বড় হওয়ার মানেই দুর্নীতি বাড়ছে— এমনটা মনে করেন না পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যে গতিতে হচ্ছে, তাতে নগদ অর্থনীতির এ বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয়। গত এক দশকে দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় পরিবর্তন এসেছে। ব্যবসার পরিধি অনেক বেড়েছে। আর্থিক লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে ঈর্ষণীয় হারে। ফলে আর্থিক কাঠামোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে নগদ অর্থনীতি বড় হয়েছে। স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে পারলে ছায়া অর্থনীতির আকার বাড়বে না।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মনে করেন, গোপনে অর্জিত অর্থ ভোগের অবাধ পরিবেশ ও কাঠামোগত অর্থনীতিতে প্রবেশের অনিচ্ছাও নগদ অর্থের চাহিদা বাড়াচ্ছে। সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিয়মের বেড়াজালে প্রবেশ না করে লুক্কায়িত অর্থনীতিতে অনেক মানুষই সম্পদ গড়ছেন। এটি বন্ধ করতে হবে। অনুপার্জিত আয় ভোগের সব সুযোগ বন্ধ করার মধ্য দিয়েই ছায়া অর্থনীতির আকার ছোট করে আনা যাবে।
সহযোগিতায় আব্বাস উদ্দিন নয়ন ও নিহাল হাসনাইন
Courtesy: Banikbarta Oct 29, 2018
Four new banks to get licence
BB bows to pressure from govt high-ups, starts process
AKM Zamir UddinGiving in to pressure from government high-ups, Bangladesh Bank has set in motion the process of giving licences to four proposed commercial banks.
As part of the move, the central bank will place proposals at today's meeting of its board of directors.
If the four new banks get approval, the number of banks in the country will be 62.
The four proposed banks are: Community Bank Bangladesh, Bengal Bank, People's Bank and Citizen Bank.
Community Bank Bangladesh, proposed to be set up by Bangladesh Police Welfare Trust (BPWT), is a concern of Bangladesh Police, while the sponsors of the other three have strong links with the ruling Awami League.
Bengal Bank, initiated by Bengal Group of Industries, is a local manufacturer of plastic products. AL lawmaker Morshed Alam is the chairman of the Group, and his younger brother Jashim Uddin is the chairman of the proposed bank.
MA Kashem, an AL leader in the US, is the chairman of the proposed People's Bank, while Jahanara Huq, mother of Law Minister Anisul Huq, is the chairman of Citizen Bank
Last year, the BB turned down the proposals for giving licences to new banks despite pressure from the finance ministry. Experts also opposed such move, saying the sector is already saturated and its overall health, especially that of the relatively new banks, has been declining.
But BB's resistance didn't last long as they faced mounting pressure from government high-ups, including Finance Minister AMA Muhith.
The latest one also came from Muhith on September 25.
“Probably, Bangladesh Bank recently decided to give licence to one of the proposed banks. I have requested you to give licences to all the proposed banks at one go,” Muhith wrote to the BB governor on that day.
In the letter, the minister told the governor that government high-ups recently decided to issue licences to the proposed banks at a meeting where the BB governor was also present.
Seeking anonymity, a BB official said the central bank's board sent a letter of intent (LoI) to Bangladesh Police Welfare Trust on August 28 for taking necessary measures to set up its bank company.
The board is likely to approve the proposals regarding Community Bank Bangladesh. It would also decide when the rest of the proposed banks would be given licences, the BB official told this newspaper yesterday.
“We are yet to complete our work such as verification of the documents submitted by sponsors of the proposed banks ... We are being forced to place the issue at [today's] board meeting,” added the official.
In September last year, the central bank turned down the finance minister's proposals for approving more banks on the grounds that the deteriorating financial health of many banks, especially the new nine, does not warrant any new addition to the sector.
In response to a letter from the finance minister that month, the regulator said defaulted loans in the banking sector kept an upward trend when the capital base of the sector eroded significantly.
The health of the nine new banks also deteriorated in recent times. Of those, Farmers Bank and NRB Commercial Bank are in a bad shape in the absence of corporate governance.
The BB provided licences to the nine banks in 2013. Many of the sponsors of the fourth generation banks have direct links either with the AL or its allies.
AB Mirza Azizul Islam, former finance adviser to a caretaker government, said approving more banks is totally unnecessary as the number of banks is already high, considering the country's business volume.
The fourth generation banks, which were given licences under political consideration, failed to perform properly, and two of those are in a bad condition, he said.
“The decision to approve more banks will make the situation worse for the banking sector.”
Khondkar Ibrahim Khaled, former deputy governor of the central bank, said the finance minister stated last week that the number of banks in the country was high, but interestingly he took “a reverse stance” in this case.
“I would like to ask Mr Muhith why he has requested the central bank to approve new banks when he himself said the number of banks in the country is comparatively higher than required,” he said.
However, Jashim Uddin, chairman of the proposed Bengal Bank, still sees opportunities for new banks.
“There are challenges in running a new bank. But the country's tremendous economic growth will help such bank explore business opportunities,” Jashim told this correspondent yesterday.
He claimed that none of the 22 sponsors, who provided funds for setting up Bengal Bank, has direct or indirect links with any political party.
Courtesy: The Daily Star Oct 29, 2018
EDITORIAL
Who will guard the guards?
Have banking rules become irrelevanto will guard the guards?
It certainly seems so from the actions of the Bangladesh Bank, as it has given AnonTex the green-light to take more loans from other state-owned banks, after it had borrowed Tk 5,500 crore from Janata Bank through serious irregularities, and defaulted on Tk 557 crore loans with the bank. As mentioned in this column only a week ago, Janata Bank was found guilty of granting undue favours to big borrowers breaking all sorts of banking rules according to the findings of multiple BB investigations. Having revealed those irregularities, it seems the BB has now, for some reason, decided to also do away with its own rules.
The amount of AnonTex's previous loans from Janata was already 13 times the ceiling set by the BB. Even after finding through investigation that Janata had given large amounts of loan to the company via numerous irregularities—of which Tk 2,643 crore went bad—and stating in its own probe report that this could threaten the very existence of the state-owned bank, by what wisdom is the BB now granting AnonTex such favours?
Not only is this making a mockery of the BB's own rules, but by doing so, what sort of an example is the central bank setting for others? When regulators themselves decide that regulations need not be respected, what regulatory role are they fulfilling?
Let us not forget that it is the taxpayer's money that is being put at risk here. By favouring big defaulters over taxpayers, the BB is potentially risking any and all confidence citizens may have in the central bank's ability to regulate the financial sector and the well-being of the sector itself.
Courtesy: The Daily Star Oct 29, 2018
Excesses committed
Star Report
Already helpless due to the transport workers' strike, commuters yesterday struggled to find alternative modes of transportation to reach their destinations, which was, oftentimes, made impossible.
Transport workers on strike harassed people by smearing burnt engine oil on drivers' faces, forcing them to get off the roads, and, in some cases, physically assaulting them.
Several video clips of such harassment by the workers went viral on social media, drawing huge public outcry.
However, Osman Ali, general secretary of Bangladesh Road Trasport Workers Federation, when speaking to The Daily Star, claimed that “one or two over-enthusiastic protesters” might have done this, adding, that the workers were given instructions not to picket.
In Shanir Akhra, protesters intercepted private cars and smeared burnt engine oil on the drivers' faces for bringing cars out on the street.
A photojournalist of The Daily Star, between 8:30am and 12:30pm, saw at least 25 people, mostly drivers, with engine oil smeared on their faces in the area.
Nearly a hundred transport workers divided themselves into several groups and intercepted Dhaka-bound vans, motorcycles, pick-up vans and rubbed burnt oil on the vehicles and drivers' faces before letting them go.
The workers also misbehaved with photojournalists of different media outlets when they tried to capture the harassment on camera.
At 9:00am, the workers halted a Dhaka University bus and verbally abused the students, blaming them for the enactment of the new law. The students were forced to get off and walk.
Even motorcyclists were not spared and many rickshaw passengers were forced to walk, even though rickshaws were out of the strike's purview.
In Narayanganj, some transport workers vandalised a Narayanganj Govt Mahila College bus and smeared engine oil on the driver's face. Three college students had gotten stains on their uniforms during the incident, Mojibor Rahman, driver of the bus, told The Daily Star.
Transport workers took position at different important roads, including the Dhaka-Sylhet and Dhaka-Chattogram highways, and stopped BRTC buses, CNG-run auto-rickshaws, motorcycles, rickshaw vans, and empty ambulances.
At 9:30am, some transport workers blocked the Prime Minister's Personal Secretary Sajjadul Hassan's car at Shimrail intersection for about half an hour. Upon Inspector Molla Taslim Hossain's request, they later let it go.
Many people who tried to reach their destination through app-based ride-hailing services and auto-rickshaws also faced the wrath of the workers.
A group of transport workers were seen blocking private cars and CNG-run-three wheelers from moving through Jurain Natun Rasta and forcing them to park beside the road near Ghuntighar.
“It is totally wrong as we are not involved in this strike. I failed to get my passenger from Gendaria railway station,” said an Uber driver, seeking anonymity.
He said he protested when the transport workers stopped him around half-km away from his destination, but was forced to turn back without his passenger.
A video posted on Facebook showed protesters intercepting CNG-run and battery-run auto-rickshaws and the drivers' faces being smeared with burnt engine oil.
In one video clip, some teenagers were seen smearing burnt engine oil on battery-run auto-rickshaw drivers' faces in front of Sarak Bhaban.
A wedding-party was also blocked by workers in Kanli Bridge area of Daulatpur Bazar of Baralekha Upazila around 3:00pm. A clash broke out when a companion of the groom began videotaping the incident, said Mohammad Mosharraf Hossain, sub-inspector of Baralekha Police Station, adding that the injured were taken to Bianibazar Upazila Health Complex for treatment.
Similar incidents of harassment by protesters were reported in Khulna and Rajshani as well.
Courtesy: The Daily Star Oct 29, 2018
Already helpless due to the transport workers' strike, commuters yesterday struggled to find alternative modes of transportation to reach their destinations, which was, oftentimes, made impossible.
Transport workers on strike harassed people by smearing burnt engine oil on drivers' faces, forcing them to get off the roads, and, in some cases, physically assaulting them.
Several video clips of such harassment by the workers went viral on social media, drawing huge public outcry.
However, Osman Ali, general secretary of Bangladesh Road Trasport Workers Federation, when speaking to The Daily Star, claimed that “one or two over-enthusiastic protesters” might have done this, adding, that the workers were given instructions not to picket.
In Shanir Akhra, protesters intercepted private cars and smeared burnt engine oil on the drivers' faces for bringing cars out on the street.
A photojournalist of The Daily Star, between 8:30am and 12:30pm, saw at least 25 people, mostly drivers, with engine oil smeared on their faces in the area.
Nearly a hundred transport workers divided themselves into several groups and intercepted Dhaka-bound vans, motorcycles, pick-up vans and rubbed burnt oil on the vehicles and drivers' faces before letting them go.
The workers also misbehaved with photojournalists of different media outlets when they tried to capture the harassment on camera.
At 9:00am, the workers halted a Dhaka University bus and verbally abused the students, blaming them for the enactment of the new law. The students were forced to get off and walk.
Even motorcyclists were not spared and many rickshaw passengers were forced to walk, even though rickshaws were out of the strike's purview.
In Narayanganj, some transport workers vandalised a Narayanganj Govt Mahila College bus and smeared engine oil on the driver's face. Three college students had gotten stains on their uniforms during the incident, Mojibor Rahman, driver of the bus, told The Daily Star.
Transport workers took position at different important roads, including the Dhaka-Sylhet and Dhaka-Chattogram highways, and stopped BRTC buses, CNG-run auto-rickshaws, motorcycles, rickshaw vans, and empty ambulances.
At 9:30am, some transport workers blocked the Prime Minister's Personal Secretary Sajjadul Hassan's car at Shimrail intersection for about half an hour. Upon Inspector Molla Taslim Hossain's request, they later let it go.
Many people who tried to reach their destination through app-based ride-hailing services and auto-rickshaws also faced the wrath of the workers.
A group of transport workers were seen blocking private cars and CNG-run-three wheelers from moving through Jurain Natun Rasta and forcing them to park beside the road near Ghuntighar.
“It is totally wrong as we are not involved in this strike. I failed to get my passenger from Gendaria railway station,” said an Uber driver, seeking anonymity.
He said he protested when the transport workers stopped him around half-km away from his destination, but was forced to turn back without his passenger.
A video posted on Facebook showed protesters intercepting CNG-run and battery-run auto-rickshaws and the drivers' faces being smeared with burnt engine oil.
In one video clip, some teenagers were seen smearing burnt engine oil on battery-run auto-rickshaw drivers' faces in front of Sarak Bhaban.
A wedding-party was also blocked by workers in Kanli Bridge area of Daulatpur Bazar of Baralekha Upazila around 3:00pm. A clash broke out when a companion of the groom began videotaping the incident, said Mohammad Mosharraf Hossain, sub-inspector of Baralekha Police Station, adding that the injured were taken to Bianibazar Upazila Health Complex for treatment.
Similar incidents of harassment by protesters were reported in Khulna and Rajshani as well.
Courtesy: The Daily Star Oct 29, 2018
Oikyafront asks PM to arrange talks
Sends letter to Hasina
Staff CorrespondentDr Kamal Hossain in a letter urged Prime Minister Sheikh Hasina to arrange talks between the Awami League and Jatiya Oikyafront ahead of the national polls.
“The Jatiya Oikyafront feels the urge for a meaningful dialogue with Awami League for a competitive election with participation of all in a peaceful and congenial atmosphere and looks forward to your [Hasina's] effective initiative,” the Oikyafront leader said.
Gonoforum leaders AKM Jaglul Hayder and AHM Shafikullah handed the letter over to AL Office Secretary Abdus Sobhan Golap.
The AL was yet to react to the letter.
Dr Kamal, a leader of the alliance, said Bangabandhu taught them how positive politics could unite a nation.
“It is not unknown to us how negative and sick politics have divided our nation and put us in a grave crisis. It is our national challenge to overcome this crisis.”
The Oikyafront announced its seven-point demand and 11 point goals to face the challenge, the letter added.
“Bangabandhu has ensured 'one person, one vote'; it is the constitutional responsibility of us all to protect that.”
Dr Kamal wrote that the first condition for democracy was a free, fair and neutral election.
The Oikyafront was formed on October 13 with seven demands that include resignation of the government, dissolution of parliament, formation of a polls-time government, reconstitution of election time government and deployment of army with magistracy power.
Its 11-point goals include bringing balance of power between president and prime minister, amendment to article 70 of the constitution, appointment of judges in a transparent manner, independence of judiciary and de-politicisation of public administration and police.
Courtesy: The Daily Star Oct 29, 2018
সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি
স্টাফ রিপোর্টার
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেয়া চিঠিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে দেয়া চিঠিতে স্বাক্ষর করেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু। গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে চিঠি দুটি পৌঁছে দেন ঐক্যফ্রন্টের নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক ও আ ও ম শফিক উল্লাহ। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ চিঠি গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ড. কামাল বলেন, ইতিবাচক রাজনীতি একটা জাতিকে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকারসমূহ আদায়ের মূল শক্তিতে পরিণত করে তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। নেতিবাচক রুগ্ন রাজনীতি কিভাবে আমাদের জাতিকে বিভক্ত ও মহাসংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে তাও আমাদের অজানা নয়।
এ সংকট থেকে উত্তরণ ঘটানো আমাদের জাতীয় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য ঘোষণা করেছে। একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সকলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিদ অনুভব করছে। সেই লক্ষ্যে আপনার কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।
চিঠিতে আরো বলা হয়- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা। যে সকল মহান আদর্শ ও মূল্যবোধ আমাদের জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে উজ্জীবিত ও আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ করেছিল তার অন্যতম হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের প্রথম শর্তই হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ জনগণের পক্ষে জনগণের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে এবং জনগণকে শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন ও শাসনকার্য পরিচালনা করবে এটাই আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার।
চিঠিতে আরো বলা হয়, আপনি নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনকে একটি মহোৎসব মনে করে। এক ব্যক্তির এক ভোট এর বিধান জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধুই নিশ্চিত করেছেন। যা রক্ষা করা আমাদের সকলেরেই সাংবিধানিক দায়িত্ব। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য সংযুক্ত করা হয়।
চিঠি পৌঁছে দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দুই প্রতিনিধি। জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বরাবর দুটি চিঠি পৌঁছে দিয়েছি। এর একটিতে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষর করেছেন। অপরটিতে স্বাক্ষর করেছেন মোস্তফা মহসিন মন্টু। এতে ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত সাত দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্যের সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, আমরা দুটি চিঠি পেয়েছি। কিন্তু এখনো খুলে দেখা হয়নি। চিঠিতে কী লেখা আছে জানি না। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক রাতে অফিসে আসবেন। তিনি চিঠি পড়ে সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে আলাপ করে চিঠির বিষয়বস্তুর বিষয়ে আপনাদের জানাবেন।
উল্লেখ্য, সাত দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে গণফোরাম, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য। এ জোটের কর্মসূচিতে জামায়াত ছাড়া ২০ দলের অন্য শরিক দলের নেতারাও অংশ নিচ্ছেন। সাত দফা দাবি আদায়ে সিলেট ও চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছে ঐক্যফ্রন্ট। সামনে রাজশাহীতে সমাবেশের পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা সাত দফা দাবিকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বলে সমালোচনা করে আসছেন।
Courtesy: Manabziban Oct 29, 2018
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেয়া চিঠিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে দেয়া চিঠিতে স্বাক্ষর করেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু। গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে চিঠি দুটি পৌঁছে দেন ঐক্যফ্রন্টের নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক ও আ ও ম শফিক উল্লাহ। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ চিঠি গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ড. কামাল বলেন, ইতিবাচক রাজনীতি একটা জাতিকে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকারসমূহ আদায়ের মূল শক্তিতে পরিণত করে তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। নেতিবাচক রুগ্ন রাজনীতি কিভাবে আমাদের জাতিকে বিভক্ত ও মহাসংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে তাও আমাদের অজানা নয়।
এ সংকট থেকে উত্তরণ ঘটানো আমাদের জাতীয় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য ঘোষণা করেছে। একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সকলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিদ অনুভব করছে। সেই লক্ষ্যে আপনার কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।
চিঠিতে আরো বলা হয়- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা। যে সকল মহান আদর্শ ও মূল্যবোধ আমাদের জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে উজ্জীবিত ও আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ করেছিল তার অন্যতম হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের প্রথম শর্তই হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ জনগণের পক্ষে জনগণের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে এবং জনগণকে শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন ও শাসনকার্য পরিচালনা করবে এটাই আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার।
চিঠিতে আরো বলা হয়, আপনি নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনকে একটি মহোৎসব মনে করে। এক ব্যক্তির এক ভোট এর বিধান জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধুই নিশ্চিত করেছেন। যা রক্ষা করা আমাদের সকলেরেই সাংবিধানিক দায়িত্ব। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য সংযুক্ত করা হয়।
চিঠি পৌঁছে দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দুই প্রতিনিধি। জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বরাবর দুটি চিঠি পৌঁছে দিয়েছি। এর একটিতে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষর করেছেন। অপরটিতে স্বাক্ষর করেছেন মোস্তফা মহসিন মন্টু। এতে ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত সাত দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্যের সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, আমরা দুটি চিঠি পেয়েছি। কিন্তু এখনো খুলে দেখা হয়নি। চিঠিতে কী লেখা আছে জানি না। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক রাতে অফিসে আসবেন। তিনি চিঠি পড়ে সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে আলাপ করে চিঠির বিষয়বস্তুর বিষয়ে আপনাদের জানাবেন।
উল্লেখ্য, সাত দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে গণফোরাম, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য। এ জোটের কর্মসূচিতে জামায়াত ছাড়া ২০ দলের অন্য শরিক দলের নেতারাও অংশ নিচ্ছেন। সাত দফা দাবি আদায়ে সিলেট ও চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছে ঐক্যফ্রন্ট। সামনে রাজশাহীতে সমাবেশের পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা সাত দফা দাবিকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বলে সমালোচনা করে আসছেন।
Courtesy: Manabziban Oct 29, 2018
মন্ত্রীর সংগঠনের ধর্মঘটে জিম্মি দেশ
স্টাফ রিপোর্টার
গণপরিবহন চলাচল বন্ধ। সিএনজি অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলেও শ্রমিকদের বাধা। জরুরি প্রয়োজনে গাড়ি নিয়ে যারাই রাস্তায় নেমেছে মারমুখী শ্রমিকদের আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। হয় গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে না হয় চালকের মুখে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে পোড়া মবিল। পরিবহন শ্রমিকদের নগ্ন হেনস্তা থেকে বাদ যায়নি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও। রোগীবহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে মবিল মাখিয়েছে তারা। গতকাল সকাল থেকে দিনভর সারা দেশে ছিল অরাজক অবস্থা। সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবিতে পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে সকাল থেকে শুরু হয় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট।
শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে ধর্মঘট হলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, রপ্তানিসহ বিভিন্ন জরুরি সেবার যানবাহন আটকে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে পথে পথে। ধর্মঘটে অচল ছিল পুরো দেশ। লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের নামে এই ধর্মঘট ডাকে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। মন্ত্রী এ সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি। পুরো দেশকে জিম্মি করে ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি শাজাহান খান। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। এদিকে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে রাতে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। যদিও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন এই মুহূর্তে আইন পরিবর্তন সম্ভব নয়।
৮ দফা দাবিতে ধর্মঘট চলাকালে সকাল থেকে সরকারি মালিকানাধীন বিআরটিসি’র কিছু সংখ্যক বাস ছাড়া কোনো গণপরিবহন রাস্তায় দেখা যায়নি। তবে বিভিন্ন রুটে ব্যক্তিগত গাড়ি, ভাড়ায় চালিত সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেলেও চালকরা দাবি করেন পথে পথে পরিবহন শ্রমিকরা তাদের হেনস্তা করেন। সকালে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, নাবিস্কো থেকে মহাখালী মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে বাসের সারি। পার্ক করে রাখা হয়েছে এসব গণপরিবহন। রাস্তায়, চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন শ্রমিকরা। যাত্রীরা আসছেন, হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তাদেরই একজন বিলকিস বেগম। দ্বিগুণ টাকায় সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ থেকে মহাখালী পৌঁছেন। সঙ্গে দুই শিশু সন্তান।
উদ্দেশ্য গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বীরগঞ্জে যাবেন। শাশুড়ি অসুস্থ। এতটা পথ গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া তার পক্ষে অসম্ভব। বিলকিস বলেন, ‘গরিব মানুষ। বিপদে পড়ে গেছি। এখন কেমনে কি করি। গাড়ি তো ছাড়বে না।’ কথা বলছিলেন আর অসহায় দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিলেন তিনি। তারপর সিএনজি অটোরিকশাতে করেই ফিরে যান তিনি। রিকশা থেকে নেমে দ্রুত এনা পরিবহনের কাউন্টারে ছুটে যান শরণ। বাসের কাউন্টার বন্ধ। ফোনে কল দিলেও রিসিভ করছে না কেউ। শরণ সোমবারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে চট্টগ্রামে যাবেন। টিকিট কেটে রেখেছিলেন বেশ আগেই।
শনিবার যখন জানতে পারলেন শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকেছে ঠিক তখনই ওই পরিবহন সার্ভিসের ফোন নম্বরে যোগাযোগ করেন। শরণ জানান, কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছেন, টিকিট বাতিল করা হয়নি। তাই গাড়ি ছাড়তে পারে। তাদের কথায় আশ্বস্ত হয়েই গতকাল ফার্মগেট থেকে দুপুরে মহাখালী ছুটে যান তিনি। এখন কি করবেন জানতে চাইলে শরণ বলেন, কি করবো বুঝতে পারছি না। ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাওয়া যায় কিনা চেষ্টা করবো। এ ছাড়া উপায় নেই। পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবো কিনা বুঝতে পারছি না। কথা বলার সময় তার চোখ ছলছল করছিলো। ধর্মঘট জানার পরও বাসস্ট্যান্ডে গিয়েছিলেন নিকেতনের লুৎফর রহমান। তিনিসহ বেশ কয়েক জন যাবেন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে। সোমবারে তার চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে। চাচাতো ভাইয়ের অভিভাবক বলতে লুৎফর রহমান। না গিয়ে উপায় নেই। পরিবহন শ্রমিকদের কাছে বারবার জানতে চাচ্ছিলেন, গাড়ি কখন ছাড়বে, ধর্মঘট কী আজ শেষ হবে না? লুৎফরসহ বিভিন্ন যাত্রীদের এরকম নানা প্রশ্নে বিরক্ত হচ্ছিলেন শ্রমিকরা।
বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছেন শ্রমিকরা। কেউ কেউ অলস সময় কাটাচ্ছিলেন চায়ের দোকানে। বাসস্ট্যান্ডে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে ভিড় করেন তারা। শ্রমিকরা বলেন, আমরা শ্রমিক। জরিমানা দেব, জেল খাটবো। এটা হবে না। এসব আইন মানি না। শ্রমিকদের মধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটের ইমাম পরিবহনের সুপারভাইজার শামীম শেখ বলেন, দেশের মানুষ কী সব শিক্ষিত হয়ে গেছে, যে অষ্টম শ্রেণি পাস ছাড়া গাড়ি চালানো যাবে না। আমরা গরিব মানুষ। লেখাপড়া করতে পারিনি। ভাতা জুটে না ঠিকমতো, লেখাপড়া করবো কীভাবে? এখন যদি গাড়ি চালাতে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হয় তাহলে না খেয়ে মরতে হবে আমাদের। পাঁচ বছরের জেল-জরিমানা থাকলে কেউ গাড়ি চালাবে না।
এই আইন পরিবর্তন করতে হবে বলে দাবি করেন এই শ্রমিক। মহাখালী, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কোথাও কোনো গণপরিবহন নেই। বৃদ্ধা মাকে ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক তরুণী। বাংলামোটর এলাকায় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি জানান, তালতলায় দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে কোনো গাড়ি পাননি। মা অসুস্থ। তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর কথা। এতদূরে রিকশায় যাওয়া সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়েই ভ্যানে উঠেন। তবে অনেককেই দেখা গেছে, পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে। রাজধানীর রাস্তাগুলো ছিল ফাঁকা। প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও রিকশা-অটোরিকশা ছাড়া কোনো গণপরিবহনের দেখা মিলেনি। সকাল থেকেই যাত্রাবাড়ী মোড়ে অবস্থান নেন ওই এলাকার পরিবহন শ্রমিকরা।
সেখান থেকে কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে তারা ডেমরা, পোস্তগোলা, দয়াগঞ্জ, চিটাগাং রোডে অবস্থান নেন। এসময় তারা ওইসব সড়কে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেলের ওপর হামলা করেন। পোড়া মবিল লাগিয়ে দেন গাড়ি ও চালকের শরীরে। এ ছাড়া নানাভাবে করেন হেনস্তাও। কেউ কেউ গাড়িতে লাথি-ঘুষি দিয়ে ভেঙে দেন প্রাইভেট গাড়ির হেডলাইটসহ নানা যন্ত্রাংশ। শ্রমিকদের হাতে-পায়ে ধরেও রেহাই পাননি অনেকে। সারা দিনই বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ধর্মঘট পালন করেন শ্রমিকরা। দুপুরের দিকে যাত্রাবাড়ী থানা থেকে ১০০ গজ দূরে চিটাগাং রোডে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রমিকরা একের পর এক প্রাইভেট গাড়ির যাত্রী ও চালকদের হেনস্তা করছিলেন।
খিলগাঁও থেকে আসা ঢাকা মেট্রো থ-১৩-১৯৪০ নম্বরের একটি সিএনজিকে আটকে তারা ভাঙচুর করেন। লাথি দিয়ে দুমড়ে মুচড়ে দেন সিএনজিটিকে। এসময় শ্রমিকরা ওই চালকের পুরো শরীর মবিল দিয়ে লেপ্টে দেন। তার কিছুক্ষণ পর ঢাকা মেট্রো গ-১৭-৭৩৭৩ নম্বরের একটি প্রাইভেট কারকে একইভাবে হেনস্তা করতে দেখা গেছে। বিকালের দিকে ডেমরা সড়কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহন করা একটি বাসের চালকের ওপর পোড়া মবিল ঢেলে দেয় শ্রমিকরা। এসময় শিক্ষার্থীরা শ্রমিকদের ওপর ক্ষেপে উঠেন। বিক্ষুব্ধ হয়ে তারা সড়কে অবস্থানরত শ্রমিকদের ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে শ্রমিকরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। শ্রমিকরা পালিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা সড়কে আড়াআড়ি বাস দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ছাড়া পরিবহন ধর্মঘট থাকার কারণে সড়কে কোনো ধরনের বাস চলাচল না থাকায় সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল চরমে। যাত্রাবাড়ী মোড়ে হাজার হাজার যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অনেকে জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে যেতে চাইলেও কোনো পরিবহনের দেখা পাননি। বিকল্প হিসেবে রিকশা দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে। জরুরি কাজে মিরপুর যাওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ী মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন আশরাফি সুলতানা। তিনি বলেন, এ কেমন ভোগান্তি শুরু হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি তবুও একটাও বাসের দেখা পেলাম না। এখন এতদূর রিকশা নিয়ে যাওয়ার উপায় নাই। আবার না গেলেও হবে না। অনেক সিএনজিকে সিগন্যাল দিয়েছি। তারা মিরপুর যেতে অনেক ভাড়া চায়। অসুস্থ রোগী দেখতে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে কোনো বাস পাননি যাত্রাবাড়ীর সোহেল হায়দার। পরে ৪০০ টাকা খরচ করে তিনি বিশ্বরোড পর্যন্ত একটি সিএনজি ভাড়া করেন। নারায়ণগঞ্জ যাবার জন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মানিকনগরের আয়েশা খাতুন ও তার ছোট দুই সন্তান। মানিকনগর থেকে রিকশা করে এসে পৌঁছান যাত্রাবাড়ী। সেখানে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। রিকশা করেও এতদূর যাওয়া সম্ভব নয়। পরে তিনি বাধ্য হয়েই ফিরে যান বাসায়।
এদিকে গতকাল সকাল থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। টার্মিনাল ও তার আশেপাশের সকল সড়কে সারিবদ্ধভাবে বাস পার্কিং করে রাখা হয়েছিলো। শ্রমিকরা তখন বিভিন্ন সড়কে দলবেঁধে ধর্মঘট পালন করছিলেন। আর বাস টার্মিনালের বাসের কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় শত শত যাত্রীকে। শাহ আলম নামের এক যাত্রী বলেন, প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সপরিবারে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি। জরুরি কাজে পরিবার নিয়ে সিলেট যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এখানে একটি বাসের কাউন্টারও খোলা নাই। কি করে সিলেট যাবো জানি না। ভৈরবগামী আরেক যাত্রী সোহেল মিয়া জানান, কয়েক ঘণ্টা ধরেই এখানে দাঁড়িয়ে আছি। কোনো বাস ছাড়ছে না। শুনেছি সকাল থেকে একটাও বাস ছেড়ে যায়নি।
একই চিত্র দেখা গেছে, রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে। দিনভর সেখান থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা কোনো যানবাহন চলতে দেয়নি। ওই এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা ও লেগুনা চলাচলেও বাধা দেয় শ্রমিকরা।
Courtesy: Manavzamin Oct 29, 2018
Transport strike disrupts economic activities, communications
Exports, imports halt at Ctg port * No change in Road Transport Act now, says Quader
FE Report
Transport strike disrupted communications across the country on Sunday, taking a heavy toll on trade and economic activity.
According to business circles, overall commodity supply chain, export-import activities were severely halted.
Export and import of goods to and from Dhaka, Chittagong and Mongla ports also got hampered.
However, the supply of food and other consumables was halted for unavailability of transport.
Bangladesh Transport Workers Federation called the 48-hour nationwide strike since 6:00am to realise their eight-point demand.
Amendment to some sections in the Road Transport Act (RTA), passed in parliament on September 19, is one of their key demands.
All intercity buses and goods vehicles, excepting state-run Bangladesh Road Transport Corporation (BRTC) buses, stayed off the roads.
Benapole land port losses its daily revenue of around Tk 310 million as no truck from Bangladesh side crossed the border
"Not a single transaction was made at Benapole port on the day," said commissioner Belal Hossain Chowdhury.
He said export loss could not be assessed as different items with different quantities are sent to India.
The Chittagong Port Authority apprehended congestion as goods transportation from the port could not be possible on Sunday night.
Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) estimates more than Tk 85 million daily loss from its export earnings of Tk 31 billion.
Business community and civil-society members sharply reacted to the ongoing strike, urging all concerned to seek a permanent solution to this problem.
They said nobody supports strike holding people hostage and crippling public life.
BGMEA president Siddiqur Rahman demanded a permanent solution to this 'undesirable' action that disrupts business in the name of strike.
"A few days back, similar strike was averted with the home minister's assurances. But we don't find any solution afterward," he told the FE over phone.
Mr Rahman urged the government not to address the problem on a piecemeal basis and find a solution after reviewing the workers' demands.
Architect Iqbal Habib, joint secretary of Bangladesh Environment Movement, termed such strike 'a reflection of nasty politics' which is usually called before a national election.
"A section of unscrupulous leaders, who show up as both owners and workers, misguide the workers by calling strike for their political gains," he told the FE.
On workers' demands, Mr Habib said the RTA has, for the first time, addressed the wrongdoings of all concerned, including private car owners and road designers.
It has broken the typical public perceptions that drivers and workers are mainly responsible for road accidents, he mentioned.
Meanwhile, our Chattogram correspondent adds: Delivery of cargoes from Chittagong port remained suspended since Sunday morning following a countrywide transport strike.
Movement of all modes of vehicles to and from the port also remained suspended until filing of this report at 6:00 pm.
As a result, the export-import activities through the country's main seaport came to a halt.
No truck, covered van, trailer or other modes of vehicles could enter the jetties or container and cargo yards to take delivery of cargoes from Chittagong port or take export cargoes to the ships from across the country, said officials at Chittagong Port Authority.
Transport workers enforced a 48-hour strike from 6:00 am on Sunday to press home their 8-point demand including an amendment to recently-passed Road Transport Act 2018.
Road Transport and Bridges Minister Obaidul Quader ruled out the possibility of making any amendments to the act before the upcoming parliamentary election.
Member (Admin and Planning) of Chittagong Port Authority Md Zafar Alam said no truck, covered van or long-distance vehicles could enter the port sheds to take delivery of containarised or bulk cargoes since the morning.
Only a very few vehicles took delivery of cargoes early in the morning before the transport strike began. "But we don't know if those vehicles could reach their destinations," he added.
However, loading and unloading activities in the general cargo berths, specialized container terminals and the outer anchorage of Chittagong port remained normal, he said.
He told the FE that as many as 4,500 containers are delivered from the port sheds a day for taking import cargoes to the nationwide production units.
The lion's share of these cargoes is destined for production units in the RMG (readymade garment) sector, the major export earner of the country.
Production in the country's garment factories will be hampered severely due to the transport strike, he said.
It will also hit the export sector hard as the exporters could not reach their export products to the ships waiting for shipment of export cargo on time.
Expressing discontent over the situation caused by the strike, CPA Member Zafar Alam suggested that the port activities should be kept outside the purview of all types of hartals, strikes and movements as the country's economy, import and export and businesses are solely dependent on the performance of the Chittagong port and other ports and ICDs (inland container depots).
"The activities at the port come to a halt due to movement or work abstention. But the country must keep running the wheels of economy first for the sake of its people," he observed.
pankajdastider@gmail.com & smunima@yahoo.com
Courtesy: The Financial express Oct 29, 2018
Sunday, October 28, 2018
Free polls sans free media?
Shakhawat Liton
There is a paradoxical situation that troubles us as we move closer to the next parliamentary election.
The Right to Information Act, 2009, unequivocally recognises the citizens' right to information by pronouncing in its section 4 that “every citizen shall have the right to information from the authority, and the authority shall, on demand from a citizen, be bound to provide him with the information.”
In case of exercising the franchise, people's right to know has been further consolidated in section 12 (3b) of the Representation of People's Order, 1972, which empowers citizens with the right to know about the parliamentary candidates before they choose their representatives. And presently, digital platforms like the websites of newspapers, online news portals and social media sites are considered among the most effective tools to disseminate information about the candidates across the country.
But the recently passed Digital Security Act (DSA) has come up with some provisions that pose a major threat to independent journalism ahead of, and during, the next election. The stringent restrictions imposed on digital platforms by the DSA will make independent journalism difficult. As a result, voters may be deprived of getting adequate information about the candidates and the activities of political parties contesting the polls.
Let's elaborate on the paradoxical situation. In 2005, a writ petition was filed with the High Court urging it to direct the Election Commission to collect and disseminate among voters some information about parliamentary candidates, which would allow the voters to know about the candidates before they cast their votes. In response, the High Court delivered a landmark verdict which was later upheld by the Appellate Division that said it had found the prayer made in the writ petition to be legitimate and endorsed the petitioner's arguments that "voters are of utmost importance in parliamentary election and they have the right to elect or reject a candidate on the basis of their antecedents and past performance and whether they are competent to discharge the function as a lawmaker and represent the people in the House of the Nation."
As a reference was made to an Indian Supreme Court verdict in this regard, the HC in its verdict said the question of the right to know was also examined in the said judgement [of the Indian SC] and that it was held that people's right to know is inclusive of their right to vote. "We are also of the view that people have a right to know and such a right is included in the franchise."
The EC was directed by the HC to seek information from the candidates on affidavits sworn in by the latter furnishing eight basic facts along with the nomination papers for the election. The facts include his/her educational qualification, record of criminal cases, description of his/her wealth and assets. In the verdict, the court also asked the EC to take necessary measures to publish the information in mass media to inform voters about the candidates.
The RPO provision introduced in 2008 after the apex court's verdict, however, did not fully follow its judgement. The provision did not keep the option to disseminate basic information of the candidates through mass media. Instead, the EC introduced a system in which the Returning Officers (RO) would disseminate the information through leaflets in the electoral areas and hang a copy of the compiled information of each candidate in the respective RO offices. In reality, it is not possible to disseminate candidates' information to all voters of a constituency through this system. In the past two elections, in 2008 and 2014, it was noticed that a small number of leaflets were distributed only in the city areas, leaving voters in rural areas uninformed. The other option of hanging a copy of the compiled basic facts of candidates in the RO office for public inspection has not been much useful either, as the public have little access to these offices.
In such a situation, the media serves as a useful tool of communication for the voters. The media can examine whether a candidate has concealed any basic facts in his/her affidavits and run reports on their findings. The media can also investigate whether any candidate or political party is spending beyond the legal limit for electioneering, or spending money to buy votes or manipulate the local administration in its favour. And digital platforms like the websites of newspapers, online news portals and social media sites can quickly and effectively disseminate the information and basic facts about the candidates on a large scale. For this, the media must be allowed to work freely.
But unfortunately, some provisions of the DSA, as the Editors' Council has stated, "end up policing media operations, censoring content and controlling media freedom and freedom of speech and expression." The Editors Council, known as Sampadak Parishad, in an extensive write-up published in major dailies on September 29, said: "The Act gives unlimited power to the police to enter premises, search offices, bodily search persons, seize computers, computer networks, servers, and everything related to the digital platforms. According to the Act, the police can arrest anybody on suspicion without a warrant and do not need any approval of any authorities. It will create an atmosphere of fear and intimidation which will make journalism and especially investigative journalism virtually impossible."
The Editors' Council identified at least nine sections of the DSA that it deemed dangerous. Let's examine two of the sections to understand how it will affect journalism over the course of the election.
According to section 25 of the DSA, if any person using a website or any digital device deliberately or knowingly distributes any information or data that is attacking or intimidating in nature; or if a person publishes or distributes any information despite knowing that it is false to irritate, humiliate, defame, embarrass or discredit a person, then all such actions of the individual will be considered a crime. And for this, he or she may face up to three years in jail or a fine of Tk 3 lakh or both. A person will face up to five years in jail or a fine of Tk 10 lakh or both for committing the offence for a second time.
This provision will directly affect independent journalism during the polls. How? For example, if a parliamentary candidate in his affidavit conceals any information about his assets or other things, and a newspaper unearths it through investigation, this will surely "hurt his image." He may claim to feel "defamed", "irritated", "humiliated" and "embarrassed" by portraying the report as "false."
The media may not feel comfortable publishing investigative reports on influential parliamentary candidates who amassed huge assets through unlawful means and abuse of power. The Editors' Council has rightly said that this (Section 25) “will directly affect all investigative reporting in the media. Such reports are usually about some irregularities performed by institutions and individuals. Corrupt people will use this law to intimidate journalists and media organisations and try to prevent publication of such stories on the pretext that the reports have attacked or intimidated them. Actually, every such report can be said to fall under one or more of the above categories and can be used to harass the media."
It's quite normal that no candidate will welcome the disclosure of unpleasant facts about himself or his past wrongdoings. He may take advantage of section 25 to file cases against journalists and editors to gag the media. He may influence the police to arrest the journalists immediately after the filing of the cases. How will journalists unearth hidden facts about a candidate in such a situation?
For the same reasons, the journalists may not even take the risk of exposing any unlawful activities of a political party contesting the polls to influence the election. If a political party's high command feels that the party's "image is hurt" by a report—and if they feel "defamed", "irritated" and "humiliated", numerous cases may be filed against the journalists and editor of a news platform across the country by the party's activists as anyone can sue anyone under section 25 of the DSA.
So, there is a possibility that the media may choose not to take any risk during the election fearing consequences under the draconian legal provision. Again, the voters will be deprived of having adequate information about the candidates and the parties contesting the election, and as a result, their right to know will be curtailed automatically.
The biggest threat to journalism lies in section 43 of the DSA, which gives police sweeping powers to arrest anybody without any warrant on suspicion, to enter premises, search offices, bodily search persons, seize computers, computer networks, servers, and everything related to the digital platforms.
The threat of arrest without a warrant will naturally prevent a journalist from doing his/her work. When police are given the power to arrest without a warrant, on mere suspicion, and to seize computers, computer networks, servers, and everything related to the digital platforms—then media freedom will be buried under this law, as feared by the Editors' Council.
According to the council, comprised of the country's leading editors, "the most dangerous side of this law is that since every newspaper and TV station works on digital system, by giving the power to confiscate a computer, a network of computers including servers, the law enforcing agencies have been given, in effect, the power to shut down a newspaper or TV station or a news portal by confiscating its computers, computer system, computer network and other equipment. Thus, without closing down a media outlet, this clause opens up the possibility of stopping the publication of a newspaper or the operation of a TV station by the law enforcing agencies."
Do we expect the editors of newspapers and online news portals and chiefs of TV stations to keep doing independent journalism during the election despite the risks of facing difficulty to continue operation?
The controversial provisions of the DSA run counter to the Right to Information Act. Due to the controversial provisions, people may not get adequate information about the activities of political parties including collection of election funds and spending the money for electioneering beyond the legal limit as the media may not take any risk to run reports on these activities. Hence, people's right to know about the political parties' activities during the polls may be curbed. People's right to know about the affairs of the political parties is immensely significant, according to a High Court verdict delivered in 2016.
"In modern democratic countries, citizens have a right to information in order to be able to know about the affairs of each political party which, if elected by them, seeks to formulate policies of good governance," said the HC verdict delivered in a case related to making public the annual audit reports submitted to the EC by the registered political parties.
"Ignoring the people's right to know, keeping them in dark and playing hide-and-seek with them in a democratic country like ours where all powers belong to the people and their mandate is necessary for ruling the country, no registered political party can be allowed to take the stand that the audited statements submitted to the Election Commission were 'secret information,'” announces the HC in the judgement.
But the controversial provisions of the DSA have sparked fears that the media is not free from the risks of facing cases under section 25 and arrest of journalists without a warrant under section 43 that pose a threat to media freedom even if it runs investigative reports on corruption or abuse of powers or the use of black money to influence the polls by individuals or parliamentary candidates or political parties, by obtaining information under the RTI act.
There is a paradoxical situation that troubles us as we move closer to the next parliamentary election.
The Right to Information Act, 2009, unequivocally recognises the citizens' right to information by pronouncing in its section 4 that “every citizen shall have the right to information from the authority, and the authority shall, on demand from a citizen, be bound to provide him with the information.”
In case of exercising the franchise, people's right to know has been further consolidated in section 12 (3b) of the Representation of People's Order, 1972, which empowers citizens with the right to know about the parliamentary candidates before they choose their representatives. And presently, digital platforms like the websites of newspapers, online news portals and social media sites are considered among the most effective tools to disseminate information about the candidates across the country.
But the recently passed Digital Security Act (DSA) has come up with some provisions that pose a major threat to independent journalism ahead of, and during, the next election. The stringent restrictions imposed on digital platforms by the DSA will make independent journalism difficult. As a result, voters may be deprived of getting adequate information about the candidates and the activities of political parties contesting the polls.
Let's elaborate on the paradoxical situation. In 2005, a writ petition was filed with the High Court urging it to direct the Election Commission to collect and disseminate among voters some information about parliamentary candidates, which would allow the voters to know about the candidates before they cast their votes. In response, the High Court delivered a landmark verdict which was later upheld by the Appellate Division that said it had found the prayer made in the writ petition to be legitimate and endorsed the petitioner's arguments that "voters are of utmost importance in parliamentary election and they have the right to elect or reject a candidate on the basis of their antecedents and past performance and whether they are competent to discharge the function as a lawmaker and represent the people in the House of the Nation."
As a reference was made to an Indian Supreme Court verdict in this regard, the HC in its verdict said the question of the right to know was also examined in the said judgement [of the Indian SC] and that it was held that people's right to know is inclusive of their right to vote. "We are also of the view that people have a right to know and such a right is included in the franchise."
The EC was directed by the HC to seek information from the candidates on affidavits sworn in by the latter furnishing eight basic facts along with the nomination papers for the election. The facts include his/her educational qualification, record of criminal cases, description of his/her wealth and assets. In the verdict, the court also asked the EC to take necessary measures to publish the information in mass media to inform voters about the candidates.
The RPO provision introduced in 2008 after the apex court's verdict, however, did not fully follow its judgement. The provision did not keep the option to disseminate basic information of the candidates through mass media. Instead, the EC introduced a system in which the Returning Officers (RO) would disseminate the information through leaflets in the electoral areas and hang a copy of the compiled information of each candidate in the respective RO offices. In reality, it is not possible to disseminate candidates' information to all voters of a constituency through this system. In the past two elections, in 2008 and 2014, it was noticed that a small number of leaflets were distributed only in the city areas, leaving voters in rural areas uninformed. The other option of hanging a copy of the compiled basic facts of candidates in the RO office for public inspection has not been much useful either, as the public have little access to these offices.
In such a situation, the media serves as a useful tool of communication for the voters. The media can examine whether a candidate has concealed any basic facts in his/her affidavits and run reports on their findings. The media can also investigate whether any candidate or political party is spending beyond the legal limit for electioneering, or spending money to buy votes or manipulate the local administration in its favour. And digital platforms like the websites of newspapers, online news portals and social media sites can quickly and effectively disseminate the information and basic facts about the candidates on a large scale. For this, the media must be allowed to work freely.
But unfortunately, some provisions of the DSA, as the Editors' Council has stated, "end up policing media operations, censoring content and controlling media freedom and freedom of speech and expression." The Editors Council, known as Sampadak Parishad, in an extensive write-up published in major dailies on September 29, said: "The Act gives unlimited power to the police to enter premises, search offices, bodily search persons, seize computers, computer networks, servers, and everything related to the digital platforms. According to the Act, the police can arrest anybody on suspicion without a warrant and do not need any approval of any authorities. It will create an atmosphere of fear and intimidation which will make journalism and especially investigative journalism virtually impossible."
The Editors' Council identified at least nine sections of the DSA that it deemed dangerous. Let's examine two of the sections to understand how it will affect journalism over the course of the election.
According to section 25 of the DSA, if any person using a website or any digital device deliberately or knowingly distributes any information or data that is attacking or intimidating in nature; or if a person publishes or distributes any information despite knowing that it is false to irritate, humiliate, defame, embarrass or discredit a person, then all such actions of the individual will be considered a crime. And for this, he or she may face up to three years in jail or a fine of Tk 3 lakh or both. A person will face up to five years in jail or a fine of Tk 10 lakh or both for committing the offence for a second time.
This provision will directly affect independent journalism during the polls. How? For example, if a parliamentary candidate in his affidavit conceals any information about his assets or other things, and a newspaper unearths it through investigation, this will surely "hurt his image." He may claim to feel "defamed", "irritated", "humiliated" and "embarrassed" by portraying the report as "false."
The media may not feel comfortable publishing investigative reports on influential parliamentary candidates who amassed huge assets through unlawful means and abuse of power. The Editors' Council has rightly said that this (Section 25) “will directly affect all investigative reporting in the media. Such reports are usually about some irregularities performed by institutions and individuals. Corrupt people will use this law to intimidate journalists and media organisations and try to prevent publication of such stories on the pretext that the reports have attacked or intimidated them. Actually, every such report can be said to fall under one or more of the above categories and can be used to harass the media."
It's quite normal that no candidate will welcome the disclosure of unpleasant facts about himself or his past wrongdoings. He may take advantage of section 25 to file cases against journalists and editors to gag the media. He may influence the police to arrest the journalists immediately after the filing of the cases. How will journalists unearth hidden facts about a candidate in such a situation?
For the same reasons, the journalists may not even take the risk of exposing any unlawful activities of a political party contesting the polls to influence the election. If a political party's high command feels that the party's "image is hurt" by a report—and if they feel "defamed", "irritated" and "humiliated", numerous cases may be filed against the journalists and editor of a news platform across the country by the party's activists as anyone can sue anyone under section 25 of the DSA.
So, there is a possibility that the media may choose not to take any risk during the election fearing consequences under the draconian legal provision. Again, the voters will be deprived of having adequate information about the candidates and the parties contesting the election, and as a result, their right to know will be curtailed automatically.
The biggest threat to journalism lies in section 43 of the DSA, which gives police sweeping powers to arrest anybody without any warrant on suspicion, to enter premises, search offices, bodily search persons, seize computers, computer networks, servers, and everything related to the digital platforms.
The threat of arrest without a warrant will naturally prevent a journalist from doing his/her work. When police are given the power to arrest without a warrant, on mere suspicion, and to seize computers, computer networks, servers, and everything related to the digital platforms—then media freedom will be buried under this law, as feared by the Editors' Council.
According to the council, comprised of the country's leading editors, "the most dangerous side of this law is that since every newspaper and TV station works on digital system, by giving the power to confiscate a computer, a network of computers including servers, the law enforcing agencies have been given, in effect, the power to shut down a newspaper or TV station or a news portal by confiscating its computers, computer system, computer network and other equipment. Thus, without closing down a media outlet, this clause opens up the possibility of stopping the publication of a newspaper or the operation of a TV station by the law enforcing agencies."
Do we expect the editors of newspapers and online news portals and chiefs of TV stations to keep doing independent journalism during the election despite the risks of facing difficulty to continue operation?
The controversial provisions of the DSA run counter to the Right to Information Act. Due to the controversial provisions, people may not get adequate information about the activities of political parties including collection of election funds and spending the money for electioneering beyond the legal limit as the media may not take any risk to run reports on these activities. Hence, people's right to know about the political parties' activities during the polls may be curbed. People's right to know about the affairs of the political parties is immensely significant, according to a High Court verdict delivered in 2016.
"In modern democratic countries, citizens have a right to information in order to be able to know about the affairs of each political party which, if elected by them, seeks to formulate policies of good governance," said the HC verdict delivered in a case related to making public the annual audit reports submitted to the EC by the registered political parties.
"Ignoring the people's right to know, keeping them in dark and playing hide-and-seek with them in a democratic country like ours where all powers belong to the people and their mandate is necessary for ruling the country, no registered political party can be allowed to take the stand that the audited statements submitted to the Election Commission were 'secret information,'” announces the HC in the judgement.
But the controversial provisions of the DSA have sparked fears that the media is not free from the risks of facing cases under section 25 and arrest of journalists without a warrant under section 43 that pose a threat to media freedom even if it runs investigative reports on corruption or abuse of powers or the use of black money to influence the polls by individuals or parliamentary candidates or political parties, by obtaining information under the RTI act.
Shakhawat Liton is Planning Editor, The Daily Star.
Courtesy: The Daily Star Oct 28, 2018
মন্ত্রীর সংগঠনের ডাকে ধর্মঘট!
স্টার অনলাইন রিপোর্ট
রাস্তায় শত শত মানুষ। পরিবহন নেই। জনদুর্ভোগ দেখারও যেনো কেউ নেই। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এই সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
মন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সংগঠনের ডাকে ধর্মঘট, মন্ত্রীর উপস্থিতিতে যে আইন মন্ত্রিসভা পাস করেছে সেই আইনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে আজ (২৮ অক্টোবর) কথা বলেছেন বাংলাদেশের দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আবুল মকসুদ ও সুলতানা কামাল।
বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, “কয়েকদিন পর পর এভাবে ধর্মঘটের ডাক নেতাদের দায়িত্বহীন সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত রূপ। তাদের দাবি তো সরকারের কাছে। সেক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে বসে এ ব্যাপারে তারা আলোচনা করতে পারতো। তা না করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলছে।”
তিনি বলেন, “সবচেয়ে সাংঘাতিক ব্যাপার হলো এই সংগঠনের সভাপতি আবার সরকারেরই লোক। নৌমন্ত্রী শাজাহান খান নিজেকে শ্রমিক নেতা হিসেবেও দাবি করেন। তবে কি তার কাজ সরকারের মধ্যে থেকেই সরকারকে চাপে রাখা?”
“উনি যদি পরিবহন শ্রমিক নেতাদের দাবির সঙ্গে একমত না হন, তাহলে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করবেন। আর যদি তিনি মনে করেন পরিবহন শ্রমিকদের দাবি সংগত কিন্তু সরকার মানছে না, সেক্ষেত্রে তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতে পারেন। যেকোনো একটা থেকে তাকে পদত্যাগ করতেই হবে। না হলে এই দ্বিচারিতার বিষয়টি অনেক বেশি তামাশার মনে হচ্ছে,” মত দেন মকসুদ।
এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, “পরিবহন শ্রমিকরা আমাদের সমাজেরই অংশ। এখানে লক্ষণীয় বিষয়টি হচ্ছে- যে যাকে যেভাবে পারছে ভোগান্তিতে ফেলছে। দেশের সরকার, পেশাজীবী, সেবক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবাই একই পথে হাঁটছে।”
তিনি বলেন, “এ দেশে মানুষের কাজের পেছনে যুক্তির খুব অভাব রয়েছে। আমি দোষ করবো, কিন্তু আইন মানতে বাধ্য নই। সরকারও যেমন খুশি আইন করে যাচ্ছে। যদিও আইনগুলি খুব কঠোর। কিন্তু এসব ব্যাপারে কারো তেমন একটা মাথা ব্যথা নেই। যেমন নেই সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।”
এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, “রাস্তায় মানুষ পিষে দিয়ে যাবে চালকেরা। সেক্ষেত্রে একটি আইন দরকার। কিন্তু তার আগে দেখতে হবে, আইনটি সব পক্ষকেই সন্তুষ্ট করছে কি না। সবাই মেনে নিচ্ছে কি না। না হলে ভোগান্তির শেষ নেই।”
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রী কি করে একইসঙ্গে একটি শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে থাকেন, তা বোধগম্য নয় বলে জানান সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, “আসলে ভেবে কি হবে, আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরের অবস্থাই এমন। সেখানে এসব লোকেরাই সব ক্ষমতার কলকাঠি নাড়ছে।”
গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। সেখান থেকে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে আজ থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা।
পরিবহন শ্রমিকদের দাবির মধ্যে সড়ক পরিবহন আইনের সব ধারা জামিনযোগ্য করা, সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় সাজার পরিমাণ কমানো, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি করা ও লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম বন্ধ করা অন্যতম।
দাবি আদায় না হলে ৩০ অক্টোবর থেকে লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
উল্লেখ্য, বেপরোয়া মোটরযান চালানোর কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজার বিধান রেখে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বিল গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয়।
Courtesy: The Daily Star Bangla online Oct 28, 2018
রাস্তায় শত শত মানুষ। পরিবহন নেই। জনদুর্ভোগ দেখারও যেনো কেউ নেই। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এই সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
মন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সংগঠনের ডাকে ধর্মঘট, মন্ত্রীর উপস্থিতিতে যে আইন মন্ত্রিসভা পাস করেছে সেই আইনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে আজ (২৮ অক্টোবর) কথা বলেছেন বাংলাদেশের দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আবুল মকসুদ ও সুলতানা কামাল।
বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, “কয়েকদিন পর পর এভাবে ধর্মঘটের ডাক নেতাদের দায়িত্বহীন সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত রূপ। তাদের দাবি তো সরকারের কাছে। সেক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে বসে এ ব্যাপারে তারা আলোচনা করতে পারতো। তা না করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলছে।”
তিনি বলেন, “সবচেয়ে সাংঘাতিক ব্যাপার হলো এই সংগঠনের সভাপতি আবার সরকারেরই লোক। নৌমন্ত্রী শাজাহান খান নিজেকে শ্রমিক নেতা হিসেবেও দাবি করেন। তবে কি তার কাজ সরকারের মধ্যে থেকেই সরকারকে চাপে রাখা?”
“উনি যদি পরিবহন শ্রমিক নেতাদের দাবির সঙ্গে একমত না হন, তাহলে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করবেন। আর যদি তিনি মনে করেন পরিবহন শ্রমিকদের দাবি সংগত কিন্তু সরকার মানছে না, সেক্ষেত্রে তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতে পারেন। যেকোনো একটা থেকে তাকে পদত্যাগ করতেই হবে। না হলে এই দ্বিচারিতার বিষয়টি অনেক বেশি তামাশার মনে হচ্ছে,” মত দেন মকসুদ।
এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, “পরিবহন শ্রমিকরা আমাদের সমাজেরই অংশ। এখানে লক্ষণীয় বিষয়টি হচ্ছে- যে যাকে যেভাবে পারছে ভোগান্তিতে ফেলছে। দেশের সরকার, পেশাজীবী, সেবক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবাই একই পথে হাঁটছে।”
তিনি বলেন, “এ দেশে মানুষের কাজের পেছনে যুক্তির খুব অভাব রয়েছে। আমি দোষ করবো, কিন্তু আইন মানতে বাধ্য নই। সরকারও যেমন খুশি আইন করে যাচ্ছে। যদিও আইনগুলি খুব কঠোর। কিন্তু এসব ব্যাপারে কারো তেমন একটা মাথা ব্যথা নেই। যেমন নেই সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।”
এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, “রাস্তায় মানুষ পিষে দিয়ে যাবে চালকেরা। সেক্ষেত্রে একটি আইন দরকার। কিন্তু তার আগে দেখতে হবে, আইনটি সব পক্ষকেই সন্তুষ্ট করছে কি না। সবাই মেনে নিচ্ছে কি না। না হলে ভোগান্তির শেষ নেই।”
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রী কি করে একইসঙ্গে একটি শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে থাকেন, তা বোধগম্য নয় বলে জানান সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, “আসলে ভেবে কি হবে, আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরের অবস্থাই এমন। সেখানে এসব লোকেরাই সব ক্ষমতার কলকাঠি নাড়ছে।”
গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। সেখান থেকে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে আজ থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা।
পরিবহন শ্রমিকদের দাবির মধ্যে সড়ক পরিবহন আইনের সব ধারা জামিনযোগ্য করা, সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় সাজার পরিমাণ কমানো, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি করা ও লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম বন্ধ করা অন্যতম।
দাবি আদায় না হলে ৩০ অক্টোবর থেকে লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
উল্লেখ্য, বেপরোয়া মোটরযান চালানোর কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজার বিধান রেখে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বিল গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয়।
Courtesy: The Daily Star Bangla online Oct 28, 2018
Subscribe to:
Posts (Atom)