হাছান আদনান
প্রতিবেশী ভারত, চীন, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকাসহ বিশ্বের অনেক দেশের মুদ্রার বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে মার্কিন ডলার। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ডলারের বিপরীতে রেকর্ড দর হারিয়েছে তুর্কি লিরা। রফতানি আয় বৃদ্ধি, উৎপাদনমুখী শিল্পের সুরক্ষা ও অর্থ পাচার রোধের পদক্ষেপ হিসেবে অনেক দেশই নিজস্ব মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটাচ্ছে। যদিও বাংলাদেশ হাঁটছে উল্টো পথে। ডলারের বিপরীতে টাকার মানকে শক্তিশালী করে দেখানো হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে টাকার এ অতিমূল্যায়ন আমদানিনির্ভর বাণিজ্য বাড়াচ্ছে। বিপরীতে রফতানিমুখী শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে যাওয়ায় নিরুৎসাহিত হচ্ছে উৎপাদনমুখী শিল্পের বিকাশ। অর্থ পাচারও এতে উৎসাহিত হচ্ছে। সর্বোপরি চাপ বাড়াচ্ছে লেনদেনের ভারসাম্যে।
ডলারের বিপরীতে প্রতিবেশী দেশগুলোর মুদ্রার তুলনায় বাংলাদেশী টাকার শক্তিশালী মান ধরে রাখার কারণ অনুসন্ধান করেছে বণিক বার্তা। এজন্য কথা বলা হয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। তারা বলছেন, টাকার বিপরীতে ডলারের যে মূল্যমান, তা অনেকটাই কৃত্রিম। টাকাকে অতিমূল্যায়িত করেই শক্তিশালী দেখানো হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্যও বলছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৮০ টাকা ৬০ পয়সা। কিন্তু ওই সময় ডলারের নমিনাল ইফেক্টিভ রেট (নিয়ার) ছিল ১০১ টাকা ২০ পয়সা। একই সময়ে ডলারের প্রকৃত মূল্য বা রিয়াল ইফেক্টিভ রেট (রিয়ার) ছিল ১৩৯ টাকা ৩০ পয়সা।
ডলারের বিনিময় মূল্যের সঙ্গে নমিনাল ও রিয়াল ইফেক্টিভ রেটের বিশাল এ ব্যবধান সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ডলারের নমিনাল ও রিয়াল ইফেক্টিভ রেটের সঙ্গে বিদ্যমান বিনিময় হারের বিশাল এ ব্যবধানে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। আমদানিনির্ভর বাণিজ্য এর একটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেকর্ড ৫৮ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের আমদানি হয়। এ সময়ে আমদানি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আমদানি ব্যয় হয়েছে ১৪ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে আমদানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
রেকর্ড আমদানি হলেও রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধিতে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি গত অর্থবছর। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রফতানি হয়েছে ৩৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। এ সময়ে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) বিভিন্ন দেশে পণ্য রফতানি হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের।
টাকার অতিমূল্যায়নের প্রভাব পড়েছে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে রেকর্ড ৯ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি সৃষ্টি হয়। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চলতি হিসাবে ঘাটতি ছিল ১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। যদিও এর আগের অর্থবছরগুলোয় চলতি হিসাবে বড় অংকের উদ্বৃত্ত ছিল। চলতি হিসাবের বিশাল এ ঘাটতি দেশের ব্যালান্স অব পেমেন্টেও (বিওপি) ঘাটতি তৈরি করেছিল। তবে সম্প্রতি বিওপির ঘাটতি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে।
চলতি হিসাবের ধারাবাহিক ঘাটতির প্রভাব পড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও। এক বছর ধরে
রিজার্ভের পরিমাণ না বেড়ে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার। যদিও এর আগে ৩৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
টাকার অতিমূল্যায়ন উৎসাহিত করছে অর্থ পাচারকেও। ওয়াশিংটনভিত্তিক গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০১৩ সালে দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ৭৭ হাজার কোটি টাকা। আর ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে ২০১৪ সালে।
অর্থ পাচারের বেশির ভাগই হচ্ছে আমদানি-রফতানি চালানে জালিয়াতির মাধ্যমে। আমদানিকারকদের একটি বড় সিন্ডিকেট কয়েক বছর ধরেই আমদানির নামে অর্থ পাচার করছে। অর্থ পাচারে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো একদিকে আমদানির ক্ষেত্রে পণ্যমূল্য বেশি দেখাচ্ছে, অন্যদিকে ঘোষণার সঙ্গে আমদানিকৃত পণ্যের পরিমাণেও মিল থাকছে না। মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হলেও চট্টগ্রাম, বেনাপোল ও মোংলা শুল্ক গোয়েন্দার কায়িক পরীক্ষায় মিলছে খালি কনটেইনার। কখনো আবার শিল্পের কাঁচামালের ঘোষণায় আনা হচ্ছে ছাই, ইট, বালি, পাথর ও সিমেন্টের ব্লক।
একে টাকার অতিমূল্যায়নের প্রভাব হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, যেকোনো মুদ্রার মূল্যমান নির্ধারণের ক্ষেত্রে অতিমূল্যায়ন অথবা অবমূল্যায়নের ঝুঁকি নিতে হয়। আমরা এ পর্যন্ত অতিমূল্যায়ন করার দিকেই হেঁটেছি। এর সমস্যা হলো, এটি সবসময় আমদানিকে উৎসাহিত করে। আমদানিনির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যে, তথা শপিং মল, দোকান এগুলোর জন্য এটি ভালো। নন-ট্রেডেবল সেক্টর, তথা যেসব সেবা আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করা যায় না, সেসব সেবা খাত উৎসাহিত হয়। কিন্তু মুদ্রার অতিমূল্যায়নের কারণে রফতানি, রেমিট্যান্সের মতো অর্থনীতির উৎপাদনমুখী খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রফতানিমুখী হোক কিংবা অভ্যন্তরীণ বাজারমুখী, দুই ধরনের উৎপাদনই বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে।
ডলারের বিপরীতে টাকার প্রকৃত বিনিময় মূল্য নির্ধারিত হয় একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে। যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভালো, পণ্য আমদানি-রফতানি বেশি, অর্থনীতির মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে, এমন দেশের রফতানি, আমদানি, মূল্যস্ফীতি, পণ্যমূল্য, উৎপাদনশীলতা বিবেচনায় নিয়ে এ মূল্য বের করা হয়। দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৮৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রিত হয়, এমন ১৫টি দেশের মুদ্রা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি বাস্কেট তৈরি করে। এ মুদ্রাগুলো হলো মার্কিন ডলার, যুক্তরাজ্যের পাউন্ড, ইউরো, কানাডিয়ান ডলার, মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, ভারতীয় রুপি, চীনের ইউয়ান, জাপানের ইয়েন, কোরিয়ান ইয়েন ও সিঙ্গাপুরের ডলার। এসব মুদ্রার সঙ্গে তুলনা করে ডলারের প্রকৃত বিনিময় হার বের করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় ডলারের মূল্য নির্ধারণ করা হলে সেটিকে রিয়াল ইফেক্টিভ রেট বা প্রকৃত মূল্য বলে অভিহিত করা হয়। অন্যদিকে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করা হলে তাকে নমিনাল ইফেক্টিভ রেট বা নিয়ার বলা হয়।
নিয়ার বা রিয়ারের ভিত্তিতে ডলার বিনিময় না হওয়ায় বাজারের সঙ্গে এর খুব বেশি সম্পর্ক নেই। দেশের বাজারে গতকাল আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ৮৩ টাকা ৯০ পয়সায়। নগদ ডলার ৮৬ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে ব্যাংকগুলো।
বাজারে বিদ্যমান ডলারের এ বিনিময় মূল্য ও প্রকৃত বিনিময় মূল্যের মধ্যে বড় ধরনের তফাত নেই বলে দাবি বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তারা বলছেন, প্রতিদিনই বাণিজ্য অংশীদার শীর্ষ দেশগুলোর মুদ্রার মানের সঙ্গে সমন্বয় করে ডলারের মূল্য তদারক করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে টাকার কিছুটা অতিমূল্যায়ন থাকতে পারে। দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এখনো আমদানিনির্ভর। এ অবস্থায় টাকার বড় অবমূল্যায়ন হলে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে না। মূল্যস্ফীতি বেড়ে ভারসাম্য নষ্ট হবে।
যদিও ডলারের বিপরীতে টাকার অতিমূল্যায়ন কিছুটা বেশি বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যায়ন রিয়াল ইফেক্টিভ রেটের ভিত্তিতে নির্ধারণ করে না। এটি করলে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার বেড়ে যাবে। তবে এটি ঠিক, টাকা কিছুটা অতিমূল্যায়িত হচ্ছে।
টাকার এ অতিমূল্যায়নের প্রভাব পড়ছে রেমিট্যান্সের ওপরও। ডলারের বিপরীতে টাকা কম পাওয়ায় রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। অথচ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ১৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
যদিও জনশক্তি রফতানি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, শুধু ২০১৭ সালেই ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশী কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে গেছেন। চলতি বছরসহ গত পাঁচ বছরে চাকরির উদ্দেশ্যে বিদেশ পাড়ি দেয়া বাংলাদেশীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ৩২ হাজার।
টাকার অতিমূল্যায়নের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উৎপাদনমুখী শিল্পের বিকাশ। এর প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কর্মসংস্থান কমেছে প্রায় এক লাখ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ১৩ লাখ, যা আগের অর্থবছর ছিল ১৪ লাখ।
এ অবস্থায় ডলারের বিনিময় মূল্য ও প্রকৃত মূল্যের ব্যবধান কমিয়ে আনা দরকার বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, এক বছর আগেই টাকার অবমূল্যায়ন ঘটিয়ে ডলারের বিনিময় মূল্য ও প্রকৃত মূল্যের ব্যবধান কমিয়ে আনা দরকার ছিল। ডলারের বিপরীতে টাকার অতিমূল্যায়ন করে কোনো লাভ হচ্ছে না। এটি আমদানিকে অনেক বেশি উৎসাহিত করছে। আমদানিনির্ভর অর্থনীতি কোনো দেশের জন্যই সুখকর নয়।
টাকার অতিমূল্যায়নে রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে এ বিশেষজ্ঞ বলেন, অনেক আগে থেকেই আমি বলে আসছি, ডলারের প্রকৃত মূল্যের সঙ্গে বাজারমূল্যের সমন্বয় করে দেয়া দরকার। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে টাকাকে অতিমূল্যায়িত দেখানো হচ্ছে। নির্বাচনের আগে নীতিনির্ধারকরা অবমূল্যায়নের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। নির্বাচনের পর হলেও এটি আমাদের করতেই হবে।
২০১৩ সালের নভেম্বরে প্রতি ডলার কিনতে খরচ হতো ৭৭ টাকা ৬৫ পয়সা। ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর ডলারের মূল্য বেড়ে ৮০ টাকা ৯৫ পয়সায় উন্নীত হয়। এরপর ডলারের তীব্র সংকট সত্ত্বেও এ মূল্য চলতি মাসের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ৮৩ টাকা ৮৫ পয়সায় বেঁধে রাখা হয়েছে। এর পেছনে নীতিনির্ধারকদের মনস্তাত্ত্বিক কারণকে বড় করে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
ড. জাহিদ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, মনস্তাত্ত্বিক কারণেই আমাদের নীতিনির্ধারকরা টাকার অবমূল্যায়নের ঝুঁকি নিতে চান না। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই ‘স্ট্রং কারেন্সি মিথ’ কাজ করে। সবাই চায়, তার নিজস্ব মুদ্রা শক্তিশালী হোক। কিন্তু বাস্তবতা হলো, মুদ্রা কোনো দেশের জাতীয় পতাকা নয়। মুদ্রাকে বাজার পরিস্থিতির ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। তার মানে এই নয় যে ডলারের মূল্যমানকে একেবারে বাজার পরিস্থিতির ওপর ছেড়ে দিতে হবে। বরং নিয়ন্ত্রণে রেখেই ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটানো দরকার।
- Courtesy: Banikbarta/ Nov 12, 2018