Search

Monday, November 26, 2018

আইন সমানভাবে প্রয়োগ না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নিরপেক্ষভাবে আইনের প্রয়োগ না করলে সে আইন আইন নয়, সেটা কালো আইন। আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ না করলে সে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। নির্বাচন কমিশন কখনো তা চায় না। গতকাল নির্বাচন ভবনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের এক ব্রিফিংয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে এ ব্রিফ করে নির্বাচন কমিশন। ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে মাহবুব তালুকদার বলেন, একটা কথা বলা হচ্ছে, নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে।

এই কথাটা অবশ্যই ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে। কারণ আইনকে নিজস্ব পথে চলতে না দিলে, নির্বাচন কখনো আইনানুগ হতে পারে না। সুতরাং যখনই আমরা বলবো নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে, তখনই তার সঙ্গে এটাও বলতে হবে, আইনকে তার নিজস্ব পথে চলতে দিতে হবে।

এটা করার দায়িত্ব আপনাদের। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আরো বলেন, আফ্রিকান একজন রাজা অভিনব কায়দায় বিচার করতেন। একটা গ্লাসে সরবত, একটাতে বিষ আরেকটাতে পানি রাখা হতো। দোষীরা আসতো। বিষ পান করলে মারা যেতো। পানি পান করলে অব্যাহতি পেতো। আর সরবত পান করলে পুরস্কৃত হতো। অনেকে তার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। 

উত্তরে রাজা বলেছিলেন, আমি তো রাজা, বিচারক নই। আমি তো বিচারের আইনকানুন কিছু জানি না। যিনি অপরাধী তার বিচার করেন ভাগ্য বিধাতা। আমি পুরোটাই ভাগ্য বিধাতার হাতে ছেড়ে দিয়েছি। কারণ এই বিচারে তিনিই আসল বিচারক। সেই রাজার বিচার ব্যবস্থা এখন আর নেই। এখন বিচারকরাই বিচার করে থাকেন। বিচারকরাই ভাগ্য বিধাতার প্রতিভূ। ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আপনাদের (ম্যাজিস্ট্রেট) দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলার নেই। আপনারা সততা, আন্তরিকতা দিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। আইনের ব্যবহার সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। 

মাহবুব তালুকদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব অপরিসীম। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটদের সমান দায়িত্ব। যারা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন তারা যারাই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমরা শপথ গ্রহণ করলেও নির্বাচন সংশ্লিষ্টরাও আমাদের নির্বাচনী শপথের অংশীদার। শপথ আমরা গ্রহণ করলেও নির্বাচন আমরা করি না। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপনারা (ম্যাজিস্ট্রেট)। আপনাদের মধ্যে শপথ সঞ্চালিত হয়ে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি অংশগ্রহণমূলক, পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হবে। আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, সব রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে।

সারা জাতি এই নির্বাচন নিয়ে উদ্দীপ্ত, উচ্ছ্বসিত। এই উদ্দীপনাকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে। নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এতে আপনাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেনাবাহিনীও আপনাদের অধীনে দায়িত্ব পালন করবে। শুধু দেশ নয়, বিশ্ববাসীও আমাদের জাতীয় নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ নভেম্বর ২৬,২০১৮ 

পর্যবেক্ষক নয়, বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে পরিস্থিতি মূল্যায়নে ইইউ

মিজানুর রহমান 

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তে অটল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে ব্রাসেলস বাংলাদেশের ভোট পূর্ব ও উত্তর পরিস্থিতির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। ভোটের আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন? তা সরজমিন পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নে প্রায় দেড় মাসের অফিসিয়াল সফরে কাল আসছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দুই সদস্যের নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দল। ইইউ’র ভোট বিশেষজ্ঞ দলটি আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে জানিয়ে দায়িত্বশীল একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, সূচনাতে খানিক আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া সফরের পুরো সময়ই বিশেষজ্ঞরা নীরবে তাদের পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন চালিয়ে যাবেন। 

তারা সরকার, নির্বাচন কমিশন, আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ে বৈঠকাদি ছাড়াও স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলবেন। এ নিয়ে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না। তবে ওই দুই বিশেষজ্ঞই ইইউ’র সদর দপ্তরে প্রতিনিধি হিসাবে ভোট পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবেন। এখানে তারা ‘নিঃশব্দে’ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন।

ভোটের পরিবেশ নিয়ে দূতাবাসের পাশাপাশি তারাও ব্রাসেলসে রিপোর্ট পাঠাবেন। বিশেষজ্ঞ দলের সফরটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ’র ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ওপরে কিছুটা হলেও প্রভাব রাখবে। সরকারের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, বিশেষজ্ঞরা জাতীয় নির্বাচনে কোনো নাক গলাবেন না এবং তারা জনসমক্ষে কোনো মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকবেন বলে আমাদের জানানো হয়েছে। 

প্রয়োজন হলে তাদের রিপোর্ট বিষয়ে ব্রাসেলসের মুখপাত্র কথা বলবেন। বিশেষজ্ঞ দলের বাংলাদেশ সফরের শুরুতে তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া, পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মাদ জাভেদ পাটোয়ারী, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং বিভিন্ন দলের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ভোট পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ সতর্ক পর্যবেক্ষণ থাকে বরাবরই। নির্বাচন কমিশনসহ দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিশালীকরণে তারা অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে থাকে। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি বহুল আলোচিত নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধি পাঠায়নি ইইউ। তারা আগাম ঘোষণা দিয়েই প্রশ্নবিদ্ধ ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধি না পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে তার আগের নির্বাচনে (২০০৮ সালে) প্রায় ৮০০ পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে নির্বাচনটি সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছিল ইইউ। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ নভেম্বর ২৬,২০১৮ 

Khulna police 'snooping' on polls officials

'Accidentally' sends email, reveals looking into political leanings of election officials


A list of 74 probable polling officials along with their “political leanings” has been “accidentally” emailed by police to local reporters in Khulna.

According to the document sent on September 18 by Harintana Police Station along with a routine press release, only 11 of the 74 teachers are marked as BNP or Jamaat leaning and one as non-partisan while the rest are Awami League leaning.

The list further confirms that police have been collecting a host of personal information, including political leanings, about probable polling officials.

The Daily Star talked to four teachers tagged as BNP or Jamaat supporters in Khulna. All of them said they were dismayed, embarrassed and that their images had been tarnished by the act. They stressed that they were not involved with politics.

Headmaster of Rayermahal Hamidnagar Haji Mohsin Government Primary School, Mollah Tajuddin was marked as BNP leaning. “I have been working as a teacher for the last 25 years, but have never faced any question like this. I am a government servant and I have never been involved in politics,” he said.

The press release police intended to send to reporters was about the arrest of a suspected drug dealer with 115 bottles of Phensedyl.

The first page of the document contained the press release while the second and third pages contained a table containing the names, designations, workplaces, mobile phone numbers, and political leanings.

Names of assistant professors, lecturers, headmasters, senior assistant teachers, and assistant teachers of a college, a high school, and two primary schools appeared on the list.

According to the emailed document, the officer-in-charge of Harintana Police Station had sent the list of probable presiding officers, assistant presiding officers, and polling officers to the special superintendent of police of special branch of Khulna Metropolitan Police.

“With due respect and for your kind information, the names of the presiding officers, assistant presiding officers and polling officers have been given below in the chart,” the document quoted the OC.

Contacted yesterday, Nasim Khan, then OC of the police station and now with the Detective Branch, said he could not recall whether any such press release was sent.

Ashraful Alam, who is the OC now, said it was a mistake made before he joined.

Bibhuti Bhushan Mondol, assistant professor of Shaheed Abul Kashem College, was tagged as a BNP supporter. “The list has embarrassed me. My image is tarnished,” he told The Daily Star, adding that he had done many researches on Bangabandhu.

Assistant professor of the college, Sarder Rafiqul Islam was marked “Now a BNP supporter, used to support Jamaat”. He said had no idea as to how the list was made. He denied having any political leaning. Panchanan Golder, who was mentioned a BNP supporter, also said similar things.

Lecturer of the college Ruhul Amin, who was flagged a Jamaat supporter, said, “I was a custodian of the Tabligh-Jamaat at Rajshahi University. This list is not substantive,” he said, adding that people involved with Tabligh hardly ever support Jamaat.

In the wake of reports of police collecting information on probable polling officials, Chief Election Commissioner KM Nurul Huda on Thursday at a special meeting with law enforcers instructed police not to do that.

“We did not instruct you to do this. Don't do this. This is embarrassing,” he said.

  • Courtesy: The Daily Star /Nov 26, 2018

EC failing to instil confidence of its neutrality

EDITORIAL

People's democratic rights are at stake

Political and security experts on Saturday expressed their discontent with the Election Commission, saying that its performance so far was not satisfactory. The EC has been granted immense power by the constitution and the credibility of the upcoming parliamentary election, no doubt, depends considerably on the actions of the commission.

Unfortunately, it has till now been reluctant to even respond to the complaints raised by opposition parties and has denied them the necessary space for effective campaigning and other political activities. Thousands of cases continue to be lodged daily against activists and politicians belonging to opposition parties, rendering them unable to effectively prepare for the elections as they remain increasingly occupied with fighting legal battles. Meanwhile, law enforcers have ceaselessly harassed and detained members of opposition parties in large numbers, as reported in the media, without the EC blinking an eye.

This is where one would have expected the EC to step in and demonstrate its ability to function without bias. However, by not doing so and by not giving opposition parties and their complaints a fair hearing, hasn't the EC already failed somewhat to maintain a neutral position? After all, any acceptable election requires that all stakeholders be given a chance to voice their opinions and concerns, and not simply be dismissed ungraciously by the commission. This includes concerns over the controversial introduction of electronic voting machines in the polls without adequate preparations.

As mentioned by experts, if this is the state of affairs during the pre-electoral phase, what can people expect during the election period? A free and fair election is the lifeblood of any democracy, and the people have already expressed their desire for a credible election. The EC should, therefore, exercise the immense power that it wields to ensure a level playing field for all, which is the only way to respect people's wishes.

  • Courtesy: The Daily Star /Nov 26, 2018

Worrying attempt at legitimising extrajudicial killings

EDITORIAL
EXTRAJUDICIAL killing has worryingly become the norm. At least 437 people fell victim to extrajudicial killing by the law enforcement agencies and 26 others were forcibly disappeared in the past 10 months. It is not only that the extrajudicial killing is becoming rampant, such criminal acts on part of the law enforcement agencies also appear to have become legitimate to the people affiliated with the ruling party. Recently, the convener of the Kutubdia unit Sramik League, the ruling Awami League’s labour wing, in Cox’s Bazar has asked people allegedly involved in robbery and anti-social or anti-state activities in the locality to surrender to law enforcers or face ‘crossfire’. 

The convener, also a union council member, issued a public notice in this regard and sent it to imams of mosques in the locality for circulation. Contacted about the notice, he further elaborated on how he sees no wrong in acts of such killing. The public notice in question explicitly exposes the way ruling party leaders are approving and legitimising the death of the accused in the hands of law enforcement agencies although it is clearly defined as a punishable offence according to the Torture and Custodial Death (Prevention) Act 2013.

On many occasions, lawmakers are found to be justifying the killing of the accused without trial. In July 2017, Enamur Rahman, lawmaker for the Dhaka 19 constituency, came to be criticised when he told a newspaper how he maintains political control by threatening people in his constituencies with ‘crossfire’ death. He reportedly said that five people had been killed in ‘crossfire’ at his order and 14 more were on a list that he prepared. In the face of widespread criticism, the Awami League even considered an explanation from him. 

Earlier in September, at a public meeting, the minster for primary and mass education said the drug dealers should be killed in firing squads and that they do not deserve to live. Even a cursory review of these statements demonstrates the eschewed and fatally flawed legal values that they have internalised. It further reveals the unethical ties between the law enforcement agencies and lawmakers as the police or Rapid Action Battalion personnel often would take order from them or seek their help to fight crimes. It is evident that the political party in power, instead of taking steps to prevent extrajudicial killing, in effect, used it to maintain political control and suppress its political opponents.

During the past two national elections, the ruling party pledged that it would go by a zero-tolerance policy on extrajudicial killing. The fact that its members issue public notices approving and legitimising the moral failure and criminal misconduct of the members of the law enforcement agencies shows that the Awami League’s electoral pledge was rather rhetorical. Any party forming the government through the next national elections has to do more than rhetorical commitment to end extrajudicial killing.

  • Courtesy: New Age /Nov 26, 2018

Governance failure major risk to doing business in BD

Reveals World Economic Forum report


The failure of national governance becomes a major risk to doing business in Bangladesh and also in two other South Asian nations Nepal and Sri Lanka, according to a recent report released by the World Economic Forum (WEF).

The report titled 'Regional Risks for Doing Business' highlights 10 major risks to doing business in these countries.

"Political and economic concerns predominate among businesses in South Asia, with cyber-attacks also viewed as a concern," said the report.

The risks were identified after the global forum carried out an executive opinion survey during January-June period of the year. The findings were later tabulated with top five risks to five countries in South Asia- Bangladesh, India, Nepal, Pakistan and Sri Lanka.

By conducting the survey, the forum tries to look at the regional risks 'through the prism of the private sector'.

National governance failure is an issue. "This sentiment corresponds with a particularly busy political period in the region," the report said.

The national elections were held in Pakistan in July this year and Nepal in November and December last year. Another three are expected by the end of the year - in Bangladesh, Bhutan and the Maldives.

"The election process is often viewed with anxiety in South Asia as it can be accompanied by violence, blockades and other forms of political tension," observed WEF report. "Elections can also be followed by periods of uncertainty."

For Bangladesh, the 'energy price shock' is identified as top risk followed by national governance. Three other risks are: cyber-attacks, failure of regional and global governance and unemployment or underemployment.

The failure of regional and global governance featured most prominently in Nepal and Bangladesh.

Refugee and migration issues may be one driver of this, with approximately 700,000 people - mostly Rohingya - having fled from Myanmar to Bangladesh over the past year, noted the WEF report.

"In addition, India-Pakistan tensions remained ongoing in 2017, and there have been no bilateral talks between the two countries since 2015," it added.

The report said Bangladesh, Nepal and Pakistan are susceptible to cyber-attacks as "they continue to run on computers using Microsoft products that report malware encounters almost regularly."

The region's vulnerabilities came under spotlight after Bangladesh Bank was hit by hackers who got away with one of the biggest heists in the history, robbing the country's central bank of more than $80 million, said the report.

Private sector decision-makers in India and Pakistan, however, appeared more concerned by terrorist attack than national or regional governance failure.

Businesses in these two countries also identified water crisis as one of the top-five risks, which is also identified as a top risk in Pakistan.

The scope of this report, however, differs from the WEF flagship Global Risks Report, which presents a holistic assessment of the dangers facing the world. Regional report collects data from annual Executive Opinion Survey, which also provides input for the Global Competitiveness Report of the forum.

  • Courtesy: The Financial Express /Nov 26, 2018

BB asks NBFIs to provide info about poll candidates


The central bank has asked non-banking financial institutions (NBFIs) to share information about default loans of the aspirants of the national elections, if any, with the returning officials.

The Bangladesh Bank (BB) issued a directive in this connection on Sunday, asking the managing directors (MDs) and chief executives of all the non-banks to comply with the instructions properly.

Talking to the FE, a BB senior official said the central bank has taken the measure to prevent any loan defaulter from contesting the parliamentary polls as per the electoral rules.

Under the existing rules, loan defaulters cannot participate in the national elections.

The officials of NBFIs have also been asked to collect necessary information on the aspirants from the returning officers, once the deadline for filling nomination paper ends on November 28, says the notification.

Besides, information about default loans will have to be provided to the returning officers on or before the day of scrutinising nomination papers, according to the notification.

The NBFIs officials have also been directed to be present at the offices of returning officers when nomination papers of candidates are scrutinised, if necessary.

The 11th national election is scheduled to be held on December 30.

Earlier on November 22, the central bank issued a similar directive and asked the MDs and chief executive officers of all banks to provide information about classified loans of the electoral candidates to the returning officials.

The BB has already taken preparations for providing information about default loans to the authorities through its Credit Information Bureau (CIB), according to the central bank officials.

The CIB was set up on August 18, 1992 in the central bank to minimise credit risks through reducing the volume of default loans.

  • Courtesy: The Financial Express /Nov 26, 2018

A CEC statement that very much sounds ambiguous

EDITORIAL

THE chief election commissioner’s statement of Saturday that the Election Commission is now in control of the civil administration, which includes the police administration, before the next general elections posted for December 30 is nothing extraordinary. This is a matter-of-fact statement as it is the Election Commission which generally controls, and should control, the civil administration at the time of elections. The commissioner further said that the police were not arresting any innocent people and they were only carrying out the commission’s orders. Yet the statements that the chief election commissioner made altogether constitute an admission that the commission shoulders the responsibility for all what the police are doing these days. 

A Bangladesh Nationalist Party delegation, hours after the commission had met the police high-ups on November 22, handed over a letter to the chief election commissioner saying that the police arrested at least 21 of its leaders and activists. The political party, which is the political arch-rival of the incumbent Awami League, also held the commission responsible for the death of Abu Bakkar Abu, a vice-president of the Jashore BNP unit.

Abu Bakkar, who was found dead, on November 20, afloat in the River Buriganga in an area under the Dakkhin Keraniganj police jurisdiction, had gone missing at night on November 18. 

The Jashore unit BNP leader, who came to Dhaka to collect and submit nomination form, for the first time to stand as a candidate in the national elections, was reportedly held to ransom and the family paid Tk 1,70,000 in ransom to the people who had called them, but he was not freed. The incident smacks of the like of enforced disappearance, which has continued taking place apace. The delegation held the commission responsible as the party had earlier sought the commission’s assistance in this regard. If the arrests made and the incidents of disappearances like this continue under the police that are now supervised by the Election Commission, there is hardly any scope for the commission to shrug off the responsibilities. 

Even if after the chief election commissioner’s statement, the commission wants to shrug off the responsibilities or it fails to attend to the issues adequately, it is evident that the commission is not in control of the police. Besides, what does the commission mean when it says that the police were not arresting innocent citizens? Citizens, every of them, are innocent until they are found guilty by a court of law. The commission cannot decide who are guilty of a crime and who are not.

The arrest of leaders of the parties in the opposition also harms the level playing field for all the political parties now in the electoral fray. The Election Commission, under the circumstances, must stop ordering the police to harass and arrest opposition political leaders when the national elections are at hand. Unless the commission stops this and makes the police behave, it might risk the holding of the elections.

  • Courtesy: New Age /Nov 26, 2018

Sunday, November 25, 2018

ঠিকানাহীন ছয় আইজিডব্লিউ - বিটিআরসির পাওনা ৭৫০ কোটি টাকা

সুমন আফসার

মালিকানা নিয়ে রয়েছে অস্পষ্টতা। নেই পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা। এ ধরনের ছয় ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) প্রতিষ্ঠানের কাছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা দাঁড়িয়েছে ৭৫০ কোটি টাকার বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও পূর্ণাঙ্গ তথ্য না থাকায় পাওনা আদায়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

বার্ষিক লাইসেন্স ফি ও আয় ভাগাভাগির অংশসহ অন্যান্য পাওনা নিয়মিত পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বড় অংকের এ বকেয়া পড়েছে।

বকেয়া পরিশোধ না করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— বেসটেক টেলিকম, রাতুল টেলিকম, কেএওয়াই টেলিকমিউনিকেশনস, টেলেক্স, ভিশন টেল ও অ্যাপল গ্লোবাল টেল কমিউনিকেশন। ছয় প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সই বাতিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

জানা গেছে, ছয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওনা রয়েছে ভিশন টেল লিমিটেডের কাছে ১৯১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। পাওনা আদায়ে ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি (পিডিআর) অ্যাক্ট, ১৯১৩ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। একই বছর নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট (এনআই) ও টেলিযোগাযোগ আইনেও আলাদা মামলা করা হয় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। আইসিএক্স লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান ক্লাউড টেল লিমিটেডের সহযোগী কোম্পানি ভিশন টেল।

তবে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা নিয়ে রয়েছে অস্পষ্টতা। শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের এক মেয়ে। তবে বিটিআরসির দায়ের করা মামলার বিবাদীরা হলেন— সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছেলে ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এসএম আসিফ শামস, পরিচালক রাসেল মির্জা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আইরিন ইসলাম, মো. শরিফুল ইসলাম ও শেয়ারহোল্ডার জিয়াউর রহমান। এর মধ্যে আইরিন ইসলাম ও পরিচালক শরিফুল ইসলামকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে গ্রেফতারও করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন তারা।

আরেক আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠান বেসটেক টেলিকমের বকেয়ার পরিমাণ ১৩০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে পিডিআর আইনের আওতায় সার্টিফিকেট মামলা করে বিটিআরসি। এ মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে। একই বছরের জুনে গুলশান থানায় টেলিযোগাযোগ আইনেও মামলা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েত করিম ও পরিচালক মামুন-উর-রশিদ রয়েছেন মামলার বিবাদী হিসেবে।

অ্যাপল গ্লোবাল টেল কমিউনিকেশনসের কাছে পাওনার পরিমাণ ১২০ কোটি ১ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে পিডিআর আইনে মামলা করে বিটিআরসি। পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ আইনেও মামলা করা হয়েছে। অস্পষ্টতা রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের মালিকানা নিয়েও। শুরুর দিকে অ্যাপল গ্লোবাল টেলের মালিকানায় ছিলেন সোহেল আহমেদ, মনির আহমেদ, ইকবাল বাহার জাহিদ ও ইমদাদুল হক মোল্লা।

আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠান টেলেক্স লিমিটেডের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ১০৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি পিডিআর আইনে মামলা দায়ের করা হয় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। মামলা করা হয়েছে এনআই ও টেলিযোগাযোগ আইনেও। তিনটি মামলায়ই বিবাদীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সঠিক নাম-ঠিকানাও পুনরায় দাখিল করতে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স পেতে সুপারিশ করেন ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা। টেলেক্স লিমিটেডের বর্তমান মালিক আবদুর রহমান ও মুজিবুর রহমান। বিটিআরসির মামলায় এ দুজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রাতুল টেলিকমের কাছে পাওনার পরিমাণ ১০২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর পিডিআর আইনে মামলা করে বিটিআরসি। এর আগেই টেলিযোগাযোগ আইনে বনানী থানায় মামলা করা হয়। আবাসন খাতে দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান রূপায়ণের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রাতুলের নামে আইজিডব্লিউ লাইসেন্স নেয়া হলেও পরবর্তী সময়ে সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের মেয়ে সৈয়দা আমরিন রাখী প্রতিষ্ঠানটির ৫০ শতাংশ শেয়ার কিনে নেন। এছাড়া রাতুল টেলিকমের আরো ২০ শতাংশের মালিক নানকের স্ত্রী সৈয়দা আরজুমান বানু। এ দুজনের পাশাপাশি মামলায় বিবাদী করা হয়েছে শেয়ারহোল্ডার মাসুদুর রহমান বিপ্লব, সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, সাবেক পরিচালক আলী আকবর খান রতন, সাবেক পরিচালক মাহির আলী খান রতন, সাবেক শেয়ারহোল্ডার নওরিন জাহান মিতুল ও সাবেক শেয়ারহোল্ডার সাইফ আলী খান অতুলকে।

সরকারের পাওনা ১০৩ কোটি ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেনি কেএওয়াই টেলিকমিউনিকেশনস। এজন্য ২০১৪ সালের জুলাইয়ে পিডিআর আইনে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করা হয়। একই বছর বনানী থানায় মামলা করা হয়েছে টেলিযোগাযোগ আইনেও।

শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায় ছিলেন নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান, ছেলে ইমতিয়ান ওসমান, শ্যালক তানভির আহমেদ, ঘনিষ্ঠ বন্ধু জয়নাল আবেদীন মোল্লা ও জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা। পরবর্তী সময়ে মো. শাখাওয়াত হোসেন, দেবব্রত চৌধুরী ও মো. রাকিবুল ইসলাম এটির মালিকানায় রয়েছেন বলে দেখানো হয়। যদিও মামলা করার পর তাদের কারো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানের সঠিক ঠিকানা দাখিল করতে বলেছেন আদালত।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বণিক বার্তাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাওনা এ অর্থ আটকে থাকায় রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনো আমার কাছে পূর্ণাঙ্গ তথ্য নেই। সচিব ও বিটিআরসিকে এ সম্পর্কে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পরই বিষয়টি সম্পর্কে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে উদ্যোগ নেয়া হবে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিটিআরসির কাছে প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণাঙ্গ তথ্য চাওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে পাওনা আদায়সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পর্যালোচনায় প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের নাম-ঠিকানাসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ বকেয়া অনেকদিনের উল্লেখ করে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বণিক বার্তাকে বলেন, পাওনা আদায়ে এরই মধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সরকারের পাওনা এ অর্থ আদায়ের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, আইজিডব্লিউগুলো আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান করছে। আইজিডব্লিউর মাধ্যমে আসা কল গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছে অপারেটররা। দেশে আইজিডব্লিউ লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৯টি। ২০০৮ সালে নিলামের মাধ্যমে চার প্রতিষ্ঠানকে এ লাইসেন্স দেয়া হয়। আর ২০১২ সালের এপ্রিলে নতুন ২৫টি প্রতিষ্ঠান আইজিডব্লিউ লাইসেন্স পায়। ছয়টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল হওয়ায় বর্তমানে কার্যক্রমে রয়েছে ২৩টি। সম্প্রতি আরো একটি প্রতিষ্ঠানকে আইজিডব্লিউ লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।

  • কার্টসিঃ বনিকবার্তা/নভেম্বর ২৫,২০১৮ 

গায়েবি মামলা গায়েবি আওয়াজ নয়

মাহবুব তালুকদার

[একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার লিখিত বক্তব্য দেন। তাঁর এ বক্তব্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।  পাঠকদের জন্য তাঁর বক্তব্য তুলে ধরা হলো]

আজ থেকে ৪৮ বছর আগে ১৯৭০ সালে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক থাকাকালে তৎকালীন জাতীয় নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছিলাম। নির্বাচন বিষয়ে সেটাই ছিল আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। নির্বাচন কমিশনে যোগদানের পর সেই অভিজ্ঞতা দিন দিন ফুলে-পল্লবে পল্লবিত হয়েছে, একই সঙ্গে তাতে আছে কিছু কাঁটার আঘাত। আজ আপনাদের সঙ্গে তা শেয়ার করতে চাই।

বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই আমরা দুটি উল্লেখযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করেছিলাম। একটি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং অপরটি রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই দুটি নির্বাচনে আমরা সুনামের সঙ্গে উতরে গেছি বলে অনুমান করতে পারি। কারণ, এ দুটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ শোনা যায়নি। বলতে দ্বিধা নেই, এই দুটি নির্বাচনে বর্তমান নির্বাচন কমিশন জনমানসে একটা আস্থার স্থান তৈরি করে নিতে পেরেছে।

পরবর্তী সময়ে খুলনা, গাজীপুর, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট—এই পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তার অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন। আমি খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে কোনো কথা বলব না। তবে যেহেতু আমি বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একক দায়িত্বে ছিলাম, সেহেতু এই নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। অন্যদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমাকে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে অনুরোধ জানান। ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের “স্বরূপ সন্ধান”’ শিরোনামে আমি একটি প্রতিবেদন তৈরি করে তাঁকে সমর্পণ করি। অজ্ঞাত কারণে সেটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতার আলোকে আত্মবিশ্লেষণের তাগিদেই আমি গাজীপুর ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন দুটির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। প্রথমেই বলে রাখা প্রয়োজন, কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নয়, কারও দায়িত্ব পালন অবমূল্যায়ন করার জন্য নয়, বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে হচ্ছে আগের সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে পেতে এবং আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনুরূপ সমস্যা যাতে সৃষ্টি না হয়, সেই পথ সুগম করতেই।

গাজীপুর নির্বাচনের বিষয়ে আমি তিনটি ঘটনার উল্লেখ করব। প্রথম ঘটনা হচ্ছে, গাজীপুর জেলা প্রশাসক ১৭৯ জনের একটি স্বাক্ষরবিহীন তালিকা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রেরণে করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা তা গ্রহণে অসম্মতি জানান। পরে জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে নিম্নোক্ত ফরোয়ার্ডিংসহ তালিকাটি পাঠানো হলেও তালিকায় কারও স্বাক্ষর নেই। ফরোয়ার্ডিং নিম্নরূপ:

‘বিষয়: প্রিসাইডিং অফিসারগণের নামের তালিকা প্রেরণ।

উপযুক্ত বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এ কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন পাওয়া গিয়েছে। প্রতিবেদন পর্যালোচনায় প্রতিবেদনটি গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগসংক্রান্ত। প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগসংক্রান্ত কার্যক্রম যেহেতু রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত হয়ে থাকে, বিধায় প্রতিবেদনটি পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে এতৎসঙ্গে প্রেরণ করা হলো।

সংযুক্ত: ০৮ (আট) ফর্দ।’

উল্লেখ্য, স্বাক্ষরবিহীন তালিকাটিতে কোনো শিরোনাম নেই। ফরোয়ার্ডিংয়ে জেলা প্রশাসক অফিসের নিম্নপর্যায়ের একজন কর্মকর্তার নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে। আমি জানি না প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কোনো অযাচিত সহায়তার প্রয়োজন আছে কি না।

দ্বিতীয় বিষয়টিও পুলিশের কার্যক্রম–সম্পর্কিত। রিটার্নিং কর্মকর্তা মৌখিকভাবে বলেছেন, বিরোধী দলের মেয়র প্রার্থীর কোনো অভিযোগপত্র প্রেরণ করা হলে পুলিশ অফিস থেকে তা গ্রহণের স্বীকৃতিপত্র দেওয়া হতো না। অনেক অনুরোধের পর চিঠি গ্রহণ করা হতো। বিরোধী দলের মেয়র প্রার্থীর পুলিশি হয়রানি, গণগ্রেপ্তার, ভীতি প্রদর্শন, কেন্দ্র দখলসংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। এসব অভিযোগসংবলিত পত্রের কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রেরিত ১১টি অভিযোগপত্রের মধ্যে মাত্র ৪টির উত্তর পাওয়া গেছে, যা অনেকটা দায়সারা গোছের। পুলিশ বাকি ৭টি অভিযোগের কোনো উত্তর প্রদান প্রয়োজন মনে করেনি।

তৃতীয় বিষয়টিও পুলিশকে নিয়েই। গাজীপুরে নির্বাচনকালে ইউনিফর্মধারী পুলিশ ও সাদাপোশাকের পুলিশ অনেক ব্যক্তিকে বাসা থেকে কিংবা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ আছে। অনেককে অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের একজন ছাড়া পুলিশ অন্যদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনো স্বীকারোক্তি করেনি। নির্বাচনের পর তাঁদের বেশ কয়েকজনকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার না করলে তাঁরা কারাগারে গেলেন কীভাবে? এ প্রশ্নের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

এবার বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে আসি। এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দায়িত্বে এককভাবে আমি ছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল বরিশালের। সকালে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম বেশ ভালো ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে বিভিন্নমুখী অনিয়ম শুরু হয়। বেলা ১১টার মধ্যে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়, এভাবে ভোট গ্রহণ চলতে পারে না। মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারকে আমি জানাই, বরিশালের ভোট কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া প্রয়োজন। একপর্যায়ে কমিশনারদের সবাই ভোট বন্ধ করার বিষয়ে একমত হলেও নির্বাচন বন্ধ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে কি না এবং নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে কি না, ভেবে নির্বাচন বন্ধ করা থেকে আমরা বিরত থাকি। ইতিমধ্যে ছয়জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন এবং একজন প্রার্থীই প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনভাবে বিজয়ী হন।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে পরে নির্বাচন কমিশনের যে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়, তার সামনে রিটার্নিং কর্মকর্তা যে বক্তব্য দেন, তার কিয়দংশ তুলে ধরছি: ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিরোধী প্রার্থীদের পুলিশ কর্তৃক অযাচিতভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আবার সরকারি দলের প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় পুলিশকে নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেছে। শুধু তা–ই নয়, উল্টো বিরোধী প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় পুলিশের অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে।’ অন্যদিকে নির্বাচনের সার্বিক পর্যালোচনায় তদন্ত কমিটির বক্তব্য: ‘বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না এবং ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার এ বিষয়ে আন্তরিক ছিলেন না। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় কোনো পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেননি। ভোটকেন্দ্রসহ নির্বাচনী এলাকায় অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল নাজুক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অনেক ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুসরণ করেননি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রে ও ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রচুর বহিরাগতের অবস্থান ছিল।’

প্রায় ৫ হাজার পৃষ্ঠার সংযুক্ত ডকুমেন্টসহ টাইপ করা ৭১ পৃষ্ঠার মূল তদন্ত রিপোর্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি দুটি স্থান মাত্র উদ্ধৃত করলাম।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হলো, এসব নির্বাচনে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। বিভিন্ন স্থানে অনিয়ম সত্ত্বেও ভোটকেন্দ্রগুলোতে মোটামুটি শান্তি বজায় ছিল। শৃঙ্খলা কতটুকু বজায় ছিল, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। একই সময়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় নির্বাচনে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। সেসব দিক বিবেচনায় সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ইতিবাচক বিষয়টি উপেক্ষা করা যায় না।

বর্তমানে বহুল প্রচলিত গায়েবি মামলা এখন আর গায়েবি আওয়াজ নয়। মাননীয় হাইকোর্ট পর্যন্ত এ ধরনের মামলায় পুলিশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয় বলে উল্লেখ করেছেন। ঢাকার পুলিশ কমিশনার মহোদয় পুলিশ বাহিনীকে গায়েবি মামলা না করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও অনেক ক্ষেত্রে এরূপ মামলা চালু রয়েছে। আমার প্রশ্ন হলো, শিডিউল ঘোষণার পূর্বে যে পুলিশ গায়েবি মামলা করেছে, শিডিউল ঘোষণার পর তার পক্ষে রাতারাতি পাল্টে গিয়ে নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা কতটুকু সম্ভব? এ প্রশ্ন মনে জাগে। পুলিশ বাহিনী নির্বাচনে সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি। তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।

কিছুসংখ্যক গায়েবি মামলার আসামিদের তালিকা বিরোধী দল থেকে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। যদিও অধিকাংশ পুরোনো মামলা। এসব মামলার অজ্ঞাতনামা আসামিদের অনেকের আদালত থেকে জামিন নেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। কোনো কোনো সম্ভাব্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা থাকার কারণে তাঁরা নির্বাচনী প্রচারকাজ চালাতে ভয় পাচ্ছেন। এহেন ভীতি সর্বক্ষেত্রে অমূলক নয়। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকে স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে নির্বাচনপূর্ব সময়ে প্রার্থীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এ সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা যথাযথভাবে পরিপালন করা প্রয়োজন।

এ ক্ষেত্রে আরেকটি কথা বলতে চাই। ২০১৬ সালের ২৪ মে বাংলাদেশ সরকার বনাম ব্লাস্ট-এর মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় আপিল বিভাগ ‘গাইড লাইনস ফর ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিস’ শিরোনামে গ্রেপ্তার সম্পর্কে যে নির্দেশনাটি প্রদান করেছেন, তা কোথাও যথাযোগ্যভাবে পরিপালন করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আপিল বিভাগের নির্দেশনাটিতে মানবিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখার যে অভিব্যক্তি রয়েছে, তা পরিচালিত হলে পুলিশের আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রবণতা অনেক কমে যেতে পারত।

‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ বলে একটা বিষয় নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রায়ই দাবি করা হয়ে থাকে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের আশ্বাস দিলেও সত্যিকার অর্থে এর তেমন কোনো কার্যকারিতা ছিল না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড একটি আপেক্ষিক কথা। এর কোনো নির্দিষ্ট পরিমাপক নেই। তবে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন বিধিবিধান সামনে রেখে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে বদ্ধপরিকর ছিল, এ কথা স্বীকার করতে হবে। কিন্তু নির্বাচনী এলাকার বাস্তব পরিস্থিতি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অনুকূল ছিল না। আমার মনে হয়, সরকার যদি সরকারি দলের ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকে, তাহলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির পথ সুগম হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এককভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা সম্ভব নয়। তবু আমি মনে করি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে পুলিশের একটা বিরাট ভূমিকা আছে। পুলিশ যদি সবার প্রতি সমান আচরণ করে, তাহলে সেটা সম্ভব হতে পারে।

আমি জানি, সিটি করপোরেশন নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন এক কথা নয়। আগেই বলেছি, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার জন্য। এটা কখনোই পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমকে অবমূল্যায়ন করার জন্য নয়। আমার বক্তব্য আত্মবিশ্লেষণ হিসেবেই গ্রহণযোগ্য।

আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সম্প্রতি মিডিয়ায় যে বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে তা হলো, নির্বাচন কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহে পুলিশ দুই মাস পূর্ব থেকে মাঠে নেমেছে। তারা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের বিষয়ে নানারূপ তথ্য সংগ্রহ করছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পত্রিকামতে এই তথ্যানুসন্ধানের বিষয়ে পুলিশকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। কমিশন নির্বাচন কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য কোনো নির্দেশনা দেয়নি। সুতরাং এসব কর্মকাণ্ড কে কী উদ্দেশ্যে করছে, তা রহস্যজনক। বলা বাহুল্য, অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ সদস্যের এই কর্মকাণ্ডে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে, যার দায় নির্বাচন কমিশনের ওপর এসে পড়ে।

প্রিয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ, আমি আগেও আপনাদের বলেছি, সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের নিমিত্ত আমরা যে শপথ গ্রহণ করেছি, আপনারা সেই শপথের অংশীদার। কারণ, নির্বাচন আমরা করি না, নির্বাচন আপনারাই করে থাকেন। আপনারা আমাদের সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি। অতীতে যেসব জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, আপনারা তাতে দক্ষতা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আমি আশা করি, অতীতের মতো আপনাদের সার্বিক সহযোগিতায় এবারও নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তবু আমার বক্তব্যে আত্মবিশ্লেষণমূলক কথা বলতে হলো অধিকতর সচেতনতা সৃষ্টির জন্য।

এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু দেশবাসী নয়, বিশ্ববাসী আমাদের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। সত্যি বলতে কি, একাদশ জাতীয় নির্বাচন আমাদের আত্মসম্মান সমুন্নত রাখার নির্বাচন। আমরা কোনোভাবেই এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দিতে পারি না। আর এ কথা সত্য, আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হলে তার দায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর বর্তাবে এবং আপনারা প্রশ্নবিদ্ধ হলে আমরা দায় এড়াতে পারব না। সুতরাং আশা করি, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব।

  • মাহবুব তালুকদার নির্বাচন কমিশনার
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ নভেম্বর ২৫,২০১৮