Search

Tuesday, November 27, 2018

সরকারের সঙ্গে জালিয়াতি - সাংসদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিন

সম্পাদকীয়

সিএলসি পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সরকারের সঙ্গে জালিয়াতি করে ভাড়া বাবদ গত এক বছরে প্রাপ্য অর্থের চেয়ে ১১ কোটি টাকা বেশি আদায় করেছে। সরকারের সঙ্গে জালিয়াতি করা সহজ নয়, সবাই তা করতে পারে না। যারা পারে, তাদের নানা রকমের জোর থাকে: টাকার জোর, রাজনৈতিক ক্ষমতার জোর ইত্যাদি। দেখা যাচ্ছে, সিএলসি পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের মালিক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদ আসলামুল হক। ঢাকার কেরানীগঞ্জের বছিলায় অবস্থিত তাঁর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সেইসব বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অন্যতম, যেগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় সরকারের সরবরাহ করা তেল বা গ্যাস ব্যবহার করে। সরকার এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে তেল–গ্যাস সরবরাহ করে বিনা মূল্যে। অর্থাৎ এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের জ্বালানি বাবদ কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয় না, তাঁরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করেন নিখরচা। সেই বিদ্যুৎ সরকার তাঁদের কাছ থেকে কিনে নেয়। সরকার তাঁদের বিদ্যুতের দাম তো পরিশোধ করেই, উপরন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও অর্থ দেয়। শুধু তা–ই নয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদনক্ষমতা অনুযায়ী ভাড়াও তাঁরা পেয়ে থাকেন, যেটাকে বলা হয় ক্যাপাসিটি পেমেন্ট।

সাংসদ আসলামুল হকের মালিকানাধীন সিএলসি পাওয়ার কোম্পানি সরকারের কাছ থেকে এই ক্যাপাসিটি পেমেন্ট আদায় করার ক্ষেত্রে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করেছে। এই অভিযোগ পাওয়া গেছে সরকারি সংস্থা পিডিবির সূত্র থেকে, যেটি বেসরকারি মালিকানাধীন রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বা ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে সরবরাহ করে। দাবি করা হয়, উল্লিখিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদনক্ষমতা ১০৮ মেগাওয়াট। কিন্তু পিডিবির সূত্র বলছে, এটি কখনোই ১০৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি। 

গত বছরের জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ গড় দৈনিক উৎপাদন হয়েছে ২ তারিখে, পরিমাণ ছিল ৮১ দশমিক ৭২ মেগাওয়াট। আর ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ গড় দৈনিক উৎপাদন ছিল ৯৮ দশমিক ১৮ মেগাওয়াট। ইউনিটভিত্তিক ক্যাপাসিটি পেমেন্টের হিসাবে গত বছর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পাওনা হয়েছিল ৮০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কিন্তু কেন্দ্রটি নিয়েছে ৯১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রায় ১১ কোটি টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছে অন্যায্যভাবে।

কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব হলো? গত শনিবার এ বিষয়ে প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেল, পিডিবির সচিব মিনা মাসুদ উজ্জামান গত বছরের ৯ মার্চ এই মর্মে ঘোষণাপত্র দিয়েছেন যে সিএলসি পাওয়ার কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদনক্ষমতা ১০৮ মেগাওয়াট। কিন্তু তা যে সত্য নয়, তা তো পিডিবির হিসাবেই প্রমাণিত। 

কিংবা বলা যেতে পারে, প্রকৃত উৎপাদনক্ষমতা যতই হোক না কেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাস্তবে কখনোই ১০৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে তাদের ১১ কোটি টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার দায় অবশ্যই পিডিবির ওপরও বর্তায়। পিডিবির সচিব এই দায় চাপাতে চেয়েছেন সংস্থাটির কারিগরি টিমের ওপর। কিন্তু সে সুযোগ একদমই নেই। পিডিবির সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে, জবাবদিহি করতে হবে; অনৈতিকতার চর্চা হয়ে থাকলে তাঁদের শাস্তির পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বোপরি, বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে যে অতিরিক্ত ১১ কোটি টাকা ভাড়া বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে, তা ফেরত নিতে হবে।

সাংসদ আসলামুল হকের মালিকানাধীন আরও দুটি কোম্পানি দুটি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে যথাক্রমে ২০১১ ও ২০১২ সালে। এক বছরের মধ্যেই সেগুলোর নির্মাণকাজ শেষ করার বিধান ছিল, কিন্তু এই দীর্ঘ সাত–আট বছরে উভয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাত্র ৫ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বিধান অনুযায়ী সেগুলোর অনুমোদন বাতিল এবং কোম্পানি দুটির কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হোক।
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ নভেম্বর ২৭,২০১৮

প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে ইসির সিদ্ধান্ত ইউপি ও পৌর আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক


স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বা মেয়ররা পদে থেকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না বলে নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেটি পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) ও স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন অনুযায়ী, এই দুটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেয়ররা পদে থেকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর মেয়র বা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দিতে হবে।

২৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভায় সিদ্ধান্ত হয়, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত মেয়র ও চেয়ারম্যানের পদে থেকে কেউ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে এ বিষয়ে মাঠ কর্মকর্তাদের লিখিত কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি, মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসির মতে, লিখিত নির্দেশ দেওয়া হলে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কেউ কেউ আদালতে গিয়ে মামলা করে নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে পারেন।

এই বিষয়ে একই দিন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আগের নির্বাচনগুলোয় অনেকেই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের পদে থেকে নির্বাচন করেছেন এবং এ–সংক্রান্ত মামলায় একই বিষয়ে আদালত থেকে দুই ধরনের নির্দেশ পাওয়া গেছে। তবে কমিশন মনে করে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের পদ লাভজনক। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী সরকারের লাভজনক পদে থেকে নির্বাচন করা যাবে না। এই বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হবে।

কিন্তু পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ আইন ইসির এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে না। পৌরসভা আইনের ১৯/২ ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি মেয়রপদে থাকার অযোগ্য হবেন। ৩৩ ধারায় বলা আছে, কোনো মেয়র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে মেয়রের পদ শূন্য ঘোষিত হবে। 

ইউনিয়ন পরিষদ আইনে বলা আছে, নির্বাচিত চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে  চেয়ারম্যান পদে থাকার যোগ্য হবেন না। যার অর্থ, ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র পদে থেকে কেউ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁদের চেয়ারম্যান বা মেয়রের পদ ছেড়ে দিতে হবে। 

কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ইসির নির্দেশনা কার্যকর হলে ইউপি, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেয়ররা পদে থেকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না।

তবে সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি আদালতে গেলে ফল ভিন্ন রকম হতে পারে। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে বেশ কয়েকজন পৌর মেয়র ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ইসির নির্দেশ না মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হন। পরে এ–সংক্রান্ত মামলায় রায়ে আদালত সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন না বলে রায় দিলেও পৌর মেয়ররা পদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন বলে রায় দেন। 

এই রায়ের ওপর ভিত্তি করেই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে চারজন পৌর মেয়র পদে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই চার সাংসদ হলে নোয়াখালী-৩ আসনে মামুনুর রশীদ, ফেনী-২ আসনে নিজাম উদ্দিন হাজারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ও ভোলা-২ আসনের আলী আজম। তাঁরা যথাক্রমে চৌমুহনী, ফেনী, রোহনপুর ও দৌলতখান পৌরসভার মেয়র ছিলেন। 

যদিও এই চার সাংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পরও পৌর মেয়রের পদ আগলে রেখেছিলেন। এই বিষয়ে একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘একই সঙ্গে সাংসদ ও পৌর মেয়র, চার আইনপ্রণেতার বেআইনি কাজ’ শিরোনামে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পরদিন প্রজ্ঞাপন জারি করে চার পৌরসভার মেয়রের পদ শূন্য ঘোষণা করেছিল।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ নভেম্বর ২৭,২০১৮ 

BB paints a rosy picture

EDITORIAL

Fails to mention scams and irregularities in report!

Ironic is the word that comes to mind when we look at the report published recently by Bangladesh Bank (BB) titled “Role of Bangladesh Bank in the govt success for the last 10 years.” That BB has managed to completely ignore mentioning the repeated scams, the central bank heist and failure to rein in the culture of financial misconduct by bank managements, is quite an eye-opener. To the uninitiated reader, the report will come across as one of glorious success! Not only is this report misleading but is also unethical because by definition, the central bank is an autonomous body and by that count alone, it shouldn't be partaking in any form of electoral campaign on behalf of the government.

The reality is that the BB has not been allowed to play its function fully over the last decade; rather it served a subservient role under the ministry of finance. When the financial scams hit the state-owned commercial banks, it was expected that BB would play a strong role in stamping out the irregularities. That never happened. 

Not only that, the central bank went along with policy decisions taken elsewhere and complied with the amendment to the Bank Company Act that allowed for four members of the same family to sit on the board of a private bank. This decision and indecision in other matters have, according to banking sector experts, weakened the financial sector considerably. Today, the sector is mired in controversy and that BB chose to wilfully ignore mentioning all irregularities in the self-laudatory report has undermined the autonomous role that the central bank should have played.

  • Courtesy: The Daily Star/ Nov 27, 2018

EC must prioritise earning people’s trust, not EVM

EDITORIAL

AMID widespread opposition to the use of electronic voting machine in the upcoming national election, the Election Commission decided to use it in six constituencies. Addressing a press conference on Sunday, as reported in New Age on Monday, the secretary of the commission confirmed that they will use EVM in 900 hundred polling centres of these randomly selected constituencies. The official also said that the commission so far has 1000 EVMs whereas it requires another 6,500 EVMs imported in a very short time and they have trained only 600 hundred people to operate the machines. 

The commission also allowed assistant presiding officials to use their fingerprints at 25 per cent of total votes of a centre to assist the voters, if the thumbs of any voters did not match. Globally, the introduction of electronic voting involved a prolonged process of trials of the system to ensure that the system is effective and voters are familiar with the technique and technology. In a country like Bangladesh with low levels of digital literacy, the logistical challenges alone can deprive citizens of their right to franchise. Clearly, the technological infrastructure and trained human resources that is required to introduce electronic voting does not exist at the moment. In this context, the decision to use EVM instead of gaining people’s trust will in effect raise further questions about the commission that is already mired with controversy.

From the very beginning, all stakeholders have vehemently opposed the idea of using electronic voting in the next election. In 2017, during the dialogue with the commission, 35 of the 40 registered parties including the main opposition BNP opposed the use of EVM. In fact, there is opposition within the commission itself. Even the prime minister opined that there should not be any rush in this regard. Apart from the political opposition, there is the issue of making the voters familiar with this system, most of whom, it must be admitted, are not familiar with the technology or the idea of voting in this manner. To deal with this problem, the commission have authorised assistant presiding officials to use their fingerprints at 25 per cent of total votes of a centre to assist the voters. It is unclear, how the commission will ensure that the authorised officials in the name of assisting voters would not interfere with their voting decisions. In what follows, the allegation that the commission’s decision to introduce EVM without meeting logistical and reaching a public consensus is to justify a huge expenditure of Tk 3,515 crore budget that has already been allocated for the procurement of 1.5 lakh EVMs and other necessary equipments.

Given the prevailing mistrust among political parties, there is a risk that introducing a new system may further erode the confidence of the voters in the electoral system. The commission, under the circumstances, must reconsider its decision and focus on addressing the grievances and questions raised about its role in administering a free, fare and inclusive election. It must prioritise earning people’s trust.

  • Courtesy: New Age /Nov 27, 2018

Monday, November 26, 2018

অদৃশ্য কারণে বোর্ডসভা স্থগিত - নির্বাচনের আগে বিতর্কিত হতে চায় না কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বনির্ধারিত বোর্ডসভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল সব পরিচালকের। কিন্তু সকালের দিকেই অনেকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। এতে স্থগিত হয়ে যায় গতকালের নির্ধারিত বোর্ডসভা। বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডসভা আকস্মিক স্থগিতে ঝুলে গেছে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন। কারণ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় থাকলেও বোর্ডসভার মূল এজেন্ডা ছিল নতুন তিন ব্যাংকের অনুমোদন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে ব্যাংক অনুমোদন দিয়ে বিতর্কিত হতে চায় না কেন্দ্রীয় ব্যাংকও।

দেশের ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ পর্ষদ সভা ঘিরে ব্যাপক কৌতূহল ছিল। কারণ এ সভাতেই নতুন তিনটি ব্যাংক অনুমোদনের কথা ছিল। ব্যতিক্রম কিছু না ঘটলে জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদের সভা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র।

সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণা করায় রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দিয়ে বিতর্কিত হতে চাননি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন পরিচালক। এ কারণেই বোর্ডসভায় আগ্রহী হননি তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, পরিচালকদের কয়েকজন পর্ষদের সভায় উপস্থিত থাকতে না পারার কথা জানিয়ে দেন। এ কারণে পর্ষদের সভা স্থগিত করা হয়েছে। পর্ষদের পরবর্তী সভা কবে হবে, সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক তিনটি হলো— পিপলস ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংক। ইসির আপত্তির পাশাপাশি প্রস্তাবিত ব্যাংকগুলোর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রেও ঘাটতি রয়েছে। পর্ষদ সভা স্থগিতের পেছনে এটিও কাজ করেছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য বলেন, নতুন ব্যাংকগুলোর অনুমোদনের জন্য পর্ষদের এ সভাটি আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু কাগজপত্র তৈরি না হওয়ায় পর্ষদের সভা আর হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। পর্ষদের অন্য সদস্যরা হলেন— জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ড. রুশিদান ইসলাম রহমান, ইসলাম আফতাব কামরুল অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের একেএম আফতাব উল ইসলাম এফসিএ এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ। এর মধ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া গতকাল বিকাল ৫টায় আমেরিকার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।

নতুন ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়ে আপত্তি আছে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় ব্যাংকের সংখ্যা এমনিতেই বেশি। গত ১০ বছরে অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১২টি ব্যাংক। এর মধ্যে ১১টি বেসরকারি ব্যাংকের পরিস্থিতিই নাজুক। পরিচালকদের সম্পদের পরিমাণ, আয়ের উৎসসহ অন্যান্য বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধান না করেই ২০১৩ সালে নয়টি ব্যাংক অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে দেশের পুরো ব্যাংকিং খাতকেই বিপদে ফেলেছে। এজন্য নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার নীতিতে চলছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের উদ্যোক্তাদের কর-সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য ২২ নভেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চিঠি পাঠানো হয়। ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আবু ফরাহ মো. নাছের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, গত ৩০ জুলাই ও ২৮ অক্টোবর-২০১৮ তারিখে আপনাদের পাঠানো পত্রে দেখা যায়, প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের আটজন উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডারের আয়কর-সংক্রান্ত মামলা অনিষ্পন্ন রয়েছে। প্রস্তাবিত ব্যাংকটি চলতি বছরের ৪ নভেম্বর এক পত্রের মাধ্যমে ওই আটজন উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডারের মধ্যে আসলাম সেরনিয়াবাত ছাড়া অন্য সাত উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার বাদ দিয়ে নতুন চারজন উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডারকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ব্যাংকটির ওই নতুন চারজন ও বিদ্যমান একজনসহ মোট পাঁচজন উদ্যোক্তার কর-সংক্রান্ত তথ্যাদি যাচাই করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ব্যাংকটির উদ্যোক্তাদের দাখিলকৃত পাঁচ সেট আয়কর বিবরণীর ফটোকপি আপনাদের বরাবর প্রেরণ করা হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পত্রে পিপলস ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের দাখিলকৃত আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শিত নিট সম্পদের পরিমাণের সঠিকতাসহ পাঁচটি বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ চিঠির উত্তর দিতে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় নেবে এনবিআর। সে হিসেবে পিপলস ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সম্পদের তথ্য জানতেই চলতি বছর শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের আবেদনকারী এমএ কাশেম বণিক বার্তাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব কাগজপত্র চেয়েছে, সেগুলো এরই মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে। অন্য কোনো বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে ‘বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের’ জন্য আবেদন করেন বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন। যদিও শুরুতে ‘বাংলা ব্যাংক’ নামেই অনুমোদনের আবেদন জমা দেয়া হয়েছিল।

পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের জন্য আবেদন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এমএ কাশেম। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের এ অধিবাসী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের জন্য ব্যাংকটির আবেদন করা হয়েছে।

সিটিজেন ব্যাংকের আবেদনটি এসেছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পরিবার থেকে। আনিসুল হকের মা জাহানারা হককে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনপত্রে।

  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা/নভেম্বর ২৬,২০১৮ 

আইন সমানভাবে প্রয়োগ না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নিরপেক্ষভাবে আইনের প্রয়োগ না করলে সে আইন আইন নয়, সেটা কালো আইন। আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ না করলে সে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। নির্বাচন কমিশন কখনো তা চায় না। গতকাল নির্বাচন ভবনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের এক ব্রিফিংয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে এ ব্রিফ করে নির্বাচন কমিশন। ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে মাহবুব তালুকদার বলেন, একটা কথা বলা হচ্ছে, নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে।

এই কথাটা অবশ্যই ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে। কারণ আইনকে নিজস্ব পথে চলতে না দিলে, নির্বাচন কখনো আইনানুগ হতে পারে না। সুতরাং যখনই আমরা বলবো নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে, তখনই তার সঙ্গে এটাও বলতে হবে, আইনকে তার নিজস্ব পথে চলতে দিতে হবে।

এটা করার দায়িত্ব আপনাদের। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আরো বলেন, আফ্রিকান একজন রাজা অভিনব কায়দায় বিচার করতেন। একটা গ্লাসে সরবত, একটাতে বিষ আরেকটাতে পানি রাখা হতো। দোষীরা আসতো। বিষ পান করলে মারা যেতো। পানি পান করলে অব্যাহতি পেতো। আর সরবত পান করলে পুরস্কৃত হতো। অনেকে তার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। 

উত্তরে রাজা বলেছিলেন, আমি তো রাজা, বিচারক নই। আমি তো বিচারের আইনকানুন কিছু জানি না। যিনি অপরাধী তার বিচার করেন ভাগ্য বিধাতা। আমি পুরোটাই ভাগ্য বিধাতার হাতে ছেড়ে দিয়েছি। কারণ এই বিচারে তিনিই আসল বিচারক। সেই রাজার বিচার ব্যবস্থা এখন আর নেই। এখন বিচারকরাই বিচার করে থাকেন। বিচারকরাই ভাগ্য বিধাতার প্রতিভূ। ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আপনাদের (ম্যাজিস্ট্রেট) দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলার নেই। আপনারা সততা, আন্তরিকতা দিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। আইনের ব্যবহার সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। 

মাহবুব তালুকদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব অপরিসীম। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটদের সমান দায়িত্ব। যারা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন তারা যারাই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমরা শপথ গ্রহণ করলেও নির্বাচন সংশ্লিষ্টরাও আমাদের নির্বাচনী শপথের অংশীদার। শপথ আমরা গ্রহণ করলেও নির্বাচন আমরা করি না। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপনারা (ম্যাজিস্ট্রেট)। আপনাদের মধ্যে শপথ সঞ্চালিত হয়ে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি অংশগ্রহণমূলক, পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হবে। আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, সব রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে।

সারা জাতি এই নির্বাচন নিয়ে উদ্দীপ্ত, উচ্ছ্বসিত। এই উদ্দীপনাকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে। নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এতে আপনাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেনাবাহিনীও আপনাদের অধীনে দায়িত্ব পালন করবে। শুধু দেশ নয়, বিশ্ববাসীও আমাদের জাতীয় নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ নভেম্বর ২৬,২০১৮ 

পর্যবেক্ষক নয়, বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে পরিস্থিতি মূল্যায়নে ইইউ

মিজানুর রহমান 

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তে অটল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে ব্রাসেলস বাংলাদেশের ভোট পূর্ব ও উত্তর পরিস্থিতির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। ভোটের আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন? তা সরজমিন পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নে প্রায় দেড় মাসের অফিসিয়াল সফরে কাল আসছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দুই সদস্যের নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দল। ইইউ’র ভোট বিশেষজ্ঞ দলটি আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে জানিয়ে দায়িত্বশীল একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, সূচনাতে খানিক আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া সফরের পুরো সময়ই বিশেষজ্ঞরা নীরবে তাদের পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন চালিয়ে যাবেন। 

তারা সরকার, নির্বাচন কমিশন, আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ে বৈঠকাদি ছাড়াও স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলবেন। এ নিয়ে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না। তবে ওই দুই বিশেষজ্ঞই ইইউ’র সদর দপ্তরে প্রতিনিধি হিসাবে ভোট পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবেন। এখানে তারা ‘নিঃশব্দে’ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন।

ভোটের পরিবেশ নিয়ে দূতাবাসের পাশাপাশি তারাও ব্রাসেলসে রিপোর্ট পাঠাবেন। বিশেষজ্ঞ দলের সফরটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ’র ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ওপরে কিছুটা হলেও প্রভাব রাখবে। সরকারের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, বিশেষজ্ঞরা জাতীয় নির্বাচনে কোনো নাক গলাবেন না এবং তারা জনসমক্ষে কোনো মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকবেন বলে আমাদের জানানো হয়েছে। 

প্রয়োজন হলে তাদের রিপোর্ট বিষয়ে ব্রাসেলসের মুখপাত্র কথা বলবেন। বিশেষজ্ঞ দলের বাংলাদেশ সফরের শুরুতে তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া, পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মাদ জাভেদ পাটোয়ারী, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং বিভিন্ন দলের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ভোট পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ সতর্ক পর্যবেক্ষণ থাকে বরাবরই। নির্বাচন কমিশনসহ দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিশালীকরণে তারা অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে থাকে। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি বহুল আলোচিত নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধি পাঠায়নি ইইউ। তারা আগাম ঘোষণা দিয়েই প্রশ্নবিদ্ধ ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধি না পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে তার আগের নির্বাচনে (২০০৮ সালে) প্রায় ৮০০ পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে নির্বাচনটি সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছিল ইইউ। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ নভেম্বর ২৬,২০১৮ 

Khulna police 'snooping' on polls officials

'Accidentally' sends email, reveals looking into political leanings of election officials


A list of 74 probable polling officials along with their “political leanings” has been “accidentally” emailed by police to local reporters in Khulna.

According to the document sent on September 18 by Harintana Police Station along with a routine press release, only 11 of the 74 teachers are marked as BNP or Jamaat leaning and one as non-partisan while the rest are Awami League leaning.

The list further confirms that police have been collecting a host of personal information, including political leanings, about probable polling officials.

The Daily Star talked to four teachers tagged as BNP or Jamaat supporters in Khulna. All of them said they were dismayed, embarrassed and that their images had been tarnished by the act. They stressed that they were not involved with politics.

Headmaster of Rayermahal Hamidnagar Haji Mohsin Government Primary School, Mollah Tajuddin was marked as BNP leaning. “I have been working as a teacher for the last 25 years, but have never faced any question like this. I am a government servant and I have never been involved in politics,” he said.

The press release police intended to send to reporters was about the arrest of a suspected drug dealer with 115 bottles of Phensedyl.

The first page of the document contained the press release while the second and third pages contained a table containing the names, designations, workplaces, mobile phone numbers, and political leanings.

Names of assistant professors, lecturers, headmasters, senior assistant teachers, and assistant teachers of a college, a high school, and two primary schools appeared on the list.

According to the emailed document, the officer-in-charge of Harintana Police Station had sent the list of probable presiding officers, assistant presiding officers, and polling officers to the special superintendent of police of special branch of Khulna Metropolitan Police.

“With due respect and for your kind information, the names of the presiding officers, assistant presiding officers and polling officers have been given below in the chart,” the document quoted the OC.

Contacted yesterday, Nasim Khan, then OC of the police station and now with the Detective Branch, said he could not recall whether any such press release was sent.

Ashraful Alam, who is the OC now, said it was a mistake made before he joined.

Bibhuti Bhushan Mondol, assistant professor of Shaheed Abul Kashem College, was tagged as a BNP supporter. “The list has embarrassed me. My image is tarnished,” he told The Daily Star, adding that he had done many researches on Bangabandhu.

Assistant professor of the college, Sarder Rafiqul Islam was marked “Now a BNP supporter, used to support Jamaat”. He said had no idea as to how the list was made. He denied having any political leaning. Panchanan Golder, who was mentioned a BNP supporter, also said similar things.

Lecturer of the college Ruhul Amin, who was flagged a Jamaat supporter, said, “I was a custodian of the Tabligh-Jamaat at Rajshahi University. This list is not substantive,” he said, adding that people involved with Tabligh hardly ever support Jamaat.

In the wake of reports of police collecting information on probable polling officials, Chief Election Commissioner KM Nurul Huda on Thursday at a special meeting with law enforcers instructed police not to do that.

“We did not instruct you to do this. Don't do this. This is embarrassing,” he said.

  • Courtesy: The Daily Star /Nov 26, 2018

EC failing to instil confidence of its neutrality

EDITORIAL

People's democratic rights are at stake

Political and security experts on Saturday expressed their discontent with the Election Commission, saying that its performance so far was not satisfactory. The EC has been granted immense power by the constitution and the credibility of the upcoming parliamentary election, no doubt, depends considerably on the actions of the commission.

Unfortunately, it has till now been reluctant to even respond to the complaints raised by opposition parties and has denied them the necessary space for effective campaigning and other political activities. Thousands of cases continue to be lodged daily against activists and politicians belonging to opposition parties, rendering them unable to effectively prepare for the elections as they remain increasingly occupied with fighting legal battles. Meanwhile, law enforcers have ceaselessly harassed and detained members of opposition parties in large numbers, as reported in the media, without the EC blinking an eye.

This is where one would have expected the EC to step in and demonstrate its ability to function without bias. However, by not doing so and by not giving opposition parties and their complaints a fair hearing, hasn't the EC already failed somewhat to maintain a neutral position? After all, any acceptable election requires that all stakeholders be given a chance to voice their opinions and concerns, and not simply be dismissed ungraciously by the commission. This includes concerns over the controversial introduction of electronic voting machines in the polls without adequate preparations.

As mentioned by experts, if this is the state of affairs during the pre-electoral phase, what can people expect during the election period? A free and fair election is the lifeblood of any democracy, and the people have already expressed their desire for a credible election. The EC should, therefore, exercise the immense power that it wields to ensure a level playing field for all, which is the only way to respect people's wishes.

  • Courtesy: The Daily Star /Nov 26, 2018

Worrying attempt at legitimising extrajudicial killings

EDITORIAL
EXTRAJUDICIAL killing has worryingly become the norm. At least 437 people fell victim to extrajudicial killing by the law enforcement agencies and 26 others were forcibly disappeared in the past 10 months. It is not only that the extrajudicial killing is becoming rampant, such criminal acts on part of the law enforcement agencies also appear to have become legitimate to the people affiliated with the ruling party. Recently, the convener of the Kutubdia unit Sramik League, the ruling Awami League’s labour wing, in Cox’s Bazar has asked people allegedly involved in robbery and anti-social or anti-state activities in the locality to surrender to law enforcers or face ‘crossfire’. 

The convener, also a union council member, issued a public notice in this regard and sent it to imams of mosques in the locality for circulation. Contacted about the notice, he further elaborated on how he sees no wrong in acts of such killing. The public notice in question explicitly exposes the way ruling party leaders are approving and legitimising the death of the accused in the hands of law enforcement agencies although it is clearly defined as a punishable offence according to the Torture and Custodial Death (Prevention) Act 2013.

On many occasions, lawmakers are found to be justifying the killing of the accused without trial. In July 2017, Enamur Rahman, lawmaker for the Dhaka 19 constituency, came to be criticised when he told a newspaper how he maintains political control by threatening people in his constituencies with ‘crossfire’ death. He reportedly said that five people had been killed in ‘crossfire’ at his order and 14 more were on a list that he prepared. In the face of widespread criticism, the Awami League even considered an explanation from him. 

Earlier in September, at a public meeting, the minster for primary and mass education said the drug dealers should be killed in firing squads and that they do not deserve to live. Even a cursory review of these statements demonstrates the eschewed and fatally flawed legal values that they have internalised. It further reveals the unethical ties between the law enforcement agencies and lawmakers as the police or Rapid Action Battalion personnel often would take order from them or seek their help to fight crimes. It is evident that the political party in power, instead of taking steps to prevent extrajudicial killing, in effect, used it to maintain political control and suppress its political opponents.

During the past two national elections, the ruling party pledged that it would go by a zero-tolerance policy on extrajudicial killing. The fact that its members issue public notices approving and legitimising the moral failure and criminal misconduct of the members of the law enforcement agencies shows that the Awami League’s electoral pledge was rather rhetorical. Any party forming the government through the next national elections has to do more than rhetorical commitment to end extrajudicial killing.

  • Courtesy: New Age /Nov 26, 2018