বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘মিথ্যা জয়ের জন্য ভোট জালিয়াতি করতে পানির মতো টাকা খরচ করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে। তারাই একতরফা নির্বাচনের মূখ্য উপাদান হিসাবে কাজ করেছে। বাংলাদেশে আর গণতন্ত্রের গৌরবোজ্জ্বল যুগ সৃষ্টি হলো না। শেখ হাসিনার দল মানুষের ভোটে জিতেনি, তার দল জিতেছে গায়েবি ভোটে।’
তিনি বলেন, ‘এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে নতুন গভর্নমেন্ট তৈরি হবে তা হবে গভর্নমেন্ট অব দি বিজিবি বাই দি র্যাব এবং ফর দি পুলিশ। এই মহাডাকাতি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে এরা ক্রমান্বয়ে উপহাস করছে। আওয়ামী নেতারা এখন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাদের চাপাবাজী ও গলাবাজীর জোরে ভোট নিয়ে মহা-জালিয়াতির ঘটনা আড়াল করতে চাচ্ছে, কিন্তু দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে চোখে কিছুই এড়িয়ে যায়নি।’
বুধবার, ২ জানুয়ারি দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনের পূর্ণপাঠ নিচে দেওয়া হল -
সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
আস্সালামু আলাইকুম।
২৯ ডিসেম্বর রাত কালো রাত, ৩০ শে ডিসেম্বর দিন অন্ধকার দিন। ২৯ শে ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মানবশূণ্য কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতির নির্বোধ উল্লাসে মেতে উঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী ক্যাডাররা। ৩০ শে ডিসেম্বর ভোটের দিন গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নের ওপর ধেয়ে এলো মহাদূর্যোগ। ভোটের দিন বিশ্ববাসী মহাশঙ্কা নিয়ে দেখল বিজিবি-র্যাব-পুলিশকর্তৃক দেশের জণগনের আত্মমর্যাদাবোধে অসম্মানের দৃশ্যটি। তারা দেখল ভোটাধিকার বঞ্চনার শেষ দৃশ্যটি। রাতের আধাঁরে কেন্দ্রে-কেন্দ্রে অকটেন ও ডিজেল পোড়া ধোঁয়া। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা, ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সে ঢোকানো। এই সংবাদ নির্বাচনের আগের রাত ১১ টায় আমি আপনাদের ব্রিফিং করে জানিয়েছিলাম।
সাংবাদিকবৃন্দ,
মিথ্যা জয়ের জন্য ভোট জালিয়াতি করতে পানির মতো টাকা খরচ করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে। তারাই একতরফা নির্বাচনের মূখ্য উপাদান হিসাবে কাজ করেছে। বাংলাদেশে আর গণতন্ত্রের গৌরবোজ্জল যুগ সৃষ্টি হলোনা। শেখ হাসিনার দল মানুষের ভোটে জিতেনি, তার দল জিতেছে গায়েবী ভোটে। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে নতুন গভর্নমেন্ট তৈরি হবে তা হবে গভর্নমেন্ট অব দি বিজিবি বাই দি র্যাব এবং ফর দি পুলিশ। এই মহাডাকাতি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনকে এরা ক্রমান্বয়ে উপহাস করছে। আওয়ামী নেতারা এখন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রনে নিয়ে তাদের চাপাবাজি ও গলাবাজির জোরে ভোট নিয়ে মহা-জালিয়াতির ঘটনা আড়াল করতে চাচ্ছে, কিন্তু দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে চোখে কিছুই এড়িয়ে যায়নি। ৩০ শে ডিসেম্বরের নির্বাচন ১৯৭৩ সালের খারাপ নির্বাচনের চাইতেও কুৎসিত।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
৩০ শে ডিসেম্বর নির্বাচনের পর দেশ আরও একধাপ তমাসাচ্ছন্ন বর্বর যুগে প্রবেশ করলো। নির্বাচনের নামে নিষ্ঠুর রসিকতা করে এখন জনপদের পর জনপদে ধানের শীষের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপর চলছে পৈশাচিক বর্বরতা। মূর্খের অহংকারে আক্রমণ করে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষের বাড়ী-ঘর-দোকানপাট-বাজার। সেগুলি অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের ঘর ছাড়া, এলাকা ছাড়া, গ্রেফতার করা রীতিমতো হিড়িক শুরু হয়েছে। নানা হয়রানীসহ শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। আক্রমনে অনেকে নিহত হয়েছেন। ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান-কৃষি খামার-সহায়সম্পদের উপর বেপরোয়া হানা দেওয়া হচ্ছে অবিরাম।
সবচেয়ে মর্মস্পর্শি শ্বাসরোধী ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীতে এক সিএনজি চালকের স্ত্রীকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে শ্লীলতাহানী করা। আওয়ামী লীগের ১০/১২ জনের এক দল কর্মী নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকার মধ্যব্যাগারে ৪ সন্তানের মা সিএনজি চালকের স্ত্রীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বলে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে মহিলাটি সবার সামনে ধানের শীষে সিল দেয়। এরপর রাত ১০ টার দিকে সন্ত্রাসীরা পুলিশ পরিচয়ে বাড়ীতে ঢুকে গৃহবধুটির হাত-পা ও মুখ বেঁেধ রাতভর নির্যাতন করে ঘরের পাশে ফেলে যায়। সে এখন নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এটি শুধু একজন ব্যক্তিকেই পৈশাচিক নির্যাতনে শ্লীলতাহানী নয় এটি জনগনের ভোটাধিকারকেই শ্লীলতাহানী করা হলো। সিএনজি চালকের স্ত্রীর ক্রন্দনবিধুর অন্তহীণ আর্তি বিশ্ব বিবেককে কাঁদিয়েছে। বাংলাদেশে মানবতা এখন কাঁদছে। বিশ্ব মানবতা এই ঘটনায় স্তম্ভিত-শিহরিত ও বিমুঢ়।
কালো টাকার প্রাচুর্য্য প্রয়োগে বেড়ে ওঠা এই আওয়ামী নির্যাতন কারীরা জালজালিয়াতি ভোটের মহাযজ্ঞের পর এখন কান্ড জ্ঞানহীন নিষ্ঠুর বেপরোয়া। এরা ভোট ডাকাতির মহাসাফল্যে সহজাত বিচার-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছে। এরা মনুষ্যত্ব বির্সজন দিয়ে এখন নারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে জনগনের ভোটাধিকারকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে ঘনায়মান হতাশা আর বিরোধীদের গুম-খুনের শিকার হওয়ার পরিমান যে কতো বাড়রে তা নিয়ে অনাগত দিনের দুশ্চিন্তা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা জণগনের চোখে বিভৎস রূপ নিয়ে ফুটে উঠেছে। ১০ বছরতো আওয়ামী লীগই ক্ষমতায়, তাহলে মিথ্যা জয়োল্লাসের বহিঃ প্রকাশে এতো হিংসার ছবি কেন ? এরা ধারাবাহিকভাবে অশান্তি জিইয়ে রেখে মানুষের জাগরনকে ঠেকানোর চেষ্টা করবে। সেই জন্য তারা দর্শন হিসেবে বেছে নিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। তবে তাদের মনে রাখতে হবে পতন কিন্তু দিন-ক্ষন-তারিখ-মাস ঘোষনা দিয়ে আসে না।
দাউদকান্দিতে নির্বাচনোত্তর আ.লীগের ব্যাপক সহিংসতা ভাংচুর-লুটপাট,মিথ্যা মামলা দায়ের, আহত ৭
কুমিল্লা-১ আসনের দাউদকান্দি পৌর সদরসহ বিভিন্ন গ্রাম, দাউদকান্দি উপজেলার দাউদকান্দি (উত্তর), গোয়ালমারী, সুন্দলপুর, বিটেশ^র, মারুকা, দৌলতপুর ও ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও বাজারে বিএনপি নেতা কর্মী ও সমর্থদের বাড়ী ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনোত্তর ব্যাপক সন্ত্রাসী হামলা, লুটপাট, মারধর, চাঁদাবাজি ও প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে। আমি অবিলম্বে নির্বাচনোত্তর আওয়ামী লীগের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ এবং প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
৩০ ডিসেম্বর রাত থেকে এই পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্র লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা দাউদকান্দি পৌর এলাকার তুজারভাঙ্গা গ্রামে কাউন্সিলর মোস্তাক মিয়া এবং পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাওসার আলমের বাসভবনসহ মাইজপাড়া, দোনারচর, উত্তর নছরুদ্দি গ্রামে নোয়াব ও বাবুলের বাড়ীতে গ্রামে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। তারা দাউদকান্দি বাজারে পৌর বিএনপি সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিয়াজি ও শামীমের দোকান বন্ধ করে দেয়। পৌর এলাকার ইট ব্যবসায়ী মনু মিয়া ব্যাপারীর ইটের ভাটা থেকে দুই ট্রাক ইট লুট করে নিয়ে যায়। সুন্দলপুর ইউনিয়নের সুন্দলপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ও বিডিআর নুরুল ইসলাম মিয়াজী সহ ২জন এবং বড় গোয়ালী গ্রামের ইব্রাহিমকে পিটিয়ে আহত করে, একই গ্রামের হাফেজ আবদুল করিম সহ ১৫ জনের বাড়ী ভাংচুর করে, এছাড়া বড় গোয়ালী বাজারের ৩টি দোকান ও চকমখোলা গ্রামের কামাল হোসেন সহ ৩জনের বাড়ীতে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং ২ জনকে আহত করে। দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের কামাল ও কাওসারের বাড়ী সহ নন্দলপুর ও গোলাপেরচর গ্রামের ১০টি গ্রামে যুবলীগের ক্যাডাররা বাড়ী-ঘর ভাংচুর করে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বারপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের বাসরা গ্রামে প্রায় ২৫টি বাড়ীতে হামলা করে, এতে ৪ জন জখম হয়। সশস্ত্র ক্যাডাররা ইলিয়টগঞ্জ বাজারে ৫ টি দোকান বন্ধ করে দেয়। ক্যাডাররা দৌলতেরকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম এবং গোয়ালমারী ইউনিয়নের দৌলতেরকান্দি গ্রামের ৩০/৩৫টি বাড়ী দুই দিন ধরে নারকীয় তান্ডব চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরও সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। এছাড়া নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রায় ৭টি মামলা করা হয়েছে যেখানে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ সহ শত শত নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। অথচ এ সকল সহিংস ঘটনার বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে দাউদকান্দি থানা মামলা নিচ্ছে না। অবিলম্বে নির্বাচন উত্তর এইসব সহিংস ঘটনা বন্ধ করার জন্য আমি জোর দাবি জানাচ্ছি।
গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে এলডিপি’র চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অবঃ) অলি আহমেদ বীর বিক্রম এর নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামে চন্দনাইশ ও আংশিক সাতকনিয়ার ৬টি ইউনিয়নের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা ব্যাপক সহিংসতা সংঘটিত হয়। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে এলডিপি’র কর্মী শফিকুল ইসলাম, মোঃ জিসান ও মাহবুব আলমসহ ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এর মধ্যে আহতাবস্থায় স্থানীয় চান্দনাইশ হাসপাতালসহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। অপরদিকে আওয়ামী ক্যাডার’রা ১২টি মোটর সাইকেল ও ৪টি মাইক্রোবাস নিয়ে অলি আহমেদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুকের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালালে তিনি গুরুতর আহত হন, তার মৃত্যু হয়েছে বলে হামলাকারীরা নিশ্চিত হলে রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। অধ্যাপক ওমর ফারুককে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী আমিন, আবুল ও আবু সলেহ।
গত ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে কোন ধানের শীষের ও ছাতা মার্কার নেতাকর্মীদেরকে ঘরে থাকতে দেয়নি আওয়ামী ক্যাডারা’রা। সকল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দিয়ে এলাকাছাড়া করা হয়েছে। শতকরা ৯০ ভাগ পোলিং এজেন্টকে প্রশাসনের সহায়তায় কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। এমনকি নির্বাচনের দিন কোন সাধারণ ভোটারকেও ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ১০৪ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১০০ টি দখল করে ভোটের আগের রাত ও ভোটের দিন নৌকা প্রতীকে জালভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। এতো অনাচার ও অনিয়মের পরেও নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, ভয়ভীতিমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে যারা বলছেন আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-তারা আত্মা বিক্রি করে মনুষ্যত্বের বিলোপ ঘটিয়েছেন।
সাংবাদিক বন্ধুরা,
এই ধরনের ঘটনা ৩০০টি নির্বাচনী এলাতেই ঘটেছে। এই ঘটনাটি নমুনা স্বরুপ উত্থাপন করা হলো। অনুরুপভাবে বিএনপি’র মহাসচিব, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ, ড. কামাল হোসেন, মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, ব্যারিষ্টার মাহবুদ্দিন খোকন, হাবিবুর রহমান হাবিব, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, রুমানা মাহমুদ, মিয়া নুরুদ্দিন অপুর উপর হামলা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি একটি সুপরিকল্পিতভাবে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করা অথবা নির্বাচন ছেড়ে দেয়ার জন্য বাধ্য করতে এধরনের ঘটনায় তারা লিপ্ত হয়েছিলো। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ অতীতে কখনও ক্ষমতায় আসেনি। স্বাধীনতার পর থেকে জণগনের ভোটে কখনও আওয়ামীলীগ নির্বাচিত হয়নি। এবারও আওয়ামীলীগের কোন সদস্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়নি, বরং প্রত্যেক এলাকার উপজেলার ইউনো ও থানার ওসি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। একজন রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব:) অলি আহমদ বীর বিক্রমের সাথে যদি এধরনে ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে ৩০০ আসনে কি ধরণের ঘটনা ঘটেছে তা সহজেই অনুমেয়। এরপরেও যারা বলছেন শন্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে তারা হয় উৎকোচ গ্রহণ করেছেন না হলে জ্ঞানপাপী। নির্বাচনের পূর্বে প্রায় ২৫ দিন দেশের মানুষ দোজগে বাস করেছে। এখনও হাজার-হাজার নেতাকর্মী জেলহাজতে আছেন।
সকলকে ধন্যবাদ।