Search

Monday, January 7, 2019

চাঁদা তুলতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের পিটুনিতে আ.লীগ নেতা নিহত


চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারে চাঁদা তুলতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের পিটুনিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল নিহত হয়েছে। 

সোমবার, ০৭ জানুয়ারী, সকাল ১০টার দিকে পাহাড়তলী বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, সোহেল পাহাড়তলী বাজারের প্রতিটি দোক‍ান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। তার চাঁদাবাজীর কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ব্যবসায়ীরা। আজ সকালে চাঁদা তুলাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা তাকেপিটুনি দেয়। পরে তাকে গুরুতর আহতাবস্থায়েউদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। ডবলমুরিং থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
  • কার্টসিঃ শীর্ষনিউজ/০৭ জানুয়ারী, ২০১৯

বেগম জিয়ার সঙ্গে আত্মীয়দের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না — রুহুল কবীর রিজভী


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘আজ প্রায় ২১/২২ দিন অতিক্রান্ত হলেও বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার নিকটাত্মীয়দের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। বন্দীদের যে আইনসম্মত অধিকার তা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে বেগম জিয়াকে। এই নিষ্ঠুর আচরণ কিসের ইঙ্গিত? বিশাল লাল দেয়ালের মধ্যে বেগম জিয়াকে অন্তরীণ রেখে বাইরের দুনিয়া থেকেও তাকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করার পাঁয়তারা চলছে।’

সোমবার, জানুয়ারী ৭, সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

নিচে সংবাদ সম্মেলনের পূর্ণপাঠ দেওয়া হল - 

সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,আস্সালামু আলাইকুম। 
আজ প্রায় ২১/২২ দিন অতিক্রান্ত হলেও বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তাঁর নিকটাত্মীয়দের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। বন্দীদের যে আইনসম্মত অধিকার তা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে বেগম জিয়াকে। এই নিষ্ঠুর আচরণ কিসের ইঙ্গিতবাহী ? বিশাল লাল দেয়ালের মধ্যে রুদ্ধকপাট মুক্তিহীন বেগম জিয়াকে অন্তরীণ রেখে বাইরের দুনিয়া থেকেও সম্পূর্ণরুপে বিচ্ছিন্ন করার পাঁয়তারা চলছে। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে দেয়ার যে কারাবিধান সেটিকে গায়ের জোরে লঙ্ঘন করাটা বেগম জিয়াকে নিয়ে সরকারের আরেকটি নতুন কোন খারাপ পরিকল্পনা কি না তা নিয়ে প্রশ্নবোধক চিহ্নটা আরও দীর্ঘতর হচ্ছে। 
পৃথিবীর কোন নিষ্ঠুর স্বৈরতান্ত্রিক দেশেও বন্দীদের সাথে এরুপ দূর্ব্যবহার করা হয় না, যা করা হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম জিয়ার ওপর। বিএনপি চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব আত্মীয়স্বজন ও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাক্ষাতের জন্য বারবার আবেদন করার পরেও কারাকর্তৃপক্ষ তাতে কোন কর্ণপাতই করেনি। কারাবিধি অনুযায়ী ৭ দিন পরপর বন্দীদের সাথে সাক্ষাতের নিয়ম। অথচ বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে এই বিধান করা হলো ১৫ দিন পরপর। এখন সেই ১৫ দিনের বিধানকেও সরকারের নির্দেশে কারাকর্তৃপক্ষ অগ্রাহ্য করছে। বেগম জিয়ার ওপর এই মানসিক নির্যাতনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নানাভাবে পর্যুদস্ত করার সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনারাই অংশ। বেগম জিয়ার সাথে তাঁর নিকটাত্মীয়দের দেখা করতে না দেয়াটা রীতিমতো কঠিন মানসিক নির্যাতন। এ নিয়ে শুধু তাঁর আত্মীয়স্বজনরাই নয়, দেশবাসী উদ্বেগাকুল ও উৎকন্ঠিত। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তাঁর আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। 
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,নির্বাচন পূর্বাপর ব্যাপক সহিংসতা, রক্তপাত, ধানের শীষের প্রার্থীদের ওপর গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা, ধানের শীষের নেতাকর্মী-সমর্থকদের ওপর নির্বিচারে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করাসহ ধানের শীষের প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদেরকে পাইকারী হারে গ্রেফতার, আদালতকে ব্যবহার করে প্রার্থীতা বাতিলসহ ভোটের নামে নিষ্ঠুর তামাশায় শুধু দেশবাসীই নয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও ক্ষুদ্ধ ও প্রতিবাদে সোচ্চার। মানুষের ভোটাধিকার হরণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ন্যাক্কারজনক ভূমিকায় দেশবাসী হতবাক ও ক্ষুদ্ধ। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন জনগণের ললাটে এক বিষাক্ত কাঁটা। অথচ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, এবারের নির্বাচনের শৃঙ্খলা আগামীবারেও থাকবে। সাবাশ এইচ টি ইমাম সাহেব, আপনি আত্মমর্যাদাহীন, অনুশোচনাহীন, আজ্ঞাবাহী একজন মানুষ যার পক্ষে আগামী নির্বাচন নিয়ে এধরণেরই অঙ্গীকার করা ছাড়া আর কিইবা বলার থাকতে পারে। বিবেক বিক্রি করা এইচ টি ইমাম সাহেব’রা মানুষের ভোট কেড়ে নিতে কত দ্বিধাহীন, কত নির্লজ্জ! ভোগ-লালসায় অস্থির থাকায় এদের কাছে মানবিক বিবেচনাগুলো হারিয়ে গেছে। 
এরা ক্ষমতা ধরে রাখতে পুলিশের বুটের তলায় মানুষের ভোটাধিকার চেপে দেয়ার যে কলঙ্কজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেটিরই পূণরাবৃত্তি করার অঙ্গীরকার করলেন আগামী নির্বাচনের জন্য। যারা ভোট ও বিবেক বিসর্জন দিয়ে ন্যায়-অন্যায়ের এথিক্সের ধার ধারেন না কেবল তাদের দ্বারাই পূর্বে সংঘটিত যেকোন ঘৃন্য কাজের পূণরাবৃত্তিই হওয়াই সম্ভব। তবে আমি সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই-জনগণের অধিকারের পক্ষে আমাদের উচ্চারণ থামবে না। জনগণের ওপর জবরদস্তি করে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাবেই। এদেশের ইতিহাস বিদেশী প্রভু ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে রক্তঝরা সংগ্রামের ইতিহাস। সুতরাং বর্তমান মহাজালিয়াতি, মহাচালিয়াতি, বিরামহীন ভোট ডাকাতির নির্বাচনে তৈরী নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী শাসন, গণতন্ত্র হরণ, বিরোধী দল ও মত নিধনের বিরুদ্ধে জনগণের প্রবল আন্দোলনের স্রোত ধেয়ে আসছে। 
সাংবাদিকবৃন্দ,   
* গত পরশু মিথ্যে মামলায় হাজিরা দিতে গেলে কক্সবাজার নিন্ম আদালত কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি জালাল আহমদসহ ১৪ জনের জামিন নামমঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছে। আমি এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানেয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। 
* বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছকে প্রধান আসামী করে ১২০০ জনের বিরুদ্ধে আবারও ৪টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়েরের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাদের বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি করছি। 
ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।

ভোটে অনিয়ম, দমন পীড়ন ও সহিংসতার স্বচ্ছ তদন্ত চায় সুইজারল্যান্ড


ভোটের দিনসহ নির্বাচনী প্রচারণাকালীন যাবতীয় অনিয়ম, দমন-পীড়ন ও সহিংসতার পূর্ণ ও স্বচ্ছ তদন্ত চায় সুইজারল্যান্ড। রোববার পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে সাক্ষাতে সুইস রাষ্ট্রদূত রেনে হলেনস্টাইন এ তদন্ত চেয়েছেন। দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। 

‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সুইস রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ’ শীর্ষক ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ৬ই জানুয়ারি রাষ্ট্রদূত রেনে হলেনস্টাইন পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে রাষ্ট্রদূত সচিবকে জানিয়েছেন- সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিষয়ে অবহিত। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সব দলের অংশগ্রহণে তার দেশ খুশি। তবে ওই নির্বাচনের আগে ও ভোটের দিনে যে ‘অপ্রয়োজনীয় দুর্ভোগ-দুর্গতি এবং যন্ত্রণা’ হয়েছে তার জন্য সুইজারল্যান্ড মর্মাহত।

ভোট ও ভোটের প্রচারণাকালীন নানা ঘটনা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এমন সব অনিয়ম, দমন-পীড়নের অভিযোগ আইনের শাসন মতে পূর্ণ ও স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া জরুরি।

রাষ্ট্রদূত জোর দিয়ে বলেন- তার দেশ বিশ্বাস করে নতুন সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, যার ভিত্তিতে এ নির্বাচন হয়েছে সেটি সমুন্নত রাখবে। একইসঙ্গে, মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারকে সমুন্নত রেখে গণতন্ত্রের পথে মানুষের অগ্রযাত্রাকে সমর্থন দিয়ে যাবে। সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে অব্যাহত রাখবে বলেও পররাষ্ট্র সচিবকে আশ্বস্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
  • মানবজমিন/ জানু ৬,২০১৯ 

Because she exercised her constitutional right

Aasha Mehreen Amin

The gang-rape of a 35-year-old woman, a mother of four young children, because she insisted on exercising her right to vote for whoever she wanted to, has been the most devastating story for us ordinary citizens and especially for women of this country. It is hard to find words to describe the disillusionment and anguish I know I share with most of my fellow citizens that such horrendous violence should be inflicted as a twisted form of political revenge. While all the rapists have been arrested, even the man who “ordered” the 10 to 12 men to rape that woman “to teach her a lesson” for challenging him, what we cannot escape is the realisation of how far the culture of impunity of political elites and their cohorts has gone.

A former member of Char Jubilee Union Parishad was so “dedicated” to his job of making sure no one voted for “sheaf of paddy,” the symbol representing his party's political rival, that he just could not tolerate the fact that a woman, the wife of a CNG driver, would dare to defy him. According to the rape survivor who is still in critical condition in hospital and in mental trauma, she had gone to the polling centre at Char Jubilee-14 Government Primary School, Suborno Char, Noakhali, around 11am on December 30. She took the ballot paper from the assistant presiding officer and went to a booth to vote. According to her, Ruhul, a ruling party associate, and his accomplices kept insisting that she vote for “boat”. She refused and casted her vote for “sheaf of paddy” and this infuriated them. According to the victim, Ruhul tried to snatch her ballot paper but she didn't let him and put the paper inside the box. He then threatened her and she answered back. 

She paid heavily for that act of courage.

Soon after midnight on December 31, some 10-12 men carrying sticks entered her home by cutting the surrounding fence. They tied up her husband and four children with rope and dragged her outside the house and raped her. She was beaten unconscious and the rapists also looted the family's cash and gold jewellery, according to her husband. The cries of her children alerted the neighbours who called a village doctor but her condition worsened; she was bleeding profusely and had to be rushed to the hospital where she is undergoing treatment.

When the superintendent of police was contacted by a correspondent of The Daily Star, he confirmed that a rape had taken place but said it was nothing to do with voting. Ruhul, who is accused by the victim as being the mastermind who had instructed his cohorts to rape her, completely denied the accusation and said he had no enmity with her. In fact, after a wave of scathing criticism in social media, the police did act; they called the husband and helped him file a case with a list of nine of Ruhul's accomplices in the First Information Report (FIR). Only Ruhul's name was left out. The victim's husband says he was asked to come to the station and sign the FIR; he explained that being illiterate, he didn't know that Ruhul's name was not on it.

Eventually, amidst condemnation by rights organisations, Ruhul has been arrested as well as seven of the other accused.

We cannot imagine the nightmare this young woman, her husband and her four children have gone through. Nor will we know how they will survive psychologically after this horrific experience that will most likely leave them scarred for life. The devastating truth is that our society is merciless when it comes to survivors of sexual violence. There is every possibility that the rape survivor and her family will be taunted, humiliated or even made social outcasts. There is every chance that the rapists, or at least their leader, will somehow escape punishment as they are very much from the “well-connected” and “politically influential” category.

This particular gang-rape has been driven by the self-destructive politics of this country that takes rivalry to the basest, most beastly levels. It is where sycophants of whichever party that happens to rule become uncontrollable, rabid hounds that stop at nothing to please their masters; they threaten, kill, maim, even rape. Because in almost all cases, the ends justify the means and achieving the goal is what matters, whatever the cost. It also means humiliating and crippling a rival, again at whatever cost, no matter how immoral, underhand or violent.

On December 31, Obaidul Quader, general secretary of Awami League, urged his party activists and leaders in a public gathering not to be vengeful towards political rivals, and that this was in accordance with the prime minister's directive. And on December 31, we had the misfortune to hear that a young woman, who stood up to intimidation and was adamant about exercising her right, had to pay a heavy price by being subjected to sexual violence. The police have arrested the man behind this horrible crime and he has been expelled from the party.

It is a cruel joke that such a deplorable, cowardly crime should be inflicted on a woman voter in the backdrop of the ruling and winning party's manifesto that promises to work for “women's empowerment”. A vague term indeed and an empty promise when we consider the chilling statistics: 662 women raped, of whom 57 died, and 183 of them gang-raped between January and October 2018.

Women of this liberated country have never had to fight for their right to vote. It was a given as was the right to be equal citizens as men. For a woman to be subjected to gang-rape because she chose to exercise that right is not just reprehensible but a tragic mockery of the values of our Liberation War.

  • Aasha Mehreen Amin is Senior Deputy Editor, Editorial and Opinion, The Daily Star.
  • Courtesy: The Daily Star/Jan 07, 2019

A village blockaded for voting for the opposition!

EDITORIAL

Another case of political vendetta


First a woman was raped in Noakhali for voting for BNP and now an entire village has been put under siege for the very same reason. That the village of Kolma in Rajshahi was cut off from the rest of the area around it—with nobody allowed to leave or enter, even vehicular traffic through the village barred from movement, and basic services, reportedly, disrupted for six days after the election—is reprehensible. It reflects, unfortunately, the regression of political culture in the country. The threshold of political tolerance has sagged dismally low, trickling down from the top to the grassroots also. Going against the ruling party has become a crime. This is totally contrary to the spirit expressed by the president of the victorious party, Prime Minister Sheikh Hasina. 

In the past we had seen minorities hounded from their hearth and homes for voting for candidates of their choice. Regrettably, the ugly ethos has continued, only because the state and more importantly, the political parties, have failed to deal with the errant members firmly. When there is absence of strict measures against such behaviour from the party leadership, it not only encourages repetition of such behaviour, but also makes the party hierarchy no less responsible for the act.

We fail to understand why the administration had not been able to restore normalcy in the area immediately. Compromise is well and good, but harsher action should have been taken against those who had taken law in their own hands and enforced the blockade so that the locals could go about their business normally. This amounts to challenging the administration and thereby the government.

This is a very dangerous trend that bodes badly for governance. Above all, the law of the land must be upheld and any challenge to our legal framework must be dealt with harshly.  

  • Courtesy: The Daily Star/ Jan 07, 2018

Feast for cops after 'fair polls'

Police establishments across the country have been holding feast and cultural programmes since the first day of the new year to cheer up the force members. Several police officials, wishing anonymity, told The Daily Star that these programmes were being organised as per directives from the Police Headquarters (PHQ), as part of a reward to the policemen for playing due roles in arranging a free, fair and peaceful election “without any major violence.”

All the 50 police stations under Dhaka Metropolitan Police held feasts on Saturday while the PHQ orgainsed special feasts for its officials yesterday, said several officials of the headquarters. 

Police stations under Rangpur and Chattogram ranges arranged the recreation programmes on January 1, said senior officials of the respective ranges.

Meanwhile, Deputy Inspector General (Admin) of Police Habibur Rahman has issued letters to all the superintendents of police in the country appreciating their roles during the election.

“I strongly believe that you have been able to perform the major responsibilities laid on you by applying your leadership skills, farsightedness and professional strategy,” he wrote.

SM Ruhul Amin, DIG at the PHQ, said such programmes were arranged to reinvigorate the spirits of the policemen every time after a big event as they had to go through a tiring job during the whole period.

  • Courtesy: The Daily Star/ Jan 07, 2018

ফেলানী হত্যার ৮ বছর, আজও ন্যায় বিচার পায়নি পরিবার


আজ ৭ জানুয়ারি কিশোরী ফেলানী হত্যার ৮ বছর পূর্তি। ফেলানী নাগেশ্বরী উপজেলা রামখানা ইউনিয়নের কলোনিটারী গ্রামের নূরল ইসলাম ও জাহানারা বেগম দম্পত্তির প্রথম সন্তান। কুড়িগ্রাম সীমান্তে ঘটে যাওয়া এই হত্যা দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও এখনো ন্যায় বিচার পায়নি নিহতের পরিবার।


২০১১ সালের এই দিনে ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর অনন্তপুর সীমান্তে ৯৪৭নং আন্তর্জাতিক পিলার ৩নং সাব-পিলারের পাশ দিয়ে মই বেয়ে কাঁটাতার ডিঙ্গিয়ে বাবার সঙ্গে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় টহলরত চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ তাকে গুলি করে হত্যা করে। কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

পরে বাংলাদেশ সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কড়া প্রতিবাদে বিচারের ব্যবস্থা হলেও বেকসুর খালাস পেয়ে যায় গুলিবর্ষণকারী অমিয় ঘোষ। ফেলানীর পরিবারের আপত্তিতে বিএসএফ মহাপরিচালক রায় পুনর্বিবেচনার আদেশ দিলে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নতুন করে শুনানি শুরু হয়। কিন্তু পুনর্বিচারে একই আদালত তাদের পুরোনো রায় বহাল রাখে। এ মামলায় দুই দফা কোচবিহারে গিয়ে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম। ন্যায় বিচারের জন্য আবারও ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেন তিনি।

বহুল আলোচিত ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচারের রায়ে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করায় ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলার আইন সহায়তাকারী কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন।

  • কার্টসিঃ ইত্তেফাক/ জানু ৭, ২০১৯ 

Sunday, January 6, 2019

নির্বাচনের অনিয়ম তুলে ধরলো সুজন


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিন বেশ অনিয়ম হয়েছে বলে জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন। সংস্থাটি বলছে, এই নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন ওঠেছে। নির্বাচন কমিশনের উচিৎ সেগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। আজ ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব অনিয়ম তুলে ধরা হয়। 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নির্বাচনের দিনটি। নির্বাচনী প্রচারণাকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় ভোটের দিনের পরিবেশ স্বাভাবিক থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। ভোটের দিনে সারাদেশে সহিংসতা পরিলক্ষিত না হলেও সীমিত আকারের সহিংসতায় প্রাণহানি ঘটেছে কমপক্ষে ১৭ জনের। আহত হয়েছে দুই শতাধিক।

এই দিনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিলো, অধিকাংশ এলাকাতেই বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নির্বাচনের মাঠে অনুপস্থিত। এমনকি বেশিরভাগ কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট-এর অনুপস্থিত। 

লিখিত বক্তব্যে সুজন সমন্বয়ক দিলীপ কুমার জানান, নির্বাচনের দিন অনিয়মের অনেক অভিযোগ আমাদের গোচরে এসেছে। অনিয়মগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পোলিং এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বা মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, ভোটের আগের রাতে মহাজোট প্রার্থীদের প্রতীকে ভোট দিয়ে বাক্স ভরে রাখা, বাইরে থেকে ব্যালট ভরা বাক্স ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা, কোনো কোনো কেন্দ্রে ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যেই ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়া, কোনো কোনো ভোটরদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়া, ভোটারদের প্রকাশ্যে সিল মারতে বাধ্য করা, দীর্ঘ সময় লম্বা লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকলেও ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ না করা, কোনো কোনো কেন্দ্রে অস্বাভাবিক বেশি বা কম ভোট পড়া। এছাড়া ভোট পড়ার ক্ষেত্রে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ করা আসনগুলোর সঙ্গে অন্যান্য আসনের অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা গেছে। 

সুজন বলছে, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেকেই অনিয়মের সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।  নির্বাচন চলাকালে ঐক্যফ্রন্টের প্রায় শ’খানেক প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। 

এক প্রশ্নের জবাবে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। কমিশনের উচিৎ সেগুলো তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ও সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন / জানুয়ারী ৬,২০১৯

ঐক্যফ্রন্ট অটুট আছে, নির্বাচিত কেউ শপথ নেবে না


নির্বাচনের ফল বয়কট করা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো জনপ্রতিনিধি শপথ নেবে না। তাদের শপথ নেয়ার প্রশ্নই উঠে না বলে জানিয়েছেন ফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা আ স ম আবদুর রব।

রোববার, জানুয়ারী ৬, দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের মেট্রোপলিটন চেম্বার ভবনে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন রব।

জাসদ সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল আর নীলনকশার নির্বাচন আমরা বয়কট করেছি। এই নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রকাশ পায়নি।তাই ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ীদের শপথ নেয়ার প্রশ্নই উঠে না।

একই কথা জানান গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু। ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের দুই এমপির শপথ নেয়ার ব্যাপারে দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ‘ইতিবাচক চিন্তা’র কথা বলার পর মন্টু বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ৭ নির্বাচিত প্রতিনিধি শপথ নেবেন না।

গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গতকাল কিছু মিডিয়া ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, ঐক্যফ্রন্টের কারও শপথ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

তাছাড়া বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ইতোপূর্বে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, আমাদের এমপিরা কোনোভাবেই শপথ নেবেন না।

রোববারের জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর প্রমুখ।

রাজশাহীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট চলছে


নির্বাচনের পর রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ধানের শীষ কর্মী-সমর্থকের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি নেতার কেবল ব্যবসায় দখল করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।আতঙ্কিত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী এলাকা ছেড়েছেন।

শনিবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী সহিংসতার শিকার কলমা গ্রাম পরিদর্শন করেছেন।

তানোর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও তানোর পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি তানোর এলাকায় ডিশ লাইনের ব্যবসা করেন। ভোটের পর থেকে উপজেলার সব স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার গজ ডিশ লাইনের তার কেটে ফেলেছে।


“এছাড়াও ১৪টি ডিশ লাইনের নেটওয়ার্ক অফিসের সব সরঞ্জাম লুট ও দখল করে নিয়েছে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। ভোটের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে আমার ডিশ লাইনের কেবল কেটে ফেলার কারণে হাজার হাজার গ্রাহক স্যাটেলাইট টিভি দেখতে পারছেন না।”

উপজেলার কলমা, কামারগাঁ, মাদারিপুর, সালমান্দা ও মহর গ্রামের বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ও ভয়ভীতি দেখানোর কারণে কয়েকশ বিএনপি নেতাকর্মী এলাকাছাড়া হয়েছেন বলেও মিজানের ভাষ্য।

তানোরের কলমা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বুধবার বিল্লী বাজারে জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে গেলে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ময়নার উপস্থিতিতে তার লোকজন তাকে মারধর করে এবং তার মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করে।

“এর আগে মঙ্গলবার বাধাইড় এলাকার বিএনপি কর্মী বকুলের বাড়ি ও গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে ফেলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা।”

কলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষের প্রার্থী আমিনুল হক ১ হাজার ২৪৯ এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী ৬৫৩ ভোট পেয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিএনপি প্রার্থী ভোট বেশি পাওয়ায় এ হামলা হয়েছে।

বাধাইল গ্রামের আজিমুদ্দিন বলেন, “ভোটের পরের দিন (৩১ ডিসেম্বর) চান্দুড়া বাজারে আমার কীটনাশকের দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট করে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এ সময় তারা এক লাখ টাকা নগদসহ বেশ কিছু মালামাল লুটে নিয়ে যায়। তারা লাঠি দিয়ে আঘাত করে আমাকে জখম করে।”

তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পর থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন; কিন্তু পুলিশ তার অভিযোগ নেয়নি, বলেন আজিমুদ্দিন।

  • বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/ ৫ জানুয়ারী ২০১৯