Search

Wednesday, January 16, 2019

শাস্তির বদলে পদোন্নতি! লেক দূষণ রোধের ৫০ কোটি টাকা নয়ছয়

অমিতোষ পাল


গুলশান-বারিধারা লেকের দূষণ রোধে ৫৪ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছিল ঢাকা ওয়াসা। উদ্দেশ্য ছিল, লেকের পাড়ের যেসব বাসাবাড়ির আউটলেটের মাধ্যমে মানবসৃষ্ট পয়ঃবর্জ্য লেকের ভেতরে পড়ে, সেগুলো বন্ধ করে পানি দূষণ রোধ করা। ঢাকা ওয়াসা ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি শেষ করলেও দেখা যায় কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আউটলেটগুলো আগের মতোই রয়ে গেছে। সেগুলো দিয়ে ময়লা-আবর্জনাযুক্ত পানি লেকের ভেতরে গিয়ে পড়ছে। কাজ না করে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ওই টাকা নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটির রিপোর্টে এর প্রমাণ মিললে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে গত দুই বছরে ওয়াসা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাকে উচ্চতর পদে বসিয়েছে। এর মধ্যে ওই প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ের দায়িত্বে থাকা অভিযুক্ত কর্মকর্তা আটজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে পেয়েছেন বিস্ময়কর পদোন্নতি।

সম্প্রতি সরেজমিন লেক পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, আউটলেটগুলো আগের মতোই বিদ্যমান। সেগুলো দিয়ে স্যুয়ারেজ বর্জ্য লেকে পড়ছে। গুলশান-২ নম্বরের ১০৩ নম্বর রোডের ১২ নম্বর হাউসের পেছনে দেখা যায়, বড় একটি পাইপ। সেটা দিয়ে ময়লা-আবর্জনাযুক্ত পানি লেকের ভেতরে পড়ছে। এতে দূষিত হচ্ছে পানি। একই চিত্র দেখা যায় ১০৪ নম্বর রোডের ৩৪ নম্বর বাড়ির পূর্বদিকে। সেখানেও পাইপ দিয়ে স্যুয়ারেজের পানি লেকে পড়ছে। ৯৬ নম্বর রোডের পূর্ব পাশেও একই অবস্থা। দূষণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তবে কিছু পাইপ দিয়ে বর্জ্য পড়তে দেখা যায়নি। 

বারিধারার বাসিন্দা হাসিবুর রহমান জানান, লেকের সঙ্গে এ রকম অনেক আউটলেট আছে। এ কারণেই লেকের পানি দূষিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, গুলশান-বনানী লেকেও এ ধরনের ৫০টি আউটলেট ছিল। আনিসুল হক মেয়র থাকাকালে ৪৫টি বন্ধ করা হয়েছিল। আরও পাঁচটি আউটলেট থেকে গেছে। কিন্তু গুলশান-বারিধারা লেকে এ রকম আউটলেট আছে অসংখ্য। 

রাজধানীর ভিআইপি ও কূটনৈতিক এলাকা গুলশান-বারিধারার বাসিন্দারা লেক দূষণের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিড়ম্বনায় রয়েছেন। এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে ২০১০ সালে ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে 'গুলশান-বারিধারা লেক দূষণমুক্তকরণ প্রকল্প' গ্রহণ করে ঢাকা ওয়াসা। ওয়াসা ২০১৫ সালের মধ্যে কাজ শেষ করে কাগজপত্র দাখিল করে। এ সময় জানানো হয়, ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও ৫ কোটি টাকা কম ব্যয় হয়েছে। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পরও এলাকাবাসীর কাছ থেকে লেক দূষণের অভিযোগ আসতে থাকে। এর পরই বিষয়টি আমলে নেয় দশম জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটির ১১তম বৈঠকের সুপারিশের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব অমিতাভ সরকারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, লেক দূষণ রোধে যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল তা সফল হয়েছে কি-না, সফল হয়ে থাকলে কী কারণে লেক পুনরায় দূষিত হচ্ছে এবং এ জন্য দায়ী কে, তা চিহ্নিত করে রিপোর্ট দেওয়া। 

কমিটির সদস্যরা সরজমিন পরিদর্শন করে দেখতে পান, লেকপাড়ের বাসাবাড়ির বর্জ্য লেকে পড়ার আউটলেটগুলো বন্ধ করা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, 'যে উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল, প্রকল্প বাস্তবায়নের পর তা সফল হয়নি। প্রকল্প এলাকা সরজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, এখনও গুলশান-বারিধারা লেকটি সরাসরি স্থানীয় জনগণের পয়ঃবর্জ্য ও মনুষ্যসৃষ্ট অন্যান্য বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে। স্বাভাবিক দৃষ্টিতেই দেখা যায়, লেকের পানির দূষণের মাত্রা গ্রহণযোগ্য সীমার অনেক ঊর্ধ্বে।'

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, 'পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দলের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, গুলশান-বারিধারা লেকের দূষণ রোধে ঢাকা ওয়াসা ৫০ কোটি টাকার যে প্রকল্প নিয়েছিল, সেটি কার্যকর পদক্ষেপ ছিল না। যে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল, কোনোভাবেই সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি। তা ছাড়া এখনও অনেক আউটলেট দিয়ে পয়ঃবর্জ্য ও অন্যান্য মনুষ্যসৃষ্ট বর্জ্য সরাসরি গুলশান-বারিধারা লেকে এসে পড়ছে। এ ছাড়া সর্বউত্তরে ডিওএইচএস ক্যানেলের বারিধারা অংশে দুটি আউটলেটের মাধ্যমে প্রচুর বর্জ্য গুলশান-বারিধারা লেকে পড়ছে। যার মধ্যে পূর্ব পাশের আউটলেট থেকে খুব বেশি পরিমাণে বিষাক্ত ও দূষিত বর্জ্য এসে পড়ছে। যদিও ওয়াসার প্রতিনিধি দাবি করেন, গুলশান-বারিধারা লেক দক্ষিণে প্রবাহমান নদীর সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় এবং লেকের পানি প্রবাহমান থাকায় দূষণ তুলনামূলক কম। কিন্তু পরিদর্শন টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, গুলশান-বারিধারা লেকে বর্তমানে পানির প্রবাহ নেই। লেকের পানি দূষিত হওয়ার বিষয়টি ওয়াসা গুরুত্ব দেয়নি। ঢাকা ওয়াসার প্রশাসনিক উদ্যোগের অভাব স্পষ্টতই পরিলক্ষিত হয়। এ জন্য প্রকল্প প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্নিষ্টরা দায়ী মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে।' ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রকল্প নেওয়া হলে ঢাকা ওয়াসা, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শও দেয় তদন্ত কমিটি। 

নথিপত্রে দেখা যায়, প্রকল্প প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা কাজী মো. ফারুক হোসেন, একই বিভাগের সহকারী প্রধান মো. আব্দুল কাদের, উপপ্রধান মো. শামসুল আলম ও ঢাকা ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. জিএএম শওকত হায়াত খান। তবে প্রকল্প অনুমোদনের পরপরই শওকত হায়াত খান অবসরে চলে যান। প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় ঢাকা ওয়াসার তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আক্তারুজ্জামানকে। প্রকল্পের পুরো খরচ তার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। 

এদিকে, ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদনটি স্থানীয় সরকার বিভাগে জমা দেয় কমিটি। এর মধ্যে তিন সদস্যের কমিটির মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব অমিতাভ সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জাহিদ হোসেন ও ঢাকা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেন। তবে প্রতিবেদনের সঙ্গে নোট দিয়ে লেখা হয়, 'প্রতিবেদনে আতিকুর রহমান স্বাক্ষর করলেও তদন্ত প্রতিবেদনের সার্বিক মন্তব্যে দ্বিমত পোষণ করেছেন।' 

সার্বিক মন্তব্যে উল্লেখ করা হয়, 'লেকের পানি দূষণমুক্ত করণের লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পটি দূষণ রোধে খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। তদুপরি লেকে এখনও অনেকগুলো বর্জ্যপানির আউটলেট বিদ্যমান, যা অপসারণ বা বন্ধ করার দায়িত্ব ছিল ঢাকা ওয়াসার। এ ক্ষেত্রে ঢাকা ওয়াসা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। প্রকৃতপক্ষে প্রকল্পটি কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারেনি। এ কারণে তাদের ব্যর্থতার দায়িত্ব ডিপিপি ও আরডিপিপি প্রদানের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট সবার ওপর বর্তায়।'

২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ঢাকা ওয়াসাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ ফারুক-উজ-জামান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, 'এ জন্য দায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকে চিহ্নিত করে বিভাগীয় মামলা দায়েরপূর্বক আগামী এক মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।' কিন্তু এতদিনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি-না, সে প্রসঙ্গে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে গেলে জনতথ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি নন। তবে ঢাকা ওয়াসার সচিব আ ন ম তরিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ওই ঘটনায় ওয়াসা কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে তার জানা নেই। 

এ প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটির প্রধান অমিতাভ সরকার সমকালকে বলেন, তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার পর তিনি আর কোনো খবর রাখেননি। তার দায়িত্ব ছিল রিপোর্ট দেওয়া। তিনি সেটাই করেছেন। 

এদিকে মন্ত্রণালয় থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও প্রকল্প পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পরে তাকে নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। গত বছর তার চেয়ে জ্যেষ্ঠ আট কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী থেকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী করা হয়। এ প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী আ. মান্নান বলেন, তদবির ও টাকার জোর আর সিবিএর কারণে এসব সম্ভব হয়েছে।

এ বিষয়ে আক্তারুজ্জামান সমকালকে বলেন, ওয়াসার যে কোনো বিষয়ে তথ্য দেওয়ার দায়িত্ব জনতথ্য বিভাগের। কথা না বাড়িয়ে জনতথ্য বিভাগে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। জনতথ্য বিভাগে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, কারও ব্যক্তিগত অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জনতথ্য বিভাগ কথা বলে না। সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাই বলবেন।
  • কার্টসিঃ সমকাল/ জানু ১৬, ২০১৯ 

Exporters suffer blow as govt makes contract farming mandatory

Mandatory contract farming

Yasir Wardad

The government has made 'contract farming' mandatory for shipment of agro produce aiming to ensure the quality, said officials. The decision came as a big blow to the exporters who found themselves in a difficult situation searching for contract growers during this peak winter harvesting season.

They said such a decision put the shipment of farm produce at stake as local exporters would lose their traditional markets.

The Plant Quarantine Wing (PQW) under the Department of Agriculture Extension (DAE) of the agriculture ministry issued a directive on November 13 last year, making good agricultural practice (GAP) and contract farming mandatory for exporting vegetables, fruits, potato, betel leaf and other produce.

PQW director Mir Nural Alam said the decision is a continuation of an objective set by the government to ensure safe and quality produce both for internal and external trade.

Total exports of farm produce to Europe have come under contract farming as the exporters are now buying produce from their contract growers, he added.

"And now we have made it compulsory for every market," Mr Alam said, adding that exporters would not be allowed to send produce without documents on contract farming from January 15.

The exporters will have to show documents detailing that they have maintained GAP, hazard analysis and critical control points (HACCP), traceability and maximum residue limit (MRL) and their produce has been collected from contract growers under the supervision of upazila agriculture officers, he said.

Secretary of Bangladesh Fruits, Vegetables and Allied Product Exporters Association (BFVAPEA) Mohammed Mansur told the FE that exports of farm produce to Middle-East, Far East Asia and other regions have almost come to a halt.

He said the PQW is showing 'unnecessary' enthusiasm for contract farming when importers in non-EU regions have no such requirements.

"They need quality and safe produce which we collect from the farmers who have adopted good agricultural practice (GAP)."

He added: "It takes 40 years to tap market potentials in the Middle-East and Far East which we are going to lose." They sent a letter to the PQW after getting their directives, he said, adding that they also urged the wing to give them time until December 31 this year.

The wing issued a letter on November 20 which they got on January 09. "PQW has given us time till January 15," he said.

Adviser to BFVAPEA Manjurul Islam said contract farming usually starts from sowing seed in particular.

The decision was taken at a time when the farmers are almost ready to harvest their winter crops, he said.

The country's exporters collect produce from 20,000 to 25,000 farmers and 6,000-7,000 of them have been able to be contract growers.

"We need few more years to make formal contracts with all the suppliers," he said, adding that the government cannot attain the target of exporting farm produce worth US$711 million if "it doesn't review its decision."

He said the sector achieved a tremendous growth in the first half of the current fiscal year by attaining a 66 per cent growth over that of last year.

"But it will start affecting the export earnings badly from this next half," he added.

Preferring anonymity, a leading exporter said his company recently sent a consignment of 26 tonnes of pumpkin and cabbage to Chattogram port for Malaysia.

"The port authority asked me about relevant documents on contract farming that I don't have. So what should I do now?" he questioned with frustration.

He said pumpkin is cultivated in September, but the PQW issued the directive on November 13.

  • Courtesy: The Financial Express/ Jan 16, 2019

Man 'commits suicide' in Natore police custodyRepresentational image

The hanging body of an individual in custody of police was recovered from Natore’s Bagatipara Police Station on Tuesday. Police claimed the arrestee Mohsin Ali, 30, son of Mahiruddin of Chakgoash village in Bagatipara upazila, committed suicide by hanging himself.

Police found Mohsin hanging from the window grill inside his cell on Tuesday noon and recovered it in presence of executive magistrate Najmul Alam, said additional superintendent of Natore police Akram Hossain, UNB reports.

Earlier on Monday, Gazipur police arrested Mohsin from Maona area in Gazipur city for his alleged involvement in the killing of three van drivers and snatching their vehicles. He was, later, handed over to Bagatipara Police Station, Najmul Alam added. 

  • Courtesy: The Financial Express /Jan 16, 2019

৭ বছরেও বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিষ্পত্তি করতে পারেনি দুদক

জেসমিন মলি

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন ও বিধি অনুযায়ী কোনো অভিযোগ অনুসন্ধান করতে হয় ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে। আর মামলা দায়েরের পর তদন্ত শেষ করতে হয় সর্বমোট ১৮০ দিনে। কিন্তু বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি অনুসন্ধান থেকে শুরু করে মামলা ও তার তদন্ত সাত বছরেও শেষ করতে পারেনি দুদক। যদিও সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে বেসিক ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে।

বেসিক ব্যাংকের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ পায় ২০১১ সালের ডিসেম্বরে। এরপর অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। একাধিকবার অনুসন্ধান কর্মকর্তা বদল করে সাড়ে চার বছর পর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫৬টি মামলা করেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা। যদিও একটি মামলার তদন্তকাজও এখনো শেষ করতে পারেনি দুদক। বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কয়েক দফা পর্যবেক্ষণ আসার পর ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেয় দুদক। তাকে পাঁচ দফা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তার পরও মামলার তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।

তবে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে শুধু বেসিক ব্যাংকই নয়, অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি তদন্তে অগ্রগতি দেখতে পাবেন। আর্থিক খাতসহ সব খাতের দুর্নীতির বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স। তবে কতগুলো বিষয়ে আমাদের প্রধান ফোকাস থাকবে। আর্থিক দুর্নীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা আমাদের পরিপূর্ণ শক্তি দিয়ে আর্থিক দুর্নীতি বন্ধের চেষ্টা করব।

২০০৯-১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে মোট সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তা অনুসন্ধানে নামে দুদক। প্রায় চার বছর অনুসন্ধান শেষে এ অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় ২০১৫ সালে রাজধানীর তিনটি থানায় যে ৫৬টি মামলা দায়ের হয়, তাতে আসামির সংখ্যা ১৫৬। মামলায় আসামিদের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা রয়েছেন ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণগ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও সার্ভে প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকার ও ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই একাধিক মামলার আসামি হয়েছেন। ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করে দুদক। এর মধ্যে ছয় ব্যাংক কর্মকর্তা বর্তমানে কারাগারে আছেন। বাকি নয় ব্যবসায়ী জামিনে রয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাগজে-কলমে থাকলেও বেসিক ব্যাংকের এসব ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলোই অস্তিত্বহীন। এ কারণে বারবার যোগাযোগ করা হলেও গ্রাহকপক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ফলে তাদের কাছ থেকে অর্থ উদ্ধারের সম্ভাবনা দেখছেন না ব্যাংক কর্মকর্তারা।

বেসিক ব্যাংকের এ ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের পক্ষ থেকে ৫৬টি মামলা হলেও কোনোটিতেই ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি করা হয়নি। ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও পর্ষদ সদস্যদের অভিযোগপত্রে আসামি করা হবে কিনা, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বেই মামলার তদন্ত আটকে আছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।

তদন্ত শেষ করতে এত বেশি সময় লাগার বিষয়টি বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, এটি ব্যাপকভাবে আলোচিত ঘটনা। এটি শুধু অভিযোগ নয়, এ নিয়ে সংসদেও আলোচনা হয়েছে। তার পরও তদন্ত শেষ করতে দুদকের এত সময় কেন প্রয়োজন হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। এক হতে পারে তাদের সামর্থ্যের ঘাটতি, আরেক হতে পারে সদিচ্ছার ঘাটতি। এছাড়া আমি আর কোনো কারণ দেখি না। আমি মনে করি, দুদকের যে আইনি কাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ্য, সেটা যদি যথাযথভাবে প্রয়োগ করে, তাহলে এ ধরনের কেলেঙ্কারি দ্রুতই নিষ্পত্তি করা সম্ভব।

বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত থেকেও একাধিকবার পর্যবেক্ষণ এসেছে। সুপ্রিম কোর্টের কয়েক দফা পর্যবেক্ষণের পর ব্যাংকটির তত্কালীন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেয় দুদক। পাঁচ দফা জিজ্ঞাসাবাদে ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল হাই বাচ্চু দাবি করেন, ঋণ দেয়ায় কোনো সিদ্ধান্ত এককভাবে তিনি নেননি। তত্কালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফখরুল ইসলাম যেসব ঋণ অনুমোদনের নথি পর্ষদে উপস্থাপন করতেন, সবার অনুমতি সাপেক্ষে তিনি সেসব অনুমোদন দিতেন। এখানে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, তবে সেটি ভুলে হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি আবদুল হাই বাচ্চুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অনুসন্ধান করছে দুদক। এর অংশ হিসেবে তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্নার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য যাচাই করে দেখতে চেয়েছে দুদক। গত বছর বাচ্চু ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংকিং লেনদেনের সব ধরনের নথিপত্র চেয়ে দুদকের পক্ষ থেকে উপপরিচালক শামসুল আলমের সই করা একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, আবদুল হাই বাচ্চু ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান। ২০১২ সালে তার নিয়োগ নবায়নও হয়। কিন্তু ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে ২০১৪ সালে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করার পর পদত্যাগ করেন আবদুল হাই বাচ্চু।

  • Courtesy: Banikbarta/ Jan 16, 2019

Coercive Digital Security Act sections must be repealed

EDITORIAL

AT LEAST 63 people have been arrested, as New Age reported on Tuesday, under the Digital Security Act, which was signed into law on October 8, 2018. The arrested include online and cultural activists and journalists mostly on charge of activities on social networking sites, especially Facebook and YouTube, against ranking dignitaries and the government. The Rapid Acton Battalion is reported to have arrested 37 people, the cyber security and crime division of the Dhaka Metropolitan Police and the Police Bureau of Investigation 15 people and the Criminal Investigation Department 11 people. The charges are mostly posting ‘maligning’ comments, giving out ‘fake information’, ‘misinformation’ and ‘distorted information’, posting ‘doctored photographs’, making ‘derogatory’ remarks, circulating ‘negative’ contents and the like. 

While there is no arguing that no one has the right to post ‘maligning’ comments, give out ‘fake information’ or ‘distorted information’, make ‘derogatory’ remarks or post ‘doctored’ photographs — which should be dealt with accordingly to keep public order — what comes to be worrying is that many of them are reported to have been arrested for being critical of the government and its action. The situation warrants an impartial investigation of the cases to ensure justice as being critical of the government or its actions and decisions can easily construed as ‘derogatory’ and ‘maligning.’

The application of the Digital Security Act also seems to be partisan in that it has largely not been applied to cases where people gave out misinformation or made derogatory comments about people or groups that are outside the ruling sphere. Information activists allege that most of the arrested people were linked to opposition political parties or ideologies. 

The Facebook authorities identified more than a dozen pages, which look like independent news outlets, giving out contents against opposition views and ideologies. In such cases, the law does not appear to have been applied. The application of the Digital Security Act appears to have an underlying proposition which was typical of its precursor, the Information and Communications Technology Act, especially its Section 57. Between 2013 and April 2018, the police are reported to have submitted 1,271 charge sheets against people who include teachers and pro-opposition activists. In view of  all this, while the cases that have been filed under the Digital Security Act and the people arrested under the act warrant a judicious enforcement of the law, the government should repeal the controversial clauses that the Editors’ Council has exception to.

The Editors’ Council is opposed to nine sections of the Digital Security Act that could practically threaten the freedom of expression and of the media as they are opposed to the basic practice of democracy and the fundamental principles of journalism. The sections, as the council says, would also expose to threat free thinking and the expression of thoughts in the whole of digital sphere. The government, under the circumstances, must repeal the sections in the law that are constraining for the freedom of expression and, thereby, eliminate any space for their misuse or abuse. 

  • Courtesy: New Age /Jan 16, 2019

বড় ঋণ কেলেঙ্কারির হোতারা এখনো অধরা

মোর্শেদ নোমান


অধরাই থেকে যাচ্ছেন দেশের ইতিহাসে বড় কেলেঙ্কারির নেপথ্য নায়কেরা। ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রভাব এবং আইনের মারপ্যাঁচে আইনের আওতায় তাঁদের আনা যাচ্ছে না।

ব্যাংক খাতে জালিয়াতির কয়েকটি ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান ও তদন্ত করলেও অদৃশ্য ইশারায় ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন অনেকে। বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংকসহ কয়েকটি বড় জালিয়াতির হোতা হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিরা এখনো দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

সম্প্রতি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সংলাপে ‘ব্যাংকিং সেক্টর ইন বাংলাদেশ: মুভিং ফ্রম ডায়াগনোসিস টু অ্যাকশন’ শীর্ষক এক প্রবন্ধে বলা হয়, বড় কয়েকটি জালিয়াতির মাধ্যমে গত ১০ বছরে ব্যাংকিং খাতে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের বড় কয়েকটি ব্যাংক থেকে এ অর্থ লোপাট হয়।

সরকারি-বেসরকারি এসব ব্যাংকে যা হয়েছে, তাকে চুরি নয়, ‘ডাকাতি’ ও ‘হরিলুট’ বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা কমিটি ও রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় ব্যবসায়ী নামের কিছু লুটেরা মিলেমিশে ভাগ-বাঁটোয়ারার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর অর্থ লুটপাট করেছেন।

দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন, দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার বিষয়টি জরুরি। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় বা সামাজিক অবস্থান বিবেচনা না করে অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। নির্মোহভাবে অনুসন্ধান ও তদন্ত করে তাঁদের বিচার করতে না পারলে এ ধরনের অপরাধ কমবে না।

বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির মামলায় ৪০ মাসেও অভিযোগপত্র নেই

বেসিক ব্যাংকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ৫৬টি এবং পরের বছর আরও পাঁচটি মামলা করে দুদক। এসব মামলা করার পর ৪০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো অভিযোগপত্র দেয়নি সংস্থাটি। মামলায় ব্যাংকার ও ঋণগ্রহীতাদের আসামি করা হলেও ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের কাউকেই আসামি করা হয়নি।

বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জড়িত থাকার কথা বলা হলেও মামলায় তাঁদের আসামি করা হয়নি। মামলা হওয়ার পর তদন্ত–পর্যায়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আবদুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেও অভিযোগপত্র এখনো জমা দেওয়া হয়নি।

বেসিক ব্যাংকের ঘটনায় করা মামলাগুলোয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা অনেক দিন ধরে কারাগারে। ঋণগ্রহীতা কেউ কেউ ব্যবসায়ী। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁরা জামিনে বেরিয়ে দেশের বাইরে চলে গেছেন। কেউ কেউ গ্রেপ্তার এড়াতে দেশ ছেড়েছেন। যাঁরা এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তাঁদের সবাই এখন বাইরে আছেন।

বেসিক ব্যাংকের তদন্ত সম্পর্কে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে বলেন, শুধু বেসিক ব্যাংক নয়, সব আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হবেন তাঁরা।

জনতা ব্যাংকে জালিয়াতির হোতারা বাইরে 

জনতা ব্যাংকের বড় কেলেঙ্কারি নিয়ে দুদক একের পর এক অনুসন্ধান-তদন্ত চালালেও প্রতিবারই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছেন হোতারা। দুদক সূত্র জানায়, ২০১২ সালে বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটিকে নিয়ে আস্থার সংকট তৈরি হয় গ্রাহকদের মধ্যে। ওই কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদক কিছু ব্যক্তিকে ‘অভিযুক্ত’ করতে পেরেছিল, যদিও তাঁরা পালিয়ে আছেন দেশের বাইরে। কিন্তু অধরাই থেকে যায় ব্যাংকটির তৎকালীন ঋণ প্রদানকারী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। যখনই ব্যাংকটি ওই জালিয়াতির ঘটনার পর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছিল, তখনই উদ্‌ঘাটিত হয় অ্যাননটেক্স গ্রুপের পাঁচ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। আলোয় আসে ক্রিসেন্ট ও রিমেক্স ফুটওয়্যারের চার হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি।

এসব কেলেঙ্কারির তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০৮ সাল থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জালিয়াতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায়। ২০১২-১৩ সালে উদ্‌ঘাটিত বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারির অনুসন্ধানেও দেখা যায়, ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির সুযোগটি তৈরি করে দেওয়া ২০০৮ সালে। ঘটনা চাউর হওয়ার আগেই লাপাত্তা হয়ে যান বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা সোলায়মান, পরিচালক আনোয়ার চৌধুরী, নওরীন হাসিবসহ ঋণগ্রহীতারা। ওই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন জনতা, বেসরকারি যমুনা, প্রিমিয়ার ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কোনো কোনো কর্মকর্তা।

সম্প্রতি উদ্‌ঘাটিত অ্যাননটেক্স গ্রুপ, ক্রিসেন্ট ও রিমেক্স ফুটওয়্যারের ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গেও বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জড়িয়ে পড়ার তথ্য মিলেছে।

জনতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানপ্রক্রিয়ায় সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুদকের একজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করে জানান, ব্যাংকটিতে অনেক জালিয়াতির ঘটনাই ঘটেছে, যার দালিলিক প্রমাণ কষ্টসাধ্য। বৃহৎ ঋণগুলোর প্রস্তাব প্রেরণ, একেকটি ধাপ অতিক্রম এবং ঋণ মঞ্জুরের সময়কাল খুব সংক্ষিপ্ত। অর্থাৎ দ্রুতগতিতেই ঋণগুলো মঞ্জুর এবং টাকা ছাড় হয়। এ সময়কালে কর্মকর্তাদের দায়-দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করলে দেখা যায়, আত্মসাতের সঙ্গে শীর্ষ কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে। অথচ এটি প্রমাণ করা দুঃসাধ্য। প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে দুদকের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির সূচনা হয় ২০০৮ সালের দিকে। সে বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ২৭ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন এস এম আমিনুর রহমান। ওই সময় অ্যাননটেক্স, ক্রিসেন্ট ও রিমেক্স ফুটওয়্যারের মতো ঋণগুলো অনুমোদন পায়। ওই আমলে দেওয়া ঋণের প্রায় পুরোটাই এখন খেলাপি। এসব আত্মসাতের ঘটনায় দুদক এখন অনুসন্ধান শুরু করতে পারছে না।

দুদকের আরেকটি সূত্র জানায়, জনতা ব্যাংকের একাধিক ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে অনুসন্ধান চলমান থাকলেও ঋণ কেলেঙ্কারির মূল হোতাদের ধরা যাচ্ছে না। দুদকের একাধিক অনুসন্ধানে ওই সময়ের ব্যাংকটির শীর্ষ নির্বাহীদের নাম এলেও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।

ফারমার্স ব্যাংকের জালিয়াতি নিয়ে ধীরে চলছে দুদক 

ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় ইতিমধ্যে কয়েকটি মামলা করেছে দুদক। এসব মামলায় ব্যাংকটির নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীসহ (বাবুল চিশতী) কয়েকজন ব্যাংকার ও ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়। কোনো মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে আসামি করা হয়নি।

অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তদন্তে ব্যাংকটির সাবেক দুই শীর্ষ ব্যক্তির অনিয়ম তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির গ্রাহকের ঋণের ভাগ নিয়েছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতী। এর মাধ্যমে দুজনের নৈতিক স্খলন ঘটেছে এবং তাঁরা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।

পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির জনবল নিয়োগ হয়েছে মূলত এ দুজনের সুপারিশেই। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তাঁরা নিয়োগ দিয়েছেন। এ ছাড়া মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আরসিএল প্লাস্টিকের সঙ্গে ব্যাংকের গ্রাহকদের অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যও বেরিয়ে আসে।

২০১২ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া ফারমার্স ব্যাংক কার্যক্রম শুরুর পরই অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। আস্থার সংকট তৈরি হলে আমানতকারীদের অর্থ তোলার চাপ বাড়ে। পরিস্থিতির অবনতি হলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী। পরিচালকের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তাঁরা।

জালিয়াতির হোতারা আইনের বাইরে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বড় জালিয়াতির ঘটনাগুলোয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এগুলো নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করেছে, সরকারের কাছে সব তথ্য আছে। নতুন অর্থমন্ত্রীর কাছে বড় প্রত্যাশার কথা জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, নতুন অর্থমন্ত্রী একজন চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট। তিনি এ বিষয়গুলো বোঝেন। আমরা চাই সব কটি বিষয়ে যেসব প্রতিবেদন আছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে নতুন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ জানু ১৬,২০১৯ 

বাংলাদেশে ‘প্রহসনের নির্বাচন’ — নিউইয়র্ক টাইমস

নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পর্ষদের মত


বাংলাদেশের গরিবি হটানো এবং জীবনমানের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। তারা বলেছে, সরকারে পরপর দুই মেয়াদে এ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্য গত নির্বাচনে তাঁদের নির্বাচনী সফলতার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের সদস্যদের নানাভাবে চাপে রাখা এবং তাঁর দলের একচেটিয়া জয় সে অর্জনকে মলিন করেছে। পত্রিকাটি আশঙ্কা করেছে, বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে কর্তৃত্ববাদী শাসনের শিকার হতে পারে। নিউইয়র্ক টাইমস তাদের এই অভিমতের সূচনায় জানিয়েছে, এটি তাদের বার্তাকক্ষ এবং মতামত বিভাগের চেয়ে ভিন্ন। এটি পত্রিকার পরিচালকমণ্ডলী, সম্পাদক ও প্রকাশকের সমন্বয়ে গঠিত সম্পাদকীয় পর্ষদের অভিমত। নিচে অভিমতটি প্রকাশ করা হলো।

টানা প্রায় ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় বাংলাদেশের জন্য দারুণ কাজ করেছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর একটি বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় ১৫০ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যসীমায় বসবাসকারী জনসংখ্যার হারও ১৯ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে প্রায় ৯ শতাংশে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, নির্বাচনে শেখ হাসিনার দল জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮ টিতে জয় পায়, যা শতকরা হিসাবে প্রায় ৯৬ ভাগ, তাঁর অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের সপ্তাহ ও মাসগুলোতে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিরামহীন ভীতি প্রদর্শন, সহিংসতা, বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা থেকে শুরু করে নজরদারি ও কঠোর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ লক্ষ করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ‘আক্রমণাত্মক বা ভীতি উদ্রেককারী’ লেখা প্রকাশের জন্য কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি প্রতিবেদনে ‘সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশের’ উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ‘ভীত’ বিচার বিভাগ বা নির্বাচন কমিশনকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

উন্নয়নশীল দেশের প্রবৃদ্ধির জন্য স্বৈরশাসকেরা মানবাধিকারের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না। গত ডিসেম্বরে দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই মনোভাব পোষণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি খাদ্য, কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারলে সেটাই মানবাধিকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ নিয়ে বিরোধীরা কী বলছে বা নাগরিক সমাজ বা আপনাদের এনজিওদের আমি পাত্তা দিই না। আমি আমার দেশকে জানি। আমার দেশের উন্নয়ন কীভাবে সম্ভব, তাও জানি।’

শেখ হাসিনা যে তাঁর দেশকে জানেন, সে বিষয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবেন না। তাঁর বাবা শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তাঁকে যখন হত্যা করা হয়, তখন তিনি বিদেশে ছিলেন। আওয়ামী লীগের হাল ধরতে ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এখনো তা ধরে রেখেছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তাঁর দল এবং আরেক ক্ষমতাধর নারী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল পালাক্রমে ক্ষমতায় এসেছে। নির্বাচনপদ্ধতি পরিবর্তনের প্রতিবাদে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল বিরোধীরা। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরেক দফা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার সুযোগ পান শেখ হাসিনা। দুর্নীতির দায়ে গত বছর খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হয়েছে এবং শেখ হাসিনা আরেক দফায় ক্ষমতায় এসেছেন। এতে (বাংলাদেশ) একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার এবং নিয়ন্ত্রণ আরও পাকাপোক্ত হওয়ার পথে।

কিন্তু কেন এই অযৌক্তিক নির্বাচনী ফলাফল তৈরির প্রয়াস? জরিপের ফলাফলেই এমন আভাস তো ছিল যে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে শেখ হাসিনা সহজ জয় পাবেন। শেখ হাসিনার অর্জনগুলো এখন কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থায় মলিন হবে। তাঁর সমালোচকেরা দেশ ছাড়ুক বা আত্মগোপনে যাক, তাঁরা আরও গলা ফাটাবে এবং তাঁর বিদেশি সহযোগীরা সতর্ক হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগকারী ও বৃহত্তম একক বাজারের দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রচার–প্রচারণাকালে ‘হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য খবরাখবরে’ উদ্বেগ জানিয়েছিল। এসব বিবেচনায় নিয়ে সমাধানের জন্য সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানায় পররাষ্ট্র দপ্তর। অনুরূপভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নও নির্বাচনী সহিংসতা ও ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধকতাসমূহ’ যা নির্বাচনী প্রচার ও নির্বাচনকে ‘ম্লান’ করেছে, তা তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।

শেখ হাসিনা এসব সমালোচনা সম্ভবত আমলে নেবেন না। কিন্তু যেসব দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা–বাণিজ্য করছে এবং দেশটি দারিদ্র্য থেকে উঠে আসায় আনন্দিত, তাঁকে ও তাঁর মিত্রদের তাদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া উচিত যে মানবাধিকার উন্নয়ন ও অগ্রগতির এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ জানু ১৬,২০১৯ 

City traffic signals remain inoperative for 14 years

Shahin Akhter 

The traffic signals at important and busiest intersections in the capital have now become only fossilised symbols of one of many ineffective traffic management efforts introduced by successive governments.

The existing traffic signal system in the city was installed around 14 years ago while the traffic police still control the traffic manually as the signals remain inoperative due to lack of maintenance and coordination among the authorities concerned. 

Along with signals, other traffic management initiatives including semi-automatic remote controlled traffic signal system, timer countdowns and digital display boards installed at intersections at a huge cost have by now turned into mere showpieces. 

Traffic engineering and rights activists observed that formal traffic system would not only reduce traffic congestion but also cut down on corruption. 

On Tuesday, home affairs minister Asaduzzaman Khan inaugurated the traffic discipline quarter while Dhaka Metropolitan Police has taken initiatives to operate signals automatically through remote controls on airport-Zero Point corridor. 

Traffic police, however, were seen controlling traffic manually at Karwan Bazar, Banglamotor and Zero point intersections.

‘Traffic signals are just showpieces, they are useless,’ said Zahidul Islam, an Agargaon resident.

‘While the slogan of the government is in favour of a digital Bangladesh, how come the traffic signals are yet to be digitalised,’ asked Mimi, a Rampura resident. 

Back in 2005, seventy traffic signals were installed at major intersections of the city at a cost of Tk 13 crore under the World Bank-funded Dhaka Urban Transport Project.

In October 2009, the two city corporations in the capital installed timer countdown systems at 70 intersections and 30 new signals in the same year at a cost of Tk 96.71 lakh under WB funded Clean Air and Sustainable Environment project.

There are at least 17 big and 14 small digital display boards at key points of the city to remind drivers and others about traffic rules and speed limits that remain largely ignored after DMP had set these up at a cost of Tk 27 crore. All these now lie in a state of disuse. 

‘The current condition of the signals is proof that we are yet to enter the era of formal operation of traffic signals,’ said Bangladesh University of Engineering and Technology’s Accident Research Institute former director and civil engineering department Professor Moazzem Hossain. 

The professor, an expert in the field of transportation and traffic engineering, observed that after 14 years of installation the signals were yet to be used following absence of relevant institutional infrastructures, funding and trained manpower. 

‘Due to lack of continuity after implementation of projects everything in our country returns to the square one,’ he observed. He also demanded a sustained commitment for maintaining the traffic signals and coordination among all authorities concerned. 

Passenger Welfare Association of Bangladesh secretary general Mozammel Haque Chowdhury alleged that the authorities concerned were not interested to make traffic system digitalised. If these signals became digitalised then there would be less opportunity for a section of dishonest traffic police to extort money from people, he argued.

‘For a positive change in the road transport sector, the government should have made these signals digital,’ he said. 

DMP joint commissioner traffic (north) Mosleh Uddin Ahmed said they were yet to get remotes for the intersections under his area – Sonargaon, Farmgate, Bijoy Sarani, Jahangir Gate, Mohakhali, Kakoli, and Airport for operating remote control operated units.

Dhaka Transport Coordination Authority executive director Khandakar Rakibur Rahman said they would call a coordination meeting soon on overall issues related to traffic signals.

  • Courtesy: New Age /Jan 16, 2019

Make Ducsu centre of all campus activities

EDITORIAL

An election long overdue


It is good to learn that the DU authorities are hoping to hold the Dhaka University Central Students' Union (Ducsu) election by March 31 this year. The Supreme Court (SC) order delivered on January 6, 2019 has also made it mandatory for the DU authorities to hold the election. The last Ducsu election was held in 1990 and Ducsu was dissolved in 1998. Since then no elections have been held despite repeated demands by various student organisations. As the long-awaited election is going to be held after a gap of 28 years, different student organisations as well as the general students have high expectations from this election. Since presently, there exists no student body in the campus to look after the needs and concerns of the students, Ducsu can again take on the role of looking after the welfare of general students.

Many student organisations believe that there are some rules in the Ducsu constitution which are curbing democratic values and so need to be amended. As a committee was formed which has now been working with various student organisations of the campus and listening to their proposals, we hope that the DU authorities will be able to take a decision to amend the constitution after evaluating their proposals.

Needless to say, conducting Ducsu election regularly is crucial for ensuring a healthy educational environment in the campus. Over the years, the democratic environment in public universities has disintegrated as student politics has become party-oriented and violence on campus has become rampant. There is no coexistence of student organisations on campus. Only through a fair Ducsu election can this culture be changed.

Ducsu was established in 1922, a year after DU was established, to promote cultural activities within the university and foster a spirit of cooperation among students. We hope with the revival of the Ducsu, DU will reclaim its place as the centre of cultural and intellectual activities which it is supposed to be. 

  • Courtesy: The Daily Star/ Jan 16, 2019

RMG workers still fearful of dismissal; security heightened in Ashulia


Amid deployment of a large number of law enforcers following eight days of unrest in the RMG sector, workers, in larger numbers than yesterday, were seen filing into work in Ashulia.

The number of workers returning to work today was significantly higher than that of yesterday, reports our Savar correspondent.

Members of law enforcing agencies were seen at different point of Ashulia, on the outskirts of the capital, in the morning.  

Despite a large number of them showing up at work today, there was still fear of reprisal amongst many of them, the correspondent said.

A total of 287 RMG workers of Metro Knitting and Dyeing Mills Ltd Factory 2 were dismissed yesterday, Atiqul Islam, general manager (corporate) of the factory, told the correspondent today.

The workers were given wages of 45 days before their dismissal, Atiqul said.

They were dismissed on the condition that the cases filed against them over the recent RMG workers’ agitation would be withdrawn, said Al Kamran, a workers’ leader of Shadhin Bangla Garments Worker Employee Federation.

However, the cases were not withdrawn till last night, the correspondent confirmed.

The worker leaders have disapproved of this dismissal and one of the leaders wishing anonymity said “it would be better to terminate the workers, because in that case they will get two months wages. But dismissal and suspension are very harmful for the workers.”

WHAT WERE THE WORKERS DEMANDING?

The workers alleged that the monthly wage in the seventh grade increased to Tk 8,000 from Tk 5,300 as per the latest gazette published by the government last year. But, the salary of the workers in other grades did not increase at the same rate.

The salary hike for the entry-level workers was more than that of their senior operators, who have been working for more than seven to eight years. The new wage has been effective from December 1. Major disparity in the salary hike was noticed in the third and fourth grades as their salaries were not raised like that of entry-level workers.

In most of the grades, other than the seventh, only Tk 500 was raised in the new salary structure, whereas an entry-level worker's salary had increased by Tk 2,700 at one go.

THE LATEST POLICY DEVELOPMENT

After nearly one and half months of protests, the government has revised the pay structure for the garments industry workers giving a raise between Tk 15 to Tk 786.

This revision was the raise from the new wage board put into effect from December 2018.

Meanwhile, apparel industry workers had threatened the workers to shut down the factories if they do not return to work from Monday.

  • Courtesy: The Daily Star /Jan 16, 2019