Search

Tuesday, February 28, 2017

আপনার পরিবারকে খাবে


জিয়া হাসান

গ্রাফিক্স - দৈনিক শেয়ারবিজ
বাংলাদেশের শাসক শ্রেণি সব সময়েই লুটেরা ছিল। কিন্তু, ক্ষমতা পরিবর্তনের ভয়ে, তাদের মধ্যে কিছুটা হলেও চেক এন্ড ব্যালেন্স ছিল।

কিন্তু যখনই সে ‘আইডেন্টিটি পলিটিক্স’ দিয়ে নাগরিককে বিভাজন করতে পেরেছে -  শাহবাগি আর হেফাজতিতে, সেকুলার এবং ইসলামিস্টে, আর কর্পো-পলিটিকো-সিভিল-মিলিটারি-বুরোক্রেসি-মিডিয়ার এলিটদেরকে সন্তুষ্ট করেছে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে, মরুদাসের লাশ, নারী শ্রমিকের ঘামের ডলারের উপরে নির্মাণ করেছে উন্নয়নের আষাঢ়ে গল্প, সত্যকে নির্মাণ করেছে পোষা মিডিয়া দিয়ে, প্রশ্নহীন চেতনাকে দাঁড় করিয়ে মানুষের প্রশ্ন করার ক্ষমতাকে ধ্বংস করেছে তখনই সে পেরেছে যূথবদ্ধ নাগরিকদেরকে ভেঙ্গে একেকটা বিচ্ছিন্ন ক্ষমতাহীন এটম তৈরি করতে। এবং তখনই নিশ্চিত হয়েছে তার ৫০ বছরের শাসন।

এবং তখনই এতো বছরের লুটেরাদের নিয়ন্ত্রিত লুটের জায়গায় সে ইংরেজ নীলকরদের থেকে বেশী বেপরোয়া হয়ে গেছে। এখন আর তার কোন লুকানোর দায় নাই, জবাবদিহিতার ভয় নাই। এখন ভীষণ, ভীষণ রকম ২০৪১।

তাই ৯১ এ আমাদের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের পর ২০১৪ সাল পর্যন্ত এক বার্নার বা দুই বার্নার গ্যাসের দাম প্রতিটা সরকারের আমলে সর্বোচ্চ যেখানে বেড়েছে ১৪০ টাকা এবং ১২০ টাকা - ২০১৪ সালের পরে সেই দাম সে বাড়িয়ে নিয়েছে ৫০০ টাকা।

এ খাই খাই কোথায় গিয়ে আপনাকে খাবে, সেইটা এখনো দেখেন নাই।

ব্যাংক, সুন্দরবন, নদী, শেয়ারবাজার, শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রতিষ্ঠান, বাজার, ব্রিজ, রেলওয়ে, রাস্তা সব কিছু খেয়ে এর খিদা মিটবেনা। কারণ দিনে দিনে তার হা বড় হচ্ছে। সব খেয়ে যখন তার খাওয়ার মত তেমন কিছু থাকবেনা, সে আপনার বেডরুমে এসে আপনাকে খাবে, আপনার পরিবারকে খাবে। অপেক্ষা করেন। 
তথ্য সূত্রঃ দৈনিক শেয়ারবিজ।  

  •     জিয়া হাসান লেখক, উদ্দোক্তা এবং ইন্টারনেট এক্টিভিস্ট।

Monday, February 27, 2017

বিএনপি বিশ্ব স্বীকৃত জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল — সাবিনা আহমেদ

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র পতাকা

কানাডার একটি আদালতের দেয়া রায়কে দেশেবিদেশে জনগণ,  বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন ও ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত করতে অসত্যভাবে উপস্থাপন করে চলেছে বাংলাদেশের স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী। 

চলুন দেখি কানাডার আদালতের জুডিশিয়াল রিভিউতে এই ব্যাপারে কি লেখা আছে।

জুয়েল হোসেন গাজী কানাডায় পৌঁছেন ২০১৩ সালের ১৮ই জনুয়ারি। ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি কানাডায় রেসিডেন্সি পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। 
রেসিডেন্ট ভিসা অ্যাপ্লিক্যান্ট গাজী নিজেকে বিএনপির সদস্য বলে উল্লেখ করেন। গাজী তার অ্যাপ্লিক্যাশানে এমনভাবে কেইস সাজানোর চেষ্টা করেছেন যাতে তার আবেদন কানাডা মঞ্জুর করতে বাধ্য হয়। তিনি বিএনপির কাঁধে বন্দুক রেখে উদ্দেশ্য সাধন করতে চেয়েছেন।  বিএনপিকে তিনি নিজেই প্রথমে সন্ত্রাসী দল বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন বিএনপি হরতাল চলাকালে সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত থাকলেও নিজেকে যে কোন সন্ত্রাসী কাজ থেকে দূরে রেখেছেন। এখন দেশে ফিরলে বিএনপি তার জান নেয়ার চেষ্টা করবে, অতএব,  কানাডা তাকে রেসিডেন্ট ভিসা দিয়ে কানাডায় থাকার অনুমতি দিক। কিন্তু পরিশেষে নিজের জালে নিজেই ধরা পড়ে যান গাজী । ইমিগ্রেশান প্রক্রিয়ার  প্রথম ধাপ পার হতে পারলেও দ্বিতীয় ধাপে আটকে যান তিনি। এদিকে,  বিএনপি বলেছে যে এই গাজী তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সদস্য নন। জুয়েল হোসেন গাজী নামে কেউ বিএনপির কোন পর্যায়ের কোন কমিটিতে নেই। কানাডার আদালত, বিএনপির কেউ নন, এমন একজনকে বিএনপির লোক হিসেবে বিবেচনা করেছে! 
যাহোক, ২০১৬ সালের মে মাসে গাজীর রেসিডেন্সির আবেদন রিভিউ করে নাকচ করে দেয় আদালত। 

উল্লেখ করা যায় যে ২০১৫ সালে আমেরিকার আদালতের মতে বিএনপি কোন সন্ত্রাসী দল নয়। US Immigration Court, dated July 2015, which found that the BNP had not 'evolved into a terrorist organization'. আর আমেরিকা এই রায় দিয়েছে প্রমাণ বা 'preponderance of evidence' এর ভিত্তিতে। 

কানাডার আদালতের রিভিউয়ে হরতাল বা ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের সব দলকেই একই ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। 

"The BNP and the Awami League have been the two main political parties in Bangladesh. As counsel for the applicant has noted, politics in Bangladesh is a violent affair. In that respect both parties have engaged in similar tactics. One such practice is the use of general strikes (hartal) as a form of political protest." 


বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।


কানাডার আদালতের রিপোর্টে থাকা দুইটি নিউজ এই ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য —  

১। Congressional Research Service report, CRS report:
“Both the AL and the BNP, when out of power, have devoted their energies to parliamentary boycotts, demonstrations, and strikes in on effort to unseat the ruling party. "
২।  The Immigration and Refugee Board of Canada IRB Report:
"Both government and opposition party supporters used armed violence and intimidation to enforce hartals or disrupt rival parties' demonstrations and street rallies."
অতএব, আওয়ামী লীগও কানাডার আদালতের চোখে ধোয়া তুলসি পাতা নয়। এই ব্যাপারে তাদের বিচারে দুই দলই নিদেন পক্ষে একই অবস্থানে আছে। আর এতে বরং তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত যে তারা দেশে সুষ্ঠু রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

সর্বশেষ কথা, কানাডার সরকার বিএনপিকে কখনই জঙ্গি দল হিসাবে লিস্টেড করে নাই। আদালতের রিভিউ রিপোর্টেই এই কথা লেখা হয়েছে, "the Canadian government has not listed the BNP as a Listed Terrorist Entity" 

আর আমেরিকান সরকার এবং আদালতের প্রমাণের ভিত্তিতে বিএনপি কোন জঙ্গি বা সন্ত্রাসী দল নয়। বরং দলটি আধুনিক ও গণতন্ত্রবাদী দল হিসেবে ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিতি লাভ করেছে। দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিশ্ববাসী 'গণতন্ত্রের মাতা' বলে ডাকে। আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 


লেখাটি কানাডার আদালতের রিভিউ ডকুমেন্টে ফাইল #IMM-2401-16 এর ভিত্তিতে লেখা। 
  •      লেখক ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিস্ট।

Sunday, February 26, 2017

The govt spin of Canada corruption ruling

David Bergman / Scroll.In


On Tuesday, BGR group, a Washington based lobbying firm working for the Bangladesh government, sent out a press advisory titled, Canadian court vindicates Bangladesh on Padma bridge case; baseless World Bank claims discredited.

The press advisory stated that a Canadian court had ruled that there was no “credible, compelling and corroborated” evidence and no “reasonable and probable grounds to believe” that corruption had occurred in the construction of the Padma bridge, a mega project in Bangladesh, which was to be partly funded by the World Bank until it suspended its $1.2 billion loan in 2012 alleging a “high-level corruption conspiracy”. The advisory was e-mailed to the media along with a message stating that the Canadian court had also held that the corruption allegations against the Bangladesh government “were baseless”.

Sajeeb Wazed Joy, the son of Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina and the government’s chief Information Technology advisor, also made similar claims in an article on his Medium blog titled, World Bank owes Bangladesh an apology after failed attempt to defame country, where he wrote that the Canada court had stated that the evidence of corruption in the project “was based on ‘gossip and rumour.’ In other words, it was made up”.

These views are not restricted to government representatives. Bangladesh’s media appears to be in almost complete agreement that the Canadian court proceedings have proven that the corruption allegations were a hoax, and that the country was the victim of a conspiracy involving the World Bank and other so called anti-national elements.

Even The Daily Star, Bangladesh’s leading independent English language newspaper, reported on its front page that the Canada court “has literally trashed the investigation by Canadian police and evidence of World Bank” and held that “the allegations were based on nothing more than ‘gossip, speculation and rumour’”.

Alternative facts


Yet, despite the widespread unanimity, these comments are wholly inaccurate. They misrepresent – indeed distort – the nature of the court proceedings in Canada, which, earlier this month, resulted in the acquittal of three business executives accused of corruption in the Padma project.

Whilst a Canadian court did rule in January that certain information in the case was “nothing more than speculation, gossip and rumour”, this conclusion only applied to information contained in four e-mails from so-called “tipsters” that triggered the police and World Bank inquiries in early 2011. It did not apply to the evidence they collected as a result of the subsequent investigations.

In fact, the court ruling – which the BGB Group, the prime minister’s son and the Bangladesh media refer to – had absolutely nothing to do with the strength of the World Bank or police evidence substantiating claims of corruption within the Padma bridge project, or indeed the merits of the prosecution case against the three accused.

The consultancy contract


The corruption allegation concerned a relatively small construction supervision contract worth about $50 million that was tendered by the Bangladesh Bridge Authority, the executing agency for the project.

In December 2010, five shortlisted companies were ranked in order of their technical qualifications for this contract, and then at the end of March 2011, re-ranked taking into account how much money they sought to do the work. This resulted in the large Canadian engineering company SNC Lavalin coming second, behind the UK engineering company, Halcrow.

Two months later, however, on June 12, the Bangladesh Bridge Authority wrote to the World Bank awarding the contract to SNC Lavalin, claiming that there were”issues/concerns” regarding Halcrow’s financial and technical proposals.

Investigations start


In the first few months of 2011, some months before SNC Lavalin was awarded the contract, the World Bank received four e-mails claiming that SNC Lavalin officials were seeking to corrupt the bidding process and offer bribes to Bangladesh government officials in order to win this consultancy contract.

On the basis of this information, Integrity Vice Presidency, an independent unit within the World Bank started inquiring into the matter, and in March that year passed on the e-mails to the Canadian police, which started its own investigation the following month.

In May that year, just weeks into its investigation, and on the basis of the four e-mails forwarded by the World Bank, a Canadian court authorised the police to intercept private communications of certain individuals. The authorisations were renewed in June and August 2011. The information provided to the court to obtain these authorisations were six years later the subject of the January ruling in Canada that has been so distorted by Bangladesh government representatives and the media.

Post-May 2011 investigation


Before looking at that recent ruling in Canada, it is important to note that post-May 2011, investigations by both the World Bank and the Canadian police continued apace.

In September, four months after the intercept authorisations were provided, Canadian police raided SNC Lavalin’s Oakville office and in April 2012, a year into its investigation, the police charged two low level officers of the Canadian company for bribery offences.

World Bank investigations were also continuing, with the international lender now describing the incident as a “high-level corruption conspiracy among Bangladeshi government officials, SNC Lavalin executives, and private individuals”. It stated that it had “credible evidence corroborated by a variety of sources”, to support this claim.

Two months later, in June 2012, the international lender announced that it was suspending its loan, and in January 2013, a panel of eminent experts, appointed by the World Bank wrote to the Anti-Corruption Commission in Bangladesh setting out the conclusions of their investigations up to that date. These included details of meetings, emails and agreements that were said to have taken place between SNC Lavalin and Bangladesh government officials. The letter was leaked to the media providing the public with the first opportunity to see the extent of the evidence alleging corruption.

The information in the letter is significant as it shows that the four 2011 e-mails sent by tipsters to the World Bank and passed on to Canadian authorities were the beginning, and not the end, of the World Bank investigation.

Following the letter, in April 2013, SNC Lavalin accepted a Negotiated Resolution Agreement, which meant that along with its affiliates, the company would be barred from bidding for World Bank contracts for 10 years. This is particularly significant as one of the four criteria required before the international donor agrees to a negotiated settlement is: “Whether an accused party has admitted culpability”. It is fair to assume that SNC Lavalin had done so.

Four months later, in September 2013, the Canadian police charged three additional men, including a former senior executive of SNC-Lavalin and a former state minister for foreign affairs Abul Hasan Chowdhury of bribery offences.

The January ruling


By the end of 2016, there remained only three Canadian citizens, including two former executives of SNC Lavalin charged with bribery offences relating to the alleged Padma bridge corruption case. With a trial imminent, these three accused challenged the legality of the judicial decision made in May 2011, which had authorised the use of wiretaps.

The wiretaps were crucial to the prosecution as it was, in part, relying on the information obtained from them to substantiate its case against the three accused.

To determine whether the original authorisation was legally justified, the new judge had to review whether the court in May 2011 was right to have concluded that the information, provided by the police showed that there were “reasonable and probable grounds [that] an offence is being or has been committed”. Mere suspicion was not sufficient, the information had to be “compelling, credible and corroborated”.

In its application requesting permission for the use of wiretaps six years ago, the Canadian police had relied primarily on the information set out in the initial four e-mails that had triggered the investigation.

It was an assessment of the adequacy of this evidence – and this evidence alone – that resulted in Justice Ian Northeimer concluding that it was not sufficient to justify wiretap authorisation, and on which he made his widely quoted criticisms.

The judge said:


“Reduced to its essentials, the information provided [in the May 2011 application] was nothing more than speculation, gossip and rumour. Nothing that could fairly be referred to as direct factual evidence, to support the rumour and speculation, was provided or investigated.”

To avoid any ambiguity, however, the judge specifically stated that his ruling did not consider any evidence collected by the Canadian police after May 2011.

Justice Northeimer stated:


“[T]he focus is on the information available to the police at the time of the application rather than information that the police acquired after the original application [to wiretap] was made…

“I have specifically not reviewed the information provided from the intercepted communication.”

Implications of the ruling


Though the ruling did not concern the overall evidence substantiating corruption in the tender, or more specifically the merit of the prosecution case against the three accused, the ruling did have significant implications. It meant that the evidence obtained from surveillance, which had initially been authorised six years earlier, was no longer admissible in the criminal trial.

The prosecution now had to decide whether, without the wiretap evidence – which was presumably incriminating as otherwise the accused would not have challenged its admissibility – it still had enough evidence to provide a “realistic prospect of conviction”.

A month later, on February 10, the Canadian prosecutor told the judge that without the surveillance evidence it would not proceed further. The court then acquitted the three men.

Distorting the ruling


Those who claim that the Canadian proceedings prove that the World Bank allegations were baseless or that the evidence was made-up are distorting the contents and meaning of Justice Northeimer’s January ruling.

Putting it charitably, they have failed to understand three things about it. First that the judge was only assessing the initial information that the police had in its possession one month after it started its investigation – the information that triggered subsequent inquiries. Second, that the judge’s criticism was only made in the context of a police application seeking judicial authorisation to undertake communication surveillance. And third, that the review undertaken by the judge was not concerned about any of the evidence subsequently collected by the World Bank detailed in its letter to the Anti-Corruption Commission in January 2013, or the evidence collected by the Canadian police.

Despite this reality, the language of the Canadian court ruling, combined with the subsequent acquittal of the three men accused of corruption, has allowed Bangladesh government representatives to create a strong fictional narrative that appears credible to those unaware of the details of the court proceedings.

Since in the current political climate few in Bangladesh will dare to confront this fictional narrative, the government is likely to exploit the situation and seek to show that the government is free from corruption, that it is a victim of conspiracies by international bodies like the World Bank and foreign police forces, and that civil society organisations, particularly those raising issues of corruption, cannot be trusted.

Truth, however, is a stubborn thing. So even in this new post-fact world, saying inaccurate things about Canadian judicial orders may just come back to bite the government.

ভুয়া সংবাদে বিএনপি যখন ‘সন্ত্রাসী দল’!

মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে


পেশাগত সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে জনসচেতনতা হচ্ছে ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চালিকা শক্তি। সে জন্য নৈতিকতাসম্পন্ন সাংবাদিকতা করতে গেলে তথ্যের মুক্ত আদান-প্রদানে হতে হয় নির্ভুল, স্বচ্ছ ও যথোপযুক্ত। তাই নৈতিক সাংবাদিক মাত্রই কর্মে হন শুদ্ধ ও সত্যশীল। কেননা তাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হয়, তিনি সতর্ক, সাহসী ও দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে সত্য অন্বেষণে সংবাদ পরিবেশন করেন; ঔদ্ধত্য বা খামখেয়ালিতে কাউকে অহেতুক অপরাধী প্রতিপন্নের অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকেন; জনগণের সেবার ব্রতে সংবাদ ও প্রচারণার পার্থক্য বুঝে বিনা স্বার্থে স্বতন্ত্র অবস্থানে অবিচল থাকেন এবং সর্বোপরি জনগণের কাছে জবাবদিহিতায় নিজেকে সদা স্বচ্ছ রাখেন। এই চারটি বিশেষ গুণাবলিই হচ্ছে নৈতিক সাংবাদিকতার মানদন্ড। সেটাই সাংবাদিকতায় শেখানো হয়।

এখন সেই শিক্ষায় যেন গুড়েবালি! সত্য হয়েছে সত্যোত্তর। অর্থাৎ ‘ট্রুথ ইজ পোস্টট্রুথ’। বিশ্বে ২০১৬ সাল তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কেননা কদর্য রাজনীতি ও সংযোগ স্থাপনের বিপ্লবে মিথ্যার প্রসারতা, ভুল ধারণা দেওয়া বা বোঝানো ও সন্দিগ্ধ প্রবণতা এক বিশেষমাত্রায় উচ্চকিত হয়েছে। ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্যুতি বা ‘ব্রেক্সিট’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত বিজয়, এ দুটো ঘটনাই সেই সত্যকে সত্যোত্তর করেছে। অর্থাৎ ধারণাতীত বিষয়কে বাস্তবসম্মত করেছে।

এতে ‘নৈতিক সাংবাদিকতা’ বিবর্জিত প্রেক্ষাপটে একটি ভুয়া সংবাদে রাজনৈতিক দল বিএনপি ‘সন্ত্রাসী দল’ প্রতিপন্ন! শুধু গণমাধ্যমের সংবাদ প্রচারণায় নয়, বরং ওই সংবাদ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এমনকি বিভিন্ন টিভি ‘টকশো’র উপজীব্য হয়েছে। যে ব্যক্তিটি ওই সংবাদের উৎস হয়েছেন তার পরিচয় কী? কী তার নৈতিক অবস্থান? ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে তার ‘দাসত্বের’ ইতিবৃত্তটি প্রকাশ পেয়েছে। শুধু তাই নয়, এই টরন্টোয় ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের জুন নাগাদ তার পরিবেশিত অন্তত দুটি মিথ্যা বা ভুয়া সংবাদ পরিবেশনার যথোপযুক্ত প্রমাণাদি আমার সংগ্রহে রয়েছে। সর্বশেষটি কানাডার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল লিবারেল পার্টির সংসদ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিজেই আমি তাকে ই-মেইলে নোটিস দিয়েছি। তা পেয়েই ফোনে জানান, সংশোধন করবেন; কিন্তু করেননি।

তেমনি ‘সন্ত্রাসী দল’ হিসেবে বিএনপিকে প্রতিপন্নে ‘জুডিশিয়াল রিভিউ’ বিষয়টি ওই সংবাদ পরিবেশকের কাছে ছিল বোধগম্যহীন! কেননা ‘রিভিউ’ যে পুনর্বিবেচনা, সেটি ছাড়াই প্রত্যাখ্যাত রায়ে বর্ণিত কার্যকরণ ‘সন্ত্রাসী দল’ লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছে, যা দায়িত্বহীনভাবেই অন্যরা সংবাদ পরিবেশনায় লুফে নিয়েছে। তাতে সংবাদের ‘সিক্স-সিগমা’ বা ‘ফাইভ ডব্লিউ ওয়ান এইচ’ বা প্রকৃত তথ্য উন্মোচনগত বিষয়াবলির মাঝে ‘ওয়ান এইচ’টি ছিল নিরুপায় উদাও!

সাধারণ মাত্রই বুঝবেন, যে ‘তথাকথিত’ শরণার্থী মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন গাজী কানাডায় অভিবাসনের ক্ষেত্রে নিজের দল বিএনপি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পরিপূরণে সশস্ত্র সংগ্রাম ও সহিংসতা করে থাকে’, এমনকি ‘অস্ত্রেশস্ত্রে যুদ্ধংদেহী হয়। তারা হাতবোমা, পিস্তল ও বড় তরবারি ব্যবহার করে। তারা হরতাল বা মিছিল চলাকালীন সরকার পক্ষের লোকদের উপর আক্রমণ করে’- এমন স্বীকারোক্তিমূলক বর্ণনায় তার কানাডায় অভিবাসন হতে পারে? বলাবাহুল্য, ওই ‘বেসিস অব ক্লেইম’-এর ভিত্তিতে সম্পূরক বিশ্লেষণে প্রথমে উচ্চপদস্থ একজন অভিবাসন কর্মকর্তা তার স্থায়ী অভিবাসনের আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেন, যা আবার শেষটায় ফেডারেল কোর্টে রিভিউর আবেদন করলে একই কারণে বহাল রাখা হয়। বিচারক হেনরি এস ব্রাউন ৩৩ পৃষ্ঠা সংবলিত ওই রায়ে সম্পূরক কার্যকারণ বিশ্লেষণ সাপেক্ষে মাত্র দুই লাইনের রায়ে লিখেন: ‘দিস কোর্টস জাজমেন্ট ইজ দ্যাট দ্য অ্যাপ্লিকেশন ফর জুডিশিয়াল রিভিউ ইজ ডিস্মিসড্, নো কোয়েশ্চেন ইজ সার্টিফাইড অ্যান্ড দেয়ার ইজ নো অর্ডার অ্যাজ টু কস্টস’। অর্থাৎ এই কোর্টের রায়টি হচ্ছে আবেদনকারীর আইনি পুনর্বিবেচনাটি বাতিল করা হলো, কোনো প্রশ্ন সত্যায়ন করা হয়নি এবং খরচ প্রদানেরও কোনো আদেশ দেওয়া হয়নি।

প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে যারা শরণার্থীর ‘বেসিস অব ক্লেইম’-এর উল্লেখ ছাড়াই কোর্টের রায়ে কার্যকরণে বিবৃত সম্পূরক বিশ্লেষণ থেকে বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ প্রতিপন্নের মতো বিভ্রান্তি ছড়ান, তারা নৈতিক সাংবাদিকতার মানদন্ডে কতটা ‘সত্যকে সত্যোত্তর’ করেন; বিষয়টি ভাবনার বৈ কি! 

Sunday, February 19, 2017

কল্পকথার কারিগররা শান্ত হোন

শওকত মাহমুদ 

বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া


লক্ষ করছি, একটা কল্পকথাকে বাস্তবতার পোশাক পরিয়ে খবর বানানোর মতলবি কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে ইদানিং। তবে ব্যাপারটা এখানেই শেষ নয়, ঐ জল্পনা থেকে একটা জনবয়ান গড়াপেটার অপচেষ্টাও আছে একই সঙ্গে। বিশ্বের এক নম্বর পাবলিক ইনটেলেকচুয়াল নোয়া চমস্কি’র ভাষায় যেটা কিনা Consent making - দুরভিসন্ধিমূলক অনুমানকে খবর বানিয়ে ভুয়া মতৈক্য তৈরি করা। ফ্যাসিবাদের ধর্মই হলো, জনমানসকে পরিচালনা করতে গিয়ে খবরকে ঢেকে দেয়া আর খবরকে,  ট্রাম্প গংয়ের মতে, Alternative truth , বানিয়ে তোলা। ক’দিন ধরে ইতি-উতি একটা প্রচারণা দেখছি। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নাকি কারাদণ্ড হয়ে যাচ্ছে, তিনি গ্রেফতার হয়ে জেলে ঢুকছেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে কাজ চলছে কে বা কারা দলের দায়িত্ব নেবেন, কতক বুদ্ধিজীবী নাকি প্যানেলও বানিয়ে ফেলেছেন ইত্যাদি, ইত্যাদি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে জিজ্ঞেসও করা হয়ে গেছে কবে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে গ্রেফতার করা হবে। রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় থই থই ভাবের ও. কাদের প্রশ্নকর্তাকে লুফে নিয়ে জবাব দিলেন, না না সরকার করবে না, আদালত যদি দন্ড দেয়, আমাদের কিছু করার নেই। জার্মানিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীও উচ্চস্বরে বেগম জিয়াকে গাল দিয়ে একই কথা বলেছেন। এসব চিত্রনাট্যের মূল টার্গেট, বেগম জিয়াকে অস্থির করে তোলা। আর বিএনপি নেতা কর্মীদের বিভ্রান্ত করা। ভাবখানা হলো, নিশ্চিতই জেলে যাচ্ছেন বেগম জিয়া, বিএনপি নামক দলটা গলাপানিতে ডুবছে।

আসল অবস্থানটা বলছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মোটেও অস্থির নন। বরং আগের চাইতে বেশি সুস্থির ও আত্মবিশ্বাসী। আর নেতাকর্মীরা অনেক উজ্জীবিত। এটা সত্য, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা মামলাগুলির বিচারিক গতি বেশ দ্রুত। অসুস্থ নেত্রীকে আদালত ঘন ঘনই ডাকছে এবং বলাই বাহুল্য আদালত ঘিরে জনসমাগমও বাড়ছে। কিন্তু কখন কবে কি সাজা হবে অথবা আদৌ হবে কি না, হলেও এসবের রাজনৈতিক দায় বহন করার সক্ষমতা ফ্যাসিবাদী সরকার রাখে কিনা - সে সব প্রশ্ন আছেই। ঝড় একটা উঠবেই বাংলাদেশ জুড়ে এবং বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদটা আন্তর্জাতিক দুরবিনে আবার স্পষ্ট হবে। এক-এগারোর সময় করা মামলাগুলিতে বেগম জিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনাও আসামী ছিলেন। কিন্তু এক যাত্রার পৃথক ফল হয়েছে স্রেফ প্রতিহিংসার কারণে। শেখ হাসিনা নিজে ওসব মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন, বেগম জিয়া পান নি। কারণ শেখ হাসিনার ফয়সালা হলো, তিনি বেগম জিয়া, বিএনপি তথা বিরোধী দল ও মতকে নির্যাতনে-নিপীড়নে রক্তাক্ত করবেনই। কিন্তু বড় ভুল করে ফেলেছেন তিনি। হয়তো অ-নির্বাচিত শাসনকে প্রলম্বিত করতে পেরেছেন, কিন্তু পরিণতি হচ্ছে আওয়ামীলীগের জন্য এক দীর্ঘ অন্ধকার ভবিষ্যৎ। জনরোষ প্রায় বিস্ফোরোন্মুখ। বিএনপি কিছু পারে না - এমন আত্নতৃপ্তিতে শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে যত ঢেঁকুর তোলেন অন্তরে তাঁর ততই জ্বালা । নইলে হররোজ তিনি শহীদ জিয়া, বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে অশ্রাব্য ভাষায় গাল-মন্দ করেন কেন? তিনি কি সুরা হুজরাত-এর ১১ নম্বর আয়াতটি পড়েন নি? এতে সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেছেন,

“কোন নারী অপর কোন নারীকেও যেন উপহাস না করে, কেননা যাহাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা উত্তম হইতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করিও না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডাকিও না। ঈমানের পর মন্দ নাম অতি মন্দ। যাহারা তওবা না করে তাহারা জালিম।”

হিটলারের “সুহৃদ” স্টালিনের শাসন সম্পর্কে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি চিঠিতে বলেছিলেন,

“মানুষের ব্যষ্টিগত ও সমষ্টিগত সীমা এরা যে ঠিকমতো ধরতে পেরেছে তা আমার বোধ হয় না। সে হিসেবে এরা ফ্যাসিস্টদের মতো। এই কারণে সমষ্টির খাতিরে ব্যষ্টির প্রতি পীড়নে এরা কোন বাধাই মানতে চায় না। ভুলে যায় ব্যষ্টিকে দুর্বল করে সমষ্টিকে সবল করা যায় না। ব্যষ্টি যদি শৃঙ্খলিত হয় তবে সমষ্টি স্বাধীন হতে পারে না। এখানে জবরদস্ত লোকের একনায়কত্ব চলছে। এই রকম একের হাতে দশের চালনা, দৈবাৎ কিছুদিনের মতো ভাল ফল দিতেও পারে, কিন্তু কখনোই চিরদিন পারে না ।”

শেখ হাসিনারও একিই পরিণতি হতে পারে। দুই নেত্রীর একজন দণ্ডিত হলে বা জেলে গেলে আরেকজনের বাইরে থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আর পরিবর্তন হলে? 

সূরা আনআম-এর ৪৭ আয়াতে সর্বশক্তিমান আল্লাহ হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে বলেছেন,

“দেখো তো, যদি আল্লাহর শাস্তি আকস্মিক কিংবা প্রকাশ্যে তোমাদের উপর আসে, তবে জালেম সম্প্রদায় ব্যতীত কে ধ্বংস হবে?”

প্রখ্যাত ইসলামী লেখক ইবনে কাসীর জানান,

"হজরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন যখন তোমরা দেখো যে কোনো ব্যক্তির উপর নেয়ামত ও ধনদৌলত বৃষ্টি হচ্ছে, অথচ সে গোনাহ ও অবাধ্যতায় অটল, তখন বুঝে নেবে তাকে ঢিল দেয়া হছে।" 

অর্থাৎ তার এই ভোগ বিলাস কঠোর আযাবে গ্রেফতার হওয়ারই পূর্বাভাস। 

২০০৮-এর নির্বাচনে বেগম জিয়া জামিনে মুক্ত হয়ে অংশ নিয়েছেন। পক্ষান্তরে শেখ হাসিনা প্যারালে অর্থাৎ সাময়িক মুক্তি নিয়ে ভোটে যান -  যা আইনের শাসনের বোধ করি ব্যত্যয়। এই প্যরোলের ভবিষ্যৎ কি আল্লাহই জানেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বেগম জিয়া এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনও দুর্নীতি করেন নি। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি জিয়া পরিবারের শ্রদ্ধা যেমন প্রশ্নাতীত, তেমন আর্থিক সততায়ও এই পরিবার সন্দেহাতীত। 

বেগম জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর দুঃসাহস শেখ হাসিনার হবে কি না জানি না । তবে বেগম জিয়ার মনে সম্ভাব্য কারাদন্ড নিয়ে বিন্দুমাত্র দোলাচল নেই । বিএনপি সমর্থিত কোনো বুদ্ধিজীবীও পরবর্তী নেতৃত্ব ঠিক করার ওস্তাগারিতে আছে বলে জানা নেই। কোন কারণে যদি সেই পরিস্থিতি আসে তবে বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানই তো আছেন। প্রবাস থেকে সফলভাবে দল পরিচালনার যথেষ্ট উদাহরণ রয়েছে বিশ্বরাজনীতিতে আর বিএনপির অসংখ্য নেতা ও তৃণমূল কর্মী রয়েছেন যাঁরা এক-এগারোর দুঃসহ সময়ে জিয়া পরিবারের পাশে ছিলেন। তাঁরা অটল, অকুতোভয়, বিশ্বস্ত সঙ্গী। অতএব যারা বানোয়াট খবর বানাচ্ছেন এবং তা দিয়ে হাইকমান্ডের ঘৃণা উস্কে দিচ্ছেন তাদেরকে বলছি - শান্ত হোন।
  • লেখক সাংবাদিক এবং ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। 

Wednesday, February 8, 2017

Rampal: A layman’s perspective

Israfil Khosru

The Rampal issue seemed to have died down. While the opposition against it was and remains quite significant, the media seemed to not cover it with equal significance after a certain point. The media, be it electronic or print, seemed to have implicitly adopted (with few exceptions of course) a uniform policy to black out this story.

The government meanwhile continued to proceed with the 1320 MW plant in question with unflinching fervor and no propensity to compromise. However, the recent attacks by the police on the protestors against the plant in Shahbagh and other parts of the capital city on January 26 seem to have forced the issue back in the information mainstream.

This begs the question, “What makes this plant so unique that the government is willing to take on such overwhelming opposition to forward this agenda?” Let us look at it from a layman’s perspective. The coal-fired plant in question is a partnership between India’s state owned National Thermal Power Corporation and Bangladesh Power Development Board. The joint venture company is known as Bangladesh India Friendship Power Company (BIFPC).

The proposed project, on a substantial area of over 1834 acres of land, is situated 14 kilometers north of the Sundarbans and once implemented will be Bangladesh’s largest power plant. However, basic precondition states that such projects must be outside a 25-kilometer radius of the outer periphery of an ecologically sensitive area. Furthermore, transportation of coal to fuel the plant through the river flow path that cuts through the Sundarbans adds a greater dimension of risk.

While the environmental threat posed by this proposed plant was never in question, a UNESCO report published in 2016 overtly labeled the environmental impact assessment (EIA) undertaken to proceed with the plant to be highly questionable and thus vindicated the general consensus by suggesting the project to be shelved. Various environmental experts have also labeled the EIA to be grossly faulty. In light of the very basic information furnished thus far, let us just say that we have enough materials to comprehend what the activists and the environmentalists are protesting against.
Exploring the fundamental financial viability of the project is likely to open a new can of worms.

Reportedly, 70% of the project is funded by loan and the remaining 30% is shared equally by the Bangladesh and India governments. According to a 2016 report by the Institute for Energy Economics and Financial Analysis, the Rampal power station will produce electricity that will cost 32% more than the average electricity costs in Bangladesh, despite multiple subsidies from Bangladesh and India. Furthermore, the Government of Bangladesh is proposing a tax exemption of 15 years for the plant, which also amounts to a significant figure in terms of revenue loss. Thus a rudimentary view of the financial aspect of the project also point towards ambiguity and encourages no confidence.

Upon exploration of basic facts thus far, from a general citizen’s perspective, there is no perceivable rationale behind driving this project forward with such extant uncertainty. However, if the motivations and the priorities of the state are to be entirely different from what we think it is, such an obdurate position of the government could be understood. Let me further expand on what I am trying to say.

As the Indian government is an equal partner in this project one could argue that the GOB is prioritizing prior commitments/obligations towards its financial partner, which is a neighboring country, over its own constituents. If that is the case, then the issue of environment by default becomes secondary. There is something even greater we have to be concerned about here and that would be the state of our national sovereignty.

The manner in which the government is proceeding with this plant, one cannot be blamed for questioning the loyalty of the state towards its own constituents. Thus far, various phases of the protests against the plant has been met with acrimony by the government followed by the usual failed lip service of defending the project, whereas it should not at all proceed with such a project with even minimal probability of risk.

The bait of ‘development’ has been used incessantly by the government in this regard to justify their position but so far it has failed to produce a viable cost-benefit analysis to appease the real stakeholders. Furthermore, it intentionally shied away from engaging various platforms and pressure groups that oppose the plant as if to avoid any scope of compromise.

The protests are purely about the location of the plant and in no way undermines the need for energy to enable a sustainable economic growth. Hence, the GOB’s intractably static position regarding a possible relocation is rather baffling. Given the events that have unfolded regarding this solitary project so far, one cannot be blamed for thinking that our sovereignty is under threat.

The government can only be judged by the actions it is undertaking and through only positive approaches it can convince the citizens otherwise. If they fail to do so, we will see more Rampals in the future where preservation of Bangladesh’s nature and environmental standards will be never be a priority. We cannot afford to fall prey to hegemonic motivations of external factors that cloud our decision-making process. As the movement to save the Sundarbans gains momentum, time has come for us to acknowledge the fact that something greater than the issue of environment might be at play and has to be addressed to ensure clarification.

The mainstream media in this regard needs to play a proactive role. The Rampal plant has become a symbol of various issues that intertwine to make it significant at various levels and the media’s coverage of it has been rather inadequate and guarded at best in my humble opinion. Like our government, our mainstream media also needs to think seriously about their priorities. There has to be concerted effort in this particular case and sitting on the fence will not bear any fruit.

The writer is a businessman and a concerned citizen.

Tuesday, February 7, 2017

Outcry Grows Against Threat to Rare Bengal Tiger




By Leon Kaye / TriplePundit

 

Bangladesh may have delivered its climate action plan well before the 2015 COP21 climate talks in Paris, but the country’s leaders are sending mixed messages with their determination to build a $1.7 billion coal-fired power plant. The problem with the 1.3-gigawatt project, however, goes beyond worsening the country’s struggles with air pollution — which, according to the World Bank, contributes to 230 million cases of respiratory disease annually.

The Rampal project would be located near the world’s largest mangrove forest, which is home to endangered species such as the Bengal tiger and Indian python. And as a result, some of the world’s most influential environmental NGOs are fuming.

And a new campaign aiming to pressure international financial lenders such as JPMorgan and Crédit Agricole to turn their backs on the project has so far attracted more than 1 million signatures.
The Sundarbans, which cover over 540 square miles (140,000 hectares), has been a UNESCO World Heritage Site for almost 20 years. The sprawling coastal forest is renowned for its rich collection of wildlife, including at least 260 species of birds that thrive amongst the meandering waterways and mudflats.

But these mangroves cratered in size by at least 50 percent over the past 150 years. And along with its decline came the extinction of many species.

Due to the Sundarbans’ fragile ecosystem, UNESCO has called for Bangladeshi authorities to relocate the power plant to avoid threats ranging from acid rain to a further reduction in freshwater flows. UNESCO also insisted that the plant’s backers have not completed any assessment on how its operations could impact on the Sundarbans, its wildlife or the citizens living within the mangroves.

Other critics pointed out that the economics of the Rampal plant do not make sense. The NGO Institute for Energy Economics and Financial Analysis (IEEFA), which advocates for more sustainable development worldwide, described the project as little more than a financial boondoggle.

In a report issued last summer, IEEFA analysts described the plant as overly subsidized to the tune of at least $3 billion. Yet despite the government’s financial support, IEEFA claims that electricity rates in Bangladesh could spike as high as 32 percent. The lack of any plan on how the coal will be sourced, whether it is imported from India or as far as Australia, further puts the project at risk.

Finally, even if the plant operated at near or full capacity, Rampal would be situated in a notorious “wind risk zone” that would subject it to sudden storm surges – in a country that is constantly beset by flooding.

In a more recent IEEFA study, an analyst described the project as so over-leveraged that it could put its creditors at “significant” risk.

In sum, for a low-lying country threatened by sea-level rise and volatile weather, IEEFA described a project that will only increase costs to Bangladesh’s electricity customers. And considering the falling costs of solar and wind power, rooftop and utility-scale solar would make far more sense than a project that would drive capital out of the country and increase its dependence on energy imports.