শামা ওবায়েদ
কী আছে তাতে? যা আছে তার একটা চিত্র যদি লক্ষ্য করা হয়, উঠে আসবে, স্বৈরশাসকদের প্রতিরূপ। যখন শাসকদের সঙ্গে মানুষের কোনও সম্পর্ক থাকে না, মানুষের প্রতি তাদের ন্যুনতম শ্রদ্ধাবোধও থাকে না—এই কুলাঙ্গার তার সর্বশেষ উদাহরণ। একজন তরুণীকে নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল এবং সংসদ সদস্য হয়ে যেসব কটুক্তি তার মুখনিশ্রিত হয়েছে—তাতে আমরা বিশ্বাস করতে চাই, মূলত সরকারের অবস্থানই এই লোক তুলে ধরেছে।
দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল স্তরের মানুষ যখন বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবি করছে, তার সুচিকিৎসার বিষয়টি যখন দেশের মানুষের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে, তখন এইসব বর্ণবাদীদের মাধ্যমে মনোবৈকল্যপনা সৃষ্টি করে পরিস্থিতিতে ভিন্নদিকে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত অনির্বাচিত সরকার ও তাদের প্রেতাত্মাদের পুরনো খেলা। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিয়ে অতীতের ষড়যন্ত্রের পথ ধরে এসব কুরুচিকর বক্তব্যও সেই পদ্ধতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
দেশের মানুষ বিশ্বাস করে ভোটে হেরে, প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক সংগ্রামে ভীত হয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের প্ররোচণাতেই এসব অসভ্য, কুরুচিকর মন্তব্য উঠে আসে। কে না জানে, এই অসভ্য, জিঘাংসাকাতর মুরাদেরও কন্যা সন্তান রয়েছে, সেও একজন কন্যার বাবা। আমরা মনে করি, এইসব মন্ত্রীদের মানসিক বিকৃতি ঘটেছে এবং অত্যন্ত বিক্ষুব্ধতার সঙ্গে বলছি, এদেরকে বর্ণবাদী, নারীবিদ্বেষী বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা চাইতে হবে দেশের নারী সমাজের কাছে, ক্ষমা চাইতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পাহারাদার জিয়া পরিবারের কাছে। অবিলম্বে তার মন্ত্রীত্ব প্রত্যাহার করে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক পরিবারের বিরুদ্ধে তার অশোভন, অমার্জিত বক্তব্য প্রত্যাহার করে অনতিবিলম্বে ক্ষমা না চাইলে দেশের মানুষের প্রতিবাদের দুর্বিপাকে পড়বে সরকার। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এসেও যে দেশে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি, নারীবান্ধব সমাজ হয়নি, বিকারগ্রস্ত মুরাদ হচ্ছে এর সর্বনিকৃষ্ট কারণ।
No comments:
Post a Comment