Search

Tuesday, May 29, 2018

বদিকে ধরতে প্রমান লাগলে এতো জনকে কিভাবে হত্যা - মাহমুদুর রাহমান মান্না

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘প্রমাণ ছাড়া যদি বদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না যায় তাহলে যারা এই অভিযানে মারা গেছেন তাদের নাম পরিচয়, কী কী অভিযোগ, কী মামলায় কী প্রমাণ তাদের বিরুদ্ধে যেটা প্রকাশ করতে হবে। অপেক্ষা করুন দিন আসবে এই রোজার মাসে বলছি, এর সঙ্গে জড়িতদের কাউকে ছাড়বো না।’

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীতে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে একথা বলেন তিনি।

মান্না বলেন, ‘সাবেক একজন রাষ্ট্রপতি বললেন, সরকারি দলের একজন এমপি মাদকের সঙ্গে জড়িত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তো অনেক পাই কিন্তু প্রমাণ তো পাই না। যদি প্রমাণ ছাড়া বদির চুল ধরা না যায় তাহলে প্রমাণ ছাড়া এখন পর্যন্ত যে ৬৪ জন গুলি করে মেরেছেন তার সঙ্গে জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জবাব দিতে হবে। তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ আমাকে বলছেন, এরপর অস্ত্র উদ্ধারের নামে অভিযান হবে, পরে চোরাকারবারি ধরার নামে অভিযান হবে। ক্রসফায়ার চলতেই থাকবে। এরমধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা হবে।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘সবাই যাতে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পাই সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেবে না। যদি দিত তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার একটি জামিন নিয়ে এভাবে তাল্টিবাল্টি করত না।’

মান্না আরও বলেন, ‘শুধু যদি মনে করেন জোট বেঁধে নির্বাচন করলেই আমরা জিতে যাবো তাহলেও পারবেন না। সেটা খুলনার নির্বাচনে শিক্ষা দিয়েছে। আর একটি শিক্ষা আমাদের গাজীপুরে দিতে চায়। গাজীপুরে সেই লড়াই করার প্রস্তুতি নেন। যাতে করে সব হত্যা, গুম, সবধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি। ঐক্যবদ্ধ মানে এক মঞ্চ বলছি না, সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
  • কার্টেসিঃ পূর্বপশ্চিম/ মে ২৭,২০১৮ 

হাসিনার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নামতে চিকিৎসকদের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রী

চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে চিকিৎসকেরা যেন নিজ নিজ গ্রামে গিয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেন।প্রয়োজনে চিকিৎসকেরা যেন কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে যান।
রোববার আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ইফতার অনুষ্ঠান ও আলোচনায় সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে স্বাচিপ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে চার হাজারের বেশি চিকিৎসক অংশ নেন বলে স্বাচিপ জানিয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদ্যসমাপ্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের এ উন্নতি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফলে। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আসতে হবে। আগামী অক্টোবর থেকে নির্বাচনের কাজ শুরু হয়ে যাবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন শেষে রোববার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকায় ফিরেছেন।

সাংসদ হাবিব এ মিল্লাত বলেন, পেশাজীবীদের মধ্যে চিকিৎসকদেরই আগামী নির্বাচনে নেতৃত্ব দিতে হবে। এই নির্বাচনে ১০ থেকে ১২ জন চিকিৎসক নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান। এতে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, স্বাচিপের সহাসচিব অধ্যাপক এম এ আজিজ বক্তব্য দেন।
  • কার্টেসিঃ প্রথম আলো/ মে ২৯, ২০১৮ 

AL faces questions from foreign diplomats

Concerned over “extrajudicial killings”


Partha Pratim Bhattacharjee

Diplomats, stationed in Dhaka, yesterday expressed deep concern over the "extrajudicial killings" in the ongoing nationwide anti-narcotics drive.
They expressed the concern as a delegation from the international affairs sub-committee of ruling Awami League briefed them about the current political situation of the country, said three AL leaders present at the briefing.

At least 96 suspected drug dealers have been killed in so-called shootouts in the drive that has continued for the last 14 days, causing a wave of concern among rights activists. Over 7,000 other “peddlers” have also been held.

The AL team members included party's presidium member Lt Col (retd) Faruk Khan, Joint General Secretary Dipu Moni, the sub-committee chairman Mohammad Jamir, International Affairs Secretary Shammi Ahmed and State Minister for Foreign Affairs Shahriar Alam. They briefed dozens of diplomats from different countries at a city hotel.

Clarifying the party's stance on the anti-narcotics crackdown, the AL delegation told the diplomats that measures were being taken against drug dealers and peddlers as per the law and following the footstep of other countries who carried out such drives in the past.

But they requested the diplomats not to compare the crackdown to Philippine President Rodrigo Duterte's deadly war on drugs, said an AL leader, requesting not to be named.

"Drugs have connection with arms. The lawmen are facing gun attacks from the drug peddlers while carrying out their drives, prompting them to retaliate. Therefore, some casualties are happening and some members of the law enforcement agencies are also getting hurt,” an AL leader quoted another as telling the diplomats.

The team assured the diplomats that the government would investigate whether the law enforcers had used any “excessive powers” during the raid.

"If any member of the law enforcement agencies is found guilty, departmental action would be taken against that individual," the AL leader was quoted as saying.

Contacted, Faruk Khan told this newspaper that during the meeting they highlighted before the diplomats various development activities of the government and also the “destructive politics of the BNP-Jamaat alliance”.

The diplomats also wanted to know from the delegation members about the government's plans for the next parliamentary elections and making them inclusive.

Faruk Khan said they assured the diplomats that the government would do everything possible to make the polls free, fair and inclusive.

‘Any dialogue with BNP?’

During the briefing, a diplomat from a North European country asked whether the AL would take any initiative to hold dialogue with its archrival BNP any time soon.

The AL team did not give any direct reply to that question, one of the participants told The Daily Star.

But the team apprised the diplomats of AL President Sheikh Hasina's repeated calls to BNP Chairperson Khaleda Zia for joining dialogue and the latter's refusal before the last parliamentary polls.

According to sources, the diplomats also wanted to know whether the AL feared any confrontation over the upcoming parliamentary polls, slated for December.

In reply, the AL team said the party was always in favour of free, fair and inclusive elections. It blamed the BNP for creating chaos during polls.

The party also apprised the diplomats about alleged corruptions committed by Khaleda and her son BNP acting chairman Tarique Rahman.

‘Khulna City polls irregularities’

At one point, the diplomats raised questions over irregularities in the May 15 Khulna City Corporation elections.

The AL delegation said voting was suspended at only three centres and the Election Commission was investigating into the incidents that led to the suspension, said sources present in the briefing.

The diplomats also expressed concern over the proposed Digital Security Act.

The much-debated Digital Security Bill, 2018 was placed in parliament on April 9 amid growing concerns from journalists and rights activists that freedom of the press and freedom of expression would be put to the sword if the bill was passed.

Responding to the concern of the diplomats, the AL leaders said no law that goes against the freedom of expression would be enacted. They said the parliamentary standing committee concerned already sat with representatives of the media over the issue and that the law would be enacted in line with their recommendations.

The ruling party also called upon the diplomats to play a robust role in ensuring a swift solution to the Rohingya crisis and a safe and dignified return of the Rohingyas to their homeland in Myanmar's Rakhine. 

“We had an interactive engagement with the diplomats and discussed several social and economic issues. We also discussed the political and Rohingya issues,” Mohammad Jamir told The Daily Star.

  • Courtesy: The Daily Star /May 29, 2018


Dhaka clueless about start of Rohingya repatriation

Myanmar outfoxes Bangladesh in diplomacy, say experts


 Mir Mostafizur Rahaman


The government said it cannot say exactly when it can start the process of Rohingya repatriation, after missing the January deadline.

According to an 'arrangement' signed between Myanmar and Bangladesh in last November in Myanmar's capital, the repatriation was supposed to start in January this year.

But the latest development proved that it cannot be started 'very soon' as pledged by the top rung of the foreign ministry of Bangladesh.

"We cannot give you any deadline," Foreign Minister AH Mahmood Ali said when asked whether he was convinced that the repatriation would start soon.

"But we are hopeful."

According to the foreign relations experts, Bangladesh has now become the hostage of the will of Myanmar on this issue.

"It has been proved by now that Myanmar is playing far smarter diplomacy than us," Humayun Kabir, former ambassador, told the FE Monday.

"When we signed the 'arrangement', we should have foreseen the endgame," the diplomat said.

It has become apparent that Myanmar has inked the deal just to avert the international pressure, he argued.

Since Bangladesh signed the arrangement with Myanmar, many powerful countries are now advising Dhaka to resolve the problem bilaterally, said a former Bangladesh ambassador to Myanmar requesting anonymity.

But foreign secretary Shahidul Haque told the FE Bangladesh has kept both the options open. "We have told them (Myanmar) that if we are not satisfied we shall try to resolve the issue in multilateral forums," he added.

About the prospect of staring the repatriation, he said that repatriating a large number of refugees is not an easy task. "It will take time and we are trying our best," he said.

According to the latest discussion between Myanmar and Bangladesh, the Rohingya would be repatriated after verification. But out of more than one million refugees, who fled Myanmar in the face of military crackdown, only over 1,500 Rohingyas were verified.

Bangladesh sent a list of 8,000 Rohingyas to Myanmar and until date the neighbouring country verified around 1,500, a foreign ministry official told the FE. When asked to comment on the slow pace of verification, the foreign minister admitted that the process was going on in "a very slow pace."

'Now you can ask that if things are going on at such a slow pace how long it will take to repatriate such a huge number of refugees?"

"But I am optimistic," he said.

The foreign minister disclosed that during the meeting between Prime Minister Sheikh Hasina and the United Nations Security Council delegation, representatives of Russia and China assured Dhaka of expediting the repatriation process.

But the reality was different. Both countries opposed the move to condemn Myanmar during the UNSC meeting on their return to New York, he added.

Meanwhile, the Myanmar government claimed dozens of Rohingya Muslims who fled to the neighbouring Bangladesh have returned voluntarily and will be sent to a transit centre pending resettlement, according to a Singaporean Straits Times report.

A total of 58 Rohingyas have crossed back into Myanmar after they could "no longer find it tenable" to live in Bangladeshi refugee camps, said a statement published in the Myanmar state media Monday.

The statement was issued by the office of Myanmar's de facto leader Aung San Suu Kyi.

They were detained for failing to follow proper repatriation procedures until the decision to "pardon" them and allow them to resettle in Myanmar, the statement said. They would be "temporarily" housed in a transit camp.

The returnees entered Myanmar in different stages over the last four months, said Suu Kyi spokesman Zaw Htay. Myanmar did not give any information of the group's members and Bangladeshi authorities said they were unaware of any details. The UN has said the conditions in Rakhine are not ripe for repatriation.

"The government of Myanmar is busy telling the world that it is ready to receive Rohingya returnees," said UN Assistant Secretary-General for Human Rights Andrew Gilmour in March.

But "at the same time its forces are continuing to drive them into Bangladesh," he said.

"Safe, dignified and sustainable returns are of course impossible under current conditions," he added.

  • Courtesy: The Financial Express /May 29, 2018

Falling budget execution rate gives 'bad signal'

Muhith for forming another banking commission


The declining rate of budget implementation over the last few years is a very bad omen for the country, Finance Minister A M A Muhith has said.
"It is indeed (giving) a very bad signal," the finance minister said while speaking at a roundtable at the National Press Club in the capital on Monday.

Mr Muhith's remark came when former finance advisor Dr A B Mirza Azizul Islam pointed out that the rate of budget implementation has dropped from 93 per cent in 2012 to around 80 per cent (at present).

"We need to think about how we can come out of it. We need to find the areas where we need reforms," said the finance minister, who is scheduled to place his tenth consecutive budget in the first week of next month.

Mr Muhith admitted that the government has initiated several reforms to ease the process of budget implementation, but those did not bear any fruit.

‘Bureaucratic failure’

"For example, I have been trying to form a pool of project directors for the last two years. But until now, even a list of project directors has not been prepared. This is totally a bureaucratic failure," he said.

The finance minister also admitted that the recent series of scams in the banking sector is a 'very serious matter' for the country.

"Probably, it is the time to form another banking commission. The last banking commission was formed back in 2004. Since then, the banking sector has grown substantially."

"I thought that such a large banking sector would gradually move towards merger, but that did not happen," he noted.

The finance minister also emphasized recasting the bankruptcy law to facilitate the banks' merger and bankruptcy process.

Depreciation of Taka

Earlier, Mirza Azizul Islam in his speech cautioned against the recent depreciation of Bangladeshi Taka.

"We need to think about ways to handle our current account deficit, so that our exchange rate does not depreciate further," Mr Islam said.

Referring to this, Mr Muhith said the government would like to focus on this issue after the budget. "Although, we have a floating exchange rate, it is actually a managed one," he added

"Some fresh thinking is necessary in this regard. I want to discuss this issue after the budget," he added.

Mr Islam also raised the issue of ever-increasing volume of debt servicing liability of the state-owned enterprises (SoEs).

Referring to this, the finance minister admitted that government has failed to ensure enough supervision for the SoEs.

"It is our failure that we are not ensuring enough supervision (in this regard). This is something we have to look into," he added.

Prime Minister's Economic Affairs Adviser Dr Mashiur Rahman in his speech said the country will enjoy its demographic dividend until 2050.

"However, we need to focus on technical, vocational and engineering education to reap the benefit of this dividend."

He also called for increasing the decision-making power of the Bangladesh Investment Development Authority (BIDA) and other relevant organisations to increase foreign direct investment (FDI) flow into the country.

"We can increase the FDI inflow by almost 40 per cent by streamlining the process of starting a business in the country," he opined.

‘Decentralisation of govt.’

Presenting the keynote paper of the event, Chairman of Bangladesh Study Trust Dr A K Abdul Momen called for bringing more multinational companies and SoEs to the capital market.

"Especially, the newly-listed companies can be given two-year tax holiday to encourage more entities to come to the capital market."

He also called for issuing the Tax Identification Number (TIN) against all National Identity (NID) cards to bring more people under the tax net.

In addition, Mr Momen also recommended further decentralisation of the government.

He also suggested introduction of district government system to expedite the decision-making process as well as to increase the pace of execution of the development projects.


  • Courtesy: The Financial Express/ May 29, 2018

প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি

প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হককে ‘হত্যা’ করানো হয়েছে। এ বক্তব্য কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর। গতকাল সোমবার তিনি প্রধানমন্ত্রী বরাবর এক খোলা চিঠিতে এ কথা জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন। মাহবুবুর রহমান কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, গত শনিবার (২৭ মে) দিবাগত রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একরামুল হক নিহত হন। র‍্যাবের দাবি, একরামুল তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী।

খোলা চিঠিতে ভারপ্রাপ্ত মেয়র প্রধানমন্ত্রীকে মা সম্বোধন করেছেন। তিনি চিঠিতে লেখেন, ‘.... সারা দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযানকে যখন দেশের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা স্বাগত জানিয়েছেন। ঠিক তখনই আপনার এই সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে প্রশাসনের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা একাত্তরের দোসররা। তারা ইয়াবাবিরোধী অভিযানের দোহাই দিয়ে আপনার সন্তানকে হত্যা করেছে। প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে আজন্ম আওয়ামী লীগ পরিবারের অহংকার টেকনাফ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পরপর তিন বার নির্বাচিত কাউন্সিলর একরামকে হত্যা করা হয়েছে। মাগো এমন চলতে থাকলে আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশ নিঃশেষ হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।’ প্রসঙ্গত, একরামুল ১২ বছর উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

চিঠি প্রসঙ্গে মেয়র মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দায়িত্ববোধ থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠিটি লিখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ই-মেইল ছাড়াও তাঁর ব্যক্তিগত আইডি থেকে তিনি ফেসবুকে এটি প্রচার করেছেন। তাঁর সঙ্গে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী, দলীয় সমর্থক একমত পোষণ করেছেন। আরেক একরামকে বাঁচাতে গিয়ে কাউন্সিলর একরামকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য তাঁর এই খোলা চিঠি বলে জানান তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের ক্ষোভ

কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা একরামুল হক নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। গতকাল সোমবার জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, আবদুর রহমান বদি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, একরাম একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক। তিনি মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন এমন কোনো তথ্য তাঁদের কাছে ছিল না। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত চান তাঁরা।

সভা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, সভায় একরাম নিহতের ঘটনা আলোচনা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেবে জেলা আওয়ামী লীগ।

একরামের জানাজা

গতকাল রাতে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একরামুলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন স্থানীয় সাংসদ আবদুর রহমান (বদি)। একরাম ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন না বলে সাংসদ তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

একরামের স্মৃতির উদ্দেশে চিঠি লেখে তার দুই মেয়ে। রোববার রাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে চিঠিটি হস্তান্তর করা হয়।

প্রিয় বাবার জন্য খোলা চিঠি দুই কন্যা-তাহিয়াত ও নাহিয়ান

আমাদের পুরো পৃথিবীটা যে তোমাকে ঘিরেই ছিল। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে তোমার কাজ ছিল তোমার রাজকন্যাদের রেডি করা। মোটরসাইকেলে করে প্রাইভেট পড়তে নিয়ে যাওয়া। স্কুলে পৌঁছে দেওয়া।

হয়তো ঈদের পর থেকে আমাদের স্কুলের বাস নিয়ে যাতায়াত করতে হবে। সে সময় তোমাকে অনেক মিস করব। তোমার শরীরে থেকে বাবার একটা ঘ্রাণ আসত, খুব মিস করব সে ঘ্রাণ।

তোমার গানের গলা যথেষ্ট প্রশংসনীয় ছিল, আমাদের আবদারে সব গান গেয়ে শোনাতে। মিস করব সে দরাজ ভরা কণ্ঠের গান।

তোমার ভালো মানের চশমা ও মোটরসাইকেলের প্রতি লোভ ছিল, তোমার রেখে যাওয়া সে সব চশমাটি আমাদের দিকে জ্বলজ্বল করে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে আছে। এই কিশোর বয়সে হারিয়ে ফেলব তা কল্পনাতীত ছিল। কিন্তু আল্লাহ্ তোমাকে নিয়ে গেলেন, হয়তো উনি তোমাকে আমাদের চাইতে বেশি ভালোবাসেন।

বাবা, তোমার অসমাপ্ত স্বপ্ন আমরা পুরণ করব, তোমার দেখিয়ে দেওয়া পথে আমরা আজীবন চলব। তোমাকে কথা দিলাম, আমরা তোমার সত্যিকার রাজকন্যা হয়ে তোমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। ওপরে অনেক ভালো থেকো বাবা। তবে চিৎকার করে বলছি, আমরা বাবা ডাকব কারে?

  • কার্টেসিঃপ্রথম আলো, মে ২৯,২০১৮ 

Monday, May 28, 2018

পুলিশের শেল্টারে ১৫ স্পটে ইয়াবা আসর

  • ২৫ মাদক ব্যবসায়ী জোগানদাতা 
  • ক্যাম্প ইনচার্জ বাচ্চু ও ক্যাশিয়ার শামীম বেপরোয়া 
  • হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে শঙ্কিত মানুষ



দেশের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ঢুকে পড়েছে ইয়াবার বিষ।
দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যেও ঢামেক হাসপাতালের অন্তত ১৫টি স্পটে হরদম চলছে ইয়াবা সেবনের আসর। অভিযোগ, ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই (এবি) বাচ্চু মিয়ার সহযোগিতায় এসব মাদকের আসর বসে।

প্রতি আসর থেকে বাচ্চু নিজে নতুবা তার ক্যাশিয়ার আনসার শামীম টাকা নেয়। শুধু তাই নয় বাচ্চুর সহযোগিতায় চানখাঁরপুল ও চকবাজার এলাকার পেশাদার ইয়াবা ব্যবসায়ীরা হাসপাতালে ইয়াবা সাপ্লাই দেন।

শনিবার ঢামেক হাসপাতাল এলাকায় সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে। মাদকের কারণে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের মাঝে।

এ কারণে তাদের অনেকে বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিকত-উৎকণ্ঠিত। জানা গেছে, হাসপাতালে মাদক সহজলভ্য হওয়ায় কতিপয় চিকিৎসক, শিক্ষানবিস চিকিৎসক, নার্স, ব্রাদার, ওয়ার্ডবয়, স্পেশালবয়সহ সেবার কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের একটি অংশ ইয়াবা, গাঁজা ও হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকের নেশায় ঝুঁকে পড়ছেন।

অভিযোগ সম্পর্কে বাচ্চু মিয়া যুগান্তরকে বলেন, হাসপাতালে মাদক ব্যবসা হয়- বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি বলেন, গত পরশুও শাহবাগ থানার ওসিকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে।

তবে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া, ইয়াবার আসর থেকে টাকা তোলার বিষয়ে প্রশ্ন করতেই বাচ্চু মিয়া ফোনলাইন কেটে দেন। এরপর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। সরাসরি যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে এ সংবাদ যাতে প্রকাশ করা না হয় সেজন্য একাধিক ব্যক্তিকে দিয়ে এ প্রতিবেদককে ফোন করিয়েছেন বাচ্চু মিয়া।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শাহ আলম তালুকদার যুগান্তরকে বলেন, মাদকাসক্তি এক ধরনের অসুস্থতা। তাই কোনো মাদকাসক্তের হাতে রোগীর শতভাগ চিকিৎসা কিংবা সেবা আশা করা যায় না। তিনি বলেন, হাসপাতালের কোনো কর্মচারী মাদকে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া মাদকসহ যে কোনো অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া আছে।

ঢামেক হাসপাতালে মাদক সেবনের চিত্র : শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালের সাবেক পিজি ডক্টর কিচেনের একটি রুমে ইয়াবা সেবন করছিল পাঁচ যুবক। তাদের মধ্যে কয়েকজন এ হাসপাতালের কর্মচারী। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া ওই রুমে প্রবেশ করে ৫ মিনিটের মাথায় বেরিয়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই যুবকরা বেরিয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখানে দিনে কমপক্ষে পাঁচ দফা ইয়াবা সেবনের আসর বসে। প্রতি আসর থেকে ১০০ টাকা করে নেন বাচ্চু। বিকাল ৫টায় হাসপাতাল-২ এর ছাদে বসে ইয়াবা সেবন করছিলেন ছয়জন।

এক রোগীর স্বজন বিল্লাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ছাদে গেলে দেখবেন, ডাক্তার-কর্মচারীরা গোল হয়ে বসে ইয়াবা টানছেন। দিন-দুপুরে যারা নেশা করেন তারা রোগীর সেবা কিংবা চিকিৎসা দেবেন কি করে?

বিকাল সাড়ে ৫টায় মিলন অডিটরিয়ামের পাশে বসে কয়েকজন যুবককে নেশা করতে দেখা যায়। ওই এলাকার ভ্রাম্যমাণ বাদাম বিক্রেতা আজিম যুগান্তরকে বলেন, মিলন অডিটরিয়াম, মর্গের পেছন ও কলেজ চত্বরের বিভিন্ন চিপা গলিতে বসে ইয়াবার আসর।

পুলিশ ও আনসার তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়। ঢামেক হাসপাতাল এলাকার এ ধরনের অন্তত ১৫টি পয়েন্টে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে ইয়াবা সেবন। এসব পয়েন্টে হোম ডেলিভারি পদ্ধতিতে মাদকাসক্তদের চাহিদা অনুযায়ী মাদকদ্রব্য পৌঁছে যায়।

ঢামেক হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী যুগান্তরকে জানান, পুরাতন পিজি ডাক্তার হোস্টেলের কিচেন ও এর আশপাশ, ঢামেক হাসপাতালের বহির্বিভাগ, শহীদ মিনারের পেছনে মাজার সংলগ্ন এলাকা, নার্সিং হোস্টেলের পাশ, কলেজের শহীদ ডা. মিলন অডিটরিয়াম এলাকা, মর্গ এলাকা, জরুরি বিভাগ সংলগ্ন পানির ট্যাংকি এলাকা এবং বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আশপাশের ফাঁকা জায়গা, হাসপাতাল-২ এর ছাদ হল ইয়াবা সেবনের নিরাপদ আস্তানা। শুধু এসব স্পটই নয়, হাসপাতালের বিভিন্ন বাথরুমকে মাদকসেবীরা সেবনের নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি পয়েন্ট থেকে এসআই বাচ্চু মিয়া ও তার ক্যাশিয়ার আনসার শামীম টাকা নেন। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও বাচ্চু মিয়া মোটা অঙ্কের মাসোয়ারা নিচ্ছেন। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললে একটি বিশেষ বাহিনী দিয়ে সাইজ করানোর হুমকি দেন তিনি। এছাড়া পুলিশ সদর দফতরের একজন প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তাকে নিজের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করছেন বাচ্চু মিয়া।

ঢামেক হাসপাতালের একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী যুগান্তরকে বলেন, চকবাজার, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচরসহ আশপাশের মাদক ব্যবসায়ীরা হোম ডেলিভারির মাধ্যমে এ হাসপাতাল এলাকায় ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক সরবরাহ করেন। হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী যুগান্তরকে জানান, চকবাজার থানার হোসনি দালানের ইয়াবা জাফর, নেতা সুমন, আসিক, অনিক, পাপন, হাসান, জাহাঙ্গীরসহ বেশ কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ঢামেক হাসপাতালে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে তাদের ঘোরাফেরা করতেও দেখা যায়।

একজন স্পেশাল বয় যুগান্তরকে বলেন, বাচ্চু মিয়াকে মাদক ব্যবসায়ীরা মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে মাদক ব্যবসা করেন। হাসপাতাল এলাকায় শাহীন, চণ্ডি, আয়েশা ও আছিয়া, কলেজ ক্যাম্পাস ও ডা. মিলন অডিটরিয়াম এলাকায় লাবু, বুলবুলি মাদক সম্রাট বলে পরিচিত। বার্ন ইউনিটসংলগ্ন এলাকায় স্বপন ও রনি ইয়াবার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। নতুন ভবনের সামনে ব্যবসা চালান ইয়ার হোসেন ওরফে চিনচিন। র‌্যাবের হাতে তিনি ইয়াবাসহ আটকও হয়েছিলেন। তার সহযোগী বিল্লাল, হেদায়েত, মোমেন এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ঢামেক হাসপাতাল এলাকায় আজম বিল্লাল, লাক্কা লাভলু, আমীর, আয়েশা, বুলবুলিসহ বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঢামেক হাসপাতালের কিছু স্টাফ মাদক ব্যবসায় জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়া হাসপাতাল এলাকায় ভবঘুরে, বখাটে ও রিকশাওয়ালার ছদ্মবেশেও মাদক বিক্রি চলে। তাদের কাছ থেকে মাদক কিনে ঢামেক হাসপাতালের টয়লেট এবং বিভিন্ন রুম এবং দেয়ালঘেঁষা নির্জন স্থানে বসে মাদকাসক্তরা মাদক সেবন করছেন। আবার কেউ কিছু বললে মাদকসেবীরা তার ওপর হামলা চালায়। ফলে ভয়ে কেউ মুখ খোলেন না।

এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মচারীর একটি অংশ মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ছেন। এ বিষয়টি নিয়ে একটি গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিয়মিত মাদক সেবন করা একজন চিকিৎসকের জন্য চরম গর্হিত কাজ। যা চিকিৎসা পেশার নৈতিকতার পরিপন্থী। এর ফলে রোগী ও সাধারণ মানুষ চিকিৎসকদের ব্যাপারে আস্থা হারিয়ে ফেলবেন। বিষয়টি হাসপাতালের ভাবমূর্তির জন্যও ক্ষতিকর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চিকিৎসক যুগান্তরকে বলেন, দু-একজন জুনিয়র চিকিৎসক মদ-গাঁজা খান। এটা নতুন কিছু নয়। তবে কিছুদিন ধরে এমন অবস্থা বিরাজ করছে- যেন পুরো হাসপাতালটাই মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

তারা জানান, বহিরাগত মাদকসেবীদের সঙ্গে কলেজ ও হাসপাতালের কিছু চিকিৎসক মাদক সেবন করছেন। কর্মচারীদেরও কেউ কেউ মাদক সেবনে জড়িত। তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে ব্যবসার অভিযোগও আছে।

তারা বলেন, চিকিৎসক-কর্মচারীরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় এ হাসপাতালের সুনাম ও ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলবে। সুনাম ও ভাবমূর্তি রক্ষা তথা রোগীদের সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবা দেয়া নিশ্চিত করতে অনৈতিক কর্মকাণ্ড রোধে সরকারের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ খুবই জরুরি। 


  • কার্টেসিঃ যুগান্তর /মে ২৭,২০১৮ 

বদির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন একরাম, মামলাও ছিল না

টেকনাফের কাউন্সিলর একরাম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত  


টেকনাফ সীমান্তে শনিবার রাতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক (৪৬) ইয়াবার কারবারি ছিলেন না, বলছে এলাকার মানুষ। বরং তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও শীর্ষস্থানীয় ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বলে এলাকার সাবেক একজন সংসদ সদস্য জানিয়েছেন। টেকনাফ থানার পুলিশ জানিয়েছে, কাউন্সিলর একরামুলের বিরুদ্ধে ইয়াবাসংক্রান্ত কোনো মামলা নেই। তিনি ইয়াবা কারবারি ছিলেন বলে তাঁদের কাছে কোনো তথ্য নেই। উপজেলার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের নেতারাই বলছেন, একরামুল ইয়াবা কারবারি ছিলেন না, সেটা হলে তাঁরা জানতেন। তিনি অর্থনৈতিকভাবেও তেমন সচ্ছল ছিলেন না।

ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসার পর তিনবার নির্বাচিত এই  কাউন্সিলরের নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছে। কোথাও ভুল হলো কি না সে সন্দেহ করছে অনেকে।

র‌্যাব একরামুলের নিহত হওয়ার বিষয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি এবং ইয়াবার শীর্ষ গডফাদার। র‌্যাবের কক্সবাজারের কম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মিঠাপানির ছড়া এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে এক বন্দুকযুদ্ধে একরামুল নিহত হন। পরে সেখান থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, পাঁচটি গুলি ও ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

জানতে চাওয়া হলে টেকনাফ থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিহত পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ইয়াবাসংক্রান্ত কোনো মামলা নেই। তবে একটি মদের মামলা ছিল, সেটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।’ ওসি বলেন, ‘একরামুল ইয়াবা কারবারি ছিলেন মর্মে পুলিশের কাছে তেমন কোনো রেকর্ড নেই।’

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহম্মদ আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘টেকনাফের রাজনীতির মাঠে এমপি বদির পরিবার ও সাবেক এমপি গণির পরিবারের দ্বন্দ্ব দীর্ঘকালের। নিহত একরামুল হক ছিলেন বরাবরই এমপি বদিসহ স্থানীয় ইয়াবা ডনদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এ কারণেই একরামুলের মৃত্যুকে সীমান্তের লোকজন সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না।’

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল বশর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পৌর কাউন্সিলর একরাম অত্যন্ত স্বচ্ছতার মাধ্যমে জীবন যাপন করতেন। দলের প্রতি তাঁর আনুগত্য ছিল অত্যন্ত চমৎকার। তাঁর ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকার কথা কোনো দিনই শুনিনি। তদুপরি অর্থনৈতিকভাবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত দুর্বল।’ টেকনাফ পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক মেম্বার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘একরামুল ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকলে আমরা অবশ্যই জানতাম। কিন্তু কোনো দিন শুনিনি তিনি ইয়াবা কারবারে জড়িত ছিলেন।’

শনিবার রাতে বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফ ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল নিহত হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, ক্রসফায়ারের নামে ত্যাগী রাজনীতিকদের হত্যা করা হচ্ছে। এসব ত্যাগী রাজনীতিকরা সারা জীবন ইয়াবার বিরুদ্ধে এবং আবদুর রহমান বদির পরিবারের ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছেন। অথচ এক দিন আগে এমপি আবদুর রহমান বদির বেয়াই আকতার কামাল মেম্বারের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনায় ফেসবুকে ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ বলে অনেকে মন্তব্য করেছিলেন।

র‌্যাবের দেওয়া তথ্যে কাউন্সিলর একরামুলের বাবার নাম ও ঠিকানা না মেলায় অনেকে সন্দেহ করছে, নিরীহ লোক বন্দুকযুদ্ধের শিকার হলেন কি না! র‌্যাব নিহত কাউন্সিলরের বাবার নাম-মোজাহার মিয়া ওরফে আব্দুস সাত্তার এবং তিনি কক্সবাজার জেলার টেকনাফের নাজিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা জানায়, নিহত কাউন্সিলরের বাবার নাম আব্দুস সাত্তার এবং তিনি টেকনাফ পৌরসভার কাইয়ুকখালী (৩ নম্বর ওয়ার্ড) এলাকার বাসিন্দা। 

টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শফিক মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদকের তালিকায় টেকনাফের মৌলভীপাড়া এলাকার একজন একরামুল হকের নাম তালিকাভুক্ত রয়েছে। তাঁর বাবার নাম ফজল আহমদ। র‌্যাব সম্ভবত সেই একরামুলের নামের মিল থাকায় একজন নিরীহ ব্যক্তিকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করেছে।’ শফিক মিয়া বলেন, তিনি একটানা ২১ বছর ধরে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে একরামুল ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পরে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে রাজপথ কাঁপিয়েছেন। আজ এমন একজন রাজনৈতিক কর্মী ইয়াবার নামে খুনের শিকার হলেন। অথচ রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া অগণিত ইয়াবা কারবারি বহাল তবিয়তে রয়েছে। নিহত একরামুলের জ্যেঠাতো ভাই, স্থানীয় সাবেক এমপি আবদুল গনির ছেলে সাইফুদ্দিন খালেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই একরামুল হক বাস্তবে ইয়াবার বিরুদ্ধেই সোচ্চার ছিলেন সব সময়। আমাদের পরিবারের সঙ্গে এমপি বদির পরিবারের সম্পর্কও মোটেই ভালো নেই। এ কারণেই আমার ভাই বলি হলেন কি না আমাদের সন্দেহ।’

  • কার্টেসিঃ কালের কণ্ঠ / মে ২৮,২০১৮ 

‘আমাকে বাঁচতে দিন আর মাইরেন না’


ওয়ার্ড ১০১, বেড নং ১০। ওয়ার্ডে ঢুকতেই চোখে পড়ে সোহেলকে ঘিরে বসে আছে ১০-১২ জন বন্ধু। পাশেই করুণ চাহনি আর এক বুক হতাশা নিয়ে আহত ছেলের দিকে তাকিয়ে আছেন সোহেলের বিধবা মা। হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র এপিএম সোহেল। একইসঙ্গে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন সোহেল ও তার মা। দুপুর ১২.১০ মিনিটে ঢামেকের জরুরি বিভাগের সামনে জামতলায় সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হয়ে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন সোহেল।

কান্না জড়িত কণ্ঠে সোহেল বলেন, বাবা মৃত মো. নাজির হক মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরেন তার মা জমিলা বেগম। ৪ ভাই ১ বোনের মধ্যে সোহেল ৪র্থ। অন্যের ক্ষেতে কাজ করে চলে তাদের সংসার। মায়ের স্বপ্ন পূরণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে ভর্তি হয়ে টিউশনি করে কোনোমতে লেখাপড়া চলে তার। কিন্তু কোটা আন্দোলনে জড়িত থাকার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে ২৩শে মে নির্মম ভাবে তাকে আহত করে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী। 

সোহেল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেন, আমি যে বেডে শুয়ে আছি। সেই বেডের কয়েক বেড পরই দুইজন আসামিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আসামির নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশের ২জন সদস্য। এই কয়দিন বিছানা থেকে উঠতে পারি নাই তেমন। পিঠের দাগগুলো কালো হয়ে আছে। প্রচণ্ড ব্যথা। ওরা মারার সময় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছিলাম। হাতেও ব্যথা। লিখতে কষ্ট হচ্ছে যদিও। ডান পায়ের হাঁটুতে ওরা অনেকগুলো আঘাত করেছিল। পা সোজা/বাঁকা করতে গেলেই হাঁটুর জয়েন্টে টান পড়ে। আমাকে চারপাশে কয়েকজন ধরে রেখেছিল। একজন সেলফি তুলতেছিল এই বলে যে “ভাইয়ের চেহারা খুব সুন্দর, আয় মাইরের আগে সেলফি তুলি।” 

নিজে খুব কষ্ট করে বড় হয়েছি, তাই অন্যের কষ্ট আমার কাছে লাগত। আমি নিজ থেকে খুঁজে খুঁজে আমার মত যারা তাদের টিউশনি, কোচিং,পার্ট টাইম জব ম্যানেজ করে দিতাম। বিনিময়ে কোনদিন ১কাপ চাও খাই নি। অথচ আমাকে মারার পরেও প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে আমাকে নাকি আরো মারবে। মাইর নাকি কম হয়ে গেছে। কোটা আন্দোলনের জন্য দ্বিতীয়বার মারল আমাকে। প্রথমবার থাপ্পড়, লাথি। আর দ্বিতীয়বারতো দেখতেই পাচ্ছেন। ঠোঁটের বাইরে ৮-৯টা সেলাই। ঠোঁটের ভিতরে ২টা সেলাই। আর সারা শরীরে ব্যথাতো আছেই। পিঠের মাইরের দাগগুলো এখনো স্পষ্ট। কোটা অ্যান্দোলনে সমর্থন দিয়ে আমি আমার প্রথম সেমিস্টার ফাইনালটাও মিস করি। আমার পরিবারের সবাই কাঁদছে। আপনারা যারা রাজনীতি করেন, যারা করেন না, যারা আমার বন্ধু, যারা আমার ভাল চান, যারা আমার খারাপ চান, সবার কাছে করজোড়ে মিনতি আমাকে বাঁচতে দিন। আমাকে আর মাইরেন না। আমার বিধবা মায়ের স্বপ্নগুলো পূরণ করতে দেন। আমার আব্বা নাই। আমিই আমার পরিবারের সব। প্লিজ, আমাকে বাঁচতে দিন। আমাদের নিরাপত্তা দিন। আমরা বাংলাদেশের সন্তান। আমরাও বাঁচতে চাই। বিধবা মায়ের মুখে হাঁসি ফোটাতে চাই। ভাইয়ের কান্না দেখতে চাই না।

সোহেল মানবজমিনকে বলেন, ২৩শে মে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পরপরই ৩-৪ জন ছেলে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ওখানে নিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরা থাকায় ফুজি গলির ভেতরে আমাকে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। তারা সকলেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট গ্রুপের কর্মী। আমি কোটা আন্দোলন তো আমার জন্য করি নাই। কোটা আন্দোলনটা সবার ছিল। তাহলে ওরা আমাকে মারলো কেন এভাবে। আমি খুব গরিব ঘরের সন্তান। এই যে দেখছেন আমার মা ভাই তারা অন্যের জমিতে কাজ করে। আমরা খুব কষ্ট করে এতদূর পর্যন্ত আসছি। আমাদের পরিবারে আমার মতো কেউ নাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। আমার বাবা নাই। আমি একটা এতিম ছেলে। আমাকে মারলো কেন। আমি এর বিচার চাই। সোহেলের মা জমিলা বেগম বলেন, আমার ছেলে সবার ভালোর জন্য আন্দোলনে গেছে। তার পরেও আমার ছেলেটাকে কিসের জন্য মারলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাইছি। 

ঢাকা মেডিকেলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ বলেন, তারা চেষ্টা করছে আমাদের আন্দোলনে যারা আছে তাদেরকে যেকোন সময় হেনস্থা করা। এবং তারা সবসময় সুযোগে আছে কখন আমাদেরকে হত্যা করবে। এবং আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করবে। আমরা দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। তাছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো কর্মীর উপর হামলা হলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। 

  • কার্টেসিঃ মানবজমিন/ মে ২৮,২০১৮ 

A farce of a raid










Police pick up “suspects” during an anti-narcotics raid at the city's Karwan Bazar. Photo: Rashed Shumon

It was 1:30pm. Some 1,000 policemen started gathering near Karwan Bazar kitchen market in the capital yesterday. The mobilisation of so many cops drew a huge crowd, curious to know what was happening. 

Some policemen told bystanders why they were there: within an hour, they would conduct an anti-narcotics raid at Karwan Bazar railway slum, just a few steps from where they took position.

Presently, they were waiting for their bosses to come and instruct them on how they should go about their job. Meantime, some policemen were gossiping, some sipping tea at nearby tea stalls and some were seen buying litchis.

Detectives, dog squads and even a water cannon were also on the scene.

“How can you conduct a drive against narcotics after such public announcement?” a constable was heard asking his colleague, mockingly.

Around 2:30pm, the additional deputy commissioner of Tejgaon division and the officers-in-charge of Tejgaon and Tejgaon Industrial police stations arrived at the scene.

About 15 minutes later, the deputy commissioner of Tejgaon division reached the spot and instructed the policemen to detain the people whom the cops would suspect as drug abusers.

This is how a “secret” anti-drug operation started at Karwan Bazar railway slum, raising questions about the objective of such drives.

The drive finally began at 3:00pm, with detectives and policemen going from hut to hut and taking away anyone they thought was a suspect.









Officers forcibly drag another “suspect” on the rail lines. Photo: Rashed Shumon

Some were sleeping; some were sitting in front of the shanties while some were loitering on the railway track.

Most of them were day labourers (porter) and street vendors who worked all night and were sleeping at the time of the raid, slum dwellers claimed.

Some of them were small drug peddlers and drug users.

According to locals, drug trade in Karwan Bazar slum remains suspended for about six months. Only a handful of the peddlers are active now with the help of police sources.

On Saturday night, the police sources tipped those peddlers off about the raid and asked them to leave the area, a number of slum dwellers alleged.

During the raid, detectives and policemen were calling some suspects by names as if they knew each other. 

Within half an hour, they picked up 47 people, including four women.

Nure Haowa, 40, was crying near a police van. She alleged three of her relatives were picked up.










Police officers peeking inside shanties looking for drug peddlers and abusers. The “surprise” raid started an hour after a contingent of a thousand police officers had gathered at the spot, possibly tipping off drug peddlers in the areas. Locals also alleged that sources had informed the drug peddlers about the drive beforehand. Photo: Rashed Shumon

Among them, Sharif and Raju are potato vendors who worked all night and were sleeping in the room when the cops came, she said.

When some policemen saw this correspondent taking photos and footage of the raid, they approached him and asked him to stop filming.

“Put the phone down, put the phone down. You cannot film the raid. You have to take permission,” said a cop named Rafique, threateningly.

Briefing reporters at the spot around 3:45pm, DB Joint Commissioner Abdul Baten claimed their “special team” was working to arrest the listed drug dealers.

“And here [drug spot] we are conducting the raid to arrest people who would be found with drugs and who are still out of the drug traders list,” he said.

Asked about the link of some cops with drug dealers, Baten said there were bad people in every profession. “We will take action if allegations are found against any policemen.”

Such preparations, announcements and arrangements before raids have raised questions of if law enforcers would really be able to catch any top drug dealers and their patrons.

One of such raids was conducted in Korail slum of Mohakhali on Saturday night. Around 1,000 policemen with a dog squad gathered on T&T ground just beside the slum around 7:30pm. They set up a tent, four bright lights, and two horn speakers which they used to warn slum dwellers that they would be conducting a raid there.

Meanwhile, in another drive at Ganaktuli area of Hazaribagh yesterday, over 100 people, including five women, were detained on suspicion of drug abuse.

After interrogation, 50 people were arrested in different cases, said Masudur Rahman, deputy commissioner (media) of DMP.

The drive at Sweeper Colony started at 11:00am and continued for three hours, Abdullahil Kafi, additional deputy commissioner (Ramna Division) of DMP said, adding that around 700 policemen took part in the drive.

Around 1,500 litres of locally made alcohol, 300 pieces of yaba, some cannabis and phensedyl were seized from the area, the police official said.

A factory that made local alcohol was also sealed off.

Several people there said many of the detainees were innocent school and college students.

Kabir Hossain, 26, was picked up from his room while he was taking rest. Kabir is a labourer who works in Malaysia and came home on vacation for Eid.

Like him, tenth grader Jewel Das, 17, was picked up from his house.

“I requested the policemen not to take him away. My son is neither a drug abuser nor a peddler. I told them [police] you didn't get anything. Why are you taking him? They whisked him away forcefully,” Jewel's mother Chaina Rani told The Daily Star.

Several hundred family members of the detainees gathered in front of the Institute of Leather Engineering and Technology and criticised the mass detention without verification.

The nationwide anti-drug drive was launched by Rab on May 4 on the prime minister's instructions. Police have been carrying out their own drive since May 18.

At least five raids were conducted in major drug spots in the capital and over 300 people were arrested in the last two days. They produced similar results -- big-time dealers escaping arrest and a handful of low profile dealers being detained.

Till Saturday, more than 7,000 alleged drug traders have been held and sued in around 5,500 cases across the country. Another 3,100 people were sentenced to various jail terms by mobile courts, according to police and Rab data.

  • Courtesy: The Daily Star/ May 28, 2018