Search

Tuesday, December 19, 2017

Police officers found guilty are rarely punished: Daily Star


[Editor’s note: The following Daily Star report on the criminality of some members of the police force who thrive because of political indulgence appears so down to earth and relevant that we are reproducing an abridged version of the report]

 
The seven members of Detective Branch (DB) of police are detained and Tk 17 lakh ransom money is recovered from a vehicle in Teknaf on October 25, 2017. Photo: Collected
About a dozen cases of police brutality and bribery came to light in the last couple of months, denting people's trust in the police force, reports the Daily Star.

It says, officials at the police headquarters recently admitted that the “IGP complaint cell” received about 45 allegations against policemen a day. Most of those detail how some law enforcers have become downright criminals.

Before November 14, when the cell received only written complaints and that too during office hours, the number of allegations recorded was just a handful. Now the cell receives grievances online round the clock.

The allegations are aplenty. The list goes on from mugging on the streets to framing youths with yaba pills to abducting businessmen for ransom to torturing suspects in custody and relaying their screams over mobile phone to families for collecting hefty sums, according to officials at the Discipline and Professional Standard wing of the police headquarters.

Crimes like extorting street hawkers and collecting tolls from rickshaw-pullers on streets off-limit to slow-moving vehicles are apparently not even reported.

A number of constables, SIs and inspectors wishing anonymity said one of the main reasons for corruption at the lower-tier of the police force is that many of them get their jobs by paying bribes of huge amounts. The job of a constable could be had for Tk 6-7 lakh and an SI for Tk-15 lakh, they said.

They believe the money they paid as bribe is an investment and need to resort to corruption to recoup, the policemen said.

Worried about the corruption and criminal activities, chief Javed Patwari of Special Branch of police raised the issue at a quarterly crime conference in October. He asked force members to stay away from crimes as it dwarfed the achievements of police. 

Deputy Inspector General (DIG) Abdul Alim Mahmud of the police headquarters claimed that whenever they received a complaint against any policeman, they investigate and if found guilty they take stern departmental actions.

According to the headquarters' statistics, stern departmental actions were taken against 13,586 policemen last year, which are about 1,132 per month on average. Until September of this year, stern actions were taken against 10,821 (1,202 per month on average) policemen.

Ironically, most of the “stern” punishments are limited to withdrawals or transfers. Suspensions, demotions and terminations are very rare. Some who do get fired sometimes get their jobs back following court orders.

Iftekharuzzaman, executive director of Transparency International, Bangladesh, said, “Exemplary punishment is hardly ever handed down. Offenders are also aware that they would get back all facilities after serving the light punishment.”

He insisted that violation of law by law enforcers could not be contained if the offenders were let go with meaningless punishment. 

Nur Mohammad, former inspector general of police, said, “The force has an intelligence wing, the Police Internal Oversight (PIO), to keep watch on field-level officials and policemen. It regularly sends reports but hardly any action is taken.

“Had there been action taken based on PIO reports, there would be a fear among the field-level policemen,” he added.

The problems within the police force are deep rooted, starting with recruitment, promotions to postings, said some serving and ex-police officials while talking to The Daily Star.

Asked why police members indulge in corruption and crime, they said one reason is that they have to pay hefty sums to get the jobs and good posts. Besides, political backing and hobnobbing with senior police officials also give them a sense of invincibility.

“We often hear that lower-tier policemen are being recruited in exchange for money … Coming out of training [it's only natural that] he would push yaba or arms in the pockets of people to recover the money,” said ex-IGP Nur Mohammad.

In July 2015, Zillur Rahman, deputy commissioner of Barisal Metropolitan Police (BMP), made headlines by setting up a common bribe fund to speed up promotion of 230 policemen of Barisal, who each contributed between Tk 30,000 and Tk 50,000 to the fund.

He along with 10 other lower-level Barisal Policemen was suspended after a probe found them guilty.
Zillur, who was attached to the office of the Deputy Inspector General of Sylhet Range following his suspension, is now serving as the Superintendent of Police of Tourism Police.

(Retired IG) Nur Mohammad believes transparency in hiring, training, posting and promotion could greatly help the force. To improve the situation, the supervising officers should also keep an eye on subordinates and take account of their daily activities.

Graft watchdog leader Iftekharuzzaman sees the constant political exploitation of police in every step as the prime reason for their professionalism getting ruined. “Moral turpitude, irregularity and corruption did not appear suddenly.”

Sunday, December 17, 2017

বাংলাদেশে ৫কোটি মানুষ খাদ্য দূর্ভিক্ষে - ব্র‍্যাক সমীক্ষা



বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার কমপক্ষে প্রতি তিনজনে একজন খাদ্যের আকালে ভোগে। ব্র‍্যাক-এর এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এই সমীক্ষার হিসেব অনুযায়ী দেশে ৫ কোটি লোক অর্ধাহার-অনা‌হারের শিকার। এ সমীক্ষা অনুযায়ী, অামাদের মোট জনসমষ্টির তিনভাগের একভাগের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য নেই। তারা খাদ্য বঞ্চিত।

অান্তর্জাতিক সহযোগিতায় ব্র‍্যাক ইউনিভার্সিটি পরিচালিত  সমীক্ষা লব্ধ ফল  উপস্থাপনা করে ব্র‍্যাক  সেন্টারে  এক সেমিনারে ড. অাবদুল বায়েস সম্প্রতি এই তথ্য জানান। তিনি জানান দেশ খাদ্য উৎপাদনে রীতিমতো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও ঐ খাদ্য দেশের জন্য পর্যাপ্ত নয়। অামোদর বিশেষ করে পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে এখনও অনেক  দূরের পথ পাড়ি দিতে হবে।

দেশের খাদ্য নিরাপত্তার অবস্থা কী  - এ নিয়ে এ্ক প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অানু মুহাম্মদ জানান, এই সমীক্ষায় যে তথ্য অামাদের গোচরে এস‌েছে সেই অালোকে বলতে হবে যে অাসলে প্রকৃতি পরিস্থিতি অারও গুরুতর হতে পারে। তিনি জানান, সরকারের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়, দেশের মোট জনসমষ্টির চারভাগের  একভাগ দরিদ্র। এসব দরিদ্রের অাবার অর্ধেক দারিদ্র‍্যরেখার নিচে বাস করে। অার  এ কারণেই খাদ্য তাদের হতের নাগালে পৌঁছায় না। অার খাদ্য কিছু লোকের নাগালে থাকলেও কী মানের খাদ্য তারা অাহার করছে সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নয়। তিনি জানান, খাদ্যে ভেজাল থাকলে খাদ্যের সতিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবার নয়।

অর্থনীতিবিদ মাহবুবুল মোকাদ্দাম জানান, পুষ্টিভিত্তিক অভাব সর্বদাই অায়ভিত্তিক দারিদ্র্যের হারের তুলনায় ‌অনেক বেশি। কারণ জনগণের মাঝে খাদ্যের পুষ্টিমান সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব রয়েছে। সেকারণে সরকারের উচিত যে খাদ্য বাজারে পাওয়া যায় সেসব খাওয়ার জন্য নিরাপদ কি না সে বিষয়টি নিশ্চত করা।
সেমিনারে উপস্থিত ইন্সটিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ডিজিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ-এর সাবেক পরিচালক  জানান, একজন সুস্থ মানুষের জন্য ‌দৈনিক ২১০০ কিলোক্যালরি খাদ্য গ্রহণ প্রয়োজন।  

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চালচিত্র

এবনে গোলাম সামাদ

পাকিস্তানি ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি, ভারত ও বাংলাদেশ বাহিনীর পূর্ব রণাঙ্গনের প্রধান কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার সামনে আত্মসমর্পণের নির্দশনপত্রে স্বাক্ষর করছেন, ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১


পাকিস্তান রাষ্ট্রটির উদ্ভব হতে পেরেছিল মুসলিম জাতীয়তাবাদকে নির্ভর করে। যার উদ্ভব হতে পেরেছিল ব্রিটিশ শাসনামলে বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে। এই উপমহাদেশে যদি ব্রিটিশ শাসন না আসত তবে সম্ভবত এর উদ্ভব হতে পারত না। কেননা, দীর্ঘ ৭০০ বছর মুসলিম নৃপতিদের শাসনামলে কোনো দ্বিজাতিতত্ত্বের উদ্ভব ঘটেছিল না। শেখ মুজিব দ্বিজাতিতত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে। তিনি মনে করতেন, বাংলাভাষী মুসলমানের জাতীয়ভাবে আছে দু’টি দিক। ভাষাগত দিক থেকে তারা যেমন বাঙালি, তেমনি আবার ধর্মীয় কারণে তাদের মধ্যে বিরাজ করছে একটা মুসলিম স্বাতন্ত্র্য চেতনা। বিষয়টি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে। তার এই আত্মজীবনী একটি খুবই মূল্যবান রাজনৈতিক দলিল, যা পাঠে তার রাজনৈতিক চিন্তাচেতনার বিশেষ পরিচয় লাভ করা সম্ভব হয়। তার এই আত্মজীবনী প্রকাশিত হওয়ার আগে আওয়ামী লীগের একদল বুদ্ধিজীবী কেবল প্রচার করছিলেন যে, তিনি (মুজিব) ছিলেন নিখাঁদ বাঙালি জাতীয়তাবাদী। সেটা আর এখন সত্য বলে প্রতিভাত হচ্ছে না অনেকের কাছে। তাকে নিয়ে ভাবতে হচ্ছে ভিন্নভাবে।

দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কখনোই দাবি করেনি যে, এটি কেবলই একটি পূর্ব পাকিস্তানের দল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে এটি কেবল পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচনে প্রার্থী দাঁড় করায়নি, দাঁড় করিয়েছিল পাকিস্তানের পশ্চিম ভাগের প্রদেশ থেকেও। অন্য দিকে জুলফিকার আলী ভুট্টোর দল পিপিপি পূর্ব পাকিস্তান থেকে কোনো প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল না। অর্থাৎ পিপিপি নিজেকে ভাবত কেবল পাকিস্তানের পশ্চিম ভাগেরই একটা দল হিসেবে। যদিও আদর্শ হিসেবে দাবি করত যে, দলটি হলো সামাজিক সমাজতন্ত্রে আস্থাশীল। তার লক্ষ্য হলো জনগণের জন্য রোটি, কাপড় আর মোকাম। 

শেখ মুজিব তার ৭ মার্চের বক্তৃতায় দাবি করেছিলেন, আওয়ামী লীগ হলো পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টি। তিনি কখনোই বলেননি আওয়ামী লীগ হলো পূর্ব পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টি। তিনি তার এই বিখ্যাত বক্তৃতায় যদিও বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। কিন্তু সংগ্রাম বলতে তিনি ঠিক যুদ্ধ বোঝাতে চাননি। তিনি বলেছিলেন, সংগ্রামকে হতে হবে মূলত অহিংস। তিনি এ ব্যাপারে অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন মোহনলাল করমচাঁদ গান্ধীর অহিংস রাজনৈতিক কর্মপন্থাকে। জুলফিকার আলী ভুট্টো দাবি করেছিলেন, তিনি পাকিস্তানের পশ্চিম ভাগের সংখ্যাগুরু দলের নেতা। পাকিস্তানে হতে হবে দুইজন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু শেখ মুজিব এ রকম কোনো অদ্ভুত দাবি উত্থাপন করেছিলেন না। পাঞ্জাবের বিখ্যাত নেতা মিয়া মমতাজ দৌলতআনা বলেছিলেন, ভুট্টোর বক্তব্য খুবই আশ্চর্যজনক। কেননা, পাকিস্তান একটা রাষ্ট্র, দু’টি রাষ্ট্র নয়। একটি রাষ্ট্রে দু’টি সংখ্যাগুরু দল কখনো হতেই পারে না। ভুট্টো ছাড়া পাকিস্তানের আর সব নেতাই চেয়েছিলেন, শেখ মুজিবুর রহমান হবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তাই বলা চলে না, শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন সাবেক পাকিস্তান ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশ নামক একটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র গড়তে। তিনি চাচ্ছিলেন, সাবেক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে। কেবল পৃথক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে নয়।

সোভিয়েত ইউনিয়ন এখন আর টিকে নেই। কিন্তু ১৯৭১ সালে তা ছিল একটা খুবই শক্তিমান ফেডারেশন। সোভিয়েত ইউনিয়নের কথা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় না এসেই পারে না। কেননা ১৯৭১-এর ৯ আগস্ট হতে পেরেছিল ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ২৫ বছরের শান্তি, মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি; যেটি আসলেই ছিল সামরিক চুক্তি। এই চুক্তি না হলে ভারত কখনো পাকিস্তানের সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত হওয়ার কথা ভাবতে পারত বলে মনে করা যায় না। কেননা, পাকিস্তানের সাথে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা নিরাপত্তা চুক্তি। ভারত জানত, ভারত কর্তৃক যদি পাকিস্তান আক্রান্ত হয়, তবে এই চুক্তির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে তার (পাকিস্তানের) প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের পক্ষে থাকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধে অগ্রসর হতে চাইবে না। কিন্তু ১৯৭১-এর যুদ্ধ কার্যত হয়ে দাঁড়িয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে পাঠায় তার সপ্তম নৌবহর। যার প্রভাব বিরাটভাবে পড়েছিল ভারতের ওপর। অন্য দিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেবেছিল না যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে এভাবে রণতরী পাঠাবে। সে পরিত্যাগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নৌযুদ্ধের কথা। সোভিয়েত ইউনিয়নের যথেষ্টসংখ্যক সাবমেরিন ছিল। কিন্তু রণতরী ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাঠিয়েছিল বিমানবাহী এবং মেরিন সৈন্যবাহী জাহাজ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে বলেছিল, পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে গেলে মার্কিন মেরিন সেনারা পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে সেখানে অবতরণ করবে। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে। পূর্ব পাকিস্তানকে একটি পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে না। ভারত পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ভারত প্রস্তাব করে পাকিস্তান যদি পূর্ব পাকিস্তান থেকে সৈন্য সরিয়ে নেয়, তবে যুদ্ধ বন্ধ হবে। পাকিস্তানকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে হবে। এ নিয়ে শুরু হয় দরকষাকষি। চীন পাকিস্তানকে পরামর্শ দেয় পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে সৈন্যদের সরিয়ে নিতে। আর সে জায়গায় ২৪ হাজার বাংলাভাষী সৈন্য, যারা পশ্চিম পাকিস্তানে অবস্থান করছে, তাদের পূর্ব পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে। এসব সৈন্য সবাই ছিল ভারতবিরোধী। চিন্তাচেতনার দিক থেকে রক্ষণশীল ও ইসলামি মনোভাবাপন্ন। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি খুব জটিল হয়ে ওঠে। পাকিস্তানের এ এ কে নিয়াজীর পক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া হয়ে ওঠে খুব কঠিন। তিনি চান দ্রুত যুদ্ধের অবসান। নিয়াজী চান ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করতে। এ রকমই বলা হয়ে থাকে। কিন্তু আসলে কী ঘটেছিল, সে সম্বন্ধে এখনো পরিষ্কার কিছু ধারণা করা চলে না।

ভারত বলে, পাকিস্তান যদি পূর্ব পাকিস্তানে তাদের পরাজয় স্বীকার করে, তবে পশ্চিম পাকিস্তানে সে যুদ্ধ বন্ধ করবে। পাকিস্তানকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে সেনা সরাতে হবে। তা না হলে যে ৯০ লাখ শরণার্থী পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতে গিয়েছে, তাদের পূর্ব পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে না। পাকিস্তানের পূর্ব কমান্ডের প্রধান সেনাপতি এ এ কে নিয়াজী ভারতের পূর্ব কমান্ডের প্রধান সেনাপতি জগজিৎ সিং অরোরার কাছে শর্তহীনভাবে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু ব্যাপারটাকে যতটা শর্তহীন বলা হয়, আসলে তা ছিল না। সমস্ত পাকবাহিনীর বন্দীকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ আশ্রয়ে এবং তাদের বাংলাদেশে আটকে না রেখে স্থানান্তরিত করা হয় ভারতে। এরপর ১৯৭২ সালের ৩ জুলাই হয় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তি। এই চুক্তি অনুসারে পাক সেনাবাহিনীর সব বন্দীকেই দেয়া হয় মুক্তি এবং যেতে দেয়া হয় পাকিস্তানে। পাকিস্তানের কোনো যুদ্ধবন্দীর বিচার করা হয় না যুদ্ধাপরাধের জন্য।

ভারতের স্বতন্ত্র দলের নেতা পিলু মোদি (Piloo Mody) একটি বই লিখেছেন Zulfi My Friend নামে। জুলফি বলতে তিনি বুঝিয়েছেন, জুলফিকার আলী ভুট্টোকে। তিনি তার বইতে বলেছেন, ইন্দিরা গান্ধী সিমলা সম্মেলনের সময় একবার যুদ্ধাপরাধ বিচারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন। জনাব ভুট্টো সেই সময় বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে গেলে সব পক্ষের যুদ্ধাপরাধেরই বিচার করতে হবে। আর সেটা করতে হবে জেনেভা কনভেনশন অনুসারে। ইন্দিরা গান্ধী দেখেন, সেটা করতে গেলে নানা অসুবিধার মধ্যে ভারতকে পড়তে হবে। তাই তিনি ব্যাপারটি স্থগিত করেন। সিমলা চুক্তি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। সিমলা সম্মেলনে বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধিকে ডাকা হয়নি। সিমলা সম্মেলনের শেষে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয় তাতে ১৯৭১-এর যুদ্ধকে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান সঙ্ঘাত (Conflict) হিসেবে। উল্লেখ করা হয়নি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে।

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে ঠিক কী চেয়েছিলেন আমরা এখনো তা জানি না। ইন্দিরা গান্ধী একটি বই লিখেছেন My Truth নামে। বইটির বাংলা অনুবাদ করেছেন, স্কোয়াড্রন লিডার (অব:) মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম। তিনি বইটির নাম দিয়েছেন ‘আমার সত্যকথন’। এই বইতে ইন্দিরা গান্ধী শেখ মুজিবুর রহমানের মূল্যায়ন করেছেন এভাবে - ‘তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত ভাবপ্রবণ, উষ্ণ হৃদয়ের লোক, যিনি একজন আইনপ্রণেতার চেয়ে পিতৃসুলভ ব্যক্তিত্বের বেশি অধিকারী ছিলেন। উপরন্তু তিনি সংগ্রামের বেশির ভাগ সময় দূরে অবস্থান করেছিলেন। আমি বলতে চাচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধ, নির্বাচন ইত্যাদি বিষয় তার চিন্তাধারা, জনগণের দৃষ্টিকোণ থেকে স্বতন্ত্র ছিল, যারা এসব বিষয়ে অংশ নিয়েছিলেন।

আমি মনে করি না যে তিনি তাদের পুরোপুরি বিশ্বাস করেছিলেন, কিন্তু তারা তার প্রতি অত্যন্ত বিশ্বস্ত ছিলেন। তাই তারা যা কিছু করেছিলেন, তার (মুজিব) নামে ও তার জন্য করেছিলেন। কিন্তু তিনি এই লোকদের গুরুত্ব দেননি, বরং তাদের গুরুত্ব দিয়েছিলেন, যারা তার বিরুদ্ধে ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল। এতে একটি প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি অবশ্যম্ভাবী ছিল।’

ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭১ সালে তার দু’জন উপদেষ্টার ওপর খুব নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন। এদের মধ্যে একজন হলেন দুর্গাপ্রসাদ দার (ধর); আর একজন হলেন পি এন হাক্সার। এরা উভয়েই ছিলেন জন্মসূত্রে কাশ্মিরের লোক। আর এরা উভয়েই ছিলেন ছাত্রজীবন থেকেই মস্কোপন্থী কমিউনিস্ট। এদের দু’জনের প্রচেষ্টাতেই সম্ভব হতে পেরেছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ভারতের ২৫ বছরের শান্তি, মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদও ছিলেন মস্কোপন্থী কমিউনিস্ট। তাই তার পক্ষে সম্ভব হয়েছিল কলকাতায় যেয়ে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হওয়া। তিনিও ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর খুবই আপন লোক। ইন্দিরা গান্ধী হয়তো ভেবেছিলেন শেখ মুজিব পাকিস্তান থেকে আর কখনোই ফিরবেন না। তার প্রাণদণ্ড হবে। ফলে তিনি তাজউদ্দীন আহমদ ও তার দলের লোকদের সহায়তা করে চলতে পারবেন। কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি। জুলফিকার আলী ভুট্টো জেল থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন শেখ মুজিবকে। সুযোগ করে দিয়েছিলেন তাকে বাংলাদেশে আসার জন্য, যাতে বাংলাদেশে তাজউদ্দীন আহমদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে।

শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি। তিনি পাকিস্তান থেকে ৮ জানুয়ারি পিআইএর একটি বিশেষ বিমানে করে যান লন্ডনে। সেখানে যেয়ে দেখা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্থ হিথের সাথে। লন্ডন থেকে তিনি ১০ জানুয়ারি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একটি বিমানে করে আসেন নয়াদিল্লি। দেখা করেন ইন্দিরা গান্ধীর সাথে। তারপর ওই একই ব্রিটিশ বিমানে করে যাত্রা করেন ঢাকায়। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আপত্তি তুলেছিল। বলেছিল, ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর বিমানে করে ঢাকা যাওয়া ঠিক হবে না। কেননা, গ্রেট ব্রিটেন তখনো বাংলাদেশকে একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে কূটনৈতিক স্বীকৃতি প্রদান করেনি। কিন্তু শেখ মুজিব তাদের আপত্তিকে পাশ কাটিয়ে ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর বিমানে করেই এসে পৌঁছান ঢাকায়। কেন তিনি এ রকম করার প্রয়োজনীয়তা দেখেছিলেন, সেটা এখনো জানা যায়নি। গ্রেট ব্রিটেন বাংলাদেশকে একটা পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে কূটনৈতিক স্বীকৃতি প্রদান করেছিল ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে। শেখ মুজিব সরাসরি পাকিস্তান থেকে নয়াদিল্লি না আসায় ভারতে সৃষ্টি হতে পেরেছিল দারুণ প্রতিক্রিয়া। এ সময় আমি ছিলাম কলকাতায়। কলকাতায় ট্রামে-বাসে লোকদের বলতে শুনেছিলাম, শেখ মুজিবুর রহমানকে ইন্দিরা গান্ধীর অতটা বিশ্বাস করা উচিত হয়নি। এ রকম কথাও অনেককে বলতে শুনেছিলাম যে, ইন্দিরা গান্ধীর পিতা জওয়াহেরলাল নেহরু সৃষ্টি করেছিলেন একটি পাকিস্তান, তার কন্যা ইন্দিরা গান্ধী সেই একটি পাকিস্তানকে খণ্ডিত করে সৃষ্টি করলেন দু’টি পাকিস্তান। যার ফলে ভারতে পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তা আরো অনিশ্চিত হয়েই পড়ল।

লেখক : প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট 
সৌজন্যে - দৈনিক নয়াদিগন্ত। 

Tuesday, December 12, 2017

গুম খুনে যতি নেই


কাদের গণি চৌধুরী


বিশ্ব জুড়ে মানবাধিকার দিবস পালিত হচ্ছে এই সপ্তাহে। সারা বিশ্ব যখন  যথাভাবগাম্ভীর্যে  এ দিবসটি পালন করছে বাংলাদেশে তখন চলছে মানবাধিক লংঘনের মহোৎসব। মানুষের জান, মাল, ইজ্জতের কোন নিরাপত্তা নেই। মসজিদে খুন। মন্দিরে খুন।গীর্জায় খুন। পিলখানায় খুন। ক্যান্টনমেন্টে খুন। জেলহাজতে খুন। ডিবি অফিসে খুন। বেডরুমে খুন। এমন কি মায়ের পেটেও শিশু নিরাপদ নয়। পীর-মাশায়েখ,ইমাম- মওলানা থেকে শুরু করে যাজক,পুরোহিত কারও রেহাই নেই। খুন হচ্ছে সাংবাদিক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, কুটনীতিক, শিক্ষক, ছাত্র। পার্লামেন্ট মেম্বার, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরমেয়র কেউ রেহায় পাচ্ছেনা। কাউকে কেটে ১২ টুকরো, কাউকে টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছে, আবার পেট কেটে পাথর বোঝায় করে লাশ ডুবিয়ে দেয়া হচ্ছে নদীতে। যে খাল, বিল, ঝিলে মাছ থাকার কথা সেখানে এখন পাওয়া যায় লাশ।

তিন বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধা ধর্ষিতা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। গুম হচ্ছে ভিন্নমতের রাজনীতিকরা। তাদের হদিস মেলে না। লাশও পাওয়া যায় না। হাতে গোনা যারা ফিরছে বিধ্বস্ত  হয়ে তারা কি ‌যেন  অজ্ঞাত রহস্যে মুখ খুলছে না।

পত্রিকায় দেশবরেন্য বুদ্ধিজীবী, কবি, কলামিস্ট ও সমাজ চিন্তক ফরহাদ মজহার তাকে গুম করার পর অনেকদিন  বিচারের অপেক্ষায় থেকে নির্যাতনের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।

চলতি বছর নিখোঁজ হন সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, শিক্ষক ড. মুবাশ্বার হাসান সিজার, ব্যবসায়ী সৈয়দ সাদাত আহমেদ, সাংবাদিক উৎপল দাস, রাজীনিতক এম এম আমিনুর রহমান ও ছাত্র ইশরাক আহমেদ।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে দেশে চার সহস্রাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮৫৫টি হত্যাকাণ্ড। গুম বা নিখোঁজ হয়েছেন ৫২ জন।বন্দুকযুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ৮৩ জন। এছাড়া ৫ বছরে নিখোঁজ হয়েছেন ৫২০ জন।

সবশেষ মঙ্গলবার নিখোঁজ হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। খুনের শিকার হচ্ছে অবুঝ শিশুও।নিখোঁজ বা গুমের শিকার হচ্ছে মানুষ। বাসা, অফিস, রাস্তা থেকে হঠাৎ করেই হাওয়া হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। আবার অনেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন।

রোববার, ডিসেম্বর ১০, জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মায়ের ডাক, সন্তানদের মায়ের কোলে ফিরিয়ে দাও’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নেন গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় নিখোঁজ সাজেদুল ইসলামের ছোট মেয়ে আরওয়া ইসলাম বাবার জন্য কান্নায় ভেঙে পড়ে। 


জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন অনুসারে, এ ছয় মাসে প্রতিদিন গড়ে ২৩টির বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। মোট মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ৪ হাজার২৪০টি। এর মধ্যে ৮৫৫টি হত্যাকাণ্ড। গুম বা নিখোঁজ হয়েছেন ৫২ জন। বন্দুকযুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ৮৩ জন। একই সময়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন ১৯৩ জন। নির্মমতা থেকে বাদ যাচ্ছে না নারী-শিশুও। হত্যার শিকার হয়েছে ১২৯ শিশু। আর নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১২৩ শিশু। বছরের প্রথম ৬ মাসে ৩০৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যৌন নির্যাতন, পারিবারিক সহিংসতা, এসিড নিক্ষেপসহ আরও বিভিন্নভাবেসহিংসতার শিকার হয়েছেন ২৯৯ নারী। এর বাইরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অমানবিক শাস্তির শিকার ১২৭ শিশু শিক্ষার্থী।

পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে অনুসারে, পুলিশের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ১২৭টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানিকেও মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। ৬ মাসেসড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৮৫৩ যাত্রী ও পথচারী।

তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে খুন ১০৫২, শিশুহত্যা ১৯৭, গণধর্ষণ ৭৭ ও ক্রসফায়ারে মৃত্যু ১৫৭ জনের।২০১৭ সালে (জানুয়ারি থেকে নভেম্বর) সেটি এসে দাঁড়িয়েছে- খুন ৮৮৪, গণধর্ষণ ৭২২, ক্রসফায়ারে মৃত্যু ৯৩ জন ও শিশুহত্যা ৩১৩।

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির চিত্র ফুটে উঠেছে সুপ্রিমকোর্টের পর্যবেক্ষণে।বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি হুমকির মুখে, সংসদ অকার্যকর এবং প্রশাসনে অব্যবস্থা বিরাজমান বলে মন্তব্য করেছে দেশের সর্বোচ্চ এআদালত।সম্প্রতি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালতের এইসব পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হয়।

উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি হুমকির মুখে, দুর্নীতির প্রাদুর্ভাব বেড়েছে, সংসদ কার্যকর নয়, কোটি কোটি মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এবং প্রশাসনেও তীব্র অপব্যবস্থাপনাবিরাজ করছে।”নাগরিকদের জীবন ও নিরাপত্তা সম্পূর্ণরূপে অনিরাপদ হয়ে উঠছে মন্তব্য করে রায়ে বলা হয়, “আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, যার ফলশ্রুতিতে একটি বিকলাঙ্গ সমাজ তৈরিহয়েছে; যেখানে ভালো মানুষ আর ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখছে না। কিন্তু খারাপ মানুষগুলো অবৈধ সুবিধা আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠছে।”

“এমন অবস্থায় নির্বাহী বিভাগ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছে। এর ফলে আমলাতন্ত্রে দক্ষতা বলে কিছু থাকবে না,” মন্তব্য সর্বোচ্চ আদালতের।
আদালতের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, “স্বাধীনতার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানেই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দাঁড় করাতে পারিনি। কোথাও কোনো চেক অ্যান্ড ব্যালান্স নেই; কর্মক্ষেত্রে নজরদারি নেই; যেকারণে পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষমতার অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে ও ইচ্ছেমতো ক্ষমতা প্রয়োগের দুঃসাহস দেখাচ্ছে।”

বিচার ব্যবস্থার ওপরও আলোকপাত করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, “অবিরাম চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বিচার ব্যবস্থা রাষ্ট্রের একমাত্র অপেক্ষাকৃত স্বাধীন অঙ্গ। যদিও তা নিমজ্জিত হচ্ছে কিন্তু প্রতিকূলতা মাড়িয়ে টিকে থাকার আপ্রাণচেষ্টা করছে।”

নিউইয়র্কভিত্তিক বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে  বাংলাদেশ স্বৈরতান্ত্রিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।   হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে কিছুদিন আগে।৯০টির বেশি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তৈরি করা ওই প্রতিবেদনের ‘বাংলদেশ অধ্যায়ে মন্তব্য করা হয়েছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ স্বৈরতান্ত্রিক দিকে এগিয়ে গেছে; দেশটিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতারওপর প্রচণ্ড আঘাত এসেছে; সরকার গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে, আদালত অবমাননার অভিযোগ বা অস্পষ্ট আইনের আওতায় তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করেছে; নিরাপত্তাবাহিনীগুলো ‘গুম’ (ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স), যথেচ্ছ গ্রেপ্তারসহ (আরবিট্র্যারি অ্যারেস্ট) মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন ঘটিয়েছে; যারা এসবের জন্য দায়ী, তাদের ব্যাপারে তদন্ত বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সামান্যই; নিরাপত্তা বাহিনীগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বিচারের ঊর্ধ্বে থাকার বা ‘ইমপিউনিটি’ ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে ইত্যাদি। 

বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার শূণ্যের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময়চলছে। এদেশে শুধু বিরোধীদলের নেতাকর্মীরাই শুধু নয়, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, নারী, শিশুসহ কারোই কোনো নিরাপত্তা নেই। এদের অধিকাংশই গুম, গুপ্ত হত্যা এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকারহচ্ছেন। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও দল নির‌প‌েক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টকশো আলোচকদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে এবং কাউকে কাউকে কারান্তরীণও করেরাখা হয়েছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, মানবাধিকারের কতগুলো শর্ত আছে, যেখানে একজন মানুষ সমাজে স্বাধীনভাবে বসবাস করবে। সে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, অন্যেরমুখাপেক্ষী হতে হবে না। কিন্তু সমাজের সবাই এ সুবিধা পাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, একের পর এক রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক নিখোঁজ হচ্ছে, তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তারা বেঁচে আছে নাকি মরেগেছে- তাদের খুঁজে বের করার মূল দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র এ দায় কিছুতেই এড়াতে পারে না।

সবচেয়ে বড় বিপদ হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কখনো কখনো এমন বক্তব্য দিয়ে বসেন, যা ভুক্তভোগী পরিবারের লোককে আরো বেশি মর্মাহত ও আশাহত করে তোলে। যখন তারা বলেন, অপহৃতব্যক্তি বা গুম হওয়া লোক নিজেই আত্মগোপন করেছেন, কিংবা পুলিশের পক্ষে তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়; এ ধরনের বক্তব্য দায়িত্বহীন। কিন্তু পরিবার তো জানে, আত্মগোপন করেছে নাকি গুম হয়ে গেছে, নাকি কেউতুলে নিয়ে গেছে। সে কথার কোনো মূল্য থাকে না। এসব বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর ওপর আস্থা আরো কমে আসে। এ কথা এখন সমাজের বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর অনেকেই বলতে শুরু করেছেন।

এর সর্বশেষ শিকার সাবেক অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ছোট মেয়েকে আনতে বিমানবন্দরের উদ্দেশে নিজেই গাড়ি চালিয়ে যাত্রা করেছিলেন দুর্ভাগা মারুফজামান। তার ছোট মেয়ে বড় বোনের সাথে দেখা করতে বেলজিয়াম গিয়েছিল। তার ঢাকায় ফিরে আসার কথা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।

কিন্তু মারুফ বিমানবন্দরে পৌঁছেননি। মাঝপথেই কী যে ঘটে গেল, বোঝা দায়। রাত ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে তার বাসার ল্যান্ডফোন বেজে ওঠে। কাজের মেয়ে সে ফোন ধরে ‘হ্যালো হ্যালো’ বলতেই তাকেটে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আবারো ল্যান্ডফোনটি বাজে। ফোন করেছিলেন মারুফ জামানই। তার কণ্ঠস্বর চিনতে পারেন কাজের মেয়ে। মারুফ তাকে বলেন, ‘কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় কম্পিউটার নিতে লোক যাবে। তাদেরকম্পিউটার দিয়ে দাও।’ ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে তিনজন সুঠামদেহী সুদর্শন ফর্সা লম্বা তরুণ তার বাসার গেটে হাজির হন। দারোয়ানকে বলেন, ‘মারুফ জামানের বাসায় যাবো, কথা হয়েছে।’ তারা এসে ল্যাপটপ, ডেস্ক টপেরহার্ডডিস্ক, তার ক্যামেরা নিয়ে যায় এবং ঘরের বিভিন্ন ড্রয়ার তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখে। মিনিট দশেকের মধ্যে তারা বেরিয়েও যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, তাদের তিনজনেরই মাথায় মাঙ্কি ক্যাপ পরা ছিল এবংক্যামেরার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা মুখ ঘুরিয়ে চলে যায়। ফলে তাদের স্পষ্টভাবে দেখা যায়নি।

খুব স্পষ্ট যে বাসা থেকেই কেউ তাকে ফলো করছিল এবং বিষয়টি ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত। আগে থেকেই ঠিক করা ছিলÑ ফলো করে কেউ তার পথ আটকাবে, তাকে তুলে নেবে এবং তাকে দিয়ে তার বাসায় ফোন করাবে যে, ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক এগুলো দিয়ে দেয়া হোক। কাছেই লোক মোতায়েন ছিল। তারা এসে ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক, ক্যামেরা এসব নিয়ে চলে যাবে। হ্যাঁ, তারা কোনো ডাকাতি করেনি, কাউকে মারধরও করেনি, নীরবে সব নিয়ে চলেগেছে।

গত চার মাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেছেন ১৩ জন। তাদের মধ্যে আটজন ফিরে এসেছেন। বাকি পাঁচজনের আজো কোনো সন্ধান মেলেনি। যে পাঁচজনের সন্ধান মেলেনি তারাহলেন- নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের হাসান সিজার, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও এবিএন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সাদাত আহমেদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবআমিনুর রহমান এবং কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইশরাক আর সাংবাদিক উৎপল দাস। এদের হারানোর বেদনা যে কত গভীর সেটি ভুক্তভোগী পরিবারগুলোই জানে। মাঝে মাঝে তারা সাংবাদিকদের সামনেহাজির হন, বলেনÑ তার স্বজনের লাশটি হলেও ফিরিয়ে দেয়া হোক। সেখানে মা কাঁদেন, বাবা কাঁদেন, শিশুসন্তান কাঁদে। এই জনপদ থেকে তবে কি হাসির বিলুপ্তি ঘটবে?

এরকম একেকটি ঘটনা ঘটে। আর সমাজের ভেতরে নতুন করে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কেউ জানে না, কে কোথায় ওঁৎ পেতে বসে আছে, কাকে তুলে নেয়ার জন্য। যদি কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে আইনি প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার বিচার হতে পারে। কিন্তু একটি লোককে নিখোঁজ করে দেয়ার অর্থ কার্যত আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া। এটা এক ভয়ঙ্কর অপরাধ। আর সে অপরাধী যেই হোক, তার বিচার হওয়া জরুরি।

বোঝার তো কোনো উপায় নেই যে, কে এই অপরাধ ঘটাল? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক, নাকি সাধারণ দুষ্কৃতকারী? সরকারি কতৃপক্ষের সাফাই হলো, কারা এটা করছে জানা নেই। উল্টো বরং কেউ কোনো ফাঁকে সেই রহস্যের ঢাকা কৃষ্ণবিবর  থেকে ‌বেরিয়ে অাসছে যেমন ফরহাদ মাযহার প্রতিকার পাবেন কি! পুলিশ তার বিরু‌দ্ধে অপহরণ নাটক সাজানোর মামলা ঠুকে দিতে একমূহূর্তও সময় নষ্ট করেনি ।

The onion hits upon a century and counting!


Farid Ahmed 

The onion has hit a surprising century and running uncontrollably upward. The heat is really on. It is Tk120 for a kg. It is a rare phenomenon in Bangladesh market, though. The bumpy onion market may last for a while thanks to the Indian supply side, they say. Our business community is apt to blame India for anything if the supplies are from India and quickly pass the blame on to them at the drop of a hat.

Incidentally, this is the peak of the season for onion. And the market caught on ‘fire’ just a fortnight before when India raised the export price of onion to US$ 352 per ton. The price was just within the range of Tk25 to Tk35 in the peak of the season last year. The price has gone up for both indigenous and Indian varieties by about 210 percent. And the onion market is on the hop, skip and jump practices since in a run up to this peak season with no relief in sight.

A news report reveals, the producers of onion in Faridpur have been deprived of a fair share of the bargain  and even they failed to have their cost of production. 

Most surprising side of this price spiral is that both production and import of onion have gone up and the market supply of the onion was 7 lakh metric tons in excess of the total market demand while much to the chagrin of the consumers it’s prices are rocketing to heaven.

Philippino bank accuses Bangladesh of scandal 'cover-up'




The Philippines bank through which $81 million stolen from Bangladesh's central bank was channeled in February 2016 has accused Dhaka's monetary authority of covering up its
negligence and demanded that it stop making the bank a ‘scapegoat.’

Rizal Commercial Banking Corp (RCBC) was responding to comments on Saturday by Bangladesh finance minister Abul Maal A Muhith who said he wanted to ‘wipe-out’ the Manila-based bank.
The comments follow a Reuters story that Bangladesh Bank had asked the New York Federal Reserve to join a lawsuit it was considering filing against RCBC seeking damages, according to several sources.

‘RCBC has revealed everything it legally it could to the (Philippine) Senate and its regulator, the Bangko Sentral ng Pilipinas. BB, however, has concealed everything it could. The
contrast is telling,’ George dela Cuesta, head of legal affairs at RCBC, said in a statement on Tuesday.

Unidentified hackers stole $81 million from Bangladesh Bank's account at the New York Fed in February last year, using fraudulent orders on the SWIFT payments system. The money was sent
to accounts at Manila-based Rizal Commercial Banking Corp and then disappeared into the casino industry in the Philippines.

Nearly two years later, there is no word on who was responsible and Bangladesh Bank has been able to retrieve only about $15 million, mostly from a Manila junket operator.

‘BB is definitely partly to blame for the heist. Its refusal to be transparent is a continuing cover-up and a disservice to global efforts to combat cybercrime,’ dela Cuesta said. ‘RCBC
is clearly a victim of BB's negligence.’

RCBC has blamed rogue employees and Philippine prosecutors have filed money laundering charges against a former RCBC bank manager and four people who owned the bank accounts where the funds were sent, but are not identifiable since the accounts were in fake names. They are the only people to be formally cited anywhere in the world in association with the crime.

RCBC was fined a record one billion pesos ($20 million) by the country's central bank last year for its failure to prevent the movement of the stolen money through it.

‘BB must be sanctioned until it owns up and shares what it knows to prevent a repeat. Up to now, not one Bangladeshi has been identified in the inside job, much more hauled to the
court,’ dela Cuesta said. 

Govt. to allow two more private banks

(Editor’s Note: Well known economists, including two former finance ministers, have recently warned the government against allowing any new commercial bank in the private sector. They argued that instead it should try to keep the banking sector under strict watch as a large number of banks were grossly mismanaged, and if necessary, merge some of these banks with the stronger ones. But it is clear now that the government on political consideration has again decided to allow two more banks disregarding the dismal track records of some of the banks allowed on political consideration. Any government ought to be more careful in taking such decision as the banks deal with the peoples’ money and it can’t shirk its responsibility.)    



Shakhawat Hossain/New Age 

The Prime Ministers’ Office has given consent to the establishment of two more banks by private entrepreneurs amid warning by the experts that entry of new banks would be disastrous for the already scam-hit and overcrowded banking sector.

The consent came in the past week following a proposal made by Financial Institutions Division to award licences for establishing the proposed Bengal Bank and People’s Bank, division officials said.

They said that consents to the establishment of Bengal Bank by Bengal Group of Industries and People’s Bank by MA Quasem of Swandip, backed by Awami League leaders, had already been forwarded to the Bangladesh Bank which was likely to review the proposals in the next board meeting.

The central is also likely to consider the proposal for the establishment of another bank owned by the police, the officials said.

Financial Institutions Division secretary Eunusur Rahman, also a member of the central bank board of directors, however, told New Age on Monday that he was not sure whether the proposals would be reviewed in the next board meeting.


The agenda and the date of the next board of directors’ meeting were yet to be fixed, he said. 

On November 27, finance minister AMA Muhith said that the government was going to give licences for setting up three more new banks.

He, however, did not name the banks.

Despite severe criticism, the incumbent government in 2012-13 awarded licences for the establishment of nine banks reportedly on political consideration. 

Two of them — NRB Commercial Bank and Farmers Bank — are already identified as risky by the parliamentary standing committee on finance at a meeting on October 29 because of scams and growing non-performing loans.

Other new banks — Meghna Bank, Midland Bank, Modhumoti Bank, NRB Bank, NRB Global Bank, South Bangla Agriculture and Commerce Bank and Union Bank — are also struggling because of their inexperience in the banking business, experts said.

Bad loans given by the nine fourth-generation banks increased by 86.18 per cent to Tk 509.10 crore in the first quarter of 2017-18. 

Economic Research Group research director Sajjad Zohir said the overall banking sector was passing through a crisis due to scams in both private and public banks.

He said that the crisis was getting acute because of awarding new banking licences to inexperienced groups.

He compared the situation with drivers on the highway without proper driving knowledge.

Transparency International Bangladesh executive director Iftekharuzzaman said that the establishment of new banks to embezzle depositors fund became a ‘fashion’ nowadays.

The loan scams in the new banks in addition to growing defaulted loans of over Tk 80,000 crore in the banking sector would discourage depositors  to save money in the banks, he said.

Bengal Group of Industries vice-chairman Jashim Uddin, however, said that all of the 57 banks were not bad and some of them were doing good business with the expansion of the country’s economy.

He said that they would run their proposed bank with professionals so that it could flourish like other companies of the group. 

Monday, December 11, 2017

Citizens for consensus on poll-time government


Moloy Saha and Sadiqur Rahman


Civil society members, including academics, professionals and freedom fighters, on Saturday said that the issue of the election-time government should be resolved for holding a free, fair and inclusive general election.

The country would face a dire and confrontational situation if the issue was not resolved through consensus between the government and opposition political parties and it is the government that should take initiatives to resolve it first, they told New Age on Saturday.

They made the observations in reactions to comments made by prime minister Sheikh Hasina at a press conference on December 7, ruling out any possibility of holding talks for bringing all political parties in the next general election.

She said that political parties in a multiparty democracy had the responsibility to participate in the polls.

‘The parties, who believe in democracy, will participate in the polls. It is the decision of a particular party whether to participate in the polls or not,’ Hasina said at the briefing at her official residence Ganabhaban after her three-day Cambodia visit.

Dhaka University professor Abul Quasem Fazlul Huq expressed hope that the political parties would be able to reach a consensus to avoid confrontations before the next general election.

The ruling and opposition political parties should be sincerer in saving the country and its people, he said.

The political parties who want election-time neutral government other than the constitutional provisions should give their written proposals, h said, adding that those parties had not presented any such proposal so far to enable people to consider the justifications of the demands.

Freedom fighter Zafrullah Chowdhury, also Gonoshasthaya Kendra founding trustee, expressed hope that the issue of the election-time government would be resolved and the next general election would be free, fair, credible and inclusive.

‘We want a free, fair and participatory general election so that the voters can apply their voting rights,’ Zafrullah said.

He believed that the comment of the prime minister was a political rhetoric and she would take steps to resolve the issue of the election-time government. 

Architect Mobasher Alam said that in a democracy the ruling party had a responsibility to create a strong opposition party in parliament.

‘We want a free, fair, credible and inclusive election in the country, where the voters would cast their vote for electing the next government,’ he said.

As a ruling party, the Awami League should take initiatives for holding a credible election, he added.
Cultural activist and actor Ramendu Majumder, said that the next general election would be held according to the constitutional provision under the incumbent government.

If the Election Commission is empowered, it can hold a free, fair and credible general election, he added.

Dramatist and actor Mamunur Rashid said that the issue of the election-time government should be resolved through consensus between the government and the opposition parties.

In a democracy, negotiation, discussion and interaction are the essential components, he said.
He believed that the issue would be resolved and country would get a free, fair, credible and inclusive general election. 
Newagebd.net

Increased number of disappearances worries rights campaigners




Rights campaigners on Sunday expressed concern about the increasing number of enforced disappearances, with people from various professional groups now going missing, which intensified the sense of insecurity in society. 

They also spotted a change in the way people were facing enforced disappearance — earlier the victims used to be picked up from their house or their workplace or any place they family were aware about, but now the victims were going missing on their way to any direction.

‘Families are in dilemma as to who is to blame for it. We have noticed the trend, especially since August,’ rights group Odhikar director ASM Nasiruddin Elan told an indoor discussion at National Press Conference in the capital.

Over two dozen families of enforced disappearance victims organised the programme to observe Human Rights Day on December 10.

Many other rights groups and socio-political organisations organised programmes on the occasion, where they expressed concern about deteriorating human rights situation. 

At the press club programme, the campaigners were highly critical of the continued incidents of enforced disappearance, extrajudicial killings in the name of ‘crossfire’ and ‘gunfight’ and secret detention and custodial torture.

Referring to the United Nations’ definition of enforced disappearance, Elan said it was now difficult for the victim family in many cases to blame a particular agency while the perpetrators were enjoying impunity.

On December 4, former diplomat Muhammed Maroof Zaman, who served as ambassador to Qatar and Vietnam, went missing while going to Hazrat Shahjalal International Airport to pick up his daughter. 

Anti-extremism analyst Mubashar Hasan Caesar, also a North South University political science teacher, also went missing after emerging from a meeting at the United Nations country office at Agargaon in Dhaka on November 7.

According to rights organisation Odhikar, at least 408 individuals were subjected to enforced disappearance between January 2009 and November 2017.

Addressing the function, Zafrullah Chowdhury, founder and trustee of Gonoshasthaya Kendra, accused the government of the enforced disappearance and other extrajudicial activities saying ‘none of the incidents takes place without the government’s nod.’ 

He observed that one of the reasons behind the continued rights abuse was the ineffectiveness of the judiciary. 

Rights campaigner Nur Khan Liton said they planned to hold a mass-hearing by March next year on rights situation and to record the reported cases of rights abuses over the years across the country.

He said they would record cases of reported incidents of rights abuses in order to get a promise from the government to identify the perpetrators and to bring them back.

Nagarik Oikya convener Mahmudur Rahman Manna said all the victim families present at the programme alleged that security agencies had taken away their family members.

Dhaka University teacher CR Abrar urged the government to return the victims of enforced disappearances to their families if they were alive.

‘If they are not alive, please tell us what has happened to them. Book them who are involved with the incidents,’ he urged.

Enforced disappearance victim and Bangladesh Nationalist Party leader Sajedul Islam Sumon’s sister Marufa Islam read out a written statement, urging the government to ensure the return of all victims.

In the statement, she detailed how his brother Sumon and 18 others were picked in two weeks just before the national election held in January 2014 boycotted by major political parties including the BNP.

In the programme, Adiba Islam Hridi, the seven-year-old daughter of Chhatra Dal leader Parvez Hossain, who remains missing since 2013, sought prime minister Sheikh Hasina’s intervention in finding her father.

‘Please bring my papa back or send me to my papa. I want to go to school with my papa. Sheikh Hasina aunty, please return my papa,’ Hridi cried.

In a separate rally, BNP secretary general Mirza Fakhrul Islam Alamgir alleged that whoever raised voice against the present government became victims of killing or enforced disappearance.
He claimed that so far 78,340 false cases were filed implicating 7,83,236 leaders and activists of BNP across the country during the rule of the present government.

He said that a total of 520 party activists were killed by law enforcers, 647 others abducted, 157 went missing.

Marking Human Rights Day, National Human Rights Commission organised a two-day programme at Bangabandhu International Conference Centre in Dhaka. 

As part of the programme, a two-day international conference titled ‘Promoting Equality, Justice and Human Dignity’ began at Bangabandhu International Conference Centre. 

  • Resource - .newagebd.net 


‘Confession’ was what DB made me to write: Farhad Mazhar



Writer, columnist and poet Farhad Mazhar on Saturday said that the Detective Branch of police sent him to court handing him a written copy for making a statement which he handed over to the magistrate and then collapsed on a sofa a day after he was ‘abducted’ by unknown people and rescued by police on July 3.

He made the explanation at a news conference at his Shyamali house in Dhaka two days after a Dhaka metropolitan magistrate allowed police to prosecute Farhad and his wife Farida Akhter, a rights activist, accusing them of staging a drama of abduction and lodging a ‘false’ case.

‘You should be sure that it was not a drama,’ said Farhad, demanding justice and stop of abduction and enforced disappearance in the country.

On December 7, the same court in the morning allowed Farida time to file a petition against the Detective Branch’s report that it found no proof of abduction of Farhad. In the afternoon, the same court rejected the time petition and allowed police to prosecute Farhad and Farida.

Farida, complainant of the abduction case filed with Adabor police station, said that they would now seek justice at the higher court. 
‘After rescue, I was taken to Adabor police station in Dhaka while I was physically and mentally collapsed. I was barred from going to my home in spite of assurance [by police]. [I] was taken to DB office after keeping me waiting at [Adabor] police station,’ Farhad recalled.

‘At the DB office, I was interrogated and cross-examined while I was stunned, tired and collapsed and was sent to a magistrate with a written copy for giving a statement under Section 164 [of the CrPC]. With a confusing state of mind, I could only tell the honourable court that my physical and mental condition was very vulnerable and I am still frightened and traumatised. What the DB office made me to write, I am submitting only that to you,’ he recalled.

‘Then I lay down on the sofa in the magistrate’s room taking his kind permission,’ Farhad recalled. 

Their lawyer Syed Zaynul Abedin Mesbah said that neither he nor Farhad was aware about the contents of the ‘statement.’

Both Farhad and Farida said that they kept mum after the abduction and rescue for proper investigation but, instead of proper investigation, police continued to threaten prosecute and harass them socially.

Farhad claimed that he was blind folded after abduction and did everything asked by the abductors to save his life.

As per the abductors’ direction, he claimed, he got on a Hanif Paribahan bus and became frightened and broken in fear of death.
He said that he woke up hearing shouting and found that some plainclothes men were forcing him to get down.

Farhad said that members of Rapid Action Battalion, after altercation with men in plainclothes, took him to Abhaynagar police station where police misbehaved with him and compelled him to say that he had come out for ‘recreation.’

He said that later he was presented before journalists and was hurled abusive words and forced to say the same statement.

‘Later police left for Dhaka with me by a police car and they sang song loudly throughout the way and I had to experience mental torture.’

He said that he later came to know and now could understand that the abductors had tried to take him across the border through Khulna-Jessore bordering area.

Farhad said that he, enduring all disrespect, had been speaking to end the culture of enforced disappearance and hoping that all the victims of enforced disappearance might come back to their family.
‘The government should take the responsibility.’

A government critic, Farhad was found on a bus in Jessore while travelling from Khulna to Dhaka, 18 hours after he went missing at Dhaka, on July 3, according to police statement.

On November 14, Detective Branch inspector Mahbubul Islam, also investigation officer of the Farhad abduction case, submitted the final report to Dhaka chief metropolitan magistrate’s court mentioning that they did not find any proof of abduction.