Search

Wednesday, January 24, 2018

ডাকসু নির্বাচন বানচাল করতেই ছাত্রলীগ হামলা করেছে - ছাত্রজোট




ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বানচাল করতে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

বুধবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট নেতারা।

জোটের শরিক সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের একাংশের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন বলেন, আদালত ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করার রায় দিয়েছেন। সেই নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যেই গতকাল মঙ্গলবার হামলা চালানো হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।

গত ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে রায় দেন। এ রায়ের এক সপ্তাহের মাথায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর সমর্থনে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে গড়ে ওঠা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।

এদিন দুপুর থেকে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে নিজ কার্যালয়ে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।

একপর্যায়ে উপাচার্যকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে ছাত্রলীগ। তারা কয়েক দফা হামলা চালিয়ে আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন।

এ হামলায় অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র মাসুদ আল মাহাদী, ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রগতি বর্মণ।
  • Courtesy: Shirshanews.com Jan 24, 2018

বছরের শুরুতেই সুদহার বাড়াচ্ছে সব বেসরকারি ব্যাংক

হাছান আদনান




চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। কিন্তু নভেম্বরেই তা ১৯ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ডিসেম্বরের ঋণ যোগ করলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই (জুলাই-ডিসেম্বর) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। সে তুলনায় আমানত বাড়াতে না পারায় তারল্য সংকটে পড়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করতে গিয়ে তাই ঋণের সুদহারও বাড়িয়ে দিচ্ছে এসব ব্যাংক।

জানা গেছে, বছরের শুরু থেকেই বেসরকারি ব্যাংকগুলো ঋণের সুদহার বাড়িয়ে গ্রাহকদের চিঠি দিচ্ছে। কৃষিঋণের সুদহার এরই মধ্যে ১২ শতাংশের ঊর্ধ্বে নিয়ে গেছে অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংক। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এসএমই ঋণের সুদহার। কোনো কোনো বেসরকারি ব্যাংক এসএমই ঋণের সুদহার ২০ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে।

বেসরকারি একটি ব্যাংকের ফেনী শহর শাখা থেকে ৪৫ লাখ টাকার কৃৃষিঋণ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ। ফাওজান মত্স্য খামারের নামে নেয়া এ ঋণের সুদহার ছিল ৯ শতাংশ। নতুন বছরের শুরুতেই সুদহার ১৩ শতাংশ নির্ধারণ করে গ্রাহককে চিঠি দিয়েছে ব্যাংকটি। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, কৃষিঋণের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশের বেশি সুদ আদায়ের সুযোগ নেই।

বেসরকারি ব্যাংকের এমডিরা বলছেন, দীর্ঘ স্থবিরতার পর গত ছয় মাসে বেসরকারি ব্যাংকগুলো অস্বাভাবিক হারে ঋণ বিতরণ করেছে। বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি প্রায় ২০ শতাংশে ঠেকেছে। আমানতের প্রবৃদ্ধি না বাড়ায় তারল্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আমানত সংগ্রহে এর সুদহার ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। আর বেশি সুদে আমানত সংগ্রহের কারণে ঋণের সুদহারও বাড়াতে হচ্ছে।

ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান বলেন, বাজারের পরিস্থিতিই আমানত ও ঋণের সুদহার বাড়াতে মূল ভূমিকা রাখছে। আমানতের জন্য ৮ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হলে ১০ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়া যায় না। এজন্য ব্যাংকগুলো ঋণের সুদহার বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশের আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বাড়লেও রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি শ্লথ। কয়েক বছর ধরেই রেমিট্যান্সপ্রবাহ নিম্নমুখী। এরই মধ্যে ব্যাংকগুলো খাদ্য ও মূলধনি যন্ত্রপাতির বিপুল এলসি খুলেছে। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে এলসিগুলো নিষ্পন্ন হলে সঙ্গে সঙ্গে টাকা পরিশোধ করে দিতে হবে। এ অবস্থায় ব্যাংকঋণের প্রবৃদ্ধি আরো বাড়বে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকটের তথ্য দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ৫৭টি তফসিলি ব্যাংকের হাতে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ৯২ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকেরই ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকার মতো অতিরিক্ত তারল্য। বাকি টাকার মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর হাতে ছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু পরবর্তী তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ সেভাবে না বাড়লেও অস্বাভাবিক বেড়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণ। ফলে নগদ টাকার তীব্র সংকটে পড়তে হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গত তিন বছরে ব্যাংকগুলো বাছবিচার ছাড়াই আমানতের সুদহার কমিয়েছে। কোনো কোনো বেসরকারি ব্যাংক আমানতের সুদহার ২ শতাংশেরও নিচে নামিয়ে এনেছিল। সে সময় আমানতের সুদহার মূল্যস্ফীতির নিচে না নামানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক দফায় দফায় সার্কুলার জারিসহ বিভিন্নভাবে নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ব্যাংকই তা আমলে নেয়নি। ব্যাংকে টাকা রেখে কোনো লাভ না হওয়ায় মানুষ ব্যাংকবিমুখ হয়ে সঞ্চয়পত্র, শেয়ারবাজারসহ ভিন্নমুখী বিনিয়োগ শুরু করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কর্মকাণ্ডেরই ফল।

বাস্তবতার নিরিখেই ব্যাংকগুলো আমানতের সুদহার কমাতে বাধ্য হয়েছিল বলে জানান এবিবির চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ব্যবসায়িক মন্দার কারণে ব্যাংকগুলোয় অতিরিক্ত তারল্য সৃষ্টি হয়েছিল। আমানতের সুদহার কমিয়ে পরিচালন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে না আনলে ব্যাংকগুলো টিকতে পারত না। গত তিন বছর ঋণের সুদহার ধীরে ধীরে কমানো হয়েছিল। বাজারের পরিস্থিতির বিচারেই আমানত ও ঋণের সুদহার ওঠানামা করে।

বেসরকারি ব্যাংকগুলো ঋণের সুদের হার বাড়ালেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো এখন আগের সুদই আদায় করছে। হাতে পর্যাপ্ত তারল্য থাকায় সুদহার বাড়ানোর প্রয়োজন মনে করছে না তারা। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়েদ উল্লাহ্ আল্ মাসুদ বলেন, এ মুহূর্তে দেশের অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংকের এডি রেশিও (আমানত ও ঋণ অনুপাত) ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। ব্যাংকগুলোকে ঋণ বিতরণ করতে হলে অবশ্যই আমানত সংগ্রহ করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বড় অংকের আমানত সংগ্রহ করা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর জন্য দুরূহ। এজন্য সব বেসরকারি ব্যাংকের ভরসা এখন রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক। প্রতিনিয়ত আমাদের কাছ থেকে আমানত নেয়ার জন্য বেসরকারি ব্যাংকগুলো ভিড় বাড়াচ্ছে। আমরা চাচ্ছি, গ্রাহকরা ঋণের জন্য আমাদের কাছে আসুক। এজন্য সুদহার বাড়ানোর প্রয়োজন নেই আমাদের।

ব্যাংক সূত্রগুলো বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি প্রায় ২০ শতাংশ হলেও কোনো কোনো বেসরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে তা ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। আগ্রাসী ব্যাংকিং হিসেবে চিহ্নিত করে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এরই মধ্যে ব্যাংকগুলোর এডি রেশিও (ঋণ ও আমানতের অনুপাত) কমিয়ে আনার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যদিও এডি রেশিও কমানোর বিরোধিতা করছেন বেসরকারি ব্যাংকের এমডিরা।
  • Courtesy: Banik Barta Jan 24, 2018

DISAPPEARANCE OF DR MOKHLES - HC asked IGP to take action against 3 cops

Wife asked to file GD or complaint case












M Moneruzzaman


The High Court Division on Tuesday directed the Inspector General of Police to initiate departmental action against three police officers for their refusal to record complaints relating to disappearance of homeopathic doctor Sheikh Mokhlesur Rahman from the lock up of Satkhira sadar police.

The directive requires the IGP to take action against Emdadul Huq Sheikh, a former Satkhira Sadar police station officer-in-charge, his successor Firoz Hossain Mollah and Himel Hossain a former sub-inspector of the police station.

The court also asked Jesmin Nahar, wife of Mokhles, to file general diary with the Satkhira sadar police station or a complaint case with the magistrate’s court over the alleged disappearance of her husband from the lockup of the Satkhira police station, where he had been detained.

The doctor was arrested on August 4, 2016, and he simply vanished from the lock up of the police station during his detention. 

Jasmin Nahar met her husband in the lock up for three days when she took with her, homemade food for him. From the 4th day, she could no more meet her husband in the police station as he was not there in the lockup.

In the order, a bench of Justice Quazi Reza-Ul Hoque and Justice Mohammad Ullah directed the police to record Jesmin Nahar’s GD if she files it.

The court said it would pass further orders on February 25. On Tuesday, the court passed the order after hearing a probe report submitted by the Police Bureau of Investigation. The PBI report recommended departmental action against OCs Emdadul and Firoz and SI Himel and the other police officers of the Satkhira sadar police station.

The report said that the three named officers as well as the other officers of the police station showed extreme inefficiency and gross negligence by not recording the GD or a case following complaints that 27-year old physician Mokhles allegedly became victim of enforced disappearance by law enforcement agencies or others using their names.

The PBI, however, submitted that it found no evidence in support of Jasmin Nahar’s complaint that her husband had disappeared from the lockup of the Satkhira sadar police station or that she served him with home-made food in the lock-up over three consecutive days since August 4, 2016. 

A judicial inquiry report submitted to the High Country Division earlier found prima facie evidence of involvement of the then Satkhira police superintendent Altaf Hossain, OC Emdadul, SI Himel Hossain and higher police officials with the arrest of Mokhles and his subsequent disappearance from the lockup of Satkhira police station.

The judicial inquiry was conducted by Satkhira’s senior judicial magistrate Habibullah Mahmud following orders from the same bench.
On July 16, 2017, the bench ordered a fresh probe by the PBI, calling the judicial probe report as ‘controversial’. 

At Tuesday’s hearing, the bench expressed concern over the fact that no GD or case was recorded by the police though over two years passed since the disappearance of Dr Mokhles.

What’s the responsibility the police, asked the bench if the court has to give directives to record GDs or cases over the disappearance of citizens. The bench reprimanded the police for withdrawing Satkhira chief judicial magistrate’s gunman and holding probes against him instead of making efforts to find out Dr Mokhles as they were ordered to do.

In a writ petition Jasmin Nahar sought redress to her husband’s enforced disappearance from the police station’s lockup.

On the midnight of August 4, 2016, a police squad led by SI Himel had arrested Dr Mokhles at Satkhira New Market where he had gone to buy medicines for his father, she submitted in her writ petition. 


The judicial probe report found the authenticity in her statement. 

  • Courtesy: New Age/Jan 24, 2018

Goom and limits of law enforcement in network capitalism

Afsan Chowdhury





THE normalisation of goom as a common, everyday occurrence is more or less established. It means that at some point of time, people expect that goom will happen to someone. Very few people going by numbers do get goomed. But nobody is sure who that can be. Given the current pattern of goom, it is safe to say that this has been actively around for quite a while and what we are seeing is an acceleration of this activity, not a new one. It is as old as the republic itself. The question is why it has continued to be after all these years.

A look at the profile of the goomed shows a pattern. Many are political activists but not all. Small time thugs go missing too but are more crossfired. The attendant narrative has become so common that few even bother to ask. So whoever is responsible for goom remains a mystery but crossfire is simpler to understand. 

We tend to think that those goomed are anti-government or anti-state. Most think that they are picked up by some secret law enforcement agency and then kept in custody and in some cases are released. Those released then follow a similar pattern of failing to remember where they were, who the abductors were and so on. 

One can feel mystified by goom which is natural but an examination shows that it is a by-product of a systemic weakness of management of what the state considers to be crime. As far as the government and the state are concerned, it is all about law and order, not politics. Anti-state and anti-government politics is also perceived as criminal activities.









A quick class profile of goom

THE class element is a factor in determining the nature of goom and returning. For example, Aniruddha the businessman, Mubasshar the academic, Mizan the diplomat and the recently returned officials of the education ministry have the common signature of being well connected. 
Prior to that, children of two convicted war criminals were also goomed but they returned and went silent as per practice. But none went permanently missing. They all did return but to silence. 

It seems that the better networked do return but are chastened. The goomed from the middle networked return but not always. The fate of those from the low network is unknown to us. Those cross-fired also happen to be from this class. 

Hence, while every gooomed can be an enemy of the state, not everyone faces the same fate. But it is not politics and non-political crime, but those who threaten the state and those who do not. 

The absence of ransom demands is very important in this regard. Those who abduct have rarely asked for money and when they do have not followed it up. Hence, the cause of goom is generally attributed to a threat-lessening strategy. And it is at this juncture the various trends converge and diverge.

The jangi factor 

WHAT was a minor irritant before 1974 demised with the death of the major extremist Maoist Sarbahara Party. It returned as a major threat in 90s, went quite for long and again returned in the past decade. After a period of isolated killings, generally targeting those considered pro-secular/anti-Islamic, groups from within the jihadist cluster went for a big kill in the form of the Holey Artisan bakery attack. The rest is history. 

Now the counter-attack against jangibad, apparently successful, tells us about the threats to society as well. How the police and other law enforcers managed the situation is another matter but no matter how it happened, no questions were asked. The police action appeared to have public support and that is why the law enforcers felt they could do what they thought needed to be done, ignoring certain amount of media criticism.

In the process, the people also became part of the operations and people looked willing participants of that. The method would be closer to what is done in other developing states but not close to what is done in the developed world. 

Which is where the dilemma may lie.

The demands on a state law enforcement mechanism are very high, perhaps beyond its capacity which is forcing the state to deal with its threats through any means. Each threat is personal and, therefore, requires dramatic measures of survival.

Ill health of law and justice system

CONVENTIONAL law enforcement and justice delivery system have remained obsolete and investment in their development is negligible. But the perceived threats to the state and the system, whether political or systemic, have increased. The gap between the two is creating the space which allows all kinds of activities from mastani to goom, formal and informal, to survive.

This also allows the nature of wealth making that is in operation in Bangladesh — network capitalism — to flourish. It cannot function in a state of transparency and if the dominant economic system is not open, law enforcement and justice delivery will never be.

We have to learn to live with goom plus or let go the economic system which sustains the ruling class. Otherwise, goom will remain, even if the political identity of the victims changes in the years to come.
  • Courtesy: New Age/Jan 24, 2018 

Attack on Sit-in - BCL men swoop on protesters


50 beaten up when students besiege DU VC's office

 Aashiq Abdullah

Srabony Shaila, in yellow dress, general secretary of Kuwait Moitree Hall Chhatra League, pounces on a fellow student of Dhaka University in front of the vice-chancellor's office yesterday afternoon. Photo: Amran Hossain


Bangladesh Chhatra League men yesterday (Tuesday) attacked dozens of Dhaka University students who were demonstrating in front of the vice-chancellor's office to press home a four-point demand, including expulsion of some BCL leaders for “harassing” female students a few days ago.    
                 
At least 50 students and two campus-based journalists were injured in the second such attack by the pro-Awami League student body in just eight days.

BCL General Secretary SM Jakir Hossain and its DU unit President Abid Al Hasan led the attack to “rescue” DU VC Prof Akhtaruzzaman, who was confined for around an hour in front of his office at the Registrar Building, demonstrators said.

Of the injured, 24 took treatment at Dhaka Medical College Hospital. One sustained brain injuries while three to four might have to be admitted there, said Sanaul Hoque Sarker, a doctor at the DMCH. 

 Several hundred BCL activists from almost all hall units and from other institutions took part in the attack, blocking all three gates of the building and beating up students at random with iron rods, cricket stumps and sticks, witnesses said.

Female BCL activists were seen beating up female students in different rooms.

"They surrounded us and attacked us from all sides without giving us any scope to speak," said Tajwar Mahmid Siam, a third-year student of mass communication and journalism.

However, BCL President Saifur Rahman Sohag denied that they swooped on agitating students. “On the contrary, the demonstrators attacked us when we went to rescue the vice-chancellor,” he told a press briefing last night at the Madhur Canteen.

The BCL also said leaders of different left-leaning organisations attacked them and harassed some of their female students. In a press release, the DU authorities also blamed the agitators for the episode, saying some “violent students and outsiders” besieged the VC's office.   

On January 11, students from different departments launched a protest, demanding that the DU cancel affiliation of seven colleges with it. Four days later, as part of their agitation, around 100 students staged a sit-in before the VC's office. But BCL men foiled their demo, allegedly after the VC called in the BCL men.

DU authority handed protester to police

They harassed the female students and assaulted Moshiur Rahman Sadik, coordinator of the protest. Later, the BCL men handed Sadik over to the university authorities who subsequently handed him over to the police.

On January 17, students under the banner of "Students against repression" started a fresh protest, demanding punishment of the BCL men for the assault. That day the agitating students broke down a gate of the Arts Building and kept the proctor confined inside his office for four hours. Later, the VC assured them of meeting their demands and formed a committee to investigate the January 15 incident.

The next day, the university authorities filed a case against 50 unnamed students for breaking down the gate and formed a committee to probe the incident, fuelling the protest.

"Beat us mercilessly"

Yesterday (Tuesday), the students first formed a human chain on the base of Aparajeyo Bangla and then brought out a procession on the campus to press home their four-point demand -- punishment of BCL men for the January 15 incident, withdrawal of the case, removal of the proctor for his alleged anti-student stance and solve the crisis over the affiliation of seven colleges.

Around 12:00pm, they besieged the VC's office after breaking down three gates -- the main entrance of the Registrar Building and two others inside. The VC was holding a meeting inside.

They wanted the VC to assure them of taking steps to meet their demands. But as he was leaving his office around 2:30pm without talking to the students, the protestors blocked his way, and placed their demands. The VC then assured them of taking action regarding the January 15 assault following due process, and said it would take time.

“All our activities will be conducted as per the University Ordinance of 1973. There will be no deviation from the rule of law,” he said.

The students insisted that the case be withdrawn and Proctor Prof AKM Golam Rabbani removed immediately. But the VC did not make any clear statement, and kept saying the same thing. The students kept him confined there. Then around 3:30pm, some 100 BCL leaders and activists led by Jakir and Abid came there.

As they tried to escort the VC away, a scuffle broke out between them and the agitating students. The BCL men, however, managed to take the VC inside his office and locked the gate of his room from outside.

In the meantime, several hundred BCL activists from different halls, and even from Dhaka College and Dhaka city units, joined in and took position around the building. As the agitators kept trying to get in touch with the VC, the BCL men launched the attack on them. Some students took shelter in several rooms in fear.

The agitators tried to leave the building, but the Chhatra League men caught them and beat them wherever they found, leaving many wounded. Two correspondents of this newspaper were present there.

Female BCL activists beat female students, torn dresses

Female Chhatra League activists, led by Fazilatunnesa Mujib Hall unit President Benjeer Hossain Nishi, Ruqiayyah Hall unit President BM Lipi Akter, Kuwait Moitri Hall unit President BM Farida Parvin and General Secretary Srabony Shaila were seen beating up female students and tearing up their dresses.

"They beat us mercilessly, irrespective of gender," said Meherunnahar Meghla, a student who became unconscious during the attack. As the BCL activists besieged the entire area, the protesters, especially female ones, could not leave the area and got beaten up.

The injured students include Masud Al Mahdi, Sezan Ahmed Jim, Abu Raihan, Sumaiya Arefin Orni, Anobik Onabil and Tunazeena Jahan.

Chhatra Union General Secretary Liton Nandi, Chhatra Union President of DU unit Tuhin Kanti Das, and Chhatra Federation President of DU unit Umme Habiba Benazir also suffered injuries.
Two DU Correspondents -- Mir Arshadul Haque of The Independent and Arifur Rahman of New Age -- were beaten up by BCL men of Jagannath Hall and Bangabandhu Hall. The two were covering the incident. Of them, Arshadul was admitted to DMCH in critical condition. Arifur took treatment at the DU Medical Centre.

Contacted for comment, VC's personal assistant picked up the call twice, saying, "Sir is in an important meeting."

Talking to the reporters after the incident, DU Proctor AKM Golam Rabbani said, "We will surely ensure punishment for the perpetrators based on evidence. No one will be spared."

 DU press release

In a press release, the DU authorities said some agitating students of the university and some outsiders launched a pre-planned attack in the name of demonstration.

Demonstrators, including some outsiders, took position in front of VC's office around 12:00pm, breaking down three gates with rods and cutters. They also chanted offensive slogans about the vice-chancellor, proctor and other teachers, it said.

Members of the proctorial team asked the agitators to send a delegation to the VC to discuss the issue but they did not pay any heed, and continued their violent activities, obstructing academic and administrative activities of the university, the release added.
At one stage, the agitating students barred the VC from joining a meeting of Board of Advanced Studies in front of his office.

"VC Prof Akhtaruzzman listened to their demands and assured them of taking steps after probing the incident and following due procedures, but the demonstrators rejected his assurance and continued hurling abusive words," it said.

"A group of teachers, university staff, officials and members of the proctorial body then rescued the VC from there by forming a human shield and took him to his office, when the protestors swooped on him." 

Terming the incident "pre-planned", the authorities sought help from teachers, students and journalists. The university authorities also formed a five-member committee to investigate the incident. The committee, headed by DU Treasurer Prof Kamal Uddin, was asked to submit its report as soon as possible.

  • Courtesy: The Daily Star Jan 24, 2018


Tuesday, January 23, 2018

Govt gloats over electricity amid outages, low voltage

Manjurul Ahsan




A government survey has claimed to have found 86.9 per cent of the consumers satisfied with electricity supply when dissatisfaction with power outages and low voltage is widespread.

Unveiling the findings of the survey, carried out during off-peak season, officials on Monday at Bidyut Bhaban in the capital claimed that power supply in 2016-17 financial year was better compared with the previous six years.

Bangladesh Bureau of Statistics and Bangladesh Energy and Power Research Council jointly carried out the perception survey taking opinions of 9,927 consumers in October 2016 and 9,673 consumers in February 2017. Frequent power cuts and low voltage, however, cause severe public sufferings in six months from late March to early September, power distribution utility officials admitted.

Asked whether the survey reflected the reality with consumer sufferings in hot weather, power division secretary Ahmad Kaikaus said that the survey considered October as summer and February as winter. People in most of the rural areas in Rajshahi, Rangpur, Mymensingh, Barisal, Khulna and Chittagong divisions experienced frequent power cuts with acute low voltage problem in six months of 2017 from late March to September, New Age correspondents reported.

Low voltage, power cuts

Swapan Barman, rice processing yard owner at Durgapur in Netrakona, said that he experienced power cuts three to four times a day with low voltage problem which was severe during the past hot season until September.

Humayun Kabir, a farmer and resident at Babuganj in Barisal, said that they had experienced power cuts every one or one and a half hour during the past summer while frequency of power outages only eased in the current winter.

Jahidur Rahman, a residence of village Meramotpur of Charghat in Rajshahi, said that they were experiencing power cuts three to four times a day, which was hampering daily activities. They said that people continued experiencing power outages two to four times a day with low voltage even in the current winter — December and January.

In December, when power demand falls to one-third of summer demand, some 3,315 transformers burnt out as the mere lighting demand exceeded their capacities, according to a report prepared for power division’s monthly coordination meeting held on January 18.

The report also showed that 4,197 transformers were overloaded in meeting the winter demand, which would be five to six times higher in summer when the demand would go up for running fans and air conditioners, officials said.

Supply-demand mismatch

They claimed that the rural electrification was expanding faster than the expansion of distribution capacity, which was causing frequent power cuts and low voltage problem.

Rural Electrification Board chairman Moin Uddin said that the board had been providing new power connections at a rate of 3,00,000 to 3,50,000 per month which sometimes caused overloading. He said that they had built large stock of transformers to replace the overloaded ones while Kaikaus said that the government had taken initiatives to address the low voltage problem installing power plants in the country’s northern districts.

While addressing the report launching programme, prime minister’s energy adviser Tawfiq-e-Elahi Chowdhury said that the government now putting more emphasis on improving quality of electricity supply as a large number of new connections were provided.

Until December 2017, the Awami League-led government in nine consecutive years in office provided 16.8 million new power connections, 155 per cent of the total power consumers, until January 2009. The government, however, increased power transmission capacity by 2,631 line kilometres, hardly 33 per cent up from 7,991 line km, and distribution capacity by 159,631 line kim, 61 per cent up from 260,369 line km, over the same period of time.

The disparity between new connections and transmission and distribution capacities added to power cuts and low voltage problem.

The survey of BBS and research council showed that 11.20 per cent people were very satisfied, 45.80 per cent satisfied, 29.9 per cent moderately satisfied and 13.1 per cent not satisfied at all.

The interviewees through mobile phones responded to a question whether they were satisfied with the service or management of electricity supply.

In January 2015, the BBS also carried out another survey claiming that 89 per cent people were satisfied with power supply to households in 2014 compared to that of 2008 and 2009.

The survey findings drew severe criticism at that time as BBS collected data in January when the incidents of power cuts become negligible or have insignificant impact on common people. 
  • Courtesy: New Age/Jan 23, 2018

শীর্ষ ১শ’ ঋণখেলাপির তালিকা - ২১ হাজার কোটি টাকা আদায় অনিশ্চিত

রাঘববোয়ালরা নেই তালিকায়, খেলাপির বিপরীতে আদালতের স্থগিতাদেশ। ব্যাংকাররা বলছেন প্রভাবশালীদের কাছে তারা অসহায়। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে বিচারের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।










খেলাপিদের কাছে জিম্মি দেশের ব্যাংকিং খাত। শীর্ষ একশ’ ঋণখেলাপির কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা ২০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। যা ব্যাংকিং খাতের মোট খেলাপি ঋণের ২৭ শতাংশ। এরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নগদ টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছেন। এই পরিমাণ টাকা পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় সমান। এর মধ্যে আবার সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকাই সরকারি ৬ ব্যাংকের। এ ঋণের পুরোটাই আদায় অযোগ্য (কুঋণ)।

তবে এ তালিকা শুধু একক প্রতিষ্ঠানের ফান্ডেড (নগদ টাকা) খেলাপি ঋণ। এর বাইরে একই গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিতে আরও খেলাপি ঋণ রয়েছে। এ ছাড়া নন-ফান্ডেড (এলসি খোলা ও ব্যাংক গ্যারান্টি) মিলিয়ে সামগ্রিকভাবে এসব গ্রুপের খেলাপি ঋণ অনেক বেশি। কিন্তু একক প্রতিষ্ঠানে ঋণ কম হওয়ায়, ওইসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম শীর্ষ একশ’ ঋণখেলাপির তালিকায় আসেনি। এই একশ’ শীর্ষ খেলাপির মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার ২৪২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। অন্যদিকে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে রাঘববোয়াল হিসেবে পরিচিত বড় কয়েকটি গ্রুপের কাছে বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ রয়েছে। কিন্তু তাদের কেউ কেউ উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়েছেন। ফলে তাদের নাম এ তালিকায় নেই। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কোনো নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক দলের নেতা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপে এ ঋণ দেয়া হয়েছে। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে এ ঋণ আদায়ের পরামর্শ তাদের। ব্যাংকাররা বলছেন, শক্তিশালী মহলের কাছে তারা অসহায়। ফলে বাধ্য হয়ে ঋণ দিতে হচ্ছে।


একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে চট্টগ্রামভিত্তিক কোম্পানি ইলিয়াস ব্রাদার্সের। ১৩টি ব্যাংকে প্রায় ৮৯০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ এ প্রতিষ্ঠানের। যা অন্তত দুটি বেসরকারি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের সমান। ৫৫৮ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কোয়ান্টাম পাওয়ার। এসব ঋণের বিপরীতে কোনো ধরনের জামানতও রাখা হয়নি। আর জামানত না থাকায় খেলাপিদের কাছ থেকে অর্থ আদায় সম্ভব নয়। অর্থাৎ সম্পূর্ণ জালিয়াতির মাধ্যমেই এ ধরনের ঋণ নেয়া হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবির (ক্রেডিট ইনফর্মেশন ব্যুরো) সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, এদের বেশিরভাগই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি। এরা অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা জানে ঋণ নিলে ফেরত দিতে হবে না। তারা কালো টাকা এবং শক্তি দিয়ে বছরের পর বছর আইনি প্রক্রিয়া এড়াতে সক্ষম। তিনি বলেন, অর্থঋণ আদালতের মাধ্যমে খেলাপিদের ধরা সম্ভব নয়, এটা এক ধরনের প্রতারণা। তার মতে, সরকার যদি সত্যি সত্যি এদের শাস্তি দিতে চায়, তবে শীর্ষ খেলাপিদের বিচারের জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারে। না হলে খেলাপিদের ধরা সম্ভব নয়।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে শীর্ষ ১০০ খেলাপির কাছে ঋণের পরিমাণ ২০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের প্রায় ২৭ শতাংশ। এর পুরোটাই কুঋণ। অর্থাৎ এ ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে শতভাগ প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) রাখতে হয়। যেমন একটি ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করল। ওই ব্যাংকের ৭৫ কোটি টাকা কুঋণ আছে। এ অবস্থায় মুনাফা থেকে ৭৫ কোটি টাকা প্রভিশন রাখতে হবে। এরপর বাকি ২৫ কোটি টাকা থেকে কর পরিশোধের পর যে টাকা থাকবে, তা হবে ওই ব্যাংকের নিট মুনাফা। প্রভিশনের বাধ্যবাধকতা থাকায় ব্যাংকগুলোকে নিয়মিত গ্রাহকের কাছ থেকে বেশি সুদ নিতে হয়। অন্যদিকে ব্যাংকের নিট মুনাফা কমলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ কমে যায়। অর্থাৎ খেলাপি ঋণের কারণে মুদ্রা এবং পুঁজি উভয় বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সামগ্রিকভাবে দেশের পুরো অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ যুগান্তরকে বলেন, ঋণদাতা ও গ্রহীতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। অবসরে যাওয়া এমডিদের কার আমলে কত ঋণ, কীভাবে গেছে, কার কাছে গেছে- তা বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ ওইসব এমডিও ঋণের নামে অর্থ লুণ্ঠন করেছেন। তার মতে, এ জন্য বর্তমান এমডিরা দায়ী নন। তবে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত ঘেঁষে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইলিয়াস ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। ২০০৯ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংক কোনো ধরনের জামানত ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটিকে ২৩৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ঋণ দেয়। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা এবং শর্তও মানা হয়নি। পরবর্তী ২ বছরে মাত্র ৩৩ কোটি টাকা পরিশোধ করে ইলিয়াস ব্রাদার্স। বাকি ২০৫ কোটি টাকা পরিশোধ না করে লোকসানি দেখানো হয় প্রতিষ্ঠানকে। বর্তমানে সুদ-আসল মিলিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের কাছে ওই ব্যাংকের পাওনা প্রায় ২৯০ কোটি টাকা। একই প্রতিষ্ঠান আরও ১২টি ব্যাংকে ঋণখেলাপি। এর মধ্যে এবি ব্যাংকে ৬১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকে ১৪১ কোটি ১৪ লাখ টাকা খেলাপি। সিটি ব্যাংকে ৫৬ কোটি ১৪ লাখ, পূবালী ব্যাংকে ৬ কোটি ১৯ লাখ, উত্তরা ব্যাংকে ৪১ কোটি ৮ লাখ, ইস্টার্ন ব্যাংকে ৭১ কোটি ৭৯ লাখ, এনসিসি ব্যাংকে ৫৪ কোটি ৬ লাখ টাকা খেলাপি। মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ৫৫ কোটি ৩৯ লাখ, ওয়ান ব্যাংকে ২৮ কোটি ৫৪ লাখ, ব্যাংক এশিয়ায় ৩৬ কোটি ৮৩ লাখ এবং শাহ জালাল ইসলামী ব্যাংকে ইলিয়াস ব্রাদার্সের ১৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে। নিয়ম অনুসারে এক ব্যাংকে খেলাপি ঋণ থাকলে অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু এসব নিয়ম-কানুনের কোনো তোয়াক্কা করেনি ব্যাংকগুলো।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা খেলাপি ঋণ। আর খেলাপি ঋণের জন্যই শিল্পঋণের সুদের হার কমানো যাচ্ছে না। কারণ এ ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে মুনাফা থেকে প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) করতে হয়। তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ কমাতে না পারলে এ খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। মির্জ্জা আজিজ বলেন, জামানত ছাড়া যে ব্যাংক ঋণ দিয়েছে, ওই ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তার মতে, কোন বিবেচনায় এত বড় ঋণ দেয়া হল, তা জবাবদিহিতার আওতায় আনতে না পারলে আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে খেলাপি ঋণে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জেসমির ভেজিটেবল অয়েল। প্রতিষ্ঠানটির খেলাপির পরিমাণ ৫৪৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া ম্যাক্স স্পিনিং মিলের ৫২৫ কোটি ৬০ লাখ, বেনেটেক্সের ৫১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ঢাকা ট্রেডিং হাউসের খেলাপির পরিমাণ ৪৮৫ কোটি ২৯ লাখ, আনোয়ার স্পিনিং মিলসের ৪৭৪ কোটি ৩৭ লাখ, সিদ্দিক ট্রেডার্সের ৪২৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া ইয়াসির এন্টারপ্রাইজের ৪১৪ কোটি ৮০ লাখ এবং আলফা কম্পোজিট টাওয়েলের ৪০১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে।

ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের এমডি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ যুগান্তরকে বলেন, প্রায় সব শীর্ষ খেলাপির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তারা বারবার রিট করে অর্থ আদায় প্রক্রিয়া থামিয়ে দিচ্ছেন। তার মতে, গরিব কখনও রিট করে না। যত রিট সব ধনীদের। তিনি বলেন, প্রতি জেলায় একটা করে অর্থঋণ আদালত আছে। আদালতের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী বছরের কারণে শীর্ষ ঋণখেলাপিরা কিছুটা দুর্বল থাকবে। এদের অনেকেই কোথাও না কোথাও নির্বাচন করবে। এখনই তাদের ধরার সময়। সব খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে। এককভাবে এটি করা সম্ভব নয়। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে খেলাপিদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সামাজিকভাবে বর্জন করতে হবে।

খেলাপি ঋণে ১১তম অবস্থানে লিজেন্ট হোলিংস। ৬ ব্যাংকে এ প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৩৪৮ কোটি টাকা। এরপর হলমার্ক ফ্যাশন ৩৪০ কোটি, ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল ৩৩৯ কোটি টাকা। মন্নো ফেব্রিক্সের খেলাপি ঋণ ৩৩৮ কোটি ৩৭ লাখ, ফেয়ার ট্রেডার্স ৩২২ কোটি, সাহারিশ কম্পোজিট ৩১৩ কোটি, নুরজাহান সুপার অয়েল ৩০৫ কোটি টাকা। কেয়া ইয়ার্ন মিলস ২৯৩ কোটি, সালেহ কার্পেট ২৮৭ কোটি এবং ফায়ার ইয়ার্ন প্রসেসিংয়ের ২৭৩ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, শীর্ষ খেলাপিদের নতুন ঋণ দেয়া বন্ধ করতে হবে। তারা যেন এক টাকাও ঋণ না পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তার আগে তাদের তালিকা তৈরি করে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে জানাতে হবে। যদিও ব্যাংকগুলো ঋণখেলাপিদের চেনে ও জানে। তবুও তাদের নাম-ঠিকানা দিয়ে আর কোনো নতুন ঋণ না দেয়ার নির্দেশ দেয়া যেতে পারে। এরপরও কোনো ব্যাংক ঋণ দিলে ব্যাখ্যা তলব করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রতিষ্ঠানভিত্তিক খেলাপি ঋণ: খেলাপি ঋণের বিবেচনায় ২১ নম্বর অবস্থানে রয়েছে এস কে স্টিল। চার ইসলামী ব্যাংকে এ প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ২৭২ কোটি টাকা। এ ছাড়া চৌধুরী নিটওয়্যারের খেলাপি ঋণ ২৭০ কোটি টাকা। হেল্পলাইন রিসোর্স ২৫৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ। সিক্সসিজন অ্যাপারেলস ২৫৫ কোটি, বিসমিল্লাহ টাওয়েল ২৪৪ কোটি, টি অ্যান্ড ব্রাদার্স নিট কম্পোজিট ২২৬ কোটি টাকা খেলাপি। তানিয়া এন্টারপ্রাইজ ইউনিট (২)-এর খেলাপি ঋণ ২১২ কোটি, আশিক কম্পোজিট টেক্সটাইল ২০৪ কোটি, অটোবি ১৯৩ কোটি, ইসলাম ট্রেডিং কনসোর্টিয়াম ১৯১ কোটি টাকা। মিজান ট্রেডার্স ১৮৮ কোটি, কম্পিউটার সোর্স লিমিটেড ১৮৭ কোটি, টেলিবার্তা ১৮৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা খেলাপি। সেমাত সিটি জেনারেল ট্রেডিং ১৮৫ কোটি, এমকে শিপ বিল্ডার্স ১৮৪ কোটি ৬৫ লাখ, কটন কর্পোরেশন ১৮৪ কোটি ১৬ লাখ, এমবিএ গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল ১৮২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা খেলাপি। সোনালী জুট মিলস ১৮১ কোটি, এক্সপার টেক ১৭৭ কোটি ৬৬ লাখ, কেয়া নিট কম্পোজিট ১৭৪ কোটি ৩৫ লাখ, ওয়ালমার্ট ফ্যাশন ১৭০ কোটি, হিমালয় পেপার্স অ্যান্ড বোর্ড মিলস ১৬৬ কোটি টাকা খেলাপি। ওয়ান ডেনিম মিলসের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৬৪ কোটি ৩০ লাখ, এমদাদুল হক ভুঁইয়া ১৬৩ কোটি ৪০ লাখ, চৌধুরী লেদার ১৬২ কোটি, ম্যাক শিপ বিল্ডার্স ১৬০ কোটি, সাফারি ট্রেডার্স ১৫৭ কোটি টাকা। লিবার্টি ফ্যাশন ওয়্যার ১৫৫ কোটি, অ্যাডভান্স কম্পোজিট ১৫৩ কোটি, বিশ্বাস গার্মেন্টস ১৪১ কোটি, মাস্টার্ড ট্রেডিং ১৫২ কোটি ৩০ লাখ, হিন্দু ওয়ালি ট্রেডিং ১৫২ কোটি, পদ্মা বেলিং অ্যান্ড ডাইং ১৪৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা খেলাপি। সগির অ্যান্ড ব্রাদার্স ১৪৮ কোটি ১০ লাখ, ইপশু ট্রেডিং ১৪৬ কোটি, মেরিন ভেজিটেবল ১৪৪ কোটি, আরজান কার্টেপ অ্যান্ড জুট ওয়েভিং মিলস ১৪৩ কোটি, ড্রেজ বাংলা প্রা. লিমিটেড ১৪২ কোটি, এ জামান ব্রাদার্স ১৪১ কোটি টাকা খেলাপি। অরনেট সার্ভিসের খেলাপি ঋণ ১৪১ কোটি, জমজম শিপিং মিল ১৪০ কোটি, দোয়েল অ্যাপারেলস ১৩৯ কোটি, ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক ১৩৮ কোটি, ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল ১৩৬ কোটি, কেয়া স্পিনিং মিলস ১৩৬ কোটি, জাহিদ এন্টারপ্রাইজ ১৩৫ কোটি টাকা। তাবাসসুম এন্টারপ্রাইজ ১৩২ কোটি, মজিবর রহমান খান ১৩২ কোটি, অ্যাপেক্স ওয়েভিং ১৩০ কোটি, অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ১৩০ কোটি, ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং ১২৯ কোটি, ওয়েল টেক্স লিমিটেড ১২৯ কোটি টাকা খেলাপি। ডেল্টা সিস্টেম ১২৮ কোটি, কেয়ার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ১২৭ কোটি, নদার্ন ডিস্টিলারিজ ১২৩ কোটি, নিউ রাখি টেক্সটাইল ১২৩ কোটি, আলী পেপার মিলস ১২২ কোটি ৬৫ লাখ, হিলফুল ফুজুল সমাজকল্যাণ সংস্থা ১২২ কোটি টাকা খেলাপি। লাকী শিপ বিল্ডার্স ১২০ কোটি, শাপলা ফ্লাওয়ার মিলস ১২০ কোটি, আনন টেক্স নিটিং টেক্স ১১৯ কোটি, সিদ্দিক অ্যান্ড কোম্পানি ১১৮ কোটি, মনোয়ার ট্রেডিং ১১৭ কোটি, ডেল্টা জুট মিলস ১১৭ কোটি টাকা খেলাপি। এ কে জুট ট্রেডিংয়ের খেলাপি ঋণ ১১৬ কোটি ৬২ লাখ, আর্থ এগ্রো ফার্মস ১১৬ কোটি, মাহবুব স্পিনিং ১১৫ কোটি, ডি আফরোজ সোয়েটার্স ইন্ডাস্ট্রিজ ১১৫ কোটি, জারজিস কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজ ১১৪ কোটি টাকা। ম্যাপ পেপার বোর্ড মিলস ১১৪ কোটি, স্টাইল ফ্যাশন গার্মেন্টস ১১৪ কোটি, আলামিন ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ১১২ কোটি, প্রফিউশন টেক্সটাইল লিমিটেড ১১২ কোটি, মা টেক্সটাইল ১১১ কোটি ২২ লাখ টাকা খেলাপি। সুপার সিক্স স্টার শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড ১১১ কোটি, টেকনো ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ১১০ কোটি ৬৩ লাখ এবং কেয়াকটন মিলসের ১১০ কোটি ১০ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে।
  • Courtesy: Jugantar Jan 23, 2018

ভিসি ভবন ছাড়ছেন না আরেফিন সিদ্দিক




ভিসি ভবন ছাড়ছেন না আরেফিন সিদ্দিক। মেয়াদ শেষে পদ ছেড়েছেন চার মাসেরও বেশি, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি ভবন ছাড়েননি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

গত ৪ সেপ্টেম্বর নতুন ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাকে এ পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ। ভিসি ভবন খালি না হওয়ায় সেখানে উঠতে পারেননি ভিসি ড. আখতারুজ্জামান।

অফিস সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, অফিস সময় ছাড়াও একজন ভিসিকে বাসভবনে বসেই অনেক কাজ করতে হয়। অফিস শেষ করে অন্যান্য কাজ তার বাসভবনে বসেই করেন। বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাসভবনে আসেন। প্রো-উপাচার্য ভবন অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায় সেখানে সমস্যা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা যায়, উপাচার্য, প্রো-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রাধ্যক্ষদের বাসা ও বাংলো ‘ইয়ারমার্ক’ বাসা হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই এসব বাসা এবং তা সংশ্লিষ্ট সব সুবিধাদি ওই পদে বহাল ব্যক্তিরা ভোগ করবেন। গত ৩০ অক্টোবর আরেফিন সিদ্দিককে প্রভোস্ট কমপ্লেক্সে একটি বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

১৯৯২ সালে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের পর থেকে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের আগ পর্যন্ত ঢাবিতে যে কয়জন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের মধ্যে মেয়াদ শেষে সর্বোচ্চ ২৭ দিন পর ভিসি ভবনে অবস্থান করেছিলেন অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। সর্বনিম্ন ১০ দিন ছিলেন অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। এ ছাড়া অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ ২০ দিনের মাথায় বাসা ছাড়েন। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ নতুন ভিসি নিয়োগের আগেই বাসা ছেড়ে দেন। কিন্তু অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক নতুন ভিসি নিয়োগের সাড়ে চার মাস পরও ভবন ছাড়েননি। আরেফিন সিদ্দিক উপাচার্য ভবন না ছাড়ায় প্রো-উপাচার্য ভবন থেকেই অফিস করছেন নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত এস্টেট ম্যানেজার সুপ্রিয়া দাস স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিককে জানানো হয়। চিঠিতে ভিসি ভবন খালি করার লক্ষ্যে শহীদ এমএ মুক্তাদির ভবনের (প্রভোস্ট কমপ্লেক্স) ৬ষ্ঠ তলার বাসাটি বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ১৯৮৬ সালের সিন্ডিকেটে গৃহীত বাসা বরাদ্দের নীতিমালা অনুযায়ী নিজের নামে বরাদ্দ করা বাসা বুঝে নিয়ে ভিসি ভবন বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দিতেও বলা হয় ওই চিঠিতে। কিন্তু নতুন বাসা বরাদ্দ পাওয়ার কিছুদিন পর ৬ষ্ঠ তলার বাসাটি নিতে অপারগতা জানিয়ে ওই ভবনের সাত তলার বাসাটির জন্য আবেদন করেন। পরে তার চাহিদা অনুযায়ী সেই বাসাও তার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত এস্টেট ম্যানেজার সুপ্রিয়া দাস বলেন, প্রথমে তাকে যে বাসা দেওয়া হয়েছে সেটি পছন্দ হয়নি। পরে তার পছন্দমতো বাসা দেওয়া হয়েছে। বাসার সব কাজ অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে। তিনি চাইলে যে কোনো সময় বাসায় উঠতে পারেন।

জানতে চাইলে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, তিনি দীর্ঘদিন উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জানেন উপাচার্যের বাসভবনে বসে কী কী কাজ করতে হয়। এটা একটা মূল্যবোধের বিষয়। এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক এ বিষয়ে বলেন, আমি কবে বাসা ছাড়ব, নতুন বাসায় উঠব সাংবাদিক হিসেবে তুমি আমাকে এ প্রশ্ন করতে পার না।
  • Courtesy: Amadershokoy.com/Jan 23, 2018

জনপ্রিয় হলে ক্ষমতা ছেড়ে ন্যায্য নির্বাচন করুক - মইনুল হোসেন




তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। জনপ্রিয় হলে কি করলে ন্যায্য নির্বাচন হয় সেটা করুক। তিনি আবার যদি আসেন আমাদের কোনো ক্ষতি নেই। নির্বাচন এক দাবির ভিত্তিতে হতে হবে সংসদ থাকা যাবে না, ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করা যাবে না।

চ্যানেল আই এর একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, নির্বাচনের ব্যাপার সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ৫ জানুয়ারি যে নির্বাচনটা হয়েছে এটা জাতির জন্য কলঙ্ক, সরকারের জন্য নিশ্চই লজ্জাকর ব্যাপার। ১৫৪টি আসন তারা নিয়ে নেয়। এটা দ্বারা জাতি ও সরকার ছোট হয়েছে। তখন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আর একটি নির্বাচন করবো। কিন্তু পরে আর নির্বাচনে গেলেন না।

তিনি বলেন, যে দেশে নির্বাচন সৎ উপায়ে হয় না, জনগণের ভোটে হয় না, সেদেশে দুটি জিনিস আশা করা ঠিক না। একটি হলো জনগণের নিকট সরকারের দায়বদ্ধতা থাকবে। অপরটি হলো যে নির্বাচনে সততা দেখাতে পারে না, জনগণের সঙ্গে ভোটের সততা দেখাতে পারে না সে কখনো সহায়ক সরকার হতে পারে না এবং তার ফল আমরা আজ দেখছি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক লুটপাট, চাদা বাজ ও সব জায়গায় নীতিহীন চরিত্রহীন দাপট বেড়ে গেছে। সাধারণভাবে জাতি অসহায় হয়ে গেছে। জনগণের শক্তি হলো ভোট।

মইনুল হোসেন আরো বলেন, আমাদের দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্ব নেই। অভিজ্ঞ রাজনীতি দেশে নেই। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান। আমলাতন্ত্ররা কিন্তু সামরিক শাসন চায়। ফলে তারা বিচারবিভাগের সাথে সংঘাতে যাবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন সম্পর্কে একটাই কথা বলা দরকার এটা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য না,সুশাসনের জন্য। শুরু হতে হবে সৎ নির্বাচন দিয়ে। আমলাদের কথা মতো বড় বড় কথা বলবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। জনপ্রিয় হলে কি করলে ন্যায্য নির্বাচন হয় সেটা করুক। তিনি আবার যদি আসেন আমাদের কোনো ক্ষতি নেই। নির্বাচন এক দাবির ভিত্তিতে হতে হবে। সংসদ থাকা যাবে না, ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করা যাবে না। কারণ যেখানে নির্বাচন চুরি করারই রাজনীতির একটি প্রধান কার্যক্রম।

মইনুল হোসেন বলেন, রাজনীতিবিদরা নির্বাচনকে সৎ করতে পারে না তাদেরকে দেখানোর জন্য পুলিশ, আর্মি পর্যন্ত আনতে হয় এ কোন দেশ। নির্বাচন না হওয়ার পরে জনগণ থেকে সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চারদিকে দুর্নীতি বেড়েছে, অবিচার বেড়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার বেড়েছে, পুলিশের ভেতরে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে এর মূল হলো জনগণবিচ্ছিন্ন সরকার। এদেরকে পুলিশের ওপর নির্ভর করতে হবে। সে ক্ষমতার অপব্যবহার করবে।

তিনি বলেন, আপনি কোথায় শুনেছেন পুলিশ সরাসরি টাকা নেয়। হোম মিনিস্টারকে বলেছিলাম, আমাকে ফোন দিয়ে পুলিশ বলেছে যদি মামলা না উঠিয়ে নেই তাহলে ক্রসফায়ার দিতে পারে। এটা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কারণে হচ্ছে না এটা পদ্ধতির কারণে হচ্ছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধন্তি শেষ করার ফলে স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি আসছে। দেশে শান্তি নিশ্চিত করতে হলে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন দেন। তা না হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
  • Courtesy: Amadershomoy.com/Jan 23, 2018

শহীদ জিয়া বাঁচিয়ে তুলেছেন আলীগকেও!



ডা. মাজহারুল আলম


৭১ এর যুদ্ধের মাঠে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান

শহীদ জিয়ার ‘ছেঁড়াগেঞ্জি ও ভাঙা সুটকেস’ নিয়ে অনেকে নাক সিঁটকান, কেউ ঠাট্টামস্করা করেন - ভাবখানা এই যে তাঁরা সোনার চামচ মুখে জন্ম অধিকারের আজন্ম  সনদ নিয়ে রাজনীতি করতে এসেছেন। কিন্তু তাদের অপপ্রয়াসেরর্ ফানুস টেঁসে গেছে। জিয়াকে হেয় করতে গিয়ে, তাদের মুখে ছেঁড়াগেঞ্জি ভাঙা সুটকেস যতোবার  তুচ্ছ তাচ্ছিল্যে উচ্চারিত হয়েছে, ততবারই এই ভূখণ্ডের কোটি জনতার মন ক্ষণজন্মা জাতীয় বীরের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছে আর তাদের দিয়েছে ধিক্কার।। কারণ, শুকনো খোরমা মু‌খে দিয়ে জঠরজ্বালা নিবারণ করেছেন  মুহম্মদ(সঃ) এর মর্যাদা খাটো  হয়নি কিংবা খেজুর পাতার চাটাইয়ে  ঘুমিয়েছেন বলে কোন লেখক হযরত ওমর (রাঃ)কে নিয়ে বিদ্রুপ করেননি।প্রেসিডেন্ট জিয়া আন্তর্জাতিক পর্যায়েক‌তোটুকু প্রশংসিত হয়েছিলেন, তা লিখলে এসব হীন্যমন্য অন্ধ আঁখি খুলবে না --- তাই সে প্রসংগ থাক।

শেখ মুজিবের স্থান স্বাধীনতার  ইতিহাসে মজবুত করতে তাদেরই বেশি প্রয়োজন। জিয়াই মুজিবকে ইতিহাসে বাঁচিয়ে দিয়েছেন---।

'৭১এর ২৬মার্চে কালুরঘাট বেতারে মেজর জিয়া বজ্রকণ্ঠ ঘোষণায় বলেন " আমি মেজর জিয়াউর রহমান শেখ মজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি...।" --যার ব্যাকরনে সামান্যতম জ্ঞান আছে, তিনি স্বীকার করবেন এই "ঘোষণা করছি" ক্রিয়াপদ কর্তা মেজর জিয়া। একেবারে প্রযোজক কর্তা, প্রযোজ্য কর্তা নন।  জিয়াই স্বাধীনতার ঘোষক। বাংলাদেশের কোটি জনতাসহ বিশ্ববাসী শুনেছেন এবং শ্বাস্বত ইতিহাস তা-ই ধারন করেছে। শেখ মুজিব যা পারেন নি,জিয়া তা করেছেন।পূর্বাপর ঘটনা যা-ই হোক না কেন,সেদিনের কর্তা হলেন- মহানায়ক "জিয়া"। কর্ম হলো -"স্বাধীনতা"। আর ক্রিয়া- "ঘোষণা করছি"।--তাহলে শেখ মুজিব এই পদরাজিতে কোথায় আছেন?

বিষয়টা হলো, সে দিন জিয়াউর রহমান দ্বিধাগ্রস্ত দেশবাসীর অনুপ্রেরণা ও জাতির ঐক্যের স্বার্থে  দৃশ্যপটে অনুপস্থিত তখনও ‘পাকিস্তানী’ নেতার নামটি ব্যবহার করেছিলেন। জাতিকে সুস্পষ্টভাবে দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য সেটা ছিল ‘বাস্তবতা’।

মুজিব নগর সরকার গঠিত হয়--তারও ২৩দিন পরে।এই তেইশটি দিন শেখ মুজিবকে ইতিহাসে  ধরে রাখলো মেজর জিয়ার ঘোষণা।  এই ঐতিহাসিক সময় ও ‌সত্যের‌ অপরিহার্য অনিবার্যতায় জিয়ার উপস্থিতি।

কিন্তু  স্বাধীনতার ঘোষণায় যদি সেদিন অনুপস্থিত নেতা মুজিবের নামটি মেজর জিয়ার মুখে উচ্চারিত না হতো, তাহলে ইতিহাসের মহাসন্ধিক্ষণ থেকে 'মুজিব' নামটি উধাও হয়ে যেতো। আজকের এই বিলম্বিত আবেগের সেদিনের বিড়ম্বিত  ভক্তরা কোথায় ছিলেন যেদিন তাদের মহানায়ক তাদের চাটুকারিতার ‘মহামূল্য’ পরিশোধ করেছিলেন?

শেখ মুজিবকে ইতিহাস চিহ্নিত করেছে বাকশালী  স্বেচ্ছাচার হিসেবে। শেখ মুজিবের ভাবমূর্তি  চরম কলুষিত ও ইতিহাসে মুছে যাবার উপক্রম, তখনই শহীদ জিয়া ঐতিহাসিক ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেন। সেই সুবাদে শেখ মুজিব কর্তৃক বিলুপ্ত তঁার নিজদল আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত হয়।  শহীদ জিয়ার কারনেই আওয়ামী লীগের সাথে আওয়ামী লীগাররাও বাংলাদেশে পুনর্বাসিত হয়। সেদিন যদি তারা পুনর্বাসিত হবার সুযোগ না পেতো, তাহলে এ দেশের ইতিহাসে শেখ মুজিবও পুনর্বাসিত  হতেন না।

যিনি শেখ মুজিবকে ইতিহাসে বাঁচিয়ে দিয়েছেন-- তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন ছেঁড়া গেঞ্জি, ভাঙা সুটকেসওয়ালা অসম সাহসী বীর, মুক্তিযুদ্ধের দীপ্রমান সিপাহসালার, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান