Search

Thursday, February 1, 2018

Shahdeen Malik won’t practice law in SC unless CJ is appointed

Staff Correspondent 



Jurist Shahdeen Malik on Wednesday (Jan 310 announced that he would not practice law in the Supreme Court unless the president appoints the chief justice. He also said that lawyers now needed taking police permission for entering the court premises. 

‘Until the two issues are settled, I personally will not come to the court from tomorrow,’ Shahdeen told reporters at a briefing in the Supreme Court Bar Association building. Shahdeen said that the lawyers had never thought Bangladesh would remain without the chief justice for such a long period.

‘The post of the chief justice has remained vacant without any reasonable explanation,’ he said, adding, the lawyers had never expected a Supreme Court where they would require police permission to enter into their workplace. 

Replying to a question, Shahdeen said that the absence of the chief justice meant that the government was controlling the judiciary. ‘People are gradually losing their confidence in judiciary because of such government interference in the Supreme Court,’ he warned. 

The vacancy in the office of chief justice occurred on November 11 last after Chief Justice SK Sinha tendered his resignation. Justice Md Abdul Wahhab Miah, the senior-most Appellate Division judge, has since been performing the duties of the chief justice. 

  • Courtesy: New Age/Feb 1, 2018

ZIA CHARITABLE TRUST CASE - Defence complains harassment outside court

Staff Correspondent




A defence lawyer in the case of Shaheed Ziaur Rahman Charitable Trust case on Wednesday (Jen 31) informed a special court in Dhaka that the defence lawyers were subjected to harassment outside the court.

Bangladesh Nationalist Party chairperson Khaleda Zia, her former political secretary Harris Chowdhury, his former personal assistant Ziaul Islam Munna and former Dhaka mayor Sadeque Hossain Khoka’s assistant personal secretary Monirul Islam Khan are the accused in the case.

Anti-Corruption Commission lodged the case on August 8, 2011 with the Tejgaon police for raising funds for the trust abusing their power during Khaleda’s tenure as the prime minister between 2001 and 2006.

Advocate Md Aminul Islam, who represented Ziaul in the case before the Dhaka special judge’s court-5, while wrapping up his second day’s arguments defending his client, told the court that the lawyers defending the accused were being harassed now.

He informed judge Md Akhteruzzaman that senior jurist and former speaker Jamiruddin Sircar was scheduled to come to the court, but law enforcers raided his house twice after 2:00am on Wednesday. He said Sircar had informed him over telephone that the law enforcers ‘had directed him to stay at home at 8:00am.’

‘They (law enforcers) harass [us] on our way to the court,’ he said.
Khaleda, Ziaul and Monirul were present in the courtroom. Harris is still absconding.

At the outset of the day’s proceedings, Ziaul’s lawyer Aminul Islam Khan resumed his arguments and submitted that the ACC had alleged that there was no work in the name of the trust and there was no transaction after 2006. But, he submitted, 42 kathas of land was bought on January 19, 2005 in the name of the trust and there was structure there.

He submitted that after 2005, a violent movement led by Awami League against the BNP government began and the then caretaker government took over the power. ‘There was no chance of transaction after the movement,’ he added.

Referring to Tuesday’s submission by the prosecution in which the ACC public prosecutor claimed that Khaleda, while forming the trust, had concealed her post of prime minister, Aminul argued that every person had her official and personal designations and ranks, and that Khaleda would not write her prime minister’s post in opening bank account as it was her private work.

ACC public prosecutor Mosharraf Hossain Kajal, at this point, opposed the issue and argued that the defence had brought the PM’s issue irrelevantly. He asked the defence lawyer to keep his arguments within the facts and documents.

Meanwhile, lawyers from both the sides locked in a heated exchange of words. The judge at this point at around 11:55am asked the defence lawyer to continue his arguments with relevant facts. As both the sides continued exchange of heated words, the judge left the courtroom.

He returned to the courtroom within minutes and asked both the sides to uphold respect of all and reminded them that Khaleda, three times’ prime minister, was in the court and her respect should be ensured by all.

Advocate Aminul Islam then continued his arguments defending his client.
His arguments remained incomplete when the court adjourned the hearing until Thursday.

  • Courtesy: New Age/Feb 1, 2018 


Wednesday, January 31, 2018

ইকোনমিস্টের গণতন্ত্র সূচকে ৮ ধাপ পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ




বিশ্বখ্যাত ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গণতন্ত্র সূচকে অনেক পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। আগের বছর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৪তম। কিন্তু এবার বাংলাদেশের অবস্থান ৮ ধাপ নেমে দাঁড়িয়েছে ৯২তম তে। 

লন্ডন ভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিন তাদের ওয়েবসাইটে বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৮ , এই সূচক প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘হাইব্রিড শাসন’ ক্যাটেগরির দিকে ক্রমশঃ ধাবমান বাংলাদেশ। এই সূচকে আবারো শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে।

অন্যদিকে উত্তর কোরিয়া রয়েছে সূচকের একেবারে শেষে। মোট ১০ পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে সূচক নির্ধারণ করা হয়। এই ১০ পয়েন্টের মধ্যে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের অর্জন ছিল ৫.৭৩। এবার তা এসে দাঁড়িয়েছে ৫.৪৩। এবার ইকোনমিস্টের এই সূচকে সাতটি মহাদেশের মধ্যে এশিয়া সার্বিক সূচকে নিচের দিকে রয়েছে। ১০ পয়েন্টের মধ্যে এশিয়ার গড় অর্জন ৫.৬৩। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে ১০ পয়েন্টের মধ্যে সারাবিশ্বের গড় অর্জন ছিল ৫.৫২। কিন্তু এবার সার্বিক সূচকে এই গড়েও পতন এসেছে। এবার সার্বিক গড় নম্বর হলো ৫.৪৮। উল্লেখ্য, ইআইইউ হলো দ্য ইকোনমিস্ট গ্রুপের একটি গবেষণা ও বিশ্লেষণধর্মী বিভাগ। এটি দ্য ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনের একটি অংঙ্গ সংগঠন।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রথম ডেমোক্রেসি সূচক বা গণতন্ত্র সূচক প্রণয়ন শুরু করে দ্য ইকোনমিক্স। তার পর সারা বিশ্বে মিডিয়ার স্বাধীনতা সর্বনিন্ম পর্যায়ে এসেছে। উন্নয়নশীল গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে একটি অভিন্ন জায়গা ছিল মত প্রকাশের স্বাধীনতা। কিন্তু তাতেও বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। বিশ্বের মাত্র ৩০টি দেশ ২০১৭ সালে পূর্ণাঙ্গ মিডিয়ার স্বাধীনতা ভোগ করে। এমন সুবিধা পাওয়া মানুষের সংখ্যা বিশ্বে শতকরা মাত্র ১১ ভাগ। অন্যদিকে বিশ্বের ৪৭টি দেশে তা অবাধ নয়। 

  • Courtesy: Daily Manabzamin/Jan 31, 2018

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ হবে

বিশেষজ্ঞদের অভিমত



তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারার বিলুপ্তি ঘটিয়ে নতুন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এ আইন মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করবে। মানুষ ভীত হয়ে পড়বে। তারা কথা বলতে ভয় পাবে। ৫৭ ধারার যে অপপ্রয়োগ হচ্ছিল নতুন আইন অন্যভাবে প্রকাশ পাবে। আইনের ৩২ ধারা সরকারি-আধাসরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কেউ যদি বেআইনিভাবে প্রবেশ করেন এবং কোনো ধরনের তথ্যউপাত্ত যেকোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে গোপনে রেকর্ড করেন তা গুপ্তচরবৃত্তি হিসেবে গণ্য হবে। এ জন্য ১৪ বছরের জেল এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এ ধারার অপরাধকে জামিন অযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ মানহানিকর তথ্য দিলে তার বিরুদ্ধে তিন বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। ৩১ ধারায় ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য সাত বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এসব ধারা সমাজে আতঙ্ক তৈরি করবে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহসী হবেন না। বিশেষ করে গণমাধ্যমের সাথে জড়িতরা হয়রানির শিকার হবেন। গতকাল নয়া দিগন্তকে সিনিয়র সাংবাদিক, বিশ্লেষক ও শিক্ষাবিদেরা এ কথা জানান।

এ প্রসঙ্গে প্রবীণ সাংবাদিক ও বিশ্লেষক মাহফুজ উল্লাহ নয়া দিগন্তকে বলেন, নতুন এ আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বাধীন চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করা। ক্ষমতাসীনদের অপরাধের ঢাকনা বন্ধ করা। এ আইন লঙ্ঘন করলে ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার যে বিধান রাখা হয়েছে তা আমাদের এই দেশে অকল্পনীয়। তিনি বলেন, এ আইনে নতুন যে অপরাধের কথা বলা হয়েছে এটা ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোনো আলোচনা করা যাবে না, মুক্তভাবে কোনো কথা বলা যাবে না, এর ফলে হয়তো মানুষ সতর্ক হবে। তবে দেশে যে মুক্তবুদ্ধি চর্চা হতো তার পথ রুদ্ধ হবে। মুক্ত চিন্তার জগতটা একটি বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হবে। মাহফুজ উল্লাহ বলেন, এই আইনের মাধ্যমে সরকার প্রতিপক্ষকে আঘাত করবে। তবে বিরোধী দল দমন হবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। এ আইন পাস হলে আওয়ামী লীগই প্রথম এর শিকার হবে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার নয়া দিগন্তকে বলেন, এমনিতেই নাগরিকদের অধিকার ক্ষুণœ হচ্ছে। নতুন এ আইন পাস হলে নাগরিকদের অধিকার সঙ্কুচিত হবে। বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনার ওপর ভিত্তি করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত হয়নি। নাগরিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের একজন নাগিরক হিসেবে আমি শঙ্কিত না হয়ে পারি না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল নয়া দিগন্তকে বলেন, নতুন যে আইনটি করা হয়েছে তা আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারার চেয়েও খারাপ একটা আইন। কারণ এখানে আরো নতুন ধরনের অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখন ৫৭ ধারার অপরাধগুলোর সংজ্ঞায় যে অস্পষ্টতা ছিল সেটাও অব্যাহত রাখা হয়েছে এবং এ আইনের বিষয়ে বিশদ যে অপরাধের বর্ণনা দেয়া হয়েছে তাতে এ আইনের দ্বারা বাংলাদেশে ভিন্নমত চর্চা করা, বিরোধী রাজনীতি করা, সরকারের কোনো এমপি-মন্ত্রী বা সমাজের যেকোনো পাওয়ারফুল লোকের বিরুদ্ধে সৎ সাংবাদিকতা করা, তার বিরুদ্ধে কোনো শব্দ উচ্চারণ করা, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। এ আইন করার মধ্য দিয়ে সরকারের পাওয়ারফুল সেকশন তাদের অন্যায় অবিচার, জুলুম যেটার বিরুদ্ধে সৎ সাংবাদিকতা করা, এটার বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ বন্ধ করতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি বিরোধী রাজনীতিক নয়, সমাজের যেকোনো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ, বিশেষ করে দেশের নাগরিক সমাজ ও সাংবাদিক সমাজের অবশ্যই এ আইনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত। এ আইন যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে বাংলাদেশে সৎ সাংবাদিকতা করা, স্বাধীন কণ্ঠে কোনো বিষয়ে সমালোচনা করা, বিরোধী রাজনীতি করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আগে এ ধরনের আইন করার বিশেষ উদ্দেশ্য আছে বলে আমি মনে করি। 

এ প্রসঙ্গে সিনিয়র সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, নতুন যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে এ আইনে সম্পূর্ণভাবে মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ ও মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে বলা যায়, এ আইন বাস্তবায়ন হলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা নয়, কোনো সাংবাদিকতাই করা যাবে না। সরকারের কোনো অফিসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করলে তারা বলবে আমাদের অনুমতি নেয়া হয়নি। এটাতো হতে পারে না। এ আইনের ফলে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকা হলো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: হাসানুজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের তো বাকস্বাধীনতা আছে। আমি যা ইচ্ছা তাই বললাম এতে অন্যকে হার্ট করে না, মানহানি করে না। সত্য কথা বললে বা প্রকাশ করলে মানহানি করে না। মিথ্যা কথা বললে বা প্রকাশ করে মানহানি করে তাহলে মামলা হওয়া উচিত। সত্য প্রকাশ করলে তাতে মানহানি হলো বা না হলো এতে মামলা হওয়া উচিত নয়। সত্য প্রকাশ করলে কেউ যদি বলে তার মানহানি হয়েছে, আর মামলা করতে যায় তাহলে ওই মামলা নেয়া ঠিক হবে না। তিনি বলেন, এটা সরকারের জন্য একটা হাতিয়ার। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ যেন কোনো কথা বলতে না পারে, লেখালেখি করতে না পারে সে জন্য এ ধরনের আইন তৈরি করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সিনিয়র সাংবাদিক ও বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল নয়া দিগন্তকে বলেন, দেখেন, বাংলাদেশে অপরাধের ধরন পরিবর্তন হচ্ছে। অপরাধী, জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা এখন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ করছে। কাজেই সেই অপরাধ দমনের জন্য আধুনিক আইনের প্রয়োজন আছে। এ ধরনের কোনো আইন হলে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে আমাদের উদ্বেগ হচ্ছে, সেই অপরাধী বা জঙ্গি-সন্ত্রাসী ধরার জন্য যে আইন হচ্ছে সেই আইন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগ হয় কি না। ৫৭ ধারা যখন হয়েছিল তখন বলা হয়েছিল এটা সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগ করা হবে না। কিন্তু দুঃজনক হচ্ছে পরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এটার অপপ্রয়োগ হয়েছিল। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে ধারাগুলো আছে তার মধ্যে কিছু আছে যার অপপ্রয়োগ হবে, এ রকম আশঙ্কা করছি। সেই আশঙ্কা থেকেই বলছি, এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। খসড়া হয়েছে। এটা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন নিতে হলে অনেক ধাপ অতিক্রম করতে হবে। এ আইন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যাতে অপপ্রয়োগ না হয় সে জন্য গণমাধ্যমের সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক, সাংবাদিকতার শিক্ষক, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সাথে আলোচনা করে এ উৎকণ্ঠা দূর করা উচিত।

  • Courtesy:Daily Naya Diganta/Jan 31, 2018

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন - নাকের বদলে নরুন?

সম্পাদকীয়



তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বহুল সমালোচিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত করে একই ধরনের 'অপরাধ' ও শাস্তি পুনর্বিন্যস্ত করে মন্ত্রিসভায় সোমবার অনুমোদিত 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮'র খসড়া নতুন করে পুরনো প্রশ্নগুলো সামনে এনেছে। নতুন আইনে যদিও সর্বনিম্ন ৭ বছরের শাস্তির বিধান তুলে দেওয়া হয়েছে, এর ৩২ নম্বর ধারাটি আমাদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না। এতে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে 'বেআইনিভাবে' প্রবেশ করে তথ্য-উপাত্ত ধারণ, সংরক্ষণ ও প্রেরণ করেন, তাহলে তা 'গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ' হিসেবে গণ্য হবে। এর শাস্তি হিসেবে ১৪ বছর জেল ও ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। আমরা মনে করি, এই বিধানটি কেবল বিভ্রান্তিকর নয়, বিপজ্জনকও। মঙ্গলবার সমকালে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত শীর্ষ প্রতিবেদনে ৩২ নম্বর ধারাটিকে যথার্থই 'ভয়ঙ্কর' আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কারণ আমাদের আশঙ্কা, এই ধারা সবচেয়ে বেশি বাধাগ্রস্ত, এমনকি বিপন্ন করবে সাংবাদিকদের। বিভিন্ন সরকারি-আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সংঘটিত দুর্নীতি ও অনিয়ম উন্মোচন করতে হলে সেখানে উপস্থিত হয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ জরুরি। ক্ষেত্রবিশেষে গোপনীয়তাও জরুরি। বস্তুত বাংলাদেশ শুধু নয়, গোটা বিশ্বেই সাংবাদিকতার এ এক বহুল চর্চিত নিয়ম। নতুন আইনের ৩২ ধারা অনুসরণ করতে গেলে আর যাই হোক, সাংবাদিকতা চলবে না। আর সাংবাদিকদের এই তৎপরতা যে পরোক্ষভাবে প্রশাসন, সরকার তথা জাতির জন্যই কল্যাণকর, বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত গোপনে ধারণ ও প্রচারের মধ্য দিয়েই তা নানা সময়ে প্রমাণিত হয়েছে। একই সঙ্গে 'বেআইনি প্রবেশ' বিধানটি হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। প্রবেশের অনুমতি নিতে যাওয়ার অর্থই তো প্রথমে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করা! আমরা জানি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা বিষয়ক আলাদা আইন রয়েছে; রয়েছে গুপ্তচরবৃত্তি সংক্রান্ত আলাদা আইনও। তারপরও ডিজিটাল নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনে এই ধারার সংযোজন অর্থহীন ছাড়া কী? আইনমন্ত্রী যদিও বলেছেন যে, সাংবাদিকরা সত্য প্রকাশ করলে তা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ হবে না এবং আইনে অযথা হয়রানি বন্ধের ব্যবস্থা রয়েছে, আমরা ভরসা করতে পারছি না। আমাদের মনে আছে, ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগের আশঙ্কা নিয়ে তখনও বলা হয়েছিল যে, সাংবাদিকদের হয়রানি করা হবে না। বাস্তবে ওই ধারার এতটা অপপ্রয়োগ দেখা গিয়েছিল যে, শেষ পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশ ছাড়া মামলা নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হয়েছিল। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিকের সঙ্গে আমরা একমত যে, নতুন আইনের ৩২ ধারার সংযোজন অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাও গুরুতর অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমরা চাই, অবিলম্বে ধারাটি বাতিল করা হোক। ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। ডিজিটাল ডিভাইসের অপব্যবহারও আমরা প্রায়শই দেখছি। কিন্তু তার নামে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার অপপ্রয়াস কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ৫৭ ধারার বদলে ৩২ ধারা বাংলা প্রবাদের নাকের বদলে নরুন প্রাপ্তিকেই রূপায়িত করবে।

  • Courtesy: The Daily Samakal Jan 31, 2018

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের দাবি রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের

বিশেষজ্ঞ মতামত



প্রস্তাবিত জিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)। এতে বলা হয়েছে, ওই আইনটি স্বাধীন মত ও তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি। এসব ক্ষেত্রে যেসব বিধান রয়েছে তা ওই আইন থেকে সরিয়ে ফেলতে আহ্বান জানানো হয়েছে। নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে আরএসএফ। এতে বলা হয়, বহুল সমালোচিত ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (আইসিটি)-এর স্থানে আসছে নতুন এই আইনটি। এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার আইসিটি আইনের সবচেয়ে বড় বড় ত্রুটির প্রতিকার করার সুযোগ হাতছাড়া করেছে।

এর মধ্যে রয়েছে ৫৭ ধারা। এর অধীনে অনলাইনের রিপোর্ট বা লেখালেখিকে মানহানিকর অথবা ধর্মীয় অবমাননার আওতায় আনা হয়েছে। বিবৃতিতে আরএসএফ আরো লিখেছে, শুধু ২০১৭ সালেই ৫৭ ধারার অধীনে কমপক্ষে ২৫ জন সাংবাদিক ও কয়েক শত ব্লগার ও ফেসবুক ব্যবহারকারীকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। তাই এটাকে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এই ধারার অনেকটাই প্রস্তাবিত নতুন আইনের বিভিন্ন ধারায় নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। তার অধীনে ১৪ বছর পর্যন্ত জেলের বিধান রয়েছে।

আরএসএফের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান ডানিয়েল বাস্টারড বলেছেন, প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সন্তোষজনক নয়। বিশেষ করে তা বেশ কিছু পয়েন্টের কারণে। এমনকি এই আইনটি আগের আইনের চেয়ে অনেক বেশি কঠোর। তাই সাংবাদিকদের বা ব্লগারদের কণ্ঠরোধের জন্য যেসব ধারা বা বিধান ব্যবহার হতে পারে তার সবটাই প্রত্যাহার করতে হবে। এতে যে অস্পষ্টতা রয়েছে তার অধীনে আগের মতো একইভাবে এর অপব্যবহার অনুমোদন করা হবে। এতে তারাই সুবিধা পাবে, যারা চায় না সংবাদ ও তথ্যের অবাধ ও নিরপেক্ষতা। প্রয়োজনীয় সংশোধনীগুলোর একটি হতে পারে এমন একটি আর্টিকেল যোগ করা, যার অধীনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো মানহানী বা ধর্ম অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করবেন। 

এতে আরো বলা হয়, গত জুলাইয়ে যদিও আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের সম্পাদক পরিষদ, তথাপিও এর অনেকটাই প্রস্তাবিত নতুন আইনের ১৯ নম্বর ধারায় যুক্ত করা হয়েছে। এর অধীনে কোনো রিপোর্ট বা লেখা যদি মানুষের মনকে বিষিয়ে তোলে, কারো অবমাননা করা হয় ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হয়, তাহলে এর জন্য এ আইনে দু’বছরের জেলের বিধান রয়েছে। কোনো লেখা যদি জনশৃংখলা বিনষ্টের জন্য দায়ী বলে বিবেচিত হয়, তাহলে আর্টিকেল ২০ এর অধীনে শাস্তি হিসেবে সাত বছরের জেল হতে পারে। অন্যদিকে স্বাধীনতা যুদ্ধ অথবা জাতির পিতার বিরুদ্ধে কোনো নেতিবাচক প্রচারণা ছড়িয়ে দেয়ার শাস্তি হতে পারে ১৪ বছরের জেল অথবা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অথবা উভয় দন্ড। এসব দন্ডের কথা বলা হয়েছে নতুন বিধানে। 

নতুন আইনের ৩২ ধারার অধীনে গুপ্তচরবৃত্তি যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে তার মধ্যে থাকবে সরকার, আধা সরকারি অথবা শায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো তথ্য গোপনে রেকর্ড করা। এবং এ অপরাধের জন্য ১৪ বছরের জেল অথবা ২০ লাখ টাকা জরিমানা, বা উভয় দন্ডের কথা বলা হয়েছে। 

  • Courtesy: Daily Manabzamin/Jan 31, 2018

Missing BNP leader arrested by Rab

Confirms Rab official, says he was held for plotting subversive activities; family alleges Rab men take away his passport

Staff Correspondent



Rab yesterday confirmed that it arrested BNP leader Anisur Rahman Talukder Khokon over allegations of plotting subversive activities around 20 hours after he went missing in the capital's Gulistan area.

“We have arrested him [Khokon] on information that he was involved in plotting subversive activities,” Lt Col Emranul Hasan, commanding officer (CO) of Rab-3, told this newspaper yesterday evening.

He, however, didn't say what type of subversive activities Khokon, mass education affairs assistant secretary of the BNP, was allegedly plotting.

Rab later handed him over to Ramna Police Station. He was shown arrested in a case filed last year over plotting subversive activities, said Sub-inspector Mizanur Rahman of the police station, also investigation officer of the case.

Talking to this correspondent, Khokon's wife Shah Israt Azmery said members of the elite force picked up her husband on a vehicle with a Rab-3 sticker from in front of Ramna Hotel around 10:45pm. He went there to meet some local BNP leaders from Madaripur.

She also said a team of Rab-2 came to their Lalmatia house around 12:45pm yesterday and took away her husband's passport. However, Lt Col Anwaruzzaman, commanding officer of Rab-2, said he was not aware of it.

When this correspondent visited Khokon's house in the afternoon, the security guard at the building, Ayub Ali, said around eight to 10 people, including three to four in Rab uniform, came to the house around 12:45pm. “They were looking for his [Khokon's] wife,” he added.

As Khokon's wife Azmery was not home at that time, they waited for her. Azmery said when she returned home around 1:00pm, she saw a vehicle with Rab-2 sticker parked on the road near their apartment building.

“They wanted my husband's passport. When we asked the reason, they said they need to collect information.” She further said they told her that Khokon was in their custody but didn't give any details. “It's a big relief for us that we now know his whereabouts,” she added.

Seeking anonymity, one of Khokon's relatives alleged that the Rab men, who went to his house, asked the family members not to tell the media that they took away his passport.

“They wanted us to give a written undertaking that the family members themselves handed over the passport to the Rab.” When the family members wanted the same from the Rab men, one of them talked to someone over the phone. The Rab men then said they didn't need any undertaking and took away Khokon's passport, said the relative of the BNP leader.

Earlier in March 2015, Khokon, a former organising secretary of Chhatra Dal's central unit, went missing in the capital. Around three months later, he was found in Faridpur. At that time, the Rab claimed that it had arrested Khokon along with two others in front of a restaurant on the Dhaka-Khulna highway in Faridpur Sadar upazila.

Khokon's family, however, alleged that Rab members had picked him up from his house in the capital on March 5 that year -- an allegation refuted by the elite force.

  • Courtesy: The Daily Star/Jan 31, 2018

Tuesday, January 30, 2018

এমন বিধান সম্বলিত কোনো দেশকে আমরা সভ্য দেশ বলতে পারি না


গোলাম মোর্তোজাঃ কোনো একটি সমাজ কতটা সভ্য, তার বড় প্রমাণ হচ্ছে সেই সমাজে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ব্যবস্থা কেমন? মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে, যে যেভাবে চিন্তা করে, সে তার চিন্তাটি সেভাবে প্রকাশ করতে পারে কি-না। তার মতের সাথে আপনি একমত পোষণ করতে পারেন, দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। মতামতটিকে গুরুত্ব দিতে পারেন অথবা গুরুত্ব নাও দিতে পারেন। কেউ যদি সুষ্ঠু প্রক্রিয়াতে গালাগালি না করে আপনি যে কাজ করছেন, সেই কাজের পক্ষে বা বিপক্ষে আলোচনা বা সমালোচনা করে এবং সেটি যদি তার সমালোচনা করার বা প্রকাশের অধিকারে থাকে, এর জন্য যদি তার কোনো সমস্যা না হয়, এমন একটি অবস্থা যদি সমাজে বিরাজমান থাকে, তাহলে সেই সমাজটিকে আমরা বলতে পারি সভ্য সমাজ। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, এখানে এমন একটি অবস্থা থাকুক আমরা প্রত্যাশা করি।

যে দেশে ৫৭ ধারার মতো আইন করা হয়, যে দেশে ৫৭ ধারার মতো আইন করে যারা কাজ করবেন, যারা মত প্রকাশ করবেন, যারা দ্বিমত প্রকাশ করবেন, যারা আলোচনা সমালোচনা করবেন, তাদের মত প্রকাশকে বাধাগ্রস্থ করা হয়, মত প্রকাশের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়, এমন বিধান সম্বলিত কোনো দেশকে আমরা সভ্য দেশ বা সভ্য সমাজ বলতে পারি না। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে এরকম একটি অবস্থা বিরাজ করছে। এই দেশে ৫৭ ধারার মতো একটি আইন করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সংবাদকর্মীদের অথবা সাংবাদকর্মীদের যে সমস্ত সংগঠন আছে, তাদের সাংগঠনিকভাবে যতটুকু জোড়ালো ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, তারা ততটা জোড়ালো ভূমিকা নিতে পারেননি। তারপর সেখান থেকে প্রতিবাদ হয়েছে। সমাজের সর্বস্তর থেকে প্রতিবাদ করেছে। গণমাধ্যম প্রতিবাদ করেছে। সে প্রতিবাদের ভিত্তিতে সরকার ৫৭ ধারা বাদ দিবে, না পরিবর্তন করবে, সেরকম একটি সিদ্ধান্তের মধ্যে পৌঁছায়।

আমরা আশাবাদি ছিলাম, ৫৭ ধারা পরিবর্তন হবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখলাম, ৫৭ ধারা পরিবর্তন না করে ৫৭ ধারা অন্য নামে অর্থাৎ আইসিটি আইনের ১৯ ও ২০ ধারায় হুবহু রাখা হয়েছে। একটু শব্দের এই দিক সেই দিক করে আইন করা হল। মূল কথা ৫৭ ধারায় যে ব্যবস্থা নেওয়া যেত, ৫৭ ধারা যে ভয় এবং আতঙ্ক তৈরি করত, আইসিটি আইনের ১৯ এবং ২০ ধারায় সেভাবে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করবে। এমন আইন একটি গণতান্ত্রিক দেশেতো থাকা উচিতই নয়, অগণতান্ত্রিক দেশেও থাকা উচিত নয়। বাংলাদেশের মতো দেশে এমন ধারা কোনোভাবে প্রত্যাশিত নয়। আগে যে আইন সংযুক্ত করা হয়েছিল, সেখান থেকে সরে না এসে পুরনো আইনকে নতুন মোড়কে রাখা হয়েছে বা করতে যাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্যে, বাংলাদেশের ইমেজের জন্যে কোনোভাবে ভালো কিছু নয়।

  • Courtesy: AmaderShomoy.com

৫৭ ধারা বাতিল, আসছে ভয়ঙ্কর ৩২ ধারা

মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন



তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বহুল আলোচিত কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত করা হলেও ৫৭ ধারায় বর্ণিত অপরাধ ও শাস্তির বিধান পুনর্বিন্যাস করে 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮'-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুমোদন দেওয়া হয়।

তবে নতুন আইনে সর্বনিম্ন সাত বছরের শাস্তির বিধান তুলে দেওয়া হয়েছে এবং অপরাধের মাত্রা ও ধরন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে নতুন আইনের ১৭ থেকে ৩৮ ধারায় বিভিন্ন অপরাধ ও শাস্তির বিষয় উল্লেখ রয়েছে। আইনটির ৩২ ধারা নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এ ধারায় ডিজিটাল অপরাধের বদলে গুপ্তচরবৃত্তির সাজার বিধান রাখা হয়েছে। এতে বলা হয়, কোনো সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ঢুকে কেউ কোনো কিছু রেকর্ড করলে, তা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ হবে। এর জন্য ১৪ বছরের জেল এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

নতুন আইন অনুযায়ী ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ করলে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা ব্লক বা অপসারণের জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। খসড়া আইনে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের জন্য জাতীয় কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের কথা বলা হয়েছে।

অনুমোদনের পর আইনটির ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিবিসি বাংলাকে বলেন, আইসিটি অ্যাক্টের অপরিচ্ছন্ন যে  ৫৭ ধারা ছিল, সেটিকে বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে ৫৭ ধারার যে অপরাধ, সেগুলো বিস্তারিতভাবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হলেও নতুন আইনে আগের মতো হয়রানির আশঙ্কা থাকবে কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অযথা হয়রানি যাতে না হয় সে জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপপ্রয়োগের সুযোগ ৯৭ ভাগ বন্ধ হবে।

এ ব্যাপারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সমকালকে বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নতুন আইনে রাখা হয়েছে। এ আইনে সর্বনিম্ন শাস্তির বিধান বেঁধে না দেওয়ার কারণে কাউকে ধরে নিয়ে অপরাধ প্রমাণ করলেই সাত বছরের সাজা হবে না। বিচারক অপরাধের মাত্রা ও ধরন বিবেচনা করে শাস্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল সমকালকে বলেন, এর আগে ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ নিয়ে সাংবাদিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তখনও বলা হয়েছিল, এ আইন পেশাগত কাজে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, অতি তুচ্ছ কারণে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও ৫৭ ধারার আদলে কিছু বিধান রাখা হয়েছে, যা মত প্রকাশের এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বড় বাধা হতে পারে। এ আইনটি শুধু মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে, আইনটি চূড়ান্তভাবে পাসের আগে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ মানবাধিকার কর্মীদের বক্তব্য নেওয়া এবং আইনের অপপ্রয়োগ রোধে পূর্ব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ আইনটি পাস করা।

এ ব্যাপারে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্‌দীন মালিক বলেন, এ ধারার সংযোজনে অনুসন্ধানী এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাও গুরুতর আপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এর ফলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ভীষণভাবে কমে যাবে। অন্যদিকে সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা এবং বেআইনি কাজের সুযোগ প্রসারিত হবে।

তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার সিনিয়র ফেলো আবু সাঈদ খান বলেন, এ আইনের বিষয়ে নানা ধরনের উদ্বেগ রয়েছে। সে কারণে আইনটি সংসদে পাসের আগে একটি গণশুনানি করে মতামত নেওয়া উচিত। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত যে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি রয়েছে, তারাই এ আয়োজন করতে পারে। তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইন পাসের আগেও এ ব্যাপারে গণশুনানির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাই গণশুনানির মাধ্যমে আইনটি পাস হলে এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এবং সরকারেরও সুনাম হবে।

এ ব্যাপারে সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, খুব শিগগিরই প্রস্তাবিত এই খসড়া আইন নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন তারা।

গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, নতুন আইনের আওতায় কেউ যদি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা চালায় তাহলে ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ধর্মীয় বোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে, তাহলে ১০ বছরের জেল ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

৫৭ ধারা বাতিল হলেও এ ধারায় দায়ের করা মামলাগুলোর কী হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেহেতু ধারাটি থাকবে না, বিচারকের রায়ই এখানে চূড়ান্ত। তবে গতকাল বিদায়ী আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ অনুমোদন হলেও বিলুপ্ত ধারায় হওয়া আগের মামলাগুলোর কার্যক্রম চলবে।

ওই ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিশ্চিত করেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ ধারা পুরোপুরি বিলুপ্ত করার বিধান রেখে মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন হয়েছে।

নতুন আইনের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে, মানহানিকর কোনো তথ্য দিলে তিন বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কেউ যদি বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কোনো ধরনের তথ্য-উপাত্ত, যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে গোপনে রেকর্ড করে, তাহলে সেটা গুপ্তচরবৃত্তি অপরাধ হবে এবং এ অপরাধে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, কেউ যদি বেআইনিভাবে কারও ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তাহলে তাকে সাত বছরের জেল ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। বেআইনিভাবে অন্য সাইটে প্রবেশ করার পর যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হন তাহলে অপরাধীর ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। আবার কেউ যদি বেআইনিভাবে কারও ডিভাইসে প্রবেশ করে তাহলে এক বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কেউ যদি কারও ডিভাইসে প্রবেশে সহায়তা করে তাহলে তিন বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

আইনের ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ যদি জনগণকে ভয়ভীতি দেখায় এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি করে, তাহলে ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

২৫ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্মক ভয়ভীতি দেখায় তাহলে তাকে তিন বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানাসহ উভয় দণ্ডের বিধান থাকছে।

৩০ ধারায় বলা হয়েছে, না জানিয়ে কেউ যদি কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে, ব্যাংক-বীমায় ই-ট্রানজেকশন করে, তাহলে পাঁচ বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করলে সাত বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

গত কয়েক বছরে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ধর্মীয় অনুভূতির সংজ্ঞা কী হবে- প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, পেনাল কোডে ধর্মীয় অনুভূতির যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে সেটা এখানে প্রযোজ্য হবে।

সাইবার সিকিউরিটি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের হওয়া ৭৪০টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ মামলা রয়েছে ৫৭ ধারায়। ২০১৩ সালে প্রথম তিনটি মামলা হওয়ার পর প্রতি বছর মামলার সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৪ সালে সারাদেশে ৩৩টি মামলা হলেও ২০১৫ সালে এসে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫২তে। ২০১৬ সালে ৫৭ ধারায় মামলা হয় ২৩৩টি, আর ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এই ধারায় মামলা হয়েছে ৩২৩টি। 




  • Courtesy: Samakal.com/Jan 30, 2018

BCL activists again attack protesting students



40 injured; strike observed at edn institutions

In the presence of police, a Chhatra League activist hurling brick chips at Dost Building, office of different progressive students' organisations, in New Market intersection area of Chittagong City yesterday. BCL men yesterday attacked and foiled demonstration by the alliance on the campuses of three different educational institutions, leaving at least 40 injured. Photo: Collected

 Star Report

Activists of Bangladesh Chhatra League yesterday (Monday) attacked and foiled agitation of Pragatisheel Chhatra Jote on the campuses of three different educational institutions, leaving at least 40 injured.

The leaders and activists of Pragatisheel Chhatra Jote, an alliance of left-leaning student organisations, observed a nationwide strike protesting against the attack on Dhaka University students carried out by BCL activists on January 23.

In Sylhet, BCL men swooped on a procession brought out by the Jote activists at the main gate of Shahjalal University of Science and Technology (Sust) around 11:00am, leaving eight of them wounded.

Of them, Samajtantrik Chhatra Front activist Joydwip Das, a third year student of the university, has been admitted to Sylhet MAG Osmani Medical College Hospital with critical head injury, while others received primary treatment.

Witnesses said a group of BCL activists allegedly led by Moshiur Rahim Bhuiyan, Mushfiqur Rahim Zia and Sust BCL Joint Secretary Subrata Paul attacked the procession in front of the university gate.

Proctor Prof Jahir Uddin said the Sust authorities would form a probe body to find out who led the attack.

At a press conference, leaders of Chittagong unit Chhatra Jote yesterday claimed 30-40 of their activists were injured in BCL attack.

The BCL men also vandalised Dost Building, office of different progressive students' organisations, creating panic in the area, the Jote leaders claimed at a press conference held at Maulana Bhashani Auditorium of the building.

Al Kadery Joy, coordinator of the alliance, alleged Samajtantrik Chhatra Front activist Mushfiq Uddin Wasi was picked up by BCL men and kept confined at Chittagong Municipal School.

Later, a group of BCL men of City College unit attacked the Jote activists in the city's New Market area around 1:30pm when they were returning to their respective offices after completing the procession, said witnesses.

BCL Chittagong city president Emran Hossain Emu said he was not aware of any such attacks.

Ahsan Habib, general secretary of Samajtantrik Chhatra Front of Chittagong University unit, was picked up by some BCL men from the Social Science Building, assaulted and handed over to the CU proctor.

The Jote activists also came under attack at Rajshahi University when they were observing the strike in front of the administration building, alleged Kingshuk Kingjal, president of Chhatra Federation.

A faction of BCL led by two former vice presidents attacked the protestors around 9:30am, claimed Kingshuk.

On DU campus, the Jote activists padlocked the main gate of Arts Building when around 70-80 general students joined them expressing solidarity around 8:00am. They brought out a procession marching different streets on the campus before gathering at the base of Aparajeyo Bangla and held a brief rally there.

At the rally, Imran Habib Rummon, convener of the alliance, condemned yesterday's fresh attacks. He announced to continue with their protest at all education institutions across the country against the BCL attacks.

A section of DU students under the banner “Students against repression” has meanwhile conducted a press conference at Modhur Canteen on the campus where they placed various demands.

Coordinator of the movement Masud Al Mahdi claimed eight members of the three probe committees formed over the January 15, 17 and 23 incidents were present in Sunday's human chain organised by Dhaka University Teachers Association. “The members of the probe bodies have clearly sided with the university authorities. This means they have finalised the report and now would establish it,” said Masud while reading out a statement.

“Such behaviour is not unexpected from the teachers as we had earlier seen them being engaged in scuffles and holding counter-human chain blaming each other over the incidents,” he added.

Masud and other students rejected the probe bodies terming those “biased” and demanded expulsion of those involved in the attacks and removal of DU Proctor Prof Golam Rabbani.

On January 23, at least 50 protestors were injured when BCL men swooped on them to “rescue” the VC, who was kept confined by the protestors in front of his office. The following day, BCL men swooped on activists of the left-leaning student organisations in two other education institutions during their programmes protesting against the January 23 attack.

  • Courtesy: The Daily Star Jan 30, 2018