Search

Tuesday, February 13, 2018

ZIA ORPHANAGE CASE - Judge still correcting verdict



The judge continued revising and correcting till Monday the verdict pronounced on February 8 sentencing Bangladesh Nationalist Party to imprisonment for five years in Zia Orphanage Trust case.

Khaleda’s lawyer Aminul Islam told New Age that he was informed by the court officials that the verdict was still being corrected by the judge. 
He said that Khaleda awaiting the certified copy of the verdict to appeal against it.

Aminul said that Kaleda’s lawyer Sanaullah Mia on Monday submitted stamps of Tk 5,000 and relevant papers to the trial court’s copying department for getting the certified copy. 

On February 8, Dhaka special court 5’s judge Md Akhteruzzaman read out the operative part of a 632-page verdict.

Anti-Corruption Commission prosecutor Mosharraf Hossain Kazal said that it would take time to write and type the 632-page verdict before issuing the certified copy.

He said that the commission was not in a hurry to get the certified copy.

Former district judge and Supreme Court registrar Ikteder Ahmed told New Age that the full verdict must be read out in open court and it has to be signed in open court, according to Section 369 of the Code of Criminal Procedure.

  • New Age/Feb 13,2018


পরীক্ষার ফরমেও ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি!

  • ফরমপ্রতি ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে ছাত্রলীগ।
  • প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রকে বেধড়ক পিটুনি।

স্নাতক পরীক্ষার ফরম পূরণে বাড়তি টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ করায় গতকাল সোমবার ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের এক ছাত্র। হামলার পর থেকে তিনি কানে ঠিকমতো শুনতে পাচ্ছেন না। তবে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আহত রহিম ফরাজী ওই কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। তিনি বলেন, স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ফি বাবদ কলেজের অগ্রণী ব্যাংক শাখায় ৪ হাজার ৬৭৫ টাকা জমা দিয়েছেন। এর রসিদও রয়েছে তাঁর কাছে। পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ফরমগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বিনা মূল্যে সরবরাহ করার কথা থাকলেও সেগুলো সংগ্রহ করতে হয় কলেজের ছাত্রলীগের নেতাদের কাছ থেকে। প্রতি ফরমের জন্য ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়, যার কোনো রসিদও দেওয়া হয় না।

রহিম জানান, তিনি বামপন্থী ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ভুক্তভোগী আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী বাড়তি টাকা দিতে অনিচ্ছুক বলে তাঁকে জানান। এরপর তাঁরা বিষয়টা নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ শেখ আবদুল কুদ্দুসের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু অধ্যক্ষ কোনো সুরাহা করতে পারবেন না বলে জানান। এরপরে তিনিসহ কয়েকজন এ নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে গতকাল বেলা ১১টার দিকে ছাত্রসংসদে যান। সেখানে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার নেতারা রহিম ফরায়েজিকে মারধর শুরু করেন। মারধরের নেতৃত্বে ছিলেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা।

আক্রান্ত রহিমের অভিযোগ, মারধরের পর থেকে তিনি বাম কানে ঠিকমতো শুনতে পাচ্ছেন না। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁর কানের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

ঘটনার বর্ণনা দিতে দিতে কেঁদে ফেলেন এই যুবক। তিনি বলেন, ‘ভাই, আমি ভয় পাই না। তবে ওরা খুব মারছে। আমারে বলছে, এখানে আটকে শিবির বলে পুলিশে ধরায়ে দেবে। পরে কয়েকজন আমাকে ছেড়ে দিয়ে বলেছে, এখানে আর না আসতে। কিন্তু আমার তো পরীক্ষা আছে।’ রহিম বলেন, অসুস্থতার কারণে এসএসসি পরীক্ষার আগে ও পরে তাঁর শিক্ষাজীবনে চার বছরের ছেদ পড়েছিল। এখন একজনের বাড়িতে লজিং থেকে টিউশনি করে চলছেন।

কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, এসব অসত্য অভিযোগ। রহিমের সঙ্গে কলেজের বাইরে কারও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছিল। সেটার দায় তো আর ছাত্রলীগের নয়। বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগও ঠিক নয়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কলেজের অধ্যক্ষ শেখ আবদুল কুদ্দুস বলেন, ফরম তো বিভাগগুলো থেকে দেওয়ার কথা। অন্য কারও তো দেওয়ার কথা নয়। মারধরের অভিযোগ শুনে তিনি বলেন, ‘কই আমার কাছে তো কেউ অভিযোগ করল না। আমি বিকেল পর্যন্ত তো কলেজেই ছিলাম।’

  • Courtesy: ProthomAlo Feb 13, 2018

Monday, February 12, 2018

Question Paper Leak-Spree: HEADACHE? cut the head

Staff Correspondent 


In an extraordinary move to stop question paper leak, the government yesterday (Sunday) decided to shut down internet service for two and a half hours on exam days.

Mobile internet will remain fully shut and internet speed will be slashed to 25Kbps for other internet users from 8:00am to 10:30am on those days.

“With this speed customers cannot do anything,” MA Hakim, president of Internet Service Providers Association Bangladesh, told The Daily Star.

During the test run of the speed cap last night, this correspondent could not access any site. 

"We all want the question leak to stop and the government should do everything it can about it. But shutting the internet cannot be a solution as it affects our daily lives,” said Hakim.

On February 18, the country will be out of internet service for five hours (from 8:00am to 10:30am and from 12:00noon to 2:30pm), as there are two exams on that day.

Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission made the decision following a request by the education ministry.

The decision drew flak from internet users who termed the decision “ridiculous,” saying it was like "chopping the head off to get rid of a headache".

Some 20 lakh students are taking the SSC exam that began on February 1. 

As of December last year, 7.5 crore mobile phones have internet connections while the total number (mobiles and other devices) of internet connections is 8.05 crore, according to the BTRC.

BTRC Chairman Shahjahan Mahmood declined to comment on the government decision.

Contacted last night, ICT Minister Mustafa Jabbar said, "We could not make the education ministry realise that Facebook is not responsible for question leak. But we had to do this following their request ... I hope that government officials realise this in the coming days."

Earlier in the morning, the telecom regulator suddenly asked all the four mobile phone operators to shut mobile internet for 30 minutes across the country before the exam. But before the order took effect, the question of Information and Communication Technology were already circulating in social media and Facebook messenger groups.

Images of MCQ part of "Ga" set was found on several Facebook pages at 8:57am, about an hour before the exam started. Yesterday, only MCQ test was held. After the exam, The Daily Star found them to be identical with the original questions.

Leaked question papers of some other exams over the last few days were also found similar or identical to the original question papers.

Meanwhile, the people leaking the questions vowed to leak questions of the upcoming exams. One Facebook account named Aberul Islam Abir wrote, “Free…Free…Free…Those who need MCQ papers of physics/history/ finance, add me and gave me a message.”

On Saturday, detectives arrested 14 people from different areas in the capital, most of whom are admins of several such Facebook and messenger groups, DB sources said.

"RIDICULOUS DECISION"

Internet users came down hard on the government for the decision.

"This is ridiculous. It's like cutting your head when you have a headache. This can never be the solution," said Shimul, a businessman from Uttara. Reza, an online freelancer, said the decision would affect people like himself who earn their living via the internet.

"It is going to hurt my business. Is it the only option to prevent the leak? I'm dumbfounded," he said.

Earlier, the government had temporarily shut down internet across the country in 2015 for the first time, after the Supreme Court delivered verdicts upholding the death penalties of war criminals Salauddin Quader Chowdhury and Ali Ahsan Mohammad Mojaheed.

ARRESTS

Abdul Baten, joint commissioner of Detective Branch of police, echoed the education minister's claim that some “dishonest people” take snapshots of the question papers when it reaches the examination centres and leak those 30 to 40 minutes before the test.

“The question paper reaches the centre in different phases. From the deputy commissioner's office, it first goes to the centres, then to sub-centres and finally to the exam centres on the morning of the exams. During this period, there is no chance to leak the question as it remains sealed,” Baten said.

The DB suspects some officials of the education board are behind the leak.

About the arrestees, Baten said the leakers were asking people to send money in advance to become members of secret Facebook messenger groups or WhatsAapp groups to get the questions.

Three of them -- Ahsan Ullah, a student of Sirajul Islam Medical College, Aman Ullah, an IT engineer, and Barkat Ullah -- are brothers from Chandpur.

“Ahsan Ullah opened five Facebook accounts and collected several thousand followers. Besides, he is a follower of such groups himself.

“He used to collect question papers from those accounts and post it on his own page,” Baten said, adding that Ahsan received Tk 2 lakh in two days.

“Thousands of students are connected with such Facebook groups. It is hard to identify the origin of the leak. It might take at least six months to trace it,” said Baten.

The DB suggested turning off the mobile phones of those who handle question papers before exams.

300 MOBILE NUMBERS IDENTIFIED

The government has so far identified and blocked 300 mobile numbers involved in question leak, said Mohammad Alamgir, who is heading an 11-member committee of the education ministry probing the leak. Police already launched a drive to arrest their owners, he said.

"They will face action under the exam and cyber laws, whoever they might be,” added Alamgir, also secretary of the technical and madrasa division of the ministry.

Most of the owners of those numbers are students, but there are some guardians as well, he added.

  • Courtesy: The Daly Star Feb 12, 2018

শেখ হাসিনার মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া!



সাড়ে ১০ বছর আগে তৎকালীন ‘সেনা-সমর্থিত’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একটি চাঁদাবাজির মামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

ওই সময়ে শেখ হাসিনার মুক্তি দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

শেখ হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিশিষ্ট নাগরিক উল্লেখ করে তাকে মুক্তি দিয়ে অভিযোগের আইনি প্রক্রিয়ার সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

সাড়ে ১০ বছর পর সেই সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে দায়েরকৃত দুর্নীতি মামলাতেই সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে যেতে হয়েছে খালেদা জিয়াকে। আর এই সময়ে সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা।

২০০৬ সালে নির্বাচন ও ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপির দ্বন্দ্বে জরুরি অবস্থা জারির মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

এরপর অনেক রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা হয় বিভিন্ন মামলায়। তখন গ্রেফতার হয়েছিল আওয়ামী লীগ বিএনপির দুই শীর্ষ নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াও।

২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোররাতে ধানমণ্ডির সুধা সদনের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় শেখ হাসিনাকে। প্রায় ৩ কোটি টাকার একটি চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

এই গ্রেফতারের একদিন পরই তার মুক্তি চেয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন খালেদা জিয়া। সেই বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রকাশও হয়।

খালেদা তাতে বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া উচিত। শেখ হাসিনাকে মুক্ত রেখে আইন পরিচালনা করা হলে পারস্পরিক অবিশ্বাস, সন্দেহ, সামাজিক উত্তেজনা এবং রাজনৈতিক আশঙ্কা কমে আসবে।’

শেখ হাসিনাকে যেভাবে গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাতে খালেদা জিয়া দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় নেতার কন্যা এবং দেশের সম্মানিত নাগরিক।’ তাকে গ্রেফতার করায় বিবেকমান নাগরিকেরা আহত হয়েছেন। এর ফলে দেশে বিদেশেও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।

শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের আড়াই মাস পর ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল অন্য আরেকটি মামলায়। খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা দুই নেত্রীর বিরুদ্ধেই বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের হয়। সেই সব মামলার ভেতরই একটি মামলা ছিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা।

২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি দায়ের করে রমনা থানায়। ওই মামলার রায়ে ৫ বছর কারাদণ্ড পেয়ে বর্তমানে জেলখানায় আছেন খালেদা জিয়া।

  • Courtesy: শীর্ষ নিউজ/জে Feb 12, 2018

ওয়ান ইলেভেনের সময়ে ওবায়দুল কাদের দুর্নীতিবাজের আওতায় ছিল

নিলুফার চৌধুরী মনি 



আমাদের বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন তারেক রহমান। তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় ওবায়দুল কাদের যে তাকে দুর্নীতিবাজ বলে গালি দিয়েছেন, এটি খুব দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। কারণ, ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়ে ওবায়দুল কাদেরও দুর্নীতিবাজ ছিলেন! ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়ে যে মামলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার এই মামলা সেই সময়ের।

সেই সময়ে মামলার সাথে ওবায়দুল কাদেরও জড়িত ছিলেন । তিনি যে দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন সেটির বাস্তব প্রমাণ রয়েছে ইউটিউবে। এখন আমাদের দেশের মানুষ ইউটিউবে সার্চ করলে বুঝতে পারবে, কারা ছিল দুর্নীতিবাজ। ওবায়দুল কাদেরের এতগুলো ফটো রেখে বিএনপিকে একটি ষড়যন্ত্রের মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে এবং তারা জোর করে যা ইচ্ছা তাই করছে।

তারপরেও কেন তারা এতকথা বলে কেন? ওবায়দুল কাদের একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে এমন কথা বলেন, যেটি শুনলে আমি লজ্জা পাই। আমার সন্দেহ হয়, আসলে তিনি রাজনৈতিক কর্মী না বড় কোন লিডার! রাজনৈতিক কর্মী হয়ে কিভাবে কথা বলতে হয়, সেটি তিনি জানেন না। ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় তিনি বলেছেন, ‘রাজনীতি হচ্ছে একটি পাঠশালা’।

সেই সময়ে তিনি কী এই শিক্ষা নিয়েছেন? তিনি কি এই শিক্ষা নিয়েছেন, তার বিরোধী দলের কর্মীদের সবসময় বাজে কথা এবং বাজে গালি দিয়ে সম্বোধন করবেন? যেখানে ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় দুর্নীতির সাথে তিনি নিজে জড়িত ছিলেন এবং সারা বিশ্বের কাছে ইউটিউবে প্রমাণিত হয়ে আছে, সেখানে তার এমন কথা নিঃসন্দেহে বেমানান।

  • Courtesy: AmaderShomoy.Com

Sunday, February 11, 2018

ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারি - ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে কমিশন নিতেন মহিউদ্দিন আলমগীর



ঋণ দেওয়ার বিনিময়ে গ্রাহকের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছেন বহুল আলোচিত ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী)।

এ ছাড়া এ দু’জন টাকার বিনিময়ে ব্যাংকে অনেক কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন। মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সুপারিশে দেওয়া ঋণ পরিশোধ না হলেও অভিনব কায়দায় পরিশোধ দেখানো হয়েছে। মাত্র তিনটি ঋণ হিসাব এবং এক বছরের নিয়োগের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক তদন্তে চাঞ্চল্যকর এসব অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের গুরুতর অনিয়মের মাধ্যমে তাদের নৈতিক স্খলন ঘটেছে। এ অনিয়ম বের হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় এখন এক কোটি টাকার বেশি অঙ্কের সব ঋণে বহির্নিরীক্ষক দিয়ে বিশেষ অডিট করাচ্ছে ব্যাংকটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, নমুনা ভিত্তিতে মাত্র কয়েকটি ঋণ হিসাবের ওপর নিরীক্ষণ চালিয়ে ব্যাপক এ জালিয়াতির তথ্য পাওয়া গেছে। আমানতকারীদের অর্থ লোপাট, ব্যাংকটির অস্তিত্ব সংকটাপন্ন হওয়ায় অনিয়মের ধরন এবং জালিয়াতির মাধ্যমে কত টাকা তছরুপ হয়েছে, তা বের করা জরুরি। একই সঙ্গে ব্যাংকের সম্পদের প্রকৃত চিত্র নির্ণয় করা আবশ্যক। এমন পরিস্থিতিতে বহির্নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালে যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছে তার অনুমোদন প্রক্রিয়া, ঋণের সদ্ব্যবহার, সহায়ক জামানত, ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব যাচাইসহ সার্বিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষকে চিহ্নিত করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর মানি লন্ডারিং বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) এবং দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়েছে।

ঋণ হিসাব থেকে দু’জনের নামে পে-অর্ডার ইস্যু
মহীউদ্দীন খান আলমগীরের একক সুপারিশে গত বছর তনুজ করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয় ফারমার্স ব্যাংক। পরিচালনা পর্ষদ, ক্রেডিট কমিটি বা ইসি কমিটির অনুমোদন ছাড়াই এ ঋণ দেওয়া হয়। গত বছরের ১৯ জুলাই গ্রাহকের একটি মেয়াদি হিসাব থেকে এক কোটি ২২ লাখ টাকা তার চলতি হিসাবে স্থানান্তর হয়। একই দিন ৪২ লাখ টাকা নগদে উত্তোলন করেন ওই গ্রাহক। প্রথমে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নামে ৮০ লাখ টাকার একটি পে-অর্ডার ইস্যু করে তনুজ করপোরেশন। পরে আবার বাতিল করে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নামে ১৮ লাখ টাকা ও মাহাবুবুল হক চিশতীর নামে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার পে-অর্ডার ইস্যু করা হয়। অবশিষ্ট ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জনৈক জাকির হোসেন নামের অপর ব্যক্তির।

জাহান ট্রেডার্স নামে অপর একটি ঋণ হিসাব থেকে গত বছরের ১৯ মার্চ এক কোটি ৪০ লাখ টাকা আরেকটি চলতি হিসাবে স্থানান্তর হয়। এই ঋণও দেওয়া হয় মহীউদ্দীন খান আলমগীরের একক সুপারিশে। আর উভয় গ্রাহক নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেও পুরো টাকা তুলেছেন নগদে। ফলে অবশিষ্ট টাকাও প্রকৃত খাতে ব্যবহার হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের এমপি মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সার্বিক অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকের অডিট কমিটির তৎকালীন চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হক চিশতী বলেন, ‘পদত্যাগ করার পর চেয়ারম্যান এবং তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার হচ্ছে। সুবিধাবাদীরা এটা করছেন। মহীউদ্দীন খান আলমগীর আজ চেয়ারম্যান থাকলে কেউ এসব বলতে পারত না।’ পে-অর্ডারের মাধ্যমে ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘পে-অর্ডারে কত আছে?’ সুনির্দিষ্ট অঙ্ক বলার পর তিনি বলেন, ‘এটা আমার স্মরণে নেই।’ তিনি বলেন, ‘একজন চেয়ারম্যান, যিনি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বর্তমানে এমপি। পদত্যাগ করার কথা পরিচালনা পর্ষদে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সামনে তার পদত্যাগপত্রে সই হয় কীভাবে। এটা আপনারা একটু দেখেন।’

লোকবল নিয়োগে অনিয়মের ক্ষেত্রে তার সংশ্নিষ্টতার বিষয়ে জানতে চাইলে বাবুল চিশতী বলেন, ‘নিয়োগে তো কমিটি থাকে। নিয়োগ কমিটির ঊর্ধ্বে কেউ নয়। কমিটি অনুমোদন দিলে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেন।’ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ থেকে একটি পরীক্ষা নেওয়া হলেও নম্বরপত্র মূল্যায়ন না করে আর্থিক লেনদেনের বিপরীতে নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা সঠিক নয়। এসব অভ্যন্তরীণ কোন্দলের অংশ।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, কোনো গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে মহীউদ্দীন খান আলমগীর, বাবুল চিশতী বা পর্ষদের কোনো সদস্যের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়ে থাকলে সেটা ফৌজদারি অপরাধ। কেননা, ঋণগ্রহীতার অ্যাকাউন্ট থেকে পরিচালকের অ্যাকাউন্টে টাকা যাওয়ার কথা নয়। এই একটি কারণেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের পর্ষদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তারা এখন ঘাপটি মেরে বসে থাকবেন। ব্যাংকের অবস্থা ভালো হলে আবার চেয়ারম্যান হবেন। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাদের শেয়ার বিক্রির ব্যবস্থা করা উচিত।

ফারমার্স ব্যাংকের বর্তমান এমডি মো. এহসান খসরু বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে বহির্নিরীক্ষক দিয়ে ফাংশনাল অডিটের কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ থাকা গুলশান ও মতিঝিল শাখার পরিদর্শন শেষ পর্যায়ে এসেছে। ব্যাংকটির ৫৬টি শাখার মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি অঙ্কের ঋণ রয়েছে ১৫টির মতো শাখায়। রোববার থেকে বাকি শাখার পরিদর্শন শুরু হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশিত সময়ের মধ্যে এসব পরিদর্শন শেষ করে পাঠানো সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণের মধ্যে অর্ধেকের বেশি রয়েছে এক কোটি টাকার বেশি অঙ্কের।

এ দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউর প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর। এটা গোপনীয় বিষয়। এ নিয়ে কিছু বলা যাবে না। বিএফআইইউ যা তথ্য পায়, তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়া হয়। আর মানি লন্ডারিং হলে সেটা যাবে দুদকে।

তারল্য সংকট এবং বিভিন্ন অনিয়ম প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপে গত ২৭ নভেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং চেয়ারম্যান পদ থেকে মহীউদ্দীন খান আলমগীর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। একই দিন অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হক চিশতীও ব্যাংক থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর ১৯ ডিসেম্বর একেএম শামীমকে এমডি থেকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটিতে চলমান তারল্য সংকট কাটিয়ে উঠতে নতুন করে এক হাজার ১০০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

জনবল নিয়োগে অনিয়ম
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোকবল নিয়োগে অনিয়মের সঙ্গে তৎকালীন চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান বাবুল চিশতীর সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা দু’জন যোগসাজশ করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, লোক নিয়োগে ব্যাংকের নিজস্ব নিয়মও মানা হয়নি। প্রতিবেদনে শুধু ২০১৭ সালে লোকবল নিয়োগের একটি চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, আলোচ্য বছর ব্যাংকটিতে ৮৫ কর্মকর্তা নিয়োগ হয়। এর প্রতিটিতে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সুপারিশ রয়েছে। এ ছাড়া অনেক প্রার্থীর জীবনবৃত্তান্তের ওপর তার স্বাক্ষরসহ ‘পরিচালক জনাব চিশতী’ কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে। এসব নিয়োগের জন্য ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ থেকে সংক্ষিপ্ত একটি পরীক্ষা নেওয়া হলেও এসব উত্তরপত্রে কোনো নম্বর দেওয়া হয়নি। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এসব নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে।

ঋণ পরিশোধ না করেই সমন্বয়
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এসটুআরএস করপোরেশন নামে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফেরদৌস জবায়েত ইসলাম ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তি। তার নামে গুলশান শাখায় সৃষ্ট চারটি হিসাবে ৪৪ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। প্রতিটি ঋণ দেওয়া হয়েছে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সুপারিশের ভিত্তিতে। এর মধ্যে ১৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকার একটি মেয়াদি ঋণ ছাড়া অন্য ঋণের বিষয়ে প্রধান কার্যালয়ের কাছে কোনো তথ্যই নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দল যাওয়ার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে এসব ঋণ সমন্বয় দেখানো হলেও বাস্তবে সমন্বয় হয়নি। যে কারণে বিপুল অঙ্কের এ অর্থ জমা দেখানো হলেও ওই দিন শাখায় ছিল মাত্র আড়াই লাখ টাকা। অভিনব কায়দায় শুধু ভাউচারের মারপ্যাঁচে ঋণ সমন্বয় দেখানো হয়েছে।

ঋণ সমন্বয়ে জালিয়াতির কৌশলটি ছিল এ রকম- গত ২৬ নভেম্বর চারজন গ্রাহকের আট কোটি ৬০ লাখ টাকার স্থায়ী আমানতের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় তারা নগদায়ন করেন। তারা হলেন- জামালগঞ্জ শাখার গ্রাহক আলী আশরাফ, মিরপুরের পাইকপাড়া শাখার গ্রাহক শংকর নকরেক, কুমিল্লা শাখার রাকিবুল হাসান ও ধানুয়া শাখার মো. পলিন। একই দিন ব্যাংকটির টাঙ্গাইল শাখায় ফারাহ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, ফারিব অটো রাইস মিল ও আরসিএল প্লাস্টিকের হিসাবে নগদে ১১ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা জমা দেখানো হয়। এরপর ৬ ডিসেম্বর ফারাহ ট্রেডের হিসাব থেকে পাঁচ কোটি ২৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেন স্থায়ী আমানত নগদায়নকারী রাকিবুল হাসান। ফারিব অটো রাইস মিলের চলতি হিসাব থেকে পাঁচ কোটি ৮০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন স্থায়ী আমানত নগদায়নকারী আলী আশরাফ। আর আরসিএল প্লাস্টিকের হিসাব থেকে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন অপর স্থায়ী আমানত নগদায়নকারী মো. পলিন। এই তিন প্রতিষ্ঠানের চলতি হিসাব থেকে উত্তোলন করা ১৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এসটুআরএস করপোরেশনের মেয়াদি ঋণ সমন্বয় হয়েছে। এ ছাড়া নয় কোটি ১৫ লাখ টাকার অপর মেয়াদি ঋণটি টাঙ্গাইল শাখা থেকে গত ৫ ডিসেম্বর নগদ জমার মাধ্যমে সমন্বয় এবং ১০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ঋণটি গত ৭ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জ শাখায় নগদ জমার মাধ্যমে সমন্বয় দেখানো হয়েছে। এর বাইরে গ্রাহকের সাত কোটি ৬৫ লাখ টাকার ওভারড্রাফট ঋণে গত ২৯ সেপ্টেম্বরের পর কোনো লেনদেন নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরসিএল প্লাস্টিকের স্বত্বাধিকারী রাশেদুল হক চিশতী তখনকার অডিট কমিটির চেয়ারম্যান বাবুল চিশতীর ছেলে। এসটুআরএস ব্যাংকটির ১৫টি শাখার সাজসজ্জার কাজ করেছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্ট। এসব প্রতিষ্ঠানের ঋণের টাকা যথাযথ ব্যবহার না করে অন্যত্র ব্যবহার হয়েছে। পরিদর্শন চলা অবস্থায় সে তথ্য গোপন করতে এ জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।  

  • Courtesy: AmaderShomoy.Com/সমকাল

পুলিশি হেনস্তা বন্ধ করুন - সন্দেহের বশে গণ-আটক

সম্পাদকীয়


জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা ও তাঁর কারাগারে যাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে উত্তেজনা ও অস্থিরতার আশঙ্কা সৃষ্টি হলো, তা এড়ানো সম্ভব হলে ভালো হতো। কেননা এটা নির্বাচনের বছর, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে গণতান্ত্রিক রীতিমাফিক একটা কার্যকর রাজনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা অত্যন্ত প্রয়োজন।

খালেদা জিয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার ফলে নির্বাচনে তাঁর অংশগ্রহণ নিয়ে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, তা এখনই চূড়ান্ত নয়। তাঁর উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ আছে। তাঁর আইনজীবী বলেছেন, রায়ের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর তাঁরা আপিল করবেন। সুতরাং, নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের ব্যাপারে বিএনপির আশান্বিত থাকার সুযোগ রয়েছে। তাদের মনে রাখতে হবে, রায়টি তাদের কাছে যতই পক্ষপাতমূলক মনে হোক না কেন, তা এসেছে আইনি প্রক্রিয়ায় এবং এ রায়কে যদি তারা নাকচ বা ভুল প্রমাণিত করতে চায়, তবে তা করার সুযোগও রয়েছে একমাত্র আইনি প্রক্রিয়ায়।

এটা স্বস্তির বিষয় যে, রায় ঘোষণার দিন বা তার পরে বড় ধরনের কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি। বিএনপির নেতারা তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়ে যথাযথ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আচরণে অতিমাত্রায় সতর্কতা লক্ষ করা গেছে এবং তার ফলে সাধারণ মানুষের চলাফেরায় অসুবিধার সৃষ্টি হলেও শারীরিক বলপ্রয়োগের ঘটনা ঘটেনি। ক্ষমতাসীন দল ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর আচরণও সংযত ছিল।

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জনমনে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের যে আশঙ্কা-উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল, তা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে বলে আপাতদৃষ্টিতে প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে তা সম্পূর্ণভাবে দূর হয়নি, একধরনের চাপা উদ্বেগ-আশঙ্কা এখনো রয়ে গেছে। গত কদিনে বিএনপির প্রচুর সংখ্যক নেতা–কর্মীকে আটক করা হয়েছে, তাঁরা ক্ষুব্ধ। খালেদা জিয়ার কারাবাস তাঁদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তা ছাড়া তাঁরা আগে থেকেই সরকারি দমন-পীড়নের অভিযোগ করে আসছেন; নতুন পরিস্থিতিতে দলের কর্মকাণ্ডে আরও বাধাবিঘ্নের মুখোমুখি হলে তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ-উত্তেজনা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশের অনুপস্থিতিতে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—এ দুই প্রধান রাজনৈতিক দল, যাদের একাধিকবার সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে, তাদের মধ্যে কোনো কার্যকর রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। বিএনপির চেয়ারপারসনের দণ্ডিত ও কারারুদ্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যকার দূরত্ব আরও বেড়ে গেল, বৈরিতা আরও তীব্র হলো। ফলে আপাত দৃশ্যমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশের অন্তরালে ছাইচাপা আগুনের মতো উত্তেজনা ঘনীভূত হচ্ছে কি না—এই উদ্বেগ অস্বাভাবিক নয়।

কিন্তু আমরা শান্তি চাই। যে উদ্বেগের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তার অবসান চাই। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলছে, এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। এই পরীক্ষার্থীদের এবং সার্বিকভাবে সব শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক লেখাপড়ার পরিবেশ অটুট রাখতে হলে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কর্মজীবী মানুষের পথেঘাটে চলাফেরা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ যাবতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নে চলার নিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে হবে। সে জন্য সব রাজনৈতিক দলকে সংযম-সহিষ্ণুতার পরিচয় দিতে হবে। সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হোক নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ। সরকারকে দমন–পীড়নের পথ পরিহার করতে হবে; সবার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।

  • Courtesy: prothomAlo/Feb 11, 2018

‘এরশাদকে খুশি করতে সরকার বেগম জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের জেলখানায় নিয়েছে’ - মাহফুজ উল্লাহ



সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ বলেন, এরশাদকে খুশি করতে বর্তমান সরকার একটা আপ্রাণ চেষ্টায় আছে। কারণ সামনের নির্বাচনে এরশাদ তাদের নির্ভরযোগ্য মিত্র হবে ১৪ দলীয় জোটের। এতে তাদের জয়লাভটা সহজ হবে। সেজন্য এরশাদকে খুশি করতে  বেগম জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের জেলখানায় নেয়া হয়েছে।

পারমিতা সাহা’র সঞ্চালনায় সময় টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান সম্পাদকীয়’তে ‘কারাগারে খালেদা ও রাজনীতি’ বিষয়ক আলোচনায় তিনি একথা বলেন। এসময় অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

মাহফুজ উল্লাহ বলেন, রাজনীতিতে যারা ক্ষমতায় থাকেন তাদের ক্ষমতা বেশি থাকে। তারা যেভাবে ইচ্ছা প্রতিপক্ষকে দমন করতে পারে। আর ভিন্নমত বা বিরোধী দলকে দমন করতে রাষ্ট্রের পুলিশ ও অন্যান্য যন্ত্রকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়। তা খুব দুঃখজনক। এভাবে একটা খারাপ প্রবণতা তৈরি করছি।

  • Courtesy: AmaderShomoy.Com

BNP holds demos amid police actions, arrests

The Bangladesh Nationalist Party would stage human chains at metropolitan cities, district headquarters and upazilas on Monday, sit-in for an hour on Tuesday and token hunger strike from 9:00am to 5:00pm on Wednesday for unconditional release of party chairperson Khaleda Zia.

The party announced the fresh programmes following countrywide demonstrations, protesting against February 8 verdcit that jailed Khaleda for five years, for Friday and Saturday that was marked by police actions and arrests. BNP senior joint secretary general Ruhul Kabir Rizvi announced the programmes at a briefing at the BNP central office.

The party held protest rallies and processions across the country for the second day on Saturday amid police actions and arrests.

Reports received from different districts said that police either foiled demonstrations or did not allow BNP leaders and activists them to bring out processions or confined demonstrations putting barricades. 

Police picked up BNP leaders and activists from the processions and rallies. Police also continued overnight raids on houses of BNP leaders and activists and arrested scores of them across the country.

BNP claimed that law enforcers had arrested over 4,200 leaders and activists, including 400 only on Saturday, across the country since January 30 centring the verdict delivered on February 8 by a special court jailing Khaleda for to five years and her eldest son Tarique Rahman and four others for 10 years.

Announcing the fresh programme, Rizvi said that the government could not weaken Khaleda’s mental strength detaining her and hatching further conspiracy against her. He claimed that the BNP chief would lead the party keeping mental strength intact for people wherever she stayed.

The party earlier announced country wide protests for Friday and Saturday immediately after the pronouncement of the verdict on February 8 in the Zia Orphanage Trust case, terming it politically motivated.

As part of the programme, senior BNP leaders, including standing committee member Mirza Abbas, vice-chairman Barkatullah Bulu and Khaleda’s adviser Zainul Abdin Farroque led a procession from Paltan at about 1:20pm.

As the procession of several thousand leaders, activists was passing by Fakhirerpul Panir Tank area crossing Dainik Bangla crossing, cops charged baton from behind the procession and dispersed them at about 1:30pm, witnesses said. BNP claimed that more than 40 leaders and activists, including Dhaka south city BNP vice-president Nabiullah, were picked up from the procession while over 50 were injured in police action. Paltan police station sub-inspector Sultana Akhter, however, confirmed arrest of 15.

Shahbagh police officials said that they arrested four in a case lodged with the police station on February 8 for attacking police while Khaleda’s motorcade was heading for Old Dhaka’s makeshift court. Official sources in Dhaka court said 10 accused in political cases were produced before the metropolitan magistrate courts on Saturday.

New Age correspondent in Sylhet, quoting police officials, reported that police arrested 25 BNP activists – 16 in the city and nine in different upazilas – in separate drives in 24 hours ending Saturday evening. In the afternoon, police foiled BNP procession in front of Bandar Bazar area in the city and arrested two.

In Comilla, police arrested four BNP and Chhatra Dal activists from Ponra Math under Debidwar while they were preparing to bring out a procession Saturday morning, said Debidwar police station officer-in-charge Mizanur Rahman.

In Netrokona, police foiled a procession of Mahila Dal at Moktarpara in the district town in the morning and detained five leaders and activists, including district convener Arifa Jesmin Nahin.

In Gaibandha, police arrested six activists of BNP and Jamaat at places early Saturday, said the district superintendent of police Mashruqur Rahman Khaled. 

New Age correspondent in Jessore, quoting Kotwali police officer-in-charge AKM Azmal Huda, reported that sub-inspector Babun Chandra Biswas on Friday night lodged a case with Kotwali police station accusing 32 BNP leaders and activists, including district general secretary Syed Saberul Huq Sabu, of ‘attempt to oust the democratic’ government.

New Age correspondent in Shariatpur reported that police arrested six BNP leaders and activists on the district court premises after they ended a procession.

New Age correspondent in Jhenaidah, quoting the district police superintendent Mijanur Rahaman, reported that 25 BNP leaders and activists were arrested at four upazilas early Saturday.

Barisal City BNP held a demonstration in front of its office near Ashwini Kumar Hall in the morning while Khulna city and district BNP also held separate demonstrations in front of the district and city BNP office at KD Ghosh Road.

Tangail district BNP demonstrated in front of Victoria Road district BNP office protesting Khaleda’s conviction, our correspondent in Tangail reported. In Bogra, police kept the district BNP demonstration within 150 yards in front the party office putting barricade at both ends.

  • Courtesy: new Age Feb 11, 2018

Khaleda in solitary confinement: Moudud


Five senior lawyers after visiting Bangladesh Nationalist Party chairperson Khaleda Zia at former Dhaka Central Jail on Saturday said that she was not given facilities of Division I she deserved in jail but was kept in ‘solitary confinement.’

‘She is treated as an ordinary prisoner,’ BNP standing committee member Moudud Ahmed told reporters after one hour meeting with Khaleda at the prison. 

He said that prison and intelligence officials were present during the meeting.

Five senior lawyers Moudud, BNP standing committee member Jamiruddin Sircar, BNP chief’s adviser Khondkar Mahbub Hossain, former attorney general AJ Mohammad Ali and Abdur Rezzaque Khan met Khaleda to discuss legal issues and get necessary authorisation for her appeal against the verdict that jailed her for five years on February 8 in Shaheed Ziaur Rahman Orphanage Trust case.

The lawyers reached the jail gate at about 3:00pm, waited until 4:25pm and then members from police and intelligence agencies escorted them to Khaleda’s facility. They came out of the jail at about 5:45pm.

Moudud said that Khaleda was kept at a broken and abandoned facility in the former prison, and her personal domestic help was not allowed to serve her. ‘Her domestic help was not allowed although she could not move alone,’ said Moudud, also former law minister.

He said that Khaleda was well though she was kept as a general prisoner despite deserving Division-I privileges in jail as per the revised Jail Code.

Moudud said that although the government claimed that Khaleda was given an assistant in jail but in reality she was kept alone and the food served to her were inedible. ‘She is not given the food prepared at home,’ he said.

Moudud alleged that the government deliberately kept Khaleda in solitary confinement simply to harass her. ‘It is against the constitution.’ ‘She cannot move alone as she had a major surgery in the knee. We will go to the High Court,’ he said.

Asked whether they had contacted the jail authorities to give Khaleda higher division facilities, Moudud said that there was no need to contact the authorities. ‘The law clearly says what would take place. Division facility is supposed to be given automatically,’ he said. ‘Actually the government is doing all these to irritate Khaleda,’ he said. 

Moudud said that they might file appeal against the trial court verdict if the copy of the verdict was available on Sunday. 

Khandkaer Mahbub Hossain and AJ Mohammad Ali told New Age that Khaleda’s moral was high comparing the past.

  • Courtesy: new Age Feb 11, 2018