Search

Monday, February 19, 2018

Sheikh Hasina: An Emerging Dictator


by Rachel Avraham  



Ever since the 2014 sham elections in Bangladesh, it was a huge question mark whether Sheikh Hasina could still be considered a ruler of a democratic country or not. However, recent events have demonstrated that Sheikh Hasina is in fact no democrat but rather is an emerging Asian dictator who is aligned with Turkish Prime Minister Recep Tayyip Erdogan.

According to recent reports, Bangladeshi Opposition Leader Khaleda Zia, who has been struggling with Sheikh Hasina to rule Bangladesh for decades, is set to get 5 years imprisonment on corruption charges. The implication of this decision is that during a critical election year in the South Asian country, the main opposition leader will not be able to run against ruling Prime Minister Sheikh Hasina during a time when the Awami League ruler’s popularity is at an all-time low and when Khaleda Zia as the widow of a former military ruler has gained increased prominence.

Given this reality, those who are associated with the Bangladeshi Opposition claim that the charges against Khaleda Zia are a sham specifically designed to undermine her ability to compete against Sheikh Hasina in the upcoming elections since Bangladeshi law bars someone who is sentenced to more than two years behind bars from running for office. Israeli Druze diplomat Mendi Safadi, the head of the Safadi Center for International Relations and Public Diplomacy, proclaimed following the conviction of Khaleda Zia: “It is true that there is an ideological gap between us and Khaleda Zia but we oppose the decision to stop her for the same reason that we oppose any other political arrest. Every citizen of the country has the right to conduct legal political activity and political activists must not be arrested because their views are contrary to the government’s position.”

“Many friends have been arrested because of their legitimate political activity,” Safadi added. “I myself have been persecuted for legitimate political activity for the sake of my people and for a good future for Bangladesh. We must not remain silent on the government’s oppression and should work for human rights, democracy and freedom in the country. The government of Sheikh Hasina violates all our rights. It uses oppression, terrorism and ethnic cleansing against minorities. It is time to stand up and to say we will not agree to this oppression. We want a fair leadership that respects us as citizens, even if we do not agree on the same ideology. Even if we are in the opposition, we have the right to conduct political activity.”

“After all of the human rights violations that occurred until the arrest of Opposition Leader Khaleda Zia, it seems like we have no choice but to go for mass demonstrations in the streets of Bangladesh, to lead a revolution against Sheikh Hasina’s government and to demand protection from the free world,” Safadi noted. “God bless the people of Bangladesh!”

Around the same period of time that Khaleda Zia was arrested, it has emerged that the Sheikh Hasina government is increasingly building up ties with Turkish Prime Minister Recep Tayyip Erdogan, another democratically elected leader who transformed his country into an unfree dictatorship. Last September, Turkish First Lady Emine Erdogan visited Rohinya Muslim refugees in Bangladesh. In addition, Turkey’s Foreign Minister Mevlut Cavusoglu invited Bangladesh to open up their doors to assist Muslim Rohinya refugees and even offered to pay for the expenses associated with such a gesture but Turkey offered no such humanitarian gesture to the Hindu Rohingya, who have been ethnically cleansed from their homes and live under horrendous conditions in Bangladesh presently.

Soon after Erdogan highlighted his humanitarian concern for the Muslim Rohingya but not the Hindu Rohingya in Bangladesh, Turkey proceeded to attack the Kurds in Afrin and the ancient Temple of Ain Dara. The attack was strongly condemned by Syria’s Archaeological Survey Office. Mamum Abdul Karim, a former Syrian antiquities official, said that tourists used to be attracted to visit the lion sculptures in the temple, emphasizing that the attack on Ain Dara was a major loss and was en par with the destruction of the Temple of Bel in Palmyra. The Temple of Ain Dara is considered a UNESCO world heritage site in danger. The ancient temple dates back to the times of King Solomon and was considered by archaeologists to be a living monument to how King Solomon’s Temple could have looked like.

“The damage to Ain Dara is tragic,” Brian Daniels, co-director of the Safeguarding the Heritage of Syria and Iraq Project, told Artnet News. “It does not strike me that there has been a particular lull in cultural destruction, only that it has been less reported and specifically less ISIS driven since the collapse of that group’s organization.”

Like Erdogan’s attack upon Ain Dara, Sheikh Hasina’s government is similarly not disturbed whenever historic Hindu temples are destroyed within her country. Shipan Kumer Basu, the head of the Hindu Struggle Committee, related: “Every day, Hindu women are gang raped and Hindu homes are being burnt down. The present government has no qualms about that and also ensures that there is no news going out on the persecution of minorities within the country. If any journalist publishes news on this issue, he or she will be punished. We need help to ensure the future of the minorities of Bangladesh.”

Source: foreignpolicyblogs.com


রাজস্ব আহরণ - সাত মাসেই ঘাটতি সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা

আব্বাস উদ্দিন নয়ন



নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর না হওয়ায় খাতটি থেকে রাজস্ব আহরণে ঘাটতির আশঙ্কা আগেই করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের রাজস্বে সবচেয়ে বেশি ঘাটতিও হয়েছে এ খাতটিতেই। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে শুধু মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট থেকেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম রাজস্ব এসেছে। শুল্ক ও আয়কর যোগ করলে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসেই সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ঘাটতিতে পড়েছে এনবিআর।

আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক মিলে জুলাই-জানুয়ারি সময়ে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা। এনবিআরের সাময়িক হিসাবে, এর বিপরীতে আলোচ্য সময়ে রাজস্ব এসেছে ১ লাখ ৯ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা পিছিয়ে আছে রাজস্ব আহরণকারী সংস্থাটি।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যদিও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে এনবিআরের রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

রাজস্ব আহরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ভ্যাটের একক হার ১৫ শতাংশ হিসাব করে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন না হওয়ায় এ খাতে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আহরণ সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে অনলাইন পদ্ধতির কথা চিন্তা করে আয়কর খাতে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হলেও ব্যাহত হয়েছে এ প্রক্রিয়া। পাশাপাশি সিগারেট, ব্যাংক, বীমাসহ বৃহৎ খাতগুলো থেকে রাজস্ব আহরণ কম হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে আছে এনবিআর।

জানতে চাইলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বণিক বার্তাকে বলেন, লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে এনবিআর। বকেয়া আদায় ও মামলা নিষ্পত্তিতে জোর দেয়া হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব মামলা চলমান আছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেও বকেয়া রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় কর ও ভ্যাটের জরিপ চালিয়ে করজালের বাইরে যারা রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে রাজস্ব আদায় করা হবে। তবে মানুষকে চাপ দিয়ে, কষ্ট দিয়ে কর আদায় করা হবে না। বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজ (ট্রেড ফ্যাসিলিটেড) করার মাধ্যমে কর আদায় করা হবে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রাজস্ব আহরণে সবচেয়ে বেশি ১৫ শতাংশ ঘাটতি দেখা দিয়েছে ভ্যাটে। ৪৮ হাজার ৯০২ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এ সময়ে ভ্যাট থেকে রাজস্ব এসেছে ৪১ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। এ রাজস্ব গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা কম। যদিও ভ্যাট সচেতনতা বাড়াতে ভ্যাট সপ্তাহ, ভ্যাট দিবসসহ নানা কর্মসূচির পাশাপাশি ভ্যাট ফাঁকি রোধে মাঠপর্যায়ে বেশকিছু অভিযান পরিচালনা করেছে এনবিআর। এ সময়ে ভ্যাট রিটার্নের সংখ্যাও ৩২ হাজার থেকে বাড়িয়ে প্রায় ৯০ হাজারে উন্নীত করেছে সংস্থাটি।

আয়কর মেলা, আয়কর সপ্তাহ, আয়কর ক্যাম্প আয়োজনসহ রাজস্ব আহরণ বাড়াতে নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও আয়করেও বড় ধরনের ঘাটতিতে রয়েছে এনবিআর। রাজস্ব আহরণের দ্বিতীয় বৃহৎ খাতটিতে অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা পিছিয়ে আছে সংস্থাটি। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে আয়কর ও ভ্রমণ করে ৩৮ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এনবিআর আহরণ করেছে ৩২ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। এ সময় আয়করে রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। অর্থবছরের শুরুতে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার হার কিছুটা কম থাকায় এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি বলে মনে করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে ভ্যাট ও আয়করের তুলনায় কিছুটা ভালো অবস্থায় আছে আমদানি-রফতানি পর্যায়ের শুল্ক। অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৩৭ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে শুল্ক থেকে রাজস্ব এসেছে ৩৫ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এ খাতে এনবিআর লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে আছে ২ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। যদিও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় খাতটি থেকে ১৭ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি রাজস্ব পেয়েছে এনবিআর।

বাস্তবতা বিবেচনায় না নিয়ে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করায় এ ঘাটতি বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। শেষ মুহূর্তে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন থেকে সরে আসাকেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার জন্য দায়ী করছেন তারা।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, চলতি অর্থবছর রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা

নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এনবিআরের সক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করায় এ সময়ে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। অর্থবছর শেষে ২০ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির কথা বলা হলেও এটি তার চেয়ে বেশি হবে। তবে প্রতি বছরই লক্ষ্যমাত্রা সংশোধনের একটি রীতি চালু হয়েছে। এবারো তা-ই করতে হবে। এ থেকে বেরিয়ে এসে বাস্তবসম্মত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা উচিত।

উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ২ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে উচ্চ লক্ষ্যমাত্রার কারণে পরবর্তীতে তা সংশোধন করে ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। অনলাইনভিত্তিক নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের পরিকল্পনায় চলতি অর্থবছরে আবারো ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ভ্যাট থেকে আহরণের লক্ষ্য ধরা হয় ৯১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এছাড়া আয়কর থেকে ৮৭ হাজার ১৯০ কোটি ও শুল্ক বাবদ ৭০ হাজার কোটি টাকা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এনবিআর।

  • Courtesy: Bonikbarta Feb 19, 2018

BNP moves to unite grassroots

Central leaders start visiting districts tomorrow

Mohammad Al-Masum Molla

The BNP central leaders will start grassroots tour tomorrow and hold a series of meetings in efforts to keep intact the organisational unity as they fear the government is out to split the party ahead of the next parliamentary election.

They will sit with the district and upazila units to ask party men to keep unity at any cost and not to make any reckless decisions, engage in violence and fall into government's trap, said insiders.   

The central leaders will also talk to the relatives of the party members now behind bars and will discuss the legal issues. A number of party leaders said they will also ask the grassroots to counter the government campaign to portray the Zia family as corrupt people.

Already, some of the central leaders have gone to some districts while the rest will join the party's demonstrations in all the district towns and metropolitan cities, except for Dhaka, on Tuesday.

“The presence of central leaders in districts will certainly be a great morale booster for grassroots activists,” BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir told The Daily Star.

After BNP Chairperson Khaleda Zia landed in jail in the Zia Orphanage Trust graft case on February 8, this will be the first large-scale organisational tour by central leaders. Instructed by party's acting chairman Tarique Rahman, Fakhrul will coordinate the whole programme from Dhaka, sources say.

There are 81 organisational districts of the party and the central leaders will go to those districts on February 20 to participate in demonstrations demanding release of Khaleda.

“When a central leader visits a district, the grassroots leaders are morally boosted. The central leaders will ask the grassroots to keep patience and unity and not to make any reckless decisions and fall into the government trap,” Barkat Ullah Bulu, told The Daily Star.

He also said the grassroots leaders and activists will be directed to counter the government propaganda in a peaceful and democratic way.

Nazrul Islam Khan, party's standing committee member, said following the directives of Tarique Rahman, the central leaders will talk to the family members of the detained leaders and will provide them with legal assistance if needed.

Around 78,000 cases have been filed against over 7.5 lakh BNP leaders and activists in last nine years, party sources claimed. More than 4,725 party leaders and activists were arrested across the country since January 30 till February 17, they added.

Since the verdict against Khaleda, senior leaders of the party have been sitting every day with various professional bodies and maintaining ties with the diplomats. Tarique Rahman is keeping in touch with top party men and issuing important decisions whenever it is needed. He also talked with various professional leaders, lawyers and intellectuals through teleconferencing.

The BNP has also been staging various protest programmes, except for shutdowns and blockade. It observed a token hunger strike on Wednesday, formed a human chain in front of the Jatiya Press Club on Monday and staged a sit-in before the party's Nayapaltan central office on Tuesday.

Yesterday, the Dhaka district unit of the party submitted a memorandum to Deputy Commissioner of Dhaka district Mohammad Salah Uddin demanding release of Khaleda. The party men also brought out a procession after coming out of the DC office.

In another development, Judge Md Akhtaruzzaman of Special Judge Court-5 in Dhaka assured the lawyers of providing them with the copy of the Zia orphanage verdict today after they asked about it.

Meanwhile, the Special Judge Court-2 asked Khaleda and 14 other accused to appear before it on March 25 in connection with Barapukuria coal mine graft case.

Kahleda was not produced before the court yesterday though it was the date for the hearing in Barapukuria case. She was on bail and her lawyer represented her.

  • Courtesy: The Daily Star Feb 19, 2018

শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ছাত্রলীগের ইন্টারনেট বাণিজ্য!


সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অমর একুশে হলের চড়া মূল্যে ইন্টারনেট বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে হলটির সাধারণ শিক্ষার্থীদের। তাঁরা উপযুক্ত ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন।

হল সূত্রে জানা যায়, গত মাসে হলে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইনোবিন’কে হলটিতে ফ্রি সংযোগ (ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষে) বৃদ্ধি ও মাসিক চাঁদা দেওয়ার দাবি করে শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। এ নিয়ে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাদের মনোমালিন্য হয়।

একপর্যায়ে গত ১৮ জানুয়ারি রাতে হল ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় রফিক ভবনের চতুর্থ তলায় থাকা সংযোগটির স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। এর ফলে ২০ দিন বন্ধ থাকে হলের ইন্টারনেট সেবা। এ নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলটির একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ইনোবিনের সংযোগটি পুনরায় চালু করতে ছাত্রলীগ পরোক্ষভাবে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। আগের সংযোগটিকেই পুনরায় পেতে এখন রেজিস্ট্রেশনের নামে শিক্ষার্থীদের গচ্চা দিতে হচ্ছে বাড়তি পাঁচশ টাকা এবং সংযোগ প্রতি আগের থেকে মাসিক বিল দুইশ টাকা বেশি।

অভিযোগ আছে, গত বছর ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণার পর সাধারণ সম্পাদক এহসান পিয়ালের অনুসারীরা হলটিতে থাকা স্বল্প মূল্যের ও ভালো স্পিডের কে এস নেটওয়ার্ককে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে বিতাড়িত করে। পরে অধিকমূল্যের অত্যন্ত নিম্নমানের সার্ভিসের (ইনোবিন) সংযোগটি চালু করা হয়। এর পর থেকে এ নিয়ে ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এহসান পিয়াল বলেন, তাঁরা পুনরায় সংযোগ স্থাপনের জন্য শিক্ষার্থীদের থেকে বিভিন্ন খরচ বাবদ পাঁচশ টাকা করে বেশি নিচ্ছে।

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অনোয়ারুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি হলের মধ্যে ফ্রি ইন্টারনেট কানেকশন করে দিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে কিছু দুষ্কৃতকারী সংযোগ স্থাপনাটি বারবার ভেঙে ফেলে দিচ্ছে।’

‘তাঁরা এটার মধ্য দিয়ে কোনো ব্যবসা করছে কি না, জানি না। তবে ছাত্ররা চাইলে আমি পুরো হলে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা দিয়ে দেবো। তাদের বাইরের কোনো কোম্পানি থেকে ইন্টারনেট নেওয়ার দরকার হবে না,’ যোগ করে প্রাধ্যক্ষ।

তবে দুষ্কৃতকারীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের পরিচয় বলতে রাজি হননি ঢাবির এই শিক্ষক।

অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন ইনোবিনের কর্মচারী সুমন। তবে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

  • Courtesy: NTV online Feb 19, 2018

BNP treads tightrope, eyes two goals

Rashed Ahmed Mitul


Bangladesh Nationalist Party is going ahead cautiously with its ongoing movement to free the party chairperson, Khaleda Zia, from jail and realise its demand for holding the 11th parliament election in free, fair and neutral manner.

The party remains alert so that the government cannot hold the next general election ‘unilaterally’ like it did on January 5, 2014, which was boycotted by BNP and most of the political parties, the party leaders say. They think that the Awami League wants to keep BNP away from the upcoming election or to weaken it through political persecution before the elections. So, they are rolling out programmes in which none would commit any act of sabotage to push BNP into an awkward situation.

Khandaker Mosharraf Hossain, senior most member of BNP’s highest policymaking body, told New Age that the current movement was both for pressing the government to release Khaleda and also to make it hold a free, fair and neutral election. He said the two issues were inter-related and the government resorted to such courses (political persecution) to keep Khaleda and BNP from the next parliament election.

Asked whether the ongoing movement would turn into a single point movement for the neutral poll, Mosharraf said time would determine it. He, however, said they were expecting that Khaleda Zia would return to them getting released from jail soon and then the matter would be decided.

So far, since Khaleda was sent to jail in a graft case on February 8, BNP took soft courses of movement to avoid any confrontational situation. It also does not want to lose organisational strength through arrest of its leaders and activists much ahead of the general election scheduled for December this year. Even then, till February 15, more than 4,500 of its leaders and activists were arrested across the country since January 30, BNP claims.

BNP secretary general Mirza Fakhrul Islam Alamgir on Thursday said the government made a blueprint to make BNP devoid of leadership and keep it away from the next election.

Standing committee member Moudud Ahmed said their current peaceful movement was for freeing imprisoned Khaleda and realising their demand for holding the next general election in a fair and neutral manner. 

BNP senior leaders during its recent meetings with foreign diplomats in Dhaka days before and after Khaleda’s conviction clearly stated that they wanted to participate in the next general election under a neutral government.

A special judge’s court set up at Bakshibazar Alia Madrasa ground delivered the judgement sentencing Khaleda to five years’ jail while her elder son, now acting BNP chairman, Tarique Rahman and four others to 10 years jail and fined Tk 2.10 crore each in Zia Orphanage Trust corruption case.

Tarique has been staying in London since September, 2008. 

  • Courtesy: New Age Feb 19, 2018

Sunday, February 18, 2018

যে কারণে রাস্তার আন্দোলন ছেড়ে বিএনপি গণস্বাক্ষর-মানববন্ধনের পথে - বিবিসি



দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য গত সপ্তাহে মানব বন্ধনের পর শনিবার গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।

বাংলাদেশের দুই প্রধান দলের কাছ থেকে এ ধরণের সাদামাটা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচির নজির বিরল, বিশেষ করে ইস্যু যেখানে দলের নেত্রীর মুক্তি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিবিসিকে বলেন, "নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ" পথে থেকে তারা জনগণকে আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করতে চাইছেন। "জনগণকে সম্পৃক্ত করারই সত্যিকারের গণতান্ত্রিক আন্দোলন, এবং আমরা এ পথে থেকে সুফল পাচ্ছি। জনগণ এগিয়ে আসছে, সম্পৃক্ত হচ্ছে"।

২০১৪ এর নির্বাচনের আগে-পরে এবং সেই নির্বাচনের প্রথম বার্ষিকীতে বিএনপি যে মাত্রায় সহিংস আন্দোলন করেছে, সে বিবেচনায় তাদের মানব-বন্ধন বা গণস্বাক্ষরের মত কর্মসূচি বিস্ময় তৈরি করেছে। সিনিয়র সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, যিনি একসময় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসাবেও কাজ করেছেন, বিবিসিকে বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে যাবেন এটা বুঝতে পারলেও বিএনপি এক মাস আগে থেকেই রাস্তায় সহিংস আন্দোলনের পথে না যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

"বিএনপি গত কয়েক বছরে কিছু ভুল করেছিল। রাস্তায় আন্দোলন করতে গিয়ে নিজেরাও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছিল, অন্য দলের লোকরাও তাতে ইন্ধন যুগিয়েছিল। পরে তাদের ক্ষতি হয়েছে। সেটা হয়তো তারা বুঝতে পেরেছে"। আহমেদ বলেন, বিএনপিকে যেমন তাদের নেত্রীকে জেল থেকে বের করতে হবে, সেই সাথে নির্বাচনও করতে হবে।

"তাদের কাছে প্রথম অগ্রাধিকার নির্বাচনের জন্য দল গোছানো। নমনীয় কর্মসূচিতে দলের ভেতর প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে... আমি তো মনে করি বিএনপির জন্য এটা ভালো হচ্ছে"। মি আহমেদ বলেন, রাস্তায় আন্দোলন করতে গেলে পুলিশী নির্যাতন, মামলা মকদ্দমায় পড়ে নির্বাচনের আগে দল গোছানোর কাজ কঠিন হয়ে পড়তো বিএনপির জন্য।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক দিলারা চৌধুরীও মনে করেন, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলে বড় ধরণের পরিবর্তন ঘটেছে।

"মানুষজন এখন আর হরতাল, বিশৃঙ্খলা পছন্দ করে না। সেটা বুঝে বিএনপি বাস্তববাদি মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে...মানুষের সহানুভূতিও পাচ্ছে কারণ অধিকাংশ মানুষ মনে করছে খালেদা জিয়ার মামলাটি আসলে নির্বাচনের রাজনীতির মামলা"।

কিন্তু নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে তাদের দাবি আদায়ে এই রাজনৈতিক কৌশল কতটা কাজে দেবে? দিলারা চৌধুরী মনে করেন, সেটা প্রধানত নির্ভর করবে সরকারের সদিচ্ছার ওপর। "আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না এবং সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে এমন শক্তিশালী নাগরিক সমাজ এদেশে গড়ে ওঠেনি"।

"৮০ শতাংশ জনগণও যদি বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তারপরও যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার নাগরিক সমাজের কাছ তেকে অথবা আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে না পড়ছে, ততক্ষণ তারা সুস্থ নির্বাচন দেবে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে"।

  • Courtesy: Daily nayadiganta BBC Feb 17, 2018

তৃণমূলে জনমত গড়তে কৌশলী বিএনপি

শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ব্যাপক অংশগ্রহণ

শফিকুল ইসলাম ঢাকা ও সরকার মাজহারুল মান্নান রংপুর


বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৮ ফেব্রুয়ারির রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে তার সপ্তাহখানেক আগ থেকেই দেশজুড়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর অশঙ্কা বিরাজ করছিল। অবস্থা এমন ছিল যেন কারফিউ জারি হয়েছে। মানুষের ধারণা ছিল খালেদা জিয়াকে সাজা দিলে বড় ধরনের আন্দোলন-সংগ্রাম দানা বেঁধে উঠবে। একই ধারণা নিয়ে সরকারও হার্ডলাইনে ছিল। কিন্তু রায়ের আগের দিন রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্দেশনায় রায়-পরবর্তী এক সপ্তাহ ধরে যে আন্দোলন চলছে তা ব্যতিক্রমী। খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ সঠিক হয়নি উল্লেখ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন কৌশলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরছেন সাধারণ মানুষের কাছে। নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, টেলিভিশন টকশো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন আলাপচারিতায় এমন কথাই উঠে আসছে। 

বেগম খালেদা জিয়ার রায়-পরবর্তী সময়ে এ পর্যন্ত বিক্ষোভ, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, অনশন, রোজাপালনসহ বিভিন্ন ধরনের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে। কেন্দ্রীয় বিএনপি ইতোমধ্যে আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপ শেষে তৃতীয় ধাপ অতিক্রম করছে। এসব আন্দোলন-সংগ্রাম পুলিশ বেষ্টনীতে হলেও নেতারা খুব পরিপক্ব ও কৌশলী বক্তব্য দিচ্ছেন। তাদের বক্তব্যের মূল বিষয় হচ্ছে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ রাজনৈতিক। তারা এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামেও একই ধরনের মামলা থাকা সত্ত্বেও তা প্রত্যাহার প্রমাণ হিসেবে দেখাচ্ছেন।

বিএনপি নেতারা বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বলছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ রায় দিয়ে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এক খণ্ড জমি ক্রয় ছাড়া বাকি এক টাকাও কোথাও খরচ করা হয়নি। সেই ২ কোটি টাকা এখন সুদে-আসলে ৬ কোটি হয়ে ট্রাস্টের নামেই প্রাইম ব্যাংকে জমা আছে। কিন্তু সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের করা ওই মামলায় খালেদা জিয়াকে দণ্ড দেয়া হলেও ওই সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা একই ধরনের সব মামলা বাতিল করা হয়েছে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা ছিল। তবে কোনো মামলায় তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়নি; বরং প্রধানমন্ত্রী পদের ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি সব মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নেন। তার বিরুদ্ধে আলোচিত মামলাগুলো হচ্ছে- ৪৪৭ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় ক্ষতির ফ্রিগেট (যুদ্ধজাহাজ) ক্রয় দুর্নীতি মামলা, ১৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ক্ষতির মেঘনা ঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্নীতি মামলা, ১৩ হাজার ৬৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতির নাইকো দুর্নীতি মামলা, ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্নীতি মামলা এবং ২ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬৮৮ টাকা রাষ্ট্রীয় ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে বেপজায় পরামর্শক নিয়োগের মামলা।

বিভিন্ন কর্মসূচি পালনকালে এসব মামলার বিষয়ে বিএনপি নেতারা তাদের বক্তব্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে তুলে ধরছেন। এর বাইরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন ব্যর্থতা ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বিএনপি নেত্রীর প্রতি যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে তা জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন বিএনপি নেতারা।

তারা তৃণমূলের কর্মসূচিতে বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতিরোধে ব্যর্থ, ব্যাংকিং খাতে লুটপাট, বিডিআর বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থ, কুইক রেন্টাল দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট, রানা প্লাজা ধসে পোশাক খাতে নেমে আসা বিপর্যয় প্রতিরোধে ব্যর্থ, শেয়ারবাজার থেকে লাখো কোটি টাকা লুটপাট, শেয়ারবাজারে প্রায় ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীকে নিঃস্ব করে এক লাখ কোটি টাকা লুটপাট, রেলওয়ের কালোবিড়াল কেলেঙ্কারি, মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের নামে ডেসটিনি, এমএলএম ও ইউনিপে টু ইউ কেলেঙ্কারির মাধ্যমে দেশের লাখ লাখ যুবককে নিঃস্ব করে দেয়া, সরকারি ব্যাংকগুলো শূন্য করে হলমার্ক কেলেঙ্কারি, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীসহ বিরোধী দল ও সাধারণ মানুষকে গুম করা হয়েছে।

শুধু তা-ই নয়, সরকার সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট দিতে ব্যর্থ, রাষ্ট্র ও সমাজ চিন্তক ফরহাদ মজহারকে নিয়ে নাটক, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণসহ মুক্তবুদ্ধি চর্চার পথ বন্ধ করা। অপহরণ এবং এ নিয়ে নানা ঘটনা গ্রামীণ ব্যাংককে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ, গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও তাজরীন ফ্যাশন ট্র্যাজেডি সামাল দিতে ব্যর্থতা, দফায় দফায় জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ১০ টাকা দরে চাল খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন ৫০ টাকায় মোটা চাল। ডাল, তেল লবণসহ অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থতা, তিতাসসহ বাংলাদেশের নদী ও খালে বাঁধ দিয়ে ভারতকে করিডোর দেয়া, বিএসএফ ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে লাশ ঝুলিয়ে রাখা এবং এ ক্ষেত্রে সরকারের নীরবতা রাজধানী ঢাকাকে দ্বিখণ্ডিত করা, মধ্যপ্রাচ্য থেকে জনশক্তি ফিরে আসার মাধ্যমে শ্রমবাজারে ধস রোধে ব্যর্থতা সড়ক, নৌ ও স্থল দুর্ঘটনা রোধে ব্যর্থতার কারণে দেশে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এ ছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীদের বক্তব্যে স্থান পাচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের রায়-পরবর্তী সময়ে সারা দেশে সরকারি দল বিজিবি ও পুলিশের গণহত্যা, গণগ্রেফতার, গণনির্যাতন, মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আলেম-ওলামাদের ‘নির্বিচারে হত্যা’, নারী নির্যাতন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতির কারণে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়া, ব্লগে ইসলাম ও হজরত মুহাম্মদ সা:-কে অবমাননা এবং প্রতিবাদকারীদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যাসহ বিভিন্ন ইস্যু।

জানা গেছে, শুধু কর্মসূচিতেই নয়, বিএনপি সমর্থকেরা এ ধরনের অনেক বিষয় নিয়ে টেলিভিশন টক শো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, চায়ের দোকান, আড্ডা, সাধারণ আলাপচারিতায় এসব বিষয়ে আলোচনা করছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক এবং রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি মোজাফফর হোসেন নয়া দিগন্তকে জানান, নেত্রীর নির্দেশে আমরা প্রশাসনের বাধা এবং গ্রেফতারের আতঙ্ক নিয়েই কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছি। এসব কর্মসূচিতে আমরা বর্তমান সরকারের অনিয়ম দুর্নীতি ও ব্যর্থতা তুলে ধরছি। জনগণ আমাদের বক্তব্য সাদরে গ্রহণ করছে। বিশেষ করে যে আমলের মামলায় আমাদের নেত্রীকে দণ্ড দেয়া হয়েছে সেই একই সময়ের মামলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে থাকলেও তা বাতিল করা হয়েছে। আমাদের কথা সাধারণ মানুষ ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছেন। বেগম জিয়ার সাজা যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সে বিষয়ে তারা স্বচ্ছ ধারণা পাচ্ছে।

বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু জানান, কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছি। যদিও নজিরবিহীন পুলিশি বাধার কারণে আমরা অনেক জায়গায় তা রাস্তায় করতে পারছি না। আমরা তথ্য ও যুক্তি দিয়ে বলার চেষ্টা করছি ম্যাডাম জিয়ার বিরুদ্ধে যে দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ছাড়া এ সরকার বিএনপি এবং খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে আদালতকে ব্যবহার করে এই দণ্ডাদেশ দিয়েছে। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ব্যর্থতা দলিল প্রমাণের মাধ্যমে তুলে ধরছি। মানুষ এসব মনোযোগ দিয়ে শুনছে। তারা এ সরকারের কীর্তিকলাপ জানছে। এতে বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে।

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা: আনোয়ারুল হক বলেন, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার অন্যায়ভাবে সাজা দিয়েছে। বিএনপিকে দুর্বল করার হীন চক্রান্তে মেতেছে সরকার। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণতো হবেই না; বরং এর মাধ্যমে বিএনপির জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে। কারণ বিএনপি সবসময় গণতন্ত্র ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রামে বিশ্বাস করে।

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান বলেন, খালেদা জিয়াকে জেল দিয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে, জনগণের কাছে তা স্পষ্ট। কিন্তু তা সফল হয়নি, হবে না। এ জন্য তারা জনগণ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। আগামীতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। এ দেশের মানুষ আবারো সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানাবে। কেননা বন্দী খালেদা জিয়া আরো বেশি শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ যত চেষ্টাই করুক বিএনপিকে ভাঙতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

Courtesy: Daly nayadiganta Feb 18, 2019

IIF survey finding - BD institutions weak to weather unanticipated economic shocks

Jasim Uddin Haroon  


An international survey finds Bangladesh's institutional quality and business environment deficient in weathering potential economic shocks while assessing 25 frontier markets' potential vulnerabilities for the year 2018.

While identifying the areas of weakness in Bangladesh, one of the frontier nations, the Washington-based Institute of International Finance (IIF) found Bangladesh neither highly risky nor less.

Economists said institutions and business environment as well as asset valuation of Bangladesh remained a core area of criticisms for long.

They noted that many moves made by the government to overcome the lacking were yet to see any concrete success so far.

The IIF's latest analysis ranks Bangladesh and Pakistan relatively low in institutional quality and business environment out of its four key areas. Romania and Costa Rica ranked relatively high in the category.

The international organisation is of the opinion that robust institutions can help frontier-market (FM) countries to better weather unanticipated shocks.

It said: to capture how institutional quality and business environments vary across the FM25, we compare their relative rankings in widely-used measures of economic freedom, ease of doing business, and governance.

The IIF scorecard covers traditional indicators like financing needs and reserve adequacy while also considering whether asset valuation appears stretched and the robustness of the country's institutions.

It considers countries with relatively expensive valuation to be more exposed to changes in investor sentiment and thus considers relatively high asset valuation to be a point of vulnerability.

Looking at a wide range of valuation matrics, including trends in real effective exchange rates (REER), real interest rates, risk-adjusted currency returns, and equity ratios (both price/earnings and price/book), it suggests that valuations for Bangladeshi assets look particularly stretched. Tunisian, Moroccan, and Bahraini assets also appeared on balance relatively more expensive.

The IIF said some FM countries, including Bangladesh, remain sensitive with changes in employment and growth rates of some gulf countries. It noted that Jordan, Sri Lanka, Pakistan and Bangladesh have significant expatriate populations in the GCC countries. "So they likewise remain exposed to changes in GCC growth rates and employment policies."

Indeed, Saudi Arabia recently announced that to reduce unemployment among its citizens, it would ban foreign workers from 12 sectors starting in September last.

Dr Zahid Hussain, lead economist at the Dhaka office of the World Bank, told the FE that the government has enacted a law pertaining to "one-stop" service to overcome the problems facing the entrepreneurs.

"To my mind, this is challenging for Bangladesh to ensure a truly one-stop service overnight." He said asset valuation is also challenging in Bangladesh as it lacks accountability and transparency.

"The government also established a watchdog body-Financial Reporting Council-and it will take time to get a cherished result."

Dr Ahsan H Mansur, executive director at the Policy Research Institute of Bangladesh, said the IIF is a highly prestigious organisation and its findings are always based on ground realities. The areas it identified are really a matter of concern for the country.

Citing the 'ease-of-doing-business' report, the economist said Bangladesh could tap huge benefit as frontier country if the problems could be addressed quickly.

In assessing scope of potential vulnerabilities, the IIF uses a simple scorecard framework to look at four types of risks: 1) Asset valuation 2) financing needs; 3) reserve adequacy; and 4) institutional quality and business environment.

The 25-FM markets are: Costa Rica, Croatia, Dominican Republic, Kazakhstan, Ecuador, Romania, El Salvador, Serbia, Jamaica, Trinidad & Tobago, Cote d I'voire, Bangladesh, Pakistan, Sri Lanka, Ghana, Vietnam, Kenya, Morocco, Tanzania, Bahrain, Tunisia, Jordan, Zambia, Kuwait and Oman.

The IIF has close to 450 members from 70 countries that include commercial and investment banks, asset managers, insurance companies, sovereign wealth funds, hedge funds, central banks and development banks. (Slightly abridged)


  • Courtesy: The Financial Express Feb 17, 2018

State Banks: Plundering made easy

Govt recapitalising banks without any reform plan; chairmen, board members not held accountable


Inam Ahmed and Shakhawat Liton


Seven months after the government announced a Tk 2 crore “recapitalisation” of state-owned banks, the financial institutions have started asking for fresh money from the government. This time their demand is much higher -- a little over Tk 20,000 crore -- than what they were given in the budget for this year.

Only in June this fiscal year, the government had announced the “recapitalisation”. Before that, Tk 14,505 crore had already been given to them since the Awami League government came to power in 2009.  Sadly, as predicted, all the money has gone down the drain, or to be exact in the pockets of corrupt and politically connected people, and the banks are once again asking for another bail-out.

Dr Ahsan H Mansur, executive director of independent think-tank Policy Research Initiative, has aptly put down their plea, comparing their behaviour to that of a spoiled brat who throws money in the air every time and then asks his father for more.

Only, in this case the father -- the government -- will take the money from the tax payers' pockets and hand it out liberally as it has done over and over again in the past. There has been no effort to chastise the banks whose money has been politically plundered in thousands of crores with no action taken.

Many would like to point out the recent massive $14 billion Indian bank recapitalisation plan under the Indrodhanush Recapitalisation Scheme, arguing that our demand for recapitalisation is really trivial in comparison.

In doing so, they would hide facts under piles of lies and misinformation. First of all, although the underlying reason for recapilisation of the Indian banks and the banks here are the same -- accumulation of bad loans -- the cause of the loans going bad is very different.

The Indian banks had heavily invested in mega infrastructure projects and as the projects got stuck in bureaucratic tangles, their loans turned bad.

But this is not the case in Bangladesh. Here the banks did not make any genuine investment on any business model. Instead, their money was simply plundered using fake projects. Those who siphoned out the money are politically connected and the schemes were hatched in connivance with or in full knowledge of the bank boards.

Secondly, the Indian Indrodhanush scheme comes with a reform package under which the banks will have to implement a series of reforms that includes improving due diligence, allowing specialised monitoring for loans above 2.5 billion rupees, limiting the number of lenders that can group together to disburse loans and better handling of bad loans.

Finally, India needed more lending with its growth in slide and the state banks are important players here as they account for more than two-thirds of India's banking assets. In Bangladesh, the state banks account for a much lesser one-fourth of all the banking assets.

In our case, the recapitalisation was also never packaged with any reform plan. Fresh money was thrown in just to make more funds available to be skimmed off. There was no transparency, no liability, no accountability.

We have seen massive corruption in banks like Basic, Sonali and Janata. Not a single board member or chairman was charged or jailed.

Take the instance of Basic Bank from which Tk 4,500 crore was siphoned off after this government came to power. Abdul Hye Bacchu, a politically connected man, was its chairman and yet he was not touched by the Anti-corruption Commission (ACC) or any other organisation.

It was such a blatant case of political power in play that the High Court, in November, 2017, rebuked the ACC for foot dragging and showing weaknesses in investigating the Basic Bank scam.

The court observed that the ACC applied “pick and choose” policy in this case as they were yet to arrest “any of the beneficiaries of the loan scam”.

In case of the Janata Bank scam, some little-known companies, belonging to the same person, were given loans to the tune of Tk 5,500 crore. None of the board members or the chairman is held responsible for the scam although they sanctioned the loans.

The same has happened in case of Sonali and other banks as well. And the contagion has spread to private banks as well, as we have seen in the cases of Farmers Bank or NRB Commercial Bank. All the actions taken have been against the managing directors but the bank chairmen were left to walk away scot free although there is sure and certain proof of their involvement in the scams. None of the chairmen's stocks were confiscated.

Because of such an extremely liberal view of the banking operation, the country's banking system is now in a deep crisis. Giving banks money without any fundamental reforms will only facilitate more scams.

“If we want to stop further money from being plundered, we need to immediately cap lending of the state-owned banks,” Ahsan Mansur said. “They don't have the capacity for due diligence for lending and are captured by vested groups. These banks should only collect deposits and lend in the interbank market so that public money is no longer plundered.” 

  • Courtesy: The Daily Star/Feb 18, 2018


Saturday, February 17, 2018

খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা বেড়েছে : কর্নেল (অব.) অলি আহমদ


সরকারের 'ভুল সিদ্ধান্ত, প্রতিশোধপরায়ণতা ও প্রতিহিংসার' কারণে খালেদা জিয়া ও বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী বলে মনে করছেন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম। সমকালকে তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে, আইন লঙ্ঘন করে, সংবিধান না মেনে নির্জন-পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দি করার কারণে সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

 

খালেদা জিয়ার মামলার রায় ও দেশের রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল শুক্রবার সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
 
 

 

কর্নেল অলি বলেন, আগামী এক বছর বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সংকটপূর্ণ সময়। কারণ, সরকারের ভুল রাজনীতির কারণে এবং সর্বত্র দলীয়করণের ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ। অর্থনৈতিকভাবে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ গরিব মানুষ অসহায় জীবনযাপন করছেন। দেশে এখন প্রতিনিয়ত হত্যা, গুম, নির্যাতন আর দুর্নীতি হচ্ছে; প্রশ্নপত্র ফাঁসের পাশাপাশি ব্যাংক লুটপাট হচ্ছে। হলমার্ক, ডেসটিনি, শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন লুটপাট-কেলেঙ্কারির শিকার মানুষ। উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্প গ্রামেগঞ্জে তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। গ্রামের অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য আনতে পারেনি। গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচার দলীয়করণের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। সুশাসন সুদূরপরাহত। এসব কারণে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নেই, সরকার জনবিচ্ছিন্ন। এখন জনগণ সোচ্চার হয়ে রাস্তায় নামার অপেক্ষায়।

 

এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, জনগণের মধ্যে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুবারের বিরোধীদলীয় নেতা এবং ৭৫ বছর বয়সের এই নেত্রী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। দেশের মানুষ মনে করে, তার নামে মিথ্যা মামলা ও তথ্য দিয়ে অবিচার করা হয়েছে। মানসিকভাবে নির্যাতন করার জন্য পরিত্যক্ত, নির্জন কারাগারে জেল দেওয়া হয়েছে।

 

কর্নেল (অব.) অলি জানান, সরকার মনে করেছিল, এ কাজের মাধ্যমে তারা বাহবা পাবে। কিন্তু তিনি মনে করেন, গত নয় বছরে এ সিদ্ধান্ত হলো সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল, যা তাদের ধ্বংস করে দিতে পারে। জাতি-ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে কোনো বিবেকবান ব্যক্তিই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলার শাস্তি মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি।

 

২০ দলীয় এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটি এবং জোটের নেতারা কয়েক দফা বৈঠকের মধ্য দিয়ে একমত হন, সরকারবিরোধী আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ এবং সাংবিধানিক পন্থায়। খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়ার পর বিএনপির নেতৃত্বে জোটের সার্বিক সমর্থনে তিনটি কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সাংবিধানিক রীতিনীতি অনুসরণ করে পালিত এসব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল। এ কারণে সরকারের ইচ্ছা পূরণ হয়নি।

 

অলি আহমদ জানান, এখন তাদের দাবি হচ্ছে, দ্রুত এই মিথ্যা মামলা থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মুক্ত করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে হবে। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ব্যক্তিদের দিয়ে সরকার গঠন নিশ্চিত করতে হবে।



 দৈনিক সমকাল, ফেব্রুয়ারি ১৭,২০১৮