Search

Saturday, February 24, 2018

ডিএসইর অংশীদার হতে চাপ


·         শেয়ার কিনতে চায় জোট।
·         জোটের অংশীদার ফ্রন্টিয়ার বাংলাদেশের নাম প্যারাডাইস পেপারে।
·         ডিএসইর শেয়ার কিনতে নানামুখী তদবিরের অভিযোগ।



দর প্রস্তাবে পিছিয়ে থেকে এখন নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মালিকানার অংশীদার হতে চাচ্ছে ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রের নাসডাক ও বাংলাদেশের কোম্পানি ফ্রন্টিয়ারের সমন্বয়ে গঠিত জোট। এ জোটের অংশীদার ফ্রন্টিয়ার বাংলাদেশের নাম এসেছে বিশ্বজুড়ে বহুল আলোচিত অর্থ পাচার-সংক্রান্ত ঘটনা প্যারাডাইস পেপার কেলেঙ্কারিতে। অর্থ পাচারের জন্য অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে গঠন করা জোট এখন ডিএসইর শেয়ার কিনতে নানামুখী তদবির চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।



জানা গেছে, ডিএসইর কৌশলগত অংশীদার হতে দর প্রস্তাবে অংশ নিয়ে শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখায় চীনের বৃহৎ দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ সেনজেন ও সাংহাইয়ের সমন্বয়ে গঠিত জোট এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, নাসডাক ও ফ্রন্টিয়ারের সমন্বয়ে গঠিত জোট। এ দুটি জোট আলাদাভাবে দর প্রস্তাব করে। তাতে সর্বোচ্চ ২২ টাকা দর প্রস্তাব করে সেনজেন ও সাংহাই জোট। আর ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, নাসডাক ও ফ্রন্টিয়ারের জোট শেয়ারের জন্য দর প্রস্তাব করে ১৫ টাকা। এ অবস্থায় গত শনিবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বোচ্চ দরদাতা চীনের সেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জকে কৌশলগত অংশীদার করার বিষয়ে একমত হয় ডিএসইর পর্ষদ। এরপরই দেখা দেয় বিপত্তি। দর প্রস্তাবে পিছিয়ে থাকা জোটের হয়ে বিভিন্ন পর্যায় থেকে চাপ তৈরি হয়। এ নিয়ে ডিএসইর বর্তমান শেয়ারধারীদের মধ্যে একধরনের অসন্তোষ তৈরি হয়েছে একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নানা মহল থেকে চাপ প্রয়োগ করে ডিএসইকে এখন বলা হচ্ছে চীনের দুই প্রতিষ্ঠানের জোট এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, নাসডাক ও ফ্রন্টিয়ার জোটের মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ করে মোট ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করার। এতে আপত্তি জানিয়েছে ডিএসইর বর্তমান শেয়ারধারীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর শেয়ারধারী প্রভাবশালী একাধিক সদস্য বলেন, দর প্রস্তাবের নিয়ম অনুযায়ী, সর্বোচ্চ দরদাতার কাছেই শেয়ার বিক্রি করা হবে, এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। এখন এসে যদি ভাগ-বাঁটোয়ারা করে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়, তাহলে দর প্রস্তাব ডাকার বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন দেখা দেবে।

এ বিষয়ে জানতে ডিএসইর চেয়ারম্যান আবুল হাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো কথা বলবেন না বলে টেলিফোনের লাইন কেটে দেন।

 

জানা গেছে, সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে ডিএসইর ওপর চাপ তৈরি করা হয় ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, নাসডাক ও ফ্রন্টিয়ার জোটের কাছে শেয়ার বিক্রির বিষয়ে।

জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘যে কেউ যেকোনো অভিযোগ তুলতে পারে। তবে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বৃহত্তর নানা বিষয় বিবেচনা করে। এখনো আমাদের কাছে ডিএসইর শেয়ার বিক্রি-সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব আসেনি। যতক্ষণ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিষয়টি চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে না। এমনকি এ বিষয়ে ডিএসইর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনগত এখতিয়ার নেই। নানা বিষয়ে বিএসইসি আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে বাজার-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। পরামর্শ করতে পারে। এটিকে চাপ প্রয়োগ বলে ব্যাখ্যার কোনো সুযোগ নেই।’

 

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ডিএসইর অংশীদার হতে এখন আরও বেশি দাম দিতে রাজি ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, নাসডাক ও ফ্রন্টিয়ার বাংলাদেশ জোট। সেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ জোটের প্রস্তাব করা দামেই ডিএসইর শেয়ার কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে জোটটি।

ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা করার পর ডিএসইর মোট শেয়ার ২৫০ সদস্যের মধ্যে সমানভাবে বণ্টন করা হয়। এসব শেয়ারের মধ্যে ৪০ শতাংশ সদস্যদের নিজেদের জন্য আলাদা করা হয়। বাকি ৬০ শতাংশ শেয়ার সদস্যদের বাইরে বিক্রির জন্য আলাদা করে ব্লক হিসেবে রাখা হয়। এ ৬০ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ২৫ শতাংশ শেয়ার কৌশলগত বা স্ট্র্যাটেজিক বিনিয়োগকারীর কাছে বিক্রির জন্য আইনিভাবে নির্দিষ্ট করা ছিল। বাকি ৩৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রির জন্য আইনিভাবে নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে।

আইন অনুযায়ী, আগামী ৮ মার্চ বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তিন দফা বাড়িয়ে এ সময়সীমা নির্ধারণ করেছে বিএসইসি। বিএসইসির নির্দেশনায় এ সময়সীমা আরও বাড়ার আইনি সুযোগ রয়েছে।

২০১০ সালে শেয়ারবাজার ধসের পর গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৩ সালে আইনের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এ প্রক্রিয়ায় আইনের মাধ্যমে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করা হয়। ১৩ সদস্যের পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক রাখা হয়েছে সাতজনকে। আইনে বিধান করা হয়েছে, সাত স্বতন্ত্র পরিচালকের মধ্য থেকেই সভাপতি নির্বাচিত করতে হবে।

এ ছাড়া পর্ষদে শেয়ারধারী পরিচালক থাকবেন চারজন। পর্ষদে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর জন্য একটি পরিচালক পদও সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের জোট চূড়ান্তভাবে কৌশলগত মালিকানার অংশীদার হওয়ার অনুমোদন পেলে তাদের একজন প্রতিনিধি থাকবেন ডিএসইর পর্ষদে।

 

Courtesy: Protham Alo Feb 24, 2018

EEU trade deal gets delayed as Dhaka not ready


Syful Islam February 24, 2018

Signing of a deal with Eurasian Economic Union (EEU) to expand trade with East European countries mainly targeting duty-free market access to Russia was deferred again as the text of the agreement could not be finalised yet, officials said.
 
 

A Bangladesh delegation was scheduled to visit Moscow last week to finalise the text of a memorandum of understanding (MoU), but the visit was cancelled at the last moment as top bosses of the ministry of commerce (MoC) showed reluctance.

Rather, they decided that the Bangladesh ambassador in Russia will handle the issue of text finalisation and the MoU will be signed later.

Subsequently, a copy of the draft MoU and related documents have been sent to Bangladesh embassy in Dhaka for next course of action.

However, trade officials in Dhaka argue that special expertise is needed for finalising the text of such an important deal and the ambassador may not have that kind of skills to deal with the matter.

When contacted over telephone Friday, commerce secretary Shubhashish Bose, however, told the FE that before a visit of Dhaka's trade officials to Moscow, more discussions are needed.

That's why the scheduled visit was cancelled at the last moment, he said.

However, Mr Bose could not confirm when the visit will take place and the text of MoU be finalised for signing.

Replying to a query, the secretary said signing of the MoU may boost Bangladesh's trade with EEU member states. It may also pave the way to get duty-free market access to the regional trade bloc.

According to the sources, a top official of the EEU is scheduled to visit Dhaka in March to sign the MoU if the text can be finalised by February. Now the possibility of signing the MoU in March seems to be bleak, said a trade official.

The EEU comprises five northern Eurasian countries such as Armenia, Belarus, Kazakhstan, Kyrgyzstan and Russia. These nations have common customs border and a single market of 183 million people and gross domestic product of over US$ 4.0 trillion.

Trade officials said the aim of the deal between Bangladesh and EEU is to promote trade and economic relations. It also aimed at comprehensive cooperation between EEU member states and Bangladesh towards a higher volume of mutual trade and investments, and eliminating barriers, according to the draft MoU.

 

Despite having immense potential of Bangladeshi goods in East European countries, market access is still very limited. Presently, Bangladeshi goods have to take a detour to enter these countries mainly through Germany and Turkey.

Signing of the MoU will open the door for direct entry of goods, leading to an increase in exports to those countries, trade officials said.

"We are particularly interested to sign the MoU to create an environment to get duty-free market access to Russia for which we have been trying for years," said a trade official in Dhaka.

Bangladeshi goods have immense potential in the Russian market. Export of Bangladeshi products to Russia increased significantly during the last couple of years. Bangladesh exported goods amounting to US$ 314.29 million in the fiscal year 2015-16.

Bangladesh mainly exports apparels, jute, frozen foods, tea, leather, home textiles and ceramic products to Russia while it imports cereals, minerals, chemical products, plastic products, metal, machinery, and mechanical equipment, among others.

 

syful-islam@outlook.com

 

Courtesy: The Financial express Feb 24, 2018

BASIC seeks fresh fund for capital replenishment


Shortfall now over Tk 34 billion

 Rezaul Karim | Updated:  February 24, 2018

Scam-hit BASIC Bank has requested the government to make available a fresh fund worth Tk 25 billion (Tk 2,500 crore) to meet its huge capital shortfall urgently, officials concerned said.

Managing Director of BASIC Bank Muhammad Awal Khan in a letter to the Ministry of Finance on February 18 last made the request, they added.


"We have sought an allocation of Tk 25 billion from the government for BASIC Bank to reduce its capital shortfall. The bank needs fresh injection of a huge amount of funds urgently," a source in BASIC Bank Ltd told the FE on Tuesday.

"We have received the proposal sent by the specialised bank, seeking funds to meet its capital shortfall," a senior official of the banking division said.

When contacted, Mr Awal Khan said, "Some state-owned banks (SoBs) have requested the government to provide funds. We have also sought fund to meet capital shortage."

Data available until December last show that BASIC Bank suffered capital inadequacy worth over Tk 34.10 billion (Tk 3,410 crore).

Officials of the banks said they immediately need recapitalisation to strengthen their capital base, restore depositors' confidence and maintain minimum capital requirement in line with Basel-III guideline.

The government provided the bank with funds between fiscal years (FYs) 2013-2014 and 2016-2017 to meet its capital shortage.

In the past, the bank was given Tk 23.90 billion to meet its capital shortage. Tk 12 billion and Tk 10 billion were given to the bank in 2015 and 2017 respectively for capital replenishment.

In recent years, loans were sanctioned without following rules properly which resulted in increased volume of classified loan, negative shifting of the level of classified loan and erosion in the value of collateral given against loans, according to a senior official of the bank.

This is why, he said, the provisioning requirement has increased against classified loans.

In September 2009, Sheikh Abdul Hye Bachchu was made chairman of BASIC Bank. The government appointed him on contractual basis for three years. Later, his tenure was extended for two years in September 2012.

After his appointment, the bank's performance started deteriorating as Sheikh Bachchu and other directors of the board allegedly indulged in "gross irregularities in sanctioning loans in violation of rules and regulations of Bank Company Act", according to sources in BASIC Bank.

The government dismissed the board of directors of the bank in 2014.

Some Tk 35 billion in loans had allegedly been illegally disbursed from Gulshan, Dilkusha and Shantinagar branches of the bank between 2009 and 2011, the Bangladesh Bank's findings showed.

Presently, the problem-ridden bank has taken a three-year plan of action including various initiatives to reduce its huge amount of default loans at a tolerable level.

 

rezamumu@gmail.com

 

Courtesy: The Financial Express Feb 24, 2018

Bangladesh budgeting 'least transparent' in South Asia, says IBP


Mehdi Musharraf Bhuiyan
Bangladesh's budgeting process is least transparent in South Asia as the system lacks sufficient public participation or oversight, says a survey that attributed the lapses to institutional shortcomings.

 
The survey on budget transparency across the world noted that, since 2015, Bangladesh had decreased the availability of budget information by "failing to publish the In-Year Reports online in a timely manner and also by failing to produce the Citizens Budget."


 
An independent agency styled 'International Budget Partnership' (IBP) has conducted the global survey on budgeting practices in countries and come up with such observations on Bangladesh situation on the basis of scores.

 
Moreover, IBP said in its latest 'Open Budget Index 2017', Bangladesh also couldn't make progress in budget transparency for not making the pre-budget statement available to the public and not producing an audit report.

 
Such deficiencies mean that Bangladesh's score in budget transparency has decreased drastically -- from 56 in 2015 OBI to 41 in the latest 2017 OBI.

 
Such squeeze in score has also placed Bangladesh behind all its South Asian peers, as even Pakistan has fared better in terms of budget transparency as per the IBP survey.

 
The Open Budget Survey of IBP is based on 109 equally weighted indicators that assess whether the central government makes eight key budget documents available to the public online in a timely manner and whether these documents present budget information in a comprehensive and useful way.

These documents are: Pre-Budget Statement, Executive's Budget Proposal, Enacted Budget, Citizens Budget, In-Year Reports, Mid-Year Review, Year-End Report and Audit Report.

 Among these aforementioned documents, it was noted that Bangladesh currently produces no 'citizens budget' or 'audit report' while 'pre-budget statement' is produced for internal use only.

 Meanwhile, the 'mid-year review' is not published online while 'in-year reports' are published late.

The IBP report also bears a critical note about the budget-oversight process in Bangladesh. It says legislatures and supreme audit institution provide limited budget oversight in this country while any independent fiscal institution is virtually nonexistent.

 
Highlighting the limited budgetary oversight of the legislature, the report noted that the Budget Proposal should be provided to legislators at least two months before the start of the budget year, which is not happening.

 
At the same time, a legislative committee should ideally examine or publish reports on in-year budget implementation online, which is not taking place in Bangladesh either.

 
"In practice, as the budget is implemented, the legislature is not consulted before the government spends unanticipated revenue or reduces spending due to revenue shortfalls," the report further said about the flip side of budgeting and fiscal matters of the country.

 The watchdog, in its survey report, was also sceptic about the independence of the supreme audit institution of Bangladesh.

"While the head of the institution cannot be removed without legislative or judicial approval, they are not appointed by the legislature or judiciary, which calls into question its independence," IBP said in its country summary on Bangladesh.

It also pointed out that the supreme audit institution is provided with sufficient resources to fulfil its mandate, but its audit processes are not reviewed by an independent agency.

Apart from transparency, the OBS survey also assessed the degree to which the government provides opportunities for the public to engage in budget processes.

 In this parameter, Bangladesh's score is only 13 out of 100- which, although not the lowest in South Asia, is still low compared to global standards.

 Asked about significance of the latest Open Budget Index findings, experts opined that the OBI rightly pointed out the need for greater budget transparency in the country.

"Although the budgeting process in Bangladesh has become more consultative than it was 15 years ago, still the progress is not enough compared to other parts of the world," said Professor Mustafizur Rahman, Distinguished Fellow of the Centre for Policy Dialogue.

"There are immense scopes for making the budgeting process more consultative," the CPD economist told FE.

For example, he added, in many countries of the world opposition political parties and civil societies come up with 'shadow budget' which can be introduced in Bangladesh.

Meanwhile, International Budget Partnership, in its report, has recommended that Bangladesh publish a Mid-Year Review and a Pre-Budget Statement online. In-Year Reports should also be posted online in a timely manner.

 simultaneously, it has also called for producing and publishing an audit report and a citizens' budget for the country.
When it comes to budget oversight, IBP suggests ensuring that the Budget Proposal is provided to legislators at least two months before commencement of the budget year.

 
At the same time, it also called for ensuring that a legislative committee examine and publish reports on in-year budget implementation online and that audit processes are reviewed by an independent agency.

 
The IBP also recommended setting up an independent fiscal institution to further strengthen budget oversight.

 
To ensure enough public participation in budget making, it has called for introducing a pilot mechanisms for members of the public and executive branch officials to exchange views on national budget matters during both the formulation of the national budget and the monitoring of its implementation.

 It has also recommended holding legislative hearings on the Audit Report, during which members of the public or civil-society organizations can testify.

 
Lastly, the IBP has called for establishing a formal mechanism for the public to assist the supreme audit institution in formulating its audit programme and to participate in relevant audit investigations.

 

Courtesy: The Financial Express Feb 24, 2018

যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ: অবশেষে ২ হাজারের বেশি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত

যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে শেষ পর্যন্ত দুই পাশের ২ হাজার ৩১২টি গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে যশোর-বেনাপোল রাস্তা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বৃক্ষ অপসারণবিষয়ক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।



 
যশোরের জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-১ আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-২ আসনের এমপি মনিরুল ইসলাম, যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন ও আব্দুল মালেক, স্থানীয় সরকার বিভাগ খুলনার পরিচালক হোসেন আলী খন্দকার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হোসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুন-উজ্জামান, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
সভা সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণে এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে। কিন্তু মহাসড়কটির দুই পাশে রেইন ট্রি প্রজাতির শতবর্ষী গাছও রয়েছে। সেগুলো অক্ষত রেখে মহাসড়ক চার লেন করা সম্ভব না। এ কারণে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
 
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে জনসভা থেকে যশোর-বেনাপোল রাস্তার কাজ উদ্বোধন করেন। ৩২৮ কোটি ৯২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। গাছ থাকলে চার লেন করা সম্ভব না। এজন্য গাছ কাটার ব্যাপারে উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা কেউ দ্বিমত করেননি।
 
গাছ কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হোসাইন শওকত বলেন, আগেই যশোর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন ও আব্দুল মালেকসহ অন্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গতকাল আবারো মিটিং হয়। উন্নয়নের স্বার্থে সবাই গাছ কাটার পক্ষে মত দিয়েছেন। যশোরের তিনজন এমপি মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। মিটিংয়ে তারা কেউ গাছ কাটার বিপক্ষে মত দেননি। গাছ নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা পরিষদের মধ্যে যে বিরোধ আছে, তা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নিষ্পত্তি করা হবে।
Source: Banikbarta Feb 24, 2018

শহরজুড়ে ১২ হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা, নিবন্ধন নেই একটিরও

শহর হিসেবে সিরাজগঞ্জ খুব বড় নয়। অথচ এ শহরে এখন অন্তত ১২ হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। এ সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে আশ্চর্যের কথা হলো, এসব রিকশার একটিরও কোনো নিবন্ধন নেই; নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো নিয়ন্ত্রণ বা তদারকিও। এ অবস্থায় পুরো শহর এসব অবৈধ রিকশায় ভরে গেছে, যা মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
 
সরেজমিন দেখা যায়, শহরজুড়ে এখন ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্য। নিবন্ধনহীন এসব রিকশার কারণে কঠিন হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক চলাচল। স্থানীয়রা জানান, এগুলোর নিয়ন্ত্রণহীন চলাচলের কারণে মাঝে মধ্যেই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
 
 
শহরের জানপুর মহল্লার আবু হাসান নামে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক জানান, তিন বছর আগে ৬০ হাজার টাকায় তিনি রিকশা তৈরি করেন। এখনো তিনি রিকশার লাইসেন্স করেননি। এমনকি শ্রমিক সংগঠনেরও সদস্য হননি। এ বিষয়ে কথা হলে সিরাজগঞ্জ রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কালাচাঁন বলেন, তাদের সংগঠনে তিন হাজার সদস্য রয়েছে। শহরে কী পরিমাণ রিকশা চলাচল করছে, তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই। তবে এ সংখ্যা অন্তত ১২ হাজার হবে।
 
অতিরিক্ত ও নিবন্ধনহীন রিকশার কারণে শহরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে পৌরসভা থেকে এ ব্যাপারে তাদের জানানো হয়েছে। সাংগঠনিকভাবে অতিরিক্ত রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হোসেনপুর মহল্লার বাসিন্দা ফেরদৌস হাসান জানান, সমস্ত শহরে শুধু রিকশা আর রিকশা। এগুলোর দৌরাত্ম্যে শহরে এখন স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করা দায় হয়ে পড়েছে।
 
একই কথা জানান শহরের এক ব্যবসায়ী দোয়েল স্টোরের মালিক রেজাউল ইসলাম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দোকানের সামনে সব সময়ই ১৫-২০টি রিকশা দাঁড়িয়ে থাকে। তাদের কিছু বলাও যায় না। তাছাড়া এসব রিকশা বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে, যে কারণে অনেক সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। রিকশা থেকে যাত্রীর ছিটকে পড়ার নজিরও কম নয়।
 
সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আবদুর রউফ মুক্তা শহরে চলাচলরত অতিরিক্ত রিকশার কারণে জনভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এসব রিকশা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শহরে বৈধভাবে চলাচলের জন্য পৌরসভা থেকে তিন হাজার রিকশার লাইসেন্স দেয়া হবে। বাকি রিকশা চলাচল করতে দেয়া হবে না। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Source: Banikbarta Feb 24, 2018

অ্যামনেস্টির বার্ষিক রিপোর্ট - বিচার বিভাগে সরকারের হস্তক্ষেপ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি



উদ্বেগজনকভাবে বাংলাদেশে বিচার বিভাগে সরকারের হস্তক্ষেপ বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাইয়ে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা হয়। ওই সংশোধনীতে বিচারকদের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও  অযোগ্যতার অভিযোগ আনা হলে পার্লামেন্টকে অভিশংসনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি ওই সংশোধনী বাতিল করে দেয়ার পর তার সমালোচনা হয় সরকারের পক্ষ থেকে । এরই পরিপ্রেক্ষিতে নভেম্বরে প্রধান বিচারপতির পদ ত্যাগ করেন এস কে সিনহা। এর ফলে দেশ এমন একটি পরিস্থিতিতে ধাবিত হয়, যাতে ইঙ্গিত মেলে নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করেছে।

বাংলাদেশে সাংবাদিকরা অব্যাহতভাবে হামলার মুখে। সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুলকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া বেশকিছু সাংবাদিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের টার্গেট ও হয়রানি করতে  আইনের অপব্যবহার অব্যাহত রেখেছে সরকার। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড সীমিত করা হয়েছে। অব্যাহত রয়েছে জোরপূর্বক গুম। বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।



মত প্রকাশের স্বাধীনতা
অ্যামনেস্টি’র প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত রয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা রোধ করতে নিষ্পেষণমূলক আইনের ব্যবহার করা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আহ্বান উপেক্ষা করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) শাস্তিমূলক ব্যবহার অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রবর্তন করা হয়েছে। এই আইনের অধীনে, অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আরো সীমাবদ্ধ করে দেয়া হবে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সশস্ত্র বাহিনী আনসার আল-ইসলাম ধর্মনিরপেক্ষ কর্মীদের হত্যা করেছে। দলটির বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। দলটিকে গত বছরের মার্চ মাসে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু অপরাধীদের বিচারকার্যে দেরি হওয়ায় বেসামরিক সমাজে এখনো তাদের প্রভাব বিদ্যমান। 

সমকামী, তৃতীয় লিঙ্গ ও উভলিঙ্গের মানুষদের অধিকার
এলজিবিটি (সমকামী বিষয়ক) কর্মীরা প্রতিনিয়ত মানহানি ও রাষ্ট্রীয় ও রাষ্ট্র-বহির্ভূত পৃষ্ঠপোষকতায় বিচারবহির্ভূত বন্দিদশার শিকার হয়েছেন। ২০১৬ সালে কয়েকজন কর্মী আনসার আল-ইসলামের হাতে খুন হওয়ার পর এলজিবিটিআই সমপ্রদায়ের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। অনেক কর্মী আত্মগোপনে আছেন। এলজিবিটিআই কর্মী জুলহাস মান্নান, মাহবুব রাব্বি তনয়, অভিজিৎ রায়, নিলাদ্রী নিলয়ের হত্যার আসামিদের বিচার করা হয়নি। যদিও ২০১৭ সালে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। 

সমাবেশ করার অধিকার
শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার স্বাধীনতার অধিকার তীব্রভাবে সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধীদের প্রচারণা বিষয়ক বৈঠক ও রাজনৈতিক সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়নি। ফরেইন ডোনেশন রেগুলেশন অ্যাক্টের অধীনে বিভিন্ন এনজিও’র কর্মীদের কার্যক্রম সীমিত করে দেয়া হয়েছে। 

জোরপূর্বক গুম : নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে, প্রধানত বিরোধীদলীয় সমর্থকদের টার্গেট করা হয়েছে। গুম হওয়া অনেককে পরবর্তীতে মৃত হিসেবে পাওয়া গেছে। ফেব্রুয়ারিতে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে জাতিসংঘের জোরপূর্বক বা অনিচ্ছাকৃত অন্তর্ধান বিষয়ক সংস্থা বলেছে, সামপ্রতিক বছরগুলোতে এ ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর ৮০ জনের অধিক ব্যক্তি গুম হয়েছেন। 

মার্চ মাসে, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র এক সাবেক নেতার ছেলে হাম্মাম কাদের চৌধুরীকে ছয়মাস বাইরের জগৎ থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বন্দি রাখার পর মুক্তি দেয়া হয়। তার বাবাকে আগেই ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। এরকম আরো দুই নেতার সন্তান আহমেদ বিন কাসেম ও আব্দুল্লাহিল আমান আজমি’কে নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে নিখোঁজ হন। 

বিচার বিভাগ
বিচার বিভাগে সরকারের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ নিয়েও প্রতিবেদনটিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। গত জুলাইয়ে প্রধান বিচারপতি একটি বিতর্কিত সাংবিধানিক সংশোধনীর (ষোড়শ সংশোধনী) বাতিল করে দেন। ওই সংশোধনী অনুসারে,  বিচারকদের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও অযোগ্যতার অভিযোগ আনা হলে পার্লামেন্টকে অভিশংসনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। সংশোধনী বাতিলের পর প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে সরকারি দল। পরবর্তীতে নভেম্বরে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা পদত্যাগ করেন ও দেশ ত্যাগ করেন।

শরণার্থী ও আশ্রয় প্রার্থী
গত আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন অঙ্গরাজ্যে সহিংসতা শুরু হলে সেখান থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৬ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযানের নামে চালানো নৃশংসতা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে আশ্রয় নেন। আগে থেকেই কক্সবাজারে বিশাল সংখ্যার রোহিঙ্গা অবস্থান করছিল। আন্তর্জাতিক নিয়মের অধীনে রাখাইনে সেনাবাহিনীর জাতি নিধন মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য। 

বাংলাদেশ পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিকভাবে শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা গুরুতর অপুষ্টিতে ভোগার খবর প্রকাশ হয়েছে। নতুন আগত রোহিঙ্গাদের ৬০ শতাংশের বেশি শিশু। তারাও অপুষ্টিতে ভুগছে। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে মেয়ে ও নারীরা যৌন হামলা, মানবপাচারের শিকার হওয়ার তীব্র ঝুঁকিতে আছে। অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপর্যাপ্ত সুরক্ষা-ব্যবস্থা, অপর্যাপ্ত শিবির ব্যবস্থাপনা কৌশল, বেসামরিক প্রশাসনের অভাব, আনুষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থা সহ অন্যান্য সেবার অভাবে ভুগেছে রোহিঙ্গারা। নভেম্বরে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ক একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘনের সম্ভাবনা রয়েছে।

নির্যাতন ও অন্যান্য অসদাচরণ
বন্দিদের ওপর ব্যাপক হারে নির্যাতন ও অন্যান্য অসদাচরণ করার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ক অভিযোগগুলো নিয়ে কদাচিৎ তদন্ত করা হয়েছে। রাজনৈতিক ইচ্ছা ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সচেতনতার অভাবে ২০১৩ সালে প্রণীত নির্যাতন ও বন্দি অবস্থায় মৃত্যু বিষয়ক আইনের ব্যবহার অপর্যাপ্ত ছিল। 

মৃত্যুদণ্ড

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরে বেশ সংখ্যক মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এপ্রিলে দুই জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসঙ্গত, ট্রাইব্যুনালটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা তদন্তের জন্য প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ট্রাইব্যুনালটির বিচারকার্যে নিরপেক্ষতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যেমন, আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মামলা প্রস্তুত করতে পর্যাপ্ত সময় না দেয়া ও সাক্ষীর সংখ্যা সীমিত করে দেয়া। 

-   তথ্যসূত্রঃ mzamin.com

Friday, February 23, 2018

HRW urges govt to scrap draconian elements of Digital Security Act


New York-based international human rights organisation Human Rights Watch on Friday said the government of Bangladesh should review and reform the proposed Digital Security Act instead of enacting the law in its current form.

On January 29, the cabinet approved a draft law, intended to replace the much-criticised Information and Communication Technology Act. The draft is even broader than the law it seeks to replace and violates the country’s international obligation to protect freedom of speech, HRW said in a statement.

‘The proposed law totally undermines the government’s claim that it has no intention of curbing the right to freedom of speech,’ said Brad Adams, Asia director of HRW.

‘With at least five different provisions criminalising vaguely defined types of speech, the law is a license for wide-ranging suppression of critical voices.’

After the repeated abuse of Section 57 of the ICT Act to prosecute journalists and others for criticising the prime minister, her family, or her government on social media, Bangladesh authorities committed to repeal the law, the rights watchdog said in its report.

Although the proposed new law to replace the ICT Act limits prosecutions for defamation to those that could be prosecuted under the penal code and imposes an intent requirement for certain offenses, it also contains provisions that are even more draconian than those in Section 57, it said.

The report said Section 14 of the draft would authorise sentences of up to 14 years in prison for spreading ‘propaganda and campaign against liberation war of Bangladesh or spirit of the liberation war or Father of the Nation.’

The United Nations Human Rights Committee, the independent expert body that monitors compliance with the International Covenant on Civil and Political Rights, to which Bangladesh is a party, has expressly stated that laws that penalise the expression of opinions about historical facts are incompatible with a country’s obligations to respect freedom of opinion and expression.

The HRW said Section 25(a) would permit sentences of up to three years in prison for publishing information which is ‘aggressive or frightening’ – broad terms that are not defined in the proposed statute. The use of such vague terms violates the requirement that laws restricting speech be formulated with sufficient precision to make clear what speech would violate the law. The vagueness of the offense, combined with the harshness of the potential penalty, increases the likelihood of self-censorship to avoid possible prosecution.

Section 31, which would impose sentences of up to 10 years in prison for posting information which ‘ruins communal harmony or creates instability or disorder or disturbs or is about to disturb the law and order situation,’ is similarly flawed, it said.

‘With no clear definition of what speech would be considered to ‘ruin communal harmony’ or ‘create instability,’ the law leaves wide scope for the government to use it to prosecute speech it does not like.’

Section 31 also covers speech that ‘creates animosity, hatred or antipathy among the various classes and communities.’ While the goal of preventing inter-communal strife is an important one, it should be done in ways that restrict speech as little as possible.

The law’s overly broad definition of ‘hate speech’ opens the door for arbitrary and abusive application of the law and creates an unacceptable chill on the discussion of issues relating to race and religion.

The reports said Section 29, like section 57 of the ICT Act, criminalises online defamation. While Section 29, unlike the ICT Act, limits defamation charges to those that meet the requirements of the criminal defamation provisions of the penal code, it is nevertheless contrary to a growing recognition that defamation should be considered a civil matter, not a crime punishable with imprisonment.

‘The Digital Security Act is utterly inconsistent with Bangladesh’s obligation to protect freedom of speech,’ said Adams.

‘Parliament should reject the bill and insist on a law that truly respects the right of the country’s citizens to speak freely.’

- Resource: newagebd.net

উচ্চতর গণিতের প্রশ্নপত্রও ফাঁস

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট


ফাঁস হলো উচ্চতর গণিতের প্রশ্নপত্রও। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে উচ্চতর গণিত  ও বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা।  তবে পরীক্ষা শুরুর আগেই উচ্চতর গণিত বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরীক্ষা শেষে প্রশ্নের সঙ্গে মিলিয়ে ফাঁস হওয়া সেটের হুবহু মিল পাওয়া যায়।

উচ্চতর গণিতের বহুনির্বচনি অভীক্ষার খ সেট প্রশ্নপত্রসহ উত্তরপত্র হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া গেছে সকাল ৯টা ৪ মিনিটে। অন্যদিকে ১০টায় বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র আসে হোয়াটসঅ্যাপে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১২টি বিষয়ের প্রশ্নই ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেলো।

এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহেদুল খবির চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রশাসন এখন সজাগ। তারা এই চক্রকে ধরার চেষ্টা করছে। অনেককে ধরেছেও। আজকের প্রশ্নফাঁস হয়েছে কিনা তা জানা নেই। পরীক্ষা শেষে মিলিয়ে দেখা হবে।’

উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা প্রথম পত্রের বহুনির্বচনি অভীক্ষার ‘খ’ সেট পরীক্ষার প্রশ্ন ও ফেসবুকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল ছিল। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ফেসবুকে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা ৩ মিনিটে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের  নৈর্ব্যক্তিক (বহুনির্বচনি) অভীক্ষার ‘খ’ সেটের উত্তরসহ প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় ফেসবুকে। যার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া যায়। ৫ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শুরুর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে সকাল ৮টা ৪ মিনিটে ইংরেজি প্রথম পত্রের ‘ক’ সেটের প্রশ্ন ফাঁস হয়।

৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৪৮ মিনিট আগে সকাল ৯টা ১২ মিনিটে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ‘খ’ সেটের গাঁদা প্রশ্নপত্রটি হোয়াটসঅ্যাপের একটি গ্রুপে পাওয়া গেছে। ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপের একটি গ্রুপে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার বহুনির্বচনি অভীক্ষার ‘খ’ সেটের চাঁপা প্রশ্নপত্রটি পাওয়া যায়। ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপের একটি গ্রুপে গণিতের ‘খ-চাঁপা’ সেটের প্রশ্নপত্রটি পাওয়া যায়। ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে হোয়াটসআপের একটি গ্রুপে আইসিটির ‘ক’ সেট প্রশ্ন পাওয়া যায় এবং সকাল ৯টা ৩ মিনিটে ‘গ’ সেটের প্রশ্নও ফাঁস হয়।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বিজ্ঞান বিভাগের ‘পদার্থবিজ্ঞান’, মানবিক বিভাগের ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা’ এবং বাণিজ্য বিভাগের ‘ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং’। এদিন সকাল ৮টা ৫৮ মিনিটে পদার্থবিজ্ঞানের বহুনির্বচনি অভীক্ষার ‘গ সেট’র প্রশ্ন উত্তরপত্রসহ হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া গেছে। আর পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই সকাল ১০টা ৫ মিনিটে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং-এর ‘ঘ' সেট’র প্রশ্নপত্রও পাওয়া যায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে।

১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত রসায়ন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা এবং ব্যবসায় উদ্যোগের মধ্যে শুধু রসায়নের প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় পরীক্ষার আগে। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে রসায়নের ‘খ’ সেট প্রশ্নপত্রটি হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপে পাওয়া যায়। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের প্রশ্নপত্র পরীক্ষার এক ঘণ্টা আগে ৯টা ৫ মিনিটে পাওয়া যায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জীববিজ্ঞানের প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয় পরীক্ষা শুরুর আগে।


  • তথ্যসূত্রঃ banglatribune.com




প্রশ্নফাঁস: একটি জাতীয় শিল্পের আত্মপ্রকাশ


নিশাত সুলতানা


প্রশ্নফাঁস যেহেতু বহু আগে থেকেই হয়ে আসছে, যেহেতু এর জন্য কেউ দায়ী নয়, সেহেতু একে এখন মেনে নিলেই হয়! মেনে নেওয়ার জন্য প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে একে জাতীয় ঐতিহ্য ঘোষণা করা। এই সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে উদীয়মান ও সম্ভাবনাময় শিল্পের নাম প্রশ্নপত্র ফাঁস শিল্প। এই শিল্প অতি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর, জনপ্রিয় ও অপ্রতিরোধ্য। বাংলাদেশ সরকার দাবি করে, তারা এ শিল্প বিকাশের বিরোধী। কিন্তু অবাক হওয়ার বিষয় হলো, কোনো গবেষণা এবং সরকারের সদিচ্ছা ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই কোনো শিল্পের এ রকম বিকাশ রীতিমতো ঈর্ষণীয়! অবশ্য সদিচ্ছার অভাবই-বা বলি কী করে, সরকারের অনিচ্ছায় গুমের খবর ফাঁস হয় না, সেখানে প্রশ্নফাঁস হয় কী করে? এত বড় অবদানে সরকারের কৃতিত্ব অস্বীকার করা বড়ই অকৃতজ্ঞতা হয়ে যাবে।

বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত নানা ধরনের গবেষণা ইনস্টিটিউটের সংখ্যা নেহাত কম নয়। যেমন: প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট, রেশম গবেষণা ইনস্টিটিউট, চাল, ধান, ইক্ষু, চা, আম, রেশম, তুলা—এ রকম কতই-না ইনস্টিটিউট! এই গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ তাদের অভিনব গবেষণালব্ধ জ্ঞান দিয়ে দেশকে সমৃদ্ধ করার বেলায় কতটা ভূমিকা রেখেছেন, তা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের কাছে ততটা স্পষ্ট নয়। কিন্তু সরকারি সব উদাসীনতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং কোনো গবেষণালব্ধ জ্ঞান ছাড়াই প্রশ্নফাঁসের যে বিস্ময়কর শিল্প ও সংস্কৃতি বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে, তা তাবৎ দুনিয়াকে তাক লাগানোর মতো।

প্রশ্নপত্র ফাঁস ইতিমধ্যেই যে শিল্পের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে, এ বিষয়ে কারও আর কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। এটা সত্য যে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ইতিহাস বাংলাদেশে বেশ পুরোনো। তবে ২০১২ সালের পর থেকে বাংলাদেশে কোনো পাবলিক পরীক্ষা ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ছাড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে হয় না। এ প্রক্রিয়া এতটাই শৈল্পিক যে তা মানছে না শিক্ষার্থীর বয়স, শ্রেণি, পরীক্ষার ধরন, ঋতুর বৈচিত্র্য ইত্যাদি! এটি এতটাই অনিবার্য যে একে রোধ করতে পারছে না রাস্তার যানজট, কিংবা ইন্টারনেটের স্পিডজট। সরকারি ঘোষণায় ইন্টারনেটের স্পিড হাঁসফাঁস করে; কিন্তু এরপরও প্রশ্নপত্র দায়িত্বের সঙ্গে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যায়। সরকারি তৎপরতায় যদিও-বা জেএমবির ভয়ংকর জঙ্গি ধরা পড়ে, কিন্তু পুরস্কার ঘোষণার পরও ধরা পড়ে না প্রশ্ন ফাঁসকারী অপরাধী। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষার হলকে মশা-মাছিমুক্ত করতে পারে, কিন্তু পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রশ্নফাঁসমুক্ত করতে পারে না পরীক্ষার হলগুলোকে। পরীক্ষার আগে কোচিং সেন্টারের দরজায় তালা ঝোলে কিন্তু সিলগালা করা প্রশ্নপত্র বাইরে বেরিয়ে এসে নির্লজ্জের মতো হাসতে থাকে। পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে মুঠোফোনের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ হলেও আলাদিনের প্রদীপের জাদুর দৈত্য নাকি ঠিকই পরীক্ষার হলে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র নিয়ে হাজির হয়ে যায়!

এবার বাসভর্তি ফাঁস প্রশ্নপত্র নাকি ঢুকে পড়েছে পরীক্ষাকেন্দ্রে। আর কী বাকি রইল! এ বয়সেই একদিকে প্রশ্নফাঁস ব্যবসায় হাতেখড়ি আর অন্যদিকে হাজতবাসের অভিজ্ঞতা তাদের বাস্তব দুনিয়ার ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করার জন্য আরও বেশি যোগ্য করে তুলছে। এটি কি কেউ তলিয়ে দেখেছে! ভীতসন্ত্রস্ত ক্রন্দনরত ১১ জন পরীক্ষার্থীকে আসামিদের জন্য নির্ধারিত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়ে পর্দার অন্তরালে নিশ্চিন্তে ঘুমান সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিরা এবং প্রশ্নফাঁসের মূল কুশীলবেরা। সরকারিভাবেই তো প্রশ্নফাঁসের জন্য তাঁদের দায়মুক্তি দিয়ে রাখা যখন হয়েছে, তখন কেন তাঁদের এই মহান অবদান জাতীয়ভাবে স্বীকার করা হবে না?

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বশীল সচিব মহোদয় স্বীকার করে নিয়েছেন যে বর্তমান প্রক্রিয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো বেশ কঠিন; অনেক কর্মকর্তার ভাষায় যা অসম্ভব। এই যখন বাস্তবতা, তখন শুধু শুধু প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানোর জন্য পণ্ডশ্রমের কোনো মানেই হয় না; বরং প্রশ্নপত্র ফাঁস শিল্প বিকাশে এখন প্রয়োজন আরও খোলামেলা সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, সহযোগিতা ও বিনিয়োগ। তাই বিষয়টিকে অবিলম্বে ক্রমবিকাশমান শিল্পের স্বীকৃতি প্রদান করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে ‘প্রশ্নফাঁস বিকাশ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট’ স্থাপন করা জরুরি। এত দিনের সৃজনশীল প্রশ্নপত্র উদ্ভাবন ও বিকাশের অভিজ্ঞতাকে এবার প্রশ্নফাঁস শিল্পের সৃজনশীলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে। দ্রুত ও ব্যয়সাশ্রয়ী পন্থায় ফাঁস হওয়া সঠিক প্রশ্নপত্র কীভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব, তা নিয়ে গবেষণা করা অত্যন্ত জরুরি।

আরও একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আর তা হলো যেসব অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে বিবেকের দংশনে ভুগছেন, তাঁদের এই মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন মূল্যবোধের বিলুপ্তিবিষয়ক উন্নত প্রশিক্ষণ। ইতিমধ্যে তাঁদের কেউ কেউ চাঁদা দিয়ে ফাঁসকৃত প্রশ্ন কেনার তহবিল গঠন করেছেন। সেসব ফাঁসের প্রশ্নের উত্তর তড়িঘড়ি করে খোঁজার জন্য একদল শিক্ষকও অপেক্ষায় থাকবেন। প্রশ্নফাঁসের বিষয়টিকে শুধু প্রশ্নপত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে উত্তরপত্রের মধ্যেও কীভাবে বিস্তৃত করা যায়, তার পথ এঁরাই দেখাচ্ছেন। শুধু ফাঁসকৃত আসল প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিলেই চলবে না, তাদের উত্তর লেখার পরিশ্রম থেকেও মুক্তি দিতে হবে। শিক্ষকদের পরীক্ষার হল টহলের ক্লান্তিকর দায়িত্ব থেকে মুক্তি দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে কীভাবে আরও নিবিড়ভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে, সে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনা ও সমন্বয়ের জন্য সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসবিষয়ক অধিদপ্তর’ গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার বাইরেও শিল্পটির বাণিজ্যিক বিকাশ, বিপণন আর বাজারজাতকরণে এগিয়ে আসতে হবে দেশীয় ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে। যেহেতু প্রক্রিয়াটির সঙ্গে শুধু শিক্ষার্থীই নয়, সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছেন তাদের মা-বাবাসহ পরিবার ও সমাজের অনেকেই, তাই তাঁদের কথাও মাথায় রাখতে হবে। প্রশ্নের বাণিজ্যিকীকরণ তাঁরা বিবেচনা করতে পারেন নানান প্যাকেজ, যেমন: পিয়ার প্যাকেজ, প্যারেন্টস প্যাকেজ, ফ্যামিলি প্যাকেজ, কমিউনিটি প্যাকেজ ইত্যাদি। তাঁরা দিতে পারেন ‘প্রশ্নপত্র কিনলে উত্তরপত্র ফ্রি’-জাতীয় অফারগুলো। ইতিমধ্যেই ফাঁস প্রশ্নের আদান-প্রদানের মূল্য পরিশোধের মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং রীতিমতো ফুলেফেঁপে উঠেছে। ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোও আনতে পারে আজীবন শিক্ষার্থীদের এমনকি তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ফাঁস প্রশ্ন নিশ্চিতকরণের নানা স্কিম। বাংলা সিনেমার পরিচালকেরা ‘পরীক্ষার্থী কেন আসামি?’ বা এ ধরনের টাইটেলে সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবতে পারেন। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে প্রশ্নপত্র ফাঁস শিল্পের বিকাশে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সমন্বিতভাবে এ বিষয়গুলোর প্রতি যত্নবান হলে প্রশ্নফাঁস শিল্পে বিশ্বদরবারে অচিরেই বাংলাদেশ হবে এক নম্বর। আসুন, আমরা প্রশ্নফাঁস শিল্পের বিকাশে যার যার অবস্থান থেকে সর্বান্তকরণে সহযোগিতা করি।

নিশাত সুলতানা: লেখক ও গবেষক। 
purba_du@yahoo.com

Courtesy: prothomalo.com