Search

Saturday, March 3, 2018

নারায়ণগঞ্জে যুবলীগ নেতাসহ ৭ জনকে আদালতের নোটিস


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে রেলওয়ের লিজকৃত জমি দখল করে মাটি ভরাটের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত ওই জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। পাশাপাশি যুবলীগ নেতাসহ সাতজনকে নোটিস পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

 
বৃহস্পতিবার বিকালে দায়েরকৃত মামলার বাদী মহজমপুর উত্তর কাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. আলী হোসেন। গতকাল সকালে আদালতের নোটিস পৌঁছলে সামসুল আলমের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি লাঠিসোঁটা, টেঁটা, বল্লম নিয়ে মহড়া দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে টহল জোরদার করে। এ নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এর আগে ওই জমি জোরপূর্বক দখল করে বেড়া দেয়ার অভিযোগে ভুক্তভোগী আলী হোসেন বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

 
জানা যায়, আলী হোসেন রেলওয়ের কাছ থেকে ছয় শতাংশ জমি লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল ও খাজনা পরিশোধ করছেন। সম্প্রতি ওই জমিতে তিনি দোকান নির্মাণ করতে গেলে সামসুল আলমের নেতৃত্বে তুহিনুর রহমান, নুরুল ইসলাম, মোতালেব, আনোয়ার হোসেন, হাসেম, গোলজারসহ ১৫-২০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা নিয়ে বাধা দেয়। এ ঘটনায় তিনি গত ১ ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওইদিন বিকালে শুনানি শেষে আদালত ওই জমির ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পাশাপাশি ১৫ দিনের মধ্যে বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

 

Courtesy: Bonikbarta Mar 03, 2018

হাওড়ে বাঁধ নির্মাণ: বাস্তবায়নের সময় পেরোলেও কাজ হয়েছে অর্ধেক

হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার। বুধবার এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষ সময় পেরিয়ে গেলেও এর মধ্যে সার্বিকভাবে প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হয়েছে মাত্র অর্ধেক। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাঁধে মাটি ফেলার কাজও শুরু হয়নি। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয় কৃষকরা।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওড়ের বোয়ালমারা বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়েছিল পাঁচটি। এদের অনুকূলে অর্থও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর পরও গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাঁধটির কোনো প্রকল্পেরই কাজ শুরু হয়নি।
 

একই অবস্থা জগন্নাথপুরের নলুয়া হাওড়ের ভুরাখালী স্লুইস গেটসংলগ্ন বাঁধ এবং হালেয়ার বাঁধেরও। এ দুই বাঁধেও এখন পর্যন্ত কোনো মাটি ফেলা হয়নি। পুরো জেলায় এ রকম আরো কয়েকটি বাঁধ নির্মাণের কথা ছিল। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় শেষ হলেও এখন পর্যন্ত সেগুলোর কাজই শুরু হয়নি। সার্বিকভাবে ৯৮৭টি প্রকল্পের একটিরও কাজ সময়মতো শেষ হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত এসব বাঁধ নির্মাণের ৬৫ শতাংশের মতো কাজ শেষ হয়েছে। যদিও স্থানীয় কৃষক ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, সার্বিকভাবে এখন পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে ৫০ শতাংশের মতো।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ জানান, যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ১৩টি পিআইসির সদস্যদের লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে। এছাড়া কাজের মেয়াদ আরো ১৫ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হিসাব অনুযায়ী, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাওড়ের ৬৫ শতাংশ বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ সদরে ৮০ শতাংশ, বিশ্বম্ভরপুরে ৫৮, জামালগঞ্জে ৭৫, তাহিরপুরে ৭০, ধর্মপাশায় ৭৫, দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ৭০, দোয়ারাবাজারে ৭০, দিরাইয়ে ৬৫, ছাতকে ৫০, শাল্লায় ৫০ ও জগন্নাথপুরে ৬৫ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিবেশ ও হাওড় উন্নয়ন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে ৫৫ শতাংশের কাছাকাছি।

নির্ধারিত সময়ে বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় এবারো হাওড়ের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। গত বছর নির্ধারিত সময়ে বাঁধ নির্মাণ না হওয়া ও নির্মাণকাজে অনিয়মের কারণে অকালবন্যায় তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ হাওড়াঞ্চলের ফসল। গত বছর বৃষ্টি শুরু হয়েছিল মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে। আর শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়া অকালবন্যায় তলিয়ে যায় একের পর এক হাওড়।

হাওড়ে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও ফসলহানির পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে চলতি বছর থেকে বাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারি প্রথা বাতিল করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। চলতি বছর থেকে ঠিকাদারদের বদলে হাওড়ের সব বাঁধের কাজ করছে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে গঠিত পিআইসি। এতে কৃষকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদেরও। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে জেলা ও উপজেলা কমিটি। এবার সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলার ৫৩টি হাওড়ে সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু এবারো নির্ধারিত সময়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, হাওড়ের পানি দেরিতে নামায় এবার কাজে বিলম্ব হচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই সব কাজ শেষ হবে।

অন্যদিকে স্থানীয় কৃষকদের দাবি, পিআইসি গঠনে বিলম্ব, পাউবো ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতা এবং জনপ্রতিনিধিদের পছন্দের লোকদের পিআইসিতে অন্তর্ভুক্তির কারণে বাঁধের কাজে দেরি হচ্ছে। শেষ সময়ে এসে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তারা।

 

 

নির্ধারিত সময়ে বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় কৃষকরা এখন ক্ষুব্ধ। তাহিরপুরের লেদারবন্দ হাওড়সংশ্লিষ্ট কৃষকরা এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভও করেছেন।

তাহিরপুরের বড়দল এলাকার কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, সময় শেষ হওয়ার পর তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে এখন কাজ খুবই নিম্নমানের হচ্ছে। বাঁধের নিচ থেকেই মাটি কেটে বাঁধে দেয়া হচ্ছে। আর শেষ সময়ে কাজ হওয়ায় মাটি শক্তভাবে বসার সুযোগ পাবে না। ফলে বৃষ্টি হলেই বাঁধের মাটি পানিতে মিশে যাবে।

প্রসঙ্গত, দেশের নিচু এলাকাগুলোর অন্যতম হচ্ছে হাওড়াঞ্চল। দেশে মোট বোরো আবাদের বৃহদাংশের চাষ হয় এখানেই। সিলেট জেলা ও তত্সংলগ্ন এলাকায় প্রতি বছর মার্চের দিকে এসে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টি হয় সীমান্তের ওপারের ভারতের মেঘালয় পাহাড়েও। মেঘালয়ের এ পাহাড়ি ঢল হাওড়ের দিকে নেমে আসে মার্চ-এপ্রিলের দিকে। ফলে এ সময় বন্যার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। বন্যার হাত থেকে হাওড়াঞ্চলের উৎপাদিত ফসল রক্ষার জন্য নির্মাণ করা হয় উঁচু বাঁধ। কিন্তু প্রতি বছরই এসব বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বাঁধ নির্মাণে গাফিলতির কারণে ফি বছরই তলিয়ে যায় হাওড়ের ফসল, যা গত বছর ভয়াবহ রূপ নেয়।

সরকারি হিসাবেই গত বছর ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে ১৫৪ হাওড়ের বোরো ফসল তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১ লাখ ৬১ হাজার হেক্টর জমির ফসল। অন্যদিকে কৃষকদের হিসাবে এ ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ।

 

জগন্নাথপুরের নলুয়া হাওড় এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এখানকার ভুরাখালী স্লুুইস গেটসংলগ্ন বাঁধ ও হালেয়ার পতিত বাঁধে মাটিই পড়েনি। বৈশাখী বাঁধের কিছু অংশে মাটির কাজ চলছে। গত বছর প্রথম এ বাঁধ ভেঙেই হাওড়ে পানি প্রবেশ করেছিল বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন। এখানকার স্থানীয় কৃষক আব্দুর রউফ বলেন, এখনো হাওড়ের বাঁধগুলোর কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। গতবার ফসল গেছে, এবারো যদি ফসল তুলতে না পারি, তাহলে না খেয়েই মরতে হবে।

পরিবেশ ও হাওড় উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, আমাদের জরিপ অনুযায়ী এখন পর্যন্ত গড়ে ৫২ শতাংশ বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। এ বছর বাঁধের

কাজ অনেক আগে শেষ করা উচিত ছিল। কারণ প্রকৃতি কখন বিরূপ হবে তার যেমন ঠিক নেই, তেমনি বাঁধ শক্ত হওয়ার জন্যও কিছুটা সময় দরকার।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া বলেন, এখন পর্যন্ত ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

 

তিনি বলেন, সব উপজেলায় এখন মূলত চলছে শেষ দিককার কাজ; যেমন মাটি সমান করা, দুরমুশ করা, ঘাস লাগানোর কাজ বাকি আছে। এবার সবকিছু আগাম পরিকল্পনা করলেও হাওড়ে জলাবদ্ধতা থাকায় বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হতে দেরি হয়, এ কারণে কাজ শেষ করতেও কিছু সময় বেশি লাগছে।

 

কিছু প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব প্রকল্পের কাজই শুরু হয়ে গেছে। এবার প্রকল্পগুলো অনেক বড়। ফলে একদিকে শুরু হলে আরেকদিকে দেখা যাচ্ছে না।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জের ২ লাখ ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। গত বছর আবাদ হয়েছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৫ হেক্টরে।

নেত্রকোনায়ও শেষ হয়নি কাজ: নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও নেত্রকোনার হাওড়াঞ্চলের ফসল রক্ষা প্রকল্পের নির্মাণকাজ ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে আশঙ্কা থেকে গেছে সেখানকার স্থানীয় কৃষকদের মধ্যেও।

নির্ধারিত সময়ে বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া এসেছে জেলা কাবিটা স্কিম মনিটরিং কমিটির সভায়। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী সাতদিনে শতভাগ কাজ শেষ করা হবে।

 

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকতারুজ্জামান বলেন, নেত্রকোনা জেলার হাওড়াঞ্চলে প্রায় ৩৩০ কিলোমিটার ছোট-বড় বাঁধ রয়েছে। তার মধ্যে অতিগুরুত্বপূর্ণ ফসল রক্ষা বাঁধ হিসেবে এ বছর ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ স্বল্প সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা রাখছি।
 

 Courtesy: Bonikbarta Mar 03, 2018

গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচন বিধিমালা আবার সংশোধন


নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

 গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচনের জন্য আবার বিধিমালা সংশোধন করেছে সরকার। লম্বা সময় বিরতি দিয়ে এবারেরটি গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচন করার জন্য তৃতীয় দফা উদ্যোগ। এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে গত বৃহস্পতিবার।
 

নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচনের জন্য একটা কমিশন হবে তিন সদস্যের। একজন হবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্য দুজন নির্বাচন কমিশনার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবেন রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি)। আর দুই নির্বাচন কমিশনার হবেন গ্রামীণ ব্যাংকেরই মহাব্যবস্থাপক। গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান বেছে নেবেন এই মহাব্যবস্থাপকদের।

 নতুন প্রজ্ঞাপনে ভোটারদের পরিচয়পত্র তৈরির একটি নমুনা ফরমের ছক করে দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁদের নাম-ঠিকানা, ক্রমিক নম্বর ও নির্বাচনী স্তরের নাম উল্লেখ থাকতে হবে। তবে কত সময়ের মধ্যে পরিচালক নির্বাচন করতে হবে, তা নিয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় সংখ্যক রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করবেন। রিটার্নিং অফিসারের পরামর্শে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়োগ পাবেন আরও সহকারী রিটার্নিং অফিসার।

 
সরকার গ্রামীণ ব্যাংক (পরিচালক নির্বাচন) বিধিমালাটি প্রথম প্রণয়ন করেছিল ২০১৪ সালের এপ্রিলে। তখন বাংলাদেশ ব্যাংককে ছয় মাসের মধ্যে পরিচালক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ছয় মাস পার হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান পরিচালক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে জানিয়েছিলেন।

 
একই বছরের নভেম্বরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিবর্তে একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজের নেতৃত্বাধীন কমিশন নির্বাচন করে দেবে বলে বিধিমালা সংশোধন করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ সময় কিছুটা কৌশল অবলম্বন করে। কৌশলটা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন গঠনের এক বছরের মধ্যে পরিচালক নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।

 
মাঝখানে তিন বছর পার হলেও কমিশন আর গঠিত হয়নি, নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়নি। এই ফাঁকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণ ব্যাংকের পর্ষদ সদস্যদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। সেই থেকে সরকারের নিয়োগ করা চেয়ারম্যানসহ তিন পরিচালক দিয়েই চলছে গ্রামীণ ব্যাংক। গ্রামীণ ব্যাংকের ১২ সদস্যের পর্ষদের বাকি ৯ জন ঋণগ্রহীতা সদস্য।

 
গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হক গত বছরের জুলাইয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে বিধিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। তারই আলোকে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

 
খন্দকার মোজাম্মেল হক চিঠিতে বলেছিলেন, ‘বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত না হওয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের মতো সংবিধিবদ্ধ একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না, যা আমরা কেউই কামনা করি না। একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ সময় পূর্ণাঙ্গ পর্ষদ না থাকলে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ আটকে থাকে এবং সার্বিক কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।’

গ্রামীণ ব্যাংক (পরিচালক নির্বাচন) বিধিমালার ৫(১) ধারা অনুযায়ী নির্বাচিত পরিচালকদের পদ বহাল রয়েছে দাবি করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ঋণগ্রহীতা পরিচালকেরা, যা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।

২০১১ সালের ১১ মে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে সরে দাঁড়ান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিয়েই চলছে ব্যাংকটি। অর্থাৎ ব্যাংকটিতে পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পর্ষদ নেই ছয় বছরের বেশি সময় ধরে।

 গ্রামীণ ব্যাংকে বর্তমানে ৯০ লাখ সদস্য রয়েছে। আর কর্মচারীর সংখ্যা ২১ হাজার। কর্মচারীরা গ্রামীণ ব্যাংকের বেতনকাঠামো অনুযায়ী বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন। সরকারি বেতনকাঠামো অনুসরণ করেই তৈরি করা হয় গ্রামীণ ব্যাংকের বেতনকাঠামো।

 Courtesy: Prothom Alo Mar 02, 2018

ব্যাংক ডুবিয়ে জাহাজ ভাসালেন তিনি


একরামুল হক,  চট্টগ্রাম

 রাষ্ট্র খাতের বেসিক ব্যাংক ডুবিয়ে শেখ আবদুল হাই বাচ্চু সাগরে ভাসিয়েছেন মাছ ধরার আটটি জাহাজ। বাচ্চুর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান ইডেন ফিশারিজের নামে ছয়টি এবং তাঁর ভাই শেখ শাহরিয়ার ওরফে পান্নার প্রতিষ্ঠান ক্রাউন ফিশারিজের নামে কেনা হয়েছে দুটি জাহাজ। এসব জাহাজের বাজারদর প্রায় ১০০ কোটি টাকা। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন তিনি। আর জাহাজ কোম্পানি খোলেন পরের বছরের ডিসেম্বরে।
 

 সাগরে চলাচল করা মাছ ধরার নৌযান তদারকির দায়িত্ব নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন নৌবাণিজ্য বিভাগের। এই বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, ইডেন ফিশারিজ লিমিটেডের মালিকাধীন ছয়টি জাহাজ হচ্ছে এফভি ক্রিস্টাল-১, এফভি ক্রিস্টাল-২, এফভি কর্ণতরী, এফভি ইডেন-১, এফভি ইডেন-২, এফভি সিলভার সি-০১। ক্রাউন ফিশারিজের মালিকানাধীন জাহাজ দুটি হচ্ছে এফভি স্পিড-১ ও এফভি স্পিড-২। সাগরে মাছ ধরার জাহাজকে ফিশিং ভ্যাসেল বা এফভি বলা হয়।

 
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির সাংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) মাহজাবীন মোরশেদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের ছিল এফভি ক্রিস্টাল-১ ও এফভি ক্রিস্টাল-২ নামের দুটি জাহাজ। ২০১২ সালের ৫ জুন ইডেন ফিশারিজের নামে দুটি জাহাজের মালিকানা স্থানান্তর করা হয়। সাংসদ মাহজাবীন এবং তাঁর স্বামী চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের কাছে বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ২৭৬ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের কারণে স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গত ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রামে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অন্য তিন আসামিদের মধ্যে আছেন বেসিক ব্যাংকের সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ফখরুল ইসলাম, এবং সাংসদ মাহজাবীনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আইজি নেভিগেশন লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ মোজাফফর হোসেন। তবে এই মামলায় বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। এ ছাড়া দিলকুশা শাখা থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়ার কারণে গত ১৭ জানুয়ারি আরও একটি মামলা হয়। এ মামলায় আগের আসামিদের সঙ্গে মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের ছোট ভাই ফয়সল মুরাদ মোরশেদকেও আসামি করা হয়। এই মামলায়ও ছাড় দেওয়া হয় বাচ্চুকে।

 
দুটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলতে চাননি। তাঁর মন্তব্য, তদন্ত চলছে। এর বেশি কিছু বলার নেই।

 
বাচ্চুর কাছে জাহাজ বিক্রি করার বিষয়ে মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম এবং তাঁর স্ত্রী সাংসদ মাহজাবীনের বক্তব্য জানতে এক সপ্তাহ ধরে মুঠোফোনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দুজনের মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে।

 
বাচ্চুর মালিকানাধীন ইডেন ফিশারিজের স্থানীয় কার্যালয় প্রথমে ছিল চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট এলাকার ৩৩১, স্ট্র্যান্ড রোডের মনোয়ার টাওয়ারের তৃতীয় তলায়। বছর দুয়েক আগে কার্যালয়টি আগ্রাবাদের আখতারুজ্জামান সেন্টারের অষ্টম তলায় স্থানান্তর করা হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সেখানে গিয়ে কার্যালয়টি বন্ধ পাওয়া যায়। বাণিজ্যিক এই ভবনের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত এক কর্মী প্রথম আলোকে জানান, ইডেন ফিশারিজের কার্যালয়টি বেশ কয়েক মাস ধরে বন্ধ রেখেছে এর মালিকপক্ষ। তবে কার্যালয়ের ভাড়া পরিশোধ করা হয় নিয়মিত।

 
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ইডেন ফিশারিজের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ (অপারেশন) সালাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পরিচালনাসংক্রান্ত ঝামেলার কারণে ইডেন ফিশারিজের জাহাজগুলো দিয়ে সাগরে আপাতত মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পান্না সাহেবের জাহাজ দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, তাঁদের কোম্পানির (ইডেন) জাহাজ ছয়টি নয়, সাতটি।

 
আবদুল হাই বাচ্চু, তাঁর স্ত্রী শেখ শিরিন আখতার, পুত্র শেখ সাবিদ হাই অনিক ও মেয়ে শেখ রাফা হাই-এর নামে ইডেন ফিশারিজ লিমিটেড খোলা হয়। এ প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ব্যাংকে খোলা হিসাবে মাত্র ১১ মাসেই জমা হয় ১৩ কোটি টাকা। এই তথ্য ব্যাংক সূত্র থেকে পাওয়া।

 
চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গভীর সাগরে মাছ ধরার জাহাজ ইস্পাতের কাঠামো (স্টিল বডি) দিয়ে তৈরি হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের জাহাজ রয়েছে ১১৬টি। গভীর সাগরে এসব জাহাজ একটানা সর্বোচ্চ ২৮ দিন অবস্থান করে মাছ নিয়ে ফিরে আসে। বাচ্চু ও তাঁর ভাই পান্নার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের জাহাজগুলো ইস্পাতের তৈরি। প্রতিটি জাহাজের বর্তমান বাজারদর ১০-২৫ কোটি টাকা।

 
গভীর সাগর থেকে ধরে আনা মাছের পাইকারি ক্রেতাদের সংগঠন কর্ণফুলী ফিশ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু ইউসুফ প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল হাই বাচ্চু ও তাঁর ভাই পান্না পাঁচ-ছয় বছর আগে জাহাজ কিনে সমুদ্রে মাছ ধরছেন। তাঁদের সংগঠনের মাধ্যমেই ওই জাহাজগুলোর মাছ বাজারজাত করা হয়।

 
২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ৪ জুলাই পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন বাচ্চু। তাঁর সময়ে কোনো নিয়মনীতি ও বিধিবিধানের তোয়াক্কা না করে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয় ব্যাংক থেকে। এর আগ পর্যন্ত রাষ্ট্র খাতের সবচেয়ে ভালো ব্যাংক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই ব্যাংকটির এখন ডুবন্ত অবস্থা। বেসিক ব্যাংকে ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের করা ১৮ মামলার কোনোটিতেই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি।

 
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও ব্যাংকটিতে ‘হরিলুটের’ পেছনে আবদুল হাই জড়িত বলে একাধিকবার উল্লেখ করেন। উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

Courtesy: Prothom Alo Mar 02, 2018

 

Political violence kills 13 in Jan, Feb: Odhikar


Staff Correspondent

 At least 13 people were killed and 1,043 were injured in political violence in the country in the first two months of 2018, rights organsiation Odhikar said in its Human Rights Monitoring Report.
The report released on Friday also said that at least 4,836 leaders and activists of Bangladesh Nationalist Party and Jamaat-e-Islami were arrested in February over the verdict of Zia Orphanage Trust case that handed BNP chairperson Khaleda Zia to five years of imprisonment.

The government became extremely repressive on the day of this verdict of Zia Orphanage Trust case and separated Dhaka City from the rest of the country. From the night of 5 February, members of law enforcement agencies started operations in public transport, vehicles, dormitory and residential hotels across the country,’ the report said.
 

The report also said, ‘Apart from mass arrests and suppression, the government has also barred the meetings and assemblies of the left-wing political parties and the opposition BNP.’

Odhikar said besides the political violence and mass arrest, at least 26 people were victims of extrajudicial killings in January and February – 24 became victims of “crossfire” and two were shot to death.

Besides, seven people were victims of enforced disappearance, 11 died in jail and 11 people were victims of public lynching in January and February, Odhikar said.
The report said 115 women were raped, 26 women were sexually harassed, three were victims of acid attack in the two months.

Odhikar said three people were arrested under Information and Communication Technology Act, 18 journalists were injured, four journalists were assaulted and

three journalists were threatened during the two months.
The report said during the two months, three Bangladeshis were killed by Indian border security force BSF and eight were injured and two were abducted by BSF.

Courtesy: New Age Mar 03, 2018

ICG warns of resurgence of militancy in Bangladesh due to hostile politics


Shakhawat Hossain

International Crisis Group (IGC) has warned that the existing Bangladesh’s hostile political environment could lead to a resurgence of jihadist militancy.

 ICG has also urged the government to forge broad social and political consensus and pressed for pursuing more accountability in law enforcement and justice system as well as stopping politically-motivated crackdowns.
 
 

 

In a report released on Wednesday, it said there is a growing risk that Islamist militants will exploit the fallout created by political polarisation with the general elections approaching.

 The study, Countering Jihadist Militancy in Bangladesh, says the lull in violence in recent months ‘may prove as a temporary respite’.

The Bangladeshi jihadi landscape is now dominated by banned outfits, Jamaat-ul-Mujahideen Bangladesh or JMB and Ansar al-Islam, according to ICG.

The state confronted groups responsible for an earlier wave of violence with some success from 2004 to 2008. Subsequently, especially since controversial January 2014 elections, bitter political divisions have reopened space for new forms of jihadist activism,” it read.

 Putting BNP chief Khaleda Zia behind the bars for graft, the organisation said it signals the opening of a new wave of political infighting reminiscent of January 2014 and 2015.

Alleged extrajudicial killings, enforced disappearances and indiscriminate government crackdowns on political rivals are occurring at the expense of a counter-terrorism strategy that is needed to address growing jihadist activism and expanding links to transnational groups like al-Qaeda and ISIS.”

The ICG report says a faction of the JMB appears to have links with the Islamic State and describes Ansar al-Islam as affiliated with al-Qaeda’s South Asian chapter.

 Bangladesh’s recent history of jihadism dates back to the late 1990s with the Afghanistan war veterans returning to the country, the study says.

 It said the ‘first wave of violence’, involving JMB and Harkat-ul Jihad al-Islami Bangladesh or HuJI,B, peaked with the JMB’s August 2005 synchronised explosions in 63 districts.

Successive governments subsequently took action against the JMB’s leadership, but the group has revived itself, albeit in a new form. Another group, Ansar-al Islam, has also emerged, while a JMB splinter – dubbed the “neo-Jamaat-ul Mujahideen” by law enforcement agencies – calls itself the Islamic State-Bangladesh and has funnelled fighters into Iraq and Syria,” reads the ICG report.

 Concluding that contentious politics have played a role in the second wave of violence, the organisation says Ansar-al Islam found the trials of 1971 war crimes as an assault on Islam and perpetrated attacks on secular activists and bloggers, who demanded capital punishment for war criminals.

 The JMB, however, has a longer list of enemies, according to ICG. “It considers perceived symbols of the secular state and anyone not subscribing to its interpretation of Islam as legitimate targets.”

Bangladesh Police have claimed the group played a part in attacks claimed by ISIS on prominent members of minority communities and religious facilities and events, including Ahmadi mosques, Sufi shrines, Buddhist and Hindu temples, and Shia festivals.

An attack on a Dhaka café on 1-2 July 2016 that killed over twenty people, mostly foreigners, appears to have involved loose cooperation between different groups, including both rural-based madrasa students and elite urban young men,” reads the ICG study.

 The IGC report says the ruling Awami League has ‘politicised the threat’ and its crackdowns on rivals undermine efforts to disrupt jihadist recruitment and attacks”.
 
   >HOLIDAY,MARCH 2,2018

JUDICIAL INDEPENDENCE VS. KHALEDA’S CAPTIVITY;What makes BNP chairperson’s detention questionable?


Special Correspondent

 The dispensation of justice not only must be based on fairness, equity and plausibility, it must be perceived to have been fair and plausible too. Since the BNP chairperson Khaleda Zia’s conviction on February 8, and her continuous captivity, the perception about the legality of her continual captivity has been mercurially changing; more so with facts and the procedures relating to the imprisonment of the leader of the country’s main opposition party getting crystalized and connoted by each day, at home and abroad.
 
 

 
Crime vs. punishment

 The so called Zia orphanage trust corruption case, under which Khaleda Zia has been convicted and sent to the prison, relates to a foreign donation of whatever amount, which got transferred under a transparent manner from the PM’s orphanage fund to a private charity called Zia orphanage trust. The transfer deems illegitimate, prima facie; but taken into consideration the donator’s consent — which is the government of Kuwait — the threshold of illegality appears blunted; especially when money was not spent or misappropriated by a third party. Rather, it increased doubly in the account of the Zia orphanage trust. Why then the accusation of gobbling up orphans’ fund?

 Yet, if the crime is ascribed to, and emanated from, the transfer of the fund from the PM’s fund to a private entity, it’s a mistake.

 

Then again, if the donor — the Kuwaiti Embassy in Dhaka — had consented to that transfer in writing, and the intent of the transfer was not to misappropriate, then the act itself doesn’t deserve to call for five years’ of imprisonment of a three- time prime minister and the ‘vanguard leader’ for the restoration of democracy in the country following nine years’ of autocratic military rule in the 1980s. 

 

Judicial independence

 As well, taking into cognizance the realistic parameters within which the entire judicial processing has revolved so far is equally pertinent. For no independent observers within and outside Bangladesh find or found the country’s lower judicial organs visibly, or substantively, independent. This is on record pursuant to the researches and the findings published by national and international observers and monitors.

 Yet, a court is a court; and it must be deemed to have operated based on fairness, plausibility and equity, unless proven otherwise. Above all, this case still being under another tier of judicial proceeding with the higher court, two seminal matters must not get discounted or shelved aside.

 First: Khaleda Zia is not guilty until the highest court of the country attests to that fact and upholds the trial court’s verdict. Second: obtaining bail is a matter of right, not of discretion; especially when the accused person doesn’t pose any ‘flight risk’ to get vanished, or whisked away, from the shackle of the laws.

 

Delay in bail

 Hence, conspicuously discernible from the weird politicking that has been storming the political ambiance is that the government hirelings are up in arms to fracture the BNP in the process; an effort that had failed miserably in the last nine years. And that is why BNP lawyers are accused of professional negligence or misconduct, and the government keeps propagating the offense as ‘heisting of orphan’s fund’ by a former PM who’s ‘thoroughly corrupt and immoral.’

In all fairness, the bail of Khaleda Zia — based on her social stature, age, physical condition and the dubious nature of the crime — should have been instant. Fact is: Those who are adept in delving into the intricacies of the laws are aware how difficult it’s to obtain a favourable judgement on any matter splattered with ‘political toxicity.’

And, in the context of Bangladesh, the trial court that had sentenced the former PM, at a time when the election is only months away, the perception is getting more defiant and incongruent with the facts being dissipated by the government. That’s the problem. Many even ask: why the verdict had to come with a supersonic speed prior to the election when the trial slogged over for nearly a decade?

 

Rule of law and democracy

 The bottom line is: Khaleda’s imprisonment had already dawned in bad omen for the nation. This matter is now at the heart of the discourse centering the prevalence of rule of law, which, by any calculation, is the bed rock of democracy. In a democracy, people must have the right to choose their representations to formulate laws that shall govern the governed.

 Execution of the laws being dependent on, and contingent upon, the fair play of the law enforcers and the judiciary alike, none can vouch that the rule of law in Bangladesh is moored on a footing that can be acknowledged, or attested to,  as being fair; especially in those courts one of which sentenced former PM Khaleda Zia. We say this based on the findings and the observations; not to belittle, defy, or incur contempt of the court. For we are no one to overlook facts that are empirically proven.

 Last but not the least, to conceptualize this dangerous ambiance, one must learn to digest the existentially perceptible, precarious situation which has begun to intrude into the electoral equation at a time when the surviving parliament is bereft of legal representation due to majority of the MPs having been elected uncontested; the main opposition and over 20 other smaller parties being away from parliamentary representations; and, the make shift opposition, the JP, being a loose appendage of the regime by virtue of its members enjoying cabinet portfolios and governing mandates. Accept or not, none of those scenarios and realties are in jibe, or in conformity with, the rule of law and democratic governance.

 

Cleanse the image first

 It’s time these blots and anomalies are rinsed up, spruced, and reformatted by the incumbent leaders to leave behind a nation that not only is governed by rules of law, it’s also construed to be so; perceptually and substantively.

 Lest we forget, the incumbent PM also had over a dozen of similar cases processed against her before she boarded onto the mantle of the PM following the 2008 election, and all of which got quashed by the same brand of judicial organs against which the institution of the Anti-Corruption Commission (ACC), or of the Attorney General (AG), did not make moves to obfuscate the judicial review process in the manner these two institutions have been doing with respect to Khaleda Zia. If the case in concern was initiated by the ACC, the AG had no business to oppose the bail proceedings in person at the court. That’s not how it’s done in civilized societies.

 Being Bangladeshis, we do feel helpless to the incapacitation to steer things to the desired, justifiable direction. Yet, as hard working, conscious citizen of the country, we want rule of law and democracy to shine and shower the depth and breadth of this nation. Let’s not get befooled, and, none should think we will compromise on anything less. Because, that is the way of the predecessors who had gifted us this beautiful nation to savour, sustain and succour.
 
 
   >HOLIDAY,MARCH 2,2018