Search

Wednesday, May 16, 2018

খুলনা সিটি নির্বাচনে পরিবেশ দৃশ্যত শান্ত, তবে সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণে

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়নি। বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ ছিল শান্ত, তবে সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণে। বিভিন্ন কেন্দ্রে জোর করে বুথে ঢুকে ব্যালটে সিল মারা, জাল ভোটের ঘটনাও ঘটেছে। তিনটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। কোথাও কোথাও পুলিশের বিরুদ্ধে দর্শকের ভূমিকায় থাকার অভিযোগ উঠেছে।

প্রথম আলোর পাঁচজন প্রতিবেদক ও তিনজন আলোকচিত্রী ৮০টি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে অন্তত ৬০টি কেন্দ্রেই ধানের শীষ প্রতীকের পোলিং এজেন্টদের পাওয়া যায়নি।

বিএনপির অভিযোগ, আগে থেকেই ধরপাকড় ও হুমকি-ধমকিতে তাদের নেতা-কর্মীরা ছিলেন মাঠছাড়া। বেশির ভাগ কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ঢুকতে পারেননি কিংবা বের করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু সাংবাদিকদের বলেন, জোর করে সরকারি দল জয় কেড়ে নিয়েছে। এটা ছিল কলঙ্কিত নির্বাচন। নির্বাচনের নামে যে প্রহসন হয়েছে, সে সম্পর্কে আজ বুধবার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়ার কথা জানান তিনি। 

তবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেসব বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা জানা গেছে, সেগুলো কাউন্সিলর প্রার্থীদের। সেটার দায় মেয়র প্রার্থী কেন নেবে।’


ভোট গ্রহণ শুরুর পরপর সকালে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি কেন্দ্রে জোরজবরদস্তি বা দখলের খবর এলেও বেশির ভাগ কেন্দ্রে বেলা ১১টা পর্যন্ত মোটামুটি ভালো ভোট হয়। ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল ভালো। কোথাও ধানের শীষের ব্যাজধারী কাউকে দেখা যায়নি। দুপুর ১২টার পর থেকে অনিয়ম ও জাল ভোটের প্রবণতা বাড়তে থাকে। কেবল গণমাধ্যমকর্মী কিংবা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ দল আসতে দেখলে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশকে শৃঙ্খলা রক্ষায় সক্রিয় হতে দেখা যায়। প্রথম আলোর সাংবাদিকেরা যেসব কেন্দ্রে গেছেন, প্রায় সব কটির প্রবেশপথে সরকারি দলের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মীদের শক্ত অবস্থান দেখা গেছে। রাস্তার মোড় থেকে ছিল তাঁদের পাহারা, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও ছিল তাঁদের সতর্ক দৃষ্টি।

সকাল সাড়ে ৯টায় খুলনা জিলা স্কুল কেন্দ্রে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ৪০টি ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকেরা। বিএনপির পোলিং এজেন্ট, সমর্থক ও ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে ঢুকতে না পারেন, এ জন্য ঘেরাও করে রেখে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

সরেজমিন চিত্র

সকাল নয়টায় খুলনা জিলা স্কুল কেন্দ্রের একাডেমিক ভবন-১ ও একাডেমিক ভবন-২-এ গিয়ে দেখা যায়, ১২টি বুথের একটিতেও ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট নেই। অন্য সব প্রার্থীর এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জিলা স্কুল কেন্দ্রের (একাডেমিক ভবন-২) ২ ও ৪ নম্বর বুথে দুজনের জায়গায় নৌকা প্রতীকের পাঁচজন এজেন্ট পাওয়া যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনজন ভুল হয়েছে বলে চলে যান। বিষয়টি অবহিত ছিলেন না বলে জানান ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আতিয়ার রহমান।

সকাল সোয়া নয়টার দিকে একাডেমিক ভবন-১-এর প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইব্রাহীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে ধানের শীষের চারজন পোলিং এজেন্টের একজনও পৌঁছাননি।’


খবর পেয়ে জিলা স্কুল কেন্দ্রের একাডেমিক ভবন-২-এ পৌঁছান নজরুল ইসলাম। তিনি ফোনে ওই কেন্দ্রের তাঁর নির্বাচনী এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তিনি বাইরে গিয়ে একাডেমিক ভবন-২ কেন্দ্রের প্রধান পোলিং এজেন্ট সিরাজুল ইসলামকে সঙ্গে করে কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। এ সময় সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, সকালে তিনি কেন্দ্রে ঢুকতে গেলে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা তাঁকে ভয় দেখান এবং চলে যেতে বলেন।

মঞ্জু যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন রেহানা মর্তুজা নামের একজন নারীসহ ছয়-সাতজন যুবক এসে হইচই শুরু করেন। রেহানা মর্তুজা নিজেকে একজন সাধারণ নাগরিক দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, মঞ্জু এই কেন্দ্রে একটা ভোটও পাবেন না। তাই তিনি মিথ্যা কথা বলছেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মঞ্জু সেখান থেকে চলে যান।

জোর করে সিল, ভোট সাময়িক বন্ধ

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের বাড়ির পাশের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতিমা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রেও বিএনপির প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রে যেতে পারেননি। এই কেন্দ্রের ১ নম্বর বুথে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জন যুবক জোর করে ঢুকে নৌকা ও ঘুড়ি প্রতীকের ব্যালটে সিল মারতে থাকেন। পরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এই বুথে ভোট গ্রহণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখেন।

১ নম্বর বুথের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রীতেশ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সাহায্য চেয়েছি, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। তারা ৪৫টি ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছে।’

খবর শুনে মঞ্জু সেখানে আসেন। টেবিলের ওপর নৌকা প্রতীকে সিল মারা একটি ব্যালট তিনি সাংবাদিকদের দেখান। এ সময় ঘুড়ি প্রতীকের আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে সরকারি দলের কর্মীরা কেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে জটলা পাকান। সেখানে দাঁড়িয়ে আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছিল। উনি (মঞ্জু) এসে গ্যাঞ্জাম করছেন। নৌকায় সিল মেরে এখন সাংবাদিকদের দেখাচ্ছেন।’


দুপুর ১২টার পর নগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্লাটিনাম উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদের সঙ্গে বিদ্রোহী দুই প্রার্থীর মধ্যে হাঙ্গামা দেখা যায়। একপর্যায়ে সিবিএর সভাপতি কাওসার আলী মৃধাকে পুলিশ মারধর করে। এ ঘটনায় কিছু সময় ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। বেলা একটার পর আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক সেখানে যান। তিনি ওই কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

তালুকদার আবদুল খালেক কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পরপরই প্লাটিনাম উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ অংশের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শেখ আবু মো. মুশফেকুল মোর্শেদের উপস্থিতিতে দুটি বুথে ৮-১০ জন নৌকা-সমর্থিত কর্মীকে জাল ভোট দিতে দেখা যায়। কয়েকজন সাংবাদিক জানালা দিয়ে এ দৃশ্য দেখলে ওই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সরিয়ে দেন। 

বেলা সোয়া একটার দিকে প্লাটিনাম উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তর অংশের কেন্দ্র থেকে শিল্পী নামে ধানের শীষের এক নারী পোলিং এজেন্টকে হুমকি-ধমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুমন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি শুনেছি, পোলিং এজেন্ট চলে গেছেন।’

দুপুর ১২টার দিকে লবণচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায়, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে সিল মারছেন কয়েকজন নারী। সাংবাদিকের সামনেই নৌকার প্রতীকের পাশাপাশি ঝুড়ি প্রতীকেও সিল মারতে দেখা যায় তাঁদের। সেখানে থাকা সব ব্যালটেই সিল মারেন তাঁরা। পরে ওই কেন্দ্রটির ভোট গ্রহণও স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

সাড়ে ১২টার দিকে ওই এলাকায় থাকা ইব্রাহীমিয়া এতিমখানা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তাকর্মীদের পাহারা নেই। নৌকার ব্যাজ পরা কয়েকজন পাহারা দিচ্ছেন সেখানে। বেলা দুইটার দিকে আবার ওই কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোনো ভোটার নেই। বুথের সামনে রয়েছেন কয়েকজন নৌকার প্রতীক লাগানো যুবক। 

বিএনপি প্রার্থীর একজন এজেন্ট জানান, ব্যালট পেপার শেষ। কয়েকজন ভোটার অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর ভোট দিতে না পেরে চলে গেছেন। তবে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. শাহাবুর ইসলাম দাবি করেন, তাঁদের কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। ব্যালট পেপারও আছে।

কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার সময় গেটের সামনে নৌকার ব্যাজ লাগানো কয়েকটি ছেলে হাসতে হাসতে বলেন, এই এলাকার মানুষ খুব সচেতন। এ কারণে তাড়াতাড়ি ভোট দিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।

ভোট স্থগিত

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জোর করে ব্যালটে সিল মারার কারণে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবালনগর সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।

ইকবালনগর সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক জোর করে ঢুকে পড়েন। তাঁরা কেন্দ্রের ৭ নম্বর বুথে ঢুকে ব্যালট পেপার নিয়ে সিল মেরে ভোট বাক্স ভরতে থাকেন। পরে সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা খলিলুর রহমান কেন্দ্রে ভোট স্থগিতের ঘোষণা দেন।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা খলিল প্রথম আলোকে বলেন, তিনি পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। পুলিশ এসেছিল। কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটা তাঁর জানা নেই।

এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় কেন্দ্রে একদল যুবক ঢুকে ব্যালটে সিল মারতে থাকেন। তাঁরা আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানের নির্বাচনী প্রতীকে সিল মারতে থাকেন। প্রায় আধা ঘণ্টা তাঁরা ব্যালটে সিল মারেন। এরপর পুলিশ এলে তাঁরা চলে যান। পরে দুইটার দিকে কেন্দ্র স্থগিত করা হয়।

ভোট দিল দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে

নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের নুরানি বহুমুখী মাদ্রাসা কেন্দ্রে অনেক জাল ভোট পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে জাকারিয়া নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণ দলের এক সদস্যকে অপদস্থ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কেন্দ্রটিতে দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, এস এম মনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি শিশুপুত্রকে নিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বের হচ্ছেন। বাবা-ছেলের দুজনের হাতের আঙুলে ভোট দেওয়ার সময় লাগানো অমোচনীয় কালি ছিল। কারণ জানতে চাইলে মনোয়ার বলেন, ‘আমার ছেলেও ভোট দিয়েছে।’ ছেলে স্থানীয় কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র বলে জানালেন তিনি। 

ছেলেটি জানায়, ‘নৌকায় ভোট দিয়েছি। টিপু আঙ্কেলকে ভোট দিয়েছি (আওয়ামী লীগের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আলী আকবর টিপু)।’

ভোটার আছেন, ব্যালট শেষ

দুপুর ১২টা বাজে তখন। ভোটাররা ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে রূপসা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু ভোট দিতে পারছেন না। ব্যালট পেপার ফুরিয়ে গেছে জানিয়ে তাঁদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।

এই প্রতিবেদক ওই কেন্দ্রে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাউকে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার নিয়ে আসতে দেখেননি।

ওই কেন্দ্রে নির্বাচন কার্যক্রমে থাকা একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একদল যুবক কেন্দ্রে ঢুকে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টকে বের করে দেন। এরপর তাঁরা ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে সিল মেরে বাক্সে ভরে দেন। দুপুর ১২টার দিকে ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে এলে তাঁদের বলা হয়, ব্যালট পেপার শেষ হয়ে গেছে। ব্যালট পেপার আনতে লোক পাঠানো হয়েছে। 

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. ইবনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কিছু বহিরাগত জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে। অল্পসংখ্যক ব্যালট পেপারে সিল মেরে তারা বাক্সে ফেলেছে। এ জন্য সাময়িকভাবে ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।

এদিকে, ভোট শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে সকাল পৌনে আটটায় ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের রূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট সেলিম কাজীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।

খালিশপুর এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুলিশ ব্যস্ত ছিল সরকারি দলের কর্মীদের সহায়তা করতে। গণমাধ্যমকর্মী ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হলে তাঁরা সতর্ক করে দিচ্ছিল। সাংবাদিক প্রবেশ নিয়েও বাড়াবাড়ি করেছেন পুলিশের সদস্যরা। 

অন্য প্রার্থীরা যা বললেন

চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনের মেয়র পদপ্রার্থী মোজ্জাম্মিল হক প্রথম আলোকে বলেন, এই নির্বাচন অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। জাতীয় পার্টি (জাপা) এস এম শফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনে ভয়ভীতিসহ নানা রকম সমস্যা ছিল। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) মেয়র পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে আক্ষেপ করে বলেন, এই নির্বাচনে তালুকদার খালেক মেয়র হবেন, কিন্তু হারালেন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন।

  • (প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন টিপু সুলতান, সেলিম জাহিদ, মোর্শেদ নোমান, শেখ আল-এহসান ও উত্তম মণ্ডল)
  • প্রথম আলো/ মে ১৬, ২০১৮

Khulna city polls see irregularities in many centres

BNP candidate demands re-polling in 101 centres


Awami League mayor candidate Talukder Abdul Khaleque has won big in yesterday's Khulna City Corporation polls, marred by irregularities such as heavy showdown by the ruling party in and around polling stations, ballot stuffing and driving out polling agents of rival group.

As of 2:30am today, results from all the 286 polling centres show Khaleque got 1,74,851 votes while his rival from the BNP Nazrul Islam Monju bagged 1,09,251 votes, according to the unofficial results announced by Returning Officer Yunus Ali.

Voters' turnout was 62.19 percent, Yunus said.

With this wins, Khaleque, who resigned as an MP to contest the polls, has sweep back as the city mayor for a second time. In the last polls in 2013, the AL leader lost to BNP-backed candidate Moniruzzaman Moni, the incumbent mayor.

In the 2008 polls during the emergency rule, Khaleque won the mayor polls in Khulna city, considered a BNP stronghold. BNP leaders won three of the four mayoral polls there since the first election in 1994.


Soon after the voting ended, Monju alleged of "huge rigging" at 101 centres and demanded re-election there.

He made the call when Returning Officer Yunus Ali was announcing the unofficial results from the control room at Divisional Women's Sport Complex in the city's Sonadanga area.

Khaleque thanked the prime minister for his victory. "I will work for the development of the city people and resume the unfinished jobs on a priority basis."

SHOWDOWN, BALLOT STUFFING, INTIMIDATION 

No incident of major violence took place during the voting that lacked festivity because of an intimidating atmosphere created by the AL men soon after voting began at 8:00am.

Law enforcers were present in large numbers, but they mostly played the role of silent observers, as AL men in some stations violated election rules at will.










A man rips ballot papers from a ballot book at a polling booth at Fatima High School, around half a kilometre away from the home of Awami League mayoral candidate Talukdar Abdul Khaleque, during the Khulna city polls. The man later stuffed the ballot box. The photo was taken around 1:15pm yesterday. Photo: Amran Hossain

The day started high on hopes of a fair election. But before long, the optimism faded.

Four correspondents of The Daily Star visited at least 60 polling centres and saw how AL men exercised their power to influence voting in many of them.

Wearing badges of boat, the election symbol of Khaleque, the AL men took position outside, at the entrance and inside many polling stations. They barred voters from entering centres and openly asked them to vote for Khaleque.

At some stations, they snatched ballot papers from the voters and were seen casting votes on those. In some cases, presiding officers and assistant presiding officers helped them.

For example, at Platinum Secondary School centres in ward-11, a large number of people forcefully entered two voting booths around 12:45pm, and cast votes.

SM Morshed Ul Morshed, presiding officer of one of the voting centres, said, "We are trying to oust them. We informed the police about the matter."

One reporter of The Daily Star was present at Maulana Bhashani Bidyapith centre in Khalishpur Residential Area under ward-10 for more than one hour from 11:30am. Voter presence was very thin at the time.

But the presiding officer said 60 percent of the 1,508 voters had already cast their votes by noon.

Around 3:00pm, a large number of AL supporters were chanting slogans at Mollapara Government Primary School centre.

Some of the slogans were: "Vote only for boat”; “voters of BNP go back home"; and "there will be no existence of sheaf of paddy” (electoral symbol of Monju).

At the entrance to the centre, one youth was heard saying: "We will bring an end to Monju's politics in Khulna."

Pioneer Higher Secondary School centre in ward-25 was teeming with AL men inside and outside, which is a violation of the electoral code of conduct.

Two reporters of this newspaper saw seven to eight youths enter one booth and put seal on ballot papers.

Presiding Officer Ataur Rahman said he was outside the centre at the time. "Let me look into the matter."

Shamim Mahmud, presiding officer of another centre in the same school, was indifferent to the presence of AL men in large numbers. No agents of the BNP candidate were in sight.

Similarly, a huge number of AL supporters were present at Panchtala Bayashka Madrasa centre. But no BNP agent could be seen. Even the presiding officer was not found during a visit to this centre around 11:00am.

At Siddikia Kamil Madrasha vote centre premises, Mahmuda Rahman, aged over 60, lamented that she could not vote.

"Some people wearing badges of boat snatched away my ballot paper and cast my vote," she said.

At Darul Quran Siddikia Kamil Madrasha polling centre in ward-25, Presiding Officer Shayamoli Bepari herself cast ballots, voters alleged.

Asked, Shayamoli said, "It was nothing like that. Voters were having difficulties casting ballots and I just helped them."

Law enforcers were seen gesturing the ruling party men to move away in silence when journalists were visiting the centre. There was only one agent of the BNP candidate.

At Nurani Multipurpose Madrasa, also in ward-25, an election official caught one AL supporter putting seals on the ballot paper, said Presiding Officer Mizanur Rahman.

At Khulna Newsprint High School (girls section) polling station, male voters were seen taking female voters with them to female polling booths “to help them cast their votes” at 12:30pm. 

Suresh Chandra Gain, presiding officer, said they requested the male voters to leave the polling station.

"But they didn't leave the polling centre. Instead, they harassed us."

Voting at Rupsha Bahumukhi High School centre stopped around 11:00am as the presiding officer said they ran out of ballot papers.

Asked why and how so, he could not give a satisfactory answer.

Shariful Islam, a voter of the centre, said he went to vote in the morning but he was told that his vote was already cast. "I went there again at noon and they told me the same.”

In BK Union Institution polling station at Benibabu road, several people were seen wearing journalists' pass issued by the election commission and taking voters inside the polling booths around 2:00pm.

One of them was Anisur Rahman, who introduced himself as a reporter of Desh Songjog from Dhaka.

Pressed, he got angry and said, "Go outside the polling station, or you will be in trouble."

VOTING SUSPENDED IN 3 CENTRES

Voting was suspended in Iqbal Nagar Secondary Girls School, Lobonchora Govt Primary School (ground floor) and Lobonchora Govt Primary School (first floor) due to ballot stuffing allegedly by ruling party men, said Returning Officer Yunus Ali.

Khalilur Rahman, presiding officer of Iqbal Nagar Girls School, said some 25 to 30 youths stormed a booth and started stuffing ballots around 10:30am.

"Having failed to stop them, we had to suspend voting," he said.

Asked about the identity of the youths, he said they were wearing badges of boat.

The youths were stuffing ballots without the signature of the assistant presiding officer, he added.

“We have collected all the ballots and reported the incident to the election control room at the Election Commission.”

The presiding officer said he did not get any support from police despite seeking help.

Contacted, Sonali Sen, additional deputy commissioner of Khulna Metropolitan Police, said they would investigate the incident.

Around 12:00noon, people who were wearing badges of boat distributed sweetmeats at this centre following the suspension of voting.

The returning officer said that fresh voting in the three centres was not necessary as there are only 5,831 voters in these centres. “It will not be a decisive factor anymore.”  

FEW BNP AGENTS

Polling agents of Monju were not seen in many of the 60 polling centres The Daily Star visited.










Md Shafiqul Islam cannot cast his vote at Rupsha Bahumukhi High School polling centre as his vote had already been cast by someone else. Photo: Amran Hossain

The BNP alleged their agents were not allowed into the centres. In some cases, they were driven out by AL supporters.

Monju alleged "mass vote rigging" by the ruling party men.

"They [AL men] occupied most of the voting centres and drove out our men. The Election Commission is silent in this regard."

Within the first hour, ruling party men threw out BNP's agents from at least 30 polling centres, he alleged.

He demanded re-election in 101 polling stations.

AL candidate Khaleque claimed voting was held peacefully.

Meanwhile, ruling party men allegedly vandalised several election camps of Monju.

A group of 40-50 AL men vandalised Monju's tent near Sonapota Government Primary School on Sher-e-Bangla road around 10:30am, Hafez Abul Bashar, special secretary of BNP, Khulna unit, told The Daily Star.

In another incident, an observer of the Election Commission from Dhaka was assaulted by supporters of Khaleque at a polling centre.









Polling officials and agents of mayor and councillor candidates sit back as there are no voters at a polling booth at Khulna Zila School during the city polls around 9:30am yesterday. Photo: Amran Hossain

The EC official barely managed to come out of the Nurani Bahumukhi Madrasa Biddaloy polling centre after the assault, he told journalists at the spot around 9:50am.

The supporters also tried to vandalise the vehicle of the EC official, who requested anonymity, at the poling centre.

  • The Daily Star/May 16, 2018

Irregularities, power play mar KCC election


Mohammad Jamil Khan





It was a vote of the ruling Awami League in Khulna City Corporations Tuesday, May 15, exercising power play, as far as seen on the field throughout the city.

This correspondent was reporting the latest situation of the election around noon the day after visiting 12 voting centres across five wards in the city.

The morning started out calm and serene in Khulna city around 7:30am and there were only a handful of people when voting began at Coronation Higher Secondary School.

A while later, allegations of mass rigging by ruling party men surfaced at Pioneer school. The Daily Star found one man casting ballot when his face did not match that of the database.

Presiding Officer Ataur Rahman, a presiding officer of a voting centre in the school said such incident is happening everywhere. “We are looking into the matter.”

Sanjoy Saha, an assistant presiding officer, however, defended the incident by saying that “these people knew their ID card number”.

Presiding Officer of this centre, Shamim Mahmud, was indifferent to the Awami League men who were inside the polling rooms displaying agent identification cards. No opposition BNP polling agent could be seen in sight.

Serious allegations surfaced at Darul Alam Siddiquia Madrasa, also in Ward 25, where voters claimed the presiding officers were casting their votes.

Asked about it, Assistant Presiding Officer Shyamoli Bepari told The Daily Star: “It was nothing like that. The voters were having trouble casting the ballot, I just helped them.”

Also, the lawmen were seen gesturing to the Awami League men to move away in silence when journalists were visiting the centre. There was only one agent hanging the BNP identification in this polling centre, who could not give satisfactory answers about his identity.

In Nurani Multipurpose Madrasa, also in Ward 25, an election commissioner caught one Awami League supporter rigging votes and an altercation ensued. Presiding Officer Mizanur Rahman admitted to The Daily Star of such an incident.

However, ruling Awami League men drove out all journalists from the centre soon after any of them could learn of anything more. “Voting is peaceful here. You don’t need to stay here any longer,” said a group who were flexing muscles.

Oddly enough, this correspondent could not find the presiding officer at Panchtala Bayashka Madrasa when he moved on to Ward 11 next. The centre was teeming with ruling Awami League supporters, and not a BNP agent could be seen.

At Platinum Secondary School, under Ward 11, where there were two separate centres, a large number of people were seen trying to enter forcefully and cast votes. Some even succeeded.

Law enforcers managed to remove most of them.

SM Morshed Ul Morshed, presiding officer of one of the voting centres, admitted that the votes were being illegally and forcefully cast. “We are trying our best to hold peaceful polls.”

“Actually, general people are not coming to cast their votes and that is what is causing the problem. We are trying to remove outsiders best as we can,” said Bhashkar Saha, assistant commissioner of Khulna Metropolitan Police.

Surprisingly also, Presiding Officer Gosto Biswas said 60 per cent of the 1,508 voters had already cast their votes at Mawlana Bhashani Bidyapith at Ward 10 by noon. There was, however, found very thin attendance at the spot.

In total, this correspondent visited 12 voting centres across Ward 13, 25, 10, 11, and 19 and found two common trends: all of them were filled with ruling Awami League agents and not one of them had a genuine BNP agent during voting.

Source —  The Daily Star 

Tuesday, May 15, 2018

Three-fourths of BD workers employed in vulnerable jobs

Rising temperature to cut productivity: ILO report


About 75.2 per cent workers of Bangladesh's total labour force are employed in vulnerable jobs and the majority of them have own-account status, according to the latest International Labour Organization (ILO) report. The new ILO report titled 'World Employment and Social Outlook 2018: Greening with Jobs' launched Monday defines workers in vulnerable employment as the sum of 'own-account' workers.

Vulnerable employment is often characterised by inadequate earnings, low productivity and difficult conditions of work that undermine workers' fundamental rights.

They are less likely to have formal work arrangements, and are, therefore, more likely to lack decent working conditions, adequate social security and 'voice' through effective representation by trade unions and similar organisations.

Some 14 million new jobs would be created in Asia and the Pacific by 2030 if the right policies to promote a greener economy are put in place with gains in fields of renewable energies, construction, manufacturing and sustainable agriculture, it said.

The report's Employment and Environmental Sustainability Fact Sheets 2017: Bangladesh part revealed that as of 2017, the labour force participation rate is 62.3 per cent and the employment-to-population ratio is 59: 8.

Formal employment in Bangladesh is heavily reliant on agriculture and services and on medium-skilled occupations, it said.

Quoting ILO Deputy Director-General Deborah Greenfield, an ILO statement said "The findings of our report underline that jobs rely heavily on a healthy environment and the services that it provides. The green economy can enable millions of people to overcome poverty, and deliver improved livelihoods for this and future generations. This is a very positive message of opportunity in a world of complex choices."

Heat stress is another concern in the region, as rising temperatures impact the health of workers and reduce worker performance, the report said adding Southern Asia could face productivity losses equivalent to 4.8 per cent, corresponding to around 40 million full-time jobs as a result of rising temperatures. "Agriculture workers will be the most affected," it said.

According to the report, globally, action to limit global warming to 2 degrees Celsius will result in sufficient job creation to offset the expected job losses of 6.0 million in traditional energy sectors.

  • Courtesy: The Financial Express /May 15, 2018

Economists seek fiscal measures to combat illicit money outflow

Pre-Budget Parley

Demand comprehensive reforms to the financial system  


The national budget for the next fiscal year (FY) should have adequate measures to protect external account and reduce income inequality for the country's overall socioeconomic stability, economists, businesses and professionals said on Monday.

Fearing the possibility of capital flight in the fiscal year when the upcoming national election will take place, they sought necessary fiscal measures to combat illicit money outflow.

Calling for enhancing institutional capacity and skill development of human resources, they also demanded comprehensive reforms to the country's financial system to ensure proper distribution of resources and governance as a whole.

To attract more FDI (foreign direct investment), they suggested rationalising the existing corporate tax structure and prevent the option of multiple taxation for businesses.

Besides enhancing the tax-GDP ratio, they also highlighted the importance to further intensify efforts to settle disputes pending with the court where a considerable volume of money stuck up.

The suggestions came at a pre-budget discussion meeting jointly organised by Bangla daily Prothom Alo and ICAB (The Institute of Chartered Accountants of Bangladesh) at ICAB Council Hall in the city.

Speaking at the event, distinguished fellow of Centre for Policy Dialogue (CPD) Prof Mustafizur Rahman said the government should formulate such a budget that will ensure overall socioeconomic stability in the year of national election.

"Our external account is already under pressure in the election year. We've to be cautious so that it (external account) would not collapse. We should also remain alert to prevent anyone involved in capital flight through over invoice and under invoice," he said.

About the corporate tax, he said two-thirds of direct taxes come from corporate tax and the revenue board is far below the revenue target for the current fiscal year.

"FDI will not come by only reducing corporate tax. Many other factors are involved with this. It (such tax) can be reduced in a staggered way," he said.

BIDS senior research fellow Dr Nazneen Ahmed was critical over the sudden hike in bank interest rate, saying that many people cited liquidity shortfall for the interest rate enhancement.

"Simply the economics say liquidity imbalance will push up call money rate, not interest rate. There is no such shortfall…some banks did something wrong," she said.

According to her, to tackle the situation, the advance deposit ratio (ADR) was increased that pushed up interest rate. Then, the authority slashed CRR (cash reserve ratio) rate, which is supposed to add Tk 100 billion to the economy to date.

"Then, why the interest rate did not come down? Some bank owners are getting benefits of all these. We need to look over that," she added.

Moderating the discussion, ICAB council member Md Humayun Kabir said people are not interested to go to the government banks despite having enough liquidity surpluses.

"The board and the management are inefficient or something is wrong there. People like to go to the private banks even having no deposit there," he said.

Blaming the Bangladesh Bank, he said a vested group suggested reducing ADR in the monetary policy in the name of national election. "You should ask and make them responsible. BB's wrong decision is responsible for such problem."

Bangladesh Merchant Bankers Association (BMBA) first vice-president Muhammad Ahsan Ullah said there should have a kind of tax benefit for the long-term investors (for two-three years) in the upcoming budget to bring stability in the market.

He said three major intermediaries - asset management, brokerage house and merchant bank - have different rates for corporate tax ranging from 15 per cent to 37.5 per cent.

"It needs to be rationalised," he added.

Former NBR chairman Dr Muhammad Abdul Mazid said state-owned enterprises (SoEs) did not pay tax on their profits, which was one of the reasons for the revenue mismatch. He suggested changing the fiscal timeline from January to December for better progress in various projects.

BGMEA president Siddiqur Rahman said the budget should be based on the employment. He was also critical of the 15 per cent VAT and instead suggested 5 to 7 per cent. He also laid emphasis on quality in executing development works.

Speaking as the chief guest, Dr Shamsul Alam, Member (Senior Secretary), General Economics Division (GED), Planning Commission said the size of the upcoming budget should not be treated as overambitious as it would be 15 to 17 per cent of the country's GDP.

He suggested standard auditing and accounting in all enterprises for financial accountability and governance. "We also put emphasis on inflation in the coming budget and we want to keep its rate by 5.6 per cent."

Former adviser to the caretaker government Rasheda K Chowdhury and former chairman of Securities and Exchange Commission (SEC) Faruk Ahmad Siddiqi, among others, spoke at the discussion meeting.
  • The Financial Express / may 15

Monday, May 14, 2018

Bangladesh satellite tender corruption exposed




The Bangladesh government has in the last few days launched the country's first satellite, named Bangabandhu-1. 

Back in May 2012, I wrote a series of three articles for the Bangladesh daily newspaper, The New Age about how the whole process started with a corrupt tender process that resulted in a small US company receiving a $10 million consultancy contract when it did not meet the most basic tender requirements.  

Since the newspaper's website before 2016 is no longer online, I am publishing the articles again here. Below is the first of the three reports, published on May 17, 2012. The other two will be published in the next few days
----
US ‘Bangabandhu’ space satellite winning company not meet minimum tender requirements 



By David Bergman/ New Age/ May 17, 2012   
The small US company that won a $10 million consultancy contract to assist in the launch of Bangladesh’s first space satellite, Bangabandhu-1, beating some of the largest satellite companies in the world, failed to meet a number of minimum requirements that should have prevented it from even participating in the tender, New Age can reveal. 

The paper’s inquiries have also found that Bangladesh Telecommunications Regulatory Commission’s chairman misled a procurement review tribunal, set up following an appeal by one of the losing companies, into believing that the winning company Space Partnership International was in a ‘joint venture’ with another company that did meet those requirements.

The $10 million deal was signed in March 2012, by Major General Zia Ahmed, the chairman of Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission and Bruce D Kraselsky, the managing director of Space Partnership International.


The ceremony in Dhaka took place in the presence of the US ambassador Dan W Mozena.
 

On 11 November 2011, the director general of BTRC sought ‘expression of interests’ from international consultancy firms interested in obtaining a contract to assist it in the ‘entire process’ of launching a satellite named Bangabandhu-1. 

BTRC received 31 applications. Following consideration of the nine criteria set out in the expression of interest document, an evaluation committee shortlisted seven bidders who were then each invited to respond to a ‘request for proposals.’

One company that should have been excluded at this point from proceeding to the second stage was Space Partnership International, the eventual winner of the tender.

The expression of interest document states that ‘any firm’ that wishes to participate in the tender ‘should have at least fifteen years of experience in the industry’, ’a successful record in providing consultation for at least ten satellites’, and ‘direct experience with various spacecraft platforms from several spacecraft manufacturers.’

Space Partnership International was however only registered as a company in the US state of Delaware on 24 November 2009. This is less than a year before the expression of interest was published.


In this short period, the company could not have fulfilled these other two requirements.

The Bangladesh Telecommunications Regulatory Commission argued that Space Partnership International was eligible to apply as it was in a ‘joint venture agreement’ with another US company, RKF Engineering Solutions Ltd, which has ‘the requisite experience of a minimum of 15 years’.

The BTRC was referring to a provision in the Public Procurement Regulations 2008, which suggests that if two of more companies come together in a ‘joint venture, consortium or association,’ the qualifications of any one of the partners to the joint venture can satisfy any particular tender requirement.

However, both of the companies which BTRC claim were together in the joint venture have admitted to New Age that they are not part of any such arrangement.

Phil Rubin, RKF’s President and Chief Executive Officer, on the phone from the United States, said that his company was, ‘not in a joint venture with Space Partnership International. We are simply a sub-contractor.’
 

Furthermore, during a recent trip to Dhaka, Bruce Kraselsky, one of the founders of Space Partnership International, also said that his company was not part of a joint venture, ‘We have a strategic relationship [with RKF Engineering Solutions]. We are not in a joint venture. Space Partnership International is the prime contractor for this contract. RKF Engineering is a sub-contractor on this project’. 

Unlike companies in joint venture agreements, the qualifications of a subcontractor cannot satisfy a requirement imposed upon the main applicant. 

It is unclear why BTRC thought that there was a joint venture agreement.

In the letter of invitation drafted by the BTRC and which lists the names of each of the seven applicants who had won through to the next round, only the name ‘SPI, USA’ is mentioned. There is no mention of ‘RKF engineering’ which would have been expected were it part of a joint venture.

In addition, in its subsequent detailed application to BTRC, parts of which have been seen by New Age, Space Partnership International did not claim that it was in a joint venture. It instead referred to RFK Engineering as being, along with four other businesses, one of ‘its team of partners.’

Furthermore, according to rule 54 of the Rules of Procedure 2008, if the two companies were applying as a joint venture, they would have had to provide BTRC either a joint venture agreement ‘signed by all legally authorized representatives’ or a ‘letter of Intent’ to execute such an agreement signed by all partners together with a copy of the proposed agreement.

However, according to the two companies themselves, this was not done.

Moreover, inquiries by New Age can confirm that even if the two companies had been in a joint venture, RKF Engineering Solutions experience could not have been sufficient to meet the 15 years’ minimum required.
 

RKF Engineering Solutions was registered as a company in Delaware on December 20, 2002, only nine years before the publication of the BTRC expression of interest.

On its website RKF Engineering’s says that it ‘evolved’ out of another firm Rubin, Bednarek and Associates which was founded in 1983 with some staff moving from one firm to another. However as the two businesses were separate legal entities, the years that Bednarek and Associates existed cannot be added to those of RKF Engineering.

New Age can also reveal that BTRC gave false information to a procurement review panel. The panel was set up by the Control Procurement Technical Unite when another applicant in the tender process Globecomm Systems Inc complained about the integrity of the tender process.

The BTRC’s chairman Zia Ahmed claimed in a signed statement to the tribunal that ‘SPI, USA has submitted its technical and financial offer for the said RFP in joint venture with RKF-Engineering Inc … [which] has the requisite experience of a minimum of 15 years.’
 

This was not correct information; there was no joint venture agreement and, even if there were, RKF Engineering Solutions only had nine years of experience. 

It was on the basis of this factually inaccurate submission that the procurement review panel ruled that Space Partnership International’s application met the criteria. 

The BTRC chairman told New Age that, ‘There was an [evaluation] committee. They had gone through all the documents. And they have recommended. They have gone through each and every document of each and every applicant. Each and every company has given their documents to satisfy the expression of interest.’ 

When asked whether he personally had misled the procurement committee, he said that, ‘The [review panel] has gone through whatever we submitted to them and [the review panel] has given whatever their comments to the government. They have listened to us and listened to Globecomm.”

Md. Rezaul Quader, a senior member of the committee that shortlisted the seven applicants including Space Partnership International when he was a BTRC Director General, told New Age that, ‘At present I have no idea what happened. I can’t remember as the papers are not with me now. But this matter was solved, there was a joint venture or something like that with another big company and they are the people that now come to Bangladesh all the time. ‘
 

Bruce Krazelsy, the managing director of Space Partnership International told New Age that, ‘I think the contract could be interpreted in different ways. Each of the key employees that were part of the bid, I think there was ten, each of them had more than 30 years experience.’ 

‘RKF Engineering has been in business for more than 15 years and the level of expertise that they have is even greater than ours which is 30 years plus. Companies morph and change and grow all the time, the continuity of the people is really the essence of what we have,’ he added. 

‘We are confident that the selection process was conducted properly and that we were selected because we were the most qualified.’ 

He however failed to respond to detailed questions about how Space Partnership International met the tender qualification when the ‘firm’ only had one year’s experience and it was not a joint venture with a company that did meet the conditions set out in the expression of interest.

  •  David Bergman is a British human rights activist[3] and investigative journalist based in Bangladesh. 


Source   Bangladesh Politico

বাংলাদেশী পতাকাহীন বঙ্গবন্ধু উপগ্রহটির বাণিজ্যিক সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ





বাংলাদেশের পতাকাহীন ১৫ বছরের আয়ুস্কাল ও ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগান সংবলিত ৩,৫০০ কেজির প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ, বঙ্গবন্ধু-১ নিজস্ব ভূখণ্ড থেকে ৩০ ডিগ্রি পূর্বে প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় তার কক্ষপথ ১১৯.১ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে স্পেসএক্সের ফ্যালকন রকেট ৯-এর মাধ্যমে স্থাপিত হয়েছে। 

বাণিজ্যিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মঙ্গোলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উপগ্রহগুলোর কথা ধরলে বাংলাদেশের সে প্রয়াসটি কতখানি অর্থনৈতিক ফলপ্রসূ হবে, সেটি প্রশ্ন। কেননা যে ১১৯.১ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশের কক্ষপথে ‘বঙ্গবন্ধু-১’ উপগ্রহটি প্রতিস্থাপিত হয়েছে, তা যেমন একদিকে নিজস্ব ভূখন্ড থেকে ৩০ ডিগ্রি পূর্বে অবস্থিত, তেমনি সেটির কক্ষপথটি অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও মঙ্গোলিয়ার উপর দিয়ে গেছে। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ বাংলাদেশের জনগণের জন্য সতর্কতা সংকেত প্রদানসহ অপরাপর উপকার কতখানি হবে, তা ভবিতব্যই বলবে। এছাড়া ওই কক্ষপথের অাওতাধীন বা কাছাকাছি দেশ, যেমন রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, তাইওয়ান, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ইস্ট তিমুর, ব্রুনাই, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, পপুয়া নিউগিনি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মিয়ানমার কি সহজেই বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহের ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের ২০টির বাণিজ্যিক গ্রাহক হবে? এসব দেশের কী সহায়ক বাণিজ্যিক কোনো প্রতিযোগী উপগ্রহ নেই? এ বিষয়ে ২০০২ সালের ৯-১১ ডিসেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ‘স্যাটেলাইটস ইন আইপি অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া’ ওয়ার্কশপে এশিয়া-প্যাসিফিক স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন কাউন্সিলের তদানীন্তন সভাপতি ইয়াসু ওটাকি তার ‘স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনস ইন দ্য এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিওন, টুডে অ্যান্ড টুমরো’ শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন, যা অনলাইনে সকলের জন্য বিদ্যমান। এতে নানাবিধ বিষয়ের পাশাপাশি গুরুত্ব পেয়েছে কী করে ১১০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত জাপানের ‘বিস্যাট-২’ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ‘কোরিয়াস্যাট-৩’, ‘ইনটেলস্যাট-৯০২’, ‘ইনটেলস্যাট -৯০৪’, ‘ইনস্যাট-৩সি’, ‘জেসিস্যাট-৮’, ‘বিস্যাট-২এ’, ‘এন এসটিএআরসি’, ‘এনএসএস-৬’, ‘আইপিএসটিএআর’ ও ‘ইটিএস-৮’ এর ফলপ্রসূ ব্যবহার। পাশাপাশি ইউরোপের অ্যারিয়েনস্পেস কর্তৃক বিশ্বের অর্ধেকের বেশি বাণিজ্যিকভিত্তিতে উৎক্ষেপন উপগ্রহের আধিপত্যটি বিবৃত, যেমন : ‘এরিয়েন ৫ইসিএ’ ও ‘এরিয়েন ৫’। বলাবাহুল্য, বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হচ্ছেন হংকংয়ের গ্রেগ ডাফনার। অপরাপর পরিচালকরা হচ্ছেন : হংকংয়ের বাইঝং হুয়াং, ইন্দোনেশিয়ার ধানী ইন্দরা, যুক্তরাষ্ট্রের ডেরেল মসম্যান, সিঙ্গাপুরের দীপক মাথুর, যুক্তরাষ্ট্রের এডি কাটো, জাপানের হিরোশি কোয়ামা, হংকংয়ের জিম সিম্পসন, যুক্তরাষ্ট্রের কেভিন রিস্, সিঙ্গাপুরের খেং ঘি ন্যাং, জাপানের মিটসুটোসি আকাও, ফ্রান্সের স্যান্ডি গিলিও, দক্ষিণ কোরিয়ার তাইসুং লিম, সিঙ্গাপুরের টেরি ব্লিকলি, যুক্তরাষ্ট্রের টম অচিনেরো, সিঙ্গাপুরের ভিভিয়ান কুইনেট। তাতে দেশভিত্তিক পরিচালকদের তালিকা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে উপগ্রহের বাণিজ্যিক ব্যবসায় কে কতখানি আধিপত্যপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া স্যাটেলাইট বাণিজ্যিক জগতের অনন্য প্রতিষ্ঠান নদার্ন স্কাই রিসার্চ, সংক্ষেপে ‘এনএসআর’-এর ২০১৭ সালের ১৭ মে প্রকাশিত ‘এশিয়ান স্যাটেলাইট মার্কেট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, চীনের বিনিয়োগের কারণে এশিয়ার স্যাটেলাইট বাজার বর্তমানে যে কোনো সময়ের চেয়ে স্থিতিশীলতার পরিবর্তে অস্থিতিশীল, তারই উল্লেখ রয়েছে।

এক্ষেত্রে বাণিজ্যিক বিবেচনাটিও যথেষ্ট গুরুত্ববহ। কেননা ১৫ বছরের আয়ুসম্পন্ন ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ বাস্তবায়নে মোট খরচ হয়েছে বা হচ্ছে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। তাতে সরকারি তহবিল থেকে গেছে ১ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। বাকি ঋণ হিসেবে ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা দিয়েছে এইচএসবিসি ব্যাংক। এই পুরো অর্থের বড় অংশটি অর্থাৎ ১ হাজার ৯৫১ কোটি স্যাটেলাইট সিস্টেম বাবদ নিয়েছে ফ্রান্সের থেলিস অ্যালেনিয়া স্পেস সংস্থা। আর যে কক্ষপথে এই উপগ্রহটি প্রদক্ষিণ করবে, সেটি ২১৯ কোটি টাকায় কেনা হয়েছে রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিক প্রতিষ্ঠান থেকে। বাকি ৮০০ কোটি টাকা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণে খরচ হচ্ছে।

—  লেখক সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।  ইমেইল  —  bukhari.toronto@gmail.com

রেন্ট সিকিং স্যাটেলাইট


—  ফাহাম আবদুস সালাম 



ছোটোবেলা থেকে একটা জিনিস আমি বুঝে উঠতে পারি নাই। যে জিনিস অর্জনে আমার বিন্দুমাত্র পার্টিসিপেশান নেই, সেই জিনিস অর্জিত হোলে যারা খুব গর্ব বোধ করেন - এরা কোন মাত্রার গর্দভ।
ইউটিউবের প্রথম চারজনের একজনের বাবা বাংলাদেশী ছিলেন (স্ত্রী সম্ভবত জার্মান) জাওয়েদ করিম সারা জীবনে সম্ভবত ৪ মাসও বাংলাদেশে কাটাননি কিন্তু বহু বাঙালির জাওয়েদ করিমের নাম শুনলেই গর্বে বুক ফুলে যায়।

সালমান খান একটা জিনিয়াস, কিন্তু তাতে আপনার কী?

স্যাটেলাইট বানালো এক দেশ, পাঠালো আরেক দেশ - আপনি করছেন শুধুমাত্র রেন্ট সিকিং। সেই ব্যবসাও আপনি করবেন শুধুমাত্র এই কারণে যে তিন মাসের মধ্যেই প্রত্যেক চ্যানেলের কাছে কেউ ফোন করে বলবে, আপনি যদি বেক্সিমকোর থেকে স্যাটেলাইট সার্ভিস না কেনেন তাহলে আপনাদের চ্যানেলের লাইসেন্স থাকবে না ( অথবা আপনাদের মালিক যুদ্ধাপরাধী হয়ে যাবে নেক্সট শুক্রবারে) আপনি প্লেইন এন্ড সিম্পল বাবার তৈরী করা এপার্টমেন্ট ভাড়া দেয়ার ব্যবসা করছেন। সেই ব্যবসাও করবেন মাফিয়া স্টাইলে। শুধু ব্যবসার লোগোটা লাল-সবুজ বলে যাদের বুক ফুলে চাল-কুমড়া হয়ে গেছে তারা অন্ধকারেই বাস করছেন।

উৎস  — Faham Abdus Salam 

ভালো নেই পুলিশের টিয়ারশেলের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারানো সিদ্দিকুর

মারুফ কিবরিয়া


‘চাকরি আছে, স্থায়ী নয়। বেতন খুবই সামান্য। যা দিয়ে দিনাতিপাত করা কঠিন। যে বাসাটি ভাড়া নিয়ে থাকি সেটা খুব ছোট। এক রুমে মা আর ভাগনে সেলিমকে নিয়ে থাকতে হয়। নিরাপত্তাও নেই।
একবার মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা চুরি হয়ে গেছে। তাছাড়া ঘরটি বসবাস অযোগ্য। মাকে নিয়ে এই বাসাটিতে খুব কষ্টে আছি। প্রতিটি মুহূর্ত খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়’। কথাগুলো বলছিলেন গত বছরের ২০শে জুলাই রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ কলেজের পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশের দাবিতে আন্দোলনে নেমে পুলিশের টিয়ারশেলের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারানো সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান। মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, মাকে নিয়ে মোটেও ভালো নেই তিনি। যে বেতন পান তা দিয়ে দিনযাপন করা সিদ্দিকুরের জন্য কষ্টসাধ্যে হয়ে উঠেছে। বেগুনবাড়িতে যে বাসায় থাকেন সেটি থাকার উপযুক্ত নয়।

গত বছরের ওই ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশ্ন ওঠে, কে নেবে তার দায়িত্ব? তার সহপাঠীরা সিদ্দিকুরের একটি চাকরির দাবি জানায় সরকারের কাছে। সরকারের পক্ষ থেকে সে দাবিও মানা হয়। গত ১৩ই সেপ্টেম্বর রাজধানীর সাত রাস্তায় অবস্থিত সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে অস্থায়ী ভিত্তিতে টেলিফোন অপারেটর পদে নিয়োগ দেয়া হয় তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এ ছাত্রকে। এ সময় তার বেতন ধরা হয় ১৩ হাজার টাকা। অস্থায়ী এ চাকরিতে ‘নো ওয়ার্ক, নো পেমেন্ট’ ব্যবস্থা। অর্থাৎ যেদিন কাজ করবেন সেদিনের টাকাই দেয়া হয়। অনুপস্থিত থাকলে ওইদিনের টাকা দেয়া হয় না। 

বর্তমানে সিদ্দিকুর তার মা ছুলেমা খাতুনকে নিয়ে তেজগাঁওয়ের মধ্যে বেগুনবাড়িতে একটি বাসার নিচতলার একটি ঘরে ভাড়া থাকেন। ওই রুমের ভাড়া বিদ্যুৎ বিলসহ প্রতিমাসে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। তাই বেতনের টাকা দিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সিদ্দিকুরকে। মা ও এক ভাগনেসহ ওই বাসায় থাকেন তিনি। কিন্তু থাকার মতো ভালো পরিবেশ নেই। যে বেতন পান তা দিয়ে ভালো কোনো বাসায় উঠতেও পারছেন না । সিদ্দিকুর বলেন, প্রত্যেক সন্তান চায় তার মা-বাবাকে নিয়ে যেন ভালোভাবে বেঁচে থাকে। আমার তো বাবা নেই। মা-ই সব। কিন্তু সারাজীবন কষ্ট করে আসা এই মায়ের কষ্ট আমি কিছুতেই দূর করতে পারছি না। এক ঘরের মধ্যে তিনজন থাকতে হয়। আর ওই ছোট্ট ঘরের যে অবস্থা তাতে আমারই দম বন্ধ হয়ে আসে। মায়ের জন্য আলাদা একটি রুম দরকার হয়। আমার জন্য একটি। এরকম একটি ভালো বাসা ভাড়া নিতে গেলে মাস শেষে প্রচুর টাকা গুনতে হবে। সেটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আর এই বাসায় কোনো নিরাপত্তা নেই। একবার মা ছিলেন না। আমি একা। এই সুযোগে চোর এসে আমার মোবাইল, টাকা পয়সাসহ কিছু মালামাল নিয়ে গেছে। 

দৃষ্টিশক্তি হারানোর পর থেকে চাকরি পেলেও কষ্ট পিছু ছাড়ছে না উল্লেখ করে সিদ্দিকুর বলেন, চাকরি পেয়েছি। এটা তো সরকারের দেয়া। এতে আমার কষ্ট কোনো অবস্থাতেই লাঘব হচ্ছে না। বরং দিনকে দিন চিন্তা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে মায়ের জন্য। মা প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। চিকিৎসার খরচ চালাতে হয়। মাঝে একবার অসুস্থ হয়ে গেলে ময়মনসিংহ নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। কারণ ঢাকায় করাতে গেলে অনেক টাকা পয়সার হিসাব করতে হবে। এখন আমার একটাই চাওয়া- মাকে নিয়ে যদি একটি ভালো বাসায় উঠতে পারতাম।

চাকরির স্থায়ী হওয়া প্রসঙ্গে সিদ্দিকুর বলেন, এখানে তো এক বছরের কথা আগেই বলা হয়েছে। এক বছর আগে চাকরি স্থায়ী হবে না। তারপর স্যারকে বলেছি। বলেছে দেখবেন। তবে আশাবাদী হওয়ার মতো তেমন কিছু নেই। সিদ্দিকুর আরো বলেন, এ চাকরিটা সরকার তো আমাকে দিয়েছে। আমি অর্জন করে পাইনি। পড়ালেখা শেষ করে একটি ভালো চাকরির জন্য 
আবেদন করবো। 

অফিসে আসা যাওয়ায় অসুবিধার কথা বলতে গিয়ে সিদ্দিকুর বলেন, চলাফেরায় খুব কষ্ট। আমার যদি দৃষ্টিশক্তি থাকতো তাহলে বাসে চলাফেরা করতে পারতাম। কিংবা হেঁটে হলেও অফিসে আসতে যেতে পারতাম। কিন্তু আমাকে চলতে ফিরতে রিকশা কিংবা অটোরিকশা নিতে হয়। আর কেউ একজন না থাকলে আমি পারি না। ভাগনে সেলিমই আমাকে অফিসে আনা নেয়া করে। এখন রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করতে গেলে অনেক টাকা চলে যায়। প্রতিদিন আমার আসা যাওয়ায় একশ টাকার মতো খরচ হয়। সব গুনতে গেলে মাস শেষে কোনো টাকা থাকে না। বড় ভাই বাড়িতে কৃষি কাজ করে। সে খাত থেকে চালটা আসে। নয়তো আরো বড় সমস্যায় পড়ে যেতাম। 

অর্থনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে থাকলেও সিদ্দিকুর শারীরিকভাবে বেশ সুস্থ আছেন বলে জানান। তিনি বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ আছি। কিন্তু মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে খুব টেনশন কাজ করে। আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন। 

পড়ালেখা আর চাকরির পাশাপাশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য গড়া একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সিদ্দিকুর। বাংলাদেশ ভিস্যুয়েলি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি (ভিপস)-এ প্রতি শুক্র ও শনিবার প্রশিক্ষণ নিতে যান তিনি। সিদ্দিকুর বলেন, চাকরির পাশাপাশি এ প্রশিক্ষণটি নিয়ে রাখছি। ভবিষ্যতে কোনো কাজে লাগানো যেতে পারে। এখানে আমার মতো অনেক দৃষ্টিশক্তি হারানো তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। মিডিয়ারই এক আপু এখানে নিয়ে এসেছেন। আমি তার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।
  • মানবজমিন/মে ১৪, ২০১৮