Search

Thursday, June 7, 2018

Police foil city protests

EXTRA-JUDICIAL KILLING



RAB members in plain clothes arrest Ganajagaran Mancha spokesperson Imran H Sarkar while law enforcers assault demonstrators at Shahbagh in the capital on Wednesday during their protests at what they say killing of unarmed people in the ongoing anti-drug drive. — Sony Ramany

Ganajagaran Mancha spokesperson Imran H Sarkar was released Wednesday night several hours after he was detained by the Rapid Action Battalion from a rally at Shahbag in Dhaka organised by the platform protesting at ‘indiscriminate murders’ of unarmed people in the name of crossfire during the ongoing anti-drug drives. 

A text sent to media by the battalion legal and media wing sometimes after 11:00pm said that Imran was released from battalion custody after interrogation.
Imran could not be reached for comments.

Mancha organiser Khan Asaduzzaman Masum confirmed that Imran was released at 11:30pm and reached house half an hour later. 

Earlier, the elite force picked up Imran from Shahbag rally organised against the backdrop of the killing of 142 suspected drug peddlers or addicts, mostly in reported ‘gunfights’, while different political parties, intellectuals and rights groups continued protests against such ‘extrajudicial killings’.

The Mancha, a platform campaigning for war crimes trial, was also barred by the police from holding a rally at the same venue on Sunday.

Huge number of police and battalion members, in uniform and plain clothes, gathered surrounding the venue much before beginning the Mancha protests. 

Imran was dragged onto the microbus amidst protests from Mancha and Chhatra Union activists. As the protesters blocked the way of the vehicle, the law enforcers charged batons injuring at least six Chhatra Union activists.

Mancha activist Sangeeta Imam, also assistant general secretary of Udichi Shilpi Gosthi, said it was their constitutional right to hold rally but the law enforcing agencies picked up Imran and charged baton without any provocation. ‘It is totally unacceptable. We had informed police. We had permission [to hold the demonstration].’
Shahbagh police station officer in charge Abul Hasan, however, claimed that they had no permission from the police for holding the programme.

SIX STUDENTS INJURED

Chhatra Union president GM Jilani Shuvo told New Age that six leaders and activists, including its general secretary Liton Nondi, Dhaka university unit president Foyez Ullah, Dhaka city unit president Dipok Shil, were injured in the baton charge.

Protesting the extrajudicial killings during the ongoing anti-drug drives, Dhaka University unit of Chhatra Union formed the human chain titled ‘the next bullet is for you, are you ready?’ in front of the National Museum.

Speakers at the rally urged the government to stop the extrajudicial killing and to enforce law strictly to curb the menace of drugs.

Human Rights Forum Bangladesh, a platform of 20 human rights and development organisations, in a statement on Wednesday demanded immediate end to ‘gunfights’, probe into all the deaths in ‘gunfights’, security for the ‘gunfight’ victim families, amendment to the anti-narcotics act and involvement of people in containing drugs.

Bangladesh Chattra Union and Democratic Students’ Alliance brought out processions at the Dhaka University in the evening protesting at the attack on Chattra Union leaders and activists and arrest of Imran.

Communist Party of Bangladesh and Revolutionary Workers’ Party of Bangladesh in separate statements protested at the attack on Chattra Union leaders and activists and demanded immediate release of Imran. 

  • Courtesy” New Age, June 07, 2018

একজন শক্তিশালী অর্থমন্ত্রী প্রয়োজন

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ

নগণের করের টাকায় সরকারি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণ করাটা পুরো অযৌক্তিক। কয়েক বছর ধরে দেখছি, ঋণের নামে ব্যাংকগুলোতে লুটতরাজ চালানো হচ্ছে। সরকারি ব্যাংকে সরকারি মদদে ও দুষ্ট পরিচালকেরা বেসরকারি ব্যাংক লুট করেছেন। এর ঘাটতি পূরণে আবার টাকা দেওয়া হলে তা দুভাবে এসব অপকর্মে সমর্থন দেয়। প্রথমত, জনগণের আমানতের টাকা লুটপাটে সমর্থন। দ্বিতীয়ত, করের টাকায় এর ক্ষতিপূরণ। এতে দুর্নীতি আরও উৎসাহিত হয়। এর চেয়ে বরং মুনাফা করে মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যাংকগুলোকে চাপে রাখা যেতে পারে। এ সময় মূলধন ঘাটতি সামলাতে সরকার বিশেষ গ্যারান্টি দিতে পারে। তাহলে ব্যাংকগুলো চাপে থেকে ভালো ঋণের দিকে ঝুঁকবে। ঘাটতি থাকলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চাপে থাকবে।

সরকারি ব্যাংকগুলো বিভিন্ন সরকারি ভাতা দিচ্ছে বলে অনেক সচল মনে হচ্ছে। ব্যাংকের মূল যে কাজ, জনগণ থেকে আমানত নিয়ে উৎপাদনশীল শিল্পে বিতরণ করা, সেটা তারা করছে না। তারা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মতো ব্যবসাও করতে পারছে না, বরং ব্যবসা হারাচ্ছে।

বাজার অর্থনীতি বিবেচনা করলে লুট হয়ে যাওয়া ফারমার্স ব্যাংককে এভাবে বাঁচিয়ে রাখা ঠিক হচ্ছে না। কারণ, বাজার অর্থনীতিতে ভালো করলে ব্যবসা বাড়বে, খারাপ করলে গ্রাহকই পরিত্যাগ করবে। এমন ব্যাংককে সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে টিকিয়ে রাখা মানে সরকারই এগিয়ে এল বাঁচাতে। এটা ভালো দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে না। কারণ, এখন বেসরকারি ব্যাংকগুলো মনে করবে, লুটপাট হলে সরকারই এগিয়ে আসবে। এ ছাড়া দুর্দশার মধ্যে থাকা সরকারি ব্যাংকগুলোর ঘাড়ে খারাপ একটি ব্যাংকের বোঝা চাপিয়ে দেওয়াও ঠিক হয়নি।

ব্যাংক খাত তদারক ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। মনে হচ্ছে তারা কোনো ভীতির মধ্যে আছে। ব্যাংক খাতে যেসব ঘটনা ঘটছে, বাংলাদেশ ব্যাংক সচেতন থাকলে তা হতো না। এর কারণ হতে পারে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মতো কাজ করছে। গভর্নরের পৃথক কোনো সত্তা আমরা দেখতে পারছি না। আলাদা সত্তা থাকলে হোটেলে ডেকে নিয়ে মুদ্রানীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হতো না। এতে গভর্নরের স্বাধীনতা খর্ব হয়। আর মন্ত্রণালয়ের প্রতি গভর্নরের বিশেষ ঝোঁক থাকলে পুরো কেন্দ্রীয় ব্যাংকই মন্ত্রণালয়ের শাখায় রূপ নেয়। কেউ সিদ্ধান্ত নিতে সাহস করে না।

এ জন্য প্রয়োজন একজন সত্যিকারের শক্তিশালী অর্থমন্ত্রী, যিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না। বরং অন্য কেউ প্রভাবিত করতে চাইলে অর্থমন্ত্রী তাতে বাধা দেবেন। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এমন একজন অর্থমন্ত্রী প্রয়োজন। আর অর্থ মন্ত্রণালয় যা কিছুই বলুক না কেন, তা মানবেন না এমনই গভর্নর প্রয়োজন। ব্যাংক খাতের স্বার্থে এমন মাথা উঁচু করার গভর্নর এখন খুব প্রয়োজন। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে শক্তিশালী অর্থমন্ত্রী ও মাথা উঁচু করা গভর্নর প্রয়োজন।

  • খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ: সাবেক ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
  • কার্টেসিঃ প্রথম আলো/ জুন ৭,২০১৮

মানবাধিকার কমিশন পুলিশ-র‍্যাবের জন্য নির্দেশিকা বানাতে ব্যস্ত

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করণীয় নিয়ে ‘নির্দেশিকা’ বানাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশন বলছে, অভিযানের সময় বিচারবহির্ভূত এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন। এসব ‘অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানি’ রোধ করতে প্রচলিত একাধিক আইনের আলোকে এ নির্দেশিকা তৈরি হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কমিশনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে মানবাধিকারকর্মীরা কমিশনের এই উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁদের কথা, কমিশনের উচিত অভিযানে নিহত হওয়ার অন্তত একটি ঘটনা হলেও এর তথ্যানুসন্ধান করা। এখন যে কাজ তারা করছে, তা লোকদেখানো এবং দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা মাত্র।

মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, নির্দেশিকা তৈরি নামকাওয়াস্তে একটি লোকদেখানো কাজ ছাড়া আর কিছু না।

মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে গতকাল বুধবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৩২ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। তাঁদের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৬৮ জন এবং র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩৫ জন নিহত হন। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ১০২। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষ্য, বাকি ২৯ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে।

মাদকবিরোধী অভিযানে এভাবে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একের পর এক নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশের মানবাধিকারকর্মীরা। তবে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেই চলেছেন সরকারের শীর্ষ ব্যক্তি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা। বন্দুকযুদ্ধের বিষয়ে সরকারে তরফের বক্তব্য কমবেশি এমনই যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আত্মরক্ষার্থেই গুলি করে। আর তাতেই প্রাণহানি হয়।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গত ২২ মে এক বিবৃতিতে বলে, তারা এসব বিচারবহির্ভূত হত্যা সমর্থন করে না। তাদের বক্তব্য, মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে । তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মানবাধিকার ও দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি লক্ষ রেখে এ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আর এসব আইনকে একত্র করে একটি নির্দেশিকা বানানোর কাজ করছে কমিশন। এ নিয়ে গত রোববার কমিশনের কার্যালয়ে এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

মানবাধিকার কমিশন মনে করে, এসব অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে কিছু ক্ষেত্রে সচেতন নয়। প্রচলিত নানা আইনে বাহিনীর সদস্যদের আচরণ ও কর্তব্য নির্দিষ্ট আছে। এমন কিছু আইনের মধ্যে আছে ফৌজদারি কার্যবিধি, পুলিশ অ্যাক্ট ১৮৬১ এবং পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল। এসব আইন থাকার পরও নির্দেশিকা তৈরি কেন?

কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, ‘আমরা নতুন কোনো আইন করছি না। এসব অভিযানে পুলিশ, র‍্যাব বা অন্য বাহিনীর সদস্যদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত, নির্দেশিকায় সেই বিষয়গুলো থাকবে। শুধু এসব অভিযানের সময় প্রচলিত আইনের কী বিধান আছে বা এসব বাহিনীর সদস্যদের কর্তব্য কী, তা–ই থাকবে নির্দেশিকায়।’

নির্দেশিকা তৈরির সুফল কী হতে পারে? জবাবে রিয়াজুল হক বলেন, ‘আইনগুলোকেই এক জায়গায় ও সহজভাবে তুলে ধরা হবে এই নির্দেশিকায়। আইনের যে প্রক্রিয়া আছে, তা তুলে ধরা বা জানানোই এর লক্ষ্য।’

নির্দেশিকা তৈরির পক্ষে যুক্তি দিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালাতে পারেন। তবে এর প্রয়োগ কখন বা কোন পরিস্থিতিতে তা করা যায়, তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা আছে। এসব প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে। এর ফলে যত্রতত্র অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হবে বলে মনে করেন তিনি।

মানবাধিকার কমিশন এই নির্দেশিকা তৈরি করে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিতরণের জন্য।

মানবাধিকার কমিশন এ পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধের একটি ঘটনা নিয়েও কোনো তথ্যানুসন্ধান করেনি। এমনকি টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. একরামুল হক নিহত হওয়া ঘটনার রেকর্ড করা অডিও প্রকাশ এবং এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হওয়ার পরও কমিশন তা নিয়ে কোনো তথ্যানুসন্ধান করেনি। মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, একরাম নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে কোনো তথ্যানুসন্ধানের কাজ কমিশন করছে না।

নির্দেশিকা তৈরির না করে বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে পর্যাপ্ত অনুসন্ধান করে তা জনসমক্ষে প্রকাশকেই সঠিক কাজ হবে বলে মনে করেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘টেকনাফের একরাম নিহত হওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে, এখানে বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। অন্তত এই একটি ঘটনা ধরে তথ্যানুসন্ধান করতে পারত কমিশন।’ মিজানুর রহমান বলেন, এই নির্দেশিকা প্রচার বা শিক্ষামূলক উপাদান হিসেবে ভালো। কিন্তু যখন মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, তখন সে বিষয়ে কোনো তথ্যানুসন্ধান না করা অন্যায্য।

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কমিশনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের প্রশিক্ষণের সময়েই এসব আইন সম্পর্কে জানতে পারেন। আর তাঁরা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কেও সচেতন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইনগুলোকে এক জায়গায় করে একটি নির্দেশিকা তৈরি করলে ভালো হয়।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় বড় ঘটনা নিয়ে এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একাধিকবার জানিয়ে কোনো সাড়া পায়নি মানবাধিকার কমিশন। এর উদাহরণ আছে। ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ১৮৫টি ঘটনার ক্ষেত্রে প্রতিবেদন চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু মন্ত্রণালয় এই সময়ে একটি চিঠিরও কোনো জবাব দেয়নি। নির্দেশিকা তৈরি করে তা কতটা কাজে লাগবে, তা নিয়ে সন্দিহান মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের নির্বাহী পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলান। তিনি বলেন, যে মন্ত্রণালয় কমিশনের কথায় পাত্তা দেয় না, তাদের জন্য নির্দেশিকায় কী হবে? আর এসব নির্দেশিকা না করে বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে তথ্যানুসন্ধানের সঠিক কাজটি করা উচিত কমিশনের।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক অবশ্য মনে করেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোও একটা বড় কাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাব।’

  • কার্টেসিঃ প্রথম আলো/ জুন ৭,২০১৮


Sheikh Hasina’s son says no enforced disappearances in Bangladesh – never mind the evidence


But Sajeeb Wazed Joy’s claims fall flat in the face of eyewitness accounts, Hasina aide’s admission.

By David Bergman

David Bergman
Before United States President Donald Trump, Bangladesh was among the countries that led the way in high-profile political propagandists willing to say just about anything – however inaccurate, false or misleading – as long as it helped them or their party remain in power.

With the Awami League in government since 2009, perhaps the most potent of Bangladesh’s propagandists is Sajeeb Wazed Joy, the son of Prime Minister Sheikh Hasina. He is active mostly through his Facebook account, where he has over 2 million followers.

Sajeeb Wazed – known widely by his family nickname Joy – is also the Awami League’s leader in waiting, ready to take control of the party from his mother when the time comes (though he may have to fight off other ambitious relatives waiting in the wings).

Joy has spread propaganda inaccurately about many things, including a supposed Bangladesh Nationalist Party plot to kill him, a Canadian court’s decision apparently exonerating Bangladesh of corruption and reasons why an editor should be prosecuted for treason.

Yet, the falsehoods and misrepresentations found in these Facebook posts now seem tame in comparison to his most recent big lie – his claim that in the nine years the Awami League has been in power, no state body has been involved in enforced disappearances.

In an article published in the Diplomat on May 23, Joy argues that any claim that the government is involved in kidnapping “hundreds – and possibly thousands – of citizens for nefarious reasons, mostly political… is false and reckless”. He says the allegations are “false rumours” spread by the main Opposition party, the Bangladesh Nationalist Party, and that “the world should reject the fairy tale of Bangladesh disappearances as the lie that it is”. According to him, the police have “investigated every instance of a reported disappearance” and these investigations have not uncovered “any evidence that suggests the government is behind them”. Instead, he says the police have located many of the disappeared, who where “in hiding” as they “were wanted by Bangladeshi authorities for violent felonies, including the rampant fire bombings around the time of the last national election”.

Barely a single word of this is true.

Eyewitness testimony

In making this claim, Joy is contesting the work of local and international human rights organisations – as well as many journalists – that since 2009 have documented over 400 cases of illegal pick-ups and secret detentions. (It is notable that Joy seeks to ridicule the claim about secret detentions by falsely suggesting there are allegations of thousands of such detentions, when the number alleged remains in the hundreds.)

Joy suggests the men who disappeared have gone into hiding. But if that were the case, why is there so much eyewitness evidence pointing to the direct involvement of the country’s law enforcement agencies in their disappearance?

In a two-week period at the end of 2013, just before the country’s parliamentary elections, 19 men, all activists of the Bangladesh Nationalist Party, were picked up in and around the capital Dhaka in seven separate operations. They remain missing.

In each of the seven incidents, eyewitnesses testified that law enforcement agencies were involved. Detailed interviews with these witnesses confirmed that the Rapid Action Battalion – the anti-crime, anti-terrorism paramilitary unit of the Bangladesh Police – was involved in two operations related to the kidnapping of eight men while the Detective Branch of the police had picked up six men.

In August 2016, the sons of three Opposition leaders were picked up in Dhaka. Again, multiple witnesses in each of these cases confirmed the involvement of law enforcement agencies.

And in June 2017, Human Rights Watch published a report – researched by this reporter – that documented many other disappearances where eyewitnesses confirm the involvement of these agencies.


Eyewitnesses have testified of the involvement of the Rapid Action Battalion and the Detective Branch of the police in the detentions. (Credit: Munir Uz Zaman / AFP)

Criminal cases

Joy argued in the Diplomat article that the men who had disappeared were seeking to escape arrest for criminal cases. However, the majority of the men who were picked up and secretly detained did not have criminal cases lodged against them.

For example, of the 19 who disappeared at the end of 2013, at least 10 did not face criminal cases. Of the three men picked up in August 2016, two – Mir Ahmed Bin Quasem and Brigadier General Abdullahil Amaan Azmi – had no criminal cases lodged against them. And Humman Quader Chowdhury was picked up when he was on his way to court for a hearing in a case filed under the Information and Communication Technology Act, 2006, the only criminal case against him.


Police investigation

Joy also claims that police investigations have exonerated state agencies of involvement in the disappearances.

This is perhaps his most extraordinary assertion, as in perhaps 90% of cases, the police do not allow the families to even file a first information report where they may seek to allege that their relatives were picked up by state agencies. The only document the police allow the families to file is a “missing person report” in which they are required to state that their relatives went missing after leaving home at a particular time, even if the family knows perfectly well they were picked up by state agencies. The refusal of the police to accept complaints by families of the disappeared is set out in case after case in the Human Rights Watch report.

Only one of the seven incidents – referred to above – that involved the disappearance of six persons at the end of 2013 is known to have resulted in some kind of police investigation. However, this inquiry was farcical.

The police only investigated the case of one of the six men, did not seek to interview any of the eyewitnesses who saw officers and vehicles of the Rapid Action Battalion pick the men up, and concluded that the man had been abducted by “an organised criminal gang”.


Family members of the missing at an event calling for an end to enforced disappearances, killings and abductions in Dhaka in 2014. (Credit: Human Rights Watch)

Specific disappearances

Joy’s article also refers to a number of specific disappearances, which he suggests are “comical”. One of these is the abduction in March 2015 of Salahuddin Ahmed, a Bangladesh Nationalist Party leader, who he claims was in fact “hiding in India”. However, there is a wealth of evidence that Ahmed was picked up in Dhaka by Bangladeshi law enforcement agencies, secretly detained for six weeks and pushed over the Indian border.

Three days before Ahmed was picked him, two of his drivers and his personal assistant were taken from their homes and secretly detained for 48 hours before being arrested. Officers from the Rapid Action Battalion then raided a flat where Ahmed had been living until a few days earlier as well as the headquarters of a bank located in premises owned by him. The caretaker of the building from where Ahmed was finally taken told reporters that law enforcement authorities had entered the flat where Ahmed was living and had taken him away.

Ahmed’s appearance across the Indian border should also come as no surprise. This was exactly what Bangladeshi authorities did in 2013 after picking up and secretly detaining Sukhranjan Bali, a witness in the International Crimes Tribunal in Dhaka that is trying war criminals from the time of the 1971 Liberation War.

Another case Joy refers to is the disappearance of the businessman and Opposition police leader Syed Sadat Ahmed in August 2016. According to Ahmed’s family, he was picked up by men who introduced themselves as law enforcement officers. Joy suggests this is spurious as Ahmed was wanted in connection with an arson attack but was “miraculously found, unharmed” by the police.

However, what happened to Ahmed is common practice.

While many of the disappeared never return or their bodies are subsequently found, about half of them are secretly detained for various lengths of time – usually several months – before being brought to the magistrate court, where a police officer falsely claims the police detained the person the night before in connection with an existing or new case. Even when the accused tells the magistrate that this is not true, the magistrate routinely remands the person into custody.


Prime Minister Sheikh Hasina's aide has claimed that she authorised a number of secret detentions. (Credit: Reuters)

Sheikh Hasina’s authorisation

While there is no need for additional evidence of the systematic practice of disappearances in Bangladesh, Sheikh Hasina’s senior political aide provided more of it by confirming to this reporter the role of the Rapid Action Battalion and the Detective Branch of the police in the secret detentions.

“The most active used to be RAB [Rapid Action Battalion], then they felt that RAB was getting a very bad reputation, then they said ok let the DB [Detective Branch] do it,” said the aide, speaking on condition of anonymity. “Then DB started these so called encounters and shootouts, things like that so what RAB was doing DB also started doing, they were also sanctioned to do it. So there was not much difference between the two of them.”

The aide also said he knew the prime minister had authorised a number of secret detentions, including that of Mir Ahmed Bin Quasem.

Perhaps Joy should talk more to his mother before publishing spurious and inaccurate information about the country’s record on enforced disappearances.



Audio clip 'captures Bangladeshi police killing drugs suspect'


Death of Akramul Haque raises fresh fears over extrajudicial killings in drugs crackdown


Michael Safi and Shaikh Azizur Rahman/ Wed, June 6, 2018



A recorded phone conversation that appears to capture Bangladeshi police killing a local politician has raised fresh concerns over a Philippines-style drugs crackdown, after 130 people were shot dead in three weeks.

Bangladesh’s elite Rapid Action Battalion (Rab) said last week it had killed Akramul Haque in a gunfight on 27 May. It accused Haque, 46, of being a drug dealer and claimed to have found two guns and thousands of methamphetamine pills on his body.


Four days later, at the Cox’s Bazar press club in southern Bangladesh, his wife, Ayesha, played a series of phone conversations she had recorded with her husband that night, which she claims paint a different picture.

In the first two, Haque, a municipal councillor with the ruling Awami League party, tells his daughter he has been asked to visit the office of a local government official. He speaks in a hushed tone in the third call as he tells his daughter he is travelling to another location for “urgent work”.

“I am in a vehicle, I cannot speak more now,” he says on the recording, which the Guardian has heard but cannot verify.

Ayesha makes the final call, which connects, but only the muffled voices of several men can be heard. A man she identifies as Akram can be heard saying, “I am not involved”. Seconds later, a gunshot is heard, then a man groaning, then another shot. Ayesha and her daughters start wailing on the other end of the line.

As the family continue shouting for Akram to answer, other voices can be made out over the noise of a blazing siren. “Take out the bullets,” one says. An order is given to scatter empty cartridges at the scene. “Have his hands been untied?” another voice asks.

The content of the tapes, and Ayesha’s accusations that her husband’s death was a “planned murder”, were reported on the front page of the national Daily Star newspaper and have sparked debate in Bangladesh over the country’s recently launched narcotics crackdown.

Bangladeshi police have shot dead at least 131 suspected drug dealers in the past three weeks according to local media estimates, in response to what authorities say is a thriving trade in illegal drugs, particularly methamphetamine pills known as yaba.

Police have characterised the killings as nighttime shootouts and claimed weapons and drugs were recovered from most of the bodies. More than 10,000 people have been arrested as part of the campaign.

But human rights activists and several families of those killed have questioned the police version of events, arguing their relatives never touched drugs or were killed as part of a campaign of harassment against political activists in the lead up to national elections this year.

The son-in-law of one victim, Shukur Ali, last week told the Guardian that plainclothes officers had arrested the man the same evening he was allegedly killed in a gunfight with police.
AKM Wahiduzzaman, a leader in the opposition Bangladesh National party, said about 15 of those killed so far had been members of his group.

The Daily Star’s website, which published clips of the phone recordings, was blocked for more than 18 hours by the Bangladesh telecommunications regulator at the weekend.

The government has defended the drugs crackdown but ordered a judicial inquiry after the release of the audio clips and conceded sometimes “mistakes” might be made.

“If anyone or some persons are found to have played a role with an ill motive in this case, they will face the court,” the Bangladesh home minister, Asaduzzaman Khan.

“People are happy with our anti-drug operations,” he added. “When the ordinary citizens are supporting this campaign we have no plan to bring it to a halt.”

Obaidul Quader, the road transport and bridges minister, said “one or two mistakes” might occur during such a sweeping police operation.

“We are not sure as yet if any innocent person has been killed during this [Akramul Haque] operation,” he said on Tuesday. “Only after investigation we can be sure if the charge that some innocent people have been killed is true.”

The chairman of the country’s National Human Rights Commission said he had heard the tapes and was deeply concerned. “People should not be deprived of their rights that are guaranteed by our constitution and law,” Kazi Reazul Hoque said.

“The law enforcers have to work within the law to stop recurrence of such incidents. All incidents should be investigated properly.”

The European Union mission in Dhaka said in a statement on Tuesday: “We expect the authorities to ensure that all incidents involving the deaths of alleged criminal suspects are investigated fully in accordance with due processes.”

Last week the US ambassador to Dhaka, Marcia Bernicat, said she had also discussed the bloodshed in a meeting with the Bangladeshi home minister.

“Everyone in a democracy has a right to due process,” she told reporters after the meeting. “If there is a violent confrontation people may not survive that, but the goal should be zero tolerance, the goal should be to try and bring everyone to justice.”

Activist groups including Human Rights Watch have likened the campaign to the narcotics crackdown conducted by President Rodrigo Duterte in the Philippines, in which hundreds of alleged drug dealers have died at the hands of police in what critics say are extrajudicial killing.

Rab could not be reached for comment.



BANGLADESH: Government escalates extrajudicial executions declaring ‘war on drugs

A Written Submission to the 38th Regular Session of the UN Human Rights Council by the Asian Legal Resource Centre

Alrc.asia 


The Asian Legal Resource Centre (ALRC) requests the attention of the Human Rights Council to the pattern of extrajudicial executions in Bangladesh. The incumbent government of Bangladesh has escalated extrajudicial executions in the country with new excuses.

Back in 2004, extrajudicial executions were made an official tool with the excuse of ‘controlling crime’. The law-enforcement agencies keep using the extrajudicial means for eliminating the opposition activists, and others, fitting to the requirements of the ruling party of the day. Successive governments actively contributed to the process of institutionalizing this crime with impunity to the perpetrators. The key perpetrators, who should have been held for command responsibilities, have been rewarded in various forms. As a result, the law-enforcement agencies have been available for hire to assassinate people. High amount of monetary payments to the law-enforcement agencies could guarantee the elimination of a rival – in political or financial disputes.

Since the July 2016 extremist attack at a restaurant in Dhaka the law-enforcement agencies have been killing people, including women and children, in the pretext of ‘eliminating Islamic militancy’ without credible investigations before and after such operations were conducted, bypassing the criminal justice mechanisms of the country.

Case-1

On 28 March 2017 at around 1:30 am, a team of the Special Weapons And Tactics (SWAT) and a team from the Counter Terrorism and Transnational Crime Unit (CTTCU) of the Police cordoned off a two-storied residential house for 34 hours. The house, which the law-enforcement agencies termed as ‘militants’ den’, was located at Borohat Abushah Dakhlil Madrassa Road at Nasirnagar in Moulvabazar. The law-enforcement agencies conducted ‘Operation Hit Back’ in the building. Later, the police recovered the bodies of seven persons from the house. The Police said that in the afternoon on March 29, the ‘extremists’ might have killed themselves by ‘blowing up suicide vests’. Among the seven bodies recovered after the ‘Operation Hit Back’, four were of children. Of them, one was an infant, one was a two-year old, one was a seven-year old and another was a 10-year old. Two women were also found killed at the scene; of them, one was aged about 20-25 and the other woman was 35 years of age. The deceased man was also 35 years old.

Case-2

In another incident, on 11 May 2017, the law-enforcement agencies claimed that six suspected militants were allegedly killed when they blew up themselves with ‘suicide vest’ at Godagari of Rajshahi district. After conducting an operation titled “Sun Devil” the police made this claim. According to the police, a family of ‘militants’ was found residing in a tin-shed house. The deceased were Sajjad Ali (50), his wife Beli,(40), their sons Al Amin (30), and Soyaiyad (25), and their daughter Karima (28). The other deceased was Abdul Matin, a firefighter. According to the local people, Sajjad was a rural hawker, who used to sell cloths, and his two sons were agricultural workers.

Bangladesh’s law-enforcement agencies have claimed a unique pattern of militancy where the alleged militants blow up themselves with their family members including wife and minor children instead of using their ‘suicide vests’ in crowded public places such as railway stations, shopping malls, stadiums, or bus terminals. Such claims are unprecedented in the recent history of militancy in the Asian region.

All killings in the pretext of ‘fighting militancy’ appears to be taken for granted as the government or the law-enforcement agencies do not have to face any consequence due to unbridled control over the judiciary. They neither have to face criticism in the mainstream media as a result of imposed censorships and self-censorships being practiced.

The government has now launched its ‘war against drugs’. The incumbent Prime Minister Sheikh Hasina stated in a meeting at her official residence on 20 May 2018 that ” – – – You must have seen that operations against drugs have already started. We have delegated special responsibilities to all the law-enforcing agencies, intelligence agencies and RAB. Wherever there are drugs, tough measures will be taken…we are taking stringent measures.”

The ‘special responsibilities’ that the Prime Minister refers to are actually orders given for conducting extrajudicial executions. Instantly, the law-enforcement agencies have been engaged in high number of murders using the excuse of ‘gun battle’ in the month of May 2018. The law-enforcement agencies have killed 52 people in the first 24 days of the month. Among them 49 were killed between May 15 and May 24. Of them, the Bangladesh Police killed 30 and the Rapid Action Battalion (RAB) killed 19. The situation appears to be insane on the ground as the number of extrajudicial executions rises everyday alarmingly.

The officials of the law-enforcement agencies claim that all the deceased persons were ‘drugs peddlers’. According to the Police and the RAB, all these people were killed in ‘gun fights’ or ‘gun battles’ while allegedly found engaged in dealing with drugs. They also claim that the firearms and drugs are being seized from the crime scenes. In contrast, several families of the deceased have challenged the claims of the law-enforcement agencies.

Case-3

Four plain clothed people picked up Mr. Habibur Rahman on 17 May 2018 from the gate of Al-Falah Mosque of Chittagong city as soon as Habibur came out of the mosque after offering his mid-day prayers. Eyewitnesses informed about the abduction to Habibur’s son Abdul Ali Rabbi, who prayed together with his father in the same mosque and came out few minutes later. The family went to the local offices of the law-enforcement agencies including the Kotwali Police, who denied of arresting Habibur. Later, the Rapid Action Battalion (RAB) announced that two suspected drugs dealers were killed in ‘gun battle’ on 17 May night while Habibur was one of the two victims. The family claims in a press conference at the Chittagong Press Club on 23 May that Habibur was fighting with his rivals over a land dispute with a group of influential people associated with the government and had several trumped up criminal cases against him. He was detained in prison in the trumped up cases and was released recently on bail. According to the family, there is another man named Habib Sheikh, who is allegedly a drugs dealer, supposed to be the actual suspect of RAB. However, a ‘source’ of RAB named Mosharraf Hossain misguided the RAB to save Habib Sheikh. After killing Habibur the RAB allegedly realised the mistaken identity and the misguiding by its source. Then, the RAB killed Mosharraf for misguiding the paramilitary agency, which consistently claimed that both Habibur and Mosharraf were drugs dealers.

Case-4

The police of Netrokona district picked up Mr. Amzad Hossain, an activist of the Jatiyatabadi Chhatra Dal (JCD) – student wing of the main opposition, Bangladesh Nationalist Party (BNP), from his house of Nagra Anandabazar village at 3:00 AM on 22 May 2018. Amzad’s body was found near Bara Wari bridge on the bank of Ponsha river after few hours. Amzad’s family claims that the police and the ruling party people fabricated 13 politically motivated cases against him because of his activism as an activist of the opposition. He was detained on several occasions in those trumped up cases and continued protesting against the government each time after being freed on bail. The government has used the excuse of ‘war on drugs’ to finish him off. Amzad’s brother Mahid Ahamed Ansari gave an interview to the Guardian newspaper of the United Kingdom. Since the interview was published in the newspaper’s online edition on 25 May the police started chasing Mahid, who is currently hiding for his life.

Case-5

The Fulgazi police of Feni district killed two men named Sahmit Hossain Shamim – a farmer, and Moznu Mian Monir – an activist of the Jatiyatabadi Chhatra Dal of the opposition, Bangladesh Nationalist Party – in the night on 23 May 2018. According to the families, the police picked up both persons from home and sister’s home, respectively. Later, the police demanded BDT 200,000 from Shamit’s family and BDT 150,000 from Moznu’s family. Both families were unable to pay such huge amount of bribes to the police. The two detainee’s bullet riddled bodies were found in a field at Dakkhin Anandapur village – near Bangladesh – India border with Feni district in the early morning. The families are facing intimidations while they are living under surveillance of intelligence agencies and the police.

In all these cases, the law-enforcement agencies, especially the Police and the Rapid Action Battalion (RAB) have presented the same old story of ‘encounter’ accusing the victims as drugs dealers. They also claim that the so called drugs dealers’ associates, who had ambushed at the crime scene before the arrival of the police or RAB, carried guns and opened fire at the law-enforcers, first, to provoke retaliation. In an alleged ‘gun battle’ the detained suspects receives bullet wounds causing deaths. All such ‘operations’ are conducted only in the night. The law-enforcement agencies have been telling the same pattern of story for around 2000 cases of extrajudicial executions in recent years.

These few cases briefly cited above are the tip of the iceberg in the context of Bangladesh’s deeply rooted institutional inability to safeguard rights or afford redress. The cases expose the degree of lawlessness, coupled with inefficiency and non-professionalism of the law-enforcement agencies. It clearly indicates that the government of Bangladesh disrespects human rights at home and makes untrue statements in the Human Rights Council and other international platforms of its adherence to the human rights obligations.

The government has dragged down the criminal justice institutions to such a state that the law-enforcement agencies happily publicise the same style of stories for hundreds of cases. There is no credible institution in existence in the country to hold the perpetrators accountable for the ongoing spree of extrajudicial executions and other gross violation of human rights such as enforced disappearances. The incumbent government, which lacks legitimacy without having the people’s mandate and retains power relying on the lethal force of the law-enforcement agencies, encourages the perpetrators through guaranteeing impunity and rewarding them in various ways.

The government has allegedly launched the ‘war on drugs’ and escalated extrajudicial and arbitrary executions for the purpose of deepening fear in the society and silencing the people in the lead up to the general elections this year. The people and the opposition parties have been demanding for a credible and inclusive general election under an independent caretaker government, which the incumbent Prime Minister Sheikh Hasina always rejects. She is accused of replicating the January 2014 style sham election when the ruling party won more than half of the parliamentary uncontested to renew her term in office. In one hand, there is not institution before which the government may be held accountable as there is no ‘opposition’ in the parliament. On the other hand, the government invests its utmost efforts to invite and enjoys applauses from the international community for housing the Rohingya refugees. In today’s Islamophobic global political context, a government can comfortably hide its own grave human rights records behind the excuse of ‘fighting militancy’ and ‘extending generosity to the Rohingya refugees’ who survived genocide in Myanmar.

The ALRC urges the Council to assess Bangladesh’s domestic human rights situation carefully and comprehensively and break its prolonged silence. The Member States and Observer States can check the ground realities of Bangladesh through their missions in the country and assist the Council and the Special Procedures’ mandates to address the situation so that the spree of extrajudicial executions and other gross violations are dealt with appropriately and promptly for the objective of affording justice to the victims and preventing the recurrence of the crime.
  • Courtesy —  alrc.asia. Link —  https://bit.ly/2IXTZTL 


Killings of suspected “drug offenders” in Bangladesh must stop – UN Human Rights Chief



Ohchr.org 


GENEVA (6 June 2018) – UN High Commissioner for Human Rights Zeid Ra’ad Al Hussein on Wednesday condemned the alleged extra-judicial killings of suspected drug offenders in Bangladesh and urged the authorities to ensure that these serious human rights violations are immediately halted and perpetrators brought to justice.

Some 130 people have reportedly been shot dead by security forces across Bangladesh in the three weeks since 15 May and another 13,000 arrested. The killings began after the Government announced a “zero tolerance” policy to confront the growing consumption of drugs in the country, particularly the spread of methamphetamine.

“I am gravely concerned that such a large number of people have been killed, and that the Government reaction has been to assure the public that none of these individuals were ‘innocent’ but that mistakes can occur in an anti-narcotics drive,” High Commissioner Zeid said.

“Such statements are dangerous and indicative of a total disregard for the rule of law. Every person has the right to life. People do not lose their human rights because they use or sell drugs. The presumption of innocence and the right to due process must be at the forefront of any efforts to tackle crimes.”

“Given the large number of people arrested, there is a high likelihood that many people may have been arbitrarily detained, without due regard for their rights,” he added.

The High Commissioner called on the Government of Bangladesh to investigate the reports of extrajudicial killings, and stressed that there must not be impunity for human rights violations in the name of drug control. He was encouraged by assurances provided by Bangladesh’s Minister for Law, Justice and Parliamentary Affairs at a meeting in Geneva last week that investigations would take place and those found to be responsible for crimes would be held accountable. He urged the Government to follow through on this commitment, stressing that the investigations will need to be independent, impartial, transparent and effective.

Zeid also expressed concern that already vulnerable communities living in slums were particularly being targeted and had been subjected to numerous raids. The crackdown has reportedly also seriously hampered the ability of people who use drugs to access health services, as they fear that they will be arrested or even killed if they seek treatment at Drop-In Centres.

“There is no doubt that the trafficking and sale of illegal narcotics leads to tremendous suffering for individuals and entire communities, but extrajudicial killings, arbitrary arrests and the stigmatization of people who use drugs cannot be the answer,” the High Commissioner said.

“I urge the authorities to adopt a national drug policy that is compliant with Bangladesh’s obligations under international human rights law and international narcotics conventions, ensuring full respect for the right to health of people who use drugs.”*

During its Universal Periodic Review before the UN Human Rights Council on 14 May, Bangladesh undertook to investigate reports of extrajudicial executions, arbitrary arrests and other serious violations. The developments since that date, with increasing reports of such human rights violations, are deeply worrying.

“Bangladesh deserves to be commended for its tremendous support for Rohingya refugees, setting an example for the world,” Zeid said. “I urge the Government to build on this respect for human rights in other areas, including in its fight against drug-related crimes.”
ENDS
  • Courtesy — ohchr.org 
  • Link  —  https://bit.ly/2kRlqQM


ইবির নিয়োগ পরীক্ষায় ছাত্রলীগের নকল!

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিয়োগ পরীক্ষায় নকলসহ ধরা পড়েছে শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী। বুধবার আইসিটি সেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে সর্বমহলে অভিযোগ উঠেছে। তবে নকলসহ ধরা পড়লেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

সূত্র মতে, সম্প্রতি সব ধরনের নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে প্রশাসন। বুধবার আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক/হার্ডওয়ার টেকনিশিয়ান এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টা থেকে প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স রুমে পরীক্ষা শুরু হয়।

পরীক্ষা চলাকালে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের একান্ত কর্মী আলমগীর হোসেন আলো চিরকুটসহ হাতেনাতে ধরা পড়ে। পরীক্ষা কমিটির সদস্য ও কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন তার থেকে উত্তর লেখা চিরকুট জব্দ করেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে তারা নকল করে পরীক্ষা দিয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে বিভিন্ন মহলের সন্দেহ মাড়িয়ে এবার ফাঁস হলো সেই প্রশ্ন। তা না হলে নকল নিয়ে কেউ পরীক্ষা দেবার কথা না। এদিকে ৩০ নম্বরের ওই লিখিত পরীক্ষায় নকলসহ ধরা পড়লেও তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়। পরে উত্তরপত্র মূল্যায়ন শেষে আলমগীর হোসেন পাস করে। একই সাথে সে ভাইভা বোর্ডেও অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। নকল করেও ভাইভা দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে।

নকল বিষয়ে ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, নকলের বিষয়টি প্রশাসনকে জনানো হয়েছে। তারা এর যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’ এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, সাজেশন, বইপত্র না থাকলেও নকল করা মানে নিশ্চয়ই প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে। এটা খবুই দু:খজনক। প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। 

  • কার্টসি — mzamin.com
  • লিঙ্ক — https://bit.ly/2LuA3F3


Wednesday, June 6, 2018

১০ শতাংশ সাংসদ এক বছরে কোনো কথাই বলেননি!

  • জাতীয় সংসদের মোট সদস্য ৩৫০
  • এক বছরে কোনো ধরনের আলোচনায় অংশ নেননি ৩৬ সাংসদ
  • ৪ জন বিরোধী দলের, ২ জন স্বতন্ত্র, ৩০ জন সরকারি দলের।
  • ৩৬ জনের মধ্যে ১৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
  • আরও ৩১ জন প্রশ্নোত্তর বা ৭১ বিধি ছাড়া অন্য আলোচনায় অংশ নেননি 


জাতীয় সংসদের ৩৫০ জন সদস্যের মধ্যে অন্তত ৬৭ জন সদস্য সংসদীয় কার্যক্রমে অনেকটা নিষ্ক্রিয়। এর মধ্যে ৩৬ জন সাংসদ (১০ শতাংশ) গত এক বছরে সংসদ অধিবেশনে কোনো ধরনের আলোচনায় অংশ নেননি।

আইন প্রণয়নের কাজে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও সাংসদদের আগ্রহে ঘাটতি আছে। গত বছর মন্ত্রীরা ছাড়া ঘুরেফিরে মাত্র নয়জন সদস্য আইন প্রণয়নের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। বাকিরা দায়িত্ব শেষ করেছেন ‘হ্যাঁ-না’ ভোট দিয়ে।

২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের পাঁচটি (১৪ তম থেকে ১৮ তম) অধিবেশনের কার্যপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

২০১৭ সালের সংসদ অধিবেশন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণায় (পার্লামেন্ট ওয়াচ) দেখা গেছে, এই পাঁচটি অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা, বাজেট আলোচনা, মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর, প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর, ১৪৭ বিধিতে সাধারণ আলোচনা, পয়েন্ট অব অর্ডারে অনির্ধারিত আলোচনা, ৭১ ও ৭১-ক বিধিতে জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশ, সিদ্ধান্ত প্রস্তাব, আইন প্রণয়ন-কোনো পর্বেই কথা বলেননি ৩৬ জন সাংসদ। তবে তাঁরা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

৬৭ জনের মধ্যে ৩১ জন সদস্য কোনো না-কোনো পর্যায়ে প্রশ্নোত্তর ও ৭১ বিধিতে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। যে ৩৬ জন কোনো আলোচনায় অংশ নেননি তাঁদের মধ্যে চারজন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য। দুজন স্বতন্ত্র সাংসদ। বাকি ৩০ জন সরকারি দলের।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চারজন হলেন এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, লিয়াকত হোসেন ও সেলিম ওসমান।

শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত বছর সংসদে তিনি কোনো কথা বলেননি-এই তথ্য সঠিক নয়। তিনি কবে কথা বলেছেন, তা মনে আছে কি না, জানতে চাইলে জিন্নাহ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে তিনি তা মনে করতে পারছেন না।

গত বছর সংসদে নিষ্ক্রিয় ছিলেন দুই স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মো. সেলিম ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। তবে এই সংসদের শুরু থেকে সরকার-বিরোধিতায় বেশ সোচ্চার ছিলেন হাজি সেলিম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ।

সরকারি দলের সদস্যদের মধ্যে যাঁরা নিষ্ক্রিয় ছিলেন তাঁরা হলেন ইকবালুর রহিম, আবু সালেহ মোহাম্মদ সাইদ, আবদুল ওদুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), মো. আবদুল ওয়াদুদ (রাজশাহী-৫), আবদুল কুদ্দুস, হাসিবুর রহমান, আবদুর রউফ, সোলায়মান হক জোয়ার্দার, রণজিত কুমার রায়, মোজাম্মেল হোসেন, মন্নুজান সুফিয়ান, খন্দকার আসাদুজ্জামান, ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার, রেবেকা মোমিন, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, নাজমুল হাসান, এ এম নাঈমুর রহমান, সাবের হোসেন চৌধুরী, আসলামুল হক, সিমিন হোসেন, রাজিউদ্দিন আহমেদ, নাহিম রাজ্জাক, নূর-ই-আলম চৌধুরী, ফয়জুর রহমান, এইচ এম ইব্রাহিম, মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, নারী সাংসদ হেপী বড়াল, অ্যাডভোকেট মমতাজ বেগম ও ফাতেমা তুজ্জহুরা।

তবে সংসদে আলোচনায় অংশ না নিলেও এই তালিকায় থাকা নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাবের হোসেন চৌধুরী, রেবেকা মোমিন ও এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীসহ কয়েকজনকে সংসদীয় কমিটিতে সক্রিয় দেখা গেছে।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ প্রথম আলোকে বলেন, সবাইকে কথা বলতেই হবে, এমন নয়। তবে সবাই কোনো না-কোনোভাবে ভূমিকা রাখেন। অধিবেশনের বাইরে সংসদীয় কমিটিতে সদস্যরা আলোচনা করেন। অনেকে এলাকার বিষয়ে মন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। গত বছর কারা কারা আলোচনায় অংশ নেননি, তা তাঁর ‘নলেজে’ নেই।

সাংসদদের কেউ কেউ দাবি করেছেন, তাঁরা বিভিন্ন সময় আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। হাসিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এই তথ্য সঠিক নয়। তিনি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, এলাকার রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংসদে কথা বলেছেন। প্রতিটি অধিবেশনেই তিনি দু-চারটি প্রশ্ন করে থাকেন।

নাটোর-৪ আসনের সাংসদ আবদুল কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর কথা না বলার কারণ সংসদ নেতা ও স্পিকার জানেন। এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চান না। তবে সর্বশেষ অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলীর (স্পিকার/ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার জন্য নির্ধারণ করা তালিকা) একজন ছিলেন তিনি।

গত বছরের অধিবেশনগুলোর কার্যপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৭ সালের প্রথম অধিবেশনে কার্যদিবস ছিল ৩২ টি। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন ২৩১ জন। ওই অধিবেশনে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা নিয়ে ১৪৭ বিধির আলোচনায় অংশ নেন ৫৬ জন। ২৪ কার্যদিবসের বাজেট অধিবেশনে বাজেট আলোচনায় অংশ নেন ২০৭ জন।

২০১৭ সালের চতুর্থ অধিবেশনে (চলতি সংসদের ১৭ তম অধিবেশন) রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক মহলের জোরালো কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানাতে আনা প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন ১৬ জন। একই অধিবেশনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে পর্যবেক্ষণ বাতিল করতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আনা প্রস্তাবের আলোচনায় ১৮ জন অংশ নেন।

পঞ্চম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেসকোর মেমোরি অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে আনা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন ৫৮ জন সাংসদ।

এর বাইরে প্রায় প্রতিদিন ছিল প্রশ্নোত্তর, জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ, অনির্ধারিত আলোচনা, সপ্তাহে একটি বেসরকারি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব এবং আইন প্রণয়ন কার্যাবলি।

২০১৭ সালে দশম জাতীয় সংসদের পাঁচটি অধিবেশনে ২৪টি আইন পাস হয়। এর মধ্যে বাজেট-সংশ্লিষ্ট তিনটি বাদে ২১টি আইন পাসের প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঘুরেফিরে মাত্র নয়জন সদস্য বিভিন্ন ধরনের নোটিশ দিয়ে বিলের ওপর আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে দুজন স্বতন্ত্র সাংসদ, অন্যরা বিরোধী দলের সদস্য। সরকারি দলের কোনো সদস্য নোটিশ দেননি। এই নয়জন ছাড়া অন্যরা বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিকবার ‘হ্যাঁ-না’ ভোট দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছেন।

সংসদ বিষয়ে বিশ্লেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের সংসদে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারি দলের সদস্যদের কথা বলার সুযোগ থাকে না বললেই চলে। আর বর্তমান সংসদে কার্যকর বিরোধী দল না থাকায় প্রাণবন্ত বিতর্ক নেই। এখন সরকারের প্রশংসা করা আর সংসদের বাইরে বিএনপিকে নিন্দা করা হয়ে গেছে মূল কাজ। তবে সব পার্লামেন্টেই সদস্যদের একটি অংশ নিষ্ক্রিয় থাকে বলে জানান ওই অধ্যাপক।

টিআইবির গবেষণায় দেখা গেছে, অনির্ধারিত আলোচনায় ১০ শতাংশ সময় ব্যয় হয়েছে সরকার ও সরকারপ্রধানের জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা করে। আর ২৬ শতাংশ সময় ব্যয় হয়েছে সংসদের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও সুশীল সমাজের সমালোচনায়।
  • প্রথম আলো/ জুন ৬,২০১৮ 

ব্যাংকের জন্য করের টাকা অযৌক্তিক

একের পর এক আর্থিক কেলেঙ্কারি ও ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের কারণে বড় ধরনের মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে সরকারি ব্যাংকগুলো। এসব ব্যাংক টিকিয়ে রাখতে ফের সাধারণ মানুষের করের ২,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার কথা বিবেচনা করছে সরকার। আসন্ন বাজেটে এই বরাদ্দ থাকছে বলে সোমবার সচিবালয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ অবস্থায় জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ব্যাংকগুলোকে মূলধন সরবরাহের সরকারি নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন ব্যাংক খাতের বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, এভাবে অর্থ দিলে ব্যাংকিং খাত নিয়ে গ্রাহকদের অনাস্থা আরো চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে। এ ছাড়া এসব ব্যাংকের উন্নতির পরিবর্তে সরকারের প্রতি নির্ভরতাও বেড়ে যাবে।

আর সেটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতির বোঝাও এখন সরকারকে বইতে হচ্ছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণায় বলা হয়, ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান রাজস্ব আয় থেকে সরকার গড়ে ১০.৮ শতাংশ অর্থ দিয়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মূলধন জোগানে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণে বারবার জনগণের টাকা দেয়া মানে হলো লুটপাটকে সমর্থন দেয়া। যেটা অযৌক্তিক। আর এতে দুর্নীতি আরো উৎসাহিত হয়। তিনি বলেন, ব্যাংকের মূল কাজ জনগণ থেকে আমানত নিয়ে উৎপাদনশীল শিল্পে বিতরণ করা। সেটা তারা করছে না। এছাড়া ব্যাংক খাত তদারক ও নিয়ন্ত্রণ করতে  পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সচেতন থাকলে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হতো না বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলকে সরকার মূলধন সহায়তা হিসেবে ১০,২৭২ কোটি টাকা দিয়েছে। জানা গেছে, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার ১৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে ব্যাংকগুলোকে দেয়ার জন্য দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, যদিও তা এখনো ছাড় হয়নি। ছাড় হবে ৭ই জুন বাজেট ঘোষণার পর। 

গত বাজেট বিবৃতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতি বছর মূলধন বাবদ ব্যাংকগুলোকে টাকা দিতে হয়েছে। ২০০৯-১০ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত ৮ বছরে দেয়া হয়েছে ১৪ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৩৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখলেও তা ছাড় করা হয়নি। পরের অর্থ বছর ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখলেও দেয়া হয় ৫৪১ কোটি টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৪২০ কোটি টাকা। কিন্তু ওই বছর ব্যাংকগুলোকে দেয়া হয় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। পরের ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকার নিজেই পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখে, কিন্তু ওই টাকায়ও কুলোয়নি। ওই বছর ব্যাংকগুলোকে দিতে হয় ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। 

এভাবে বছরের পর বছর অর্থ দেয়ার পরও গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর মূলধন সংকট দাঁড়ায় প্রায় ২০,০০০ কোটি টাকা। এর এক বছর আগে মূলধন সংকটের পরিমাণ ছিল ১৩,৮১৯ কোটি টাকা। সোমবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, ব্যাংকগুলোর জন্য আগামী অর্থবছরেও বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। তবে কত রাখা হয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেননি। 

উল্লেখ্য, ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে সোনালী ব্যাংকে হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে ২,৬০০ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ৪,৫০০ কোটি টাকা এবং জনতা ব্যাংকে বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারিতে ১,২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। সিপিডির গবেষণা মতে, সম্পদ ঘাটতির বাংলাদেশে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে যেভাবে টাকা দেয়া হচ্ছে, তা দেয়া না হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য তথা সামাজিক খাতে টাকাগুলো খরচ করা যেত। এতে দেশও অনেক বেশি উপকৃত হতো।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, ব্যাংক খাতে সুশাসনের ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় ঋণ দেয়ায় অনিয়ম হচ্ছে। খেলাপি ঋণ আদায় হচ্ছে না। ব্যাংকগুলো মূলধন ঘাটতিতে পড়ছে। ফলে সরকারি কোষাগার থেকে ব্যাংকগুলোকে প্রতিবছর টাকা দিতে হচ্ছে। সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপিঋণও অতিমাত্রায় রয়েছে। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে ব্যাংকিং খাতে সাধারণ জনগণের অনাস্থা তৈরি হবে। 

জানা গেছে, ব্যাংকগুলোকে অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা দেয়ার সময় প্রতিবারই বলে দিচ্ছে যে খেলাপি ঋণ আদায়ে তাদের মনোযোগী হতে হবে। বাস্তবে খেলাপি ঋণ আরো বাড়ছে। এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে আর শোধ করছেন না। আর এ বড় ঋণখেলাপির কারণে সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পাহাড় জমে গেছে। গত এক দশকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ চার গুণ বেড়েছে। আর মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ১৪ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৮৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, সোনালী, জনতা, রূপালী, বেসিক, কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। অথচ তার আগের তিন মাস আগে অর্থাৎ গত সেপ্টেম্বরেই এই ঘাটতি ছিল ১৫ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা। তিন মাসে মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ১ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় বড় ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় না আনা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বল ব্যবস্থাপনার করণে ঋণখেলাপি বেড়েছে। ফলে হলমার্ক, বিসমিল্লাহ, বেসিক ব্যাংকসহ বড় বড় ঋণকেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঋণ আর পরিশোধ না করায় তা খেলাপিতে পরিণত হচ্ছে। আর খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতাও কমে যাচ্ছে।

এদিকে সম্প্রতি রিহ্যাব আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, ব্যাংক খাত নিয়ে আমাদের আরো  সতর্ক ও যত্নবান হতে হবে। ব্যাংকে টাকা জমা রেখে চেক দিয়ে যদি টাকা তুলতে সমস্যায় পড়তে হয়, তাহলে হবে না। ইসলামী ব্যাংক নামকরা ব্যাংক ছিল। কিন্তু অল্প টাকা আনতে গেলেও কষ্ট হয়। সব ব্যাংক নয়, অল্প কিছু ব্যাংকে সমস্যা। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাত একটি স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে যদি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে দেশে যতই উন্নয়নের কথা বলি না, আমাদের ক্ষতি হবে। 
  • Courtesy: Manabzamin/ June 06,2018