Search

Wednesday, June 20, 2018

এবারের বাজেট কী বার্তা দিচ্ছে?

বদিউল আলম মজুমদার


সংসদে ২০১৮–১৯ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতব্যক্তি বা পারিবারিক ক্ষেত্রে বাজেট একটি নির্দিষ্ট সময়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব। কিন্তু একটি জাতির জন্য বাজেটের ভূমিকা আরও অনেক বড়। আয়-ব্যয়ের হিসাবের বাইরে এটি একটি অগ্রাধিকারেরও দলিল। তাই জাতীয় বাজেট ভবিষ্যতের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির সুস্পষ্ট বার্তা বহন করে। ৭ জুন জাতীয় সংসদে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর পেশ করা ২০১৮-১৯ সালের বাজেট কী বার্তা বহন করছে?


সার্বিকভাবে বাংলাদেশের জন্য একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের জন্য বিনিয়োগ আবশ্যক। বিনিয়োগ আবশ্যক কল-কারখানা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খাতে, যাতে কর্মসংস্থান হয়। বর্তমানে কর্মসংস্থান আমাদের জন্য একটি পর্বতপ্রমাণ সমস্যা। আমাদের গড় প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের মতো হলেও এ প্রবৃদ্ধি বলতে গেলে কর্মসংস্থানশূন্য। ফলে দেশে প্রকৃত বেকারের সংখ্যা দুই কোটির ওপরে, যার অধিকাংশই তরুণ। আর স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে ৪৭ শতাংশই বেকার। উপরন্তু প্রতিবছর ২০ লাখের মতো তরুণ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে, যাদের কর্মসংস্থানের জন্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু অনেক দিন থেকেই আমাদের বিনিয়োগ জিডিপির ২৩ শতাংশের মধ্যে স্থবির হয়ে আছে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পূর্ণরূপে অবাস্তব। আঙ্কটাডের হিসাবমতে, ২০১৬-এর তুলনায় ২০১৭ সালে বিদেশি বিনিয়োগের হার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। আমাদের সংঘাতময়, আত্মঘাতী রাজনীতির কারণে দেশি বিনিয়োগকারীদের অনেকেই ইতিমধ্যেই দেশে বিনিয়োগের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। বস্তুত বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবর্তে তাঁরা বিদেশে অর্থ পাচার করছেন। উদাহরণস্বরূপ, ‘গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটি’র তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫-১৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে, যার মধ্যে ২০১৩ সালে হয়েছে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থমন্ত্রীর বাজেটে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার এবং দেশে বিনিয়োগ কার্যকরভাবে উৎসাহিত করার কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেই, যা কোনোভাবেই একটি ইতিবাচক বার্তা নয়।

বাংলাদেশের বড় সম্পদ আমাদের উঠতি বয়সের জনগোষ্ঠী। আমাদের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের বয়স ২৪ বছর এবং তার নিচে। জনসংখ্যায় এ ধরনের অবস্থাকে অর্থনীতির ভাষায় ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ বলা হয়। এর কারণ হলো, উঠতি বয়সের জনগোষ্ঠী মূলত ভোক্তা না হয়ে উত্পাদক হয়। তারা সাধারণত কর্মক্ষম, সৃজনশীল ও উদ্যমী। তাই জনসংখ্যাজনিত এ সুযোগ কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর একটি দেশের আর্থসামাজিক ভবিষ্যৎ বহুলাংশে নির্ভর করে। প্রসঙ্গত, এ ধরনের সুযোগ চিরস্থায়ী হয় না। তাই এটিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজে লাগানো আবশ্যক।

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগাতে হলে আমাদের তরুণদের জন্য মানসম্মত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের জন্য যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। একই সঙ্গে তাদের জন্য সুযোগ, বিশেষত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তা না হলে অর্থবহ কাজে সম্পৃক্ত না হওয়ার কারণে আমাদের তরুণেরা বিপথগামী হতে পারে-এরই মধ্যে অনেকেই ইয়াবা আসক্ত ও বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড আমাদের জন্য ডেমোগ্রাফিক ‘নাইটমেয়ারে’ বা দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারে। তরুণেরা আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে বাসের অযোগ্য করে তুলতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের অর্থমন্ত্রীর বাজেটে তরুণদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের জন্য বিনিয়োগের কোনো বাড়তি ব্যবস্থা নেই। বস্তুত শিক্ষা-স্বাস্থ্যের মতো সামাজিক খাতে আমাদের বিনিয়োগ ক্রমাগতভাবে কমেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১০-১১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে শিক্ষা খাতের বরাদ্দ যেখানে ছিল ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ, তা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে মোট বরাদ্দের ১২ দশমিক ৬ শতাংশ এবং আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১১ দশমিক ৪১ শতাংশ। একইভাবে স্বাস্থ্য খাতে গত অর্থবছরের মোট বরাদ্দের ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশের তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৫ শতাংশে।

আন্তর্জাতিক মান বিবেচনায় নিলে আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের চিত্র অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। যেমন আন্তর্জাতিকভাবে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের হার যেখানে জিডিপির ৬ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ২০ শতাংশ, আমাদের দেশে তা যথাক্রমে মাত্র ২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ ও ১১ দশমিক ২ শতাংশ। একইভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ যেখানে জিডিপির ৫ শতাংশ, বাংলাদেশে তা শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ। অভূতপূর্ব সম্ভাবনাময় সামাজিক খাতে অপ্রতুল বিনিয়োগের মাধ্যমে আমাদের অর্থমন্ত্রী কী বার্তা আমাদের দিচ্ছেন?

অর্থনৈতিক বৈষম্যের ক্ষেত্রে আসা যাক। বৈষম্যের সূচক গিনি অনুপাত ২০১০-এর শূন্য দশমিক ৪৫৮-এর পরিবর্তে ২০১৬-তে শূন্য দশমিক ৪৮৩-এ এসে দাঁড়িয়েছে, যা আমাদের সমাজে ক্রমবর্ধমান আয় ও সুযোগের বৈষম্যেরই প্রতিফলন। তাই তো ২০১৬ সালের তুলনায় আমাদের সমাজের ৫ শতাংশ শীর্ষ ধনীর আয় বেড়েছে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশের আয়ের তুলনায় ১২১ গুণ, যা ২০১০ সালে ছিল ৩১ গুণ। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমাদের সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু আমাদের প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে এ বৈষম্য সহনীয় পর্যায়ে আনার কোনোরূপ দিকনির্দেশনা নেই। বরং আমাদের সমাজে, বিশেষত আর্থিক খাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় যে লাগামহীন লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, তাতে এ বৈষম্য আরও প্রকট হতে পারে। শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের মতে, আমাদের ব্যাংকগুলোতে ডাকাত পড়েছে। সরকার এ ডাকাতির সুযোগ করে দিয়েছে এবং ডাকাতদের ডাকাতি করে পার পেয়ে যেতেও দিচ্ছে। এমনকি তাদের ডাকাতি করতে উত্সাহিতও করছে।

আমাদের অর্থমন্ত্রীর আমলেই সরকার ক্ষমতাসীন দলের নেতা বা অনুগতদের ফায়দা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বসিয়েছে। এ বছরের শুরুতে লুটপাটের সুবিধার জন্য একই পরিবারের চারজনকে একনাগাড়ে নয় বছর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকার আইনি বিধানের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানে পরিবারতন্ত্র কায়েমের সুযোগ সরকার করে দিয়েছে। সম্প্রতি সরকার বেসরকারি ব্যাংকে সরকারি আমানতের হার ৫০ শতাংশে উন্নীত করেছে। লুটপাটের কারণে ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে অতীতের মতো সরকার এবারও ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে। এসব কারণে আগে শুধু সরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের সমস্যা থাকলেও বর্তমানে বেসরকারি ব্যাংকগুলোও একই সমস্যায় নিপতিত। এমতাবস্থায় লুটেরাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে, তাদের মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য আরও বরাদ্দ দিয়ে এবং ব্যাংকিং খাতের জন্য আয়করের হার কমিয়ে অর্থমন্ত্রী আমাদের কী বার্তা দিচ্ছেন? তিনি কি বিশৃঙ্খলা, লুটপাট ও বিচারহীনতাকেই উৎসাহিত করতে চাইছেন? উল্লেখ্য, এ ধরনের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে ব্যাংকমালিকদের পকেটে সম্পদ হস্তান্তর করা হয়, যা সমাজের বৈষম্য বাড়াতেই সহায়তা করবে। দুর্ভাগ্যবশত ব্যাংকমালিকদের এ ধরনের অযাচিত সুবিধা দিলেও কয়েক শ কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন, যার জন্য শিক্ষকেরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৫৪ হাজার ২০৬ কোটি (বা বাজেটের ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ) থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬৪ হাজার ৬৫৬ কোটিতে (বা বাজেটের ১৩ দশমিক ৯২ শতাংশে) বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য সুখবর বলে দাবি করা হয়। কিন্তু এখানেও একটি শুভংকরের ফাঁকি রয়েছে। কারণ, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর ৩৫ দশমিক ২ ভাগ ব্যয় হয় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন বাবদ, আর এঁদের খুব কমই নিম্নবিত্তের কাতারে পড়েন। এটি সুস্পষ্ট যে অর্থমন্ত্রী তাঁর প্রস্তাবিত বাজেটে সমাজে নিম্নবিত্তদের, বিশেষত দরিদ্রদের প্রতি অবিচারই করেছেন। একই সঙ্গে তুষ্ট করেছেন কোটারি স্বার্থকে। নিম্নবিত্তদের প্রতি অবিচারের আরেকটি সুস্পষ্ট উদাহরণ হলো করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকাই রাখা।

অর্থমন্ত্রী একজন বয়োজ্যেষ্ঠ, অতি অভিজ্ঞ এবং প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি। এবার তিনি তাঁর ১২তম বাজেট উত্থাপন করেছেন। আমরা আশা করেছিলাম যে তিনি এ বাজেটে কোটারি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠবেন, কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের প্রস্তাব করবেন এবং আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেবেন। একই সঙ্গে আমাদের বাজেট প্রণয়ন-প্রক্রিয়া যে মান্ধাতার আমলের ছকের মধ্যে আটকা পড়ে গিয়েছে, তা পরিহার করে ভবিষ্যতের জন্য কতগুলো বলিষ্ঠ অগ্রাধিকার নির্ধারণ করবেন। দুর্ভাগ্যবশত আমরা হতাশ হয়েছি।

  • ড. বদিউল আলম মজুমদার: সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক। 


Courtesy: Prothom Alo/June 19, 2018

Workers in foreign jails — Help them out

EDITORIAL



As many as 5,000 Bangladeshi workers are detained in foreign jails, as revealed in the parliament by the expatriate welfare minister. It's helpful that the government keeps track of them, but what concerns us the most is that there is no palpable action by the government to address the issue.


The data provided by the minister lacks specifics such as reasons for their arrests. Obviously, among those prisoners are some serious offenders, but understandably a vast number of them landed in jail because they wanted to stay beyond the expiry date stated in their work permit or visa, or because of other migration offences. In addition, some might be in jail simply because they couldn't afford or access sufficient legal assistance. Some others might have been caught while entering—or, being trafficked into—the host country illegally.


The expatriate workers often blame inaction of Bangladesh embassies in respective countries for many of their woes. Therefore, one of the first things that the government can do to help those stranded Bangladeshi workers is to instruct our embassies to provide them with consular assistance. Our diplomats must engage with foreign officials to ensure that our workers receive a fair chance to defend themselves in a court of law and, if possible, facilitate their release.


Bangladeshi workers stationed abroad have made an enormous contribution to our economy. They work extremely hard in foreign lands to change the lives of their families back home, channelling billions of dollars as remittance to the country, thus, keeping the economy rolling. Therefore, when they are in peril in an unknown territory, the government has an obligation to help them.



  • Courtesy —  The Daily Star/ Editorial/June 20, 2018

Non-govt. teachers threaten to go on fast unto death

15 fall sick, one sent to home after hospital



Staff Correspondent

Non-government teachers on Tuesday threatened to go on fast unto death from today demanding inclusion of their educational institutions in the monthly pay order system. Non-MPO teachers’ federation general secretary Binoy Bhushan Roy made the announcement.


The teachers came up with the threat on the second day of their on-going sit-in programme near the National Press Club in the capital. Tuesday was their tenth consecutive day of demonstration. The teachers also said that at least 15 teachers fell sick due to fever, dehydration and dysentery during their demonstration. 


The teachers took to the streets under the banner of Non-MPO Educational Institutions’ Teachers and Employees Federation as finance minister AMA Muhith in the proposed budget for the next fiscal did not make any specific declaration about their enlistment for the financial assistance, although the prime minister Sheikh Hasina assured them of MPO inclusion in January this year.


Among the sick teachers, M Yusuf Ali of Jhenidah was admitted to Dhaka Medical College Hospital in the morning and then sent to his home, said the federation general secretary Binoy Bhushan Roy.


The federation president Golam Mahmudunnabi said they would not go home until their demand was not met.


Binoy Bhushan Roy said that earlier in the beginning of the year they called off their 11 days protest, including sit-in and five days of hunger strike, on January 5 with the assurance of prime minister Sheikh Hasina.


On the day, the teachers were seen passing through tiring and inhuman lives on the streets that started on Monday demanding their inclusion in the monthly pay order, under which the government pays salaries and benefits to teachers of non-government schools, colleges and technical institutions.


About hundred of teachers were attending the sit-in on the footpath and adjacent road near the National Press Club till filing the report at about 7:00pm in the evening.


About 80,000 teachers of 5,000 non-government schools, colleges and technical institutions are now outside the purview of the monthly pay order.

  • Courtesy  —    New Age/ June 20, 2018





মানবাধিকার তদন্তের অনুরোধে সাড়া দিচ্ছে না বাংলাদেশ — জাতিসঙ্ঘ



মানবাধিকার তদন্তে জাতিসঙ্ঘের অনুরোধে সাড়া দিচ্ছে না বাংলাদেশ। জাতিসঙ্ঘের এ ধরনের অন্তত দশটি অনুরোধে বাংলাদেশ সাড়া দেয়নি।

জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনার জিয়াদ রাদ আল হুসেইন এ কথা জানান। সোমবার জেনেভায় জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৩৮তম অধিবেশনে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন।

জিয়াদ রাদ আল হুসেইন নাগরিক সমাজের কাজ করার ক্ষেত্র সঙ্কুচিত হওয়ার উদ্বেগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারকে আরো সক্রিয়া হওয়ার আহ্বান জানান। 

Tuesday, June 12, 2018

গোষ্ঠীতন্ত্রের পছন্দের বাজেট


আমলাদের বেতন খরচের দ্বিতীয় খাত। আর ঋণ করে তা জোগাতে হয় বলে ঋণের সুদাসল পরিশোধ রাজস্ব ব্যয়ের পয়লা খাত। ব্যাংকে নৈরাজ্য থাকার পরও করপোরেট কর কমবে, ব্যাংক কমিশন করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি আর্থিক খাতের অন্য খাত তথা পুঁজিবাজারেও। পাশাপাশি গোষ্ঠীতন্ত্রের তুষ্টির খাতগুলোতে বরাদ্দ সর্বোচ্চ।

বাজেট বাস্তবায়নে ধারাবাহিক অবনতি

অনেকে বলে থাকেন, বাজেটের আকার বড়। কিন্তু আশপাশের উন্নয়নশীল দেশগুলোর হিসাব তা বলে না। বাংলাদেশের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট যেখানে জিডিপির ২১ শতাংশের কাছাকাছি, সেখানে ভারতে তা ২৬ ও মালয়েশিয়ায় ২৭ শতাংশ। এ ছাড়া উঠতি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাজেট জিডিপির ৩১ শতাংশ। তা ছাড়া কোনো বছরই বাজেট পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয় না। গত অর্থবছরে ২১ শতাংশ বাজেট বাস্তবায়িত হয়নি। এ হিসাবে প্রস্তাবিত বাজেট আসলে ৩ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। প্রকল্প প্রণয়ন ও দক্ষতার সংকট, ব্যয়ের দক্ষতার সংকটের ফলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) পুরোপুরি বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ফলে প্রকৃত এডিপির আকার কমছে।

বাজেট বাস্তবায়নই বর্তমানে অন্যতম চ্যালেঞ্জ। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে বাজেট বাস্তবায়নের হার ক্রমেই কমছে। ওই বছর বাজেটের ৯৩ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৯১ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৮৫ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮২ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭৯ শতাংশ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭৮ শতাংশ হয়।

কর-জিডিপি অনুপাত এবং অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রা

বাংলাদেশে কর-জিডিপি অনুপাত ২০০৯ সালে ছিল ৯ শতাংশ, যা পরে কমে ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত হয় ৮ দশমিক ৮ শতাংশ, যেখানে পাশের ভারতে ছিল ১৬ দশমিক ১৬, পাকিস্তানে ১০ দশমিক ৫, শ্রীলঙ্কায় ১১ দশমিক ৮ এবং নেপালে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশে পশ্চাদগামী (রিগ্রেসিভ) কর কাঠামো বিদ্যমান। রাজস্ব আয়ে প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ করের অবদান বেশি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক সংগৃহীত রাজস্বের অর্ধেকের বেশি আসে ভ্যাট ও আবগারি শুল্ক থেকে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে আয়কর ও ভ্যাট থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে যথাক্রমে ১০০,৭১৯ কোটি ও ১১০,৫৫৫ কোটি টাকা।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এটা আগের অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৭৯ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা বা প্রায় ৩১ শতাংশ বেশি। অথচ প্রতি অর্থবছরেই রাজস্ব সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি থাকে। ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঘাটতি যথাক্রমে ৩১ হাজার ৪৩ কোটি ও ২৪ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ঘাটতির পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকা।

করের টাকা কোথায় যায়

সরকারি ব্যয়ের বড় অংশ যাচ্ছে প্রধান দুটি অনুৎপাদনশীল খাতে। যথা: ১. সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ২. ঋণের সুদ পরিশোধ। এ বছরের অনুন্নয়ন বাজেটে সবচেয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সরকারি ঋণের সুদ পরিশোধে (১৮ শতাংশ)। গত বাজেটে তা ছিল ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এরপরই বরাদ্দ বেশি পেয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত (১৩ দশমিক ৬ শতাংশ)—আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১ শতাংশ কম। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের জন্য ৫৩ হাজার ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি খাতওয়ারি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ। তবে এখানে শিক্ষার মান উন্নয়ন অথবা দক্ষতা বৃদ্ধির বিপরীতে অবকাঠামো খাতের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অনুমেয় যে স্থানীয় সাংসদ ও অন্যান্য রাজনৈতিক সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর জন্য এ ধরনের বরাদ্দ।

বাংলাদেশে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। নির্মাণ সময়ও সর্বোচ্চ। নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের সম্পদ লুট করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে সম্প্রতি মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় করা হয়েছে ৫৪ কোটি টাকা। ইউরোপে একই ধরনের মহাসড়ক নির্মাণে প্রতি কিলোমিটারে গড়ে ব্যয় হয় ২৮ কোটি টাকা। চীনের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় চার লেন মহাসড়কের প্রতি কিলোমিটারের জন্য ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয় ১২-১৩ কোটি টাকা এবং দুই লেন মহাসড়কের প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় ১০ কোটি টাকা। যথাযথ কারণেই গোষ্ঠীতন্ত্রের তুষ্টিতে এ খাতে বরাদ্দ সর্বোচ্চ।

তারপরে অবস্থান জ্বালানি খাতের। একই রকম কারণে। এ সরকারের আমলে সবচে বেশি ভর্তুকি দিতে হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র এবং ভারত থেকে অতি উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনে ভর্তুকি দিয়ে গ্রাহকদের সরবরাহ করা হয়েছে ও হচ্ছে। বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি মূল্য বারবার বাড়ানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ কমানো যাচ্ছে না।

বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে সরকার অপরিণামদর্শীভাবে একের পর এক ব্যয়বহুল প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি করে চলেছে। এসব প্রকল্প উচ্চসুদে বিদেশি ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে, যা জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। যদি কৃত্রিমভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমিয়ে রাখতে হয়, তাহলে প্রতিবছর এ দুটি খাতে যে পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিতে হবে, তা দেশের অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে।

এতত্সত্ত্বেও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আশাব্যঞ্জক উন্নতি হয়নি। ঢাকা মহানগর ছাড়া দেশের ছোট-বড় শহর/নগর ও গ্রাম এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অপ্রতুল ও অনিয়মিত। গ্যাস সরবরাহের বেলাতেও একই অবস্থা বিদ্যমান। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সৌরশক্তি থাকা সত্ত্বেও সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় অনেক কম।

বরাদ্দ কমে যাওয়ার খাতগুলো

সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে বরাদ্দ কমেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি বাজেটে আছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। পেনশন, অবসর ভাতায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। দীর্ঘদিন ধরে ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিমের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হলো আমাদের দেশে ৮৭ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক খাত। এই আমলাতন্ত্রকে দিয়ে এই বিশাল খাতের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা এবং তা বাস্তবায়ন অলীক কল্পনামাত্র বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপ লক্ষণীয় নয়।

ঋণ করে ঘি খাওয়ার অর্থনীতি

যদি সরকার প্রস্তাবিত ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে যায়, যদিও তার সম্ভাবনা কম, সরকারকে ধার্যকৃত প্রস্তাবিত লক্ষ্যমাত্রার অধিক ঋণ নিতে হবে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আয় হওয়ার সম্ভাবনা একদিকে যেমন কম এবং অন্যদিকে বৈদেশিক উৎস থেকে প্রস্তাবিত ৫০,০১৬ কোটি টাকার ঋণ ও অনুদান সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। তাই অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেড়ে যাবে।

প্রতিবছর বাজেটে ঘাটতি রাখা হয় জিডিপির ৫ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের মধ্যে রাখতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ সীমিত হয়ে পড়ে। অথচ দেখা যায়, বাজেটে বরাদ্দ অর্থের সম্পূর্ণ অংশ বিভিন্ন কারণে ব্যয় করা সম্ভব হয় না, যা বাজেট ঘাটতির পরিমাণ কমায়। বাস্তবে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ শতাংশের মতো। অথচ শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো খাতে যেখানে বিনিয়োগ করলে গুণগত প্রভাব তৈরি হয়, সেখানে প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম রাখা হয়। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের বরাদ্দের অনুপাতে স্থির রয়েছে। বাজেট ঘাটতির হিসাবে ঠিক থাকলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ে।

বড় প্রকল্পগুলো শেষ হবে তো?

আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রকল্পওয়ারি বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অগ্রাধিকার তালিকার একটি প্রকল্পও শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বড় প্রকল্পগুলোর জন্য অবশ্য বেশি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তালিকায় ১০টি প্রকল্প আছে—পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট আলট্রা সুপার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (মেট্রোরেল প্রকল্প), পদ্মা সেতু রেলসংযোগ, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছাকাছি গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন দ্বৈতগেজ রেলপথ, মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প প্রভৃতি।

আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা থাকতে হয়। আর্থিক ব্যয় ব্যবস্থায় শৃঙ্খলাও জরুরি। যেসব খাতে বরাদ্দ বাড়ানো অথবা কমানো হয়েছে তা যেমন স্বচ্ছ নয়, তেমন অবস্থা আয় ও ব্যয় ব্যবস্থাপনায়। এতে কার ওপর কত চাপ পড়বে, কোন খাত থেকে বাড়তি টাকা আসবে, সে ব্যাপারেও কোনো পরিষ্কার কৌশল ও ধারণা অনুপস্থিত। সৃজনশীল চিন্তাভাবনার সংকটও প্রকট।

রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতিফলন 

বাজেটের আকার আয় ও ব্যয় এ দেশের রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নির্ভর করে ক্ষমতার ভাগাভাগি ও দখলের ওপর। সে কারণেই নিম্ন, গরিব ও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের ওপর করের চাপ যেমন বেড়েছে, ঠিক ততোধিক হারে ক্ষমতাশ্রয়ী গোষ্ঠীতান্ত্রিক সুবিধাভোগী শ্রেণি সুবিধা পেয়েছে। রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও আমলাদের এই সম্পদ নির্ভরশীল পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত সিন্ডিকেট তৃণমূল থেকে কেন্দ্র তথা ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত উল্লম্ব কাঠামোতে আবদ্ধ এবং একইভাবে শাসনক্ষমতার প্রতিটি স্তরে তথা ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্র পর্যন্ত আবার অনুভূমিকভাবে জড়িত। এর মাধ্যমে ওপর-নিচ পর্যায়ে অনেকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ভাগাভাগির অংশীজন হতে পারে। সে কারণেই সর্বস্তরে ভৌত অবকাঠামো তথা রাস্তাঘাট, সেতু, জ্বালানি খাতে বরাদ্দ সর্বাধিক বাড়ানো হয়েছে। একই ধারায় স্থানীয় পর্যায়ে সাংসদদের তত্ত্বাবধানে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা অবকাঠামো নির্মাণে বরাদ্দ দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদে বখরার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

ওই একই যুক্তিতে আমলাদের বেতন খরচের দ্বিতীয় খাত। আর ঋণ করে জোগাতে হয় বলে ঋণের সুদাসল পরিশোধ রাজস্ব ব্যয়ের প্রথম খাত। ব্যাংকে নৈরাজ্য থাকার পরও করপোরেট কর কমবে, ব্যাংক কমিশন করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি আর্থিক খাতের অন্য খাত তথা পুঁজিবাজারেও। অর্থাৎ জোরজবরদস্তির মাধ্যমে আদিম পদ্ধতিতে পুঁজির পুঁজিভবন ঘটছে। বেড়ে চলেছে সম্পদ ও আয়ের বৈষম্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার—সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার উল্টোরথ চলছে।
  • ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চেয়ারপারসন, উন্নয়ন অন্বেষণ।


Major challenges remain unaddressed



Unnayan Onneshan prepares a rapid assessment of the proposed national budget for the 2018-2019 financial year 


THE finance minister has announced 47th national budget for fiscal year 2018-19. The current year’s budget is somewhat different from the previous one by the fact that it precedes the national parliamentary election. The budget has been declared in the backdrop of a number of economic challenges in three major areas — macroeconomic stability, medium term scenario in socio-economic development and institutional fragility. 

Macroeconomic stability is threatened by persistent decrease in exchange rate of local currency, large scale deficit in current account balance and high inflation. In the medium term, rate of poverty reduction has been slowed down while five northern districts of the country have seen declining economic situation. Lack of diversification in real sector, particularly in agriculture and industry, has contributed to sluggish growth in output and employment. On the one hand, inequality has widened due to the growing gap between return on capital and return on labour; on the other hand, the persistent primitive accumulation in the form of looting in different sectors of the economy. State of human capital in the country has been disappointing due to absence of quality expenditure in social sectors. 

Institutional fragility has been evident in every sector of the economy which is leading different economic sectors to maintain discipline. Institutional fragility and political uncertainty are contributing to the lack of confidence among investors. In the wake of national parliamentary election, investors are adopting ‘wait-and-see policy’ when making investment decisions since they are fearful about the process of power transition and the subsequent business environment recalling the situation after the national election back in 2014.

The size of the budget for FY 2018-19 is Tk. 4,64,573 crore which is 16.06 per cent higher than the proposed budget for FY 2017-18. In terms of the size of the economy, the budget is not so large. The budget for FY 2018-19 is 18.3 per cent of the Gross Domestic Product while it lies below the budget-GDP ratio of other developing countries including the neighbouring countries. India has a budget-GDP ratio of 26 per cent while Malaysia has budget-GDP ratio of 27 per cent. The Budget-GDP ratio is 31 percent in other developing countries.

Regardless of the size, the implementation of budget has been a major challenge in recent years. The country has seen under implementation of budgets since FY 2011-12 and the rate of implementation has assumed a decreasing trend over the years. In FY 2011-12, budget implementation rate was 93 per cent which decreased to 91 percent in FY 2012-13, 85 per cent in FY 2013-14, 82 per cent in FY 2014-15, 79 per cent in FY 2015-16 and 78 per cent in FY 2016-17. In FY 2017-18, budget implementation is expected to be 74 per cent.

Despite the increasing trend of tax revenue over the years, the tax-GDP ratio is very low in Bangladesh compared to global average. In FY 2015-16, Tax-GDP ratio in Bangladesh stood 8.98 per cent, while it was 16.6 per cent in India, 10.5 per cent in Pakistan, 11.8 per cent in Sri Lanka and 18.4 per cent in Nepal. In FY 2016-17 and FY 2017-18, Tax-GDP ratio in Bangladesh slightly increased to 9.0 and 10.39 respectively.



Bangladesh, however, has a regressive tax structure where people with low income have to share relatively larger share of the tax burden due to different forms of indirect taxes. This contradicts a progressive tax structure which is considered necessary for the economy to redistribute its resources. It is evident that Value Added Tax is a regressive form of tax; because its incidence falls more heavily on the lower income people. In FY 2018-19, only 34 per cent of total NBR revenue would come from taxes on income and profit whereas 53.79 per cent would come from indirect sources including VAT and Supplementary Duty together. 

The reasons for lesser collection of direct tax from income and profit include small tax net despite the huge size of population, tax evasion and frequent tax avoidance. Still no action on transfer pricing are taken which could provide huge tax revenue and compensate amount lost due to tax evasion in the country. 

The budget has set a target of collecting Tk 3,39,280 crore as revenue receipts. The target seems to fall short since a gap between revenue target and actual collection has been regular. In the first nine months of the FY 2017-18, collection of revenue stood Tk 1,44,000 crore against a target of Tk 1,67,000 crore leaving a shortfall of Tk 23,000 crore. Budget has been prepared with a deficit equal to 5 per cent of the GDP. In budget 2018-19, deficit has been estimated to be 4.9 per cent of GDP.

Every year a huge portion of the government expenditure is going in unproductive sectors; specifically in salary and allowance of the government employees and interest repayment. In the budget for FY 2018-19, a total of Tk 1,12,266 crore has been allocated for salary and allowances and interest repayment which constitutes 24.17 per cent of the total budgetary outlay. This continuing trend of growing expenditure in unproductive sectors might be creating a zero sum game without required growth in real sectors. 

Allocation in sectors like education, health and social security has been stagnant for years. In budget 2018-19, education, health and social security sectors consecutively have received 14.6 per cent, 5 per cent and 5.1 per cent of the budget. These sectors would get much higher allocation if the budget management was prudent.

Budget has been the occasion of increase in price of many necessities, directly or indirectly. This is because in every budget there are measures that raise prices of certain commodities. The measures taken in the budget for FY 2018-19 are likely to increase price of some 19 commodities while reducing price of some 14 commodities. Soon after the budget is announced, price of some commodities goes up while it is very unprecedented that price of the commodities which is supposed to fall, actually goes down. 

Moreover, price hike of the commodities does not remain subject to only budgetary measures. In recent times, prices of some essential goods and services like house rent, electricity, water, gas etc. have seen frequent and arbitrary hikes outside the scope of national budget. Yet, there exist widespread problems of load-shedding and gas shortage creating multiplier effects on the economy which adversely affects living standards of poor and fixed income people and productivity growth of the economy.

While national budget is directly linked to the living standard of the mass, they have little stake in budget making process. The current structure of budget formulation that follows simple arithmetic in balancing income and expenditure and that maintains a rigid time-bound schedule for approval does not allow participation by numerous stakeholders in the final outcome of the budgetary process. As a consequence, lack of participation in budget making process leads to over-centralisation which, in turn, results in corruption, patronisation and poor implementation of budget.

Macroeconomic challenges

THERE are a number of macroeconomic challenges that would pose difficulty for implementing the proposed budget. Persistent decrease in exchange rate of local currency, large scale deficit in current account balance and prevailing high inflation are threatening macroeconomic stability in the economy. 

The local currency taka has become weak against the US dollar in recent times. In May 2018 Taka per USD rose to 83.70 from 82.98 in April. Rising pressure on local currency is undermining the growth potential of the domestic economy due to persistent current account deficits. 

Deficit in the country’s current account increased to USD 6.32 billion in July-February of the current fiscal year 2017-2018 from USD 963 million in the corresponding period of the previous fiscal year. Despite the sharp increase in import payments against moderate growths in export earnings and remittance inflow deficit increased. As a consequence, the total balance of payment undergoes a deficit of USD 978 million in July-February of FY 2017-18 compared to a surplus of USD 2449 million in July-February of FY 2016-17. On top of that, the country’s trade deficit hit all-time high of USD 11.732 billion in July-February of FY 2017-18, rising by 92.67 per cent from USD 6.089 billion in the same period in the fiscal year 2016-17.

These prevailing trends put high inflationary pressures on the economy. Inflation has risen alarmingly in the current fiscal year creating much pressure on the limited income people. Twelve-month average food and general inflation stood at 7.17 per cent and 5.70 per cent respectively in December 2017 compared to 4.51 per cent and 5.52 per cent in December 2016. 

While the recent official data shows a decline in inflation, recent data of Consumers’ Association of Bangladesh on market price shows that price of all the necessary food items have seen a sharp rise not reflected by the official statistics. The problem of high food inflation is largely institutional. Lack of effective supply chain management and necessary market supervision are not only making people spending more on necessary food items but also depriving the producers of getting adequate returns.
Institutional fragility

INSTITUTIONAL fragility has been evident in all sectors of the economy while the banking sector and the capital market have been the worst victims. Turmoil in banking sector and capital market is discouraging private investment by raising interest rate on the one hand and lowering return on capital and investors confidence on the other.

The recent crises in the banking sector, reflecting the poor risk management ability of the central bank, has made the financial sector in Bangladesh worst among the emerging Asian countries. Continuous default loans, scams, and heist cause increased cost of fund and shortfall in capital in the banks. Bangladesh Bank data shows that as of September 2017, total defaulted loan stood at Tk. 80307 crore gone defaulted representing 10.67 per cent of the total loan. This amount reaches Tk. 1,25,307 crore (equal to 13 percent of GDP) when adding the amount of written-off loan. Additionally, non-performing loan as a proportion of outstanding loan which was 7.2 per cent in 2010, reached 10.7 per cent in September 2017. These numbers, however, understate the magnitude of the problem because these exclude the amounts rescheduled or written off loans. As of September 2017, an amount of Tk 45,000 crores was written off. 

This situation is more upsetting for the State Owned Commercial banks and Development Financial Institutions. Persistent plundering has left the banking sector in a state of capital shortfall. At the end of September 2017, nine banks fell short of capital amounting near a total of Tk 19,467 crore. Of them, the state-owned six banks have the lions’ share of Tk 17,442 crore. Of the defaulted loan six state-owned bank share Tk 38,517 crore with a default rate of 29.25 per cent while domestic private banks share Tk 33,973 crore with default rate of 5.97, two specialised bank share Tk 5,518 crore with default rate of 23.79 per cent and the foreign banks share Tk 2,298 crore with default rate of 7.89 per cent. The government recapitalises the shortfall with taxpayer’s money from budget for the last 10 years instead of correcting the faults of the institutions, which not only increases the burden on taxpayers but also causes a net loss to the economy. 

Further, large scale liquidity shortage has led interest rate to rise, thus discouraging investment in private sector by raising the cost of capital. Despite all these challenges, Budget for FY 2018-19 outlined no institutional reform measures to revamp the banking sector.

It is evident that there has been a vicious cycle in the capital market that ends up with investors’ reluctance to investment. Lack of investors’ confidence and lesser profit of the companies have created the fall in the exchange. Most of the banks, listed with the stock exchanges, registered profit fall in January-March, 2018 compared with the same period in the previous year. Fall in profit, in turn, is raising debt liability of the companies enrolled in share market. Eight companies top-listed in share market have a total of Tk 21,226 crore debt with a total paid-up capital amounting to Tk 2,966 crore.

Amid chaotic situation in the country’s financial sector and political uncertainty ahead of the national elections, foreign investors are increasingly exiting from the capital market. Net foreign investment at the Dhaka Stock Exchange hit negative Tk 282 crore in May, 2018 which was the highest in recent years. In the month, foreign investors sold shares worth Tk 624 crore against their purchase of shares worth Tk 341.83 crore. 

Private sector investment has been remaining stagnant at around 22 per cent for a decade. It stood at 22.07 per cent of GDP in FY 2014-15 and 21.78 per cent in FY 2015-16. It is found that net Foreign Direct Investment has slumped recently. In 2017, FDI has declined by 7.76 per cent compared to that in the previous year. In 2014, FDI stood very low at USD 1551.28 million in the milieu of political unrest. FDI rose subsequently to USD 2235.39 million and USD 2332.72 million in 2015 and 2016 respectively. But it again declined and stood USD 2151.56 million in 2017. While slump in FDI in the year 2014 was clearly due largely to the then political chaos, in 2017, decline in FDI in a stable political environment can well be attributed to the environment, not friendly to business.

Med-term challenges

IN THE medium term, the country is facing a set of challenges that were not well reflected in the budget for FY 2018-19. Rate of poverty reduction has been slowed down and the incidence of poverty has concentrated in certain geographic pockets. Decrease in the rate of formal employment creation, alarming increase in youth unemployment rate and declining people’s real income clogged dynamism in the economy despite continuing GDP growth. Lack of diversification in real sector particularly in agriculture and industry has contributed to sluggish output and employment in the economy.

The macroeconomic policy framework has not succeeded to boost the agriculture and the industry sectors to their potential. The decelerating growth in agriculture has been on the decline of late. The rate of growth in agriculture has been falling since the FY 2010-11. The rate of growth in industrial sector has been falling as well. Whereas in FY 2010-11, the rate of growth in manufacturing sector was 10.01 per cent, the rate came down to 9.96 per cent in FY 2011-12 and 9.64 per cent in FY 2012-13 and again fell to 8.16 per cent in FY 2013-14. It rose to 9.67 per cent in FY 2014-15 and further increased in 2015-16 reaching 11.09 per cent. But in FY 2016-17 it again fell down to 10.5 per cent. As a result, the share of industrial sector in GDP is increasing at a decelerated rate.

Bangladesh is missing the opportunity to benefit from its demographic dividend by turning its huge number of youth into human capital, due to the faulty education system. As of the ‘Global Human Capital Report 2017’ published by World Economic Forum, Bangladesh ranked 111th out of 130 countries reflecting much poorer performance in education sector. Unemployment rate among the relatively more educated labour force, particularly higher secondary and tertiary education, has appeared disappointing. The recent Labor Force Survey by the BBS revealed that the educated unemployed account for 39 per cent of the total unemployed in FY 2016-17. In a recent study, World Bank observed that 70 per cent of the graduates are remaining unemployed for two years after leaving their colleges while the rate is 40 per cent for those who have completed technical education. 
Not only employment opportunity, but also real income has declined in recent yeas. Data from Household Income and Expenditure Survey 2016 shows that individual income decreased by 2 per cent between 2010 and 2016 while per capita calorie intake decreased from 2318 kilo in 2010 to 2210 kilo in 2016.

A significant number of people are still living below the poverty line, despite considerable thrust on poverty alleviation in all planning documents since the independence of Bangladesh. Though, the proportion of poor in the population declined between 2000 and 2016, the rate of reduction in poverty has been showing a downtrend. The incidence of poverty decreased from 49.8 per cent in 2000 to 40 per cent in 2005. In this period, poverty declined by 1.96 point on an average. The rate of poverty was 31.5 per cent in 2010 marking an annual fall of 1.70 point on an average. In 2016, incidence of poverty fell to 24.3 per cent showing an average reduction of 1.2 point per year.

Though economy of Bangladesh has been achieving commendable growth in the recent decades, it has failed to distribute the benefit of growth fairly among the citizens. Inequality; especially income inequality, has been rising over the years. Gini co-efficient of income has increased from 0.451 to 0.483 at national level between 2000 and 2015 showing an average yearly growth of 0.47 per cent. The Gini co-efficient of income has increased to 0.483 in 2015 from .458 in 2010 representing an increase of 5.5 per cent during the period. 

The poorest 5 per cent had 0.78 per cent of the national income in their possession in 2010 which dropped to 0.23 per cent in 2015. By contrast, the richest 5 per cent, who had 24.61 per cent of the national income in 2010, enjoys a share of 27.89 per cent in 2015. 

The government spending in social security measures, though increased in recent years, is still appeared to be inadequate since a large number people in the country is living under poverty line. In FY 2018-19, the proposed allocation for social security and welfare sector is Tk 27,156 crore which is 5.8 per cent of the budget outlay. For Social Security and Welfare sector, the proposed allocation in FY 2017-18 was Tk 20701 which was 6 per cent of the total budget. In FY 2016-17, the proposed allocation for the social security and welfare sector was estimated at Tk. 19880 crore, representing only 5.8 per cent of the total outlay. 

Such low allocation was attributed to the diversion of expenditure from social sector to meet the rising payment on account of principal and interest for the high public borrowing to finance the budget deficit in the recent years. Moreover, in Bangladesh, social safety net programmes have been developed and evolved on adhoc basis. The major shortcoming of these SSNPs is that they are short-term in nature and only designed to address post-disasters situations.

Attracting more private investment, restoring investors’ confidence and ensuring political certainty may lead to employment creation, poverty reduction and decreasing income and wealth inequality in the country. These are the prudent ways to realise Bangladesh’s potential and continue marching forward on the pathway to future prosperity. 

In order to get rid of the outlined bottlenecks, the country has been waiting for a medium-term strategy that generates increment in the productive capacity and provides avenues for the poor to obtain an increased share. The adoption of such a growth strategy necessitates a prudent economic management. It warrants harmonisation of fiscal and monetary policy in order to stimulate the expansion of productive capacity and the fall in the rise of inflationary pressure. 

A vigilant look into the falling investment demand is pressing since any further decline in the private investment is assumed to significantly slow down the pace of growth in the economy. The private domestic expenditure may be dampened, if a decline in expenditure happens. The growth of export as well as increased private investment should, therefore, be emphasised in order to escape further downturn in the economy. Macroeconomic stimuli are required to be initiated in order to ensure pro-poor growth through generating employment opportunities in the economy. Besides, an increased allocation of resources and implementation of development programmes in health and education sectors must be ensured, while the social safety net programmes institutionalised into of a sustained system of social security. 

The proposed actions in various macroeconomic plans and strategies are inadequate to bring fiscal discipline in the management of deficit, debt and subsidy one the one hand and to increase income in the absence of radical reforms in the tax system, on the other. The regressive tax structure is ridden with low base, avoidance and evasion. There is huge missing of distributive justice, characterised by widening income, spatial and male-female inequalities, driven by jobless growth. 

There is need for a pro-active state. As experienced in the recent past, policies that focus mainly on stabilisation, but pay little attention to proper allocation and distribution is more likely to even fail in stabilisation of the economy. Second, numerous un-coordinated seemingly less than effective programmes relating to social safety nets need to shift its emphasis on social protection through innovation in social policies. Third, given the vulnerabilities existing in the external sector, breaking into the high-value global supply chain has become important to the country.

  • This is an abridged version, customised for New Age, of the Bangladesh Economic Update’s June 2018 issue, published by Unnayan Onneshan, an independent multidisciplinary think-tank in Bangladesh.


Monday, June 11, 2018

অপচয় দিয়েই শুরু এলএনজির যাত্রা

দেড় মাস ধরে অপেক্ষায় কমিশনিং কার্গো


ইয়ামিন সাজিদ

দেশের প্রথম ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে নোঙর করে আছে কমিশনিং কার্গো। কিন্তু সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির কারণে দেড় মাসেও প্রথম কিস্তির এলএনজি সরবরাহ হয়নি। এতে প্রতিদিনই অপচয় হচ্ছে গ্যাসের। অপচয়ের পাশাপাশি পরিচালন বাবদও আর্থিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে পেট্রোবাংলাকে।

অন্যান্য তরল পদার্থের মতো এলএনজিও উদ্বায়ী। ক্রায়োজেনিক লিকুইড ট্যাংকে এ গ্যাস মজুদ করা হয়। তবে ক্রায়োজেনিক ট্যাংকে তাপের কারণে এলএনজির একটি অংশ উড়ে যায়। মজুদকালীন ও লোড-আনলোডের সময় তাপজনিত কারণে এ অপচয় হয়ে থাকে। এতে হ্রাস পায় গ্যাসের পরিমাণ। মহেশখালীতে আমদানিকৃত এলএনজির ক্ষেত্রেও এমনটা হচ্ছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, ইভাপোরেটিংয়ের কারণে তো গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস পায়। এতে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। এলএনজি পাইপলাইন সঠিকভাবে নির্মাণ করতে না পারায় এটা হচ্ছে।

তবে পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কমিশনিং কার্গো বসিয়ে রাখার কারণে বয়েল-অফ গ্যাস ও পরিচালন ব্যয় বাবদ সংস্থাটির প্রায় অর্ধকোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া কমিশনিং কার্গোর পর ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী যেসব জাহাজ আসার কথা, সেগুলো না আসার কারণেও গ্যাস ব্যবহার ছাড়াই ব্যয় বহন করতে হবে। এতে করে পেট্রোবাংলার আর্থিক ক্ষতি আরো বাড়বে।

এলএনজির প্রথম কিস্তি নিয়ে গত ২৪ এপ্রিল কক্সবাজারের মহেশখালীতে পৌঁছায় কমিশনিং কার্গো। গত ১২ মে পাইপলাইনের মাধ্যমে এ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের কথা ছিল। কিন্তু এফএসআরইউ থেকে জিরো পয়েন্ট তথা জাতীয় গ্রিডের আগ পর্যন্ত সাড়ে সাত কিলোমিটার পাইপলাইনের বিভিন্ন অংশে ছিদ্র দেখা দেয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর পুনরায় সরবরাহের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৬ মে। 

এ সময়ের মধ্যেও ত্রুটি মেরামত না হওয়ায় ৪৭ দিন ধরে সাগরে নোঙররত অবস্থায় বসে আছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ ঘনমিটার (৬০ হাজার ৪৭ টন) এলএনজিবাহী জাহাজটি। বিশাল এ জাহাজের পরিচালন ব্যয় (ফিক্সড অপারেটিং কস্ট) ও আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ দৈনিক ডেমারেজ বা লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫০ হাজার ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৪০ লাখ টাকা। এক্সিলারেট এনার্জি টার্মিনাল নির্মাণ ব্যয় বহন করলেও অপচয়ের ব্যয় বহন করতে বাধ্য নয়।

নির্মাণ ও ব্যবহার চুক্তি অনুযায়ী ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) ও টার্মিনাল থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের ব্যয় মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির। কিন্তু গ্যাসের অপচয় ও নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করতে না পারার কারণে যে ক্ষতি, তা আমদানিকারক হিসেবে পেট্রোবাংলাকেই বহন করতে হবে।

জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ বণিক বার্তাকে বলেন, কার্গো অপেক্ষায় রাখার জন্য আমাদের কোনো আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে না। কারণ দায়িত্ব আমাদের নয়। এটা এক্সিলারেট এনার্জিই বহন করছে। পাইপলাইনের যে জটিলতা ছিল, তা সমাধান হয়েছে। ১৪ জুন এ বিষয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আপাতত কোনো সমস্যা নেই। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি আছে। ওগুলো শেষে ঈদের পর গ্যাস সংযোগ দেয়া যাবে।

জ্বালানি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যুৎ, শিল্প ও আবাসিকসহ বিভিন্ন খাতে দেশে গ্যাসের চাহিদা বর্তমানে দৈনিক ৪০০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ২৭০ কোটি ঘনফুট। ফলে ঘাটতি থাকছে ১৩০ কোটি ঘনফুট। এ সংকট সামাল দিতে এলএনজি আমদানির এ উদ্যোগ। এ লক্ষ্যে একটি ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণ ও ব্যবহার বিষয়ে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে পেট্রোবাংলা ও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির মধ্যে চুক্তি হয়। এরই মধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) নির্মাণ শেষ করেছে এক্সিলারেট এনার্জি। ওই টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। এলএনজির প্রথম কিস্তিও এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে।

গ্যাস সরবরাহের জন্য মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। আনোয়ারা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রামের গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ করবে। আনোয়ারায় একটি সাব-স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা হয়ে আরো একটি গ্যাস পাইপলাইনে ফৌজদারহাট পর্যন্ত যাবে এলএনজি গ্যাস। ফৌজদারহাট থেকে চট্টগ্রামের উদ্বৃত্ত গ্যাস নেয়া হবে জাতীয় গ্রিডে।

কেজিডিসিএল সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি সরবরাহের লক্ষ্যে এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনাল জাহাজ ভাড়া করা হয়েছে। জাহাজের ভাড়া, সেবা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে সরকার প্রতি বছর এক্সিলারেট এনার্জিকে ৭২০ কোটি টাকা প্রদান করবে। অর্থাৎ আমদানিকৃত এলএনজি তরলীকৃত অবস্থা থেকে গ্যাসে রূপান্তরসহ দৈনিক আনুষঙ্গিক ব্যয় প্রায় ২ কোটি টাকা।

জানতে চাইলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়েজ আহমেদ মজুমদার বণিক বার্তাকে বলেন, এলএনজি সরবরাহ করবে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) । আমরা বিতরণ কোম্পানি হিসেবে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করব। শুরুতে মে মাসের শেষদিকে গ্যাস সরবরাহ করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ২৩ জুন সরবরাহ করা হবে বলে নিশ্চিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরবরাহ না হওয়ায় দৈনিক ভিত্তিতে জাহাজ ভাড়া বাবদ ও গ্যাসের অপচয়জনিত কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে, সে বিষয়ে আমি অবগত নই।

  • Courtesy: Banikbarta /June 11, 2018

Strengthening the railway

The reported move of the  Bangladesh Railway (BR) to set up commercial centres on its own lands makes a curious case for generating additional income in an attempt to make up for losses in its operations and also to give a new lease of life to its unutilised potential. The big investment, said to be of Tk 50 billion under Japanese funding, indicates that the BR, now faced with severe revenue crunch despite its countrywide network, has to look for extra sources of income to keep itself afloat.

The issue of the railway as a loss-incurring concern is fairly well known. There are reported moves, of late, about various development projects-some already under implementation, some in the pipeline. But these still do not seem to lend a comfortable picture of the BR either as a service-oriented or a profit-making entity. Considering the problems now facing the BR, a concerted programme of actions and a clear roadmap are critical for it to ride these out. 

There can be no denying that in spite of being the most convenient mode of communication, railway in this country has never been developed to its potential. With its basic infrastructure tracing back more than a hundred years, railway has suffered more neglect than perhaps any other in the service sector since the country's independence.

There is nothing wrong in setting up commercial centres on BR's own lands for additional earnings. Media reports say that BR is set to finalise plans for establishing two commercial centres with Japanese funding-one on nine acres of land beside Kamalapur railway station and the other, on three acres of land near the airport railway station. 

The centres will house five-star hotels, mega shopping malls, recreation centres, sports zone etc. Running such centres efficiently will no doubt make the BR a bit solvent. But to say that such undertakings-however profitable they appear to be-will rejuvenate the railway is too simplistic. This is to say, to energise the railway, the moves have to be from within, and in doing so, steps need to be afoot for providing optimum public service as well as earning substantial profit. Railway is not a non-profit service organisation. It must get profitable returns from the money the government spends every year. Asking why it fails, is rather riddling, given the immense opportunities for servicing passengers and cargoes round the year.

In order for the railway to grow strong-financially or otherwise, the key requirement is fixing its long-standing problems, on one hand, and rising up to the needs of passenger and cargo servicing, on the other. There are a lot of things that need to be done, including land acquisition for extending the routes and also for adding new tracks beside the existing ones. The government is lately showing its eagerness to bring some improvements. These, among others, include expansion of cargo-carrying facilities-especially between Dhaka and Chottogram, double tracking in important sections, extension of loop lines, rehabilitation of yards, modernising the railway workshops etc. Efficiency and earnings of the railway can be expected to grow only from its own operational success.  

  • Courtesy: The Financial Express /Editorial /June 10, 2018 

Budget lacks banking reform measures: TIB


The Transparency International Bangladesh (TIB) has expressed deep concern over the absence of reform initiatives for the banking sector in the budget for 2018-19. It vehemently protested the proposals that continued using people's money in the form of subsidies to cater to deficiencies in loss-making public sectors and strategically kept the scope for whitening black money, it said in a statement yesterday.

The TIB said the budget fails to fulfill transparency expectations, demanding effective vigilance for proper implementation of the proposed development plans and specific strategic plans and directives to ensure transparency and accountability.

“The proposal to cut the existing corporate tax rate instead of taking steps to ensure accountability against loan defaulters and those engaged in corruption and anarchy is unconstitutional and discriminatory,” said Iftekharuzzaman, executive director of the TIB.

However, the TIB expressed satisfaction over the proposals that increased the monthly allowance under the social safety net programmes and provided the highest-ever allocation for women's development.

  • Courtesy: The Daily Star /June 11, 2018


Minister's assurance, not very reassuring

Authorities should've prepared better ahead of Eid rush


The Road Transport and Bridges Minister's insistence that there would be no traffic congestion this year during the Eid rush if everyone simply complied with traffic rules fails to comfort us. Rather, it sounds like the minister is asking travellers to prepare for the worst, while trying to escape the blame for the continuing failures of his ministry and other concerned authorities to address the problems in advance of the height of the rush that leads to the chaos in the first place.

But why should they? The authorities should have anticipated the massive movement of people and vehicles during this time of the year and taken corrective measures ahead of time to reduce the suffering that people have sadly grown accustomed to. And despite the rhetoric, it is well known that the conditions of the roads and highways are well below par, as the media has widely reported. 

The authorities should have acted on these reports, ensured that the different choke-points leading out of the city were capable of handling large movements of vehicles, and increased capacity to deal with accidents which, as we have seen in previous years, take ages to deal with. The number of water-borne vehicles to ease pressure on the roads could have also been increased. Yet, as this newspaper reported yesterday, the limited number of ferries available to travellers has already become a worry.

The excuses given ad nauseam need to stop. The authorities should instead do their job properly and not expect people to accept their failures repeatedly.

  • Courtesy: The Daily Star/ Editorial/ June 11, 2018