Search

Tuesday, June 26, 2018

Gas crisis in Chattogram

If crisis of natural gas has been endemic in Chattogram, it has become worse of late. One explanation offered by officials at the Karnaphuli Gas Distribution Company Limited is that pigging work being carried out to remove accumulated carbon and other by-products in the pipeline has temporarily caused the pressure of gas to abruptly fall. Once the task gets completed the pressure of gas will become normal and the crisis will be over. Flushing the unwanted residues from a 175-kilometre-long pipeline cannot be completed overnight. This much is understood. What is however not clear if it is a routine work carried out in order to avert clogging of the supply line by unwanted by-products. In fact, shortage of gas has had a serious consequence on industrial belts in and around Chattogram.

A myth was created by the official circle that the country was virtually floating on natural gas - the reserve of which would last for eternity. How this unwise misrepresentation of gas reserve affected industrial initiatives is a story of frustration and anguish. Investors were enthusiastic about the prospect of using gas as fuel for their factories and industries and they started setting up productive units in an increasing number. But suddenly they were given the disappointing news that the natural gas reserve was much too limited to serve them. Many factories in Chattogram could not go into operation simply because they did not receive gas connection after long wait. They did not have provision for use of other types of fuel or the alternative types would render their venture unprofitable. Housing in the port city also suffered because domestic gas connection was suspended when an objective estimate of gas reserve was at hand.

As a precious resource this country was fortunate enough to strike underground, natural gas suffered the ultimate misuse imaginable. Apart from the Tengratila and Magurchhara gas blowouts, the undying flames in common consumers' kitchens have depleted the fuel in no small measures. Metered use of gas could sustain the supply of gas for domestic use for many more years. Time will arrive soon when residents of cities enjoying this near endless supply will find it totally empty. Both the authorities concerned and consumers are to blame because neither of them gave a good account of themselves so far as rational use of gas is concerned. New gas reserves are yet to be found. Unless offshore reserves in the Bay of Bengal are stricken and made use of, the country's reliance on imported fossil fuel will increase.

Now the government has become wiser. It has already gone for import of liquefied natural gas (LNG). But even here the cart was put before the horse instead of the other way round. The ship carrying LNG has arrived for weeks but it cannot be delivered because the infrastructure for its delivery could not be readied. The fault with the transmission line has delayed the process. This is undesirable. Whose fault is this? People in charge should be taken to task for not making a proper plan and its execution. Had this been accomplished well in time, the impact of disruption of the piped gas would not be so severe on Chattogram.

  • Courtesy: The Financial Express/Editorial/ June 26, 2018 

চাঁদের অপর পিঠের চেহারা

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর

সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে, অন্যদিকে দেশজ ও জাতীয় সঞ্চয়ের হার কমেছে। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের বাজেটের অন্তত একটি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ঋণবিষয়ক লক্ষ্যমাত্রা শুধু বাস্তবায়িত হয়নি, ছাড়িয়েও গেছে। অর্থাৎ ঋণ বাড়ছে, কিন্তু সঞ্চয় বাড়ছে না। সঞ্চয় না বাড়লে বিনিয়োগ বাড়বে কীভাবে? নতুন কর্মসংস্থান কীভাবে তৈরি হবে? সঞ্চয়পত্র তো মানুষই কিনছে। কিন্তু দেশজ সঞ্চয় ও জাতীয় সঞ্চয় কমছে। অর্থাৎ কিছু মানুষের সঞ্চয় বেড়ে যাচ্ছে; অধিকাংশের সঞ্চয় কমছে বা করতেই পারছেন না, অথবা ঋণ করে চলতে হচ্ছে। এই মুষ্টিমেয় মানুষ রাষ্ট্রকে ঋণের জালে বাঁধতে পারছে। অন্যদিকে দিন দিন বৈষম্যও বাড়াচ্ছে। 

সঞ্চয় হার কমার সঙ্গে পুঁজি পাচারের বিষয়টিরও যোগসাজশ রয়েছে। গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটি বলছে, বাংলাদেশ থেকে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে এবং ক্রমাগত এর পরিমাণ বাড়ছে। অবৈধভাবে ব্যাপক হারে পুঁজি পাচার হওয়ায় বাণিজ্য-ঘাটতি বাড়ছে। ফলে জাতীয় সঞ্চয় কমছে ও বিনিয়োগ স্থবির থাকছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বড় সংকটের কারণ। বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের ঘাটতি আছে; আছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে আস্থার অভাব। বিগত কয়েক বছর যাবৎ মোট দেশজ উৎপাদনের অনুপাতে বেসরকারি বিনিয়োগ ২৩ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। সরকারি বিনিয়োগ বাড়লেও তা দিয়ে কতটা কর্মসংস্থান হবে?

সঞ্চয়ের সঙ্গে কর্মসংস্থানের সম্পর্ক নিবিড়। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। বেকার সমস্যার সবচেয়ে বড় শিকার ১৫-২৯ বছর বয়সী যুবকেরা। কথিত উন্নয়নের জোয়ার থেকে ব্যাপকসংখ্যক শিক্ষিত যুবক বঞ্চিত। একটা প্রজন্মকে হারাতে যাচ্ছি। চাকরি না থাকলে আয় কোথা থেকে আসবে, সঞ্চয়ও বাড়বে না। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫-৬৫ বছরের কর্মক্ষম জনশক্তির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এই পরিমাণ কর্মক্ষম জনশক্তি যেকোনো দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এক বিরাট সম্পদ। ‘জনমিতিক লভ্যাংশ’ থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছি। সঞ্চয়ও হারাচ্ছি।

আর যারা কোনোমতে কাজ পাচ্ছে, তারা অধিকাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। না আছে উপযুক্ত মজুরি, না আছে অধিকার। অতএব সঞ্চয়ের সুযোগ নেই। অগ্রযাত্রা নিয়ে কথা বলা হলেও অগ্রযাত্রার মৌল সূচক ‘শোভন কর্মসংস্থান’ নিয়ে কথা নেই। একদিকে মূল্যস্ফীতি ঘটছে, অন্যদিকে মজুরি কমছে। সঞ্চয় আসবে কোথা থেকে?

আয় না বাড়লে কীভাবে সঞ্চয় বাড়বে? অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হলেও তা মানুষের জীবনযাত্রার আয় ও মান বাড়াচ্ছে না। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে না বরং প্রকৃত বিচারে মানুষের আয় কমছে। ২০১৬ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপ বিশ্লেষণে, আয় ২০১০ সালের চেয়ে ২০১৬ সালে ২ শতাংশ কম দেখাচ্ছে। অবধারিতভাবেই কমেছে প্রকৃত ব্যয় করার ক্ষমতা। সঞ্চয়ের কোনো সুযোগ থাকছে না বরং রাষ্ট্রের যেমন ঋণ বেড়ে যাচ্ছে, একই কায়দায় মাথাপিছু ব্যক্তিগত ঋণ বেড়ে চলেছে। আর বাড়বেই না কেন-শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, গ্যাস, বিদ্যুৎ লাগামহীন গতিতে দাম বাড়ছে। নিশ্বাস নেওয়াই দুরূহ হয়ে উঠছে! সরকারি জরিপ বলছে, ২০১০ সালে যেখানে মাথাপিছু ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ২৩১৮ কিলোগ্রাম ছিল, ২০১৬ সালে তা কমে ২২১০ কিলোগ্রামে দাঁড়িয়েছে। টাকার অঙ্কে পরিবারপ্রতি প্রকৃত খরচ করার ক্ষমতা বা ভোগ্য ব্যয় কমেছে ১১ শতাংশ। আর তাই দেশে দারিদ্র্যের হার কমলেও সাম্প্রতিক সময়ে দারিদ্র্য কমার সেই হারও কমে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপমতে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। অর্থাৎ অধিকাংশ মানুষ অত্যন্ত কষ্টকর জীবন, কিংবা তাদের একটি অংশ দরিদ্র হওয়ার মতো ঝুঁকিতে বসবাস করছে।

বৈষম্য ও সঞ্চয় হ্রাসের মধ্যে এক নিবিড়তম চক্রাকার সম্পর্ক রয়েছে। পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, ধনী-গরিব বৈষম্য বাড়ছে। বাজেটের দলিল জানাচ্ছে, মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী সঞ্চয়পত্র কিনেই চলেছে। পরিকল্পনা কমিশনের ব্যাকগ্রাউন্ড পেপার লিখছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাঝামাঝি সময়ে পুঁজি থেকে প্রাপ্তি আর শ্রম থেকে প্রাপ্তির (মজুরি) মধ্যে অনেক বেশি ফারাক। এ পার্থক্য বেড়েই চলছে। অধিকাংশ মানুষই শ্রম বিক্রি করে আয় করে। অর্থাৎ অধিকাংশ মানুষের শ্রম থেকে আয়ের হার কমায় সঞ্চয়ও কমছে। সঞ্চয় না থাকা বা কম থাকায় আয়বৈষম্যের দুষ্টচক্র চলমান হবে এবং ক্রমাগত বৈষম্য বাড়তেই থাকবে। লুট থেকেও সম্পদ বৈষম্য বাড়ছে।

সরকারি মহলের কেউ কেউ বলে থাকেন, উন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে বৈষম্য হতে পারে। এ তত্ত্ব অনেক আগেই অসার প্রমাণিত হয়েছে। সঞ্চয় কমছে, বিনিয়োগ স্থবির, আয় ও কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি চলছে, কৃষি খাত ধুঁকছে, শিল্প খাত এক পণ্যনির্ভর ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে, পুঁজিবাজার নিম্নগামী, তালিকাভুক্ত কোম্পানি কম লভ্যাংশ ঘোষণা করছে, অবকাঠামো খাতে উচ্চায়িত মূল্য-এখানে এসব বক্তব্য অসার। নির্মমও বটে।

আয় বাড়লে সঞ্চয় বাড়ে। আয় বাড়বে প্রকৃত খাত তথা কৃষি, শিল্প ও সেবা খাত থেকে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রকৃত খাতগুলো ঝুঁকির সম্মুখীন। রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ এবং বহুমুখী করতে না পারায় রপ্তানি খাতে আয়ের ক্রমহ্রাসমান প্রবৃদ্ধি লক্ষণীয়। বরাদ্দ বাড়লেও অবকাঠামোগত দুর্বলতা উৎপাদন খাত সম্প্রসারণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। কৃষি খাতে অগ্রগতি থমকে দাঁড়িয়েছে। শিল্প ও সেবা খাত দক্ষ জনশক্তি ঘাটতিতে ভুগছে। ঘাটতি পূরণে বিদেশ থেকে বৈধ ও অবৈধভাবে এ দেশে নিয়োগ পাচ্ছে। অর্থাৎ সঞ্চয় বিদেশে চলে যাচ্ছে।

জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নকে যদি জনমুখীন সর্বজনব্যাপী টেকসই প্রবৃদ্ধির ধারায় টেনে আনতে হয়, তাহলে আদিম পুঁজি সঞ্চয়ের পন্থা যেমন দুর্নীতি, অপকর্ম, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন প্রভৃতি অবলম্বনের পরিবর্তে উৎপাদন খাতকে গতিশীল করার সৃজনশীল কৌশল অনুসরণ জরুরি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বর্তমানে গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকারের অভাব, আইনের শাসন ও জবাবদিহির প্রতি অবজ্ঞা, ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন এবং ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের দ্বারা অর্থনীতিকে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করার মারাত্মক প্রবণতা দৃশ্যমান।

রাজনৈতিক সুবিধাবাদ ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রচণ্ডভাবে সর্বজনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে চলেছে। রাষ্ট্র জনতার প্রতিষ্ঠান। দিন দিন প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গোষ্ঠীতন্ত্রের কবলে চলে যাচ্ছে, রাষ্ট্রের সঙ্গে অধিকাংশ জনতার ‘সামাজিক চুক্তি’ ঢিলে হয়ে পড়ছে। জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার কোনো বিকল্প নেই। এই মৌলিকে ফিরে যাওয়াই (back to basic) প্রধানতম কাজ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

  • ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চেয়ারপারসন, উন্নয়ন অন্বেষণ।
  • Courtesy: Prothom Alo /June 25, 2018

llegal sand-lifting must be stopped

Investigate involvement of the politically powerful

Completely disregarding the threat of erosion of Guchchhogram at Dahagram's Barabari village in Patgram upazila, sand is being illegally lifted using a shallow machine from a pond, according to a report published by this newspaper on Monday. The locals, according to the report, are not unaware of the threat that this poses, nor are they oblivious to the fact that this is completely illegal. But as we have seen countless times in similar cases, the involvement of a politically powerful person, in this case the UP Chairmen, has meant that residents of Guchchhogram are powerless.

The owner of the shallow machine, when asked, has made it clear that he was being paid by the UP chairman for lifting sand, and the UP Chairman himself has said that the sand was being lifted for earth filling for building another Guchchhogram. And while he claims that the existing Guchchhogram will not be harmed, we cannot in any way agree with him. On what basis is this being claimed—has any study been carried out? In any case, the question of legality still remains, and the residents are right to fear that in the coming rainy season, the Guchchhogram might be devoured.

In the past, we have seen the damage that illegal sand lifting can cause—from ruining rivers to damaging embankments. And in most cases, the involvement of the influential (politicians) has meant that they continued unabated. The UNO, according to our report, was unaware of the matter, and had promised to take action to stop sand lifting. Despite our scepticism about that promise, we hope that he will act fast. At the same time, we need national initiatives to tackle these cases of ubiquitous corruption on the part of the politically powerful that has become the norm.

  • Courtesy: The Daily Star /Editorial/ June 26, 2018

Monday, June 25, 2018

৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের

পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকালে শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অধিভুক্ত কলেজগুলোর শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- সেশনজট শূন্যে নামিয়ে আনা, সময় মতো পরীক্ষা নেয়া ও তার ফল প্রকাশ করা, এক বিষয়ে যারা ফেল করেছে তাদের বিবেচনায় আনা, সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো এবং অধিভুক্ত কলেজগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সরকারি সাত কলেজ ঢাবির অধিভুক্তি হওয়ার পর নানা সমস্যা, সংকটে জর্জরিত। এই সঙ্কট কাটছে না। আমাদের ঠিকমতো পরীক্ষা নেয়া হয় না। পরীক্ষা হলেও ফলাফল প্রকাশ করতে দেরি হয়। ফলে ঢাবির অধিভুক্ত হয়েও মূল লক্ষ্য (সেশনজট মুক্তি) অর্জন হচ্ছে না।

মানবন্ধনে আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক বিজিত শিকদার বলেন, যথাসময়ে আমাদের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত না হওয়ার ফলে আমাদের সেশনজটে পড়তে হচ্ছে। এ সময় মাস্টার্স পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে বিবেচনা করার অনুরোধ জানান তিনি।

  • Courtesy: Naya Diganta /June 25, 2018

বিটিসিএলের সংযোগ সক্ষমতার ৫৫ শতাংশই অব্যবহূত

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পনি লিমিটেডের (বিটিসিএল) টেলিফোন সংযোগ দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে ১৪ লাখ ৬২ হাজার। এ সক্ষমতার বিপরীতে গ্রাহক সংযোগ রয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার। অর্থাৎ টেলিযোগাযোগ খাতের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির সংযোগ সক্ষমতার ৫৫ শতাংশই অব্যবহূত রয়েছে। মানহীন সেবা ও সেলফোনের সহজলভ্যতার কারণে গ্রাহকরা মুখ ফিরিয়ে নিলেও প্রতি বছর সংযোগ সক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্প গ্রহণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮ অনুযায়ী, বিটিসিএলের সংযোগ সক্ষমতা অব্যবহূত থাকার পাশাপাশি প্রতি বছর বড় অংকের লোকসান গুনছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ-সংক্রান্ত সর্বশেষ নিরীক্ষিত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। ওই অর্থবছর প্রতিষ্ঠানটির লোকসান ছিল ১৮৪ কোটি টাকা। একই অর্থবছর প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় করে ১ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছর বিটিসিএলের লোকসানের পরিমাণ ছিল ৩৩৬ কোটি টাকা। একই অর্থবছর প্রতিষ্ঠানটির ১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ একদিকে সংযোগ সক্ষমতার অর্ধেকও ব্যবহূত হচ্ছে না, অন্যদিকে ধারাবাহিকভাবে লোকসান দিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বণিক বার্তাকে বলেন, শুধু ফিক্সড ফোনই নয়, সেলফোন নেটওয়ার্কের ভয়েস কলের চাহিদাও কমছে। এখন যোগাযোগের ক্ষেত্রে ডাটাভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপের ব্যবহার বাড়ছে। এজন্য বিটিসিএলের আধুনিকায়নে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়নে প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। আগামীতে গ্রাহক আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে বলে জানান তিনি।

টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, মানোন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষে ২০০৭ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটিকে স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়। তত্কালীন বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ অ্যান্ড টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বিটিসিএল। তবে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত পরিবর্তন হলে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য কোনো উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। সরকার যে লাভের আশায় বিটিসিএলের রূপান্তর করে, সে আশা আজ অবধি পরিবর্তন হয়নি। এখন পর্যন্ত লাভের মুখ দেখতে পারেনি বিটিসিএল। ২০০৫ সালে বিটিটিবির সংযোগক্ষমতা ছিল প্রায় ১০ লাখ। পরবর্তী কয়েক বছরে সংযোগক্ষমতা প্রতি বছর বেড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর ৫০ ভাগ টেলিফোন লাইনের অবস্থা খারাপ। বিভাগীয় শহরে এ অবস্থা আরো নাজুক। বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রায় ৬০ ভাগ লাইন বিভিন্ন সময় অকার্যকর থাকে। জেলা শহরগুলোতে এ হার ৭৫ ভাগ। উপজেলা পর্যায়েও বিটিসিএলের সেবার মান আরো নাজুক।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিটিসিএলে প্রতি মাসে টেলিফোন কল হয় ৮০ লাখের কাছাকাছি। আগে প্রতি মাসে সংস্থাটির রাজস্ব আয় হতো ৪৫-৫০ কোটি টাকা। বর্তমানে সংস্থাটির প্রতি মাসে স্থানীয় রাজস্ব আয় ২১ কোটি টাকা। তবে রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশই লাইন ভাড়া হিসেবে পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিটিসিএলের প্রতি মাসে প্রায় ১১ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় শুধু লাইন ভাড়া থেকে। বাকিটা আসে কলচার্জ থেকে।

টেলিযোগাযোগ খাতের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে একটা পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কলের বাজার দখলে শীর্ষে ছিল বিটিসিএল। সে সময় প্রতিষ্ঠানটির আয়েও ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা ছিল। পরবর্তী সময়ে বেসরকারি খাতে সেলফোন অপারেটর ও ফিক্সড ফোনসেবা চালু হওয়ায় বাজারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়ে যায়।

বিটিসিএল ল্যান্ড ফোনের নতুন সংযোগমূল্য আগের তুলনায় অর্ধেকেরও কম করা হয়েছে। ঢাকায় সংযোগ মূল্য ২ হাজার আর ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে ১ হাজার টাকা। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহরে ৬০০ টাকা। কল রেটও আগের তুলনায় কমানো হয়েছে। লোকাল কলের ক্ষেত্রে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতি মিনিট ৩০ পয়সা এবং রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১০ পয়সা। বিটিসিএল থেকে অন্যান্য অপারেটরে কলপ্রতি মিনিট ৮০ পয়সা। মাসিক লাইন রেন্টও আগের তুলনায় কমিয়েছে বিটিসিএল। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় প্রতি মাসে লাইন রেন্ট ১৬০ টাকা। ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে লাইন রেন্ট ১২০ টাকা। উপজেলা ও গ্রোথ সেন্টারের গ্রাহকদের জন্য ৮০ টাকা। বিটিসিএলের এত সব সুযোগও আগ্রহ বাড়াতে পারেনি গ্রাহকদের।

  • Courtesy: BanikBarta/ June 25, 2018

এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের আমরণ অনশন শুরু

সরকার স্বীকৃত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত বাস্তবায়নের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এমপিওভুক্তির দাবিতে টানা ১৫ দিন আন্দোলনের পর আজ সোমবার (২৫ জুন) সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশনে বসেন তারা। গত ১০ জুন থেকে চলা টানা আন্দোলনের পরও সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস না পেয়ে আমরণ অনশন মতো কঠিন কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন তারা। ‘এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশন’ লেখা ফিতা মাথায় বেধে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। দাবি আদায়ে তারা বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। শিক্ষক নেতারা নানা স্লোগানে আন্দোলনকে চাঙ্গা করে তুলছেন।

নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা টানা ১৫ দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও এখনও আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস দেয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই শনিবার প্রতীকী আমরণ অনশন করছি। রোববার অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে।’

  • Courtesy: BanikBarta/ June 25, 2018

১১ কোটি টাকায় মেরামত পরে ‘অচল’ ঘোষণা!

লালমনি এক্সপ্রেসে কোচ সংযোজন    

ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে ৬ জুন লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে মেরামতকৃত ১৪টি কোচ সংযোজন করা হয়। কিন্তু চালু করার ছয়দিনের মাথায় সবগুলো কোচ অচল হয়ে যায়। জানা যায়, এসব কোচ মেরামত ও রঙ করার কাজে খরচ হয়েছে ১১ কোটি টাকারও বেশি।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সৈয়দপুর কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় ও লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নব্বইয়ের দশকে ইরান থেকে কিছু কোচ আমদানি করা হয়েছিল। কোচগুলো সুবর্ণ এক্সপ্রেসে যুক্ত করা হয়। ট্রেনটিতে পরে নতুন কোচ সংযোজন হলে ইরানিগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানার ইয়ার্ডে দীর্ঘদিন পড়েছিল। গত বছর এর মধ্যে ২২টি কোচ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় এনে মেরামত ও রঙ করা হয়।

মেরামতকৃত কোচের মধ্যে ১৪টি লালমনি এক্সপ্রেসে সংযোজন করে ঈদ স্পেশাল ট্রেন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু ১২ জুন কোচগুলো অকেজো হয়ে পড়লে ১৩ জুন লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের মেকানিক্যাল বিভাগ তা ‘ড্যামেজ’ বা অচল ঘোষণা করে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা বণিক বার্তাকে বলেন, প্রতিটি কোচ মেরামত ও রঙ করার কাজে প্রায় ৮০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সে হিসাবে ১৪টিতে খরচ হয়েছে ১১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এসব বিষয়ে লালমনিরহাট সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ইরানি কোচগুলো দিয়ে নতুন সাজে লালমনি এক্সপ্রেস ৬ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচালনা শুরু করা হয়। ১২ জুন কোচগুলোর এয়ার ব্রেকে ত্রুটি ধরা পড়লে ১৩ জুন সবগুলো ‘ড্যামেজ’ ঘোষণা করা হয়। এখন লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের খোলা ইয়ার্ডে কোচগুলো রাখা আছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে এগুলো মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা বলেন, লালমনি এক্সপ্রেসে নতুনভাবে সংযোজন করা ইরানি কোচগুলো ড্যামেজ ঘোষণার বিষয়টি আমাদেরকে অবগত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। শিগগিরই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে মেরামত করা হবে।

এদিকে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে নতুন করে ১৪টি কোচ সংযোজন করায় এ অঞ্চলের মানুষ স্বস্তিতে ট্রেন ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ছয়দিনের মাথায় তা অকেজো হওয়ায় আবার অত্যন্ত নিম্নমানের কোচে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষও। লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের যন্ত্র প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, আপাতত পুরনো কোচ দিয়ে লালমনি এক্সপ্রেস চালু রয়েছে। এতে যাত্রী পরিবহনে কিছুটা সমস্যা যেমন হচ্ছে, তেমনি যাত্রীরাও কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত। 

রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম দুঃখ করে বলেন, ঈদের আগে পাওয়া ইরানি ১৪টি কোচ দিয়ে নতুনভাবে লালমনি এক্সপ্রেস সাজিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোচগুলো ড্যামেজ ঘোষণা করতে হয়েছে। এসব কোচ এখন আমাদের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এসব দ্রুত মেরামত করে সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।

নিয়মিত যাত্রীদের চাপ সামাল দেয়া লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার নিজাম উদ্দিন বলেন, ট্রেনযাত্রা মানুষের প্রথম পছন্দ। সে কারণে যাত্রীর চাপ থাকলেও আগের কোচ দিয়েই লালমনি এক্সপ্রেস চালু রাখা হয়েছে। ইরানি কোচ ড্যামেজের বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর কারখানায় মেরামতের বিষয়ে কথাবার্তা চলছে।

বিষয়টি নিয়ে কিছুটা হতাশা ব্যক্ত করে লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন বলেন, লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী রেলমন্ত্রীকে বহুবার পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১১ সালের এক জনসভায় বুড়িমারী স্থলবন্দর-ঢাকাগামী ‘তিনবিঘা এক্সপ্রেস’ নামে একটি ট্রেন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে রেলমন্ত্রীকে বলেও কিছু হয়নি।

  • Courtesy: BanikBarta /June 25, 2018

Outflow of women migrants on rise despite workplace abuse

Arafat Ara

The number of women workers leaving for Saudi Arabia for jobs has increased in recent months despite the fact that workplace abuse has forced many to return home.
A total of 39,578 women migrants went to the oil-rich country with jobs in the first five months of this year.

During the same period of 2017, the Kingdom of Saudi Arabia (KSA) hired 37,856 domestic helps from the country, the official data showed.

The Bureau of Manpower Employment and Training (BMET) data also revealed that KSA recruited 9,476 women in May and 8,492 in April this year.

Workplace abuse & torture

On the other hand, over 1000 female returned home in the last six months because of workplace abuse and torture. Forty-three of them came back on June18 and 19.

Still, 120 women are staying at safe home of Bangladesh embassy in Saudi Arabia and 40 others at the Saudi immigration camp, said the returnees.

They said about 80 per cent of the returnees were forced to come back home within six months of their job period.

They had faced various forms of exploitations such as denial of wages and sexual and physical assaults in the workplaces, they said.

Contacted, an official of the Expatriates' Welfare and Overseas Employment Ministry said they have no plan to reduce the number of domestic helps going to Saudi Arabia.

But the ministry has taken an initiative to tighten the selection process for women workers to help check workplace abuse, said the official wishing not to be named.

As part of the process, they are taking interview of the job seekers after their 30 days' training to know what they have learnt, he said.

He refuted the allegations of torture against Saudi employers.

He thinks that most women workers want to return home due to homesickness.

However, the secretary of the ministry was not available for comments despite repeated attempts.

Rights groups oppose the move

Migrant rights activists said the government should reconsider whether it would send domestic helps to the gulf country or not as long as their safety is concerned.

They said the authorities should follow the example of other countries like Indonesia and the Philippines.

These countries are now sending a limited number of woman workers to the KSA following allegations of violence against their domestic helps, they said.

WARBE Development Foundation chairman Syed Saiful Haque said women workers facing such harassments cannot contribute to the welfare of their families as well as the country's economy.

So, there is no use trying to increase such migration. The government should first ensure safety of the women, he said.

The rights activist observed that such harassment would not be stopped without proper intervention by the labour department of the KSA.

The strict selection process can only help reduce the violence against the women workers to a very negligible extent, he said.

However, Shameem Ahmed Chowdhury Noman, joint secretary general of BAIRA, said most women are in good condition.

That is why the number of outbound female workers is increasing day by day, he added.

Manpower brokers refute allegations

Most of the women bring false allegations against their employers just to return home, he added.

He said the Bangladesh Association of International Recruiting Agencies (BAIRA) has asked all its members to form a monitoring cell in each of their offices.

These cells will contact the women workers in Saudi Arabia regularly, he said.

According to the Wage Earners' Welfare Board (WEWB), over 4,000 women workers returned home between 2015 and 2017 through Bangladesh embassy in Riyadh.

In 2015, Dhaka and Riyadh signed a deal on recruitment of domestic helps from Bangladesh with a minimum monthly wage of 800 Saudi Riyals.

Since the signing of the deal, about 0.2 million women workers migrated to the gulf country, according to BMET data.

Since 1991, a total of 747,726 Bangladeshi women workers went to different countries for jobs. Of them, 244,307 went to the KSA, according to BMET.

  • Courtesy: The Financial Express /June 23, 2018

Warning against burdening banks

Financing long-term investments

Experts, politicians deplore dysfunctional state of capital market  

The financial sector of Bangladesh has developed a dangerous notion called 'mismatch of maturity', as short-term deposits are used for financing long-term investment here, eminent economist Dr. Rehman Sobhan opined on Sunday.

"The entire burden of investment for structural change in the economy as well as the private sector has fallen on the commercial banks, which is very unusual and very dangerous," he cautioned.

"Historically, long-term investment finance is largely provided by the capital market and the specialized financial institutions dedicated to long-term investment," Mr. Sobhan said at a dialogue on the latest budget in the capital.

"These are the institutions, specially designed for risk taking for undertaking long-term investment."

A dangerous trend

"But with the stock market being non-functional as a source of long-term investment, the commercial banks, which depend on deposits of the short-term investors, are now bearing the full risk of undertaking financing long-term investment," he added.

"Now we see a dangerous element in our financial system - the concept known as mismatch of maturity - where you are using short-term deposits for financing long-term investment."

"This is the crisis which has been lingering for the last ten years, and which is likely to be carried over the next ten years, if it is not addressed properly," he cautioned.

Mr. Sobhan's views were echoed by President of Metropolitan Chamber of Commerce and Industry, Dhaka (MCCI) Nihad Kabir. She observed that a dysfunctional capital market and uncertainty in the financial sector are hampering the private investment.

"New good companies don't want to come to the capital market. We do not see anything there to make it an effective source of capital." "There is a significant regulatory failure there," she added.

Focusing on the banking sector, Ms. Kabir said, "There has been a sharp decline in the growth rate of deposit in the banking sector from 19.4 per cent in the fiscal year (FY) 2012 to 9.5 per cent in September 2017, while it is currently around 10 per cent."

"This sort of deposit growth rate cannot sustain a private sector growth rate of 16 to 20 per cent."

"Interest rate, on the other hand, hovered in between single-digit and 16 per cent within the span of two months. This sort of uncertainty does not enable the private sector to work with any sort of efficiency," she noted.

Income inequality factor

Former Commerce Minister Amir Khasru Mahmud Chowdhury, in his speech, opined that the budget has failed to address the growing income inequality in the country. "At least five per cent people of the country have accumulated unlimited amount of wealth in the last few years."

"They have even invested heavily in the property market abroad. Bangladeshis are now (one of the) large contenders in the property market of London and Dubai."

"The government needs to identify them and impose tax on their foreign properties," he added.

"The banks have been looted in such a way that those banks are now short of deposits. Billions of taka have also been looted in the name of mega projects."

Mr. Chowdhury also called for abolishing the Banking Division and providing enough autonomy to the central bank, so that it can operate without any interference.

"The Banking Division should be abolished, and the central bank should be empowered to do its job independently," he opined.

Reforms urgently needed

Planning Minister A H M Mustafa Kamal, who attended the programme as the chief guest, opined that the banking sector and the National Board of Revenue (NBR) are in need of urgent reforms.

"We have to reform the banking sector, and we have to strengthen the central bank."

"We will reward those who are good bankers and will punish those who are at fault."

"It will take only two months to resolve the problems and bring necessary discipline in the banking arena," Mr. Kamal observed.

"We will also reform the NBR to bolster our revenue generation capacity."

Noting that the tax rate in Bangladesh is higher than many other countries of the Asian region, the planning minister said, "We need to lower the corporate tax rate to bring more investment and make the country more attractive for business."

"We also have to expand our tax net to bring more people under it," he added.
State Minister for Finance and Planning M A Mannan also spoke on the occasion.

  • Courtesy: The Financial Express/ June 25, 2018

Save us from the menace of road crashes

A torpid administration wrapped in inertia

ACCIDENTS on the highways have become so random that the resultant deaths and injuries have become a fait accompli for the passengers and their close family members. Repetitive occurrences indicate the crass disregard of transport owners, drivers and of course the administration for the safety of the passengers or of others who are using the roads. To think that 52 people were killed and around 150 injured in one day alone, on June 23, beggars belief. The two major accidents, which cost 24 lives, were the result of reckless driving. One of the buses involved did not have a fitness certificate.    

We had warned before the start of the Eid holidays that the administration must take extra safety measures, particularly for the return journey. Because, added to the shortage of transports and everyone rushing to their respective workplaces on the very last day, are the inclement weather and the propensity of the owners and drivers to make as many round trips as possible a proclivity compelled by sheer profit motive. Consequently, caution is thrown to the wind, because for them, nothing but money matters. And absence of police supervision allows unauthorised vehicles like nasimons and karimons to move with impunity on the highways in large numbers. 

The highest death toll in one single day during Eid holidays was 46 in 2015, and last year, the 13 days of Eid holidays cost 174 lives. Regrettably, these horrendous statistics could not compel the authorities to go into why these crashes had occurred and what could be done to rectify the errors.

Money is not an adequate recompense for the lives lost or the injured, many of them permanently. Unless the chances of road accidents are reduced, the hazard will continue to take lives in increasing number every day. This is an epidemic, and the relevant authorities must wake up from slumber and address it as such.

  • Courtesy: The Daly Star /Editorial /June 25, 2018