Search

Thursday, July 5, 2018

সোনার ডিম পাড়া প্রজন্মকে পঙ্গু করবেন না

তানজিনা ইয়াসমিন চৌধুরী


প্রতিভার বিজ্ঞানী হেলেন কেলার বলেছিলেন, ‘এমন একজন রাজা নেই, যাঁর পূর্বপুরুষে কেউ দাস ছিলেন না, আবার এমন একজনও দাস নেই, যাঁর পূর্বপুরুষ কেউ রাজা ছিলেন না।’ সভ্যতার বিধান হলো, আমার খুব নিকট অতীত ধরেই শুধু টান দিই। বাবা কী করে? আজ সেই নিকট পূর্বপুরুষের ইতিহাস আরও ভারী, আরও বেদনাবহ হয়ে যায়, যখন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের নামে কোটাব্যবস্থার অব্যবস্থাপনায় নতুন প্রজন্ম ভোগে। 

যখন ন্যায্য চাওয়াকে পাওয়ায় রূপ দেওয়া সুশাসনের বদলে শাসকের কাছে নতিস্বীকারে বাধ্য করা হয়। যখন দেশের জনগণ শাসকদের প্রধানতম বিরোধী দল হয়ে দাঁড়ায়, তাদের সব কটি মৌলিক ইস্যু তখন স্নায়ুযুদ্ধে পরিণত হয়। আমাদেরও অসহায়ত্ব, যেকোনো দাবিদাওয়া নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজেদের রাস্তার মানুষ প্রমাণ করতে হয়। সরব হতে গেলেই জোটে আইনি পুলিশ আর বেআইনি লাঠিয়ালদের আগ্রাসন। আর নীরব আমরণ অনশনে গেলে জোটে ছাগল তাড়ানো আশ্বাস।

এক কোটাব্যবস্থাতেও তিন দফায় ছাগল তাড়ানো আশ্বাস এসেছিল, শেষ ছিল গত ১৪ মে। কেন নো ভ্যাট আন্দোলন একদফায় সফল হয়, কেন কোটা আন্দোলন, শিক্ষক আন্দোলন সফল হয় না, তার সমীকরণ খুব স্পষ্ট হয়, যখন কোটার সুবিধাভোগী বনাম ভ্যাটের সুবিধাভোগীদের মাথা গোনা যায়। উল্লেখ্য, কোটাব্যবস্থা নিয়ে প্রকাশিত তথ্যমতে, নিবন্ধিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই-আড়াই লাখ। অর্থাৎ এক হাজার মানুষের মাঝে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ দশমিক ২ জন বা ১ দশমিক ৫ জন, যা সমগ্র জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ১২ থেকে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ। মুক্তিযোদ্ধা কোটার পরিমাণ ৩০ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশের বেশি কোটা রয়েছে। চাকরির ক্ষেত্রে কোটাব্যবস্থার পাঁচটি দাবি নিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীরা আন্দোলন করছেন। প্রথম দাবি হলো, সরকারি চাকরির বেলায় বর্তমান কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্যমতে, গত এক দশকে বাংলাদেশে বেকারত্ব বেড়েছে বছরে ১ দশমিক ৬ শতাংশ হারে। সেই অনুসারে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার কমেছে ২ শতাংশ হারে। অর্থাৎ কর্মক্ষম মানুষ যেভাবে বাড়ছে, যে হারে কর্মসংস্থান না বেড়ে বরং কমছে। প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে প্রায় ২৭ লাখ কর্মক্ষম ব্যক্তি। এর মধ্যে চাকরি পাচ্ছেন মাত্র ৭ শতাংশ, অর্থাৎ ১ লাখ ৯০ হাজার। বাকি প্রায় ২৫ লাখ বেকার থেকে যাচ্ছেন। আইএলওর হিসাবে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি এবং বেকারত্ব বাড়ছে এমন ২০টি দেশের তালিকার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম।

আবার বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে বিভিন্ন শিল্পকারখানা বন্ধ হওয়ায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) আওতাধীন ২৯টি ক্যাডারে প্রতিবছর দেড় থেকে সোয়া দুই লাখ অংশগ্রহণ করে, যাতে সফলতার হার ২ শতাংশ, বিশেষ বিসিএসে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ মাত্র চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার চাকরিপ্রার্থীর সংস্থান হয় এভাবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপে উঠে এসেছিল উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি—৯ শতাংশ। অথচ কোনো ধরনের শিক্ষার সুযোগ পাননি, এমন মানুষের মধ্যে মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ বেকার। আমাদের মধ্যবিত্ত মনস্তত্ত্ব, শ্রেণিভেদ, তীব্র আত্মচাহিদার ঘেরাটোপ শিক্ষার্থীর সবল হাতে-পায়ে শিকল পরায়। পাশাপাশি কোনো কাজে ন্যূনতম পেশাদারিটাও গড়ে উঠতে অন্তরায়। যেমন প্রবাসী প্রত্যেকেই কোনো কাজের আউটসোর্সিংয়ের বিষয় এলে নিজের দেশেই আহ্বান জানান। কিন্তু উপযুক্ত সাড়া মেলে না। মিললেও মেইল বা ফোনের প্রত্যুত্তরের দায়বদ্ধতার বালাই নেই। যার দরুন কাজ ডেলিভারির সুনির্দিষ্ট সময়সীমা সেই কর্মী আদৌ মেটাতে পারবেন কি না, এই নিয়ে ভয়াবহ আশঙ্কায় পড়তে হয়।

যদি মুক্তমঞ্চে (ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি) একই কাজের আহ্বান জানানো হয় তো পাশের দেশ ভারত থেকে থেকে সেকেন্ডের ভগ্নাংশে কমপক্ষে ১০ জন সাড়া দেয়, সময়কালভেদেই। এবং কাজটার প্রাথমিক আউটলাইন দেওয়ার পর খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত জানায়। এমনকি কাজটি তার নিজ দক্ষতার বাইরে হলে অন্য কাউকে রেফার করার মতো নিঃস্বার্থ সাহায্য করতেও কোনো কালক্ষেপণ করে না। কারণ, তারা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করে। এমন পেশাদার আচরণে কর্মদাতা অবশ্যই তার ওপর নির্ভর করবেন, তার রেফার করা ব্যক্তির কাছে তার নামও উল্লেখ করবেন। একই ইন্ডাস্ট্রিতে একে অন্যের প্রয়োজনে এই কাঁধ ভাগাভাগি সুস্থ প্রতিযোগিতাকেই প্রণোদিত করবে। কষ্টকরভাবেই সত্য যে আমাদের এহেন অপেশাদার কর্মীদের নিয়ে কাজ করাতে যথেষ্ট দেশপ্রেমী অথবা নিরুপায় হতে হয়। কোনো প্রজেক্টে গেলে টাকার ভাগীদার সবাই, দায়িত্বের ভাগীদার কেউ না। অথচ এসবই কিন্তু পরবর্তী প্রকল্পের রেফারেন্স নষ্ট করে।

আমাদের সোনার ডিম পাড়া হাঁস জিইয়ে রেখে ডিম সংগ্রহের ধৈর্য নেই। অদূরদর্শিতায় প্রথমেই হাঁসটাকে জবাই করে ফেলি। এই দক্ষতা আর পেশাদারির অভাব কিন্তু কোনো কোটায় আটকে নেই। আজ কোটাব্যবস্থার সফল সংস্কার হলে উপকৃত হবেন কয়েক হাজার। কিন্তু আমাদের পেশাদারি আর দক্ষতা বৃদ্ধিতে রক্ষা পাবে বিশাল কর্মহীন জনশক্তি। কাজেই দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং কর্মসংস্থানের সামগ্রিক সংস্কার চাই।
  • তানজিনা ইয়াসমিন চৌধুরী: জাপানপ্রবাসী গবেষক।
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো / জুলাই ৫,২০১৮ 

Proctor's ridiculous denial!

DU administration cannot abdicate its responsibilities


We are dumbfounded by the statement of the Dhaka University Proctor that he had not been "informed" about the multiple incidents of brutal attacks on DU students by Chhatra League members after the supporters of the quota reform movement had called a press conference to brief journalists on their next course of action. This he told reporters on Tuesday, although the attacks had started on Saturday. He said this after some students came to see him to ask why he had not done anything about these attacks.

What he has said in the way of not being aware of such serious assaults on students is just preposterous. News accompanied by photographs have been circulating on social media and even published in newspapers. Is it possible that the Proctor was in an isolated chamber where no one could reach him? Or that he was so otherwise preoccupied, with what pray tell, that he did not bother to read the papers or watch the news or check his social media account?

The Proctor is trying to deny knowledge of these horrific incidents where students have been mercilessly beaten, manhandled and even arrested. On Saturday, several students, members of the quota reform movement, were injured when Chhatra League members swooped on them as they were about to have the press conference. Since then, other members have been attacked in Shahbagh, Rajshahi University and Shaheed Minar Chattar.

Will the Proctor still continue to deny having knowledge of these heinous attacks? It is absurd that the very person responsible for the welfare of the DU students would adopt a denial mode at their hour of need.

The attacks, as evident from photographs and video footage, were brutal; female students were also mercilessly beaten and humiliated. Did this not warrant the Proctor's immediate intervention? Or at least a condemnation of the crimes and action against the attackers? Instead, he has chosen to turn the other way which is very unfortunate for it makes a mockery of the position he holds.

  • Courtesy: The Daily Star/ Editorial /Jul 05, 2018

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ‘রাজনৈতিক ইন্ধন’ পায়নি পুলিশ


চলতি বছরের এপ্রিলে জোরালো হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনে এখনও কোনো রাজনৈতিক ইন্ধন খুঁজে পায়নি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আন্দোলনের অন্যতম নেতা মো. রাশেদ খানকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ এবং বিভিন্নভাবে ছায়া তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে আন্দোলনের কোনো ধাপে রাজনৈতিক প্রভাব কিংবা কারও ইন্ধন খুঁজে পায়নি তারা। মেলেনি ঢাকা কিংবা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যোগসাজশ। 

ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা এক মামলায় গত রোববার রাশেদ খানকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রাশেদ সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, রাশেদকে গ্রেফতারের পর তার মোবাইল ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফরেনসিক পরীক্ষার আওতায় আনা হয়। তবে তদন্তে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। 

দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ‘কোটা সংস্কার চাই (সব ধরনের চাকরির জন্য)’- ফেসবুকে এমন একটি গ্রুপ ছাড়াও রাশেদ আরও তিনটি ক্লোজড গ্রুপে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের একটির সদস্য (মেম্বার) সংখ্যা ৩০ জন, অপরটিতে ১০ জন। ৩০ জনের ক্লোজড গ্রুপটিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা রয়েছেন। ১০ জনের গ্রুপটিতেও আছেন সিনিয়র নেতারা। ওই দুই গ্রুপের চ্যাটবক্সের তথ্য যাচাই-বাছাই করে পুলিশ কারও উস্কানি কিংবা রাজনৈতিক ইন্ধনের তথ্য পায়নি। চ্যাটে তারা কথা বলেছেন আন্দোলনের ধরন ও কৌশল নিয়ে। নাশকতা কিংবা ধ্বংসাত্মক কোনো নির্দেশনা সেখানে নেই।

তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, কোটা সংস্কার আন্দোলন পরিচালনায় অর্থ তোলার জন্য ১৫টি বিকাশ এবং পাঁচটি রকেট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এ বিষয়ে রিমান্ডে রাশেদ পুলিশকে জানায়, অ্যাকাউন্টগুলো খুলে গ্রুপে নম্বর দেয়া হয়েছে। এটা সবাই জানতো। যে যার মতো করে টাকা দেয়। টাকা সংগ্রহের পর সেই টাকার পরিমাণ গ্রুপে পোস্ট করা হয়। কোনো ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে যাতে না হয় সেজন্য টাকা গণনার ছবিও পোস্ট করা হতো। এখানে লুকোচুরির কিছু ছিল না।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আরও জানতে পারেন যে, ওই ২০টি অ্যাকাউন্টে অনেকে টাকা পাঠাতো। লেনদেনের পরিমাণ ছিল খুবই অল্প (১০০, ২০০, ৫০০ এবং সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা)। শুধু একবার তারা এক লাখ ১০ হাজার টাকা পেয়েছিল। কেউ একজন তাদের ইফতার পার্টির জন্য এ খরচ দেয়।

এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন আহমেদের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়। সেখানে তারেক জিয়া ঢাবি শিক্ষককে কিছু নির্দেশনা দেন।

রাশেদ গ্রেফতার এবং পরবর্তী তদন্ত কার্যক্রমে এ আন্দোলনের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক কিংবা বিএনপির কোনো নেতার ইন্ধন এখনও পাওয়া যায়নি- এমনটি জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে তারা (তদন্ত কর্মকর্তা) বলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদের ফেসবুক ইনবক্সে একটি ফেসবুক পেজ থেকে কিছু ম্যাসেজ এসেছিল। পেজটি প্রায়ই সরকারবিরোধী বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে থাকে। তবে রাশেদ সেই ম্যাসেজগুলোতে সাড়া দেয়নি। এছাড়া তারা মোবাইলে দেশের বাইরে থেকে কোনো ফোন কিংবা ম্যাসেজ আসেনি।

ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় রাশেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন পাঁচদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। রিমান্ডে রাশেদ জানায়, ফেসবুক লাইভে একটু আবেগপ্রবণ হয়ে এমন বক্তব্য দেন তিনি।

রিমান্ডে তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের সময় সরকারের পক্ষ থেকে যখন যোগাযোগ করা হয়েছিল তখন একজন নীতিনির্ধারক বলেছিলেন, তোমরা আন্দোলন বন্ধ কর। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন হবে। প্রজ্ঞাপন না হলে তোমরা ফের আন্দোলনে নেমো। কিন্তু দীর্ঘদিন প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় আমরা আবারও আন্দোলনের প্রস্তুতি নেই। তবে আমাদের গ্রুপে কোনো উস্কানিমূলক পোস্ট দেয়া হয়নি।’

  • কার্টসিঃ জাগো নিউজ/ জুলাই ৫,২০১৮ 

Met office rings flood alarm

Monsoon is active over Bangladesh and the Met office has forecast heavy to very heavy rainfall in most places in the country and several places in India for the next two days.
Amid heavy rainfall in different parts of the country and upstream India, the Flood Forecasting and Warning Centre (FFWC) yesterday said water level of all major rivers was increasing and the country would experience a moderate flood in the middle of this month. 

The intense rainfall in Bangladesh and upstream India would cause floods in places in the northern and middle part of Bangladesh and worsen the flood situation in eastern and north eastern parts, said the FFWC.

FLOODS LIKELY NEXT WEEK

“We are expecting flood in the middle of the next week in the northern part of the country,” said Arifuzzaman Bhuiyan, executive engineer of the FFWC.

Of the 96 water-level monitoring centres, the level is increasing at 77, while the water level is flowing above the danger level at nine points.

According to the FFWC bulletin, water of the Brahmaputra-Jamuna rivers and the Ganges-Padma rivers may continue to rise for 72 hours and 48 hours respectively. Water level of the Dharala, Teesta, Dudhkumar and Ghagot rivers in the northern region and the Surma and Kushiyara rivers in the northeastern region of the country also may rise rapidly until tomorrow. 

Besides, water of the Kaptai Lake in Rangamati was over the danger level yesterday due to incessant rain.

In the forecast, the Met office predicts heavy to very heavy rainfall at most places in Dhaka, Mymensingh, Rajshahi, Rangpur, Khulna, Barisal, Chittagong, and Sylhet divisions until 9:00am today.

Heavy rainfall in the coastal area disrupted flight schedule in Cox's Bazar yesterday morning.

The per month rainfall had been above the average consistently. In the last month, it rained 3.6 percent more than average. In May, it was 14.3 percent more and in April it was 36.7 percent more than the average.   

UNB adds: many low-lying areas of Cox's Bazar and Rangamati have gone under water following torrential rain and onrush of water from the hills.

KAPTAI OPENS 8 GATES OF SPILLWAY

Sources at Kaptai Water and Electricity Centre said the authorities concerned opened eight out of 16 gates of the spillway of the dam to release 4,500 cusec of water of the Karnaphuli river to handle the excess water pressure. 

Times of India reports that heavy to very heavy rainfall is expected in large parts of India, including several places in Jammu and Kashmir, Tamil Nadu, Assam and Gujarat, over the next few days until tomorrow, citing the India Meteorological Department.


  • Courtesy: The Daily Star /July 05, 2018

Wednesday, July 4, 2018

চাকরিতে উচ্চপদগুলো ভারতীয়দের দখলে, বাংলাদেশি যুবকরা বেকার!


বাংলাদেশে প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে আসা নাগরিকরা বেসরকারি খাতের বহু উচ্চপদে চাকরি করছেন। ফলে দেশের অনেক শিক্ষিত যুবক বেকার বসে আছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লেখক ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য।

বিষয়টি নিয়ে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর শেয়ার করে নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি লেখেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতীয়রা চাকরি করে যে রেমিটেন্স পাঠায় তা ভারতের চতুর্থ রেমিটেন্সের উৎস।

তিনি লেখেন, গত বছর ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে। প্রথম যে রেমিটেন্সের উৎস সংযুক্ত আরব আমিরাত সেটাও বাংলাদেশ থেকে নেয়া রেমিটেন্সের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।

পিনাকী ভট্টাচার্য লেখেন, তাহলে বোঝেন কত ভারতীয় নাগরিক আমাদের এখানে কাজ করছে। এরা সবাই উচ্চ পদে কাজ করে। তারা তাদের আশেপাশে প্রভাব বলয় তৈরি করে। আমাদের আরবান এলিটেরা কি এই কারণেই সবসময় গণবিরোধী ভূমিকা নিচ্ছে? ভাবনার অবকাশ আছে। এই টাকাটা বাংলাদেশে রাখা গেলে আমাদের ইকোনমি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতো ভাবুন।

এ বিষয়ে পিনাকী ভট্টাচার্য ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র উল্লেখ করে গণমাধ্যমের কাছে বলেন, যেখানে বাংলাদেশের চাকরিপ্রার্থী যুবকরা বেকার থাকছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলনে নেমেও লাঠিপেটার শিকার হচ্ছেন, সেখানে বেসরকারি চাকরি ভারতীয়রা দখল করে নিলে অমাদের দেশের শিক্ষিত যুবকরা যাবে কোথায়?

তিনি বলেন, বাংলাদেশের চাকরিতে ভারতীয় নাগরিকদের নিয়োগ প্রসঙ্গে এর আগেও গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, টেলিভিশন টক শোতেও আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক হিসেব অনুযায়ী, ২০০৯ সালে পাঁচ লাখ ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। তারা অনেকে টুরিষ্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন এনজিও, গার্মেন্টস ব্যবসা, টেক্সটাইল ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কাজে নিযুক্ত হয় এবং হুন্ডির মাধ্যমে নিজ দেশ ভারতে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে।

বিশ্বব্যাংকের ২০১২ সালের রেমিট্যান্স তথ্যে বলা হয়েছে, ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে ৩.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তাদের দেশে রেমিট্যান্স হিসেবে পাঠিয়েছে।

এ হিসেবে বাংলাদেশ ছিল তখন ভারতের জন্য পঞ্চম বৃহৎ রেমিট্যান্স আয়ের উৎস। আর বাংলাদেশ থেকে রেমিট্যান্স নেয়ার তালিকা ভারতের অবস্থান হচ্ছে এক নম্বরে।

সর্বশেষ হিসেবে বলা হচ্ছে, গতবছর ১০ বিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগে বাংলাদেশ ভারতীয়দের জন্য চতুর্থ বৃহৎ রেমিট্যান্স আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে অবৈধ পথে পাঠানো অর্থের হিসাব এর চেয়ে আরও বেশি বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

  • কার্টসিঃ যুগান্তর/ জুলাই ৪,২০১৮  

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে’


এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমরা গর্ব করি। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পিটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর তাকে বিনা অপরাধে রিমান্ডে নিয়ে যাচ্ছে। আজ এখানে অনেকের ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারেননি। এটা এখন একটা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এই মৃত্যুপুরীর অবসান কে ঘটাবে? 

এখন আর কোনো সময় নেই। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। যে কয়জন আসুক তাদের নিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। আমরা এখন বিপর্যয়ের মুখে। এখন আর মানববন্ধন, বিবৃতি এগুলোর সময় নেই। এখন আমাদের সরাসরি কর্মসূচিতে যেতে হবে। একজন হোক দুইজন হোক তাদের নিয়ে মাঠে থাকতে হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হককে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। 

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মানবন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের ঢোকার মুখে একটা তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে, যার নাম মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ। এই তোরণ দিয়ে এই ইতিহাসের বুকে পা ফেলে যখন আপনারা এইখানে ঢুকবেন, এখানে অপরাজেয় বাংলা দেখবেন, শহীদ মিনার দেখবেন প্রত্যেকটি জায়গা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি সদস্যের সংগ্রামের চিহ্ন নিয়ে আছে। অথচ আমরা আশ্চার্য হয়ে দেখি, একটি আন্দোলন, একটি দাবি এবং যে দাবির যৌক্তিকতা শুধু আজকে নয়, বহুদিন ধরে। আমরা দেখেছি, সরকারি পর্যায় থেকে একটা কমিটিও গঠন করা হয়েছে দ্রুত ফলাফল দেয়ার জন্য।

তিনি বলেন, অভিভাবকদের কষ্টার্জিত অর্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে। তাদের সন্তানদের দায়িত্ব নিশ্চিত করা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। সবাই দেখেছেন বিভিন্ন মিডিয়াতে। যে ধরনের  নৃশংসতা চালানো হলো। এর কোনো ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। হতভম্ব হয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। এই ধরনের একটি নির্যাতন সবার চোখের সামনে কীভাবে ঘটে?

শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয় নয়, অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। চোখের সামনে এই ধরনের বর্বর আক্রমণ চলছে, তাতে উদ্বিগ্ন হয়েই অভিভাবক কিছু মানুষ গতকাল প্রেসক্লাবে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের কনসার্ন সেখানে জানাতে গিয়েছেন। তাদের সেখানে বলা হয়েছে, আপনারা সেখানে দাঁড়াতেই পারবেন না। 

গীতি আরা নাসরীন বলেন, শুধু তাই না, শিক্ষক ফাহমিদুল হকের কথা বলছি না। প্রত্যেকটি নাগরিকের এই অধিকার রয়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু এই উদ্বেগ প্রকাশ করতে গেলে তাদের কীভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে, লাঞ্ছিত করা হয়েছে। অত্যাচার-নির্যাতনের তদন্ত চাই, বিচার চাই। 

অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদী বলেন, আমি গত কয়েকদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ বোধ করছি যে, এই ঘটনাগুলো ঘটছে। এটা কেমন বিশ্ববিদ্যালয়, এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমরা গর্ব করি। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পিটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর তাকে বিনা অপরাধে রিমান্ডে নিয়ে যাচ্ছে। এগুলোর বিচার দাবি করছি।

এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানযীম উদ্দিন খান, সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা প্রমুখ।

  • কার্টসিঃ শীর্ষনিউজ/জুলাই ৪,২০১৮ 

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন ড.ফাহমিদুল হক


নির্ধারিত কর্মসূচি থেকে একজনকে আটক করার প্রতিবাদ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক। এরপরই তাঁর ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশের এক কর্মকর্তা আঙুল উঁচিয়ে তাঁর দিকে তেড়ে এসে বলেন, ‘আপনে কোন ডিপারমেন্টের টিচার?’

অধ্যাপক ফাহমিদুল হক নিজের পরিচয় দিলেন।

এরপর অধ্যাপক ফাহমিদুল হককে ধাক্কাতে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। এমনই এক ধাক্কায় ফাহমিদুল চলে গেলেন সড়কের প্রায় মাঝে। প্রায় পাশ দিয়ে চলে যায় একটি বাস। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন তিনি।

এরপর আবার এলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। অন্য এক কর্মকর্তাকে তিনি নির্দেশ দিলেন, ‘এই উনার নাম লেখ। উনি প্রিজনভ্যানে ভাঙচুর করেছে।’ তারপর এই অধ্যাপককে নিয়ে পুলিশ আরেক দফা ধাক্কাধাক্কি করল।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। এর আগে পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে যায় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মানববন্ধন। বিকেল ৪টায় ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে ওই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।

ওই কর্মসূচির সময় পুলিশ আটক করে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকী বিল্লাহকে।

এর প্রতিবাদ জানান অধ্যাপক ফাহমিদুল হক ও নৃবিজ্ঞানী ড. রেহনুমা আহমেদ। একপর্যায়ে তাঁদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। প্রিজন ভ্যানের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা পথরোধ করার চেষ্টা করলেও পুলিশ বাকী বিল্লাহ ও রেহনুমাকে আটক করে নিয়ে যায়।

এর কিছু সময় পর শাহবাগ থানা থেকে বাকী বিল্লাহ ও রেহনুমা আহমেদকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।  

বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটের দিকে অধ্যাপক ফাহমিদুল হক ফেসবুকে ওই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক আছি। আমার পরিচয় দেবার পরও পুলিশ আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। বাকী বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করলে আমি আর রেহনুমা আহমেদ প্রিজন ভ্যানে উঠে যাই এবং অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে চাই। অফিসার এসে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে আমি প্রিজন ভ্যানের ক্ষতিসাধন করেছি। তাই গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশের সঙ্গে আমার ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছে, তারা গ্রেপ্তারও করতে চেয়েছে, কিন্তু আন্দোলনকারীরা করতে দেয়নি। বাকী আর রেহনুমাকে নিয়ে ভ্যান চলে যায়।’

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কার্যত ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাই।’ এ সময় তিনি পুলিশের এই বাড়াবাড়ির তদন্ত দাবি করেন ।

অধ্যাপক ফাহমিদুল হক সাংবাদিদের বলেন, ‘ন্যায্য গণতান্ত্রিক অধিকার, নায্য প্রক্রিয়াগত জায়গা থেকে এ কাজটি তাঁরা করছে। এখন এ অবস্থায় তাঁদের ওপর যদি হামলা করা হয় তাহলে আমরা শিক্ষক হিসেবে নাগরিক হিসেবে, অভিভাবক  হিসেবে চুপচাপ বসে থাকতে পারি না।’

সমাবেশ আহ্বানকারী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘ছেলেদেরকে, মেয়েদেরকে বীভৎসভাবে নির্যাতন নিপীড়ন করা হয়েছে। আমরা উদ্বিগ্ন, আমরা এই পরিস্থিতির অবসান চাই।’

পরে বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতাকর্মী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, পুলিশ বিনা কারণে হামলা চালিয়ে সমাবেশ পণ্ড করেছে।

প্রতিবাদ করতে আসা অভিভাবক নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘আমার মেয়ের ওপর, ছেলের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। আমি তার প্রতিবাদে এখানে এসেছি। সমস্ত ছাত্র আমার সন্তান। আমার সন্তানদের পড়াশুনার জন্য নিরাপদ পরিবেশের নিশ্চয়তা এই সরকার করুক।’

পরে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সিপিবি, বাসদ ও বামমোর্চা প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

  • Courtesy: NTV/ Jul 04, 2018

অন্ধকার দেখছে রাশেদের পরিবার


আমার মনি একজন নিরপরাধ ছাত্র। সে কোনো অন্যায় করেনি। তারে আপনারা ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। সে ছাড়া আমরা অচল। তারে যেন রিমান্ডে না দেয়। সে তো সকল ছাত্র সমাজের জন্য আন্দোলন করেছে।

সে তো ইচ্ছা করে নেতা হতে যায়নি। সবাই  তারে নেতা বানিয়েছে। মনিতো কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে তার হাতে কেন হাতকড়া পরানো হলো। তাকে বিনা দোষে কেন জেলে নেয়া হলো। তাকে নাকি ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হবে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মোহাম্মাদ রাশেদ খানের মা সালেহা বেগম।

এ সময় রাশেদের বৃদ্ধ বাবা নপাই বিশ্বাস বলেন, বাড়ি বাড়ি রাজমিস্ত্রির কাজ করে এই ছেলেকে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেছি। রাজমিস্ত্রি কাজ করে ছেলের খরচ ঠিকভাবে চালাতে না পেরে গ্রামের বাড়িতে নিজের পাঁচ শতক ভিটাবাড়ির জমি ছিল সেটাও কৃষি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছি। অনেক আশা ছিল ছেলে আমার পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটা সরকারি চাকরি করবে। ব্যাংক থেকে ভিটাবাড়িটা উদ্ধার করবে। আমাদের দুঃখের দিন শেষ হবে। একটু সুখের মুখ দেখবো। তা বুঝি আর হলো না। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদের স্ত্রী রাবেয়া খান বলেন, আমার স্বামীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে পরিবারের সবাই পাগলের মতো হয়ে গেছে। কেউ আমাদের সহযোগিতা করছে না। পুলিশকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে, আদালতে খবর নিতে। রাশেদকে ছাড়া আমাদের পরিবার অসহায়। আমাদের একটাই দাবি, আমার স্বামী তো কোনো অন্যায় করেনি। বিনা কারণে তাকে জেলে নিয়ে যে নির্যাতন করা হচ্ছে এটা কেন? কি দোষ করেছে রাশেদ আমরা জানতে চাই। এমনকি রাশেদকে মঙ্গলবার আদালতে উঠানোর পর তাকে কোথায় রাখা হয়েছে সেটা পর্যন্ত আমরা জানি না। গতকাল সারা সকাল শাহবাগ থানার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করেছি। কিন্তু রাশেদের কোনো সন্ধান মিলেনি। শাহবাগ থানায় যেহেতু মামলা হয়েছে তাই সেখানকার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের কাছে বারবার রাশেদের বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তাদের একটাই কথা আমরা জানি না। এরপর অনেক সাহস করে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বসে ছিলাম। এ সময় হঠাৎ করে দেখতে পাই পুলিশের লোকদের পাহারায় রাশেদকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখন একজন অফিসার রাশেদের মাকে বললো এই দেখেন আপনার ছেলে ভালো আছে।

এ সময় রাশেদকে তারা হাতকড়া পরিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। রাশেদ শুধু এতোটুকু কথাই বলছিল, তোমরা চিন্তা করো না, আমি ভালো আছি। রাশেদের বাবা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। রাশেদ আর আমি দু’জনে টিউশনি করে যে টাকা পাই তা দিয়ে ঢাকাতে দু’জনের থাকা খাওয়ার খরচ চলে কোনোভাবে। ওর বাবা প্রতিমাসে যে টাকা পাঠান সেটা দিয়ে ওর পড়ালেখার খরচ চালায়। আমরা বিয়ে করেছি দেড় বছর হয়েছে। 

দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে রাশেদ মেজো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুরেন্স এ এমবিএ-এর ছাত্র সে। ছোট বোন এ বছর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ওর সম্পৃক্ততা নেই। কোটা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে ও তো কোনো অন্যায় করেনি। আর রাশেদ তো তার একার জন্য আন্দোলন করেনি। অথচ তাকেই কেন জেলে যেতে হলো।  
  • Courtesy: Manavzamin /July 04, 2018

‘সন্তানেরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে লড়ছে, আমি গর্বিত’

নাইম ও কান্তা দুই ভাইবোন। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারধরে তারা আহত হয়েছেন। তাদেরকে মারধরের ছবি এসেছে একটি দৈনিক পত্রিকায়। সেই পেপার কাটিং নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে অভিভাবকদের সমাবেশে এসেছিলেন বাবা তালুকদার নজরুল ইসলাম।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং এসব ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তবে মঙ্গলবার বিকালে পুলিশের বাধার মুখে সমাবেশটি পণ্ড হয়ে যায়।

তালুকদার নজরুল পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, আমার ছেলে তালুকদার নাইম ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্সে মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। আর মেয়ে তালুকদার কান্তা ইসলাম ইডেন কলেজে পলিটিক্যাল সাইন্সে অনার্স থার্ড ইয়ারে অধ্যয়নরত। তারা দুজনই কোটা সংস্কারের দাবিতে রাস্তায় নেমে হামলার শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি গর্বিত আমার সন্তানেরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে লড়াই করছে। তাদের এই লড়াইকে আমি গর্বের সহিত সমর্থন করছি। আমি চাই তাদের দাবি মেনে নেয়া হোক।’

এই অভিভাবক বলেন, যারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা-নির্যাতন করছে তাদের বিচার হোক। আর আন্দোলনকারী যেসব শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের ছেড়ে দেয়া হোক। 

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে, আমাদের সন্তানদের আহত করেছে। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আজকে এখানে তাদের অভিভাবকরাসহ আমরা সবাই আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বিগ্ন, তা জানাতে এসেছি।

তিনি বলেন, আমরা জানি না যে কেন এখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে? আমরা পুলিশের কাছে সমাবেশ না করতে দেয়ার কাগজপত্র বা নির্দেশনা দেখতে চেয়েছি। তারা তাও দেখাতে পারেনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ এবং ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকি বিল্লাহকে পুলিশ আটক করেছিল মানববন্ধন শুরু হওয়ার আগে, যদিও তাদের পরবর্তীতে ছেড়ে দেয়া হয়। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও সমাবেশের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমরা এখানে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের পক্ষ থেকে জানাতে এসেছি যে আমাদের সন্তানরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিরাপদ নয়। আমরা চাই অবিলম্বে আমাদের সন্তানদের ওপর সরকার ও রাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে, নির্দেশে বা অনুমোদনে যে হামলা ও নির্যাতন পরিচালিত হচ্ছে, সে বিষয়ে অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনরত যাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে ও গ্রেফতার করা হয়েছে সেসব মামলা প্রত্যাহার করে তাদের শিগগিরই মুক্তি দেয়া হোক। আর যাদেরকে তুলে নেয়া হয়েছে এবং যারা নিখোঁজ, তাদেরকে অবিলম্বে অভিভাবকদের কাছে ফেরত দেয়া হোক।

এই অভিভাবক বলেন, আহতদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক এবং হল ক্যাম্পাসে যে দলীয় সন্ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তার চিরতরে অবসান ঘটানো হোক।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, কোটা বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানানোর এতদিন পরেও কোনো প্রজ্ঞাপন বা সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য জারি হয়নি। তাই শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে মাঠে নেমে আন্দোলন একটি যৌক্তিক অধিকার।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর যদি আক্রমণ করা হয় তাহলে শিক্ষক ও অভিভাবক হিসেবে আমরা বসে থাকতে পারি না। আমরা আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে এসেছি। কিন্তু পুলিশ আমাদের তা করতে দেয়নি। বরং আমাদের দুজনকে ধরে নিয়ে যায়।
  • Courtesy: পরিবর্তন ডটকম/ July 03, 2018

Bangladesh becomes 4th largest remittance source for India

India receives $10b in remittance in 2017 from Bangladesh


Special Correspondent 


Bangladesh becomes 4th largest source of remittance for India, receiving  about $10.00 billion in 2017. In comparison, Bangladesh has fetched a total of $13.53 billion in remittance working Bangladeshis abroad in the same year. India received $ 8.320 billion in 2016 from Bangladesh, which was $4.5 billion in 2014. The money was sent through illegal channels but deposited with declaration to different Indian banks, sources of the Reserve Bank of India said. Illegal foreign workers can’t send money from Bangladesh but the illegal Indians are frequently doing the practice.

There are hundreds of thousands of Indians in Bangladesh, most of them are illegal migrants and refugees. According to data produced by the Ministry of Home Affairs, as many as 500,000 Indians were staying in Bangladesh illegally in 2009. They found jobs in different establishments such as NGOs, garments, textile, IT and sent money back home through hundi transfer systems. But actual figure of illegal Indians in Bangladesh may be one million now as also forecasted by the World Bank and International Migration Organisation of United Nations.

Remittances to India rising fast

In 2012, Bangladesh was the fifth among the nations sending highest remittances to India. Indians working in Bangladesh sent more than $3.7 billion back to India in 2012. Making Bangladesh the 5th largest source of remittance in India. This is the official figure while the unofficial figure is estimated to be significantly more. Most of them came on tourist visas and tended to stay back.

The migrant community has often been a source of contention between the two countries. According to reports, lakhs of Indians are illegally staying in the country hailed from the Indian states of West Bengal, Meghalaya, Assam, Tripura and Mizoram and were spread across numerous urban and rural areas.

On July 2016, four thousand Indians took refuge in Lalmonirhat, Bangladesh after floods in West Bengal, India.

Remittances to low- and middle-income countries rebounded to a record level in 2017 after two consecutive years of decline, says the World Bank’s latest Migration and Development Brief.

The WB estimates that officially recorded remittances to low- and middle-income countries reached $466 billion in 2017, an increase of 8.5 percent over $429 billion in 2016. Global remittances, which include flows to high-income countries, grew 7 percent to $613 billion in 2017, from $573 billion in 2016.

Remittance inflows improved in all regions and the top remittance recipients were India with $69 billion, followed by China ($64 billion), the Philippines ($33 billion), Mexico ($31 billion), Nigeria ($22 billion), and Egypt ($20 billion).

CPD corroborates

The other issue, which is far more serious in nature if viewed in the context of its impact on the economy, was raised by the Centre for Policy Dialogue (CPD), a private think tank.

The CPD at a recent press conference said Bangladesh has become the 4th largest remittance source of India, with around $10 billion dollar sent in 2017.

The issue of outflow of funds to neighbouring India deserves immediate official attention. Thousands of so-called skilled Indian and Sri Lankan nationals, both legal and illegal, have been working mainly in the country’s apparel industry. Because of the geographical proximity, the number of Indian nationals is far greater than that of the Sri Lankans.

Many Indian nationals are, reportedly, also working in the information technology (IT) sector and a good number of them do not have valid work permits. The government agencies concerned have never taken the issue of illegal foreign nationals in due cognizance for reasons best known to them. Only recently, the law enforcing agencies managed to detain a few illegal foreign nationals, most of whom have their origins in Africa.

A country which has considerable dependence on the remittance money earned by its nationals at the cost of their sweat and blood cannot afford the reverse flow of funds for reasons that can be addressed rather easily.

Is it that difficult to develop skilled human resources locally to replace the Indians and Sri Lankans employed in the local apparel factories? It should not be a big problem for a nation which is only second to China in apparel exports. Neither the country’s policymakers nor the apparel factory owners have been serious enough to take note of the issue and do the needful.

Bangladesh Bank

The sources of Bangladesh Bank told Daily Industry that the boosting of foreign currency reserve has become stagnant due to fund erosion by the illegal foreign expats. The forex reserve stood at $33 billion in 2016 but there is not increase during last three years, whereas, the export earnings have increased around 7 percent and the remittance of the country slightly decreased, the BB sources added.