Search

Sunday, July 22, 2018

২২৭ কোটি টাকার ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা গায়েব!


কাজীর গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নাই। এমন ঘটনা ঘটেছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে। কোল ইয়ার্ডে কাগজে-কলমে কয়লার মজুদ এক লাখ ৩০ হাজার টন থাকলেও বাস্তবে রয়েছে মাত্র ১৪ হাজার টন। 'গায়েব' কয়লার বাজারমূল্য প্রায় ২২৭ কোটি টাকা। এ ঘটনায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পেট্রোবাংলা।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রতিনিধি বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গেলে কোল ইয়ার্ডে মজুদের ঘাটতি ধরা পড়ে। এরপর তৎপর হয় পেট্রোবাংলা। 

এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদ ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও কোম্পানি সচিব) আবুল কাশেমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী ও ডিজিএম (ভাণ্ডার) একেএম খালেদুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। 

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পেট্রোবাংলার এক অফিস আদেশে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। হাবিব উদ্দিন আহমদকে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে অপসারণ করে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। কোম্পানি সচিব আবুল কাশেমকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানিতে (সিরাজগঞ্জ) বদলি করা হয়। বড়পুকুরিয়া খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খানকে। ঘটনা তদন্তে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনস) মো. কামরুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে কয়লা সংকটের কারণে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে বলে পিডিবি জানিয়েছে।

খনি সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। দীর্ঘ ১৩ বছরে কয়লা উত্তোলন হয়েছে এক কোটি ২০ লাখ টন। বর্তমানে কোল ইয়ার্ডে কয়লার মজুদ থাকার কথা এক লাখ ৩০ হাজার টন। কিন্তু বাস্তবে কয়লার মজুদ পাওয়া গেছে  ১৪ হাজার টনের মতো। এক লাখ ১৬ হাজার টনের মতো কয়লার কোনো হদিস নেই। যার বাজারমূল্য প্রায় ২২৭ কোটি টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘদিন থেকে একটি চক্র চুরি করে খোলা বাজারে এসব কয়লা বিক্রি করে দিয়েছে। 

পিডিবির সূত্র জানায়, বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে বর্তমানে তিনটি ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে দুটো পুরনো ও একটি নতুন। পুরনো দুটির প্রতিটি ১২৫ মেগাওয়াটের। তবে এগুলোর বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা ৮৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে এক নম্বর ইউনিটটি মেরামতের জন্য বন্ধ রয়েছে। নতুনটির উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৪ মেগাওয়াট। চালু দুটি ইউনিট দিয়ে গত জুন মাসের প্রথম দিকে গড়ে ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছিল। কয়লা খনির উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পরদিন অর্থাৎ ১৭ জুন এ দুই ইউনিট থেকে ৩৩৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। এ দুটি ইউনিট চালাতে দিনে সাড়ে তিন হাজার টন কয়লা লাগে। উৎপাদন বন্ধ থাকায় কয়লার সরবরাহ হ্রাস পেতে থাকে। ফলে বিদ্যুতের উৎপাদনও কমতে থাকে। ২৫ জুন বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় ২৩০ মেগাওয়াট। পরে ২৯ জুন থেকে কর্তৃপক্ষ পুরনো ইউনিটটি বন্ধ করে শুধু নতুন ইউনিটটি চালু রাখে। ১৫ জুলাই এই ইউনিট থেকে ১৯০ মেগাওয়াট এবং ১৯ জুলাই শুক্রবার ১৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। বর্তমানে যতটুকু মজুদ রয়েছে, তা দিয়ে একটি ইউনিট চালালেও আর দু-তিন দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। নতুন করে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে পারে আগস্টের শেষে। ফলে প্রায় এক মাস কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ থাকবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সদ্য সাবেক এমডি প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ১৭ একর জায়গার ওপর কোল ইয়ার্ড নির্মিত। দীর্ঘ এক যুগেও উত্তোলিত কয়লার মজুদ পরিমাপ করা হয়নি। শুধু কাগজে-কলমে কয়লার মজুদ হিসাব করা হতো। দীর্ঘদিন কয়লা পড়ে থাকলে আগুন ও পানিতে নষ্ট হয়ে ওজন কমে যায়। তা ছাড়াও অনেক কয়লা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। সিস্টেম লস থাকে শতকরা দেড় ভাগ। নানা কারণে কয়লার ঘাটতি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

  • কার্টসিঃ সমকাল / জুলাই ২২,২০১৮ 

সিন্ডিকেটের কব্জায় ১৩৫৩ কোটি টাকার প্রকল্প

নূর মোহাম্মদ 

সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভুক্ত ১৩৫৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, মডেম ও সাউন্ডবক্সসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করার কথা। ‘আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা প্রচলন’ ২য় শীর্ষক প্রকল্পটি নিজেদের চাহিদামতো কাজ বাগিয়ে নিতে না পারায় পুরো প্রকল্পটি আটকে দিয়েছে একটি সিন্ডিকেট। এতে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ ১৪৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার প্রায় পুরোটাই অব্যয়িত অবস্থায় ফেরত গেছে। আর ২ মাস যাবত প্রকল্পটি কার্যত স্থবির হয়ে আছে, ১৮ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী কোনো কার্যক্রম ছাড়াই অলস সময় পার করছেন। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভিত্তিক এ প্রকল্পে শুরু থেকেই একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ তৎপর ছিল।

তাদের কথামতো কাজ করতে না পারায় প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তারা। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি করে। কমিটি প্রতিবেদন দেয়ার আগেই প্রকল্প পরিচালককে সরিয়ে দেয়া হয়। তদন্তে তার বিরুদ্ধে আর্থিক কোনো দুর্নীতির প্রমাণ না পাওয়ার পরও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। বিষয়টি এখন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের টেবিলে আছে। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মহিউদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, একটি তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে এটা জানি। তবে সেখানে কি আছে তা আমার জানা নেই। তবে প্রকল্পের গতি বাড়াতে দ্রত পিডির বিষয়টি সমাধান করা হচ্ছে। আগের পিডি থাকবেন না নতুন পিডি নিয়োগ দেয়া হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দ্রুত সময়ই পিডি দেয়া হবে সেটা বলতে পারবো। কাকে দেয়া হবে সেটি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত।  

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের তিন হাজার ৩৪০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৬০০০ মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এবং ২৫০০টি স্মার্ট ক্লাসরুম স্থাপনসহ ৫ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তাকে আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৩৫৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, সাউন্ডবক্স ও মডেম ইত্যাদি শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হবে। 

এই প্রকল্পের কাজ পেতে সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নানাভাবে চেষ্টা-তদবির করছিল। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘টেসিস’ ও বাংলাদেশ নৌ বাহিনী ‘ডকইয়ার্ড’ নামে প্রতিষ্ঠান কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে ডিপিএম (ডিরেক্ট প্রকিউরম্যান্ট মেথড) পদ্ধতিতে যন্ত্রপাতি কেনার জন্য চিঠি দেয়। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নানা জায়গা থেকে ডিপিএম পদ্ধতিতে দরপত্র দেয়া জন্য চাপ দিতে থাকে। কেনাকাটা কোন পদ্ধতিতে হবে তা জানতে প্রকল্প পরিচালক মন্ত্রণালয়ের মতামত চান। এরপর ১৬ই জানুয়ারি অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ও ১১ই এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইনের নেতৃত্বে বৈঠকে ডিপিএম নয়, সরকারি ক্রয় নীতি (পিপিআর) অনুসরণ করে উন্মক্ত পদ্ধতি ই-জিপিতে দরপত্র করার সিদ্ধান্ত হয়।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় প্রথম কিস্তিতে গত এপ্রিলে প্রায় ১৪ হাজার মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কেনার জন্য ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু প্রজেক্টরের উন্নতমানের স্পেসিফিকেশ এবং প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজসহ প্রতিষ্ঠানে ইনস্টলেশনের শর্ত দেয়া হয়। এটি সিন্ডিকেটের লুটপাটের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। স্মার্ট টেকনোলজিসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেট করে দরপত্রে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। দরপত্র খোলার আরো ১৭ দিন পর তারা প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির কাছে। অভিযোগে দরপত্রে ‘সিমিলার প্রডাক্ট’ শব্দ দুটির পরিবর্তে ‘মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এন্ড সিমিলার প্রডাক্ট’ শব্দ ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করেন মর্মে দাবি করেন তারা। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্ট এন্ড কম্পিউটার অনলি যোগ করে দরপত্র আহ্বান করেছেন। তাদের অভিযোগ, এ শর্তের ফলে কেবল একটি প্রতিষ্ঠানই এ কাজ করতে পারবেন। ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ১০ই জুন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

একই দিনে পিডিকে ওএসডি করে মাউশিতে পদায়ন করা হয়। কমিটি ১৯শে জুন ১৩টি পর্যবেক্ষণ দিয়ে প্রতিবেদন জমা দেন। সেখানে কোথাও পিডি অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন মর্মে মন্তব্য করেনি। তারপরও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মাউশি উদ্যোগী হয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য ও মাউশির পরিচালক (পরিকল্পনা) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে যতটুকু ভূমিকা রাখার দরকার তাই রেখেছি। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।  

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, একটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সরকারি একটি সংস্থার মাধ্যমে মাউশি অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পে ডিপিএম পদ্ধতিতে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে, যা সরকারি ক্রয় নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। এ প্রকল্পেও এ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সরকারি একটি সংস্থার মাধ্যমে কম্পিউটার, ল্যাপটপ সরবরাহের প্রস্তাব করে। প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয় অনুমোদন না করায় তারা ভিন্ন পন্থায় তৎপরতা অব্যাহত রাখে এবং প্রজেক্টরের দরপত্র বাতিল করে ডিপিএম পদ্ধতিতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ সরবরাহ করার জন্য প্রকল্প পরিচালককে চাপ দিতে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকেও ব্লাকমেইল করে দরপত্রে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হয়। 

জানা গেছে, সাতটি প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেট করে প্রাথমিক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে থাকে। কিছুদিন আগে ২০০ কোটি টাকার একটি কাজ তারা সিন্ডিকেট করে বাগিয়ে নিয়েছে। এটি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলেও আমলে নেয়নি মাউশি বা মন্ত্রণালয়। 

মন্ত্রণালয় উন্নয়ন শাখার সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রতিটি প্রজেক্টরের মূল্য ৬০ হাজার টাকা করে কেনা সম্ভব। এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, কোনো ধরনের অন্যায় আমি করেনি। শুধু সিন্ডিকেটে কথা শুনিনি। এটাই আমার কাল হয়েছে। তিনি বলেন, তারা ৬০ হাজার টাকায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্ট দেয়ার যে কথা বলেছে তা বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্যই। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, বর্তমান দরপত্রের নির্ধারিত স্পেসিফিকেশন ও অন্যান্য শর্ত বহাল রেখে কোনো প্রতিষ্ঠান ৬০ হাজার টাকা দরে ব্রান্ডেড প্রজেক্টর সরবরাহে সম্মত না হলে সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটকে ৬০ হাজার টাকা দরে প্রজেক্টর সরবরাহে বাধ্য করা অন্যথায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তার দাবি, প্রকল্পের আওতায় ইন্টারনেট মডেম ও সিম কেনার ৪ কোটি ৭ লাখ টাকার চারটি প্যাকেজের দরপত্রে ৫৮ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে এবং ৪ কোটি ৭ লাখ টাকার ডাটা প্যাকেজ বিনামূল্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ জুলাই ২২,২০১৮ 

Abnormal cost of a road project

The Roads and Highways Department (RHD), a key public sector development agency, is found to be unusually extravagant in fixing costs of its development projects, particularly that of major road upgrades. Despite widespread criticism, the department has undertaken a good number cost-intensive road projects in recent years. Even questions raised by the Planning Commission (PC) about high costs could not dissuade it from tagging high costs to road projects. The Dhaka-Sylhet four-lane Highway project is the latest example.

The RHD has estimated the total cost involved in building the 214-kilometre highway at about Tk.157 billion that includes the land acquisition cost of Tk.42.75 billion. That puts the per km cost of the project at over Tk.730 million, compared to that of Tk. 208 million in the case of Chittagong four-lane highway project. Going by the allocations sought for a number of segments, it is evident that there exists enough scope to reduce the overall cost of the four-lane project. There are already a few instances of inflated cost estimation by the RHD.

The department has sought Tk.307 million for purchase of vehicles and furniture, Tk. 3.4 billion for staff salary and honorarium, more than Tk. 9.0 billion for training and study tour programmes, Tk.6.5 billion for sign-signal, road-side facilities and incidental costs and another Tk.6.5 billion for some other unimportant expenditures. If not in other areas, informed quarters suspect there could be foul play in vehicle purchase and training programmes. Most major public sector development agencies have the propensity to spend a substantial sum on account of purchase of expensive cars. These vehicles, by design or default, are sent for use by the top notches of the agencies or ministries concerned.

Similarly, the amount Tk.9.0 billion the RHD has sought for training/study tour programmes, including foreign ones, for project officials might sound absurd to many. The RHD has already executed, at least, two identical projects the Dhaka-Chittagong four-lane and Dhaka-Mymensingh four-lane projects. Thus, its officials have acquired enough experience in building major road projects. What they need, is orientation from time to time.

The estimation of cost and the proposals made at latter stages for escalation of the same under different pretexts by most development project executing agencies in the public sector smack of ill motives. There is no denying that cost projections are made taking into account a number of factors, including the probable hike in the cost of construction materials and labour wages. Yet, the government agencies are found to be more interested in creating scope for pilferage and wastage of taxpayers' money invested in development projects. These agencies, if they desire so, can fix cost of projects realistically and leave little scope for wastage of resources.

Volumes have been said and written about weaknesses and mismanagement in the public sector development administration. The government has been implementing many mega projects involving huge costs without removing those weaknesses. It should urgently do something about this to save resources that it finds very difficult to mobilise. 

  • Courtesy: The Financial Express /Editorial /Jul 22, 2018

Costs of opening superstores in BD among highest in the region

Doulot Akter Mala  
The costs of opening up a single superstore in Bangladesh are at least four times as much as those of neighbouring countries, according to an analysis.
Businesses have to spend as high as Tk 45 million for opening up a 4,000 square feet superstore.
The opening of similar-size superstores in Sri Lanka and Indonesia costs Tk 11 million.

The Bangladesh Supermarket Owners Association (BSOA) prepared the analysis to present it to the chairman of the National Board of Revenue (NBR).

In a presentation, the association members identified three major challenges for the superstore business in Bangladesh.

The challenges include, opening up a new mall and its forced shut down, uneven VAT scenario in the market, and harassment in the name of food safety.

In a letter, BOSA president and managing director of Rahimafrooz Superstores Limited Niaz Rahim said trade VAT at a rate of 4.0 per cent is discriminatory as it is applicable only to superstore businesses.

"The annual sale of superstores has slipped by 15 per cent in the last six months. Common people are being discouraged to buy things from super shops due to uneven VAT situation," he said.

Already, consumers' right protection directorate also warned the superstores that charging VAT on MRP (maximum retail price) is a violation of consumers' right protection act, he added.

During fiscal year 2006-09, the rate of VAT for superstores was up to 2.0 per cent.

The government revised the rate upward to 4.0 per cent during FY 2012-14.

During FY 2014-15, the VAT rate was brought down to 2.0 per cent before raising it to 4.4 per cent during FY 2015-16.

The association president demanded either reduction of VAT to 2.0 per cent or imposition of 1.0 per cent VAT on all retail businesses to address such discrimination.

In the analysis, it gave a comparison of uneven VAT scenario between the supermarket and four small groceries.

The amount of payable VAT is Tk 56,000 in a month for four small stores.

This compared with Tk 1.2 million for a single supermarket.

On the anti-adulteration campaign, the association said different government agencies conduct food safety or formalin-free drive movement in the supermarkets causing unusual harassments.

Such drives in other countries are conducted by a particular agency of that country.

The US Food and Drug Administration (FDA), Food Standards Agency (FSA), Food safety and Standards Authority of India (FSSAI) in India conduct such drives and set policy for the businesses.

In 1999, the government gave approval for opening up supermarket in Bangladesh. The first supermarket was PQS, which was acquired by Agora.

According to the BSOA, some 160 supermarkets are running their operations all over the country.

Of the stores, some six outlets of Agora, out of 10, are incurring losses.

Meena Bazar is also experiencing losses in 16 of its 18 stores.

Nandan has only one store active out of four.

Shawpno is operating 47 stores, the highest of its rivals.

Out of these outlets, a total of 35 are in the red.

Talking to the FE, BSOA general-secretary Md Zakir Hossain said there is a need for a policy for salvaging the country's superstore business.

"We are incurring losses and facing uneven competition for discriminatory fiscal policy," he said.

The government should pay due attention to develop the sector, he added.


  • Courtesy: The Financial Express/ Jul 22, 2018

Giving unified university admission test a chance


THE unified admission test, which the authorities call ‘cluster admission test’, for public universities has been in discussion for eight years since 2010 when the education ministry in principle decided on its introduction to reduce the number of admission tests that students take, to cut down the cost of holding examinations and to reduce the financial burden on students. This has not so far happened and this is not taking place even this time. Under the current system, 40 public universities hold the admission tests separately, with this year’s test in 31 public universities being tentatively scheduled between September 14 and November 5. The education minister and the University Grants Commission chair are both reported to have said that there would be no unified admission test in public universities this year as the people concerned are working on it. The decision suggests about 8,58,000 students who passed the Higher Secondary Certificate and equivalent examinations this year would need to shuttle from one university to another to take the admission tests in 40 public universities. The 2010 decision could not get off the ground, as New Age reported on Saturday, because of opposition by some reputed universities.

The universities opposing the move say that if a unified admission test is introduced, they will not then be able to choose which of the students they will allow admission. The argument has some weight though, the University Grants Commission in several of its annual reports said that the current admission system was ‘questionable and expensive’ and recommended reforms. 

A commission study in May 2013 found that admission-seekers on an average needed to spend Tk 43,100 on coaching and other related expenditure which includes travel cost. One rationale for the introduction of the unified admission test is to stop the spending on coaching as the commission study found that 93 per cent of the admission-seekers attend coaching classes for admission to public universities. Although there is debate whether the introduction of the unified admission system would at all stop the spending on coaching, this might save the admission seekers hassle and the money they need to spend on admission to different universities. An estimate suggests that many universities make between Tk 60 and Tk 80 million and the major portion of the amount goes to the teachers, which is why some universities are opposed to the move for the unified admission test. Admission to public and private medical colleges is now centrally held.

As any decision made now can be changed in the future if the decision does produce the desired results, it is time that all public universities gave the unified admission test a chance. The authorities concerned, the education ministry and the University Grants Commission, should make a decision, taking into account all merits and demerits of such a system, to introduce unified admission test so that the universities need to spend less on holding tests, students could avoid spending money unnecessarily and the hassle of travelling from one university to another in a short span of time.

  •  Courtesy: New Age /Editorial /Jul 22, 2018

শ্রমিকের নিম্নতম মজুরি


রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের জন্য গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ড তাঁদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ কিংবা ন্যায্য মজুরি নির্ধারণে সফল হবে, সেই সম্ভাবনা এখনো উজ্জ্বল নয়। মালিকপক্ষ পাঁচ বছর পরে এবং আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিম্নতম মজুরি বিদ্যমান ৫ হাজার ৩০০ থেকে মাত্র ৬ হাজার ৩৬০ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব দিচ্ছে। তাদের এ অবস্থান নির্দেশ করে শ্রমিকদের দর-কষাকষি করার ক্ষমতা কতটা ভঙ্গুর। কিন্তু তাঁদের কর্মশক্তি ও উৎপাদনশীলতায় কোনো ধস নেই। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের হিস্যা পাঁচ বছর ধরে ক্রমাগতভাবে বেড়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এই কৃতিত্বের গর্বিত অংশীদার তাঁরাও। ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা বলে তার কোনো নেতিবাচক প্রভাব পোশাক উৎপাদনে পড়েছে বলে মালিকপক্ষ কখনো অভিযোগ তুলতে পারেনি। 

দুঃখজনক হলেও সত্য যে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পকে সরাসরি চাপ মোকাবিলা করতে হয়, রানা প্লাজার বিয়োগান্ত অধ্যায়ের পর গঠিত অ্যাকর্ড বা অ্যালায়েন্স দীর্ঘদিন বাংলাদেশে কাজ করলেও তারা বোধগম্য কারণেই শ্রমিকের মজুরির বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারেনি। ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন বা ইন্ডাস্ট্রিঅলের মতো আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ন্যূনতম মজুরির বিষয়ে সোচ্চার হলেও বাংলাদেশে সরাসরি তারা কোনো কার্যকর প্রভাব ফেলতে পারছে না। সুতরাং বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের চাপ দিয়ে সুবিধা আদায়ের পর্যায়ে সব অর্থে সরকারই ভরসা।

বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করতে একটা ঐকমত্যে পৌঁছালেও তারা এই দাবি আদায়ে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার জায়গায় নেই। কেউ এটা আশা করবে না যে ন্যূনতম মজুরি বাড়াতে গিয়ে পোশাক খাত কোনোভাবে অসন্তোষ বা উদ্বেগের মধ্যে পড়ে। দীর্ঘদিন আমরা এই খাতকে একটি স্থিতিশীল অবস্থা পার করতে দেখছি। সবাই আশা করবেন, ন্যূনতম মজুরি এমনভাবে নির্দিষ্ট হওয়া উচিত, যাতে মালিকপক্ষ অহেতুক কোনো চাপের মধ্যে না পড়ে, আবার শ্রমিকেরা যাতে জীবনধারণের উপযোগী মজুরি ভোগ করতে পারেন। এই ভারসাম্য নিশ্চিত করতে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সম্ভবত কোনো বিকল্প নেই। 

শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধির কণ্ঠে ইতিমধ্যে আকস্মিকভাবে ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকার পরিবর্তে ১২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেওয়ার কথা প্রকাশ পেয়েছে। যদিও সব শ্রমিক সংগঠনই হয়তো জানে যে এই ১২ হাজার টাকা হলেও তারা বর্তে যাবে। ২০১৩ সালে শ্রমিক প্রতিনিধি ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার ১১৪ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। ১২টি শ্রমিক সংগঠনের জোট ছয় সদস্যের একটি শ্রমিক পরিবারের মাসিক খরচ ২৮ হাজার ৮২০ টাকা দেখিয়েছে। এর মধ্যে খাবার ব্যয়ই ১৯ হাজার টাকার বেশি। আবার আট ঘণ্টা কাজের জন্য ২ হাজার ৮৮০ ক্যালরি দরকার পড়লেও ওই টাকায় ক্যালরির সবটা পূরণ হয় না, ঘাটতি পড়ে। সুতরাং মুদ্রাস্ফীতি এবং অন্যান্য দিক বিবেচনায় আগামী পাঁচ বছরের জন্য ন্যূনতম মজুরি উপযুক্ত পরিমাণে না হলে তা শ্রমিকদের জীবনযাপনকে এক দুঃসহ অবস্থার মধ্যে ঠেলে দিতে পারে।

এটা বিশ্বাস করার কারণ আছে যে সরকার পাশে না দাঁড়ালে মজুরি বোর্ডের শ্রমিক প্রতিনিধির পক্ষে কোনো কার্যকর দর-কষাকষিতে অংশ নিয়ে মালিকপক্ষকে কোনো কিছু মানাতে বাধ্য করা বাস্তবসম্মত কোনো পরিকল্পনা নয়। খোদ শ্রমিক প্রতিনিধি কার্যত স্বীকার করেছেন, শুধু শ্রমিকপক্ষ নয়, তিনি যে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত, তার কথাও তাঁর শুনতে হবে। সুতরাং কিসে শ্রমিকেরা বাঁচবেন, তা সরকারকেই সবচেয়ে ভালো বুঝতে হবে। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা বিবেচনায় নেবেন যে এবার শ্রমিকদের সন্তুষ্ট করতে পারলে আগামী দুটি সাধারণ নির্বাচনে তাঁরা সুফল আশা করতে পারেন।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ সম্পাদকীয়/ জুলাই ২১, ২০১৮ 

Erratic power supply causing Bogura industries to bleed

If regular power supply remains one of the key conditions for industries to run smoothly, Bogura, the major industrial hub in the entire northern part of the country, is being deprived of it. Most industrial units operating there have been suffering heavily either for frequent power outages or for low-voltage. Load-shedding is quite an old problem and most factories have learnt to live with it. But what has lately surfaced as an additional problem is the low-voltage. According to a recent newspaper report, the wheels of around 20 thousand factories in the district have almost come to a standstill because of power disruption. Even the refrigerators, televisions and air-conditioners are getting damaged due to erratic power supply. But, regrettably, the authorities concerned are not serious about resolving the problem. When approached, they have made it clear that the problem is unlikely to be solved during the ongoing summer season.

According to the owners of small and cottage industries in Bogura, around 100 factories are located in the industrial estate run by the Bangladesh Small and Cottage Industries Corporation (BSCIC).  But most small and medium industrial units are located outside the BSCIC estate.  Their number is estimated to be several thousand and all of them are electricity-run. Production of a good number of jute mills is being seriously hampered and over five thousand poultry farms-cum-hatcheries are facing losses due to erratic supply of power.

Now, what surprises the sufferers most is the complete indifference of the relevant authorities to addressing the plight of these industrialists in Bogura. The onus, firstly, lies with the Power Development Board (PDB), the agency that very often tries to take credit for being successful in generating a 'record' volume of electricity. Should it not compare its failure to address even in one month's time the problem of low-voltage in an important industrial location? Next in line is the Power Grid Company of Bangladesh (PGCB), the agency tasked with the job of ensuring regular power transmission. The district administration also cannot shy away from its coordinating role at the local level. At the centre, the Ministry of Industries as well as the Power Division also cannot forfeit their supervisory responsibility in resolving such an important problem. But they also appear to be either unaware or uncaring about the problem.

Non-availability or irregular and erratic supply of power have often been identified by the business community in the country as one of the biggest challenges confronting the industrial sector in Bangladesh. But despite loud claims about raising electricity production to record levels, the situation on the ground still remains precarious due to faults and inadequacies in transmission cum distribution lines. Mere increases in generation do not make any sense if electricity cannot be utilised properly due to faulty transmission or distribution lines. Therefore, the government should pay due attention to improve the transmission and distribution facilities side by side with efforts to boost power generation. The government has taken up a number of projects to improve both transmission and generation of power. Expeditious execution of these projects needs to be ensured.

  • Courtesy: The Financial Express/ Editorial/ Jul 21, 2018

LNG import to increase energy subsidy by 230pc

Payout to Petrobangla alone could double this fiscal


The subsidies are expected to make a quantum leap this fiscal year, driven by the imports of liquefied natural gas (LNG), officials at the finance division told the FE on Thursday.

This is a new head for subsidies as Bangladesh is importing this alternative fuel to combat gas crisis, especially in the Chattogram region.

The maiden floating storage and re-gasification unit or FSRU carried 133,000 cubic metres of LNG from Qatar in April.

Its commissioning has not started yet, though all necessary preparations had been made by Chattogram-based gas distributing company, said Khaiz Ahmed Mozumder, chief executive at the Karnaphuli Gas Distribution Company.

In the meantime, the government has devised a plan to raise its subsidy outlay by 232 per cent to Tk 196 billion for non-financial institutions, including the Petrobangla.

The Bangladesh Petroleum Corporation (BPC), the sole importer of petroleum products, will also be involved in importing LNG.

"The fuel-related forecast in recent times has forced us to come up with the latest review of extra allocations for subsidies," an official familiar with the matter at the ministry of finance told the FE.

"Look, we had allocated Tk 25 billion to Petrobangla in the just-concluded fiscal year, but this year it may go up to Tk 50 billion on account of the LNG imports," he said.

"We're expecting Petrobangla to require between Tk 20 and Tk 30 billion as subsidies only for the import of LNG this fiscal year," he said.

LNG demand is seasonal and typically peaks during winter season in colder northern Asian markets.

Its demand wanes during the spring season months before picking up again during the summer when consumers use air conditioning, people familiar with the matter told the FE.

"The LNG prices fluctuate and for this reason we cannot predict accurately the actual subsidy needs for Petrobangla," the official said.

The LNG is being imported to meet the demand for the greater Chattogram region, where industries and households have been facing acute gas crisis for a long.

Mahbubul Alam, president of the Chittagong Chamber of Commerce and Industry, said the city is getting a supply of gas of 250mmcfd against the demand for 450-500mmcfd.

He said most of the factories are not running at full capacity due to the lack of gas.

The official, however, said the government may fund the petroleum corporation this year as the oil prices are also on the rise.

The government did not provide any subsidies even in the just-concluded fiscal year (2017-18).

"We believe that the BPC will need subsidies this year as fuel prices may rise further," he said.

Earlier, the finance ministry had not distinguished between the subsidies and loans while funding the state-owned enterprises.

This year there is no definitional error leading to the rise in higher allocations for subsidies, the ministry of finance officials said.

From this year, the division has redefined the subsidies, which is another reason for the significant rise in such payouts.

There was a tussle between the finance division and the BPC over the repayment of money following a definitional error.

  • Courtesy: The Financial Express/ Jul 21, 2018

Wither Bangladesh Bank, wither Bangladesh?

Shahid Islam

Once upon a time, an enticing young lady strolled past her savoured park, enjoyed the charm displayed by blossomed lilies and creeping crocodiles in the nearby lake. She never felt happier until someone robbed her wallet and raped her under a bushy orchard. She asked herself; without the wallet, and the money, and the chastity, how happy am I?
With erasing values, the nation of Bangladesh has been losing its chaste for a long time. Now the wallet and the money are being robbed too. In less than two years’ time, another great heist and a surreal swindling has come to the limelight about the country’s central bank, known as the Bangladesh Bank (BB).

Golden Bengal, golden heist
In February 2016, cyber heist of US$ 1 billion was snapped in the process after $101 million already got electronically robbed. This time, 24 karet gold got replaced by 18 karet cheaper metals at the BB’s central vault, and gold bar and ring weighing 3 kg 300 gram was found to have turned into mixed metal substance; according to an authentically composed media exposure. 
Customs intelligence of National Board of Revenue (NBR) in an investigation has detected a severe mismatch both in quality and quantity of gold deposited to Bangladesh bank vault. 
Bangladesh bank, however, on Tuesday rejected the investigationreport saying that the mismatch took place due to clerical mistakes and differences in measurement. 
But the economist and businesspeople were shocked and demanded an immediate prove. 
Well, these are happening in a country known historically as the golden Bengal. The heist and the swindling are of golden nature too.
These are unique, little heard of incidents that speak volumes about how Bangladesh’s focal institutions turned susceptible to vulnerabilities over the years. Upon being alerted in 2016, the Federal Reserve Bank of New York succeeded in stopping the $1 billion heist; only after $20 million got transferred to an account in Sri Lanka, and another $81 million to the Philippines. The slated remaining thirty other transactions were successfully blocked by the Federal Reserve Bank of New York, but bulk of the stolen money is yet to be recovered.

Inside work
The gold swindling is obviously an inside work; so was the dollar heist incident which occurred after the Federal Reserve Bank of New York received routine instruction from Dhaka’s central bank. The persons involved in the reserve dollar heist were bank staffers who had the security clearance to operate the computerized system and use password to activate the transaction. Following a global uproar, nothing much was heard later; except social media gossip that lingered for months to blame the ‘power that be’ as the main culprits.
What will happen to the gold swindling incident? Nothing much. Smokes may billow for days and weeks, but no fire will lit the horizon. In this benighted nation, traffic signals are still handled by police constables; physically using hand signals and whistling. No one follows street lane and none uses indicators to change lane. At the malls, no sales person can serve one customer peacefully; because four others shout from the side to be served simultaneously. It’s chaos everywhere, everyday. This colossal disorder is touted as the great order of a great nation.

Missing basics
In rarely seen walking pavements, one can be pushed, jostled, molested and shoved around to clear others’ path. Excepting the main streets of the nation’s capital and other major cities, all other streets are totally dilapidated, pot-holed, shattered and impassable. Instead of using standard zebra crossing to cross streets; children, elderlies and incapacitated are compelled to climb hundreds of stairs at foot-over bridges scatteredaround city’s major thoroughfares and intersections that are at times miles away.
These are scattered observations of things that are basic; like the food, drink and shelter of our daily lives. A system is defined by the existence of a structure and its successful operation. We have a nation on paper and in reality, but we couldn’t fix our fundamentals as yet. That means we could not develop a system of governance as yet. We still import the decorative ribbons of the quintessentially used lady garment called saree; despite being the second largest producer and importer of ready-made garments.
The garment production needs the skill and the craftsmanship of a tailor, nothing more. If asked why billions of dollars’ worth of vehicles are being imported from a neighbouring country instead of assembling them here to create local jobs, concerned authorities stare blank with an insipid, indigestible, irritating green.
The gold swindling is an exposed story now; of millions of unexposed ones that make merry go in every institutions of this country, every day. As well, an eerie quietnessmarks the status of the political horizon in an election year; because no one dares to say or do what is needed to prepare the nation for a fair, inclusive election. People learnt the lesson in 2014 when an election without voters produced so successful a government that it even managed to hoist a satellite to orbit around the celestial oblivion.

BB not alone
It’s not a secret that the country’s financial institutions, including the stock market, have been robbed and drenched away long ago by people whom the finance minister dubbed as ‘people beyond reproach.’The BB milking off isn’t a one off incident either. For years, the bureaucracy and the security forces have been politicized to the brink. And, in the process, the ethical mooring of the nation got washed away. You can steal, kill, rob and rupture the society with the blessing of the people in power. Sum up this nation as a one-party, one-person fiefdom. Yet, ask someone in power about the state of the nation, and, get an answer that everything is honkey dory. In reality, a wretched numbness has gripped this nation of about 165 million strong; something hours of stagnation on the street in mind-boggling traffic jam amply testifies.
Yet, more people are buying cars; because, early in the morning, one child takes one to the north to his private school while the other one goes south to his university, so to speak. The mom and dad move with two other cars to their offices and, the entire damn street is under their control; depriving millions of ordinary folks from public transport or other commutable means to go to work. Ask someone in power, are these ordinary people happy? The answer is positive, and, a claim of certainty that this nation has never been happier.
So, under the changed ambiance of a re-defined happiness, we can take the pain and exercise the patience to be numb, silent and inert until some foreign power takes us over in one moonless mid-night. The Bangladesh Bank had gone down the drain long ago. It’s the turn of Bangladesh itself to follow suit.

  • Courtesy :Weekly Holiday/Jul 20, 2018

Saturday, July 21, 2018

ইসি কে চালায়?


বর্তমানে তো ভোট ডাকাতি ও চুরি হচ্ছে  —    সাখাওয়াত হোসেন
সরকারি কর্মকর্তারা বেশি আলীগার হয়েছেন  —  তোফায়েল আহমদ 
ইসির কর্মকর্তারা একটি দলের পক্ষে নিচ্ছে   —   শারমিন মুর্শিদ 



নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। স্বাধীন। কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানও নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন আরো চারজন কমিশনার। দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটির স্টিয়ারিং কার হাতে? সিইসি’র নের্তৃত্বে গঠিত ৫ কমিশনারের হাতে —  নাকি সরকারি আমলা ইসি সচিবের হাতে? প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। 

সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সিদ্ধান্ত ইসির হাতে থাকা উচিত। আমরা সঠিক ভাবে ইভিএম চালু করতে পারি নাই। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তিন মাসে চার লাখ ইভিএম কিভাবে বসানো হবে? 

অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ বলেন, ইসিকে আগে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চেয়ে সরকারি কর্মকর্তারা বেশি আওয়ামী লীগার হয়েছেন। 

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কোনো প্রযুক্তি গ্রহণের আগে তার ভালো-মন্দ দিকগুলো ভালো করে খতিয়ে দেখা উচিত। 

ব্রতি’র প্রধান নির্বাহী শারমিন মুর্শিদ বলেন, ইভিএম ব্যবহার নিয়ে আমরা অাগে থেকে কথা বলে আসছি। জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে না --- ইসি এটাই জানিয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষপটে ইসির কর্মকর্তারা একটি দলের পক্ষে নিচ্ছে।

‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারে ইসি প্রস্তুত নয়’ --- প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এ ঘোষণা দিয়েছেন কয়েক মাস আগে। তার এই মতের সঙ্গে সব মহল একমত হওয়ার পরও হঠাৎ ইসি সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ ১৬ জুলাই সাংবাদিকদের জানান, ইভিএমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি, সময় আছে। কমিশন ভেবে সিদ্ধান্ত নেবে। খুলনা সিটি নির্বাচনের পর কমিশন সচিব ঘোষণা দেন, ভোটার উপস্থিতিতে ইসি খুশি, নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও গ্রহণ যোগ্য হয়েছে। অথচ কয়েকদিন পর গাজীপুর নির্বাচনের সময় সিইসি খুলনার নির্বাচনে অনিয়মের কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করে বলেন, গাজীপুরের নির্বাচন খুলনার মতো বিতর্কিত হবে না। কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, খুলনা সিটির নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অথচ গাজীপুর সিটি নির্বাচনের পর সচিব প্রতিক্রিয়া দেন ভোট নিরপেক্ষ ও সুন্দর হয়েছে, কিন্তু সিইসি নীরব। 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) নয়’ -- মর্মে ইস্যুটি প্রায় ফয়সালা হয়ে যায় ২০১৭ সালে। এ তথ্যটি নিশ্চিত করে বেসরকারি সংস্থা ব্রতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুর্শিদ। ওই বছরের মাঝামাঝি সময় নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপেে বসে। সেখানে দু’একজন ছাড়া সকলেই এ মুহুর্তে ‘ইভিএম নয়’ মত দেন। আওয়ামী লীগ থেকে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় কিনা পরীক্ষা নিরীক্ষার পক্ষে মত দেয়া হয়। কিন্তু বিএনপি থেকে ইভিএম-এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়। নির্বাচন নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারাও ইসিকে পরামর্শ দেন, ইভিএম দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। এ মুহুর্তে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অপরিহার্য। নতুন করে বিতর্কে না গিয়ে নির্বাচনের অগ্রসর হওয়া উচিত। পরবর্তীতে সিইসি কে এম নূরুল হুদা ‘সব রাজনৈতিক দল ও ভোটাররা ইভিএমের পক্ষে মত দিলে জাতীয় নির্বাচনও ইভিএম ব্যবহার হবে’ অভিমত দিলে বিএনপি থেকে ‘এটা দুরভিসন্ধিমূলক ও গভীর রহস্য’ অভিহিত করে বিবৃতি দেয়া হয়। অতপর সিইসি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসি ইভিএম ব্যবহারের ব্যাপারে প্রস্তুত নয়’। সিভিল সোসাইটি, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক-গবেষকরাও একাদশ নির্বাচন ইস্যুতে ইভিএম বিতর্ক না করার পরামর্শ দিলে সিইসি স্পষ্ট করে ঘোষণা দেন ‘স্টেকহোল্ডাররা না চাইলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম নয়’। কিন্তু ১৬ জুলাই নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দীন আহমদ হঠাৎ করে ইভিএম বিতর্ক সামনে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি-না সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সময় আছে কমিশন ভেবে সিদ্ধান্ত নেবে। অর্ধশত রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দেয়া এবং একের পর এক স্থানীয় নির্বাচনে নিয়ন্ত্রিত ভোট হওয়া নিয়ে ইসির ওপর মানুষ যখন আস্থা রাখতে পারছে না তখন কেন নতুন করে ইভিএম বিতর্ক? আর ইসির কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত সিইসি এবং কমিশনারদের বদলে সরকারি কর্মকর্তা ইসি সচিব কেন আগে প্রকাশ করেন? 

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের অভিমত হলো নির্বাচন কমিশনের ইমেজ তলানিতে। কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ কার্যত নির্বাচন কমিশনকে সরকারের মেরুদণ্ডহীন আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। কে এম নূরুল হুদা কমিশনের প্রতি প্রত্যাশা ছিল ইসির কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য-গ্রহণযোগ্য’ করে তুলবেন। মানুষের আস্থা অর্জনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। নির্বাচন কমিশনের একাদশ জাতীয় সংসদের রোডম্যাপ ঘোষণা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর ইসির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে যায়। কিন্তু খুলনা ও গাজীপুর নির্বাচন বর্তমান ইসির প্রতি মানুষের আস্থা আবার পড়েছে তলানিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাচন বিশেষজ্ঞের মতে, নির্বাচন কমিশন সরকারের ‘তালুবন্দী’ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে গেছে। তারা সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী ‘নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন’ করে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ভোটের নামে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয় যে এখন আর ব্যালট পেপার ছিনতাই, সংঘাত-সংঘর্ষের প্রয়োজন পড়ে না। প্রশাসন যন্ত্র ব্যবহার করে এমনিতেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করা যায়। 

একাদশ নির্বাচন ইস্যুতে জাতিসংঘ, বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা, ঢাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জার্মানি ইত্যাদি দেশের কূটনীতিকরা মাঠপর্যায়ে থেকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন কমিশনের কর্মতৎপরতা পর্যবেক্ষণ করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা গত দেড় বছরে কয়েক দফা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নানান পরামর্শ দিয়েছেন। তারা নির্বাচনের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাসও দেন। তারা খুলনা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসির পক্ষপাতিত্বের কৌশলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। গত ১৪ জুলাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশ সরকার যেন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করে এটাই আশা করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই বৈঠকে মার্শা বার্নিকাট নির্বাচনগুলো যতোটা সম্ভব অনিয়মমুক্ত করার জন্য সরকারের অবস্থান কি সেটাও জানতে চান বার্নিকাট। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এর আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশেরই প্রতিফলন ঘটে থাকে জাতীয় নির্বাচনে। ঢাকায় কর্মরত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার অ্যালিসন বেক বলেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি। অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট-ই শুধু নয়, পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াই শান্তিপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড সম্প্রতি ঢাকা সফরে এসে বাংলাদেশের সবস্তরের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার প্রত্যাশা করেন। 

জানতে চাইলে সাবেক কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের কমিশন সময় ইভিএম ব্যবহার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। তার পর আমরা সঠিক ভাবে চালু করতে পারি নাই। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তিন মাস সময় আছে সে খানে চার লাখ ইভিএম কিভাবে বসাবে পরে তা আমার জানা নেই। আমি চাই ইভিএম আস্তে আস্তে চালু হোক। তিনি বলেন, আগে শুনতাম ইভিএম ভোট হ্যাক করবে। কিন্তু বর্তমানে তো ভোট ডাকাতি ও চুরি হচ্ছে। তা নিয়ে কেউ কিছু বলছে না। তার মানে বেড়া ক্ষেত খেলে করার কিছু নাই।

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কোনো প্রযুক্তি গ্রহণের আগে তার ভালো-মন্দ দিকগুলো ভালো করে খতিয়ে দেখা উচিত। আর নির্বাচনের অন্যতম স্টেকহোল্ডার হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। যে প্রযুক্তি গ্রহণ করা হোক না কেন তা রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে তা করা উচিত। খুলনা ও গাজীপুর সিটির ভোট নিয়ে বর্তমান কমিশন বির্তকের সৃষ্টি করছে। আগামীতে এ রকম থাকলে কি হবে তা বলা যাচ্ছে না। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, আসতে আসতে ইভিএম চালু করা যেতে পারে, তবে জাতীয় নির্বাচনের জন্য নয়। কারণ এত গুলো যন্ত্র নাই এবং জনবলও সংকটে রয়েছে। তার পর ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে রাজনীতিক দলগুলোর সাথে কথা বলতে পারে ইসি। তার আগে কিছু নয়। তারা যদি মতামত দেয় তা হলে দুই একটিতে করতে পারে। তিনি বলেন, বর্তমান সিটি নির্বাচন নিয়ে ইসিকে জনগণ বিশ্বাসে নিতে পারছে না। এগুলো করতে হলে ইসিকে আগে বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। বর্তমান আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের চেয়ে সরকারি কর্মকর্তারা বেশি আওয়ামী লীগ হয়েছেন। এ কারণে নিরপেক্ষ বিষয়টি উঠে যাচ্ছে। আর মাঠে থাকা বিএনপি কোনো বিয়ষ নিয়ে প্রতিবাদ করতে পারছে না।বেসরকারি সংস্থা ব্রতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুর্শিদ ইনকিলাবকে বলেন, ইভিএম ব্যববার নিয়ে আমরা আগে কথা বলে আসছি। তখন ইসি আমাদের জানিয়েছে সমান্য কিছু কেন্দ্র ইভিএম ব্যবহার হবে। তবে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে না। কিন্তু কয়েকটি সিটিতে ইভিএম ব্যবহার করেছে ইসি সাধারণ মানুষ কিছু বলে নাই। আর পর এখন ইসি এখন বলছে ইভিএম ব্যবহার করবে তার মানে এখনে কিছু খাকতে পারে। বর্তমান ইসির আমলে যে কয়েকটি নিবাচন হয়েছে সব গুলো নিয়ে বির্তক হচ্ছে। ইভিএম নয় আগের পুরাতন নিয়মে জাতীয় নির্বাচন দরকার। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষপনে ইসির কর্মকর্তারা একটি দলের পক্ষে নিচ্ছে এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তা না হলে সামনে অনেক কঠিন সময় পার করতে হবে।

  • সূত্র —    ইনকিলাব। বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৯, ২০১৮। 

---