Search

Sunday, August 19, 2018

রেহাই পায়নি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও

গোলাম মর্তুজা ও আসাদুজ্জামান

  • পুলিশ এ পর্যন্ত ৫১টি মামলায় ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে
  • গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২
  • গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অন্তত চারজন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী
  • দুই শিক্ষার্থীকে শিশু গণ্য করে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণ



নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে, তাদের মধ্যে অন্তত চারজন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। এই চারজনের মধ্যে দুজনকে আদালত শিশু গণ্য করে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন।

আন্দোলনের সময় সংঘাত, ভাঙচুর, উসকানি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত ৫১টি মামলায় ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এঁদের মধ্যে ৫২ জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া এজাহারে নাম থাকায় পলাতক আছেন ৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ জন শিক্ষার্থী। তাঁরা ২১টি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্র।

আন্দোলনের সময় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার না করতে এবং এদের কেউ আটক হলে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দিতে পুলিশের একটা নির্দেশনা ছিল। তখন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, স্কুল-কলেজের একজন শিক্ষার্থীকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে মামলার নথি থেকে দুই শিশুসহ স্কুল-কলেজের চার শিক্ষার্থী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, উত্তরা পশ্চিম থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন শিক্ষার্থী আসামির দুজনকে ‘শিশু’ হিসেবে গণ্য করে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত। এই দুজন হলো মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের দুই ছাত্র। যদিও মামলার এজাহারে তাদের বয়স ‘১৮’ উল্লেখ করা হয়েছে। অপরজন আইইউবিএটির ছাত্র। তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

তুরাগ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য দীন ইসলামের ওপর হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় ৫ আগস্ট ১১২ জনকে আসামি করে এই মামলা করেছিলেন দীনের বাবা পরশ আলী। মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৬২ নেতা-কর্মী এবং ৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ২টি স্কুল-কলেজের ৫০ জন ছাত্রের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। এদের বিরুদ্ধে দীন ইসলামের সোনার চেইন ও মুঠোফোন ছিনতাই এবং ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগও আনা হয়।

ছাত্রলীগ নেতা দীন ইসলাম এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ৫ আগস্ট বনানী থেকে ফেরার পথে হামলার শিকার হন তিনি। এ ঘটনার সঙ্গে যুবদলের লোকজন জড়িত ছিলেন। তাহলে এত শিক্ষার্থীকে আসামি করলেন কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নেতাদের পরামর্শে এ মামলা দেওয়া হয়েছে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের কিছু ছেলেকে মারধর করে জখম ও তাঁদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছিল। তাঁরাই ভিডিও ফুটেজ দেখে এসব ছাত্রসহ অন্যদের নামে মামলা করেছেন।

৪ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হিউম্যান হলার ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এক কলেজছাত্রসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন পুরান ঢাকার কে এল জুবিলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র। তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়ে আছে। তার আইনজীবী জাকির মোল্লা বলেন, জগন্নাথের সামনে সেদিন কোনো ভাঙচুরই হয়নি। কলেজে টাকা জমা দিয়ে ফেরার সময় কিছু ছাত্র তাঁকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। ওর বাবা ইটভাটায় কাজ করেন।

রমনা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার এক ছাত্র। তার আইনজীবী তৌসিফ মাহমুদ বলেন, মামলায় তার বয়স দেখানো হয়েছে ১৮ বছর। কিন্তু সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র এবং জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী তার বয়স ১৩ বছর ১ মাস।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই

অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থীর আইনজীবীরা প্রথম আলোকে বলেছেন, মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়নি। বেশির ভাগ ছাত্রকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দেহজনকভাবে। আদালতকেও তাঁরা এসব কথা বলেছেন। তাঁরা জানান, আজ রোববার ও আগামীকাল ছাত্রদের জামিনের জন্য ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে শুনানি করবেন। আদালত যদি জামিন না দেন, তাহলে এসব ছাত্রের ঈদ কাটবে কারাগারের চার দেয়ালের মধ্যে।

অন্তত ১০ জন ছাত্রের বাবা-মা জানিয়েছেন, আদালতের দিকেই তাকিয়ে আছেন তাঁরা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রেদোয়ান ও তারিকুলের আইনজীবী কবির হোসাইন বলেন, অভিভাবকেরা বেশ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।

ছাত্রদের বিরুদ্ধে করা আটটি মামলার কাগজপত্রে দেখা যায়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় সন্দেহজনকভাবে ছাত্রদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সংঘাতের সময় ঘটনাস্থল থেকে তেমন কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। পরে যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাঁদের বেশির ভাগকেই শনাক্ত করে বা ধরে পুলিশে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। তবে গ্রেপ্তার হওয়াদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে ফেসবুকের পোস্ট বা মুঠোফোনের ছবি ছাড়া তেমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই পুলিশের হাতে। আবার কয়েকটি মামলার বাদীও হয়েছেন সরকারপন্থী নেতারা।

ঢাকা মহানগরের উত্তরা, রমনা ও ওয়ারী বিভাগের তিনটি থানার দুই ওসি এবং একজন পরিদর্শকের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা হয়। তাঁরা বলছেন, আন্দোলনের পর থেকেই তাঁরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে একে-ওকে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা পেয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত

ভাঙচুর ও ফেসবুকে উসকানিমূলক তথ্য দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদের আইনজীবীরা আদালতকে বলেছেন, কারাগারে থাকার কারণে ছাত্ররা পরীক্ষা দিতে পারছেন না। তাঁদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে। মানসিকভাবেও ভেঙে পড়ছেন তাঁরা।

রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার বুয়েটের ছাত্র দাইয়ান নাফিসের আইনজীবী ফায়জুল হক প্রথম আলোকে বলেন, দাইয়ান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে পড়ছেন। ১ সেপ্টেম্বর তাঁর পরীক্ষা। কারাগারে থাকায় পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিতে পারছেন না।

ফেসবুকে ‘নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন’ নিয়ে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন রাফসান আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র তিনি।

১ আগস্ট গ্রেপ্তার হন আরমানুল হক। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের ছাত্র। তাঁর আইনজীবী সাবিবা বেগম বলেন, আদালতকে তিনি জানিয়েছেন, চলতি মাসের ১৬ আগস্ট তাঁর পরীক্ষা ছিল। কিন্তু কারাগারে থাকায় পরীক্ষা দিতে পারেননি।

এর আগে বাড্ডা ও ভাটারা থানার মামলায় গ্রেপ্তার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থীর মধ্যে অন্তত ১০ জন ছাত্রের আইনজীবী আদালতকে জানান, কারাগারে থাকার কারণে পরীক্ষা দিতে পারছেন না তাঁরা। তবে কোনো ছাত্রই জামিন পাননি।

শিক্ষার্থীদের বাবা-মা ও স্বজনেরা থানার পুলিশ, আদালত আর কারাগারে ঘুরেই দিন পার করছেন। মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র ইকবাল হোসেনের বাবা দুলাল হোসেন বলেন, তাঁর ছেলেকে ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা তিনটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় ৪ আগস্ট ধানমন্ডিতে সংঘর্ষে অংশ নেওয়া, আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া অন্য চারজনকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘সবাই ঈদ করবে আর আমার ছেলেটা জেলে থাকবে!’

বয়স্কদের জামিন

রেলওয়ে রেঞ্জ অফিসের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান সহকারী ৬৩ বছরের গফুর মিয়া আটক হন আরামবাগ থেকে। বাস ভাঙচুর, হত্যাচেষ্টা ও চুরির অভিযোগে করা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এ মামলায় ৬ আগস্ট ফয়েজ হোসেন (৫৮) ও হুমায়ুন কবীর মুজিব (৩৯) নামের আরও দুজনকেও গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরদিন শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন দেন। আদেশে আদালত বলেন, হত্যাচেষ্টা ও চুরির অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয়। আসামিরা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তাই তাঁদের জামিন দেওয়া হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স, তারা শিশু। জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে তারা জামিন পাবেই। অজামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট গুরুতর অভিযোগ না থাকলে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করতে হয়। আর যেসব শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছরের ওপরে কিন্তু গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকে, অপরাধ যদি অজামিনযোগ্য না হয়ে থাকে, তাহলে তো এসব শিক্ষার্থীর জামিন পাওয়ার অধিকার আছে। তার থেকেও বড় কথা সামনে তাঁদের পরীক্ষা। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকলে তাঁদের জামিনের বিষয়টি আদালত বিবেচনা করতে পারেন।
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ আগস্ট ১৯,২০১৮ 

Consumers to pay additional Tk 60b

Cellphone call rate hike


The country's mobile phone users will have to pay an additional Tk 60 billion (6,000 crore) due to the recent hike in voice call rate, said speakers at a meeting on Saturday.
"We believe that the call rate was raised to Tk 0.45 per minute from Tk 0.25 just to serve the interest of the mobile phone operators," said president of the Mobile Phone Subscribers' Association Mohiuddin Ahmed.

He said the Bangladesh Telecom Regulatory Commission (BTRC) did not take the subscribers' opinions before it increased the floor call rate, which is "unethical and undemocratic."

The BTRC should take the consumers' interest into account because such a decision will affect them, he added.

He also noted that though the government had announced to withdraw 10 per cent VAT on internet use, which was imposed in the current budget, the decision has not come into effect yet.

Addressing the meeting, Ruhin Hossain Prince of CPB said that this decision was made just to appease the mobile operators.

Central leader of the Bangladesh Samajtantik Dal Rajukajjaman Ratan said mobile phone users will have to pay an additional amount of Tk 60 billion due to this rise in call rate.

The speakers demanded immediate scrapping of the BTRC decision.

  • Courtesy: The Financial Express/ Aug 19, 2018

Only 10.88pc structures in Rajuk area get approval

In last nine years since 2008, about 416,091 structures were built in the area under the city development authority Rajuk and, of them, only 10.88 per cent or 45,288 got approval, a report said.
Besides, 173 structures obtained certificates of occupancy during the period, the field report of the Rajdhani Unnayan Kartripakkha (Rajuk) added.

The city development authority has taken an initiative to demolish unauthorised structures within its jurisdiction.

According to the DAP (Detailed Area Plan) physical feature survey 2015-16 and DAP 2010, out of a total of 4,790 structures, only 0.06 per cent were permitted and 99.94 per cent took no permission.

However, DAP 2016-35 project director Ashraful Islam told the FE that the previous list of permitted structures was faulty. There was no consistency of the occupancy type mentioned in the Building Code 2008 and in the land use rules under the DAP.

Citing an example, he said that in the DAP 2010 a barber shop has been shown as an essential service in a residential zone.

But in the Building Code 2008, essential services have been shown under the commercial zone.

Likewise, residential hotels have been kept under residential zones in the Building Code while those are included in commercial zones in the DAP.

"Besides, there was no rule to issue any certificate of occupancy before 2008. We should consider those structures which have been constructed after making the certificate of occupancy mandatory in 2008," he said.

As per the Rajuk estimate, 80 per cent of the structures in the Rajuk area have been constructed violating the Building Code 2008 or without following the approved designs.

"Now we are not issuing any certificate of occupancy except for some cases as the owners are flouting rules in most cases," said Mr Ashraf.

It was also found from the report that Rajuk didn't take any proper and timely initiative to disseminate the plan to the agencies working within Dhaka metropolis.

At a Participatory Rapid Appraisal (PRA) session which was held on 2016-2017, it has been found that many local governments like union councils and municipalities did not know about the DAP. Even many union councils were not aware that they were within the Rajuk's jurisdiction.

As per the field report, about 25 per cent local governments have no idea about the DAP while 25 per cent are familiar with the name, 36 per cent have the basic idea and 14 per cent have the significant level of understanding.

Building Construction (BC) Rules state that any site which covers an area of 200 square metres should be the provision for a parking facility.

From the physical feature survey under the DAP project, it has been found that 2,143,205 structures exist within the Rajuk area, of which 512,640 structures are pucca.

The physical survey reveals that about 44,818 structures within the Rajuk area have the provision for parking facilities. They account for only 8.74 per cent of the total pucca structures and, of them, about 93 per cent are within Dhaka central region.

As per the Revised Strategic Transport Plan (2016-35), 195,400 private cars were found in greater Dhaka area in 2013.

When asked, Mr Ashraf said Rajuk proposed parking rules in view of the fact that there is no need for parking facilities at all the residential buildings like four-storey ones.

Rather, Rajuk discourages private cars and promotes use of public transport, he added.

"We will emphasise construction of community- based parking lots which will be initiated and operated by private entrepreneurs. There are no spots identified, but we will fix the number of maximum parking lots for a community," he said.

Rajuk sources said parking spaces have been made mandatory in the Building Code for all kinds of buildings including residential, commercial and other ones. People keep parking spaces, but later they use them for other commercial purposes.
  • Courtesy: The Financial Express/ Aug 19, 2018

পিছিয়ে পড়ছে ব্যাংকিং খাত

আশরাফুল ইসলাম

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পিছিয়ে পড়ছে দেশের ব্যাংকিং খাত। ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে মূলধনের জোগান, খেলাপি ঋণের হার, তারল্য পরিস্থিতি, মুদ্রার বিনিময় হার ও সুদহারের জোগান সূচকে আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে দেশীয় ব্যাংকিং খাত। ব্যাংকগুলোর এ দুর্বল অবস্থানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষ্পত্তি ব্যয় বেড়ে চলেছে। বেড়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ের ফি। ব্যাহত হচ্ছে লেনদেনের স্বাভাবিক গতি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, খেলাপি ঋণের হার ৩ শতাংশের নিচে হলে আন্তর্জাতিকভাবে তা ঝুঁকির আওতামুক্ত ধরা হয়; কিন্তু সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের হার ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ব্যাংকভেদে এ হার ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত রয়েছে।

দেশের তফসিলি ৫৭টি ব্যাংকের মধ্যে ১২টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৩ শতাংশের নিচে রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি বেসরকারি ও পাঁচটি বিদেশী ব্যাংক রয়েছে। তবে কোনো সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৩ শতাংশের নিচে নেই। ৩ শতাংশের নিচে খেলাপি ঋণ রয়েছে এমন দেশী ব্যাংকগুলোর মধ্যে আছে, ইস্টার্ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক।

বিদেশী ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে উরি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এন এ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, ব্যাংক আল ফালাহ এবং এইচএসবিসি। খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বিবেচনায় নিলে দেশের ব্যাংকিং খাত অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

দ্বিতীয়ত. ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের চেয়ে মূলধন সংরক্ষণের হার। মূলধন সংরক্ষেণের ক্ষেত্রে চার বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি রোডম্যাপ দিয়েছিল ব্যাংকগুলোকে। ওই রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি বছর শেষে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে সাড়ে ১২ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণের কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকিং খাত মূলধন সংরক্ষণ করতে পেরেছে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ হারে।

চলতি বছর শেষে মূলধন সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন মোটেও সম্ভব হবে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রোডম্যাপ অনুযায়ী মূলধন সংরক্ষণ করতে না পারার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছে ঊর্ধ্বমুখী খেলাপি ঋণ। এ খেলাপি ঋণের আধিক্য বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর চেয়ে সরকারি ব্যাংকগুলোর বেশি। এ কারণে সরকারি ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারেনি। ফলে মূলধন ঘাটতির মুখে পড়েছে সরকারি ব্যাংকগুলো। এর প্রভাব পড়েছে গোটা ব্যাংকিং খাতে।

এ দিকে আন্তর্জাতিকভাবে সুদের হার কমানো বা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি ধারাবাহিকতা রাখতে হয়। খুব সামান্য হারে কমাতে বা বাড়াতে হয়। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টমস, ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ‘ব্যাংক অব ইংল্যান্ড’ এ হার সাম্প্রতিক সময়ে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতির অন্যতম উপকরণ ট্রেজারি বিল কেনার চুক্তির (রেপো) সুদহার গত এপ্রিলে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ কমিয়ে ৬ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সঙ্কট বেশি হলে ঋণের সুদহার এক ধাক্কায় বাড়িয়ে দেয় ৩ থেকে ৪ শতাংশ। আমানতের সুদহার বাড়ায় ২ থেকে ৪ শতাংশ। পরে ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামানোর কথা বলে আমানতের সুদহার এক ধাক্কায় ক্ষেত্রবিশেষ সাড়ে ১০ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনে। যদিও কয়েক দফা আগাম ঘোষণা দিয়েও ঋণের সুদহার এক অঙ্কের ঘরে নামিয়ে আনেননি বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তারা। এতে সুদের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে, যা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এ দিকে আন্তর্জাতিকভাবে ঋণ ও আমানত ব্যবস্থাপনা এমনভাবে করতে হয়; যাতে তারল্য পরিস্থিতি সব সময় স্বাভাবিক থাকে; কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে বেশির ভাগ সময়ই এটি স্বাভাবিক অবস্থায় থাকছে না। এর মধ্যে দীর্ঘ সময় ব্যাংকিং খাত অতিরিক্ত তারল্যের ভারে আক্রান্ত ছিল। তখন ঋণের সুদের হারের চেয়ে আমানতের সুদের হার বেশি কমেছিল। এতে ব্যাংকে আমানতকারীরা আমানত রাখতে নিরুৎসাহিত হয়। এ দিকে সুদের হার কম থাকায় ঋণপ্রবাহও বেড়েছিল।

ফলে এক দিকে ব্যাংকের অলস অর্থ ফুরিয়ে যায়, অন্য দিকে আমানত আসছিল কম। এ দুইয়ে মিলে তারল্য সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করে। ঋণ ও আমানতের সুদের হার আবার বেড়ে যায়। এতে ব্যবসায়ীরা ফের সঙ্কটে পড়েন। ব্যাংকিং খাতের তারল্য ব্যবস্থাপনার এ প্রবণতাকে বড় ধরনের ঝুঁকি বলে মনে করা হয়। কোনো কারণে তারল্য সঙ্কটের মুখে একটি ব্যাংক গ্রাহকদের টাকা দিতে না পারলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পুরো ব্যাংকিং খাতে। যেমনটি হয়েছে ফারমার্স ব্যাংকের ক্ষেত্রে।

ঋণ কেলেঙ্কারির পরে ব্যাংকটির তহবিল শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। প্রতিদিন আমানতের বিপরীতে বাধ্যতামূলক নগদ জমার হার সংরক্ষণ করতে পারছে না ফারমার্স ব্যাংক। ফেরত দিতে পারছে না গ্রাহকের গচ্ছিত অর্থ। এর প্রভাব সাম্প্রতিক সময়ে পুরো ব্যাংকিং খাতে পড়েছে। একই সাথে মুদ্রার বিনিময় হারকে স্থিতিশীল রাখার মাধ্যমে আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, রফতানি আয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা, রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। 

এর ফলে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে। গত কয়েক বছর ধরে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার বেশ মাত্রায় ওঠানামা করছে। এর প্রভাবে ডলারের দাম কখনো বেশি বেড়ে যাচ্ছে। আবার কমে যাচ্ছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ব্যয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী অর্থনৈতিক সূচকগুলো সংরক্ষণ করতে না পারলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেবে। এর মধ্যে অন্যতম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষ্পত্তিতে ব্যয় বেড়ে যাবে। কারণ, মূলধন ঘাটতি থাকলে ব্যাংকিং খাতের রেটিং খারাপ হবে। ফলে পণ্য আমদানিতে দেশীয় ব্যাংকগুলোর গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে। ফলে থার্ডপার্টিকে গ্যারান্টির মাধ্যমে পণ্য আমদানি করতে হবে। এতে ব্যয় স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাবে। পরিস্থিতির উন্নতি করতে হলে ব্যাংকগুলোকে আরো সতর্কতার সাথে ঋণ বিতরণ করতে হবে। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ আদায়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা/আগস্ট ১৯,২০১৮ 

ট্যানারি সংকটে চামড়া প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে দুশ্চিন্তা


রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে সব ট্যানারি সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে আগেই স্থানান্তর হয়েছে। এ স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় প্রায় ২২৫টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। কিছু কারখানা পরে চালু হলেও ছোট-বড় দেড় শতাধিক ট্যানারি এখনো বন্ধ। একই অবস্থা চট্টগ্রামেও। বন্দরনগরীতে একসময় ২২টি ট্যানারি থাকলেও ২১টিই একে একে বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে চালু আছে মাত্র একটি, যার প্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতা ওই অঞ্চলে সংগৃহীত মোট চামড়ার ২০ শতাংশেরও কম। সব মিলিয়ে ট্যানারি সংকটে দুশ্চিন্তা বাড়ছে চামড়া প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে।

প্রতি বছর ৭-১০ শতাংশ হারে বাড়ছে দেশে চামড়া উৎপাদন ও সংগ্রহ। কয়েক বছর আগেও এক মৌসুমে ১ কোটি ৪০ লাখ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ পিস চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে পারত কারখানাগুলো। এ শিল্পের সংগঠনের তথ্যমতে, এখন তা নেমে এসেছে ৭০-৮০ লাখ পিসে। সক্ষমতার এ ঘাটতিতে চামড়া পাচারের আশঙ্কাও করছেন অনেকে।

ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বণিক বার্তাকে বলেন, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা থাকলেও সক্ষমতার অভাবে আমরা তা দিতে পারছি না। আমাদের জন্য শিল্পনগরী দেয়া হলেও সেটি প্রস্তুত নয়। পরিস্থিতির কারণে গতবারের চামড়াই এখনো প্রক্রিয়াজাত করতে পারিনি। এতে সংগৃহীত কাঁচা চামড়ার গুণগত মান কমে যাচ্ছে। নতুন চামড়া সংরক্ষণে স্থান সংকট রয়েছে। অনেক ট্যানারি এখনো উৎপাদনে যায়নি। এসব কারণে চামড়া প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে দুশ্চিন্তা এবারো থাকছে।

জানা গেছে, সাভারের চামড়া শিল্পনগরী এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হতে পারেনি। চালু করা যায়নি স্থানান্তরিত সব ট্যানারি। খালি নেই চামড়া শিল্পনগরীর ডাম্পিং ইয়ার্ডও। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) প্রস্তুত তো হয়ইনি, চামড়া কাটার পর বর্জ্য কোথায় ফেলা হবে, নির্ধারণ হয়নি সেটিও। চামড়া শিল্পনগরীতে ট্যানারি আছে বর্তমানে ১৫৫টি। এর মধ্যে ১১৫টি উৎপাদনে সক্ষম।

উৎপাদনে থাকা চট্টগ্রামের একমাত্র ট্যানারি রিফ লেদারের বছরে চামড়া প্রক্রিয়াকরণের সক্ষমতা বছরে এক লাখ পিস। যদিও কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলাসহ চট্টগ্রামে এবারের কোরবানিতে চামড়া সংগ্রহ হবে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ পিস। বাকি সাড়ে চার লাখ পিস চামড়া বিক্রির জন্য ঢাকার ট্যানারি মালিকদের ওপরই নির্ভর করতে হবে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের।

রিফ লেদার লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড সেলস) মোখলেসুর রহমান বলেন, একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদেরও কাঁচামালের নির্দিষ্ট চাহিদা আছে। সে অনুযায়ী কোরবানির মৌসুমে আমরা প্রায় এক লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ করি। এটা কোরবানির মৌসুমে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সংগ্রহ করা চামড়ার মাত্র ২০ শতাংশ। বাকি চামড়া বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের ঢাকার ওপর নির্ভর করতে হবে।

যদিও ঢাকার ট্যানারিগুলোর চামড়া প্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতাও কমে গেছে। সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্পনগরীতে ট্যানারি স্থানান্তরের ধাক্কা তারা এখনো সামলে উঠতে পারেননি বলে দাবি এ খাতের ব্যবসায়ীদের। হাজারীবাগের অনেক ট্যানারি বন্ধ হলেও এখনো চালু হয়নি সেগুলো।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ বলেন, সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরে বড় ধরনের বিনিয়োগের ধাক্কায় পড়েছে অনেক ট্যানারি। এ ধাক্কা কটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগবে। ব্যবসা ভালো না যাওয়ায় অনেক ট্যানারি গতবার চামড়া কিনতে নেয়া ঋণের অর্ধেকও পরিশোধ করতে পারেনি। ট্যানারি মালিকদের সক্ষমতা বাড়াতে অর্থায়ন ঘাটতি দূর করার বিকল্প নেই। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চামড়া যাতে পাচার না হয়, সেজন্য সীমান্তে নজরদারি জোরদার করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের কোরবানি ঈদে চামড়া সংগ্রহের জন্য দেয়া প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ঋণের বেশির ভাগই আদায় হয়নি। যদিও এবার কোরবানিতে পশুর চামড়া কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক থেকে ট্যানারি মালিকদের ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গত বছরের ঋণের অর্থ আদায় না হওয়ায় এ ঋণ বিতরণ নিয়েও জটিলতা তৈরি হচ্ছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বণিক বার্তাকে বলেন, এ শিল্পে খেলাপি ঋণের পরিমাণ তুলনামূলক কম। বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের জুতার সম্ভাবনাময় বাজার রয়েছে। এসব বিবেচনায় যেসব ট্যানারি মালিক গত বছরের টাকা পরিশোধ করেছেন, তাদের চাহিদামতো ঋণ দেয়া হবে। ট্যানারি মালিকদের আগের নেয়া ঋণ পরিশোধ করার পরই নতুন করে বিতরণের সুপারিশ করা হচ্ছে। শেষ সময়ে এসে ট্যানারি মালিকরা ব্যাংকের দেয়া শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে ঋণের পরিমাণ আরো বাড়ানো হবে।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, সারা বছর দেশে প্রায় ২ কোটি ৩১ লাখ গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া জবাই হয়। এর অর্ধেকই হয় কোরবানির ঈদে। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া মিলিয়ে দেশে এবার কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ।
  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা/ আগস্ট ১৯,২০১৮ 

সাতদিন ধরে বিদ্যুত্হীন বিপর্যস্ত চিকিৎসাসেবা

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল


টানা সাতদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার প্রধান এ হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম। ভেঙে পড়েছে সেখানকার স্যানিটেশন ব্যবস্থাও।

জানা গেছে, হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুত্হীন এ হাসপাতালে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে চরম বিপাকে পড়েছে রোগীরা, বিশেষ করে সিজারিয়ান রোগীরা। গরম সইতে না পেরে ভর্তি রোগীরা অন্যত্র চলে যাচ্ছে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় পানিও নেই হাসপাতালটিতে। এতে স্যানিটেশন ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। উপচে পড়া মলমূত্রে একাকার হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ওয়ার্ড।

সদর হাসপাতালে এক রোগীর আত্মীয় সিদ্দিকুর রহমান জানান, তার এক স্বজন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ১০ দিন আগে ভর্তি হয়েছেন। এরপর এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে বিদ্যুৎ ও পানি নেই। পানির অভাবে স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দুর্গন্ধে থাকা যাচ্ছে না। একটা জেলা হাসপাতালের এমন অবস্থা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় জরুরি সেবা পাওয়ার জন্য রোগীর স্বজনদের অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মহব্বত আলী জানান, পাঁচদিন আগে আমার স্ত্রীকে সিজার করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিদ্যুৎ না থাকায় সিজার করানো সম্ভব নয়। তোমার স্ত্রীকে যদি সিজার করতে হয়, তাহলে জেনারেটরের তেল কিনে দিতে হবে। আমি কোনো উপায় না দেখে ১০ লিটার তেল কিনে দিই। তারপর চিকিৎসকরা আমার স্ত্রীকে সিজার করেন।

একই কথা বলেন সাতক্ষীরার সুলতানপুর গ্রামের সেফা খাতুন। তাকে দিয়েও জেনারেটরের জন্য ১০ লিটার ডিজেল কেনানো হয় বলে জানান তিনি।

সদর হাসপাতালের এমন অবস্থা সম্পর্কে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমান জানান, এক সপ্তাহ আগে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ট্রান্সফরমারটি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর ৫০ কেভি পাওয়ার ট্রান্সফরমার লাগানো হলেও তাতে কাজ হচ্ছে না। এ বিষয়ে খুলনা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে ১৫০ পাওয়ার কেভি ট্রান্সফরমার চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নতুন ট্রান্সফরমারটি পাওয়া গেলে অপারেশনসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা যাবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ২৫০-৩০০ জন রোগী ভর্তি আছে। বিদ্যুৎ না থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে অপারেশন করতে আসা রোগীরা ফিরে যাচ্ছে।

সাতক্ষীরা জেলার প্রায় ২৪ লাখ মানুষের সরকারিভাবে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অন্যতম কেন্দ্র হচ্ছে এ সদর হাসপাতাল। ১০০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সেখানে বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথাও দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছিল জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। কিন্তু কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাতক্ষীরার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো. আনিসুর রহিম বলেন, সরকার যখন জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য জোর চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই লক্ষ করা যাচ্ছে সাতক্ষীরার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জেলার ২৪ লাখ মানুষের আশ্রয়স্থল হচ্ছে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক এ হাসপাতালে সপ্তাহব্যাপী বিদ্যুৎ নেই। সংশ্লিষ্টরা কী করেন এখানে?

সাতক্ষীরা সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি কিশোরী মোহন সরকার বলেন, জেলা সদরের সর্ববৃহৎ সরকারি হাসপাতালে টানা সাতদিন বিদ্যুৎ না থাকাটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলার প্রমাণ। দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা এসে চিকিৎসা নিতে না পেরে নাজেহাল হয়ে ফিরে যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রোগীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ অফিস থেকে ৫০ কেভি পাওয়ারের একটি ট্রান্সফরমার লাগানো হয়েছে। নতুন ১৫০ কেভি ট্রান্সফরমারটি দুয়েকদিনের মধ্যে হাতে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন ট্রান্সফরমারটি হাতে পেলে আগের মতো অপারেশনসহ যাবতীয় কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি জানান।

  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা/ আগস্ট ১৯,২০১৮ 

Written-off loans reach Tk 48,053cr

AKM Zamir Uddin

The amount of loans written off by banks increased six times year-on-year to Tk 141 crore in the first quarter of 2018 as the lenders used a central bank policy to clean up their books.
This took the total written-off loans figure to Tk 48,053 crore since January 2003 when the policy was introduced.

Tk 24.76 crore was written off in the January-March quarter last year, according to Bangladesh Bank data.

Of the six banks that used the facility to clean up their balance sheets, Premier Bank topped the chart as it removed bad debts worth Tk 64 crore from its book. Eastern Bank wrote off Tk 55.42 crore.

State-owned banks wrote off Tk 22,618 crore and private banks Tk 23,825 crore in the quarter.

Two state-run specialised banks—Bangladesh Krishi Bank and Rajshahi Krishi Unnayan Bank—wrote off Tk 555 crore and foreign commercial banks Tk 1,055 crore.

Between January 2003 and March 2018, Tk 48,053 crore were written off. Of the amount, 78 percent remained outstanding, meaning banks' efforts to recover the bad loans haven't paid off.

Banks prefer to avoid writing off bad loans as it is their primary assets and source of future revenue.

However, toxic loans that cannot be collected or are difficult to recover reflect very poorly on a bank's balance sheets and can divert resources from more productive activity. This leads banks to remove bad loans from their balance sheets and thus reduce tax liability.

A central banker, however, said banks usually do not write off bad loans in the first quarter as there is no rush to clean the balance sheets at the beginning of a year.

The banking sector wrote off Tk 1,875 crore in the October-December quarter last year.

As per BB rules, loans are written off after making adequate provisions to take advantage of tax benefits. But banks are obligated to continue their recovery efforts.

In order to write off, banks have to file lawsuits with the money loan court against defaulters and keep 100 percent provisioning.

The process to write off was not transparent as it was an attempt to prevent people from knowing the actual figure of default loans, Khondkar Ibrahim Khaled, a former deputy governor of the central bank, told The Daily Star yesterday. Banks write off loans to conceal corruption, he said.

“The central bank introduced the policy to show a decreased amount of default loans on banks' balance sheets with a view to presenting a positive picture of the country's financial sector to the international community,” he said.

Khaled said write-off loans are like uncollectible loans and the recovery process is highly difficult.

“So, banks should prevent corruption so that the vested quarter can't take loans through unethical process.”

Default loans rose by Tk 14,286 crore to Tk 88,589 crore in March this year compared to a quarter ago, showed BB data.

Default and write-off loans together totalled more than Tk 1.26 lakh crore at the end of March.

  • Courtesy: The Daily Star/ Aug 19, 2018

Lot of actions, but no result!

Quader heads 3 committees for safe roads, holds meetings rarely, delivers very little

M Abul Kalam Azad

Hold meetings, make decisions and then forget all about them.

This has been the practice of successive governments regarding road safety in the past three decades. Since the mid-80s, each government has undertaken numerous initiatives to reduce road crashes, but they are gathering dust at the Road Transport and Bridges Ministry.

Several high-profile committees with ministers, officials, experts and transport leaders have also been formed to discuss the never-ending problems in the sector and find solutions. They too have failed to deliver, leading to frequent accidents, killing thousands every year on roads and highways across the country.

One such accident, which killed two college students on July 29 in the capital, brought thousands of school and college students, out onto the streets for a week, demanding improved safety measures.

About seven people die in road crash in the country every day, according to official counts, which is much lower than the 20 a day estimated by various NGOs. Road safety campaigners say such mismatch of the death tally happens because many accidents go unreported.

Latest credible data is not available, but road crash stands out as one of the highest killers in Bangladesh. Released in 2015, a WHO report estimated road deaths between 17,349 and 25,283 in 2013.

Plans to contain such deaths by multiple government committees have also been aplenty. The only problem is those decisions delivered no result. 

The Motor Vehicle Ordinance of 1983, the first legal document regarding road safety, made formation of a committee with all stakeholders mandatory. Accordingly, the Road Transport Advisory Council (RTAC) was formed in 1985 with the then communications minister at the helm.

It is now headed by Road Transport and Bridges Minister Obaidul Quader. Other members of the Council are labour leader-cum-Shipping Minister Shahjahan Khan, secretaries of several ministries, top police officials, including the IGP and divisional commissioners, officials of Bangladesh Road Transport Authority (BRTA), experts, civil society members, transport owners and workers' union leaders.

It held several meetings, discussed various transport-related issues but could do little to make roads safe.

Another body, National Road Safety Council (NRSC), was constituted in 1995 to ensure road safety. Also headed by Quader, this Council has units even at the upazila level. The upazila nirbahi officer heads the upazila unit while the district unit is headed by the deputy commissioner.

Shahjahan Khan, State Minister for LGRD Moshiur Rahman Ranga (also president of transport owners' association), Home Minister Asaduzzaman Khan Kamal, a number of secretaries, the police boss, transport owners, divisional commissioners, deputy commissioners, superintendents of police, NGO representatives, officials of city corporations and Rajuk, UNOs and experts are members of the NRSC.

Records show both the councils have been discussing almost similar issues and making identical decisions. Time and again, they decided to remove unfit vehicles, bar drivers with fake licence, pull out slow-moving vehicles off highways, prevent modification of vehicles, control overloading, stop reckless or wrong-side driving, introduce monthly salary for drivers and workers and so on.

But none of those decisions has been implemented either for a lack of political will or due to opposition from beneficiaries of road irregularities within the government's power circle.   

“Holding meetings and making decisions have become a mere eye-wash,” observed Prof Moazzem Hossain, who teaches civil engineering at Buet and researches road safety.

Sincerity and will to implement are missing, he said, adding that transport owners and their people became more powerful than government agencies. This is why those decisions could not be implemented. 

As both the councils turned dysfunctional and fatal road crashes continued claiming lives, a special cabinet committee was formed in 2013 with 10 ministers on it to coordinate implementation of the decisions made by the two councils. Again, Quader was made head of it while both Shahjahan Khan and Moshiur Rahman Ranga became members.

After holding two meetings, the ministers ran out of gas and delegated the responsibilities to their secretaries, who did not hold a single meeting as yet.

As the committee of heavyweight ministers failed to deliver, Prime Minister Sheikh Hasina stepped in. On June 25, amid a flurry of deaths on roads, she issued a five-point directive for road safety, and assigned Quader, Shahjahan and Asaduzzaman Khan Kamal to implement those.

The five directives are: drive-time limitations on drivers of long-route vehicles, keeping reserved drivers on long-route vehicles, restricting them to a maximum of five hours drive time at a stretch, training drivers and their assistants, installing service centres or restrooms for drivers at regular intervals on highways, preventing jaywalking, making sure everyone follows traffic signals and fastens seatbelts.

None of these instructions has been carried out yet.

"There are many players in the road transport sector, but he [Quader] is the person to be held accountable," Prof Shamsul Haque, one of the country's leading road experts and former director of the Accident Research Institute at Bangladesh University of Engineering and Technology, told The Daily Star recently.

A far bigger commitment, conviction and devotion of time are required to ensure road safety in a complex transport system that Bangladesh has, he insisted. 

Quader indeed has too many things on his plate. Requesting anonymity, officials at the ministry confirmed that the minster mostly remained busy off the office, with some other things. Being the general secretary of the Awami League, he needs to handle many issues other than people's safety.

After taking charge of the ministry in December 2011, Quader at the beginning appeared serious about improving road safety. He spearheaded rectification work on engineering flaws at some highways, significant of which was at accident-prone stretch towards Paturia.

But his initial enthusiasm for road safety eventually got diverted to mega infrastructure projects, road repair, political talks and occasional theatrics to camera.

His “seriousness” about road safety that the country saw through media quite often in the last few years was when the minister showed up unexpectedly with hordes of television cameras on some roads to do the job of a traffic official, checking driving licences, fitness certificate of vehicles or expressing unhappiness about dilapidated highways. The great showmanship of Quader made headlines, but roads across the country remain unsafe.

Prof Shamsul, who is involved in a dozen infrastructure development projects, firmly believes things would not have come to its present state, it would rather improve, had the minister played his part in implementing the decisions he took while in office. 

Ilias Kanchan, the film star who has been campaigning for safe road since the death of his wife in a road crash in 1993, is tired of rhetorical responses from people who can actually make roads safe. 

“We want the government to take real initiatives to check road crashes,” he told The Daily Star. 

Last night, The Daily Star called Obaidul Quader and also the ministry Secretary Nazrul Islam, but they did not pick up the calls. They also did not respond to the text messages, requesting their comments. 

  • Courtesy: The Daily Star /Aug 19, 2018

Govt must arrest, punish road safety protest attackers


THE school and college students had taken to the streets, since July 29, for nine days, demanding justice for the death of two of their fellows in a traffic accident and seeking road safety by putting an end to the chaos in the road transport administration. 

But while they had been on the streets, especially in the later days, in August 3–6, groups of young people, wearing helmets or with their face wrapped around with pieces of cloth, attacked the school and college students who were holding peaceful protests, first at Jigatala, and then elsewhere. The groups, brandishing arms and sharp weapons in daylight roaming about the areas where students were holding protests, also attacked, in a few cases grievously, the journalists who were covering the protests. 

A few of the journalists had to be treated in hospital for longer periods. The attackers also broke mobiles and cameras of the journalists. The law enforcers, who were standing guards in the areas, are reported to have been in complicit with the attacks as they did not lift a finger to deter the armed attackers; in some cases, they are rather reported to have aided the attackers. Yet after all this, no cases have been filed against the attackers and none has so far been arrested.

While the protesters and the media say that the attackers were activists of the Chhatra League, the student wing of the ruling Awami League, the government has remained silent about them. The law enforcers should have arrested them in any way their being Chhatra League activists, people from the opposition political camps or others as they brandished arms and weapon in daylight, roamed about the areas armed and attacked the school and college students and journalists. The job of the law enforcers is to deter crimes of any kind and arrest anyone standing in conflict with the law that ensures people’s safety. 

But, unfortunately, the law enforcers are reported to have aided them. The attackers wore helmets and their faces were wrapped around with pieces of cloths. But many of them were in plain sight and newspapers and television channels published reports and footage from which the attackers could be easily traced. The government’s eerie silence about them and mysterious inaction in this connection corroborate the media reports that the attackers were from the Chhatra League.

While attacks on peaceful protests of school and college students, which are awfully wrong, is in no way acceptable, the attacks on the journalists constitute an affront to the freedom of expression and the media, which is guaranteed by the constitution. While the students have every right to resent, peacefully, any wrong that has taken place in the road transport administration for decades, the journalists have the right to do what they are mandated to do keeping to the law. The government, in a situation like this, must arrest the attackers and punish them after credible and fair investigation.

  • Courtesy: New Age/Editorial/Aug 19, 2018

ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতুতে পারাপার


লাকসামে কার্জন খালের উপর কোনো ব্রিজ না থাকায় ৩টি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ও ২০ হাজার গ্রামবাসী রেলওয়ে ব্রিজের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। গত ৩০ বছর ধরে একটি ব্রিজের জন্য জনপ্রতিনিধিদের নিকট আবেদন করলেও এখনও কোনো ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাকসামের মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়নের কাগৈয়া গ্রামে কার্জন খালের উপর কোনো ব্রিজ নেই। লাকসাম-চাঁদপুর রেললাইনে ওই স্থানে রেলওয়ের একটি ব্রিজ। ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে তৈয়ব আলী উচ্চবিদ্যালয়, জালাল মেমোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৩টি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ও গ্রামবাসী বাধ্য হয়ে এ রেলওয়ের ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করে।

ছোট ছেলেমেয়েরা ব্রিজ পারাপারের সুবিধার্থে গ্রামবাসী রেললাইনের উপর কাঠ দিয়ে দেয়। যাতে ছাত্রছাত্রীরা সহজে চলাচল করতে পারে। এরপরও প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি ৭-৮ জন ছাত্রছাত্রী রেললাইন ওপর পার হওয়ার সময় একটি ট্রেন আসতে থাকে। পার্শ্ববর্তী লোকজনের চিৎকারে ওইসব ছাত্রছাত্রী খালের উপর লাফিয়ে আত্মরক্ষা পায়। এতে ওইসব ছাত্রছাত্রী সবাই কম বেশ আহত হয়। 

পার্শ্ববর্তী পরানপুর ও নোয়াপাড়া গ্রামের মর্জিনা বেগম ও সুরাইয়া বেগমসহ কয়েকজন অভিভাবক জানায়, মেয়েদের স্কুলে পাঠাই। ঘরে ফেরা পর্যন্ত আতঙ্ক থাকি। বিকাল বেলায় স্কুল থেকে বাড়ি আসা পর্যন্ত একটু দেরি হলে রেলওয়ে ব্রিজের নিকট গিয়ে অপেক্ষা করি। এছাড়া আলী আহমেদ নামে একজন অভিভাবক বলেন, এলাকার অনেকে যাতায়াতের সুবিধা না থাকায় অনেক ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেয় অভিভাবকরা। যাদের অবস্থা ভালো তাদের সন্তানদের লাকসাম ও কুমিল্লা বাসা ভাড়া নিয়ে পড়ালেখায় করায়।

কার্জন খালের উভয় অংশে ৮টি গ্রাম। পরানপুর, নোয়াপাড়া, চিতোষী, কাগৈয়া, শ্রীয়াং, খালপাড়া, চিতোষী স্টেশনসহ ওইসব গ্রামবাসী গত ৩০ বছর পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে জনপ্রতিনিধিদের নিকট আবেদন করলেও এখনও ব্রীজ নির্মাণ করা হয়নি। ব্রিজ নির্মাণ করা হলে পাল্টে যাবে দৃশ্যপট। স্থানীয় মেম্বার ফয়জুল আলম মিয়াজী বলেন, এলাকার মানুষ, বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীরা অনেক কষ্টে যাতায়াত করে। বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া কোন ব্যবস্থা নেই। চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ সওদাগর বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এলাকার লোকজনসহ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কষ্ট করে রেললাইনের ওপর চলাচল করে।
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ আগস্ট ১৯,২০১৮