Search

Sunday, August 26, 2018

বিতরণকারীর ভাইয়ের বাড়িতে মিলল ১০ বস্তা ভিজিএফের চাল


নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

 রাজশাহীর বাঘায় গতকাল শনিবার রাতে ভিজিএফের ১০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতি বস্তায় চাল রয়েছে ৫০ কেজি করে। উপজেলার সরেরহাট গ্রামের লালনের বাড়ি থেকে ওই চাল উদ্ধার করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে আগেই পালান লালন।
এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন বাঘা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরুল কায়েস।

অভিযুক্ত লালন গড়গড়ি ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরব আলীর মাস্টারের সহোদর। আরব আলীর মাস্টার ভিজিএফ চাল বিতরণ কমিটির সদস্য। তিনি বলেছেন, অপরাধী ভাই হলেও তাঁর শাস্তি হোক।

 গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার ১৯ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছেন। কার্ড ছিল ৯৯০টি। প্রতি কার্ডের বিপরীতে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। চাল বিতরণ কমিটিতে ছিলেন ইউপির সদস্য, সাংসদের মনোনীত প্রতিনিধিসহ নয়জন। এর মধ্যে একজন ছিলেন আরব আলী মাস্টার। তিনি বলেন, তাঁরা সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণ করেছেন। পরে সেই চাল কোথায় গেছে, তিনি বলতে পারবেন না।

 এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদের মনোনীত প্রতিনিধি আরব আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ৩৮টি কার্ড পেয়েছিলেন। তিনি এলাকার ৩৮জন দুস্থ মানুষের মধ্যে সেগুলো বিতরণ করেছেন। যাঁদের দিয়েছেন, তাঁদের স্বাক্ষরও নিয়েছেন। চাল বিতরণের পরে তিনি এক আত্মীয়ের বিয়ের বাড়িতে ছিলেন। এমন সময় ফোনে লোকজন তাঁকে জানান, তাঁর ছোট ভাই লালনের বাড়ি থেকে ভিজিএফের ১০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ছোট ভাই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। তিনি অন্য লোকের কাছ থেকে তিনি শুনেছেন, কার্ডধারী লোকজনের কাছ থেকে তাঁর ছোট ভাই ওই চাল কিনেছেন।

 আরব আলী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এর আগেপিছে নেই। অপরাধ করলে শাস্তি হওয়া উচিত। সেটা আমার ভাই হলেও আমার আপত্তি নেই।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন রেজা জানান, ভিজিএফের ১০ বস্তা চাল উদ্ধারের ঘটনা সঠিক। এ ব্যাপারে আজ রোববার থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হবে।

 

Courtesy: Prthom Alo Aug 19, 2018

Govt unpreparedness reflected in Eid-time travel


EID-TIME travel has remained risky and hectic for years, this year being no exception. Travellers were stuck in congestion at ferry terminals as authorities have not made adequate arrangement considering the Eid-time rush of vehicles. Vehicles tailed back long on both sides of the Paturia–Daulatdia and Shmulia–Kathalbari river routes. Many trains left Kamalapur in the capital much later than the schedule. On Saturday, Ekata Express, bound for Dinajpur, ran two and half hours late. On Friday, according to reports, it took up to seven hours to cross the two-hour journey between Dhaka and Comilla as a 20km tailback stretched from the Gumti bridge toll plaza at Daudkandi to Elliotganj on the Dhaka–Chittagong Highway since the morning. A 25km traffic congestion ensued on both the lanes of the highway near Gazipur, causing immense sufferings to passengers, transport workers and cattle. When asked about the insufferable traffic at inland river and road routes in different parts, authorities have blamed the pressure of passenger and cattle-laden vehicles. An increased number of vehicles on the road are expected before Eid; yet, the authorities seem shockingly unprepared.

 The disarray and corruption in the transport sector has turned the festival a matter of anxiety than joy and festivity. According to Passengers’ Welfare Association of Bangladesh, at least 339 people were killed and 1,265 injured in 277 road accidents at the time of Eid-ul-Fitr. The launch capsize during Eid is also not uncommon. At least 14 people, including seven women and a child, died when a launch sank in the River Sandhya in Barisal before Eid-ul-Adha in 2016. At the time of Eid-ul-Fitr, a similar disruption in ferry services was reported. We have written in this column how pressure of passengers and vehicles resulted into a queue of 10km lines of vehicles form Paturia Ghat to Tepra. The law enforcement agencies said that they have installed closed-circuit television cameras, deployed more police and Ansar personnel from Barabaria to Paturia on the Dhaka–Aricha road to manage traffic. While it is important to have increased security on the road before Eid, the problem at hand is not a security concern. The Bangladesh Inland Water Transport Corporation chairman said that they would increase the number ferries at Paturia. Clearly, the assessment of traffic situation before Eid proved flawed as passenger vehicles had to wait for hours to board a ferry.

Suffering on the road before Eid has become an annual event. It is unfortunate that the government has repeatedly failed to guarantee safe and smooth journey for Eid-time travellers. The government, under the circumstances, must give equal attention to all modes of transport to ensure that travellers are not dependent on the road only. It must also arrange adequate ferries for all terminals as the shortage of ferries remained a concern during Eid.

 

Courtesy: New Nation Editorial Aug 20, 2018

10 Nobel laureates demand release of Shahidul, others


Staff Correspondent
Ten Nobel laureates and 13 other eminent international figures in a statement have urged immediate and unconditional release of acclaimed photographer Shahidul Alam and others arrested over the recent student protests demanding road safety in Dhaka.

 The signatories of the statement including Desmond Tutu and Tawakkol Karman also demanded that the ‘unlawful’ arrest of Shahidul, also an activist, be probed and that the government ensure rights of all citizens.

We the undersigned raise our joint voice against arbitrary police remand under the draconian ICT Act against Dr Shahidul Alam,’ reads the statement made available in social media on Sunday.

We urge that the Government to investigate allegations of unlawful arrest immediately and unconditionally release Dr Shahidul Alam.’

 They also urged that the government immediately release all students who were arrested after the protest and take every step to ensure human rights of all citizens, including freedom of speech, freedom of media and freedom of association for all.
The statement says that school going students took to the streets in Bangladesh in a ‘spontaneous protest’ after two of their fellows were killed by a reckless bus two weeks ago.

They demanded their right to road safety, rule of law and justice,’ reads the statement.

The signatories say that they came to know from reports published in global print and electronic media that the young protesters as well as journalists and photographers covering the protests were attacked by the ruling party’s student and youth wings in police presence.

When university students came out in solidarity with school students, the statement says, they were arrested and subjected to police remand as well and are now facing prison sentences after being accused in various cases.

Law enforcement personnel ‘abducted’ Shahidul Alam from his home on August 5 for they did not have a warrant to arrest him, the signatories say.

Later, when the law enforcers produced Shahidul before court, the statement says, he had complained about being beaten after being abducted and having been denied the right to seek legal protection.

His alleged crime was taking photographs of the brutal attacks on peacefully protesting students and exercising his freedom of opinion in an interview to an international television channel,’ the statement says.

The Nobel laureate signatories are Archbishop Desmond Tutu, Tawakkol Karman, Malread Maguire, Betty Williams, Oscar Arias, Sir Richard J Roberts, Jose Ramos Horta, Jody Williams, Shirin Ebadi, and Muhammad Yunus.

The other signatories are Gro Harlem Brundtland, Sir Richard Branson, Richard Curtis, Mo Ibrahim, David Jones, Jerome Jame, Kerry Kennedy, Alaa Murabit, Marina Mahathir, Ella Robertson, Kate Robertson, Sharon Stone, and Jimmy Wales.

They have expressed concern that while innocent students are being tortured in police remand and harassed and intimidated, the perpetrators of violence on the peaceful protesters enjoy impunity.
With the statement, international pressure on the government for releasing Shahidul keeps mounting.

Dozens of internationally acclaimed intellectuals, professionals and activists, including Noam Chomsky and Arundhati Roy already issued statements, carried by international publications like The Guardian, demanding immediate release of Shahidul.

 

Courtesy: New Nation Aug 20, 2018

 

জুলুম এখন নতুন রেওয়াজ


কামাল আহমেদ
 
জুলুম বা নির্যাতন এখন নতুন রেওয়াজ বা ফ্যাশন। এগুলো আমার কথা নয় এবং
কোনো দেশকে নির্দিষ্টভাবে লক্ষ্য করেও এই বক্তব্য দেওয়া হয়নি, যদিও অনেকেই অনেক দেশের সঙ্গে এর আংশিক বা পুরোপুরি মিল খুঁজে পেতে পারেন। চার বছর ধরে মানবাধিকার রক্ষার লড়াই চালিয়ে অনেকটা হতাশার সঙ্গে বিদায় নেওয়া সময়ে এসব কথা বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার যেইদ রাদ আল হুসেইন। তিনি বলছেন, বিশ্বে নির্যাতন বা জুলুম আবার ফিরে আসছে। মানুষের অধিকার রক্ষাই হচ্ছে এখনকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ (সূত্র ইউএননিউজ, ১৫ আগস্ট, ২০১৮)।
জর্ডানের রাজবংশের সন্তান এই কূটনীতিক জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের
প্রধান পদে আরও এক মেয়াদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ থাকলেও তিনি সেই সুযোগ
নিতে আগ্রহী হননি। গত ডিসেম্বরে তিনি তাঁর সহকর্মীদের কাছে পাঠানো এক
ই-মেইলে ওই সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। ই-মেইলে তিনি তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত
উপলব্ধির যেসব কথা জানিয়েছিলেন, ফরেন পলিসি সাময়িকী সেটির বক্তব্য প্রকাশ
করে দেয় (ফরেন পলিসি, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭)। তখনই তিনি বলেছিলেন,
মানবাধিকারের সুরক্ষা বা তার পক্ষে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে এখনকার পরিবেশটা
আতঙ্কজনক। ওই পরিবেশকে তিনি দায়িত্ব নবায়নের চেষ্টা না করার কারণ হিসেবে
তুলে ধরে লিখেছিলেন যে এ জন্য হয়তো তাঁকে অনেকের কাছে হাঁটু গেড়ে নত হতে
হবে। সাময়িকীটি জানিয়েছিল, এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমালোচনার ভাষা
নরম করার জন্য তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
 
যেইদের এই বক্তব্যে বিশ্বজুড়েই মানবাধিকারকর্মীদের কপালের ভাঁজ আরও গাঢ়
হয়েছে। একজন মুসলমান, আরব এবং এশীয় হিসেবে তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জটা অনেক
বেশি এবং কঠিন হলেও জাতিসংঘ সংস্থার মানবাধিকার কার্যক্রমের প্রধান
হিসেবে তাঁর এই বক্তব্য সবার জন্যই অশনিসংকেত। ২০১৪ সালে তিনি যখন এই পদে
আসীন হন, তখন বিশ্বজুড়ে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের উত্থান মোকাবিলায়
সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ তুঙ্গে। সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে মানবাধিকারের
আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিগুলো মেনে চলার জন্য সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী ও
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কাজটির বিপরীতে এখনকার বিভাজন ও
বিদ্বেষের রাজনীতিতে নির্বাচিত রাজনীতিকদের স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতার বিপদ
যে কতটা গুরুতর হয়ে উঠছে, সে কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যেইদ। এসব
নির্বাচিত জননেতাদের অনেকেই ভর করেছেন উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং বর্ণবাদী নীতি
ও আদর্শের ওপর। অনেকেই অর্ধসত্য ও অসত্যকে ভর করে ‘বিকল্প সত্যে’র এক
কাল্পনিক জগৎ গড়ে তুলছেন।
 যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুসলিমবিরোধী অভিবাসন নীতি,অভিবাসীদের আটক করা ও বিতাড়ন এবং পরিবার থেকে ছেলেমেয়েদের বিচ্ছিন্ন করার
বহুল নিন্দিত নির্দেশনা কিংবা গণমাধ্যমকে জনগণের শত্রু অভিহিত করার ঘটনা;
ফিলিপাইনে দুতার্তের মাদকবিরোধী অভিযানে সন্দেহভাজনদের দেখামাত্র গুলি
করে হত্যার নির্দেশ; ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের নির্বিচার বোমা
হামলা এবং অবরোধ আরোপ; ফিলিস্তিনি অধিকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাদের
নিষ্ঠুরতা ও গাজার অবরোধ; নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলায় সরকারবিরোধীদের দমন;
কম্বোডিয়ায় বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান; ভারতে
হিন্দুত্ববাদী উগ্র গোষ্ঠীগুলোর গোরক্ষা আন্দোলনের নামে সংখ্যালঘু
মুসলমান হত্যা; তুরস্কে ভিন্নমত ও গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ কিংবা চীন ও
উত্তর কোরিয়ায় ভিন্নমতাবলম্বীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা—এসব কিছুর বিরুদ্ধেই
যেইদ এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠানটি সোচ্চার ছিল। মিয়ানমারে
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর পরিচালিত সামরিক অভিযানকে তিনিই প্রথম
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার সমতুল্য বলে অভিহিত করেছিলেন। বাংলাদেশের
মাদকবিরোধী অভিযানে বিনা বিচারে হত্যা এবং গুম এর প্রসঙ্গও একাধিকবার
তাঁর কথায় উঠে এসেছে।
 মানবাধিকারের সুরক্ষার ক্ষেত্রে যেসব বিপদ এখন প্রকট হয়ে উঠছে, বিদায়কালে
তিনি সেগুলোর কথাই আরও জোরালো এবং স্পষ্ট করে বলেছেন। ২০ আগস্ট জেনেভায়
সাংবাদিকদের যেইদ বলেছেন, বিশ্ব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শিক্ষা ভুলে গেছে
বলেই মনে হচ্ছে। উগ্র জাতীয়তাবাদের উত্থানে তিনি এই বিপদ দেখছেন। তিনি
ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারা এবং
সিরিয়া প্রশ্নে সমঝোতা না হওয়ার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ
স্থায়ী সদস্যের হাতে অত্যধিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকার কথা বলেছেন।
ক্ষমতার এই ভারসাম্যহীনতার অবসান না হলে বিশ্বব্যবস্থাই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা
দেখা দিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
 যেইদ আরও একটি মোক্ষম যুক্তির কথা বলেছেন ইউএননিউজকে। তাঁর কথায়,
সরকারগুলো নিজেদের রক্ষার জন্য যথেষ্টভাবে সক্ষম, তাদের সুরক্ষা দেওয়া
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কাজ নয়। তাঁদের দায়িত্ব নাগরিক সমাজ, ঝুঁকিতে
থাকা বা বিপন্ন জনগোষ্ঠী, প্রান্তিক এবং নিপীড়িত মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া।
বিশ্বজুড়েই মাঠপর্যায়ের মানবাধিকারকর্মীরা নিশ্চিতভাবেই তাঁর এই উপলব্ধির
সঙ্গে একমত হবেন যে মানবাধিকার রক্ষার কাজে আসল চাপটা অনুভূত হয় নিপীড়নের
শিকার মানুষগুলোর তরফে এবং সেটা এখন আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে; কেননা
বিশ্বে নির্যাতন বা জুলুম আবার ফিরে আসছে।
 কামাল আহমেদ: সাংবাদিক।
 
  Courtesy: Prothom Alo Aug 25, 2018
 
 

নাব্যতা সংকটে থেমে থেমে চলছে ফেরি, যানজট


অজয় কুন্ডু, মাদারীপুর

 
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের ছুটি শেষ করে জীবনের তাগিদে ঢাকায় ফিরতে শুরু

করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের কর্মজীবী মানুষ। এ কারণে যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু

করেছে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে। এই নৌপথে আবার দেখা দিয়েছে

নাব্যতা সংকট।থেমে থেমে চলছে কয়েকটি ফেরি। ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ঘাটে
যানবাহনেরদীর্ঘ সারি। ফেরিতে উঠতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকেরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের

সহকারী মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ভালো
নেই। চ্যানেলে আবার নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে

থেকে চ্যানেলে এই সমস্যা দেখা দিলেও আজ শনিবার ভোর থেকে তা ক্রমেই ভয়াবহ
আকার ধারণ করছে।’

 
শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘আমরা কোনো ফেরিই ঠিকমতো চালাতে পারছি না।

বর্তমানে সাত-আটটি কে-টাইপের, মাঝারি ও ডাম্প ফেরি থেমে থেমে চলাচল করছে।

তবে ফেরিগুলোকে চ্যানেল ঘুরতে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’

 
খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘নৌপথ স্বাভাবিক করতে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের
কর্মীরা কাজ করছেন। তবে ঘাটে কয়েক শ যানবাহনের চাপ রয়েছে। ড্রেজিংয়ের কাজ

শেষ হলে যদি ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে, তবে আমরা সাত থেকে আট ঘণ্টার
মধ্যে সব যানবাহন ফেরিতে তুলতে পারব।’

 

বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্র জানায়, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথের
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে ২০ দিন ধরে নাব্যতা সংকট নিরসনে কাজ

করে বিআইডব্লিউটিএ। ঈদের দুই দিন আগে পদ্মার টার্নিং পয়েন্টের চ্যানেলে

নাব্যতা সংকট নিরসন করা হলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে গতকাল বিকেল

থেকে পুনরায় নাব্যতা সংকট দেখা দিলে সংকট নিরসনে নদীতে ড্রেজার মেশিন

দিয়ে বালু অপসারণের কাজ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগ। এই নৌপথে

২১টি ফেরির মধ্যে ৪টি বড় আকৃতির রো রো ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাকি

কে-টাইপ, ডাম্প, ভিআইপি ১৭টি ফেরি মধ্যে সাত থেকে আটটি ফেরি থেমে থেমে

চলাচল করছে।

 
বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে

বলেন, ‘আমরা চ্যানেলের ৩০০ মিটার জায়গা নিয়ে ড্রিজিংয়ের কাজ শুরু করব।

চ্যানেলের মুখে এর মধ্যে তিনটি শক্তিশালী খননযন্ত্র বসানো হয়েছে। আশা

করছি, শনিবার রাতের মধ্যেই আমরা ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ করে নৌপথ সচল করতে

পারব।’

 
আজ দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, কাঁঠালবাড়ি ঘাটে চারটি সংযোগ

সড়কেই রয়েছে ছোট-বড় যানবাহনের দীর্ঘ সারি। যাত্রীবাহী বাসের চাপও রয়েছে।

চারটি ঘাটের মধ্যে এক নম্বর ঘাটে একটি কে-টাইপের ফেরিতে স্বল্প পরিসরে

যানবাহন তোলা হচ্ছে। ঘাটে অগণিত মানুষের ভিড়। ফেরি না পেয়ে অনেকে

স্পিডবোট ও লঞ্চে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে।

 
মুন্সিগঞ্জগামী অনীক পাল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ঘাটে যাত্রীদের ভালো

ভিড়। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে অনেক কষ্ট করেই ফেরিতে উঠেছি। ফেরিতে শিমুলিয়া

যেতে দেড় ঘণ্টার মতো লেগেছে। মাঝে চ্যানেলের মুখে সমস্যা পড়লেও ছোট ফেরি

থাকায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।’

 

ঢাকাগামী যাত্রী মানসুরা তাসলিম বলেন, ‘ঘাটে ফেরি দেখিনি। তাই অপেক্ষা না

করে লঞ্চ উঠে পড়েছি। লঞ্চে যাত্রীদের প্রচুর ভিড়। দাঁড়ানোর জায়গা নেই।
ভাবে চলাচল করলে ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে।’

 

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ফাল্গুনী পরিবহনের চালক

ইলিয়াস আহম্মেদ বলেন, ‘ঘাটে সকাল নয়টায় এসে বসে আছি। কখন ফেরি পাব কে

জানে? দুই ঘণ্টা ধরে ঘাটে বসে থাকায় যাত্রীরাও বিরক্ত হয়ে ওঠে। ঘাটের

লোকজন বলছে চ্যানেলে সমস্যা হইছে। তাই আমাদের পরিবহন একটু পরে ফেরিতে

তুলবে।’

 

বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাম হোসেন বলেন,

চ্যানেলে সমস্যার কারণে আমরা ধারণ ক্ষমতার চেয়েও স্বল্প পরিসরে যানবাহন

 ফেরিতে তুলছি। চ্যানেলে নাব্যতা সংকট থাকায় ঘাটে কয়েক শ যানবাহন আটকা

 পড়েছে। ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চাপ বাড়তে শুরু করেছে লঞ্চ ও স্পিডবোটে।

 পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন, ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের

 পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি করা হচ্ছে।’

 
কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কুশল কুমার সাহা

 বলেন, ঘাটে যানবাহনের চাপ বেশি। পুলিশের একাধিক সদস্য যানজট নিরসনে কাজ

 করছেন। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক না হলে এই চাপ কোনোভাবেই কমবে না।

 

Courtesy: Prothom Alo Aug 25, 2018

Editorial : Drive against illegal structures

It is bewildering to know that only 45,288 or 10.88 per cent out of atotal 416,091 structures constructed in the city area under the
jurisdiction of the Rajuk (Rajdhani Unnayan Kartipakhya)  received due approval of their designs. This happened during the nine years alone between 2008 when the building code was framed and the year 2017. In between the Dhaka Area Plan (DAP) 2010 came into existence and since then 4,790 structures were constructed until the physical feature survey of 2015-16. Of these structures only 0.06 per cent obtained permission and 99.94 per cent did not bother to get any permission.

What then happened before that period is anybody's guess. Although Rajuk officials have tried to explain that many in the union councils and municipalities did not even know about the DAP and most of those local bodies were unaware that those were under the Rajuk's jurisdiction. Now whose duty is it to inform that the DAP must be respected and which areas fall within its limit?

Even then the small portion of approval hardly justifies the authority that the Rajuk exerts. It obliquely refers to the near total lack of any initiative or exercise of power by the Rajuk to enforce the rules and regulations in terms of construction. It is good to know that the authority is no longer issuing certificates for occupancy. In the nine years under survey, 173 structures were issued such certificates. Now the question is immaterial if non-compliance with the DAP requirements or building codes is deliberate or out of ignorance. It will be considered a violation of laws and rules and accordingly the Rajuk is all set to take action. That much of the blame lies with the housing authority is evident from the tacit admission by its spokesperson. He admits that the previous list of permitted structures was faulty. Lack of consistency bedevilled the occupancy versus land use rules.

Now the city development authority has made its intention clear that it will demolish the unauthorised structures in the city areas under its jurisdiction. In fact, it began such a programme from June last. It has served notice on 1,932 house owners and dismantled parts of 13 structures. Past experiences of such drives, however, are not happy enough. Stay orders from courts or opposition by influential people forced the development authority to back out. There are rare instances where buildings constructed without authorisation could be brought down.

 That the Rajuk did not do its homework earlier is, however, no counterargument for the violators of building codes and DAP
regulations. One hopes that the housing projects already implemented or undertaken for implementation in flood-plain areas or zones where there were once water bodies are either dismantled or cancelled. Can the Rajuk take on such realtors? Dhaka's urban mess really calls for a major operation rather than a cosmetic surgery. A symbol of illegal construction is BGME Bhaban which has been granted times twice for dismantling. If this is brought down, others will not have strong opposition to resist similar action against their unauthorized structures.

 

 Courtesy: The Financial Express Editorial Aug 25, 2018