Search

Sunday, August 26, 2018

গৌরীপুরে বগি লাইনচ্যুত, ময়মনসিংহ-ভৈরব রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ


ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ময়মনসিংহ–ভৈরব রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আজ রোববার সকাল আটটায় গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর এলাকায় বগি লাইনচ্যুত হয়।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান করাতি প্রথম আলোকে ট্রেনের বগিচ্যুত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন।

আবদুল মান্নান করাতি বলেন, আজ সকাল সাতটার দিকে ময়মনসিংহ থেকে মালবাহী একটি ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সকাল আটটার দিকে বোকাইনগরে গিয়ে একটি বগির চার চাকা লাইনচ্যুত হয়। খবর পেয়ে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেয়।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি জানান, বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ময়মনসিংহ থেকে ভৈরবমুখী যাত্রীবাহী ট্রেনের শিডিউল হেরফের হতে পারে। তবে তা যাতে না হয়, সেই চেষ্টা চলছে।

 Courtesy: Prothom Alo /Aug 26, 2018

বিশ্বব্যাপী ভয়েস কলের মূল্য কমলেও বাংলাদেশে বেড়েছে

সুমন আফসার

ডাটাভিত্তিক সেবা চালুর পর ভয়েস কলের মূল্য কমে যায়। টেলিযোগাযোগ সেবায় এটাই আন্তর্জাতিক চর্চা। বাংলাদেশেও থ্রিজি, ফোরজি সেবা চালুর পর ভয়েস কলের ট্যারিফ কমবে বলে ধারণা ছিল সবার। কিন্তু তা না কমে উল্টো বাড়ানো হয়েছে। ভয়েস কলে এতদিন সর্বনিম্ন ট্যারিফ ২৫ পয়সা থাকলেও এখন তা বাড়িয়ে ৪৫ পয়সা পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এতে ভয়েস কলে গ্রাহককে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে, যাকে ডিজিটাল বাংলাদেশ নীতির পরিপন্থী হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিবেশী ভারতেও থ্রিজি, ফোরজি সেবা চালুর পর ভয়েস কলের মূল্য একেবারে কমে গেছে। কোনো কোনো অপারেটর বিনামূল্যে ভয়েস কলের সুবিধাও দিচ্ছে। এটা শুরু হয়েছে মূলত রিলায়েন্স জিওর হাত ধরে। ২০১৬ সালে কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই গ্রাহক টানতে বিনামূল্যের ভয়েস কল ও ডাটা সুবিধা দেয়া শুরু করে অপারেটরটি। জিওর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অন্য অপারেটররা গ্রাহকদের বিনামূল্যের ভয়েস কলের সুযোগ দিচ্ছে। ভারতের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাও একে টেলিকম আইনবহির্ভূত ও পরিপন্থী নয় বলে মনে করছে। গত বছর সে দেশের কয়েকটি সেলফোন অপারেটর ভয়েস কল সেবায় সর্বনিম্ন কলরেট বেঁধে দেয়ার আবেদন করলেও তা নাকচ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ভয়েস থেকে ডাটায় রূপান্তরের প্রক্রিয়া গতি পেয়েছে দেশে থ্রিজি আসার পর থেকেই। এটি আরো গতি পেতে শুরু করেছে চলতি বছর ফোরজি প্রযুক্তি চালু হওয়ায়। প্রচলিত ভয়েস কলের পরিবর্তে অ্যাপভিত্তিক বিভিন্ন সেবার মাধ্যমেই কথা বলার প্রয়োজন সারছে গ্রাহক। তার পরও ভয়েস কলের ওপর এখনো নির্ভরশীলতা রয়েছে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর। সেলফোনের ট্যারিফ সার্কিট পুনর্নির্ধারণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মূলত এসব গ্রাহকই। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ সিদ্ধান্তকে টেলিযোগাযোগ সেবার আন্তর্জাতিক চর্চার বিরুদ্ধ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

টলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাইদ খান এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, ভয়েস কলের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেয়ার এখতিয়ার নেই নিয়ন্ত্রক সংস্থার। প্রতিযোগিতা নিয়মের মধ্যে থেকে হচ্ছে কিনা, সেটা তদারকির জন্য প্রতিযোগিতা কমিশন রয়েছে। কিন্তু বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের হাস্যাস্পদ অবস্থান তৈরি হয়েছে। সর্বোপরি দেশের বিপুলসংখ্যক গ্রাহককে এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে।

সেলফোন অপারেটরদের অননেট (নিজস্ব নেটওয়ার্ক) ও অফনেট (অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক) ভয়েস কলে এতদিন ভিন্ন হারে ট্যারিফ বিদ্যমান ছিল। আগের ট্যারিফসীমা অনুযায়ী অননেট কলে আয় বেশি ছিল গ্রাহক সংখ্যার ভিত্তিতে বড় অপারেটরের। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা হিসেবে ধরে অননেট কল থেকে মাসে গ্রামীণফোনের গড় আয় ২৮০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। একই কল রেট ধরে অননেট থেকে রবির ১১২ কোটি ৩৮ লাখ, বাংলালিংকের ৭১ কোটি ৩৬ লাখ ও টেলিটকের আয় ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা। অন্যদিকে সর্বনিম্ন ৬০ পয়সা ধরে অফনেট কল থেকে গ্রামীণফোনের মাসিক আয় ৭৫ কোটি ৩৫ লাখ, রবির ১০৩ কোটি ৯৯ লাখ, বাংলালিংকের ৭৮ কোটি ৪০ লাখ ও টেলিটকের আয় ২০ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করেই কল ট্যারিফের সীমা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, মূলত এক রেট হওয়ার ফলে গ্রাহকের ক্ষতি হওয়ার কোনো দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়নি। ব্যক্তিগতভাবে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। কেবল একটি অপারেটর ব্যবহার করলে এফএনএফ বা অননেটের সুবিধা না থাকায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে পুরো খাতের চিত্র বিবেচনায় নিলে এতে সুবিধাই হবে। ভবিষ্যতে এমএনপি চালু হলে এ সুবিধা আরো বাড়বে।

বিশ্বের কোথাও অননেট-অফনেটে আলাদা কল রেট নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের বাস্তবতা হলো একটি অপারেটর বাজারের সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে। অফনেট-অননেট রাখলে সুবিধা পাবে এ ধরনের বড় অপারেটর। এতে প্রতিযোগিতার অবস্থা কখনই তৈরি হবে না। আমরা এমন ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করতে পারি না, যেখানে প্রতিযোগিতা থাকবে না। ন্যূনতম কলরেট বেঁধে দেয়া না হলে সেটির অপব্যবহার হয়।

টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১ অনুযায়ী প্রদেয় সেবা প্রদানের আগেই সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে সেবাটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ চার্জের হার কমিশনের অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে হবে। এটি অনুমোদনের আগে সেবা প্রদান বা তার জন্য কোনো চার্জ আদায় করতে পারবে না অপারেটর। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য আইনে ট্যারিফ সীমা নির্ধারণ করার বিষয়ে কোনো বিধান রাখা হয়নি। তবে জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালা, ১৯৯৮-এ সুলভে সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের স্বার্থ সংরক্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা চাইলে ট্যারিফের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করতে পারবে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে ট্যারিফের সীমা বেঁধে দিতে পারে বিটিআরসি। আইন অনুযায়ী বিটিআরসি প্রস্তাব দিলে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের ভিত্তিতে তা কার্যকর করা হয়। ট্যারিফ নির্ধারণে কমিটি করা হয়েছিল। তারা সব ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন দিয়েছে। এর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কল ট্যারিফ সীমা পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে বিটিআরসি।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, নতুন ট্যারিফ সার্কিটের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ হয়েছে। মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা চালুর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এর প্রয়োজন ছিল। এতে ছোট-বড় সব অপারেটর সমান সুবিধা পাবে। এখন সেবার মান দিয়ে বিদ্যমান গ্রাহক ধরে রাখা কিংবা নতুন গ্রাহক আকৃষ্ট করতে হবে তাদের। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মানসম্পন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে ট্যারিফসীমা নির্দিষ্ট না করেও আরো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে সেবা প্রদানের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সিং নীতিমালাতেই উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া তুলনামূলক দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে সিগনিফিক্যান্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) বিষয়ে বিধিমালা জারির সুযোগ রয়েছে। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও বাজারে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আধিপত্য কমিয়ে আনতে এ ধরনের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এসএমপিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ ট্যারিফ ও করহার আরোপ করা হয়। ২০০৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) একজন বিশেষজ্ঞকে এসএমপি বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়। এটিকে অন্তর্ভুক্ত করে ২০১১ সালে প্রতিযোগিতা প্রবিধানমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হলেও তা চূড়ান্ত হয়নি। সম্প্রতি এসএমপি রেগুলেশন, ২০১৮ তৈরিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

রবি আজিয়াটার হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম বলেন, পরিবর্তিত সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মূল্যের ফলে সেবামূল্যের স্বচ্ছতা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকরা আরো মানসম্মত, উদ্ভাবনী ও সাশ্রয়ী মূল্যের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। আমাদের পর্যালোচনা অনুযায়ী, এটি বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করবে ও গ্রাহকের ব্যয় ৩-৫ শতাংশ কমে আসবে।

একক মূল্য ব্যবস্থা দেশের টেলিযোগাযোগ বাজারে ভারসাম্য নিয়ে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন থেকে গ্রাহক কোন অপারেটরে কল করছে, এ নিয়ে আর ভাবতে হবে না, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যেকোনো অপারেটরে একই মূল্যে কথা বলতে পারবে। এতে দেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পে বহু প্যাকেজের যুগ শেষ হলো, যা নিয়ে গ্রাহকদের বিভ্রান্তিতে পড়তে হতো। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে; প্রত্যেক অপারেটরই একক রেটের অফার চালু করছে। নতুন মূল্য কাঠামোর ফলে বাজারে সুষম প্রতিযোগিতাও নিশ্চিত হবে, যা আগের মূল্য কাঠামোয় সম্ভব ছিল না। সুষম প্রতিযোগিতা নিশ্চিত হওয়ায় গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদান করে গ্রাহকের আরো আস্থা অর্জন করতে পারব বলে আমাদের প্রত্যাশা।

গ্রাহক সংখ্যা ও আয়ের ভিত্তিতে সেলফোন সেবা খাতের নিয়ন্ত্রণ মূলত তিন অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির নিয়ন্ত্রণে। কমিশনের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে দেশে সেলফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়েছে। গ্রাহক সংখ্যার ভিত্তিতে গ্রামীণফোনের মার্কেট শেয়ার ৪৫ দশমিক ৮২ শতাংশ, রবির ২৯ দশমিক ৬৩, বাংলালিংকের ২২ দশমিক শূন্য ৫ ও টেলিটকের ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এয়ারটেলের সঙ্গে একীভূতকরণের পর গ্রাহক সংখ্যা ও মার্কেট শেয়ার বেড়েছে রবির। আয়ের ভিত্তিতে গ্রামীণফোনের মার্কেট শেয়ার ৫১ দশমিক ৩৩, রবির ২৫ দশমিক ৪৭, বাংলালিংকের ২০ দশমিক ২২ ও টেলিটকের ২ দশমিক ৯৮।

বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, যেকোনো নেটওয়ার্কে অভিন্ন রেটে কলের সরকারি সিদ্ধান্ত সামগ্রিকভাবে টেলিকম ভয়েস কল সেবার মূল্য নির্ধারণের জটিলতাকে কমানোর পাশাপাশি গ্রাহকদের অধিক স্বাধীনতা উপভোগের সুযোগ করে দিয়েছে। এখন একজন গ্রাহক বাংলাদেশের ১৫ কোটিরও অধিক নম্বরে অভিন্ন রেটে কল করতে পারছে, যা আগে সম্ভব ছিল না। এ সিদ্ধান্তের সুবিধা এমএনপি সেবা চালু হওয়ার পর সম্পূর্ণভাবে উপলব্ধি করা যাবে। একটি গ্রাহকবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলালিংক সবসময়ই গ্রাহকদের বাড়তি সেবা দিয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

অপারেটরদের কলপ্রতি ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদাহরণ বিবেচনায় নিয়ে ২০১৫ সালে অফনেট কল রেট কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় বিটিআরসি। ওই সময় তাতে অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রণালয়। গত বছরের আগস্টে আবারো সেলফোন অপারেটরদের কল ট্যারিফসীমা পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব করে বিটিআরসি। এটি সংশোধন করে বর্তমান হারে প্রস্তাব করলে মন্ত্রণালয় তাতে অনুমোদন দেয়।

এর আগে ২০১০ সালের মার্চে ‘কস্ট মডেলিং, ইন্টারকানেকশন ফ্রেমওয়ার্ক অ্যান্ড ট্যারিফ পলিসি’ শীর্ষক প্রকল্প চালু করে বিটিআরসি। এতে সহায়তা দিচ্ছে আইটিইউ। প্রকল্পটির আওতায়ই সেলফোন অপারেটরদের কল ট্যারিফসীমা ২৫ পয়সা থেকে ২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশন্স সৈয়দ তালাত কামাল বলেন, কল ট্রাফিক সম্পর্কে মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি। আগামী কয়েক সপ্তাহের ডাটা বিশ্লেষণ করার পর এ সম্পর্কে মন্তব্য করা সম্ভব হতে পারে।
  • Courtesy: BanikBarta /Aug 26, 2018

সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে, আপনারা তৈরি থাকুন। জনগণের অধিকার আদায়ে জাতীয় ঐক্য হচ্ছে। ওই ঐক্যপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তির ডাক আসবে। জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকালে ও গতকাল কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জনগণের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি উপজেলার চৌধুরী বাজার, নবীনগর, করইতলা বাঁশতলা, চরলরেন্স, হাজিরহাট, করুনানগর, ফজুমিয়ারহাট, ইসলামগঞ্জবাজার ও ফাজিল ব্যাপরিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রব বলেন, দেশে এখন আইনের শাসন নেই। ঘরে থাকলে খুন; বাহিরে থাকলে গুম। ঘুষ-দুর্নীতি ছাড়া এ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ নেই। এমন কোনো অফিস নেই যেখানে ঘুষ-দুর্নীতি হয় না। আমার ষাট বছরের রাজনৈতিক জীবনে ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের এক পয়সাও চুরি করেছি এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না। আমার জন্ম হয়েছে এ দেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলার জন্য। আমি কোনো গরিব মানুষের সঙ্গে বেইমানি করিনি।

বাকি যে কয়দিন বেঁচে থাকবো আপনাদের সঙ্গে বেইমানি করবো না। বর্তমান সরকার লুটেরা সরকার, পুলিশি সরকার। যারা জনগণকে ভয় পায় তারা পুলিশ দিয়ে দেশ চালায়। এ সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেটার প্রমাণ ছাত্ররা দেখিয়ে দিয়েছে। আমাদের এবারের সংগ্রাম জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের সংগ্রাম। স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম। 

উপজেলা জেএসডি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোরশেদ আলম মেম্বারের সভাপতিত্বে ঈদ শুভেচ্ছা ও গণসংযোগে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেএসডি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মিসেস তানিয়া রব, লক্ষ্মীপুর জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন বেলাল, কমলনগর উপজেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন নিরব, রামগতি উপজেলার যুগ্ম আহ্বায়ক লোকমান হোসেন বাবলু, জেএসডি কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন রোমান, যুব পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মুনিরুল ইসলাম মিঠু, আবদুল বাতেন বিপ্লব, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক তৌফিকুজ্জামান পিরাচা, কমলনগর উপজেলা জেএসডির সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম বাবুল মুন্সি, যুব পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান বেলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক শিব্বির মাহমুদ দেওয়ান, এম এ এহসান রিয়াজ, আবদুল বাতেন খোকন, ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোসলেহ উদ্দিন বিজয়, রামগতি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্যাহ আল নোমান ও সাধারণ সম্পাদক আসিফুল ইসলাম রিয়াজ প্রমুখ।

  • Courtesy: Manabzamin/ Aug 26, 2018

‘চামড়া সিন্ডিকেটে রাজনৈতিক কর্মী, ক্লাব’

চামড়ার দাম নিয়ে ট্যানারি মালিকরা কোনো সিন্ডিকেট করেননি দাবি করে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ বলেছেন, কোরবানির পশুর চামড়ার দাম গত বছরের তুলনায় কম হওয়ার জন্য দায়ী স্থানীয় সিন্ডিকেট। এছাড়া স্থানীয় পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে যোগসাজশ করে চামড়ার দাম কমিয়েছে। 

গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিটিএ’র অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিটিএ’র সভাপতি শাহিন আহমেদ। এ সময় সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মাজাকাত হারুন, সহ-সভাপতি ইলিয়াসুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ ও কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। শাহিন আহমেদ বলেন, পাড়া-মহল্লাভিত্তিক সিন্ডিকেট হয়। এখানে দেখা যায়, রাজনৈতিক কর্মীবাহিনী, সামাজিক ক্লাবভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন এলাকাভিত্তিক চামড়ার দাম তারা নিয়ন্ত্রণ করে।

তারা যদি ২০০-৩০০ টাকা করে চামড়া ক্রয় করে, ট্যানারি মালিকদের এখানে কী করার আছে?খুচরা ব্যবসায়ী এবং চামড়ার আড়তদারদের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, এখনো যারা চামড়া বিক্রি করতে পারেননি, তাদের লোকসানের আশঙ্কা নেই। আপনারা কাঁচা চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করেন। ট্যানারির প্রতিনিধিরা তিন থেকে চারদিনের মধ্যে আড়তদারদের কাছে থেকে নির্ধারিত মূল্যে লবণযুক্ত চামড়া নিয়ে আসবে। তবে লবণ দিয়ে ভালোভাবে সংরক্ষণ না করলে সেই চামড়া নেয়া যাবে না।

মৌসুমী ব্যবসায়ীদের বলেন, দুশ্চিন্তা করবেন না। চামড়া সংগ্রহে আমাদের এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। আমরা ৫৫ থেকে ৫৫ লাখ গরুর চামড়া এবং ৩০ থেকে ৩৫ লাখ ছাগলের চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম। এরই মধ্যে আমাদের সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে বলে মনে করছি।

শাহিন বলেন, চামড়া শিল্পে ক্রান্তিকাল চলছে। বেশিরভাগ ট্যানারি উৎপাদনে নেই। গত বছরের ৪০-৪৫ শতাংশ চামড়া এখনো অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। চামড়া শিল্পের এমন দশার নেপথ্যে রয়েছে সরকারি সহায়তা না থাকা আর পুঁজির সংকট। তবুও আমরা সব চামড়া সংগ্রহ করে সংরক্ষণের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিটিএর সভাপতি বলেন, সাভারে পরিকল্পিত ট্যানারি শিল্প গড়ে না ওঠার দায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক)। ভুল তথ্য দিয়ে ট্যানারি মালিকদের সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছিল। এখানে যে বিনিয়োগ করেছিল ট্যানারি মালিকরা, তা মাঠে মারা গেছে। বারবার সময় বাড়িয়েও এ পরিকল্পিত শিল্পনগরীর কাজ শেষ না হওয়ার দায় বিসিকের।

সভাপতি বলেন, চামড়ার দাম ও চাহিদা কমার পেছনে ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তরও একটা বড় কারণ বলে জানান বিটিএর সভাপতি। আমরা পুঁজি সংকটে ভুগছি। আর্থিকভাবে আমরা সরকারি কোনো সাহায্য পাইনি। স্থানান্তরিত ট্যানারিতে আমরা এখনো উপযুক্তভাবে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি। যে কারণে এ শিল্পে এক ধরনের অস্থিরতা রয়েছে। বিসিক এখনও আমাদের উপযুক্ত উৎপাদন ব্যবস্থাপনা দিতে পারেনি। যে কারণে এ শিল্প ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, এর দায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক)। ভুল তথ্য দিয়ে ট্যানারি মালিকদের সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছিল। বারবার সময় বাড়িয়েও এ পরিকল্পিত শিল্পনগরীর কাজ শেষ না হওয়ার দায় বিসিকের।

গত ৩০ বছরে কাঁচা চামড়ায় ধস নেমেছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শাহীন আহমেদ বলেন, আমরা বলব, এটা ঠিক নয়। বরং এ ধরনের খরব চাউর হলে চামড়া পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাচার রোধে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, এক মাস অন্তত সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করা হোক, যাতে কঠোরভাবে চামড়া পাচার রোধ করা যায়।

সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের কারণে গত দুই বছর চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন হয়নি। ফলে রপ্তানিও কমেছে। এ ছাড়া নিজস্ব অর্থে ট্যানারি স্থানান্তরের কারণে পুঁজি সংকটে রয়েছে ট্যানারি মালিকরা। এবার মাত্র ৪২ ট্যানারিকে ঋণ দিয়েছে ব্যাংক। বাকিরা পায়নি। এ অবস্থায় অনেক ট্যানারি মালিক আড়তদারদের পাওনা পরিশোধ করতে পারেনি। অন্যদিকে বিশ্ববাজারে চাহিদা কম। এসব কারণে কাঁচা চামড়ার দাম কমে গেছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে শাহীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে চামড়া রপ্তানির সুযোগ আগে থেকে কমে গেছে। আর গত বছরের চামড়া এখনো রয়ে গেছে। সেজন্য ব্যবসায়ীদের এবার চামড়া কেনার আগ্রহ কম। আর চাহিদা কম থাকায় দামও কম। এছাড়া চীন বাংলাদেশের চামড়ার প্রধান রপ্তানি বাজার। কিন্তু সেখানে চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি মার্কেটেও মন্দা দেখা দিয়েছে।

  • Courtesy: Manabzamin /Aug 26, 2018

সিলেটে যে ভিডিও ভাইরাল


ষাট বছর বয়সী এক মহিলার আর্তনাদের ভিডিও ফেসবুক থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হওয়া এ ভিডিওতে তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। আর ভিডিওটি নিয়ে তোলপাড় চলছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায়। ভিডিওর অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঘটনাকালীন সময়ে উপস্থিত লোকজনকে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি হচ্ছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল জব্বারের স্ত্রী সুরেনা খাতুনের।

ভিডিওতে সুরেনা খাতুন অভিযোগ করেন- কুচাই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার আহমদ আলীর নির্দেশে ১৯শে আগস্ট তিনি তার ছেলে মো. বকুল মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে যান কুচাই ইউনিয়ন পরিষদে। সেখানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা মিলে ঈদ পূর্ববর্তী ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করছিলেন। প্রচুর লোকজনের সমাগমও ছিল ইউনিয়ন পরিষদের চত্বরে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর সুরেনা খাতুন চাল আনতে চেয়ারম্যানের কাছে যান। 

এ সময় চেয়ারম্যান আবুল কালাম তাকে বলেন- ‘তোমার নাম তালিকায় নেই। সুতরাং তোমাকে এখনই চাল দেয়া হবে না। পরে আসো।’ এ সময় সুরেনা বেগম চেয়ারম্যানকে চাল দেয়ার জন্য চাপাচাপি করলে তাকে থাপ্পড় দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। এ দৃশ্য দেখে তার ছেলে এগিয়ে এলে কয়েকজন লোকজন ছেলে বকুল মিয়াকেও মারধর করে। একপর্যায়ে তারা মা ও ছেলেকে মারধর করে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে নিয়ে আসে।

ঘটনার পর বাড়ি ফিরে স্থানীয় লোকজনকে ঘটনাটি জানালে কয়েকজন যুবক ওই মহিলা ও তার স্বামীর বক্তব্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করে দেয়। এরপর ওই দিন থেকে ভিডিওটি ছড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনার বক্তব্য শুনে অনেকেই ফেসবুকে এ ঘটনার বিচার দাবি করেও মন্তব্য করেছেন। এদিকে- ঘটনার দিন রাতে কুচাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালামের বিরুদ্ধে স্থানীয় মোগলাবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুরেনা খাতুন। এজাহারে তিনি দাবি করেছেন- চেয়ারম্যান আবুল কালাম ও তার লোকজন তাকে ও তার ছেলেকে ভিজিএফ’র চাল না দিয়ে মারধর করেছে।

মোগলাবাজার থানার ওসি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ভিডিওটি ভাইরালের খবর তিনিও শুনেছেন। এছাড়া সুরেনা খাতুন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে একজন সাবইন্সপেক্টরকে তিনি তদন্তের দায়িত্বে দিয়েছেন। 

তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। সুরেনা খাতুন পশ্চিমভাগ গ্রামের প্রয়াত চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ইজ্জাদ মিয়ার বাড়িতে প্রায় ১৫ বছর ধরে বসবাস করছেন। তার স্বামী আবদুল জব্বার একজন কৃষক। স্থানীয় ইউপি সদস্য আহমদ আলীর নির্দেশে চাল আনতে ইউনিয়ন অফিসে গিয়েছিলেন বলে জানান সুরেনা খাতুন। ফলে তার নাম তালিকায় আছে কী নেই সেটি তার জানারও কথা নয়। যা বুঝার মেম্বারই বুঝবেন। কিন্তু তাকে ও তার ছেলেকে প্রকাশ্যে মারধর করলেও কেউ ভয়ে এগিয়ে এসে তাদের পাশে দাঁড়াননি।

৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার আহমদ আলী জানিয়েছেন- ওই মহিলা দরিদ্র হওয়ার কারণে তিনি নিজেই তাকে ইউনিয়ন অফিসে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। মেম্বারের দেয়া টোকেন নিয়ে মহিলা গিয়েছিলেনও। কিন্তু তালিকায় নাম না থাকায় তাকে পরে আসার কথা বলা হয়। তবে- তালিকায় নাম থাকলেও অনেক দরিদ্র মানুষকে ইউনিয়ন থেকে চাল দেয়া হয়। এদিকে- কুচাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেছেন- যারা ওই মহিলার মিথ্যা বক্তব্য ভাইরাল করেছে তারাই অপরাধ করেছে। তিনি উল্টো ওই ভাইরালের বিচার দাবি করেন। বলেন- তার প্রতিপক্ষ মহিলাকে তার কলোনির ভেতরে একটি চেয়ারে বসিয়ে যা বলতে বলেছে মহিলা তাই বলেছে। ওটা ষড়যন্ত্রকারীদের শিখিয়ে দেয়া বুলি। এতে তার মান সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তিনি বলেন- যে দিনের কথা বলা হচ্ছে সেই দিন ইউনিয়ন কার্যালয়ে প্রায় ১৪শ’ মানুষ ছিলেন। এছাড়া তার পরিষদের সবাই উপস্থিত ছিলেন। এ ধরনের ঘটনা তো কেউ দেখেননি। সুতরাং মহিলা ও তার স্বামীর বক্তব্য গভীর চক্রান্তের অংশ বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান আবুল কালাম। 

  • Courtesy: Manabzamin /Aug 26, 2018

11 injured as AL activists attack BNP activists during Eid greetings



At least 11 BNP leaders and activists were injured as pro-Awami League activists attacked them at Mehendiganj upazila town in Barisal while the district (north) BNP president Mesbahuddin Farhad, also former lawmaker, went there to exchange Eid greetings on Thursday.

Six of the injured – Bangladesh Nationalist Party district unit Nazrul Islam, Charekria union unit general secretary Kanan Talukder, Jangalia union unit president Mizan Gazi and general secretary Sabuj Mia, Mehendiganj town Juba Dal joint-convener Amjad Poddar and Gobindapur union Juba Dal president Mizan Majhi – were admitted to different hospitals.

Local people and BNP leaders alleged that the local activists of Awami League, Swechchhasebok League and Sramik League led by Mehendiganj upazila AL vice-president Khorshed Alam Bhulu launched the attacks on BNP leaders and activists in Patarhat Madrasah road, Hogla auto-rickshaw stand, and steamer ghat areas in phases between noon and 1:30pm when Mesbahuddin went there to exchange Eid greetings.

Mesbahuddin said that at least 11 BNP leaders and activists were injured in the attacks. Upazila AL vice-president Khorshed Alam Bulu could not be reached for comments.

Mehendiganj police station officer-in-charge Shahin Khan told New Age that they were not informed about any such incident and none lodge any complaint with the police station.


  • Courtesy: New Age /Aug 26, 2018


Poor navigability halts ferry services on Shimulia-Kathalbari route


Ferry services on Shimulia-Kathalbari


Ferry service on Shimulia-Kathalbari route has been suspended for six hours from 10:30 pm Saturday due to poor navigability in the River Padma, affecting people from 21 southern districts and resulting in long tailbacks.

Bangladesh Inland Water Transport Corporation (BIWTC) suspended the services as it became impossible to ply ferries on the route, said its Assistant General Manager Khandaker Shah Khaled Newaz.

The plying of ferries was suspended as water level on the channel went down, he said.

Considering the passengers' suffering, the service will resume around 4:30 am with the plying of few ferries, said the AGM.

He further said that six ferries were stuck in 3 places of this route on Friday.

"Later from Sunday morning, the situation had worsened further. There are currently 18 ferries in the fleet. Off those, only 10 were plying on the route," he added.

More than 700 vehicles remained stuck on both sides of the river, creating long tailbacks and causing immense sufferings to hundreds of passengers who were returning to the capital after passing Eid holidays at their village homes.

Earlier from Saturday, Ro-Ro ferry service was also suspended due to the same reason.

Meanwhile, a huge number of passengers crowded at the launch terminal, witnesses said.

In this route, a total of 87 launches and 4 hundred speedboats carry passengers.


  •  Courtesy: The Daily Star/ Aug 26, 2018

The vulnerability of indigenous girls


Make sure the rapists are not spared

The rape of two minor girls from the Tripura community in Lama upazila, Bandarban where the crimes were committed, is a reminder of how vulnerable young girls, particularly from indigenous communities, are in the region. In July nine-year-old Kirtika Tripura Purna was brutally murdered after rape, her body left in the forest. In January two Marma girls were sexually assaulted, one of them was raped. According to news reports there have been many other cases of violent crimes against girls and women of different indigenous communities.

In the latest incident two members of the Border Guard Bangladesh have been accused with another member allegedly abetting the crime. The allegations have been denied by the BGB. We expect that a thorough, proper investigation will reveal the culprits.

What is baffling though is why reporters and NGO officials were not allowed access to the hospital where the two girls are being treated. According to a report in this daily, rights activists and community organisers, the girls were being confined by the police at the hospital. Apparently this is because members of security forces who have been accused in the case are being investigated. But denying access to the victims only serves to raise questions in the public mind.

Reports of rape from all over the country are published almost every day and in most cases the rapists get away with their crimes because of legal loopholes and because they are connected to the influential and powerful in the community. In the case of indigenous women and girls, the situation is even direr as they are from marginalised communities.

We urge the government to ensure a thorough investigation into this latest case of sexual violence against two minors and that the rapists, no matter which organisation or group they belong to, are meted out exemplary punishment. Only then can we hope that these heinous crimes against women and girls of indigenous communities will stop. 

 

Courtesy: The Daily Star Editorial: Aug 26, 2018

Airport-Gazipur BRT Line: Cost doubles, 20pc progress in 6 years

Tawfique Ali


It's another classic case of delay in project implementation and a whopping rise in the project cost in the process.

The project for an extended 20.5km rapid bus service for mass transport between Gazipur and Shahjalal International Airport was taken up in 2012.

Six years later, only 20 percent of the job has been completed although the current deadline ends in December, according to project documents.  

Of those with a dream of commuting this route with an on-time, reliable modern bus service may have to wait another six years, officials said.

But it will come at a heavy price too. Already, the original estimated project cost has more than doubled to Tk 4,264 crore from Tk 2,040 crore.

“It means an absurd average cost of around $26 million [about Tk 218 crore] for building a kilometre of Rapid Bus Transit (BRT) service while the global standard is highest $6 million,” said Prof Shamsul Hoque, a former technical expert for the proposed BRT system.

Citing the manual of New York-based Institute for Transportation and Development Policy, he said the philosophy of the BRT service was that it would be built at a minimum cost, ideally within two years, on existing roads.    

“In Bangladesh, it seems it's going to take more than a decade,” he said, adding that such slow progress and the extremely high cost were making the scheme look impractical. 

A top project official said poor planning and a lack of experience in building a BRT system were causing the delay.

However, by the time the project ends, the country's economic condition and transport demand will both change. This means the project is unlikely to serve the intended purpose, said Prof Shamsul.

The government initiated the airport-Gazipur BRT scheme in 2012 as an extension of the system recommended by the Strategic Transport Plan. The success of the scheme, occupying two central lanes of a national highway, would depend on the effective implementation of the original BRT system, from the airport to Keraniganj, he said.

But with the original section implementable only in part, the extended section looks irrelevant, he added. 

The BRT system, designed for urban implementation, is not compatible with the purpose, functions, and specifications of a highway, he said.

“It may inflict an irreparable damage to a vital economic gateway of the capital and the national highway with half a dozen flyovers and overpasses,” said Prof Shamsul.

Project Director Sanaul Haque attributed the delay to lengthy bidding and design processes and a time-consuming data collection survey.

The BRT system is the first of its kind in the country. It took four years just to hire the consultant and prepare the detailed design, he said.

“Besides, we are implementing the scheme keeping the highway and its adjoining service roads fully functional,” he said, adding, “Our job is heavily impeded as the highway remains mostly submerged in rainwater for nearly half the year and local factories dump effluent on the road for a lack of drainage facilities.”

The number of elevated structures, areas of stations, earth-moving work, pavement laying, and storm drainage work increased significantly in the detailed design compared to what was in the draft. The number of articulated buses that would ply the route has also been increased to 120 from 50, he said explaining the rise in the project cost.

Officials were planning to place a revised project plan to the Planning Commission soon for approval of the increased cost and a fresh completion deadline of June 2020.

But project insiders said the extended section of BRT line-3 would take even more time to complete.

The extended BRT line-3 is being implemented in four packages with development loan from the Asian Development Bank, French Development Agency and Global Environment Facility. They will commit Tk 1,651 crore while Tk 389 crore will come from tax money. 

the Roads and Highways Department (RHD), Bangladesh Bridge Authority (BBA), and the Local Government Engineering Department (LGED) are jointly implementing the packages of the project titled “Greater Dhaka Sustainable Urban Transport”.

The project includes construction of 25 BRT stations, a depot in Gazipur, two terminals (one in Gazipur and another at the airport end), six overpasses, improvement of 56km link road, 20.5km footpath development, development of 24km storm drainage facility and building 10 kitchen markets.

The BBA is assigned to build 4.5km of elevated roadway for the BRT from Uttara to Cherag Ali market and a 12-lane Tongi Bridge.

Liaquat Ali, project director for this package, said they were doingtest piling, survey, soil test and equipment mobilisation.

The RHD is building 16km of BRT lane and six overpasses while the LGED is building the depot, kitchen markets and improving the link roads. 

This section was meant to provide a fast mass transport service tthe people of Gazipur, Tongi and Uttara so they could commute to Dhaka in modern articulated buses arriving at stations every three to five minutes. 

An interchange at Joydevpur intersection and overpasses at Bhogra, Abdullahpur and airport intersections would greatly ease traffic movement, said Sanaul.

In its previous tenure, the Awami League government made repeated pledges that it would open rapid bus service between the airport and Keraniganj by 2013 and between Gazipur and the airport by 2014.

  • Courtesy: The Daily Star/ Aug 26, 2018

PA fears congestion on cargo movement curbs


  Pankaj Dastider

Chattogram Port is feared to face congestion of cargo and containers during the upcoming Eid-ul-Azha due to restrictions.
The curbs were imposed on the movement of cargo transports before and after the festival to facilitate passenger transports.

If the restrictions are enforced strictly prohibiting flow of cargo
delivery to their destinations, the port will face severe congestion
of cargo, ships and containers during and after the Eid.

 Slow delivery from the port against continued cargo handling
operations will lead to the situation, businesses and port officials
said.

Concerned business circles said the Roads and Highways authority had imposed a restriction on movement of cargo carrying transports from the Port on the Dhaka-Chattogram and other highways three days before and after the Eid day.

The restriction will cause disruption in the delivery of import cargo,shipment of export and obstruction in the loading and unloading of the containerised and bulk cargoes. Port activities need to be continued during those days to ensure production in factories.
Businesses have alleged that the highway authority has relaxed the restriction and allowed the transports carrying readymade garments and perishable goods to ply the roads.

But the law enforcement personnel on duty on the roads are still
opposing movement of trucks and covered vans on the plea of
restrictions.

They said they had requested the Road Transport and Bridges Minister Obaidul Quader and Home Minister Asaduzzaman Khan Kamal to convey grievances of the businesses, especially the problems of export of the RMG and perishable goods following the relaxation came.

 "This problem needs to be addressed in coordination with the official of the Ministry of Home and Road Transport authorities. We urge the home minister to realise the situation and instruct the field level police members to allow movement of ready-made garments (RMG) and perishable goods on the road," said Off-dock Owners' Association  president Nurul Quayyum Khan, when contacted over his cell phone.
He said that the importers and exporters faced a lot of trouble and
financial loss in their business, especially in the shipment of cargo
over the last few weeks due to road blockade by agitating students for road safety and then by transport strike throughout the country.

 "The vested groups also wanted to disrupt the economy by interfering in the reasonable movement of the students following murder of two college students by killer bus driver in Dhaka," he said.

Commenting on the plight of the Port Connecting Road the BICDA
president said they handle 100 per cent export cargo of the port but the exporters are suffering setback because the PC Road, the major thoroughfare of export and import cargo transportation, remains in utterly dilapidated condition for several months.

 The Chittagong City Corporation (CCC) is renovating the road and developing its drainage system.

NQ Khan, also owner of the QNS Container Services in the Chittagong EPZ and a CIP, said the CCC started the work more than six months ago but the contractor's work is so slow that there is no visible progress of work on the road.
He said that he had written to the city Mayor on July 11 requesting
 him to expedite the work because the exports and imports are suffering  a lot for a long time.
The work is going on at a snail's pace and the transport operators,
left with little alternative, are still using one side of the road at
the highest risk of meeting road accidents every now and then, he
concluded.

Concerned sources said huge pressure is mounting on the
Tigerpass-Akbar Shah Zakir Hossain Road via Ambagan and Pahartali Police Beat which is the internal road of Bangladesh Railway (BR) but is being used as alternative to the PC Road.

 CCC renovated the road in 2007 ahead of the T20 World Cup Cricket for smooth arrival and departure of the players to Sagorika Divisional Stadium as an alternative road for the international tournament.
Since then, the CCC has been looking after road and maintaining
regular renovation which is generally used for the smaller modes of transports. But recently this road is being used by the inter-district buses, cargo trucks, covered vans and even lorry.

Not only this road but also the DT Road (Dhaka Trunk Road) between Alangkar Intersection and Dewanhat in the city is being used trucks and buses which is generally used for the smaller vehicles in the past.

Long queue of buses, trucks and covered vans is the regular scene on the DT Road because of the bad shape of the Chittagong Port Connecting Road, an exclusive road for the port-bound transports.

As the transports carrying cargoes and containers from and to the
prime seaport of Chattogram face risk of accidents due to road digging and drain works of ongoing renovation by the CCC these transports are left with no option but to use the rather narrow Railway Internal Road and Dhaka Trunk Road.

Pahartali Railway Workshop officials said the Railway Road was blocked until the recent with bamboo barriers but it has been opened in the recent past for general use due to renovation work on the PC Road (Port Connecting Road).
A section of the vehicles also use the DT Road to enter and exit the
Port via Dhanialapara, Strand Road and Barik Building Square.
But these roads face regular traffic congestions and hampers
transportation of the export and import cargoes, said the port users and businesses in Chattogram.

 

Courtesy: The Financial Express Aug 21, 2018