Search

Wednesday, September 12, 2018

Most banks renege on promises despite availing benefits

The majority of the banks have not brought down the lending rate to single digits despite availing both policy and fiscal supports offered by the government.
More than three dozen banks did not re-fix their rates on lending at 9.0 per cent.

Four banks offered more than 6.0 per cent interest rate on three-month term deposits, according to the central bank's monitoring reports on lending and deposits rates for July 2018.

However, only seven private commercial banks, mostly Shariah-based Islamic lenders, implemented the decisions of the Bangladesh Association of Banks (BAB) by cutting both lending and deposit rates.

Twelve more banks including foreign lenders have brought down the lending rate to the single-digits, particularly for term loans and working capital.

Earlier on June 20, the BAB decided to cut back on the interest rates on both lending and deposit at 9.0 per cent and 6.0 per cent respectively from July 01.

The number of banks, which brought down the lending rates at single digits, particularly for the productive sector may go up in August 2018, a senior official of the Bangladesh Bank (BB) told the FE.

"We're now preparing the reports on both lending and deposits rates for August 2018," the central banker said.

Meanwhile, influential large borrowers have already taken the advantage from the BAB's decisions by securing loans at 9.0 per cent, according to the banking sector insiders.

But small borrowers have not yet benefited from the much-talked about BAB move, they said.

"Big borrowers, especially 'politically exposed persons', are now taking the maximum benefits from slashing lending rates by using their influences to the top management of the banks," a senior executive of a leading private bank told the FE preferring anonymity.

The central bank had earlier instructed the banks and non-banking financial institutions (NBFIs) to be more careful while opening and maintaining the accounts of the politically-connected people.

Also, good borrowers are now able to get loans at 9.0 per cent through bargaining with the banks, he said.

"The banks are bound at a stage to re-fix the lending rate at 9.0 per cent to continue business with good borrowers," the private banker said, mentioning the names of more than corporate entities.

He also said the banks are now following the BB's policy for the selection of good borrowers.

The central bank had issued a policy for good borrowers to establish a sound credit culture in the country's banking sector.

Under the existing policy, a borrower will be considered good if his or her loan accounts -- continuous, demand and term -- prove to be "unclassified" for three consecutive years.

Talking to the FE, Abul Kasem Khan, president of the Dhaka Chamber of Commerce and Industry (DCCI), said the banks should take effective measures to slash their lending rates to single-digits as they availed different policy supports from the government and the central bank.

The government and the central bank of Bangladesh provided different policy supports to the banks, particularly the private lenders nearly five months ago.

The benefits include lowering of corporate tax, slashing of repo rate and reduction in cash reserve requirement (CRR) as the banking regulator moved to decrease the lending rate and ease the liquidity crunch in the banking system.

The private banks were also allowed to receive 50 per cent deposits of state entities, up from the previous ceiling of 25 per cent.

"We want single digit lending rate for reducing the cost of doing business in Bangladesh," the DCCI chief said, adding that it would help improve productivity too.

Mr. Khan urged the central bank to play an effective role in bringing down the lending rate to single-digits to facilitate the overall business activities across the country.

"The central bank should strengthen monitoring and supervision for the implementation of the single-digit lending rate," the DCCI president noted.

When contacted, a BB senior official said the central bank has already expedited monitoring and supervision to assess the overall interest rates on both lending and deposits in the banking sector.

"We're monitoring the interest rate closely," the central banker said without giving further details.

Talking to the FE, AKM Nurul Fazal Bulbul, member-secretary of BAB Research and Training Centre, said: "We're still trying to implement our decisions on slashing the interest rates," he said.

"But some banks are unable to do this right now," Mr. Bulbul said without elaborating.

Currently, the banks lend out to large and medium industries at interest rates ranging from 6.0 per cent to 18 per cent and to small industries between 8.0 per cent and 20 per cent.

The bank's lending rates on working capital to large and medium-scale industries vary between 5.75 per cent and 17 per cent, according to the report on scheduled banks' interest rates for July.

The interest rates on working capital for small industries range from 6.60 per cent and 18.50 per cent and trade financing loans at 6.75 per cent and 17 per cent.

Interest rates on housing loans hover at 8.0 per cent and 18 per cent and consumer credits at between 8.50 per cent and 20 per cent, said the central bank's latest monitoring report.

Meanwhile, the banks are now offering variable rates of interest on fixed deposit schemes, particularly for three-month, six-month and one-year, ranging from 1.50 per cent and 11 per cent, it added.

The banks have offered interest rates on savings accounts ranging between 0.40 per cent and 8.75 per cent to attract more funds from general depositors.

  • Courtesy: The Financial Express/ Sep 12, 2018

Power outage affects parliament session


The power outage affected ongoing session of the Jatiya Sangsad on Tuesday.
The outage occurred at 3.45pm on the day and forced the parliament to suspend the session, reports bdnews24.com.

Maximum rooms of the parliament building were in dark for the outage.

The parliament relied on back-up generators to keep the session alive before it was adjourned by the deputy speaker for the day.

The parliamentary session presided over by Speaker Shirin Sharmin Chaudhury was scheduled to begin at 5pm, but was delayed by 10 minutes.

After wrapping up the question-and-answer session at 6pm, Deputy Speaker Md Fazle Rabbi Miah later adjourned the session until 5pm on Wednesday.

Miah instantly blamed the outage on a technical fault in the Meghnaghat Power Plant. “It's a disaster. That's why the session was adjourned," Miah told reporters.

However, electricity was restored to the parliament at 7.15pm.

“When the power outage occurred, the assembly room and some of the blocks were lit up by the generators,” an official of the parliament secretariat said.

“The supply was disrupted mainly due to the tripping of a power line,” Md Ramiz Uddin Sarker, executive director of Dhaka Power Distribution Company Ltd that supplies electricity to the parliament building, said.

There was a problem with the Power Grid Company of Bangladesh’s gridline in Agargaon area around 5pm, he said. “It was resolved within half an hour. The situation is back to normal.”

Courtesy: The Financial Express Sep 12, 2018

দেশব্যাপী পুলিশের গায়েবী মামলা!

  • গাজীপুরে বিদেশে থাকা বিএনপি নেতারা ভাঙচুর মামলার আসামি
  • গাজীপুরে বিএনপির ৪৪০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা
  • ঢাকার তিন থানার মামলায় গ্রেপ্তার ৩২ জন রিমান্ডে
  • শাহবাগ থানার মামলায় ২২ জন কারাগারে



গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম ছেলের চিকিৎসার জন্য গত সোমবার সকাল আটটায় সিঙ্গাপুরে যান। ওই দিন বেলা ১১টায় জেলা শহরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মানববন্ধনে লাঠিপেটা করে পুলিশ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যানবাহন ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাতে মামলা করে পুলিশ। সেই মামলায় সিঙ্গাপুরে যাওয়া ওই নেতাকেও আসামি করা হয়।

একই ধরনের মামলার অভিযোগ উঠেছে শ্রীপুরে। সেখানে সোমবার সন্ধ্যায় নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজ কাইয়াকে আসামি করা হয়েছে। অথচ তিনি চিকিৎসার জন্য এক সপ্তাহ ধরে ভারতে অবস্থান করছেন।

এদিকে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, শাহজাহানপুর ও রামপুরা থানার পৃথক পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন ঢাকার আদালত। এর মধ্যে শাহবাগ থানার করা মামলায় ২২ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে সোমবার সকালে গাজীপুর জেলা শহরে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধন শুরু হলে হঠাৎ পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে এবং ঘটনাস্থল থেকে নয়জনকে গ্রেপ্তার করে। ওই ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা প্রদান, রাস্তায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহন ভাঙচুর ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপির ৪৪০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। এতে অন্যতম আসামি হলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম, গাজীপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাব উদ্দিন, কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল আহমেদ সরকার, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান মিয়া ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়া।

জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বাছেদ মিয়া বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা করেন। এতে ১৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। কাজী সাইয়েদুল ৩৪ নম্বর আসামি।

সিঙ্গাপুরে থাকা কাজী সাইয়েদুল আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে অনেক দিন ধরে অসুস্থ। সে জন্য সোমবার সকাল আটটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তিনি সিঙ্গাপুরে যান। পরে জানতে পারেন জয়দেবপুর থানায় তাঁর নামে মামলা হয়েছে।

মামলার বাদী জয়দেবপুর থানার এসআই বাছেদ মিয়া জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি মামলার বাদী হয়েছেন। কাকে আসামি করা হয়েছে, তা জানেন না।

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বলেন, যদি বিদেশে থাকা কাউকে আসামি করা হয়ে থাকে, তবে তদন্ত করে মামলার পরবর্তী ধাপে নাম বাদ দেওয়া হবে।

শ্রীপুরে বিএনপির ৪৮ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চলা মিছিল থেকে বিস্ফোরণ ঘটানো ও মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে এই মামলা হয়েছে। ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার ১৭ নম্বর আসামি হলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজ কাইয়া। কিন্তু তাঁর ভাগনে আছির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামা চিকিৎসার জন্য এক সপ্তাহ ধরে ভারতে অবস্থান করছেন।’ এটি সাজানো মামলা বলে তিনি জানান।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে ছিলাম। অথচ আমার বিরুদ্ধেও মামলা দেওয়া হয়েছে।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অন্যদের আসামি করা হয়েছে। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় ওই ব্যক্তিরা নাশকতায় জড়িত নন, তবে অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে।

অপর দিকে গতকাল ঢাকার আদালতে দেখা যায়, দুপুরের দিকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রিজন ভ্যানে করে আদালতের হাজতখানায় আনে পুলিশ। যাঁদের রিমান্ড চাওয়া হয়, তাঁদের হাজতখানা থেকে আদালতে তোলা হয়। রিমান্ড শুনানি শেষে আবার যখন হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের স্বজনদের কেউ কেউ হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন। গতকাল দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের স্বজনেরা আদালত ও হাজতখানার সামনে ভিড় করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলটির মানববন্ধন চলাকালে ও শেষে ধরপাকড় করে পুলিশ। গতকাল দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার মৎস্য ভবন, কাকরাইল মোড়, পল্টন মোড়, সেগুনবাগিচা ও হাইকোর্ট মোড় থেকে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। গাজীপুরসহ বেশ কিছু জায়গায় বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিতে পুলিশ অতর্কিতে হামলা ও ‘গুলি’ চালিয়েছে।


  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ সেপ্টেম্বর ১২,২০১৮ 

‘ভূতুড়ে’ মামলা, নানা প্রশ্ন!


লুৎফুল হক গত ৪ আগস্ট থেকে পরবর্তী সাতদিন ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৮২ বছর বয়সে একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায় অবস্থা এতোটাই খারাপ ছিল যে, তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ও হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) এ রাখা হয়।

তার পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১১ আগস্ট হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও এখনো অন্য কারো সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারছেন না।

কিন্তু পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার ওয়ারীতে বাংলাদেশ বয়েজ ক্লাব মাঠে জমায়েত হওয়া বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে লুৎফুল ছিলেন। তারা সেখানে জড়ো হয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছিলেন। ষড়যন্ত্রকারী ৯৬ ব্যক্তির একজন হিসেবে লুৎফুলকেও আসামি করেছে পুলিশ।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে লুৎফুলের ছেলে রেজাউল হক বলেন, ‘আমার বাবা একা চলাফেরা করতে পারেন না। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর থেকেই তিনি শয্যাশায়ী। নিজের হাতে খাবার পর্যন্ত তুলে খেতে পারেন না। মা তাকে খাইয়ে দিচ্ছেন। পুলিশ যেদিন মামলা দিয়েছে, তিনি সেদিন বাড়িতেই ছিলেন।’

ওয়ারী থানায় হওয়া এই মামলার দুইদিন পর গত ৫ সেপ্টেম্বর হুইল চেয়ারে করে লুৎফুলকে হাইকোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। চার্জশিট দাখিল না পর্যন্ত আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

রেজাউল জানান, তার বাবা একসময় বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ৬-৭ বছর ধরে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রয়েছেন।

গতকাল ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে লুৎফুলের ছাড়পত্রের একটি কপি দ্য ডেইলি স্টারের হাতে আসে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, গত ৪ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত তিনি ৫৬০ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসা খরচ হিসেবে হাসপাতালকে ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৬৫ টাকা পরিশোধ করেছেন তিনি।

বিদেশ থেকেও খেলেন মামলা!

‘সরকারবিরোধী’ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা সাব্বির আহমেদ আরিফকেও আসামি করেছে পুলিশ। তবে যে ঘটনায় মামলাটি হয়েছে তিনি সেসময় দেশেই ছিলেন না বলে জানা গেছে।

ভিসা, ইমিগ্রেশন, হোটেলের কাগজপত্র এবং কলকাতা থেকে তার ফ্লাইটের বোর্ডিং পাসের তথ্য বলছে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ভারতে অবস্থান করেছেন। দ্য ডেইলি স্টারের হাতে এসব কাগজপত্র এসেছে।

সম্প্রতি সাব্বির বলেন, ‘আমি বাড়িতে থাকতে পারছি না। পুলিশ সারাক্ষণ আমার পিছনে লেগে আছে। ভারতে থাকাকালীন আমি এ ধরনের কাজে জড়িত ছিলাম না। আমাকে হয়রানির জন্যই এসব করা হচ্ছে।

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের ওই মামলার সাব্বিরকে ১৩ এবং লুৎফুল হককে ৫১ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ফোনে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না। আমার অফিসে আসেন, চা খেয়ে যান।’

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া ও পিআর) সোহেল রানাকে এই দুজন আসামি হওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় তারা জড়িত কি না সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

মরে গিয়েও হলেন আসামি!

গত রোববার বাংলা দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর চকবাজার থানা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজুল্লাহ মারা গেছেন ২০১৬ সালের মে মাসে। মৃত্যুর প্রায় ২৮ মাস পর তাকে একটি মামলায় আসামি বানিয়েছে পুলিশ।

চকবাজার থানায় গত ৫ সেপ্টেম্বর দায়ের করা ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়েছেন তিনি। এমনকি অন্য নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটিয়েছেন।

মামলার অভিযোগকারী এসআই কামাল উদ্দিন গতকাল বলেন, ঘটনা ঘটনার পর সাক্ষীদের বক্তব্য অনুযায়ী তিনি অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করেছেন। যাচাই করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাননি। কোনো মৃত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হলে, তদন্তকারী কর্মকর্তারা এটি ঠিক করে দেবে বলেও জানান তিনি।

ঘটনাই ঘটেনি, মামলা করে রেখেছে পুলিশ!

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় গত ১২ আগস্ট অজ্ঞাত ৭০ থেকে ৮০ জন আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩০ জুলাই হবিগঞ্জ শহরের জে কে অ্যান্ড হাইস্কুলের সামনে আসামিরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, যানবাহন ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন এবং সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩০ জুলাই হবিগঞ্জ শহরে এ রকম কিছুই ঘটেনি। মামলায় যে সময়ের কথা উল্লেখ রয়েছে তখন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও হবিগঞ্জে কেউ পথে নামেনি। তারপরও হবিগঞ্জ শহর ও জেলায় চারটি থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১০টি মামলা করে রেখেছে পুলিশ।

হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের সুপারিন্টেনডেন্ট বিধান ত্রিপুরা বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় কিছু ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত হওয়ার পরই মামলা করা হয়েছে। যদিও ঘটনা ঘটার পরপরই মামলা দায়ের বাধ্যতামূলক নয়, তারপরও পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর এই মামলা করেছে, জানান বিধান।

বিশেষ কাউকে পাওয়া যায়নি বলেই অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে, তবে কাউকে হয়রানির উদ্দেশে নয়। এসব মামলার তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।

  • কার্টসিঃ দ্য ডেইলি স্টার/ সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮

তফসিল আসছে, অন্যান্য প্রস্তুতি কোথায়

সম্পাদকীয় 

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী ৩০ অক্টোবরের পর যেকোনো দিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। তা যদি হয়, তবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু হবে এবং তার পরের ২১ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আয়োজন। প্রশ্ন হলো, এই আয়োজনের কতটা প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে; প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো এ মুহূর্তে কী অবস্থায় রয়েছে; নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য উপায়ে অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন কতটা সচেতন রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে বলা হয়েছে, ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ১০ কোটি ৪১ লাখ ভোটারের তালিকা তৈরি, ভোটকেন্দ্রগুলোর খসড়া তালিকা প্রকাশসহ নির্বাচনের প্রস্তুতির ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এগুলো অবশ্যই সুসংবাদ। তবে শুধু কারিগরি, লজিস্টিক ও ব্যবস্থাপনাগত প্রস্তুতিই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করে না, আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় রয়েছে।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যেকোনো নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রাথমিক পূর্বশর্ত হলো নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ও অংশগ্রহণকারী সব পক্ষের জন্য সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক দলগুলো স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার সুযোগ না পেলে নির্বাচনের প্রস্তুতিপর্বেই তারা সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সংবিধানপ্রদত্ত অধিকার যথেষ্ট মাত্রায় ভোগ করতে পারছে না, সরকারের তরফ থেকে নানা বাধাবিপত্তির মুখোমুখি হচ্ছে। দেশের অধিকাংশ স্থানে তাদের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়, নেতা-কর্মীদের আটক করা হয়, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা হয়রানি করা হয় বলে তাঁরা অভিযোগ করে আসছেন।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানির সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হিসেবে দলটির সোমবারের কর্মসূচির কথা উল্লেখ করা যায়। সেদিন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ বাধা দিয়েছে। ঢাকায় বাধা দেয়নি, কিন্তু ধরপাকড় করেছে। সেদিন পুলিশ সারা দেশ থেকে বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। তাঁদের মধ্যে ৫৩ জনকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল নির্বাচন সামনে রেখে অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতিমূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে; এই ক্ষেত্রে নানা সরকারি পদক্ষেপ, এমনকি সরকারি তহবিল ব্যবহারেরও খবর বেরিয়েছে। ভোটার আকর্ষণের লক্ষ্যেই সাংসদদের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নানা ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, যা নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ক্ষুণ্ন করবে। এ ছাড়া ভোটের আগে ব্যবসায়ীদের নানা রকমের সুবিধা ও ছাড় দেওয়ার যেসব পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে, তা-ও নির্বাচনী ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। কারণ, ব্যবসায়ীদের অনেকেই নির্বাচনে অংশ নেবেন।

সরকারের যেসব পদক্ষেপ নির্বাচনে সব পক্ষের সমান সুযোগের ক্ষেত্র ক্ষুণ্ন করতে পারে বলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে, সেসব সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের কোনো বক্তব্য এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশনের এ বিষয়ে কার্যকরভাবে কিছু করার সুযোগ না থাকলেও কমিশন বিবৃতির মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারত এবং তার ফলে এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সচেতনতার প্রকাশ ঘটত। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এ ক্ষেত্রে কমিশনকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করতে সরকার বদ্ধপরিকর, তবে সরকারকে সেই সহযোগিতামূলক ভূমিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে কমিশনকে তৎপর হতে হবে।

কার্টসিঃ প্রথম আলো/ সেপ্টেম্বর ১২,২০১৮

40th BCS circular disappoints quota reform activists

The issuance of the 40th Bangladesh Civil Service circular with existing quota system has disappointed many students and jobseekers demanding reforms in the quota system for government jobs.
Expressing frustration over the government’s indifference to their demands, Nurul Huq Nur, joint convener of Bangladesh General Students’ Rights Protection Council, on Tuesday said that the government could have taken some time before issuance of the circular as the quota reform process was still underway.

Nur said they had no other way but to take to the streets to press their demands. 

He also said that they would announce their next programmes within a couple of days. Bangladesh Public Service Commission published the circular for 40th BCS on Tuesday keeping previous quota system. 

At a press conference on Tuesday morning in front of Dhaka University central library Bin Yamin Mollah, joint convener of the General Students’ Rights Protection Council platform said that if the gazette announcing reform in quota system was not issued before 40th Bangladesh Civil Service circular, they would resume the movement.

They also demanded withdrawal of all cases against the quota-reform protesters without any delay. Mollah further said that the deadline to issue the gazette was August 31 but as Road Transport and Bridges Minister Obaidul Quader had asked the quota reformists to keep patience, the students waited but ten day already elapsed and they yet to take any visible steps.

A secretary-level committee for a review of the quota system in public service recruitment is yet to finalise its report although the protesters’ deadline for publication of gazette notification reforming the quota expired on August 31.

Earlier on August 12, quota protesters threatened to launch a tougher movement paralysing the country from September if their detained fellows were not released before the Eid-ul-Azha and a gazette notification reforming the quota system was not published by August 31.

Students and jobseekers took to the streets on February 17 and continued protests for reducing the quota in government jobs to 10 per cent from the existing 56 per cent, including 30 per cent for freedom fighters’ children and their grandchildren, 10 per cent for women and 10 per cent for districts, 5 per cent for ethnic minorities and 1 per cent for physically challenged people.


The government on July 2 formed the seven-member committee to reform or abolish the quota system in the face of protests that continued amid attacks and intimidation by the police and ruling Awami League-backed student body Bangladesh Chhatra League. 

The committee that includes secretaries from the Prime Minister’s Office, public administration ministry, finance division, legislative division, Liberation War affairs ministry and Public Service Commission was initially given 15 working days to submit the report. The timeframe was later extended to 90 working days.

Amid countrywide protests for reform of the quota system, prime minister Sheikh Hasina on April 11 told parliament that there would be no quota in government jobs.

  • Courtesy: New Age /Sep 12, 2018

Extortion Case: Mozammel gets bail

Not freed as police want to show him held in another case

A Dhaka court yesterday granted bail to Mozammel Hoque Chowdhury, secretary general of Bangladesh Jatri Kalyan Samity, in an extortion case.
However, he cannot get out of jail as Kafrul police on Monday appealed to a court to show him arrested in a case filed under Explosive Substances Act.

Metropolitan Magistrate Md Mazharul Haque passed the bail order after Mozammel's lawyer Jyotirmoy Barua moved the bail petition.

During the hearing, Jyotirmoy said the complainant of the case did not know his client, even though his signature was taken for filing the case. The case was filed only to harass his client, he added.

The lawyer told The Daily Star that there was no legal bar for his client's release as the decision for showing him arrested in a case was pending with a court and the hearing was tomorrow.

The police arrested Mozammel, secretary general of a platform working for passengers' rights, at his Sanarpar house in Narayanganj around 3:00am on September 6, two days after the extortion case was filed with Mirpur police.

In the case statement, complainant Md Dulal alleged that Mozammel, claiming to be a transport leader, demanded Tk 2 lakh from him and took Tk 10,000 from him in front of Sony Cinema in Mirpur on September 3.

Mozammel was placed on one-day's remand for interrogation hours after the arrest.

On Monday, Sub-Inspector Kazi Raihanur Rahman of Kafrul police filed a petition with the Court of Chief Metropolitan Magistrate, Dhaka to show Mozammel arrested in a case filed for creating anarchy.

Raihanur, investigation officer (IO) of the case, also sought a 10-day remand for Mozammel. The court fixed tomorrow for hearing the plea.

The case, filed with Kafrul police on February 4, accuses more than 50 people of creating anarchy. Mozammel's name was not included in the First Information Report (FIR).

  •  Courtesy: The Daily Star /Sep 12, 2018

Rich in Bangladesh rising faster than anywhere


Bangladesh has topped the list of countries that saw the quickest growth in the number of ultra-wealthy people between 2012 and 2017, according to a new report from New York-based research firm Wealth-X.

The number of ultra-high net-worth (UHNW) individuals in Bangladesh rose by 17.3 percent during the period, the World Ultra Wealth Report 2018 shows.

UHNW individuals are defined as people with investable assets of at least $30 million, usually excluding personal assets and property such as a primary residence, collectibles and consumer durables.

 In terms of growth, Bangladesh is ahead of China, Vietnam, Kenya, India, Hong Kong, Ireland, Israel, Pakistan and the US.  

Although the US recorded the weakest growth in its ultra-wealthy population, it remained by far the leading country for UHNW individuals in 2017, accounting for a 31 percent share.

The US was home to 79,595 ultra-wealthy individuals last year, followed by Japan, China, Germany, Canada, France, Hong Kong, the UK, Switzerland and Italy.

Among the top 10 countries, China and Hong Kong have achieved the strongest gains in their ultra-wealthy populations over the past five years. In contrast, those of Japan, Canada, Italy and the UK have largely stagnated. Looking at a broader range of nations, China – perhaps surprisingly – is not the global leader.

“That status lies with Bangladesh, which has registered compound annual growth in its UHNW population of 17 percent since 2012,” said the report.

“Double-digit increases have also been posted by Vietnam, Kenya and India, illustrating the significant opportunities for wealth creation across the emerging world.”

To size and forecast the ultra-wealthy population and its combined wealth, Wealth-X uses proprietary Wealth and Investable Assets Model, which covers the top 75 economies that account for 98 percent of the global GDP.

To estimate total private wealth, it uses econometric techniques that incorporate a large number of national variables such as stock market values, GDP, tax rates, income levels and savings from sources such as the World Bank, the International Monetary Fund, the Organisation for Economic Cooperation and Development and national statistics authorities.

Wealth-X estimates wealth distribution across each country's population.

According to the report, in 2017, the world's UHNW population rose by 12.9 percent to 255,810, a sharp acceleration from a year earlier. Their combined wealth surged by 16.3 percent to $31.5 trillion, implying healthy gains in average net worth.

The finance, banking and investment sector was the primary industry focus for the largest proportion of the global ultra-wealthy population in 2017, accounting for a 14.2 percent share.

Manufacturing was the second most significant industry, with its share edging higher to 7.6 percent.

The proportion of the global ultra-wealthy population whose fortunes are predominantly self-made continued to increase last year, hitting 67.5 percent.

 The global ultra-wealthy population remains heavily male dominated, although the proportion of women has risen gradually over recent years and increased further in 2017 to a record high of 13.7 percent.

The number of UHNW women grew by an estimated 31 percent to just under 35,000.

Philanthropic activity is cited regularly as one of the main interests of the global ultra-wealthy population.

Education is the top charitable cause among men and women, with around a third of UHNW individuals directing at least part of their philanthropic endeavours to programmes such as scholarships, outreach courses, teacher training and more.

  • Courtesy: The Daily Star /Sep 12, 2018

Madrasas get big boost before polls

Govt okays project; MPs recommend 6 madrasas from each constituency for development


With the national elections likely this December, the government has taken up a Tk 5,918.63 crore project to construct buildings of 2,000 madrasas chosen by the MPs.
Under the three-year project, infrastructure of 1,800 madrasas would be developed while 200 madrasas would be built under “special consideration”, said Planning Minister AHM Mustafa Kamal.

Each of the 300 lawmakers has provided the planning ministry with a list of six madrasas -- to have new buildings -- from his or her electoral area.

The Executive Committee of the National Economic Council (Ecnec) approved the "Selected Madrasa Development Project" at a meeting at the National Economic Council yesterday, with Prime Minister Sheikh Hasina in the chair.

"The work would begin soon," Kamal told a press briefing after the meeting.

Asked whether the project would influence the parliamentary polls, he said, "Of course, it will influence [the election]. We want it to influence [the polls] effectively. So we are passing it [the project]."

The Directorate of Madrasa Education and Education Engineering Department would implement the project by June 2021, he said.

Kamal said the MPs gave his ministry the list of the madrasas long ago."I also gave mine."

"We have taken the list from the existing MPs. We did not consider who belongs to which party ...,” he said.

He also said there would be polls and all the development work would continue as usual.

The project operations include construction of new four- to six-storey madrasa buildings in rural, divisional, metropolitan, hilly, coastal, haor, baor, beel, river and salinity prone areas; building classrooms; upward extension of madrasa buildings; and procurement of necessary furniture.

Currently, the country has 9,311 madrasas offering Dakhil, Alim, Fazil and Kamil degrees, according to the Education Statistics-2016 of Bangladesh Bureau of Educational Information and Statistics.

Of the madrasas, only three are state-run while the rest are being privately operated.

The project documents said most of the private madrasas are either makeshift or semi-concrete structures. The number of madrasas with concrete structures is very limited while the infrastructure of most of the madrasas is weak and risky.

The government has already constructed one-storey buildings with two-three classrooms at 4,559 madrasas. The infrastructure of the rest 4,752 madrasas is yet to be developed, according to the documents.

"Therefore, students are being compelled to attend classes in inappropriate conditions at those madrasas, which lack infrastructural facilities." 

Apart from constructing new buildings, furniture would be procured and teachers would be trained up under the project to be financed with the government's own fund.

Of the total amount, Tk 5,355 crore would be spent for constructing academic buildings, classrooms and toilets.

In the fiscal 2018-19, the government would spend Tk 1,442 crore while Tk 2879.65 crore would be spent in the next fiscal year. In 2020-21, the expenditure would be Tk 1,596.98 crore, added the documents.

Asked whether the project would benefit the MPs in the upcoming polls, the planning minister said he did not know how much the impact would be.

"Election is a complex issue. A voter considers many issues, including the honesty of the candidate, before casting his vote,” he said.

Earlier, a similar project was taken in the election year.

In January, each of the MPs, under a Tk 10,649 crore project, received funds for the construction and extension of 10 school buildings in their constituencies.

Two similar projects, involving the lawmakers, were pending with the Planning Commission.

One of them is "Water and Sanitation Scheme" under which deep tube-wells and public toilets would be constructed. The project cost is estimated at Tk 903 crore. Each of the MPs would get Tk 3 crore as allocation.

The other one is a Tk 1,785 crore infrastructure project for constructing village markets. The lawmakers would get funds for the work. 

  • Courtesy: The Daily Star /Sep 12, 2018

Tuesday, September 11, 2018

সমাবেশে জন-উপস্থিতি যে বার্তা দেয়

ইকতেদার আহমেদ



সমাবেশের স্বাধীনতা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। এ বিষয়ে সংবিধানে সুস্পষ্টরূপে উল্লেখ রয়েছে- জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। আমাদের দেশে সচরাচর দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমাবেশের আহ্বান করে থাকে। 

সমাবেশ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সম-অধিকার থাকলেও বিগত কয়েক বছর অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, ক্ষমতাসীন দল ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো ছাড়া ক্ষমতাসীনদের জোটভুক্ত নয় এমন কোনো রাজনৈতিক দল বা এদের অঙ্গসংগঠন কোনো জনসভার আয়োজন করতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অথবা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি নেই এ অজুহাতে তা করতে দেয়া হয় না। এদের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় অনুমতি চাইলে অনুমতি দেয়া হয় না অথবা অনুমতির সাথে কঠিন শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। এ দিক থেকে ক্ষমতাসীন দল বা এর জোটভুক্ত দল বা এর অঙ্গসংগঠনগুলো অনেক ভাগ্যবান। এরা যত্রতত্র যখন-তখন যেকোনো স্থানে সমাবেশের আয়োজন করতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা মেট্রোপলিটন পুলিশ কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।


এ দেশের জনমানুষের কাছে বর্তমানে দেশের প্রধান বিরোধী দল হলো বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল)। এ দলটি দ্বিতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হয়েছিল। এ তিনটি সংসদ নির্বাচনের প্রথমটি ক্ষমতাসীন সরকারের অধীন, দ্বিতীয়টি কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী সরকারের অধীন এবং শেষোক্তটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ দলটির তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন রয়েছে। দলটির প্রতিষ্ঠাতার সততা, দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণাবলির জন্য এ দেশের সাধারণ জনমানুষের একটি বড় অংশের তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বিদ্যমান।


দলটির প্রতিষ্ঠাতা ভূখণ্ডভিত্তিক জাতিসত্তা ও ধর্মীয় জাতিসত্তার নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। এ দুটি নীতির ওপর ভিত্তি করে ১৯০৫ সালে যখন পূর্ব বাংলা ও আসাম সমন্বয়ে পৃথক প্রদেশ সৃজন করে বাংলাকে বিভাজন করা হয়েছিল তখন পশ্চিম বাংলা ও এ দেশের বর্ণ হিন্দুদের আন্দোলনের মুখে ছয় বছরের মাথায় বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়।


বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে এ দেশের মুসলিমদের মনে যে ক্ষোভ ও অসন্তোষের জন্ম হয়েছিল তা প্রশমনে ব্রিটিশ সরকার পূর্ব বাংলার রাজধানী ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলে তা বর্ণ হিন্দুদের বাধার মুখে পড়ে। এ অঞ্চলের মুসলিম নেতারা তাদের প্রবল ও দৃঢ় ধর্মীয় ও ভূখণ্ডভিত্তিক জাতিসত্তার প্রতি অবিচল থাকায় শেষ অবধি ব্রিটিশরা শত বাধার মুখেও ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা থেকে পিছপা হয়নি।


ব্রিটিশরা ভারতবর্ষ বিভাজনের সিদ্ধান্তে রাজি হলে মুসলিম ও হিন্দু নেতাদের সাথে আলোচনান্তে ঐকমত্যে পৌঁছায় যে, মুসলিম ও হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ সমন্বয়ে পৃথক হিন্দু ও মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র হবে। ভারতবর্ষভুক্ত যেসব অঞ্চল করদমিত্র রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত তাদের স্ব-ইচ্ছায় মুসলিম বা হিন্দু অধ্যুষিত রাষ্ট্রে যোগ দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়। সে সময় পাঞ্জাব ও বাংলা মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত প্রদেশ ছিল। সে সময় অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মুসলিম লীগের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। অবশ্যম্ভাবীভাবে যখন পাঞ্জাব ও বাংলা মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রের অংশে পরিণত হওয়ার সিদ্ধান্তটি কার্যকরের পথে তখন অকস্মাৎ কংগ্রেস নেতাদের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে বাংলা ও পাঞ্জাবকে বিভাজন করা না হলে তারা ভারতবর্ষের বিভাজন মেনে নেবে না। 

ভারতবর্ষ বিভাজন-পূর্ববর্তী বাংলা ও পাঞ্জাবে যে রক্তক্ষয়ী ধর্মীয় দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছিল, তা ছিল খুবই হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক। ধর্মীয় দাঙ্গায় উভয় সম্প্রদায়ের জনমানুষের যে ক্ষতি হয়েছিল, সেটিকে বিবেচনায় নিয়েই ব্রিটিশরা শেষ অবধি বাংলা ও পাঞ্জাব বিভাজনে সম্মত হয়। ইতিহাসের নির্মম পরিহাস বঙ্গভঙ্গকালীন যেসব হিন্দু নেতার অবস্থান ছিল বঙ্গভঙ্গের বিপক্ষে, ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভাজনকালীন সেসব হিন্দু নেতা বা তাদের উত্তরসূরিদের অবস্থান ছিল বাংলা বিভাজনের সপক্ষে।


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী দলটির প্রতিষ্ঠাতার ধর্মীয় ও ভূখণ্ডভিত্তিক জাতিসত্তার ভিত্তিতে বিশ্বাসী, যার ভিত রচিত হয়েছিল ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের মধ্য দিয়ে। সে ভিতই যে প্রথমত পাকিস্তানের অংশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান এবং অতঃপর পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ সৃজনে মুখ্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছিল তা সুবিদিত।


বাংলাদেশ অভ্যুদ্বয়-পরবর্তী লক্ষ করা গেছে, এযাবৎকালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের ১০টি নির্বাচনের মধ্যে ক্ষমতাসীনদের অধীন অনুষ্ঠিত ছয়টি নির্বাচনে ক্ষমতাসীনেরা বিজয়ী হয়েছে। অপর দিকে ক্ষমতাসীনবহির্ভূত সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত চারটি নির্বাচনে নির্বাচন অনুষ্ঠান-পূর্ববর্তী ক্ষমতাসীনেরা বিজয় অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।


ক্ষমতাসীনদের অধীন অনুষ্ঠিত নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না, এ নিয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলন দানা বেঁধে উঠলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন ও বর্তমানের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এবং দেশের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার বিষয়টি মাথায় রেখে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিধান সাংবিধানিক সংশোধনের মাধ্যমে প্রবর্তন করে। এ ব্যবস্থা কার্যকর-পরবর্তী এর অধীন দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে প্রথমোক্তটিতে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং শেষোক্তটিতে বর্তমানের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বিজয়ী হয়।


নবম সংসদ নির্বাচনের সময় যে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাসীন ছিল, সেটি সাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানাবলি অবলোকনে গঠিত হয়নি এবং সে তত্ত্বাবধায়ক সরকারটি আজো সংসদ অনুমোদন পায়নি। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছিল। নবম সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে জনমতকে উপেক্ষা ও অবজ্ঞাপূর্বক তাদেরই আন্দোলনের ফসল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ করে। তৎপরবর্তী দশম সংসদ নির্বাচন ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়।


এ নির্বাচন প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল বর্জন করে। এ নির্বাচনে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এ বিষয়ে সংবিধানের যে সুস্পষ্ট বিধান তাতে উল্লেখ রয়েছে- একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাগুলো থেকে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত ৩০০ সদস্য সমন্বয়ে এবং তাদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত ৫০ জন মহিলা সদস্যসহ সর্বমোট ৩৫০ সদস্য সমন্বয়ে সংসদ গঠিত হবে। স্বভাবতই প্রশ্ন দেখা দেয়, সংসদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনের সদস্যরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। তাদের প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত মর্মে আখ্যায়িত করার অবকাশ আছে কি?


একটি সরকারের মেয়াদ অবসান-পরবর্তী কোন ধরনের সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এ বিতর্ক আজ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের মূল বিতর্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বর্তমানের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি উভয়ের নির্বাচন অনুষ্ঠানবিষয়ক অবস্থান বিরোধী দলে থাকাকালীন সমরূপ।


আমাদের মতো স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার দেশে একটি দল নির্বাচনকালীন যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতাসীন হয়, পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় তাদের পক্ষে বেশির ভাগ প্রতিশ্রুতিই পূরণ সম্ভব হয় না। এ কারণে দেখা যায় একটি মেয়াদে ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় ক্ষমতার শেষ প্রান্তে দলটির জনপ্রিয়তা ব্যাপক লোপ পায়। বাস্তবতার নিরিখে এটি যে নির্মম সত্য, আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনেরা কখনো এটিকে মেনে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে উদ্যোগী হয় না। ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নির্বাচনের ফলাফল কী হবে আগের অভিজ্ঞতার কারণে এ দেশের মানুষ তা আগাম অনুধাবন করতে সক্ষম। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান রাজনৈতিক দলের অনুধাবন মানুষের অনুধাবন থেকে ভিন্নতর নয়।


বিএনপি ২০০৬ সাল-পরবর্তী ১২ বছরকাল রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে। দলটির শীর্ষ নেতারাসহ মাঠপর্যায়ের এমন নেতাকর্মী বিরল, যারা এ সময়কালের মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এক বা একাধিক মামলায় হয়রানির মুখোমুখি হননি। দলটির শীর্ষ ব্যক্তি বর্তমানে কারান্তরীণ। বয়সের কারণে তার বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অক্ষমতা রয়েছে। তা সত্ত্বেও দুঃখজনকভাবে তাকে একাকী কারাগারের নির্জন কোঠায় কালাতিপাত করতে হচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষ এ ধরনের একজন বয়ঃবৃদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কারান্তরীণ রাখার ঘটনাকে ভালো চোখে দেখছে না। ক্ষমতার বাইরে থাকা ১২ বছর সময়কালের মধ্যে বিএনপি দলটির সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো শত বাধাবিপত্তি ও প্রলোভন অতিক্রম করে দলটির ঐক্যে অটুট থাকা। এ অটুট ঐক্যের কারণেই দলটির প্রতি মানুষের সমর্থন ক্রমেই বাড়ছে।


বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নয়া পল্টনে যে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে বিপুল জনসমাগম প্রত্যক্ষ করা গেছে। সমাবেশস্থলে যারা উপস্থিত হয়েছিল, এদের কাউকেই সমাবেশস্থলের নিকটবর্তী স্থানে বাস বা ট্রাক থেকে নেমে সমাবেশ স্থলে যোগ দিতে দেখা যায়নি। সভাবেশস্থলে যারা যোগ দিয়েছিল, এদের মধ্যে বিরিয়ানির প্যাকেট বিতরণ বা টাকা ভাগাভাগির দৃশ্যও চোখে পড়েনি। সমাবেশস্থলে যোগদানকারী লোকজনের আচার-আচরণ ও বেশভূষা অবলোকনে প্রতীয়মান হয়, সাধারণ মানুষের বাইরে এদের বেশির ভাগই দল ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা ও কর্মী।


লক্ষণীয় যে, সভায় উপস্থিত কাউকে দেশের কোনো গণমাধ্যম ভাড়াটিয়া হিসেবে চিহ্নিত করেনি। দলটি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা ও কর্মীরা দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কবলে পড়ে অত্যাচারিত, নিষ্পেষিত ও নির্যাতিত। অত্যাচার, নির্যাতন ও নিষ্পেষণের শিকার এদের প্রতি এ দেশের সাধারণ মানুষ যে সহানুভূতিশীল তা তাদের অভিব্যক্তিতে বোধগম্য। সমাবেশে উপস্থিত নেতারা তাদের দাবির প্রতি আলোকপাত করতে গিয়ে যে বিষয়টির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন, তা হলো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। বিএনপির এ দাবিটির প্রতি মানুষের যেমন সমর্থন রয়েছে অনুরূপ ক্ষমতাসীন দলের জোটবহির্ভূত জোট যেমন জাতীয় ঐক্য, যুক্তফ্রন্ট ও বাম নেতৃত্বাধীন জোটেরও সমর্থন রয়েছে। বিএনপির বাইরের এ সব জোটের জনসমর্থনের ভিত্তি তেমন জোরালো না হলেও প্রতিটি জোট বা জোটভুক্ত দলে এমন নেতারা রয়েছেন যারা বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে শ্রদ্ধাভাজন ও সম্মানিত। সমাবেশে বিএনপির নেতাদের মুখ থেকে উচ্চারিত অন্যতম দাবিটির সাথে এ দেশের জনমানুষ ও ক্ষমতাসীন জোটবহির্ভূত জোটগুলোর নেতাদের কোনো ভিন্নতা নেই। আর এটিকে অনুধাবন করে বর্তমান ক্ষমতাসীনেরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে ভবিষ্যতের বিপর্যয় পরিহার সম্ভব।



  •  Courtesy: Naya Diganta /Sep 10,2018