Search

Tuesday, September 11, 2018

সমাবেশে জন-উপস্থিতি যে বার্তা দেয়

ইকতেদার আহমেদ



সমাবেশের স্বাধীনতা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। এ বিষয়ে সংবিধানে সুস্পষ্টরূপে উল্লেখ রয়েছে- জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। আমাদের দেশে সচরাচর দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমাবেশের আহ্বান করে থাকে। 

সমাবেশ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সম-অধিকার থাকলেও বিগত কয়েক বছর অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, ক্ষমতাসীন দল ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো ছাড়া ক্ষমতাসীনদের জোটভুক্ত নয় এমন কোনো রাজনৈতিক দল বা এদের অঙ্গসংগঠন কোনো জনসভার আয়োজন করতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অথবা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি নেই এ অজুহাতে তা করতে দেয়া হয় না। এদের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় অনুমতি চাইলে অনুমতি দেয়া হয় না অথবা অনুমতির সাথে কঠিন শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। এ দিক থেকে ক্ষমতাসীন দল বা এর জোটভুক্ত দল বা এর অঙ্গসংগঠনগুলো অনেক ভাগ্যবান। এরা যত্রতত্র যখন-তখন যেকোনো স্থানে সমাবেশের আয়োজন করতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা মেট্রোপলিটন পুলিশ কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।


এ দেশের জনমানুষের কাছে বর্তমানে দেশের প্রধান বিরোধী দল হলো বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল)। এ দলটি দ্বিতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হয়েছিল। এ তিনটি সংসদ নির্বাচনের প্রথমটি ক্ষমতাসীন সরকারের অধীন, দ্বিতীয়টি কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী সরকারের অধীন এবং শেষোক্তটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ দলটির তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন রয়েছে। দলটির প্রতিষ্ঠাতার সততা, দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণাবলির জন্য এ দেশের সাধারণ জনমানুষের একটি বড় অংশের তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বিদ্যমান।


দলটির প্রতিষ্ঠাতা ভূখণ্ডভিত্তিক জাতিসত্তা ও ধর্মীয় জাতিসত্তার নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। এ দুটি নীতির ওপর ভিত্তি করে ১৯০৫ সালে যখন পূর্ব বাংলা ও আসাম সমন্বয়ে পৃথক প্রদেশ সৃজন করে বাংলাকে বিভাজন করা হয়েছিল তখন পশ্চিম বাংলা ও এ দেশের বর্ণ হিন্দুদের আন্দোলনের মুখে ছয় বছরের মাথায় বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়।


বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে এ দেশের মুসলিমদের মনে যে ক্ষোভ ও অসন্তোষের জন্ম হয়েছিল তা প্রশমনে ব্রিটিশ সরকার পূর্ব বাংলার রাজধানী ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলে তা বর্ণ হিন্দুদের বাধার মুখে পড়ে। এ অঞ্চলের মুসলিম নেতারা তাদের প্রবল ও দৃঢ় ধর্মীয় ও ভূখণ্ডভিত্তিক জাতিসত্তার প্রতি অবিচল থাকায় শেষ অবধি ব্রিটিশরা শত বাধার মুখেও ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা থেকে পিছপা হয়নি।


ব্রিটিশরা ভারতবর্ষ বিভাজনের সিদ্ধান্তে রাজি হলে মুসলিম ও হিন্দু নেতাদের সাথে আলোচনান্তে ঐকমত্যে পৌঁছায় যে, মুসলিম ও হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ সমন্বয়ে পৃথক হিন্দু ও মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র হবে। ভারতবর্ষভুক্ত যেসব অঞ্চল করদমিত্র রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত তাদের স্ব-ইচ্ছায় মুসলিম বা হিন্দু অধ্যুষিত রাষ্ট্রে যোগ দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়। সে সময় পাঞ্জাব ও বাংলা মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত প্রদেশ ছিল। সে সময় অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মুসলিম লীগের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। অবশ্যম্ভাবীভাবে যখন পাঞ্জাব ও বাংলা মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রের অংশে পরিণত হওয়ার সিদ্ধান্তটি কার্যকরের পথে তখন অকস্মাৎ কংগ্রেস নেতাদের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে বাংলা ও পাঞ্জাবকে বিভাজন করা না হলে তারা ভারতবর্ষের বিভাজন মেনে নেবে না। 

ভারতবর্ষ বিভাজন-পূর্ববর্তী বাংলা ও পাঞ্জাবে যে রক্তক্ষয়ী ধর্মীয় দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছিল, তা ছিল খুবই হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক। ধর্মীয় দাঙ্গায় উভয় সম্প্রদায়ের জনমানুষের যে ক্ষতি হয়েছিল, সেটিকে বিবেচনায় নিয়েই ব্রিটিশরা শেষ অবধি বাংলা ও পাঞ্জাব বিভাজনে সম্মত হয়। ইতিহাসের নির্মম পরিহাস বঙ্গভঙ্গকালীন যেসব হিন্দু নেতার অবস্থান ছিল বঙ্গভঙ্গের বিপক্ষে, ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভাজনকালীন সেসব হিন্দু নেতা বা তাদের উত্তরসূরিদের অবস্থান ছিল বাংলা বিভাজনের সপক্ষে।


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী দলটির প্রতিষ্ঠাতার ধর্মীয় ও ভূখণ্ডভিত্তিক জাতিসত্তার ভিত্তিতে বিশ্বাসী, যার ভিত রচিত হয়েছিল ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের মধ্য দিয়ে। সে ভিতই যে প্রথমত পাকিস্তানের অংশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান এবং অতঃপর পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ সৃজনে মুখ্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছিল তা সুবিদিত।


বাংলাদেশ অভ্যুদ্বয়-পরবর্তী লক্ষ করা গেছে, এযাবৎকালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের ১০টি নির্বাচনের মধ্যে ক্ষমতাসীনদের অধীন অনুষ্ঠিত ছয়টি নির্বাচনে ক্ষমতাসীনেরা বিজয়ী হয়েছে। অপর দিকে ক্ষমতাসীনবহির্ভূত সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত চারটি নির্বাচনে নির্বাচন অনুষ্ঠান-পূর্ববর্তী ক্ষমতাসীনেরা বিজয় অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।


ক্ষমতাসীনদের অধীন অনুষ্ঠিত নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না, এ নিয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলন দানা বেঁধে উঠলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন ও বর্তমানের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এবং দেশের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার বিষয়টি মাথায় রেখে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিধান সাংবিধানিক সংশোধনের মাধ্যমে প্রবর্তন করে। এ ব্যবস্থা কার্যকর-পরবর্তী এর অধীন দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে প্রথমোক্তটিতে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং শেষোক্তটিতে বর্তমানের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বিজয়ী হয়।


নবম সংসদ নির্বাচনের সময় যে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাসীন ছিল, সেটি সাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানাবলি অবলোকনে গঠিত হয়নি এবং সে তত্ত্বাবধায়ক সরকারটি আজো সংসদ অনুমোদন পায়নি। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছিল। নবম সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে জনমতকে উপেক্ষা ও অবজ্ঞাপূর্বক তাদেরই আন্দোলনের ফসল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ করে। তৎপরবর্তী দশম সংসদ নির্বাচন ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়।


এ নির্বাচন প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল বর্জন করে। এ নির্বাচনে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এ বিষয়ে সংবিধানের যে সুস্পষ্ট বিধান তাতে উল্লেখ রয়েছে- একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাগুলো থেকে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত ৩০০ সদস্য সমন্বয়ে এবং তাদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত ৫০ জন মহিলা সদস্যসহ সর্বমোট ৩৫০ সদস্য সমন্বয়ে সংসদ গঠিত হবে। স্বভাবতই প্রশ্ন দেখা দেয়, সংসদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনের সদস্যরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। তাদের প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত মর্মে আখ্যায়িত করার অবকাশ আছে কি?


একটি সরকারের মেয়াদ অবসান-পরবর্তী কোন ধরনের সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এ বিতর্ক আজ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের মূল বিতর্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বর্তমানের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি উভয়ের নির্বাচন অনুষ্ঠানবিষয়ক অবস্থান বিরোধী দলে থাকাকালীন সমরূপ।


আমাদের মতো স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার দেশে একটি দল নির্বাচনকালীন যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতাসীন হয়, পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় তাদের পক্ষে বেশির ভাগ প্রতিশ্রুতিই পূরণ সম্ভব হয় না। এ কারণে দেখা যায় একটি মেয়াদে ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় ক্ষমতার শেষ প্রান্তে দলটির জনপ্রিয়তা ব্যাপক লোপ পায়। বাস্তবতার নিরিখে এটি যে নির্মম সত্য, আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনেরা কখনো এটিকে মেনে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে উদ্যোগী হয় না। ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নির্বাচনের ফলাফল কী হবে আগের অভিজ্ঞতার কারণে এ দেশের মানুষ তা আগাম অনুধাবন করতে সক্ষম। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান রাজনৈতিক দলের অনুধাবন মানুষের অনুধাবন থেকে ভিন্নতর নয়।


বিএনপি ২০০৬ সাল-পরবর্তী ১২ বছরকাল রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে। দলটির শীর্ষ নেতারাসহ মাঠপর্যায়ের এমন নেতাকর্মী বিরল, যারা এ সময়কালের মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এক বা একাধিক মামলায় হয়রানির মুখোমুখি হননি। দলটির শীর্ষ ব্যক্তি বর্তমানে কারান্তরীণ। বয়সের কারণে তার বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অক্ষমতা রয়েছে। তা সত্ত্বেও দুঃখজনকভাবে তাকে একাকী কারাগারের নির্জন কোঠায় কালাতিপাত করতে হচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষ এ ধরনের একজন বয়ঃবৃদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কারান্তরীণ রাখার ঘটনাকে ভালো চোখে দেখছে না। ক্ষমতার বাইরে থাকা ১২ বছর সময়কালের মধ্যে বিএনপি দলটির সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো শত বাধাবিপত্তি ও প্রলোভন অতিক্রম করে দলটির ঐক্যে অটুট থাকা। এ অটুট ঐক্যের কারণেই দলটির প্রতি মানুষের সমর্থন ক্রমেই বাড়ছে।


বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নয়া পল্টনে যে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে বিপুল জনসমাগম প্রত্যক্ষ করা গেছে। সমাবেশস্থলে যারা উপস্থিত হয়েছিল, এদের কাউকেই সমাবেশস্থলের নিকটবর্তী স্থানে বাস বা ট্রাক থেকে নেমে সমাবেশ স্থলে যোগ দিতে দেখা যায়নি। সভাবেশস্থলে যারা যোগ দিয়েছিল, এদের মধ্যে বিরিয়ানির প্যাকেট বিতরণ বা টাকা ভাগাভাগির দৃশ্যও চোখে পড়েনি। সমাবেশস্থলে যোগদানকারী লোকজনের আচার-আচরণ ও বেশভূষা অবলোকনে প্রতীয়মান হয়, সাধারণ মানুষের বাইরে এদের বেশির ভাগই দল ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা ও কর্মী।


লক্ষণীয় যে, সভায় উপস্থিত কাউকে দেশের কোনো গণমাধ্যম ভাড়াটিয়া হিসেবে চিহ্নিত করেনি। দলটি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা ও কর্মীরা দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কবলে পড়ে অত্যাচারিত, নিষ্পেষিত ও নির্যাতিত। অত্যাচার, নির্যাতন ও নিষ্পেষণের শিকার এদের প্রতি এ দেশের সাধারণ মানুষ যে সহানুভূতিশীল তা তাদের অভিব্যক্তিতে বোধগম্য। সমাবেশে উপস্থিত নেতারা তাদের দাবির প্রতি আলোকপাত করতে গিয়ে যে বিষয়টির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন, তা হলো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। বিএনপির এ দাবিটির প্রতি মানুষের যেমন সমর্থন রয়েছে অনুরূপ ক্ষমতাসীন দলের জোটবহির্ভূত জোট যেমন জাতীয় ঐক্য, যুক্তফ্রন্ট ও বাম নেতৃত্বাধীন জোটেরও সমর্থন রয়েছে। বিএনপির বাইরের এ সব জোটের জনসমর্থনের ভিত্তি তেমন জোরালো না হলেও প্রতিটি জোট বা জোটভুক্ত দলে এমন নেতারা রয়েছেন যারা বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে শ্রদ্ধাভাজন ও সম্মানিত। সমাবেশে বিএনপির নেতাদের মুখ থেকে উচ্চারিত অন্যতম দাবিটির সাথে এ দেশের জনমানুষ ও ক্ষমতাসীন জোটবহির্ভূত জোটগুলোর নেতাদের কোনো ভিন্নতা নেই। আর এটিকে অনুধাবন করে বর্তমান ক্ষমতাসীনেরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে ভবিষ্যতের বিপর্যয় পরিহার সম্ভব।



  •  Courtesy: Naya Diganta /Sep 10,2018

No comments:

Post a Comment