Search

Monday, September 24, 2018

অগ্রণী ব্যাংক ১ শতাংশ ঋণও ফেরত দেয়নি শীর্ষ ২০ খেলাপি

হাছান আদনান

চলতি বছর শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির কাছ থেকে ৪০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। লক্ষ্য অনুযায়ী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে আদায় করার কথা ছিল ২৬৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ব্যাংকটি আদায় করতে পেরেছে মাত্র ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ হিসাবে বছরের আট মাসে লক্ষ্যমাত্রার ১ শতাংশ ঋণ ফেরত দেয়নি ব্যাংকটির শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শীর্ষ এ খেলাপিদের কাছে অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা রয়েছে ১ হাজার ৫১৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

শুধু শীর্ষ ঋণখেলাপিই নয়, অন্য খেলাপিদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করতে পারছে না অগ্রণী ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুযায়ী, চলতি বছর ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা নগদ আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল ব্যাংকটি। কিন্তু ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকটি খেলাপিদের কাছ থেকে নগদ আদায় করতে পেরেছে মাত্র ১৭০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ হিসাবে আট মাসে অগ্রণী ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২১ দশমিক ২৯ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রতি বছরই এমওইউ স্বাক্ষর করে আসছে অগ্রণী ব্যাংক। ২০১৮ সালের এমওইউ অনুযায়ী আট মাসে ব্যাংকটির অগ্রগতি পর্যালোচনা করে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, খেলাপি ঋণ থেকে নগদ আদায়, নিয়মিতকরণ ও অবলোপনের মাধ্যমে ব্যাংকটি লক্ষ্যমাত্রার ৩২ দশমিক ৭১ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে।

জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শামস-উল-ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, নিয়ম-আচারের মধ্যে থেকে ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে এমডি পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর খেলাপি ঋণ আদায়ে সমন্বিত অভিযান চালিয়েছিলাম। ওই সময় সহজে আদায়যোগ্য খেলাপি ঋণ আদায় হয়ে গেছে। কিন্তু শীর্ষ ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ঋণখেলাপিরা উচ্চ আদালতে রিটের আশ্রয় নিচ্ছেন। ফলে খেলাপিদের সিআইবি স্থগিত থাকছে। খেলাপি হওয়া সত্ত্বেও তাদের নতুন ঋণ দিতে হচ্ছে। আদালত, আইন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া খেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায় সম্ভব নয়।

চলতি বছরের জুন শেষে অগ্রণী ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৫ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। জুন শেষে ব্যাংকটির বিতরণকৃত ঋণের ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ চলে গেছে খেলাপির খাতায়।

অগ্রণী ব্যাংকের আটটি শাখায় শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির কাছে আটকে গেছে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকার ঋণ। এর মধ্যে প্রধান শাখায় ১০ শীর্ষ ঋণখেলাপির কাছে ৮৬৫ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে। এ শাখার শীর্ষ খেলাপিরা হলো অ্যারিস্ট্রোক্র্যাট এগ্রো, আর্থ এগ্রো ফার্ম, এমআর সোয়েটার, জুলিয়া সোয়েটার, ফেরদৌস জুট মিল, ফাকা ডেনিম, জিল টেক্সটাইল, ইফতি ফ্যাশন, জয় কম্পোজিট ও মাধবদী ট্রেডিং।

চট্টগ্রামের লালদীঘি পূর্ব করপোরেট শাখায় তিন গ্রাহকের কাছে ২৭২ কোটি, বৈদেশিক বাণিজ্য করপোরেট শাখায় দুই গ্রাহকের কাছে ১৬১ কোটি টাকা আটকে গেছে। অন্য শাখাগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ করপোরেট শাখার এক গ্রাহকের কাছে ৫১ কোটি, রাজশাহী সাহেব বাজার করপোরেট শাখায় এক গ্রাহকের কাছে ৪৯ কোটি, চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক এলাকা করপোরেট শাখায় এক গ্রাহকের কাছে ৪২ কোটি, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ করপোরেট শাখায় এক গ্রাহকের কাছে ৩৯ কোটি এবং ঢাকার রমনা করপোরেট শাখার এক গ্রাহকের কাছে ৩৪ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের শীর্ষ অন্য গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে গিভেন্সি স্পিনিং, সুরুজ মিয়া জুট স্পিনিং, কেয়া ইয়ার্ন, সাদাত কম্পোজিট, ম্যাক শিপ বিল্ডার্স, ম্যাক শিপ ব্রেকিং ও আরাফাত স্টিল।

অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, চলতি বছরের তুলনায় গত বছর আমাদের আদায় ভালো ছিল। তবে এ বছরের বাকি তিন মাসে খেলাপি ঋণ থেকে আদায় বাড়ানোকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। পুনঃতফসিল করে আদায় বাড়ানোর চেয়ে নগদ আদায়ের দিকে আমরা বেশি নজর দিচ্ছি। আশা করছি, বছরের বাকি সময়ে খেলাপি ঋণ আদায় বাড়বে। তবে আদালতে রিটের কারণে অনেক ঋণখেলাপির কাছ থেকে টাকা আদায় সম্ভব হচ্ছে না।

  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা/ সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮ 

বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে পানিপথ করিডোর নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ভারত


বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৮ রাজ্যে পানিপথ করিডোর নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ভারত সরকার। এ করিডোর নির্মাণে তাদের খরচ হবে ৫০০০ কোটি রুপি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে ৮টি রাজ্যে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ দুটোই কম লাগবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইকোনমিক টাইমস। 

এতে বলা হয়, এই পানিপথ করিডোরের দৈর্ঘ্য হবে ৯০০ কিলোমিটার। এই পথ ব্যবহার করে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্যগুলো থেকে ফ্রেইট পানানো হবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে। এই পানিপথ শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া থেকে। সুন্দরবন হয়ে তা গিয়ে বাংলাদেশে পদ্মা নদীতে মিশবে।

শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া থেকে। সুন্দরবন হয়ে তা গিয়ে বাংলাদেশে পদ্মা নদীতে মিশবে।

তারপর ওই পানিপথ ব্রহ্মপুত্র হয়ে যুক্ত হবে আসামের সঙ্গে। 

শিপিং সেক্রেটারি গোপাল কৃষ্ণ বলেছেন, এই প্রকল্পের বিস্তারিত নিয়ে আমরা কাজ করছি। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে তা ভারতের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে সংযুক্তির ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হবে। আর ফ্রেইট পরিবহনেও খরচ কমে যাবে অনেক বেশি। 

বর্তমানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে মূল ভূখন্ডের মহাসড়কের যোগাযোগ একেবারে অনুপযোগী। তা ছাড়া সড়কের কারণে পণ্য পরিবহনে খবর অনেক বেশি পড়ে। সময়ও লাগে অনেক বেশি। মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, আলোচিত পানিপথ বাস্তবায়ন করা গেলে পণ্য পরিবহন খরচ কমে যাবে শতকরা ৭০ ভাগ। 

এরই মধ্যে হলদিয়া ও এলাহাবাদের মধ্যে গঙ্গা নদীতে সরকার একটি পানিপথ উন্নয়নে কাজ করছে। এর দৈর্ঘ্য ১৬২০ কিলোমিটার। খরচ পড়ছে ৪৫০০ কোটি রুপি। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যেও ব্যবহার করা হবে এই পানিপথ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রয়েছে ৪০৯৫ কিলোমিটার সীমান্ত। এর মধ্যে ১১১৬ কিলোমিটার নদীবিধৌত। সচিব কৃষ্ণা বলেছেন, বাংলাদেশ শিপিংয়ের ক্ষেত্রে ভারতের বন্দরগুলো ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, ট্রান্সশিপমেন্টের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে কলম্বো অথবা সিঙ্গাপুরের পরিবর্তে বাংলাদেশ এখন তাকিয়ে আছে ভারতের দিকে। কলম্বোতে আমাদের কন্টেইনার চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। কারণ, এখন এসব কাজ আমাদের বন্দরগুলোতেই হচ্ছে। 

সম্প্রতি মন্ত্রণালয় বিদেশী জাহাজগুলোকে ভারতের বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সিঙ্গাপুুর ও কলম্বোকে যাতে তারা কার্গো চলাচলের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে দেখা না হয় সেই চেষ্টা নেয়া হয়েছে। সচিব কৃষ্ণা বলেছেন, দীর্ঘ মেয়াদে পশ্চিম ও পূর্ব উপকূলে দুটি বন্দর উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত, যাতে তা ট্রান্সশিপমেন্টের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ সেপ্টেম্বর ২৪,২০১৮ 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনিয়ম বন্ধে ব্যর্থ শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সাইফ সুজন
দফায় দফায় সময় নিয়েও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি দুই ডজনের বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বেআইনিভাবে। অর্থব্যয়ের হিসাব দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারও তোয়াক্কা করছে না বেসরকারি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়। আইনের ব্যত্যয় ঘটছে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে। একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এসব অনিয়ম নিয়মিত ঘটলেও তা বন্ধে ব্যর্থ হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব অনিয়ম বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) সময় সময় সুপারিশ করলেও তা আমলে নিচ্ছে না মন্ত্রণালয়।



বর্তমানে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১০৩টি। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে ৯১টিতে। ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেলেও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেনি। আর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।



খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের জন্য ৩৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় বেঁধে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন ধাপে বেঁধে দেয়া এ সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ৩১ ডিসেম্বর। সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি দুই ডজনের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়। স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয়া হয় ওই সময়। তারও আট মাস পেরিয়ে গেছে। যদিও এখন পর্যন্ত নির্দেশ অমান্যকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি মন্ত্রণালয়।



বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনও পাঠিয়েছে ইউজিসি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের চিঠি দেয়া হয়। নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রাম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের জন্য বলা হয় ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়কে। এছাড়া দুটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করতে ও একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি কেনার নির্দেশ দেয়া হয়। এর মধ্যে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো— ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী, ইস্ট ডেল্টা, অতীশ দীপঙ্কর ও প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়।



সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অগ্রগতি খুঁজে পায়নি ইউজিসি। এগুলো হলো— ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, স্টামফোর্ড, সাউথ ইস্ট, প্রাইমেশিয়া, বাংলাদেশ, আশা, রয়েল, ভিক্টোরিয়া, সাউথ এশিয়া, ইবাইস, স্টেট ও চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকা সত্ত্বেও স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় আগ্রহ নেই এ ধরনের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলো হলো— ড্যাফোডিল, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান, লিডিং ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এছাড়া চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও ঢাকার সিটি ইউনিভার্সিটিকে আউটার ক্যাম্পাস বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হলেও তারা তা মানছে না।



ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান এ প্রসঙ্গে বলেন, স্থানান্তর প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে সার্বিক পরিস্থিতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। আমরা আমাদের কাজ করেছি। এখন আইন না মানা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে— সেটি দেখার দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের।



এদিকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের আইন অমান্যের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে। আইন অনুযায়ী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সার্বক্ষণিক উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ থাকা বাধ্যতামূলক। যদিও ইউজিসির ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, দেশে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৯১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২১টিতেই উপাচার্য নেই। কোষাধ্যক্ষ নেই ৪৯টিতে। আর উপ-উপাচার্য ছাড়াই চলছে ৭০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।



এছাড়া যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ছাড়াই উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। গত বছরের নভেম্বরে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ থেকে পাঠানো প্রস্তাবের ভিত্তিতে রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার উপাচার্য পদে ড. মো. আজিজুর রহমানকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। নিয়োগের নয় মাস পার হলেও এখনো দায়িত্ব বুঝে পাননি তিনি। উল্টো ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য দিয়েই শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালাচ্ছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে নতুন প্যানেল প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। নতুন প্যানেল বিষয়ে ইউজিসির মতামতও চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নিয়োগ না দেয়া বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।



গত বছরের ৯ আগস্ট বরিশালের ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের উপাচার্য প্যানেল বিষয়ে মতামত জানাতে ইউজিসিকে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্যানেলভুক্ত তিনজনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দেয় ইউজিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী উপাচার্য পদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষ ১০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসহ গবেষণা ও প্রশাসনিক কাজে মোট ২০ বছরের অভিজ্ঞতা প্যানেলভুক্ত অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেই। অধ্যাপক ড. মো. সবদের আলীর যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে বিদেশী ডিগ্রির সমতা সনদ নেই। অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য্যের ১০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসহ গবেষণা ও প্রশাসনিক কাজে মোট ২০ বছরের অভিজ্ঞতা নেই। তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর ধারা ৩১ (৩) অনুযায়ী যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের প্রস্তাব করে ইউজিসি।



যদিও পরবর্তী সময়ে পুনরায় প্যানেল প্রস্তাব না নিয়ে অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।



বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষাবর্ষের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে সরকারের। প্রতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের (সিএ ফার্ম) মাধ্যমে নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন ইউজিসিতে জমা দেয়ার কথা।

যদিও ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত ২০১৭ সালের নিরীক্ষিত অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই সরকারের এ নির্দেশনা মানছে না।



বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী, কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ বা প্রোগ্রামে খণ্ডকালীন শিক্ষক সংখ্যা পূর্ণকালীন শিক্ষক সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। যদিও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি), সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, স্টেট, প্রিমিয়ার, ইবাইস ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক সংখ্যা আইনে নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি।



এসব অনিয়ম ঘটলেও তা বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে ব্যর্থ তেমনটি মনে করেন না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে গেছে। আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সময় চেয়েছে। ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আইন পরিপালনে উৎসাহিত করার চেষ্টা চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস, উপাচার্য নিয়োগ ও আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ সব বিষয়ে আইন অনুসরণ করার কথা বলা হচ্ছে। হুট করে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ কিংবা কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় আমাদের। সব মিলিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যর্থ সেটি বলা যাবে না।

  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা/ সেপ্টেম্বর ২৪,২০১৮ 

শিলংয়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের মামলার রায় ২৮ সেপ্টেম্বর

সুব্রত আচার্য
বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের ভারতে অনুপ্রবেশের মামলায় রায় ২৮ সেপ্টেম্বর। মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক এই রায় দেবেন।
শিলং শহরে অবস্থানরত সালাউদ্দিন গতকাল রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে টেলিফোনে এই তথ্য জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরে টেলিফোনে সালাউদ্দিন আহমেদের আইনজীবী এপি মহন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তারিখ তো পড়েছে, দেখা যাক সেদিন কী হয়।’

ভারতের অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০১৫ সালে মার্চ মাসে এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মেঘালয় পুলিশ সিটি থানায় একটি মামলা করে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিচারক তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন। এই মুহূর্তে শিলং শহরেই বসবাস করছেন তিনি।

অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হবার প্রায় দুই মাস আগে থেকে বাংলাদেশে ‘নিখোঁজ’ ছিলেন সালাউদ্দিন।

২০১৫ সালের ১১ মার্চ শিলং শহরের গলফ মাঠ থেকে পুলিশ সালাউদ্দিনকে আটক করেছিল। অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে শিলং পুলিশ প্রথমে তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। তবে চিকিৎসকরা জানান মানসিক নয়, বিএনপি নেতা শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে শিলং সিভিল সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তার পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

অসুস্থতার মধ্যেই ২০১৫ সালের ২৭ মে মামলার শুনানিতে শিলংয়ের জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির হন সালাউদ্দিন আহমেদ। এর পর প্রায় তিন বছর ধরে চলে বিচারপর্ব। একাধিক আইনজীবী জানান, অনুপ্রবেশের মামলায় এতো দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শিলং আদালতে এর আগে দেখা যায়নি।

বিচার কার্যক্রম নিয়ে সালাউদ্দিন আহমেদ নিজেও অনেকটা হতাশ। রোববার তিনি এক প্রশ্নের উত্তরের জানান, ২৮ তারিখে চূড়ান্ত রায় দেবে সেটা অফিসিয়ালি জেনেছি। তবে এর আগেও রায়ের তারিখ চার বার পিছিয়েছে। আশা করছি এবার তেমন হবে না।

  • Courtesy: The Daily Star/ Bangla Sep 24, 2018

Focus needs to be on capital market for economic expansion

Capital market should be the key funding source for Bangladesh's future economic expansion instead of banks and financial institutions, experts said.
Such shift is also necessary to attain sustainable development goals (SDGs) as some 42 per cent of the SDG financing here should come from the private sector.

They made the views at an international conference on 'Achieving Sustainable Development Goals: Challenges and Way Forward' in Dhaka on Sunday.

The Institute of Cost and Management Accountants of Bangladesh (ICMAB) organised the daylong event.

"Stocks should evolve as the main source of capital for economic expansion," said Md Kausar Alam, chief financial officer of Seven Circle Bangladesh, a leading local business entity.

"Banks and NBFIs [non-banking financial institutions] together are still a major source of funding for Bangladesh economy," he added.

"But this [source] should be gradually shifted to the capital market," Mr Alam said while speaking on the role of professional accountants in achieving SDGs.

"Banks have helped make entrepreneurs and a strong private sector since our liberation, but studies show the accountability scenario is not up to the mark…"

Banks have become family-oriented and the boards of directors are actively involved in the management, the senior corporate official said.

Adherence to law is not adequate and internal control system along with accounting and audit qualities are insufficient, Mr Alam mentioned.

Against this backdrop, he said, stock exchanges should become a more reliable source of financing to ensure a sustainable money market.

"Sustainable Stock Exchanges Initiative should play a significant role in this regard and stock exchanges should drive value for all stakeholders," he suggested.

Earlier, speaking during the inaugural ceremony of the conference, Finance Minister AMA Muhith put emphasis on the strengthening of regional cooperation.

"It's a matter of shame that South Asian countries have not been able to reduce trade barriers between themselves when compared to their Southeast Asian neighbours," he said.

However, goodwill between the countries has led to significant expansion of Sino-Bangla trade and Indo-Bangla trade in recent years, Mr Muhith stated.

"This trend would continue in the coming decades," he hoped.

UN Resident Representative in Bangladesh Mia Seppo said mobilising resources for SDGs requires expansion of tax base, tax reforms and public-private partnership.

"Bringing together the right stakeholders is the number-one challenge of implementing SDGs," said Dr Swapan Kumar Bala, commissioner at Bangladesh Securities and Exchange Commission.

"The other big challenge is building accountability actions. There are some conflicting issues which require some serious trade-off," he added.

Pietro Bertazzi, head of sustainable development at Global Reporting Initiative, said the governments globally are increasingly consulting the private sector in the implementation of SDGs.

His organisation in collaboration with UN Global Compact and World Business Council for Sustainable Development has developed SDG Compass.

It is a guide to help businesses align their strategies with the SDGs and measure and manage their contribution, Mr Bertazzi argued.

AN Raman, former president of South Asian Federation for Accountants, called for a certain measurement mechanism to perform outcome audit of how SDGs are being achieved in Bangladesh.

  • Courtesy: The Financial Express /Sep 24, 2018

সমালোচক মানেই কি ভয়ংকর অপরাধী?

মহিউদ্দিন আহমদ  

১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনের পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘এই যুদ্ধে যদি রাষ্ট্রকে নিরাপত্তা দিতে না পারি, রাষ্ট্র যদি বিপন্ন হয়, তাহলে অপরাধটা আমাদেরই হবে।’ অতি উত্তম কথা। রাষ্ট্র নিয়ে তিনি এবং তাঁর সরকার খুবই চিন্তিত। আইনটি না করা গেলে রাষ্ট্রের ওপর গজব নেমে আসবে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাঁরা, তাঁদের একটা বড় অংশ সরকারের সমর্থক। তাঁদের অনেকেই এই আইনের সমালোচনা করছেন। তাঁদের দাবি, এই আইন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মুক্তচিন্তার পথকে বাধাগ্রস্ত করবে। সবচেয়ে বড় বিপদ হলো, মামলা হলে থানায় দারোগার বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিতে হবে বিষয়টি ‘অপরাধের’ পর্যায়ে পড়ে কি না, বা ‘অভিযুক্ত’ কত ভয়ংকর যে তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিতে হবে।

পাশের দেশ মিয়ানমার। সেখানে দশকের পর দশক ধরে চলছে কর্তৃত্ববাদী শাসন। মিয়ানমার রাষ্ট্রটি যে মারাত্মক রকম গণবিরোধী এবং মিয়ানমার সরকার যে নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে, এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সরকার ও গণমাধ্যম মোটামুটি একমত। তো সে দেশের একটি সংবাদ খুব ছোট করে ছেপেছে এ দেশের একটি দৈনিক, ভেতরের পাতায়।

কিন্তু খবরটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ মনে হলো। খবরে প্রকাশ, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সাবেক এক কলাম লেখককে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাজা পাওয়া এই লোকের নাম নাগার মিন সোয়ে। স্টেট কাউন্সেলর সু চির বিরুদ্ধে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট লেখার জন্য তিনি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সু চি সম্পর্কে জনগণের মধ্যে খারাপ অনুভূতি তৈরি করতেই তিনি এ কাজ করেছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ (সূত্র: এএফপি, ইয়াঙ্গুন)।

মিয়ানমারেও ৫৭ ধারা বা ৩২ ধারা অথবা এ–জাতীয় ব্যাপারস্যাপার আছে কি না, জানা নেই। তবে সে দেশে বাক্স্বাধীনতা আছে, এমন দাবি আমাদের দেশের কট্টর মিয়ানমারপ্রেমীও করবেন কি না সন্দেহ। কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি প্রতিবেদন লেখায় রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে মিয়ানমারের একটি আদালত কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সরব হলেও আমাদের এখানে তা কোনো ঢেউ তুলতে পারেনি। মনে হয়, এই দুই দেশের গণমাধ্যমের অবস্থায় সাদৃশ্য হয়েছে। সরকারকে চটালে তার ফল ভালো হয় না।

এ দেশে এই আইন তৈরির শুরুটা কখন কীভাবে হয়েছিল, জানি না। অনেকেই বলাবলি করেন, ফেসবুকে নানান উসকানিমূলক তথ্য ও মন্তব্যের লাগাম টেনে ধরার জন্যই নাকি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় ফেসবুকে হত্যা ও ধর্ষণের গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আছে। এটা মানতেই হবে যে এসব গুজব যাঁরা ছড়ান, তাঁদের অন্য মতলব থাকতে পারে।

প্রশ্ন হলো, সবাই কি গুজবে বিশ্বাস করেন? সবাই কি ফেসবুক ঘেঁটে তথ্য নেন এবং সে অনুযায়ী রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়েন? গুজব ছড়ানো যেমন নিন্দনীয়, তেমনি এ নিয়ে অতি প্রতিক্রিয়া দেখানোর কোনো মানে হয় না।

পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই গণমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের আড়াআড়ি। গণমাধ্যমকে তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে টিকে থাকতে হয়। টিকে থাকার জন্যই তাকে ক্রমাগত পেশাদার হয়ে উঠতে হয়। মিথ্যা বা ভুল তথ্য ছেপে খুব বেশি পাঠক বা দর্শককে বেশি দিন ধরে রাখা যায় না। তা যদি যেত, তাহলে চটকদার সংবাদ পরিবেশনকারী ট্যাবলয়েড বা অনলাইন মাধ্যমগুলো আরও জনপ্রিয় হতো। কিন্তু তা হয়নি।

মিথ্যা বলব না, তবে অপ্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বহীন সংবাদ প্রচার করে আমাদের বিটিভি তার আবেদন হারিয়েছে অনেক দিন আগেই। বিটিভি অনেক মানসম্মত অনুষ্ঠান তৈরি ও প্রচার করে, যেখানে বেসরকারি চ্যানেলগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে আছে। কিন্তু বিটিভির সংবাদ একেবারেই নীরস, একঘেয়ে এবং ক্লান্তিকর।

তবে সরকার যদি গণমাধ্যমের ‘অবাধ স্বাধীনতা’ না চায়, তাহলে বিটিভি ছাড়া অন্যদের সংবাদ প্রচার বন্ধ করে দিতে পারে। এ দেশে যখন বিটিভি ছাড়া অন্য কোনো টিভি চ্যানেল ছিল না, তখন সবাই কি বিটিভির সংবাদের জন্য মুখিয়ে থাকত? বিশ্বাস করত?

গণমাধ্যম যদি নিয়ন্ত্রিত হয়, কিংবা যদি এতে মনোপলি তৈরি হয়, তখন যোগাযোগের অনেক বিকল্প মাধ্যম ও প্রক্রিয়া তৈরি হয়ে যায়। আর এভাবেই এ দেশে সামরিক শাসন বা স্বৈরাচারবিরোধী জনমত তৈরি হয়েছিল। আন্দোলন গড়ে উঠেছিল।

আমরা যখন উপনিবেশ ছিলাম, আমাদের যখন গোলাম করে রাখা হয়েছিল, তখন আমাদের সবকিছু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছিল। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী শুরু থেকেই ছিল অসহিষ্ণু। সবকিছুর মধ্যেই তারা ষড়যন্ত্র দেখত। সরকারের সমালোচনা মাত্রই ছিল রাষ্ট্রদ্রোহ। ‘ডিফেন্স অব পাকিস্তান’ আইন বানিয়ে তারা বিরোধীদের দিনের পর দিন বিনা বিচারে জেলে আটকে রাখত। এর অন্যতম ভুক্তভোগী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এটা ১৯৫৬ সালের গোড়ার দিকের কথা। পাকিস্তান গণপরিষদে সংবিধান তৈরির তোড়জোড় চলছে। ৩ ফেব্রুয়ারির অধিবেশনে গণপরিষদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান স্পিকারের উদ্দেশে সংবিধানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাক্স্বাধীনতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনারা বলে থাকেন যে বাক্স্বাধীনতা মানেই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা।

আপনি কি জানেন যে, পূর্ববঙ্গে সম্পাদকদের ডেকে বলা হয়, আপনারা এটা ছাপাতে পারবেন না; আপনারা ওটা ছাপাতে পারবেন না। স্যার, তাঁরা সত্য কথা পর্যন্ত লিখতে পারেন না এবং আমি সেটা প্রমাণ করে দিতে পারি। পূর্ব বাংলা সরকার লিখুক আর কেরানি লিখুক, সেটা বড় কথা নয়। নির্দেশটা যায় সচিবালয় থেকে যে আপনি বিষয়গুলো সম্পর্কে লিখতে পারবেন না। সরকারের তরফ থেকে একজন ইনসপেক্টর গিয়ে নির্দেশনা দেন যে, আপনি একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে লিখতে পারবেন না।...

‘স্যার, আমরা সারা দেশের জন্য একটা সংবিধান তৈরি করতে যাচ্ছি। এখানে বসা ৮০ জন ব্যক্তির জন্য শুধু নয়। আমরা চাই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সুনির্দিষ্টভাবে নিশ্চিত করতে।...

‘এটা পরিষ্কারভাবে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে যে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকবে, তাঁরা তাঁদের ইচ্ছামতো বক্তব্য লিপিবদ্ধ করতে পারবেন এবং জনমত গড়ে তুলতে পারবেন।’

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তাঁর অনুগত সৈনিকদের আস্ফালন দেখে কি বিস্মিত হতেন? রাষ্ট্রকে হাতের মুঠোয় আনতে পারলে রাজনীতিবিদেরা কেমন বদলে যান!

  • মহিউদ্দিন আহমদ: লেখক ও গবেষক
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ সেপ্টেম্বর ২৪,২০১৮ 

Waning grant flow creating pressure on budget financing

BD's graduation to MIC

Jasim Uddin Haroon

The availability of foreign grant has been declining over the past few years, putting the government's budget financing under pressure.
Development partners now view that Bangladesh's gross national income (GNI) has increased, and that's why the country can get less grant or the aid which need not be repaid.

The government had received Tk 58.71 billion in fiscal year (FY), 2013-14 as grant. It dropped by nearly 58 per cent in FY 2014-15.

In FY 2015-16, the foreign grant fell by Tk 3.15 billion to Tk 21.69 billion, according to official statistics.

In FY 2016-17, the decline was Tk 7.01 billion at a time when the country's GNI rose to US$ 1,610 (per capita), up by $145 per capita from the previous FY.

In the last FY, 2017-18, the foreign grant flow was recorded Tk 7.51 billion, according to the government's estimate.

The fall was much lower than the government's expectation of Tk 40.0 billion a year on an average.

Bangladesh's per capita GNI in FY 2017-18 stood at $1,752, in FY 2016-17 at $1,610, in FY 2015-16 at $1,465, in FY 2014-15 at $1,316, and in FY 2013-14 at $1,184.

The Finance Division officials told the FE that the foreign grant flow has been gradually waning, as the country has become a lower middle-income country (MIC).

They said such type of fall hits hard the government's budget financing.

"This fall means the government has to raise domestic financing or borrow from external sources at higher cost," said an official concerned.

"If the present declining trend continues, the grant will drop to zero at one time," he opined.

In the meantime, the development partners said the grant inflow might rise to some extent in this FY, 2018-19, following Rohingya influx to Bangladesh, where they are funding in different infrastructure, shelter and other humanitarian projects.

However, an official said the grant pertaining to the Rohingya people is not meant for budget financing.

"World Bank (WB) and Asian Development Bank (ADB) have two big projects for the Rohingya people, but these are not part of the budget," he added.

ADB board of directors has approved grant assistance amounting to $100 million, the first of an envisaged package totaling $200 million to help Bangladesh develop basic infrastructure and services for the displaced Rohingyas.

WB has announced $480 million grant-based support to help Bangladesh address the needs of Rohingya refugees in health, education, water and sanitation, disaster risk management, and social protection.

Dr Zahid Hussain, lead economist at WB Dhaka office, told the FE that Bangladesh's GNI has increased in recent years, and for this many development partners are cutting their aid flow to the country.

The grant should go to the poor people across the globe for developing human skills through education, healthcare and disaster management, he added.

  • Courtesy: The Financial Express /Sep 24, 2018

Grand alliance's demands

EDITORIAL

Credible election is the overarching need


The three-point demand made by the Jatiya Oikya Prokriya should be looked at carefully by the government and not be dismissed off-hand. Although the first of their demands, which is the formation of a polls-time neutral government, is a matter that has been settled already by the Supreme Court, and the PM has talked about a poll-time government, it is important to ensure that the poll-time government is credible and acquires the trust of all stakeholders.

The second demand, which is the reconstitution of the Election Commission, however, should be made clearer. Given that the elections aren't too far away, we wonder whether tinkering with the EC would help at this point. However, what is important is for the EC to perform according to its mandate, rather than appear to be dancing to the tune of the administration, as it has been accused of doing in the recent past city corporation elections. Without a fair EC, elections will again be mired in controversy and people's right to choose their own representatives as guaranteed by the Constitution cannot be ensured.

Lastly, the third demand, dissolving the parliament before the announcement of election schedule, merits serious consideration. To contest in parliament seats that are not vacant is an unusual arrangement. And certainly a sitting MP contesting election for the seat he is holding will carry more weight and influence with the government functionaries in his constituency. That will not ensure a level playing field. And that is why parliaments are dissolved before elections in all democratic countries in the world.

In order to have credible elections, all political parties must have a say in the way elections are conducted. We hope the ruling party would recognise this and work towards holding elections that are acceptable to all parties and, most importantly, to the general public.

  • Courtesy: The Daily Star / Sep 24, 2018

Unpaid Wages: Workers block highway for over 5 hours


Garment workers of a factory blocked the Dhaka-Mymensingh highway for around five hours at Chhoydana Degerchala in Gazipur yesterday morning demanding arrears.

They also vandalised several vehicles and clashed with police, resulting in long tailbacks on the busy highway.

The workers of Knit and Knitex Private Ltd also claimed that the factory provided them with unsafe drinking water that made 50 of them sick.

They had blocked the highway around 10:00pm on Saturday but police drove them away. Around 10:00am yesterday, they put up a barricade in Chhoydana Degerchala area.

Jamil Yusuf, who was heading for Jamalpur in a bus from Dhaka, said he got stuck in Board Bazar area around 11:30am and his bus did not move for a couple of hours.

Sohel Borhan said he headed for Dhaka from Mymensingh in a car around 11:00am. He returned home after being stuck in traffic for two hours.

Ismail Hossain, officer-in-charge of Gachha Police Station, said the factory has around 1,200 workers. A few thousand workers of nearby factories joined in their agitation yesterday.

The agitating workers said the factory authorities paid them half their pay for August before Eid-ul-Azha and promised the rest at the beginning of this month.

The factory owners set several dates for payment but failed to pay, the workers alleged.

Shahed Pathan, additional superintendent of Gazipur Industrial Police, said the workers vandalised some vehicles. Police tried to persuade them to leave and later tried to chase them away to clear the highway.

At one stage, the workers started hurling brick chunks at police, who retaliated with teargas.

The workers left around 2:45pm following meetings with police, labour organisations and factory authorities.

Mostak Ahmed, knitting operator of the factory, claimed that the owners were planning to close the factory without paying the workers. More than 50 workers became sick Saturday night after drinking unsafe water given in the factory, he added.

Shamim Parvez, administrative officer of Tairunnessa Memorial Medical College and Hospital in Gazipur, said about 40 workers of the factory took treatment there on Saturday night and all of them were released in the morning.

Pronoy Bhusan Das, resident physician of Gazipur Shaheed Tajuddin Ahmad Medical College Hospital, said 10 workers were released yesterday morning after treatment.

The factory authorities could not be reached for comments.

  • Courtesy: The Daily Star /Sep 24, 2018

Writ seeks independent body to probe 4,000 ‘fictitious cases’



A writ petition was filed with the High Court on Sunday seeking its directive to the home secretary for the formation of an independent committee for probing 4,000 ‘fictitious cases’ filed against BNP leaders and activists across the country in September.

Three senior lawyers of BNP - former vice-chairman of Bangladesh Bar Council Khandaker Mahbub Hossain, former minister lawyer Nitai Roy Chowdhury and BNP’s law affairs secretary lawyer Sanaullah Mia - filed the writ petition.

The home secretary, inspector general of police, Dhaka metropolitan police commissioner, deputy commissioner of detective police (north zone), additional deputy commissioner of Ramna zone police commissioner, Ramna and Shahbagh police stations officers-in-charge were made defendants in the write petition.

The petitioners also demanded a directive to include representatives from the United Nations Human Rights Commission, Human Rights Watch, Amnesty International and Asian Human Rights Commission.

Besides, they sought issuance of a rule for taking action against those who were involved in filing the ‘fictitious cases’.

Khandaker Mahbub Hossain said the cases were filed to create panic among BNP leaders and activists ahead of the national election.

The hearing on the writ is likely to be held at the HC bench of Justice Hasan Arif and Justice Ahmed Sohel, he said.

  • Courtesy: New Age /Sep 24, 2018