Search

Wednesday, October 10, 2018

নির্বাচনের আগে শিক্ষা প্রশাসনে নিয়োগ-পদোন্নতির হিড়িক

নূর মোহাম্মদ 

নির্বাচনের আগে শিক্ষা প্রশাসনে বড় ধরনের নিয়োগ ও পদোন্নতির তোড়জোড় চলছে। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে বড় ধরনের নিয়োগ ও পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। আরো কয়েকটি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। নির্বাচনের আগেই এসব নিয়োগ ও পদোন্নতি শেষ করতে চায় সরকার। ক্যাডার থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এসব নিয়োগ ও পদোন্নতি চলছে। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনার পর অপেক্ষমাণ যত পদোন্নতি ও নিয়োগ রয়েছে সব শেষ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে শিক্ষা ক্যাডারে সহযোগী অধ্যাপক থেকে রেকর্ড সংখ্যক ৪০৯ জনকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। পদ না থাকার পরও ৪০৯ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

একইভাবে সহকারী থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়ার জন্য আগামী ১৪ই অক্টোবর বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি (ডিপিসি) সভা ডাকা হয়েছে। পদ না থাকার পরও এ পদে হাজারের বেশি পদোন্নতি দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। এ পদে ২১ ব্যাচের সবাইকে পদোন্নতি দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে মাউশি’র সংশ্লিষ্ট শাখা। এরপর চলতি মাসেই প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপকে আরো বড় ধরনের পদোন্নতি দেয়ার প্রস্তুতি সেরে রেখেছে মাউশি। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, অধ্যাপক পদে যাদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে সবাই পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে ২০১৩ সালে। পদের কারণে তাদের পদোন্নতি দেয়া যাচ্ছিল না। একইভাবে সহযোগী ও সহকারী পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। তিনি বলেন, পদোন্নতিতে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই।

এদিকে নির্বাচনের আগে সরকারি বিদ্যালয় থেকে বেসরকারি বিদ্যালয় সব পর্যায়ে নিয়োগ দেয়ার তোড়জোড় চলছে। ইতিমধ্যে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪২০ জন শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৭১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা এবং ৫২ জন সহকারী মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। নিয়োগের ২৭ বছর পর পদোন্নতি পেলেন তারা। এই পদোন্নতির মধ্য দিয়ে ওই শিক্ষকরা নবম গ্রেডে অর্থাৎ প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত হলেন। আর সারা দেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে ১৩৭৮ জন শিক্ষক। প্রথমবারের মতো পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) অধীনে এ নিয়োগ দেয়ার জন্য গত ৯ই সেপ্টেম্বর পিএসসি এ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। গত ১০ই সেপ্টেম্বর থেকে ৮ই অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন চলে। শিগগিরই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করবে পিএসসি। তারা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদায় নিয়োগ পাবেন। বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বাংলায় ৩৬৫ জন, ইংরেজিতে ১০৬ জন, গণিতে ২০৫ জন, সামাজিক বিজ্ঞানে ৮৩ জন, ভৌতবিজ্ঞানে ১০ জন, জীববিজ্ঞানে ১১৮ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ৮ জন, ভূগোলে ৫৪ জন, চারুকলায় ৯২ জন, শারীরিক শিক্ষায় ৯৩ জন, ধর্মে ১৭২ জন এবং কৃষি শিক্ষায় ৭২ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। 

অন্যদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা) ৩৮ হাজার ৮০০টি শিক্ষকের শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়োগ নির্বাচনের আগে শেষ করতে চায় সরকার। এজন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যাচাই বাছাই করে সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা কিছুটা শিথিল করা হচ্ছে। প্রথমবারের মতো সরকারি হাইস্কুলের ৫৫০০ হাজার সহকারী শিক্ষককে ‘সিনিয়র শিক্ষক’ পদে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। সরকারি হাইস্কুল শিক্ষকদের নতুন চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকের মোট পদের অর্ধেককে নতুন এ পদে পদোন্নতি দিতে কার্যক্রম শুরু করেছে মাউশি। সহকারী শিক্ষক থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের প্রমার্জন করে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

আর পদোন্নতি তালিকায় আছে শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকরা। তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার প্রস্তাবে জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি রয়েছে। এর ফলে শিক্ষকরা দশম গ্রেডে বেতন পাবেন। শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ (টিটিসি), সরকারি আলীয়া মাদরাসাসহ সারা দেশে ৩২৭টি পুরাতন সরকারি কলেজসহ সদ্য সরকারি হওয়া ২৯০টি কলেজ সরকারি কলেজে শারীরিক শিক্ষকদের পদ সংখ্যা ৬০৭টি। দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত হলে নতুন সরকারি কলেজে পদ সৃজন হলে সেসব কলেজের শিক্ষকরাও সমমর্যাদা পাবেন। এ ব্যাপারে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর আব্দুল মান্নান মানবজমিনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে পদোন্নতি ও নিয়োগ বন্ধ ছিল। 

এ জট খোলার উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে নির্বাচন কোনো বিষয় না। তিনি বলেন, এসব শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। শুধু যে গণহারে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে তাই না, তাদের এসিআর (বার্ষিক গোপন প্রতিবেদন) যাচাই-বাছাই করে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করেই পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ ১০ অক্টোবর ২০১৮ 

Revise Digital Security Act

UNHR office wants govt to act now so arbitrary arrests, curbs avoided


The United Nations Human Rights office has called for urgent revision of the Digital Security Act in a bid to ensure checks and balances against arbitrary arrests and other undue restrictions.

The call came in response to the newly enacted Act that has drawn serious concerns over press freedom and the right to freedom of expression.

“We call on Bangladesh to urgently revise the Digital Security Act, to ensure that it is in line with international human rights law and that it provides for checks and balances against arbitrary arrest, detention, and other undue restrictions of the rights of individuals to the legitimate exercise of their freedom of expression and opinion,” said a UN spokesperson.

“We stand ready to assist the Government,” said Ravina Shamdasani, the spokesperson for the Office of the High Commissioner for Human Rights (OHCHR), at a press briefing in Geneva yesterday.

Earlier on Monday, President Abdul Hamid signed the bill into law amid wide-spread concern, criticism and protest against it both at home and abroad.

Shamdasani anticipated that the new law would seriously impede freedom of expression as well as the right to liberty of the people.

“The Act could have a severe impact on the work of journalists, bloggers, commentators and historians but [it] also penalises the legitimate exercise of the right to freedom of expression by any other individual, including on social media,” she said.

The law contains vague provisions that could impose long-term prison sentences up to seven years or a fine for any statement posted online that might disrupt the law and order situation, hurt religious feelings or ruin communal harmony, said the spokesperson.

Any kind of propaganda or publicity against the “Spirit of the Liberation War”, national anthem or national flag is punishable by imprisonment up to 10 years on first offence and/or a fine of Tk 10 million (nearly $120,000).

Provisions linked to digital offences under the colonial-era Official Secrets Act carry penalties of 14 years' imprisonment, and life imprisonment for repeat offenders.

“The Act gives the police wide powers of search and arrest without warrant. Many of the offences in the Act are unbailable. This is of particular concern given concerns about due process in Bangladesh,” said Shamdasani.

The Act also provides broad powers to the government to restrict and intercept digital information, she added.

Shamdasani told the press briefing that the law as it stands does not meet Bangladesh's obligations under the International Covenant on Civil and Political Rights, including provisions to respect and protect the right to be free from arbitrary arrest under Article 9; to protect from interference with privacy and correspondence under Article 17, and to guard freedom of opinion and expression under Article 19.

During the Universal Periodic Review by the UN Human Rights Council on September 20, the day after the act was initially adopted by Parliament, the government of Bangladesh agreed to recommendations relating to the freedom of expression and bringing national legislation in compliance with its international obligations.

However, Shamdasani said despite pledges to revisit the problematic provisions of the Act, it was signed into law.

Courtesy: The Daily Star Oct 10, 2018

Six months for release order to reach jail?

EDITORIAL

Decrepit state of bureaucratic efficiency


We really do not know what to say about the manner in which an innocent man, who passed 13 long years in Khulna jail on death row, died without seeing his family. The High Court declared Obaid innocent six months ago, by which time he was fighting a losing battle against colon cancer. Due to the excruciatingly slow pace with which our bureaucracy works, the paperwork for his release order only reached Khulna jail after six months, ironically, on the same day that Obaid died!

Obaid's case is a shoddy, horrendous example of the bureaucratic red-tape culture that has engulfed every facet of government. All he wanted was to spend his dying days in the company of his family, which he had been deprived of for 13 long years for a crime he did not commit. But then, Obaid is just another nameless ordinary citizen of this country for whom nothing but injustice was in store.

We wonder how many more such Obaids are languishing in the prison system, and like Obaid, their release orders may come too late. We hope that an inquiry into this sordid affair is launched to hold those responsible to account, because until we can establish accountability there will be no end to this state of affairs. The poor man was not able to die in peace surrounded by family. What could be more pathetic than that?

Courtesy: The Daily Star Editorial Oct 10, 2018

ওসমান ও হিরু নৌমন্ত্রীর অনুসারী, তারা চান না চালকরা প্রশিক্ষিত হোক - ইলিয়াস কাঞ্চন

আরাফাত সেতু

ইলিয়াস কাঞ্চন নায়ক হিসেবে সুপরিচিত হলেও, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করছেন অনেক বছর ধরে। প্রায়ই তাকে পরিবহন মালিক- শ্রমিকদের রোষানলে পড়তে হয়। সম্প্রতি তাকে বাস টর্মিনালগুলোতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।

দেশের সব বাস টার্মিনাল থেকে আপনাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। কারা অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে?

ইলিয়াস কাঞ্চন: গত রোববার ফুলবাড়িয়াতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ একটি সমাবেশ করেছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, একই সংগঠনের সহ-সভাপতি ছাদেকুর রহমান হিরুসহ পরিবহন খাতের অন্যান্য নেতারা। হিরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশ থেকেই আমাকে অবাঞ্ছিতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

আপনাকে কেন অবাঞ্ছিত করা হল?

ইলিয়াস কাঞ্চন: চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা তাদের একদিনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার চিন্তা করেছিলাম। সেই কারণে অনেকগুলো টার্মিনালের পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের আমরা অনুরোধ করেছিলাম যে, সামনে ২২ অক্টোবর আমরা চালকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে চাই। তারা বলেছিলেন অনুমতির ব্যাপারে আমাকে জানাবেন। কিন্তু তা না করেই তারা আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলেন।

ওসমান আলী ও ছাদেকুর রহমান হিরু নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের অনুসারী। তারা কেউই চান না যে চালকরা দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হোক। তারা যেটা চান তা হল- যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলুক। চালকরা দুর্ঘটনা ঘটাবে, এদের কোনো বিচার করা যাবে না।

কারণ পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা দেখেছেন যে, আইন নিয়ে কথাবার্তা যা কিছু হয়েছে, সেক্ষেত্রে আমিই একমাত্র মুখ খুলেছি। সংসদীয় কমিটির সঙ্গে আমিই বসেছি। সেই কারণে পরিবহন সেক্টরে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা আমাকে সমস্যা হিসেবে মনে করছেন।

যারা সড়ক পরিবহন আইনের বিরোধিতা করছেন, তারা ভালো করেই জানেন যে- তাদের জন্যই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোকে তারাই রাস্তাঘাটে নামিয়েছেন। তাদের ব্যবস্থাপনা অদক্ষ। চালকদের দক্ষতা ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। দুর্ঘটনা রোধে নেতারা চালকদের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ না করে, আইন যেন তাদের ওপর প্রয়োগ না হয় সেটিই চাইছেন। কেউ অন্যায় করবে কিন্তু শাস্তি পাবে না- পৃথিবীর কোথাও বোধহয় এমন নিয়ম নেই।

পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের এই ঘোষণা আপনাকে বিচলিত করে?

ইলিয়াস কাঞ্চন: এ রকম হুমকি এটিই প্রথম নয়। স্কুলের বাচ্চাদের আন্দোলনের সময়ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও খুলনায় আমার ছবি পুড়িয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ২০১২ সালেও শহীদ মিনারে বিশাল সমাবেশ ডেকে আমার ছবিতে জুতার মালা পরিয়েছিল তারা। পরে ছবিতে আগুনও দিয়েছে। এতে কী আসে যায়। আমি ভীত বা বিচলিত কোনোটাই নই। আমার কাজ আমি করে যাবই।

আমি তো তাদের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করছি না। আমি কাজ করছি সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে এবং তা কিভাবে রোধ করা যায় সেজন্য। সে কারণে যেখানে আইনের কথা বলা দরকার, আমি বলছি। কারণ আইন ছাড়া তো সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয়।

আপনি ও আপনার পরিচালিত সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) তো বাসচালক ও সহযোগীদের সচেতনতায় কাজ করছে, পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের এমন কথার কারণে কি আপনাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে?

ইলিয়াস কাঞ্চন: আমরা এসব হুমকিতে ভয় পাই না। এতে আমাদের কাজ বাধাগ্রস্ত হবে না। নিসচা আগের মতোই তার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। এখন পরিষদের নেতারা যদি চালকদের প্রশিক্ষিত করতে না চান, তাহলে আমাদের একটি উদ্যোগ হয়তো বাধাপ্রাপ্ত হবে। শুধু চালকদের প্রশিক্ষণটিই মুখ্য নয়, পথচারী, যাত্রী, সাধারণ মানুষ এবং সরকার সবাইকে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। চালকেরা যদি প্রশিক্ষিত হতে না চান, বিরোধিতা করেন, তাহলে আমরা বাকি জায়গাগুলোতে কাজ করব।

সম্প্রতি পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের জন্য সাত দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

ইলিয়াস কাঞ্চন: আমার মনে হয়েছে, এ ব্যাপারে আমার চেয়ে বেশি চিন্তিত থাকা উচিত সরকারের। সরকারের মধ্য থেকেই তারা আমাকে অবাঞ্ছিত করেছে। সরকারের মধ্যে যারা আছেন, তাদের যে ফেডারেশন, তারাই এই কাজগুলো করছেন। সরকার এই ধরনের লোককে মন্ত্রিপরিষদে রাখে কারণ তারা সরকারকে বোঝাচ্ছে তারা নাকি দুই কোটি ভোটার, কিন্তু বাকি আট কোটি ভোটার তো বাকি থাকল। তাহলে এই আট কোটি ভোটারের কথা চিন্তা করবে সরকার, নাকি তথাকথিত দুই কোটি ভোটারের কথা ভাববে সেটি সরকারের সিদ্ধান্ত।

সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের জন্য সরকারকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। অন্যথায় ১৩ অক্টোবর থেকে সারাদেশে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘটের হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আপনার কি মনে হয় আইনটি সংশোধন করা উচিত সরকারের?

ইলিয়াস কাঞ্চন: পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ সবসময় তাই করে আসছে। এরা সরকারের দুর্বল মুহূর্তগুলোতে আঘাত করে করে দাবি আদায় করে নিচ্ছে। ১৯৮৩ সালে এরশাদ সরকারের আমলে সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান ছিল। এরশাদ সরকারের পতনের সময়েও এই পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আন্দোলন করে তিন বছরের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইনটি পরিবর্তন করতে বাধ্য করে। যখনই নির্বাচন ঘনিয়ে আসে তখনই পরিষদ সংশ্লিষ্টরা আন্দোলনে নেমে তাদের দাবি আদায় করে নেয়।

অথচ তারা নিজেরা দক্ষ হয় না। দুর্ঘটনা যাতে কমে, সড়কে যাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসে, মানুষ যাতে স্বস্তিতে চলাচল করতে পারে এমন সেবা দেওয়ার পক্ষে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই।

রাষ্ট্রপতি যেহেতু আইনটি এখনও অনুমোদন দিয়ে সই করেননি, সেক্ষেত্রে একটি খটকা থেকেই যায়। এখন সরকার আইনটি বাস্তবায়ন করবে, না পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সংশোধন করবে তা সরকারের ব্যাপার।

  • Courtesy: The Daily Star Bangla /Oct 09, 2018 

Trouble-torn DEE faces yet another disruption

PPP project to change its pier design

Munima Sultana


The design of piers for the Dhaka Elevated Expressway (DEE), a public-private partnership (PPP) project, has been changed halfway through the first phase work of the project, sources said.

They said the Thai concessionaire of the PPP project changed the pier design for the remaining two segments from Banani to Kutubkhali, giving in to the demand of the Bangladesh Railway (BR).

With this, experts said, the expressway project continued to face changes in the design while trying to solve various alignment-related problems on a piece-meal basis.

DEE alignment over the railway corridor was selected to avert the troubles of land acquisition though BR's land in many places is narrow.

The Bangladesh Bridge Authority (BBA), the executing agency of the Tk 87.03 billion project, initiated the DEE project in 2009 without any feasibility study and completed the tender process before even finalisation of the PPP policy and PPP law. It, however, carried a feasibility study lately without following proper procedure.

The BBA signed the concessionaire agreement rather hastily with the Thai company named Italian-Thai Development Public Company in January 2011 but revised it in December 2013 creating disruption to the project's design for the first time. Two important ramps of the project at Mohakhali and Farmgate were dropped from the original plan. However, there will be two other ramps at those places.

Sources said as per the latest change in design, the piers of the 27-kilometre elevated part of the route from Banani will be constructed by following the portal frame shape to keep space for constructing two more railway tracks under the expressway. The first tranche work on the DEE runs between the Airport Station and Banani with the piers designed mostly Y-shaped.

The most part of the DEE, planned to link the Hazrat Shahjalal International Airport (HSIA) with Dhaka-Chattogram highway at Kutubkhali point, will be built along railway track between Dhaka Cantonment and Kamalapur Railway Station.

Sources said the BR expressed reservation about the Y-shaped piers to BBA as it would block the railway's future expansion plan to launch high speed train, double decker trains, etc. Existing two tracks have already been saturated for operating more than 72 trains per day from the central station at Kamalapur.

"We placed the demand for the sake of safety," said a BR official involved in the design-related negotiation.

Sources said tripartite meetings held during the last couple of months, design experts of the Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET) and the Thai concessionaire agreed to leave a space of 15 to 16 feet vertically with a width of 65 feet.

The project manager of the Italian-Thai, however, said, the pier sizes from the second part of the corridor were expanded keeping the design same. "There is in fact no change in the design. We have expanded the design," he told the FE.

Bhaskon Khannabha, who is in-charge of the company here, said they accepted the change as part of the risk of the project.

"We are trying to overcome the challenges bit by bit," he told the FE at the site office of the DEE project.

The increase in cost of the construction with the design changes was, however, not disclosed by any of the PPP parties. The Thai official expect good return due to heavy city traffic.

According to the concessionaire agreement, a car using the entire corridor will pay Tk 125 and the interchange rate is Tk 100. The fare for bus will be Tk 250 and truck between Tk 500 and Tk 625. The interchange rates for bus and truck are Tk 200 and Tk 400-500.

The Thai company could not start construction until mid-2016 due to its inability to manage required US $ 850 million fund. The BBA also failed to hand over 76 acres of land including seven acres private land to the concessionaire in the first segment in time.

According to sources, the Thai company already spent $ 100 million from its own equity fund of $ 250 million. The government's share in the DEE project in the form of vulnerable gap funding is more than $ 300 million.

The Italian-Thai started the first tranche work in 2016 and could achieve 25 per cent progress in the work. The progress in the overall work was 10 per cent. The second segment work runs up to Maghbazar-Hatirjheel and the last up to Kutubkhali.

Commencement of the project's 25-year concessional period was, however, announced on April 1 last. This means the company spent six months of its three years and a half of construction period. The construction period is part of the company's enjoyment of 25-year ownership of the expressway.

Sources said challenges of the DEE project are yet to be overcome. The authorities will have to overcome challenges arising from the mass rapid transit lines, the Maghbazar flyover and the Mayor Hanif Flyover before they proceed with the work on the second and third trenches.

The government's share in the project is also to increase as more private land is required to be acquired. The BBA has already spent Tk 27 billion out of Tk 68.69 billion set aside under a separate project for purposes including land acquisition and resettlement for the expressway.

The BBA took several years to hand over 76 acres of land for the first tranche. Though the second and third tranches will use mostly BR's land on the profit-sharing basis, the BBA will also have to acquire 17 acres of land including four acres of private land at Tejgaon and Maghbazar for the ramps.
  • Courtesy: The Financial Express/Oct 10, 2018

Tuesday, October 9, 2018

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সমলোচকদের কণ্ঠরোধ করবে

সিএনএনে প্রকাশিত লেখার অনুবাদ


একটি বিতর্কিত নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুমোদন করেছেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। বিভিন্ন অধিকার বিষয়ক গ্রুপ আশঙ্কা করছে, এই আইনটি সংবাদ মাধ্যম ও অনলাইনে ভিন্ন মতাবলম্বীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে আরো খর্ব করতে ব্যবহার করা হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সোমবার অনুমোদন করেন প্রেসিডেন্ট। এ আইনটিতে রয়েছে ঔপনিবেশিক আমলের অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন বিষয়। এতে কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশকে দেয়া হয়েছে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা। 

নতুন এই আইনের বিষয়ে কথা বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা এ আইনের বিষয়ে বলেছে, এটা হলো মুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি ভয়াবহ এক বিধিনিষেধ আরোপ।

যেসব মানুষ অনলাইনে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে তাদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হতে পারে এই আইন। 
এতে বেশ কিছু ধারা অস্পষ্টভাবে রয়েছে বলে সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সাংবাদিকরা। তারা বলছেন, নতুন এই আইন মুক্ত মত প্রকাশের ক্ষেত্রে হুমকি। 

এর মধ্যে রয়েছে সেকশন ২৫(ক)। আক্রমণাত্মক ও ভীতিকর কোনো তথ্য প্রকাশ করলে এ ধারার অধীনে ৩ বছর পর্যন্ত জেলের বিধান রয়েছে। যেসব তথ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে, বিশংখলা সৃষ্টি করে, বিঘœ ঘটায়, আইন শৃংখলা পরিস্থিতিতে বিঘণ ঘটায় এমন তথ্য প্রকাশ করলে সেকশন ৩১ এর অধীনে ১০ বছর পর্যন্ত জেল দেয়ার বিধান রয়েছে। 

এই আইনটি ১৯ শে সেপ্টেম্বরে পাস করে জাতীয় সংসদ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) স্থলে আনা হয়েছে এই আইন। তবে এ আইনেরও কড়া সমালোচনা করেছেন সাংবাদিকরা ও মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের প্রফেসর ও কলামনিস্ট ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নামে এটা হলো সবচেয়ে অন্ধকার সময়। অন্যদিকে সমালোচনাকে  উড়িয়ে দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন। বলেছেন, ডিজিটাল জগত ও সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় সেফগার্ড হলো এই ডিজিটাল আইন। তিনি সিএনএন’কে বলেন, এটা গণমাধ্যম বা গণতন্ত্র বিরোধী আইন নয়। 

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের বিশ্ব মুক্ত মিডিয়া বিষয়ক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান হলো ১৪৬তম। এক্ষেত্রে মিয়ানমার, কম্বোডিয়া ও দক্ষিণ সুদান থেকেও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ২০০২ সালে যখন এই সূচক প্রণয়ন শুরু হয় তখন বাংলাদেশ ছিল ১১৮তম স্থানে। সেখান থেকে অনেকটা নেমে গেছে। 

গত মাসে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট। তিনি বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি মুক্ত মত প্রকাশকে দমিয়ে রাখতে এবং ক্রিমিনালাইজ করতে ব্যবহার করা হতে পারে। এতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ক্ষতি হবে।

জোরপূর্বক গুম

এ বছরের শেষের দিকে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তখন বিরোধীদের কন্ঠকে স্তব্ধ করতে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে। এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে এলো নতুন আইনটি। এ মাসের শুরুর দিকে ঢাকা ভিত্তিক মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপ অধিকার জোরপূর্বক গুমের বিষয়টি তুলে ধরে। তারা তাতে দেখায় যে, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী ও অধিকারকর্মীদেরকে জোর করে গুম করা হচ্ছে। শুধু সেপ্টেম্বরে কোনো ব্যাখ্যা ছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তুলে নিয়েছে ৩০ জনকে। বছরের প্রথম আট মাসে মোট ২৮ জনকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে তুলনায় এ সংখ্যা অনেক বেশি। সেপ্টেম্বরে যারা নিখোঁজ হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার নিশ্চিত করা হয়েছে বিলম্বে। 

অধিকার বলছে, তিনজনকে পাওয়া গেছে মৃত অবস্থায়। একজন এখনও নিখোঁজ। অধিকার আরো বলছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের জোরপূর্বক গুমের আতঙ্ক এখন বাস্তব হয়ে উঠছে। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে নিখোঁজ হলো একটি আতঙ্কের পরিবেশ। 

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবি জ্যোতির্ময় বড়–য়া বলেছেন, প্রতিটি দিনেই মানুষ নিখোঁজ হচ্ছেন। এমন কি নেতাকর্মীরা একটি শান্তিপূর্ণ র‌্যালি করতে পারছেন না। সরকার ভিন্ন মতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধ করতে চায়। তারা জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়। 

আরেকটি রিপোর্টে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে সভা সমাবেশ ও প্রতিবাদে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইসহানুল করিম।

সুপরিচিত ফটোসাংবাদিক শহিদুল আলমের সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে যখন তোলপাড় হচ্ছে, নিন্দা জানানো হচ্ছে তখনই এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অধিকার। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে আল জাজিরাকে একটি সাক্ষাতকার দেয়ার পর দুই মাসের বেশি সময় জেলে বন্দি আছেন শহিদুল।

কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সহ ২৫টি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। তাতে অবিলম্বে শহিদুল আলমের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে তার মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের লঙ্ঘন বলে সমালোচনা করা হয়েছে। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ ০৯ অক্টোবর ২০১৮

PMO asks NBR to find reasons behind foreign investors leaving country

Suggests holding meetings with trade-bodies

Doulot Akter Mala


The Prime Minister's Office (PMO) has asked the National Board of Revenue (NBR) to find reasons behind the departure of some large foreign investors.

In a recent meeting, the PMO wanted to know whether the NBR could do something to bring back their investment.

PMO Principal Coordinator SDG (Sustainable Development Goals) Affairs Md Abul Kalam Azad said some major industrial units and airlines are withdrawing their business operations from Bangladesh.

"NBR will have to examine the reasons behind their departure, and consider possible measures in this regard," he said in the meeting, according to officials who were present at the meeting.

An aviation sector source said since January last, four foreign airlines have left Bangladesh. They are -- Bangkok Airways, Thai Smile, Oman Air, and Etihad Airways.

Besides, Glaxosmithkline has closed operations of its pharmaceuticals plant in Bangladesh.

Sources said such withdrawal of investment may give a negative signal to potential investors, if the government fails to address the issue properly.

PMO Principal Secretary and former chairman of NBR Md Nojibur Rahman chaired the meeting, held at the PMO recently. The meeting was organised to review the activities of the NBR.

Directives of the meeting have been forwarded to the NBR for taking necessary actions.

According to the decisions of the meeting, NBR will have to organise meetings between PMO, the Bangladesh Investment Development Authority (BIDA), the Federation of Bangladesh Chambers of Commerce and Industry (FBCCI), the Metropolitan Chamber of Commerce and Industry (MCCI), the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA), the Chattogram Chamber of Commerce and Industry (CCCI) and other major business associations.

Through the meetings, the NBR would try to find out what type of support the business community wants from it.

Different trade associations, in earlier meetings with PMO, have raised their various problems relating to tax and other issues.

Those issues can be addressed through the planned meetings, according to a working paper of the PMO meeting.

The NBR will also have to be cautious in checking tax evasion by some dishonest businesses, and also strengthen its surveillance.

The PMO also asked the NBR to strengthen efforts to thwart tax evasion by illegal foreign workers in Bangladesh.

"The NBR's initiative to prepare a database of foreign workers in Bangladesh has to be finalised on an urgent basis," one of the directives said.

Besides, the NBR will have to place the draft Customs Act 2018 before the parliament in the next session.

The board will also have to expedite drafting of the new income tax law in Bangla in line with the finance minister's budgetary promise.

The NBR's Customs wing will have to take effective preventive measures to check entry of import-restricted items, such as - radioactive explosive materials, and drone or any other products that can pose threat to national security.

In the meeting, the PMO principal coordinator said the Income Tax, VAT and Customs wings should conduct analysis what effective role they could play to deliver similar services in the country's rural areas like the urban areas.

High officials of NBR presented updates on tax revenue collection, digitization of tax administration and other reform activities at the meeting.

  • Courtesy: The Financial Express/ Oct 09, 2018

Banks can now lend more as BB relaxes CRR, SLR rules

Siddique Islam


Commercial banks have been empowered to lend more as the central bank has relaxed cash reserve requirement (CRR) and statutory liquidity ratio (SLR) rules.

Officials said the banks are allowed to maintain both CRR and SLR with the Bangladesh Bank (BB) only for net investment in subordinate bonds instead of the previous gross investment amount.

The central bank issued a circular with two reporting formats on Monday, saying it will come into force with immediate effect.

Currently, the banks have issued subordinate bonds worth around Tk 150 billion to consolidate their capital base in line with the Basel-III framework.

"We've revised CRR and SLR rules to help the banks improve loanable funds that may also be lent to their prospective clients," explained a senior BB official.

About the revisions, he told the FE that the revised policies will help the banks bring down interest rates on lending through reducing the cost of funds.

The banks have been allowed to comply with the CRR and SLR rules separately since 2014 for implementing monetary policy effectively.

Under the existing rules, they will have to maintain 5.50 per cent CRR with the central bank from their total demand and time liabilities on a biweekly basis.

Besides, the banks are now allowed to maintain the reserve at 5.00 per cent on a daily basis, but the biweekly average has to be 5.50 per cent in the end.

The CRR will have to be maintained with local currency (Bangladesh taka) only.

The day-end balances of the current accounts maintained with different offices of the BB will be aggregated to compute the maintained cash reserve of the day.

On the other hand, the SLR requirement is now 13 per cent daily for conventional banks and 5.5 per cent for Islamic Shari'ah-based banks and Shari'ah-based banking of conventional banks of their average total demand and time liabilities.

The eligible components for maintaining liquidity reserve are cash in tills (both local and foreign currency), gold, daily excess reserve (excess of cash reserve) maintained with the BB, balance maintained with the agent bank of BB and un-encumbered approved securities as defined in the Banking Companies Act.

The BB will issue a separate directive allowing the banks to add net investment to such bonds as their total time and demand liabilities to meet the advance-deposit ratio (ADR), according to another official.

"We'll issue another circular for [banks'] compliance with the ADR rules shortly," the central banker added.

Such revised calculation formula for the ADR will help banks improve their lending capacity without receiving fresh funds from different sources, he explained.

Under the revision, the banks' net investment in the subordinate bonds will be considered as deposit in calculation of their ADRs.

Talking to the FE, Syed Mahbubur Rahman, chairman of the Association of Bankers, Bangladesh (ABB), said such revisions will help increase the banks' lending capacity.

Ali Hossain Prodhania, managing director of Bangladesh Krishi Bank, said it will help improve the flow of liquidity in the banking sector to some extent.

The BB had extended the deadline by three more months to implement the revised limit of ADRs by the banks.

Under the extended timeframe, the banks having ADRs above re-fixed limit are allowed to implement the revised limit of ADRs by March 31, 2019, instead of December 31, 2018.

The ADR is re-fixed at 83.50 per cent for conventional banks and 89 per cent for Shariah-based Islami banks.

The existing ratios are 85 per cent and 90 per cent respectively.

  • Courtesy: The Financial Express /Oct 09, 2018

Oil spill threatening Meghna, unheeded for 5 days

Farhana Mirza


A tanker capsized in the Meghna last Friday, spilling unrefined petroleum in the river – what is still spreading all over without any steps for remediation.

This correspondent reports, an oil tanker of privately-owned Bengal Electronics capsized last Friday due to storm, spilling and spreading oil since.

Spilled oil has been spotted through Raghuchar village, on the banks of Meghna. Also, the oil refinery of Bengal Electronics Limited is situated beside the village.

So far, there has been no efforts towards a cleanup.

Bengal Electronics Ltd Managing Director Md Salamat Ullah acknowledged the spill and claimed that “there was very little oil in the tanker which has spilled into the river”.

Local villagers have said, the tanker was fully laden.

Jamal Uddin, a villager, told The Daily Star they saw the oil first on Saturday morning – spread through a few kilometres. “The water hyacinths and river banks are black with oil. We are not being able to use the water for daily purpose.”

Local fisherman Akter Hossain said, he found dead fishes on several parts of the river after the oil spill. “We aren’t getting as much fishes after the oil spill.”

Union Parishad Member Muktar Hossain told The Daily Star the oil spill might have adverse impact on the local environment if the oil is not cleaned up soon.

Contacted, Gazaria Upazila Nirbahi Officer (UNO) Tasmin Zebin Binte Sheikh told The Daily Star she came to know about the incident on Monday. She assured of taking steps in this regard after consultation with the department of environment.

  • Courtesy: The Daily Star/ Oct 9, 2018

Crisis of doctors at upazila hospitals

EDITORIAL

People at the grassroots suffering as a result


We thank the prime minister for highlighting a major concern in the healthcare sector at a physicians' conference recently: absence of doctors at upazila-level hospitals. The problem of inadequate number of doctors at upazila hospitals has been plaguing the healthcare sector for a long time.

For instance, as of the first week of June this year, there were only four doctors for half a million people in two upazilas in southern Barguna district, according to a leading Bangla daily. A similar scenario was found in Shyamnagar upazila of Satkhira, where 30 out of 34 posts remained vacant. As per Directorate General of Health Service's (DGHS) data, more than half of medical officers' posts at the upazila level in the country—55.2 percent—are vacant. This is simply unacceptable. Due to an acute shortage of physicians, people at the grassroots are being deprived of essential healthcare services.

Unfortunately, doctors overwhelmingly opt for transfers to cities—lured by the more lucrative alternative of private practice—leading to the absence of specialised physicians at upazila health complexes for prolonged periods of time. Many doctors officially occupy medical officers' posts at upazila hospitals but are willingly refraining from showing up and providing their service which can only be described as unethical.

The fact is that healthcare services have become Dhaka-centric which defeats the purpose of universal health coverage—a commitment the government has made in accordance with the 2030 Global Agenda. Thus there is an urgent need to decentralise the healthcare sector and think of ways to incentivise doctors to serve hospitals at the upazila level. The DGHS should also play a more prominent role in ensuring that medical officers' posts are filled up by qualified, ethical physicians.

  • Courtesy: The Daily Star /Oct 9, 2018