Search

Wednesday, October 24, 2018

চার–চারটি লাশ! পুলিশের তেমন মাথাব্যথা নেই

গোলাম মর্তুজা ও মজিবুল হক

  • চারজনের কারও বিরুদ্ধে থানায় মামলা থাকার তথ্য পুলিশ জানাতে পারেনি
  • নিহত চারজনের ব্যাপারে পুলিশ এখন পর্যন্ত তেমন কিছুই বলছে না
  • হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অনুসন্ধানের আগ্রহ কম পুলিশের 
  • সূত্র বলছে, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, চার ব্যক্তি ক্রসফায়ারের শিকার


ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন পুরিন্দা গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ কাপড় তৈরি ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। প্রায় সবাই নিজের বাড়িতে থাকেন। শুধু ১১ অক্টোবর ওই গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় আয়নাল হাজির বাড়ির দোতলায় ভাড়াটে হিসেবে ওঠে একটি পরিবার। পরিবারটির কর্তা ফারুক হোসেন নিজেকে ‘নাইট কোচে’র চালক বলে পরিচয় দেন। 

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রামের মানুষের সামনেই ফারুক হোসেনসহ চারজনকে চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে যায় একদল লোক। ‘আপনারা কারা, কেন ওদের নিয়ে যাচ্ছেন’—উৎসাহী কেউ কেউ এ রকম প্রশ্ন করে ধমক খেয়েছেন। ওই লোকগুলো নিজেদের ‘আইনের লোক’ ও ‘ডিবি’র লোক বলে পরিচয় দেন।

ওই বাসা থেকে সেদিন ধরে নিয়ে যাওয়া হয় ফারুক, সবুজ সরদার, জহিরুল ও লিটন নামের চারজনকে। দুদিন পরে গ্রামের মানুষ দুই কিলোমিটার দূরে রাস্তার ধারে চারজনের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পান। চার লাশের মধ্যে তিনজনকে পুরিন্দা থেকে ধরে নেওয়া হয়। আর সেখানে পাওয়া আরেকটি লাশ ঢাকার মাইক্রোবাস চালক লুৎফর রহমান মোল্লার। ফারুকের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া লিটনের এখনো কোনো খোঁজ নেই।

নিহত চারজনের ব্যাপারে পুলিশ এখন পর্যন্ত তেমন কিছুই বলছে না। কীভাবে তাঁরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন, কারা খুন করল, এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের আগ্রহও কম পুলিশের। তবে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র বলছে, পুরো পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, চার ব্যক্তি ‘ক্রসফায়ার’এর শিকার। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এরা মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে চারজনের কারও বিরুদ্ধে থানায় মামলা থাকার তথ্য পুলিশ জানাতে পারেনি।

পুলিশের বিরুদ্ধে ধরে নিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠলেও, তা ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, নিহতের পরিবার মিথ্যা অভিযোগ করছে। ডিবি পুলিশ সেখানো কোনো অভিযান চালায়নি। তাদের আটকও করা হয়নি।

ফারুক যে বাড়িতে ভাড়া ছিলেন তার ঠিক সামনেই পুরিন্দা পশ্চিমপাড়া আহলে হাদিস মসজিদ। মাগরিবের নামাজ পড়তে শুক্রবার বিকেলে মসজিদে আসা মুসল্লিদের অনেকেই দেখেছেন গেঞ্জি-প্যান্ট পরা একদল লোক বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। আর ৩০ গজ দূরে মহাসড়কের ওপর একটি নোয়া মাইক্রোবাসসহ একাধিক গাড়ি দাঁড়ানো। কিছুক্ষণ পরই ওই বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে চারজনকে ধরে নেওয়া হয়। দুজনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল। অন্য দুজনের হাত খোলা ছিল।

যে বাড়ি থেকে চারজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে, সেই বাড়িটি এখন তালাবদ্ধ। গতকাল সকালে দেখা গেল, কয়েকটি শিশু সেখানে খেলছে। বাড়ির লোক কোথায় জিজ্ঞেস করতেই এক শিশু বলল, ‘পুলিশে ধইরা নিয়া মাইরা ফালাইছে।’

পুরিন্দা পশ্চিমপাড়া মসজিদের পাশেই কাজল মিয়ার মুদির দোকান। তিনি বলেন, সেদিন মাগরিবের নামাজের আগেই গ্রামের নতুন ভাড়াটে ফারুক এসে তাঁর দোকান থেকে লবন কিনে নিয়ে যান। কাজলের দোকানে ফারুকের বিষয়ে কথা বলত বলতেই জড়ো হন বেশ কয়েকজন। তাঁদের একজন আবু সাঈদ বলেন, এই গ্রামে মানুষ ঘর ভাড়া দেয় না। আয়নাল হাজীর পরিবার নরসিংদীর মাধবদীতে থাকে। তাঁর বাড়িতে ১২ দিন আগে ভাড়ায় ওঠে একটি পরিবার। সাঈদের সঙ্গে একদিন ফারুকের দেখাও হয়েছিল। তখন ফারুক বলেছিলেন, তিনি ঢাকা-কক্সবাজার পথে বাস চালান, বেশির ভাগ সময়ই রাতে কাজে যেতে হয়। প্রতিবেশী হিসেবে সাঈদকে কক্সবাজার নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ফারুক।

ওই বাড়ির পাশের বাড়ির বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, সন্ধ্যায় ধরে নেওয়ার খবর শুনে তিনি গিয়ে দেখেন ফারুকের স্ত্রী চিৎকার করে কাঁদছেন। মুঠোফোনে অন্যদের নিজের স্বামীর ছবি দেখাচ্ছেন। গ্রামবাসীর সামনে ধরে নেওয়া হলেও কেউ আইনি ঝামেলায় জড়াতে চান না বলে ভয়ে এগোননি। এরপর রোববার তাঁরা জানতে পারেন তিন কিলোমিটার দূরে পাঁচরুখী এলাকায় যে চারটি লাশ পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে তিনজনকে এই বাড়ি থেকে ধরে নেওয়া হয়।

এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পাঁচরুখী বলে যে স্থানে চারজনের লাশ পাওয়া যায় তার দুপাশে পুলিশের দুটি তল্লাশি চৌকি (চেকপোস্ট) ছিল। লাশ পাওয়ার স্থান থেকে নরসিংদীমুখী সড়কে আধা কিলোমিটার গেলেই ছনপাড়া স্থায়ী তল্লাশি চৌকি। আর ঘটনাস্থল থেকে ঢাকামুখী সড়কে এক কিলোমিটার গেলেই আদুরিয়া তল্লাশি চৌকি। দুই তল্লাশি চৌকির মাঝামাঝি জায়গায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

পাঁচরুখী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ছোলা-পুরির দোকান করেন রিয়াজউদ্দীন। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সেদিন ফজরের নামাজের আগে অনেকেই পরপর আট–নয়টি গুলির শব্দ শুনেছেন। তবে মহাসড়কের পাশে বাড়ি হওয়ায় অনেক রকম শব্দ পাওয়া যায় বলে এ নিয়ে কেউ বিশেষ মাথা ঘামায়নি। সকালে উঠে তাঁরা লাশ পাওয়ার খবর শোনেন।

ফারুকের মৃত্যুর পর স্ত্রী তাসলিমা বেগম এক বছরের ছেলেকে নিয়ে বোনের বাসায় গিয়ে উঠেছেন। গতকাল তিনি প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, লাশের পাশ থেকে পুলিশ যে নোয়া মাইক্রোবাসটি উদ্ধার দেখিয়েছে, সেটিতে করেই শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাসলিমা বলেন, তিনি লিখতে-পড়তে জানেন না বলে গাড়ির নম্বর পড়তে পারেননি। তবে রঙ ও অন্যান্য বৈশিষ্ট দেখে তিনি এই গাড়িটিকে শনাক্ত করতে পেরেছেন। গতকালও তিনি বলেন, ‘রাইতে আমি খাওন দিয়া আইলাম, পুলিশে কইলো সকালে কোর্টে চালান দিবো। এই জন্য সকাল ৭টা বাজে গিয়া দেখি হ্যারা ফাঁড়িতে নাই। তয় ফাঁড়িতে হ্যার ভাগিনা লিটন তহনও আছিল। লিটনে কইছে রাইত তিনটা বাজে হ্যাগো ধইরা নিয়া পুলিশে কইছে “চল তগো চালান দিবো”। এই কথা শুইনা আমি চিক্কুর পাইড়া কানছি। ফাঁড়িতে কোন পুলিশের সঙ্গে তাসলিমার কথা হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এতো কইতাম পারি না, তয় এক স্যারের নাম নূর আলম বইলা হেইখানকার একজনে কইছে।’

ভুলতা পুলিশ ফাঁড়িতে নূর আলম নামের কোনো কর্মকর্তা নেই বলে জানা গেল। তবে জেলার অন্য ইউনিটে এই নামে কর্মকর্তা রয়েছেন। এদিকে গুলিবিদ্ধ চারজনের লাশ সোমবার রাতেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়াটি অস্ত্রটি পরীক্ষার জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ২৪ অক্টোবর ২০১৮

শ্রমিক অসন্তোষ

সম্পাদকীয়

বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করুন


বকেয়া বেতন–ভাতার দাবিতে মাঝেমধ্যেই যে বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষের অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকে, সে জন্য শ্রমিকদের কোনোভাবে দায়ী করা যায় না। কেননা বেতন–ভাতা বা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবিতে তাঁরা কাজ বন্ধ করেননি, বরং কাজ করার পরও মজুরি আটকে দিয়ে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে। এ ধরনের পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়।

প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, গত সোমবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভরত পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে ১২ পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অর্ধশতাধিক শ্রমিক। সংঘর্ষের সময় ইপিজেডের সামনে শিমরাইল-নারায়ণগঞ্জ সড়কে ভাঙচুর হয়েছে অর্ধশতাধিক যানবাহন; আগুন দেওয়া হয়েছে একটি কাভার্ড ভ্যানে। পরে মালিকপক্ষের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকেরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন। মালিকপক্ষ ১৫ নভেম্বরের মধ্যে বেতন–ভাতা পরিশোধ করার আশ্বাস দিয়েছে।

অন্যদিকে অন্তিম নিটিং ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং ও অন্তিম নিট কম্পোজিটের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা মঙ্গলবার সকালে দুই ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে মহাসড়কের ১৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। প্রতি মাসের ১০ তারিখে মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও ওই কারখানার বেশির ভাগ শ্রমিক গত মাসের মজুরি পাননি। মালিকপক্ষ তাঁদের মজুরি না দিয়ে গত শনিবার ও রোববার কারখানার তিনটি সেকশন বন্ধ ঘোষণা করে।

দুটি স্থানেই মালিকপক্ষের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকেরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন। সড়ক যোগাযোগও স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। কিন্তু এই স্বাভাবিক অবস্থা কতটা স্থায়ী হবে, তা নির্ভর করছে মালিকপক্ষের ওপর। তাঁরা ওয়াদা অনুযায়ী শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে রাখলে কারখানা ঠিকমতো চলবে। ওয়াদা পালন না করলে নতুন করে হাঙ্গামা তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকেরা এখন পর্যন্ত পুরোনো মজুরিকাঠামো অনুযায়ী মজুরি পাচ্ছেন। সরকার নতুন মজুরিকাঠামো ঘোষণা করলেও শ্রমিকেরা মেনে নেননি। তাঁদের দাবি ছিল ন্যূনতম মাসিক মজুরি ১২ হাজার টাকা করার। বিশেষজ্ঞেরা শ্রমিকদের মজুরি ১০ হাজার টাকা হওয়া উচিত বলে অভিমত প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মালিকপক্ষ কোনোভাবেই ৮ হাজার টাকার বেশি করতে রাজি হয়নি।

কিন্তু সেই পুরোনো কাঠামোর মজুরি নিয়েই যখন মালিকপক্ষ ধানাইপানাই করছে, তখন নতুন মজুরিকাঠামো বাস্তবায়ন কীভাবে আশা করা যায়? হতে পারে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ঠকানোর জন্যই বেতন–ভাতা বকেয়া রাখছে। কিন্তু এ ধরনের অপকৌশল যে মালিক, শ্রমিক কিংবা শিল্পের জন্য মঙ্গলজনক নয়, সে কথাও তাদের বুঝতে হবে। আমরা আশা করব, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন–ভাতা অবিলম্বে পরিশোধ করা হবে এবং নারায়ণগঞ্জ ইপিজেড, রূপগঞ্জসহ সব শিল্পাঞ্চলে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ২৪ অক্টোবর ২০১৮

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হতে ইসিতে আবেদন

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন গাজীপুরের কাজী আবুল হোসেন মাস্টার। একাদশ জাতীয় সংসদে গাজীপুর-৩ আসনের এমপি হতে চান তিনি। একই উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী ও সিইসির কাছে চিঠি লিখেছেন তিনি। চিঠিতে নিজেকে গাজীপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দাবি করেছেন আবুল হোসেন মাস্টার। চিঠির সঙ্গে নির্বাচনী ইশতেহারও যুক্ত করেছেন। এমপি হওয়ার আগ্রহের কারণ জানতে চাইলে আবুল হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকেই তার শখ এমপি হবেন। তিনি জানতে পেরেছেন গতবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকেই এমপি হয়েছেন। তাই এবার ভোটের আগে তিনি প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

আবুল হোসেন জানান, গতকাল পর্যন্ত তার আবেদনের বিষয়ে কারও পক্ষ থেকে সাড়া পাননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলা যুবলীগের কোনো কমিটি নেই। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। ১৭ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হওয়ার জন্য কি প্রয়োজন তা জানতে চেয়েছেন আবুল হোসেন। এর আগে ১৫ই অক্টোবরের চিঠিতে তিনি ব্যক্তিগত কাজে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চান। আর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর আবেদন করেছেন আবুল হোসেন। ওই আবেদনে তিনি লিখেছেন, বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছেন সিইসি বরাবর আবেদন করলে এমপি হওয়া যাবে।

কাজী আবুল হোসেন মাস্টার নিজেকে গাজীপুরের জয়দেবপুরের মৃত আলহাজ মো. ইসলাম উদ্দিন কাজীর ছেলে বলে পরিচয় দিয়েছেন চিঠিতে। আবেদনের সঙ্গে নির্বাচনী ইশতেহারও যুক্ত করেছেন আবুল হোসেন মাস্টার। নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি লিখেছেন, পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশে পরিবেশবান্ধব ও সেবামূলক কাজ করার মাধ্যমে নিজেকে পরিচিত করেছেন তিনি। বর্তমান কর্মপরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা, শান্তি, যোগাযোগ অবকাঠামো প্রণয়ন, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের কাজে নিজেকে উপস্থিত রাখেন তিনি। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে, দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা, স্বাধীন জীবন যাপন, কারিগরি শিক্ষা, উন্নত স্বাস্থ্য সেবা, খাদ্য ও বাসস্থান নিশ্চিত করা, সমাজের প্রতি দৃষ্টি রাখা, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়া, যোগাযোগ ব্যবস্থা গতিশীল করা, বাণিজ্য ক্ষেত্রে ব্যাংকিং সহযোগিতা, শিল্পায়ন স্থাপন, বেকার সমস্যা দূর করাসহ আরো অনেক কিছু। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি গাজীপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি হতে চান।

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ ২৪ অক্টোবর ২০১৮

মধ্যরাতে তরুণীর সঙ্গে পুলিশের অশোভন আচরণ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ

মধ্যরাতে চেকপোস্টে তরুণীর সঙ্গে পুলিশের অশোভন আচরণের তদন্ত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অপরাধ ও নিরাপত্তা বিভাগ। তারা ওই  ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তারা ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাকিব রাজ নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ৬ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করেন। সেখানে লিখেন, ‘দেখুন একটা অসভ্য মেয়ের কারসাজি। আজ রাত ২টায় (২২.১০.১৮) এই মেয়েটা পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশ তাকে চেক করতে চাইলে সে পুলিশের সঙ্গে এই রকম ব্যবহার করে। সবাই প্লিজ শেয়ার করবেন।’ 

ভিডিওতে দেখা যায় চেকপোস্টে  সিএনজিতে বসা এক তরুণীর সঙ্গে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা অশোভন আচরণ করছেন। ভিডিওতে শোনা যায়, ‘বেয়াদব মেয়ে, বাসা থেকে আপনাকে ভালো শিক্ষা দেয় না।’ এসময় মেয়েটিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার চেহারায় লাইট মারতেছেন কেন।

লাইট ব্যাগে মারেন। ব্যাগ চেক করেন। আপনি আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলছেন কেন। ফিল্ডিং মারেন মাইয়াগো দেখলে।’ তখন পুলিশ সদস্যদের বলতে শোনা যায় ‘আপনাকে দেখে যেন আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি, আপনি তো বিশ্ব সুন্দরী হয়ে গেছেন। আপনার সমস্যা কি। এটা আমাদের চেকপোস্ট।’ এসময় পুলিশ সদস্যরা তরুণীকে এডিকটেড, হোটেল থেকে নেমে আসছে। এতরাতে কেন, কোথায় যাচ্ছ বলতে শোনা যায়।’ গতকাল ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশের সাইবার ইউনিট। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অপরাধ ও নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত উপ- কমিশনার নাজমুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, পুলিশের চেকপোস্টে গভীর রাতে এক ভদ্র মহিলার সঙ্গে কিছু পুলিশ সদস্যের ভিডিওসহ কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের নজরে আসে। পরে বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করি। তদন্তে আমরা ওই ঘটনার সত্যতা খুঁজে পেয়েছি। ভদ্র মহিলার সঙ্গে পুলিশের এরকম আচরণের জন্য আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছি। তিনি বলেন, ঘটনার ভিডিও নজরে আসার পরপরই আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই গ্রহণ করেছি। বিষয়টি নিয়ে একটি পেশাদারী সেবা প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে অনলাইনে পুলিশকে নিয়ে কোনো ঘৃণাবোধ না ছড়ানোর অনুরোধ করেছিলাম। আমরা আশ্বাস দিয়েছিলাম নিরপেক্ষ ও সঠিক অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা সেটা করেছি। কি ব্যবস্থা নেয়া হবে- এমন প্রশ্নে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা সুপারিশ করেছি। এখন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ ২৪ অক্টোবর ২০১৮

Courtesy: Manabziban Oct 24, 2018

এমন নির্বাচন হওয়া উচিত যাতে বৈধতার সংকট থেকে শাসনব্যবস্থা মুক্ত হয়

অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন দেখতে চায় দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এমনটাই মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন এমন হওয়া উচিত যাতে বৈধতার সংকট থেকে শাসন ব্যবস্থা মুক্ত হয়। তবে এখন নির্বাচন হবে কি-না এখানেও প্রকৃতপক্ষে অনেক অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর ওপরও এবার এক ধরনের চাপ রয়েছে।  

সরকারের মধ্যে এক ধরনের দ্বিধা কাজ করছে যে, পরিপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের ফলাফল কি হতে পারে? আওয়ামী লীগ যদি বিএনপিকে দুর্বল করার পরেও বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে আওয়ামী লীগের জন্য ইতিবাচক। এতে তাদের বিজয়টা আরো নিশ্চিত হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে তারা এখনো সার্বিকভাবে নিজেদের সফল মনে করতে পারছে না। কারণ প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে ওভাবে ভাঙা বা দুর্বল করা যায় নি। বরং উল্টো আমরা সম্প্রতি দেখেছি যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন হয়েছে। আমাদের মতো দেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে মূলত দুইটা শক্তি থাকে। একটি রাজনৈতিক শক্তি আরেকটি সামাজিক শক্তি। দুইটা মিলে রাজনৈতিক শক্তিটা আরো বেড়ে যায়। ঐক্যফ্রন্ট হওয়ার ফলে মনে হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনাটা একটু বেড়েছে।

সম্প্রতি ধানমন্ডির পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) কার্যালয়ে মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। পিপিআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান, লেখক, গবেষক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক সংকটসহ নানা ইস্যুতে খোলামেলা আলোচনা করেন।

হোসেন জিল্লুর বলেন, বর্তমান সরকার আইনসম্মত নির্বাচিত সরকার। সেই অর্থে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন আছে। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনের সমস্যা সাংবিধানিক বা আইনি সমস্যা নয়। ওটা ছিল একধরনের বৈধতার সংকট। অংশগ্রহণ অনেক কম ছিল। ১৫৩ জন বিনা নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়ে গেছেন। সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচনটা এমন হওয়া উচিত যাতে করে  বৈধতার সংকট থেকে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা ভালোভাবে মুক্ত হয়। সেই ধরনের একটি নির্বাচন হওয়া উচিত। যারা প্রতিযোগিতা করতে চায় তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে থেকে যেন প্রতিযোগিতা করতে পারে। আবার প্রতিযোগী যারা তাদের বিষয়ে বলতে চাই যে, নিছক ক্ষমতার পালাবদলের জন্য যেন নির্বাচনটা না হয়। ওই ধরনের প্রতিযোগীদের সামনে আশা উচিত যারা এটাকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখবে। এবং বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত বিচ্যুতিগুলোকে পাশ কাটিয়ে সঠিক পথে যেন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে।

ঐক্যফ্রন্ট গঠনের কারণে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলাফল কোন্‌ দিকে যাবে সেটা অনেক পরের বিষয়। তবে ক্ষমতাসীন দল এই প্রতিযোগিতার বিষয় নিয়ে কতটুকু স্বস্তির মধ্যে থাকবে বা সাহস করে এগিয়ে যাবে এই অনিশ্চয়তা কাজ করছে। ইতিমধ্যে প্রতিযোগিতামূলক একটি আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। এতে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হতে পারে আবার নাও হতে পারে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে ক্ষমতাসীনরা নির্বাচন ইস্যুতে কতটুকু বদ্ধপরিকর থাকবে। প্রথমে আমরা শুনেছি ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। আবার শুনেছি নাও হতে পারে। তার মানে এখনো আমরা একটি দ্বিধাদ্বন্দ্ব এবং অনিশ্চয়তার জায়গায় আছি। অর্থাৎ প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা যেমন বেড়েছে আবার দ্বিধাদ্বন্দ্ব অনিশ্চয়তাও বেড়েছে। 

স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে সাধারণ জনগণের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ যাদের ভোট দেবে সেই ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বী সবাই অংশগ্রহণ করতে পারছে না। অনেক সময় মূল প্রতিদ্বন্দ্বীদের অংশগ্রহণই করতে দিচ্ছে না। ভোট দেয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেখা যায়। সেখানে সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড দেখা যায়। ’৮০-র দশকে এই সংস্কৃতিটা ছিল। সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতি, দখল, জালভোট ইত্যাদির একটি সংস্কৃতি ছিল। মাঝের দুই দশকে আমরা এগুলোকে বিতাড়িত করতে পেরেছিলাম। কিন্তু এখন আবার সেগুলো পুরোদমে ফিরে এসেছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা যায় ইদানীং নির্বাচনগুলোতে জালভোট পড়েছে। কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। এগুলোর অন্যতম উপসর্গ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা। 

সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু তাদের ভূমিকাটা আমরা দেখি যে অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন হয় আগ বাড়িয়ে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে সহায়তার চেষ্টা করে। অথবা তাদের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব সেটা পালন না করে স্বেচ্ছা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। চোখ-কান বন্ধ করে কিছু শুনবে না, দেখবে না। তিনি বলেন, ভোটাধিকারের একটি ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে। এটার কু-প্রভাব কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গন ছাড়িয়ে পেশাজীবী অঙ্গনেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিজনেস চেম্বারগুলোতে এখন আর ভোট হয় না। যেটা হয় তার নাম হচ্ছে সমঝোতা।

অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রসঙ্গে প্রখ্যাত এই অর্থনীতিবিদ বলেন, আমরা যে অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা চিন্তা করি তার নানা সূচক আছে। একটি হচ্ছে খণ্ডিত সূচক আরেকটি হচ্ছে সার্বিকভাবে মূল্যায়ন করা। 

সার্বিক মূল্যায়নে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়ে বলতে গেলে বলা যায় যে, স্বাধীনতার সময়ে আমাদের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও একটি ভঙ্গুর অর্থনীতি ছিল। সে অবস্থা থেকে এক ধরনের টেকসই ভিত্তি তৈরি করা গেছে বর্তমান অর্থনীতিতে। যার ফলে আমাদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিক তৈরি হয়েছে। যেমন প্রবৃদ্ধির মাত্রাগুলো কোনো সময় ঠিক ওলটপালটের দিকে যায় নি। মোটামুটি একটি গতি ধরে এগিয়েছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরে আমাদের চাওয়ার জায়গাটায় একটি পরিবর্তন এসেছে। এক্ষেত্রে যে অবস্থা থেকে শুরু করেছিলাম সেটা দিয়ে অর্থনীতি কীভাবে চলছে তা পরিমাপ করা যাবে না। ৭০ দশকে আমাদের প্রবৃদ্ধি ১ থেকে ২ শতাংশে ছিল। এখন সেটা ৬ থেকে ৭-এর দিকে চলে গেছে। 

সরকারি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এত কিছুর পরেও ২০১৮তে প্রায় ৩৯ মিলিয়ন মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। আমরা এগিয়েছি কিন্তু চার কোটি মানুষ এখনো দরিদ্রসীমার নিচে। এই বিষয়গুলো আমাদের জানান দেয় যে, এগিয়েছে কিন্তু চ্যালেঞ্জটা কি পর্যায়ে সেটা জানা বা বোঝা দরকার। এক্ষেত্রে গতি বাড়ানো প্রয়োজন এবং এগুবার ধরনটাও উন্নত করা দরকার। 

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নে বেশি উন্নয়ন কম গণতন্ত্র- এই কথাটিই আসলে সঠিক নয়। গণতন্ত্রের অন্যতম সূচক যেটা অর্থনীতির ওপর নির্ভর করে। যেমন ধরে নিলাম কম গণতন্ত্র তার মানে নির্বাচন হচ্ছে না। কিন্তু গণতন্ত্রের আরেকটি অন্যতম সূচক হচ্ছে জবাবদিহিতা। জবাবদিহিতা নেই সে জন্য এখন ব্যাংক কলাপস করছে। সেটার প্রভাব কিন্তু সরাসরি অর্থনীতির ওপর পড়ছে। সুতরাং গণতন্ত্রে জবাবদিহিতার অভাবে আমাদের প্রকল্পগুলো সঠিক সময়ে শেষ হচ্ছে না। জবাবদিহিতার অভাবকে যদি আমরা গণতন্ত্রের অন্যতম সূচক ধরি তাহলে বুঝতে পারছি উন্নয়নের জন্য এটা অত্যাবশ্যক। অন্যথায় প্রকল্প বিলম্ব, অযৌক্তিক প্রকল্প ব্যয় হতেই থাকবে। এগুলোর জন্য ব্যাংকিং ক্রাইসিস হতেই থাকবে। সুতরাং উন্নয়ন দরকার, গণতন্ত্রের দরকার নেই- এগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে এক ধরনের ব্যাখ্যা চালু করার চেষ্টা।

ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সম্প্রচার নীতিমালা আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে, সম্পাদক পরিষদসহ সচেতন নাগরিকরা এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি সম্পাদক পরিষদের মানববন্ধন ছিল নজিরবিহীন। এটাও দেখছি যে, তুচ্ছ অজুহাতে আজকাল মানুষকে হয়রানি ও ধরপাকড় করা হচ্ছে। আমরা সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করা তো ঠিক নয়। 

ক্ষমতা হস্তান্তরের শান্তিপূর্ণ উপায় সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাই যে, একটার পর একটা রাজনৈতিক সংকট হচ্ছে। কিন্তু তার সমাধান হচ্ছে না। এখন এই মুহূর্তে আমরা একটি বিশাল সংকটের মধ্যে আছি। এই সংকটের অন্যতম বিষয়গুলো হচ্ছে আমাদের এখানে একচ্ছত্র ক্ষমতার ধারণাটি ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর মধ্যে জেঁকে বসেছে। এবং চ্যালেঞ্জের জায়গাটা কিন্তু বৃহত্তর জনগণেরও ব্যর্থতার জায়গা বলা যেতে পারে। 

শিক্ষাঙ্গনে যে বিশৃঙ্খলা সেখানে শিক্ষক সম্প্রদায় কেনো দাঁড়ায় না। আইনজীবীরা সবাই এক বাক্যে কেনো দাঁড়ায় না। এখানে ব্যর্থতাটা দুটি জায়গায়। একটি হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে যারা বিচরণ করছেন সেখানের ব্যর্থতা। অন্যতম আরেকটি সমস্যা হচ্ছে মূল্যবোধ সংবলিত নতুন নেতৃত্ব তৈরি করা। এ বিষয়টি গৌণ হয়ে গেছে। 

কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে সুষ্ঠু ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে না এ বিষয় থেকে আমাদের একধরনের ধারণা ছিল যে, এই ছাত্ররা কোনো ধরনের সমাজ সচেতনবিহীন একটি গোষ্ঠী হিসেবে গড়ে উঠছে। কিন্তু দুইটা আন্দোলনই নতুন করে সমাজ সচেতনতার বিস্তার ঘটিয়েছে এই যুব সমাজের মধ্যে। 

কোটা সংস্কার আন্দোলন বেকারত্ব বা তাদের অর্থনৈতিক প্রয়োজনে করেছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সার্বিক জনগণের একটি ইস্যু আছে। কিন্তু এই দুটি আন্দোলনের মাধ্যমে যে রাজনীতিবিমুখ কিশোর তরুণ একটি সম্প্রদায় গড়ে উঠছিল তাদের মধ্যে নতুন করে সমাজ সচেতনতার একটি ঢেউ উঠেছে। সেদিক থেকে এটি অত্যন্ত ইতিবাচক দিক। দুটি আন্দোলনের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিক্রিয়া হয়েছে নিপীড়নমুখী। এটা কাঙ্ক্ষিত ছিল না।

গায়েবি মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, গায়েবি মামলাটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, এটা রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার। মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক প্রতিযোগীকে প্রতিহত করার জন্য গায়েবি মামলা করা হচ্ছে। এটা ক্ষমতাসীনদের প্রতিপক্ষকে দুর্বল করার একটি কৌশল। যেটা থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশু এমনকি মৃত ব্যক্তিও। দুঃখের বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্র এবং এর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস যোগ্যতা কমে গেছে। যেটা কাম্য নয়। আসলে এটা যেহেতু জনসম্মুখে চলে এসেছে তাই ‘শেষ বিচারে জনগণের ওপর আস্থা রাখাটাই শ্রেয়’। সেটাই হচ্ছে টেকসই, দীর্ঘমেয়াদি, বৈধ নেতৃত্বের একটি রক্ষাকবজ।

সিভিল সোসাইটি সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন সিভিল সোসাইটি কথাটা উইদাউট কোড ব্যবহারের সময় হয়ে গেছে। এখানে দুটি বিষয় আছে। এক. ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর একচ্ছত্র ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষাটা তাদের রাজনৈতিক অঙ্গন পেরিয়ে পেশাজীবী এবং সিভিল জগৎ দুটিতেই ঢুকে গেছে। সিভিল সোসাইটিও এখন দু’ভাবে বিভক্ত। একটি গোষ্ঠী মূলত শ্রদ্ধার জায়গা থেকে সরে গিয়ে ক্ষমতার সুযোগ-সুবিধা ও তোষামোদকারী হিসেবে প্রতিযোগিতায় নেমে গেছে। আরেকটি গোষ্ঠীর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দক্ষভাবে সমাজের বিষয়গুলো তুলে ধরা। 

ছাত্র আন্দোলন, সম্পাদকমণ্ডলীর কর্মসূচি এখানে সিভিল সোসাইটির একধরনের একটিভিটি রয়েছে। এখানে মূলত যেটা দরকার তা হলো সিভিল সোসাইটি আরো কার্যকরভাবে পরিবর্তনের জায়গায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারে। এখানে ঝুঁকি নেয়ার বিষয় থাকতে পারে। সাহসের বিষয় আছে। এখানে লেগে থাকার বিষয় আছে। এগুলো সিভিল সোসাইটির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। উৎপাদনশীল কর্মক্ষম শ্রমবাজার তৈরি করাও সিভিল সোসাইটির একটি বৃহৎ চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জটা একাধারে নাগরিক সমাজেরও যেমন একইভাবে রাজনৈতিক সমাজেরও সমান চ্যালেঞ্জ। কারণ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আমরা আছি। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ ২৪ অক্টোবর ২০১৮

সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে ড. কামালের উদ্বেগ


সরকারের নেয়া সাম্প্রতিক পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। 

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দলসমূহকে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমি এবং অপরাপর সহকর্মীরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছি, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার অনুকূল।
দুর্ভাগ্যবশত, সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে আমরা উদ্বিগ্ন। এর দ্বারা সুষ্ঠু রাজনীতির পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছি। এসময় রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি ও গ্রেপ্তার অনাকাঙ্ক্ষিত। গণফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ গণমাধ্যমে বিবৃতিটি পাঠান। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ ২৪ অক্টোবর ২০১৮

Tuesday, October 23, 2018

Lack of able leadership worsens NPL situation

Central banker tells BIBM event


The lack of capable leadership within banks is the main reason behind the increase in the volume of nonperforming loans (NPLs) in the country, a top official of the central bank has said.

To tackle the situation, the official said, it is necessary to have ethical leadership at the top of the banking institutions.

"The current problem in NPL management, liquidity crisis, loan scam, fraud and forgery are arising because of the absence of efficient and effective leaders in banks," said S. M. Moniruzzaman, deputy governor of Bangladesh Bank.

"A good leader in banks can transform a bank from non-profitable into profitable. Similarly, a dishonest leader can transform a bank from profitable into a non-profitable one," the deputy governor said.

"Ethical leaders in banks are a must for better performance and business sustainability," he added.

He made the remarks while speaking at a seminar on leadership in the banking sector. Bangladesh Institute of Bank Management organised the event in the city on Monday.

"Effective credit risk management and sound corporate governance practices should be the priority in the leadership approaches of banks," said Dr. Shah Md. Ahsan Habib, professor and director of BIBM.

"Irrational profit targets may offer incentives to compromise with the processes of borrower selection and credit disbursement," Habib cautioned. "This may also lead to the worsening of non-performing loans." He said, while presenting the keynote paper at the event.

Dr. Habib, however, noted that "slowing down" is not the solution.

"Rather, it is about identifying reasonable profit targets for attainable growth and justified incentive packages for the employees," he said.

Experts at the seminar also called for developing the soft skills of all key stakeholders including board, top management and bank employees.

Soft skill programs are specially needed to improve emotional intelligence amongst bankers for better group outcome and leadership development, they added.

Reflecting on a perception survey carried out on hundreds of branch managers and mid-level bank executives, the BIBM experts said that the survey participants, on average, rated the leadership roles of the board and top management as 'good' and average.

Nevertheless, he said the industry is becoming exposed to newer challenges, financial crimes and competitions.

"Effective leadership, sound governance and soft tools like emotional intelligence are tools for tomorrow's banks to survive," he added.

"Too much aggressiveness is harmful for banking. Aggression should be accompanied with caution", said M Kamal Hossain, Managing Director of Southeast Bank Limited.

"Each and every loan proposal should be assessed and monitored cautiously," Mr. Kamal said, adding "one of the main reasons behind this rising amount of NPL is because the loan proposals were not assessed properly".

"Leaders also need to cope with the ever changing global and local scenario," he added.

"The CEOs and Managing Directors of the banks need to learn how to say 'no' even in the face of external or internal pressure," said Md. Shafiul Azam, managing director of Modhumoti Bank Limited.

"Attaining the soft skills is the most critical issue for today's banking. And to attain the soft skills, there is no alternative to training," said Helal Ahmed Chowdhury, Supernumerary Professor of BIBM.

"Leaders of the banks need honesty, integrity, knowledge, confidence, commitment and passion," said Dr. Barkat-e-Khuda, Professor of BIBM.

"They also need to be good communicators and need to know how to inspire others", he added.

Director General of BIBM Dr. Toufic Ahmad Choudhury also spoke on the occasion.

  • Courtesy: The Financial Express /Oct 23, 2018

নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ সরকার চায় বাম জোট


অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। মঙ্গলবার, অক্টোবর ২৩, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৮টি বাম দল নিয়ে গঠিত বাম জোটের নেতারা গণ অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানান।

জোটের অন্যান্য দাবিগুলো হলো তফসিল ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া, বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা আমূল সংস্কার।

অবস্থান কর্মসূচিতে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, আমাদের দেশে রাজনীতিতে দুটি ধারা বর্তমান। একটি হচ্ছে বুর্জোয়া আর অন্যটি বামপন্থী ধারা। তেল আর পানি যেমন মিশবে না তেমনি এই দুই ধারা কখনো এক হবে না। আজকে বাংলাদেশে পুঁজিবাদের শাসন ব্যবস্থা চলছে। তারা শাসন ও শোষণ করছে। সারা পৃথিবীতে পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। বাংলাদেশে খুন, ধর্ষণ, গুম, সড়কে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার। বাংলাদেশের মানুষ এখন বামপন্থীদের দিকে তাকিয়ে আছে। বামপন্থীরা এখন যতটা সংঘবদ্ধ তা অতীতে দেখা যায়নি। এটি ইতিবাচক একটি দিক। তাঁরা আন্দোলন করে সমাজকে বদলে দিতে পারে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, সামনে নির্বাচন। সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। সরকারকে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সবাই বলছে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে। এই কথাটি ঠিক নয়। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনের আগে শেষ সংসদ অধিবেশন শুরু হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সংবিধানে সংস্কার করতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সব দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে আলোচনা করতে হবে। আমাদের দাবি হচ্ছে, নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা।

স্বাগত বক্তব্যে গণ অবস্থান কর্মসূচির সভাপতি ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নামে গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে দৌড়-ঝাপের মধ্যে রেখে এ দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আর ১৫ দিনও বাকি নেই অথচ এখনো সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়নি। আমরা নির্বাচনের আগে এই সংসদ এখনই ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন এখন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে তাই নির্বাচনের আগে এটি পুনর্গঠন করতে হবে। তা ছাড়া অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। অবাধ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তামাশার নির্বাচন গ্রহণ করা হবে না।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু , বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন দুলাল, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন বাসদের নির্বাহী সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন।
  • কার্টসি —  প্রথম আলো/২৩ অক্টোবর ২০১৮

Murders from 'infighting' on the rise

EDITORIAL

Independent investigations needed to find real culprits


According to news reports in various papers published yesterday, at least seven dead bodies were recovered from Narayanganj and Uttara on Sunday. Four of the bodies were found in Araihazar of Narayanganj, one in Bhulta, Narayanganj, and two in Uttara. The four bodies found in Araihajar were bullet-hit, and police suspect they were shot at close-range. The two bodies recovered from Uttara were already decomposing, and the men are suspected to have been killed earlier and dumped there. Before this, on September 14, three other bullet-riddled bodies were found in Rupganj of Narayanganj.

Naturally, the rising death toll does not bode well for public sense of security, and can create fear and panic among citizens. While we are yet to get any concrete explanation about the most recent cases, an initial explanation put forward by the police has pointed towards in-fighting between criminals. This does not reassure, since the explanation of in-fighting (along with shootouts) have been much repeated recently. In the case of the bodies recovered on September 14, police claimed the murders were the result of gunfights between two groups of drug dealers, while the family of one of the victims had alleged that men claiming to be with law enforcement had picked him up a day earlier. In the 243 cases of "drug dealers and peddlers" killed since May 4, at least 50 deaths were attributed to gunfights. In many cases families maintained that the victims were picked up by law enforcement men in plainclothes.

The rising death toll calls for immediate investigations into the killings, as well as the claims of the relatives of those killed. For this, independent probes are necessary. Whoever may be the real culprits, unverified attribution of causes before investigations can only harm the image of the police, and give rise to a sense of insecurity and panic.

  • Courtesy: The Daily Star / Oct 23, 2018 

Defamation Case: Police arrest Mainul from city's Uttara


Barrister Mainul Hosein was arrested last night s arrested last night from JSD (Rab) chief ASM Abdur Rab's Uttara residence in a defamation case filed with a Rangpur court.

After arresting Mainul, whose recent comment on a female journalist triggered outrage, officials took him to the Detective Branch office on Mintoo Road in the capital.

"There was an arrest warrant against him in a defamation case filed in Rangpur. He was arrested from ASM Abdur Rab's home in Uttara as per the warrant," Mahbub Alam, joint commissioner of DB, told The Daily Star.

DB officials said he will be produced before a Dhaka court today.

Mainul, a former caretaker government adviser, was involved in the process of forming Jatiya Oikyafront, an alliance of BNP, Gono Forum, JSD (Rab) and Nagorik Oikya, launched on October 13.

He went to Abdur Rab's house at sector-3 of Uttara around 9:30pm. Around 100 policemen, including detectives, cordoned off the house at the same time, claimed Saiful Islam, personal secretary of the JSD (Rab) president.

Rubel, a security guard of the house, told The Daily Star that three plainclothes men had earlier wanted to know whether Mainul was there.

Abdur Rab was not at the house when Mainul arrived. He came a few minutes later while Mainul was waiting at the hall room, added the guard. 

As around 50 to 60 DB men entered the house, Rab's wife Tania came down and talked to the officials, according to witnesses.

Mili Maya Begum, wife of Suruj Mia in Rangpur's Mulatol area, filed the case with the Additional Chief Judicial Magistrate's Court in the district yesterday afternoon, accusing Mainul of hurling abuse at journalist Masuda Bhatti during a television talk show on October 16 night.

Mainul, also the publisher and editorial board chief of The New Nation newspaper, is now facing at least six cases. He got an ad interim bail on Sunday in two defamation cases filed in Dhaka and Jamalpur.

Masuda Bhatti filed the case in Dhaka with the Court of Additional Chief Metropolitan Magistrate Muhammad Asaduzzaman Noor.

The other case was filed by Jamalpur Jubo Mohila League Convener Farzana Yasmin Lita with the Court of Senior Judicial Magistrate Soleiman Kabir.

Cases were filed also in Cumilla, Bhola and Brahmanbaria over the same issue.

Besides, an arrest warrant against Mainul was issued in Brahmanbaria yesterday afternoon.

Judge of Senior Judicial Magistrate's Court Farzana Ahmed issued the arrest warrant after the district correspondent of The Daily Observer newspaper, Ayesha Ahmed Liza, filed the defamation case against him.

On Tuesday night, Mainul called Masuda Bhatti a person of “loose character” at the talk show of Ekattor Journal. He was connected through videoconference.

During the discussion, Masuda referred to a video that showed Mainul was addressing a programme of Islami Chhatra Shibir, expressing solidarity with the student wing of Jamaat-e-Islami.

She said during the programme: “Many are commenting that you are in the alliance [Jatiya Oikyafront] as a representative of Jamaat-e-Islami… Is this true?”

Later in a statement, Masuda said, “Instead of replying to the question, he made a verbal attack and tried to tarnish my image and dignity.”

Mainul later apologised to Masuda over phone and also issued a statement over this.

However, a legal notice was served on Masuda yesterday, demanding apology in public within 24 hours for her “intentional and defamatory question” to Mainul at the talk show.

  • Courtesy: The Daily Star /Oct 23, 2018