Search

Tuesday, November 6, 2018

টার্নিং পয়েন্টে রাজনীতি

এতদিন যারা সিট বেল্ট বেঁধে ছিলেন তাদের অপেক্ষার শেষ হয়েছে। উত্তেজনাময়, শ্বাসরুদ্ধকর এক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশের রাজনীতি। এটা একেবারে অভিনব কোনো দৃশ্যপট নয়। অতীতের সঙ্গে মিল আছে, আবার নেইও। প্রতিটি মুহূর্তই ঘটনাবহুল। কিছু না কিছু ঘটছে। প্রকাশ্যে, পর্দার আড়ালে। একদিকে সমঝোতার চেষ্টা।

অন্যদিকে, সংঘাতের শঙ্কা। কেমন হবে সামনের দিনগুলো? আগামী ৪৮ ঘণ্টাতেই বহুকিছু পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে।

আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বড় ধরনের শোডাউনের চেষ্টা করছে ঐক্যফ্রন্ট। কে না জানে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে হলেও জনসমাগমের বিষয়টি বিএনপির ওপরই নির্ভর করছে। এ সমাবেশ থেকে   সরকার এবং তৃণমূলের উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত বার্তা দেবেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। পরদিন বুধবার সকালে গণভবনে ফের আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসবে ঐক্যফ্রন্ট। ছোট পরিসরের ওই সংলাপে চূড়ান্ত ফয়সালার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি রূপরেখা হাজির করা হতে পারে। 

সংসদ ভেঙে দেয়া, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্বাচনকালীন সরকারের বিকল্প প্রস্তাব থাকতে পারে রূপরেখায়। ঐক্যফ্রন্টের কোনো কোনো নেতা মনে করেন, বর্তমান সংবিধানের মধ্যে থেকেও একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এ জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সংসদ ভেঙে দেয়ার বিকল্প নেই। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক মত দিয়েছেন, সংবিধানের অন্তত ১০ জায়গায় সংসদ ভেঙে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। 

এরই মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রোববার বলেছেন, এ নিয়ে আলোচনার দরজা খোলা আছে। তবে গতকাল তিনি বলেছেন, বিএনপি কি প্যারোলে মুক্তি চেয়েছে? আপনারা কেন প্রশ্ন করছেন? প্যারোলে কি ইলেকশন করা যায়? স্বল্প সময়ের জন্য যেমন আত্মীয় মারা গেলে বা দেশে না হলে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সে ধরনের দাবি তো বিএনপি করেনি। আমরা গায়ে পড়ে কেন প্যারোলে মুক্তি দেয়ার কথা বলবো? একটি সূত্র অবশ্য বলছে, পর্দার আড়ালে খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে একধরনের আলোচনা হয়েছে। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন এ বিষয়ে সায় দেননি।

বাংলাদেশে সংলাপের ইতিহাস সুখকর নয়। অতীতে কোনো সংলাপই সফল হয়নি। তবে এবারের সংলাপ নানা কারণেই ব্যতিক্রম। এবারই প্রথম বিরোধী পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সংলাপের প্রস্তাব দেয়া হয়। আর সরকার পক্ষ এতে সাড়া দেয় খুবই দ্রুত। দ্বিতীয়ত, শীর্ষ নেতৃত্ব প্রথমবারের মতো সংলাপে অংশ নিচ্ছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বরফ এরই মধ্যে গলতে শুরু করেছে। তবে কতটুকু গলবে তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই শঙ্কা আছে। আশার কথা হচ্ছে, দুই পক্ষই এরই মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। শুরুতে সরকার পক্ষ বলেছিল, সাত দফার এক দফাও মানা হবে না। কিন্তু এখন তারাই বলছেন, কিছু কিছু দাবি এরই মধ্যে আংশিক মানা হয়েছে। একাধিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঐক্যফ্রন্টও সাত দফায় ছাড় দিতে পারে। সংসদ ভেঙে দেয়া, গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্রণালয় বিরোধী দল বা নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দেয়া, খালেদা জিয়ার মুক্তি, মামলা, ধরপাকড় বন্ধের মতো দাবিগুলো মেনে নিলে ঐক্যফ্রন্ট সমঝোতায় যেতে পারে।

সে যাই হোক সরকার ও বিরোধীপক্ষ  এক সপ্তাহের মধ্যে দুইবার বৈঠকে বসাও বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে বন্দি থাকলেও এটা অস্বীকার করার জো নেই, তার অনুমতিতে বিএনপি সংলাপে অংশ নিচ্ছে। আর ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নিয়ামক শক্তি যে বিএনপি সে কথা আগেই একবার বলা হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দুই পক্ষ কিছুটা নমনীয় অবস্থান নিলেও ক্ষমতার প্রশ্নে এখনো তারা অনড়। আর এ বিষয়টিই বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টকে বিকল্প চিন্তার পথেও নিয়ে যাচ্ছে। এমনিতে রাজনীতিতে এখনো সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণ একশ’ ভাগ। ভোটের জোয়ারে পোস্টারে ঢেকে গেছে রাজধানীর দেয়াল। কিন্তু সেখানে সবই ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ছবি।

বিরোধীদের কোনো ছবি দেখা যায় না। দেশের চলমান রাজনীতির এটি একটি প্রতীকী চিত্রও বটে। এই অবস্থায় বিকল্প চিন্তাও রয়েছে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের। তাদের কেউ কেউ বলছেন, সমঝোতা ছাড়াই নির্বাচন কমিশন যদি তফসিল ঘোষণা করে দেয় তবে কঠোর আন্দোলনে নামা ছাড়া বিএনপির সামনে কোনো বিকল্প থাকবে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করে সংলাপের ফল জানাবেন। কিন্তু সংলাপের ফল কী হবে তার দৃশ্যপট আসলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এমনকি বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতির দৃশ্যপটও। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই- এ কথাটিও শেষ কথা নয়। নাটকীয়ভাবে উভয়পক্ষ যদি সমঝোতায় পৌঁছায় তবে নির্বাচনী ট্রেনে উঠে যাবে বাংলাদেশ। আবার তৈরি হবে ভোট উৎসবের পরিবেশ। যে উৎসবে অপেক্ষায় বহুদিন ধরে মানুষ। আর সমঝোতা না হলে পুরনো দিনের রাজনীতি হয়তো আবার ফিরে আসবে। যা আসলে জনগণের জন্য সুখকর নয়। 

  • কার্টেসিঃ মানবজমিন/নভেম্বর ০৬ ২০১৮ 

রাজস্ব আহরণে ঘাটতি - উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণের পরিণতি

সম্পাদকীয়

সরকারের পক্ষ থেকে সাফল্যের কথা বলা হলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতিতে পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রকৃত আদায় বিবেচনা ছাড়াই উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও ভ্যাটে অনলাইন পদ্ধতি কার্যকর করতে না পারা, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের করছাড় ও আমদানি-রফতানি কমে যাওয়ায় চলতি অর্থবছর রাজস্ব আহরণে বড় ধরনের ঘাটতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বণিক বার্তায় প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থবছরের শুরু থেকেই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে আছে। প্রথম তিন মাসে খাদ্যদ্রব্যসহ প্রায় সব পণ্য আমদানিই আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। হ্রাস পেয়েছে রফতানিও। ব্যাংকিং খাতে করপোরেট কর কমানো ও ব্যাংকের নিজস্ব আয় কমে যাওয়ায় রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। 

বাংলাদেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। ধনবান শ্রেণীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি মোট জনসংখ্যার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ এখন মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্তের তালিকায়। দামি বাড়ি-ফ্ল্যাটে বিপুলসংখ্যক নাগরিকের বসবাস। শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশ ঘটছে। বিলাসদ্রব্যের ব্যবহার বাড়ছে। কিন্তু সে তুলনায় কি রাজস্ব আদায় বাড়ছে? যথেষ্ট আয় ও বিলাসী জীবনযাপন করেন কিন্তু আয়কর দেন না কিংবা নামমাত্র কর দেন, এমন নাগরিকের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়, আয়কর বিভাগ কোমর বেঁধে নামলে বাংলাদেশের রাজস্ব আহরণ পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য অর্জন চোখে পড়বে।

বর্তমানে বিনিয়োগের হার মাত্র ২৮ শতাংশ। আগামী তিন বছরে ৩৫ শতাংশে উন্নীত করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এখন আমরা যদি এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের সার্বিক আয়োজন নিয়ে বিশ্লেষণ করি তাহলে প্রথমেই যে বিষয়গুলো আসবে তা হলো করবান্ধব পরিবেশ, রাজস্ব প্রদানে সেবা নিশ্চিতকরণ, আইনকানুন সময়োপযোগী করা। এ বিষয়গুলো নিরসনে স্বল্পমেয়াদি কোনো ব্যবস্থা নেই। তথ্য বলছে, ১৬ কোটি মানুষের দেশে টিনধারী করদাতার সংখ্যা ৩৩ লাখ এবং তাদের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমাদানকারী করদাতার সংখ্যা মাত্র ১৩ থেকে ১৫ লাখ। কেন বাকিরা আয়কর রিটার্ন জমা দেন না বা কেন সরকার আয়কর আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে না, এ প্রশ্নগুলো বারবার ঘুরেফিরে আসে। এতে বোঝা যায়, আয়কর আইন সময়োপযোগী নয়। সার্বিকভাবে অর্থনীতি যদি গতিশীল হয়, তবে কর আহরণের পরিমাণ বাড়বে সত্যি, কিন্তু যাদের আয় প্রচুর কিন্তু দিতেই যত অনীহা, তাদের ব্যাপারে কী করা হবে? কিছু পেশাজীবী এখনো আয়করের আওতার বাইরে রয়ে গেছেন। গ্রামে অনেক ব্যবসায়ী ও জোতদার কৃষক রয়েছেন, যাদের আয় শহরের যেকোনো চাকরিজীবীর চেয়ে বেশি। সংশ্লিষ্ট সবাইকে কীভাবে রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তার পথ অনুসন্ধানও জরুরি। এ বিষয়গুলোয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সক্রিয় না হলে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না। আবার কেউ কেউ বলছেন, রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি। তবে দেশ যে হারে অগ্রগতির দিকে যাচ্ছে, সে হারে রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। এ অবস্থায় সবচেয়ে জরুরি রাজস্ব ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজ করা। পাশাপাশি দেশী ও বহুজাতিক কোম্পানিসহ যাদের কাছে অধিক হারে রাজস্ব পাওনা রয়ে গেছে, তা আদায়ে উদ্যোগ নেয়া। একই সঙ্গে রাজস্ব ফাঁকির উৎস বন্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

২০২১ সালে আমাদের লক্ষ্য মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া। এজন্য অপরিহার্য শর্ত— জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ থেকে ৮ শতাংশ নিশ্চিত করা। বিনিয়োগ বাড়াতে পারলেই কেবল এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। আর রাজস্ব আয় বাড়াতে সর্বাগ্রে দরকার করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি। বিদ্যমান ব্যবস্থায় পরিকল্পনাজনিত সমস্যা তো রয়েছেই, সঙ্গে রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক নানা জটিলতা। আছে দুর্নীতির অভিযোগও। এসব বিষয়ে সরকারকে আরো জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।

Courtesy: Banikbarta Nov 06, 2018

The rich getting richer

EDITORIAL

Income inequality disrupts progress


There is no doubt that Bangladesh has made tremendous progress in economic growth in the last few decades. But there is also the inescapable fact that income inequality in the country has gone up sharply. It's the wealthy and the powerful who have captured most of the benefits of economic growth in recent years, as studies carried out by research organisations have repeatedly shown. And more problematic is the fact that very little is being done to reduce this gap between the rich and poor, as reflected in our ranking (148th among 157 countries) in Oxfam's Commitment to Reducing Inequality (CRI) Index 2018.

Needless to say, unequal distribution of income is a major threat to the country's economic and social progress. The national income share of the poorest 10 percent of the household population decreased from two percent in 2010 to 1.01 percent in 2016 whereas it increased for the richest 10 percent from 35.84 percent in 2010 to 38.16 percent in 2016. Along with this, lack of equal access to education and healthcare for all, limited employment opportunities, and rising youth unemployment, among other factors, are further fuelling inequality in our society.

There is an urgent need for increased public spending in the sectors of education, healthcare and social protection. But that is not all. State and other institutions have to be rescued from the grip of the rich and a system of transparency and accountability needs to be restored. The anarchy in the financial sector with loan defaulters escaping unscathed and taxpayers ultimately paying the price is a good example of the immense influence wielded by the wealthy in the country. The progress we have made as a country would not be possible without the contribution of the population as a whole. So why should the rich get most of the economic pie?

  • Courtesy: The Daily Star /Nov 06, 2018

Helping BKB, RAKUB to get out of the wood

EDITORIAL

If the situation with state-owned commercial banks (SoCBs) is described as bad or worse, the same in the case of the two government-owned specialised banks (SBs) --  the Bangladesh Krishi Unnayan Bank (BKB) and the Rajshahi Krishi Unnayan Bank (RAKUB) --  is terrible. All attention is focused on SoCBs since they mainly operate in urban areas and deal with clients engaged in trading, manufacturing and in other professions. But the state of affairs with the SBs is hardly taken into notice with the required amount of seriousness either by the policymakers or the relevant authorities.

The policymakers have, apparently, made a foregone conclusion that SBs would be loss-making entities since they disburse low-interest bearing loans among farmers and others engaged in farm-related activities. The SBs, as directed by the government, do not fix market-based lending rates that are usually higher. 

The government is supposed to compensate by providing subsidy to the SBs on account of low-interest bearing farm loans. The government's failure to make available the required volume of subsidy coupled with inefficiency on the part of the management has almost brought the two SBs to their knees. The state of their financial health says it all. The aggregate capital shortfall of the SBs in question, according to a report published in this paper last Monday, reached a staggering Tk.86.54 billion until June last. In fact, the need for capital replenishment of these banks has been rising constantly despite periodic disbursement of government doles.

The rise in the volume of soured loans has much to do with the ever-expanding capital shortfall. The aggregate volume of non-performing loans (NPLs) of these two SBs stood at Tk.52.41 billion as of June 30 last. There is no denying that the clientele of these SBs are entirely different from that of the conventional banks. The former mainly disburse farm loans in small amounts, in most cases, without any collateral. Moreover, in the case of default, the SBs usually do not resort to harsh measures for understandable reasons. 

A section of unscrupulous clients tend to take advantage of such relaxed attitude to secure loans with an ulterior motive of not paying the same back. Some dishonest officials are found ready to extend all possible cooperation to such clients. The truth is that borrowers of farm loans are the needy people and a good number of them use the borrowed funds for consumption or purposes other than farming. Many such borrowers also default on repayment. Thus, the very purposes of lending --  helping the farmers in need and boosting farm production at the same time --  remain unmet.

The Bangladesh Bank (BB), as the regulatory body, being worried about the financial health of the state-owned SBs has signed separate memorandums of understanding with the SBs asking the latter to improve their conditions. That they have failed to meet the objectives of the MoUs does not require any explanation. But such a deplorable situation should not continue anymore. The government as owner and the BB as regulator must help these banks to get out of the wood.

  • Courtesy: The Financial Express /Nov 06, 2018

Underwater valve damage halts LNG supply

  • Consumers stand to suffer as repair to take 10 days 
  • Dhaka households also affected as supplies across country suffer setback


Re-gasification in the country's first floating liquefied natural gas (LNG) import terminal has remained suspended since Saturday evening owing to the damage of an underwater hydraulic valve.

The 'actuator valve' in between the FSRU (floating, storage, re-gasification unit) and subsea pipeline started leaking at 7.0 pm on Saturday, resulting in total halt of the re-gasification at the Excelerate Energy's terminal, a senior official of state-run Gas Transmission Company Ltd (GTCL) said.

Gas supply across the country has been facing an acute setback since then.

The sufferings of households mounted while production squeezed in industrial units.

The authorities had to shut several gas-fired power plants and a fertiliser factory in the aftermath of the supply halt.

"It would take around 10 days to fix the problem. Spare parts and special divers will need to be brought from abroad," he said.

Gas crisis in Chattogram remains acute as clients of the port city have been consuming re-gasified LNG alone since the initiation of its commercial supply on August 18, 2018.

The Karnaphuli Gas Distribution Company Ltd (KGDCL), dedicated to the Chattogram region, is receiving 170 million cubic feet per day (mmcfd) less gas than it would get before the termination of re-gasification at the LNG import terminal, a senior company official said.

In the pre-termination period, the KGDCL was getting around 390 mmcfd of gas - around 320 mmcfd as re-gasified LNG and the rest from the national gas grid, he said.

But due to the damage of the valve, the state-run company is now receiving around 220 mmcfd of gas from national gas grid, the official added.

Electricity generation from three gas-fired power plants - Rauzan and two units of Shikalbaha -has been halted and the Chittagong Urea Fertiliser Ltd (CUFL) has been shut to cope with the short supply of natural gas.

Meanwhile, production in industries was disrupted.

Cooking in households in different areas in the capital hampered due to gas supply shortfall coupled with low pressure as Dhaka and its adjoining areas are getting less gas.

"We had to buy breakfast from the restaurant this morning as we failed to prepare it at home due to gas crisis," said a Khilgaon resident.

Residents of Mirpur, Shahbag, Kalabagan, Paribag, Uttara, Bashabo, and Jatrabari were the worst sufferers.

Motorised vehicles were seen in long queue in front of different CNG (compressed natural gas) filling stations to get CNG filled in.

Officials said Excelerate Energy's vessel Excellence arrived at Moheshkhali terminal carrying the country's first LNG on April 24.

But it connected to the subsea pipeline network on August 05 and commenced injecting the first regasified gas on August 12.

Technical issues and rough seas during the June-August south-western monsoon kept it stranded off the south coast of Chittagong for months.

Excelerate Energy claimed 'force majeure,' while Petrobangla claimed liquidated damage (LD) over the issue, which is still pending for disposal.

Petrobangla, however, has been counting 'capacity payment' as it failed to fully utilise the terminal from the day one.

The state-run corporation has so far utilised around 65 per cent capacity of the Excelerate's FSRU in maximum by re-gasifying around 320mmcfd of gas, a senior official said.

While 35 per cent capacity of the US company's vessel remains unused, the state-run oil, gas and mineral corporation would have to pay its full capacity, he added.

The daily payment the Petrobangla owes to Excelerate Energy is around US$ 232,000 (Tk 19.72 million), no matter it re-gasifies less or the entire capacity of the FSRU, according to the deal.

Excelerate's FSRU- Excellence-has the capacity to re-gasify around 500 mmcfd equivalent of LNG, the Petrobangla official said.

  • Courtesy: The Financial Express/ Nov 06, 2018

তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ...

মহিউদ্দিন আহমদ


প্রতিহিংসার শিকার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

জীবনের চলার পথে কিছু কিছু দৃশ্য, ঘটনা ও ব্যক্তি নজর কাড়ে। স্মৃতিতে থেকে যায় অনেক দিন। যদি কখনো শুনি তাজমহল ভেঙে ফেলা হয়েছে, তাহলে খুব কষ্ট পাব মনে। কেউ যদি বলে, এ দেশটা এমনি এমনি স্বাধীন হয়ে গেছে, সেটাও শুনতে ভালো লাগবে না। কেননা, আরও অগুনতি মানুষের মতো আমারও তো এই মহাযজ্ঞে সচেতন অংশগ্রহণ ছিল। নির্মলেন্দু গুণের কথা ধার করে বলতে চাই, গুলিটা লাগতে পারত আমার বুকেও। তেমনি কিছু কিছু মানুষকে মনে ধরে যায়। তাঁদের অর্জনগুলোর কথা স্মরণ করে আনন্দ পাই। তাঁদের ক্ষতি হলে বেদনায় ভারাক্রান্ত হই।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জানি চার দশক ধরে। মনে আছে, হঠাৎ একদিন সকালে আহমদ ছফা আমাকে পাকড়াও করে বললেন, ‘চলো সাভার যাই।’ দেখলাম গাড়ি নিয়ে হাজির তাঁর প্রিয়ভাজন সাবেক মন্ত্রী মফিজ চৌধুরী। তিনি বাইসাইকেল তৈরির একটা কারখানা বানাতে চান। সে জন্য জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কোনো সাহায্য বা পরামর্শ পাওয়া যায় কি না, সেই ভাবনা তাঁর।

সেই প্রথম আমি গেলাম গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ওষুধ কারখানাটি তখন সবেমাত্র তৈরি হয়েছে। এর বিপণন ব্যবস্থাপক হলেন ফরহাদ মজহার। আহমদ ছফার ঘনিষ্ঠ বন্ধু তিনি। কিছুদিন আগে মার্কিন মুলুকের পাট চুকিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। এখানেই থিতু হওয়ার চেষ্টা করছেন। জুতো খুলে পায়ে কাপড়ের পট্টি লাগিয়ে ওষুধ কারখানার ল্যাবরেটরি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখালেন তিনি। আমাকে বলা হলো, বাংলাদেশে এটাই কোনো ওষুধ কোম্পানির মানসম্পন্ন আধুনিক ল্যাবরেটরি।

বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলো এযাবৎ এ দেশকে কামধেনুর মতো দোহন করে গেছে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাতে বাগড়া দিলেন। সরকারের ওষুধনীতি তৈরির পেছনে তিনিই ছিলেন প্রধান অনুঘটক। এই নীতির ওপর ভিত্তি করে দেশীয় ওষুধশিল্পের জাগরণ ঘটল। জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন এর পথিকৃৎ।

গণস্বাস্থ্যের আঙিনায় কেটেছিল সারাটা দিন। এক জায়গায় দেখলাম অনেকগুলো মেয়ে হাসপাতালের খাট তৈরি করছেন। তাঁদের বয়স বিশের কোঠায়। হাতে ওয়েল্ডিংয়ের যন্ত্রপাতি। পরনে নীল পায়জামা-শার্ট। সকালে তাঁরা আশপাশের গ্রাম থেকে আসেন। শাড়ি বদলে শার্ট-পায়জামা পরে সারা দিন লোহালক্কড় নিয়ে কাজ করেন। সন্ধ্যায় যাঁর যাঁর বাড়িতে ফিরে যান। একজনমাত্র পুরুষ কর্মী দেখলাম। তিনি তাঁদের সুপারভাইজার। মনে হলো, পুরো হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে গ্রামের অল্পশিক্ষিত মেয়েদের শ্রমে-ঘামে। এ তো আরেক তাজমহল, যার পেছনে রয়েছে অন্য রকমের ভালোবাসা, গ্রামের গরিব চাষাভুষাদের বিনা মূল্যে কিংবা অল্প খরচে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্রত।

এরপর কেটে গেছে আরও কয়েকটি বছর। এটা ১৯৮৮ সালের কথা। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশসহ সাতটি দেশে একটি সমীক্ষা চালাবে। বিষয় হলো কৃষি ও পল্লি উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে এনজিওদের সহযোগিতার খাতগুলো চিহ্নিত করা। সমীক্ষায় বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মনোনীত হলাম। আমি ম্যানিলায় এডিবির কয়েকটি কর্মশালায় যোগ দিয়ে ঢাকায় এসে শুরু করলাম কাজ। এ জন্য এ দেশের এনজিও সেক্টরের প্রধান ও গুরুস্থানীয় নেতাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার দরকার হলো। এর ধারাবাহিকতায় ওয়ান টু ওয়ান আলাপ হলো ফজলে হাসান আবেদ, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কাজী ফারুক আহমেদ, জেফরি পেরেরা, রাহাত উদ্দিন আহমেদ প্রমুখের সঙ্গে। 

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঢাকা অফিসে। ওই সময় তাঁর উন্নয়নভাবনা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল। তখন অধিকাংশ এনজিও নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। তবে প্রবণতাটি ছিল ক্ষুদ্রঋণের দিকে। আমার কাজ ছিল সরকারের সঙ্গে সহযোগী হয়ে কাজ করার ইচ্ছা ও সক্ষমতা আছে, এমন কিছু এনজিওর নাম সুপারিশ করা। আমি ২৫টি ‘জাতীয়’ ও ১৫টি ‘আঞ্চলিক’ এনজিওর নাম প্রস্তাব করেছিলাম। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নাম ছিল ৫টি জাতীয় সংস্থার অন্যতম। সমীক্ষাটি ১৯৮৯ সালের আগস্টে এডিবি থেকে প্রকাশ করা হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে অনেকেই অনেক লিখেছেন, দেশে ও বিদেশে। বাংলাদেশের জনগণের উদ্যোগ, দেশজ অর্জন ও লাগসই প্রযুক্তি নিয়ে ১৯৮০ ও ’৯০-এর দশকে আন্তর্জাতিক জার্নালগুলোতে যেসব সংগঠনের উদাহরণ দেওয়া হতো, সেগুলোর মধ্যে অবধারিতভাবেই উঠে আসত ব্র্যাক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নাম। অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমানের একটি লেখায় পেয়েছিলাম, ওই সময় দেশে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষাপদ্ধতির মাধ্যমে সাক্ষরতা প্রসারের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ছিল তার অন্যতম অংশীজন। তখন তাদের একটি স্লোগান ছিল: ‘টিপসই—ছি ছি’।

সমসাময়িক দুনিয়ায় মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য স্টকহোম থেকে দেওয়া হয় ‘রাইট লাইভলিহুড অ্যাওয়ার্ড’। ১৯৮০ সালে এর যাত্রা শুরু। অনেকেই এটিকে বিকল্প নোবেল পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করেন। এই পুরস্কার দেওয়া হয় ওই সব ব্যক্তি ও সংগঠনকে, যারা আমজনতার স্বার্থ ও লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এ অঞ্চলে এই পুরস্কার যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন লোকায়ন (ভারত, ১৯৮৫), চিপকো আন্দোলন (ভারত, ১৯৮৭), মেধা পাটকার এবং বাবা আমতে (নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন, ভারত, ১৯৯১), জাফরুল্লাহ চৌধুরী (গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাংলাদেশ, ১৯৯২), বন্দনা শিবা (ভারত, ১৯৯৩), আসগর আলী ইঞ্জিনিয়ার (ভারত, ২০০৪), গ্রামীণ শক্তি (বাংলাদেশ, ২০০৭), আসমা জাহাঙ্গীর (পাকিস্তান, ২০১৪)।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিপাকে পড়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে জড়িয়ে একটি অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি সমালোচিত হন। এ ধরনের কথা বলা তাঁর উচিত হয়নি। এর কৈফিয়ত দিতে গিয়েও তিনি গোলমাল করে ফেলেন। এরপর আমরা দেখলাম তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে। বিষয়টি বিচারিক প্রক্রিয়ার ওপর ছেড়ে দিলেই ভালো হতো। কিন্তু তা হয়নি। এখন শুধু তিনি নন, তাঁর প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাঁর প্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখ আটকে দিয়েছে। ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করেছে, হোস্টেলে ঢুকে মেয়েদের অপমান করেছে, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এক পা-হারা লিমনকে ঠেঙিয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, জাফরুল্লাহ প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। অপরাধ হয়ে থাকলে আইনের আওতায় এনে তাঁকে শাস্তি দেওয়া যেত। কিন্তু এখন যা হয়েছে বা হচ্ছে, তা মোটেও কাম্য নয়।

জাফরুল্লাহ একজন মুক্তিযোদ্ধা। রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীল। তাঁর সব মতের সঙ্গে আমি একমত নই। তাঁর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আমার মনে অনেক প্রশ্ন আছে। কিন্তু তাই বলে তাঁর সাজানো প্রতিষ্ঠান তছনছ করে দিতে হবে, এটা কেমন কথা?

কেউ কেউ বলে থাকেন, রাজাকার সব সময়ই রাজাকার। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সব সময়ই মুক্তিযোদ্ধা নন। আমি দেশের মানুষকে মোটাদাগে তিন ভাগে ভাগ করি। মুক্তিযোদ্ধা, অমুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার। তো, কোনো এক অমুক্তিযোদ্ধা এ ধরনের কথা বলে থাকতে পারেন। এখন তো বীর উত্তমদেরও রাজাকার বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কখনো হয়তো শুনব, জাফরুল্লাহ চৌধুরীও রাজাকার, লন্ডন থেকে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে একাত্তরে এখানে এসে হাসপাতাল খুলেছিলেন।

বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান জামালউদ্দিনের বিরুদ্ধে এর আগে ঘড়ি চুরির মামলা দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছিল চামচ চুরির মামলা। এই দেশে সবই সম্ভব। জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে নাকি ফল আর মাছ চুরির মামলা দেওয়া হয়েছে।

এ দেশে অতি উৎসাহীরা অনেক কিছুই বলেন, করেন। সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্নার ফোনালাপ ফাঁস হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ঘোষণা দিয়ে তাঁর ডিগ্রি বাতিল করল। ওই সময় সমিতির যিনি সভাপতি ছিলেন, তিনি আমার বন্ধু। তাঁকে ফোন করে বললাম, মান্নার তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ডিগ্রি নেই। তিনি বললেন, আমাদের ভুল হয়ে গেছে। আমি বললাম, আপনাদের সমিতি কীভাবে ডিগ্রি বাতিল করে? আপনারা তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র গোলাম আযম কিংবা কাদের মোল্লার ডিগ্রি বাতিল করেননি। মান্না এমন কী অপরাধ করলেন?

১৯৭৪ সালে ছাত্রলীগের অতি উৎসাহী নেতা-কর্মীদের মুখে একটা স্লোগান শুনতাম—বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু, কঠোর হও, কঠোর হও। ১৫ আগস্ট সকালে তাদের টিকিটিরও দেখা পাওয়া যায়নি। এই সব মোসাহেব-চাটুকার সব যুগেই আছে। তাদের পোষা হয়।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফল চুরির ব্যাপারটা কিছুতেই হজম করতে পারছি না। তিনি অসুস্থ। সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালাইসিস করেন। অসম্ভব মনের জোর। দেশের মানুষের জন্য জীবনটা এমন করে বিলিয়ে দিয়ে শেষমেশ ‘চোর’ তকমা জুটল তাঁর কপালে! রবীন্দ্রনাথের ‘দুই বিঘা জমি’ থেকে শেষ দুটি লাইন উদ্ধৃত করে বলতে ইচ্ছা করে:

আমি শুনে হাসি, আঁখিজলে ভাসি, এই ছিল মোর ঘটে—

তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে!

  • মহিউদ্দিন আহমদ : লেখক ও গবেষক
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ নভেম্বর ০৬,২০১৮ 

জেলে থাকার কথা, কিন্তু রাজনীতিতে সরব তিনি

  • দুর্নীতির মামলায় গত বছর ৮ নভেম্বর হাইকোর্টের রায় হয় 
  • হাইকোর্টের দেওয়া রায় এখনো বিচারিক আদালতে পৌঁছায়নি
  • তাই নাজমুল হুদাকে আত্মসমর্পণও করতে হচ্ছে না
  • নাজমুল হুদার সর্বশেষ গঠিত দল নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে 
  • নির্বাচনের প্রাক্কালে জমে উঠেছে নাজমুল-খেল


স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নাজমুল হুদার এখন থাকার কথা জেলে। কিন্তু হাইকোর্টের দেওয়া একটি রায় প্রায় এক বছরেও রহস্যজনকভাবে বিচারিক আদালতে পৌঁছায়নি। এই বিলম্বের সুযোগে তিনি বহাল তবিয়তে রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। আলোচনায় থাকার অভিলাষে মুখরোচক কথা বলায় তাঁর জুড়ি নেই।

নাজমুল হুদার সর্বশেষ গঠিত দল ‘তৃণমূল বিএনপি’ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনও পেতে যাচ্ছে। গত রোববার হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে তেমন নির্দেশই দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রাক্কালে জমে উঠেছে নাজমুল–খেল।

আইনজীবী নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে আলোচিত মামলা তিনটি। তিনটিই হয় ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। এর একটি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের (এক্সটোরশন) অভিযোগে করা। দ্বিতীয়টি এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা হিসেবে ৬ লাখ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণের দায়ে করা। তৃতীয় মামলার অভিযোগ ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের।

বিচারিক আদালত প্রথম মামলাটিতে নাজমুল হুদাকে ১২ বছর সাজা দেন। এই সাজার বিরুদ্ধে তাঁর আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি খারিজ করে তাঁকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেন।

দ্বিতীয় মামলাটি বিচারাধীন। তবে আদালতের আদেশে মামলার কার্যক্রম বন্ধ আছে।

তৃতীয় মামলাটিতে নাজমুল হুদাকে সাত বছর এবং তাঁর স্ত্রী আইনজীবী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং উভয়কেই অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধেও নাজমুল হুদা দম্পতি হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করেন এবং মামলার প্রক্রিয়া শেষে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করে। এর ওপর শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ খালাসের রায় বাতিল করে পুনরায় আপিল শুনানি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন।

এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত বছরের ৮ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। তাতে নাজমুল হুদার সাজা সাত বছর থেকে কমিয়ে চার বছর করা হয়। আর তাঁর স্ত্রী সিগমা হুদাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া তিন বছরের সাজার পরিপ্রেক্ষিতে যত দিন কারাগারে ছিলেন, তত দিনই সাজাভোগ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায়ে বলা হয়।

বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের এই রায় যেদিন বিচারিক আদালতে পৌঁছাবে, সেদিন থেকে পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেন আদালত। গত বছরের ৮ নভেম্বর দেওয়া হাইকোর্টের এই রায়টিই গতকাল সোমবার পর্যন্ত বিচারিক আদালতে পৌঁছায়নি বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

জানতে চাইলে নাজমুল হুদা সম্প্রতি টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিচারিক আদালতে রায় পৌঁছার ৪৫ দিনের মধ্যে আমার সেই আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা। কিন্তু বিচারিক আদালতে তো রায় পৌঁছায়নি। এ ছাড়া অন্য কোনো মামলায় আমার জামিন নেওয়ার বিষয় নেই।’

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিএনপিতে থাকাকালে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অনেক মুখরোচক কথা বলে বারবার আলোচনায় এসেছেন নাজমুল হুদা। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের তিনি কঠোর ও ব্যঙ্গাত্মক ভাষায় সমালোচনা করেছেন। একইভাবে বিএনপি ছাড়ার পর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধেও অনেক কথা বলে আলোচিত হয়ে আসছেন।

সর্বশেষ তিনি আলোচনায় আসেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় তিনি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে মামলাটি করেন।

পেশাদার আইনজীবী থেকে নাজমুল হুদার রাজনীতিতে পদার্পণ ১৯৭৭ সালে, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গঠিত জাগদলের মাধ্যমে। জাগদলের ধারাবাহিকতায় গঠিত হয় বিএনপি। নাজমুল হুদা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। পর্যায়ক্রমে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান হন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিভিন্ন মেয়াদে খাদ্য, তথ্য এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সিগমা হুদা মানবাধিকার আন্দোলনের একজন নেত্রী হিসেবে পরিচিত। নাজমুল হুদা যোগাযোগমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর স্ত্রীর সংগঠন ‘জাতীয় মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা’-এর কার্যালয় স্থাপনের জন্য রেল বিভাগের জমি ইজারা দিয়ে দুজনেই সমালোচিত হন।

২০১০ সাল থেকে বিএনপির সঙ্গে নাজমুল হুদার টানাপোড়েন শুরু হয়। দল তাঁকে বহিষ্কার করে। সেই বহিষ্কারের আদেশের পরও বিএনপির পরিচয়েই রাজনীতিতে থাকার চেষ্টা করেন। তবে বেশি দিন নয়। ২০১২ সালের জুনে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। এর মাস দুয়েকের মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন একটি দল গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। কিন্তু এর কয়েক মাসের মধ্যেই ফ্রন্টের আরেক নেতা আবুল কালাম আজাদ তাঁকে ফ্রন্ট থেকে বহিষ্কার করেন।

কিন্তু নাজমুল হুদা দমে যাওয়ার পাত্র নন। ২০১৪ সালের মে মাসে তিনি গঠন করেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্স (বিএনএ)। অবশ্য তাঁর এই উদ্যোগও দীর্ঘায়ু হয়নি। ফলে মাস ছয়েকের মধ্যেই ২০১৪ সালের নভেম্বরে গঠন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি)।

তবে রাজনৈতিক দল গঠন নাজমুল হুদার জন্য পয়মন্ত হয়নি। ফলে বিএমপিও পরিত্যক্ত হয়। ২০১৫ সালের নভেম্বরে গড়ে তোলেন নতুন দল ‘তৃণমূল বিএনপি’। এখন তিনি এই দলের সভাপতি। দলটিকে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্ট গত রোববার নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, একটি রায় পৌঁছাতে এক বছর লাগার কথা নয়। কিন্তু আজকাল পূর্ণাঙ্গ রায় পেতে ছয় মাস বা নয় মাসও লেগে যায়। এসব ব্যাপারে সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু সংস্কারের ব্যাপারে বহু বছর ধরে কার্যকর উদ্যোগ নেই।
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ নভেম্বর ০৬,২০১৮ 

Monday, November 5, 2018

NBR faces Tk 110b revenue shortfall in first quarter

Lower allocation for dev projects blamed

The revenue board has faced a Tk 110 billion shortfall against its target in the first quarter of the current fiscal year as the government allocated less for the development projects, its head said on Sunday. Tax collection has not increased as expected in the July-September period of the fiscal as the release of funds against public sector projects remained poor in the first two months, said chairman of the National Board of Revenue (NBR) Md Mosharraf Hossain Bhuiyan.

"We hope to offset the deficit in the next quarter (October-December)," he said.

His optimistic views came at a showcasing programme of NBR's innovation, held in Dhaka.

Principal Coordinator (SDG affairs) of the Prime Minister's Office Abul Kalam Azad attended the programme as the chief guest.

The NBR has showcased 11 innovative ideas to simplify tax collection and monitoring system.

The innovative systems are: Benapass for customs, audit management, demand and collection tool, bank search tool, advance tax reminder tool, excel sheet income tax return processing, VAT-east, customs e-payment, e-EGM, LTU-VAT mobile app, and e-savings.

These software and mobile apps have already been implemented in a few tax, VAT and customs offices.

Speaking at the programme, Mr Azad said the integrated software can bring about better results in simplifying tax collection process.

"The country will lose its investment potential unless the tax payment process is simplified. Investors will choose other destinations," he said.

He suggested that the NBR explore the possibility of launching paperless office and show path to other government entities.

He appreciated the innovations of the tax -collecting authority and recommended honouring relevant officials with proper incentives for their creativity.

NBR chairman said the innovations should be implemented in field-level tax offices too.

"We want to increase revenue by ensuring transparency and making the tax payment system hassle-free," he said.

The NBR is now compiling the actual data of revenue collection reconciling with those of the Controller General of Accounts Office's, he said, adding there is no tempered data at NBR now.

He said the target for revenue collection has been increased in line with the increase in budget size.

The NBR chairman said the board with its 34,000 manpower can create an example of paperless office.

Kanon Kumar Roy, income tax policy member and convener of innovation team, said the innovations will be scaled up to other tax offices soon.

He gave a presentation with the details on the operations of the innovations at the NBR.

Mr Roy said the expansion of the NBR is imperative to increasing revenue collection.

Dr Jamaluddin Ahmed, former president of the Institute of Chartered Accountants of Bangladesh (ICAB), said there are some 90,000 villages in the country where business activity is going on.

Those businesses should be brought under tax net through expansion, he said.

"Budget size can be increased by three-fold by brining those economic activities under the tax net," he said.

Of the innovations, beanpole land customs station is using the Benapass software to expedite import and export activities, data entry of the car pass through one-stop service.

Currently, it is taking only two minutes in the data entry process through the software instead of earlier 10 to 15 minutes.

VAT East software has been installed at the Customs, Excise and VAT commissionarates, Dhaka (east) for checking Business Identification Number (BIN), lodge complains, find VAT offices, compliance alert, acknowledgement receipt, taxpayers' survey, spot assessment, etc.

E-savings software, an innovation of the National Savings Directorate, would help the entity to determine the maximum ceiling of investment in the saving certificates.

With the software, the encashment of savings tools can be made through automated payment slip.
  • The Financial Express/ Nov 05, 2018 

“New bank licences on political grounds”

EDITORIAL

Finance minister says it all

Through this statement of his, the finance minister just confirmed what was already known, and the reason this was known is because it couldn't have been based on any logical reasoning. After all, the other private banks that had similarly been given licences based on political considerations a few years back have already failed to perform. And not only that, allegations of money laundering through some of these banks were also brought forth a number of times only to be ignored by the concerned authorities.

As one Bangladesh Bank official said in a report previously published by this newspaper, the central bank could not completely monitor these banks as they were owned by politically influential people—despite some of them being linked to loan scams, aggressive lending and violations of banking regulations among other issues, posing serious threats to the banking sector according to the central bank's own assessment.

Given that members of the ruling party also have very close ties with three out of the four new banks, can we really expect them to perform any differently once operational?

Why then is the central bank going ahead with issuing licences to them? And why is the finance minister, knowing all this, not intervening? Have we not seen him or his ministry intervene with matters concerning the central bank before, even when experts pleaded him not to? Is the finance minister really this helpless to intervene in affairs concerning the nation's financial sector, which is already reeling from being hit with one scam after another?

If that is the case then who really is running our financial sector? The people deserve to know.

In either case, we once again reiterate our call to whoever is in charge of our banking sector, to learn from past mistakes, and to refrain from issuing licences to new banks based on political considerations as that can only push the sector further and quicker towards a major debacle.

  • Courtesy: The Daily Star/ Nov 05, 2018

Recent economic growth favoured the wealthy: Debapriya

Poor were worse off, the noted economist said


The economic growth in recent years has favoured the richest section of the society and the disparity increased between 2010 and 2016, said Debapriya Bhattacharya, a distinguished fellow of the Centre for Policy Dialogue, in a lecture yesterday.

The country, which posted 4.53 percent GDP growth during 1991-95, grew 6.32 percent from 2011 to 2015. The per capita GDP and per capita gross national income experienced an almost fivefold increase between 1990 and 2017.

“The benefits of our recent economic growth have been very unevenly distributed. This is an uncomfortable truth and this disparity remains concealed in the exciting discourse of the economic development.”

Bhattacharya made the observation while presenting the Abdul Ghafur Memorial Lecture 2018 styled 'The Uncomfortable Truth: Recent Economic Growth Performance' organised by the Bangladesh Institute of Development Studies at its office in Dhaka.

Within the country's enviable growth performance one can notice that there are certain disquieting signals emanating from the economy, he said while citing various global reports such as Oxfam's 'The Commitment to Reducing Inequality Index 2018', where Bangladesh was one of the worst performers.

Poor people as percentage of population more than halved to 24.3 percent between 2000 and 2016, but the pace of poverty reduction has slowed down in recent years.

Based on the Household Income and Expenditure Survey (HIES) by the Bangladesh Bureau of Statistics, the poorest 5 percent population lost out two-thirds of their share and now holds only a minuscule 0.23 percent of total income.

“We observed that not only poorest section of the society, even the lower middle class has experienced an erosion of its income share.”

On the other hand, the richest 10 percent, including the top 5 percent households, enhanced their share of income between 2010 and 2016.

The bottom 5 percent households lost asset share whereas the top 5 percent show noticeable rise in the same, he said.

“Asset inequality is increasing at a faster pace than income inequality and income inequality is increasing at a faster pace than consumption inequality.”

Manifestations of the trend of disparity may be observed not only in case of consumption, income and asset ownership, but also in areas of employment, human and regional development, he said.

Bhattacharya mentioned of sluggish trend in growth in employment, rising youth unemployment, disparity in health and education.

“This creates uneasiness among us and there is a mentality of denial among policymakers about the trend. But instead, we should accept that and discuss based on evidence.”

He went on to refer the high level of default loans and illicit capital outflow from the country to further his point.

“If all the resources got invested in the country in proper ways, then we could have had a radically different gainful employment and inequality situation.”

The recent period is characterised by a lack of political competition, weakening of voice and oversight institutions.

“One wonders whether enfeebling of the accountability mechanism has led to undermining economic governance and consequently marginalisation of the disenfranchised stakeholders in the distribution of benefits of development,” he added.

At the discussion, Mohammad Tareque, a former finance secretary, said life expectancy is rising despite inequality. 

“If we look at it, we would not find the reason,” he said.

In response, Bhattacharya said life expectancy of a poor person in rural area would be much less than that of a well-off person in the urban area.

BIDS Director General KAS Murshid said a lot of the changes -- massive demographic change, migration and emergence of a new class -- are taking place.

“Under these changes, inequality would rise. But we have to see how much is tolerable,” he said, while calling for structural changes to address the inequality.

BIDS Research Director Binayak Sen said inequality is rising and this is not a new trend.

“The HIES data are yet to be finalised and data are being cleaned. But the situation is not as pessimistic as it has been shown,” he added.

Indirect tax accounts for nearly two-thirds of the tax collection, said Mustafizur Rahman, CPD distinguished fellow.

“It is time to see whether fiscal policy contributes to inequality,” he added.

A lot of money gets wasted for spiral in costs of projects under public sector, said M Asaduzzaman, BIDS Professorial Fellow.

“Inequality could be addressed better if the money would not get wasted,” he added.

CPD Executive Director Fahmida Khatun stressed on the need for ensuring voice and accountability, governance and rule of law. 

“Because of lack of governance, resources become unequally distributed,” she said.

  • Courtesy: The Daily Star /Business/ Nov 05, 5018