Search

Sunday, November 25, 2018

Ctg port inefficiency, traffic congestions key challenges for supply chain mgmt

Experts say at a seminar

Experts on Saturday identified inefficiency of Chattogram port, traffic congestions on roads and highways and lack of human resources as the key challenges for supply chain management in Bangladesh.

At a seminar on ‘Challenges and Prospect of Supply Chain Management in Bangladesh’, they urged the government to address the disruptions and lacking and to formulate unique rules and regulations for business to reduce the cost of doing business.They also urged the government to introduce supply chain management in the national curriculum considering future economic development.

Non-bank financial institution IPDC Finance Limited and Bangla daily Bonik Barta jointly organised the seminar at the Sonargaon Hotel in the capital, Dhaka.

‘Bangladesh’s economy is moving fast and challenge will be there but question is how fast we can remove the barriers. Global supply chain is moving fast and if we fail to address our disruption, country’s economic growth will be stalled,’ said Naquib Khan, president of Bangladesh Supply Chain Management Society.

Naquib said that inefficiency of Chattogram port, traffic congestions in Dhaka and on Dhaka-Chattogram road and lack of human resources were the main challenges for supply chain management in the country. 

He emphasised the adoption of latest technology saying that a well-managed supply chain could create huge opportunity in the area of information technology and e-commerce. Naquib said that multinational companies were playing important role in making supply chain management more vibrant while local entrepreneurs just started practicing the management.

‘We need to develop integrated supply chain management processes more efficiently and effectively to achieve competitive advantage,’ he added.

Mominul Islam, managing director of IPDC Finance, said that country’s economy developed significantly over the last 10 years with the advantage of low-cost labour.

‘I think country’s economy is at a critical phase now and the advantage of cheap labour will not last long. We have to increase productivity and supply chain management can be the next level of economic development,’ he said.

Imtiaz Uddin Chowdhury, head of supply chain of BSRM Group, urged the government to address supply chain disruptions including those in ports and on roads. Recently, BSRM Group incurred losses worth Tk 100 crore due to various disruptions in ports, he said.

Imtiaz urged the government to take initiative to improve ease of doing business condition saying that unique rules and regulations should be formulated for business.

Bonik Barta editor Dewan Hanif Mahmud moderated the event.
  • Courtesy: New Age /Nov 25, 2018

Govt must investigate Muktijoddha Kalyan Trust corruption

EDITORIAL

THE Bangladesh Muktijoddha Kalyan Trust had to lay off all its 20 industries because of corruption and inefficiency after flawed policies of the government had made them sick. The last of the industries to have been closed was Eastern Chemical Industries Ltd in Chattogram in October and the latest before this was Mimi Chocolate Ltd which was closed in August. The 18 other industries were closed between 1983 and 2009. But what makes the closure of the industries worrying is that the trust, which was set up as the Bangladesh Freedom Fighters’ Welfare Trust in 1972 mandated to bear the cost of wheel chairs, prosthetic limbs, medicines, educational expenses, daughter’s marriage and the burial of freedom fighters who were wounded in the 1971 war of liberation and families of the martyrs, has rendered ineffective in doing its mandated job. Ultimately, the freedom fighters, who laid down their lives and who became wounded in the war, come to suffer. The closure of the industries also shows that successive governments, including the incumbent Awami League the two latest consecutive tenures of which saw the closure of two industries under the Freedom Fighters’ Welfare Trust, have been negligent in their commitment towards the freedom fighters.

Eastern Chemical Industries Ltd is reported to have incurred Tk 15.6 million in yearly losses because of the corruption and inefficiency of trust officials and Mimi Chocolate Ltd had to incur Tk 7.2 million in losses every year. The situation became so constraining that the trust had to borrow Tk 92.5 million from the government to pay for utility bills and salaries and benefits of 104 regular members on the staff and 136 members on the Tabani Beverage stuff who were retrenched. In addition to the 20 industries that the trust had — nine in 1972 and 11 in 1978, the trust also had 12 profitable concerns, including a cinema, a filling station and a publishing house. Almost all the industries were making profits when they had gone under the trust and most of the enterprises still make profit after they have gone under private ownership. This suggests that successive governments have not tried to attend to the issues of corruption, mostly by trust officials, and inefficiency that let the industries down. Trust officials are reported to have leased out shops in markets that the trust set up on the spaces left vacant by the industries at throwaway prices and lined their pockets.

The government must, under the circumstances, institute investigations to find the people responsible — by way of their corruption, inefficiency and greed — for the plight of the Freedom Fighters’ Welfare Trust and hold them to account in due process. The government, especially the incumbents who do not miss any chance to claim having the spirit of the liberation war, must also work out a plan to see if the industries now closed could be revived and be run in a profitable way, even if the trust needs to be wholly overhauled. It would be unwise to let such a trust, meant to support freedom fighters who earned independence for the nation, go down the history in such a manner.

  • Courtesy: New Age/ Nov 25, 2018

Saturday, November 24, 2018

টেনিদার চার মূর্তি ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক

গোলাম মোর্তোজা

‘ভাস্কর্য’ না ‘মূর্তি’- আলোচনায় মাঝেমধ্যে সব সরগরম হয়ে ওঠে বাংলাদেশের রাজনীতি। সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগেই, আবার তা চাপাও পড়ে যায়। মূর্তি ইস্যু চাপা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতার মূর্তি বানিয়ে, যেন সর্বোচ্চ বিপদে পড়েছেন। তিন হাজার কোটি রুপি ব্যয় করে বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তি না বানিয়ে, গরিব ভারতীয়দের জন্যে আর কী কী করা যেত সেই হিসাবে পুরো বিজেপি দিশেহারা। প্রতিবেশী বন্ধু দেশে মূর্তি নিয়ে যখন এত আলোচনা, বাংলাদেশ আর বাদ থাকবে কেন!

নির্বাচন কমিশনের সচিব ‘মূর্তি’ শব্দটি আলোচনায় নিয়ে এসেছেন। মূর্তিকে কেন্দ্র করে বাংলা ভাষায় বহু গল্প- উপন্যাস লেখা হয়েছে।

বাংলা ভাষার বুদ্ধিদীপ্ত রসিকতার মহান কারিগর নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় যার অনবদ্য সৃষ্টি ‘টেনিদা’। বহুল পঠিত- জনপ্রিয় ‘চার মূর্তি’ উপন্যাসের চার চরিত্রের একজন টেনিদা। আজকের লেখার সঙ্গে হয়ত খুব একটা প্রাসঙ্গিক মনে নাও হতে পারে। তারপরও কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করছি-

‘... চারজনে পরীক্ষা দিয়েছি। লেখাপড়ায় ক্যাবলা সবচেয়ে ভালো—হেডমাস্টার বলেছেন। ও নাকি স্কলারশিপ পাবে। ঢাকাই বাঙাল হাবুল সেনটাও পেরিয়ে যাবে ফাস্ট ডিভিশনে। আমি দুবার অঙ্কের জন্যে ডিগবাজি খেয়েছি—এবার থার্ড ডিভিশনে পাস করলেও করতে পারি। আর টেনিদা—

তার কথা না বলাই ভালো। সে ম্যাট্রিক দিয়েছে কে জানে এনট্রান্সও দিয়েছে কি না। এখন স্কুল ফাইনাল দিচ্ছে—এর পরে হয়তো হায়ার সেকেন্ডারিও দেবে। স্কুলের ক্লাস টেন-এ সে একেবারে মনুমেন্ট হয়ে বসে আছে—তাকে সেখান থেকে টেনে এক ইঞ্চি নড়ায় সাধ্য কার!’

‘মনুমেন্ট’ হয়ে বসে নয়, মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যারা পর্যবেক্ষণ করবেন, তাদের ‘নড়াচড়া’ করতে নিষেধ করে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব। অনিয়ম দেখছেন, শুধু দেখবেন ‘মূর্তি’র মতো। সাংবাদিকরা এগিয়ে এসে জানতে চাইবেন, কী দেখলেন?

দাঁড়িয়ে থাকবেন মূর্তির মতো মুখ বন্ধ করে, কোনো কথা বলবেন না। কেন্দ্র দখল করে যদি ব্যালটে সিল মারতে দেখেন, সেই দৃশ্য দেখতে পারবেন, ধারণ করতে পারবেন না, মানে ছবি তুলতে পারবেন না। যদিও ছবি তোলা পৃথিবীর কোনো দেশের পর্যবেক্ষকদের জন্যেই নিষিদ্ধ নয়।

নির্বাচন কমিশনের সচিব পর্যবেক্ষকদের মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, আপনাদের অনেকের প্রতিষ্ঠান এনজিও হিসেবে কাজ করছে। সুতরাং যদি ‘মূর্তি’র মতো দাঁড়িয়ে না থাকেন, যদি ছবি তোলেন, যদি কথা বলেন, যদি এক কেন্দ্রে একজনের বেশি থাকেন, আমরা রিপোর্ট দিলেই বাতিল হয়ে যাবে আপনার এনজিও’র ‘নিবন্ধন’। যা কিছু ঘটতে দেখবেন, চুপ থাকবেন। নির্বাচন কমিশনকে জানাতে পারেন। পরে প্রতিবেদন দেবেন। প্রতিবেদন দিলে কী হয় বা হবে? তারও নজির আছে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক মোর্চা ‘ইলেকশন ওয়ার্কিরং গ্রুপ (ইউব্লিউজি)’। তারা গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে একটি প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। মোট ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৭টি ওয়ার্ডের ১২৯টি কেন্দ্র তারা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ কেন্দ্রে তারা ব্যালট পেপারে জোর করে সিলমারাসহ নানা রকমের অনিয়ম দেখেছিলেন।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বহুবিধ অনিয়ম দৃশ্যমান হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের সচিব ভোট গ্রহণের সময় শেষ হওয়ার পরপরই বলেছিলেন ‘চমৎকার নির্বাচন’। গাজীপুর বিষয়ে বলেছিলেন ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’।

কোনো রকম তদন্ত বা অনুসন্ধান ছাড়াই নির্বাচন কমিশন ইডব্লিউজি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল। নিজেরাও কোনো তদন্ত করেনি। সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছিল বরিশালে। বলা হয়, আর যাই হোক এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। একজন নির্বাচন কমিশনার তা স্বীকারও করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেই নির্বাচন কমিশনারকে একটি রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন। কমিশনার বহু পরিশ্রম করে যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তা যত্ন করে তুলে রেখেছেন। কাউকেই জানাননি কী আছে রিপোর্টে।

খুলনা, গাজীপুর বা বরিশালের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষকরা ‘মূর্তি’র মতো দাঁড়িয়ে থাকেননি। কিছুটা নড়াচড়া করেছিলেন। এগিয়ে আসা সাংবাদিকদের কিছু প্রশ্নে মুখও বন্ধ করে থাকেননি। যা ইসি সচিবের ‘চমৎকার নির্বাচন’র সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল না। সুতরাং এখন থেকে মুখ বন্ধ, আর খোলা যাবে না, ছবিও তোলা যাবে না।

হাতি তো এভাবেই জঙ্গলে এবং উট পাখি বালুতে মুখ লুকিয়ে নিজেদের আড়াল করে!

২.
নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বিরুদ্ধে বহুবিধ অভিযোগ, তাদের অনেকে দলীয় মতাদর্শ ধারণ করেন। পর্যবেক্ষণকালে ‘নিরপেক্ষ’ না থেকে ‘পক্ষপাতিত্ব’ করেন। তাদের প্রশিক্ষণেরও ঘাটতি আছে। অভিযোগগুলো হয়ত অসত্য নয়! একজন পর্যবেক্ষকের পরিচয় দেওয়া যায় এভাবে।

একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকার বাইরের আরেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে। কোনো মাসে দু’চারদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, কোনো মাসে যান না। উড়োজাহাজে সকালে উড়ে গিয়ে আবার দুপুর, বা বিকেলেই ফিরে আসেন। নিয়োগ পরীক্ষা তদারকি করেন টেলিফোনে। ঢাকায় থেকে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ইসি সচিব যখন ‘মূর্তি’র মতো দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন শিক্ষক কাম উপাচার্য কাম পর্যবেক্ষকও সামনের সারিতেই বসা ছিলেন। এখন তিনি ইসি সচিবের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন ‘না মানে ইসি সচিব ঠিক এভাবে বলতে চাননি... তিনি এটা মিন করেননি... তিনি বলতে চেয়েছেন...।’

পর্যবেক্ষকদের মধ্যে ভালো পর্যবেক্ষক যেমন আছেন, বহুবিধ অভিযোগের পর্যবেক্ষকও আছেন। তাদের সবাইকে পর্যবেক্ষণের অনুমতি নির্বাচন কমিশনই দিয়ে থাকেন। পর্যবেক্ষকদের যে দুর্বলতাগুলো আছে, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ বা অন্য কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশন শিক্ষক বা পরীক্ষকের ভূমিকায় থেকে পরীক্ষার আয়োজন করে। সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোর আলোকে বলা যায়, নিজেরা সেই পরীক্ষা নকল মুক্ত করতে পারছেন না। নকল মুক্ত করতে চান, সেই চেষ্টাটাই দৃশ্যমান হচ্ছে না। অন্যরা নকল মুক্ত পরীক্ষা ও পাস করানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করতে চাইলেও, নির্বাচন কমিশন পাস করতে ইচ্ছুক নন বলেই তাদের কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান হয়। তারা সহায়তাকারীদেরও তাদের কাতারেই রাখতে চান।

সমস্যা বা সঙ্কট দূর না করে নিজেরা ‘চমৎকার নির্বাচন’ বলে পর্যবেক্ষকদের মূর্তি বানিয়ে ‘মুখ বন্ধ’ রাখতে বাধ্য করাতেই সকল মুশকিল আসান, নীতিতে অটল নির্বাচন কমিশন!

৩.
টেনিদার ‘চার মূর্তি’র এক মূর্তি পরীক্ষায় পাস করার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল। টেনিদা তাতে মহা-বিরক্ত হয়েছিলেন।

‘...টেনিদা বললে, চুপ কর, মেলা বকিসনি! তোর ওপরে আমার আশা-ভরসা ছিল—ভেবেছিলুম, আমার মনের মতো শিষ্য হতে পারবি তুই। কিন্তু দেখছি তুই এক-নম্বর বিশ্বাসঘাতক! কোন্ আক্কেলে অঙ্কের খাতায় ছত্রিশ নম্বর শুদ্ধ করে ফেললি? আর ফেললিই যদি, ঢ্যারা দিয়ে কেটে এলিনে কেন?

আমি ঘাড়-টাড় চুলকে বললাম, ভারি ভুল হয়ে গেছে!’

একজন নির্বাচন কমিশনার পাস করার উদ্যোগ নিয়ে ‘ভারি ভুল’ করে ফেলেছিলেন।

নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা কড়া হুমিকর ‘নিবন্ধন’ বাতিলের ঝুঁকি নিয়ে ছত্রিশ নাম্বার পেয়ে পাস করার চেষ্টা করবেন, না ঘাড়-টাড় চুলকে বলবেন ‘ভারি ভুল হয়ে গেছে!’
  • কার্টসিঃ The Daily Star Bangla/ Nov 24,2018 

প্রশ্নবিদ্ধ ইসি সংশয় বাড়ছে

মারুফ কিবরিয়া


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাঠে গড়াতে আর ৩৫ দিন বাকি। ভোটযুদ্ধে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলগুলো কাটাচ্ছে দিন-রাত ব্যস্ত সময়। মনোনয়ন, নির্বাচনী প্রচারণা সবকিছু এখন তাদের ভাবনাজুড়ে। একই সঙ্গে দুই প্রধান জোট একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলছে। গত সপ্তাহে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একাধারে বেশকিছু অভিযোগ দায়ের করে বিরোধী বৃহৎ জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। অন্যদিকে এসব অভিযোগের নামে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। দুই জোটের পাল্টাপাল্টি এ অবস্থানের কারণে স্বাভাবিকভাবে সবার দৃষ্টি রেফারির ভূমিকায় থাকা নির্বাচন কমিশনের দিকে। 

বিশিষ্টজনরা বলছেন, নির্বাচনকালীন সময়ে বিরোধী দলগুলো যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিগ্রহের শিকার হয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।

তারা এও বলছেন, এই নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের যে ভূমিকা থাকার কথা ছিল তা না থাকায় তাদের প্রতি সেই আস্থা জন্মেনি। 

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে বিগত বছরগুলোতে নির্বাচন কমিশন একাধিকবার ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ হলেও সেই কমিশনের হাত ধরেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপি, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বিস্তারসহ নানা ‘দৃশ্যমান’ অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও ভোটগ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছিলেন, নির্বাচন ‘সুষ্ঠু’ হয়েছে। সে অনুযায়ী এই ইসিকে নিয়ে এবারও সংশয় জেগেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠা তফসিল ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার বন্ধ হয়নি বলে দাবি করেছে তারা। এর মধ্যে গ্রেপ্তার বন্ধে হস্তক্ষেপ নিতে দলগুলো একাধিকবার চিঠিও দিয়েছে। 

তবে তাতে কোনো প্রতিকার পায়নি। নির্বাচন কমিশনকে ঘিরে সম্প্রতি যে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সেটি হলো ভোটগ্রহণের সময় পর্যবেক্ষকদের ওপর নানা রকম বিধি-নিষেধ আরোপ করা। ভোটকেন্দ্রে পর্যবেক্ষকদের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দেয়ার বিষয়টি ‘সঠিক নয়’ বলেই উল্লেখ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। অন্যদিকে প্রশাসনের রদবদল চেয়ে বৃহস্পতিবার ইসিকে চিঠি দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু সিইসির সঙ্গে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্তাদের মতবিনিময় শেষে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া তাদের বদলি করা হবে না- এমন নিশ্চয়তা দেয়া হয়। এর আগেও দুই দফা ঐক্যফ্রন্ট প্রশাসনের রদবদলের দাবি জানিয়েছিল। তখন ইসি বলেছিল, ঢালাওভাবে প্রস্তাব দিলে ইসি তা গ্রহণ করবে না। 

কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সুনির্দিষ্টভাবে তা জানালে ইসি খতিয়ে দেখবে। এরপর গত বৃহস্পতিবার প্রশাসন ও পুলিশের ৯২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ করে ঐক্যফ্রন্ট। অন্যদিকে নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই সামনে আসছে ততই রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। পাশাপাশি ইসির ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। 

রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলেই মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। একটি বেসরকারি টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন। যতই রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করবে ততই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো। যদি বিরোধী দলগুলোকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিগ্রহের শিকার হতে হয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি। এজন্য নির্বাচন কমিশন কতটুকু তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে সেটা নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতার ওপর নির্ভর করবে। 

দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি মানবজমিনকে বলেন, আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক দুটো। প্রথমত রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। আর দ্বিতীয়ত হলো কোনো সংঘাত- অবরোধ নেই। 

কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ যেটা সেটা হলো নির্বাচনে সমপক্ষতা নিশ্চিত হবে কিনা। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া মানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন। এটাও বড় একটা চ্যালেঞ্জ। এগুলো মোকাবিলা করে নির্বাচন কমিশন সমপক্ষতা নিশ্চিত করতে পারবে কিনা। অবশ্য কমিশনের নিরপেক্ষতা, সাহসিকতা এবং দৃঢ়তা থাকা উচিত। পর্যবেক্ষকদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টিকে ‘অযৌক্তিক’ মনে করে সুজন সম্পাদক বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকার কথা বলার বিষয়টি অযৌক্তিক। 

তবে পর্যবেক্ষকদের নির্বাচনকে যেন কোনোভাবে প্রভাবিত না করে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তাদের দ্বারা নির্বাচনী কাজ যেন কিছুতেই ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে তারা ছবি তুলতে পারবে না এটা ঠিক নয়। কারণ তাদের ইভিডেন্স (প্রমাণ) দরকার। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন মূল্যায়ন করবে বলে আশা করি। গত বৃহস্পতিবার রাতেও রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদী থেকে যশোর বিএনপি নেতার লাশ উদ্ধার হয়েছে। নির্বাচনকালীন এমন ঘটনায় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, শুধু এটা নয়, গ্রেপ্তারও চলছে।

এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কার্যকরী ভূমিকাই জরুরি। তারা কি ভূমিকা পালন করে সেটা দেখার বিষয়। ভোটের চূড়ান্ত লড়াইয়ে যেতে বাকি থাকা এই সময়ের মধ্যে কতটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব এমন প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, এটা বোঝা যাবে আগামী কয়েকদিন পর। তবে এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাতে তারা যে নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে সেই আস্থাটা জন্মাচ্ছে না। যেহেতু এখনো পাঁচ সপ্তাহ বাকি, দেখা যাক আগামী ২ থেকে ৩ সপ্তাহে তারা কী পদক্ষেপ নেয়। জনগণ নিঃসন্দেহে সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এবং সাহায্য সহযোগিতাও করবে। এখন এটা নির্ভর করবে নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা আর নিরপেক্ষতার উপরে।

আমার ধারণা আগামী তিন সপ্তাহে ব্যাপারটা আরো স্পষ্ট হবে আসলে কোন্দিকে যাচ্ছে। পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের ভোটগ্রহণের দিন কার্যক্রমে বিধি-নিষেধ আরোপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো এক ধরনের উদ্ভট সিদ্ধান্ত। তবে আশা করি, যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে পর্যবেক্ষকদের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত পাল্টাবে। বিরোধী দলগুলোর মামলা ও গ্রেপ্তার, ইসির কাছে প্রশাসনের রদবদল এবং বৃহস্পতিবার বুড়িগঙ্গায় বিএনপি নেতার লাশ উদ্ধারের ঘটনা প্রসঙ্গে শাহদীন মালিক বলেন, এসব ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তাদের (নির্বাচন কমিশন) প্রতি আস্থা এখনো সৃষ্টি হয়নি। আগামী তিন সপ্তাহে যদি তারা বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেন তাহলে আস্থা তৈরি হবে। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন / ২৪ নভেম্বর ২০১৮

Thursday, November 22, 2018

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সংশোধনের প্রতিশ্রুতি চান সম্পাদকরা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের প্রতিশ্রুতি সংযোজনের আহ্বান জানিয়েছেন সম্পাদকরা। সোমবার রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে অনুষ্ঠিত সম্পাদক পরিষদের সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।

‘আলোচনার সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি’ মর্মে তিন মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সাংবাদিক ও গণমাধ্যমসংশ্লিষ্টদের উদ্বেগ নিরসনে কোনো প্রয়াস না নেয়ায় এবং দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে আইনটি সংশোধনে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় সম্পাদক পরিষদ গভীর হতাশা প্রকাশ করেছে। সভা শেষে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ উদ্বেগ নিয়ে লক্ষ করছে, প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়নের আগেই গণমাধ্যম পেশাজাবী ও মালিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে গণমাধ্যমকে এ আইনের আওতায় মামলা দায়েরের হুমকি দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

সম্পাদক পরিষদ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচিত হতে যাওয়া সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের প্রতিশ্রুতি চেয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ইশতেহারে এ প্রতিশ্রুতি সংযোজনের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সাংবাদিক ও সম্পাদকদের দায়িত্ব পালন ঠেকাতে ও তাদের হয়রানির উদ্দেশ্যে মানহানি মামলার ঢালাও ব্যবহারে সম্পাদক পরিষদ গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ প্রসঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে সংগঠনটি বলেছে, আইনে শুধু ‘সংক্ষুব্ধ’ ব্যক্তির মামলা দায়েরের সুযোগের কথা বলা হলেও আইনত ‘সংক্ষুব্ধ’ বলে সংজ্ঞায়িত হওয়ার নন, এমন মানুষেরাও মানহানি মামলা দায়ের করছেন এবং আদালত সেগুলো আমলে নিচ্ছেন। আইনের এহেন অপব্যবহার অবিলম্বে বন্ধ করার এবং মানহানি মামলার ক্ষেত্রে আইনি বিধি কঠোরভাবে অনুসরণের একান্ত আহ্বান জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।

বিবৃতিদাতারা হলেন রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, নিউজ টুডে; মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রধান সম্পাদক, মানবজমিন; নূরুল কবীর, সম্পাদক, নিউ এজ; মতিউর রহমান, সম্পাদক, প্রথম আলো; মাহ্ফুজ আনাম, সম্পাদক, দ্য ডেইলি স্টার; নঈম নিজাম, সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন; আলমগীর মহিউদ্দিন, সম্পাদক, নয়া দিগন্ত; এমএ মালেক, সম্পাদক, দৈনিক আজাদী; মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সম্পাদক, করতোয়া; এম শামসুর রহমান, সম্পাদক, দ্য ইনডিপেনডেন্ট; সাইফুল আলম, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, যুগান্তর; দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, সম্পাদক, বণিক বার্তা; জাফর সোবহান, সম্পাদক, ঢাকা ট্রিবিউন; শহীদুজ্জামান খান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও মুস্তাফিজ শফি, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, সমকাল।

  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা/ নভেম্বর ২২,২০১৮ 

Electoral integrity matters

11TH PARLIAMENTARY ELECTION

The Election Commission (EC) had announced the schedule for the 11th parliamentary election on November 8, 2018 and shifted the poll date from December 23 to December 30, 2018 as the opposition BNP and the newly formed alliance Jatiya Oikyafront decided to hold a couple of rounds of dialogue with the government. Most of the important demands of Oikyafront remain unfulfilled.

However, with the announcement of the decision of their participation in the upcoming election, the political situation has eased to a great extent. The ball is now in the EC's court which is mandated by the constitution to hold a free, fair, credible and genuine election. These requisites are, among others, essentially important to ensure and maintain “electoral integrity”.

Before I proceed further it would be worthwhile to put forward the scholarly definition of “electoral integrity”. It is also conceptualised as “electoral quality”. The Kofi Annan Foundation, named after and established under the late former UN Secretary General Kofi Annan, defines electoral integrity as “any election that is based on the democratic principles of universal suffrage and political equality as reflected in international standards and agreements, and is professional, impartial, and transparent in its preparation and administration throughout the electoral cycle.”

However, those four terms—“genuine”, “free”, “fair” and “credible”—do not have a universal definition and are centred on personal understanding within the purview of democracy and good elections. The understanding of a “free”, “fair”, “credible” and “genuine” election largely depends on the interpretation of political pundits. Nevertheless, this understanding differs from country to country depending on its political culture and state of democracy. In a mature democracy these adjectives associated with a democratic election are taken for granted but in countries like Bangladesh, these prerequisites associated with genuine elections are not guaranteed and are to be interpreted as per an individual's personal understanding. Terms associated with elections are often “difficult to describe, imprecisely defined, and open to disagreement.” “The United Nations Universal Declaration of Human Rights refers to 'genuine elections' but does not provide a working definition of the phrase nor does it provide a breakdown of the indicators or means to achieve them” (ACE Electoral Knowledge Network).

Nevertheless, based on empirical studies and firsthand knowledge of the electoral process in Bangladesh, these terms need to be defined within the appropriate context. There has been a gradual deterioration in the electoral processes in the last five years. Therefore, these attributes assume greater importance in assessing the upcoming election. There are national and international laws that can give us an idea of a “genuine” and “democratic” election—but in Bangladesh you have variations such as the topic of election-time government which remains a disputed issue.

The term “free” is associated with electors (voters) and candidates throughout the pre-electoral and electoral period. These periods have a deciding role in an election being “fair”. Evidently, there has been no even playing field during the pre-electoral period (the period up until the announcement of the schedule). Ironically, the pre-electoral period was dominated by the ruling party. The government which is mainly responsible for maintaining a balance failed to do so. Certainly, it has an effect on the electoral period that we are already in. The violent incidents in Nayapaltan on November 14, 2018 are a manifestation of that, whereas the EC tolerated the ruling party's “showdown” while buying party nomination papers in contravention of Section 44B(3A)(g) and (i) of the RPO and spirit of the Code of Conduct. If and how such acts affect the campaign period remains to be seen.

For an election to be “free”, the campaign period should be equally free and for that an atmosphere that provides a level playing field has to be established. Each participant should be able to, within given constraints, campaign without any hindrance or intimidation and be free of partisan behaviour of electoral administrators. The electoral period, from the schedule to validation of results by the EC, can negatively be swayed by the ambience of the pre-electoral period if the government of the day fails to provide a level playing field to the opponents. Yet it is the duty of the EC to ensure a free and fair atmosphere during the campaign to the best of their ability. However, in most cases, particularly since the 2014 election, the campaign period has been marred with corrupt electoral practices which went beyond the control of the EC.

While emphasising the paramount importance of electors' role in a democracy, Winston Churchill said, “At the bottom of all the tributes paid to democracy, is the little man, walking into the little booth, with a little pencil, making a little cross on a little bit of paper.” He referred to the fact that an elector must be allowed to exercise his or her choice and vote “freely” without any intimidation and fear to lay a legitimate base for democracy. But of late such an atmosphere has been absent in our elections, both national and local, in the last five years. Voters were intimidated, and obstacles created so that they abstained from voting. Corrupt practices such as “booth jamming” and ballot stuffing were resorted to. Other discouraging acts were witnessed too such as a short supply of ballot, booths being captured with impunity, and voters being forced to hand over ballot papers. One such example was the 2014 election where attendance was less than 10 percent and 40 centres went without a vote cast. This phenomenon continued in all elections thereafter. Gradually, voters, particularly women and marginalised voters, lost interest in voting. There was no semblance of a “free” election that calls for “free expression of people's will to choose.” Election administrators failed to control the entire electoral process.

A “fair” election is one where voters' choice is truly reflected or translated into results without any manipulation at any stage. But there are numerous past examples where results were manipulated, particularly while counting at the centre. Most often than not, counting agents of opposing candidates were barred from the counting centre and, in most cases, corrupt officials either forged or forcibly obtained tabulating sheets before voting closed. Empirical studies and personal observations show that Returning Officers (ROs) rarely resorted to recount on genuine complaints of opponents while consolidating and validating results. These immoral and corrupt practices question the fairness of election results.

The overall credibility of an election depends on how voters, the general public of that region, constituencies, civil society, national and international observers and participating political parties perceive the election. However, in Bangladesh, election results have given rise to questions even when such results were largely accepted by voters and the public in general.

The parameter of a free, fair, credible and genuine election and standards set by the United Nations Official Document A/66/314 “have been endorsed in a series of authoritative conventions, treaties, protocols, and guidelines by agencies of the international community, notably by the decisions of the UN General Assembly, by regional bodies such as the Organization for Security and Cooperation in Europe (OSCE), the Organization of American States (OAS), and the African Union (AU), and by member states in the United Nations. Following endorsement, these standards apply universally to all countries.”

We, as a member of the UN, are also party to these conventions, susceptible to international scrutiny and bound to hold free, fair, genuine, and credible elections for which EC and the election-time government are responsible. For EC the 11th parliamentary election would pose unprecedented challenges for multifarious reasons, mainly because of the constitutional changes in Article 123 (time for holding elections). Therefore, both the government and the EC have to act in a mature manner. Particularly, the EC must anticipate the challenges and be prepared to face them. The country can hardly endure another “flawed” election. The nation deserves a good election where the voters' choice will be truly reflected.

M Sakhawat Hussain, PhD, is a retired army officer, former election commissioner of Bangladesh and currently Honorary Fellow, South Asian Institute of Policy and Governance, North South University. Email: hhintlbd@yahoo.com

  • Courtesy: The Daily star/ Nov 20, 2018

Are the criticisms misplaced?

EDITORIAL

Downplaying banking sector problems unhelpful

The finance minister recently told the chairpersons and directors of state-owned banks that those who highlight the sorry state of the banking sector—the culture of loan default, the flouting of set banking norms, etc—are all uninformed. Such a remark coming from him is disappointing, given the fragile state of the banking sector as a whole.

Surely, the media, banking experts, think-tanks, various chambers of commerce and industry, the World Bank, etc—in essence, all the non-state actors who have been highlighting the many problems prevalent in the state-owned banks—cannot all be uninformed. On what count are the critics wrong? The finance minister has, on record, riled many times about the poor state of affairs in the state-owned banks. And it stems from the fact that there is poor management in these banks where malpractices in loan sanctioning are rife. There is little by way of appraising of applications for loans, and undue influence of senior management officials has also been cited in many reports by the Bangladesh Bank.

The government has bailed out state-owned banks year after year without initiating any of the changes recommended by banking experts. Indeed, we are also witness to the bailout of private banks—all without any commitments from these financial institutions that they would reform their management and restore sound banking policies. This is a matter which should not be swept under the carpet. Instead the reality should be acknowledged and effective measures to stop the malpractices and derelictions that are plaguing the banking sector should be initiated immediately.

  • Courtesy: The Daily Star/ Nov 21, 2018

এ কেমন নিষ্ঠুরতা!

সম্পাদকীয়

পুলিশের জবাবদিহির ব্যবস্থা চাই


অটোরিকশা চুরির অভিযোগে নরসিংদীর শিবপুর থানা-পুলিশের হাতে আটক আতিকুর রহমান ভুঁইয়া নামে এক তরুণ এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের মেঝেতে পড়ে আছেন। তাঁকে পাহারা দিচ্ছেন পুলিশের দুই সদস্য। আতিকুরের ডান পা গুলিবিদ্ধ, শরীরের ৫ শতাংশ জুড়ে পোড়াজনিত গভীর ক্ষত।

কী হয়েছে আতিকুরের? কেন তিনি থানা-হাজত কিংবা কারাগারের বদলে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের মেঝেতে পড়ে আছেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে যে বিবরণ পাওয়া যাবে, তা অতিশয় মর্মান্তিক। আতিকুরের বাবা আবদুল হান্নান ভুঁইয়ার অভিযোগ, ১১ নভেম্বর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শিবপুর থানার উপপরিদর্শকের নেতৃত্বে সাদাপোশাকে চার পুলিশ সদস্য একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তাঁদের গ্রাম লালপুর যান এবং আতিকুরকে একটি অটোরিকশা চুরির অভিযোগে আটক করে থানায় নিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যায় আতিকুরের বাবা থানায় গিয়ে পুলিশকে এক হাজার টাকা দেন, যেন পুলিশ থানায় তাঁর ছেলেকে নির্যাতন না করে। পরদিন সকালে তিনি আবার ছেলেকে দেখার জন্য থানায় গিয়ে দেখতে পান, ছেলের শরীর গরম পানিতে ঝলসানো। ছেলে বাবাকে বলেন, একটি অপরাধের স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য পুলিশ তাঁর এই অবস্থা করেছে।

আতিকুরের ওপর পুলিশি নিষ্ঠুরতার অভিযোগের এখানেই শেষ নয়। গরম পানিতে ঝলসানো অবস্থায় তাঁকে থানা–হাজতেই দুই দিন রাখা হয়। ১৪ নভেম্বর রাতে তাঁকে চোখ বেঁধে থানা থেকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ডান পায়ে গুলি করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ১৫ নভেম্বর সকালে শিবপুর থানা থেকে আতিকুরের বাবাকে ফোন করে বলা হয়, তাঁর ছেলে পায়ে চোট পেয়েছেন, তাঁকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে ১৬ নভেম্বর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

আতিকুরের সঙ্গে শিবপুর থানার পুলিশের এসব নিষ্ঠুর ও বেআইনি আচরণের অভিযোগে আমরা বিস্ময়ে হতবাক। আতিকুর কোনো অপরাধ করেছেন কি করেননি, সেই প্রশ্নে না গিয়েই তো বলা যায়, প্রজাতন্ত্রের কোনো নাগরিকের সঙ্গে এমন আচরণ করার অধিকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নেই। শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুরের বাবার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আতিকুরকে গ্রেপ্তার করার সময় গোলাগুলি হয়েছে, তখন তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু আতিকুরের শরীর পুড়ে গেল কীভাবে এবং পোড়া শরীর নিয়ে একজন মানুষ ডাকাতির প্রস্তুতি কীভাবে নিতে পারেন, কীভাবেই–বা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অংশ নিতে পারেন—এই প্রশ্নের উত্তরে ওসি ‘ও একটা ডাকাত’ বলে এড়িয়ে গেছেন। আতিকুর গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে যখন তাঁকে শিবপুর থানায় আটকে রাখা হয়েছিল, তখন সেখানে তাঁকে দগ্ধ অবস্থায় দেখেছিলেন বাঘাবো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরুণ মৃধা। সুতরাং ওসির বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তা ছাড়া আটক ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’র প্রচলিত গল্পগুলো যে বিশ্বাসযোগ্য নয়, তা বলাই বাহুল্য।

শিবপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে আতিকুরের পরিবারের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। এতে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগের পুরো ব্যবস্থা সম্পর্কেই প্রশ্ন ওঠে। এ ধরনের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ প্রতিকারের উদ্যোগ নেওয়া একান্ত জরুরি।
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ নভেম্বর ২২,২০১৮ 

Tuesday, November 20, 2018

ব্যাংক লুটের টাকায় শাহাবুদ্দিনের ‘রাজপ্রাসাদ’


হোসেন গ্লাস ফ্যাক্টরি ছিল চট্টগ্রামের খুলশী এলাকার হাবিব লেনে। ২০০৪-০৫ সালের দিকে ফ্যাক্টরির কর্ণধার মীর হোসেন সওদাগরের কাছ থেকে দুই দফায় প্রায় ৯০ কাঠা জমি কেনেন এসএ গ্রুপের কর্ণধার শাহাবুদ্দিন আলম। দখল করেন দ্য চিটাগং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির ১৯ কাঠাসহ রেলের আরো কিছু জমি। ওই জমিতেই গড়ে তোলেন প্রাসাদোপম বাড়ি। জনশ্রুতি আছে, খুলশীতে শাহাবুদ্দিন আলমের এ বাড়িই এখন চট্টগ্রামের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ি। নির্মাণের সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রায় পাঁচ একর জায়গা (খেলার মাঠ ও খোলা জায়গাসহ) ৫৭ হাজার বর্গফুটের তিনতলা বাড়িটির মূল্য জমিসহ ৬০০-৭০০ কোটি টাকা।

ভারতীয় দূতাবাসের পাশেই শাহাবুদ্দিন আলমের প্রাসাদোপম বাড়িতে থাকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বেষ্টনী। প্রবেশ গেট থেকে অতিথিদের ‘ঘোড়ার গাড়িতে’ করে মূল বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে কথিত আছে।

এসএ গ্রুপের কর্ণধার বাড়িটি নির্মাণ করেন ২০১২-১৩ সালের দিকে। তার আগ থেকেই বিপুল অংকের ব্যাংকঋণ পেতে থাকেন এ ব্যবসায়ী। তার ঘনিষ্ঠজন ও ব্যাংকারদের ভাষ্য, ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের টাকায় এ প্রাসাদ বাড়ি তৈরি করেছেন শাহাবুদ্দিন আলম। পরে ওই ঋণ খেলাপি হতে থাকলে আইনের আশ্রয় নিতে থাকে ব্যাংকগুলো। সেই মামলার একটিতে গ্রেফতার হয়ে তিনি এখন কারাগারে। তার বিরুদ্ধে জমি দখলের মামলা করেছে চিটাগং কো-অপারেটিভ হাউজিংও।

শাহাবুদ্দিন আলমের প্রতিষ্ঠান এসএ গ্রুপের কাছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে পূবালী ব্যাংকের। বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ব্যাংকটির ঋণ পরিশোধ না করায় এরই মধ্যে শাহাবুদ্দিন আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ব্যাংকটি। পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবদুল হালিম চৌধুরী বলেন, বিলাসবহুল চট্টগ্রামের বাড়িসহ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে শাহাবুদ্দিন আলমের বেশ কয়েকটি বাড়ি, ফিলিং স্টেশন, বহুতল মার্কেটসহ স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। ব্যাংকের টাকায়ই তিনি এসব সম্পত্তি গড়েছেন বলে শুনেছি।

বাড়িটি নির্মাণের সময় নির্মাণ উপকরণ সরবরাহকারী একজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বণিক বার্তাকে বলেন, বাড়িটি নির্মাণে ছয় ফুট বাই চার ফুটের একটি বড় টু-ডি ল্যান্ডস্কেপ করা হয়। ল্যান্ডস্কেপ অনুযায়ী, মূল ভবনটি তিনতলাবিশিষ্ট ডুপ্লেক্স আকৃতির। তবে এ বাড়িতে রয়েছে একাধিক ভবন। বাড়ির কাজে নিয়োজিত কর্মীদের জন্য রয়েছে আলাদা ভবন। রয়েছে একাধিক স্থায়ী মঞ্চ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রান্নার প্রয়োজনে মূল বাড়ির বাইরে রয়েছে শেডযুক্ত রান্নাঘর। আরো আছে মিউজিয়াম, হেলিপ্যাড, লাইব্রেরি, একাধিক খেলার মাঠ ও কোর্ট, জিমনেসিয়াম, কনফারেন্স হল, বৈঠকখানা, বাগান, পার্ক ও শিশুদের খেলার স্থান। ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরের বড় অংশ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে সর্বাধুনিক সুইমিংপুল। বাড়ির নিরাপত্তায় রয়েছে আধুনিক নিরাপত্তা প্রযুক্তি।

বাড়িটি নির্মাণে প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী আনা হয়েছে বিদেশ থেকে। বাড়ির বাগান সৃজনে ব্যবহার করা হয়েছে বিদেশী গাছ, মাটি ও উপাদান। এক্ষেত্রেও প্রতারণার শিকার হয়েছেন এসব সরবরাহকারী।

চট্টগ্রামের স্থানীয় এক আমদানিকারকের মাধ্যমে প্রায় ৩০ লাখ টাকার বিদেশী গাছ ও ফুলের চারা সংগ্রহ করেন শাহাবুদ্দিন আলম, যদিও অধিকাংশ টাকা এখনো পরিশোধ করেননি।

বাড়িটির বাগান ও সবুজায়নের দায়িত্বে ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিক। প্রায় এক বছর লোকবল নিয়ে বাগান সৃজনের কাজ করেন তিনি। তাকেও পাওনার পুরো টাকা পরিশোধ করেননি শাহাবুদ্দিন আলম। বাগানের জন্য নেয়া অতিরিক্ত চারা এখনো শাহাবুদ্দিনের প্রাসাদ বাড়িতে পড়ে আছে, মোহাম্মদ রফিককে ফেরত দেননি।

বিদেশী নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার ছাড়াও বাড়িটি নির্মাণে আর্কিটেক্ট আনা হয়েছে ভারত থেকে। ব্যাংকের ঋণ সমন্বয়ে এরই মধ্যে বাড়িটি তার পুত্রবধূর নামে হেবা করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

পাওনাদার ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তা শাহাবুুদ্দিনের প্রাসাদ বাড়িতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন, তাদের বর্ণনা মতে, চট্টগ্রাম শহরের অন্যতম বিলাসবহুল বাড়ি এটি। যেখানে হেলিপ্যাড, সুইমিংপুল ও ব্যায়ামাগারসহ অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। বাড়ির ভেতরে পুকুর সমান সুইমিংপুলের নিচে রয়েছে স্বচ্ছ গ্লাস। পুরো বাউন্ডারির মধ্যে দুটি ভবন। মূল ভবনটি তিনতলাবিশিষ্ট, যেটি শাহাবুদ্দিন আলমের পরিবারের থাকার জন্য। মূল ভবনের ড্রয়িং রুমটি ডিম্বাকৃতি। অন্যটা দোতলা ভবন। যেখানে তার অফিস স্টাফ, গেস্ট রুম ও নিরাপত্তাকর্মীরা থাকেন। বাড়িটির দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের পর বিশেষায়িত যানের মাধ্যমে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয় অতিথিদের। ছেলে-মেয়ের বিয়ে, বাড়ি উদ্বোধন ও পারিবারিক যেকোনো অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের রাজকীয় অভ্যর্থনা দেয়া হয় ব্যাংকের ঋণে তৈরি শাহাবুদ্দিন আলমের বিলাসবহুল এ বাড়িতেই।

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, মূল ফটকের ভেতর বাড়ির আঙিনায় সার্বক্ষণিক সাত-আটজন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত থাকে। পরিবারের ব্যবহারের জন্য গাড়ি রয়েছে ৮-১০টি, যার মধ্যে আছে পাজেরো স্পোর্টস কার, আউডি, টয়োটা, ল্যান্ড ক্রুজারসহ বিলাসবহুল গাড়ি।

খুলশীতে ভারতীয় দূতাবাস পার হতেই হাবিব লেনের শেষ প্রান্তে শাহাবুদ্দিন আলমের প্রাসাদোপম বাড়িটির অবস্থান। বাড়ি নম্বর-৪৩৭৯। গতকাল বাড়িটির মূল ফটকের সামনে যেতেই নিরাপত্তাকর্মীরা বেরিয়ে আসেন। পরিচয় জানার পর ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেননি। বাইরে থেকে দেখা যায়, সাত-আটজন নিরাপত্তাকর্মী। বাড়িতে শাহাবুদ্দিন আলমের পরিবারের কেউ নেই বলে জানান তারা।

শাহাবুদ্দিন আলমের পিতা মো. শামসুল আলম ছিলেন দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরের বাসিন্দা। চট্টগ্রামের বকশীরহাটে পারিবারিক একটি কাপড়ের দোকান ছিল তার। এছাড়া নিজ এলাকার পুকুরপাড় অঞ্চলে বাল্বের ছোট একটি ফ্যাক্টরি ছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর মধ্যম হালিশহরের বাসিন্দা চট্টগ্রামের বনেদি ব্যবসায়ী ইমাম শরীফ সওদাগরের ছেলে মো. আবুল কালাম তার মেয়েকে শাহাবুদ্দিন আলমের সঙ্গে বিয়ে দেন। আবুল কালামের ছেলেরা ছোট থাকায় শ্বশুরের ব্যবসার দেখাশোনা করেন শাহাবুদ্দিন আলম। মূলত তার ব্যবসার মূলধন তৈরি হয় সেখান থেকেই। শ্বশুরের ব্যবসা দেখাশোনার সময়ই শাহাবুদ্দিন আলম নিজের ব্যবসাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বড় করে তোলেন। শ্বশুরদের দীর্ঘদিনের পুরনো পারিবারিক ব্যবসা কার্যত বন্ধ হয়ে গেলে শ্বশুরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর থেকেই বাবার নামে একাধিক শিল্প-কারখানা স্থাপনে মনোযোগী হন তিনি।

এক সময় পৈতৃকভাবে উল্লেখযোগ্য জমি না থাকলেও বর্তমানে মাইলের মাথা এলাকার মূল সড়কের দুই পাশের অধিকাংশ জমিই শাহাবুদ্দিন কিনে নিয়েছেন। ওই এলাকার লায়লা ফিলিং স্টেশনের মালিকানাও তার নামে।

শাহাবুদ্দিন আলমের এক নিকটাত্মীয় নাম প্রকাশ না করে বণিক বার্তাকে বলেন, এক দশক আগেও শাহাবুদ্দিন আলমের ব্যবসা বলতে উল্লেখ করার মতো কিছু ছিল না। ব্যাংক থেকে বড় বড় ঋণ নেয়ার পর থেকেই নিজ এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ জমিগুলো কিনে নেন তিনি। এয়ারপোর্ট রোডের উভয় পাশের গুরুত্বপূর্ণ জমিগুলো কিনে মার্কেট নির্মাণ করেছেন।

ঋণের টাকায় শাহাবুদ্দিন আলম বিলাসবহুল বাড়ি ও সম্পদ গড়লেও ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করেননি। বর্তমানে তার কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা রয়েছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। পাওনা আদায়ে ব্যাংকগুলো আইনের আশ্রয় নিয়েছে। গত কয়েক বছরে এসএ গ্রুপের কর্ণধারদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদালতে এ পর্যন্ত দেড়শর বেশি মামলা করেছে পাওনাদার ব্যাংক। ব্যাংক এশিয়ার এক মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন চট্টগ্রামের এ ব্যবসায়ী।


  • Courtesy: Banikbarta/ Nov 20, 2018

Punitive measures against perpetrators are the answer

EDITORIAL

THE Financial Institutions Division’s plan to train directors to safeguard interests of state-owned banks sounds farcical as it is unlikely to work. The division arranged the programme against the backdrop of loan scams involving at least Tk 13,000 crore in state-owned Sonali, BASIC and Janata banks under the board of directors appointed during the Awami League’s two consecutive tenures in the government. The Anti-Corruption Commission failed to prosecute even former BASIC Bank chairman Abdul Hye Bachhu although the central bank found his involvement in the approval of loans of Tk 6,000 crore to fictitious borrowers that made the once profit-making bank fail. A former central bank governor rightly noted that there would be no benefit of such a brainstorming sessions since problems of state-owned banks — such as growing non-performing loans and political intervention — were known to all. Under such circumstances, it is disturbing that the division has arranged a programme of training for bank directors. All that is needed now is the willingness of the government to punish the politically motivated directors responsible for the shabby condition of these banks.

Sonali Bank, Janata Bank, Agrani Bank, Rupali Bank and BASIC Bank have become safe havens for rule violators as their boards illegally dictate the loan approval process and adopt malpractice and fact-tampering ignoring the regulators. As such, it is not surprising at all that most of these banks were rocked by loan scams with shady loans approved by the errant boards. According to the BFID report, borrowers defaulted on 48 per cent of the loans, 80 per cent of which is bad loan. Such a plunder of public money could take place for lack of efficiency and transparency in credit approval, credit administration and credit oversight and recovery, poor selection of borrowers, politically motivated lending and negligence in risk management. All these failures of the state-owned banks also squarely fall on the government, which sets up the bank boards, often with people of a partisan bias. The situation in these banks is so alarming that there is an urgent need to overhaul the management structure of these banks to bring their directors under a framework agreement to ensure their accountability.

Against this backdrop of scams, bad loans and fraudulent practice by the banks, the government should have thought of bringing about a change in its banking policy. Still training can be provided for directors to impart knowledge on new subjects such as cyber theft and money laundering law. But no training is needed to make them aware of their core responsibility. It is high time the government concentrated on prosecuting and punishing the responsible individuals of state-owned banks exemplarily and, thus, abstained from abetting more financial crimes.

  • Courtesy: New Age/ Nov 20, 2018