Search

Tuesday, December 11, 2018

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়ে বিব্রত ইসি

মনোনয়ন বাছাইয়ে রিটার্নিং অফিসারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বিব্রত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়ন বাতিলের কারণ স্পষ্ট না করা ও ভুল কারণ দেখানোর জন্য কমিশনাররা ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। গত শনিবার রিটার্নিং অফিসারদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিলের শুনানি শেষ হয়। ইসিতে  মোট ৫৪২টি আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি করে ইসি। এর মধ্যে ২৪৩ জন প্রার্থিতা ফেরত পান। রিটার্নিং অফিসারদের সিদ্ধান্ত অস্পষ্ট থাকায় ইসির আপিল শুনানিতে বাতিল হয়ে যায় অনেক আবেদন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল। বিভক্ত রায়ে বেগম জিয়ার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করে ইসি।

ইসি সূত্র জানায়, যে অভিযোগে রিটার্নিং অফিসাররা বেগম জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করেছে তা প্রকৃতপক্ষে নির্বাচনী অপরাধকে নির্দেশ করে। খালেদার আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, রিটার্নিং কর্মকর্তা ১২/১ (ঘ) অনুসারে মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন। এই ধারা নির্বাচনী অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। 

রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশে যা বলেছেন তা হলো- নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে যদি কেউ অপরাধ করেন, যেমন- মনোনয়নপত্র দাখিলের পর কেউ প্রচারণা শুরু করলো বা কাউকে মারধর করলো বা ভোটকেন্দ্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করলো। অর্থাৎ, নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করলো। তারা বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল আদেশে খালেদা জিয়ার সাজার কোনো প্রসঙ্গে বলা হয়নি। এখানে বলা হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়। খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি কীভাবে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করবেন? যে আদেশ রিটার্নিং কর্মকর্তারা দিয়েছেন, আইনের দৃষ্টিতে তা বৈধ নয়। ইসি সূত্র জানায়, খালেদার আপিল শুনানি নিয়ে দুই দফা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন কমিশনাররা। রিটার্নিং অফিসারের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক তারা। নিজেদের মধ্যে আলোচনায় এনিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন এক কমিশনার। রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত সঠিক না থাকায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার খালেদার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

অপর কমিশনাররা খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় আপিল খারিজের পক্ষে রায় দেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে খালেদার মনোনয়ন গ্রহণের আবেদন নামঞ্জুর হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সামাল দিলেও রিটার্নিং অফিসারের এমন কর্মকাণ্ডে সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসি। প্রকাশ্য শুনানিতে রিটার্নিং অফিসারের এমন ভুল বিব্রত করেছে কমিশনকে। এজলাসে খালেদার আইনজীবীদের যুক্তির জবাব দিতে পারেন নি কোনো কমিশনার। কারণ, যে অভিযোগের ভিত্তিতে খালেদার মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কথা ছিল সেই অভিযোগ রিটার্নিং অফিসারদের সিদ্ধান্তে আসে নি। ইসি সূত্রে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলেও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত লিখেছেন রিটার্নিং অফিসাররা। 

দৈব চয়নে কোনো কোনো ভোটারের সমর্থন মেলেনি তা লেখেন নি রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ফলে আপিলের সময় এসব ভোটারকে হাজির করতে পারেন নি প্রার্থীরা। যেসব রিটার্নিং অফিসার স্পষ্ট করে লিখেছেন তাদের সিদ্ধান্ত দেখে ভোটারদের হাজির করেছেন প্রার্থীরা। শুনানির শেষদিনে কমিশনাররা এ নিয়ে বিব্রত হন। শুনানিতে প্রার্থীর আইনজীবীরা ন্যায় বিচার না পাওয়ার অভিযোগ আনেন ইসির কাছে। শুনানি চলাকালে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। তার পাশে বসা নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/১১ ডিসেম্বর ২০১৮

প্রকল্পটি বাড়তি মনোযোগ দাবি - পদ্মার ভাঙন ঠেকানো

সম্পাদকীয়
পদ্মা যে কত ভয়াল ও সর্বগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে, তা ভিটেমাটি হারিয়ে হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছেন শরীয়তপুরের নড়িয়া অঞ্চলের বাসিন্দারা। এ বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর জুড়ে প্রবল ভাঙনে একের পর এক সেখানকার গ্রামগঞ্জ-হাটবাজার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বিরাট প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে কাটিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দু-তিনতলা পাকা বাড়ি, অনেক পুরোনো ঘরবাড়ি ও প্রাচীন গাছপালা গ্রাস করে নিয়েছে প্রলয়ংকরী পদ্মা। নড়িয়াসহ পাঁচটি উপজেলার ১০ হাজার পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। বহু মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সর্বস্বান্ত হয়েছে।

এখন পদ্মা অনেক শান্ত। নতুন করে যাতে সর্বনাশা নেমে না আসে, সে জন্য উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। নড়িয়া ও জাজিরার পদ্মার ডান তীর রক্ষা প্রকল্প নামের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ করা হবে ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। প্রকল্পের ৫৪৭ কোটি টাকা দিয়ে তীর রক্ষা ও ৫৫০ কোটি টাকা দিয়ে পদ্মা নদীর চর খনন করা হবে। বাংলাদেশের বাস্তবতা হলো, একেকটি প্রকল্প বাস্তবায়নে কোটি কোটি টাকা খরচ হয় ঠিকই। তার সুফল জনগণ খুব কমই পায়। দুর্নীতি এবং ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের যোগসাজশে নিম্নমানের কাজ করাই এর মূল কারণ।

নদীর ভাঙন ঠেকাতে যে প্রকল্পের উদ্বোধন করা হলো, সেটি আর দশটা প্রকল্পের মতো নয়। এই প্রকল্পের ওপর লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করছে। একটি মহাসড়ক যদি ভালো করে তৈরি না করা হয়, তাহলে জনগণকে কষ্টভোগ করতে হয় ঠিকই কিন্তু তার জন্য হাজার হাজার মানুষের ভিটেবাড়ি বিলীন হয় না। কিন্তু একটি বেড়িবাঁধের কাজ বা নদী রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নে যদি অনিয়ম হয়, তাহলে তার জন্য অসংখ্য মানুষকে পথে বসতে হয়। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এই প্রকল্পের দিকে সতর্ক ও বাড়তি নজর রাখা দরকার।

এই প্রকল্পের অর্ধেক ব্যয় হবে চর খননে। অর্থাৎ ড্রেজিং করার পেছনে ব্যয় হবে ৫৫০ কোটি টাকা। পানির নিচের এই খননকাজ সাধারণ চোখে দৃশ্যমান হবে না। বিশেষজ্ঞরা ছাড়া কাজটি ঠিকমতো হচ্ছে কী না, সে সম্পর্কে কোনো আন্দাজও করতে পারবে না। ফলে সেখানে অনিয়মের ঝুঁকি অনেক। এ ছাড়া তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের বিষয়েও অনিয়ম ও দুর্নীতির ঝুঁকি আছে।

যেহেতু এই প্রকল্পটি সরকারের অন্য প্রকল্পগুলোর মতো নয়, যেহেতু এর সঙ্গে বহু মানুষের জানমালের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত, সেহেতু এখানে কোনো রকম দুর্নীতি যেন প্রশ্রয় না পায়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মনোযোগ ও নজরদারি প্রত্যাশা করছি।  

কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

নির্বাচনে আপনারা তো ইনশাআল্লাহ হেরে যাচ্ছেন

সরকারের আয়ু শেষ হয়ে আসছে মন্তব্য করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও  গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন সরকারের উদ্দেশে বলেছেন ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে আপনারা তো ইনশাআল্লাহ হেরে যাচ্ছেন। এরপর জনগণ আপনাদের কীভাবে দেখবে সেই কথাটাও একটু ভাবুন। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘রাজনীতি  ও মানবাধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. কামাল বলেন, সুযোগ কাজে লাগান। আপনাদের তো আয়ু শেষ হয়ে যাচ্ছে। আরো ২০ দিন সময় আছে। এই ২০ দিনের মধ্যে সময়কে কাজে লাগান। আপনারা যদি কাজ করার সুযোগ চান আমাদের বলেন, আমরা সাহায্য করবো।

কিছু একটি করুন। আল্লাহর ওয়াস্তে এই সুযোগগুলো নেন। আর কয়েকদিন পর তো সাধারণ মানুষ হয়ে যাবেন। 

আপনাদেরকে যেন ৩১ তারিখ মোবারকবাদ দিতে পারি সেই সুযোগ দেন। কিছু ভালো কাজ করে না গেলে পরে আফসোস করবেন যে সুযোগ পেয়েও কিছু ভালো কাজ করলাম না! তিনি বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্যরা বিনাভোটে নির্বাচিত হলেও এখনো তারা সংসদ সদস্য হিসেবেই বিবেচিত। তাই তাদের অবস্থান থেকে এখনো কিছু করতে পারেন তারা। তাই যাবার আগে প্লিজ একটা কিছু করে যান। কারণ আপনারা তো বলছেন, দেশের জন্য অনেক উন্নয়ন করেছেন। তাই বিনা বিচারে যারা এভাবে মারা যাচ্ছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিন। কিছু একটা করুন। তাহলে জাতিকে বলতে পারবেন, হ্যাঁ আমরা বিনাবিচারে হত্যার ব্যাপারে ক্ষমতার শেষ সময়ে হলেও পদক্ষেপ নিয়েছি। নির্বাচনের সময় মাঠে থাকবেন জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমি তো মাঠেই আছি। কথা বলছি, জনমত গঠন করছি, সমর্থন সৃষ্টি করছি। এই ৮০ বছর বয়সে এর চেয়ে আর কি করার আছে? তিনি বলেন, মানুষ ভোট দিতে না পারলে স্বাধীনতা থাকবে না। আমরা সবাই ভোট দেবো। রাস্তাঘাট, পাড়ায় ও মহল্লায় নেমে যান। ভোট চাওয়া অপরাধ নয়। সবাই জনগণের কাছে ভোট চান। 

এসময় তিনি ৫৮টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেয়াকে উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, এ বিষয়ে আপনারাও সতর্ক হোন। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিক হিসেবে নীরব হয়ে গেলে চলবে না। নিজের বাড়ি দখল করে নেয়ার সময়ও চুপ থাকলে হবে না। প্রতিবাদ করতে হবে। ১৮ কোটি দেশের মালিক যদি এক হয়ে যাই, যদি মালিকানা ভোগ করার জন্য পাড়ায়-মহল্লায় এক হয়ে যাই তাহলে সরকারের লোকজন কিছুই করতে পারবে না। বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড মহামারি আকার ধারণ করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নাই। দেশে গণতন্ত্র না থাকার কারণে এসব হত্যাকাণ্ড বাড়ছে। দেশে আইনের শাসন ও সুশাসন নিশ্চিত হওয়া জরুরি। দেশের মালিক জনগণ, আর জনগণের মালিকানা তাদেরকে ফিরিয়ে দিতে হবে। ড. কামাল বলেন, দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা গুম-খুনের সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত। এসব ঘটনার জন্য সরকারের জবাবদিহি করা উচিত। এসময় তিনি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিচারবহির্ভূত হত্যার পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড ভয়াবহভাবে বেড়েছে। ২০১১ সালে ছিল ৬০ জন, ২০১২ সালে ৫০ জন, ২০১৩ সালে ৪০ জন। আর ২০১৮ সালে তা বেড়ে ৩২১ জন হয়েছে।

এটা মহামারি। এটা মহারোগ। এটি কীভাবে হয়েছে? কীভাবে সম্ভব? শাসন ব্যবস্থার রুগ্‌ণাবস্থার কারণে এটি হয়েছে। দেশে গণতন্ত্রহীনতার কারণে এটি ঘটেছে। তিনি বলেন, এভাবে মানুষ বিচারহীন ভাবে মরতে পারে না। এটি বন্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের সকল উচ্চ স্তরের ব্যক্তিদের নিয়ে তদন্ত করতে হবে। এটি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। এর কারণগুলো বের করে প্রতিকার কীভাবে করা যায় তা বের করতে হবে। কারণ মানবাধিকার নিশ্চিত করা সরকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। তিনি বলেন, ৪৭ বছর পরও অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এটা দেখে উদ্বিগ্ন না হয়ে পারছি না। সরকারের উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, এর বিরুদ্ধে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে আবেদন করছি। আপনারা সব ক্ষমতা রাখেন। এটি কেন হলো তা বের করুন। আপনারা না পারলে আমাদের বলুন, আমরা সহযোগিতা করতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছি। 

বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা মিলু চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছি?লেন- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোফাজ্জল করিম, মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদের মহাসচিব ফরিদ উদ্দিন ফরিদ, আফজাল হোসেন সেলিম, অ্যাডভোকেট ড. মো. শাহজাহান প্রমুখ। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/১১ ডিসেম্বর ২০১৮ 

Monday, December 10, 2018

Economy yet to feature in election debates - CPD

Political parties should come up with specific plans to address the challenges confronting the economy in their election manifestoes, said the Centre for Policy Dialogue yesterday. The issues pertaining to the living standards of the population are yet to feature in the election debates, said Debapriya Bhattacharya, a distinguished fellow of the think-tank.

“It is a matter of regret for us. We are here so that the political issues can't obscure the issue of improving the living standards of the people of Bangladesh.”

Bhattacharya's comments came at the unveiling of the CPD's report -- State of Bangladesh Economy and Upcoming National Elections: Priorities for Electoral Debates -- at the Brac Centre Inn in Dhaka.

When the mainstream political parties unveil their elections manifestos, they just cannot stop at articulating they want to achieve. “They will have to say how they will reach their goals.”

Creating jobs and raising income and investment will be needed for inclusive growth, he said, adding that Bangladesh would need labour-intensive industries, which will not only cater to the export markets but also the local markets.

“The parties not only need to demonstrate their awareness of the issues but also commit themselves to addressing the challenges with specific work plans,” said Mustafizur Rahman, another distinguished fellow of the CPD.

The country not only experienced a stable macro-economy during the period but also recorded a steady and decent economic growth rate.

Although the tax-GDP ratio did not show tangible improvements, the share of direct tax did increase in the total tax uptake.

One of the reasons for the lacklustre performance in revenue mobilisation relates to unabated illicit financial outflow and inaction to taxing assets.

The current electoral debates should be geared towards getting concrete commitments from the political parties concerning the pending tax-related reforms, including the VAT and SD Act 2012, the Customs Act, and the Direct Tax, the report said.

The reliance on high-cost borrowing, in the form of sales of national savings certificates, for financing the development projects may put pressure in the currently comfortable public debt portfolio in the coming years, Rahman said.

In fiscal 2008-09, only 18 percent of the annual development programme was financed by net sales of savings certificates. In fiscal 2016-17 it escalated to 61.6 percent.

It is critically important to consider a downward revision of the savings certificates rates along with maximum ceiling on purchase, the CPD said.

“We should be careful that we don't fall into a vicious cycle of borrowing more to pay loans,” Rahman said.

Private sector investment turned out to be one of the critical fault lines in an otherwise robust economic growth performance, according to the report.

Despite various attempts to attract foreign direct investment, the overall inflows have increased only at a modest pace: from $700 million in fiscal 2008-09 to $1.58 billion in fiscal 2017-18.

The capital market remained in a weak state over the last decade and failed to emerge as an alternate source for financing industries, the report said.

“The boom and bust of 2010 had led to serious undermining of investor confidence,” the CPD said, adding that the market is yet to regain the confidence of investors despite various measures.

The think-tank called the balance of payment situation, which has seen a dramatic change of fortune in recent months, an emergent concern for the country.

The overall balance fell into the negative terrain for the first time in almost two decades because of significant rise in the current account balance in the face of phenomenally high import growth.

A renewed effort to energise export growth through product and market diversification will be needed to reduce the growing trade deficit.

Until now Bangladesh's debt servicing record has been praiseworthy, but the borrowing liabilities are expected to rise because of graduation from least-developed country bracket and bulging credit from China and India.

The interest rate on the loans from the two countries is significantly higher than the traditional concessional loans from development lenders such as the World Bank.

The review said the challenge of addressing youth unemployment is becoming increasingly evident in Bangladesh.

“Youth unemployment is a product of a failing education system.”

Ironically, a positive relationship was found between education and unemployment in Bangladesh, implying that the higher the level of education the greater the likelihood of being unemployed, the CPD said.

Despite  quantitative  progress  in  health  indicators,  the  quality  of  healthcare  is not satisfactory. 

The per capita real public expenditure on health has increased by Tk 205 between fiscal 2008-09 and fiscal 2017-18.

“This is worrying,” Rahman said.

In Bangladesh, 71.8 percent of total health expenditure in 2015 was out-of-pocket spending, which was highest among all South Asian countries.

In the second term of the current Awami League-led government, economic inequality and other various social disparities expanded, Bhattacharya said.

“They were there in the past but the disparity accelerated after 2014,” he added. 

Fahmida Khatun, executive director of the CPD; Khondaker Golam Moazzem, research director, and Towfiqul Islam Khan, senior research fellow, were present.

  • Courtesy: The Daily Star/ Dec 10, 2018

গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে সুযোগ পাচ্ছে বেসরকারি কোম্পানি - নীতিমালার আওতায় লাইসেন্স দেয়া হোক

সম্পাদকীয়

দেশের বিমানবন্দরগুলোয় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একচেটিয়া অধিকার ছিল। তবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার মান নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সেবার মানোন্নয়নে এবার এ কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি কোম্পানিকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোয় লাগেজসহ পণ্য ওঠানামার কাজ অর্থাৎ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে অব্যবস্থাপনা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা, ব্যাহত হচ্ছে ফ্লাইটের সূচি। ফলে বিদেশী বিমান পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো আমাদের তিনটি আন্তর্জাতিক বন্দরের ব্যবস্থাপনার মান সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করছে।

গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য বাংলাদেশ বিমান শতকোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনেছে। কিন্তু তাতেও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি সংস্থাটি। ফলে যাত্রীদের লাগেজ পেতে বিড়ম্বনাসহ উড়োজাহাজে পণ্য ওঠানামা, জ্বালানি ভরা, পরিচ্ছন্নতাসহ নানা কারণে অবতরণ করা সব বিমান সংস্থাকেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিমানের অভ্যন্তরীণ এক তদন্তে এ খাতে বড় ধরনের দুর্নীতির প্রমাণও মিলেছে। তাই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত-সংবলিত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে বেবিচকের পক্ষ থেকে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের মাধ্যমে তা গেজেট আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে চিঠিতে।

অতীতে একাধিক বিদেশী প্রতিষ্ঠানের উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে ত্রুটির কারণে। এতে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে কর্তৃপক্ষকে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং একটি জরুরি ও স্পর্শকাতর কাজ। এর সঙ্গে দেশের সুনাম ও প্রশংসারও একটি যোগসূত্র রয়েছে। ফলে নীতিমালা প্রণয়নের সঙ্গে এর সুষ্ঠু বাস্তবায়নের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে এর ব্যবস্থাপনার কাজ দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে চুক্তি যেন যথাযথ হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কাউকে কাজ পাইয়ে দেয়া হলে তা পরিস্থিতিকে আরো সঙ্গিন করবে। এমনিতেই আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক রেটিংয়েও আমাদের বিমানবন্দরগুলোর অবস্থান তলানিতে। কয়েকটি উন্নত দেশ তো বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞাও জারি করে লাল তালিকাভুক্ত করেছে। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে দক্ষ কোম্পানিকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ দিতে হবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সেবার অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ বেসরকারি কোম্পানিকে দেয়ার উদ্যোগকে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এতে সার্বিক সেবার মান উন্নত হলে উদ্যোগটি অবশ্যই প্রশংসিত হবে। দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা জাতীয় নিরাপত্তার বিবেচনায় অতি গুরুত্বপূর্ণ। বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ এমন, যেখানে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর স্থানগুলোয় অবাধ প্রবেশাধিকার থাকে। কোনো বেসরকারি কোম্পানিকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ দেয়া হলে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে, তা একটি বড় প্রশ্ন। সাম্প্রতিক বিশ্বপরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদী তত্পরতার কারণে বিভিন্ন দেশের জাতীয় বিমানবন্দরগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোরতর করা হচ্ছে। আমাদেরও এ বিষয়ে চিন্তা করা উচিত। প্রক্রিয়াটি হওয়া উচিত সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, সব ধরনের প্রভাবমুক্ত। উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান ও বিধিমোতাবেক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সব বিবেচনায় সবচেয়ে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকেই কাজটি দেয়া উচিত। দরপত্র প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ বিমানসহ সফল ও প্রফেশনাল কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কোম্পানির অংশগ্রহণের যেন সুযোগ থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা/ ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

ইসির এমন ভূমিকা চলমান থাক - সন্তোষজনক আপিল নিষ্পত্ত

সম্পাদকীয়

আপিল নিষ্পত্তির প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সন্তোষজনক ভূমিকা রাখতে পেরেছে। খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার বদলের মতো ঘটনায়ও ইসির যথাযথ বিবেচনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে প্রতীয়মান হয়। এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখা গেলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মাঠ সমতল করার ক্ষেত্রে ইসির সদিচ্ছার প্রমাণ মিলবে। ইসির সামনে এখন চ্যালেঞ্জ হলো, তাদের এ ধরনের ভূমিকা পালনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।

কিছু রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়নপত্র বাতিলের অপরিণামদর্শী ও বৈষম্যমূলক ভূমিকা উদ্বেগের জন্ম দিয়েছিল। নতুন করে একটা অস্বস্তি তৈরি হতে শুরু করেছিল। ইসির যথাবিহিত ব্যবস্থার কারণে দ্রুততার সঙ্গে এর অনেকটাই অবসান ঘটেছে বলা যায়। খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে ইসিতে ৪:১ ভোটে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যেহেতু আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে, তাই আমরা আশা করব এ নিয়ে কোনো মহলেই অহেতুক বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়াবে না।

আপিল জমা পড়েছিল ৫৪৩টি। গত তিন দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২০৪ জন, যাঁদের বেশির ভাগই বিরোধীদলীয়; তাঁদের কেউ কেউ সরকারি দলের শক্ত প্রতিপক্ষ হবেন। ৩০ ডিসেম্বরের আগে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটিয়ে মাঠ সমতল করতে ইসির যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে। এখন নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়ে যাবে। আগামী ২০ দিন তাদের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ হবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধ করা। আচরণবিধির নানাবিধ লঙ্ঘন আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করি। সবার বিরুদ্ধে সমান প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না, সেটা দেশবাসীর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। অনেক বেশি আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রবণতা ক্ষমতাসীন দল যে দেখাতে পারে, তার লক্ষণ অস্পষ্ট নয়।

বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির নির্লিপ্ততার বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার উষ্মা ব্যক্ত করেছেন। কারণ, আচরণবিধি লঙ্ঘনের নানা ধরনের ঘটনাই সংবাদ ও সামাজিক মাধ্যমে আসছে। কিন্তু তেমন কোনো ক্ষেত্রেই প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ৩০০ আসনে বিচার বিভাগীয় ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিলিয়ে এক হাজারের বেশি লোকবল নিয়োজিত রয়েছেন। ইসি দরকার হলে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিগুলোকে অধিকতর সক্রিয় করার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে প্রশাসনিক যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। ইসি নিজেদের সামর্থ্য বাড়ানোর যতগুলো উপায় রয়েছে, সেসব বাস্তবায়নে যদি তারা মনোযোগী ও যত্নশীল হয়, তাহলে এখনো সময় আছে মাঠ সমতল করার ধারণা বেশ একটা গ্রহণযোগ্যতা লাভ করতে পারে।

হলফনামায় ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে কারও প্রার্থিতা যেকোনো সময় বাতিল হতে পারে, সে বিষয়ে ইসির বিশেষ উদ্যোগ প্রত্যাশিত। কারণ, ইসি শুধু আপিলটাই বিবেচনায় নিয়েছে। তাদের উচিত উপযুক্ত লোকবলের সমন্বয় ঘটিয়ে হলফনামা, ব্যাংক হিসাব, নির্বাচন পরিচালনার খরচ এবং সম্পদ, দায়দেনা–সংক্রান্ত বিবরণীগুলো যাচাই-বাছাইয়ে ব্রতী হওয়া। মনোনয়নপত্র টিকে যাওয়ার অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রার্থী হওয়ার সব শর্ত পূরণ করা বোঝায় না। অনেক প্রার্থীর হলফনামায় গুরুতর গলদ থাকতে পারে, এসব বিষয় নির্মোহভাবে প্রকাশিত হওয়া দরকার। সব প্রার্থীর মনোনয়ন-সংক্রান্ত সব নথিপত্র মনোনয়নপত্র দাখিলের সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইটে সহজলভ্য করা আইনের শর্ত ছিল। অথচ এই শর্ত পূরণ করা হয়নি। ইসিকে মনে রাখতে হবে, তারা তাদের প্রতিটি কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাধ্য।

মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়টি যে কেবলই নির্দিষ্ট দিনক্ষণনির্ভর কোনো বিষয় নয়, সেই ধারণা নির্বাচনী প্রার্থীদের মগজে-মননে কার্যকরভাবে গেঁথে দিতে হবে। প্রার্থীরা যাতে কোনোভাবেই মনে না করেন যে মনোনয়নপত্র একবার টিকে গেলেই হলো। আইন হলো, কোনো ভুল বা অসত্য তথ্যের কারণে নির্বাচনে জয়ী হলেও কেউ সাংসদ পদে থাকতে অযোগ্য হতে পারেন। এ ধরনের অব্যাহত জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া নির্বাচনী মাঠ সমতলে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

সিঙ্গাপুর হয়ে উঠছে বাংলাদেশীদের কালো টাকার গন্তব্যস্থল

মনজুরুল ইসলাম ও সাইফ বাপ্পী  


বৈশ্বিক আর্থিক গোপনীয়তার সূচকে সিঙ্গাপুরের অবস্থান পঞ্চম। দেশটিতে অফশোর আর্থিক সেবার বাজার ক্রমেই বড় হচ্ছে। এশিয়ার শীর্ষ অফশোর ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার হতে হংকংয়ের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা করছে দেশটি। মূলত এশিয়ার দেশগুলোর ক্রমবিকাশমান অর্থনীতির সুযোগ নিয়ে অফশোর বিনিয়োগের অন্যতম শীর্ষ গন্তব্যও হয়ে উঠেছে সিঙ্গাপুর। একই সঙ্গে হয়ে উঠেছে মুদ্রা পাচার ও কালো টাকার নিরাপদ গন্তব্যস্থলও। এ সুযোগ নিচ্ছে বাংলাদেশীরাও।

সিঙ্গাপুরে রয়েছে নামিদামি অনেক ক্যাসিনো। বেশকিছু ক্যাসিনোর মালিকানায় রয়েছেন বাংলাদেশীরা, যেগুলো কালো টাকার অন্যতম গন্তব্য। এছাড়া সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল হোটেল। ভিআইপি ক্যাসিনো হিসেবে রয়েছে এটির বিশেষ পরিচিতি।

সূত্র বলছে, মেরিনা বে ক্যাসিনোতেই কোটি ডলারের বোর্ডেও খেলেছেন এক বাংলাদেশী। তিনি নিজেকে যুবলীগের একজন শীর্ষ নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। আলোচিত এ নেতা সিঙ্গাপুরের জুয়ার বোর্ডে খেলতে বসলে লাখ ডলারের বান্ডিল নিয়েই বসেন। জনশ্রুতি রয়েছে, জুয়ার বোর্ডে ওড়ানো বিপুল অংকের টাকা তার নিজের উপার্জিত নয়। এ টাকার সবচেয়ে বড় উৎস ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক। তার ছায়ায় ঢাকায় অন্তত ১৫০ জুয়ার স্পট রয়েছে। সেগুলো চালানো হয় সিঙ্গাপুরের ক্যাসিনোর আদলে, যার মাধ্যমে আয় হচ্ছে দৈনিক প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এ টাকার বড় অংশ হুন্ডির মাধ্যমে চলে যাচ্ছে সিঙ্গাপুরে।

জানা গেছে, একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকও কয়েকটি ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ না করে তা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও পরিচালকরাও অর্থ পাচারের জন্য সিঙ্গাপুরকে বেছে নিচ্ছেন। আর্থিক গোপনীয়তার সুযোগ নিয়ে দেশটিতে অর্থ পাচার করছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসায়ীরাও।

আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের মাধ্যমেও সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটছে। উচ্চমূল্যে আমদানি দেখিয়ে দেশটিতে অর্থ পাচার করছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি আমদানি-রফতানির অন্যতম রুট হওয়ায় ব্যবসায়ীদের নিত্য গন্তব্য হয়ে উঠেছে সিঙ্গাপুর। গার্মেন্ট বা টেক্সটাইলের মেশিনারিজ আমদানির জন্যও দেশটিতে যেতে হয় ব্যবসায়ীদের। এ সুযোগ কাজে লাগিয়েও অনেকে দেশটিতে অর্থ স্থানান্তর করেন।

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশীদের যাতায়াত বাড়ায় প্রতিযোগিতা বেড়েছে এ রুটের এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যেও। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। পাশাপাশি মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস ও এয়ার এশিয়াও ঢাকা-সিঙ্গাপুর রুটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করছে। চিকিৎসা, ব্যবসা ও পর্যটনের নামে বাংলাদেশীরা সিঙ্গাপুরে গেলেও এদের অনেকেই ক্যাসিনোয় জুয়া খেলেন এবং অর্থ পাচার করেন।

এসবই তারা করছেন দেশটির আর্থিক গোপনীয়তা আইনের সুযোগ নিয়ে। সিঙ্গাপুর এ গোপনীয়তা সুরক্ষার কাজটি শুরু করে নব্বইয়ের দশকে আর্থিক বাজার ও ব্যাংকিং খাত উদারীকরণের মধ্য দিয়ে। মূলত ওই সময়ের পর থেকেই দেশটিতে তহবিল ব্যবস্থাপনা, ট্রেজারি অপারেশন, বীমা, ইকুইটি মার্কেট, ডেট ইন্স্যুরেন্স, করপোরেট ফিন্যান্সিংসহ আর্থিক খাতের বিভিন্ন অংশের বাজার সম্প্রসারণ হতে থাকে। এ উদারীকরণ আরো জোরালো হয় ২০০১ সালের আর্থিক গোপনীয়তার নীতিমালাকে আরো কঠোর করে তোলার মধ্য দিয়ে। এজন্য সংশোধন করা হয় ব্যাংকিং আইন। সিঙ্গাপুরে গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘনের শাস্তি হলো তিন বছরের জেল। ২০০৪ সালে ট্রাস্ট আইনে সংশোধন করার মধ্য দিয়ে কালো টাকার নিরাপদ গন্তব্য করে তোলা হয় দেশটিকে।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্র্যাকটিশনারদের ভাষ্য হলো, অন্যান্য দেশের সঙ্গে আর্থিক খাতের তথ্য বিনিময়ে কোনো চুক্তি করা হলেও স্থানীয় আদালতেই বিশেষ সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে তাতে ভারসাম্য নিয়ে আসা হয়। আদালতের এ বিশেষ সুবিধার কারণে অন্যান্য দেশের কর্তৃপক্ষের জন্য আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য বের করে আনাটাও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।

আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে এ-সংক্রান্ত কিছু সংস্কার করা হয়। এর পরও কালো টাকার স্বর্গ হয়ে উঠেছে দেশটি, যার অন্যতম কারণ হলো আর্থিক গোপনীয়তার নীতি। এ গোপনীয়তা রক্ষায় বেশকিছু সেবা প্রচলিত রয়েছে সিঙ্গাপুরে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, দেশটিতে প্রচলিত প্রাইভেট ট্রাস্ট কোম্পানি (পিটিসি) ব্যবস্থার কথা। এটি মূলত আর্থিক লেনদেনে গোপনীয়তা রক্ষা করে চলা ট্রাস্টগুলোর ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করে। স্থানীয় এক প্র্যাকটিশনারের ভাষ্যমতে, একটি পিটিসির কাজ হলো ধনী ব্যক্তিদের ‘ট্রাস্টের ওপর উচ্চমাত্রার নিয়ন্ত্রণ ও সতর্কতা’ বজায় রাখার সুযোগ করে দেয়া। সিঙ্গাপুরের অধিবাসী নয়, এমন কেউ যদি অন্য কোনো দেশ থেকে কোনো ধরনের আয় নিয়ে আসে; তাহলে তার কোনো ধরনের কর পরিশোধ করতে হয় না।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ফেরদৌস আহমেদ খানের প্রতিষ্ঠান অক্টোখান বণিক বার্তাকে বলে, দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ১৯৪৭ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট ও ২০১৭ সালের মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনের সামঞ্জস্য নেই। ফলে দেশের ব্যবসায়ীরা বিদেশে তাদের ব্যবসা প্রক্রিয়াকে সহজ করতেই বৈধ আয়ের একটি অংশ সিঙ্গাপুরের ব্যাংকিং চ্যানেলে রাখছেন। যদি কেউ তার ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে অবৈধ কিছু না করেন, তাহলে সিঙ্গাপুরে আধুনিকতম ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা সে সুযোগই নিচ্ছেন। তাদের গচ্ছিত অর্থই যে কালো টাকা সেটি নয়। বরং দেশের আইনের প্রতিবন্ধকতার কারণেই তারা সে দেশে তাদের আয়ের অর্থ রাখছেন। এজন্য দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মিলিয়ে এ খাতের প্রচলিত আইন সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়ীদের অনেকে বিভিন্ন দেশে আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করেছেন। সেখান থেকেই মূল ব্যবসা পরিচালনা করছেন তারা। আর আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনে প্রথম পছন্দ হিসেবে তারা বেছে নিচ্ছেন সিঙ্গাপুরকে। যদিও অভিযোগ আছে, অর্থ পাচারের নতুন উপায় হিসেবে বিভিন্ন দেশে আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করছেন ব্যবসায়ীরা। এর মাধ্যমে আমদানি-রফতানিতে মূল্য বেশি ও কমের মাধ্যমে অর্থ পাচার করছেন। সুইজারল্যান্ডের আইন শক্ত হওয়ায় সেখানে টাকা রাখতে গেলে প্রশ্ন করা হয়। এ কারণে দেশটিতে টাকা পাচারে ধীরগতি আসছে। তবে সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের ভূমিকায় সিঙ্গাপুরকে দেখা যাচ্ছে। সেখানে টাকা রাখতে গেলে প্রশ্ন করা হয় না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিঙ্গাপুর থেকে রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশই হুন্ডির মাধ্যমে দেশে ঢুকছে। এসব দেশে বুথ খুলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে সংঘবদ্ধ চক্র। এ চক্রের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ আছে বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়ীদের। বাংলাদেশী প্রবাসীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের গন্তব্য আগে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপ-আমেরিকার দিকে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে দিক পরিবর্তিত হয়েছে। এখন দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থেরও বড় অংশ সিঙ্গাপুরে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নজরেও রয়েছে বিষয়টি।
  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা/ ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

Security for victims and witnesses must be ensured

EDITORIAL

Pass the Witness Protection Bill now!


It is extremely disappointing that an important Bill drafted in 2006 has been sitting in the freezer for 12 years now. Speakers at a conference highlighted this and asked the government to make into law the Witness Protection Bill which aims to ensure the security of victims and witnesses of crimes. We reiterate this and call on the state to put special focus on guaranteeing the security of rape victims, their families and witnesses, who are especially vulnerable to being harassed and intimidated into silence.

Such harassment has been revealed to have taken place on numerous occasions through media reports, many a times, without the authorities taking any action against the harassers who, let us not forget, were at the time under investigation for committing the severest of crimes. This shameful practice is especially prevalent when the accused is connected to powerful groups or sections of society—further increasing the power imbalance between the accused and the accuser, which ultimately makes it even more difficult for justice to prevail.

Consequently, it should not be forgotten that harassing victims and witnesses in itself is a crime—witness tampering—aimed to cover up another. Given that a number of issues already discourage victims of rape in our country to make public the severe injury that was done to them, it is vital that the authorities take meaningful steps to stop them or their family members and witnesses from being harassed, intimidated and, essentially, prevented from seeking justice.

The concerned authorities should immediately pass the Bill into law and ensure that strong mechanisms are in place to uphold it.
  • Courtesy: The Daily Star /Dec 10, 2018

বিএনপিবাংলাদেশডটকম সহ ৫৮ নিউজ পোর্টাল বন্ধ করছে সরকার









বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির অফিসিয়াল ওয়েব সাইট বিএনপিবাংলাদেশডটকম সহ ৫৮ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

এসব পোর্টাল বন্ধে রোববার সব ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ সংস্থা এবং আন্তার্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়েকে (আইআইজি) চিঠি দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ সংস্থার মহাসচিব মো. ইমদাদুল হক বলেন, বোরবার বিকালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন সরকারের পক্ষ থেকে এসব ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়ার জন্য একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।

বন্ধের নির্দেশ পাওয়া সাইটগুলো হল-

প্রিয়ডটকম-https://www.priyo.com

বিএনপিবাংলাদেশডটকম- http://bnpbangladesh.com

রাইজিংবিডিডটকম- http://risingbd.com

পরিবর্তনডটকম- http://poriborton.com

রিপোর্টবিডি২৪ডটকম- https://reportbd24.com

শীর্ষনিউজ২৪ডটকম- http://sheershanews24.com

ঢাকাটাইমস২৪ডটকম- http://www.dhakatimes24.com

বিডিপলিটিকোডটকম- https://bdpolitico.com

পেজনিউজ২৪ডটকম- http://pagenews24.com

রেয়ারনিউজ২৪ডটকম- http://www.rarenews24.com

বিএনপিনিউজ২৪ডটকম- http://bnpnews24.com

প্রথমবাংলাদেশডটনেট- https://www.prothombangladesh.net

ডেইলিআমারদেশডটএক্সওয়াইজেড- http://dailyamardesh.xyz

ডিএনএনডটনিউজ- http://dnn.news

রাজনীতি২৪ডটকম- http://www.razniti24.com

আরবিএন২৪ডটকোডটইউকে- http://www.rbn24.co.uk

সংবাদ২৪৭ডটকম- http://www.sangbad247.com

দেশভাবনাডটকম- http://deshbhabona.com

আমারদেশ২৪৭ডটকম- http://amardesh247.com

অ্যানালাইসিসবিডিডটকম- http://www.analysisbd.com

আওয়াজবিডিডটকম- https://www.awaazbd.com

বদরুলডটঅরগ- http://www.badrul.org

বিএনপিঅনলাইনউইংডটকম- http://bnponlinewing.com

ইনডটবিএনপিবাংলাদেশডটকম- http://en.bnpbangladesh.com

বিএনপিবাংলাদেশডটকম- http://bnpbangladesh.com

বাংলামেইল৭১ডটইনফো- http://banglamail71.info

এটিভি২৪বিডিডটকম- http://www.atv24bd.com

বাংলাস্ট্যাটাসডটকম- https://www.banglastatus.com

বিবাড়িয়ানিউজ২৪ডটকম- http://www.bbarianews24.com

শিবিরডটঅরগডটবিডি- http://shibir.org.bd

নিউজ২১-বিডিডটকম- http://news21-bd.com

ওয়াননিউজবিডিডটনেট- https://www.1newsbd.net

নিউজবিডি৭১ডটকম- http://newsbd71.com

জাস্টনিউজবিডিডটকম- http://www.justnewsbd.com

এক্সপ্রেসনিউজবিডিডটকম- http://www.expressnewsbd.com

ডেইলিবিডিটাইমসডটকম- http://dailybdtimes.com

ময়মনসিংহনিউজ২৪ডটকম- http://www.mymensinghnews24.com

মূলধারাবিডিডটকম-http://www.muldharabd.com

সিএনএনবিডি২৪ডটকম-http://cnnbd24.com

ডেইলিমিরর২৪ডটকম-http://www.dailymirror24.com

দেশনেত্রীসাইবারফোরামডটকম-http://www.deshnetricyberforum.com

আলাপনডটলাইভ-http://www.alapon.live

দিগন্তডটনেট-https://diganta.net

মোরালনিউজ২৪ডটকম-http://www.moralnews24.com

পত্রিকাডটকম-http://www.potryka.com

দাওয়াহিলাল্লাহডটকম-https://dawahilallah.com

  • কার্টসিঃ যুগান্তর/ ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

Sunday, December 9, 2018

Dhaka must have bilateral deals for migrant workers

EDITORIAL

THE plight of Bangladeshi migrant workers in destination countries has almost always made the headlines. Stories of the sorry state of migrant workers have recently been heard more, especially after the authorities in Malaysia, Saudi Arabia and other Middle Eastern countries started going tough on migrant workers. The number of illegal Bangladeshis in Malaysia could be, as New Age reported early September quoting officials and migrant rights activists in both Malaysia and Bangladesh, about a million. As the Bangladesh authorities could not protect the rights of migrant workers living illegally there, the emerging situation has pushed the remittances from Malaysia, which was $1381.53 million in the 2015 financial year, down to $1107.21 million in the 2018 financial year. Stories on Bangladeshi workers in Saudi Arabia narrate how the workers, many of whom paid for their migration cost by selling their homestead, are tortured, physically and sexually, how they are not paid their proper wages regularly and how they returned home empty-handed. Remittances from Saudi Arabia, which topped in the 2015 financial year with $3345.23 million, declined to $2591.58 million in the 2018 financial year. Although reasons for the plight of migrant workers in various destination countries may be different, the Bangladesh authorities have hardly been successful in protecting their rights.

The problem, it seems, lies in the way the workers are sent abroad. Bangladesh sends workers to 165 countries but has bilateral agreements, which are binding, with only two countries — Kuwait and Qatar. The Bangladesh authorities have memorandums of understanding, which are not binding, with only 11 countries — Malaysia, the United Arab Emirates, Singapore, South Korea, Oman, Libya, Bahrain, Saudi Arabia, Jordan, the Maldives and Kampuchea. Besides, Bangladesh sends some technical interns to Japan under a memorandum of cooperation, which is the weakest of the three instruments. More than 12 million Bangladeshi workers have migrated to work abroad since 1976 although many of them have already returned, yet leaving a greater number of them with overseas jobs. A situation like this does not arm up Bangladesh adequately to monitor migrant worker situation and protect their rights in destination countries. 

It is in this context the government should heed what people at the Global Forum on Migration and Development summit in Marrakesh have pushed for — bilateral agreements, which can provide for the best protection for workers in destination countries. Bilateral agreements can effectively provide for ‘fair and ethical recruitment’, ‘labour rights’ and ‘decent work’. Bangladesh should immediately start working to replace non-binding memorandums of understanding with destination countries with binding bilateral agreements to effectively protect the rights of migrant workers and add to the amount of remittance inflows.

The government, therefore, must step up to the plate to have in place bilateral agreements on worker migration, replacing the current memorandums of understanding or cooperation, with all the destination countries so that rights of Bangladeshi workers could be protected there. Bangladesh must also go for bilateral agreements on worker migration when it explores new overseas job market. Only this way, the government can stop Bangladeshi workers from being exploited in destination countries and make further addition to the remittance inflows.

  • Courtesy: New Age /Dec 09, 2018