Search

Tuesday, January 15, 2019

আ.লীগের নির্যাতন ও নৈরাজ্যে সারাদেশ হাসপাতালে পরিণত — মির্জা আলমগীর


৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগ প্রতিটি জেলায় নির্যাতন, নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। সারাদেশ এখন হাসপাতারে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার, জানুয়ারি ১৫, দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুরুতর আহত যশোরের যুবদল কর্মী ফয়সালকে দেখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষমতা কি ভয়ঙ্কর, সেখানে থাকলে মানুষকে আর তখন মানুষ মনে হয় না।ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হত্যা, আক্রমণ, রক্তপাত সবকিছু করা হয়েছে। এসবের মধ্য সারা দেশ এখন হাসপাতালে পরিণত হয়েছে।

ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের লজ্জা-শরম নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর থেকে দেশে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। প্রতিটি জেলায় নির্যাতন, লুট ও চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ। তারা ফাঁকা মাঠে গোল করার যে গ্রুপিং করেছিলো তা জাতির সামনে খোলাসা হয়ে গেছে।নৃশংসতা, নীলনকশা ও অপকৌশল জনগণের সামনে উঠে এসেছে। তাদের লজ্জা নেই, শরম নেই।

তিনি বলেন, সারাদেশে বিএনপি ও বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর জঘন্য হামলা করা কেরা হয়েছে। যশোরের যুবদল কর্মী ফয়সালের শরীরের কয়েক স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তার শরীরে ৮ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে।

৩০ ডিসেম্বরের ভোটে মহাচুরি হয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এত বড় একটা চুরি করেছে যে, তা এখন সামাল দিতে পারছে না। স্টেডিয়ামে গিয়ে গোটা জাতির কাছে তাদেরকে মাফ চাইতে হবে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনের পরদিন ৩১ ডিসেম্বর যশোরের কোতয়ালীর সারথী এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হন ফয়সাল। ১ জানুয়ারি তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন।

  • কার্টসিঃ যুগান্তর / জানু ১৫,২০১৯ 

সুবর্ণচরে গণধর্ষণ - মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষণ প্রশ্নবিদ্ধ

সম্পাদকীয়

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তথ্য অনুসন্ধান কমিটির দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সুবর্ণচরের ঘটনাটি সারা বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইতিমধ্যে অনুসন্ধান করেই রিপোর্ট করেছে যে ভোটদান নিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে বচসা হয় এবং ফল ঘোষণার রাতেই তিনি ধর্ষণের শিকার হন। পুলিশ প্রশাসনও গুরুত্বের সঙ্গে এজাহারভুক্ত ৬ জন এবং তদন্ত করে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরও ৭ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে ৭ জন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।  

তাই এটা অনেকটা প্রতিষ্ঠিত ধারণা যে গ্রেপ্তার হওয়া দুর্বৃত্তরা ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে ওই অপকর্ম করে থাকতে পারে। কমিশন বলছে প্রতিবেদনটি প্রাথমিক। সে কারণে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের মুখে তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই ‘প্রমাণ’ না পাওয়ার দাবি করা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করাটা কতটা সুবিবেচনাপ্রসূত হয়েছে, সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। আগ বাড়িয়ে তাঁর সনদ দেওয়া পক্ষপাতদুষ্ট বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। কেউ হয়তো যুক্তি দেখাবেন যে, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে একই ফলাফল আসতে পারে। তবে সেটি তো আমাদের ‘স্বাধীন’ মানবাধিকার কমিশনটি দাবি করলে হবে না; তাদের যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে সেটি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

আমরা আশা করব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আর দশটি ঘটনার মতো এর তদন্তকাজও ঝুলিয়ে রাখবে না। যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে তারা এ বিষয়ে  চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। জনগণ তাদের প্রতিবেদন পড়ে অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর পাবে বলে আশা করে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, সুবর্ণচরের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন লজ্জিত। সাবেক ইউপি সদস্য, যাঁর ভোট করা না-করা নিয়ে ভুক্তভোগীর ‘পূর্বশত্রুতা’ ছিল, তাঁকে আওয়ামী লীগ থেকে দ্রুত বহিষ্কার সেটাই প্রমাণ করে। সংবাদমাধ্যমের খবর এটাও নিশ্চিত করেছে যে ভোট দেওয়া নিয়ে ভুক্তভোগী ও আসামিদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। আর মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পূর্বশত্রুতার সনদ দিয়ে দিলেন।

এর আগেও আমরা দেখেছি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আক্রান্ত মানুষের অধিকার রক্ষা বা প্রতিকারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ যেগুলো সরকারের জন্য সংবেদনশীল ও বিব্রতকর, সে বিষয়গুলোতে তাদের রিপোর্ট কদাচিৎ আলোর মুখ দেখে। আগের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মানবাধিকার রক্ষায় কিছু করতে না পারলেও আওয়াজ দিতেন। এখন সেই আওয়াজও রহিত হয়ে গেছে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিস্তর ঘটনা ঘটলেও কমিশন নীরব থাকাকেই শ্রেয় মনে করেছে। মানবাধিকার কমিশন আক্রান্ত মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করে, এটা এখন পর্যন্ত তারা দৃশ্যমান করতে পারেনি।

নোয়াখালীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী ভূমিহীনদের নেত্রী। অধিকারহারা মানুষের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই তাঁকে নিগৃহীত হতে হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী ১৩ জানুয়ারিও প্রথম আলোকে বলেছেন, তিনি তাঁর পছন্দের প্রতীকে (ধানের শীষ) ভোট দেওয়ায় ওরা হুমকি দিয়ে বলেছিল, ‘বিকেলে তোর খবর আছে।’ আমরা মানবাধিকার কমিশনের কাছে জানতে চাইব, পূর্বশত্রুতা পুরোনো, ভোটের রাতে কেন তার শোধ নেওয়া হলো। আর অপরাধীরা যে অহরহ ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করে, সে কথাও কারও অজানা নয়।

তদন্তকালে ভুক্তভোগীর সঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কি কথা বলেছিলেন? না বলে থাকলে কীভাবে তিনি পূর্বশত্রুতার ‘রায়’ দিয়ে দিলেন?

  • Courtesy: Prathom Alo /Jan 15, 2019

চাল সংগ্রহের সুফল না পাওয়ার অভিযোগ কৃষকদের : দাম নির্ধারণে সুষ্ঠু নীতি থাকা আবশ্যক

সম্পাদকীয়
ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কৃষকের স্বার্থে এটি চালু রাখার পক্ষে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু গেল কয়েক বছরে কর্তৃপক্ষের সময় ও দাম নির্ধারণে অদূরদর্শিতা ও অপরিপক্বতায় কৃষকরা উৎসাহজনক দাম পাননি। বাজারে চালের দাম বাড়তি থাকলেও ধান বিক্রি করে কৃষক উৎপাদন ব্যয়ও ওঠাতে পারেননি অধিকাংশ সময়। এবার আমন মৌসুমে তো সরকার চালের দাম কমিয়ে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করেছে, যা গেল বছর ছিল ৩৯ টাকা। চাষের ব্যয় বাড়লেও চালের দাম কেন কমিয়ে নির্ধারণ করা হলো, তার যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যাও দাঁড় করাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। সরকার প্রতিবারই এমন সময় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করে, যখন কৃষকের ঘরে এর কোনোটিই থাকে না। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। সরকার চালের এমন নিম্নদাম নির্ধারণ করেছে, যার সঙ্গে বাজারের সম্পর্ক নেই। বাজারে চালের দাম বাড়ছে, আর সরকার গেল বছরের চেয়ে কম দাম নির্ধারণ করেছে। এতে চাষীরা উপযুক্ত মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন। আর চাষীরা ধানের উপযুক্ত মূল্য থেকে বঞ্চিত হলে ব্যাংকঋণ, মহাজনি ঋণ কিংবা এনজিও থেকে নেয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হবেন। এর ওপর আবার ঊর্ধ্বমুখী বাজারদরে জীবন নির্বাহ ব্যয় বেড়ে চলার ফসল বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ কোনোভাবে কৃষককে মানসম্মত জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না।

মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব ও সরকার প্রদত্ত সুবিধাগুলো সময়মতো না দেয়ায় চালের বাজারের ন্যায্যমূল্য কৃষকের কাছে সবসময়ই অধরা থেকেছে। বিপণন জটিলতা ও সরকারের শিথিল ভূমিকা পালনের কারণে বেশির ভাগ সময়ই চালের বাজারের সুবিধাপ্রাপ্ত হন মধ্যস্বত্বভোগী এবং মিল মালিকরা; যা রোধে কৃষকদের অর্থায়ন ও মজুদ সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি। চালের বাজারে বিদ্যমান অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকার পরও সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং রহস্যজনক। কৃষক ও ভোক্তা দুই পর্যায়ে মূল্য সহায়তা দিয়ে থাইল্যান্ড যদি চালের বাজারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে সে পন্থা অবলম্বন করতে আমাদের বাধাটা কোথায়? এডিবির গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পাশের দেশ ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের মধ্যস্বত্বভোগীরা অতিমাত্রায় মুনাফা অর্জন করছে এবং চালের দামের ৪০ শতাংশই যাচ্ছে তাদের পকেটে।

মূলত মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণেই কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। এক্ষেত্রে আবার ছোট ও মাঝারি কৃষকরা বড় কৃষকদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে খরচ হয়, সে অনুযায়ী দাম পান না কৃষকরা। লাভ তো পরের কথা, অনেক সময় উৎপাদন খরচও ওঠে না। তবু বাধ্য হয়ে কৃষিতেই থাকতে হচ্ছে তাদের। পরিস্থিতি বিবেচনায় একটি মূল্য কমিশন গঠন করা দরকার। মুনাফালোভী মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেটকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণও প্রয়োজন। চাল সংগ্রহ অভিযানের ব্যর্থতাগুলো মূল্যায়ন করা দরকার। কৃষককে ন্যায্যমূল্য প্রদানের কথা বলে চাল সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা হাস্যকর বটে। ধান-চালের পুরো বাজারটিই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে, তা বুঝতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপ হওয়া উচিত কৃষকের অনুকূল আর সিন্ডিকেটের প্রতিকূল।

চাল কেনার পরিবর্তে সরকারকে ধান কিনতে হবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে। মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ কিছু দেশ এ নীতিতে সাফল্যও পেয়েছে। থাইল্যান্ডে ধান-চালের দাম নির্ধারণে সরকারের নীতিমালা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর বাজার পর্যবেক্ষণ ও তদারকিসহ কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে চাল উৎপাদনে দেশটি অনেক এগিয়েছে, কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন ফসল উৎপাদন করে। কৃষককে ন্যায্যমূল্য দেয়ার মতো প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও জনবল আমাদের কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের রয়েছে। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা এবং নীতি-পরিকল্পনার পরিবর্তন। গতানুগতিকভাবে চাল সংগ্রহ অভিযানের মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিতের পদক্ষেপ ভ্রান্ত বলে এরই মধ্যে প্রমাণিত। এখন প্রয়োজন যুগোপযোগী পদক্ষেপ, যাতে কৃষক সরাসরি উপকৃত হন এবং সিন্ডিকেট ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। আশা করি, নতুন সরকার যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিতে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের সাফল্য ও ব্যর্থতা পর্যালোচনাপূর্বক যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।

  • Courtesy: Banikbarta /Jan 15, 2019

JS polls was faulty — TIB



Speakers at a press conference on 11th parliamentary elections organised by Transparency International Bangladesh at its office in the capital on Tuesday. -- Saurov Laskar

Transparency International Bangladesh on Tuesday termed the December 30 general election as partially participated, non-competitive, questionable and faulty.

Addressing a press conference on 11th parliamentary elections at its office in the capital, TIB executive director Iftekharuzzaman said that all the candidates were not allowed to conduct electioneering freely while voters faced obstacle to cast their votes.

He said that the Election Commission failed to act neutrally and the role of a section of a polling officers and law enforcement agencies were biased.

He said that the election result was extraordinary and EC's role was controversial during the election.

At the press conference TIB released its research finding over 50 constituencies out of 300.

According to the findings, irregularities including ballot stuffing, violation of electoral code of conduct and violence were taken place in 47 out of 50 seats.

Irregularities were witnessed in at least one or multiple voting centres across those constituencies, the finding stated.

TIB senior programme manager (research and policy) of the independent thinktank Shahjada M Akram revealed their findings at the press conference.

He said that incidents of irregularities involved law enforcers and administration officers playing a silent role, ballot stuffing, fake voting, booth occupation and stamping ballots among others.

'Ballots were stamped on the night before the elections' in at least one or more than one centre in 33 of the 50 constituencies surveyed and while polling booths were occupied and ballot stuffing in 30.

Iftekhar said that the faulty election would hamper the democracy.
  • The NewAge/Jan 15, 2019  

DUCSU POLLS - Most orgs want balance of power between top posts

Arifur Rahman 

Most of the student organisations in Dhaka University want amendment to the university’s students’ union constitution so that the balance of power among the president and vice-president posts could be created.  The organisations came up with their demands as they submitted their recommendations in writing to Dhaka University Central Students’ Union Constitution Amendment Committee on Monday. Bangladesh Students Union, Bangladesh Students Federation, Socialist Students Front, and Chhatra League (Jasod) demanded the balance of power among the president and vice-president and between other secretarial posts.

Leaders of these left-wing organisations said that some of the sections of the existing constitution gave supreme power to the vice-chancellor as ex officio president of the students’ union which often exceeded the power of the elected representatives. So there should be a balance of power between the president and the elected representatives, they added.

All these organisations also demanded that some posts should be created and some should be curtailed for a time-befitting constitution to hold the long awaited election. They also demanded provisions to set up polling centres outside the halls as most of the halls are forcibly occupied by Chhatra League leaders and activists.

Bangladesh Chhatra League’s university unit general secretary Saddam Hussain said they wanted changes in the constitution to let the fine arts faculty students join the polls as according to the present constitution they could not take part. Chhatra League demanded that the authorities should hold the election to DUCSU within first week of March.

Jatiyatabadi Chhatra Dal leaders in a press conference at its Naya Paltan office in the capital reiterated their demand to take measures to ensure coexistence of organisations on the campus before taking up plans to hold election to the central students’ union, which is defunct since 1990.

Bashar Siddique, Chhatra Dal DU chapter general secretary, while reading out a written statement also demanded that the authorities should ensure balance of power, form neutral election commission comprising indisputable teachers and setting poling centres outside the halls. 

Earlier on October 31, the university authorities published the draft electoral roll with 38,493 possible voters for its long-awaited elections to the university central students’ union that has remained dysfunctional for more than two decades.

Around 14,509 female and 23,984 male students of 18 halls of the university have been included in the draft voter list of the students’ union, which spearheaded all democratic and cultural movements of the country.

  • Courtesy: New Age /Jan 15, 2019

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় আকস্মিক পরিবর্তন

২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সোহেল আর কে হুসেইন। নিয়োগপত্র অনুযায়ী চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এমডি পদে বহাল থাকার কথা তার। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় ১০ মাস আগে গত রোববার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ থেকে সোহেল আর কে হুসেইনকে এক মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এ ছুটির মাধ্যমেই সিটি ব্যাংকের সঙ্গে সোহেল আর কে হুসেইনের সম্পর্ক শেষ হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভা থেকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) মাসরুর আরেফিনকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই তাকে এমডি পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সিটি ব্যাংক পর্ষদে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক সূত্র বেসরকারি ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনায় আকস্মিক এ পরিবর্তনের তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সিটি ব্যাংক এমডির ছুটিতে যাওয়া ও ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে মাসরুর আরেফিনকে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে এরই মধ্যে অবহিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সোহেল আর কে হুসেইন ছুটিতে যাওয়ার বিষয়ে সিটি ব্যাংক থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ব্যাংকটির পর্ষদ মাসরুর আরেফিনকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দিয়েছে। আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সিটি ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করলেও নাম উদ্ধৃত করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ছয় মাস ধরে সিটি ব্যাংক পর্ষদের সঙ্গে সোহেল আর কে হুসেইনের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকটির পরিচালন ও নিট মুনাফা দুই বছর ধরে কমেছে। একই সঙ্গে বাড়ছিল খেলাপি ঋণের পরিমাণ। ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছিল সিটি ব্যাংকের আর্থিক ভিত। এ পরিস্থিতিতে পর্ষদের সঙ্গে সোহেল আর কে হুসেইনের দূরত্ব বাড়ছিল। বেশকিছু দিন ধরেই তার চাকরি অবসানের বিষয়টি ব্যাংকিং খাতে আলোচনায়ও ছিল। সর্বশেষ ১৩ জানুয়ারি সিটি ব্যাংকের পর্ষদ সভা থেকে সোহেল আর কে হুসেইনকে ছুটিতে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সঙ্গে এএমডি মাসরুর আরেফিনকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেয়া হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে মাসরুর আরেফিন সিটি ব্যাংকের পরবর্তী এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।

১৯৯৫ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে যোগ দেয়ার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন মাসরুর আরেফিন। পরে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, সিটিব্যাংক এনএ, বাংলাদেশ ও ইস্টার্ন ব্যাংকে কাজ করেন। ২০০৭ সালে রিটেইল ব্যাংকিংয়ের প্রধান হিসেবে সিটি ব্যাংকে যোগ দেন।

  • Courtesy: Banikbarta/ Jan 15, 2019

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম — টিআইবি

  • নির্বাচনে প্রচুর ত্রুটি রয়েছে - সুলতানা কামাল
  • নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ - ইফতেখারুজ্জামান 
  • জাল ভোট পড়েছে ৮২ শতাংশ আসনে। 
  • ৬৬ শতাংশ আসনে আগের রাতে ব্যালট বাক্সে সিল মারা হয়েছে।
  • নির্বাচনী অনিয়ম হয়েছে ৯৪ শতাংশ আসনে।
  • নির্বাচন কমিশন যথাযথ ভূমিকা পালনে সমর্থ হয়নি




একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি। ৩০০ আসনের মধ্য থেকে দৈবচয়নের (লটারি) ভিত্তিতে এই ৫০ আসন বেছে নেয়া হয়। ৫০টির মধ্যে ৪৭ আসনে অনিয়ম হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত এক প্রাথমিক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ ৪০, জাতীয় পার্টি ছয়, বিএনপি এক, গণফোরাম দুই এবং অন্যান্য দল একটি আসনে জয়ী হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা দেশের বেশিরভাগ কেন্দ্র আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের নেতাকর্মীদের দখলে থাকার অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে সমর্থ হয়নি।

মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারি, রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও প্রতিবেদন পাঠ করেন গবেষক দলের শাহজাদা এম আকরাম।

গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু করে ভোটের দিন ও ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদক প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি। 

টিআইবির গবেষণা অনুযায়ী, জাল ভোট পড়েছে ৮২ শতাংশ আসনে। আর ৬৬ শতাংশ আসনে নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে সিল মারা হয়েছে। আর নির্বাচনী অনিয়ম হয়েছে ৯৪ শতাংশ আসনে।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি জানান, নির্বাচনে ৪৭টি আসনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর জাল ভোট পড়েছে ৪১টি আসনে। ৩৩টি আসনে আগের রাতে ব্যালটে সিল মারা হয়েছে। এসব আসনের এক বা একাধিক কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

অনিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর নীরব ভূমিকা ৪২ আসনে, জাল ভোট দেয়া ৪১ আসনে, নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটে সিল মেরে রাখা ৩৩ আসনে, বুথ দখল করে প্রকাশ্যে সিল মেরে জাল ভোট ৩০ আসনে, পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া ও কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া ২৯ আসনে, ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া ২৬ আসনে, ভোটারদের জোর করে নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করা ২৬ আসনে, ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়া ২২ আসনে, আগ্রহী ভোটারদের হুমকি দিয়ে তাড়ানো ২১ আসনে, ব্যালট বাক্স আগে থেকে ভরে রাখা ২০ আসনে, প্রতিপক্ষ দলের প্রার্থীর নেতাকর্মীদের মারধর করা ১১ আসনে, পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া ২৯ আসনে এবং ১০ আসনে কোনও এজেন্ট ছিল না।

জাতীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ২৫৭, জাতীয় পার্টি ২২, বিএনপি ছয়, গণফোরাম দুই, স্বতন্ত্র তিন ও অন্যান্য দল নয়টি আসনে জয়ী হয়। ভোটের দিন সারা দেশে ২৪ জেলায় নির্বাচনী সহিংসতর ফলে ১৮ জনের মৃত্যু হয় এবং ২০০ জন আহত হন।

প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়, সৎ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেয়া; নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ অন্যান্য অংশীজনদের দলীয় প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ রাখতে হবে; নির্বাচনে সহিংসতা ও বলপ্রয়োগসহ নির্বাচনী আচরণবিধির বহুমুখী লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত ও তার ওপর ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের উদ্যোগ নেয়া, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে তাদের ব্যর্থতা নিরূপণ করা, নির্বাচন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমের তথ্য সংগ্রহের জন্য অবাধ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে, সে পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য এ ধরনের নির্বাচন ইতিবাচক নয়। এ জন্য আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছি।’

এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, ‘এই নির্বাচনে প্রচুর ত্রুটি রয়েছে। আগামী নির্বাচনগুলোতে যাতে ত্রুটি না হয়, সেজন্য যে সরকারই আসুক না কেন, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে।’
  • জাগো নিউজ/ জানু ১৫, ২০১৮ 

'৩০ ডিসেম্বর আরেকটি কালো দিবস হয়ে থাকবে'

ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম

ত্রিশে ডিসেম্বর আরেকটি কালো দিবস হয়ে থাকবে। ৫ জানুয়ারি, ১৬ জুন, বাকশাল দিবসের মতই আরেকটি কাল দিবস যোগ হল বাংলাদেশের ইতিহাস। বিএনপি ও ঐক্যফন্ট যেন অংশগ্রহন করতে না পারে বা নির্বাচন বয়কট করে সেজন্যে শাসকদল শুরু থেকে হামলা-মামলা, গ্রেফতার, পুলিশী হয়রানী, আদালত ও জেল-জুলুমের পথ বেছে নিয়েছিল। এসব প্রতিকূলতার পরও বিএনপি ও ঐক্যফন্ট শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থেকে লড়াই করেছে। এজন্যে এবারের সংসদ নির্বাচন নিয়ে মানুষের নূন্যতম হলেও একটা প্রত্যাশা ছিল। মনে করেছিল এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। কিন্তু মানুষের মধ্যে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছিল, নির্বাচনের ফলাফলে তা বিন্দুমাত্র প্রতিফলিত হয় নাই। এবারের নির্বাচনে সন্ত্রাস, স্বেচ্ছাচারিতা ও নির্বাচনী অনিয়ম অতীতের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। এজন্যে দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে এই নির্বাচনে গনতন্ত্র ও গনতান্ত্রিক মূল্যবোধের কোন প্রতিফলন হয় নাই। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৮৮টি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শাসকজোট আর বিএনপি ও ঐক্যফন্টের নেতৃত্বাধীন বিরোধীজোট ৭টি পেয়েছে বা তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ও এর ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিশ্লেষণ ও মতামতধর্মী নিবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিপুল ব্যবধানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শাসকদল জয়লাভ করেছে। বিজয়ী ও বিজিত দলের মধ্যে পার্থক্যসূচক এমন চিত্র উত্তর কোরিয়ার মতো দেশে আশা করা যায়, বাংলাদেশের মতো গণতান্ত্রিক দেশে নয়। 


ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে আরও সংহত করছেন, কিন্তু সেটি হচ্ছে তাঁর নির্বাচনী বৈধতার বিনিময়ে। যদিও নির্বাচনের আগে বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞই ধারণা করেছিলেন, শেখ হাসিনাই নির্বাচনে জিতবেন। কিন্তু এত বিপুল ব্যবধানে তিনি জয়ী হবেন—সেই ধারণা ছিল খুবই কম। ভোট গ্রহণের দিন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্নভাবে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। কিন্তু পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, গত ৩০শে ডিসেম্বরের অনেক আগেই মাঠ দখলে নিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ। অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশের শক্তিশালী হয়ে ওঠার বিষয়টিও বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, একই সঙ্গে বাড়ছে বিরুদ্ধমতের প্রতি অসহিষ্ণুতা ও নির্যাতন। ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর বাংলাদেশ ক্রমে ‘একদলীয় গণতন্ত্রের’ দেশে পরিণত হতে চলেছে। 

টাইম ম্যাগাজিনের এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে গত ৩০শে ডিসেম্বরের ভোট গ্রহণের বিভিন্ন ‘অনিয়মের’ খণ্ডচিত্র। বলা হচ্ছে, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটারদের ওপর দমনপীড়ন চলেছে। টাইম-এর মতে, বাংলাদেশের নির্বাচন পৃথিবীর গণতান্ত্রিক ধারার নির্বাচনের মধ্যে অন্যতম। গত ২০ বছরে এখানে রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকেছে কখনো আওয়ামী লীগ, কখনো বিএনপি। শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ দারিদ্র্য থেকে বের হয়ে এসেছে এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে মানবাধিকার সংস্থাগুলো তাঁর সরকারকে ‘ধীরগতির নিপীড়ন’ চালানোর দায়ে অভিযুক্ত করে আসছে। নতুন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সমালোচনা করে এই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এর ফলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সরকারের সমালোচনা করার বিষয়টি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। টাইম বলছে, এবারের সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের বাধা দেওয়ার প্রমাণাদি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা ক্রমে বিদ্রূপে পরিণত হয়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে প্রকাশিত এক মতামতধর্মী নিবন্ধে ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ‘বিতর্কিত’ অভিহিত করে বলা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে একটি ‘নতুন ও বিপজ্জনক’ যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।

সিএনএন বলছে, বিরোধীদের ‘ক্রুদ্ধ’ হওয়ার সব কারণই রয়েছে। কয়েক বছর ধরে বিরোধীদের সরিয়ে দেওয়ার একটি ‘পদ্ধতিগত প্রচারের’ সঙ্গে যুক্ত আছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগকে একটি ‘জনপ্রিয় দল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সিএনএনের এই লেখায়। বলা হয়েছে, প্রত্যাশিতভাবেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিরোধীদের নতুন নির্বাচনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাস্তবে, নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানানো ছাড়া ক্ষোভ প্রকাশের খুব কম বিকল্পই বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোর হাতে রয়েছে।

সিএনএনের এই মতামতধর্মী লেখায় আরও বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের ‘অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ উপায়ে’ ক্ষমতা লাভের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ‘প্রায় একদলীয় রাষ্ট্রে’ পরিণত হওয়ার পর্যায়ে চলে গেছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এখন অস্পষ্ট। দেশটির তরুণ ও যুবসমাজ গণতন্ত্রের ওপর বিশ্বাস হারাতে বসেছে। ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ইকোনমিস্টের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এবারের সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। ঢাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর হাজার হাজার পোস্টারের ভিড়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি বিএনপির প্রার্থীর কোনো পোস্টার। অন্যদিকে উঠেছে ভোট গ্রহণে নানা অনিয়মের অভিযোগ। ইকোনমিস্ট বলছে, একটি অধিকতর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও সম্ভবত শেখ হাসিনাই জিততেন। বিভিন্ন জনমত জরিপে এগিয়ে ছিল তাঁর দল আওয়ামী লীগ। কিন্তু গত রোববারের জাতীয় নির্বাচনের পর এখন প্রশ্ন উঠেছে—আওয়ামী লীগের এই বিশাল বিজয় কি স্বস্তি আনবে, নাকি দমননিপীড়ন আরও বাড়বে? এএফপির রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার এই বিজয় কলঙ্কিত হয়ে থাকবে। 

নির্বাচনী কারচুপির মাত্রায় বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন জার্মানি পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান নরবার্ট রজেন। এক টুইট বার্তা তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচনী কারচুপির মাত্র দেখে আমি বিষ্মিত। দেশটিতে কার্যকরভাবে একদলীয় সরকার চালু হয়েছে। ইউরোপীয় সরকারগুলোকে এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার নিন্দা দৃঢ়ভাবে জানানো উচিত। একইসাথে বাংলাদেশের অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর প্রতি সমর্থন জানানো উচিত। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার পর পৃথিবীর গণতান্ত্রিক ইতিহাসের নিকৃষ্ট নির্বাচন হল বাংলাদেশের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন। আসল কথা হলো ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ‘নির্বাচনের ফলাফল চুরি করেছে’, আর যারা নিজেদের সরকার দাবি করছে তারা ‘অবৈধ’। বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন, ভঙ্গুর গণতন্ত্র, শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারিতাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে লেখা এক বিশেষ নিবন্ধে এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা উইলসন সেন্টারের সিনিয়র স্কলার, রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম। 

দ্য ফ্রাইডে টাইমস শুক্রবার তাঁর এ লেখাটি প্রকাশ করেছে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী তার নিরপেক্ষ এবং কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে নিবন্ধে কড়া সমালোচনা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাইলাম। স্বৈরশাসনের বিপক্ষে এমন নিশ্চুপ থাকা এবং সদ্য সমাপ্ত ভোটে নূন্যতম কার্যকর ভূমিকা পালনে সেনাবাহিনীর যে ব্যর্থতা দেখা গেছে তাতে বিশ্ব শান্তি রক্ষা মিশনে বাহিনীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং প্রশ্নের তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে সন্ত্রাস ও ভোটকারচুপির যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। একই আহ্বান জানিয়েছেন নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিয়েন হেগেন। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ বলেছে, আমরা চাই , নির্বাচনে সন্ত্রাস ও মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগগুলোর দ্রুত স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর তদন্ত করা হোক। আমরা আশা করছি,নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধীদল যেসব অভিযোগ করেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেগুলোর তদন্ত করে দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর সরকার সমর্থকদের শারীরিক আক্রমণ, দুর্ব্যবহার, হয়রানি এবং পুলিশের অকারণ গ্রেপ্তার এখনো চলছে। কিন্তু সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোর জন্য কোন মামলা হচ্ছে না। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিপক্ষ এবং সংখ্যালঘুদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের হামলা ও ভীতিপ্রদর্শনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মদদ ছিলো। কোথাও কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নির্যাতনে অংশ নিয়েছে। 

বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনকে ‘কলুষিত’ বলে কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একিসঙ্গে নির্বাচনে সংগঠিত কারচুপি অভিযোগগুলোর স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি তাগাদা জানিয়েছে সংস্থাটি। বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া সহিংসতা পরিহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে ৩০ ডিসেম্বর সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের প্রতিক্রিয়ায় এ আহ্বান জানানো হয়।নির্বাচনে সংগঠিত কারচুপির ঘটনাসমূহ ভোট অনুষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে বিবৃতিতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিরোধী প্রার্থী এবং সমর্থকদের নির্বাচনে বাধা দেবার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, “হয়রানি, ভীতিকর পরিস্থিতি এবং সহিংস কর্মকান্ডের জন্যই নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী এবং সমর্থকেরা স্বাধীনভাবে তাদের সভা-সমাবেশ করতে পারেনি, কোনো প্রচারণা চালাতে পারেনি। এসব ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।” 

কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২৮৮ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়লাভ করলেও বিরোধীরা ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে, মহাজোটের সমর্থকদের বাধার মুখে লোকজন ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রধান বিরোধী জোটের নেতা এই নির্বাচনকে প্রহসনরূপে উল্লেখ করে তা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন। অনেক পোলিং এজেন্ট জানিয়েছেন, তারা ভয়ে কেন্দ্র থেকে দূরে ছিলেন। আবার অনেকে অভিযোগ করেন, তাদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যালটে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরাট করেছেন। একজন নারী ভোটার দাবি করেছেন, পুলিশ তাদের স্বাধীনভাবে ভোট দিতে দেয়নি। পুলিশ বলেছে, ‘যদি নৌকায় ভোট দেয় তাহলেই কেবল ভোট দিতে পারবে।’ প্র

তিবেদনে আরো বলা হয়, শেখ হাসিনার ক্ষমতা দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং দেশটির শাসনব্যবস্থা একদলীয় শাসনে পরিণত হতে চলেছে।

সাংবিধানিক ভাবে বহুদলীয় গণতন্ত্র স্বীকৃত একটি দেশ বাংলাদেশ। সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্র হবে একটি গণতন্ত্র। যেখানে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হবে এবং প্রশাসনের সবপর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। তাছাড়া পুলিশসহ সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতিগ্রস্ত করা হয়েছে। গণমুখী অনুচ্ছেদগুলো শুধু সংবিধানেই লিপিবদ্ধ রয়েছে; কিন্তু বাস্তবে এসবের প্রয়োগ নাই বললেই চলে। তাই গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পারদ দিন দিন নিম্নগামী। শাসকদলের ক্ষমতালিপ্সার কারনে দেশের আজ এই বেহাল অবস্থান এবং বহুমুখী ষড়যন্ত্রে দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ত হুমকির সম্মুখীন। এজন্যে বাষ্ট্রের অস্তিত্ব হয়তো বিলীন হবে না। রাষ্ট্রের অপরিহার্য বা মৌলিক উপাদান চারটির (নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, জনসমষ্টি, সরকার ও সার্বভৌমত্ত) মধ্যে তিনটি থাকবে, কিন্তু থাকবে না সার্বভৌমত্ব।

  • কার্টসিঃ দিনকাল/ জানু ১৫,২০১৯ 

The ball is in the PM's court

Can Prime Minister Sheikh Hasina deliver the change necessary for the transformation of Bangladesh's politics during her record fourth term in office?


Badiul Alam Majumdar


Marked by many questions, controversies and some degree of violence, the 11th parliamentary election took place on December 30. According to the Election Commission, the overall turnout was 80 percent, while it was less than 46 percent in the six constituencies where EVM was used. Six constituencies had the highest turnout rate of 99 percent.

The Grand Alliance had a “grand” victory in the election, winning 291 of the 299 constituencies where elections were held. By contrast, the opposition Jatiya Oikyafront alliance won only 8 seats. Given Bangladesh's political reality, such a devastating loss for Oikyafront is unusual, and creates serious questions in the minds of many observers about the quality of the election.

Many in the media, including social media, published reports of irregularities during the election. Questions were raised about the unusually high turnout in constituencies where paper ballots were used. Foreign media and some of our important development partners also raised the issue of irregularities. We feel that the Election Commission has the responsibility to investigate the allegations. If the investigation finds evidence to support those allegations, the EC may take appropriate action, including cancelation [Nur Hossain vs Nazrul Islam, 5BLC(AD)(2000)].

The Grand Alliance's grand victory and the Oikyafront's decisive loss in the polls could lead to serious consequences for the nation unless both the alliances seriously assess the unusual results and their consequences, and take appropriate actions. The consequences are likely to be dire unless both coalitions seriously engage in dialogue and reach an agreement to create opportunities for future transfer of state power on the basis of the will of the people. The ruling party has, through a controversial election, climbed on the proverbial tiger's back, and may be unwilling or perhaps even unable to disembark. The result will be the denial of voting rights of the people. So, we hope our leaders will show the courage and wisdom needed to negotiate a political dialogue.

To avoid a potential crisis, the prime minister, who has achieved the unprecedented feat of becoming head of government for the fourth time, will have to provide leadership to usher in many extraordinary changes. In fact, there is a historic opportunity before her to create a pathway for a democratic future for Bangladesh, which will enable us to celebrate a prosperous, peaceful and truly democratic Bangladesh on the golden anniversary of our nation in 2021. This will also make the celebration of the 100th birthday anniversary of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman in 2020 a more inclusive event, involving people of all shades of opinion.

On December 31, in a meeting with a group of election observers, PM Sheikh Hasina expressed her commitment to be a prime minister for all citizens. It may be recalled that, exactly ten years ago, on December 31, 2009, after her party's landslide victory in the 9th parliamentary election, she made a similar declaration in a press briefing that her government would be that of all citizens and would not misuse power. She specifically declared: “We do not believe in vengeance and retaliation. We want to give up the politics of confrontation. We want to gift the nation a new political culture... We do not want to judge the opposition by the number alone... We have achieved the victory, so we want to be forgiving. We ask everyone to forget the differences and work together for the people. In parliamentary democracy, the opposition is a partner in governing the state. We will show respect to the opposition for making positive criticism, their advice and their role for making the parliament effective.” (Prothom Alo, January 1, 2009)

Even though a conducive environment may not have prevailed, and it was not possible to transform our political culture ten years ago, the time has now come for such a transformation, especially in view of the fact that Sheikh Hasina, as the daughter of Bangabandhu, is now concerned about her legacy—how she would like history to view her. Given this, she must provide the leadership necessary to create qualitative changes in our politics. The ball is in her court. In the changing political circumstances, such an initiative is likely to elicit a positive response from her political rivals as well.

If we are to transform our political culture, Bangladesh Awami League and our PM will now have to come forward to practice a new type of politics—one of secularism, pluralism and social cohesion, which are part of our founding principles. As part of this secularist politics, the PM will have to disband Jamaat-e-Islami, which opposed our war of liberation, and expeditiously complete the war crimes trial to heal a deep wound in our national life. This will also help us avoid playing with the non-secularist forces such as the Jamaat and Hefazat in the future.

The new politics will also have to be that of inclusiveness, of tolerance rather than annihilation. Although we were a nation firmly united against the Pakistanis, except for a small segment of misguided individuals, we have now become a nation seriously divided. This is likely to have disastrous consequences. The PM will have to provide the leadership to guide the nation away from this path and practice a new politics of tolerance and peaceful co-existence.

In fact, the PM will have to work toward reaching a grand compromise with her political rivals and initiate some much-needed reforms—the goal of which will be to “repair the state,” as demanded by the children during the road safety movement. The achievements of such a repair must include expansion of people's basic rights, including guaranteeing their voting rights, zero tolerance for corruption, separating the government from the ruling party, and ensuring the effectiveness of our democratic institutions. Such changes will not only transform our political culture, but will also help institutionalise our democratic system. Our PM will need unparalleled tolerance, wisdom and courage for the transformation of our political culture. We wish her success!

  • Dr Badiul Alam Majumdar is Secretary, SHUJAN: Citizens for Good Governance.
  • Courtesy: The Daily Star /Jan 15, 2019

NHRC lacks institutional integrity

EDITORIAL

NATIONAL Human Rights Commission was first initiated during the military backed government in 2007 with the aim to tackle the culture of impunity enjoyed by the influential quarters, as well as law enforcement agencies. Since its emergence, the Commission however failed to perform its mandated role. The most recent fact finding report of the Commission on the gang rape of a woman in Noakhali makes such failure glaringly evident. On December 30, a housewife in Noakhali’s Subarnachar was gang raped for casting vote for ‘sheaf of paddy’, the electoral symbol of the opposition political party allegedly by members of local Awami League. 

The fact that she was raped for exercising her constitutional right to franchise left the nation outraged. Many human rights organisations and opposition party organisers have formed fact finding committee and visited Subarnachar for firsthand account of the heinous crime. It is in this context the Commission also sent an investigation team and released its report refuting any link between the general election and the gang rape of the woman in Noakhali. It has also denounced any tie between the accused rapists and the ruling party. The report of the Commission, therefore, contradicts the statement of the victim and is sharply different from the accounts of human rights activists who visited her. Contrasting account and its failure to see the correlation between the act of rape and the victim’s voting behaviour raises serious question about its institutional integrity. 

The fact finding report of the Commission is named as brutal denial of truth by Left Democratic Alliance as the victim of gang rape in Noakhali has consistently and explicitly told in presence of police, various media and local people that the rapists had threatened her with dire consequences had she voted for Bangladesh Nationalist Party. Locals have identified the man, Ruhul Amin who ordered the rape as the publicity affairs secretary of Subarnachar AL. Later, police have arrested the accused and AL expelled him from the party for his alleged involvement in the gang-rape. The Commission must have strayed from facts that it found no involvement of the ruling party organisers. 

A week before the national election, according to media, a former woman union member of Rajbari was gang raped for support to BNP. Therefore, the victimisation of women for their political affiliation or support was undeniable reality during the election that the Commission failed to recognise. In what follows, the human rights activists’ allegation that the Commission in its report instead of speaking for the victim has acted as the mouth piece of the ruling party, rather subscribed to partisan narrative, appears more than true. 

The very purpose of a human rights commission was to ensure that rights are not abused in the hands of influential quarters and law enforcement agencies. The role it played in investigating the Noakhali gang rape case illustrates anything but its institutional integrity to protect human rights. The government, under the circumstances, must allow the Commission certain institutional autonomy for it to perform its mandated duty.

  • Courtesy: New Age/ Jan 15, 2019