Search

Thursday, January 17, 2019

ক্রিসেন্ট গ্রুপের ১ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা পাচার!

জনতা ব্যাংক ও ক্রিসেন্টের ১৭ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে দুদক 

জেসমিন মলি 

রফতানি বিলের মাধ্যমে জনতা ব্যাংক থেকে ক্রিসেন্ট গ্রুপ কর্তৃক ১ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাংকটির ১১ কর্মকর্তাসহ মোট ১৭ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির প্রাথমিক অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। অনুসন্ধান সূত্র জানিয়েছে, জনতা ব্যাংকের ১১ কর্মকর্তা ও ক্রিসেন্ট গ্রুপের ছয়জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের সুপারিশ করে শিগগিরই একটি প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেয়া হবে। কমিশনের অনুমোদন পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

দুদকের প্রাথমিক তদন্তে জনতা ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে তারা হলেন নোট প্রস্তুতকারী এক্সিকিউটিভ অফিসার (এসও) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, পরীক্ষণকারী সিনিয়র অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, সুপারিশকারী সিনিয়র অফিসার মো. সাইদুজ্জামান, প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন, সিনিয়র অফিসার মো. মাগরেব আলী, সিনিয়র অফিসার মো. খায়রুল আমিন, এজিএম মো. আতাউর রহমান সরকার, অনুমোদনকারী ডিজিএম (বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি) মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম ও শাখাপ্রধান মুহাম্মদ ইকবাল, ডিজিএম ও শাখাপ্রধান একেএম আসুদুজ্জামান এবং ডিজিএম ও এফটিডি কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ।

অন্যদিকে গ্রাহকদের মধ্যে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে তারা হলেন ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্টের চেয়ারম্যান এমএ কাদের, একই প্রতিষ্ঠানের দুই পরিচালক সুলতানা বেগম ও রেজিয়া বেগম, লেসকো লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া, রিমেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটুন জাহান মীরা।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, ক্রিসেন্ট গ্রুপ কর্তৃক জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে জনতা ব্যাংকের টাকা পাচার এবং আত্মসাতের ঘটনায় জনতা ব্যাংক কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাই এখানে দুদকের আওতাভুক্ত সম্পৃক্ত ধারার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। জনতা ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে এখানে সম্পৃক্ত ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং পরবর্তী পর্যায়ে মানি লন্ডারিং অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তাই দুদক ছাড়া অন্য সংস্থার এ বিষয়ে মামলা করার আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে দুদকের অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে। দুদক দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৭১, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২), (৩) ধারায় শিগগিরই মামলা দায়ের করবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বলেন, একটি স্বাধীন সংস্থা হিসেবে যেকোনো অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা দুদকের যেকোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ব্যাংকের পক্ষ থেকে ক্রিসেন্ট গ্রুপের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তও চলমান। ক্রিসেন্ট গ্রুপের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য এরই মধ্যে দুই দফায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করার জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, জনতা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে ব্যাংকের নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নতুন ৫৭০টি রফতানি বিল কেনার নামে ক্রিসেন্ট লেদারের চেয়ারম্যানের সহায়তায় ৯৯৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন স্মারকে অনুসন্ধান করার জন্য সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ারকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়। এখন পর্যন্ত দুদকের অনুসন্ধানে ক্রিসেন্ট গ্রুপের ৬৫৩টি রফতানি বিলের মাধ্যমে পণ্য বিদেশে সরবরাহ করে সে অর্থ বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন না করে ১ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

জানতে চাইলে দুদকের পরিচালক ও তদারককারী কর্মকর্তা সৈয়দ ইকবাল হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, অভিযোগটির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। এ কারণে বিস্তারিত বলার সুযোগ নেই। তবে দুদকের অনুসন্ধানে অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

দুদকের অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাপ্ত নথিপত্র বিশ্লেষণ করে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তা হচ্ছে রফতানি এলসি ইস্যুকারী ব্যাংক প্রথম শ্রেণী/আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এবং আর্থিক সংগতি বিশ্লেষণে গ্রহণযোগ্য কিনা তা ব্যাংকার্স অ্যালামনাক বা অন্য কোনোভাবে শাখা কর্তৃক যাচাই করা হয়নি।

বৈদেশিক ক্রেতার সন্তোষজনক ক্রেডিট রিপোর্ট গ্রহণপূর্বক ক্রেতার স্ট্যাটাস বিশ্লেষণ, মূল্য পরিশোধের সক্ষমতা সম্পর্কে বৈদেশিক ক্রেতার ব্যাংকের মতামত সংগ্রহপূর্বক তা যাচাই না করে ব্যাংকগুলোর রফতানি নেগোসিয়েশন/বিল ক্রয় করা হয়েছে। ফরেন ডকুমেন্টারি বিল পারচেজ (এফডিবিপি) ক্রয়ের জন্য গ্রাহকের আবেদনপত্রে গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের স্বাক্ষর যাচাই করেনি ব্যাংক শাখা। শাখায় রক্ষিত শিপিং ডকুমেন্ট প্রেরণের কুরিয়ার রিসিপ্টে ডকুমেন্ট গ্রহণকারীর স্বাক্ষর নেই। বৈদেশিক ব্যাংকে ডকুমেন্ট প্রেরণের প্রুফ অব ডেলিভারি নথিভুক্ত নেই, ফলে ডকুমেন্টগুলো সংশ্লিষ্ট বৈদেশিক ব্যাংকে প্রেরণ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নয়। ক্রয়াদেশ প্রদানকারী/আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভিন্ন দেশে (যেমন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত) অবস্থিত হলেও পণ্য রফতানি হচ্ছে হংকং ও চীনের মতো দেশে। এক্ষেত্রে ক্রয়াদেশ প্রদানকারী ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পণ্য গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা/চুক্তি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে শাখা। চুক্তিপত্রের বিপরীতে প্রধান কার্যালয়ের এফডিবিপি লিমিট মঞ্জুরিপত্রে হংকং ও চীনের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মিউচুয়াল ওয়েল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ম্যাক্রোভাইল লিমিটেডের গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিল নেগোসিয়েশনের অনুমতি দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ওই গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠান কিনা এবং চুক্তিপত্রগুলো যথাযথ কিনা তা যাচাই না করেই বিলগুলো ক্রয় করা হয়েছে। 
  • Courtesy: Banikbarta /Jan 17, 2019

Re-polling demands now sound logical

EDITORIAL

THE Transparency International, Bangladesh report on 50 constituencies that it monitored in the December 30 general elections, made public on Tuesday, is worrying. While the report grossly terms the 11th parliamentary elections partially participatory, non-competitive, questionable and flawed, it says that ballots were stamped on the eve of the polling in 33 constituencies, the administration and law enforcement agencies remained idle in 42 constituencies, fake voting took place in 41 constituencies and polling stations were captured in 30 constituencies.

Furthermore, as the report says, polling agents and voters were intimidated in 26 constituencies, voters were forced to cast their vote for a certain electoral symbol in 22 constituencies, voters were asked to leave polling stations in 21 constituencies, ballot boxes were found full before polling in 20 constituencies and opposition activist were tortured in 11 constituencies. Given the picture, there are hardly any reasons for polling in remaining constituencies to be considered better.

All this brings the whole of the elections into question while it points to glaring failures of the Election Commission and the incumbent party. What rather happened only on the polling day, from polling to vote counting, the elections can well be described as a mockery of people’s right to franchise in the hands of the incumbent Election Commission and the incumbent political quarters.

The Transparency International, Bangladesh further comes to say that foreign and local election observation groups faced obstacles in monitoring the elections; some organisations were not allowed to observe the elections because of their alleged political link while some others having links with the incumbent party were. The report also says that candidates running in 50 constituencies spent more at least three times the ceiling of Tk 2.5 million while candidates from the Awami League spent on an average Tk 13.3 million, which is five times the ceiling. The watchdog also comes up to say that the chief election commissioner has come to be mired in conflict of interest as he did not give any explanation over the candidacy of a close relative of him. If intensified violence that took place both during the campaign period and on the polling day, arrest of candidates, leaders and activists of parties and alliances in the opposition, harassment and intimidation of opposition candidates and leaders both by the law enforcement agencies and activists of the incumbent party and its wings and brazen inaction of the Election Commission in ensuring a level playing field and in stopping breaches of the code of conduct for the electoral process are considered, the elections appear to be unmeaning.

The Transparency International, in a situation like this, recommends a judicial inquiry of the incidents that centred on the elections as they all gave rise to scepticism in people about the holding of the elections. It also suggests the enactment of a law on the appointment of the chief and other election commissions so that similar irregularities do not repeat in future. In view of such a worrying situation, almost all parties in the opposition that took part in the general elections have come up with the demand for re-polling. The demand sounds reasonable.

  • Courtesy: New Age/ Jan 17, 2019

ভাঙারি দোকানে বিনা মূল্যের বই

সম্পাদকীয়

প্রশাসনকে আরও সজাগ হতে হবে


উৎপল দত্তের টিনের তলোয়ার নাটকের একটি দৃশ্যে দেখা যায়, ‘দ্য গ্রেট বেঙ্গল অপেরা’র মহড়াকক্ষে হাজির হন প্রিয়নাথ মল্লিক নামের এক তরুণ নাট্যকার। তিনি ওই অপেরার পরিচালক বেণীমাধব চাটুজ্যে ওরফে কাপ্তেন বাবুকে মাসখানেক আগে তাঁর নিজের লেখা নাটক পলাশীর যুদ্ধপড়তে দিয়েছিলেন। নাটকটি কাপ্তেন বাবুর কেমন লেগেছে এবং সেটি মঞ্চস্থযোগ্য কি না, সেই খোঁজ নিতেই তিনি এসেছেন। অতিথি প্রিয়নাথকে মুড়ি খেতে দেওয়া হয় কাগজের ঠোঙায়। মুড়ি খেতে খেতে কাপ্তেন বাবুর সঙ্গে পলাশীর যুদ্ধ নাটক নিয়ে আলোচনা করছিলেন প্রিয়নাথ। হঠাৎ তাঁর খেয়াল হলো, তাঁর হাতে যে ঠোঙাটা ধরা, সেটি পলাশীর যুদ্ধ—পৃষ্ঠা নম্বর ৩২১। কাপ্তেন বাবুর হাতের ঠোঙা বানানো হয়েছে পলাশীর যুদ্ধ—পৃষ্ঠা নম্বর ৩০৭ দিয়ে।

প্রতিবছর এই সময়ে দেশের আনাচকানাচে মহাসমারোহে টিনের তলোয়ার নাটকের এই দৃশ্য মঞ্চায়িত হয়। সরকার বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য যে পাঠ্যবই ছাপায়, তার একটা অংশ পাওয়া যায় ভাঙারির দোকানে। যাঁরা বই বিতরণের দায়িত্বে থাকেন, তাঁরা কেজি দরে বইগুলো ভাঙারি ব্যবসায়ীদের কাছে বেচে দেন। প্রিয়নাথের পলাশীর যুদ্ধ নাটক দিয়ে মুড়ির ঠোঙা বানানোর মতো তাঁরা এই পাঠ্যবই দিয়ে ঠোঙা বানান। দু-একটা ঘটনা ধরা পড়ে। সেগুলো খবরে আসে। বাকিগুলো বিস্মৃতির আড়ালে তলিয়ে যায়।

গত বছরের মে মাসে বাগেরহাট শহরের একটি ভাঙারির দোকান থেকে ১৬ বস্তা বই উদ্ধার করা হয়েছিল। একই সময়ে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শহরতলি কালিকাপুর এলাকার একটি মুদিদোকান থেকে দেড় হাজার বই জব্দ করা হয়েছিল। ওই সময় নানা জায়গায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। কাউকে কাউকে আটকও করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারি বই দিয়ে ঠোঙা বানানো বন্ধ করা যায়নি। এ বছরও একই ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার হবিগঞ্জ শহরের একটি ভাঙারির দোকান থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় পাঁচ হাজার নতুন বই উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ৯ জানুয়ারি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিনা মূল্যের বই কেজি দরে ভাঙারি দোকানে বিক্রি করার পর আটক হন কাঁঠালতলা গিয়াসিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবদুল হালিম। ধরা পড়া এবং মামলার সুবাদে ঘটনাগুলো সংবাদমাধ্যমে আসছে। ধারণা করা অযৌক্তিক নয়, এ রকম আরও ঘটনা দেশজুড়ে ঘটছে, যেগুলো ধরা পড়ছে না।

ঠোঙাশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে যেসব ‘কুটিরশিল্প সংবেদনশীল’ মানুষ শিশুদের বঞ্চিত করে পাঠ্যপুস্তক ভাঙারির দোকানে বেচে দিচ্ছেন, তঁারা হয় শিক্ষক, নয়তো শিক্ষাদানের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সংশ্লিষ্ট। তাঁদের কড়া সাজার আওতায় আনা উচিত। প্রশাসন তথা সরকারের মধ্যে এই উপলব্ধি দ্রুত জাগ্রত হওয়া দরকার। 
  • Courtesy: Prothom Alo /Jan 17, 2019

বাংলাদেশের নির্বাচন ‘সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি’ — ভারতের বিশ্লেষকদের মত

  • দিল্লির একাধিক প্রতিষ্ঠানের গবেষক–বিশ্লেষকদের মত
  • দিল্লির গবেষক-বিশ্লেষকেরা বিবিসিকে এই মত দিয়েছেন
  • গবেষকদের সঙ্গে ভারত সরকারের অবস্থান মেলে না


ভারতের রাজধানী দিল্লির কিছু গবেষক ও বিশ্লেষক বলেছেন, বাংলাদেশে গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন যে ‘সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি’ এবং তার ফলাফলও যে ‘অবিশ্বাস্য’-তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তাঁরা বলেছেন, এ নির্বাচনে কারচুপি না হলেও বিরোধীরা কম আসনই পেতেন, কিন্তু তার সংখ্যা সাত হতো না।

দিল্লিতে এলেই বাংলাদেশের রাজনীতিবিদেরা যে থিঙ্কট্যাঙ্কগুলোতে নিয়মিত যান, এমন একাধিক প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা বিবিসিকে এ কথা বলছেন। তবে এর সঙ্গে ভারতের সরকারের অবস্থান পুরোপুরি মেলে না।

সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলে দিল্লির এমন অন্যতম প্রধান দুটি থিঙ্কট্যাঙ্ক বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ও অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন।

বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো শ্রীরাধা দত্ত বলছেন, বাংলাদেশে বিরোধী জোট হয়তো এমনিতেও ক্ষমতায় আসতে পারত না, কিন্তু নির্বাচনী কারচুপির কারণেই তাদের আসনসংখ্যা এতটা কম হয়েছে। আর বিরোধী জোটে নেতৃত্বের সংকটও ছিল প্রবলভাবে। তাদের প্রধান নেত্রী জেলে, তাঁর ছেলে লন্ডনে। আর কামাল হোসেন যতই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনবিদ হোন, তাঁকে দেখে দেশের মানুষ ভোট দেন না।

ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির আদর্শিক অভিভাবক বলে যাদের ধরা হয়, সেই আরএসএসের মুখপত্র দ্য অর্গানাইজার-এ এই বিষয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছেন শ্রীরাধা দত্ত। সেখানেও তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, এ ধরনের একতরফা নির্বাচন স্বল্প মেয়াদে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করলেও দীর্ঘ মেয়াদে কিন্তু বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে।

অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো জয়িতা ভট্টাচার্য বলেছেন, ভোটের ফল বেশ আশ্চর্যজনক হলেও বাংলাদেশের মানুষ আসলে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ন্যারেটিভটাই গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের যেটা মনে হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ স্থিতিশীলতাই চায়। তাদের দেশ অর্থনৈতিক উন্নতির যে ধারায় এগিয়ে চলেছে, সেটাকে তারা কোনোভাবে ডিস্টার্ব করতে চায় না। ২০১৪ সালের পর থেকে আসলে বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক ফোকাসটাই বদলে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, তা ছাড়া বিরোধী জোট শক্তিশালী হলে তারা সরকারের সামনে যে ধরনের চ্যালেঞ্জ খাড়া করতে পারত, তার ছিটেফোঁটা ক্ষমতাও এখন তাদের নেই। ফলে শেখ হাসিনা আরও অন্তত পাঁচ বছর নিশ্চিন্তে সরকার চালাতে পারবেন বলেই মনে হচ্ছে।

কিন্তু ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ঘিরে অনেক প্রশ্ন থাকলেও ভারত যেভাবে আগ বাড়িয়ে ও তড়িঘড়ি চীনেরও আগে সেটাকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তা সমর্থন করতে পারছেন না শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি এটা একটা একতরফা নির্বাচন। তারপরও যেভাবে চীনকে টেক্কা দিতে আমরা আগেভাগে তাকে বৈধতা দিতে গেলাম, সেটা আমি তো বলব বেশ বাড়াবাড়িই হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের পরও আমরা শেখ হাসিনার সঙ্গে ঠিক একই জিনিস করেছিলাম।’

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচন যে বিতর্কমুক্ত নয়, সে কথা স্বীকার করেছে দিল্লির আর একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিসও।

তাদের মন্তব্য প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র আসলে আজ অবধি এমন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনই গড়ে তুলতে পারেনি, যাকে কোনো বিরোধী দল ভরসা করতে পারে।

তবে নির্বাচন যতই ত্রুটিপূর্ণ হোক, ঢাকার ক্ষমতায় শেখ হাসিনাই যে ভারতের জন্য সেরা বাজি ও একমাত্র অপশন-তা নিয়ে এই থিঙ্কট্যাঙ্কগুলোর মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই।
  • Courtesy: Prothom Alo /Jan 17, 2019

টিআইবির রিপোর্টে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আঁতে ঘা লেগেছে — বিএনপি


টিআইবির রিপোর্টে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আঁতে ঘা লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারি, নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

রিজভী আহমেদ বলেন, সরকারের সর্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণের ঘন অন্ধকার ভেদ করে টিআইবি রিপোর্টে ভোট ডাকাতির মহাসত্য প্রকাশ হওয়াতে সরকারের মন্ত্রীরা ও নির্বাচন কমিশন মুখ লুকাতে পারছে না। সেজন্য আর্তচিৎকার করে সত্য লুকানোর চেষ্টা করলেও কোন লাভ নেই। মানুষ যা জানার নির্বাচনের আগের দিন রাত থেকেই জেনেছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিভিন্ন সংগঠন নির্বাচনে মহাভোট ডাকাতি নিয়ে প্রতিবেদন, মন্তব্য ইত্যাদি করেছে। বিশ্বের নানা গণতান্ত্রিক দেশ বলেছে- এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা এই ভুয়া  ভোটের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং তদন্ত দাবি করেছে।

নিচে সংবাদ সম্মেলনের পূর্ণপাঠ দেওয়া হল - 

সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
আস্সালামু আলাইকুম। সবার প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে গতকাল আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। নজীরবিহীনভাবে তাঁকে কারাগারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। এই আটকিয়ে রাখার পেছনে ব্যক্তির প্রতিহিংসা পূরণের সাধ মেটানো হচ্ছে, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তাঁর সুচিকিৎসার জন্য পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে কোন আবেদনই কারাকর্তৃপক্ষ রক্ষা করেনি, বরং সরকারের প্ররোচণায় কারাকর্তৃপক্ষ বেগম জিয়ার অসুস্থতাকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দেয়ারই চেষ্টা করেছে। চিকিৎসা শেষ না হতেই হাসপাতাল থেকে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছে কারাগারে। তাঁর অসুস্থতা সত্ত্বেও সেটিকে আমলে না নিয়ে বারবার আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। হয়রানী ও শারীরিকভাবে কষ্ট দেয়ার জন্যই সরকারের সাজানো অসত্য মামলায় বেগম জিয়াকে ঘনঘন আদালতে উপস্থিত করা হচ্ছে। সরকারের কারসাজিতেই বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা ও জীবন এখন গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। অবিলম্বে বিশেষায়িত হাসপাতালে তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

সাংবাদিক বন্ধুরা,
জনগণের টাকা ব্যাংক ও সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে লোপাট করে এখন আওয়ামী ক্ষমতাসীনদের আলমারীতে টাকা, লকারে টাকা, তোশকের নিচে টাকা, আর বেশীর ভাগ উড়ে গেছে বিদেশে টাকা। চারিদিকে তাদের গিজগিজ করছে টাকা। তাই নিশীথ রাতে ভোটের তেলেসমাতির হোতাদের মোটা অংকের উৎকোচ ও ভুড়িভোজের পাশাপাশি এখন বীরত্বের পদক দেয়া হবে বলগাহীন উচ্ছাসে। অর্থাৎ ভোট ডাকাতির জন্য এবার রাষ্ট্রীয়ভাবে পদক দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরস্কার দেয়া হবে, যা নজীরবিহীন। আসলে শেখ হাসিনার কথন, বলন সবই নজীরবিহীন। শেখ হাসিনার পুলিশ-র‌্যাবের ভোট ডাকাতির দক্ষতা নজীরবিহীন। তাঁর সরকারের মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের অম্লানবদনে ডাহা মিথ্যা কথা বলা নজীরবিহীন। বিরোধীদের প্রতি শেখ হাসিনার রণং দেহী ভাব নজীরবিহীন। শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনে আদালত, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের তথাকথিত নিরপেক্ষতার গুঞ্জন নজীরবিহীন। কথায় কথায় বিরোধী দলের প্রতি ধমক ও হুমকি নজীরবিহীন। ভোটারদের ভোট-বঞ্চনা করতে দীর্ঘ সময়ব্যাপী পরিকল্পনা নজীরবিহীন। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে খর্ব করার জন্য ‘ড্রাকোনিয়ান’ আইন তৈরী করা হয়েছে যা নজীরবিহীন।

সাংবাদিকবৃন্দ,
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির মাধ্যমে বিজয়ী হওয়ার পর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে শুরু করে থানায় থানায় উৎসব চলছে। কেন এই উৎসব ? এখন তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পদক দেয়া হবে কেন, এগুলো জাতি তা জানতে চায়। এটা কি গায়েবী মামলার পুরস্কার ? মৃত ব্যক্তিকে আসামী করার পুরস্কার ? বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে জেলে ঢোকানোর পুরস্কার ? বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে এলাকা ছাড়া করার পুরস্কার ? বিরোধী দলকে নির্বাচনী মাঠে নামতে না দেয়ার পুরস্কার ? পোষ্টার লাগাতে না দেয়ার পুরস্কার ? ধানের শীষের প্রার্থীদের গুলি করা, হামলা করা, জেলে ঢোকানোর পুরস্কার ? ধানের শীষের এজেন্টদের গ্রেফতার করা, কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, মারধর করার পুরস্কার ? সর্বোপরি ভোটের আগের রাতে ভোটকেন্দ্র দখলে নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারদেরকে বাধ্য করে রাতভর ব্যালটে সীল মেরে বাক্স ভর্তি করার পুরস্কার ? বাংলাদেশ থেকে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার কৃতিত্বের জন্যই পুরস্কার দেয়া হচ্ছে বলে জনগণ বিশ^াস করে।

বন্ধুরা,
টিআইবি রিপোর্টে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আঁতে ঘা লেগেছে। সরকারের সর্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণের ঘন অন্ধকার ভেদ করে টিআইবি রিপোর্টে ভোট ডাকাতির মহাসত্য প্রকাশ হওয়াতে সরকারের মন্ত্রীরা ও নির্বাচন কমিশন মুখ লুকাতে পারছে না। সেজন্য আর্তচিৎকার করে সত্য লুকানোর চেষ্টা করলেও কোন লাভ নেই। মানুষ যা জানার নির্বাচনের আগের দিন রাত থেকেই জেনেছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিভিন্ন সংগঠন নির্বাচনে মহাভোট ডাকাতি নিয়ে প্রতিবেদন, মন্তব্য ইত্যাদি করেছে। বিশে^র নানা গণতান্ত্রিক দেশ বলেছে-এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা এই ভুয়া ভোটের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং তদন্ত দাবি করেছে। বিশ^বাসী এই নির্বাচনকে ইতিহাসের নিকৃষ্ট নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করেছে। ক্ষমতা চিরদিনের জন্য  কোলবালিশের মতো আঁকড়ে ধরে রেখে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ত্ব প্রতিষ্ঠার জন্যই ভোটারদেরকে ভোট দেয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারীর মধ্যে রেখে, বিরোধী দলকে কারাগারে ঢুকিয়ে, ভোটারদেরকে আতঙ্কের মধ্যে রেখে, নির্বাচন কমিশনে মোসাহেবদের বসিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে পার পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ জীবন উৎসর্গ করে এই দেশ স্বাধীন করেছে, তারা  প্রয়োজন হলে জীবন দিয়ে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবে।  

সুহৃদ সাংবাদিকবৃন্দ,
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সদর উপজেলার রাজঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ঐ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী পুলিশ প্রহরায় তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অপেক্ষমান ভোটারদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি করে ভোটারদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করার চেষ্টায় ব্যর্থ হলে নৌকার প্রার্থী নিজের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি চালালে বিএনপি কর্মী ইসরাইল ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং জাবেদসহ অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মী কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে জাবেদসহ অনেকেই গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। পরবর্তীতে সরকারী দলের প্রার্থী লাশ নিয়ে নিহতের পিতা-মাতাকে হুমকি দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। হুমকি দিয়ে সেই নেতা আরো বলে যে, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা না করলে লাশ দেয়া হবে না। অত:পর নিহতের পিতা-মাতা উপায়ান্তর না দেখে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়। বর্তমানে রাজঘর গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প বসিয়ে নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার অভিযান চালানো হচ্ছে, গ্রামটি এখন পুরুষশুন্য হয়ে পড়েছে। মহিলাদের উপরও নির্যাতনের কারণে তারা বাড়িতে থাকতে পারছে না। 

বর্তমানে ইরি মৌসুম চলছে, ধান বোনার কাজে কোন নারী-পুরুষ গ্রামে যেতে সাহস পাচ্ছে না। আমি আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর এহেন ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডে ধিক্কার জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এধরণের কর্মকান্ড বন্ধের জোর দাবি করছি। নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার অভিযান বন্ধেরও জোর দাবি জানাচ্ছি। নিহত বিএনপি কর্মী ইসরাইলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ জাবেদ এর আশু সুস্থতা কামনা করছি।

কর্মসূচিঃ  
আগামী ১৯ জানুয়ারী মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পূণ:প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৩তম জন্মবার্ষিকী। শহীদ জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে -

১। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। 

২। আগামীকাল ১৮ জানুয়ারী বেলা ২-৩০টায় সুপ্রীম কোট বার অডিটোরিয়ামে বিএনপি’র উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। 

৩। আগামী ১৯ জানুয়ারী শনিবার সকাল ১০-০০টায় শেরেবাংলা নগরস্থ শহীদ জিয়ার মাজারে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও নেতাকর্মীরা ফাতেহা পাঠ ও পুস্পার্ঘ অর্পণ করবেন। 

৪। দিবসটি উপলক্ষে ইতোমধ্যেই পোষ্টার প্রকাশ করা হয়েছে।

৫। ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে।

৬। অনুরুপভাবে সারাদেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিটে যথাযোগ্য মর্যাদায় সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।

Innocent workers must not be victimised

EDITORIAL

Cases filed against 'unnamed' garment workers


In the aftermath of the violent protests that engulfed the garments factories in Ashulia and Savar industrial zones, the police have filed cases against 215 individuals and a further 1,000 unnamed garment workers on charges of vandalism and looting and reportedly more than 800 workers have been laid off. While we fully endorse that those involved in damaging and looting of property during the labour unrest are held to account, it is also our position that workers shouldn't be randomly sacked or suspended from jobs without adequate proof and going through the proper process.

The government has revised the wage board and we have been assured that the new wage board will be followed from now on. It is imperative that calm and order is restored in the RMG industrial parks in the country because work stoppage is something neither the industry nor the workers can afford. At the end of the day, committing vandalism, destruction of property, arson and looting are unacceptable at any level no matter what the circumstances.

Garments workers in general need to understand that these factories are the hands that feed them and protecting them is in everybody's interest. The information gap regarding what is owed to whom under which pay grade is something that needs to be narrowed. Workers, factory owners and the country as a whole suffer when we cave in to our more primal instincts and resort to violence that leads to work stoppage and loss of business. The statement 'no work no pay' is a death sentence for any worker and whatever differences of opinion exist, workers need to shun this culture of violence and learn to bargain collectively over the table to get their dues.

  • Courtesy: The Daily Star /Jan 17, 2019

Forgery gang runs rampant at Ctg port

4,000 consignments released thru' scam by nexus of C&F agents, importers; one suspect arrested

Mohammad Suman


A gang consisting of clearing and forwarding (C&F) agents and importers had at least 4,000 consignments released from the Chattogram port through forgery over the last two years.

The gang stole and misused the identities of two former customs officials of the Chittagong Custom House for the crime, CIID officials said. One of the two officials was on retirement while the other had been transferred.

The Customs Intelligence and Investigation Directorate officials said they identified seven active members of the gang. One of them was arrested from the capital's Kakrail area yesterday.

The arrestee is Mizanur Rahman, owner of M/S MR Trade International and Chakladar C&F Agent Limited.

CIID officials said they found evidence that the criminals entered the customs' server using the IDs of former revenue officer DAM Muhibul Islam, who went on retirement in 2015, and Fazlul Haque, currently working at the Dhaka Custom House. 

Both the officials were posted to the Chittagong Customs House from 2013 to 2016 and they discharged various duties, they said, adding that the scam that surfaced had been carried out after the two left the port. The CIID officials were investigating if the two officials in question had any links with the crime.

“Those consignments were released from the port between 2016 and 2018 through forgery,” said Abdul Hakim, additional director general of the CIID. He added that more than 4,000 consignments may have been released from the port this way.

“We have formed a committee to investigate the matter and determine the revenue loss in the scam,” he said.

According to sources at the CIID, customs officials “locked” the release order of a consignment on the server on June 25 last year, suspecting it was imported through misdeclaration.

However, the importer, with the help of the gang members, “unlocked” the consignment using Muhibul's ID on September 26 that year without permission from the CIID, the sources said. Similar things happened in the cases of around 4,000 consignments.

CIID Director General Shahidul Islam said, “It seems mysterious how the IDs of a retired officer and a transferred officer were active. As per the rules, the IDs should have been deactivated as soon as the officers concerned had gotten transferred or gone on retirement.”

“It proves that this gang is well-organised. We are investigating if any NBR official is involved,” he added.

Contacted, CCH Commissioner AKM Nuruzzamn said, “I have been informed about this matter. A committee has been formed to probe the incident.”

He said he found evidence on 291 similar incidents last month but would not give any details.

Courtesy: The Daily Star Jan 17, 2019

Subarnachar Rape: Human rights bodies reject NHRC report

Local OC suspended

The Human Rights Forum Bangladesh (HRFB), a platform of 20 rights and development organisations, yesterday called for the cancellation of the National Human Rights Commission report that failed to find a correlation between the Subarnachar rape incident and the December 30 polls.

Terming the failure “mysterious” and “suicidal” for the commission, the forum also demanded that the commission's chairman accepts the failure and makes an apology in this regard.

Meanwhile, Officer-in-Charge of Noakhali's Char Jabbar Police Station Md Nizam Uddin has been withdrawn for “negligence in duty” over the rape incident, reports our district correspondent.

Elias Sharif, superintendent of police (SP) in Noakhali, said Nizam was withdrawn and attached to the district's police lines on Tuesday night following the instruction of Deputy Inspector General of Police (Chattogram Range) Khandaker Golam Faruq.

The SP also said Shahed Uddin, who was serving as inspector (investigation) of Shudharam Model Police Station, was posted as officer-in-charge of Char Jabbar Police Station.

The victim, a housewife and mother of four, has been alleging that 10 to 12 accomplices of Ruhul Amin, a former member of Char Jubilee Union Parishad, raped her for voting for the “sheaf of paddy”, the electoral symbol of the BNP, in the wee hours of December 31.

Ruhul, who had been the publicity affairs secretary of Subarnachar Awami League, was sacked by the party following his arrest in connection with the police case filed over the incident.

However, an NHRC fact-finding committee did not find any link between the election and the gang rape.

Evidence of raping, severely beating the victim and inflicting grievous injuries on her has been found, read the report published on the NHRC website.

“However, no link between the beating and raping and the 11th parliamentary polls were found during investigation,” it said.

The incident took place as a sequel to previous enmity with the accused as cited in the statement of the case filed by the victim's husband, it added.

In a statement yesterday, the HRFB said, “Such a report by the National Human Rights Commission has utterly surprised us.”

The victim's statement in media reports and facts found by some of the HRFB members tell a different story of the incident, it said.

Ain o Salish Kendra, also a member organisation of the HRFB, has found that, alongside previous enmity, the election had a correlation with the rape incident, it added.

Another HRFB member organisation, Nijera Kori, learnt from the victim, her husband and locals that she was attacked on instruction of the accused as revenge for not voting for the “boat”, the Awami League's electoral symbol, the statement further said.

After the police case was filed, the complainant, the victim's husband, claimed to have told police that accomplices of Ruhul raped his wife as she voted for the “sheaf of paddy”.

Some of Ruhul's accomplices had allegedly asked her to vote for “boat”. As she did not comply, an altercation ensued and they threatened her with “dire consequences”, he alleged.

The husband told The Daily Star on January 1 that police wrote the first information report (FIR) and asked him to sign it. “I am illiterate ... I could not read what was written on it. I just signed it.”

“The [NHRC] report has failed to unearth the truth,” said the HRFB statement.

It urged the government to form a joint probe committee comprising civil society representatives and relevant institutions.

The forum also demanded action based on investigation against those who prepared and approved the report.

“It is imperative to ensure fair probe into the incident and justice, to prevent its [such incident's] recurrence during polls,” said the statement. 

  • Courtesy: The Daily Star/ Jan 17, 2019

576 in jail even after end of terms

 At least 576 inmates are serving additional days in different jails across the country due to the jail authorities' failure to take effective steps, National Human Rights Commission (NHRC) Chairman Mizanur Rahman has claimed.

Of those inmates, some had served life-terms and some completed their sentences in 2010, Mizanur told reporters after visiting Dhaka Central Jail yesterday.

There are instances of inmates serving jail term despite securing bail, he added.

“These are violation of human rights,” he said, adding that the NHRC had collected a list of the inmates and would send it to the authorities concerned for necessary steps.

The NHRC boss, however, did not say how they made the list.

Senior Superintendent of Dhaka Central Jail Jahangir Kabir, however, refuted the allegation brought by Mizanur.

He said they follow procedure as per the Jail Code while releasing inmates and send documents to the home ministry as part of the process.

Mizanur shared his experience of the one-and-a-half-hour visit to the jail with reporters in front of the jail gate. He said the experience saddened him.

He said the purpose of his visit was to verify some allegations received by the NHRC about mismanagements in jail. Another reason for the visit, he said, was to see if there were any changes inside the jail amid the countrywide police crackdown.

“It is required to pay attention so that authoritarian attitude to inmates does not develop inside jail,” the NHRC chairman said.

He said he found a pregnant inmate who was not given breakfast even at 10:30am.

Jahangir, however, claimed that the woman was actually fasting and that she had her Sehri on time.

Mizanur said some inmates were accommodated in cells adjacent to toilets.

The state of the jail hospital was poor as well. The hospital rooms were crammed with patients and the bed sheets were filthy, he added.

“These were visible things. It won't be logical to talk about the unseen issues.”

He said he could have found more irregularities had he stayed there longer.

The NHRC boss, however, said the Dhaka Central Jail is packed with inmates three times more than its capacity, which could be a reason for the mismanagement.

Since the jail would be moved to Keraniganj soon, the authorities are apparently reluctant to improve the conditions there, he said.

Mizanur, however, said he did not find any “influence” of the countrywide crackdown inside the central jail.

As many as 7,328 inmates were in the jail as of yesterday, which is capable of accommodating around 2,600 inmates, he said, citing information from the jail authorities.

Mizanur also criticised Inspector General of Police AKM Shahidul Hoque who according to media reports said the NHRC chairman commented on the police crackdown on militants without being aware of the issue.

In a meeting in Chittagong on June 12, the IGP criticised Mizanur for issuing statements in the media expressing his fear of “arrest trade” by police during the crackdown.

Mizanur termed the IGP's comments “unacceptable” and “indecent”.

Admitting that they have some lacking in management, Senior Jail Superintendent Jahangir said this was due to the overcrowding of the jail.

Courtesy: The Daily Star Jan 17, 2019

Climate change-induced salinity affecting soil across coastal Bangladesh


As a country with a significantly long coastline, the adverse impacts of saltwater intrusion are substantial on Bangladesh. Salinity mainly affects land and water in the coastal areas.

With the consequence of climate change, it gradually extends towards inland water and soil. This scenario of gradual salinity intrusion into the coastal areas of Bangladesh is very threatening to the primary production system, coastal biodiversity and human health, said researchers.

The total amount of salinity affected land in Bangladesh was 83.3 million hectares in 1973, which increased up to 102 million hectares in 2000 and the amount has now risen to 105.6 million hectares in 2009 and continues to increase, according to the country's Soil Resources Development Institute (SRDI).

In the last 35 years, salinity increased around 26 percent in the country, spreading into non-coastal areas as well.

"Salinity which is rising in the coastal areas of Bagerhat, a southwestern district, is having a huge impact on the environment. Production of various crops has declined due to excessive salinity in soil," advocate Mohiuddin Sheikh, president of Rampal-Mongla Embankment Implementation Committee, told UNB.

Once, huge coconut and betel trees were there in the area, but now has decreased dramatically, he said adding, "The production of sessional vegetables has also declined. Since the late 80s, the effects of salinity in Rampal and Mongla areas have been hampering the local ecology."

The locals, however, blame unplanned shrimp cultivation as the main cause of salinity, said Mohiuddin adding, "Due to decrease in sweet water and fall in saline water flow from the ocean, the salinity has increased in the region."

Studies conducted by the World Bank, Institute of Water Modelling and World Fish, Bangladesh between 2012 and 2016 have quantified the effects of increasing salinity in river waters in coastal Bangladesh, including the areas in and around the Sundarbans - the world's largest mangrove forest that straddles the coast of Bangladesh and India.

The broad categories of climate change impacts that will affect the coastal areas of Bangladesh are changes in temperature and rainfall patterns, sea-level rise, change in frequency and intensity of cyclones, storm surge, changes in river and soil salinity.

More alarmingly, researchers from the International Centre for Diarrhoeal Disease Research Bangladesh (icddr,b) have noticed an unexpectedly high rate of miscarriage in a small village of Chakaria, near Cox's Bazaar, on the east coast of Bangladesh.

As they investigated further, scientists reached the conclusion that climate change might be to blame.

Khulna region member of Bangladesh Poribesh Andolon (BAPA) MA Savur Rana, a resident of Singarbunia village in Rampal upazila, said, "Once farmers used to harvest Aman (a paddy season) paddy in vast croplands of their areas. But, due to excess salinity, Aman paddy has become extinct."This has caused a huge impact on the lifestyle of the local people, he mentioned.

Between 2012 and 2017, the icddr,b scientists registered 12,867 pregnancies in the area they have been monitoring for last 30 years. They followed the pregnant women through until the end of the pregnancy and found that women in the coastal plains, living within 20km of the coastline and 7m above sea level were 1.3 times more likely to miscarry than women who live inland.

This difference, the scientists believe, is to do with the amount of salt in the water the women drink - the increase of which is caused by climate change.

Another recent study conducted by the World Bank indicates that climate change will cause significant changes in river salinity in the southwest coastal region during the dry season (October to May) by 2050, and will likely lead to shortages of drinking and irrigation water and cause changes in aquatic ecosystems.

Changes in river salinity and the availability of freshwater will affect the productivity of fisheries. It will adversely affect the wild habitats of freshwater fish and giant prawn. In addition, the salinity increase may induce a shift in the Sundarbans mangrove forest from Sundari (the single most dominant and important species, with the highest market value) to Gewa and Goran.

Estimates from the research indicate that Bagerhat, Barguna, Barisal, Bhola, Khulna, Jhalakati, Pirojpur, and Satkhira districts will be affected most adversely.

This study also identifies soil salinisation in coastal Bangladesh as a major risk from climate change. In the coming decades, soil salinity will significantly increase in many areas of Barishal, Chattogram and Khulna districts. It projects a median increase of 26 percent in salinity by 2050, with increases over 55 percent in the most affected areas.

Due to the rise in soil salinity, Chattogram and Khulna districts are likely to witness the highest within-district additional migration, estimated between 15,000 and 30,000 migrants per year, said another study titled "Coastal Climate Change, Soil Salinity, and Human Migration in Bangladesh", jointly conducted in 2018 by International Food Policy Research Institute (IFPRI) and the Ohio State University.

"These two districts also contain the second and third largest cities in the country. Districts without large cities like Bagerhat, Bhola and Feni will generally expect smaller within-district flows, between 5,000 and 15,000, but larger out-of-district flows, particularly to districts with large cities," said Ohio State University's Joyce Chen, the co-authored of the study.

Meanwhile, after two weeks of bruising negotiations, officials from almost 200 countries on December 15 agreed on universal, transparent rules that will govern efforts to cut emissions and curb global warming.

The deal agreed upon at UN climate talks in Poland enables countries to put into action the principles in the 2015 Paris climate accord.

But to the frustration of environmental activists and some countries who were urging more ambitious climate goals, negotiators delayed decisions on two key issues until next year in an effort to get a deal on them.

The talks in Poland took place against a backdrop of growing concern among scientists that global warming on Earth is proceeding faster than governments are responding to it.

  • Courtesy: The Daily Star /Jan 17, 2019