Search

Thursday, January 24, 2019

Who will bell the cat at BRTC?

EDITORIAL

Minister's warnings should be followed by action

The road transport and bridges minister's remark that he is well aware of what is going on in the trouble-ridden Bangladesh Road Transport Corporation (BRTC) comes across as more of an admission than an observation although he deserves kudos for saying as much, given that very few top officials acknowledge problems in their respective institutions—that too rarely. But he was merely confirming what is already well known. Hardly anyone would disagree when he says that the BRTC does not have a good reputation and that “irregularities and corruption have long reigned supreme here”. The minister's statement, as reported by this newspaper, is full of question marks reflecting a mix of irritation and frustration, but it comes short of providing a solution which he is expected to do as the top official in the road transport sector.

Corruption and irregularities are indeed the biggest problems at the state-owned institution. We have repeatedly highlighted how corrupt officials, sheltered from consequences by a culture of impunity that dogs the administration, are rendering many of its initiatives and projects ineffective. The recent shutdown of a BRTC depot by workers and drivers deprived of months of arrears is a case in point. 

The strike, which was later withdrawn, wouldn't have occurred had the Corporation addressed its longstanding problems of poor management, retrograde planning and deep-seated corruption which have turned it into a consistently loss-making entity despite regular cash and resources injections. The BRTC needs a major overhaul, starting with a divorce from its business-as-usual approach and establishing accountability in all layers of its service delivery mechanism, and a sustainable source of income which will help it grow on its own. 

  • Courtesy: The Daily Star /Jan 24, 2019

Uttara-Agargaon part unlikely to be ready by December

Metrorail construction

Entire line may miss deadline too


The Mass Rapid Transit (MRT) line from Uttara to Agargaon is unlikely to start operations by December next as the company concerned completed only a quarter of its physical work until last month, insiders said on Wednesday.

The entire 20.1 kilometre-MRT line up to Motijheel may also miss the deadline of December 2020 as the contractors are yet to begin work on main line from the Agargaon-Motijheel part, they said.

Meanwhile, the Dhaka Mass Transit Company Limited (DMTCL), the implementing agency of the metro-rail, has sought a cut in its fund requirement by 39 per cent in the revised Annual Development Programme (RADP) for the fiscal year 2018-19 due to the poor progress in its work.

The company started work on the country's first MRT line between Uttara and Motijheel in July 2012 with financial support from Japan.

The government is attaching the top most priority to the MRT, which is on the list of "fast-track" projects.

In the first phase, the company began work on the MRT Section running between Uttara and Agargaon from mid-2017 as it targeted completing the construction by December 2019.

While the company has shifted utility lines along the MRT route between Agargaon and Motijheel, it has not started work on building the main line.

A Thailand-based company -- the Italian-Thai -- is working as the contractor to build the MRT line from Uttara to Agargaon under the package CP-03 and CP-04.

According to people with knowledge of the matter, out of 11.73km, the contractor has constructed 750 metres line inserting the viaducts at the Uttara part until December last.

Under the CP-03 and 04, the contractor will construct 11.73km viaduct and nine stations from Uttara to Agargaon.

The Ital-Thai has completed commercial pilling of 2,270 out of 2,327 and has built 297 pile-caps out of total 766 up to Agargaon. It has also completed building 121 piers-shafts out of 449 and 880 pre-cast viaducts out of 4,577 in these areas, the people said.

Meanwhile, the progress of civil work of the metro-rail depot at Uttara under the package CP-02 is also falling short of the target. Until November last year, the contractor completed only 22 per cent of the physical work at the depot although its work is scheduled to be completed by June this year.

The contractor under the package CP-05 in August had formally taken over the charge to start construction work of 4.92km MRT line from Agargaon to Kawran Bazar part at Tk 18.54 billion.

The joint venture (JV) involving Tekken Corporation (Japan), Abdul Monem Ltd. (Bangladesh), Abe Nikko Kogyo Co., Ltd. (Japan) signed contract with the metro-rail company and is working for constructing Viaducts and three elevated stations at Bijoy Sarani, Farmgate and Kawran Bazar.

On the other hand, Ikuokitada, the Japanese contractor of Sumitomo Mitsui Construction Co. Ltd. is working to construct the line from Kawran Bazar to Motijheel. According to the deals, both the contractors are supposed to complete work by December 2020.

A company official said, "The contractors are mobilising their equipment to start the physical work of the main line between Kawran Bazar and Motijheel. We are hopeful that they will complete the work within the stipulated time."

The state-owned company has signed another deal with Indian Larsen & Toubro (L&T) and Marubeni, Japan JV for electro mechanical system under the package CP-07. Under the package, the contractor is supposed to complete the work by December 2020.

The Executive Committee of the National Economic Council (ECNEC) approved the metro-rail project for Tk 219.85 billion in December 2012. As per the schedule, the MRT line will be set up between Uttara 3rd phase and Motijheel by June 2024.

The Japan International Cooperation Agency (JICA), the Japanese official donor, signed nearly US$2.10 billion worth of loan agreement with Bangladesh in February 2013 for constructing the metro rail.

  • Courtesy: The Financial Express/ Jan 24, 2019

গায়েবি মামলায় জামিন পেলেন প্রতিবন্ধী তারা মিয়া


হতদরিদ্র তারা মিয়ার বয়স ৪৫। ডান হাত অস্বাভাবিক চিকন, কোনো চেতনা নেই। বাঁ হাতেও সমস্যা। কোনো কাজ করতে পারেন না। পাঁচ সদস্যের সংসার চালান ভিক্ষা করে। অথচ রামদা, হকিস্টিক ও লোহার রড নিয়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলার আসামি তিনি।

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের ভান্ডা গ্রামের বাসিন্দা তারা মিয়া। আগাম জামিন নিতে গেল সপ্তাহে ঢাকায় আসেন তিনি। বুধবার হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন তিনি। বিচারপতি মো. রইস উদ্দিন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেন। ছয় সপ্তাহের মধ্যে সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তাঁর ভাই সামছু মিয়াসহ আরও ৪৯ জন এই মামলায় জামিন পেয়েছেন।

স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে তারা মিয়ার সংসার। জন্ম থেকেই তাঁর ডান হাতটি চিকন। এই হাত দিয়ে তিনি কোনো কাজ করতে পারেন না। ভিক্ষা করে ও মানুষের সাহায্যে চলে সংসার।

বিশেষ ক্ষমতা আইনের ওই মামলায় বলা হয়, গত ২৮ ডিসেম্বর পুলিশ খবর পায় উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের মল্লিকপুর বাজারের মধ্যবাজার গলিতে কিছু লোক জড়ো হয়ে পঞ্চগ্রাম মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে নাশকতার পরিকল্পনা করছেন। পুলিশ গিয়ে দেখতে পায়, আসামিরা রামদা, হকিস্টিক, লোহার রড, লাঠি ও ইটপাটকেল নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের নামে মিছিল করে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। পরে আসামিরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরদিন পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাটি করে।

বুধবার বেলা আড়াইটায় তারা মিয়াসহ অন্যদের জামিন আবেদন শুনানির জন্য ডাকা হয়। তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ আবিদুল হক ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। পত্রিকাটি হাতে নিয়ে আদালত বলেন, এর মাধ্যমে কী বোঝাতে চাইছেন? তখন আবিদুল হক বলেন, জামিন আবেদনকারীকে (তারা মিয়া) নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর এক হাত সম্পূর্ণ অকেজো, তাঁর পক্ষে কি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করা সম্ভব? এই অভিযোগ যে সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক, তার প্রমাণ এই মামলা। পরে আদালত আদেশ দেন।

জামিন পাওয়ার পর তারা মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘চলতে-ফিরতেই আমার সমস্যা অয়, এক হাত অবশ, আরেক হাত দিয়া তেমন কোনো কাম করতাম পারি না। আমি পুলিশরে কি-লা রামদা দিয়া মারমু। ইতা সব মিছা।’

তবে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘তারা মিয়া ওই মামলার এজাহার নামীয় আসামি। তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন। আমরা জেনে-বুঝেই তাঁকে আসামি করেছি। তাঁর এক হাতে সমস্যা থাকলেও অন্য হাত দিয়ে সব কাজ করতে পারেন।’

আইনজীবী মোহাম্মদ আবিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশে সারা দেশে গায়েবি মামলা হচ্ছে, নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। প্রতিবন্ধী তারা মিয়াও তার শিকার হলেন।

  • Courtesy: Prothom Alo /Jan 24, 2019

Wednesday, January 23, 2019

ময়মনসিংহে শিক্ষককে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও-ভাংচুর, আহত ১৫


ময়মনসিংহ শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষক শেখ শরিফুল আলমকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে হামলা ও ভাংচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পুলিশ। এতে ৫ পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার সকালে শহরের জেলা স্কুল মোড়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় এ ঘটনা ঘটে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ শরিফুল আলম প্রাইভেটকারে কলেজ যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। জেলা স্কুল মোড়ে পৌঁছালে একটি অটোরিকশা তার প্রাইভেটকারে ধাক্কা দেয়। এ সময় অটোচালকের সঙ্গে শিক্ষকের প্রাইভেটকার চালকের বাকবিতণ্ডা হয়।

এ সময় ওই সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ট্রাফিক পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে গেলে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় অধ্যাপক শেখ শরিফুল আলমের। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ তাকে কলার ধরে লাঞ্ছিত করে এবং পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে অধ্যাপক শেখ শরিফুল আলমকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এরই প্রতিবাদে বুধবার সকালে জেলা স্কুল মোড়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়ে বিক্ষোভ করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ গুলিও করেছে। এতে ৫ পুলিশসহ ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মনসুর আহমেদ জানান, জেলা স্কুল ও টাউন হল মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে হামলা ও ভাংচুর করেছেন। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের হামলায় ৫ পুলিশ আহত হয়েছে।
  • শীর্ষকাগজ/জানু ২৩, ২০১৯ 

গায়েবি মামলা — পঙ্গু তারা মিয়া চাপাতি, হকিস্টিক দিয়ে পুলিশকে হামলার আসামি!


সুনামগঞ্জের অধিবাসী শারীরিক প্রতিবন্ধী এই তারা মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি গত ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছেন। তিনি ঢাকার হাইকোর্টে এসেছেন জামিনের আশায়। গতকাল (২২ জানুয়ারি ২০১৯) তাকে আদালত প্রাঙ্গণে দেখা যায়। ছবি: পলাশ খান

ডান হাতটি অস্বাভাবিক চিকন, নাড়াতেই কষ্ট হয়। কিছু ধরতে বা কাজ করতে পারেন না ডান হাত দিয়ে। এমনকি ডান হাতে খেতেও পারেন না। এটি তার জন্মগত সমস্যা। বাম হাত  তুলনামূলকভাবে লম্বা এবং বাঁকানো। খুব কষ্ট করে বাম হাত দিয়ে খেতে হয়। ছবির এই মানুষটির ডান হাত অচল, বাম হাতও প্রায় অচল। তিনি সুনামগঞ্জের অধিবাসী, নাম তারা মিয়া।

তারা মিয়া চাপাতি, হকিস্টিক ও লোহার রড় হাতে নিয়ে আক্রমণ করেছেন পুলিশের ওপর। ভিক্ষা করে জীবনযাপন করা তারা মিয়ার বিরুদ্ধে পুলিশ এমন অভিযোগ এনে মামলা করেছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ ডিসেম্বর অর্থাৎ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুদিন আগে বিকাল ৪টার পর মল্লিকপুর বাজারে এই আক্রমণের ঘটনা ঘটে। ৫২ জনকে আসামী করে মামলা করেছে পুলিশ। তারা মিয়া সেই ৫২ জনের একজন।

ঘটনার দুদিন পর জামালগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় তারা মিয়াকে অভিযুক্ত করা হয়। ঢাকায় হাইকোর্ট চত্বরে দ্য ডেইলি স্টারের এই সংবাদদাতাকে তিনি বলেন, “আমার হাতের যখন এই অবস্থা তখন আমি কীভাবে পুলিশকে আক্রমণ করতে পারি? একদিকে ডান হাত ব্যবহার করতে পারি না, অন্যদিকে, বাম হাতটাও তেমন কাজ করে না।”

উচ্চ আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আশায় আসা ৪৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি আরও বলেন, “আমি রাজনীতি করি না। আমি ভিক্ষা করে জীবন চালাই।… আমার পরিবারের অবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।”

জামালগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম জানান, মামলাটিতে অভিযুক্ত হিসেবে ৫২ জনের নাম রয়েছে। অজ্ঞাত রয়েছেন আরও ৭০ থেকে ৮০ জন।

মামলার বিবরণীতে রয়েছে, সেদিন (২৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে অভিযুক্তরা অবৈধভাবে মল্লিকপুর বাজার এলাকায় জড়ো হয়ে ‘ধানের শীষের’ পক্ষে মিছিল বের করে। তারা রাস্তা আটকায় এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এতে অভিযোগকারীসহ ৫জন পুলিশ সদস্য আহত হন।

এ বিষয়ে তারা মিয় জানান, “আমি কখনো কোনো মিছিলে অংশ নেই নাই। আর পুলিশকে আক্রমণ করা তো দূরের কথা।”

এরপর তাকে দেখা যায়, উদ্বেগের সাথে আদালত চত্বরে এদিক-ওদিক হাঁটাহাঁটি করতে।
  • The Daily Star/ jan 23, 2019 

দেশে গণতন্ত্রের কবর হয়ে গেছে — ডা. জাফরুল্লাহ


গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কবর হয়ে গেছে। বাংলাদেশে আগে রাজনৈতিক কর্মী গুম হতো। এখন গুম হয়েছে দেশের গণতন্ত্র। দেশটিই গুম হয়ে গেছে। আর কোনো কিছু বাকি থাকলো না। আগামী ৩০ তারিখে যে সংসদ বসবে, সেই সংসদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই। এর প্রতিবাদে গণতন্ত্রের কফিন নিয়ে আমরা একটি মিছিল করি, চলেন। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশবাসী ক্ষিপ্ত। আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে। চলেন না, চেষ্টা করে দেখি। এখানে কান্নাকাটি করে লাভ নাই, সামনে আসতে হবে। মানুষের মধ্য ক্ষোভ জমা হয়ে আছে। ক্ষোভ কি তোফায়েল সাহেব, আমু সাহেব, নাসিম সাহেব ও মেনন সাহেবের নাই? সুতরাং ইতিহাস যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? তবে আমাদেরকে মাঠে নামতে হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে’ এ সভায় অনুষ্ঠিত হয়। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হয়দার, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. জসীম উদ্দিন আহমদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পালিয়ে বেড়াতে থাকলে কোনো লাভ হবে না। আসুন, গ্রেফতার করুক না আরো ৫০ হাজার। আর আমি প্রত্যাশা করি, গণতন্ত্র হত্যা করার প্রতিবাদে আপনারা প্রতিদিন আড়াই ঘন্টা শহীদ মিনারে অনশন করবেন। এটা করতে সহজ হবে না মারও খেতে পারেন। তবে আমরা আপনাদের সাথে থাকবো, মারও খাবো। এছাড়া কোনো না কোনো কর্মসূচি দিতেই হবে। আমাদেরকে রাজপথেই থাকতে হবে। বিদেশীরা আমাদেরকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাবে না।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরাও আন্দোলন করি। জিরো টলারেন্সের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি ৩০ ডিসেম্বরের ভোট। আমি বলি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার সাথে আমরাও আছি, আগে নিজের ঘর ঠিক করুন।

ইসির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা জানি কিছু হবে না। কারণ বিচারবিভাগ ক্রীতদাস হয়ে গেছে। আমার বিরুদ্ধে হয়তো আরেকটা মামলা হয়ে যাবে! পুলিশের দুই আইজিপি ও ব্যারিস্টার নাজম্লু হুদার দুর্নীতি মামলায় জামিন হয়েছে। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হচ্ছে না!

তিস্তা নদীর পানি বণ্টন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আরো ৫ বছর সময় পেয়েছেন। উনি দখল করে নিয়েছেন। সুতরাং তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে তাদের এখন আর কি অজুহাত থাকবে।

মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, চীনের সাথে আমাদের সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো ছিল। কিন্তু এখন নাই। আর রাজপথে থেকে শুধু এই সরকারকে হটানো যাবে না। সুতরাং ভারত ও চীনের সাথে সম্পর্ক ভালো করতে হবে।
  • কার্টসিঃ নয়াদিগন্ত/ জানু ২২, ২০১৯ 

সেই ‘ভুইফোঁড়’ আন্তর্জাতিক সংস্থার পর্যবেক্ষকও নতুন নির্বাচন চান

নির্বাচন নিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদন


বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণ নিয়ে ভোটের আগে অনেক পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা শোনা গিয়েছিল। এখন পর্যবেক্ষণে যুক্ত হয়ে অনুতপ্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন নামে অননুমোদিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান ও তাদের একজন কানাডীয় স্বেচ্ছাসেবী। নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে নতুন করে ভোট হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ‘ভুইফোড়’ ফাউন্ডেশনটির প্রধান মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেছেন, নির্বাচনের আগের রাতে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা ব্যালট বাক্স ভরে রাখেন এবং ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। প্রিসাইডিং অফিসার ও ভোটারদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ শোনার পর তার এখন মনে হচ্ছে, আবার নতুন করে নির্বাচন হওয়ার দরকার।

ঢাকার মিরপুরের একটি ভবনে এই ফাউন্ডেশনের প্রধান অফিসের ঠিকানা। এর সভাপতির দায়িত্বে থাকা সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি ৭৫ বছর বয়সী আব্দুস সালাম বলেন, এখন আমি সবকিছু জানতে পেরেছি। বলতে দ্বিধা নেই যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। ফাউন্ডেশনের হয়ে কাজ করা কানাডীয় নারী পর্যবেক্ষক তানিয়া ফস্টার জানালেন, তার কাছে এখন মনে হচ্ছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অংশ না নিলেই বোধ হয় ভালো হতো।

নির্বাচন চলাকালীন অনিয়মের জন্য ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের তরফ থেকে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। পশ্চিমা দেশগুলোর বড় বড় ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাকের গুরুত্বপূর্ণ রফতানিকারক হচ্ছে বাংলাদেশ। গার্মেন্ট পণ্য রফতানিতে চীনের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি।

গত সপ্তাহে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বলেছে, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ৫০ আসনে জরিপ চালিয়ে ৪৭টিতেই অনিয়ম দেখতে পেয়েছেন তারা। এতে জাল ভোট, জোর করে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরা, কেন্দ্রে বিরোধী দলীয় এজেন্ট ও ভোটারদের ঢুকতে বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির বাংলাদেশ শাখা জানায়, তাদের জরিপ করা সব এলাকাগুলোতে নির্বাচনী প্রচারে কেবল ক্ষমতাসীন দলটিই সক্রিয় ছিল। কখনো কখনো স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারি সম্পদের সহায়তা নেয়া হয়েছে।

তবে বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবের কথা বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের তদন্ত নাকচ করে দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম সংস্থাটিকে বিরোধী দল বিএনপির ‘পুতুল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

আওয়ামী লীগ ও দলটির জোট সদস্যরা ৯৫ শতাংশ আসন নিশ্চিত করার পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তখন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ভোট জালিয়াতি ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগের তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে।

নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অসন্তোষ জানিয়ে বলেছে, প্রয়োজনীয় সময়সীমার মধ্যে ভিসা ইস্যু না করায় ভোট পর্যবেক্ষণের পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে মার্কিন তহবিলের বেশকিছু পর্যবেক্ষক। ভিসা বিলম্বের অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ সরকার বলেছে, তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে।

কানাডা, ভারত, নেপাল ও শ্রীলংকা থেকে পর্যবেক্ষক এনেছিল সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন। নির্বাচনের দিন ও তার পরে নির্বাচনের স্বচ্ছতার কথা বলেছে সংস্থাটি।

নির্বাচনের বিজয় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর নতুন বছরের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের বাসভবনে সাংবাদিক ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সামনে বক্তৃতা দেন। তখন তিনি বলেন, আপনারা আমাদের দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসার মাধ্যমে গণতন্ত্র কীভাবে কাজ করে তা প্রদর্শনের একটা ভালো সুযোগ দিয়েছেন। মাইক্রোফোন যখন কক্ষের ভেতর ঘুরছিল, অন্যদের সঙ্গে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনে বিজয়ের জন্য শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান। সৌদিভিত্তিক সংস্থা ইসলামিক কো-অপারেশনের পর্যবেক্ষকরাও তখন উপস্থিত ছিলেন।

ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি কানাডীয় নারী তানিয়া ফস্টার তখন সবার আগে কথা বলেন। তিনি নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক ও সুষ্ঠু বলে উল্লেখ করেন। আমি মনে করছি, বাংলাদেশে কানাডার মতোই নির্বাচন হয়েছে।

মহাজোট নেতাদের সংশ্লিষ্টতা

ফাউন্ডেশনের নামের প্রথমাংশ ও লোগো দেখতে সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশেনের (সার্ক) মতো। তবে এ দুটির মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আবেদ আলী রয়টার্সকে বলেন, সার্কের কাছে অনুমোদন পেতে তারা আবেদন করেছেন। দ্রুতই তারা অনুমোদন পাবেন বলে আশা করছেন।

কিন্তু কাঠমান্ডুভিত্তিক সার্কের একজন মুখপাত্র বলেন, তিনি কখনোই আবেদ আলী কিংবা এই ধরনের কোনো ফাউন্ডেশনের নাম শোনেননি। এ ধরনের কোনো সংস্থাকে স্বীকৃতি দেয়নি সার্ক। কাজেই এ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

জানা গেছে, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা কমিটিতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দু’জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। এছাড়া প্যানেলে বিএনপি আমলের এক মন্ত্রীরও নাম দেখা যায়। তবে এতে বর্তমানের বিরোধীদলীয় কোনো সদস্য নেই।

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে এমন সংস্থাকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দিতে বাংলাদেশের আইনে বারণ আছে। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, আবেদ আলীর গ্রুপের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তার জানা ছিল না।

অপরদিকে ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগ ও জাপা সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে আবেদ আলী বলেন, তারা কেবল আমাদের মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করছেন। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই।

রাজধানী ঢাকার মিরপুরের একটি ভবনের নিচতলায় ধুলোয় ঢাকা দুটি কক্ষে ফাউন্ডেশনের মূল কার্যালয়। সংস্থাটির সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, তাদের পর্যবেক্ষকরা মাত্র কয়েকটি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছেন। কাজেই এতে নির্বাচন যে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে, তা পরিষ্কার মূল্যায়ন করা যায় না।

তিনি বলেন, কয়েকজন প্রিসাইডিং অফিসার তাকে জানিয়েছেন ব্যালট বাক্স ভরতে তাদের বাধ্য করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি সত্য বলতে চাই। কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ পেতে আমি এসব বলছি না। তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সংগঠিত করতে সরাসরি জড়িত ছিলেন না বলেও জানান তিনি।

অবশ্য সভাপতির কথা নাকচ করে দিয়ে মহাসচিব আবেদ আলী বলেন, কে কী বলছে, তার ওপর ভিত্তি করে কি আপনি কিছু লিখতে পারেন?

কানাডার সাচকাচাওয়ান প্রাদেশিক সরকারের নীতি বিশ্লেষক তানিয়া ফস্টার এ বিষয়ে বলেন, তার দেশে বসবাস করা বাংলাদেশিদের কাছ থেকে তিনি শুনতে পান যে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন বিদেশি পর্যবেক্ষক খুঁজছে। এটাকে একটা মজার অভিজ্ঞতা হিসেবে বিবেচনা করে পর্যবেক্ষক হওয়ার যোগ্যতা জানতে চান তিনি।

তিনি বলেন, এরপর আমি ফাউন্ডেশন ও নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলাম। তার আমাকে যাচাই করে পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে। তার মেয়ে ক্লয় ফস্টারও পর্যবেক্ষক প্যানেলে ছিল। তবে এর আগে কোনো জাতীয় নির্বাচনে তারা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেননি।

ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা ও সার্কের সঙ্গে যে এটির কোনো সম্পর্ক নেই, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না। এটাকে চমৎকার কিছু বলে মনে হয়নি তার কাছে। খুব সাধাসিধা মনে হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেদন যে খুবই মূল্য বহন করছে- সে সম্পর্কেও আমার ধারণা নেই। আমরা কেবল ঢাকার ৯টি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি। অথচ আবেদ আলী জানিয়েছেন, ওই নারীর কানাডায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কোনো সংস্থার পক্ষেই সব নির্বাচন কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব না।

এ কথা সত্য যে ফাউন্ডেশনের সব পর্যবেক্ষকরা নিজেদের অংশগ্রহণ নিয়ে অনুশোচনা করেননি। কলকাতার গৌতম ঘোষ, নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির হাকিমুল্লাহ মুসলিম ও নাজির মিয়া বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু বলে প্রথমে তারা যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, এখনও তাতে অটল আছেন। 

নাজির মিয়া বলেন, আমরা সহিংসতার ঘটনা শুনেছি, কিন্তু নিজেদের চোখে দেখিনি। অন্যত্র কী ঘটছে- তা নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে পারব না। আর গৌতম ঘোষ অতি সুন্দর নির্বাচন হওয়ার কথা বলেছেন।
  • নয়াদিগন্ত / জানু ২২, ২০১৯ 

Tuesday, January 22, 2019

আওয়ামী লীগ মিথ্যা দর্শনের ওপর প্রতিষ্ঠিত — রুহুল কবির রিজভী



আওয়ামী লীগের সত্ত্বা ও স্বরুপ বরাবরই মিথ্যা দর্শনের ওপর প্রতিষ্ঠিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার, জানুয়ারি ২২, নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন,  আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও ভুয়া ভোটের সরকারের মন্ত্রীরা প্রতিনিয়ত বিতর্কিত ও কলঙ্কিত নির্বাচনকে জায়েজ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আলোচনাকে ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। আসলে আওয়ামী লীগের সত্ত্বা ও স্বরুপ বরাবরই মিথ্যা দর্শনের ওপর প্রতিষ্ঠিত। 

নিচে সংবাদ সম্মেলনের পূর্ণপাঠ দেওয়া হল -

সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
আস্সালামু আলাইকুম। সবার প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও ভুয়া ভোটের সরকারের মন্ত্রীরা প্রতিনিয়ত বলছেন-‘এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাংলাদেশে আগে কখনো হয়নি। বিএনপি নেতারা পরাজিত হয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন।‘ বন্ধুরা, আওয়ামী লীগের সত্ত্বা ও স্বরুপ বরাবরই মিথ্যা দর্শণের ওপর প্রতিষ্ঠিত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কিত নির্বাচনে পরিণত হয়েছে। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আগের রাতে ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখা, কৃত্রিম লাইন তৈরী করে ভোটাদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে না দেয়া, মহাজোট ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া, ভোটের ফলাফল সরকারদলীয় প্রার্থীদের পক্ষে ঘোষনা করা, নির্বাচনের আগে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হয় কারাগারে নয়তো এলাকাছাড়া করা, এসবই হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ভুয়া ভোটে এমপি-মন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে এখন বিতর্কিত ও কলঙ্কিত নির্বাচনকে জায়েজ করতে আওয়ামী নেতারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আলোচনাকে ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। 

বন্ধুরা, 
গত কয়েকদিন আগে সোহরাওয়ার্দীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় ও গতকাল ভুয়াভোটের সরকারের মন্ত্রীসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট ডাকাতিকে এড়িয়ে গেছেন, যা দেখে গণমাধ্যমের কর্মীরাও বিস্মিত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। বিবিসি’র রিপোর্টে বলা হয়েছে-শনিবারের জনসভায় বহু মানুষের চোখ ছিল-নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কি বলেন, কিন্তু তা নিয়ে তিনি একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। তিনি বলেছেন-বর্তমান সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। দুর্নীতি ও মাদক বিরোধী কথা বলে সবক দিচ্ছেন। 

সাংবাদিক বন্ধুরা, 
মূলত: মহাভোট ডাকাতি, মহাভোট জালিয়াতি ও মহাভোট কারচুপির ইস্যুগুলো ধামাচাপা দিতেই এখন প্রধানমন্ত্রী এসব পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে, রাতের আঁধারে ভোট দিয়ে, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বেআইনী কাজে ব্যবহার করে, বিরোধী দলকে নির্মূল করে, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রন করে, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান হরিলুট করে এবং দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখে শেখ হাসিনা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে তিনি গণতন্ত্রের সমাধিসৌধের ওপর কোন সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান ? আসলে শেখ হাসিনার মুখে সুশাসনের অর্থ হলো দেশব্যাপী মৃত্যুর দোলাচলে এক মরণ-হরণের অভিযান, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে ভরে রাখা। কারণ তিনি নাটকীয় ভঙ্গিতে যা বলেন তার উল্টোটাই বাস্তবায়ন করেন। পৃথিবীতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার রেকর্ড একমাত্র শেখ হাসিনারই। শেখ হাসিনা সাড়ম্বরে এখন ভাল ভাল উদ্যোগের কথা বলে মানুষের মন থেকে তাঁর অপকীর্তি মুছতে পারবেন না। সময় থাকতে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। নইলে সরকারের বিপজ্জনক অবতরণ হবে। তাই দ্রুত নিজে পদত্যাগ করে দেশে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিন। সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পেতে ঐক্যবদ্ধ।

সাংবাদিক বন্ধুরা,
প্রতিদিন দেখছি-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব সারাদেশে ছোটাছুটি করছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেবের দৌড়াদোড়ি কেবল ফটোসেশনেই সীমাবদ্ধ। বন্ধুরা, প্রতিদিন সড়কে লাশের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায়-সড়কে মৃত্যুর মিছিল। স্কুল-কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের প্রাণ অকালে ঝরে পড়ছে সড়কে। সড়ক দূর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে নিহত হচ্ছে প্রায় ২০ জন মানুষ। দু:শাসনের কবলে পড়ে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে সড়ক ব্যবস্থা। রাজধানীতে একদিকে তীব্র ট্রাফিক জ্যাম, অন্যদিকে পরিবহন নৈরাজ্যে অতিষ্ঠ মানুষ। নিরাপদ সড়ক দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সরকার লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ এখন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী তো প্রতিদিন বিরোধী দলকে নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে থাকেন, তিনি গণপরিবহনে নৈরাজ্য ও অকালে হাজার হাজার প্রাণ ঝরে যাওয়ার রোধ করতে ব্যর্থতার জবাব দেবেন কি ? ওবায়দুল কাদের সর্বকালের ব্যর্থ একজন সড়ক মন্ত্রী। যেহেতু মন্ত্রণালয় চালাতে তিনি ব্যর্থ, তার নেতৃত্বের কারণে সড়কে শুধু লাশের ছবি, সেহেতু এই মূহুর্তে পদত্যাগ করে তাকে তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিৎ। নইলে সড়কে মৃত মানুষের আত্মা শান্তি পাবে না।

সুহৃদ সাংবাদিকবৃন্দ,
বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াসহ অসংখ্য বিরুদ্ধে গতকাল একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি অবিলম্বে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

জনপ্রিয় অনলাইন এ্যাক্টিভিষ্ট এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চট্টগ্রাম মহানগর শাখার প্রচার সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদা আক্তার লিটাকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসার পথে ফেনীর লালপুল এলাকা থেকে গতকাল র‌্যাব-৭ এর সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত তাকে কোথায় রাখা হয়েছে কিংবা তাকে আটকের কথা স্বীকার করা হচ্ছে না। আমি এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে দেওয়ান মাহমুদা আক্তার লিটাকে জনসমক্ষে হাজির করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।

রেশন দিতে গড়িমসি, খাদ্য গুদামে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের হামলা-ভাঙচুর


বরিশালে খাদ্য বিভাগের গুদামে ভাঙচুর চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রেশন দিতে গড়িমসি ও ওজনে রেশনের পরিমাণ কম দেয়া নিয়ে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেলেও তাদের দাবি প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তার উপর হামলা ও মারধর করেন খাদ্য বিভাগের কর্মচারীরা। এতে বেশ কয়েকজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী হাসপাতালেও ভর্তি রয়েছেন। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে নগরীর বান্দ রোডস্থ খাদ্য বিভাগের গুদামে এই ঘটনা ঘটে। এসময় তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ম্যান রেজাউল করিমকে থানায় নিয়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিস কর্মী জামাল হোসেন বলেন, সদর স্টেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ডিসেম্বর মাসের রেশনের চাল ও গম উত্তোলন করার জন্য খাদ্য অফিসে ৫ দিন যাবত তারা ঘোরাঘুরি করছেন। সদর উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে নানা অজুহাত দেখিয়ে তাদেরকে ঘোরানো হচ্ছিল। বিকাল ৪টার দিকে তিনিসহ কয়েকজন সহকর্মী আবারও উপজেলা খাদ্য অফিসে গেলে তাকে পরদিন আসতে বলেন।

এতে দমকল কর্মীরা ক্ষুব্দ হলে তাদের সঙ্গে খাদ্য দপ্তরের কর্মচারীদের বাকবিতান্ডা হয়। জামাল বলেন, এ খবর পেয়ে সদর ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কক্ষে যান। ওই কর্মকর্তা তখন তার কক্ষে ছিলেন না।

ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা সেখানে যাওয়ার পর খাদ্য অফিসের কর্মচারীরা তার সঙ্গে দুরব্যবহার করে। এক পর্যায়ে একজন অফিস সহায়ক চেয়ার দিয়ে স্টেশন অফিসার মো. আলাউদ্দিনকে আঘাত করেছে। খাদ্য অফিসের আশপাশের ব্যবসায়ীরা জানান, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি গাড়িতে ভেপু বাজিয়ে ২০/৩০ জন সেখানে যায়। তারা খাদ্য অফিসের ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের কক্ষে গিয়ে দেখা গেছে, কক্ষের প্লাস্টিকের ভাঙ্গা চেয়ারগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তছনছ করা হয়েছে কাগজপত্র।

খাদ্য বিভাগের এলএইচডি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন রেশন নিতে আসে। তবে সেই সময় পর্যাপ্ত লোকজন না থাকায় তাদের অক্ষেপ করতে বলা হয়। কিন্তু তারা ধৈর্য্যহারা হয়ে ৩/৪টি গাড়ি নিয়ে এসে খাদ্য গোডাউনে ভাঙচুর চালায় এবং এখানকার উপ পরিদর্শক হুমায়ন কবির, নিরাপত্তা কর্মী রেজাউল করিমসহ বেশ কয়েকজনকে বেধরক মারধর করে।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো: আলাউদ্দিন জানান, আমরা ৫ দিন যাবৎ রেশন নিতে গুদামে আসছি। কিন্তু তারা নানাভাবে গড়িমসি করছে এবং রেশন নিতে টাকা দাবী করছেন। এছাড়া প্রতিমাসে রেশন ওজনে ১শ থেকে দেড়শ কেজি কম হয়। এই নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা আমার উপর প্রথমে হামলা চালায়। পরবর্তীতে আমার সঙ্গে থাকা কয়েকজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের উপর হামলাও চালায় তারা। এই নিয়ে ঝামেলা হয়েছে তাদের সাথে। এই ঘটনায় আহত হয়ে আমরা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।

এই বিষয়ে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এছাড়া এই ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকেই অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • শীর্ষকাগজ/ ২১ জানুয়ারী, ২০১৯

‘ভিপি-জিএস তো তোমরাই হবা, আগের রাতে সিল মেরে রেখো না’


ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনকে উদ্দেশ করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইন বলেন, ‘ভিপি-জিএস তো তোমরাই হবা, দেইখো ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভরে রেখো না।’

সোমবার ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর প্লাটফর্ম ‘পরিবেশ পরিষদ’র সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতবিনিময় সভা শেষে এ কথা বলেন ছাত্রদল নেতা।

সভা শেষে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা একসঙ্গে বের হন। এ সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের হাত ধরে ছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী ও দলীয় অন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ আলোচনা দেখা যায়। পরে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের শীর্ষ এই দুই নেতা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন।

এ ছাড়া উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তারা।

ফেরার পথে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনকে দেখলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভিপি-জিএস তো তোমরাই হবা, দেইখো ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভরে রেখো না।’

এ সময় সেখানে হাস্যরসাত্মক পরিবেশ তৈরি হয়। পরে স্মৃতি চিরন্তনে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেলে তুলে দিয়ে বিদায় জানান ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক।