Search

Monday, January 28, 2019

নিয়োগ প্রত্যাশীদের স্বাস্থ্য অধিদফতর ঘেরাও


নিয়োগের দাবিতে রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতরের সামনে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছে দেড় শতাধিক নিয়োগ প্রত্যাশী। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, ২০১২-১৩ সালে ৯ জেলায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করে তা বাতিল করে অধিদফতর। পরে আদালত ও মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বাতিলকৃত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেনি স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও তাদের নিয়োগের দাবি আন্দোলনকারীদের।

এ ব্যাপারে আন্দোলনে অংশ নেয়া খাইরুল হক জানান, ২০১২ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতর ৯ জেলায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির লোকবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের এপ্রিলে আমরা পরীক্ষা দিই, জুলাইয়ে ফলাফল প্রকাশ পায়। এরপর জুলাই থেকে দুই মাসব্যাপী মৌখিক পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু অজানা কারণে ওই পরীক্ষা বাতিল করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তারা পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

তিনি বলেন, ওই পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে আমরা আদালতে রিট আবেদন করি। রিট আবেদনের (৪৭৪৭/১৪) শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল আদালত পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ৬০ কর্ম দিবসের মধ্যে আগের অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে উত্তীর্ণদের নিয়োগ চূড়ান্ত করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই নির্দেশনা অমান্য করে ৬৫৪ দিন দেরি করে স্বাস্থ্য অধিদফতর আদালতের ওই নির্দেশনার বিরুদ্ধে আপিল করে।

তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি আমরা আপিলের রায় পাই। রায়ে আপিল আবেদন খালিজ করে আগের রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ। ওই রায়ের বিপক্ষে আপিল বিভাগের রিভিউ আবেদন করে। ২০১৮ সালের মে মাসে রিভিউতেও আগের রায়েই বহাল থাকে এবং বাতিল করা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়োগ চূড়ান্ত করতে আদেশ দেয়া হয়।

এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য অধিদফতর বরাবর একে একে তিনটি অর্ডার দেয়। ওই অর্ডারে আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বাতিল করা পরীক্ষার ফলাফল চূড়ান্ত করতে বলা হয়। কিন্তু এখন অবধি ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।

তিনি বলেন, এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতর ঘেরাও করে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছি।

লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া মুক্তার আলী বলেন, আমরা অনেক দিন থেকেই ধৈর্য ধরে আছি। আজ ফলাফল প্রকাশ পাবে, তো কাল- এভাবেই ঘোরানো হচ্ছিল আমাদের। আদালতের নির্দেশনাও তোয়াক্কা করা হচ্ছিল না। তাই নিজেদের অধিকার আদায়ে নিজেরাই কর্মসূচি দিয়েছি। চাকরির নিশ্চয়তা নিয়েই ঘরে ফিরবো।
  • জাগোনিউজ / জানু ২৮, ২০১৯ 

Sunday, January 27, 2019

কাজের মেয়াদ শেষ, কিন্তু কাজই শুরু হয়নি!


কাজের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও শুরুই হয়নি মৌলভীবাজারে মনু নদ খননের কাজ। নির্ধারিত মেয়াদে বিআইডব্লিউটিএ কাজ শুরু না করায় একে গাফিলতি এবং দুর্নীতির সূত্র খুঁজছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, বন্যাপ্রবণ এলাকা মৌলভীবাজারের মনু নদের ২৩ কিলোমিটার নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষে ২৩ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়াধীন বিআইডব্লিউটিএ। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু হয়ে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও তা শুরু হয়নি। পরিবেশবাদীরা মনে করছেন, কাজ না করিয়েই টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশে মেয়াদ শেষ হবার সময় এসে গেলেও এখনও কাজ শুরু করেনি ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। কারণ বর্ষা মৌসুমে পানি চলে আসলে প্রমাণ করা যাবে না যে কাজ হয়েছে নাকি হয়নি।

বিআইডব্লিউটিএ এর স্থানীয় অফিস না থাকায় দীর্ঘদিন মনু খননের তথ্য লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যায়। তবে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে বিআইডব্লিউটিএ এর পক্ষ থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান মণ্ডল স্বাক্ষরিত একটি চিঠি তাদের কাছে আসে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি। চিঠিতে উল্লে­খ করা হয় বিআইডব্লিউটিএ এর একটি প্রকল্পের আওয়তায় ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মনু নদী ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে এবং শেষ হবে ২০১৯ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই কাজে বিআইডব্লিউটিএ এর পক্ষ থেকে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডে কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। সেই চিঠির পর প্রায় ১ বছর পেরিয়ে গেলেও আর কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।

মৌলভীবাজার পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জাগো নিউজকে জানান, সহযোগিতা চেয়ে ২০১৮ সালের প্রথম দিকে চিঠি দিলেও এরপর আর কোনো যোগাযোগ করেনি তারা। আমরা সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত ছিলাম, বর্তমানে কি করা হচ্ছে প্রকল্পটি কোনো অবস্থায় আছে পাউবো অবগত নয়।

মৌলভীবাজারের পৌর মেয়র ফজলুর রহমান জানান, এ অঞ্চল বন্যাকবলিত এক বছর হয়ে গেল এখনও কোনো কাজ বিআইডব্লিউটিএ করেনি। যাদের গাফিলতির জন্য এই টাকাগুলো ফেরত যাবে তাদের শাস্তি দাবি করছি।

বিআইডব্লিউটিএ এর সহকারী প্রকৌশলী সমিরন পাল জাগো নিউজকে জানান, গত বছর মে মাসে কাজ শুরু করতে গিয়েও করা যায়নি বালু মহল ইজারাদারদের কারণে এর পর পরই আসে বন্যা। নানাভাবে কাজটি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।

এদিকে সরেজমিনে মনু নদের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোথাও ড্রেজিংয়ের কাজ দেখা যায়নি। তবে দুটি ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেখা গেছে। বালু উত্তোলনের কারণে প্রতিরক্ষা বাধ হুমকির মুখে জানিয়ে গতকাল থানায় জিডি করেছে পাউবো মৌলভীবাজার অফিস।
  • জাগোনিউজ/ জানু ২৭, ২০১৯ 

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ব্রিজটির আজ একি হাল!


দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ক্রমেই অনুপযোগী হয়ে পড়ছে মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মৃতিবিজড়িত ফেনীর শুভপুর ব্রিজটি। অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাশে আরেকটি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনীর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদ।

ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়ন ও চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার করের ইউনিয়ন সীমান্তে ছোট ফেনী নদীর ওপর ১৯৫২ সালে এ ব্রিজটি স্থাপন করা হয়। স্থাপনের দীর্ঘ ৬৬ বছর অতিক্রম হলেও অযত্ন-অবহেলায় ব্রিজটি এখন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। 

জানা যায়, ১৯৫২ সালের দিকে আরসিসি স্লাবের ওপর ব্রেইলি ট্রাস দিয়ে ১২৯ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পরে নদীর প্রশস্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৬৮ সালে সেতুটিতে ২৪৯ মিটার সম্প্রসারণ করা হয়। এতে করে সেতুটির দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ৩৭৪ মিটারে।


মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন জানান, যুদ্ধ চলাকালীন ব্রিজের এপারে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। এটি ব্যবহার করেই ওপারের পাকহানাদার বাহিনীকে পরাহত করেন ফেনীর মুক্তিযোদ্ধারা। ব্রিজের ১০নং পিলারে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এটিকে কিঞ্চিত ক্ষতিগ্রস্ত করে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিলে এ অংশ হানাদার মুক্ত হয়।

তিনি জানান, এখনও ব্রিজটির বিভিন্ন স্থানে গোলা বারুদের চিহ্ন পাওয়া যাবে। যুদ্ধ চলাকালীন সেক্টর কমান্ডাররা ব্রিজের আশপাশে থেকেই যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে এটি সংষ্কার করে পুণরায় চালু করা হয়। স্মৃতিস্বরূপ বিভিন্ন চলচ্চিত্রে শুভপুর ব্রিজের চিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে ব্রিজটি এখনও দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এখন সেখানে আগের মতো জৌলুস নেই। এর পাশেই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। আর এতেই ব্রিজের মূল পিলারগুলোর নিচে থেকে মাটি সরে গেছে। এতে এর পশ্চিমাংশ যেকোনো সময়ে ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে প্রয়োজনীয় সংস্কার না করায় ব্রিজের ওপর ঢালাই নষ্ট হয়ে গেছে। লোহার রেলিং ও নাট-বল্টু খুলে চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এখন ছোট পরিবহন পার হলেও কাঁপতে থাকে ব্রিজটি। দুর্ঘটনা এড়াতে ব্রিজটির ওপর ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সড়ক বিভাগ। 

ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল জানান, ব্রিজটির সম্মুখে ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে। ব্রিজটিকে দ্রুত মেরামত অথবা বিকল্প ব্রিজ নির্মাণের দাবিও জানান তিনি।
  • জাগোনিউজ বিডি/ জানু ২৭, ২০১৯  

ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে কারারক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থীর মা শনিবার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী ছাড়াও তাঁর দুই সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দর উপজেলার সাবদি এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণির আরেকজন শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা করেছেন।

রূপগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলার বাদী প্রথম আলোকে জানান, শুক্রবার বিকেলে তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ওয়াজ মাহফিলে আসেন। সন্ধ্যা সাতটায় বাড়ির পাশ থেকে কারারক্ষী মৃদুল তাঁর দুই বন্ধুর সহায়তায় তাঁকে মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান। সেখান থেকেই পরিবারের লোকজন মেয়েকে উদ্ধার করেন।

শনিবার থানায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকার লতিফ মিয়ার ছেলে কারারক্ষী মৃদুল হাসান, সোলায়মান মিয়ার ছেলে নিজাম মিয়া ও গোলবক্স মিয়ার ছেলে সিয়াম হোসেন। অভিযুক্ত কারারক্ষী ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হক বলেন, শনিবার সকালে শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলার পর সকালেই নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার এসআই ফরিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই এলাকাবাসী অভিযুক্ত লোকজনকে আটক করতে ধাওয়া করেন। এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। অভিযুক্ত লোকজনের মধ্যে একজন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী।

এ দিকে বুধবার রাত নয়টায় বন্দর উপজেলার সাবদি এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা করেছেন। শুক্রবার বিকেলে মামলার একমাত্র আসামি আবদুর রহমান বিশুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শিক্ষার্থীর মা প্রথম আলোকে জানান, তার মেয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি পাশের একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো। বুধবার রাতে কাজ শেষ করে বাড়িতে আসার সময় সেই গৃহকর্তার গরুর খামারের কর্মচারী আবদুর রহমান তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার এস আই হামিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, ইতিমধ্যেই মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে জানান, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে দুজন শিক্ষার্থীই ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
  • Courtesy: Prothom Alo /Jan 27, 2019

Road safety directives need to be enforced

EDITORIAL

At least 13 brick-kiln workers died and two became injured when a truck carrying coal overturned, crushing a labour shed in Cumilla where they were asleep on Friday. The driver who was driving the 10-tonne truck had a medium driving licence although a heavy driving licence is mandatory in the case. Because of lack of traffic law enforcement most of traffic-related directives have remained unheeded for years, causing this kind of accidents. Road safety directives given at different times by the High Court, the administration and the law enforcement agencies have hardly seen any implementation. Regular traffic offences, conducted by almost each and everyone, from very important persons to ordinary people, are what have become commonplace. Unfit, modified and old rickety buses and minibuses still dominate the traffic although the High Court on August 3, 2015 asked the authorities to keep all unfit motorised vehicles off roads. Wrong-way driving, illegal parking and motorcycle driving on footpaths without registration are still going on flouting traffic rules and directives.


At least 7,221 people died and 15,466 became injured in 5,514 accidents in 2018, as a report compiled by the Passenger Welfare Association of Bangladesh says. The report mentions the culture of not going by the law as a major reason for such accidents and concomitant deaths. It says that 1,252 transport workers, 880 students, 487 children, 231 law enforcers, 192 political activists, 106 teachers, 34 journalists and 33 physicians were victims of road accidents in 2018. The same year, 41.53 per cent accidents involved hitting the victims, 29.7 per cent head-on collisions and 16.1 per cent vehicles heading off the road. Of the accidents, 28.6 per cent involved trucks and covered vans, 25.3 per cent motorcycles, 18.9 per cent buses, 9.6 per cent auto-rickshaws, 7.9 per cent cars, jeeps and microbuses, 5.8 per cent modified utility vehicles and 3.7 per cent battery-run rickshaws. In June, the highest 615 people were killed in road accidents. Reckless driving, overtaking, engineering faults on roads, movement of unfit vehicles, flouting traffic rules by road users and using head phones and mobiles during driving were identified as major reasons behind road accidents. Because of the evil manipulation by some transport sector leaders, a nexus has developed among government officials and transport operators allowing the movement of unfit vehicles by reckless and unskilled drivers with a culture of impunity.


Authorities need to realise that enforcement of rules is a prime requisite for bringing order in traffic movement and, thus, ensuring safety of passengers and pedestrians alike. Such enforcement entails demonstrative punishment for the offenders. The government also needs to take expeditious steps to hold public awareness programmes about traffic rules so that drivers and pedestrians alike would follow them.

Courtesy: New Age Jan 27, 2019

পদক পাচ্ছেন রেকর্ড সংখ্যক পুলিশ সদস্য

জিয়া চৌধুরী 

২০১৮ সালে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় রেকর্ড সংখ্যক পুলিশ সদস্য পদক পেতে যাচ্ছেন। সাহসিকতা ও সেবায় বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) ও প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) পদকের জন্য এরই মধ্যে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করা ৩৫০ জন পুলিশ সদস্যকে মনোনীত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। চূড়ান্ত অনুমোদনের পর আগামী ৪ঠা ফেব্রুয়ারি রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮’র অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদক তুলে  দেবেন বলে জানা গেছে। 

এবারই প্রথমবারের মতো একসঙ্গে ৬৪টি জেলার পুলিশ সুপাররা বিপিএম ও পিপিএম পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তবে, শেষ মুহূর্তে এই সংখ্যা বেড়ে ৩৬০ জনও হতে পারে বলে পুলিশ সদর দপ্তরসূত্রে জানা গেছে। ২০১৭ সালে এমন ভূমিকার জন্য মোট ১৮২ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম ও পিপিএম পদক দেয়া হয়। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক পুলিশ সদস্য পদক পেতে পারেন। এর আগে, ২০১৬ সালে এমন পদক পান ১৩২ জন পুলিশ সদস্য।

  • Courtesy: Manabzamin/ Jan 27, 2019

ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়া পোশাকখাতে অসন্তোষের কারণ


তৈরি পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে মজুরি নিয়ে অসন্তোষের প্রধান অন্তরায় মজুরি কাঠামোর ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়া বলে জানিয়েছে ‘সেন্টার ফর ডায়ালগ পলিসি (সিপিডি)’। ঢাকার পার্শ্ববর্তী কয়েকটি এলাকার তৈরিপোশাক শ্রমিক ও মালিকদের ওপর করা পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের কাছে বেতন বৃদ্ধির তথ্য ঠিকভাবে পৌঁছানোয় ঘাটতি রয়েছে বলেও সিপিডির পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে আয়োজিত ‘পোশাকখাতে সামপ্রতিক মজুরি বিতর্ক, কী শিখলাম?’ শীর্ষক সংলাপে সিপিডির করা গবেষণা পর্যালোচনা তুলে ধরেন গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি। সিপিডির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এছাড়া পোশাকশিল্প মালিক সংগঠনের নেতা এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

সিপিডির গবেষণা পর্যালোচনায় বলা হয়, সমপ্রতি নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের পর সেখানে কিছু অসঙ্গতি নিয়েই শুরু হয় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ। যদিও সরকারের উদ্যোগে কয়েকটি মজুরি কাঠামোর গ্রেডে সংশোধন ও সংস্কার করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সংলাপে সিপিডি জানায়, ঢাকা, সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর অঞ্চলের ৬১ জন শ্রমিক, কারখানা মালিক ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বেতনের দুই একটি গ্রেডের বেতন কাঠামো নিয়ে এখনও সমালোচনা রয়ে গেছে। এছাড়া সিপিডি পোশাক খাতের শ্রমিকদের অসন্তোষ দূর করতে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে গবেষণা পর্যালোচনায়। 

শ্রমিক অসন্তোষ দূর করতে একটি নির্দিষ্ট শ্রমিক প্রতিনিধি দল তৈরি করতে হবে বলে অনুষ্ঠানে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি। তিনি বলেন, তৈরিপোশাক খাতে শ্রমিকদের সব রকম অসন্তোষ দূর করতে হলে তাদের সব পক্ষ থেকে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধিদল করা দরকার। যারা মালিক পক্ষসহ সরকারের সঙ্গে শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করবে। ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব।

শ্রমিক নেতাদের পক্ষ থেকে জানানোর প্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো শ্রমিকই অন্যায়ভাবে মামলায় জড়িয়ে না পড়ে সেদিক লক্ষ্য রাখতে হবে। বিনা কারণে যেন ঢালাওভাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া না হয়। এছাড়া কোনো শ্রমিককে যদি কোনো মালিক অন্যায়ভাবে ছাঁটাই করে সেটাও গ্রহণযোগ্য নয়। 

তিনি বলেন, আমার কারখানার উদাহরণ টেনেই বলতে পারি একটি কারখানায় সকল শ্রমিক অন্যায়ে জড়ায় না। অল্পকিছু শ্রমিকের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে দু-একটি কারখানার এমন অপ্রীতিকর ঘটনা এবং ত্রুটির কারণে অন্যান্য কারখানাগুলোকেও ইমেজ সংকটে পড়তে হয়। 

মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের বেতন বাড়ার কারণে উৎপাদন খরচ বাড়লেও বিদেশি ক্রেতারা সে তুলনায় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করছে না। ভবিষ্যতে বাড়বে এমন কোনো নিশ্চয়তাও নেই। এ নিয়ে আমাদের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে দীর্ঘমেয়াদে এই ব্যবসা করতে পারব কি-না তাও জানি না। ইফিসিয়েন্সি তো হঠাৎ করে বাড়বে না, বাড়ানোর জন্য তো চেষ্টা চলছে। আপনাদেরও সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মালিকদের পক্ষ থেকে এবার বেতন কাঠমোতে সুপারিশ ছিল সর্বনিম্ন মজুরি সাত হাজার টাকা। তারা সব হিসাব মিলিয়ে এর বেশি পারবেন না বলেও জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এটা নিয়ে যখন গেলাম তিনি আট হাজার টাকা করে দিলেন। এরপরে কারখানা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধি মিলে এটা ঠিক করা হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের অসন্তোষের পেছনে স্বার্থন্বেষী রাজনৈতিক দলের বি না কারণে অহেতুক বিবৃতিও রয়েছে বলে জানান। যেটা সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি সফিউল ইসলাম শ্রমিক নেতাদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন যেমন শ্রমিকের করার অধিকার রয়েছে, আবার না করারও অধিকার আছে। শ্রমিকদের এই অসন্তোষের পেছনে একটি গোষ্ঠী জড়িত থাকার কথা রয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, রপ্তানিতে আমাদের চাহিদা কমছে। সব থেকে বড় ক্রেতা ইউরোপ এবং আমেরিকায় দরপতন হয়েছে। অথচ আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়েই চলছে। এর বাইরে আমাদের প্রতিবেশী প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো বসে আছে। তাদের রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বৈদেশিক ক্রেতাদের তেমন চাপ দেয়া যাচ্ছে না। তাহলে তারা অন্যদিকের বাজারে চলে যেতে পারে। 

বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে শ্রমিকদের সঙ্গে রেখে চলছি। আমাদের মালিকদের দুটি সংগঠন আর শ্রমিকদের সংগঠন রয়েছে শাতাধিক। যাদের অর্ধশতাংশের নিবন্ধন নেই। এরপরেও আমরা তাদেরও আলোচনায় ডাকি। তিনি বলেন, আমরা বিগত সময়ের বেতন নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এবার বেতন নিয়ে খুশি। তাদের যে সামান্য অসন্তোষ ছিল তা এখন আর নেই। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমি চাই শ্রমিকদের নূন্যতম বেতন।

এটাও চাই তাদের দক্ষতা দেখে বেতন দিতে। এরই মধ্যে রপ্তানিতে আমাদের ডিমান্ড কমেই চলছে। বেতন আমি ঠিক করলাম কিন্তু দিতে পারলাম না এটা হয় না। আলোচনায় আরও অংশ নেন সিপিডির ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম, শিল্প উদ্যোক্তা মুমীনুর রহমান, ফারুক আহমেদ, আরসাদ জামান দীপু, শহীদুল আজিম, শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ, বাবুল আকতার, কাজী রুহুল আমিন, নুরুল ইসলাম প্রমুখ। 

  • Courtesy: Manabzamin/ Jan 27, 2019

Justice denied?

EDITORIAL

Delay in medical exam of rape victims is inexcusable


It is quite outrageous that there was a delay by the police in bringing a number of rape victims to hospital for medical examination even after the filing of a case, making it difficult for doctors to find any meaningful evidence of rape by then. This continues despite the fact that the High Court in a directive in 2015 ruled that the police would be held responsible for any delay in conducting medical tests after a case is filed and that such a delay would constitute a punishable offence.

As explained by a forensic expert quoted in a report in this daily yesterday, delays in medical test may destroy evidence and reduce the chance of getting proper results, making it impossible for the victim to get justice. And, according to a staff member in Dhaka Medical College and Hospital, as many as 20 percent of rape victims that the hospital receives each month are brought in late.

In Bangladesh, the prosecution of rape is normally extremely complicated and time-consuming. As it is often the case that the burden of proof lies with the victim, very few of them end up getting justice.

We have to understand that due to social stigma attached to such cases, victims themselves have to somehow gather the courage to report the incident to the police. The fact that some policemen show negligence in conducting medical tests on time, even after a victim takes the bold step of filing a case, is unacceptable.

As laid out by the court, the authorities concerned should take serious measures to punish officers who have demonstrated negligence in such cases. In addition, efforts should be taken to make law enforcement officials aware of the court directive and the importance of conducting medical tests of rape victims as soon as possible.

  • Courtesy: The Daily /Star Jan 27, 2019

Bangladesh's deadly roads

EDITORIAL

No meaningful steps taken to curb accident casualties


A recent report published by Bangladesh Jatri Kalyan Samity, a passenger welfare body, paints a grim picture of the number of people killed in accidents in 2018 across the country. Road accidents took the biggest share of casualties with 7,221 deaths (93 percent) followed by train accidents and accidents on waterways.

We don't see any change in drivers' mindset and that is why they continue to drive recklessly and engage in risky overtaking. Authorities have not done enough to rectify faulty roads, and the BRTA, which is responsible for granting vehicle licences and overseeing fitness of vehicles, remains ineffective.

One must admit that there is a huge lack of awareness on roads and that it is not just on the part of drivers, but general people too. People do not have a good grasp of traffic laws, and those who do ignore them willfully. The end result of course is that the death toll keeps rising with each passing year. We need to do something about this and it requires a two-pronged approach. While technical problems of roads can be solved easily, changing mindsets requires a national campaign that will not fizzle out in a week or a month.

Implementation of laws, again, is not a stopgap measure by introducing “traffic week” or “traffic month”. Rather, it requires a change in mindset so that enforcement of the law takes place in every area: implementing the traffic rules, granting of licences to people who actually pass BRTA driving tests, educating people to cross roads safely, using signals before changing lanes, disallowing unfit vehicles from plying the roads, among other things. It is a tall order but there can be no shortcuts when we try to bring order out of total chaos and each of us must do our part so that there are fewer avoidable deaths on our roads.

Courtesy: The Daily Star Jan 27, 2019

Savar Tannery Estate: High hazard yet little safety

No medical facility, inadequate safety gear for workers handling chemicals

Moudud Ahmmed Sujan


A barrel of sulphuric acid accidentally tipped over at a factory in the Savar Tannery Industrial Estate on October 3. The acid burnt four workers.

They had to be taken to the burn unit at Dhaka Medical College Hospital nearly 20 kilometres away.

Amid the awful city traffic, it took four hours to get them there and it was too late for one of them. Hashem Ali, 35, of Dinajpur, died.  

“We didn't know what to do immediately after the four suffered the acid burns. There was no medicine or doctor nearby,” recalled Milon Hossain, one of the workers at the factory -- Mitali Tannery.

“We poured water on the wounds but that did not seem enough,” he said.

“Maybe Hashem could have been saved had it not been that late.”  

Like them, many workers suffered in the past as the tannery hub has no medical facilities.

Accidents are common at the estate where workers have to handle hazardous chemicals, often with little to no safety gear. If injured, they have to be taken to hospitals outside the estate and any delay on the way can be fatal.

To save the capital's lifeline -- the Buriganga -- majority of the tanneries have been relocated to the estate in Savar from Hazaribagh.

In the last couple of years, most of the 155 tanneries were shifted to the estate on 200 acres of land in Horindhara near the Dhaleshwari river.

As of December 31, 119 factories were in operation with nearly 20,000 workers, said tannery owners.

However, the project, under which the factories were moved, did not include any hospital for the workers.

“Our work is extremely risky. Six months ago, two workers died after they fell into a chemical tank,” said another worker, wishing not to be named. “They should have treated right away. Unfortunately, that did not happen,” he said.

During a visit to different factories at the estate recently, this correspondent saw workers immersing rawhides in salt solutions and then soaking them in different chemicals.

Some of the labourers were barefooted and without gloves.

And although they work in such risky conditions, they are not properly compensated for injuries at work.

“The owners gave Tk 100,000 to Hashem's family and each of us got only Tk 25,000,” said Sumon, one of the four injured in the October 3 incident.

“We did not get any money after that,” said the worker, who had to stay at the DMCH for several days before being released.

Babul Hossain lost his right wrist in an accident at another factory in March 2017. He said he had to spend Tk 50,000 for treatment.

“At that time, my owner had promised to give me some money. But now, he does not even pick up any calls,” he said. 

This correspondent could not contact the factory owners for comments.

According to the labour law, if any worker becomes disabled due to injuries at work, he is entitled to Tk 250,000 in compensation from the employer.

According to media reports, six workers died and 30 suffered injuries in accidents at the tannery estate since the beginning of 2017, when the authorities started shifting the factories there.

There is no government data on this. Department of Inspection for Factories and Establishments, the designated government body, said they don't have “enough manpower” to keep records.

“There are many problems in the tanneries ... It is difficult for us to monitor the estate with limited manpower. We have plans to go for recruitments soon,” said Zakir Hossain, deputy inspector general at the DIFE.

Contacted, Mohiuddin Mahin, president of the Bangladesh Finished Leather, Leather & Footwear Exporters Association (BFLLFEA), refused to provide any data on the matter. He asked this correspondent to approach the Tannery Workers' Union instead.

The union's president, Abul Kalam Azad, said, “We have representatives in only 30 factories. Sometimes we cannot keep track of all accidents.”

According to a recent study by Bangladesh Occupational Safety, Health and Environment Foundation (Oshe Bangladesh), around 1.29 lakh workers are employed at the leather industry.

Most of the workers at the estate work on a daily basis, said Shakhawat Ullah, general secretary of the tanners' association.

NO HOUSING FACILITIES

Besides, a large number of workers have to travel from different areas, as the new estate has no housing facilities for them.

While inaugurating the estate on November 6 last year, Prime Minister Sheikh Hasina urged the owners and authorities concerned to arrange housing facilities for tannery workers without any delay.

A memorandum of understanding (MoU) between the Tannery Workers Union and Bangladesh Tanners' Association stresses on creating housing and medical facilities and ensuring better wages, including provident fund, for the workers. BFLLFEA is a signatory of the MoU.

At present, a worker is entitled to a minimum of Tk 12,381 a month while a skilled worker can draw up to Tk 23,000, as per the MoU renewed in May last year.

Besides, a project official said the authorities were yet to keep fire extinguishers at the factories. A fire station is supposed to be set up inside the area before this June, when the project to relocate the tanneries would end.

Talking to The Daily Star, several tannery owners said Bangladesh Small and Cottage Industries Corporation would build necessary facilities for the workers soon.

Contacted, Khandaker Aminuzzaman, general manager (planning) of the BSCIC, said they had already sought Tk 1,500 crore from the government to build hospitals, schools and other facilities at the estate.

According to the Oshe's study, some 93 percent workers did not get any training. 61 percent of them frequently suffer from 20 kinds of health problems, including skin burns, body pain and itching, allergy, fever, ulcer, respiratory problems, blurred vision and headaches.

Oshe conducted the study on 105 workers, each having at least eight years' of work experience in the   sector.

Sarmin Sultana, lead researcher of the Oshe study team, said, “Lax enforcement and inspection and a lack of workers' knowledge in handling chemicals and machineries have a great impact on workers' health.”

Mohiuddin Ahmad Mahin, president of the Bangladesh Finished Leather, Leather and Footwear Exporters Association, said, “We will soon take all necessary measures to guarantee workers' safety, implement the salary structure, and arrange housing facilities. We need cooperation from all relevant bodies in this regard.” 

  • Courtesy: The Daily Star/ Jan 27, 2019