Search

Monday, January 28, 2019

নিয়োগ প্রত্যাশীদের স্বাস্থ্য অধিদফতর ঘেরাও


নিয়োগের দাবিতে রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতরের সামনে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছে দেড় শতাধিক নিয়োগ প্রত্যাশী। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, ২০১২-১৩ সালে ৯ জেলায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করে তা বাতিল করে অধিদফতর। পরে আদালত ও মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বাতিলকৃত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেনি স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও তাদের নিয়োগের দাবি আন্দোলনকারীদের।

এ ব্যাপারে আন্দোলনে অংশ নেয়া খাইরুল হক জানান, ২০১২ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতর ৯ জেলায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির লোকবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের এপ্রিলে আমরা পরীক্ষা দিই, জুলাইয়ে ফলাফল প্রকাশ পায়। এরপর জুলাই থেকে দুই মাসব্যাপী মৌখিক পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু অজানা কারণে ওই পরীক্ষা বাতিল করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তারা পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

তিনি বলেন, ওই পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে আমরা আদালতে রিট আবেদন করি। রিট আবেদনের (৪৭৪৭/১৪) শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল আদালত পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ৬০ কর্ম দিবসের মধ্যে আগের অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে উত্তীর্ণদের নিয়োগ চূড়ান্ত করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই নির্দেশনা অমান্য করে ৬৫৪ দিন দেরি করে স্বাস্থ্য অধিদফতর আদালতের ওই নির্দেশনার বিরুদ্ধে আপিল করে।

তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি আমরা আপিলের রায় পাই। রায়ে আপিল আবেদন খালিজ করে আগের রায় বহাল রাখে আপিল বিভাগ। ওই রায়ের বিপক্ষে আপিল বিভাগের রিভিউ আবেদন করে। ২০১৮ সালের মে মাসে রিভিউতেও আগের রায়েই বহাল থাকে এবং বাতিল করা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়োগ চূড়ান্ত করতে আদেশ দেয়া হয়।

এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য অধিদফতর বরাবর একে একে তিনটি অর্ডার দেয়। ওই অর্ডারে আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বাতিল করা পরীক্ষার ফলাফল চূড়ান্ত করতে বলা হয়। কিন্তু এখন অবধি ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।

তিনি বলেন, এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতর ঘেরাও করে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছি।

লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া মুক্তার আলী বলেন, আমরা অনেক দিন থেকেই ধৈর্য ধরে আছি। আজ ফলাফল প্রকাশ পাবে, তো কাল- এভাবেই ঘোরানো হচ্ছিল আমাদের। আদালতের নির্দেশনাও তোয়াক্কা করা হচ্ছিল না। তাই নিজেদের অধিকার আদায়ে নিজেরাই কর্মসূচি দিয়েছি। চাকরির নিশ্চয়তা নিয়েই ঘরে ফিরবো।
  • জাগোনিউজ / জানু ২৮, ২০১৯ 

No comments:

Post a Comment