বাংলাদেশ থেকে ১০ বছরে (২০০৬ থেকে ২০১৫) বাংলাদেশ থেকে ৬১.৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্য দিয়ে অর্থ পাচারকারী শীর্ষ ৩০ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) সোমবার অর্থ পাচারের এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল ফিন্যানসিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই)।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থাটি গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেয়। জিএফআই ১৪৮ দেশের ওপর জরিপ পরিচালনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অর্থ পাচারের হিসাব জানিয়েছে তারা। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চেয়ে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৫ শতাংশ।
তাদের তথ্যমতে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫৯০ কোটি ডলার অবৈধ উপায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া একই বছরে ২৮০ কোটি ডলার অবৈধভাবে দেশে এসেছে।
সংস্থাটি অর্থ পাচারের যে সংজ্ঞা দিয়েছে তা হলো, আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করা সেই টাকা যা অবৈধভাবে অর্জিত, ব্যবহৃত অথবা স্থানান্তরিত।
সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুসারে, টাকার অঙ্কের দিক দিয়ে ২০১৫ সালে অর্থপাচারে শীর্ষ ৩০ দেশের একটি ছিল বাংলাদেশ। এ েেত্র দণি এশিয়ায় ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। জিএফআই বলছে, টাকা পাচারের এ প্রবণতা টেকসই উন্নয়নে বড় বাধা। বাণিজ্যের কথা বলে অবৈধভাবে এসব অর্থ পাচার হয়েছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।
- নয়া দিগন্ত / ২৯ জানুয়ারি ২০১৯
No comments:
Post a Comment