Search

Saturday, November 4, 2017

তেলভিত্তিক উৎপাদনই বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণ - ক্যাব



সবার জন্য সহনীয় দামে বিদ্যুৎ সরবরাহের অঙ্গীকার থাকলেও সরকার কার্যত অগ্রসর হচ্ছে বেশি দামের বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে। বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২, সকালে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিবর্তে কমানোর যৌক্তিকতা নিয়ে একটি আলোচনা সভার কিছুক্ষণ পরই বেশি দামের ৪০০ মেগাওয়াট তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি সই করা হয়েছে।

বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রস্তাব নিয়ে সকালে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে আলোচনা সভার আয়োজন করে ভোক্তাস্বার্থ সংরক্ষণকারী সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। এই সভায় আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল, তেলভিত্তিক উৎপাদন বাড়ানোই বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির মূল কারণ।

বেলা একটা নাগাদ এই সভা শেষ হয়। বেলা আড়াইটায় ওই বিদ্যুৎ ভবনেরই মুক্তি হলে দুটি বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ৪০০ মেগাওয়াট তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি সই করে। এর মধ্যে ৩০০ মেগাওয়াট ডিজেলভিত্তিক এবং ১০০ মেগাওয়াট ফার্নেস তেলভিত্তিক।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সে সব কথা জানানো হয়নি তা হলো, ডিজেলভিত্তিক যে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি গতকাল করা হয়েছে, তার প্রতি ইউনিটের (এক কিলোওয়াট ঘণ্টা) দাম পড়বে প্রায় ২০ টাকা। আর ফার্নেস তেলভিত্তিক কেন্দ্রের প্রতি ইউনিটের দাম হবে সোয়া ৮ টাকার মতো। এই ৪০০ মেগাওয়াটের পর আরও ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের জন্য যে চুক্তিগুলো হবে, তাতেও একই রকম দাম পড়বে বলে পিডিবির সূত্র জানায়।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন পিছিয়ে পড়ায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের আর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু অর্থনীতি ও জনজীবনে এর প্রভাব ভালো হবে না।

২০১০ সালের ১ মার্চ থেকে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় বছরে পাইকারি পর্যায়ে পাঁচবার এবং খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে সাতবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। তীব্র বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় আশু পদক্ষেপ হিসেবে সরকার তেলচালিত ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র স্থাপনের পরই বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় দ্রুত বেড়ে যায়। ফলে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হয়।

No comments:

Post a Comment