Search

Sunday, December 10, 2017

আমাকে অপহরণ করে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো - ফরহাদ মজহার




কলামিস্ট ফরহাদ মজহার

বাংলাদেশে সরকারের কঠোর সমালোচক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার বলেছেন, তাকে অপহরণ করে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাবার চেষ্টা হয়েছিল এবং পুলিশ তাকে উদ্ধারের পর তার ভাষায়, তার ওপর চাপ প্রয়োগ করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি নেবার চেষ্টা করেছে।

গত জুলাই মাসে নিখোঁজ হওয়ার পর মি. মজহার এই প্রথম সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন।

তিনি বলেন, "গুমের হাত থেকে আমার উদ্ধার পাওয়ার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন, ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা তাদের সাফল্য ও গৌরবকে মারাত্মকভাবে ম্লান করে দিয়েছে।"

ফরহাদ মজহারের এসব অভিযোগের ব্যাপারে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

আজ শনিবার ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ মজহার এসব কথা তুলে ধরেন। এসময় তার স্ত্রী ফরিদা আক্তার এবং তার আইনজীবীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদা আক্তার বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত এবং আইনি প্রক্রিয়ার স্বার্থে তারা এবিষয়ে এতোদিন কোনো কথা বলেন নি।

ফরহাদ মজহারের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় স্ত্রী ফরিদা আক্তারের করা মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ বলেছে, ফরহাদ মজহারকে অপহরণের প্রমাণ পাননি তারা। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে মি মজহার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয় আদালতের কাছে। গত বৃহস্পতিবার তাদের ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

এর পরেই ফরহাদ মজহার সস্ত্রীক সাংবাদিকদের সামনে হাজির হলেন।
উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর ফরহাদ মজহার

ফরহাদ মজহারের স্ত্রী বলেন, "দেশের কোন সংবাদ মাধ্যমের সাথেও আমরা কথা বলিনি। এজন্যে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি যে আমরা কথা বলে উঠতে পারিনি। বর্তমান পরিস্থিতির চরম নিরাপত্তাহীনতা ও ঝুঁকি সত্বেও আমাদের অবশ্যই কথা বলতে হবে।"

গত ৩রা জুলাই সকালে ঢাকার একটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ফরহাদ মজহার। তারপর তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারকে ফোন করে তিনি জানান যে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর শ্বাসরুদ্ধকর ১৮ ঘণ্টা পর গভীর রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নাটকীয়ভাবে তাকে যশোর থেকে উদ্ধার করেন।

সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে ফরহাদ মজহার বলেন, "ভোরে কম্পিউটারে লিখতে গিয়ে দেখি আমি চোখ খুলতে পারছি না। এই অবস্থা হলে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এমন একটা ফার্মেসি থেকে ওষুধ কেনার জন্যে বের হই। এসময় তিনজন লোক আমাকে জোর করে একটি শাদা মাইক্রোবাসে তুলে আমার চোখ বন্ধ করে ফেলে।"

পরে তিনি তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। "বাঁচার জন্যে টেলিফোন করা, টাকা পাঠানোসহ অপহরণকারীরা যা কিছু করতে বলে আমি তা করি।"

তিনি জানান, যেখানে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিলো সে জায়গাটি তিনি চেনেন না। কিন্তু তারা তার ওপর নজরদারি করতে থাকে এবং সন্ধ্যায় তার নির্দেশ মতো হানিফ পরিবহনের গাড়িতে উঠলে তারা তাকে বাসের পেছনে বসিয়ে দেয়।

"আমি মৃত্যু ভয়ে ভীত, বিধ্বস্ত শারীরিক অসুস্থতায় নির্জীব হয়ে পড়ি। শোরগোল শুনে আমি জেগে উঠি। কিছু শাদা পোশাকের লোক জোর করে আমাকে আবার নামিয়ে আনার চেষ্টা করে। শাদা পোশাকের কিছু লোক বন্দুক তুলে শাসিয়ে আমাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে উভয়ের মধ্যে প্রচণ্ড তর্কাতর্কি হয়। কিন্তু র‍্যাব ছোটখাটো যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে আমাকে তাদের গাড়িতে উঠায়। এবং আমার স্ত্রী ফরিদা আক্তারের সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে আমাকে আশ্বস্ত করে।"




উদ্ধারের পর আদাবর থানায় নিয়ে আসা হয় ফরহাদ মজহারকে 

তিনি বলেন, অপহরণকারীরা ওই এলাকায় থাকতে পারে ভেবে র‍্যাব আমাকে নিয়ে খুলনায় ঘটনাটি তদন্ত করতে চাইলেও কে বা কারা র‍্যাবের গাড়ির দুদিকে রাস্তায় রাতের ট্রাক থামিয়ে দু'দিকের পথরোধ করে। এবং র‍্যাবের গাড়িসহ আমাকে একটি জায়গায় নিয়ে আসে। আমাকে তখন র‍্যাবের গাড়ি থেকে নামানো হয়। আমার সঙ্গে তারা প্রচণ্ড দুর্ব্যবহার করে। এবং জিজ্ঞাসাবাদের নামে আমাকে বলতে বাধ্য করা হয় যে আমি বিনোদনের জন্যে বেরিয়েছি।"

তিনি জানান, এর পর তাকে ক্যামেরাসহ কিছু লোকের সামনে দাঁড় করানো হয়। "সাংবাদিকদের সামনে আমি বিনোদনের জন্যে স্বেচ্ছায় বেরিয়েছি এটা স্বীকার করার জন্যে প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হয়। অনেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে আমাকে পুলিশের একটি গাড়িতে নিয়ে উচ্চস্বরে গান গাইতে গাইতে ঢাকার পথে রওনা হয়। সারা পথে নানা ভাবে আমাকে মানসিক নির্যাতন করা হয়।"
তিনি বলেন, ঢাকায় নিয়ে আসার পরেও বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তাকে তার পরিবারের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। পরে তাকে গোয়েন্দাদের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত অবস্থায় তাকে জেরা করা হয়।

ফরহাদ মজহার বলেন, আদালতকে তিনি জানান তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ডিবি অফিস তাকে দিয়ে যা লিখিয়ে নিয়েছে সেটাই তিনি আদালতে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, "পরে জানতে পারি এবং এখন বুঝতে পারি অপহরণকারীরা খুলনা যশোর সীমান্তের দিক দিয়ে আমাকে সীমান্তের ওপাশে নিতে চেষ্টা করেছিলো।"

তিনি অভিযোগ করেন পুলিশ ঘটনাটিকে অন্যদিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে।


ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আক্তার

"তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রেস কনফারেন্স করে আমাকে সামাজিকভাবে অপদস্থ করার চেষ্টা করেন। পুলিশের প্রতিবেদন চ্যালেঞ্জ করলে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দেন," বলেন মি. মজহার।

তিনি জানান, গোয়েন্দা পুলিশ পরেও তাদেরকে ডিবি অফিসে ডেকে নিয়ে পুলিশের প্রতিবেদনে সায় না দিলে তাদেরকে সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন।

মি মজহারের স্ত্রী ফরিদা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে জানান, তারা এখন এর সুবিচার চেয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন।

- Source - bbc.com/bengali

4,440 HR violation in 6 months in Bangladesh

Special Correspondent


The number of human rights violations rose to 4,440 in the last 6 months from January to June this year as there are more than 23 human rights violation incidents every day on an average in Bangladesh.

After monitoring the overall situation, the National Human Rights Commission (NHRC) has recently come up with such an alarming observation on human rights violation across the country.

According to the officials of the state human rights organisation, though incidents of human rights violations in the country are not new, recently it is increasing at alarming rates. People are becoming the victims of killings. Innocent children are also not being spared from such brutal incidents.

People are missing or disappeared. Many people are suddenly being fall to the prey of enforced disappearance from the house, office and roads suddenly. Events happening around the clock. Many people are being victimized by extrajudicial killings in the hands of the law enforcement agencies. Tortures are taking place in the case of women d and children.

National Human Rights Commission, which observes the overall human rights situation in the country regularly on the basis of the news reports published in the media, prepare a monthly statistics on human right violation in the country.

According to the data of ‘Human Rights Violence Statistics 2017’, there were more than four thousand human rights violations in the 6 months from January to June. This includes 855 killings. 52 people have been missing or disappeared. 83 people were killed in extra judicially in gun battle. Children are also not being spared. A total of 129 children have been killed while 123 children were tortured during the period.

Besides, a total of 127 students faced inhuman punishment in their respective educational institutions. As violence against women increased, 306 rape cases occurred in the first 6 months of the year.  More than 299 women have been victims of sexual violence, family violence, acid attacks, and others. At the same time, 193 people were abducted while 93 workers were also killed in various inhuman incidents, said the NHRC.

The monitoring report of NHRC also alleged that human rights violations were carried out by the police who are in charge of protecting the law and order in the country. A total of 127 complaints of human rights violations in different parts of the country were lodged against police. Terming the road accidents a human rights violation, the NHRC in its observation said that a total of 1,853 passengers and pedestrians have died in road accidents in the last 6 months.

NHRC monthly statistics show that the highest number of human rights violations occurred in April – 857 and in January, 361 human rights violations took place, the lowest. However, there are over 7 hundred human rights violations on an average per month during this six-month period.

In the latest development, former Bangladesh ambassador to Qatar and Vietnam Maroof Zaman remains missing since Monday (4 December) night after he left his Dhanmondi home in his private car to pick up his daughter from Hazrat Shahjalal International Airport in Dhaka. The 61-year-old’s youngest daughter Samiha Zaman was scheduled to land at the airport at 7:30pm, said Rifat Zaman, the ex-diplomat’s brother.

The family of the ambassador, in a press release, said police, however, recovered his car from Khilkhet in the evening. It also mentioned that around 7:45 the ambassador contacted with his family over phone to tell that some people would come to take his computer and instructed them to cooperate. Shortly after that, three tall, well-dressed men came to the house around 8:05pm, took his laptop, home phone’s CPU, his camera and smart phone and searched his room thoroughly, it said.

Earlier on November 26, a Dhaka University unit leader of Jatiyatabadi Chhatra Dal Mujahidur Rahman disappeared after leaving his Sher-e-Bangla Nagar home in the capital. He is a master’s student of Political Science and senior joint secretary of Salimullah Muslim Hall unit of the pro-BNP student body.  His wife Kamrunnahar Lucky filed a GD with Sher-e-Bangla police on November 29.

With Maroof and Mujahidur, 14 people including the NSU teacher, a journalist and a number of businessmen, went missing, in recent months. Four of them returned while there is no trace of others.

  •  The piece first appeared on http://weeklyholiday.net

Saturday, December 9, 2017

Early election: Why? Why not?


Shahid Islam


Sound bites are sweeter when they denote something in substance.  Recent utterances of some of the ruling party leaders, and the BNP’s reactive response relating to an early election, are brewing sweeter sound bites. The reality may be that these are empty talks to keep the otherwise vacuous political horizon splattered with some colours and coatings.

Then again, it may not just be a floating detraction to keep the public psyche engaged in an illusion. Let’s examine the pros and cons of this dangling dilemma.

Constitutional exigency

Elusive or not, the government is not constitutionally beholden to have an early election which can occur as late as the penultimate days of 2018. But, based on a rampart of tactical calculus, it may be wiser to have the electoral show staged earlier due to reasons that have turned somewhat imposing and unavoidable in recent days.

Foremost, the performance index of the ruling AL in governance within, diplomacy abroad, and in reining in intra-party bloodletting is showing an inexorable downward trend. Macro and micro economic indices are flip-flopping too. Ordinary people find it extremely harder to cope with the rising prices of electricity, food, house rents, and other indispensable chores of life.

Add to this the lingering stigma of the nation’s parliament not being a representational one, and, the ‘image crisis’ it sprouts almost daily when the nation’s diplomats wage their battle to pull the world to our side on a human carnage occurring across the border in Myanmar; resulting in huge influx of refugees into a land that is the most populated one on earth, based on the number of inhabitants sprawled per sq. km.

What an early election can do to ameliorate the above is an unknown of quantum perplexity. Yet, it can shift the agenda from the existential deadlock characterized by the domestic and global perceptions that the incumbent AL will keep ruling the nation by force; with backing of an external power that even does not vote in Bangladesh’s favour in the global podiums, on crucial matters like the Rohingya crisis.

BNP’s betting

The BNP and its electoral-political allies have been expecting an election within a year or so of the botched 2014 electoral fiasco; hoping that the government had—as pronounced and reiterated repeatedly—held the poll without participation of the other major political parties only to preserve the constitutional sanctity, as the BNP itself did in 1996, and a new election would put democracy to its deserved locomotive to pull the nation ahead.

Since that didn’t happen, and, the government managed to tighten its stranglehold on the labyrinth of the state apparatuses to cling onto power without a fresh mandate of the people, it should happen sooner, so believed, and do believe, the nation’s well-wishers at home and abroad.

Since the 2014 election, the EU, the USA, and almost all other external partners had advised and vouched time and again for an early election that the government managed to wriggle off and defer until now. This stands at the crux of Bangladesh’s stumbled political crisis; deterring domestic and international investments on pretexts that the political climate of the nation lacks signs of profound stability.

It may be time, given the way the geopolitics of the Bay of Bengal region is transforming to suck in global powers to the festering Rohingya crisis (see last issue of the weekly Holiday), that the government should seek a fresh mandate from the people to shore up the dearth of legitimacy that is bottlenecking the diplomatic efforts to cull the support of some UNSC members like China and Russia to compel Myanmar to take back its driven-out people, numbering almost a million, from the soil of our over-populated nation.

Indo-US complexity

The crisis is climaxing toward dreadful danger, and reasons are laced with external complexities. There’re many who believe India can impress upon this reality on the government to arrange a fresh election in Bangladesh sooner, to fix the domestic drags.

Another school of thought thinks India is unlikely to do that due to fear that the BNP and its Islamist allies will overwhelm in the electoral race. They think the USA, as the strategic pivot in the Indo-China power imbalance, can convince India to allow true democracy to flourish in Bangladesh so as to blunt the sharpness and the sanguinity of the Islamists who’re deemed as a common threat to liberal democracy.

The Bangladesh factor, based on such rationales and realities, has become an irritation to the USA and its NATO allies who are finding it hard to pull Delhi to their side to implement two things simultaneously: ensure representational democracy in Bangladesh, and, resolving the Rohingya crisis peacefully to stave off the ducked-in danger of an Islamic revival and armed militancy that poses potent danger to peace and security of the entire region.

Paving the way

Being mindful of such dangers, the regime of Sheikh Hasina may serve itself and the nation better by realizing the reality of its dwindling popularity, and the compulsiveness imposed by the external factors, to opt for an early election. For that to happen, dialogue must kick off sooner with the BNP to reset the so called rules of the electoral games, as well as to pave the ways, to ensure participation of all stakeholders in the upcoming electoral fray.

Failing to do so will compel external powers to set the agenda, change the goalpost, and score as many goals as they wish; without much deference to the will of what they think a ‘deficit regime’ in power.  This will also compromise the nation’s sovereignty in a manner that may engrave irreversibly into the minds of the posterity, while undoing everything our predecessors and we achieved together through diligence and inexplicable dedications.


Tuesday, December 5, 2017

Panic spreads over disappearances, abductions


Shakhawat Hossain


Mothers of some people were allegedly picked up by the Bangladesh law enforcement agencies in 2013 and never returned hold a press conference in Dhaka' Reporters Unity conference hall on December 4 last year to tell the stories of their miseries Mahmud Hossain Opu/Dhaka Tribune

Incidence of missing and abduction has reportedly increased in the capital and other parts of the country in recent times, spreading panic among people. Despite strong criticism from rights groups who have been demanding the government to initiate judicial commission to find perpetrators behind the crimes, incidents of enforced disappearance still continued with a gusto across the country.

There is a strong allegation against the law enforcement members to be engaged in such crimes, as some officials were found involved, various media reports and victims of the family members alleged. In recent times, army officers have arrested some Detective Branch (DB) officials when they were taking bribes from a business man in Chittagong.

Victims remain untraceable

Highest number of enforced disappearances was reported in the past two years while maximum number of victims still remained traceless in 2017. Politicians, students and business people were the worst victims of disappearance with whereabouts of 152 still unknown since the Awami League government assumed power in 2009 with election pledge promise stating ‘Rule of law will be established. Human rights will be strictly enforced.’

According to the rights organisation Odhikar, 402 people disappeared between January 2009 and October 2017 and the incidents were clearly of the category of ‘enforced disappearance’ as defined by the international human rights laws, particularly the International Convention for the Protection of All Persons from Enforced Disappearance.

In recent times, at least 10 people, including a journalist, a university teacher, a publisher and political leader, have gone missing or fallen victim to abduction since August 22, 2017. North South University teacher Mobashwer Hossain, Bangladesh Kalyan Party leader M Aminur Rahman and journalist Utpal Das are among those who remained missing. Utpal Das, a senior reporter of news portal Purboposhcim News, has remained traceless since October 10. Almost 30 days have elapsed but the law enforcers are yet to locate him. Mithun Chowdhury, president of newly-formed Bangladesh Janata Party, and his associate Ashit Ghosh were picked up allegedly by law enforcers in the city’s Sutrapur area on October 27. Those who went missing in recent times include Mcgill University student Ishrak Ahmed Fahim. The latest victim of the fresh incidents of disappearance is Tanvir Yasin Karim, owner of Karim International and Darus Salam Publications. He was picked up by plainclothes men on November 8, 2017.

According to rights body Ain o Salish Kendra, 334 of the 524 people, who allegedly became victims of enforced disappearance between 2010 and October 2017 across the country, are still missing. Many of those who returned to their families never disclosed anything to the media about their abductors.

Govt. urged to intervene

Another rights group Odhikar reported that over 400 people became victims of enforced disappearance since Awami League assumed in power in 2009 and, said highest number of such incident took place in 2016.

According to Odhikar, at least 67 persons were allegedly disappeared from January to September. Among them, seven were found dead and 29 were later produced before various courts or surfaced alive. The whereabouts of 31 persons are still unknown.

In October, seven persons allegedly disappeared. Among them, two were later produced before the court and surfaced alive. The whereabouts of five others are still unknown.

On November 7, Abu Muhammad Jamal Rahman, a pharmacist of Sanofi Aventis, was also disappeared and his family filed a missing complaint with the Khilgaon police station. On November 8, a publisher, Tanvir Hasan Karim, was taken in from his house by the plainclothes and a missing complaint was filed with the Gulshan police station.

Against such a backdrop, various social and rights groups in separate statements called on the government to find out the persons went missing or disappeared, and also to find the persons behind such activities, expressing their grave concern over the recent increased incidents of enforced disappearances.

Eminent rights activist Ms. Sultana Kamal said, “Whenever any citizen goes missing this way, it has to be understood that there is no security at all. People are going missing and the issue is not being resolved. Such a crime is an extreme violation of human rights.”

Sultana said allegations have surfaced those members of security forces were involved in the mysterious disappearance of many people.  “In many cases, it is seen that many are shown arrested after their families come up with statements [about the incidents],” she added.

National Human Rights Commission Chairman Kazi Reazul Hoque said free movement is one of the constitutional rights of the citizens and it is the duty of the state to ensure that. “It is responsibility of the state to find the victims of abduction and enforced disappearance and return them to their families,” he said, demanding exemplary punishment to those responsible for such incidents.

Besides, teachers, students and alumni of Dhaka University on Sunday sought the prime minister’s intervention in tracing North South University teacher Mubashar Hasan who went missing on Nov 7 evening.  They formed a human chain on Aparajeyo Bangla premises and said if Mubashar was guilty of any crime he could be brought to book and tried. His disappearance only proves the state’s failure to protect its citizen, they observed.

- The piece was first published on weeklyholiday.net

Thursday, November 30, 2017

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় কাছে টানার চেষ্টায় বিএনপি


মাহমুদ আজহার



নতুন প্রজন্মকে নিয়ে ভাবনায় বিএনপি। একবিংশ শতাব্দীর জ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর তরুণ নেতৃত্বকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি।

বিশেষ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ৪৩ লাখ নতুন ভোটারকে কাছে টানার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে বিএনপি। সেজন্য প্রযুক্তিনির্ভর ইশতেহার তৈরি করা হচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে সামনে রেখেই তৈরি করা হয়েছে দলের গঠনতন্ত্র। নতুন প্রজন্মের সম্ভাবনার  বিভিন্ন দিক নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঘোষণা করেছেন ভিশন-২০৩০। সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি ও তরুণদের নিয়েই দলের চিন্তাধারা তুলে ধরা হয়েছে। তরুণদের নেতৃত্বে নিয়ে আসতে বেশকিছু সম্পাদকীয় পদও সৃষ্টি করা হয়েছে। বিএনপি-প্রধান বেগম জিয়ার বক্তৃতা-বিবৃতিতেও এখন সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে তরুণ নেতৃত্ব।

জানা যায়, ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের কথা মাথায় রেখেই বিএনপির নতুন নির্বাহী কমিটিতে একঝাঁক তরুণ নেতাকে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটিতেও এবার ঠাঁই পেয়েছেন অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতৃত্ব।

দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানও তরুণ। তার চিন্তাধারাও প্রতিফলিত হচ্ছে বিএনপির সর্বস্তরে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কমিটিগুলোতেও তরুণ নেতৃত্বের ছাপ পাওয়া যাচ্ছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতৃত্বেও তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বেগম জিয়াও দলের তরুণ নেতা-নেত্রীদের মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন। অবশ্য বিএনপি বলছে, পুরনো নেতাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই তরুণদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা হচ্ছে। বিএনপি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের ৮০ ভাগ ভোটার তরুণ। সুতরাং তরুণদের বিরাট একটি অংশ ভবিষ্যতে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। তাদের ভোট খুবই মূল্যবান। তাদেরই আশা-আকাঙ্ক্ষা যে দল পূরণ করতে পারবে, সে দলকেই তারা ভোট দেবে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গতকাল রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তরুণদের ঘিরেই। সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃত্বে তারাই আমাদের ভরসা। আজকের এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সারা বিশ্বে যে উন্নয়নের জোয়ার সেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে তরুণরা। সুযোগ-সুবিধা করে দিলে তারাই বাংলাদেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ দিয়েছেন। সেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন নতুন প্রজন্মকে। তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, তাদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা, তাদের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ও জ্ঞানভিত্তিক তরুণসমাজ আমরা দেখতে চাই। তাদের জন্য সেই পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টির দায়িত্ব আমাদের। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর। ’ বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক তরুণ নেতা আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বব্যাপী তরুণদের জয়জয়কার। এ ক্ষেত্রে বিএনপিও তরুণদের সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। দলের স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে নির্বাহী কমিটি এমনকি তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃত্বেও তরুণদের দেখা যাচ্ছে। প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানভিত্তিক লড়াইয়ে পুরনোদের পেছনে ফেলে তরুণরাই এগিয়ে। ’ নতুন প্রজন্মকে সামনে রেখেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার ভিশনে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ভিশনে বলা হয়, সেবা খাতনির্ভর উন্নয়ন কৌশলের সঙ্গে সংগতি রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতকে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাতে রূপান্তর করা হবে। আউটসোর্সিং ও সফটওয়্যার খাতকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হবে। তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বিদেশ থেকে অর্জিত অর্থ দেশে আনয়নের ক্ষেত্রে সকল প্রকার অযৌক্তিক বাধা দূর করা হবে। খালেদা জিয়ার ভিশনে ভিওআইপি উন্মুক্ত করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ইন্টারনেটের ক্যাপাসিটি বাড়িয়ে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা হবে। মোবাইল কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে সারা দেশে বিশেষ করে মফস্বলে উচ্চগতির ফোর-জি কভারেজ নিশ্চিত করা হবে। উচ্চগতির ইন্টারনেট কভারেজ নিশ্চিত করা হবে। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার শিল্পে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হবে। ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল উপাদানগুলো সাশ্রয়ী মূল্যে দেশে উৎপাদন উৎসাহিত করা হবে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, হাইটেক পার্ক, এডুকেশন পার্ক, কম্পিউটার ভিলেজ, আইটি ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠা করে জ্ঞান বিকাশ ও দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো হবে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে কম্পিউটার সমর্থিত শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। বেগম খালেদা জিয়া বলেন, প্রত্যেক জেলায় একটি করে ‘স্মার্ট স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এসব স্কুল অন্যান্য স্কুলের জন্য মডেল প্রযুক্তি প্রদর্শকের কাজ করবে। প্রতি জেলায় একটি করে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। ২০২০ সালের মধ্যে মাধ্যমিক স্তরে এবং ২০২৫ সাল নাগাদ প্রাথমিক স্তরে প্রশিক্ষিত শিক্ষক, হার্ডওয়্যার, ল্যাবরেটরিসহ সব দিক থেকে উন্নততর আইটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। বিএনপি জনগণের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে বলে তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমবিষয়ক সব আইনের অগণতান্ত্রিক ও নিয়ন্ত্রণমূলক ধারাসমূহ সংশোধন করবে। বিএনপির তরুণ নেতারা বলছেন, বিএনপির হাইকমান্ড ভিশন সামনে রেখে এগোলেই আগামীতে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধিশালী দেশে পরিণত হবে। কারণ, বিশ্বব্যাপী এখন তরুণদের জয়জয়কার।
- উৎসঃ bd-pratidin.com 

Monday, November 27, 2017

আজ শহীদ মিলন দিবস - বিচারের বাণী কাঁদে নীরবে নিভৃতে

কাদের গনি চৌধুরী 


শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ। ১৯৯০ সালের এই দিনে সাক্ষাত স্বৈরাচার  হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের (এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত) লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী বাহিনী গুলি করে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন বিএমএ’র তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব ডা. শামসুল অালম খান মিলনকে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ রোষে বিষ্ফোরিত হয় গোটা বাংলাদেশ। আজকের এই দিনে ডা. শামসুল অালম  খান মিলন যখন বিএমএ নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সঙ্গে রিক্সায় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসির চত্বর অতিক্রম করছিলেন-ঠিক তখন এরশাদের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের বুলেট দীর্ণ করে ডা. মিলনের বুক। মুহূর্তে তিনি রিক্সার ওপর ঢলে পড়েন। রিক্সা বেয়ে রক্তধারা প্রবাহিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পিচঢালা রাস্তায়। ছাত্র-জনতা  ধরাধরি করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ডা. মিলন মৃত্যুবরণ করেন। পেশাজীবী সংগঠনের তরুণ নেতা ও প্রগতিবাদী রাজনীতির সমর্থক এবং একজন চিকিৎসকের গুলিতে শহীদ হওয়ার ঘটনা মুহূর্তেই ’৯০-এর চলমান স্এরশাদ বিরোধী আন্দোলন স্বৈরাচারীপ মৃত্যুশেল  গণ অভ্যুত্থানে পরিণত করে। রাজধানী ঢাকা সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভ এবং উত্তাল মিছিল নগরীতে পরিণত হয়। ক্যাম্পাসে বের হয় খণ্ড  মিছিল। মিছিল ছড়িয়ে যায় সারাদেশে। পুলিশ ও এরশাদের ঘাতকবাহিনীর সাথে বিক্ষুব্ধ জনতার লড়াই শুরু হয়। অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে গোটা দেশ। 

এর পরপরই সন্ধ্যার দিকে ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের প্রধান দুই শীর্ষ নেত্রী বেগম  জিয়া ও শেখ হাসিনাকে গৃহবন্দী করে স্বৈরাচারী এরশাদ।  সন্ধ্যার পরে রাজধানী ঢাকা শহরে কার্ফ্যু জারি করা হয় এবং কাফ্যু ভেঙে জনগণ এরশাদ পতনের আন্দোলন শুরু করে। গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়। স্লোগান ওঠে-শহীদ ডা. মিলনের রক্ত-এরশাদ পতনের মন্ত্র’‘,এরশাদের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে’ ও  রশি ধরে মার টান, গদি হবে খান খান ইত্যাদি। 

কয়েক দিনের টানা গণ অভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে ’৯০-এর ৪ ডিসেম্বর জনতার রায়ের কাছে মাথা নত করেন। সাধের তখত ছাড়তে হয়। শহীদ হওয়ার সময় ডা. শামসুজ্জামান খান মিলন বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক ছিলেন। 

১৯৯০ সালের ২৭ নবেম্বর-এর   এই শোকাবহ ঘটনার স্মরণে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি বছর শহীদ ডা. মিলন দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব ডা. শামসুল আলম খান মিলনকে সচরাচর শহীদ ডা. মিলন সম্বোধন করা হয়।  মৃত্যুকালে পেশায় চিকিৎসক শামসুল আলম খান মিলন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এ ছাড়া ওই সময় তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্ম-মহাসচিবও ছিলেন।

ডা. মিলনের জন্ম ১৯৫৭ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে। ১৯৭৩ সালে তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে শিল্পকলা (ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্টস) বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি এইচএসসি পাস করেন নটরডেম কলেজের ছাত্র হিসেবে। এরপর চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন (ব্যাচ কে-৩৪)। ১৯৮৩ সালে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন ও ডাক্তারি পেশায় যোগ দেন।

সেদিন দেশব্যাপী রাজপথ-রেলপথ অবরোধ আন্দোলন চলছিল। ঘটনার দিন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে রিকশাযোগে পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) যাচ্ছিলেন ডা. মিলন।  ডা. মিলনকে  ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে দাফন করা হয়।

তবু গুম হওয়ারা ফিরছে কই?




‘বাবা মারা গেলে সন্তান কবরের পাশে গিয়ে জিয়ারত করে। কিন্তু গুমের শিকার আমার বাবা বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন, আমি জানি না। আমার মতো দুর্ভাগা আর কেউ নেই।’

কথাগুলো বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন শাহরিয়ার কবির—কুমিল্লার লাকসামের বিএনপি নেতা হুমায়ুন পারভেজের ছেলে। চার বছর ধরে তাঁর বাবার খোঁজ নেই। শুধু শাহরিয়ার কবির নন, তাঁর মতো আরও দুটি পরিবার তাদের স্বজনসহ গুমের শিকার সবাইকে ফিরে পেতে অাকুল আকুতি জানায়। কার কাছে? বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার ফোরাম আয়োজিত ‘গুম, খুন ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে গুমের শিকার পরিবারগুলো উপস্থিত ছিল। গতকাল ২৬ নভেম্বর রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

শাহরিয়ার কবির বলেন, ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর কুমিল্লার লাকসাম থেকে তাঁর বাবা হুমায়ুন পারভেজ এবং রাজনৈতিক সহকর্মী সাইফুল ইসলাম ও জসিমউদ্দিন অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে র‍্যাব-১১-এর একটি দল কুমিল্লার হারিসপুরে অ্যাম্বুলেন্সের গতি রোধ করে। একপর্যায়ে র‍্যাবের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্স থেকে তিনজনকে নামিয়ে তঁদের গাড়িতে তুলে নেন। পরদিন জসিমউদ্দিনকে লাকসাম থানায় হস্তান্তর করা হলেও হুমায়ুন পারভেজ চার বছর ধরে নিখোঁজ। এ ব্যাপারে লাকসাম থানায় মামলা হয়েছে। জসিমউদ্দিন এলাকায় অাছে। তবু  পুলিশ বলছে, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

হুমায়ুন পারভেজের স্ত্রী ও অনুষ্ঠানের সভানেত্রী শাহনাজ বেগম বলেন, সন্তানের শোকে তাঁর শ্বশুর মারা গেছেন। স্বামীকে ফেরত পেতে তিনি ঘর থেকে বেরিয়েছেন। তিনি সব গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।

একই ঘটনায় গুমের শিকার সাইফুল ইসলামের ছেলে রাফসানুল ইসলাম দাবি করেন, চার বছর আগে গুমের মামলা করলেও তা এগোয়নি। মামলা নিয়ে পুলিশও কোনো কথা বলেনি।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলম, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, প্রকাশকসহ এ নিয়ে ৪০০ ব্যক্তি গুম হয়েছেন।

চার বছর আগে রাজধানী থেকে গুম হন সাজেদুল ইসলাম। গতকাল সেমিনারে তাঁর বোন আফরোজা ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর র‍্যাব রাজধানীর বসুন্ধরার আবাসিক এলাকা থেকে তাঁর ভাই সাজেদুল ইসলামসহ ছয়জনকে এবং বাসা থেকে আরও দুজনকে ধরে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। র‍্যাব সদর দপ্তরসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে স্বজনেরা খুঁজে চলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গেলে তিনি বলেন, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আফরোজা ইসলাম মনে করেন, যাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তাঁদের তুলে নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইনজীবী রফিক সিকদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি রবিউল হোসেন।


স্মরণ - শহীদ ডা. মিলন ও আজকের গণতন্ত্র

সেলিনা আখতার 


আজ ২৭ নভেম্বর, শামসুল আলম খান মিলনের ২৭তম শাহাদত দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিন বেলা আনুমানিক ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে গণগ্রন্থাগারের কোনায় মিলন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়। মিলনের শহীদ হওয়ার সংবাদে তৎকালীন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আন্দোলনরত সব পেশাজীবী সংগঠন অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলে ওঠে। জেনারেল এরশাদের দীর্ঘ ৯ বছরের দুর্নীতি আর দুঃশাসনের কারণে সাধারণ মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ সেদিন রাজপথে ফেটে পড়ে। গণরোষ গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ফলে এরশাদ সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়। গণমানুষের বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং গণতন্ত্রের শুভ সূচনা হয়।

প্রতিবছর এই দিনে মিলন সম্বন্ধে স্মৃতিচারণামূলক কিছু না কিছু লিখতে হয় আমাকে। মিলনের বিষয়ে লিখতে হলে প্রাসঙ্গিকভাবেই মিলনের রাজনৈতিক চেতনা ও জীবনাদর্শ প্রসঙ্গ চলে আসে। কিশোর বয়স থেকেই মিলন ছিল সমাজসচেতন, স্বাধীন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন দৃঢ় চরিত্রের একজন মানুষ। ১৯৬৯ আর ১৯৭১-এর আন্দোলনমুখর আগুন ঝরানো দিনগুলোর ছোঁয়া মিলনকে স্বদেশের প্রতি বিশ্বস্ত একজন বিপ্লবী দেশপ্রেমী করে তুলেছিল। কৈশোর থেকে ক্রমেই নিজেকে উন্নীত করেছিল দেশের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একজন সংগ্রামী যুবকরূপে। এরপর ওর রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ ঘটতে দেখি।

১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখলের পর যতগুলো রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছিল, তার প্রতিটিতেই মিলনের অংশগ্রহণ ছিল অবধারিত। ১৯৮২ সালে মজিদ খান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন, ১৯৮৪ সালে সামরিক শাসনের অবসান ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে গণ-আন্দোলন, ১৯৮৬ ও ৮৭-র আন্দোলন নিয়ে মিলন ডায়েরিতে লিখেছিল ‘মুক্তিপাগল মানুষের স্রোত নেমেছে রাজপথে। সেই স্রোত ব্যর্থ হয় ষড়যন্ত্রের নীলনকশায়। ১৯৮৭-তেও ব্যর্থ হয় লাগাতার হরতাল। নূর হোসেনের আত্মদান ব্যর্থ হয়ে যায়। ওই মিছিলে দেখেছি রাজনীতির মুখোশ পরা কিছু মানুষ।’ মনে পড়ে সেই মিছিল থেকে মিলন বাসায় ফিরেছিল পিঠে পুলিশের লাঠিপেটার চিহ্ন নিয়ে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে লালন করে মিলন জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিল। স্বপ্ন দেখেছে, বাংলাদেশ হবে সমাজতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় বিশ্বাসী একটি রাষ্ট্র, যেখানে শ্রেণিবৈষম্য থাকবে না, বুর্জোয়া সমাজব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। তাই জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি চিকিৎসকদের পেশাগত আন্দোলনও সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। তাই তো এরশাদ সরকার প্রণীত গণবিরোধী স্বাস্থ্যনীতির বিরুদ্ধাচরণ করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এ সময় ডায়েরিতে লিখেছিল ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মতো একটি মৌলিক ইস্যুকে কিছুতেই গণবিরোধী সরকারের খেয়াল-খুশির ওপর ছেড়ে দেওয়া যায় না।’ দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘ ২৬ বছর নির্বাচিত সরকারের অধীনে দেশ পরিচালিত হলেও আজও জনগণের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বারবার গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়েছে সেনাশাসকদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার কারণে। সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো ভূলুণ্ঠিত হয়েছে পদে পদে। বারবার আমাদের টগবগে তরুণ সন্তানেরা জীবন বাজি রেখে স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আমাদের সন্তানদের রক্তস্রোতে অর্জিত জাতীয় অর্জনগুলো আজও ভূলুণ্ঠিত। বারবার আশাহত সাধারণ মানুষ আজ রাজনীতির প্রতি, রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তরুণেরা আজ অসুস্থ ও সুবিধাবাদী রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

বর্তমানে দেশ বহুমুখী সমস্যায় নিমজ্জিত। অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে হঠাৎ করেই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত—এই দুই শ্রেণির মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করায় সাধারণ মানুষের জীবনে আজ দুর্ভোগ নেমে এসেছে। দেশবাসী যেন ব্যবসায়ীদের হাতে একপ্রকার জিম্মি। প্রশাসনিক কোনো আইন বা নিয়ম এদের বিচলিত করে না। দেশে একটা শ্রেণির কাছে ক্ষমতার লোভ, অর্থের লোভ মানুষের জীবনের চেয়েও বড় বলে মনে হয়। সুবচন আজ নির্বাসিত। দেশে চলছে বিচারহীনতা, দলবাজি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি আর দখলবাজির সংস্কৃতি। শ্রদ্ধেয় প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান তাঁর মৃত্যুর আগে এক নিবন্ধে তাই লিখেছিলেন, ‘দেশ আজ বাজিকরের দেশে পরিণত হয়েছে।’ গুম, খুন, নারী ধর্ষণ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় দাঁড়িয়েছে। বিজ্ঞজনদের মতে, প্রশাসনিক দুর্বলতা আর বিচারহীনতার কারণে এই ঘটনাগুলো ঘটা সম্ভব হচ্ছে। সাম্প্রতিক কালের রোহিঙ্গা ইস্যু ‘গোদের ওপর বিষফোড়ার’ মতো জাতির ওপর চেপে বসেছে।

এত সমস্যার পরও বাংলাদেশ আজ বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতির কারণে বিশ্বদরবারে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। কিন্তু গণতন্ত্রহীনতার কারণে দেশের এই সম্মান ততটা উচ্চতায় পৌঁছাতে পারেনি। আমরা জানি গণতন্ত্র মানে কেবল নির্বাচনের অধিকার নয়, গণতন্ত্রের অর্থ অনেক ব্যাপক, যা সমাজকে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে অনেক ঋদ্ধ করে, আজ দেশে যা অনুপস্থিত। দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে গেছে দেশ।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রস্তুতির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনেও উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ আর ঔৎসুক্যের শেষ নেই। আগামী নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে, এটাই জনগণের প্রত্যাশা। সমাজের সৎ, বিবেকবান, নৈতিকতাবোধসম্পন্ন মানুষ আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় হিংসা-বিদ্বেষহীন, সন্ত্রাস, দুর্নীতিবিহীন একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করবে, এটাই জাতির স্বপ্ন। জনজীবনে সার্বিক নিরাপত্তা ফিরে আসুক, এটাই দেশবাসীর কাম্য।

শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই মাতৃভূমি সম্ভাবনার এক অপার দুয়ার খুলে দিয়েছে আমাদের সম্মুখে। অনেকের মতে, আজকের যুবসমাজের মধ্যে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে। যুবসমাজ আজ লক্ষ্যভ্রষ্ট, দিগ্ভ্রান্ত। অথচ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন—সব কটি জাতীয় আন্দোলনের পুরোধায় ছিল ছাত্রসমাজ, যুবসমাজ। আমাদের রাষ্ট্রীয় যা কিছু অর্জন, তা এই তরুণদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে, এ কথা আমরা ভুলে যেতে পারি না।

প্রিয় মাতৃভূমি আজ বিপর্যস্ত। এই মাতৃভূমিকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে যেতে হবে আমাদের। নবীন-প্রবীণ সব সচেতন বিবেকবান মানুষের মিলিত স্রোতোধারায় এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এ দেশ। তরুণদের উদ্দেশে বলব, ‘এ দেশ তোমার-আমার সবার। ক্ষোভে, অভিমানে মুখ ফিরিয়ে থেকে কালক্ষেপণের সময় নেই আর।’ এখন ‘যৌবন যার, যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার’। মনে রাখতে হবে, শহীদদের স্বপ্ন সার্থক করার দায় আমাদের সবার।

  • সেলিনা আখতার: শহীদ ডা. মিলনের মা।


Friday, November 10, 2017

3 Die as Police Clash With Protesters in Bangladesh


STEVEN R. WEISMAN, Special to the New York Times

Nov 10, 1987 


DHAKA, Bangladesh, Nov. 10 — At least three people were shot and killed by the police here today as thousands of rioters set fire to cars and buildings, and threw bricks and homemade bombs in an attempt to force President H. M. Ershad from office.


At the end of the day of running battles between protesters and the police, the streets of the capital's commercial center were strewn with rubble, and the air was tinged with tear gas and smoke. But the likely effect of the unrest was unclear.

Both sides in the disorders proclaimed victory - the opposition parties because they had carried out a protest ''siege'' of the capital in defiance of a ban on demonstrations, and the Government because President Ershad's position appeared unthreatened, at least for now.

Opposition leaders acknowledged tonight that they had been hampered in their ability to mount the protest, originally conceived as drawing two million participants. The actual number of protesters was in the tens of thousands at most.

In addition to outlawing demonstrations, the Government had closed Dhaka University and shut down incoming bus, rail and ferry transportation. 

Opposition Vows to Fight On

The opposition parties vowed to continue their drive until President Ershad was forced from office, but Government officials predicted that it would abate as many protests had in the past.

''The myth has been exploded,'' asserted M. A. Matin, the Home Minister and a close aide to the President. ''They were supposed to force the Government to resign. They couldn't. The so-called siege degenerated into an act of anarchy, vandalism, arson and an attempt to create civil disorder.''

Leaders of the main opposition parties said the attacks on their members were unprovoked. They called for a nationwide protest strike Wednesday and Thursday.


''He will have to resign,'' Khaleda Zia Rahman, the leader of a coalition of seven opposition parties, said of the President. ''It is a matter of time. We will be out in the streets tomorrow and the day after until he goes.''

The opposition said a total of six people, not three as the Government said, had died from police gunfire. But the report was impossible to verify because the police had taken possession of the bodies. Nearby hospitals reported two people with gunshot wounds and dozens of others with injuries from the rioting.

The opposition said dozens were wounded by gunfire. 

A Turbulent History

Bangladesh, one of the world's poorest and most densely populated countries, has had a history of natural disasters, riots, assassinations, coups and coup attempts since it broke from Pakistan to become an independent nation in 1971.

President Ershad was the army's Chief of Staff when he seized power in 1982; he was elected President last October in a day of voting marked by charges of fraud.

Anti-Government parties renewed agitation against President Ershad last summer, culminating in 3 days of strikes in which 10 people were killed. But protests subsided when Bangladesh was hit by the worst floods in 40 years.

This fall, the opposition tried to revive the protest drive with what it termed a siege of the capital. The authorities reported arresting more than 1,100 people for political activities in the last few days; the opposition said the number was more than 5,000.

An unusual aspect of these protests was the unity among political parties of all ideologies, except for the ruling National Party of President Ershad. Anatomy of a Protest

The day began peacefully, with small groups marching noisily through the downtown area, occasionally broken up by riot police officers wielding clubs and shields or firing tear gas. By mid-morning, demonstrators were throwing bricks and homemade bombs, and the police were firing back with blanks.

The police later resorted to bullets in ''self-defense,'' Government officials said; opposition spokesmen said the firing was unprovoked.



বাংলাদেশে নিখোঁজদের কেন আর সন্ধান মেলে না?

ফারহানা পারভীন

বিবিসি বাংলা, ঢাকা

নভেম্বর ৯, ২০১৭


নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার পুলিশের কাছ থেকেও প্রত্যাশিত সহযোগিতা পান না বলে অভিযোগ।
 ফটো - MUNIR UZ ZAMAN


বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক ড. মোবাশ্বার হাসান নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পরেও তাঁর কোন হদিশ পাওয়া যায়নি এখনো।

মি. হাসানের এই নিখোঁজের ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটছে যখন বাংলাদেশে নিখোঁজ ও গুম হয়ে যাওয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে।

একটি মানবাধিকার সংগঠন বলছে এই বছরে প্রথম নয় মাসে ৫০ জন নিখোঁজ হয়েছেন বলে তাদের পরিবার পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা হয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন এসব নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ বের করতে পারে না?
২০১১ সালের নভেম্বর মাসে এক সকালে সন্তানকে স্কুলে ছেড়ে আসার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন কে এম শামীম আখতার।

বাসা থেকে বের হয়ে কিছু দূরে যেতেই কয়েকজন তাকে নিয়ে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। আজ ছয় বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে, কিন্তু মি. আখতার আর বাড়ী ফেরেন নি।

মি. আখতারের স্ত্রী ঝরনা খানম বলছিলেন ঘটনার পর পরেই তিনি থানায় যান জিডি করতে। কিন্তু মিসেস খানম যে স্বামী নিখোঁজের যে বর্ণনা দিয়েছিলেন সেভাবে পুলিশ জিডি করতে চায়নি।

পরে পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী তাকে জিডি করতে হয়। কিন্তু ঘটনার সাড়ে ছয় বছর পার হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি তার স্বামীর কোন খোঁজ পাননি।

ঝরনা খানম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবখানে অভিযোগ নিয়ে গেছেন। যদিও তার দাবি মি. আখতারের একটা রাজনৈতিক পরিচয় ছিল সে কারণে হয়তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মি. আখতারকে তুলে নিয়ে গেছে।

বাংলাদেশে নিখোঁজ, অপহরণ,গুম এসবের ঘটনা নতুন না। দেশে এবং আন্তর্জাতিক ভাবে বার বার উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে।

বাংলাদেশে একজন নাগরিক নিখোঁজ বা অপহরণের শিকার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ করতে কতটা সক্ষম?

বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজি মো. নুরুল হুদা বলছেন 'মিসিং পারসন স্কোয়াড' নামে একটা উইং থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে। সেটার মাধ্যমে শত ভাগ না হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ৯০ জন গুম হয়েছেন।

আর দেশের মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই নয় মাসে নিখোঁজ হয়েছেন ৫০ জন।

মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বলছিলেন তাদের পর্যবেক্ষণে তারা দেখেছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার জিডি করতে গেলেও যথেষ্ট সহযোগিতা পান না।

নিখোঁজদের পরিবারের অনেকের অভিযোগ রয়েছে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তাদের স্বজনদের নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু পরে দীর্ঘ সময়, এমন কী বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায় না।
সাবেক আইজিপি মি.হুদা বলছিলেন, "অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে সেগুলো বের করা যায় তবে বিষয়টা সত্যিই উদ্বেগজনক।"

এদিকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো বলছে গত আড়াই মাসে বাংলাদেশে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থীসহ মোট নয়জন নিখোঁজ হয়েছেন।
x