Search

Thursday, January 4, 2018

Airports lack proper websites despite thrust on digitalisation



Despite the government's thrust on digitalisation and wooing more foreign tourists, none of Bangladesh's airports has a proper website where passengers can get information before starting their travel, reports bdnews24.com.

Aviation experts and people in the tourism sector say it is a must for the airports to have updated information on their websites for the foreign tourists and airlines.


Civil Aviation and Tourism Minister Rashed Khan Menon himself is not aware that the airports have no website.


The premier one, Hazrat Shahjalal (RA) International Airport in the capital, has a website - hsia.gov.bd - but the site is down for two months.


Shah Amanat International Airport in Chittagong and Osmani International Airport in Sylhet have no website.The condition is same at airports for domestic flights in Rajshahi, Jessore, Syedpur, Cox's Bazar and Barisal.

People usually visit airport websites to know flight schedules. They visit these websites also to check notices, from emergency ones to those on lost luggage.

When asked why the airports in Bangladesh do not have any website, Minister Menon claimed those airports have websites with information. But he later retracted his statement and said he would check the issue and take measures.

Kazi Iqbal Karim, a director of the airport, said it had no 'official' website and the 'unofficial' one was not working either. "I hope it will be okay within two to three days," he said.


The Tour Operators Association of Bangladesh or TOAB Director Taslim Amin Shovon said overseas visitors plan a tour after checking information about various things - from the weather forecast to security, and hotel and airport facilities.


"All the airports must have websites. If the input of the airlines can be provided on a single platform, everyone will benefit," he said.

Aviation experts said the foreign airlines would be encouraged to take fuel and technological facilities from Bangladeshi airports if those had websites. They said the websites of airports also needed to have real-time information on flight schedules and ways to contact the authorities.

Nafees Ahmed Imtiazuddin, a former director of Biman Bangladesh Airlines, said most of the airports in the world have their own websites. He said the Access to Information or a2i programme under the Prime Minister's Office was supposed to make websites for all the government offices, including the civil aviation ministry and authority.

According to the Civil Aviation Authority of Bangladesh or CAAB, 16,473 Biman flights and 48,502 of foreign airlines flew from or to Hazrat Shahjalal (RA) International Airport in 2016-2017 fiscal year.

CAAB Chairman M Naim Hassan said they had a plan to make websites for the airports. "The websites will be launched," he said. The government observed 2016 as Tourism Year to develop the sector.

  • Courtesy: The Financial Express, Jan 04, 2018 


Wednesday, January 3, 2018

ওদের কান্নায় আরশ কাঁপে


কাদের গণি চৌধুরী



বছরের পয়লা দিন। স্কুল পড়ুয়া শিশুরা সেজে-গুজে নতুন বইয়ের জন্য ছুটছে স্কুলে। বই পেয়ে ওরা আনন্দে আত্নহারা। নতুন বই হাতে শিশুরা হাসছে, নাচছে, গাইছে। স্কুলে স্কুলে চলছে উৎসব। কোনও এক জাতীয় দৈনিক এনিয়ে কাব্যিক শিরনাম করেছে:  "চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙ্গেছে, উছলে পড়ে আলো"।

কিন্তু হবিগঞ্জের সুমিদের মুখে সেদিন হাসি ছিল না। ছিল চোখেমুখে বি‌ভীষিকার ছায়া । চাঁদের হাসি নয়, ওদের মাথায় ভেঙ্গে পড়েছে আকাশ। সরকারের লেলিয়ে দেয়া পেটোয়া বাহিনী ওদের বাবাকে গুলি করে হত্যা করেছে। সে সঙ্গে ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে সুমিদের চার ভাইবোনের স্বপ্ন।

আর কোন দিন বাবার আদর জুটবেনা তাদের ভাগ্যে। বাবার হাত ধরে আর কোন দিন ঈদগাহে যেতে পারবেনা সুমির ছোট ভাইটি। একমুঠো চকলেট নিয়ে এসে উঠোন থেকে সুমি বলে আর কেউ ডাকবেনা। 

বাবার কাছে সুমির বায়না ছিল পিএসসি পাস করলে যেন সুন্দর দেখে একটি স্কুল ব্যাগ কিনে দেওয়া হয়। বাবা বলেছিল.  দেবো মা। পিএসসিতো পাস করেছে, কিন্তু কে কিনে দেবে স্কুল ব্যাগ। কে নিয়ে যাবে স্কুল ছুটিতে বেড়াতে?

সুমির বাবা ইউনুস আলী হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ছাত্রদলের এক সময়ের ডাকসাইটে নেতা। ছাত্ররাজনীতি ছেড়ে যুবদলের রাজনীতিতে যোগ দেন বছর কয়েক আগে। দলীয় কাজে যেমন সক্রিয় ছিলেন, তেমনি মানুষের সুখ-দুঃখে সব সময় পাশে থাকতেন।  চুনারুঘাটের এ কৃতিসন্তান বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জননন্দিত এ নেতাকে টার্গেট করে।প্রতিবাদী কন্ঠকে স্তব্ধ  করতে নানান মামলায় জড়ানো হয় তাকে। একে একে এগারটি মামলা দেয়া হয়। সম্প্রতি তিনি সব মামলায় জামিনে মুক্তিও পান । কিন্তু কে জানতো এ জামিন কেবল বিচারিক আদালতের। অাদালতের বাইরে তার  প্রাণ কেড়ে নিতে ওঁত পেতে আছে সরকারের বাহিনী। ১জানুয়ারি রাত সোয়া ১২টায় পুলিশ ধরে নিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে বিরোধী দলের এ সক্রিয় কর্মীকে।

বড় মেয়ে সুমি  পিএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে শুনে রবিবার ইউনুস বাড়ীতে আসেন। মেয়ে বুকে টেনে নিয়ে আদর করেন।হাতে গুঁজে দেন চকলেট। বললেন  এসপ্তাহে তোদের স্কুল ব্যাগ কিনে দেব। তার পর ইউনুছ ৪বাচ্চাকে সাথে নিয়ে ঘুরতে বের হন।  কে জানত এটিই বাবার হাত ধরে তাদের শেষ ঘোরাঘুরি। 

শহীদ ইউনুছ আলীর বড় মেয়ে সুমি ৫ম শ্রেণী পাস করলো। আর ছেলে ও মেজ মেয়ে মাত্র তৃতীয় শ্রেনীতে। ছোট মেয়ে মায়ের অবসরের সঙ্গী।শহীদ ইউনুছ আলী একেবারে তৃনমূল থেকে উঠে আসা শহীদ জিয়ারআদর্শের এক সৈনিক। ছাত্রদল থেকে উঠ এসে সর্বশেষ চুনারুঘাট পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এর দায়িত্ব পালন করেছেন । বিএনপির অন্য নেতাদের মতো ১১টি রাজনৈতিক ও ভূয়া মামলা দেয়া হয় তার বিরুদ্ধে। 

সব মাললায় মুক্তি পেলেন বেকসুর। তবে কেন ক্রসফায়ারে হত্যা করা হলো ইউনুস আলীকে?

সেই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেলো এক নির্মম কাহিনী।

গত সাড়ে ৫ মাস আগে যুবদল নেতা ইউনুস অালীকে  গ্রেপ্তার করতে তার বাড়ী অভিযান চালায় পুলিশ । এই সময় ইউনুছ আলীকে না পেয়ে তার ৭ বছর বয়সী মেয়ে ও স্ত্রী উপর শাররিক ও যৌন নিযার্তন চালায় চুনারুঘাটের এসআই দেলোয়ার হোসেন ও তার সঙ্গী পুলিশ সদস্যরা । পরে  ইউনুসের স্ত্রী বাদী হয়ে কোর্টে মামলা করেন চুনারুঘাট থানা এসআই দেলোয়ার হোসেনসহ অভিযুক্ত অন্য পুলিশ সদস্যের নামে । আর সেটাইকাল হয়ে দাঁড়ায় ইউনুছের পরিবারের । গত ২ মাস আগে কোর্ট আত্মসমর্পণ করেন ইউনুছ এবং সব মামলা জামিন পেয়ে মুক্ত হয়।এইদিকে এসআই দেলোয়ার হোসেন ইউনুছের স্ত্রীকে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করেন এবং মামলা না তুলে পুরো পরিবারকে হত্যা করা হবে বলে বিভিন্ন সময় হুমকি দেন।

ইউনুছ তার মেয়ে এবং স্ত্রীর উপর শারীরিক  ও পাশবিক নিযার্তনকারী  এসআই দেলোয়ার হোসেন নামে দায়ের করা মামলা তুলবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্দ হন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস আই দেলোয়ার। গত পরশু এসআই দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব একটি টিম তুলে নিয়ে যায় ইউনুছকে বাড়ী থেকে। একদিন পর গতকাল ক্রসফায়রে হত্যা করে তাকে। এরপর মাদক ব্যবসায়ী বলে পোষা মিডিয়াতে চালিয়ে দেয় । 

গতকাল ইউনুছের চার সন্তানের আর্তনাদে বাতাস ভারি হয়ে উঠে।  বাবার রক্তাক্ত লাশ সামনে রেখে বিলাপ করছে অবুঝ এ শিশুরা। তাদের একটি প্রশ্ন কেন বাবাকে হত্যা করা হলো? তার স্ত্রী ও পাড়া-পড়শীদেরআহজারিতে  আল্লাহর আরশও যেন কাঁদছিল।

একবৃদ্ধা বিলাপ করছিলেন আর বলছিলেন - হে আল্লাহ তুমি কি পাষাণ হয়ে গেলে? আমরা যে এ শিশুদের কান্না আর সইতে পারছিনা। এ নিষ্ঠুরতার বিচার কি তুমি করবে না?


Living cost in Dhaka rose 8.44% in 2017, CAB report says



Living cost rose by 8.44 percent in Dhaka in 2017 because of hike in prices of rice, vegetables, house rents, electricity, gas as well as other services, said Consumers Association of Bangladesh (CAB).

The latest spike was higher than in 2016 when cost of living rose by 6.47 percent and cost of services went up by 5.81 percent respectively.

The consumers’ representative body said it has not included expenses on education, health and real transport in its estimate.

The CAB prepared the report by collecting price data from 15 markets in Dhaka on 114 food items and 22 products for daily usage. It also took into account the cost of 14 services including gas, electricity and water to prepare the report.

Food prices particularly rice soared at higher rate in 2017 than the previous year, said CAB President Ghulam Rahman at a press conference at Dhaka Reporters’ Unity (DRU), unveiling CAB’s annual report on cost of living in Dhaka.

In 2017, cost of services including electricity, gas and water increased by 7.17 percent compared to the figures from 2016, said CAB.

House rents went up by 8.13 percent in 2017 compared to the previous year, it added.


  •  Courtesy: The Daily Star, Jan 03, 2018 

Tuesday, January 2, 2018

আধিপত্যমুক্ত পরিবেশ চাই





দেশের ছয়জন বিশিষ্ট আইনজীবী বলেছেন, দীর্ঘ কালক্ষেপণের পর অধস্তন আদালতে বিচারক নিয়োগ ও বদলির বিধিমালা এমন একটি সময়ে করা হয়েছে, যখন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পদটি শূন্য। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগের সঙ্গে প্রয়োজনীয় অর্থবহ পরামর্শ ছাড়া এটি প্রণয়ন করা হয়েছে। তাঁরা মনে করেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অধস্তন আদালতকে ১৯৯৯ সালের আগের যুগে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে সোমবার, জানুয়ারি ১, গণমাধ্যমে দেওয়া এক বাণীতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা এসব কথা বলেন। ছয় আইনজীবী হলেন ড. কামাল হোসেন, রফিক-উল হক, আমীর-উল ইসলাম, মইনুল হোসেন, এ এফ হাসান আরিফ ও ফিদা এম কামাল।

বাণীতে আইনজীবীরা বলেন, ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট উদ্বোধন করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এবার প্রথম সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালিত হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার, জানুয়ারি ২। এমন এক সময়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে, যখন এ দেশের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ অভিভাবক প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য।

বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগের আধিপত্য ও হস্তক্ষেপমুক্ত একটি পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানান এই ছয় আইনজীবী। তাঁরা আশা করেন, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের মাধ্যমে অধস্তন আদালতকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক্‌করণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতের দিকনির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগ সংবিধান ও সর্বোচ্চ আদালতে রায়ের প্রতি সম্মান দেখাবে।

বিভিন্ন মামলার রায় ও সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহ্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে এই আইনজীবীরা বলেন, সম্প্রতি মাসদার হোসেন মামলার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি পুনরায় স্মরণ করতে গিয়ে দেখা যায়, অধস্তন আদালতের ক্ষেত্রে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিধি প্রণয়নে সংবিধানের মূলধারার বিচ্যুতি হয়েছে। এটা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। কারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্বকীয় অবস্থানের জন্য সংবিধান যে সুরক্ষা দিয়েছে, তা সংরক্ষণ/বাস্তবায়ন করা সর্বোচ্চ আদালতের দায়িত্ব। দীর্ঘ ৪৬ বছর কালক্ষেপণের পর এই বিধিগুলো বর্তমানে অধস্তন বিচার বিভাগের জন্য সরকার সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৩৩ অনুযায়ী করেছে। অথচ ওই ১৩৩ অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কর্মচারীদের নিয়োগ ও কর্মের জন্য প্রণীত হওয়ার বিষয়টি সংবিধানের কর্ম বিভাগের জন্য প্রযোজ্য।

বাণীতে বলা হয়, অধস্তন আদালতে বিচার বিভাগীয় পদে নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ, পদোন্নতি প্রদান, ছুটি মঞ্জুরিসহ শৃঙ্খলা বিধানসংক্রান্ত বিষয় সংবিধানে দুটি অনুচ্ছেদ ১১৫ ও ১১৬-তে পৃথক ভাগে বিচার বিভাগের অংশে প্রণীত আছে। তবু এই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে অধস্তন বিচার বিভাগের বিচারকদের নির্বাহী বিভাগের অধস্তন হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, যা ক্ষমতার পৃথক্‌করণ নীতির লঙ্ঘন, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এই আইনগুলো সংবিধানের অধীনে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগের (আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ) সঙ্গে যথাযথ পরামর্শ ছাড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।

বাণীতে তাঁরা আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে জনগণ ও সুশীল সমাজকে সচেতন করার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের ঐকমত্যের মাধ্যমে একত্র হয়ে দেশের সাংবিধানিক ভারসাম্য রক্ষা করার প্রচেষ্টাকে একত্র করে দৃঢ় ও সংকল্পিতভাবে জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করা এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর ভিত্তিতে একটি উপযুক্ত স্বাধীন ও পৃথক বিচার বিভাগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা ব্যতীত অন্য কোনো বিকল্প নেই।’


  • সৌজন্যে - prothomalo.com 


Lower courts' freedom undermined by 3 rules


Lower judiciary made subordinate to the executive, said six leading jurists. Dr Kamal Hossain and five other leading jurists of the country Monday, January 1, said that lower courts have been made subordinate to the executive by three "cardinal" rules.

The independence of the judiciary has been undermined and the separation of power has been violated by the rules, they said in a statement, without naming the rules.

The other five jurists are Rafique-ul Huq, M Amir-Ul Islam, Mainul Hosein, Fida M Kamal and AF Hasan Ariff. The statement was issued on the occasion of Supreme Court Day.

Later talking to The Daily Star, Barrister M Amir-Ul Islam and Advocate AF Hasan Ariff said the three rules included recently-formulated “Bangladesh Judicial Service (Discipline) Rules 2017”.
On December 11 last year, the government finally issued a gazette notification on the discipline of lower court judges, keeping the president's authority over their conduct.

The president will make necessary decisions in consultation with the Supreme Court, and the law ministry will implement those, a high official of the ministry said interpreting the contents of “Bangladesh Judicial Service (Discipline) Rules 2017”.

On Monday (Jan 1), the six jurists said in the statement: “While we recall the important decision in Masdar Hossain's case, we cannot but express grave concern that the protection extended by that decision to the independence of the judiciary has been undermined by three cardinal Rules as are to be made under Article 115 & 116 [of the constitution] for the subordinate judiciary now framed under Article 133 under the Execute Chapter, thereby treating the Judges of the subordinate judiciary having been made subordinate to the executive branch.

"It has thus violated the scheme for separation of power further sanctified by the judgment in Masder Hossain Case.

“Those Rules as are mandated under the Constitution now framed in a non-transparent manner and without due deliberations, nor following effective consultations with both Divisions of the Supreme Court of Bangladesh,” the legal experts said.

They also said, “The subordinate judiciaries' appointment and transfer have thus been placed under the Executive Branch [Chapter-II - The Prime Minister and Cabinet]. This being done while the seat of Chief Justice kept vacant creating a void thereby in the Republic itself. In the process judiciary has been placed under the authority and control of the Executive Branch taking the country back in 1999 in the Pre 'Masder Hossain' era."

The statement adds, “We are observing Supreme Court Day on January 2, 2018, in commemoration of the opening of this Supreme Court by Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman on 18th December 1972.

At this juncture the Supreme Court is without its head [chief justice] and judicial organ of the republic continue to remain without the chief Justice."

“Yet, on this occasion we feel proud of sharing the rich heritage of Bangladesh Supreme Court while protecting and defending fundamental rights of the people. [SC] also rose to the occasions in preserving, protecting and defending the Constitution along with integrity, independence and separation of Judiciary, with particular mention to some of those judgments among many others (a) holding the Eighth Amendment to the Constitution purporting to fragment the High Court Division having been declared as ultra vires to the unitary character of the Republic when the High Court Division was fragmented in Seven Divisional Head Quarters (b) the Fifth & Seventh Amendment Case, declaring Martial Law proclamation ultra vires to the Constitution, (c) the decision which saved the Chittagong Port from being leased out for over 100 years to a foreign company , (d) the decision which declared void the voters' list which had contained more than 1,40,00,00 false votes in 2007  and indeed the recent judgment holding the Sixteenth Amendment [parliamentary removal of judges of Supreme Court] to be void.

These landmark decisions continue to act as the beacon for upholding the supremacy of the Constitution for all times to come by defining and identifying basic structure of the constitution which are not amenable to any amendment, the statement said.

For the first time in history, Bangladesh is celebrating Supreme Court Day today.
The SC authorities are set to organise a meeting at the Supreme Court Judges' Sports Complex this afternoon to observe the Supreme Court Day.

President Abdul Hamid is scheduled to attend the meeting as chief guest, while Justice Md Abdul Wahhab Miah, performing functions of the chief justice and other judges of both the Appellate and High Court divisions will attend the occasion.


  • Courtesy: The Daily Star, January 02, 2018 



Monday, January 1, 2018

Rights situation remains alarming

ASK sees continuing violation of human rights in last 4 years

Rafiul Islam




The overall human rights situation in the country was as alarming in the just concluded year as it had been in the past three years, according to rights body Ain o Salish Kendra. Incidents of extrajudicial killings, enforced disappearances and violence against women and children persisted throughout last year.

Though the country witnessed a continuation of economic and socio-cultural development, there wasn't much progress on civic and political fronts, according to an annual report released yesterday by ASK at the Dhaka Reporters' Unity.

The report, based on media reports and ASK's own investigations, shows an alarming overall state of the country's human rights situation. And Bangladesh had to pay for it too.

Former National Human Rights Commission chairman Prof Mizanur Rahman told The Daily Star that it is not possible to have sustainable development without protection of human rights.

“True development is human development. Human development is not possible without respecting human rights,” he added.

The Dhaka University Prof also said “The state must be responsive to the needs and to the dignity of its citizens…there has to be strong bond between the state and citizens. The bond can only be through respect for human rights” 

The Daily Star analysed ASK's reports of the previous three years and found the rights body was advocating for improvement of the human rights situation coming up with almost same findings each year. 

ENFORCED DISAPPEARANCE AND ABDUCTION
Though the number of incidents of abduction and enforced disappearance decreased in last year, people of different professions fell victim of it, according to ASK. Whereas political leaders and activists were mainly the victims in previous years, this year people from all walks of life were targets.

“It is alarming and a matter of grave concern that common people, including a teacher and a journalist, went missing last year. We previously thought that the non-partisan people should have no fear of it but those days are gone,” said Sheepa Hafiza, executive director of ASK, while disclosing the findings.

According to the report, at least 60 people fell victim to abduction or enforced disappearances last year.

Bodies of two such victims were recovered later, eight were claimed to have been arrested by law enforcers, seven returned home while the rest are still missing.

The 60 people include former Bangladesh ambassador to Vietnam Maroof Zaman, North South University teacher Mubashar Hasan, journalist Utpal Das and businessman Aniruddha Kumar Roy.  The ambassador is one of those who still remain missing. 

EXTRA-JUDICIAL KILLINGS
In 2017, at least 162 people were killed in “crossfire”, “shootout”, and “gunfight” with law enforcement agencies or while they were in their custody, a decrease compared to 195 people in the previous year. The number of such deaths was 192 in 2015 and 128 in 2014.
ASK demanded the formation of an independent commission to investigate incidents of enforced disappearances, abductions, mysterious disappearances and extra-judicial killings.

The National Human Rights Commission is yet to find an answer for the relatives of victims of 154 incidents of enforced disappearances, custodial torture and deaths, extrajudicial killings and other rights violation from 2012 till last year. It did not get investigation reports on those incidents even after writing as many letters.

RAPE AND VIOLENCE AGAINST WOMEN AND CHILDREN
The report said the number of rape, sexual assaults and incidents of violence against women were higher in 2017 than the last couple of years. A total of 818 women were raped across the country, among which 47 were killed and 11 committed suicide.

A total of 255 women were victims of sexual assaults. Among those, 12 committed suicide, and three women among 13 were killed when they tried to protest against the crime.

A total of 303 women became victims of violence over dowry, among which 145 were killed and 10 committed suicide. Also, 441 women were victims of domestic violence, including 270 who were murdered by their in-laws and 34 were killed by their own family members. 57 victims of such crimes committed suicide.

Besides this, 10 women became victims of fatwa, 43 house helps were tortured among whom 26 died. 32 women were victims of acid attacks which saw the death of one.

ATTACK ON MINORITY COMMUNITY
A total of 258 cases of attacks on minorities, including those against Hindu communities, took place this year. The number was 391 in 2016, 317 in 2015 and 1201 in 2014. In 2014, the general elections were held and the country saw the highest number of attacks on minority communities.

The incidents included attacks on and vandalism of 212 Hindu idols, 45 houses and 21 businesses of people from the Hindu community across the country. One Narayan Chandra Das in Hatiya of Noakhali was killed over extortion.

FREEDOM OF EXPRESSION
Freedom of expression is a constitutional right but it was violated on several occasions, ASK said, adding that government vigilance on different mass and social media under the controversial section 57 of the  Information and Communication Technology (ICT) Act continued this year.

The rights body observed that the proposed Digital Security Act also includes regulations similar to section 57 of the ICT Act, which hinders the freedom of expression of people.

A total of 54 people were sued under section 57 of ICT Act in 2017, it said.

REPRESSION OF JOURNALISTS
A total of 122 journalists across the country faced repression and assault by law enforcers, influential people, local representatives, criminals, political activists and government officials, while performing their duties last year, which was higher than that of 117 in 2016. 
  •  Courtesy: The Daily Star (slightly abridged),
    January 01, 2018


গুম আতঙ্কে বছরজুড়ে অনেকেই নির্ঘুম

শেখ সাবিহা আলম/ প্রথম আলো 


গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও গুম আতঙ্ক পিছু ছাড়েনি। শুরুর দিকে আতঙ্কে ছিলেন চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। ক্রমে রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সেই ভীতি ছড়ায়। এ বছরের শেষ ভাগে এসে গুমের তালিকায় যুক্ত হয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, রাষ্ট্রদূত, চিকিৎসক, শিক্ষক ও সাংবাদিকের নাম।


মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাবে এ বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গুমের শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ৭৫ জন। তাঁদের মধ্যে পরে ৩৫ জনের হদিস পাওয়া যায়, উদ্ধার হয় ৭ জনের মৃতদেহ। এখনো নিখোঁজ ৩৩ জন। যে ৩৫ জনের হদিস পাওয়া গেছে তাঁদের মধ্যে আবার কমপক্ষে ১৬ জনকে পরে আদালতে উপস্থাপন করেছে পুলিশ বা র‍্যাব। আদালতকে বলা হয়েছে, এক দিন আগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রতিটি ঘটনায় স্বজনেরা গুমের যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা অভিন্ন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তাঁদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবশ্য ‘অজ্ঞাত অপহরণকারীরা’ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবারগুলো। আত্মীয়স্বজনেরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বা অপহরণের মামলা করেছেন। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবগুলো শাখায় ধরনা দিয়েছেন। গিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোয়। সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের কাছে স্বজনকে ফিরে পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

গুম হওয়ার পরপর পুলিশ-র‍্যাব ‘দেখছি’, ‘খুঁজছি’, ‘আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি’ এমন শব্দ ব্যবহার করে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। একসময় সব পক্ষের উদ্যোগ থিতিয়ে গেছে। পরিবারগুলো ব্যক্তিগতভাবে স্বজনের ফিরে আসার অপেক্ষা করেছে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে-পরে যাঁরা গুম হয়েছিলেন, তাঁদের স্বজনেরা এ বছর কমপক্ষে তিনটি সমাবেশ করেছেন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ওই সমাবেশগুলোর খবর ফলাও করে প্রচার হয়েছে।

ফিরে আসা দুজন অপহরণকারীদের সম্পর্কে বলেছেন, তাঁরা পেশাদার। জামালপুরের সরিষাবাড়ির মেয়র রুকনুজ্জামান রুকন ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায় দুজনেরই মত ছিল এমন। রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান নিখোঁজের ঘটনায় তাঁর মেয়েরাও এ কথা বলেছেন। ছোট মেয়েকে বিমানবন্দর থেকে আনতে যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন। তাঁর গাড়িটি পাওয়া যায় ‘তিন শ ফুট’ নামক সড়কের ওপর। বাসা থেকে যাঁরা মারুফ জামানের ল্যাপটপ, সিপিইউ ও স্মার্টফোন নিয়ে যান, তাঁরা সিসিটিভি ক্যামেরা এড়ানোর কৌশল খুব ভালোভাবে জানেন বলেও জানায় মারুফ জামানের পরিবার। কিন্তু এই ‘পেশাদার অপহরণকারী’ কারা, সে সম্পর্কে কখনোই কিছু জানা যায়নি।

এ বছরের জুলাই মাসে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ‘উই ডোন্ট হ্যাভ হিম: সিক্রেট ডিটেনশনস অ্যান্ড এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে সংস্থাটির এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলো তথ্য-প্রমাণসমৃদ্ধ, কিন্তু তারপরও সরকার আইনের শাসনের দিকে না তাকিয়ে ঘৃণিত এ কাজটি করে চলেছে।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো বরাবর অভিযোগ অস্বীকার করে গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যাঁদের ব্যাপারে বলা হয়েছে, তাঁরা নানা কারণে স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছেন। অবশ্য বছরের শেষার্ধে নিখোঁজদের ফিরে আসার পর তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণেই তাঁদের ফিরে পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

তবে বছর শেষে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ এবং পরে ফিরে আসা সাংবাদিক উৎপল দাস ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোবাশ্বার হাসানের পরিবার বলেছে, মুক্তিপণের জন্য তাঁদের অপহরণ করা হয়েছিল। ধনাঢ্য ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায় বলেছেন, তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার তাঁকে অপহরণ করিয়েছেন। যদিও আগে পরিবারগুলো মুক্তিপণের বিষয়ে গণমাধ্যমকে কিছু বলেনি।

বলতে গেলে কেউই তাঁদের অজ্ঞাতবাস সম্পর্কে মুখ খোলেননি। তাঁরা সংবাদমাধ্যমকে যথাসম্ভব এড়িয়ে গেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মত প্রকাশে ছিলেন সাবধানী। স্বামী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া ও ফেরার তিন বছর পর এ বছরের আগস্টে একটি সেমিনারে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘যদি একটা অপহরণের ঘটনাই হতো শেষ অপহরণের ঘটনা, তাহলে অবশ্যই যাঁরা অপহৃত হয়েছেন, তাঁরা এবং তাঁদের পরিবার কথা বলতেন। একটা অপহরণের ঘটনা সারতে না সারতেই যদি দেখেন ৭ জন অপহরণ হয়েছেন, তা-ও আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে এবং এমন পর্যায় থেকে, যাকে আপনি ফেলে দিতে পারবেন না...এটা তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কালচারের ভেতরে ঢুকে গেছে।’


  • ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭  


Sunday, December 31, 2017

No relief from high food prices in 2018

Sohel Parvez/ The Daily Star  

December 31, 2017 




Inflation is likely to edge upwards in 2018 upon food price rises, according to economists, in a projection that is bound to cast a gloom upon the low-income families.

“The economy has been overheating with actual growth exceeding the potential growth rate,” said Zahid Hussain, lead economist of the World Bank's Dhaka office.

This has been compounded by supply shocks due to recurring floods, increase in import prices and exchange rate depreciation of late. “Consequently, given an expansionary fiscal policy, inflation can be expected to rise in 2018 as global commodity prices pick-up further.”

The prediction comes at a time when inflation is on the rise: it rose to 6 percent in October this year from 5 percent in December 2016, driven mostly by food price spiral.

Inflation needs to be brought down to 5 percent or less to make the lives of the low-income group bearable and to keep the economy competitive internationally, he said. Subsequently, with the view to preventing fuelling excess demand in the economy, Hussain advised the central bank to continue with the cautionary monetary policy it had announced in July for the rest of the fiscal year. 

Some 5.2 lakh people have fallen into poverty due to the rise in the price of the staple rice this year, according to Selim Raihan, professor of the Dhaka University's department of economics.

The retail price of a kilogram of coarse rice, which was Tk 35.84 in January this year, hit Tk 47.78 in September for crop damage from recurrent floods and depleted public stocks, according to the Food and Agriculture Organisation. Rice production will decline in Bangladesh in fiscal 2017-18, he said citing estimates from FAO and the US Department of Agriculture.

“My estimates using economic models show that there is likely to be a rise in headcount poverty rate by 0.32 percentage points due to the rice price rise this year,” said Raihan, also the executive director of South Asian Network on Economic Modelling.

Subsequently, he called for forming a 'Rice Policy' with respect to production, import, supply management and strategic agreements with the rice exporting countries.

Apart from inflation, the possible revival of political unrest in the run-up to the national election at the beginning of 2019, the deepening of the Rohingya crisis and further weakening of corporate governance in the banking sector pose risks to the economy in 2018, Hussain said.

In another development this year, the pace of poverty reduction and job creation slowed down. “However, the pace of poverty reduction has slowed and income inequality has increased, particularly in rural areas.”

The development is not entirely unexpected as the challenge of poverty reduction generally tends to get tougher the more poverty is reduced, the WB economist said. “It is a wake up call against complacence.”

The lives of the general public in Bangladesh are affected on the economic front critically by the availability of jobs and the trends in consumer prices. “All indications are that job creation has slowed significantly in recent years,” Hussain added.

The flood, which affected 34 of the 64 administrative districts of Bangladesh, imposed economic hardship on millions of farmers and households. “Even though rice prices were relatively high throughout the year, most of it is likely to have been appropriated by the middlemen rather than the farmers,” Hussain said.

Both the economists also expressed concerns about the performance of the banking sector.

“We are highly concerned about the rise in scams in the banking sector and the non-performing loans. These are reflections of weak regulation, political patronage and a lack of vision,” Raihan said.

The Banking Companies (Amendment) Act-2017 that has allowed four family members on a bank's board for nine consecutive years will increase the sector's fragility even more.

“There is a need for a political will, proper regulation, empowering the Bangladesh Bank and speedy trial of financial crimes,” Raihan added. 

Hussain said the banking sector is ailing badly and moved in the wrong direction in 2017.

He cited the BB's Financial Stability Report 2016 that was released in July this year to further his point.

The report revealed that when exposed to various credit shocks, 23 out of 49 banks would become under capitalised mainly due to defaults by large borrowers.

“This was a clear and intellectually honest official admission of the true gravity of Bangladesh's banking sector.”

A whopping 10.7 percent of the banking sector's total outstanding loans are reportedly in the default zone, Hussain said.

“But the figure would increase very significantly once restructured, rescheduled loans and write-offs are factored in.”

Bailouts of banks using taxpayers' money continued this year in spite of the fact that bailouts have time and again proven to be ineffective, Hussain said. “The authority's lack of readiness to seriously recognise and address root causes behind the banking sector is most worrisome,” he added.

- (Slightly abridged) 

Gana Forum demands govt. accountability


Gana Forum leaders on Friday blamed the incumbent cabinet and parliament members for destabilising the country’s economy and social security.

Addressing a discussion at Institute of Diploma Engineers Bangladesh auditorium in Dhaka, the party’s central leaders urged people to get united against the misrule. 

Although, the party chief Dr Kamal Hossain said he would prefer peaceful dialogue with the concerned authorities in search of accountability and good governance.

Chair of the discussion Kamal Hossain said the finance minister should reveal the name of perpetrators who took away Bangladesh’s reserve in New York and also looted other state-owned banks. 

The party’s executive president, Subrata Chowdhury, came down hard on the government for allowing loyal politicians and businessmen in looting public money by. 

Citing that the government was blocking every means of democratic practices, former Awami League organising secretary Sultan Mahmood Mansur said, ‘The persons currently leading the ruling party do not carry the ideals of Bangabandhu [country’s founding president Sheikh Mujibur Rahman].’

Gana Forum general secretary Mostafa Mohsin Montu said the government was trying to silence the voice of media. 

Party treasurer Mohiudding Quader, labour affairs secretary Zan-e-Alam, joint-secretary AOM Shafiqullah, among others, addressed the discussion.

Courtesy: New Age, December 31, 2017 

Saturday, December 30, 2017

হদিস নেই ৪৫ হাজার কোটি টাকার, খেলাপি ঋণ এক লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা

  

আলী রিয়াজ


খেলাপি ঋণের আবর্তে পড়ে অস্থিরতার তীব্র স্রোতে ঘুরপাক খাচ্ছে ব্যাংক খাত। বাড়তে থাকা খেলাপি ঋণে পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে সরকারি-বেসরকারি একাধিক ব্যাংক। সর্বশেষ ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। অবলোপন করা ঋণের প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার হদিস নেই। আদায় হওয়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই এই ঋণের। একদিকে আদায় করতে না পারায় নতুন ঋণ দিতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ফলে মুনাফায় ধস নেমেছে অধিকাংশ ব্যাংকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় পরিচালকরা নিজেদের মধ্যে ঋণ ভাগাভাগি করায় সেখানেও খেলাপের সংখ্যা বেড়ে গেছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছে নতুন প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকগুলো। সমঝোতাভিত্তিক বড় অঙ্কের ঋণ বিনিময় করেন শতাধিক পরিচালক। যাদের কয়েকজন বেশি বিতর্কিত। এদের কাছেই পুরো ব্যাংকিং খাত জিম্মি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর (২০১৭) ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ যোগ হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ১১ হাজার ২৩৭ কোটি, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (মার্চ-জুন) ৭৩৯ কোটি ও তৃতীয় প্রান্তিকে (জুন-সেপ্টেম্বর) খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা এবং অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে যোগ হয়েছে আরও প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ। বছর শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। এর সঙ্গে ঋণ অবলোপন করা ৪৫ হাজার কোটি টাকা যোগ করলে ব্যাংকিং খাতে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। গত অক্টোবরে দেশের ব্যাংক খাতের বিতরণ করা ঋণ বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। গত জুনে ঋণ বিতরণ ছিল ৭ লাখ ৩১ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট ঋণের প্রায় ১১ শতাংশই খেলাপি। এর মধ্যে সরকারি খাতের ছয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গড়ে সরকারি ব্যাংকগুলোর ২৯ দশমিক ২৫ শতাংশ ঋণই খেলাপি। জুনের তুলনায় এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ দশমিক ৪১ শতাংশ। বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ হয়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোর প্রায় ৮ শতাংশ ঋণই খেলাপি। একই ভাবে কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোর প্রায় ২৪ শতাংশ ঋণই খেলাপি। অনিয়ম-জালিয়াতিতে পিছিয়ে নেই বেসরকারি ব্যাংকগুলোও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বেসরকারি খাতের প্রায় সব ব্যাংকের পরিচালকরা একে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করে ঋণ দেওয়া-নেওয়া করেন। নতুন-পুরান মিলিয়ে দেশে সরকারি-বেসরকারি ৫৭টি ব্যাংক। এসব ব্যাংক পরিচালকদের হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। ১৯টি ব্যাংকের পরিচালক নিজের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বেশি। একই ভাবে ৯টি ব্যাংকের পরিচালক গ্যারান্টার বা জিম্মাদার হয়ে ঋণ দিয়েছেন আরও ২৩১ কোটি টাকা।

বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপির চিত্রে দেখা গেছে, এক্সিম ব্যাংক ৪ হাজার ৫৬৯ কোটি, ব্যাংক এশিয়া ৩ হাজার ৯৫৪ কোটি, ঢাকা ব্যাংক ৩ হাজার ৭২২ কোটি, এবি ব্যাংক ৩ হাজার ৫৩৬ কোটি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ৩ হাজার ২৫৯ কোটি, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ৩ হাজার ১৫৫ কোটি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ৩ হাজার ৬৬ কোটি, যমুনা ব্যাংক ৩ হাজার ১৬ কোটি, প্রাইম ব্যাংক ২ হাজার ৯৭৬ কোটি, ব্র্যাক ব্যাংক ২ হাজার ৯৩০ কোটি, পূবালী ব্যাংক ২ হাজার ৭৯৭ কোটি, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২ হাজার ৩৫৭ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংক ২ হাজার ৩০৩ কোটি, এনসিসি ব্যাংক ২ হাজার ১৩৯ কোটি, সাউথইস্ট ব্যাংক ১ হাজার ৯৯০ কোটি, ওয়ান ব্যাংক ১ হাজার ৮২৭ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক ১ হাজার ৭৮৭ কোটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১ হাজার ৭৪৫ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১ হাজার ৬৬৭ কোটি ও আইএফআইসি ব্যাংকের ১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। নতুন কার্যক্রমে আসা এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালককে ঋণ দিয়েছে ৫১৪ কোটি, মধুমতি ব্যাংক ৩৫২ কোটি, মিডল্যান্ড ব্যাংক ৩৪৯ কোটি, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ৩২৫ কোটি, মেঘনা ব্যাংক ৩০১ কোটি ও ফারমার্স ব্যাংক ১৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনিয়ম করে ঋণ দেওয়ার দায়ে এনআরবিসি, ফারমার্স ব্যাংকের পর্ষদ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর খেলাপিদের ঋণের একটি বড় অংশই বর্তমান ও সাবেক ব্যাংক পরিচালক, তাদের স্ত্রী-পুত্র-সন্তান বা নিকটাত্মীয়দের কাছে আটকা পড়ে আছে। এসব ঋণপ্রস্তাব, অনুমোদন ও বিতরণের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, খেলাপি ঋণের পাহাড় পরিমাণ সংকট পর্যুদস্ত করেছে ব্যাংকিং খাত। বিগত কয়েক বছরে সরকারি ব্যাংকে রাজনৈতিক নিয়োগ ও ঋণ বিতরণে অনিয়ম-জালিয়াতি বেড়েছে। বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা যেভাবে ঋণ বিতরণ করেছেন তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। এখন যে পরিবর্তন করা হচ্ছে তাতে সমস্যার সমাধান হবে না। প্রয়োজন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ। না হলে ব্যাংক খাত পুরো অর্থনীতিকে সংকটে ফেলবে। নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইন বাস্তবায়ন হলে তাতেও সংকট বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নল ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো পর্যবেক্ষণ নেই ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমে। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এজন্য খেলাপি ঋণ না কমে কেবল বেড়েই চলেছে। যাচাই-বাছাই ছাড়া যেসব নতুন ঋণ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোও খেলাপে যোগ হচ্ছে। ঋণ অবলোপনের প্রক্রিয়াটি অনিয়মের অন্যতম কারণ। বিপুল পরিমাণ ঋণ পুনর্গঠন করা হয়েছে। তাও সঠিকভাবে করা হয়নি; যা খুবই উদ্বেগের।