Search

Tuesday, January 30, 2018

এমন বিধান সম্বলিত কোনো দেশকে আমরা সভ্য দেশ বলতে পারি না


গোলাম মোর্তোজাঃ কোনো একটি সমাজ কতটা সভ্য, তার বড় প্রমাণ হচ্ছে সেই সমাজে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ব্যবস্থা কেমন? মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে, যে যেভাবে চিন্তা করে, সে তার চিন্তাটি সেভাবে প্রকাশ করতে পারে কি-না। তার মতের সাথে আপনি একমত পোষণ করতে পারেন, দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। মতামতটিকে গুরুত্ব দিতে পারেন অথবা গুরুত্ব নাও দিতে পারেন। কেউ যদি সুষ্ঠু প্রক্রিয়াতে গালাগালি না করে আপনি যে কাজ করছেন, সেই কাজের পক্ষে বা বিপক্ষে আলোচনা বা সমালোচনা করে এবং সেটি যদি তার সমালোচনা করার বা প্রকাশের অধিকারে থাকে, এর জন্য যদি তার কোনো সমস্যা না হয়, এমন একটি অবস্থা যদি সমাজে বিরাজমান থাকে, তাহলে সেই সমাজটিকে আমরা বলতে পারি সভ্য সমাজ। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, এখানে এমন একটি অবস্থা থাকুক আমরা প্রত্যাশা করি।

যে দেশে ৫৭ ধারার মতো আইন করা হয়, যে দেশে ৫৭ ধারার মতো আইন করে যারা কাজ করবেন, যারা মত প্রকাশ করবেন, যারা দ্বিমত প্রকাশ করবেন, যারা আলোচনা সমালোচনা করবেন, তাদের মত প্রকাশকে বাধাগ্রস্থ করা হয়, মত প্রকাশের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়, এমন বিধান সম্বলিত কোনো দেশকে আমরা সভ্য দেশ বা সভ্য সমাজ বলতে পারি না। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে এরকম একটি অবস্থা বিরাজ করছে। এই দেশে ৫৭ ধারার মতো একটি আইন করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সংবাদকর্মীদের অথবা সাংবাদকর্মীদের যে সমস্ত সংগঠন আছে, তাদের সাংগঠনিকভাবে যতটুকু জোড়ালো ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, তারা ততটা জোড়ালো ভূমিকা নিতে পারেননি। তারপর সেখান থেকে প্রতিবাদ হয়েছে। সমাজের সর্বস্তর থেকে প্রতিবাদ করেছে। গণমাধ্যম প্রতিবাদ করেছে। সে প্রতিবাদের ভিত্তিতে সরকার ৫৭ ধারা বাদ দিবে, না পরিবর্তন করবে, সেরকম একটি সিদ্ধান্তের মধ্যে পৌঁছায়।

আমরা আশাবাদি ছিলাম, ৫৭ ধারা পরিবর্তন হবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখলাম, ৫৭ ধারা পরিবর্তন না করে ৫৭ ধারা অন্য নামে অর্থাৎ আইসিটি আইনের ১৯ ও ২০ ধারায় হুবহু রাখা হয়েছে। একটু শব্দের এই দিক সেই দিক করে আইন করা হল। মূল কথা ৫৭ ধারায় যে ব্যবস্থা নেওয়া যেত, ৫৭ ধারা যে ভয় এবং আতঙ্ক তৈরি করত, আইসিটি আইনের ১৯ এবং ২০ ধারায় সেভাবে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করবে। এমন আইন একটি গণতান্ত্রিক দেশেতো থাকা উচিতই নয়, অগণতান্ত্রিক দেশেও থাকা উচিত নয়। বাংলাদেশের মতো দেশে এমন ধারা কোনোভাবে প্রত্যাশিত নয়। আগে যে আইন সংযুক্ত করা হয়েছিল, সেখান থেকে সরে না এসে পুরনো আইনকে নতুন মোড়কে রাখা হয়েছে বা করতে যাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্যে, বাংলাদেশের ইমেজের জন্যে কোনোভাবে ভালো কিছু নয়।

  • Courtesy: AmaderShomoy.com

৫৭ ধারা বাতিল, আসছে ভয়ঙ্কর ৩২ ধারা

মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন



তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বহুল আলোচিত কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত করা হলেও ৫৭ ধারায় বর্ণিত অপরাধ ও শাস্তির বিধান পুনর্বিন্যাস করে 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮'-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুমোদন দেওয়া হয়।

তবে নতুন আইনে সর্বনিম্ন সাত বছরের শাস্তির বিধান তুলে দেওয়া হয়েছে এবং অপরাধের মাত্রা ও ধরন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে নতুন আইনের ১৭ থেকে ৩৮ ধারায় বিভিন্ন অপরাধ ও শাস্তির বিষয় উল্লেখ রয়েছে। আইনটির ৩২ ধারা নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এ ধারায় ডিজিটাল অপরাধের বদলে গুপ্তচরবৃত্তির সাজার বিধান রাখা হয়েছে। এতে বলা হয়, কোনো সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ঢুকে কেউ কোনো কিছু রেকর্ড করলে, তা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ হবে। এর জন্য ১৪ বছরের জেল এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

নতুন আইন অনুযায়ী ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ করলে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা ব্লক বা অপসারণের জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। খসড়া আইনে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের জন্য জাতীয় কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের কথা বলা হয়েছে।

অনুমোদনের পর আইনটির ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিবিসি বাংলাকে বলেন, আইসিটি অ্যাক্টের অপরিচ্ছন্ন যে  ৫৭ ধারা ছিল, সেটিকে বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে ৫৭ ধারার যে অপরাধ, সেগুলো বিস্তারিতভাবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হলেও নতুন আইনে আগের মতো হয়রানির আশঙ্কা থাকবে কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অযথা হয়রানি যাতে না হয় সে জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপপ্রয়োগের সুযোগ ৯৭ ভাগ বন্ধ হবে।

এ ব্যাপারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সমকালকে বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নতুন আইনে রাখা হয়েছে। এ আইনে সর্বনিম্ন শাস্তির বিধান বেঁধে না দেওয়ার কারণে কাউকে ধরে নিয়ে অপরাধ প্রমাণ করলেই সাত বছরের সাজা হবে না। বিচারক অপরাধের মাত্রা ও ধরন বিবেচনা করে শাস্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল সমকালকে বলেন, এর আগে ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ নিয়ে সাংবাদিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তখনও বলা হয়েছিল, এ আইন পেশাগত কাজে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, অতি তুচ্ছ কারণে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও ৫৭ ধারার আদলে কিছু বিধান রাখা হয়েছে, যা মত প্রকাশের এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বড় বাধা হতে পারে। এ আইনটি শুধু মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে, আইনটি চূড়ান্তভাবে পাসের আগে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ মানবাধিকার কর্মীদের বক্তব্য নেওয়া এবং আইনের অপপ্রয়োগ রোধে পূর্ব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ আইনটি পাস করা।

এ ব্যাপারে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্‌দীন মালিক বলেন, এ ধারার সংযোজনে অনুসন্ধানী এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাও গুরুতর আপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এর ফলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ভীষণভাবে কমে যাবে। অন্যদিকে সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা এবং বেআইনি কাজের সুযোগ প্রসারিত হবে।

তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার সিনিয়র ফেলো আবু সাঈদ খান বলেন, এ আইনের বিষয়ে নানা ধরনের উদ্বেগ রয়েছে। সে কারণে আইনটি সংসদে পাসের আগে একটি গণশুনানি করে মতামত নেওয়া উচিত। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত যে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি রয়েছে, তারাই এ আয়োজন করতে পারে। তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইন পাসের আগেও এ ব্যাপারে গণশুনানির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাই গণশুনানির মাধ্যমে আইনটি পাস হলে এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এবং সরকারেরও সুনাম হবে।

এ ব্যাপারে সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, খুব শিগগিরই প্রস্তাবিত এই খসড়া আইন নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন তারা।

গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, নতুন আইনের আওতায় কেউ যদি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা চালায় তাহলে ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ধর্মীয় বোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে, তাহলে ১০ বছরের জেল ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

৫৭ ধারা বাতিল হলেও এ ধারায় দায়ের করা মামলাগুলোর কী হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেহেতু ধারাটি থাকবে না, বিচারকের রায়ই এখানে চূড়ান্ত। তবে গতকাল বিদায়ী আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ অনুমোদন হলেও বিলুপ্ত ধারায় হওয়া আগের মামলাগুলোর কার্যক্রম চলবে।

ওই ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিশ্চিত করেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ ধারা পুরোপুরি বিলুপ্ত করার বিধান রেখে মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন হয়েছে।

নতুন আইনের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে, মানহানিকর কোনো তথ্য দিলে তিন বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কেউ যদি বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কোনো ধরনের তথ্য-উপাত্ত, যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে গোপনে রেকর্ড করে, তাহলে সেটা গুপ্তচরবৃত্তি অপরাধ হবে এবং এ অপরাধে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, কেউ যদি বেআইনিভাবে কারও ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তাহলে তাকে সাত বছরের জেল ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। বেআইনিভাবে অন্য সাইটে প্রবেশ করার পর যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হন তাহলে অপরাধীর ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। আবার কেউ যদি বেআইনিভাবে কারও ডিভাইসে প্রবেশ করে তাহলে এক বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কেউ যদি কারও ডিভাইসে প্রবেশে সহায়তা করে তাহলে তিন বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

আইনের ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ যদি জনগণকে ভয়ভীতি দেখায় এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি করে, তাহলে ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

২৫ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্মক ভয়ভীতি দেখায় তাহলে তাকে তিন বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানাসহ উভয় দণ্ডের বিধান থাকছে।

৩০ ধারায় বলা হয়েছে, না জানিয়ে কেউ যদি কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে, ব্যাংক-বীমায় ই-ট্রানজেকশন করে, তাহলে পাঁচ বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করলে সাত বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

গত কয়েক বছরে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ধর্মীয় অনুভূতির সংজ্ঞা কী হবে- প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, পেনাল কোডে ধর্মীয় অনুভূতির যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে সেটা এখানে প্রযোজ্য হবে।

সাইবার সিকিউরিটি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের হওয়া ৭৪০টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ মামলা রয়েছে ৫৭ ধারায়। ২০১৩ সালে প্রথম তিনটি মামলা হওয়ার পর প্রতি বছর মামলার সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৪ সালে সারাদেশে ৩৩টি মামলা হলেও ২০১৫ সালে এসে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫২তে। ২০১৬ সালে ৫৭ ধারায় মামলা হয় ২৩৩টি, আর ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এই ধারায় মামলা হয়েছে ৩২৩টি। 




  • Courtesy: Samakal.com/Jan 30, 2018

BCL activists again attack protesting students



40 injured; strike observed at edn institutions

In the presence of police, a Chhatra League activist hurling brick chips at Dost Building, office of different progressive students' organisations, in New Market intersection area of Chittagong City yesterday. BCL men yesterday attacked and foiled demonstration by the alliance on the campuses of three different educational institutions, leaving at least 40 injured. Photo: Collected

 Star Report

Activists of Bangladesh Chhatra League yesterday (Monday) attacked and foiled agitation of Pragatisheel Chhatra Jote on the campuses of three different educational institutions, leaving at least 40 injured.

The leaders and activists of Pragatisheel Chhatra Jote, an alliance of left-leaning student organisations, observed a nationwide strike protesting against the attack on Dhaka University students carried out by BCL activists on January 23.

In Sylhet, BCL men swooped on a procession brought out by the Jote activists at the main gate of Shahjalal University of Science and Technology (Sust) around 11:00am, leaving eight of them wounded.

Of them, Samajtantrik Chhatra Front activist Joydwip Das, a third year student of the university, has been admitted to Sylhet MAG Osmani Medical College Hospital with critical head injury, while others received primary treatment.

Witnesses said a group of BCL activists allegedly led by Moshiur Rahim Bhuiyan, Mushfiqur Rahim Zia and Sust BCL Joint Secretary Subrata Paul attacked the procession in front of the university gate.

Proctor Prof Jahir Uddin said the Sust authorities would form a probe body to find out who led the attack.

At a press conference, leaders of Chittagong unit Chhatra Jote yesterday claimed 30-40 of their activists were injured in BCL attack.

The BCL men also vandalised Dost Building, office of different progressive students' organisations, creating panic in the area, the Jote leaders claimed at a press conference held at Maulana Bhashani Auditorium of the building.

Al Kadery Joy, coordinator of the alliance, alleged Samajtantrik Chhatra Front activist Mushfiq Uddin Wasi was picked up by BCL men and kept confined at Chittagong Municipal School.

Later, a group of BCL men of City College unit attacked the Jote activists in the city's New Market area around 1:30pm when they were returning to their respective offices after completing the procession, said witnesses.

BCL Chittagong city president Emran Hossain Emu said he was not aware of any such attacks.

Ahsan Habib, general secretary of Samajtantrik Chhatra Front of Chittagong University unit, was picked up by some BCL men from the Social Science Building, assaulted and handed over to the CU proctor.

The Jote activists also came under attack at Rajshahi University when they were observing the strike in front of the administration building, alleged Kingshuk Kingjal, president of Chhatra Federation.

A faction of BCL led by two former vice presidents attacked the protestors around 9:30am, claimed Kingshuk.

On DU campus, the Jote activists padlocked the main gate of Arts Building when around 70-80 general students joined them expressing solidarity around 8:00am. They brought out a procession marching different streets on the campus before gathering at the base of Aparajeyo Bangla and held a brief rally there.

At the rally, Imran Habib Rummon, convener of the alliance, condemned yesterday's fresh attacks. He announced to continue with their protest at all education institutions across the country against the BCL attacks.

A section of DU students under the banner “Students against repression” has meanwhile conducted a press conference at Modhur Canteen on the campus where they placed various demands.

Coordinator of the movement Masud Al Mahdi claimed eight members of the three probe committees formed over the January 15, 17 and 23 incidents were present in Sunday's human chain organised by Dhaka University Teachers Association. “The members of the probe bodies have clearly sided with the university authorities. This means they have finalised the report and now would establish it,” said Masud while reading out a statement.

“Such behaviour is not unexpected from the teachers as we had earlier seen them being engaged in scuffles and holding counter-human chain blaming each other over the incidents,” he added.

Masud and other students rejected the probe bodies terming those “biased” and demanded expulsion of those involved in the attacks and removal of DU Proctor Prof Golam Rabbani.

On January 23, at least 50 protestors were injured when BCL men swooped on them to “rescue” the VC, who was kept confined by the protestors in front of his office. The following day, BCL men swooped on activists of the left-leaning student organisations in two other education institutions during their programmes protesting against the January 23 attack.

  • Courtesy: The Daily Star Jan 30, 2018 



Draft of Digital Security Act Approved: Gag on freedom of expression



React journalists, rights leaders, feel duped by govt as cabinet keeps controversial restrictions, punishments under different provisions

 Partha Pratim Bhattacharjee and Tuhin Shubhra Adhikary

The freedom of the press and expression was put to the sword, feared journalists and rights defenders as the cabinet approved the draft of the Digital Security Act-2018 yesterday (Monday).

There would be every chance of the act being misused against people's right to express themselves after it is passed by the Jatiya Sangsad, they observed.  

They also felt duped by the government as section 57 of the Information and Communication Technology Act was kept in the proposed law with some changes, despite assurances in the past of eliminating the controversial provision. 

Section 57 deals with defamation, hurting religious sentiments, causing deterioration of law and order and instigating against any person or organisation through publishing or transmitting any material in websites or in electronic form.

It stipulates maximum 14 years in prison for the offences.

Now, the draft of Digital Security Act-2018 splits these offences into four separate sections with punishment ranging from three to 10 years' term. The proposed law describes some crimes as “non-bailable” and allows a police official to search or arrest anyone without a warrant in special circumstances. 

A cabinet meeting, presided over by Prime Minister Sheikh Hasina at her office, gave the approval and Cabinet Secretary Md Shafiul Alam later briefed the media at the secretariat. He said the government has formulated the act to combat growing cyber crimes that are affecting many public and private organisations including Bangladesh Bank.

The draft was approved keeping a provision for revoking sections 54, 55, 56, 57 and 66 of the ICT act, he said, adding that the cases already filed under section 57 will continue. Inspector General of Police AKM Shahidul Hoque, too, said the proceedings of the cases filed under section 57 will continue, reports UNB.

Currently, 701 cases filed under section 57 are pending with the lone cyber tribunal of the country, sources say.

Asked whether the proposed law will affect journalism as elements of section 57 were incorporated in the draft, the cabinet secretary did not give any direct answer and only said, “There is nothing about journalists here [in the draft].”

Rights activists and journalists have been demanding cancellation of section 57 for its widespread misuse. Experts say the section goes against people's right to freedom of expression and free speech and it contains vague wordings, allowing its misuse against newsmen and social media users.

Protests were staged last year after more than two dozen journalists were sued under the section. Amid widespread criticisms, Law Minister Anisul Huq on several occasions said section 57 would be removed.

Contacted last night, he said, “There is a great difference between section 57 [of ICT Act] and the provisions incorporated in the Digital Security Act.” Asked about the criticisms from journalists and rights activists about the draft, the minister said, “They are saying this for the sake of saying something.”

He declined to comment further.

After a programme in the capital, Home Minister Asaduzzaman Khan said section 57 was discussed for a long time in the cabinet meeting. The draft will be finalised after many inclusions and exclusions, he added.

REACTIONS 
Khandaker Muniruzzaman, acting editor of daily Sangbad, termed Digital Security Act more draconian, more dangerous than section 57 of the ICT Act.

“It can be accepted in no way,” he told The Daily Star over the phone. “We have been demanding cancellation of section 57. But things have not improved; rather, more bad elements have been introduced. Actually, the government has duped the people.”

The act will not only curb the freedom of speech and expression but also impede independent journalism. Asked about section 32 of the proposed act, which deals with spying on government and non-government offices, he said the provision will make journalism more difficult.

“A reporter collects information in various ways. This law will make his or her work more difficult,” he said.

Bangladesh Pratidin Editor Nayeem Nizam said they have raised their voices following the misuse of section 57 as a number of cases were filed against journalists and some were detained. 

“If this law [Digital Security Act] is passed [in the JS], the media independence will be under threat. I hope lawmakers will recommend removal of these provisions when the draft will be placed in parliament,” he told The Daily Star yesterday. Under the new law, he said, any journalist may face the charge of spying when he/she tries to collect government documents for writing a report.  “Independent journalism will not march forward if the draft is passed,” he added.

Jyotirmoy Barua, a Supreme Court lawyer working on human rights, told The Daily Star that incorporating elements of section 57 in the draft law will create more ambiguity and scope for using it in harassing people. “It [the new law] could be used as a tool to harass people the way section 57 was used,” he said.

About section 32, he said it will shrink the scope for journalists and researchers in their professional and academic activities.

Rights activist Nur Khan Liton said after the Digital Security Act is passed, the freedom of expression will be curtailed, the door for discussion on some specific topics will be shut down and free voice will be muzzled. There should be a section in the new act binding the authorities concerned to do some scrutiny before taking cases over defamation or hurting religious sentiments, he said.

Baki Billah, an online activist, said the move to enact such a law goes with the characteristic of the government. The government wants to curb the freedom of expression more, which reflects its “undemocratic character”, he said.

“The government has incorporated the very provisions that we have been criticising for long,” he told this newspaper last night.

WHAT NEW SECTIONS SAY
Section 21 says anyone spreading negative propaganda against the Liberation War or the Father of the Nation, using digital devices or instigates to do so, will risk being sentenced up to 14 years' jail or a fine of up to Tk 1 crore lakh or both.

He or she will face up to life sentence or Tk 3 crore fine or both for committing the offence for the second time, it said.

Section 25 of the proposed law says, a person may face up to three years in jail or Tk 3 lakh fine or both if he or she is found to have deliberately published or broadcast in the website or electronic form something which is attacking or intimidating or which can make someone dishonest or disgruntled; knowingly publish or broadcast false and distorted (full or partial) information to annoy or humiliate someone; knowingly publish or broadcast false and distorted (full or partial) information to tarnish the image of the state or to spread rumour.

A person will face up to five years in jail or Tk 10 Lakh or both for committing the offence for second time, it said.

Section 28 says a person may face up to seven years in jail or Tk 10 lakh fine or both if he or she is found to have deliberately publishes or broadcasts something in the website or in electronic form or get it done to hurt one's religious sentiment and values. A person will face up to ten years in jail or Tk 20 Lakh or both for committing the offence for the second time, it said.

Section 29 says a person may face maximum three years in jail or Tk 5 lakh fine or both if he or she commits offence stipulated in section 499 of the Penal Code through website or in electronic form.  He or she will face up to five years in jail or Tk 10 Lakh fine or both for committing the offence for the second time, it said.

Section 499 of the Penal Code reads, “Whoever by words either spoken or intended to be read, or by signs or by visible representations, makes or publishes any imputation concerning any person intending to harm, or knowing or having reason to believe that such imputation will harm, the reputation of such person, is said, except in the cases hereinafter excepted, to defame that person.”

Section 31 of the proposed law says a person may face up to seven years in jail or Tk 5lakh fine or both if he or she is found to have deliberately published or broadcast something in the website or in electronic form which can spread hatred and create enmity among different groups and communities and can cause deterioration of law and order. Punishment will be up to 10 years in jail or Tk 10 lakh fine or both for committing the offence for the second time, it said.

Section 32 says a person may face up to 14 years in jail or Tk 20 lakh fine or both on the charge of spying if he or she illegally enters the offices of government, semi-government and autonomous bodies to gather information and uses electronic device to record something secretly. A person may face up to 14 years in jail or Tk 1 crore or both for hacking, according to section 34 of the act.

If anyone illegally enters any critical information infrastructure, he or she will face maximum seven years' imprisonment or Tk 25 lakh fine or both, and he or she may face up to 14 years in jail or 1 crore in fine or both for doing any harm to the infrastructure, according to section 17.

The new law stipulates some crimes under sections including 17, 28, 31, 32 and 34 as “non-bailable”, considering the gravity of crimes and magnitude of punishment, the cabinet secretary said.

SOME OTHER PROVISIONS
According to the draft law, the government will form a Digital Security Agency to ensure national digital security and combating cyber crimes. A director general will lead the body.

To discuss the overall digital security of the country and to take “nationally important decision” over the issue, there will be a National Digital Security Council headed by the prime minister, the draft reads.

The government, through a gazette notification, will declare some specific computer systems, networks and information infrastructures, as “Essential Information Infrastructures” to serve the purpose of the act.

NO NEED FOR ARREST WARRANT
As per section 43 of the draft, a police official can search or arrest anyone without any warrant issued by a court.

If a police officer believes that an offence under the act has been committed in a certain place or is being committed, or there is a possibility of crimes, or there is a possibility of destroying evidence, he or she can search the place or any person present there.

The officer can arrest any person if he or she suspects that the person has committed or is committing crimes. In such a case, the officer has to submit a report to the court after carrying out the search, it added. 

  • Courtesy: The Daily Star/Jan 30, 2013  



Demonstration at DU: BCL backed it, blocked it too



 Aashiq Abdullah


At the Dhaka University, Bangladesh Chhatra League first added fuel to the fire and then tried to douse it.

Leaders and activists of BCL, who have twice foiled the demonstration of students against the university's affiliation with seven colleges on the campus, had actually initiated the very movement.

Four of the five administrators of Dhaka Bishwabidyalay Paribar (Dhaka University Family), a Facebook group that launched the campaign against the affiliation, are leaders of different units of the pro-Awami League student body in the university.

They are: Motakabbir Khan Probas, vice-president of DU BCL; Zihadul Islam Nirob and SM Rakib, vice-president and organising secretary of Fazlul Haq Hall BCL; and Sadman Sakil, publication affairs secretary of political science department BCL, shows the FB group. Several BCL sources and students have confirmed their identities.

The fifth administrator, Nur Hossain, appears to have no political affiliation. 

In the first week of this month, students from various departments started uploading posts in the group, expressing anger over the affiliation. They claimed that many from those seven colleges were damaging the university's reputation as they were "committing crimes after introducing themselves as DU students".

On January 7, Moshiur Rahman Sadik, a student of the university's software engineering department, created an event in the group, calling for demonstration near the TSC on January 11 for scrapping the affiliation.   

Three days later, BCL leader Probas in a post in the group said, "DU itself is in trouble. DU does not have the ability to look after seven colleges. Take back the seven colleges under the National University."

He also urged the group members to share news regarding the anti-affiliation protests on their Facebook timelines, saying, "Let the countrymen know how unhappy the DU students are with the affiliation".

On January 11, several hundred students, including BCL activists, demonstrated on the campus as planned. Later, the protestors announced that they would boycott classes on January 14 and besiege the vice-chancellor's office the next day to press home their demand.

Sensing more trouble, the university authorities reportedly held a meeting with some top BCL leaders the same day and asked them to retreat. The Chhatra League leaders agreed to do that, alleged one of the coordinators of the demonstrators, wishing not to be named.

The BCL leaders then told the coordinators of the movement to stop the agitation right away, assuring them that the VC, Prof Md Akhtaruzzaman, would take initiatives to solve the crisis. 

The coordinators, however, did not agree and the protest continued.

At 1:15am on January 15, Probas, who seemed to have been unaware of the developments, in another post uploaded in the group said, "As the seven colleges have been affiliated, some of their students were trying to misuse the logo of Dhaka University for their own means."

The next day, the protesters staged a sit-in in front of the VC's office. The VC reportedly called some BCL leaders to control the crowd without even talking to the demonstrators, alleged the coordinator.

About half an hour later, around 300 BCL activists, led by its top leaders, appeared there and started to hurl abuses at the female demonstrators. They also asked the male students to leave immediately.

The demo was foiled.

The Chhatra League men also took Sadik, one of the coordinators, inside the VC's office and roughed him up there.

The VC denied calling in the Chhatra League men.

Surprisingly, all posts made on the Facebook group were deleted the same night and the administrators, who run the group, were seen coming up with posts saying that the VC gave "clear solution" to the crisis.

  • Courtesy: The Daily Star/Jan 30, 2013



জনগণ যখন অসহায়, মুক্তিরপথ তখন সম্মিলিত প্রতিরোধ


উৎসুক জনতা




বাংলাদেশ এখন  নিত্য  অপহরণ- অার গুমের দেশ। শহর-বন্দর-গ্রামগঞ্জ থেকে অাচমকা  তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নানা পেশার মানুষকে। কেউ কেউ ফিরে আসছে, কারো লাশ পাওয়া যায় কারও লাশ বেমালুম গায়েব। অনেকের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়না। এই গায়েবের খবর অার কেউ বলতে পারে না। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ভয়ে মুখ খোলেন না, ছাড়া পাওয়া মানুষজনও ঠোঁটে সেলাই দিয়ে থাকেন নির্বাক।

সম্প্রতি এমন একটি গুম-অপহরণ ঠেকিয়ে দিল উৎসুক জনতা। পা‌লিয়ে যায় সাদা পোশাকের লোকেরা। 


ডেইলি স্টার রিপোর্ট - 

রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মগবাজারে দিনের এক ব্যস্ততম সময়ে ঘটেছিলো ঘটনাটি। ডিবি পরিচয়ধারী চার ব্যক্তি টেনে-হিঁচড়ে একজনকে তুলে নিলো মাইক্রোবাসে। কিন্তু, জীবন বাঁচাতে সেই ব্যক্তির চিৎকার সন্দেহ জাগালো পথচারীদের মনে।

জনতার ধাওয়া খেয়ে অপরাধীরা মাইক্রোবাসটিকে দ্রুত গতিতে চালিয়ে নিয়ে গেলেও মগবাজার মোড়ের কাছে যানজটে আটকে যায় এটি। ডিবি পরিচয়ধারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও মুক্তি পায় অপহরণের শিকার সেই ব্যক্তি।

সব কিছু দেখে শুনে মনে হতে পারে এটি কোনো সিনেমার কাহিনি। কিন্তু, ঘটনাটি ঘটেছিলো বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৫, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, ব্যাংক থেকে প্রায় সাত লাখ টাকা তুলে বাইরে এলে সেই ব্যক্তিকে জোর করে মাইক্রোবাসে ওঠায় অপরাধীরা। সেসময় তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ ও ওয়াকিটকি ছিলো। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়।

সেই ব্যক্তিকে ফেলে পালিয়ে যায় অপরাধীরা। ফেলে যায় হ্যান্ডকাফ, ওয়াকিটকি ও ঢাকা মেট্রো চ-১৩৯৫৫১ মাইক্রোবাসটিও। জনতা সেই ব্যক্তিকে উদ্ধার করার পর হামলা চালায় মাইক্রোবাসটির ওপর।

রাস্তার পাশে একজন ফল বিক্রেতা ও প্রত্যক্ষদর্শী মোতালেব হোসেন বলেন, “মনে হচ্ছিল এটি সিনেমার কোনো ঘটনা। মাইক্রোবাসের ভেতর কয়েকজন লোক এক ব্যক্তিকে জাপটে ধরে রয়েছে আর সেই ব্যক্তিটি সাহায্য চেয়ে চিৎকার করছেন।”
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার গতকাল বলেছিলেন, “আমরা বিআরটিএ থেকে মাইক্রোবাসটির মালিক সম্পর্কে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করছি।”

যখন জনগণ অসহায়, তখন সম্মিলিত জনগণের শক্তিই তাঁদেরকে রক্ষা করতে পারে, মগবাজারের গুম ঠেকিয়ে দেয়ার ঘটনাটি এই প্রমাণ করে। 

সূত্রঃ thedailystar.net

অ-নীতির হোতা টিভিতে নৈতিক বিশ্লেষক


- উৎসুক জনতা


বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের আমলের অন্যতম প্রচারক ও প্রোপাগ্যান্ডা বিশারদ মনজুরুল আহসান বুলবুল  একজন  রাতারাতি হয়ে ওঠা  মিডিয়া মুঘল  আর গড়ে তোলেন অঢেল সম্পদ। টিভিতে নানা নীতি কথা বলেন, সংবাদ বিশ্লেষণ করেন। কে ভুল বললো, কে মিথ্যা বলল, কোনটা উচিত, কোনটা অনুচিত এইসব অমিয় বাণী যিনি টিভি চ্যনেলে  আওড়ান, তিনি নিজেই ট্রাফিক আইন ভংগ করে উল্টোপথে গাড়ি চালান। শুধু তাই নয়, কর্তব্যরত পুলিশকে গাড়ির কাগজপত্র দেখানোর প্রয়োজনও বোধ করেননি। তবে তিনি  পুলিশকে ধমক দিয়ে জানিয়ে  দিতে ভুল করেননি, তিনি দেখিয়ে দেবেন। ক্ষমতার প্রতাপে এ নিয়ে শেষ পর্যন্ত মামলাও হয়নি। কিন্তু এক উৎসাহী জনতার সাহসে ঘটনার কিছু অংশ লাইভ প্রচার হয় ফেসবুকে। বুলবুল থাবা দিয়ে ঐ মোবাইলসেটটি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এইখানেই শেষ নয়, ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ না করে, বরং ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের পক্ষ্যে সাফাই গেয়েছে। 

ইন্টারনেট পোর্টাল প্রিয়.কম এ প্রকাশিত হয়েছে পুরো ঘটনা - 

রাজধানীতে উল্টোপথে গাড়ি চালানোয় নানা পেশার লোককে জরিমানা গুনতে হয়েছে, হচ্ছে। কয়েক মাস ধরে বিষয়টির ওপর বেশ জোর দেয়া হয়। তারপরও থেমে নেই উল্টোপথে চলা। এবার উল্টোপথে গাড়ি চালিয়ে ‘ধরা খেয়েছেন’ দুই সাংবাদিক নেতা। যদিও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রেফারেন্সে তাদের নামে মামলা দেওয়া হয়নি। আবার উল্টোপথে যাওয়ায় গাড়ি আটকে দিয়ে কাগজপত্র চাওয়ায় পুলিশের ওই সার্জেন্টকে ধমক দিয়েছেন সাংবাদিক নেতাদ্বয়। ঘটনার একটি লাইভ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।

এ বিষয়ে ২২ জানুয়ারি, সোমবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক নেতা দুজন দাবি করেন, ‘পুলিশ অন্যায় করেছিল, এর প্রতিবাদ করেছেন তারা। অন্যায় করার কারণেই ধমক দিয়েছেন সার্জেন্টকে।’ আর সার্জেন্ট বলছেন, ‘উল্টোপথে যাওয়ার কারণেই গাড়ি আটকে কাগজপত্র চান তিনি।’

ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ জানুয়ারি, শুক্রবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের সামনে।

সাংবাদিক নেতা, সার্জেন্ট ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার অফিসার্স ক্লাব থেকে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ও একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মনজুরুল আহসান বুলবুল এবং একই সংগঠনের মহাসচিব ওমর ফারুক প্রাইভেট কারে করে বেইলি রোড হয়ে উল্টোপথে ফিরছিলেন। তাদের গাড়ি সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের সামনে এলে আটকে দেন দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। কাওসার হামিদ নামের ওই সার্জেন্টের সঙ্গে এ সময় তাদের কথা কাটাকাটি হয়।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, গাড়ি আটকে দেওয়ার পর মনজুরুল আহসান বুলবুল ও ওমর ফারুক দাঁড়িয়ে কথা বলছেন সার্জেন্ট কাওসার হামিদের সঙ্গে। এ সময় বুলবুল দাবি করেন, তিনি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে উল্টোপথে প্রবেশ করেছেন, ওনার কাছে প্রমাণ রয়েছে। সার্জেন্ট গাড়ির কাগজপত্র চাইলে তিনি তা দিতে চাননি।

ঘটনাটি সরাসরি ফেসবুকে লাইভ দেখাচ্ছিলেন মুনজারিন ইশতিয়াক নামের একজন বাইকার। একপর্যায়ে তার হাত থেকে মোবাইলটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন মনজুরুল আহসান বুলবুল। তিনি মোবাইল ছুঁতে না পারলেও পরে পুলিশ মোবাইল নিয়ে সব ভিডিও মুছে দেয় বলে দাবি করেন ইশতিয়াক। তবে ফেসবুকে সরাসরি লাইভ হওয়ায় ভিডিওটি থেকে গেছে।

ওই ভিডিও’র কথোপকথন নিচে তুলে ধরা হলো-

মনজুরুল আহসান বুলবুল : আপনার অফিসার যখন অ্যালাও করছে, তখন আমরা আসছি। উই হেভ দ্য ডকুমেন্টস। 
কাওসার হামিদ : আচ্ছা ডকুমেন্টস পরে দেখা যাবে।
মনজুরুল আহসান বুলবুল : আমরাও পরে দেখব আপনারটা। আপনারটা নিয়ে তো আইজিপির সঙ্গে কথা বলছি অলরেডি। উই উইল সি ইউ টুমরো। আমরা কালকে দেখব, আপনার দায়িত্বশীলের সঙ্গে কথা বলছি তো।
এ সময় সার্জেন্ট কাউকে ফোন দিয়ে অবহিত করেন, উল্টাপথে গাড়ি আসলে আটকানো হয়েছে এবং কাগজপত্র চাইলে দিচ্ছে না।
মঞ্জুরুল ইসলাম বুলবুল সার্জেন্টকে বলেন অফিসারকে ডাকার জন্য। বলেন, ‘আপনি আমাদেরকে অ্যারেস্ট করে থানায় নিয়ে যান।‘
কাওসার হামিদ : থানায় নিব না, আমি মামলা করব।
মনজুরুল আহসান বুলবুল : করেন না। মামলা করে অ্যারেস্ট করে থানায় নিয়ে যান।
কাওসার হামিদ : কাগজ কই আপনার?
মনজুরুল আহসান বুলবুল : কাগজ দিব কেন? কাগজ দিচ্ছি না আপনাকে।
এ সময় তিনি আবার বলেন, আপনার অফিসার আমাদের অ্যালাও করেছে। আপনি শুরু থেকে উল্টাপাল্টা আচরণ করছেন।
কাওসার হামিদ : আমি উল্টাপাল্টা কিছু করিনি। 
মনজুরুল আহসান বুলবুল : আমি অনেক বাজে ব্যবহার করেছেন। শুনেন আপনাদের পুলিশ স্টাফ কলেজে আমি স্টুডেন্ট পড়াই।
কাওসার হামিদ : এজন্য আপনার আইন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা উচিত।
মনজুরুল আহসান বুলবুল : আপনি যে ব্যবহার করেছেন, সেটা তো ঠিক না।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুনজারিন ইশতিয়াক প্রিয়.কমকে বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ওইখানে উপস্থিত ছিলাম। পুলিশের সাথে ঝামেলা দেখে আমি আমার মোবাইলে এটা ফেসবুকে লাইভ করা শুরু করি। একপর্যায়ে তিনি আমার মোবাইল টানাটানি শুরু করেন। পরে আমার কাছে থেকে পুলিশ মোবাইল নিয়ে নেয় এবং সব ভিডিও ডিলিট করে দেয়। লাইভ যেটা করেছিলাম ওইটাই শুধু রয়েছে। মনজুরুল আহসান বুলবুল আমার কাছে থেকে নেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমি ফোন দিই নাই। ফোন পকেটে রেখেছিলাম। পরে পুলিশ নিয়ে সব ভিডিও ডিলেট করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উনি (মনজুরুল আহসান বুলবুলও) আমাকে জিজ্ঞাস করে আপানি কে? আমি বলেছি আমি সাধারণ নাগরিক। আপনারা উল্টোপথ দিয়ে এসেছেন আবার পুলিশকে ধমক দিচ্ছেন কেন? পরে পুলিশ আমাকে রক্ষা করেছে, আমার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে তাদের সামনে সব কিছু ডিলিট করেছে। এবং আমি সেখান থেকে সরি বলে চলে এসেছি। তিনি (মনজুরুল আহসান বুলবুলও) অনেকবার আইজিপি সাহেবকে ফোন দিয়েছিলেন, ট্রাফিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন দিয়েছিলেন, বাধ্য হয়ে ওই সার্জেন্ট তাদেরকে কোনো মামলা না করে যেতে দিয়েছে।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী ও সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল ২২ জানুয়ারি, সোমবার সন্ধ্য়া ৭টায় প্রিয়.কমকে বলেন, ‘সে খারাপ আচরণ করেছে, তাকে ধমক দিয়েছি। এ সময় ওমর ফারুক ছিল। তাকে জিজ্ঞাস করলে সে সব বলতে পারবে।’

ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিক নেতা ওমর ফারুক প্রিয়.কমকে বলেন, ‘পুলিশ ওখানে কয়েকজন মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করছিল। একজন ভদ্র মহিলা ছিল, তার সাথে খারাপ ব্যবহার করছিল। ওই দিন অফিসার্স ক্লাবের নির্বাচন ছিল, নির্বাচনের কারণে মগবাজারের দিকে যে সোজা রাস্তাটা, ওইটা পুরাটাই পার্কিং করা। রাস্তাটা বন্ধ থাকার কারণে যারা বেইলি রোডে থাকে, তারা কেউই যাইতে পারছিল না। তখন শান্তিনগর দিয়ে কর্ণফুলীর এখান থেকে গিয়ে ওয়ানওয়ে রোড দিয়ে যাই। যেহেতু রাত ১০টা বাজে ওয়ানওয়ে রোড ফ্রি হয়ে যায়। সবাই যাইতে আসতে পারে। এখন ওখান দিয়ে সবাই যাচ্ছে, আমাদের গাড়িটাও যাচ্ছিল। এক মহিলা যেতে চাইছে তাকে আটকাইছে, এই নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এ সময় এক কনস্টেবল দেখাই দিছে আপনারা এই দিক দিয়ে যান, তখন আমার ড্রাইভার ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। কোথা থেকে এক সার্জেন্ট এসে আমার ড্রাইভারকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে ছিল। এ সময় আমি ধমক দিলাম, কেন আপনার কনস্টেবলই তো দেখাইয়া দিলো। সে কয়, না যাইতে পারবেন না। আরও জোরে গালাগালি দেওয়া শুরু করল। ওই সার্জেন্ট বুলবুল ভাইয়ের সঙ্গেও প্রচুর উত্তেজিতভাবে কথা বলছিল। আমরা দুইজন এক গাড়িতেই ছিলাম। আমি তখন বের হয়ে এসে বললাম, এই মিয়া তুমি কার সাথে কী কথা বলো। সাবধানে কথা বলো। এরপর আমরা গাড়িটা একপাশে নিয়ে রাখলাম। রেখে আমরা ওখানে দাঁড়াইয়া পুলিশরে বললাম, মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার কেন করতেছ? এর দুই দিন আগেই আইজি বলছে পুলিশরে মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করার জন্য। তোমাদের আইজিপি বলে ভালো ব্যবহার করতে আর তুমি খারাপ ব্যবহার করো। এই কথা শুনে আরও রেগে গেছে। উল্টাপাল্টা কথা বলতাছে, এই আপনার কাছে শিখতে হবে এই সব।’

তিনি বলতে থাকেন, ‘তখন আইজিপিকে ফোন করছে বুলবুল ভাই। সার্জেন্ট করছে কি, ওদের কিছু সোর্স থাকে, কিছু গুণ্ডাপাণ্ডা থাকে, ওদের সাথে নিয়ে দাঁড়াইয়াছিল সার্জেন্ট। ওরাই আমাদের ছবি তুলছে, ভিডিও করছে। পুলিশ কোনো ছবি তোলে নাই। আমরা এটা খেয়াল করি নাই। যখনই আইজিপিকে ফোন করছে তখন সার্জেন্ট ওখান থেকে পালাইয়া গেছে। তখন এক কনস্টেবল বলল, স্যার আপনারা চলে যান। যখনই আবার গাড়ি স্টার্ট দিয়েছে, সিদ্ধেশ্বরী কলেজের এখানে কিছু পুলিশ দাঁড়াইয়া ছিল। তখন ওই সার্জেন্ট আবার এখানে ওয়ারলেসে বলে দেয় ওই গাড়িটা আটকাও। তখন গাড়ি আটকানোর পরে আবার ওই সার্জেন্ট এসে বলে, আপনার গাড়ির কাগজ দেন। তখন ওখানে উপস্থিত অপর এক সাংবাদিক ট্রাফিকের ওপরের একজনকে ফোন দিয়ে আমার সাথে কথা বলায়। এরপর ওই সার্জেন্টের সাথে কথা হয়, তখন ওই সার্জেন্ট বলে আপনারা চলে যান। এরপর আমরা চলে আসি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জেন্ট কাওসার হামিদ প্রিয়.কমকে বলেন, ‘আমি ওনার পরিচয় জানতাম না। উনি উল্টো আসছিলেন। এ জন্য তার গাড়ি আটকিয়েছিলাম। পরে আমার ডিসি স্যারের রেফারেন্সে মামলা না দিয়েই ছেড়ে দিয়েছি।’

মনজুরুল আহসান বুলবুলের সঙ্গে যোগাযোগের এক ঘণ্টা পর ফেসবুকে তিনি এক স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি বলেন, ‘ভাইরাল হওয়া ছবিটি নিয়ে আমি বেশ খুশিই। পুলিশ বাহিনী তো আর খারাপ না, কিন্তু পুলিশের ইউনিফর্ম পরে, সিভিল মাস্তানকে নিয়ে, মানুষকে হয়রানি করে পুলিশের সম্মান যারা ধুলায় লুটায়, তার প্রতিবাদ তো করতেই হবে। খালি টকশোতে নীতিকথা বলবে আর রাজপথে চোখের সামনে অন্যায় হলে চুপ থাকবে তা তো হয় না। নামের পরিচিতি ছাড়া ইউনিফর্ম পরা পুলিশ আর তার ‘সিভিল কালেকটর’-এর ছবি এবং তাদের আচরণ রেকর্ড করা আছে। আছে দুই ভদ্র পুলিশেরও ছবি। পুলিশ চাইলে সব দিতে পারি, বিবরণও জানাতে পারি। যিনি ভাইরালটি ছড়িয়েছেন তাকে ধন্যবাদ, এ থেকে পুলিশের পোশাক পরা কারোর মাস্তানির প্রতিবাদ করার সাহস পেতে পারেন অনেকে।’

‘অন্যায় ও অসভ্যতার শক্ত প্রতিবাদে সেদিন সেই ইউনিফর্মধারী অসভ্যটি লেজ গুটাতে বাধ্য হয়। প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের দরকার হয় নাই’, বলেন তিনি।

  • প্রিয় সংবাদ/রিমন/আজাদ চৌধুরী


Monday, January 29, 2018

আমরা উন্নয়নের কোন পর্যায়ে ?










রাশিদ রিয়াজ: ফ্রান্স ২০২১ সালের মধ্যে সব কয়লা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করবে। আমরা সবে মাত্র কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছি। এক দশক আগে কানাডা বেবি ওয়াকার বাচ্চাদের জন্যে বিপদজনক বলে বাতিল করে দিয়েছিল। আমরা মানে বাংলাদেশে এখনো তা বাতিল হয়নি। ধূমপানের বিরুদ্ধে এত কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ হচ্ছে উন্নত দেশে যে এক সময় তা পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়ার বিষয়টি এখন সক্রিয়ভাবে ভাবছে কয়েকটি দেশ। তা হলে সিগারেটগুলো বিদেশি পণ্য হিসেবে আসবে সন্দেহ নেই। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রযুক্তিগতভাবে আমরা পেছনে পড়ে আছি বলেই হয়ত করতে হচ্ছে। এ সম্পর্কে শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক ইকবাল মোহাম্মদ খান বললেন, ওরা একটা পর্যায়ে যেয়ে এসব বন্ধ করছে, আমরা তো সে পর্যায়ে যাইনি।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই কবিতার মত, ‘ নাদের আলী আমি আর কত বড় হব? আমার মাথায় ঘরের ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায় তিন প্রহরের বিল দেখাবে। তার মানে উন্নত দেশ যে সব প্রযুক্তি ব্যাকডেট বলে আপডেট সংস্করণ করবে আমরা তার বাস্তবায়ন শুরু করব। এভাবে ফি বছর গ্যাসের দাম, বিদ্যুতের দাম, পানির দাম বাড়িয়ে ওদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে চললে তো কোনোদিনই আন্তর্জাতিক বাজারে বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারব না। যা পারব তা হচ্ছে বিদেশে অদক্ষ সস্তা শ্রম বিক্রি করে থ্রি ডি অর্থাৎ ডার্টি, ডিফিকাল্ট ও ডেঞ্জারাস কাজগুলো করেই সোনার যৌবন শেষ করে দেব। আর গার্মেন্টসএর কারাখানা করে ভ্যালু এ্যাড কত হবে সে হিসাবের বাইরেও নদী দূষিত করে যে পরিবেশ ধংস করছি সে হিসেবে করতে এখনো অনেক সময় বাকি। কোনো উন্নত দেশে গার্মেন্টস কারখানা না করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেই কেন এসব কারাখানা ঠেলে দেওয়া হয় সেও আমাদের এখনো অজানা। তো আমরা নিজেরা কেন প্রযুক্তি তৈরি করি না?

যখন যমুনা সেতু হল তখন বিশ্বের নামকরা নদী বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে এসে বলেছিলেন, টানেল করতে। যেমন কর্ণফুলি নদীর তলদেশে হচ্ছে। এতে যমুনা বা পদ্মা নদী সেতুর তলদেশে পলি জমত না, নাব্যতা ঠিক থাকত আর ‘ব্লু’ ওয়াটারের উৎস টিকে যেত। এই ব্লু ওয়াটার কি তা হয়ত হারানোর পর আমরা টের পাব। অন্তত ৩০টি নদী এখন ফসিল নদীতে পরিণত হয়েছে। হয়ত এ নিয়েও আমাদের গর্বের কমতি হবে না। আর একটা স্প্যান পদ্মা সেতুর ওপর বসলেই ঢাকঢোল পিটিয়ে নিউজ করার সুযোগই বা কোথায় পেতাম। পদ্মা সেতুর আরেক বৈশিষ্ট হচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক ছাড়াই আমরা আমাদের নিজেদের অর্থে ( ঋণের সুদ কত ভুলে যান) করতে পারছি তার এক প্রতীকি নিদর্শন। আবার পদ্মার বুকে কতগুলো স্প্যান বা কফিনে শেষ পেরেক মেরে নদীটিকে হত্যা করছি কি না তা যমুনায় চরের দিকে তাকালে স্পষ্ট হয়ে যাবে।

রাজনীতিতে আমরা এখনো গণতন্ত্রের ছবক দিয়ে চলছি। এক দল অন্যদলকে। স্বৈরাচারও এ দেখে হাসছে। বিরোধী দল যত শক্ত হবে সরকারের কাজ ততই ত্রুটিমুক্ত হবে। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনীতি এখন বলছে, মাথাই কেটে বাদ দাও, দেখি মাথা ব্যথা কিভাবে হয়। সরকার যত শক্তিশালী হয় তত ভাল, এতে দাপট থাকে কিন্তু সহ্য ক্ষমতা কমে গেলে তখন মানুষেরও সহ্যক্ষমতা হারিয়ে যায়।

সহকর্মী সাঈদা মুনীর সবসময় শৃঙ্খলার কথা বলেন। আরো বলেন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কথা। প্রতিদিন সকালে মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে আসতে দেখা যায় জাতীয় সংসদের সামনের চত্বরে চিপস, সিগারেট, ঝালমুড়ি ও বাদামের অসংখ্য ঠোঙ্গা বা পলিথিন ঝাড় দিয়ে পরিস্কার করছে সিটি কর্পোরেশন কর্মী। আগের দিন তো এসব আমরাই ফেলি যত্রতত্র। কই সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সে যেয়ে আমরা তো এসব করি না।

  • Courtesy: Amadershonoy.com / Jan 29, 2018

বড় সংকটের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে - ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলাম




সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেছেন, সংবিধানে বিচার বিভাগের ওপর যে বিষয়গুলো লেখা আছে, সেগুলো নজরে আসছে না। এর ফল আমরা পাচ্ছি। পেতে থাকব। কোনো একটা সময় আসবে, যখন এটা আমাদের একটা বড় রকমের সংকটে পরিণত হবে, যার পূর্ব সিনড্রমগুলো (লক্ষণগুলো) আমরা দেখতে পাচ্ছি। সংবিধান ভায়োলেট করে, সংবিধান না মেনে আমরা বিচারপতি কী করে নিয়োগ করি?

রোববার ‘মনজিল মোরসেদ পরিচালিত জনস্বার্থ মামলার রায়’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার আমীর এ প্রশ্ন তোলেন।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘পার্লামেন্ট তো অনেক আইন করতে চায়। বলতে চায়, কীভাবে বিচারপতি বিদায় করা যাবে, সেই আইন করব। কিন্তু বিচারপতি কীভাবে নিয়োগ করা যাবে, সে আইন করার যে নির্দেশ দেওয়া আছে সংবিধানে, সে আইন পাস করা হয় না কেন? বিচারপতি নিয়োগে সংবিধান অনুযায়ী যে আইন প্রণয়ন করার কথা, সেটা প্রণয়ন না হওয়ায় বর্তমানে যে অবস্থা রয়েছে, তাতে আমরা অ্যাডহক অবস্থায় বিচারপতি নিয়োগ করছি। এটা অনেকটা আন্দাজে ঢিল ছোড়ার মতো। একজন নামকরা জুরিস্টও বলেছিলেন, আমরা যখন বিচারপতি নিয়োগ করি, তখন আন্দাজে ঢিল ছুড়ি। বিচারপতি নিয়োগে আইন তৈরির বিষয়ে জনমত সৃষ্টির আহ্বান জানান তিনি।

ব্যারিস্টার আমীর বলেন, সংবিধানে হাইকোর্ট বিভাগ বলে একটি বিভাগ ছিল। এখন তো হাইকোর্ট বিভাগ বলে আলাদা কোনো বিভাগ খুঁজে পায় না। বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ হাইকোর্ট বিভাগের থাকার কথা। আমি কখনই মেলাতে পারি না যে, হাইকোর্ট ইক্যুয়াল টু সুপ্রিমকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট ইক্যুয়াল টু হাইকোর্ট, নর চিফ জাস্টিস ইক্যুয়াল টু সুপ্রিমকোর্ট। এই অ্যালজেব্রাগুলো মেলাতে পারি না। সে জন্য আমার মনে প্রচ- কষ্ট বহন করে চলেছি। আমাদের সংবিধানের যে চ্যাপ্টার আমরা লিখেছিলাম, এতে আমাদের যে স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্ন পূরণ আজও করতে পারিনি। সে জন্য আশা করি এ বিষয় নিয়ে সবাই আলাপ-আলোচনা করবে।

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে মানবতার স্খলন। মানবতার যে স্খলন ঘটেছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দরকার পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটি। শান্তির বড় অভাব। যে সংগঠন মনজিল মোরসেদ করেছে, তার জন্য তাকে আরও প্রো-অ্যাকটিভ ভূমিকা রাখতে হবে এই পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ক্ষেত্রে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি তাফাজ্জুল ইসলাম, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সিনিয়র আইনজীবী এবিএম নুরুল ইসলাম, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ প্রমুখ। এ ছাড়াও হাইকোর্ট বিভাগের বেশ কয়েকজন বিচারপতি ও আইনজীবী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

  • Courtesy: Amadershomoy.com/Jan 29, 2018

ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স - স্বাস্থ্য বিভাগের ৫৫ শতাংশ কর্মী কর্মস্থলে অনুপস্থিত




এমনিতেই ২৭ শতাংশ কম জনবল নিয়ে চলছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আবার যারা কর্মে নিয়োজিত, তাদেরও বড় অংশ কর্মস্থলে থাকছেন অনুপস্থিত। ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে নিবন্ধিত দেশের জেলা-উপজেলায় কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিদিনের হাজিরা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এদের ৫৫ শতাংশের বেশি কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।

স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ২০১১-১২ সালে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ৪৭৯টি হাসপাতালে ইলেকট্রনিক টাইম অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম চালু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সারা দেশে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫৫ হাজার জনবলের মধ্যে ২৮ হাজার ৩৫১ জন এ সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদিনের হাজিরার তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। চলতি মাসের ২৮ দিনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ইলেকট্রনিক টাইম অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে নিবন্ধিত কর্মীদের গড়ে ৫৫ দশমিক ৭১ শতাংশ অনুপস্থিত ছিলেন।

যারা অনুপস্থিত থাকছেন, তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, চিকিৎসক, নার্স কিংবা অন্যরা কাজ করলেও অনেকেই ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্সে সাড়া দিচ্ছেন না। এ কারণে অনুপস্থিতি বেশি দেখাচ্ছে। রেজিস্ট্রেশন করা নিয়েও অনীহা আছে অনেকের মধ্যে। তবে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।

অন্যান্য হাসপাতালের মতো ইলেকট্রনিক টাইম অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম চালু আছে নড়াইল সদর হাসপাতালেও। গতকাল হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, ১৩ জন চিকিৎসকের মধ্যে দুজন ছুটিতে। এ হিসাবে দায়িত্ব পালনের কথা ১১ জনের। কিন্তু এদিন কর্মস্থলে ছিলেন মাত্র সাতজন। এ অবস্থা দেশের অধিকাংশ সরকারি জেলা-উপজেলা হাসপাতালেরই।

গতকাল দেশের ৪৭৯টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬৬টির তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্সে উপস্থিতির হার ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে নিবন্ধিত ৬০ শতাংশ কর্মীই এদিন কর্মস্থলে যাননি। বিভাগভিত্তিক অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে বেশি ছিল ময়মনসিংহে, ৭৩ শতাংশ। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে অনুপস্থিতির হার ৬৮, রংপুরে ৬৪, চট্টগ্রামে ৬২ ও ঢাকা বিভাগে প্রায় ৬১ শতাংশ। তবে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি রয়েছে খুলনা বিভাগে। এ বিভাগে উপস্থিতির হার ৫৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

২৭ জানুয়ারির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, এদিন ৩৮৮টি প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হাজিরার তথ্য প্রেরণ করে। এসব প্রতিষ্ঠানের ৫৪ শতাংশ কর্মীই কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। ওইদিনও অনুপস্থিতির হারে শীর্ষে ছিল ময়মনসিংহ। বিভাগটির সরকারি হাসপাতালগুলোয় এদিন ৬৭ শতাংশ কর্মী কর্মস্থলে উপস্থিত হননি। ইলেকট্রনিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে নিবন্ধিত রাজশাহী বিভাগেরও ৬২ শতাংশ কর্মী ২৭ জানুয়ারি কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এসব কর্মীর অনেকেই পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করেন।

দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন জানান, তার হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ৬২ জন কর্মী রয়েছেন। এদের সবাই ইলেকট্রনিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে নিবন্ধিত। তবে চিকিৎসকদের প্রায়ই ডেপুটেশনে অন্যত্র কাজ করতে হয়। ফলে ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্সে উপস্থিতি কম থাকে।

যদিও ফরিদপুর সদর হাসপাতালে কর্মরত একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চিকিৎসকদের অনেকেই কর্মস্থলে বেশি অনুপস্থিত থাকছেন। তারা কোনো রোগীও দেখছেন না।

তদারকির দুর্বলতার কারণে চিকিৎসাসেবায় কর্মস্থলে অনুপস্থিতির হার বেশি বলে মনে করেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক। তিনি বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে সেবাদানের সঙ্গে জড়িতদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি জনগণ যাতে কাঙ্ক্ষিত সেবা পায়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। কিন্তু যৌক্তিক কারণ ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও অনেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন, যা কর্মস্থলে অনুপস্থিতির প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

জানা গেছে, সারা দেশের আটটি বিভাগে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪৭৯টি। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট পদ রয়েছে ৭৫ হাজার ৬৪৪টি। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৫৪ হাজার ৯৯৩ জন। আর ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্সে নিবন্ধিত আছেন ২৮ হাজার ৩৫১ জন। এ হিসাবে নিবন্ধনের বাইরে রয়েছেন ২৬ হাজার ৬৪২ জন।

  • Courtesy - Bonikbarta Jan 29, 2018