Search

Saturday, February 10, 2018

Political crisis to deepen: politicians

Mohiuddin Alamgir



Eminent citizens, including politicians, said on Friday that the verdict that jailed BNP chairperson Khaleda Zia for five years would further deepen the political crisis and make inclusive general elections uncertain.

Talking to New Age and in statements, they said that all corrupt people, irrespective of their political affiliations, should be brought to justice.

They also called for punishment for people involved in corruptions and scams like Hallmark scam, Bismillah Group scam, BASIC Bank and Janata Bank scams, Bangladesh Bank reserve heist and share market scams, which that shook Bangladesh, to prove that the government wanted to curb corruption.

They observed that government steps regarding the verdict, including mass arrests, allowing ruling Awami League activists to defy ban on procession and irresponsible comments from the ruling party, were spoiling democratic atmosphere and created fear among people.

The Dhaka Special Judge’s Court-5 on Thursday jailed opposition Bangladesh Nationalist Party chairperson Khaleda Zia for five years and her eldest son Tarique Rahman, also BNP senior vice-chairman, and four others for 10 years in Zia Orphanage Trust corruption case filed in 2008.

The verdict came when BNP was in the streets for neutral election-supportive government for the next general election to be held by December.  ‘Political uncertainty in the country further increased following the verdict,’ said Dhaka University professor emeritus Serajul Islam Choudhury.

‘The people were in doubt about the next election and if they would get a chance to ventilate their opinion, but this verdict increased the uncertainty,’ he said. ‘If BNP does not participate in the next general elections, it would push the people in more tough time,’ said the academic.

‘Public perception is clear. People would not accept the verdict as they are not seeing punishment for other big scams,’ he said pointing at large scams in banks, share market and other sectors. He also criticised the government for dropping graft cases against prime minister Sheikh Hasina after assuming power. ‘Such activities of the authority are not acceptable.’

Communist Party of Bangladesh president Mujahidul Islam Selim said that the verdict raised question among people who found it politically motivated. ‘If Awami League wants to prove that there is no political motivation behind the verdict, it has to bring all corrupt members of their party to justice for embezzling thousands of crores of money,’ he said.

He said why the government was not trying those involved in financial scams related to Basic Bank, Farmers Bank and Hall-Mark Group and in share market scams. ‘Country should be made free from sick political culture that party in power should drop all cases against them,’ he said, adding that the government should prove the equality of all before the law.

Incidents centring the verdict once again proved the bankruptcy of bourgeois political parties that made everything uncertain and chaotic in the politics, Mujahidul Islam said regarding the uncertainty over the next general polls.

Ganasanghati Andolan chief coordinator Zonayed Saki said that the verdict intensified the uncertainty of a participatory general election. ‘People cannot keep confidence in election atmosphere when the prime minister is seeking vote and top political party leaders are visiting courts and jails,’ he said.

He said that Khaleda was convicted in a case filed during military-controlled interim regime. Grafts cases were filed against Sheikh Hasina also during the same regime but the authorities dropped the cases terming those politically motivated after the Awami League assumed power. ‘People finds cases against Khaleda politically motivated as the government without solving big scams involving billions of taka pays more attention to her cases,’ he added.

Workers Party of Bangladesh, also an ally of the ruling AL, general secretary Fazle Hossain Badsha said that general principle of politics should be all corruption irrespective of political parties should go through proper investigation and come under purview of law for the sake of rule of law and good governance.

Had the country’s democracy developed properly, incidents of dropping of corruption cases against ruling party leaders would have come down, he said.

Democratic Left Alliance, CPB and Socialist Party of Bangladesh in a joint statement demanded punishment for all corrupt people irrespective of political identities. Khaleda has been was convicted of corruption when many big scams involving billions of Taka and big fishes of ruling party are not being prosecuted. The government should take actions against all of them to prove that the verdict has got no political motivations, the statement said.

A perception emerged among people that the government’s will was reflected in the verdict because of over enthusiasm of the government to convict Khaleda without settling the issues of large scams, autocratic rule having no mandate, the statement added. It said that corruption took place during BNP tenure, it was also continuing during this government’s tenure and people in ruling parties were 
getting indemnity from prosecution, which was not acceptable.

Jukta Front, a combine of Bikalpa Dhara, Jatiya Samajtantrik Dal faction and Nagorik Oikya, in a statement said that people’s doubt that Khaleda’s future legal steps like appeal and bail petition would be influenced by the government was getting stronger. ‘It would be complete violation of her [Khaleda] basic rights,’ the statement said. Government will be responsible for any untoward situation that hampers upcoming election atmosphere, it added.

  • Courtesy: New Age/ Feb 10, 2018

বিচার বিভাগ - অ্যাটর্নি জেনারেলকে ধন্যবাদ


শাহদীন মালিক


যে কথা আমরা কখনো বলতে পারিনি বা সাহস করিনি, শ্রদ্ধেয় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সে কথাটিই বলেছেন। শুধু বলেছেন বললে কথাগুলোকে খাটো করা হবে। কারণ, কথাগুলো তিনি বলেছেন নতুন প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন ও সংবর্ধনা জানাতে গিয়ে; ৪ ফেব্রুয়ারি, আপিল বিভাগের প্রধান বিচারকক্ষে, বিচারপতি ও বহু আইনজীবীর উপস্থিতিতে।

পুনরাবৃত্তি হবে, তবু পাঠকদের হালকা করে মনে করিয়ে দিই, অ্যাটর্নি জেনারেল কী বলেছিলেন। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী ‘…মাহবুবে আলম মনে করেন, আদালতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি বিরাট অংশ ইতিমধ্যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।’ প্রথম আলো বলছে, ‘… রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তার বক্তব্যে কোনো কোনো বেঞ্চে বিচারপতির বেঞ্চ কর্মকর্তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া, আদালতের রায় নিয়ে জাল-জালিয়াতি, বিশেষ বিশেষ কোর্ট বিশেষ বিশেষ আইনজীবীর কোর্ট হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গসহ বিচারালয়ে অনিয়মের বেশ কয়েকটি দিক উঠে এসেছে …।’

প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন ‘… সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয়টি হলো, বিশেষ বিশেষ কোর্ট বিশেষ বিশেষ আইনজীবীর কোর্ট হয়ে গেছে এবং অনেক সময় অনেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর কাছ থেকে ব্রিফ নিয়ে তাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে। বিচারপ্রার্থী ব্যক্তিরা অনেকে জেনে গেছেন, কোন কোর্টে কাকে নিয়ে গেলে মামলা জেতা যাবে। এটা তো ন্যায়বিচারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এ বিষয়ে অনেকেই ছুটছেন বিচারপতিদের সন্তান, স্ত্রী যাঁরা আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছেন তাঁদের দিকে, এই চিন্তা করে যে তাঁদের নিয়ে গেলে হয়তো মামলা জেতা যাবে। বিচারপতিদের আত্মীয় বা সন্তানেরা আগেও এই পেশায় ছিলেন, কিন্তু কখনো এরূপ অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। এখন কেন বিচারপ্রার্থীদের আচরণ এরূপ হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার।...’ (প্রথম আলো, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)
দুর্নীতি নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আরও অনেক কথা বলেছেন। আবারও ধন্যবাদ।

কয়েক মাস আগের কথা, আদালত ভবন থেকে বেরোতেই পাশে রাখা ঝকঝকে তকতকে দামি গাড়ি, কোর্টের গেটে থাকা কর্মচারীকে ঔৎসুক্যভরে জিজ্ঞেস করলাম, গাড়িটা কার? তিনিও গর্বভরে উত্তরে জানালেন, গাড়িটা সাবেক এক বিচারপতির তরুণ আইনজীবী পুত্রের। তাঁর শ্বশুর দিয়েছেন।

ছোটবেলা থেকেই এই গোছের শ্বশুরের কথা শুনছি। তখন থেকেই জানি, ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তার দামি কিছু, অর্থাৎ অনেক ভারী সোনার গয়না, দামি ঘড়ি, কয়েক বিঘা জমি ইত্যাদি তাঁরা পেতেন শ্বশুরের কৃপায়।

বিচারপতিদের পুত্র-কন্যাদের বিবাহ-শাদি তো আর বন্ধ করা যাবে না, তবে পিতা-মাতা বিচারপতি থাকাকালীন পুত্র-কন্যাদের প্র্যাকটিসের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জরুরি হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক অবস্থায় তরুণ পুত্র-কন্যাদের ওকালতির আয়ুষ্কাল হবে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছর, তার মধ্যে পিতা-মাতা বিচারপতি থাকবেন চার থেকে পাঁচ বছর। অতএব, নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো মহাভারত অশুদ্ধ হবে না। তা ছাড়া, ওই সময়টা আদালতের বাইরে আইনসংক্রান্ত অন্য অনেক কাজ যেমন কোম্পানি, ব্যাংক বা যেকোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আইন কর্মকর্তা, শিক্ষকতা, গবেষণা, আইনসংক্রান্ত এনজিও ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের দুয়ার তো খোলা থাকবে।

অবশ্য মজার ব্যাপার হলো, শ্বশুরের কাছ থেকে মহাদামি গাড়ি উপহার পাওয়া ওই তরুণ আইনজীবীকে এখন নাকি কোর্টে আর বেশি দেখা যায় না। পিতার অবসরের কিছুদিনের মধ্যেই নাকি তাঁর আইনি জ্ঞান-বিদ্যা-কৌশল ভীষণভাবে হ্রাস পেয়েছে।

২. 
আমরা যাঁরা মোটামুটি সকাল-বিকেল সুপ্রিম কোর্টের বারান্দায় ঘুরি, তাঁরা প্রায় সবাই জানি আদালতের খবর। যাতে ভুল-বোঝাবুঝি না হয়, সে জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আমরাও বলছি, বাজে কর্মচারী-কর্মকর্তার আদালত আঙুলে গোনা যায়। সংখ্যা খুবই অল্প। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে একটাও তো বাজে আদালত থাকার কথা নয়। যেগুলো বাজে, দুর্গন্ধময়, সেগুলো উপড়ে ফেলতে হবে। এই কাজটা দুর্নীতি দমন কমিশনের, এটা অ্যাটর্নি জেনারেলের নয়, আইনজীবীদের নয়, বিচারপতিদেরও নয়। অনেকেই বলতে পারেন যে অ্যাটর্নি জেনারেল যখন দুর্নীতির অভিযোগ আনছেন, তখন খোদ অ্যাটর্নি জেনারেলকেই সেটা প্রমাণ করতে হবে। দুর্নীতি প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা অ্যাটর্নি জেনারেলের নেই, এটা কেবল আছে দুর্নীতি দমন কমিশনের।

দুর্নীতি দমন কমিশন জানতে চাইলে বিজ্ঞ আইনজীবীদের অধিকাংশই লেনদেনে জড়িত গুটিকয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেখিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু ঘুষের টাকা জমা হওয়া ব্যাংক হিসাবের অ্যাকাউন্ট নম্বর তো আমরা বলতে পারব না। চাইলে মার খাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেই অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়ার আইনগত ক্ষমতা একমাত্র দুদকের। সম্পত্তির হিসাবও চাইতে পারে একমাত্র দুদক। বলা বাহুল্য, ঘুষের তদন্ত বা অনুসন্ধান করা প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। তবে দুদক অভিযোগ দায়ের করার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রধান বিচারপতির দপ্তরে থাকবে।

৩. 
আদালতের সমস্যা অনেক। মামলার জট, অদক্ষতা-অযোগ্যতাসহ সমস্যার ফিরিস্তি দীর্ঘায়িত করা মোটেও কঠিন কাজ নয়। কিন্তু এসব সমস্যার কারণে আদালতের প্রতি বিচারপ্রার্থীদের আস্থায় খুব বেশি চিড় ধরে না। দীর্ঘসূত্রতার কারণে খরচ বাড়ে, বিরক্তিও বাড়ে, তবে শেষতক ন্যায়বিচার হয়।
কিন্তু অন্যায়, অনিয়ম, পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপ্রীতি, ঘুষ, রাজনৈতিক প্রভাব, টেলিফোনে নির্দেশ, দুর্নীতি-এগুলো অনেক বড় সমস্যা। অন্যদিকে একজন অদক্ষ বা অযোগ্য লোককে রাতারাতি দক্ষ ও যোগ্য কর্মীতে পরিণত করা যায় না। কিন্তু ঘুষ-দুর্নীতি উপড়ে ফেলা যায় সাততাড়াতাড়ি। সবাইকে তো আর ধরতে হবে না, কয়েকজনকে ধরলেই বাকিগুলো গর্তে ঢুকে পড়বে।

আদালতের ওপর আক্রমণ আসছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। রক্ষা করতে এই মুহূর্তে প্রয়োজন দুদকেরও সাহায্য। আবারও বলছি, এই কাজটা একমাত্র দুদকের। আর অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলব, আমরাও দুদককে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে এক পায়ে খাড়া। বলা বাহুল্য, দুদককে আইন অনুযায়ী, নিয়ম মেনে তদন্ত করতে হবে, তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে এবং ঠিকমতো মামলা দায়ের ও পরিচালনা করতে হবে।

তবে সমস্যা তো একটু আছেই, বেসিক ব্যাংকের মতো দুদক খালি ট্যাংরা-পুঁটি খোঁজে এবং ধরে, রুই-কাতলার ধারেকাছেও যায় না। মাঝে মাঝে শুধু ডেকে লোক দেখানো আলাপ-আলোচনা করে। একইভাবে আদালতের ঘুষ-দুর্নীতি দূর করতে দুদক হয়তো দৌড়াবে শুধু পিয়ন-চাপরাশিদের পেছনে। রাঘববোয়ালেরা থাকবে বহাল তবিয়তে। হয়তো রেট আরও বাড়বে, গুটিকয়েক পছন্দের আইনজীবীর কামাইও বাড়বে, বাড়বে বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ আর শুধু কমবে আদালতের ওপর আস্থা। কেননা, রাষ্ট্র এখন ওদের, দুর্নীতিবাজদের। রাষ্ট্র আর আমাদের নয়।

তবে কথা এখানেই শেষ নয়। আমাদের রাষ্ট্রে আবার আমাদের নিজেদের করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। শুরুর পথের যাত্রী হওয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলকে আবারও ধন্যবাদ।

  • ড. শাহদীন মালিক: সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের আইনের শিক্ষক

উৎসঃ প্রথম আলো prothomalo.com

Wednesday, February 7, 2018

শান্তি রক্ষার নামে শান্তি হরণ নয়? - জনমনে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা

সম্পাদকীয়


৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়কে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা রয়েছে, সরকারের সর্বশেষ পদক্ষেপে তা বাড়বে বই কমবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে বলা হয়, মামলার রায় ঘোষণার দিন ঢাকায় সভা, মিছিল এবং ছুরি-লাঠির মতো অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন ভোর চারটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ কবে আসবে? 

জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। কিন্তু কোনো মামলার রায়কে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়ানো কোনো কাজের কথা হতে পারে না। আরও উদ্বেগের বিষয় ঢাকায় সভা–সমাবেশ বন্ধের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম সীমিত নেই। গণমাধ্যমে খবর এসেছে, ওই দিন ঢাকার প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এ খবর সত্য হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। চিকিৎসা, ব্যবসাসহ নানা জরুরি কাজে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় আসেন। একটি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া কেবল বেআইনি নয়, অমানবিকও। 

সরকার ও সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পাইকারি ধরপাকড় চালাচ্ছে না; পুলিশের ওপর যাঁরা হামলা করেছেন কিংবা প্রিজন ভ্যান থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়েছেন, তাঁদেরই ধরা হচ্ছে। সরকারপক্ষের এই দাবি সত্য হলে দেশবাসী আশ্বস্ত হতে পারত। কিন্তু বাস্তবতা হলো পুলিশের ওপর হামলার পর থেকে পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান ও তল্লাশি অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে বিএনপির সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকায় অথচ ঢাকার বাইরে বিএনপির বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাহলে কি ঢাকার বাইরে থেকে তাঁরা রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে পুলিশের ওপর হামলা করেছিলেন? সোমবার খালেদা জিয়ার সিলেট যাওয়ার পথে তাঁকে স্বাগত জানাতে গেলে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ থেকে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার কৌঁসুলি সাখাওয়াত হোসেনসহ অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সাত খুনের আসামিদের বিচারে সাখাওয়াত হোসেন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। এসব কিসের আলামত? 


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, মামলার রায়কে কেন্দ্র করে তাঁরা কোনো কর্মসূচি নেবেন না। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করলাম, খালেদা জিয়ার সিলেট যাওয়ার পথে নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হাতে লাঠি ও জুতা নিয়ে মিছিল করেছেন। স্থানীয় সাংসদের নামে স্লোগান দিয়েছেন। কোনো রাজনৈতিক নেতার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এ ধরনের তৎপরতা অবশ্যই নিন্দনীয়। 

বর্তমানে সারা দেশে এসএসসি পরীক্ষা চলছে। আদালতের রায় ঘোষণার দিনও এসএসসি পরীক্ষা আছে। সে ক্ষেত্রে কোনো রকম অরাজক অবস্থা তৈরি হলে কিংবা সভা–সমাবেশ বন্ধের নামে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হলে পরীক্ষার্থীসহ ঢাকার নাগরিকেরা মারাত্মক বিপদে পড়বে। এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাছে সংযত ও সহিষ্ণু আচরণ প্রত্যাশিত। 


ডিএমপি ঢাকায় সভা–সমাবেশ নিষিদ্ধ করায় ইতিমধ্যে মানুষ উদ্বিগ্ন। এরপরও ধরপাকড় অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়তে বাধ্য। তাই তাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না, যাতে জনগণের শান্তি, স্বস্তি ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। 

শান্তি রক্ষার নামে শান্তি হরণের অধিকার কারও নেই।


  • Courtesy: Prothom Alo/Feb 7, 2018

FEB 8: VERDICT IN KHALEDA'S GRAFT CASE - Dhaka to be delinked

Cops lay down control plan to keep BNP at bay
Staff Correspondent


Law enforcers have taken a series of measures to prevent BNP supporters from entering the capital so they cannot gather on the streets centring on tomorrow's (Thursday’s) expected verdict in a corruption case against Khaleda Zia.

As part of the move, police have already set up additional checkpoints at all the eight entry points to the capital. Also, law enforcers may cut off the capital from the rest of the country to prevent BNP men from coming to the city, police sources said.

The DMP imposed a ban on procession, effective from 4:00am tomorrow until further notice, said a DMP release yesterday Tuesday), adding it had intelligence about possible subversive activities. 

Most of the 35,000-strong forces of the Dhaka Metropolitan Police will be deployed on the streets. Normally, some 8,000 police members are deployed every day. 

“We will be on the hard line. No one will be allowed to gather or bring out processions on the street,” a deputy commissioner of DMP told The Daily Star.

The ruling Awami League has also announced that its leaders and activists will be on the streets to prevent BNP men from carrying out any attack.

An owner of a private bus service on Dhaka-Satkhira route said police instructed them not to rent out any bus for reserve passengers and take steps so that fewer buses ply tonight.

An official of Shyamoli Paribahan, one of the largest private bus operators, said they would not operate any bus tomorrow, although they did not receive any such instructions.   

The BNP instructed its leaders and activists to stage peaceful demonstrations in their areas, but a large number of them are expected to travel to the capital ahead of the Zia Orphanage Trust graft case verdict.

Khaleda, her son Tarique Rahman, also BNP's second man, and four others are accused of misappropriating money from the Trust. Khaleda denies the charges.

Police said there will be additional checkpoints at all the eight city entry points at Postogola Bridge, Sadarghat, Abdullahpur Bridge, Dhaur Bridge in Ashulia, Babubazar Bridge, Gabtoli, Jatrabari and Sultana Kamal Bridge at Demra.

Each of these points already has one or two checkpoints, they added. 

Ibrahim Khan, deputy commissioner (Lalbagh division) of DMP, said vehicles entering the capital would have to go through security checks so that no one could enter the city with anything that caused destruction.

Residential hotels in the capital have been asked to collect National ID cards and detail information of boarders every day and submit those to detectives.

“We had given a similar instruction about one and a half years ago. Hoteliers are now following it and we have kept them under surveillance,” said Ibrahim.

Over the last few days, law enforcers increased surveillance at Sadarghat Launch Terminal and Kamalapur Railway Station so that no one can carry illegal firearms or explosives. Similar measures have been taken at other important places, bus and launch terminals and rail stations, by setting up CCTV cameras. Additional security measures have been taken to thwart any attack at key point installations.

Yesterday, Inspector General of Police Mohammad Javed Patwary instructed all commissioners, range deputy inspector generals and unit chiefs to remain alert so they could prevent violence and subversive activities in their areas.

Earlier on Thursday, the police headquarters (PHQ) wrote to the district police superintendents and unit chiefs to bring under surveillance the opposition leaders and activists with previous records of involvement in subversive acts.

Md Moniruzzaman, additional deputy inspector general of intelligence and special affairs of the PHQ, said they instructed all police units to take stern actions if anyone tried to damage public properties and put people's lives at risk.

SM Jahangir Alam Sarker, police superintendent of Feni, Khaleda's hometown, said they were prepared to tackle any situation.

Khandaker Enayet Ullah, general secretary of the National Road Transport Owners Association, said 15,000-20,000 transport workers would remain standby at different city terminals tomorrow to resist attack on transport.

At a meeting yesterday, they also decided to operate buses even if anyone called hartal or blockade. Buses would be parked in specific areas under police protection, Enayet added.

  • Courtesy: The Daily Star


Censor the internet? Bad idea.


By Mark Trainer  



One of the founding principles of the United States is freedom of expression. As technology has allowed new ways for people to express themselves, protecting that freedom has meant protecting not just what’s in books and newspapers, on radio and television but also what is on the internet.

Because of the First Amendment to the Constitution — which says no law may be passed to abridge freedom of speech — federal, state and local governments are barred from censoring material on the internet.

The Federal Communications Commission (FCC) regulates interstate and international communications by radio, television, wire, satellite and cable. Although the internet doesn’t fall neatly into any of these categories, the FCC has in the past exerted influence on the internet by encouraging deployment of advanced telecommunications capability in the U.S.

Brendan Carr is one of the five commissioners of the FCC. Commissioners are appointed by the president for five-year terms. “Our view, consistent with the First Amendment,” said Carr, “is that getting more information out there is always the best and better course.”

“Government should not move toward censoring, scrubbing or prohibiting lawful speech on the internet.” ~ FCC Commissioner Brendan Carr

This is a different approach from other countries, where citizens’ access to content is in some cases regulated by government. Some countries suppress graphic content, speech the government determines is hateful and other content deemed offensive. In North Korea, most people are denied access to the global internet altogether.

“It’s very difficult to make subjective judgments about the content of speech,” said Carr. “Oftentimes government actors that would go after so-called hate speech or other types of speech can have a very different view of what that type of speech is than citizens or other governments.”

In the United States, the First Amendment seeks to protect political dissent.

The World Conference of International Telecommunications was convened by the United Nations in Dubai, United Arab Emirates, in 2012 in order to update international telecommunications treaties for the internet era. The U.S. ended up leading a bloc of 80 countries that refused to sign the proposed updates because of disagreements over issues related to internet freedom.

Terry Kramer, a telecommunications executive and professor at the University of California, Los Angeles, led the U.S. delegation at the conference. One proposed update sought to limit spam, says Kramer.

In the U.S. and many other countries, he points out, spam refers to unwanted commercial email. “But in many of the cases where we looked at what other countries were referring to by ‘spam,’” Kramer said, “they were actually referring to people having points of view about governments. All of a sudden you see that censorship is what’s being advocated. I remember a literal chilling feeling.”

Carr thinks protecting political dissent on the internet is ultimately to the benefit of government.

“We have to leave ample room for opposing viewpoints on the internet,” he said. “Our government — and governments around the world — are going to be far more responsive to the views of their citizens if they’re hearing from them. And if the citizens don’t like what the government’s doing, they have every right to make that known.”

- america.gov


Digital Security Act: Editors demand discussions with stakeholders

Urge govt not to finalise it hastily
Staff Correspondent


The Shampadak Parishad has voiced deep concern over the inclusion of the controversial Section-57 of the ICT Act and some strict provisions in the draft of the Digital Security Act 2018.

Terming the draft law a harsher one, the Parishad, an organisation of editors of the country's national dailies, has demanded that the government drop all controversial sections from the draft act.  

The Parishad also demanded that the draft be finalised following discussions among all stakeholders, saying the law should not be enacted hastily.

The nature of crime and the provision of punishment for “digital spying” mentioned in Section-32 of the proposed law will hurt freedom of speech and the fundamental spirit of democracy. It will also create an environment that may stifle press freedom, the organisation said in a press statement yesterday (Tuesday).

The statement was issued after a meeting of the Parishad with its President and Samakal Editor Golam Sarwar in the chair at The Daily Star Centre in the capital.

According to the proposed law, if anyone collects and keeps secret information of any government office in his or her computer or digital and electronic devices, it would be tantamount to digital or computer spying.

And the person will face harsh punishment -- a maximum of 14 years in jail or a fine of up to Tk 25 lakh or both. If that person commits the crime again, he or she will face life imprisonment or a maximum fine of Tk 1 crore or both.

In Section-57 of the ICT Act, four issues -- hurting religious sentiment, damaging the country's image, hampering communal harmony, and causing deterioration of law and order -- were incorporated without any specific explanations, the Parishad pointed out.

Following repeated misuse of the section, journalists and civil society members raised strong demands for repealing the law, it said.

In the name of revising the law, those four issues were put in separate sections of the proposed law with separate provisions of punishment, mentioned the statement.

The law minister had assured that sections 54, 55, 56, 57 and 66 of the ICT Act will be revoked through the enactment of the digital security law. But the controversial elements of Section-57 were tactfully included in sections 25, 28, 29 and 31 of the proposed digital security act, it added.

The meeting was attended by The Daily Star Editor and Publisher Mahfuz Anam; Chief Editor of Manabzamin Matiur Rahman Chowdhury; News Today Editor Reazuddin Ahmed; The Financial Express Editor AHM Moazzem Hossain; Acting Editor of Sangbad Khandaker Muniruzzaman; New Age Editor Nurul Kabir; Bhorer Kagoj Editor Shyamal Dutta; Bangladesh Pratidin Editor Nayeem Nizam; Naya Diganta Editor Alamgir Mohiuddin; Acting Editor of Jugantor Saiful Alam; Banik Barta Editor Dewan Hanif Mahmud; The Independent Editor M Shamsur Rahman; Daily Azadi Editor MA Malek; Daily Inquilab Editor AMM Bahauddin; Korotoa Editor Md Mozammel Haq; Dhaka Tribune Editor Zafar Sobhan; and Prothom Alo Editor Matiur Rahman.

Courtesy: The Daily Star Feb 7, 2018

DRIVE AHEAD OF KHALEDA VERDICT - 750 held as arrests on

BNP accuses police of ‘atrocities’ at their homes, abuse of families
Staff Correspondent


‘Targeted’ arrests of opposition Bangladesh Nationalist Party leaders and activists across the country continued on Tuesday ahead of the verdict in a corruption case against BNP chairperson Khaleda Zia scheduled for Thursday.

According to the police and BNP, at least 750 leaders and activists of different unit of BNP and front organisations were arrested in Dhaka, Jessore, Tangail, Pabna, Feni, Sylhet, Satkhira, Chandpur, Netrokona, Manikganj, Bogra, Sunamganj, Narayanganj, Brammanbaria, Munshiganj, Madaripur, Bagerhat, Moulvibazar, Rangamati, Chittagong, Mymensingh, Narsingdi and Lakshmipur on Tuesday.

BNP leaders said that police carried out raids on the houses of the political activists, ransacked the houses at places and arrested family members failing to capture the person they looked for. 

The police headquarters deputy inspector general Mahbubur Rahman declined to comment.

About the alleged atrocities, police headquarters’ assistant inspector general (media and public relations) Seheli Ferdous said that the operational units could say how they were conducting operations but they did not have the figure of held BNP leaders and activists.

Rapid Action Battalion spokesperson Mufti Mahmud Khan said that they deployed their personnel and actions were being taken against anyone trying to disturb law and order.

Dhaka Chief Metropolitan Magistrate’s Court sources said that the police produced before the court 268 BNP leaders and activists on Tuesday and 231 on Monday.

‘None of the people arrested in past few weeks in Dhaka granted bail. They were remanded either in jail or police custody for interrogation,’ said a pro-BNP lawyer.

‘It’s targeted but indiscriminate arrest of opposition leaders and activists,’ said senior BNP joint secretary general Ruhul Kabir Rizvi.

Dhaka Metropolitan Police on Tuesday banned any procession or demonstration sitting or standing in roads blocking movement of traffic and pedestrians from 4:00am Thursday.

The metropolitan police also banned carrying cane, stick, sharp weapon and explosive. The bans would continue until further order.

Metropolitan police commissioner Asaduzzaman Mia said that he imposed the bans under the Dhaka Metropolitan Police Ordinance to maintain law and order.

He said that they had information that some individuals or quarters were intended to disrupt public security and public order through anarchy centring the pronouncement of the verdict.

Dhaka Special Judge’s Court 5 is scheduled for Thursday to pronounce verdict in the Zia Orphanage Trust corruption case against Khaleda, her enlist son Tarique Rahman and four others.

A prison directorate official said that nearly 3,000 people landed in jails in the past six days. According to the prison statistics, the number of inmates increased to 75,912 by Tuesday from about 73,000 on January 31.

Rizvi at a press conference on Tuesday alleged that nearly 1,200 BNP leaders and activists were held from different parts of the country in past few days, and police during the arrest ransacked properties of their houses. He said that most BNP leaders and activists were now out of their house and many became almost ‘homeless’. 

In a statement on Tuesday morning, BNP said that its joint secretary general Habib-Un-Nabi Khan Sohel, also the president of Dhaka south city BNP, went missing after he had returned from Sylhet early Tuesday.

In Pabna, the police arrested BNP district unit secretary Habibur Rahman Tota, Sweschasebak Dal president Monwar Hossain Shamim, among others. In Satkhira, the police arrested 71 BNP leaders and activists, including district Jatiyatabadi Chhatra Dal secretary Ahaduzzaman Arzad.

New Age correspondent in Sylhet reported that 21 BNP leaders and activists were arrested at different upazilas in Sunamganj in drives until early Tuesday.

Of them, 4 were arrested at sadar upazila, 3 each at Bishwambharpur, Chhatak, Doarabazar and Jamalganj, 2 each at Jagannathpur and Derai and 1 at Shalla, police officials said. District Juba Dal leaders Hafizul Islam Raju, Oliur Rahman Oli and Sirajul Islam were among the arrested, the police officials said. 

Sunamganj police additional deputy superintendent Md Habibullah said that the arrests were made following an intelligence report that they could run subversive activities.

New Age correspondent in Tangail reported that four BNP members, including Kalihati upazila Swachchhasebak Dal joint convener Luthfor Rahman Lenin, were arrested on Tuesday.

New Age correspondent in Lakshmipur reported that 20 BNP leaders and activists were arrested. The correspondent in Magura reported that the police arrested 13 BNP people in overnight drives. 

  • Courtesy: new Age Feb 7, 2018


সেতু ভবনে সাংবাদিককে দেড় ঘণ্টা আটকে রেখে হয়রানি


সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজধানীর সেতু ভবনে হয়রানির শিকার হয়েছেন দৈনিক আমাদের সময়ের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তাওহীদুল ইসলাম। ‘ভবনে ঢোকার দায়ে’ তাকে দেড়ঘণ্টা ধরে আটকে রেখে জেরা করেন সেতু বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা। এ সময় সেতু ভবনে কোনো সাংবাদিক ঢুকতে পারবে না বলে জানান তারা। গতকাল বনানীর সেতু ভবনে এ ঘটনা ঘটে। পরে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ভবন থেকে বের হন তিনি।

সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলাম বলেন, গতকাল সকালে সেতু ভবনে পেশাগত কাজে গিয়েছিলাম। কাজ শেষে বের হওয়ার পথে অভ্যর্থনা কক্ষে প্রথমে আমাকে আটকানো হয়। এরপর তিন তলায় সেতু কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুল আলমের কক্ষে নিয়ে যাওয়া যায়। তিনি জানতে চান, কীভাবে ভেতরে ঢুকেছেন? কার সঙ্গে এবং কি কাজে এসেছেন তার ব্যাখ্যা জানতে চান।

তিনি বলেন, পরে পরিচালক (প্রশাসন) এম কায়সারুল  ইসলামের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনিও মানসিকভাবে হয়রানি করতে শুরু করেন। ভেতরে আটকে রাখাসহ ঘটনার বিস্তারিত মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজকে জানানো হলে তার হস্তক্ষেপে ভবন থেকে বের হন তিনি।

এ সম্পর্কে সেতু বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের কোনো ব্রিফিং ছাড়া সাংবাদিকের এখানে কোনো কাজ থাকতে পারে না।

Courtesy: Bonik Barta/Feb 7, 2018

ফারমার্স ব্যাংকে ১,১০০ কোটি টাকা মূলধন দিচ্ছে সোনালী অগ্রণী জনতা


ফারমার্স ব্যাংককে নতুনভাবে দাঁড় করাতে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার মূলধন জোগান দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। এর মধ্যে আইসিবি একাই জোগান দেবে ৪৫০ কোটি টাকা। বাকি টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি ব্যাংক বিভিন্ন পরিমাণে মূলধন হিসেবে জোগান দেবে। এ অর্থ যোগ হলে ফারমার্স ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এছাড়া আর্থিক ভিত শক্তিশালী করতে ৫০০ কোটি টাকার বন্ডও ছাড়বে ব্যাংকটি। ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে গৃহীত এ সিদ্ধান্ত এখন বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

ফারমার্স ব্যাংকে মূলধন জোগান দেয়ার বিষয়টি নিয়ে গতকাল (Tuesday)পরিচালনা পর্ষদের সভা আহ্বান করে আইসিবি। বেলা ৩টায় আহ্বান করা ওই সভায় ফারমার্স ব্যাংকে মূলধন জোগান দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। তবে আইসিবির কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) মিছিল ও হট্টগোলের কারণে পর্ষদ সভাটি স্থগিত হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবারো বৈঠক হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আইসিবির পর্ষদ সভায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শামস-উল-ইসলাম। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, আইসিবির পর্ষদ সভায় ফারমার্স ব্যাংকে মূলধন জোগান দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। তবে সভা শুরুর অল্প সময়ের মধ্যেই তা স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে আবারো বৈঠক হবে। ইকুইটি হিসেবে ফারমার্স ব্যাংকের মূলধন জোগান দিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে।

ফারমার্স ব্যাংকে কী পরিমাণ মূলধন জোগান দেবেন? জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি বলেন, সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যা চাওয়া হবে, আমরা তা-ই দিতে প্রস্তুত। কারণ আমাদের হাতে বিনিয়োগ করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারল্য সংকট কাটিয়ে ওঠা ও মূলধনের জোগান বাড়ানোর শর্তে ফারমার্স ব্যাংকের নতুন পর্ষদ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আগে বিনিয়োগ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য ব্যাংকগুলোও এখন ফারমার্স ব্যাংকে মূলধন জোগান দেবে। সোনালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংক ছাড়াও আইসিবিকে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

আইসিবির পর্ষদ সভায় অংশ নিয়েছিলেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুছ ছালাম আজাদও। তিনি বলেন, আইসিবির সভায় ফারমার্স ব্যাংকে মূলধন জোগান দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। তবে পরিচালক হিসেবে এর কোনো মেমো আমি পাইনি। সভা শুরু হওয়ার অল্প সময় পরই তা স্থগিত করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক চাইলে আমরাও ফারমার্স ব্যাংকে মূলধন জোগান দিতে প্রস্তুত আছি।

আইসিবির পর্ষদ সভা স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্বপূর্ণ একজন সিবিএ নেতা বলেন, ফারমার্স ব্যাংকের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এ বিনিয়োগকে আমরা নিরাপদ মনে করছি না। এজন্যই সিবিএর পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

ফারমার্স ব্যাংকের পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকলে গত বছরের শেষ দিকে ব্যাংকটির পর্ষদে হস্তক্ষেপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২৭ নভেম্বর ফারমার্স ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তিনি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। একই দিন পদত্যাগ করেন ব্যাংকটির অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হক চিশতীও। আরেক পরিচালক ড. মোহাম্মদ আতাহার উদ্দিন ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ মাসুদকে চেয়ারম্যান ও মারুফ আলমকে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। পুনর্গঠন করা হয় ব্যাংকটির সব কমিটিও। এরপর ১৯ ডিসেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে একেএম শামীমকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটিকে দাঁড় করাতে পুনর্গঠিত পর্ষদকে তিন মাস সময় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার পরও ফারমার্স ব্যাংকের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় গত মাসের মাঝামাঝি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে আরেক দফা পরিবর্তন আসে।

ব্যাংকটির পর্ষদের সদস্য ও নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফাত। দেড় মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফায় এ পরিবর্তনের পর ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।

২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া নয়টি ব্যাংকের একটি দ্য ফারমার্স ব্যাংক। মোট ৩৯ জন ব্যক্তি উদ্যোক্তা ও ১২টি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগে ৪০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে যাত্রা করে ব্যাংকটি। ফারমার্স ব্যাংকের মোট ৪০ কোটি ১৬ লাখ ১০ হাজার শেয়ারের মধ্যে ৩৯ জন ব্যক্তি উদ্যোক্তার শেয়ার ২৯ কোটি ৩৬ লাখ ১০ হাজার। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা হিসাবে ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ রয়েছে ২৯৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা, যা ব্যাংকটির মোট শেয়ারের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ। বাকি ১২টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর মূলধন ১০৮ কোটি টাকা।

ফারমার্স ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আইসিবি ছাড়াও রয়েছে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, এবি ব্যাংক ফার্স্ব মিউচুয়াল ফান্ড, আইসিবি ইউনিট ফান্ড ও তামাম ডিজাইন লিমিটেড।

  • Courtesy: Banik Barta/Feb 7, 2018

ক্ষমতার কোনো জবাবদিহিতা করতে হয় না - জোনায়েদ সাকি


এখন বর্তমান রাষ্ট্র ক্ষমতা এবং সরকারি ক্ষমতায় যারা আছেন, তারা একটি লুটপাটের একটি মহোৎসব চালাচ্ছে। তার প্রভাব তো সর্বত্র। ফলে ক্ষমতার অন্যান্য যে কেন্দ্র গুলো আছে, তার সব গুলোতে প্রভাব পড়বে। তারা যেভাবে পারছে, সেভাবে ধনসম্পদ আহরণ করছে। তারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত এবং সরাসরি পুলিশও এর সাথে জড়িত আছে। কারণ, তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে কোন জবাবদিহিতা করতে হয় না।

এর ফলে ধন-সম্পদ আহরণ করাটা সবার কাছে মুখ্য বিষয় হয়ে পড়েছে। কিন্তু এর নুন্যতম বিচার করছে না সরকার। এই মাদক ব্যবসায়িরা বলছেন, যেভাবে পারো মাদক ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন কর। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে এদের মত এই সব ব্যবসায়িদের কোন জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। এবং তারা দেশে মাদক ব্যবসা করে এদেশের জনগনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

  • Courtesy: AmaderShomoy Feb 7, 2018