Search

Tuesday, March 6, 2018

দায় সরকারকেই বহন করতে হবে

গোলাম মোর্তোজা



মুহাম্মদ জাফর ইকবাল প্রিয় শিক্ষক- লেখক। তিনি আক্রান্ত হওয়ার পর যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে, সেটাই স্বাভাবিক। তার উপর হামলার আশঙ্কা অনেক বছর ধরেই ছিল। পুলিশি নিরাপত্তাও তাকে দেয়া হয়েছিল। সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকা অবস্থাতেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধরে নেয়া হয়েছে। যে, হামলা জঙ্গিরাই করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনিও বলেছে, ফয়জুর জঙ্গি মতাদর্শ ধারন করেই হামলা করেছে। ’জাফর ইকবাল নাস্তিক, ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে লেখেন’- সেকারণেই তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে ফয়জুর। র‌্যাবের তথ্য তেমনই বলছে।

জঙ্গি বিষয়টি আবার আলোচনায় স্থান করে নিয়েছে। আজকের লেখায় সে বিষয়ে কিছু বলার চেষ্টা করব।

১. এদেশে অনলাইনে যারা লেখেন, তাদের ‘নাস্তিক’ আখ্যা দিয়ে হত্যা করা শুরু হয়েছিল।এসব লেখকদের কেউ কেউ আপত্তিকর অনেক কিছু লিখেছেন। আপত্তিকর শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকেই নয়, যে কোনো বিবেচনাতেই আপত্তিকর।সে সব দেখে কিছু মানুষ ক্ষুদ্ধ হতেই পারেন, হত্যা করতে পারেন না।

তবে অনলাইনের লেখকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ, কাউকে অসম্মান বা আপত্তিকর কিছু লেখেন নি। অদ্ভূত ব্যাপার হলো, অনলাইনে যারা লেখেন তাদের প্রায় সবাইকে ‘নাস্তিক’ আখ্যা দেয়া হয়েছে এবং প্রচারণা চালানো হয়েছে। কাজটি সামনে থেকে করেছে হেফাজতে ইসলাম। আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে হেফাজতের তীব্র বৈরি সম্পর্ক।২০১৩ সালের শাপলা চত্ত্বরে হেফাজতের সমাবেশ প্রতিহতের মধ্য দিয়ে যা চুড়ান্ত রূপ নেয়।

তারপর থেকে সরকার কৌশল পরিবর্তন করে। হেফাজতকে সুযোগ- সুবিধা দিয়ে, বিএনপি- জামায়াতের কাছ থেকে ভাগিয়ে নেয়ার নীতি নেয়।চট্রগ্রামে রেলের জমিসহ অনেক কিছু হেফাজতকে দেয়া হয়।সরকারের সঙ্গে মিত্রতা তৈরি হতে থাকে সরকারের। এই সময় হেফাজত অনলাইন লেখকদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে আন্দোলন করতে থাকে। হেফাজতের প্রচারণা অনুযায়ী যারা ‘নাস্তিক’ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় সরকার। সরকারকে ৮০ জনের একটি তালিকা দেয় হেফাজত। সেই তালিকার থেকে তাৎক্ষনিকভাবে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে সরকার। এর ফলে সরকার ভেতরে- বাইরে থেকে সমালোচনার মুখে পড়ে।ব্যবস্থা নেয়া থেকে বিরত থাকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়সহ আরও দু’একটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা হেফাজত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে ৮০ জন থেকে তালিকা ৩৫ জনে নামিয়ে আনে।বেশ কয়েকজন অনলাইন লেখক তখন রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে বিদেশে চলে যায়। তালিকা চুড়ান্ত করলেও, হেফাজতের চাহিদা অনুযায়ী সরকার ব্যবস্থা নেয়া অব্যাহত রাখে না।

তারপর প্রায় নিয়ম করে অনলাইন লেখক বা ব্লগারদের চাপাতি দিয়ে কূপিয়ে হত্যা করা শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া প্রায় সবার নাম তালিকায় ছিল।আরও পরিস্কার করে বললে, তালিকা অনুযায়ী হত্যাকান্ড চলতে থাকে।

রাজিব হত্যাকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা জানানোর জন্যে তার বাসায়ও গিয়েছিলেন। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত তার কিছুদিন পর থেকেই সরকারের অবস্থান পুরোপুরি বদলে যায়।

হত্যাকান্ডের সংখ্যা যখন বাড়তে থাকে তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন:‘...আর এই লেখার জন্য কোনও অঘটন ঘটলে দোষ সরকারের ওপর আসবে কেন? সবাইকে সংযমতা নিয়ে চলতে হবে। সবাইকে একটা শালীনতা বজায় রেখে চলতে হবে। অসভ্যতা কেউ করবেন না। অসভ্য আচরণ করলে তার দায়িত্ব কে নেবে? আমরা নেব না।’ -শেখ হাসিনা, ১৪  এপ্রিল ২০১৬ হত্যাকান্ডের শিকার হন দীপন- অভিজিৎরা। তদন্ত বিচার কোনো কিছুই গতি পায় না।

২. জাফর ইকবালের উপর আক্রমণকারীদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সাগর-রুনি, দীপন-অভিজিৎদের ক্ষেত্রেও এমন নির্দেশ এসেছিল। ‘নির্দেশ বাবু’র কি অবস্থা, তা তো কারও অজানা নয়।

তদন্তের আগেই প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন, ‘হামলাকারী কারা হামলার ধরন থেকেই স্পষ্ট’। পুলিশি তদন্তের আগেই সাম্প্রতিক অতিকথক ওবায়দুল কাদের ৪ মার্চ বলে দিয়েছেন, ‘হামলাকারীর স্বীকারোক্তি শুনে আমরা বিস্মিত হয়েছি...। এই হামলা চক্রান্ত, এটা সত্য। চক্রান্ত তাদের, যাদের বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা দেয়।’

উপরে যে ঘটনাক্রম উল্লেখ করেছি তা থেকে তো ‘হামলাকারী কারা হামলার ধরন থেকেই স্পষ্ট’- হওয়ারই কথা!

ওবায়দুল কাদের যে বিএনপিকে দায়ী করলেন, তার ভিত্তিটা কী? ঘটনাক্রম তা বলে না, তদন্তও হয়নি। তাহলে কি কাউকে বাঁচানো, কাউকে ফাঁসানোর উদ্দেশেই তদন্তের আগে এমন মন্তব্য ?

৩. অনলাইন লেখক- প্রকাশক হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে নাস্তিকদের পক্ষ নেয়া হয়, সরকারের এমন পরিচিতি তৈরি হয়ে যায় কিনা, ভয়ে ছিল সরকার। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কারও কারও বক্তব্যে তার প্রকাশও ঘটে।

সরকার এখনও সেই ভয়েই আছে। ফলে হত্যাকান্ডগুলোর তদন্ত হয়নি। সরকারের অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। কিন্তু ধর্ম অবমাননা করে জাফর ইকবাল তো তেমন কিছু জীবনে কখনো কোনোদিন লেখেননি। কিছু লেখেন নি প্রকাশক দীপনও। দীপন খুন হয়েছেন, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল অল্পের জন্যে বেঁচে গেছেন।

পূর্বের হত্যাকান্ডগুলোর সঙ্গে জাফর ইকবাল হত্যা প্রচেষ্টা মিলিয়ে দেখলে, কিছু ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

ক. পূর্বের হত্যাকান্ডগুলোতে যে ধরনের চাপাতি ব্যবহৃত হতে দেখা গেছে, জাফর ইকবালের ক্ষেত্রে একই রকম চাপাতি ব্যবহৃত হয় নি। যতদূর জানা গেছে তুলনামূলকভাবে ছোট আকারের চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে জাফর ইকবালকে।

খ. পূর্বের সব আক্রমণকারীরা ছিল হত্যাকান্ড ঘটানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ।ঘাড়ের কোন স্থানে এক কোপে হত্যা করা যাবে, সে বিষয়ে আক্রমণকারীরা ছিল পারদর্শী বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

গ. ফয়জুরের চাকু এবং কোপ দেয়ার ধরন দেখে তাকে দক্ষ- পারদর্শী বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মনে হয় নি।

ঘ. ফয়জুর যত কাছে থেকে সময় নিয়ে আক্রমণ করার সুযোগ পেয়েছে, সে দক্ষ হলে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না।

৪. জাফর ইকবালের উপর আক্রমণ জঙ্গিরাই করেছে, সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সঠিক তদন্ত অপরিহার্য।’সঠিক তদন্ত’ বিষয়টির সবচেয়ে বড় অনুপস্থিতি এদেশে।

নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত তিন জন পুলিশ, জাফর ইকবালকে অরক্ষিত রেখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিন জনের দুই জন আবার স্মার্ট ফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। মঞ্চে ঠিক জাফর ইকবালের পেছনে অবস্থান নেয়া ঘাতক যখন আক্রমণ করেছে, পুলিশ ছিল সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ‘নিরাপত্তায় ত্রুটি ছিল না’। জাফর ইকবালের পরিবারের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ইয়াসমিন হকও বলেছেন ‘পুলিশের কিছু করার ছিল না’। আবার স্মার্ট ফোনে ব্যস্ত থাকা দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

জাফর ইকবাল বিশেষ মানুষ, বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছেন।ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে ঢাকায় আনা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী নিজে পুরো বিষয়টি তদারক করেছেন। প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিকভাবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে দেশের বাইরেও পাঠানো হতো। একারণেই সম্ভবত অধ্যাপক ইয়াসমিন হক কোথাও কোনো ‘ত্রুটি’ দেখছেন না, কোনো অভিযোগও করছেন না। তাছাড়া সৌভাগ্যবশত জাফর ইকবাল বেঁচে আছেন। ফলে দোষ- ত্রুটি বা অভিযোগের দিকে যান নি তিনি।

বিষয়টি আসলে অভিযোগের নয়। সত্য বিষয়গুলো সামনে আনা জরুরি, ভুল বা দায়িত্বজ্ঞানহীনতা থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্যে।

জাফর ইকবাল যে গুরুত্ব পেয়েছেন, সাধারণ একজন আক্রান্ত হলে সেই গুরুত্ব পেতেন না, পাবেন না। বিশেষ হেলিকপ্টার, বিশেষ তদারকি- কোনো কিছুই পাবেন না। আঘাত গুরুতর না হলেও, শুধু রক্তক্ষরণেই তিনি মারা যাবেন।অধ্যাপক ইয়াসমিন হকের থেকে বক্তব্য ব্যক্তিকেন্দ্রীক না হয়ে সামগ্রিক হলে, অন্যদের জন্যে উপকারের হতে পারত। পুলিশি নিরাপত্তার দূর্বলতা, ব্যর্থতাগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্যেই সত্যটা সামনে আনা প্রয়োজন ছিল, সরকারকে অভিযুক্ত করার জন্যে নয়।

৫.আক্রমণকারী ফয়জুরের মামা কৃষক লীগ নেতা, সেকারণে দায় আওয়ামীলীগ বা কৃষক লীগের- বিষয়টি এত সরলিকরণ করা ঠিক নয়। বিএনপির উপর দায় চাপিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা- মন্ত্রীদের দেয়া বক্তব্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।সরকারে যারা থাকে, দায় মূলত তাদের। একথা মনে রাখা দরকার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের।’সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করছি বা হচ্ছে’- যত জোর দিয়েই এসব কথা বলা হোক না কেন, মানুষ তা বিশ্বাস করছে না। সত্যটা মানুষের অজানা থাকছে না। সব কিছু দেখেই মানুষের পারসেপশন তৈরি হচ্ছে ‘হত্যাকান্ডগুলোর বিচার করা হচ্ছে না, চাপা দিয়ে দেয়া হচ্ছে’।

মানুষের এই পারসেপশন দূর করার দায়িত্ব সরকারের। তা করতে হবে কাজ দিয়ে, গল্প বলে এই পারসেপশন দূর করা যাবে না। সরকার বা আওয়ামী লীগ এখন ভাবতেই পারে, এসব পারসেপশন ধারন করা নাগরিকদের গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই। এমন মানসিকতা ধারন করে থাকলে, এখন না হলেও দীর্ঘ মেয়াদে অনেক বড়ভাবে মূল্য দিতে হবে আওয়ালী লীগকে। এই হত্যাকান্ডের সময়কাল ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না, দায় আওয়ামী লীগকেই বহন করতে হবে।


  • গোলাম মোর্তোজা: সম্পাদক, সাপ্তাহিক।

অ্যাকশন না হলে অন্যরা উৎসাহ পায়




বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যদি কেউ অর্থ পাচার করে বা চুরি করে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন না হলে অন্যরা উৎসাহ পায়। দুঃখজনক ব্যাপার হলো এসব ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে ওএসডি করা হয়। সেটা তো সব নয়। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিতে হবে। তাকে শাস্তি দিতে হবে। 

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দুর্নীতি’ নিয়ে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি। সালেহ উদ্দিন আরও বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরে কারা চুরি করেছে সেটা বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে জানার দরকার পড়বে না, সেটা সবার জানা আছে। সময়োচিত, দৃশ্যমান ও শক্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে হবে। এখানে যদি নানারকম রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে ভালো হয় না।  কোনো ব্যাংকার ১০ কোটি চুরি করে অবসরে গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তাকে ধরে জেলে নিতে হবে, এরপর তার সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। 

সাবেক এ গভর্নর বলেন, ব্যাংকের ভিতরে রাজনীতি নিয়ে আসবেন এটা কাম্য নয়। রাজনীতি চলে আসাতেই দুর্নীতি হয়। এখন যে অবস্থা চলছে তা থেকে বের হতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন।


  • BD Protidin/06-3-18

খরচ করতে পারছে না সরকার

৪ লাখ কোটি টাকার বাজেট, ৬ মাসে খরচ ১ লাখ কোটিরও কম




চলতি অর্থবছরে ৪ লাখ ২৬৭ কোটি টাকার বাজেট পাসের পর ছয় মাস গত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে বাজেট থেকে এক লাখ কোটি টাকারও কম খরচ হয়েছে। তুলনামূলক হিসেবে যা চার ভাগের একভাগ। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে ঘোষিত বাজেট থেকে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৯৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজেটের টাকা খরচ করতে পারছে না সরকার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর আর্টিকেল ফোর মিশনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির যে তথ্য-উপাত্ত তৈরি করেছে সেখানে বাজেট বাস্তবায়ন সম্পর্কে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে। সামষ্টিক অর্থনীতি অনুবিভাগ ২০ ফেব্রুয়ারি এসব তথ্য সরবরাহ করে। বাংলাদেশের অর্থনীতি পর্যালোচনায় বর্তমানে আইএমএফ-এর আর্টিকেল ফোর মিশন ঢাকায় অবস্থান করছে। প্রতি বছরই এই সংস্থাটি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এবারের মিশনটি ৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে তারা অর্থ বিভাগের সঙ্গেও বৈঠক করবে।

আইএমএফের জন্য তৈরি করা নোটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামষ্টিক অনুবিভাগ সাম্প্রতিক অর্থনীতির কয়েকটি ঝুঁকির মধ্যে বাজেট বাস্তবায়ন কম হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছে। এ সম্পর্কিত এক নোটে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে বাজেট বাস্তবায়নের হার সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। মূলত চলতি অর্থবছরের শুরুর দিকে অতিবৃষ্টির কারণে বাজেট ব্যয় তেমন বাড়েনি। এ ছাড়া জড়িত সংস্থাগুলোর অদক্ষতার কারণেও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বাজেট বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যদিও অর্থবছরের বাকি সময়ে বাজেট বাস্তবায়নে গতি আসবে, তারপরও বর্তমানে বাস্তবায়নের যে হার তা নেতিবাচক বলেই উল্লেখ করা যায়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুসলিম চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাজেট বাস্তবায়ন হার গতবছরের মতোই আছে। আগের বছরও এই সময়ে এই হারে বাস্তবায়ন হয়েছিল। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা গত বছর প্রায় পুরো বাজেট বাস্তবায়ন করেছিলাম। বাজেটের আকার তুলনামূলক বড় হলেও এবারও তেমনটাই হবে বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থ সচিব।

অর্থবছরের শুরু থেকেই এবার বাজেট বাস্তবায়ন চলছে ঢিমেতালে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেও (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাজেট বাস্তবায়ন হার কম ছিল। ওই সময়ে ৪৬ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়, যা মোট ব্যয়ের মাত্র ১২ শতাংশ। গতবারের একই সময়ে বাস্তবায়ন হার ছিল ১৩ শতাংশ।  

সূত্রগুলো জানায়, মূলত উন্নয়ন কার্যক্রম সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করতে না পারার কারণেই বাজেট বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ছে সরকার। অনেক সময় সরকারের নিজস্ব তহবিলে গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর উৎসাহ থাকলেও বৈদেশিক সহায়তার প্রকল্পে আবার উল্টোটা দেখা যায়। অনেক সংস্থা বৈদেশিক সহায়তার প্রকল্প বাস্তবায়নে গড়িমসি করে। এ কারণে প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়ার মতোও ঘটনা ঘটছে। সূত্রগুলো জানায়, বৈদেশিক সহায়তার প্রকল্পগুলো শুরু করতে অনেক সময় বছর পেরিয়ে যায়। প্রকল্প অনুমোদনের পর সমীক্ষা, ভূমি অধিগ্রহণ, পরামর্শক ও বিশেষজ্ঞ নিয়োগসহ পূর্ত কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এ সময় লাগে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পের প্রস্তুতিমূলক কাজ ছয় মাস এবং বৈদেশিক অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্পের প্রতিমূলক কাজ ৯ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার সুপারিশ করা হয়েছে। লিড মন্ত্রণালয়গুলোর বাজেট মনিটরের সময় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ফ্রাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পগুলো খোদ প্রধানমন্ত্রী মনিটর করছেন। এ ছাড়া প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে প্রতি তিন মাসে বাজেট বাস্তবায়নের তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়েছে। 

এত উদ্যোগের পরও কেন বাজেট বাস্তবায়নে গতি বাড়ছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের লিড ইকনোমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এবার বাজেট ঘোষণার পর অনেকেই বলেছিল যে, এটি উচ্চাভিলাষী বাজেট, বাস্তবায়ন হার দেখে এখন দেখা যাচ্ছে তাদের কথাই ঠিক। বিশ্বব্যাংকের এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাজেট প্রণয়নে পরিকল্পনার মধ্যে যে উচ্চাভিলাষ থাকে সেটি যদি লক্ষ্য ও অর্জনের মধ্যে বড় ধরনের ব্যবধান তৈরি করে তবে সেই উচ্চাভিলাষ দেখিয়ে জাতির জন্য কোনো লাভ হবে না। আর এ ধরনের পরিকল্পনার শেষে কোনো বিশ্বাসযোগ্যতাও থাকে না। ড. জাহিদ বলেন, যদিও শেষের দিকে প্রতিবছর বাজেট বাস্তবায়ন হার বাড়ে, তারপরও এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে দীর্ঘসূত্রিতা সেগুলো দূর করতে না পারলে এর সুফল জনগণের কাছে পৌঁছানো যাবে না।

  • BD protidin/6-3-18

Mosquitoes are back with a vengeance

Inefficiency of Dhaka City Corporations


It defies logic that every year we have to editorialise on the onslaught of mosquitoes before the rainy season begins. The puzzling lethargy of the city corporations in taking pre-emptive measures to tackle the mosquito menace makes it seem as if it is a new phenomenon. But we have all learnt the bitter lesson of allowing mosquitoes to breed—through the continuous epidemics of dengue and chikungunya that have wreaked havoc on the city-dwellers the last few years. So with such a bitter experience, should we have not learnt our lesson?

A recent report in this paper has found that mosquitoes are proliferating everywhere—in homes, slums, hospitals, airports, and open spaces. This despite the hefty budgets—Tk 25.6 crore for DSCC and Tk 20 crore for DNCC—of the city corporations to procure chemicals and machines to combat the breeding of this deadly insect. Instead, our reporters have found that major water bodies and drains are infested with mosquitoes, and households are at their wits' end trying to combat the onslaught with sprays and mosquito coils that are proving to be ineffective, not to mention harmful to health. So what have the respective city corporations done with these budgets in the way of fighting these killer pests? So far it seems precious little.

It is now the beginning of the “mosquito season” and city-dwellers are already very anxious about how they will be spared of mosquito bites that may cause those dreaded diseases that have also led to some fatalities. There seems to be a total collapse in the municipal facilities of the city corporations. We, therefore, demand that the respective city authorities take up this task immediately and adopt effective measures—with chemicals and extensive cleaning of water bodies and drains (which they should be doing anyway)to make this city mosquito-free. We can hardly aspire to be a middle-income-country with our major city being in the grips of this insidious insect.

  • The Daily Star/6-3-18

5 Years into Taqi Murder: Rab still sitting on charge sheet

Sanad Saha



For Taqi's parents, the last five years have been a long, agonising wait for justice. And they have no clue as to when that wait would be over.

Taqi's father Rafiur Rabbi, who had been to countless demonstrations and public events to talk about his grievances, said people in his hometown now called him Taqi'r Baba. It has even drowned his identity as a cultural activist.

“Trial starts after charges are pressed in a case. But that has not happened in five years. Charges have not been pressed. Sometimes I call Rab officers, who are investigating the case. They tell me that the investigation is going on. That's all,” he said.

Seventeen-year-old Tanwir Muhammad Taqi went missing after he had left home for Sudhijon Pathagar, a library in Narayanganj city, around 4:00pm on March 6, 2013.

His A-level results were out the next day and he emerged as the highest scorer in the world in physics.

Taqi's body was found floating in the Shitalakkhya on the morning of March 8.


The day Taqi went missing, Rabbi filed a general dairy with Narayanganj Kotwali Police Station. He filed a murder case with the same police station on the day the body was found.

He submitted a complaint to the Narayanganj superintendent of police 10 days later accusing seven people, including Shamim Osman and his son Ayon Osman and 8-10 unnamed others, of murdering Taqi.

Sitting at her home on Shayesta Khan Road in Narayanganj, Taqi's mother Rawnak Rehana remembered last week that her son never wanted to leave the country to study abroad.

“I taught him to love his country.  He did. He wanted to stay here for the people. He did not want to go abroad.

“I failed to give my child a safe country, a terror-free city. It is our utter failure,” she said.

Rabbi remembered that Taqi loved wearing black. “He was wearing a black shirt when he left home for the last time. He was still in that shirt when they took his body to the morgue.

“I know his killers are haunted by the hangman's noose. They will never escape this.”

The murder triggered a huge public outcry. People of Narayanganj formed "Santrash Nirmul Taqi Mancha", vowing to fight for justice and against criminal activities, and also to keep the memory of the murdered schoolboy alive.

A draft of the investigation report was leaked before the first death anniversary of Taqi on March 6, 2014. Different newspapers ran stories based on the draft with quotes from top-ranking Rab officials about involvement of around a dozen people in the murder.

In March 2014, Rab's then additional director general Col Ziaul Ahsan told a newspaper that they found involvement of Ajmeri Osman and his 10 accomplices in Taqi murder. He had also said that the charge sheet would be submitted any day.

Ajmeri is the son of ex-Jatiya Party MP Nasim Osman and nephew of ruling Awami League MP Shamim Osman.

Contacted, Commanding Officer of RAB-11 Lt Col Kamrul Hasan told The Daily Star that their “investigation is going on”.

“The case is very important. So it is being investigated. No such work can be done on a fixed deadline.”

However, the officer told the same thing around a year ago on the fourth death anniversary of Taqi.

Prosecution lawyer Pradip Ghosh Babu told The Daily Star that all eight suspects in Taqi murder case are on the run.

After the incident, four suspects were arrested.  Two of them, Yusuf Hossain Liton and Sultan Shawkat Bhramor, gave confessional statements.

“On the basis of the statements, we appealed to Narayanganj Chief Judicial Magistrate's court on February 5 this year for arresting the other accused.  The appeal also sought to unearth how Taqi was killed, who else were involved, how the body was dumped,” Pradip added.

On November 12, 2013, Sultan Shawkat Bhramor, one of the arrestees, gave confessional statement. But 16 days later, he applied to the court for withdrawing his statement. Bhramor was released on bail on March 20, 2014. After he failed to appear in court on multiple occasions, the court issued an arrest warrant for him.

Of the other arrestees, Saleh Simanto is in jail and Rifat Bin Osman, Tayeb Uddin Jackie and Yusuf Hossain Liton are on bail.

The hearing on the prosecution appeal of February 5 is scheduled for April 17.

The court of Narayanganj Judicial Magistrate Ashek Imam on February 1 directed the investigation officer of the case to submit the probe report quickly.

Meanwhile, leaders of different socio-political and cultural organisations expressed dissatisfaction over the lengthy investigation.

Narayanganj City Corporation Mayor Selina Hayat Ivy told The Daily Star she expected that trial of Taqi killing would be held soon.

“I firmly believe that the prime minister will give directive for trial of this murder. Truth never concedes to injustice,” she added.

Taqi's mother Rawnak Rehana believes injustice cannot continue forever.

“Our children will, one day, make the country safe for themselves, for children of the future.”

  • The Daily Star/6-3-18

Monday, March 5, 2018

উন্মুক্ত দরপত্রের বদলে সরাসরি ক্রয়ে আগ্রহী মন্ত্রী-সচিবরা


উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি যেন ইতিহাসের অংশ হতে চলেছে। এখন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মন্ত্রী-সচিবরা উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সরকারি কেনাকাটায় আগ্রহী নন। এর বদলে সরাসরি কেনাকাটায় আগ্রহী তারা। তাদের যুক্তি, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করলে কাজ দ্রুত হয়। কারণ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ ঠিকভাবে খরচ করতে না পারলে তিরস্কৃত হতে হয়। তবে কাজের মান নিয়ে কিছু বলেন না তারা।

এরই মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সরাসরি কেনাকাটা করে চলেছে। এছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), মৎস্য অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সরকারি কেনাকাটায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করছে। অর্থাৎ ওপেন টেন্ডারিং মেথড (ওটিএম) বা উন্মুক্ত দরপত্রের বদলে এখন সবাই ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথডে (ডিপিএম) বা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ঝুঁকছে। অদৃশ্য কারণে ওটিএম পদ্ধতিতে এখন সরকারি কাজের কার্যাদেশ দিতে চান না মন্ত্রী বা সচিবরা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন প্রকল্পের যন্ত্রপাতি কেনায় প্রকৃত দামের দুই বা তিন গুণ বেশি দেখিয়ে ডিপিএমের মাধ্যমে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হচ্ছে। আর এর মাধ্যমে লুটপাট হচ্ছে সরকারি কোষাগারের টাকা। টাকার ভাগ নিয়ম করে ‘উপর পর্যায়’ পর্যন্তও পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। পরিণামে দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তা সাজার বদলে উল্টো নানাভাবে পুরস্কৃত হচ্ছেন। বিদ্যুৎ বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ও মাতারবাড়ি প্রকল্পসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্পে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে যন্ত্রপাতি কেনাকাটা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে বিভিন্ন বিদ্যুৎ কোম্পানির স্পেয়ার পার্টস কেনাকাটায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কার্যাদেশ দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকারের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থের অপচয় হচ্ছে। গত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশি যন্ত্রপাতি কিনেছে। এ কোম্পানি সিরাজগঞ্জ ও খুলনা অঞ্চলের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ করেছে। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেনা হয়েছে। এছাড়া রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় বালু ভরাটসহ সব কাজ সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হচ্ছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও নদীর তীর নির্মাণসহ মন্ত্রণালয়টির বিভিন্ন কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। দরপত্র প্রক্রিয়া করতে দেরি হবে। তাই কাজ দ্রুত করতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অবলম্বন করেন তারা। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলাবদ্ধতা নিরসন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পের কাজও এখন ওপেন টেন্ডারে হচ্ছে না। সিলেট অঞ্চলে হঠাৎ বন্যা ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন বাঁধ নির্মাণের কাজ এখন ওটিএমের বদলে ডিপিএমে হচ্ছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি নিয়ে প্রকল্প পরিচালকদের যুক্তি, উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কাজ দিলে ভালো যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় না। ডিপিএমের মাধ্যমে সরাসরি উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে যন্ত্রপাতি কেনা যায়। এতে অরিজিনাল পার্টস পাওয়া যায়। মধ্যস্বত্বভোগী না থাকায় দামও কম পড়ে। এ ছাড়া তারা ১৫ বছর ধরে এসব পণ্য সরবরাহ করবে ও বিক্রয়োত্তর সার্ভিস দেবে। ওপেন টেন্ডার করলে ঠিকাদাররা ইন্ডিয়া-দুবাইয়ের খারাপ যন্ত্রপাতি গছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে। বিক্রয়োত্তর সেবাও সেভাবে পাওয়া যাবে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কাজগুলো তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানে দেয়া হয়। এজন্য বিভিন্ন দফায় সরকারি অর্থের অপচয় হয়। এনিয়ে সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা কিছু বলতে চান না। তবে সব ধরনের ঝামেলা এড়াতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিকে বেছে নিতে চান। 

  • মানবজমিন / সোমবার, ৫ মার্চ

Elevated expressway hits yet another snag

EDITORIAL


The much vaunted elevated expressway project for the capital has been hitting one snag after another ever since its recommendation. One of the reasons is the lack of local expertise in this area. Once it so happened that the donor Japan International Cooperation Agency (JICA) set aside the fund allocation but could not release it because of the failure on the part of the recipient to submit the project proposal on completion of the necessary homework. Many of the donors in similar cases withdraw themselves from funding projects.

Fortunately for Dhaka, the JICA was generous enough to extend the time by a year and the project is on now. But there is a clear indication that the Dhaka Mass Transit Company Limited (DMTCL) responsible for execution of the project finds itself in a quandary when it has to hire the services of different components from firms or companies through international tenders. Once utility lines laid only months before bogged down the whole project work of the metro rail over their shifting.

The latest hitch to embroil the metro rail project is the disinterest shown by international firms in one of the key components of the expressway. It concerns the development of electrical and management system of the 20.1-kilometre elevated track and stations. Of the 31 firms which initially showed their interest in the project by collecting documents, only four joint-venture Japanese firms pursued the matter for the follow-up. But on request to submit proposal, only one did and the other three stayed away. Now that there is no competitor, the lone firm is trying to take undue advantage of the DMTCL's awkward position. Already the project has run out of time and floating a fresh tender would kill further time. In a situation like this, completion of the project on schedule is most unlikely.

Apparently, it looks like a natural process but it is not. After several setbacks the project has suffered by this time, the management at the DMTCL should have been a little smarter. Deadlines for one or the other components of this project were run over several times. So the management had to initiate the launching of tenders much earlier in order to take a measure of the response. The initial hiccup should have been a lesson for it to make amend for the time lost. A mega project like this needed making detailed homework first and then taking up components as conveniently as possible to synchronise the work plan.

Delay in project implementation has almost become the rule of the day. Its attendant ills such as suffering of people as also cost overrun reach the highest taxing limit. But who cares? There is no instance where one of the flyovers or other mega projects like the Dhaka-Chittagong four-lane highway could be completed on schedule. True, at time technical glitches cause delays but otherwise in most cases it is done deliberately. The upward revision of allocation is so tempting that hardly a firm or company responsible for execution of the projects can resist it.

  • Courtesy: The Financial Express Mar 05, 2018


Sniffed out by the dogs

Police detain Tanti League man with yaba-bike



Around 9:30pm last Saturday, a police team stopped a motorbike in the capital's Palashi Residential Area. Alleged yaba dealers they had arrested earlier told them that a bike, registered in Chittagong, would have yaba pills stashed inside.

The police were not ill prepared. They had brought along two mechanics. They went through every compartment and cubby hole of the bike but there was nothing.  

Rider Mehedi Hasan alias Antu, 23, started arguing with police saying it had been almost 30 minutes since he was stopped and that it was harassment by police. By then, quite a crowd had gathered.

The police team was undeterred. They called in a sniffer dog. 

It paid off. The dog indicated to its handler that there was something in the chassis and the shock absorbers, said a police officer who was a member of the team.

The mechanics opened up the bike. At least 2,000 yaba pills were found inside the frame and another 3,000 inside the shocks.

During police interrogation, Antu said he had been a yaba mule for over seven years and until now, police had not been able to discover the pills inside the bike, said Rahmatullah Chowdhury, additional deputy commissioner of Counter Terrorism and Transnational Crime unit.

Sohag

Antu elaborated that they fill the bike with yaba pills and then send it to Dhaka from Cox's Bazar and sometimes Chittagong using courier service.

After the bike is received in Dhaka, it is taken to their den where a mechanic extracts the pills. The bike is sent back the next day by courier. ADC Rahmatullah said the yaba smugglers change courier service providers for sending and receiving bikes.

The CTTC discovered this innovative method of yaba smuggling after they had arrested Sarowar Sohag, 32, a Tanti League Dhaka City unit leader, Sanjida Rajia Borma, 45, and Omar Faruk, 22, at Azimpur earlier that evening.

They found 14,000 yaba pills in their possession.

During interrogation, the three told police that another drug smuggler was waiting at Palashi Residential Area Gate-2 to hand over a consignment and that he was on a motorbike with a Chittagong plate.

ADC Rahmatullah said during primary interrogation, they learnt that the gang receives three to four such shipments, each with 10,000 to 15,000 pills. The gang has six bikes designated for moving yaba.

2,000 more were found in the bike's frame. Police brought drug-sniffing canines to find the contrabands after they were unable to find it themselves despite a tip off. Two mechanics helped dismantle the motorbike.

Sometimes, police stop the bikes but they are usually let go as nothing is found in them, said a police official, quoting the arrestees.

Sohag has been involved in yaba smuggling for two years, claimed investigators, adding that he leads the gang in Dhaka.

CTTC ADC Ahmedul Islam, who is coordinating the investigation, said at least 25 more suspects are in this gang and they have some names too. “We are now conducting drives to arrest the others,” he added.

100 godfathers

An intelligence report prepared by the Dhaka Metropolitan Police earlier found the existence of nearly 100 godfathers, mostly from the Awami League and its front organisations, patronising drug smuggling, particularly yaba, in the capital.

The dealers often use innovative techniques for shipments. Some even operate transport agencies in Chittagong and Cox's Bazar to move drugs.

A team of CTTC yesterday produced Antu and the other three before a Dhaka court seeking 10-day remand for each in the case filed with Lalbagh Police Station.

The court granted two-day remand for each.

  • Courtesy: The Daily Star Mar 05, 2018

Bangladesh's bad loan ratio higher than India, Nepal



The high non-performing loan ratio remains a key concern for the banking sector, said a country paper on Bangladesh that was presented at a conference yesterday.

Between 2014 and 2018, the NPL ratio has been hovering above the 10-percent mark, according to the paper titled “A Review of the Activities and Performance of the Banking Sector of Bangladesh”.

The NPL ratio would go up to 17 percent if rescheduled or restructured loans are included, it said. 

The paper was presented at the Regional Banking Conference organised by the Bangladesh Institute of Bank Management held yesterday at its auditorium in the city. The state banks are another major concern for policymakers.

Regular capitalisation of the state banks by the government with public money has caused anxiety, raising the demand for immediate broad-based corrective actions and legal measures, said the paper presented by Shah Md Ahsan Habib, professor and director of the BIBM.

Nepal's NPL ratio is less than 2 percent, according to Mohammed Farashuddin, a former governor of the Bangladesh Bank. Strong regulation and stringent application of rules have enabled Nepal to maintain that ratio, he said.

India has managed to keep NPL within 7 percent thanks to strong regulations as well, said Yasin Ali, a supernumerary professor of the BIBM. India's central bank discloses the names of wilful defaulters whereas in Bangladesh bankers can't even dare to send notices to defaulters, he said.

Bangladesh saw an enormous increase in the number of banks in the last decade but the industry's capacity has not improved as much, said Syed Mahbubur Rahman, managing director and chief executive officer of Dhaka Bank.

He blamed the lack of governance for the higher bad loans in the banking sector.

“We can't bring the defaulters to the negotiation table due to the inadequacy of the legal system,” he said, while emphasising on improving capacity and independence of the regulatory body.

Bangladesh's savings rate is above 20 percent, but it does not prove sound corporate governance, said Faisal Ahmed, chief economist of the BB.

“Weak corporate governance has tempted the bad borrowers,” he added.

BB Governor Fazle Kabir, who inaugurated the two-day conference.  

  • Courtesy: The Daily Star Mar 05, 2018

Anti-graft body smells RHD rats

Sends letter with 21 recommendations to prevent institutional corruption that leads to sub-standard roads



The Anti-Corruption Commission has found a number of engineers and other officials of Roads and Highways Department building sub-standard roads to misappropriate public money.
They act in collusion with influential persons and contractors to violate the terms of tender.

Listing the stages of road construction where corruption often takes place, the anti-graft watchdog recently sent a letter with 21 recommendations to the secretary of cabinet division.

It also pointed out several irregularities in awarding tender even after the electronic system was introduced and observed that syndicates choosing contractors had become a norm, said an ACC official.

“There are allegations that a contractor has to pay influential persons, consultants and government officials to get a contract. Sometimes it becomes difficult for a contractor to strictly follow the specification and design of a project,” he said.

Quoting the letter, an official said proving an allegation of corruption in road construction was difficult as the matters were technical and required immediate evaluation.

It added that burnt bricks, an important component of road construction, were often substituted with cheaper ones.

The commission recommended engaging an RHD engineer to examine the quality of bricks in laboratories before using them in road construction.

“If sub-standard brick is used even after that, the RHD engineer and contractor can be held liable” the official said.

It also recommended similar measures to check the width of roads and the quality of sand used in constructions.

Forming a monitoring committee with BUET teachers, civil society members, road experts and honest engineers of RHD to look after the matters was recommended.

Giving superintendent engineers the power to monitor construction works and ensure accountability of subordinate engineers was also advised.

In the five-page letter, ACC said the authorities should scrutinise the tender process, project estimates and conduct regular field inspections.

  • Courtesy: The Daily Star Mar 05, 2018