Search

Tuesday, April 10, 2018

বেগম জিয়া মধ্যযুগীয় কায়দায় বন্দি

বেগম খালেদা জিয়াকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। ডিভিশন দেওয়া হলেও বিছানা-বালিশ ও আসবাবপত্র অত্যন্ত নিম্নমানের। একজন অসুস্থ মানুষ হিসেবে তার খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কেউ তার এই বন্দি অবস্থাকে বীভৎস নির্যাতনের প্রতীক কনসানট্রেশন ক্যাম্পের সঙ্গে তুলনীয় বলে মনে করছেন। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে এ প্রশ্ন তোলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সমাজ।

নিন্মে প্রেসকনফারেন্সের পূর্ণ বক্তব্য দেওয়া হলোঃ

প্রিয় ও সন্মাানিত সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, 
আপনারা অবগত আছেন যে বিগত কয়েক বছরে দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট গেল দু’ মাসে ক্রমশ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। একটি মহাদুর্যোগ সমাগত বলে অনেকেই আশংকা করছেন। বাংলাদেশের তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের ইতিহাস ও ভোটের রাজনীতিতে জনপ্রিয়তায় বিশ্ব ইতিহাসে ক্রমাগত পরাজয়হীন সর্বোচ্চ ২৩ টি আসনে বিজয়ের অনন্যদৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী, গণমানুষের অবিসম্বাদিত নেত্রীও দেশনেত্রী উপাধিপ্রাপ্ত বি এন পি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ  ট্রাষ্ট মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ জোর দাবী করছেন এই মামলা মিথ্যা, বানোয়াট,  প্রহসনমূলক ও প্রকৃত বাস্তবতায় সাজাপ্রাপ্তের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণহীন। 

বিগত দশকে দেশে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার সীমাহীন দুর্ণীতি, ব্যাংক কেলেঙ্কারী ও অর্থ লোপাটে সব কর্তৃপক্ষের কার্যত নীরব থাকার প্রেক্ষিতে দেশের জনগণও বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষের এই দাবীকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ভাবতে সাচ্ছ্বন্দ বোধ করছে। আপনারা জানেন যে এই বর্ষিয়ান ও অসুস্থরাজনীতিবিদের রাজনীতিতে অভিষেক ঘটে রাজনৈতিক দুবৃত্তায়ন ও স্বৈরাচারের কষাঘাতে বিক্ষত বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেস্বৈরতন্ত্রকে রুখে দাড়াবার গণ-আন্দোলনে সফল নেতৃত্ব দিয়েগণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাকরার মাধ্যমে। ’৯১ সালে রাজনীতিতে ও সংসদে নবাগত হিসাবে প্রধানমন্ত্রী হয়েস্বৈরতন্ত্রের ছত্রছায়ায় মহীরূহ হয়ে বেড়ে ওঠা  সামাজিক ও আইনশৃঙ্খার চরমবিশৃঙ্খলা কঠোর হাতে দমন করে রাষ্ট্রজীবনের সকল ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তার অবদান জাতিকে অস্থিরতা ও নিরাপত্তা হীনতার এক সঙ্কুল অবস্থা থেকে উদ্ধার করে। 

অর্থনৈতিক উন্নতির সূচনাকরে জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধিতে বহু দশকের অচলায়তন ভেঙ্গে যুগান্তকারী নতুন অর্থনৈতিক যুগের সূচনা তিনিই করেন। তাঁর তিন দশকের ভূমিকা বাংলাদেশকেআজ এক্ঈর্ষাজনক উন্নতির অভিযাত্রায় শামিল করেছে।  আজকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধাণ রূপকার ও চালক তিনিই। 

সেই মানুষটির সাথে কারাগারেনিদারুণ অমানবিক ও মানবেতর আচরন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে নানা মহল থেকে।জানা যায় তাঁকে একটি সূর্যালোকহীন, নির্জন, স্যাঁতসে্যঁতে পুরোনো ও বসবাস অযোগ্য ভবন-বহুদিন ধরে যেটি রক্ষণাবেক্ষণহীন ও সাধারণ কয়েদিদের জন্যেও কয়েক বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষনা করে সকল বন্দিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তেমনি একটি স্থানে মধ্যযুগীয় কায়দায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। ডিভিশন দেওয়া হলেও বলা হচ্ছে যে তাঁর বিছানা বালিশ ও আসবাবও অত্যন্ত নিন্মমানের ও ব্যবহার অযোগ্য। একজন অসুস্থ মানুষ হিসাবে তাঁর খাদ্য-খাবারের মান নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। কেউ কেউ তাঁর এই বন্দি অবস্থাকে বিভৎস নির্যাতনের প্রতীক কনসানট্রেশন ক্যাম্পের সাথে তুলনীয় বলে মনে করছেন। তাঁর পরিবারের অন্যান্যদের মত তাঁকেও শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে এক শোচনীয় পরিনতির দিকে ঠেলে দেওয়াই প্রকৃত উদ্দেশ্য সে বিষয়ে জনমনের সন্দেহ প্রকট হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে। 

ধারণা করা যেতে পারে যে এই পরিবেশে একজন সুস্থ মানুষেরও নানা মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়্। সেক্ষেত্রে তাঁরমত আগে থেকেই বয়সজনিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত একজন বর্ষিয়ান নারীর এই নির্জন মানবেতর করাবাস স্বাস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য কতটা ক্ষতিকারক হতে পারে তা’ সাধারণ মানুষকেও গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। এই পিচ্ছিল স্যাঁতসে্যঁতে পরিবেশে যে কোন সময়ে পড়ে গিয়ে তাঁর হাটু, উরুসন্ধি, হাত ও মেরুদন্ডের হাড় ভাঙ্গা সহ মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডে আঘাত জনিত পক্ষাঘাত রোগ ঘটতে পারে। নির্জন, নিঃসঙ্গ, নিরাপত্তাহীন পরিবেশের কারনে নিদ্রাহীনতা, উদ্বেগ, বিষন্নতা সহ নানা মানসিক রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ার সম্ভবনা বহুগুন বেড়ে গেছে।  বিরূপ, নিপীড়নমূলক পরিবেশ ও অস্বাভাবিক মানসিক চাপের ফলে তাঁর আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকিও বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরোনো, পরিত্যক্ত দূষণযুক্ত ভবনের বিষাক্ত পরিবেশে তাঁর মারাত্মক ঔষধ-প্রতিরোধী জীবানুদ্বারা ফুসফুসের সংক্রমন বা নিউমোনিয়ার সম্ভবনা বেশ প্রবল হয়ে উঠতে পারে।এ ছাড়াও এই সূর্যালোকহীন স্যাঁতসে্যঁতে পরিবেশে তাঁর ভয়ংকর মাত্রার ভিটামিন-ডি ও ক্যালশিয়ামের শুন্যতা দেখা দিতে পারে যা’ তার হাড়ের জন্যে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। 

এই বয়স ও স্বাস্থ্যগত অবস্থায় ব্যাক্তিগত পরিচর্যার বিষয়টি সুচিকিৎসার স্বার্থেই গুরুত্ববহ হয়ে ওঠে এবং তা’ কেবল পারিবারিক ও ব্যাক্তিগত উদ্যোগেই পূর্ণভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব। কারাগার বিশেষ করে পুরোনো, পরিত্যক্ত দূষণযুক্ত ভবনে স্বাস্থ্য ও জীবন উভয়ই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়তে পারে।

বাস্তবে ঘটেছেও তাই। বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই কারাগারের বসবাস অযোগ্যতা ছাড়াও নিয়মিত চিকিৎসার কোনই সুযোগ সুবিধা নেই। হেফাজতে সাম্প্রতিক বছর কালে সাড়ে ছয় শতাধিক মৃত্যুর খবর ইতোমধ্যে নানবিধ শংকা বাড়িয়েছে। 

আজকে বি এন পি, তার অঙ্গ-সংগঠনের অগণিত নেতাকর্মীর সাথে সাথে লক্ষকোটি দেশবাসী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সংবাদে দুঃখভারাক্রান্ত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে অসুস্থতার কারণে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে একটি মামলার হাজিরায় নিতে না পারায় বেগম খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতার  বিষয়টি সকল সন্দেহ ঘুচিয়ে পরিষ্কার হয়ে পড়েছে। সরকারও বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে তার নিজস্ব পছন্দের৪-সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড দিয়ে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে জটিল নানা রোগে ভুগছেন। ইতোপূর্বে তাঁর দুই হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি তিনি লন্ডনে চোখের অপারেশনও সম্পন্ন করেছেন। তিনি কোন সাধারণ রোগী নন। চিকিৎসকদের পরিভাষায়  তিনি একজন বিশেষ পরিচর্যা সাপেক্ষ রোগী। সে হিসাবে সুচিকিৎসার স্বার্থে তাঁর একান্ত ব্যাক্তিগত পরিচর্যার সকল সুবিধা নিশ্চিত করা সকল সভ্য, গণতান্ত্রিক ও মানবিকতাবোধসম্পন্ন জাতির কর্তব্য। এর অভাবে, সম্প্রতি তিনি ঘাঁড়, মেরুদন্ড সমস্যা আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। 

তাঁর এই দীর্ঘকালীন রোগ অবস্থা কেবলমাত্র দীর্ঘকাল তাঁর চিকিৎসায় অভিজ্ঞ ব্যাক্তিগত চিকিৎসকদেরই ভালোভাবে জানা আছে। নতুন কোন চিকিৎসক দলের পক্ষে তাঁর সম্পূর্ণ অবস্থা এক নজরে ও এক নিমেষে অনুধাবন ও নির্ণয় করা একেবারেই অবাস্তব কল্পনা। ফলে, সরকার বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল  ও  তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে যতœবান প্রমাণ করতে হলে  তাঁর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক দলের ভূমিকা উপেক্ষা করা সমীচিন নয়। বিষয়টিউপেক্ষা করলে সকল পরিণতিতে সরকারের দায়ী হবার প্রমাণ মিলবে এবং তা’ না করলে দায় লাঘব হবে।

সঙ্গত কারনে, সরকারের পছন্দেরনতুন চিকিৎসক-দল নিয়োগ করায়এই নতুন দল একেবারেই প্রাথমিক পর্যায় থেকে বেগম খালেদা জিয়া রোগ অবস্থা বোঝার চেষ্টা নেন। দীর্ঘ কালের রোগ ইতিহাস ও উপাত্ত তাদের জানা নেই। বর্তমানে তাঁর বর্তমান রোগাবস্থা বেশ অগ্রসর। এই স্তরে রোগমূল্যায়নে পুরনো তথ্য-উপাত্তের গুরুত্ব অপরিসীম। ফলে এই নতুন চিকিৎসকদল প্রাথমিক অনুসন্ধানে সমর্থ কিছু মামুলী এক্স-রে ও রক্ত-পরীক্ষার পরামর্শ দেন। 

চিকিৎসক না হয়েও জনসাধারণ খুব ভালোভাবেই জানেন যে এই সকল মামুলী পরীক্ষা বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান অগ্রসর রোগ অবস্থা ও অতিসুক্ষ সমস্যাগুলো কোন ক্রমেই নির্ণয় করতে পারবে না। সিটি-স্ক্যান, এম-আর-আই ইত্যাদি আধুনিক পরীক্ষা-নিরিক্ষা ছাড়াও নিবিড় পর্যবেক্ষণ এ ক্ষেত্রে রোগনির্ণয় ও উপশমে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এ ছাড়াও বার বার জনগণের ভোটে নির্বাচিত ও অতি জনপ্রিয় একজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বসম্পন্ন বর্ষিয়ান ব্যাক্তির সাধারণ স্বাস্থ্যসমস্যা নির্ণয়ে যে পরীক্ষাগুচ্ছ সম্পন্ন করার কথা এই  নতুন চিকিৎসকদল সে ব্যাপারেও কোন পরামর্শদেন নি বা উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। ফলে বেগম খালেদা জিয়ার লিভার, কিডনী, ফুসফুস, হৃদপিন্ড, অস্থির শক্তি নির্ণয় ইত্যাদি জীবন ও সুস্থতা সম্বন্ধীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরীক্ষা-নিরিক্ষা না হওয়াটা একজন চিকিৎসক হিসাবে রোগীকে অবহেলা না করা’ আচরণের নমুনা হিসাবে গ্রহণ করা যায় না।বিষয়টি স্বাস্থ্য সচেতন ও অভিজ্ঞ জন সকলেই এ চোখে দেখতে স্বস্থি বোধ করবেন। 

ফলে অনেকেরই  বিশ্বাস যে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রশাসনিক তৎপরতার বিষয়টি যে এক রকম লোক দেখানো, হঠকারিতামূলক ও জনবিভ্রান্তি সৃষ্টির সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা তা’ বুঝতে জনসাধারণের কষ্ট হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি আরও পরিস্কার মনে হয় যখন গত ৭ এপ্রিল কোন রকম পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া, একরকম হুটকরে তাঁকে ইতোপূর্বে সরকারী চিকিৎসক দলের দেওয়া মামুলী এক্স-রে ও রক্ত-পরীক্ষার জন্য মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আনা হয়। অভিযোগ  উঠেছে এ সময়ে একজন বিশেষ শারীরিক চাহিদাসম্পন্ন রোগীর গাড়ী থেকে নামা ও সাধারণ চলাচলের উপযুক্ত ন্যূনতম সুবিধেও তাঁর জন্যে প্রস্তুত রাখা হয়নি। ফলে সকল সক্ষমতা সঞ্চয় করে তাঁকে সামান্য পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্যে পথ পরিক্রমা দীর্ঘ করা হয় ও তা’ হেঁটে পাড়ি দিতে এক রকম বাধ্য করা হয়। এই সময় তাঁকে তাঁর ৪-জন ব্যাক্তিগত চিকিৎসকদের সাথে সাক্ষাৎ করার সরকারী অনুমতি থাকলেও কার্যত সরকার ও তাঁর সাথে থাকা প্রশাসনের লোকজন তাঁকে এই প্রত্যাশিত সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেন। 

কার্যত এই ব্যাক্তিগত চিকিৎসকগন যথাস্থানে উপস্থিত থাকলেও তাদেরকে মামুলী সৌজন্য বিনিময়ের বাইরে চিকিৎসা বিষয়ে কোন শারীরিক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। 

উপযুক্ত স্বাস্থ্য সেবা সংবিধান বলে একটি মৌলিক অধিকার এবং এ বিষয়ে বন্দি অবন্দি নাগরিক অবস্থা নির্বিশেষে সরকারের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। বিশেষ করে বন্দি অবস্থায় সকল দায় সরকারের উপর বর্তায়। 

জানা যায় যে জেল-কোড অনুযায়ী যে কোন বন্দি তার বিশেষ স্বাস্থগত চাহিদার কারনে পছন্দে চিকিৎসকের সেবা পাওয়ার অধিকার রাখেন। তবে এ ক্ষেত্রে পুরো ব্যাপারটাই একটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে বলেজনমনে আস্থা জন্মেছে। বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়ে সরকার সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা প্রকাশে চরম ব্যর্থ হয়েছে বলে নানা মহলের  বিশ্বাস।  পাশাপাশি ধারাবাহিক বিষয়াবলী জনমনে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়, জীবন ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা পক্ষের ব্যাপক ও বহুমুখি ষড়যন্ত্র ও অভিসন্ধি বিষয়ে গভীর উৎকন্ঠা জন্মানোর সুযোগ করে দিয়েছে ।

অনেকের ধারণা সংশ্লিস্ট সকল মহল বিষয়টি আড়াল করা ও ভুলে থাকার সকল চেষ্টা করলেও জন সাধারণের স্মৃতিতে বিষয়টি প্রজ্জ্বল হয়ে আছে যে বেগম খালেদা জিয়া মহান স্বাধীনতারঅকূতভয় ঘোষনা প্রদাণকারী, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী ও সর্বোচ্চ খেতাবপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার, দেশের সামরিক বাহিনীর সাবেক প্রধান, সাবেক সফল  রাষ্ট্রপতি, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা, আধুনিক, উদীয়মান ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার, সার্ক নামক আঞ্চলিক সহযোগিতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও জনপ্রিয়, জননন্দিত রাষ্ট্র নায়ক, অবিস্মরনীয় ব্যাক্তিত্ব মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী। দেশের ঘটনা ও ষড়যন্ত্র বহুল রাজনীতিতে তিনিই রাষ্ট্রপতির শাসনের বদলে বহু আকাংখিত সংসদীয় গণতন্ত্রেরপুনঃপ্রবর্তন করেন। 

আপোষহীন নেত্রী হিসাবে অনঢ় আদর্শে অবস্থান নিয়ে এবং কঠোর মনোবল ও দেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটিয়ে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করার সংগ্রামে গণ বিষ্ফোরণের মাধ্যমে তিনিইগণতন্ত্রেরবিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। এই গণতন্ত্রের অব্যহত ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে একটি স্বচ্ছ্, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে তদারককারী হিসাবে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী পূরণ করে তিনিই মানুষের কাছে দেওয়া গণতন্ত্রের অঙ্গিকারও সযত্নে ও সশ্রদ্ধায় পূরণ করেছেন। স্বাধীনতা থেকে আজকের বাংলাদেশ নির্মাণে দেশের প্রতি তাঁর ও তাঁর পরিবারের পরম দরদ, চরম আত্মত্যাগ ও গভীর নিষ্ঠা নানা ক্রান্তিকালের উত্তরণে প্রমাণের উর্দ্ধে স্থান করে দিয়েছে। আদালতের বিচার আজও চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। অনেকের মতে একজন অতি উচ্চমাত্রার দেশপ্রেমিক, একজন দ্বিধাহীন, নিঃশঙ্কোচ ত্যাগী মানুষ ও গণমানুষের একজন একনিষ্ঠ সেবক হিসাবে প্রমাণিত বেগম খালেদা জিয়ার এই তুচ্ছ দুর্ণীতিতে অংশগ্রহণ জনগণ  বিশ্বাস করতে চায় না।

জনগণ আশা করেন যে বেগম খালেদা জিয়া সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ভেদ করতে পারবেন ও সসম্মানে নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। চূড়ান্ত বিচারে জাতি সত্যের জয় কামনা করে। তবে জনগণের বিচারে ও গণতন্ত্রের মানদন্ডে যে বেগম খালেদা জিয়া আজ অনন্য, অপ্রতিদ্বন্দ্বি, অদ্বিতীয় হয়ে উঠেছেন তার প্রমাণ তাঁর সকল জন-উপস্থিতিতে পাওয়া যায়। অনেকের বিশ^াস একটি স্বচ্ছ্, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে তিনিই হতে পারেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী।  

অনেকেই এভাবে বিশ্বাস  করেন যে জনসাধারণের মধ্যে এই বিষয়টি প্রমাণিত হয়ে দাড়িয়েছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার মত একজন জনপ্রিয় ও গণতন্ত্রের মাতৃসম ব্যাক্তিত্বের এইরূপ সুচিকিৎসা বঞ্চিত করার প্রচেষ্টা তাঁর বিরুদ্ধে চলমান ধারাবাহিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ও সাজা দেওয়া এবং নির্জন মানবেতর কাঠাগারে নিয়ে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন, নিপিড়ন, অপদস্থ ও হীন সাব্যস্ত করার ব্যাপক চক্রান্তের অংশবিশেষ। দেশের ও বিদেশের সাধারণ মানুষ, জ্যেষ্ঠ নাগরিকবৃন্দ, সুশীল সমাজ, পেশাজীবিবৃন্দ- নর নারী নির্বিশেষে এই চলমান ঘটনাবলীতে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশের সাথে সাথে এই হীন চক্রান্তের অবসান ঘটানোর জন্যে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
সকলেই জানেন যে ইতোমধ্যে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বেগম খালেদা জিয়াকে জামিনের আদেশও দিয়েছেন। আমরা আশা করতে চাই যে সরকার একটি স্থিতিশীল ও উন্নয়নমুখী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্যে দেশে সকল মানুষের বাক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গড়ঃযবৎ ড়ভ উবসড়পৎধপু বা গণতন্ত্রের মাতৃমুর্তি বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে তাঁর সু-চিকিৎসার অধিকারের বিষয়টি সুনিশ্চিত করবেন। পাশাপাশিআমরা বিশ্বাস করি যে সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি সম্মান দেখাবে এবং সকল নাগরিকগণের উন্মুক্ত সভা-সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করে, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলকমামলা প্রত্যাহার করে, সকল ধরণের ভয়ভীতি ও প্রশাসনিক নির্যাতন থেকে সকল মহলকে বিরত করার মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করে একটি স্বচ্ছ্, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করবেন এবং জনগণের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।

Bangladesh Bank being reduced to a toothless tiger


Abul Mohsen



A BIBM (Bangladesh Institute of Bank Management) survey formally released last month has categorically stated that political power is being used in running the country’s banking business and as a result the Bangladesh Bank, the country’s central bank, has failed to take independent decisions.

In fact, the BIBM survey has succinctly pointed out that such government actions have prevented the country’s central bank from taking required punitive measures against large scale banking scams.

The survey in a detail analysis suggested that in a few cases, the central bank could not immediately take punitive measures for the sake of national interest because of the misuse of political powers by interested quarters with close links to the ruling party stalwarts.

The BIBM survey, which has since been widely discussed in the banking circles, was formally presented at a workshop last month by BIBM Director Prof Md. Mohiuddin Siddique.

Bangladesh Bank Deputy Governor Abu Hena Md. Razee Hassan, who attended the function as the chief guest said: “A strong internal control system is a must for a sustainable banking business.”  He, however, pointed out that the Bangladesh Bank is improving its monitoring system to rein in banking sector.

Sense of responsibility   

In an oblique reference to the central bank’s sense of responsibilities, the report without mincing any word observed: “There was a common perception that the Bangladesh Bank  fails to respond to large scale scams due its lack of farsightedness.” But at the same time it forthrightly observed: “It cannot be denied that the Bangladesh Bank is not independent to take decisions at all times.”      

The survey also said that the Bangladesh Bank who had been consulted during the survey also “felt that political power should not be misused for operating banking business”

The BIBM report also discussed that most bank-owners have failed to realize that banking is a “specialized industry” and any misdeed “will affect them and the economy as a whole.”

“Unlike any other industries”, the survey pointed out, “failure of a bank is a contagious one and may lead to the crisis in the entire banking industry. …The government should not allow any misconduct from anyone for the sake of its own image. The Bangladesh Bank will have to take harsh actions against parties involving with irregularities,” the survey recommended.

It is, therefore, easy to understand, the survey pointed out, that in a bank-based economy like Bangladesh, any large scale shock in the financial sector hits the real sector hard and inflicts huge burden on the society. So, should the regulators detect any major event of fraudulent practice or financial crime at an early stage, impose severe punishment on the persons responsible.

The study revealed: Banks generally set their profit target without any underlying objective and quantitative analysis. So the attention of the management remains disproportionally focused on achieving the quantitative target rather than ensuring quality of operations and adherence to sound banking practice. As a result, asset quality of the bank deteriorates, causing non-performing loans crop up.     

Monday, April 9, 2018

'জীবন নিয়ে হলে ফিরতে পারব কিনা, তাও জানি না'



কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া এক করুণ কাহিনী তুলে ধরেছেন তাসনিম আফরোজ ইমি নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।

রোববার রাতে ছাত্রীদের ওপর হামলার ঘটনা স্বচক্ষে দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরেন ওই ছাত্রী।

ইমির ফেসবুকে দেয়া স্টাটাসটি যুগান্তর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল  — 

রাত প্রায় একটা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিতে রোকেয়া, বঙ্গমাতা, মৈত্রী হলের আপুরা তখন বাহিরে। আমাদের হলের মেয়েরাও বাইরে আন্দোলনের জন্য যাবার চেষ্টা করছে। কিন্ত হলগেট খোলার জন্য স্লোগান দিচ্ছে। কিন্ত কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। প্রায় ঘন্টাখানেক চেষ্টা করার পর অবশেষে হলগেট খুলে বাইরে বেরিয়ে এলাম আমরা। সেখানে প্রায় ঘন্টাখানেক রাজু ভাষ্কর্যের সামনে স্লোগান দিতে থাকি আমরা। হঠাত মহসিন হলের দিক থেকে কারা যেন ছুটে আসে আমাদের দিকে। অনবরত ইট ছুঁড়তে থাকে। জ্বি হ্যাঁ, মেয়েদের দিকেই ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে সোনার ছেলেরা। পুলিশও ছিলনা তখন। 

আমরা এলোমেলোভাবে টিএসসির দিকে ছুটতে থাকি। দিকবিদিক ছুটতে ছুটতে আমি পড়ে যাই একেবারে পেছনে। টিএসসির গেটে ঢুকতে গিয়ে আটকে যাই। তখনো পেছন দিয়ে ইট মেরেই যাচ্ছে। আমার ঠিক পেছনেই এক ভাইয়া ছিল। ইট লাগে তার মাথায়। বলা যায়, আমাদের, মানে মেয়েদের বাঁচাতে গিয়েই ইট লাগে উনার মাথায়। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মুখ, আমি হতভম্বের মত তাকিয়ে আছি। ভিতরেও ঢোকা যাচ্ছে না। এক পর্যায়ে পড়ে যাই মাটিতে। ভাইয়া চিৎকার করছে, ভাই আমার মাথা ফাটছে, ভাই আমারে বাচান। অসহায়ের মত পড়ে থাকি। নড়ার মতনও অবস্থা ছিলনা তখন। অনেক কষ্টে যতক্ষণে টিএসসির ভেতরে ঢুকতে পারি, ততক্ষণে দুই পা রীতিমতো পিষ্ট, হাঁটার মত শক্তি নাই। অসহ্য যন্ত্রণা। 



যখন আটকা পড়েছিলাম, তখন যে বেঁচে ফিরতে পারব এই আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। ভাবছিলাম বোধহয় মারা যাচ্ছি। আমার পেছনে ভাইয়াটা। ইট লাগে ঠিক তার মাথার পেছনে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি তাকে ভেতরে নেয়া হল। মাথায় কাপড় দেবার পরেও রক্ত বন্ধ হয়না। আরো একটা কাপড় বেঁধে দেয়া হল। ততক্ষণেও থামে না। তারপর আমি আমার ওড়না দিয়ে দিলাম। রক্ত তখনও থামছে না। মানুষটা কি করুণ ভাবে বলে যাচ্ছিল, আমাকে বাচান ভাই। আম্মুকে ডাকছিল। প্রায় ১৫ মিনিট এভাবেই থাকে। 

তারপর পেছনের দরজা দিয়ে কোনোমতে তাকে মেডিকেলে পাঠানো হয়। বাইরে তখন তুমুল সংঘর্ষ। আর টিএসসির ভেতর গুরুতরভাবে আহত কিছু রক্তাক্ত শরীর। তাদের চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো হবে, এমন অবস্থাও নেই। না প্রেস, আর না কোনো নেট সংযোগ। যাদের দেখলাম, তাদের প্রায় সবগুলো মুখ চেনা। ক্যাম্পাসের বড়, ছোট ভাইবোন। চেতনাবাজরা এদেরকেই কি নির্দ্বিধায় আজেবাজে ট্যাগ লাগিয়ে, নিজেরাই আক্রমণ করে এখন আবার ফেসবুকে সুশীলতা দুচাচ্ছে! 

নিজের চোখে পুরো ঘটনা না দেখলে হয়ত আমিও চেতনাবাজদের রাতকে দিন বানানোর কেচ্ছা বিশ্বাস করে বসতাম। ভাবতাম আন্দোলন না, সহিংসতা হচ্ছে। আর উনারা উদ্ধার মারাতে এসেছেন! ফ্রেন্ডলিস্টে উনাদের সংখ্যাটাই বেশি কিনা! আমার হঠাত করে মনে হলো, একাত্তরে হানাদারদের চাইতে রাজাকারেরা আমাদের ক্ষতি করেছিল বেশি। ঠিক যেমন নব্য রাজাকারেরা মেয়েদেরকে পর্যন্ত রেহাই দেয়নি। ইট পাটকেল ছুঁড়েছে, রক্তাক্ত করেছে!

যাই হোক, টিএএসসির ভেতর ঢুকে দেখলাম আমার হলের এক আপুর মাথা ফেটে গেছে। ইট লেগেছে মাথার মাঝ বরাবর। মৈত্রী হলের এক আপু গুরুতর আহত। যে ভাইয়াটা আমার পেছনে ছিল, উনার ইট লেগেছিল মাথার পেছনে। অনেকগুলো ভাইয়ার পা রক্তাক্ত। ফুঁপিয়ে রইলাম টিএএসসির ভেতর। সকাল পর্যন্ত জীবন নিয়ে হলে ফিরতে পারব কিনা, তাও জানিনা তখন। এমন সময় প্রোক্টর এলেন। বোধহয় ভুল করেই চলে এসেছিলেন। ছাত্ররা তাকে তাদের দাবিদাওয়া বলল, দোষীদের বিচার চাইল। তিনি কিছুক্ষণ অহেতুক আস্ফালন করে বিদায় হলেন। 

এমন সময় ছোটবোন মৌসুমি কান্নাকাটি শুরু করল, ওর রুমমেট হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে। সাথে সাথে রওনা দিলাম ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে। এসে দেখি আপুর মাথায় বিশটা সেলাই! কর্তব্যরত ডাক্তার বললেন, রাত থেকে প্রায় ৬০জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি। সবাই আমার ক্যাম্পাসের। ভোর পাঁচটায় যখন এই পোস্ট লিখতে শুরু করি, তখনও মেডিকেলের ভেতর চোখ জ্বলছে। বাইরে টিয়ারগ্যাস ছোঁড়া হয়েছে। হাসপাতালের সাধারণ রোগী, ডাক্তার সবাইকে মাশুল দিতে হচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের!

এখনো মেডিকেলে আছি। পাঁচটার দিকে এক ভাইয়াকে আনা হলো তার মাথার পেছনে ফাটা, নাক ফাটা, হাতে রক্ত পায়ে রক্ত! কাঁদতে কাঁদতে তাকে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি দেখলাম। এখন সিটিস্ক্যান করতে দিয়েছে।

আক্ষেপ একটাই। কোনো মিডিয়াকে দেখলাম না আসল ঘটনা প্রকাশ করতে, কোনো রাজপথের সৈনিক এগিয়ে এল না মেয়েদের বাঁচাতে! অবশ্য অপরদিক দিয়ে ইট ছুঁড়ে দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করেছিল বটে! আর ফেসবুকে তাদের একেকজনের খাড়াইয়া যাওয়া চেতনা, বিশ্লেষণ দেখে যারপরনাই মুগ্ধ হয়ে গেলাম! এরাই ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে দেশকে! যে পাঁচ শতাধিক ছাত্রছাত্রী (যার দুই তৃতীয়াংশের বেশি ছাত্রী ছিল) চরম অনিশ্চয়তার ভেতর ছিলাম, অন্তত একজনের অভিশাপ ঠিকঠাকমত লাগলেও যেন সব কিছু ধ্বংস হয়ে যায়। সবকিছু!

  • উৎসঃ যুগান্তর/এপ্রিল ৯, ২০১৮ 


এটাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না — গোলাম মোর্তুজা

রবিন আকরাম


কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনকারীদের উপর যে হামলা চালানো হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাপ্তাহিত পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মোর্তুজা।

তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন - কোটা সংস্কারের মত শতভাগ যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনকারীদের উপর যে দানবীয় তান্ডব চালানো হলো, এটাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না।

মোর্তুজার এই স্ট্যাটাসের পর অনেকেই তাদের মতামত জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজনের মতামত তুলে ধরা হলো। মিরাজুল ইসলাম লিখেছেন, কোটা হটাও দেশ বাচাও।

মনির হোসাইন লিখেছেন, বাংলাদেশে যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তারা কোটাতে চাকরি পায় না। শুধু পায় আওয়ামী লিগের সন্তানরা। আওয়ামী লীগ তো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাই নাই। কাইয়ূম মোহাম্মাদ বলছেন, জনগনের ভোটের অধিকার হরণ করে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুফল ভোগ করতেছে তাদের কাছে যে কোনো যৌক্তিক আন্দোলনই অযৌক্তিক মনে হবে…।

শামীম হোসাইন লিখেছেন, আন্দোলনকারীদের কেউই সরকারি দল করে না! এ দাবিটা সম্পূর্ন অরাজনৈতিক। এটাকে রাজনৈকিতভাবে হেন্ডেলিং করার কোন যুক্তিকতা আছে কি!!

রাফিকুল ইসলাম বলছেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কায়েম হয়েছে ২০১৪ সালে ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ৷ এখন তারা শুধু তাদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে।

  •  Courtesy: amadershomoy.com/April 10, 2018 

জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত: সিইসি



আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত, বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের(ইডব্লিউজি) গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অতীতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও সেনা মোতায়েন হতে পারে। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত। তবে স্থানীয় নির্বাচনে সেনামোতায়েন আমরা একেবারেই চাই না।

ইডব্লিউজির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আবদুল আলিম। প্রবাসীদেরভোটাধিকারের বিষয়ে সিইসি বলেন, সবার ভোটাধিকারনিশ্চিত করতে কমিশন সচেষ্ট রয়েছে।

ইডব্লিউজির গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ ফারুক খান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আলোচনায় অংশ নেন সাবেকনির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোমেন চৌধুরী ও নাসিম ফেরদৌস।

নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী সারা বিশ্বে শান্তি রক্ষায় কাজ করছে। আমাদের দেশেও নির্বাচনে তাদের কাজে লাগানো যেতে পারে।

সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে উল্লেখ করে এ বিএনপি নেতা বলেন, সেনাবাহিনী নির্বাচনের সময় মাঠে থাকলে ক্ষমতাসীনদের অসুবিধা হবে। তাই তারা নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে। নির্বাচন কমিশন যদি ভোটারদের পক্ষ না নেয়, তাদের পক্ষ (সরকারের) নেয়, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।

সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে মোহাম্মদ ফারুক খান বলেন, আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছে। এ ব্যাপারে বিতর্ক সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে সেনাবাহিনীমোতায়েন হবে কি হবে না, সেটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। কীভাবে মোতায়েন হবে, সেটাও নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এটা নিয়ে কেউ বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না।

  • Courtesy: Banikbarta Apr 09, 2018

আমদানি দায় পরিশোধ করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

ডলার বিক্রি হচ্ছে ৮৭ টাকা পর্যন্ত


হাছান আদনান



দেশে ভোগ্যপণ্য আমদানির বড় প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপ। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ৬০ লাখ ডলারের এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলেছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে এলসির দায় পরিশোধ করতে পারছিল না ব্যাংকটি। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি বড় ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েও প্রত্যাশিত ডলার না পেয়ে গত সপ্তাহে বিকল্প উপায় হিসেবে ওডির মাধ্যমে এলসির দায় পরিশোধ করতে হয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংককে।

ফান্ড সংকটের কারণে কোনো ব্যাংক আমদানি দায় পরিশোধ করতে না পারলে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নস্ট্রা অ্যাকাউন্ট ওডি করে দেয়া হয়। যেকোনো ব্যাংকের জন্যই এটি বিপজ্জনক ধাপ। এর মাধ্যমে ব্যাংক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মতোই অবস্থা দেশের অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংকের। আমদানি দায় পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রমতে, নতুন প্রজন্মের নয়টি ব্যাংক ছাড়াও এ তালিকায় আছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), বাংলাদেশ কমার্স, প্রিমিয়ার, ঢাকা, এক্সিম, আইএফআইসির মতো ব্যাংকও।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই খাদ্যশস্যসহ মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির বিপুলসংখ্যক এলসি খুলতে হয়েছে। সে তুলনায় রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় না বাড়ায় বাজারে ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে এলসির দায় পরিশোধে অন্য ব্যাংকের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে অনেক ব্যাংককে।

সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম কামাল হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, কিছু ব্যাংক সক্ষমতার বেশি এলসি খুলেছে। ফলে এখন এলসির দায় পরিশোধ করতে পারছে না। আমরা বেশি মূল্য দিয়ে হলেও রেমিট্যান্স কিনে ডলারের ভিত মজবুত করেছি। এ কারণে অনেক ব্যাংকই আমাদের কাছে ডলার কিনতে আসছে।

সূত্রমতে, চাহিদা মেটাতে প্রতিদিনই ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে ছেড়েছে ১৮০ কোটি ডলারের বেশি। এর পরও থামছে না টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল আন্তঃব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৭৯ টাকা ৭০ পয়সা। চলতি বছরের একই দিন ৪ শতাংশ বেড়ে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ৮২ টাকা ৯৬ পয়সায়।

যদিও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তথ্যমতে, ডলার বিক্রি হচ্ছে আরো বেশি দামে। বেসরকারি এনসিসি ব্যাংকের ঘোষিত মূল্য অনুযায়ী, ব্যাংকিং চ্যানেলে গতকাল ডলারপ্রতি ক্রয়মূল্য ছিল ৮২ টাকা ৫০ পয়সা ও বিক্রয়মূল্য ৮৩ টাকা ৫০ পয়সা। এনসিসি ব্যাংকের মতোই গতকাল ডলারের মূল্য ঘোষণা করে দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক। যদিও অধিকাংশ ব্যাংকই ঘোষিত মূল্যের বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। গত সপ্তাহের শেষ দুই কর্মদিবসে প্রায় সব ব্যাংকই ৮৪ থেকে ৮৬ টাকায় ডলার বিক্রি করেছে। আর খোলাবাজারে (কার্ব মার্কেট) ৮৭ টাকার বেশি দামেও ডলার বিক্রি হয়েছে।

এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে ভালো ব্যাংকগুলোকেও আমদানি দায় পরিশোধে সমস্যায় পড়তে হবে বলে জানান ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, রেমিট্যান্স কম থাকলেও ঢাকা ব্যাংকের রফতানি আয় ভালো। ফলে এ মুহূর্তে আমদানি ব্যয় মেটাতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে না। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে আগামীতে ভালো ব্যাংকগুলোকেও আমদানি দায় পরিশোধে বিপত্তিতে পড়তে হতে পারে।

তবে কিছু ব্যাংক ঘোষিত মূল্য লঙ্ঘন করে ডলার কিনে বাজারে অসুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেন এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া। তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে মাঝে মাঝে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার কিনছি। তবে এ মুহূর্তে আমাদের হাতে চাহিদার অতিরিক্ত ডলার সংরক্ষিত আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, দুই বছর ধরেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান মাধ্যম রফতানি আয় ও রেমিট্যান্সপ্রবাহে ভাটা পড়েছে। অন্যদিকে রেকর্ড পরিমাণ চালসহ খাদ্যশস্য ও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি হওয়ায় বেড়েছে আমদানি ব্যয় পরিশোধ। ফলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশের চলতি হিসাবে ৫৩৪ কোটি ৭০ লাখ ডলারের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। যদিও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এ সাত মাসে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৮৯ কোটি ডলার। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের চলতি হিসাবে ৪২৬ কোটি ২০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে ৫ হাজার ২০ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় তা ৬০ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ এলসি নিষ্পত্তি বেড়েছে। 

অথচ এ সময়ে রফতানি আয় বেড়েছে মাত্র ৭ দশমিক শূন্য ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আড়াই শতাংশ কমার পর গত অর্থবছর রেমিট্যান্স সাড়ে ১৪ শতাংশ কমেছে। সেই সঙ্গে গত অর্থবছর আমদানিতে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বিপরীতে রফতানি আয় বাড়ে মাত্র ১ দশমিক ৭২ শতাংশ। এমন অবস্থায় ডলার সংকটে পড়ে অনেকেই পূবালী ব্যাংকের কাছে আসছে বলে জানান ব্যাংকটির এমডি মো. আব্দুল হালিম চৌধুরী। তিনি বলেন, রফতানি আয় কম থাকা ব্যাংকগুলো এলসির দায় পরিশোধ করতে পারছে না। ফলে ওইসব ব্যাংকের বড় গ্রাহকরা আমাদের কাছে আসছে। এ কারণে আমরা যাচাই-বাছাই করে এলসি খোলার সুযোগ পাচ্ছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো ইচ্ছামতো নিজেদের কাছে বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রাখতে পারে না। এজন্য নির্ধারিত সীমা বেঁধে দেয়া হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ব্যাংক দিন শেষে তার মোট মূলধনের ১৫ শতাংশ সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করতে পারে। নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ডলার থাকলে দিন শেষে বাজারে বিক্রি করতে হয়। বিক্রি করতে না পারলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করতে হয়। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে জরিমানা গুনতে হয়।

ডলারের বাজারের বিদ্যমান সংকট কাটাতে ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণের এ হার কমিয়ে দেয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের এমডি মো. আতাউর রহমান প্রধান। তিনি বলেন, বড় ব্যাংকগুলো বেশি বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণের সুযোগ নিচ্ছে। এ কারণে বাজারে ডলার সংকট কাটছে না। সংরক্ষণের হার কিছুটা কমিয়ে দিলে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত ডলার বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হবে।

ডলারের বাজারের বিদ্যমান পরিস্থিতির ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক নজর রাখছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র দেবাশিস চক্রবর্ত্তী। তিনি বলেন, পরিস্থিতি সহনশীল রাখতে আমরা প্রতিনিয়ত ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছি। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ডলারের বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়তে শুরু করেছে। ফলে পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।

  • Courtesy: Banikbarta Apr 09, 2018

কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ



কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে ফের ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার সকাল ১০টায় তারা সড়ক অবরোধ করে সেখানে অবস্থান নেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করছেন। এছাড়া কোনো বিভাগে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানা গেছে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা, কোটার শূন্য পদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ, চাকরি পরীক্ষায় কোটা সুবিদা একবারের বেশি নয়, কোটায় বিশেষ নিয়োগ বন্ধ এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা অভিন্ন করা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে আসে। পরে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয়। এতে রাস্তার দু’পাশে হঠাৎ যানযট সৃষ্টি হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়নি বলেও জানা গেছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের রাবি শাখার সমন্বয়ক মাসুদ মোন্নাফ বলেন, দাবি অাদায় না হওয়া পর্যন্ত অামরা অান্দোলন চালিয়ে যাব। যদি সারাদিন মহাসড়ক অবরোধ করা লাগে অামরা তাই করব।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ রোববার বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৮টা এবং রাত দেড় টায় দুই দফায় মহসড়ক অবরোধ করেন রাবির বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

  • Courtesy: আমাদের সময়.কম Apr 09, 2018

কোটার বিরুদ্ধে সংগ্রাম তরুণদের জয় অনিবার্য - আসিফ নজরুল

রবিন আকরাম

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল। 

তিনি লিখেছেন - 
কোটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অবমাননাকর এবং দূর্নীতি লালনকারী একটি বিষয়। এর বিরুদ্ধে বহুবার লিখেছি আমি। কোটার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানে ন্যায় এবং জীবিকার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এই সংগ্রামে এদেশের তরুন সমাজের জয় অনিবার্য বলে আমি বিশ্বাস করি।


সহিংসতা থেকে দুরে থাকুন, ঐক্য ধরে রাখুন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে রাখুন। এই আন্দোলন নিয়ে যেন কেউ বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সেজন্য কৌশলী এবং সজাগ থাকুন।

তিনি আরো লিখেছেন - ১৯৭২ সালের সংবিধানে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সম্পর্কে কিছু বলা নেই। এই সংবিধান প্রণীত হয়েছিল যে গণপরিষদে, সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা প্রদানের কথা উত্থাপিতই হয়নি।

গণপরিষদে কেবল সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান প্রসঙ্গে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা ও নিহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় (বাংলাদেশ গণপরিষদের বিতর্ক, দ্বিতীয় খণ্ড, ১৯৭২, পৃষ্ঠা ৪৭০-১)।

সামাজিক নিরাপত্তার উদার ব্যাখ্যা করলে শুধুমাত্র পঙ্গু বা নিহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ বৈধ হতে পারে, অন্যদের জন্য নয়। জনসংখ্যার অনুপাতে এই কোটা হতে পারে বড়জোর ১ শতা‌ংশ। বাকী ৯ শতাংশ হতে পারে নারী, প্রতিবন্ধী আর ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য।

কোটা কোনভাবেই মোট চাকরীর ১০ শতাংশের বেশী হোয়া উচিত না। উচিত না কোটা পুরন না হলে পদ শুন্য রেখে দেয়া। মুক্তিযোদ্ধারা এজাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সম্মানিত করতে হবে অন্যভাবে। আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি, ঢালা কোটা বরং অসম্মানিত করে তাদের।

  • কার্টেসি  — amadershomoy.com/April 09, 2018 

Shahbagh aflame with quota demo

75 injured; police use rubber bullets, teargas; DU VC's residence vandalised, 3 cars torched; clash continues for hours after midnight


At least 75 people were injured yesterday as police clashed with students demanding reforms in the quota system in public service, turning the capital's Shahbagh intersection and its adjacent areas into a battlefield.

Police fired several hundred teargas shells and rubber bullets, used water cannons and charged batons to disperse the demonstrators who blocked the intersection for over five hours since 2:30pm. 

A section of the protesters broke the main gate of the residence of the Dhaka University vice chancellor around 1:45am today. They vandalised furniture and other belongings, and also torched three cars inside the compound, according to witnesses and fire service personnel.

About half-an-hour later, BCL men swooped on the protesters and chased them away from the VC's residence. Several gunshots were heard at that time, added the witnesses.

A section of demonstrators march down a road in front of Aziz Supermarket. Photo: Palash Khan
Another group of demonstrators took position near the DU mosque and continued to chant slogans. Around a hundred yards away, law enforcers took position in front of the Public Library.

Talking to reporters in front of the national museum around 1:45am, Awami League lawmaker Jahangir Kabir Nanak said party General Secretary and Road Transport and Bridges Minister Obaidul Quader will sit with the protesters around 11:00am today.

  • The DailyStar/9 Apr 2018

Sunday, April 8, 2018

55,000 without fitness clearance

Roads authorities say fitness certificate of those vehicles not renewed in a decade


Tuhin Shubhra Adhikary


Over 55,000 vehicles, including 3,740 belonging to different ministries and government agencies, have not had their fitness certificates renewed for more than a decade in breach of rules, official data showed.

As per the law, it is mandatory for a vehicle to go through fitness check-up every year and have its fitness certificate renewed to ply the roads legally.

Bangladesh Road Transport Authority (BRTA) on March 29 published two lists of “fitness defaulters” on its website one of government vehicles and the other of non-government ones.

The authority asked the owners to renew the fitness certificates by April 30. Otherwise, they would be declared “write-offs”, meaning their registration will be cancelled, said a BRTA official.

However, two BRTA officials think many of these vehicles might not be running on roads now. The state agency doesn't have any data on the vehicles that are no longer in use.

The list of the government vehicles started with the status of the one belonging to the mayor of Dhaka City Corporation (Dhaka Metro-AU-11-0195). Its fitness certificate expired in July 2007.

As the city corporation was split into two in 2011, Dhaka South and Dhaka North, it's not clear which of the two city corporations now owns the vehicle or if it is operational at all.  

The city corporation's vehicle was followed by those belonging to government organisations including ministries, police and banks and different projects. Police own the highest number of vehicles on the list.

The BRTA data show a total of 52,686 vehicles owned by individuals, non-government educational institutions and commercial organisations have their fitness certificates expired.

Talking to The Daily Star last week, Mahbub-E-Rabbani, director (road safety) of BRTA, said as per the Motor Vehicles Ordinance 1983, it is mandatory to receive fitness certificate every year from the authority.

Operating vehicles without fitness certificate is punishable offence and one may face jail and fine for this violation, said Rabbani, also the BRTA spokesperson.

“BRTA will take action against those vehicles through conducting mobile court operations,” he said, adding that may be, many of these vehicles no longer ply the streets.

For violating section 47 of the ordinance, which deals with fitness clearance, a person may face, for the first offence, maximum three months' imprisonment, or up to Tk 2,000 fine, or both. And for any subsequent offence, the person may face up to six months in jail, or up to Tk 5,000 fine, or both.

MOVE SINCE 2016
In October 2016, BRTA in a departmental circular mentioned that fitness certificates of a significant number of vehicles were not renewed in the last 10 years in violation of the ordinance.

The authority asked all its circle offices across the country to submit the list of “permanently unfit motor vehicles” to the head office by October 30, sources said.

On August 29 last year, BRTA issued a notice, which was published in different newspapers, saying that under section 47 of the ordinance, it is mandatory to receive fitness certificate every year from BRTA.

As per the BRTA database, a significant number of vehicles did not have their fitness certificates renewed in the past 10 years, meaning those vehicles were operating without fitness certificate or became unusable, the notice said.

Against this backdrop, BRTA urged the owners to renew fitness certificates of their vehicles and inform it about their permanently damaged or already unusable vehicles, it said.

Otherwise, BRTA will cancel the registration of those motor vehicles after December 31, 2017, considering the vehicles either permanently damaged or already unusable, the notice read.

BTRA Director (Engineering) Nurul Islam said after the notice, many owners got the fitness certificates renewed.

“Now, we have issued notice giving one-month time to those who did not renew their fitness certificate in last 10 years. Then we will declare those write-offs,” he said on Tuesday.

A “public interest notice” will be circulated through TV scrolls for five days, according to a BRTA document.

Kazi Md Shifun Newaz, assistant professor at Accident Research Institute (ARI) of Buet, told this correspondent that BRTA should have taken this move (declaring vehicles write-offs) much earlier.

“Operation of a vehicle without fitness clearance is very risky because it may cause fatal road accidents besides traffic jam,” he said.

The expert said an updated database of vehicles is also very important for better planning. 

LIMITATION IN ORDINANCE
BTRA Director Nurul said nothing is mentioned in the Motor Vehicles Ordinance about the higher limit of the lifespan of a motor vehicle, creating problem for BRTA to declare a vehicle “write-off”.

“We have nothing to do if someone can maintain his or her vehicles even after 20 years and those remain eligible to be operated in the street.”

BRTA had more than 32 lakh motor vehicles registered since 1971, he mentioned. 

Some 114,271 vehicles were registered in the first 10 months of last year, while the number was 110,520 in 2016, according to BRTA.

“It is a fact that some vehicles do not exist at all. But BRTA has no statistics about the number of such vehicles, because there is no rule for reporting [by the vehicle owner] about such [unusable] vehicles,” Nurul said.

BRTA can cancel registration of a vehicle if found unusable, he added.

  • Courtesy: The Daily Star Apr 08, 2018