Search

Thursday, May 3, 2018

সড়ক সংস্কারের দাবিতে সড়কে প্রতীকী মৎস্য শিকার

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাগাতিপাড়া-নাটোর প্রধান সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার প্রতিবাদে ও সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন করেছেন স্থানীয়রা। এসময় সড়কে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে প্রতীকী মৎস্য শিকার করেন তারা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে সোনাপাতিল যুব সংঘের ব্যানারে ঘণ্টা ব্যাপী এ প্রতীকী প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, বাগাতিপাড়ার মালঞ্চি বাজার থেকে তমালতলা মহিলা কলেজ পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে তিন ফুট সড়ক প্রশ্বস্ত করণ কাজের কার্যাদেশ পেয়েছে নাটোরের উত্তর বড়গাছা’র মীর হাবিবুল আলম নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সে মোতাবেক গত বছরের ১২ই জুন এ কাজ শুরু হয়েছে এবং ২০শে অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের ৬ মাস পার হতে চললেও দৃশ্যমান তেমন কাজ হয়নি। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সড়কের দু’পাশের কাজ বন্ধ রাখায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা। ফলে বেড়েছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ।

দীর্ঘদিন ধরে সীমাহীন দুর্ভোগে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সড়কটির সোনাপাতিল এলাকায় কাঠের গুড়ি ফেলে ও বাঁশ বেঁধে সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এসময় তারা সড়কে জমে থাকা পানিতে প্রতীকী মৎস্য শিকার করে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। অবরোধ চলাকালে সড়কটির দুপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু এবং উপজেলা প্রকৌশলী এএসএম শরিফ খান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় তারা অবরোধকারীদের দ্রুত সড়কটি সংস্কারের আশ্বাস দিলে কর্মসূচী স্থগিত করে।

এব্যাপারে যুব সংঘের সাধারন সম্পাদক তানজিন সরকার দিবস জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির কাজ বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টির ফলে সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই খানা খন্দকে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। ইউএনও দুইদিনের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস দেওয়ায় আগামী শনিবার পর্যন্ত কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে।

জনগনের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী এএসএম শরিফ খান বলেন, ইতিমধ্যেই ইটের খোয়া ফেলা হয়েছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয়েছে। তিনি দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন। 
  • মানবজমিন/ মে ৩, ২০১৮

সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আশঙ্কা দেখছে সুজন



সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে। তাঁরা এই দুটি সিটি করপোরেশন এলাকায় কাজ করতে গিয়ে তা দেখতে পেয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার এ কথা বলেন। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

সুজনের সম্পাদক প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখার দাবি জানান। তিনি বলেন, হলফনামায় তথ্য গোপন করা ফৌজদারি অপরাধ। এ অপরাধে ইসি সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারেন। তাঁরা আশা করেন, ইসি এ অস্ত্র ব্যবহার করবে।

আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে সব প্রার্থীর হলফনামার তথ্য যাচাই করা দুরূহ। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নির্বাচিতদের তথ্য সাত দিনের মধ্যে যাচাই করা যেতে পারে। কারও তথ্য গোপনের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা যেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গাজীপুরে প্রার্থীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। তবে মেয়র প্রার্থীরা সবাই স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। গাজীপুরে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী মিলিয়ে ৩৪৫ জনের মধ্যে ২১৯ জনের পেশা ব্যবসা। খুলনায় ১৯২ জনের মধ্যে ১২৬ জনের পেশা ব্যবসা।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন করেন সুজনের সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার।

  • ProthomAlo/may 3,2018

তোপের মুখে সাংবাদিকতা

কামাল আহমেদ


বিশ্বজুড়ে ‘সাংবাদিকতা তোপের মুখে’ (জার্নালিজম আন্ডার ফায়ার)। কথাগুলো আমার নয়, জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বৈশ্বিক প্রবণতা বিষয়ে সংস্থাটি ২০১৭-১৮ সালের যে বার্ষিক প্রতিবেদন (ওয়ার্ল্ড ট্রেন্ডস ইন ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন অ্যান্ড মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট গ্লোবাল রিপোর্ট ২০১৭-১৮) আজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করছে তার প্রথম বাক্যই এটি। সেই আগুন যে কতটা ভয়ানক এবং প্রাণঘাতী, তার সর্বসাম্প্রতিক নজির ৩০ এপ্রিল সোমবার, যেদিন আফগানিস্তানে দুটি পৃথক হামলায় ১০ জন সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন। 

এর মধ্যে একটি ঘটনাতেই কাবুলে নিহত হয়েছেন ৯ জন, যা সম্ভবত ইতিহাসে একসঙ্গে সর্বাধিক সংখ্যক সাংবাদিক হত্যার ঘটনা। সপ্তাহ দু-এক আগে ফিলিস্তিনি গণ-আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করার সময় ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইয়াসির মোর্তজা।

আফগানিস্তানের হামলা দুটির আগেই এ বছর বিশ্বের নানা প্রান্তে পেশাগত কাজের জন্য প্রাণ দিয়েছেন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) হিসাবে আরও ১৪ জন। ইউনেসকোর কাছে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান নেই। তবে ২০১২ থেকে ২০১৬-এই পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান সংকলিত করে তারা হিসাব দিয়েছে, ওই সময়ে প্রাণ দিয়েছেন মোট ৫৬০ জন সাংবাদিক, অর্থাৎ বছরে গড়ে ১১২ জন। ওই সময়ে বাংলাদেশে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ১০ জন, অর্থাৎ বছরে গড়ে ২ জন। আর ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট (আইপিআই) বলছে, গত বছর বিশ্বে যে ৮৮ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, তার মধ্যে ৪৬ জন দুর্নীতির তদন্তের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

অথচ সাংবাদিকতার এখন স্বর্ণযুগ হওয়ার কথা। তথ্য জানার অধিকার এখন একটি মৌলিক মানবাধিকার। আগে তথ্য অধিকার আইন বলে কোনো আইনের অস্তিত্ব ছিল না, এখন আছে। তবে তা কার্যত কাগজে-কলমে। সরকারি দপ্তরের তথ্য, বিশেষত অনিয়ম, অদক্ষতা, দুর্নীতি যত রকমভাবে সম্ভব পর্দার আড়ালে রাখার চেষ্টায় আমলারা সদাসতর্ক। রাজনীতিকেরা চান শুধু তাঁদের বয়ানটাই প্রচার হোক। ফলে সংসদীয় কমিটির বৈঠকও হয় চোখের আড়ালে। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অসাধুতা, অরাজকতা ও দুর্বৃত্তপনার খবর গোপন করতেও কূটকৌশলের অভাব হয় না। ব্যাংকিংয়ের দুর্নীতির খবর আড়াল করতে ব্যাংক মালিকেরা চান বিশেষ সুরক্ষা। সরকারি-বেসরকারি সব খাতেই সুবিধামতো তথ্য প্রচারই একমাত্র লক্ষ্য।

প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণে গণমাধ্যমের বিকাশও হয়েছে চমকপ্রদ। মন্ত্রীদের কথায়, বাংলাদেশে এখন সর্বাধিকসংখ্যক সংবাদপত্র, টিভি, রেডিও ও অনলাইন পোর্টাল চালু আছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই এটি ঘটছে। তবে ইউনেসকোর মহাপরিচালক অড্রে আজুলে বলছেন, গণমাধ্যমে বহুত্ব এসেছে ঠিকই কিন্তু মিডিয়া কোম্পানিগুলোর মালিকানার কেন্দ্রীকরণ এবং ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণ বড় উদ্বেগের বিষয়। ইউনেসকোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গণমাধ্যমের বহুত্বের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হচ্ছে রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স দেওয়া। বাংলাদেশে গত নয় বছরে চালু হওয়া টিভি, রেডিও, সংবাদপত্র ও অনলাইনগুলোর দিকে তাকিয়ে একবার ভাবুন তো ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে এমন কাউকে কি দেখা যায়? 

দেখা যাচ্ছে সরকার তাদের পছন্দের ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে সব ধরনের গণমাধ্যমের অনুমোদন দিচ্ছে, যা প্রতিযোগিতা নীতির পরিপন্থী এবং গোষ্ঠীগত বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক সুবিধা লাভের হাতিয়ার। গণতন্ত্রে বহুত্ববাদের মূল কথাই হচ্ছে আপনি যা শুনতে চান না, সেই মতটি প্রকাশের সুযোগ নিশ্চিত করা। শুধু পছন্দের কথা শোনার জন্য গণমাধ্যমের লাইসেন্স দেওয়া নয়।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইউনেসকো বলছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্রমেই খর্ব হচ্ছে। একই সঙ্গে সাংবাদিকতার পেশাগত মানের অবনতি ঘটছে। বলা হচ্ছে এর কারণ দুটি-অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর প্রভাব ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ভূমিকা। 

রাজনৈতিক নেতাদের অব্যাহত সমালোচনা ও চাপের মুখে গণমাধ্যমে স্বনিয়ন্ত্রণ বা সেলফ সেন্সরশিপ বাড়ছে, যা তার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের স্বাভাবিক কাজের ধারায় বড় রকমের বিঘ্ন তৈরি করছে। ফলে ব্যবসার চালু মডেল অর্থনৈতিক সমস্যার মুখে পড়ছে এবং খবর সংগ্রহ, তা যাচাই করা এবং তার সম্পাদকীয় নিরীক্ষার প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগ কমছে। পরিণতিতে অনেকেই সরকার ও ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলোর আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এগুলো কোনোভাবেই স্বাধীন সাংবাদিকতার সহায়ক নয়।

বাংলাদেশের চিত্রটাও একই রকম, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রকট। রাজনীতিকদের একটা বড় অংশই বস্তুনিষ্ঠ ও বৈধ সাংবাদিকতাকে বেআইনি কার্যক্রম হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। সরকারবিরোধীদের রাজনৈতিক কার্যক্রমের সরাসরি সম্প্রচার আইনশৃঙ্খলার পরিপন্থী বিবেচিত হয়। সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদপত্রের সাংবাদিকদের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ থাকে। বিজ্ঞাপন প্রকাশের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক বিবেচনা অগ্রাহ্য করার জন্য বেসরকারি খাতের ওপর অদৃশ্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। রাজনীতিকদের অনিয়ম-অনাচারের খবর প্রকাশিত হলে ফৌজদারি আইনে যত্রতত্র মানহানির মামলা হয়।

বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের অবাধ প্রবাহের পথে এখন যুক্ত হয়েছে নতুন এক উপসর্গ-ভুয়া খবর বা ফেক নিউজ। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অপদস্থ করার এই হাতিয়ারটিকে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগাচ্ছেন ক্ষমতাসীনেরা। অনুগত প্রচারমাধ্যম বিকৃত ও ভুয়া তথ্য প্রচারের শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠছে। এ ধরনের খবর প্রথম প্রকাশ পায় কোনো অনলাইন পোর্টালে অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং তারপর মূলধারার মাধ্যমগুলোও তা পুনঃপ্রচার করে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া। 

বাংলাদেশে সরকারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রচারণার নজির অনেক, যেগুলোর কোনো তথ্য-প্রমাণ দেওয়া হয়নি। বিপরীতে, ক্ষমতাসীন দলের দু-একজনের সমালোচনার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। সাইবার জগতের নিরাপত্তায় যেসব আইন হচ্ছে, সুকৌশলে সেখানেও নিয়ন্ত্রণ এবং নিবর্তনমূলক বিধি যুক্ত করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগের প্রতিবাদের মুখে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আরও কঠোর বিধান।

আজ বিশ্ব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিবস। ইউনেসকো পঁচিশ বছর ধরে এই দিবসটি পালন করে আসছে। এ বছর এই দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা: গণমাধ্যম, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন। সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করায় বিচার বিভাগ ও সংবাদমাধ্যমের সম্পূরক ভূমিকা কী হতে পারে, সেই দিকটিতে আলোকপাত করাই এবারের এই বিষয়টি নির্বাচনের কারণ। প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীন ভূমিকাকে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে? আমরা দেখেছি নিম্ন আদালতের স্বাধীনতার প্রশ্নে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা আমাদের উচ্চ আদালত ইতিবাচকভাবে দেখেননি। অন্যদিকে ষোড়শ সংশোধনীর মামলার রায় ও প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের কথা বলায় সংশয় জাগে যে ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখায় সংবাদমাধ্যম নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ল কি না। 
  • Courtesy: Prothom Alo/May 03, 2018

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী


ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। প্রস্তাবিত আইনটি প্রণীত হলে শুধু মতপ্রকাশের ক্ষেত্রেই নয়, গণমাধ্যমকর্মীদের পাশাপাশি সব নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে অধিকতর নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। তিনি গতকাল এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যৌক্তিক বিধিনিষেধ সাপেক্ষে সংবিধান মতপ্রকাশের যে স্বাধীনতা দিয়েছে, তা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার কাছে অসহায়।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীসহ মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে এরই মধ্যে একদিকে অভূতপূর্ব ভীতি ও অন্যদিকে ভীতিপ্রসূত স্বআরোপিত সেন্সরশিপ চাপিয়ে দিয়েছে। যা বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীন দায়িত্ব পালনের প্রধান অন্তরায় বলে বিবেচিত হচ্ছে। আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৮ ধারাসমূহ প্রয়োজনীয় সংশোধন ছাড়া প্রণীত হলে সার্বিকভাবে দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের সম্ভাবনা ধূলিসাৎ হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। 

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ আইনের ফলে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতিসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের তথ্য প্রকাশ যেমন অসম্ভব হয়ে পড়বে, তেমনি এসব অপরাধের সুরক্ষার মাধ্যমে অধিকতর বিস্তৃতি ঘটাবে। সরকার-ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিতের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনটি সে ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমসহ সব নাগরিক যাতে সব ধরনের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন ও বাধাহীন মতামত প্রকাশ করতে পারেন, তার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ পর্যায়ে খসড়া আইনটির সংশোধনের দায়ভার সংসদীয় কমিটির ওপর ন্যস্ত হওয়ার কারণে কমিটিকে অবশ্যই ইতিবাচক ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

  • Courtesy: Bangladesh Protidin/May 03, 2018

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা তৃতীয়


বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। আর শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির নাম। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত মুম্বাই রয়েছে চার নম্বরে।

এক কোটি ৪০ লাখ বা তার চেয়ে বেশি জনসংখ্যার শহরগুলোর দূষণের তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই তালিকাটি তৈরি করেছে। এতে বলা হয়, বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত শহর মিসরের রাজধানী কায়রো। আর চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে পাঁচ নম্বরে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বিশ্বের ৯০ ভাগ মানুষই দূষিত বায়ু গ্রহণ করছেন। এই দূষণ ২০১৬ সালে ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে। এর মধ্যে শিল্প কারখানা ও গাড়ি থেকে সৃষ্ট দূষণে মারা গেছেন ৪২ লাখ মানুষ। আর ৩৮ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য গৃহস্থালি বায়ু দূষণকে দায়ী করা হয়েছে।

  • Courtesy: Bngladesh Protidin/ May 03, 2018

চারগুণ দামে কেনা হচ্ছে নতুন ইভিএম

ব্যবহার হবে গাজীপুর ও খুলনা সিটির ভোটে


গোলাম রাব্বানী

আবারও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) দিকে ঝুঁকছে কে এম নূরুল হুদা কমিশন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে একটি ওয়ার্ডে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে দেশে ইভিএমের যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালে। এরপর নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং নরসিংদী পৌরসভায় পুরো ভোট হয় ইভিএমে। আর সর্বশেষ রাজশাহী সিটির এক কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হলেও ফলাফল নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। এরপর বুয়েট ও ইসির দ্বন্দ্বে ইতি ঘটে ইভিএমের। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর রংপুর সিটিতে আবারও ব্যবহার শুরু হয় নতুন ইভিএম। এ ছাড়া আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটিতে কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে। এখনো কেন্দ্র চূড়ান্ত করেনি ইসি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বরাবরই ইভিএমে ভোট চাইলেও বিএনপি তাতে আপত্তি জানিয়ে আসছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সব স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। পুরনো ইভিএম বাদ দিয়ে ডিসেম্বরে রংপুরে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহূত নতুন ইভিএম সফল বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। তাই ইভিএমের ব্যবহার ধরে রাখতে আরও আড়াই হাজার মেশিন কেনার প্রস্তুতি চলছে। যদিও প্রাথমিকভাবে ৫৩৫ সেট ইভিএম কেনা হচ্ছে। সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবের সভাপতিত্বে কারিগরি কমিটির সভায় ইভিএম নিয়ে পর্যালোচনা হয় বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।

বর্তমান কমিশন সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন ইভিএম কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে প্রায় দুই লাখ টাকায় নতুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার পরিকল্পনা করেছে ইসি, যা ২০১০ সালে প্রথম ব্যবহূত যন্ত্রের দামের প্রায় চারগুণ। ওই সময় প্রতিটি ইভিএমে ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা। নির্বাচন কমিশনের বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটির সদস্যরা বলছেন, ‘বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) মাধ্যমেই বিদেশ থেকে আমদানি করা যন্ত্রাংশ নিয়ে উন্নত প্রযুক্তির ইভিএম তৈরি হচ্ছে। বিএমটিএফ চিন্তা করছে তৈরি করার; আশা করি তারাও পারবে। দেশে এটা তৈরি শুরু হয়ে গেলে তখন কমিশন যদি মনে করে সারা বিশ্বে প্রযুক্তিটি রপ্তানিও করতে পারবে।’

  • Abridged. Courtesy: Bangladesh Pratidin /May 03, 2018

তফসিলের হাঁকডাক ‘একতরফা’ নির্বাচনের ইঙ্গিত

মাহমুদুল হাসান


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় ততই তীব্র হচ্ছে। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিজেদের অবস্থানে অনড়। এরই মধ্যে পরিবেশ তৈরি ছাড়াই অক্টোবরে তফসিল ঘোষণার হাঁকডাক একতরফা নির্বাচনের ইঙ্গিত বলেই মনে করছে বিএনপি।

বিএনপি আপাতত নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। আগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে চাইছে তারা। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণার হাঁকডাক ক্ষমতাসীনদের ‘কৌশল’ হিসেবেও দেখছেন দলটির নেতারা।

বিএনপি নেতাদের দাবি, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশের ওপর নির্ভর করছে তফসিল। তাই পরিবেশ তৈরি না হলে তফসিল কোন মাসে ঘোষণা করা হলো তাতে কিছু যায় আসে না। একতরফা নির্বাচনের তফসিলের কোনো গুরুত্ব নেই।

তাদের মতে, আগে থেকে এ ধরনের কথা বলে বিভিন্ন দলের মনোভাব জানার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীনরা। কারণ, মুখে যাই বলুক আরেকটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিয়ে আওয়ামী লীগে ভীতি কাজ করছে।

চলতি বছরের অক্টোবরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। সোমবার সংসদীয় আসনের সীমানা পুনির্নির্ধারণ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। তবে তিনি অক্টোবরের কত তারিখে তফসিল ঘোষণা করা হবে সে সম্পর্কে কিছু বলেননি।

এদিকে নির্বাচন কমিশনারের ওই ঘোষণার এক দিন পরই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, অক্টোবরে নির্বাচনের ট্রেন চলতে শুরু করবে।

মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত শোভাযাত্রাপূর্বক সমাবেশে তিনি বলেন, বিএনপি এখন হুঙ্কার দিচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। উনার (খালেদা) মুক্তি আদালতের বিষয়। অক্টোবরে নির্বাচনের ট্রেন চলতে শুরু করবে। তা বিএনপির জন্য অপেক্ষা করবে না।

প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে হিসেবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে কিংবা জানুয়ারির শুরুর দিকে ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য দিন রেখে তফসিল ঘোষণা হতে পারে।

জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘এ বিষয়টি নিয়ে বিএনপি আগে পরিষ্কার হবে। ক্ষমতাসীনরা কী চাইছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া কেমন হবে। নির্বাচনে কারচুপি বা ভিন্ন কিছু করে ক্ষমতায় থাকতে কোন কৌশলে তারা এগোচ্ছেন বিএনপি সেসব পর্যবেক্ষণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন এনিয়ে কিছু বলতে পারব না। তারা সরকারে আছেন, যেমন খুশি বলতে পারেন। আমাদেরকে প্রত্যেকটা কথা মেপে বলতে হয়।’

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘এটা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। দেশের মানুষ কী চায়, তাদের কী চিন্তা-ভাবনা আছে। এটা বিএনপির একার বিষয় নয়। অধিকারহীন মানুষের জাতীয় সিদ্ধান্তে হবে এটা। জাতি সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের দলের অবস্থান আমরা বলে দিয়েছি। এখানে ব্যক্তিগত কোনো কথা নেই। সময় আসুক, তারপর আবার বলা যাবে। রাজনীতিতে কখনো দীর্ঘ সময়, কখনো অল্প সময়ে সিদ্ধান্ত আসে। রাজনীতি এমনই।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রশ্নই আসে না। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য দেশনেত্রীর মুক্তি। তারপর নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা না করার সিদ্ধান্ত হবে।’

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল পরিবর্তন ডটকম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনের মাধুরী মিশিয়ে তৎপরটা দেখাচ্ছে। কারণ এখন তো তারা হালকা চাপে আছে। চাপটা যখন আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আসবে, তখন চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যাবে। তখন এই তফসিল জানুয়ারিতে যাবে না অক্টোবরে হবে এটা হলফ করে কেউ বলতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বৈষম্য দূর করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কোনো মাসে তৈরি করতে পারবেন, এটা উনারাই ভালো জানেন। এটাই শেষ কথা হিসেবে ধরছি না।’

বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চাচ্ছে আমরা নির্বাচনের বাইরে থাকি। আমরা তো নির্বাচনের ভেতরে থাকার চেষ্টা করছি।’  

  • সূত্র : পরির্বতন/ মে ২, ২০১৮ 

Scanning at Ctg Port: Govt settles for costlier option

Private firm gets Tk 29cr a year for the job Custom House can do with Tk 4cr


Mohammad Suman

Scanning operation is a sensitive job for any port around the world. It examines imports through misdeclaration and the presence of explosives that could jeopardize national security. Once released, there is little scope for reexamining the containers.

Yet the Chittagong Custom House (CCH) is relying on private operators for the delicate job as it failed to establish a permanent scanning department of its own to do this.

While the government is losing money in the process, it also poses a threat to national security, port sources have said. 

In 2009, the National Board of Revenue (NBR) made scanning of all containers mandatory to check imports through misdeclaration and smuggling of arms and ammunition.

As the CCH had no experience in scanning then, it hired SGS, a Swiss private company, for the job in September that year for Tk 12.23 crore a year. One condition was that during the six-year contract the company would train CCH officials on scanner operations.

The operator had a 63-man workforce for handling four scanners at as many gates at the port.

However, by the time the contract ended in 2015, many of the trained CCH officials got transferred. As a result, the CCH failed to build capacity to handle the scanners.

Later, the CCH extended the contract with SGS for three years in two phases, which ended on April 22 with the same results.    

The CCH has recently given the job to a new firm, Five R Associates, for Tk 28.86 crore a year. A local distributor of a Chinese company, Five R Associates is expected to start the operations today.

Interestingly, in a draft proposal the CCH said the same job can be done with only about Tk 4 crore, nearly Tk 25 crore less than what the private company is charging.

For that, the CCH proposed establishing a permanent scanning department with a 185-strong workforce and setting up 12 scanners at as many gates at the port.

At the moment, there are only four scanners at as many gates.

The CCH sent the proposal to the Internal Resource Department under the finance ministry on January 2 last year, but has yet to receive any response.

In the meantime, as the deadline of the contract with the SGS neared, the CCH floated a tender for the scanning operation in late December.

At least seven companies collected the tender papers. They are SGS, M/S Belal and Brothers, Harun Electrical Engineering, Linkers Enterprise, Five R Associates, NCSL and 5R Nuctech Consortium.

However, only two firms Five R Associates and NCSL submitted the tender papers.

The SGS did not submit the papers, alleging that the CCH relaxed some conditions of the bid to make it easy for certain companies to get the job.

On April 12, three days after the CCH recommended Five R Associates to the NBR for the job, the SGS moved the High Court over “irregularities in appointing an organisation of their choice”.

In response, the CCH filed a writ on April 25 saying the claim was baseless. The HC is expected to hold a hearing on the matter on May 25.

The SGS also lodged a complaint with the Planning Commission. But the Commission cleared the CCH move to hire Five R Associates for the job.

Contacted, Mizanur Rahman, SGS operations manager, said they would not pursue the matter further.

“We have no complaints. We've knocked on so many doors. And we know we will not get justice,” he told The Daily Star.

“Nine years ago, the Chittagong Custom House did not do the job as it had no experience. After all these years, they are now saying there is no need for experience to do the job. If so, the Custom House could do the job nine years ago, or it can do it now. Why are they relying on others for the scanning?” he said.

Meanwhile, after the SGS's contract ended on April 22, the CCH itself did the scanning job for the last one week. 

“Workers from other departments were called in for the scanning operation. We did not face any problem,” said Abdul Rashid, deputy commissioner of the CCH.

Liakat Ali Howladar, port secretary of Clearing and Forwarding Association, said it was not safe to get the scanning job done by a private operator.

According to him, the job should be done by a government authority.

Asked why the CCH itself was not doing the job, its Commissioner AKM Nuruzzaman said they sent a draft proposal to the IRD for establishing a scanning department two years ago, but did not get any response.

“It's not possible to do the job with our current workforce. We cannot do it if we do not have a permanent, dedicated staff for it. We have talked about the issue with the authorities so we can do it by ourselves in future,” he added.

  • Courtesy: The Daily Star/May 03, 2018

Khulna city polls: BNP mayoral candidate suspends campaign


Nazrul Islam Monju, BNP mayoral aspirant in the upcoming Khulna City Corporation polls, suspended his election campaign protesting “arrests” of his party activists.

Around 19 leaders and activists of Jubo Dal, Chhatra Dal and other pro-BNP bodies were allegedly arrested in Khulna city between last night and this morning, our district correspondent reports quoting Monju as saying.

Monju, who started his election campaign yesterday morning and continued till night amid torrential rain, halted his election campaign from 9:00am today, the official said.

He alleged that the law enforcers were trying to terrorise BNP leaders and activists to keep them away from the election campaign. “They’re also raiding the houses of our party leaders and activists and harassing them.”

The BNP mayoral candidate also claimed that Awami League men are violating the election code of conduct but the Election Commission does not pay heed to his allegation in this regard.

He also demanded the authorities concerned create a level-playing field and stop intimidating his party men.

The elections to Khulna City Corporation will be held on May 15.

  • Courtesy: The Daily Star/May 03, 2018

Teachers call for ensuring protesters’ safety

QUOTA REFORM MOVEMENT


Teachers of Dhaka University and Jagannath University on Monday urged their administrations and law enforcement agencies to ensure safety of demonstrators who took to the streets demanding reforms to quota system in government jobs.
At a views exchange programme, they also urged the authorities concerned to ensure stable and democratic environment at the educational institutes across the country.

Bangladesh Sadharan Chhatra Adhikar Sangrakkhan Parishad, the platform of the protesting students, organaised the programme at Teacher Student Centre auditorium of Dhaka University.

Dhaka University teacher Tanjimuddin Khan said that ruling party’s student organaisation was always alienated from the general students and tried to establish a reign of fear. He also said that as the hall administration did not play any vigorous role to address students’ problem, the university authorities should install a complain box in front of vice-chancellor’s house so that the general students could express their complaints.

Tanjimuddin Khan further said that to ensure safety of general students and teachers, there was no alternative to joint efforts of teachers and students as the existence of Bangladesh Sadharan Chhatra Adhikar Sangrakkhan Parishad was very much important.

Abul Kashem Fazlul Huq, supernumerary professor of Bangla at Dhaka University, said there was no logical reason of police attack on general students’ justified movement and it was governments’ responsibility to resolve the age-old crisis.

Condemning the attack on DU VC’s residence, he also added that the situation was complicated after the university administration and police lodged at least five cases against unidentified protesters which triggered fear among general students.

Dhaka University teacher Fahmidul Huq warned that if any protesters were further harassed by law enforcers or the university administration, teacher would wage tougher movement as the protestors on April 12 postponed their movement on assurance from the prime minister that there would be no quota system in government jobs.

Lambasting the administration and the government, the mass communication and journalism department professor also urged the authorities not to smell conspiracy in all logical movements and try to understand people’s pulse.

Nurul Huq Nur, joint-convener of the platform, demanded punishment of the culprits who brandished weapons on the campus on the night of April 9, formation of special autonomous cell to ensure safety of students and teachers, installation of security post at the entrance of campus, administration had to play active role to ensure democratic practice of students on the campus. 

Dhaka University teacher Robayet Ferdous, Rashidul Hasan, MM Akash, Jagannath University’s expelled teacher Nasiruddin Ahmed also spoke among others. 

  •  Courtesy: NewAge/May 01, 2018