ব্যবহার হবে গাজীপুর ও খুলনা সিটির ভোটে
গোলাম রাব্বানী
আবারও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) দিকে ঝুঁকছে কে এম নূরুল হুদা কমিশন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে একটি ওয়ার্ডে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে দেশে ইভিএমের যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালে। এরপর নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং নরসিংদী পৌরসভায় পুরো ভোট হয় ইভিএমে। আর সর্বশেষ রাজশাহী সিটির এক কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হলেও ফলাফল নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। এরপর বুয়েট ও ইসির দ্বন্দ্বে ইতি ঘটে ইভিএমের। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর রংপুর সিটিতে আবারও ব্যবহার শুরু হয় নতুন ইভিএম। এ ছাড়া আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটিতে কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে। এখনো কেন্দ্র চূড়ান্ত করেনি ইসি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বরাবরই ইভিএমে ভোট চাইলেও বিএনপি তাতে আপত্তি জানিয়ে আসছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সব স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। পুরনো ইভিএম বাদ দিয়ে ডিসেম্বরে রংপুরে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহূত নতুন ইভিএম সফল বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। তাই ইভিএমের ব্যবহার ধরে রাখতে আরও আড়াই হাজার মেশিন কেনার প্রস্তুতি চলছে। যদিও প্রাথমিকভাবে ৫৩৫ সেট ইভিএম কেনা হচ্ছে। সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবের সভাপতিত্বে কারিগরি কমিটির সভায় ইভিএম নিয়ে পর্যালোচনা হয় বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।
বর্তমান কমিশন সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন ইভিএম কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে প্রায় দুই লাখ টাকায় নতুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার পরিকল্পনা করেছে ইসি, যা ২০১০ সালে প্রথম ব্যবহূত যন্ত্রের দামের প্রায় চারগুণ। ওই সময় প্রতিটি ইভিএমে ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা। নির্বাচন কমিশনের বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটির সদস্যরা বলছেন, ‘বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) মাধ্যমেই বিদেশ থেকে আমদানি করা যন্ত্রাংশ নিয়ে উন্নত প্রযুক্তির ইভিএম তৈরি হচ্ছে। বিএমটিএফ চিন্তা করছে তৈরি করার; আশা করি তারাও পারবে। দেশে এটা তৈরি শুরু হয়ে গেলে তখন কমিশন যদি মনে করে সারা বিশ্বে প্রযুক্তিটি রপ্তানিও করতে পারবে।’
- Abridged. Courtesy: Bangladesh Pratidin /May 03, 2018
No comments:
Post a Comment