ভিন্নমতাবলম্বীদের জন্য কথা বলার জায়গা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বলা হয়েছে, এটা অর্জন করা যাবে তখনই, যখন দু’দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ সংবাদ মাধ্যম থাকবে। সাংবাদিকদের ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। হয়রানি করা যাবে না। তাদের ওপর হামলা করা যাবে না। এ ছাড়া সাংবাদিকদের নিষ্পেষণমূলক আইন ব্যবহার করে কণ্ঠরোধ করা যাবে না।
গতকাল শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের আগে এমন আহ্বান জানায় অ্যামনেস্টি। বৈঠকে সুনির্দিষ্ট মানবাধিকার নিয়ে যে উদ্বেগ আছে তাও তুলে ধরার জন্য উভয় দেশের প্রতি আহ্বান জানায় এ সংস্থাটি। অ্যামনেস্টির ভারত বিষয়ক নির্বাহী পরিচালক আকার প্যাটেল এমন আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি দেন। তাতে তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার- তাদের তা সমুন্নত রাখা উচিত। সামনেই দু’দেশের জাতীয় নির্বাচন। এ সময়ে মানবাধিকারের প্রতি দু’দেশের সরকারের মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতির প্রতি অটল থাকতে আহ্বান জানানো হয়।
আকার প্যাটেল তার বিবৃতিতে বলেন, ঐতিহাসিক ও সামাজিকভাবে একপেশে হয়ে পড়া সম্প্রদায়গুলো ও ভারতে মানবাধিকার রক্ষার পক্ষের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অথবা ভয়াবহতার কাছাকাছি এমন হামলার তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে মোদি ও হাসিনাকে। বাংলাদেশে উপজাতি ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী কর্মীদের ওপর হামলারও তদন্ত করতে হবে। এ সময় প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য নিজেদের দরজা খুলে দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুসরণীয় বলে অভিনন্দিত করা হয়। কিন্তু ভারতে ৪০ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে যে গড়িমসি করছে তাতে হতাশা প্রকাশ করেন আকার প্যাটেল। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে ধরে তা অনুসরণ করা উচিত ভারত সরকারের। একই সঙ্গে নির্যাতন থেকে পালিয়ে আসা ও রাষ্ট্রীয় সহিংসতা থেকে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের সুরক্ষিত রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান আকার প্যাটেল।
- কার্টেসিঃ মানবজমিন/ মে ২৭, ২০১৮
No comments:
Post a Comment